Tag: Madhyom

Madhyom

  • Madan Mitra: অয়নের বান্ধবী শ্বেতার সঙ্গে দেখা করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র! কী কথা হল?

    Madan Mitra: অয়নের বান্ধবী শ্বেতার সঙ্গে দেখা করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র! কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের কোম্পানির হাত ধরেই কামারহাটি পুরসভায় দুদফায় কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি ইডি-র নজরে রয়েছে। কারণ, অয়ন টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করত তার প্রমাণ ইডি আধিকারিকরা আগেই পেয়েছেন। কামারহাটি পুরসভায় যে সব কর্মী নিয়োগ হয়েছিল তাদের পিছনে কত টাকার খেলা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ইতিমধ্যে বিতর্কিত প্যানেলে চাকরি নিয়ে চরম আতঙ্কিত কামারহাটি পুরসভার কর্মচারীরা। শুক্রবার স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) কাছে কর্মীরা সেই উদ্বেগের কথা জানালেন। একইসঙ্গে পুরসভায় চেয়ারম্যান গোপাল সাহার কাছে তাঁদের আতঙ্কের কথা তুলে ধরেন। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, আমাদের কর্মীরা কোনও অপরাধ করেনি। তাঁরা ভয়ে রয়েছে। অন্যায় না করলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি।

    কী বললেন বিতর্কিত প্যানেলে চাকরি হওয়া কর্মীরা? 

    অয়নের হাত ধরে ব্যারাকপুর মহকুমার ৬টি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। তারমধ্যে কামারহাটি পুরসভা রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে এবং ২০১৯ সালে দুটি অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ১৭ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। আর ২০১৯ সালে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। সবমিলিয়ে ১০৪ এবং ১২৫ জনকে পুরসভায় নিয়োগ করা হয়। আর সবটাই অয়নের কোম্পানির হাত ধরে হয়েছে। দেখা যায়, পুরসভায় নিয়োগ  হওয়া ২২৯ জনের মধ্যে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। শ্বেতার নাম সামনে আসতেই এই প্যানেলের অন্যান্য কর্মীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। প্যানেলে চাকরি পাওয়া পুরসভার এক কর্মী বলেন, নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি হয়েছে। কিন্তু, যে কোম্পানির হাত ধরে আমাদের নিয়োগ হয়েছে, সে জেলে রয়েছে। তাতেই আমাদের ভয় লাগছে। আমাদের প্যানেল বাতিল করে দেবে না তো?

    শ্বেতার সঙ্গে দেখা করলেন মদন মিত্র (Madan Mitra), কী কথা হল? 

    অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী শুক্রবার কামারহাটি পুরসভায় আসেন। নিজের দপ্তরের চেয়ারে তিনি বসেছিলেন। অনেকে তাঁকে এসে দেখে যান। তবে, কারও সঙ্গে তিনি কোনও কথা বলেননি। নিজের চেয়ারে চুপচাপ তিনি বসেছিলেন। এদিন বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বিধায়ক (Madan Mitra) বলেন, আমি সব কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন দেখছিলাম শ্বেতা চক্রবর্তী বসে আছেন। টিভিতে দেখে তাকে চিনতে পেরেছি। জিজ্ঞেস করলাম নাম কী। কোথায় থাকেন। ব্যাস এইটুকুই। শ্বেতাও তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেছেন। তাঁর বেশি কথা বলেননি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    Anubrata Mondal: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  আসানসোল সংশোধনাগারের সুপার কৃপাময় নন্দীর পর এবার বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে তলব করল ইডি। শনিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত নথি আনতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৪ মার্চ তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে সিবিআই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে। মূলত কয়লা পাচার করার জন্য তাঁকে নিয়মিত প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার মুখেও এই পুলিশ অফিসারের নাম সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। মহম্মদবাজারের অফিসার ইন চার্জ হিসেবে থাকার সময় এই পুলিশ আধিকারিক নিয়মিত প্রোটেকশন মানি নেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন মহলে সেই টাকা পৌঁছে যেত। বিনিময়ে পাচারকারীদের   কয়লা পাচার করতে  কোনও সমস্যা হত না। কোনও সমস্যা হলেই মহম্মহ আলি মুশকিল আসান ছিলেন। অনেকেই সে কথা তদন্তকারী অফিসারদের কাছে স্বীকার করেছে।

    মহম্মদ আলিকে কেন ডাকল ইডি ?  Anubrata Mondal

    বীরভূমের মহম্মদবাজার সহ একাধিক থানায় থাকার সময় কয়লা পাচারের পাশাপাশি গরু পাচারকাণ্ডে সরাসরি যোগ রয়েছে মহম্মদ আলির। এমনই তথ্য হাতে এসেছে ইডি আধিকারিকদের। এমনকী বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) থাকার সময় তাঁর বাড়িতে এই পুলিশ আধিকারিকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)  অত্যন্ত পছন্দের পুলিশ অফিসার ছিলেন আলি। ২০০৫ সাল থেকে তিনি বীরভূম জেলায় রয়েছে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর দাপট বাড়তে থাকে। এই জেলা ছেড়ে তাঁকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়নি। এসবের পিছনে কার হাত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে ইডি আধিকারিকরা।  সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  মামলা লড়ার খরচও জুগিয়েছেন সিউড়ি থানার আইসি। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)  মামলা খরচের টাকা তিনি কেন দিয়েছেন তা জানার চেষ্টা করবে ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁর ব্যাঙ্কের নথি ঘেঁটে তাঁর যোগোযোগ কোথায় কোথায় ছিল তা ইডি আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করবে বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার শাসক দল। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী এখন জেলের ঘানি টানছেন। প্রতিদিন এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাসক দলের নেতা বা তাঁদের ঘনিষ্ঠরা ইডির জালে ধরা পড়ছে। এমনকী আদালতের নির্দেশে শয়ে শয়ে চাকরি বাতিল হয়েছে। এই চাকরি বাতিল হওয়ার তালিকায় শাসক দলের নেতার আত্মীয়দের বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম জড়িয়ে চাকরি দেওয়া নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    মন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন? Mamata Banerjee

    বুধবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ উত্তর দিনাজপুর জেলায় সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও ছিলেন। তিনি এখন উত্তর দিনাজপুর জেলার মাইনোরিটি সেলের দায়িত্ব পেয়েছেন। সরকারি বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সিপিআইএমের সময় যারা ঝোলা কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়াত, তাদেরই চাকরি হয়েছে। তাই তাদেরই চাকরি হবে যে সকাল সন্ধ্যা মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) জিন্দাবাদ বলছে,তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ করছে, সেই তৃণমূল কর্মীকে চাকরি দেওয়ার একশো শতাংশ আমরা চেষ্টা করব। তবে, মেধার ভিত্তিতে সেই চাকরি দেওয়া হবে।”  তিনি আরও বলেন, বছরে আমরা তিনটে করে চাকরি পাই, সেই চাকরি আমরা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের ছেলেদের দেব না। যারা তৃণমূল করে আমরা তাদের সেই চাকরি দেব। সব পার্টি করেছে, আমরাও করব। তবে, যে দলের সঙ্গে বেইমানি করে দুর্নীতি করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে দল তার পাশে থাকবে না। আর দুর্নীতির সঙ্গে আমরা আপোষ করব না। প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়া কী মেধার মাপকাঠি?

    মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কী বলছেন বিরোধীরা? Mamata Banerjee

    মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, তৃণমূলের হয়ে যারা চাকরি চুরি করে, ধর্ষণ করে, বোমা মারে, বুথ জ্যাম করে সেটাই তৃণমূলের কাছে মেধা। আর সেই মেধার ভিত্তিতে তৃণমূলের লোক চাকরি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। এতে নতুন কিছু ব্যাপার নেই। বর্তমানে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা কেউ আছে জেলে, কেউ আছে বেলে, বাকি যারা বাইরে আছে তারাও সময় মত জেলে যাবে। অন্যদিকে, সিপিআইএমের সময় ঝোলা কাঁধে নিয়ে যারা ঘুরেছে তাদেরই চাকরি হয়েছে বলে মন্ত্রী যে মন্তব্য করেন তা নিয়ে  সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উত্তম পাল বলেন, বর্তামানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের যারা বক্তা রয়েছেন তাদের তো বামফ্রন্টের সময় চাকরি হয়েছে। আর সেই চাকরি বামফ্রন্ট সরকার একটি নিয়ম নীতির মাধ্যমে করেছে। না হলে তাদের চাকরি হত না। তবে, তৃণমূলের কর্মীদের মেধার ভিত্তিতে যে নিয়োগ করা হবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন,তা একপ্রকার সোনার পাথর বাটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: অয়নের ছেলে ও তাঁর বান্ধবীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি! কোথায় জানেন?

    ED: অয়নের ছেলে ও তাঁর বান্ধবীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীল ও তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। অয়ন প্রোমোটারির পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে আর্থিকভাবে ফুলেফেঁপে ওঠে। চাকরি বিক্রি করেই সে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে বলে তদন্তে নেমে ইডি (ED) জানতে পেরেছে। আর এই কোটি কোটি টাকা সে সিনেমা, সিরিয়ালেও ঢেলেছে। ইতিমধ্যেই শ্বেতা চক্রবর্তী তাঁর হাত ধরেই রুপোলি জগতে পা রেখেছিলেন। এবার হুগলির গুরাপে অয়নের পেট্রল পাম্পের হদিশ পেল ইডি (ED) ।

    কত টাকায় কেনা হয়েছিল পেট্রোল পাম্প? ED

    ইডি (ED)  সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে গুড়াপের এই পাম্পটি চালান অয়নের ছেলে অভিষেক শীল। এই পাম্পের পার্টনার ইমন গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে কলকাতার বিডন স্ট্রিটের বাসিন্দা নন্দদুলাল শুক্লা, অজয় শুক্লা এবং আশিস শুক্লার কাছে থেকে ১ কোটি টাকায় গুড়াপে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ৩ বিঘা জমির উপর পেট্রল পাম্পটি কেনা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে শুক্লা পাম্প হিসেবে পরিচিত ছিল। এই পাম্পের পাশাপাশি অভিষেক ও ইমনের নামে কলকাতার বন্ডেল রোড উপর ফসিলস নামে একটি অফিস রয়েছে। সেই সম্পত্তির দামও অনেক। এছাড়া অভিষেক ইমনের নামে যৌথভাবে আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছে বলে ইডি (ED)  জানতে পেরেছে। এই ইমন হচ্ছে অভিষেকের বান্ধবী। আইন পড়ার সময় তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে, সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। কারবারের টাকা অভিষেকের বান্ধবী ইমনের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ইডির তরফে যে ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে এই শুক্লা সার্ভিস স্টেশনের নামে গুড়াপের ওই পেট্রল পাম্পও রয়েছে। ইডি-র মতে ইমন ও অভিষেকের যৌথ সংস্থা এবং পেট্রল পাম্পের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির কয়েক কোটির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। তার জন্যে অয়ন শীলের নির্দেশে দক্ষিণ কলকাতার অফিস খুলেছিলেন অভিষেক ও তাঁর বান্ধবী। যদিও সেই অফিস দীর্ঘদিন বন্ধ বলেই খবর।

    অয়নের ছেলের বান্ধবী ইমনকে নিয়ে কী বললেন প্রতিবেশীরা? ED

     অয়নের ছেলে অভিষেক শীলের সংস্থার অংশীদার রয়েছে তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে। এই ইমনের বাড়ি হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভার অমরেন্দ্র সরণির দাশরথি আবাসনে। ওই আবাসনের দোতলায় ২০২ নম্বর ফ্ল্যাটটি ইমনের বাবা বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে রেজিস্ট্রার রয়েছে। বিভাসবাবু পেশায় আইনজীবী। বাবার সঙ্গে ওই আবাসনেই থাকেন ইমন। বুধবার থেকে বাইরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁরা কেউ কথা বলেননি। এমনকী কাজের মেয়েকেও বাড়ির লোকজন দরজা খুলে দেননি। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার কারও সঙ্গে সেভাবে মিশত না। মাঝে মধ্যে ইমনকে আইনজীবীর পোশাক পড়ে বিলাসবহুল গাড়িতে করে চলে যেতে দেখা যেত। কখনও কখনও রাত করেও বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছে। ইমনও খুব কম কথা বলত। তবে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত অয়নের ছেলের বান্ধবীর বিষয়টি  জানাজানি হতেই হতবাক এলাকাবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: ১১ জনকে নিয়োগ করতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ তৃণমূল বিধায়কের, কোন পদে চাকরি জানেন?

    Scam: ১১ জনকে নিয়োগ করতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ তৃণমূল বিধায়কের, কোন পদে চাকরি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Scam) নিয়ে রাজ্যে এখন তোলপাড় চলছে। আদালতের নির্দেশে, দুর্নীতিতে (Scam)  জড়িত থাকার অভিযোগে একের পর এক শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। নতুন করে আরও অনেকের চাকরি যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় ১১ জন ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন করে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়ে সুপারিশ করেছিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক। সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এমনিতেই নিয়োগ  দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে রয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী  থাকার সময় বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক নিজের প্যাডে লিখে তাদের চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া চিঠিতে কী রয়েছে? (Scam)

    তৃণমূল বিধায়ক ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। বিধায়কের প্যাডে চিঠি লেখা হয়েছিল। চিঠিতে  তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করা হয়, তাঁর মনোনীত ১১ জন ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকার পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। ওই প্যাডে ছেলেমেয়েদের নাম, রোল নম্বর সহ অন্যান্য তথ্য দেওয়া রয়েছে। চিঠির নীচে বিধায়কের সই এবং স্ট্যাম্প দেওয়া রয়েছে। দুর্নীতিকাণ্ড সামনে আসতেই তৃণমূল বিধায়কের এই চিঠি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। চিঠির বিষয়টি সামনে আসতেই বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। বিস্তারিত জেনে এব্যাপারে বলতে পারব।

    চিঠি নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা? Scam

    বিজেপির বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) যে ভাবে একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি যাচ্ছে তাতে সারা দেশের কাছে এই রাজ্যের শিক্ষার মান একেবারে তলানিতে নামিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক যে ১১ জনের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করেছিলেন, কত টাকার বিনিময়ে তাদের চাকরি হয়েছে তা সকলেই জানতে চায়। মেধাবীদের বাদ দিয়ে এভাবে ঘুর পথে কাটমানির বিনিময়ে চাকরির সুপারিশের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। আর এই ঘটনায় তদন্তের দাবি করছি।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: আসানসোল জেলের সুপারকে ব্যাঙ্কের নথিসহ দিল্লিতে তলব ইডির, খুলবে কি রহস্যের জট?

    Anubrata Mondal: আসানসোল জেলের সুপারকে ব্যাঙ্কের নথিসহ দিল্লিতে তলব ইডির, খুলবে কি রহস্যের জট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গরু পাচার কাণ্ডে এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর এককালের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, সকলেই একসময় আসানসোল জেলেই ছিলেন। তাঁদের কারাবাসের সময় সংশোধানাগারের সুপার থেকেছেন কৃপাময় নন্দী। এবার গরু পাচারকাণ্ডে আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জেল সুপারকে শুধু দিল্লিতে ডাকা হয়েছে এমন নয়, তাঁকে আগামী ৫ এপ্রিল তাঁর যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সহ আসতে বলেছে ইডি। এদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে জেল সুপার বলেছেন,”ই-মেল পেয়েছি। তবে কি কারণে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তা বলতে পারব না। আমি উচ্চ আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যেমন বলবেন আমি সেই পথেই চলব।” গরু পাচারকাণ্ডে দীর্ঘদিন আসানসোল জেলে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অভিযোগ, এই সময় জেল থেকেই তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দিতেন কেষ্ট। নিজের জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখতেন তিনি। বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ নিজেই এই অভিযোগ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। কেষ্টর দিল্লি যাত্রা আটকাতে অবশ্য অনেক চেষ্টাই করা হয়েছিল। বীরভূম জেলার নেতারা প্রকাশ্য সভায় বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় তৃণমূলের সংগঠন ভেঙে দিতেই পরিকল্পিতভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে নিজে বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত আসছে বলে কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে।’ মমতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরোধীরা বলেছিলেন, ‘এর থেকেই স্পষ্ট যে অনুব্রত জেলে বসেই দলের কাজ করছিলেন।’ আর এই সব বিতর্কের মাঝেই এবার আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে ইডির তলব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    জেল সুপারকে কী জিজ্ঞাসা করতে পারে ইডিAnubrata Mondal

    তিহার জেলের আগে বেশ কয়েকমাস আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন অনুব্রত। যদিও সেই সময় সংশোধনাগারে বহাল তবিয়তে থাকতেন অনুব্রত (Anubrata Mondal), এই অভিযোগ বারে বারে করেছে বিরোধীরা। এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে জেলে কারা দেখা করতে আসত, তা জানতে চাওয়া হতে পারে জেল সুপারের থেকে। এদিকে অনুব্রত যখন আসানসোল সংশোধানাগারে ছিলেন, তখন বেশ কিছু বিষয়ে ইডির প্রশ্নের মুখে পড়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, দিল্লি যাত্রার সময় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল জেল কর্তৃপক্ষের ওপর। সেই সময় কচুরির দোকানে জেলবন্দি অনুব্রত (Anubrata Mondal) দিব্যি বসে তৃণমূলের এক যুবনেতা এবং মেয়ে সুকন্যার গাড়ির চালকের সঙ্গে ‘বৈঠক’ করেছিলেন, যা নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার খোদ জেল সুপারকেই দিল্লিতে তলব করল ইডি।  

    দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁকে রাখা হবে তিহার জেলে। পাশাপাশি দিল্লির আদালত অনুব্রতর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ এপ্রিল। অন্যদিকে, কাকতালীয় হলেও তিহার জেলে এখন রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী ও গরুপাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Naihati: অয়নের হাত ধরে পুরসভায় চাকরি নৈহাটির শ্বেতার! মেয়েকে নিয়ে কী বললেন বাবা?

    Naihati: অয়নের হাত ধরে পুরসভায় চাকরি নৈহাটির শ্বেতার! মেয়েকে নিয়ে কী বললেন বাবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কামারহাটি পুরসভা সহ ব্যারাকপুর মহকুমার একাধিক পুরসভায় লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছিলেন অয়ন। রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় নিয়োগ নিয়ন্ত্রণে অয়নের হাত ছিল। এই কামারহাটি পুরসভায় অয়নের হাত ধরেই চাকরি পেয়েছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। বর্তমানে তিনি কামারহাটি পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। নৈহাটির (Naihati) বাড়ি থেকে তিনি যাতায়াত করতেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে এবং ২০১৯ সালে দুটি অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ১৭ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। আর ২০১৯ সালে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। সবমিলিয়ে ১০৪ এবং ১২৫ জনকে পুরসভায় নিয়োগ করা হয়। আর সবটাই অয়নের কোম্পানির হাত ধরে হয়েছে। দেখা যায়, পুরসভায় নিয়োগ হওয়া ২২৯ জনের মধ্যে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। তিনি এর আগে হুগলির জিরাট পঞ্চায়েতে চাকরি করতেন। ফলে, এই কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগের সময় তাঁরা চাকরি পাওয়ার ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ইডি তাঁর চাকরি পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

    শ্বেতাকে কত টাকা দিয়েছিলেন অয়ন, জানেন কী ? Naihati

    এবার শ্বেতার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তদন্তে নেমে ইডি (ED) জানতে পেরেছে। অয়নের সঙ্গে সখ্যতা হওয়ার পর শ্বেতা ফুলেফেঁপে ওঠে। কামারহাটিতে তিনি একটি ফ্ল্যাট কেনেন। সেখানেই অয়ন আর শ্বেতা মামা-ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে মাঝে মধ্যে থাকতেন। আবাসনের আবাসিকরা সে কথা স্বীকার করেছেন। গাড়িতে করে তাঁরা আসতেন বলে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে পাঁচ দফায় ৫৫ লক্ষ টাকা গিয়েছিল। এমনকী শ্বেতার গাড়ি কেনার পয়সা দিয়েছিল অয়ন।

    শ্বেতাকে নিয়ে কী বললেন তাঁর বাবা? Naihati

    বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরই শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম সামনে আসে। ঘটনার দুদিন কেটে গেলেও তাঁর হদিশ পাননি কেউ। এমনকী নৈহাটির (Naihati) বাড়িতে গিয়েও শ্বেতার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর বাবা অরুণ চক্রবর্তী বলেন, আমার মেয়ে পড়াশুনায় ভালো ছিল। মাধ্যমিকে স্টার পেয়েছিল। হুগলি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করেছিল। প্রথমে সে দমদমে চাকরি করত। পরে, হুগলির জিরাটে চাকরি পায়। এখন ও কামারহাটি পুরসভায় রয়েছে। ও নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে। অয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, মেয়ে বড় হয়েছে। ও কার সঙ্গে মেলামেশা করছে তা জানা সম্ভব নয়। অয়নের সঙ্গে আমাদের পরিচয় নেই। তবে, মেয়ে দোষ করে থাকলে শাস্তি পাবে। কারণ, আমাদের নামে পাড়ায় কোনও বদনাম নেই। তাই, আমি এখনও বিশ্বাস করি, মেয়ে কোনও খারাপ কাজ করবে না। আর এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শ্বেতার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ও আমাদের ফোন করেনি। এখন ও কোথায় আছে জানি না। তবে, ইডি ডাকলে শ্বেতা সবসময় তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Conflict: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই বৈঠকে হামলা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    Conflict: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই বৈঠকে হামলা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে মালদহ জেলায় তৃণমূলের কোন্দল (Conflict) প্রকাশ্যে চলে আসছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পর এবার মানিকচক থানার নুরপুর এলাকা। প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মানিকচক থানার নুরপুর এলাকায়।  বৈঠক চলাকালীন তৃণমূলের একাংশ কর্মীদের নিজেদের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তবে, গন্ডগোল শুধু হাতাহাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। আর তাতে চারজন কর্মী জখম হন। খবর পেয়ে নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বরমপুর এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। এর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েতের একাধিক বুথে প্রার্থী নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। দলীয় নেতৃত্বকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে, প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে দলীয় কোন্দলের (Conflict) জেরে  নুরপুরে রক্তপাতের ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল।

    ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল?

    এদিন নুরপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বরমপুর বুথের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা বৈঠক হয়। সেখান চারজনের নাম ঠিক করা হয়। শেখ রজিম নামে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, দলীয় নেতাদের সামনে বুথে প্রার্থী নিয়ে আলোচনা চলছিল। আচমকাই জাবির শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায়। আমাদের মারধর করা হয়। বৈঠকে যে প্রার্থী ঠিক করা হয় তা জাবিরদের পছন্দ নয়। তারা এই এলাকায় নিজেদের মতো প্রার্থী দেবে। সেই প্রার্থী আমাদের মানতে হবে। এটা হতে পারে না। হামলার জেরে চারজন জখম হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। দলীয় নেতৃত্বকে সব কিছু জানানো হয়েছে। তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, প্রার্থী নিয়ে মতানৈক্য (Conflict) হয়েছিল। তাতে সামান্য গন্ডগোল হয়। পরে, দুপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হবে।

    সিপিএমের  মানিকচক-১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক মহম্মদ আমিরুল হক বলেন, তৃণমূলের সব জায়গায় গোষ্ঠী কোন্দল (Conflict) হচ্ছে। আসলে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারলেই পাঁচ বছর ধরে চুরি করার সুযোগ মিলবে। সেটা কেউ হাত ছাড়া করতে চাইছে না বলেই গন্ডগোল হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Zilla Parishad: মহিলার পায়ে ধরলেন তৃণমূলের হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি! কেন জানেন?

    Zilla Parishad: মহিলার পায়ে ধরলেন তৃণমূলের হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার শাসক দল। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসংযোগ নিবিড় করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচি। কিন্তু, সেই কর্মসূচি সফল করতে গিয়ে এভাবে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে তা ভাবতে পারেননি হুগলি জেলা পরিষদের (Zilla Parishad) সভাধিপতি মেহেবুব রহমান। গোঘাটের মান্দারণ পঞ্চায়েতের তারাহাট এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী বিক্ষুব্ধ এক মহিলার পায়ে ধরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন জেলা পরিষদের (Zilla Parishad)  সভাধিপতি। যা দেখে গ্রামবাসীরা হতবাক হয়ে যান। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাটের মান্দারণে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যোগ দেন জেলা পরিষদের (Zilla Parishad)  সভাধিপতি মেহেবুব রহমান। দলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তারাহাট গ্রামে যেতেই ক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা।

    তৃণমূল নেতাদের দেখে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান কেন? Zilla Parishad

    দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গ্রামে জেলা পরিষদের (Zilla Parishad) সভাধিপতি আসছেন তা এলাকাবাসী আগে থেকেই জানতেন। ফলে, এলাকার মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামে আসতেই বেশ কয়েকজন মহিলা তাঁর সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মূলত তাঁদের অভিযোগ, ভোট এলেই গ্রামে নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা খোঁজ নিতে আসে। কিন্তু, ভোট মিটে গেলে আর নেতাদের দেখা যায় না। এমনকী এলাকার উন্নয়ন করার বিষয়ে কারও কোনও হেলদোল থাকে না।  নেতাদের দেখা করতে গেলে সাধারণ মানুষকে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়। আর এলাকায় আবাসের বাড়ি বিলি করা হয়েছে। প্রকৃত প্রাপকরা বাড়ি পাননি বলেও নেতার সামনে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা। বেগতিক দেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে এক বিক্ষুব্ধ মহিলার পায়েও ধরতে যান সভাধিপতি। অভিযোগ শুনে তা দ্রুত সমাধান করার আশ্বাসও দেন সভাধিপতি।

     হুগলি জেলা পরিষদের (Zilla Parishad)  সভাধিপতি মেহেবুব রহমান মহিলার পায়ে ধরার প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, কিছু ক্ষোভ থাকতে পারে, তবে এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প, কন্যাশ্রী সহ একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা আমরা এলাকাবাসীকে জানিয়েছি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, একসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের আগে পা নিয়ে অনেক নাটক করেছিলেন, এবার হুগলি জেলা পরিষদের (Zilla Parishad)  সভাধিপতি সেই পথে হাঁটছেন। আসলে সামনে ভোট। তারজন্য মানুষের পায়ে ধরে নাটক করছেন। একসময় এরা মানুষের বুকে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এখন মানুষ সেটা বুঝতে পেরেছে, সে কারণেই ওরা মানুষের পায়ে ধরছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rampurhat: বগটুইয়ে শহিদ পরিবারের বাড়িতে ঢুকতে বাধা তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে! কেন?

    Rampurhat: বগটুইয়ে শহিদ পরিবারের বাড়িতে ঢুকতে বাধা তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বীরভূমের রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রামে শহিদদের প্রথম বর্ষপূর্তি। এদিন শহিদদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বগটুইয়ে শহিদ পরিবারের বাড়ির সামনে শহিদ বেদি বানিয়েছে বিজেপি। পালটা শহিদ বেদি বানিয়েছে তৃণমূলও। এদিন বেলা ১টা নাগাদ বগটুইয়ে মিহিলাল শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। দলে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, আশিসবাবুকে দেখেই দরজা বন্ধ করে দেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, আশিস ব্যানার্জিকে ভিতরে ঢুকতে দেব না। অনেক চেষ্টাতেও তাদের রাজি করাতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে, আশিসবাবুকে ছাড়াই বাড়িতে ঢোকেন তৃণমূল নেতারা।

    কী বললেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা? Rampurhat

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ বীরভূম জেলার রামপুরহাটের (Rampurhat)  বগটুই গ্রামে ঘটানো হয়েছিল নৃশংস গণহত্যা। শহিদ পরিবারের অভিযোগ, আশিসবাবু বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারগুলির কোনও খোঁজ রাখেননি। ঘটনার পর তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে এলে তাঁর পিছন পিছন এসে মুখ দেখিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের দাবি, বগটুইকাণ্ডে নিহত ১০ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জনের ডেথ সার্টিফিকেট জারি করেছে প্রশাসন। বাকি ৭ জনের ডেথ সার্টিফিকেট এখনও হাতে পাননি পরিবারের সদস্যরা। যার ফলে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে। এখন ঘটা করে লোক দেখানো শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। কিন্তু, আক্রান্তদের পরিবার ও তাঁদের স্বজনরা যে সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ড এখনও ভুলতে পারেননি, ক্ষোভে ফুঁসছেন, সেই আভাস পাওয়া গিয়েছে বগটুই কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী মিহিলাল শেখের পরিবারের কথাতেই। ওই পরিবারের বক্তব্য, “আজ গ্রামে শহিদ দিবস পালন করা হচ্ছে। কিন্তু, এই শহিদ দিবসে যেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে না দেখা যায়, উনি যেন না আসেন। তিনি এলে গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ করবে। তাঁকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না।”

    বগটুইয়ে শহিদ পরিবারে বাধা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? Rampurhat

    শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “একথা আপনারা শুনেছেন। আমি তো শুনিনি। বাধা দেওয়ার কথা কে বলেছে, তাঁকে আমার সামনে নিয়ে আসুন। আর কিছু জানতে চাইলে হত্যাকাণ্ডের আরেক আক্রান্ত ফটিক শেখের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তার পরিবার আমাকে নিয়ে কি কথা বলছে সেটাও শুনে নিন। তাঁদের বাড়িতে জল নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল একবার। তাঁরা আমার কাছে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আমি নিজ উদ্যোগে সেই সমস্যার সমাধান করেছি।” কিন্তু, বেশ কয়েক মাস ধরে কেন আশিসবাবুকে বগটুইয়ের আশেপাশে দেখা যায়নি, এই প্রশ্ন করা হলে এর দায় তিনি মিডিয়া ও বিরোধীদের ওপরে চাপান। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চলছে। তাই, আমি এলাকায় আসিনি। কারণ,  মিডিয়া ও বিরোধী দলগুলি আমার নামে কুৎসা করার সুযোগ পেত, আর বলত যে আমি উপস্থিত থেকে সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছি।”

    বেদী তৈরি ও তাতে শ্রদ্ধা জানানোকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বগটুইয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়ছিল চড়চড় করে। এদিন শহিদ পরিবারের তৃণমূল বিধায়ককে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share