Tag: Madhyom

Madhyom

  • Gautam Adani: ইসরোর সঙ্গে কাজ করবে আদানির সংস্থা! টক্কর দেবে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সকে?

    Gautam Adani: ইসরোর সঙ্গে কাজ করবে আদানির সংস্থা! টক্কর দেবে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এখন অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স বা জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের মতো সংস্থা। এবার ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল বা এসএসএলভি (SSLV) তৈরিতে দুটি সরকারি সংস্থার পাশাপাশি ইসরোকে সাহায্য করবে আদানি গ্রুপের একটি সংস্থাও। এর মধ্য দিয়েই গৌতম আদানি গ্লোবাল স্পেস ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করবেন। এর ফলে আদানি (Gautam Adani) গ্রুপ স্যাটেলাইট লঞ্চ মার্কেটে ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের মতো শীর্ষস্থানীয় সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবে।

    স্পেস সেক্টরে ভারতীয় বাজার তৈরির চেষ্টা

    ২০২৩ সালে স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের সফল উৎক্ষেপণের পর কেন্দ্রীয় সরকার এই রকেট উৎপাদনের জন্য কোনও বেসরকারি সংস্থাকে এই প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে চেয়েছিল। আর এর পিছনে সরকারের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য ছিল ভারতের স্পেস সেক্টরের বাণিজ্যিকরণ করা। মনে করা হচ্ছে, সরকারের এটা ছিল বেসরকারিকরণের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ। সরকার আশা করেছিল স্পেস সেক্টরের কিছুটা বেসরকারিকরণ হলে ভারতীয় সংস্থাগুলো এই সেক্টরে গোটা বিশ্বের বাজার আরও দ্রুত ধরতে পারবে। আর তাতে আখেরে লাভ হবে আমাদের দেশের অর্থনীতিরই। এই এসএসএলভির উৎপাদনের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য প্রায় ২০টি বেসরকারি সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত এই দায়িত্ব পেয়েছে ৩টি সংস্থার মধ্যে একটি। যার মধ্যে রয়েছে ভারত ডায়নামিক্স ও হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। এছাড়া তৃতীয় সংস্থা হিসাবে এই রকেট উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস। আর এই সংস্থাতেই অংশীদারিত্ব রয়েছে আদানি গ্রুপের অধীনস্ত সংস্থা আদানি ডিফেন্স সিস্টেমের।

    আদানির কৌশলগত পদক্ষেপ

    আদানি গ্রুপ (Gautam Adani) ভারতীয় স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (SSLV) তৈরির জন্য তিন ফাইনালিস্টের মধ্যে একটি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। অন্য দুটি প্রতিযোগী হল রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ভারত ডাইনামিক্স লিমিটেড (BDL) এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)। যদি আদানি ডিফেন্স সিস্টেমসকে চুক্তি প্রদান করা হয়, তবে তাদের সহযোগী আলফা ডিজাইন টেকনোলজিস এর সাথে মিলে তারা এই পরবর্তী প্রজন্মের লঞ্চ ভেহিকেলগুলি দেশে তৈরি করার দায়িত্ব নেবে। চুক্তি অনুযায়ী নির্বাচিত কোম্পানিকে ইসরোকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে, যার মধ্যে দুটি এসএসএলভি লঞ্চ সফলভাবে সম্পাদনের জন্য ২৪ মাসের চুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যদি এই প্রকল্পে আদানি গ্রুপ সফল হয়, তবে এটি তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈচিত্র্য আনবে। আদানি ডিফেন্স সিস্টেমসের প্রতিরক্ষা উৎপাদনে বিশেষ জ্ঞান রয়েছে। এবার এক্ষেত্রে কাজ করলে আদানি গ্রুপ স্যাটেলাইট লঞ্চ মার্কেটে প্রবেশের সুযোগ পাবে। এর ফলে ভারতের গ্লোবাল স্পেস প্লেয়ার হিসেবে অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।

    এসএসএলভি কি?

    স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (SSLV) হলো একটি খরচ সাশ্রয়ী রকেট যা ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) দ্বারা তৈরি হয়েছে। এটি ছোট স্যাটেলাইট লঞ্চের জন্য বিশ্বের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তৈরি। এই এসএসএলভি ৫০০ কেজি বা ১ হাজার ১০০ পাউন্ড পর্যন্ত ভরের স্যাটেলাইটকে লোয়ার আর্থ অর্বিট বা এলইও-তে প্রতিস্থাপন করতে পারে। যোগাযোগ, আবহাওয়া পূর্বাভাস, পৃথিবী পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি নানা কাজে স্মল স্যাটেলাইটগুলি সাহায্য করে।

    ইলন মাস্ককে চ্যালেঞ্জ

    মহাকাশের দৌড়ে অনেক ক্ষেত্রেই ভারতীয় সংস্থা ইসরো পিছনে ফেলে দিয়েছে আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে। কম খরচে মহাকাশে নিখুঁতভাবে স্যাটেলাইট পাঠানো সংস্থাগুলোর তালিকায় ক্রমাগত উপরের দিকে উঠে এসেছে ইসরো। আর এবার তারা এসএসএলভি (SSLV) বা স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল উৎপাদনের জন্য গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে এখন অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স বা জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের মতো সংস্থা। কিন্তু সেদিক থেকে দেখতে গেলে, ভারতের মহাকাশ গবেষণায় এখনও তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য  বেসরকারি সংস্থার নাম উঠে আসেনি। তবে এবার গৌতম আদানির সংস্থা এসএসএলভি তৈরিতে সাহায্য করলে ভারতেও মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারি ছায়া পড়বে। একই সঙ্গে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ককে চ্যালেঞ্জ জানানোর পথে ধীরে ধীরে পা ফেলতে পারবেন গৌতম আদানি।

  • Sikh Riot: ‘মোদির কারণেই মিলেছে বিচার’, সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবনে মত শিখ হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের

    Sikh Riot: ‘মোদির কারণেই মিলেছে বিচার’, সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবনে মত শিখ হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৮৪ সালে দিল্লির শিখ বিরোধী হিংসায় (Sikh Riot) কংগ্রেস নেতা সঞ্জন কুমারের যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত। মঙ্গলবারই এই সাজা ঘোষণা হয়েছে। জোড়া খুনের মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী সজ্জনের (Sajjan Kumar) মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেছিল। কিন্তু বিচারক তা খারিজ করেছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের খবর সামনে আসতেই শিখ হিংসায় (Sikh Riot) ভুক্তভোগী পরিবারগুলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কারণেই তাঁরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এর পাশাপাশি দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতিও তাঁরা আস্থা দেখিয়েছেন।

    মোদির কারণেই মিলেছে বিচার

    শিখ বিরোধী হিংসায় (Sikh Riot) ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য কুলদীপ কৌর বলেন, ‘‘এই রায় আমাদের পক্ষে নয়। আমরা সজ্জন কুমারের ফাঁসি চেয়েছিলাম। কংগ্রেসের অধীনে তাঁকে (সজ্জন কুমার) সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে তিনি শাস্তি নিশ্চিত করেছেন। মোদি সরকারের কারণেই এই ন্যায়বিচার পাওয়া গিয়েছে। তবে আমরা আরও কঠোর শাস্তির জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। সজ্জন কুমারের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আদালতে লড়াই চলবে।’’ আরেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য লক্ষ্মী কৌর বলেন, ‘‘আমার পরিবারের দুই সদস্যকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেস সরকারের নৃশংসতা আমরা কখনও ভুলতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে আমরা ন্যায়বিচার পাব ভেবেছিলাম। কংগ্রেসের ওপর এই কালো দাগ কখনও মুছে যাবে না।’’

    কী বলছেন আতর কৌর?

    সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিখ দাঙ্গায় (Sikh Riot) ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য আতর কৌর বলেন, ‘‘কংগ্রেস দল অন্যায় করেছে। আমাদের বাড়ির পুত্রবধূ এবং মেয়েদের ওপর বীভৎস নির্যাতন চালানো হয়। আমার আত্মীয় গুরদীপ কৌরকে চোখের সামনেই হত্যা করা হয়েছিল। শিখদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে এই হত্যালীলা চালানো হয়।’’ রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে আতরের আরও দাবি, ‘‘তিনি (রাহুল গান্ধী) তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার কথা বলেন, কিন্তু আমাদের যন্ত্রণা বুঝতে পারেন না? দাঙ্গার স্মৃতি এখনও আমাদের তাড়া করে বেড়ায়। সজ্জন কুমারকে ফাঁসি দেওয়া উচিত ছিল।’’

  • Godhra Massacre: গোধরা-কাণ্ডের ২৩ বছর পূর্ণ, ফিরে দেখা স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মর্মান্তিক গণহত্যা

    Godhra Massacre: গোধরা-কাণ্ডের ২৩ বছর পূর্ণ, ফিরে দেখা স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মর্মান্তিক গণহত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ অভিশপ্ত ২৭ ফেব্রুয়ারি। আজ থেকে ঠিক ২৩ বছর আগে, ২০০২ সালের এই দিনে, গুজরাটের গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসের (Godhra Massacre) চারটি কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অগ্নিকান্ডের ফলে ওই ট্রেনের ঝলসে যাওয়া এস৬ কামরায় থাকা ৫৯ হিন্দু যাত্রীর মৃত্যু হয়। এরপর গুজরাট সরকার নিযুক্ত নানাবতী কমিশন ঘটনার তদন্ত করে জানায়, ট্রেনের কামরায় আগুন লেগে যায়নি, লাগানো হয়েছে। সংঘ পরিবার দাবি করে, ট্রেনে অগ্নিদগ্ধদের অধিকাংশই অযোধ্যা থেকে ফিরতি করসেবক। এই ঘটনার পরই গুজরাটের একটা বড় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সাম্প্রদায়িক হিংসা।

    গোধরা গণহত্যাকে স্মরণ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    ২৩ বছর আগে এই দিনে, গুজরাটের গোধরায় (Godhra Massacre) স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এবং মর্মান্তিক গণহত্যার ঘটনাটি ঘটে। অযোধ্যা থেকে ফিরে আসা হিন্দু করসেবকদের (ভগবান রামের ভক্তদের) নিয়ে গুজরাটে ফেরা সবরমতী এক্সপ্রেসে একদল মুসলিম জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়। পুরুষ, মহিলা এবং শিশু-সহ ৫৯ জন নিরীহ করসেবক এই আগুনে পুড়ে মারা যান। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) করসেবকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, তাদের ত্যাগকে অভিবাদন জানায় এবং ভারতকে নাড়িয়ে দেওয়া ‘ভয়াবহ ঘটনা’ স্মরণ করে। ভিএইচপি এই ঘটনাকে স্মরণ করে সোশ্যাল সাইটে বার্তা দেয়। তাঁদের কথায়, ‘‘২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০২, এই দিনে, অযোধ্যা থেকে গুজরাটে যাওয়া ৫৯ জন রামভক্তকে ইসলামিক সন্ত্রাসীরা জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলে। শহীদ শ্রী রামভক্ত করসেবকদের প্রতি লক্ষ লক্ষ প্রণাম!’’

    কী ঘটেছিল গোধরায়

    ২০০২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, শ্রী রাম জন্মভূমিতে পূর্ণাহুতি মহাযজ্ঞে অংশগ্রহণের পর শত শত তীর্থযাত্রী অযোধ্যা থেকে গুজরাটের উদ্দেশে রওনা হয় সবরমতী এক্সপ্রেসে (Godhra Massacre)। দুই দিন পর, ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে, ট্রেনটি গোধরা স্টেশনে সকাল ৭:৪৩ মিনিটে পৌঁছায়। ট্রেনটি যখন যাত্রা শুরু করে, তখন কেউ একজন জরুরি চেন টেনে দেয়, যার ফলে ট্রেনটি সিগন্যাল ফালিয়ার কাছে থামে। সিগন্যাল ফালিয়া একটি মুসলিম-অধ্যুষিত বস্তি এলাকা যা উগ্রপন্থীদের জন্য কুখ্যাত। সাম্প্রদায়িক হিংসা এখানে প্রতিদিনের ঘটনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই, প্রায় ২০০০ লোকের একটি সুসংগঠিত জনতা, পাথর, পেট্রল এবং অগ্নিসংযোগকারী পদার্থে সজ্জিত হয়ে ট্রেনটিতে ভয়াবহ আক্রমণ চালায়। যাত্রীদের পালাতে বাধা দেওয়ার জন্য পাথর নিক্ষেপ করা হয়, অন্যদিকে পেট্রলে ভেজা কাপড় ব্যবহার করে ট্রেনের এস-৬ কোচে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনের শিখা দ্রুত কোচটিকে গ্রাস করে। এই কোচে আটকে পড়েন ৫৯ জন হিন্দু তীর্থযাত্রী। যারা ট্রেনের কামরাতেই জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ হয়ে যায়। যার মধ্যে ২৭ জন মহিলা এবং ১০ জন শিশু ছিল।

    গণহত্যাকে চাপা দেয় তৎকালীন মিডিয়া

    গুজরাট পুলিশের সহকারী মহাপরিচালক জে মহাপাত্রের মতে, আক্রমণকারীরা অনেক আগেই পেট্রোল বোমা প্রস্তুত করে রেখেছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে এটি একটি আকস্মিক সংঘর্ষ নয় বরং একটি পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। কোচের ভেতরে মৃত অবস্থায় পাওয়া একজন মুসলিম ব্যক্তিকে অগ্নিসংযোগকারী বলে সন্দেহ করা হয়। যিনি আক্রমণ চালানোর সময় আগুনে আটকা পড়েছিলেন। আক্রমণের ভয়াবহ প্রকৃতি সত্ত্বেও, মূলধারার মিডিয়াগুলি দ্রুত ঘটনা থেকে ফোকাস সরিয়ে নেয়। হিন্দুদের আক্রমণকারী এবং মুসলিমদের শিকার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অপরাধীদের প্রকাশ করার পরিবর্তে, গোধরা ট্রেন পোড়ানোর ঘটনাকে ছোট করে দেখানো হয়। বিশ্বব্যাপী মিডিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে গণহত্যাকে উপেক্ষা করে গুজরাটে পরবর্তী দাঙ্গাকে “মুসলিম গণহত্যা” হিসেবে চিত্রিত করে। এর ফলে জীবন্ত পুড়ে যাওয়া ৫৯ জন হিন্দুর স্মৃতি মুছে ফেলতে সক্রিয় হয়ে যায় সেই সময়ের মূলধারার মিডিয়াগুলি।

    আইনি তদন্তে সত্য উদঘাটন

    বামপন্থী বুদ্ধিজীবী, কমিউনিস্ট ইতিহাসবিদ এবং তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনগুলি গোধরা হামলার ঘটনাকে গুজরাটের (Godhra Massacre) তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগের আড়ালে ঢেকে দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল। মিডিয়ার চিত্রায়নের বিপরীতে, আইনি তদন্তের মাধ্যমে সত্য বেরিয়ে আসে। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষ তদন্ত দল (SIT) নিশ্চিত করেছে যে গোধরা ট্রেনে আগুন লাগানো ছিল উগ্র ইসলামী উপাদানগুলির দ্বারা পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতার কাজ। ট্রেনে আগুন ধরানোর এই ঘটনায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর মধ্যে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল নিম্ন আদালত। তাদের মধ্যে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, আর বাকি ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। এরপর ২০১৭ সালে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখলেও, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১১ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল।

  • Purvodaya Lit Fest: শুরু সাহিত্য উৎসব ‘পুর্বোদয় লিট ফেস্ট’, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির রাজ্যপাল

    Purvodaya Lit Fest: শুরু সাহিত্য উৎসব ‘পুর্বোদয় লিট ফেস্ট’, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির রাজ্যপাল

    পঙ্কজ বিশ্বাস: নানা ভাষা ও সংস্কৃতির দেশ হল ভারত। বিবিধের মাঝে মিলন মহান-এটাই ভারতের পরিচয়। এই বৈশিষ্ট্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই দু-দিন ব্যাপী সাহিত্য উৎসব শুরু হল কলকাতার আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহে। সাহিত্য উৎসবের নাম দেওয়া হয় পুর্বোদয় লিট ফেস্ট-২০২৫ (Purvodaya Lit Fest)। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী এই সাহিত্য উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, লেখক রাম সুধার সিং, গুঞ্জন শ্রী, বরিদ বরণ ঘোষ, অঞ্জন সাহা সহ বহু বিশিষ্ট সাহিত্যিক। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Bose) তাঁর ছাত্র জীবন এবং জেলাশাসক থাকাকালীন বেশ কিছু মজার অভিজ্ঞতার কথা স্মৃতিচারণ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাংলা বইয়ের প্রতি তাঁর অনুরাগের কথাও তুলে ধরেন।

    স্বাধীনতা আন্দোলনে সংবাদপত্র ও সাহিত্যের ভূমিকা

    এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেশের স্বাধীনতায় সাহিত্যের অবদান (Purvodaya Lit Fest) নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনাচক্রে ভারতের বিভিন্ন ভাষায় সাহিত্যিকদের অবদান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সেই সময় লেখকরা কীভাবে বই এবং পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে ভারতীয়দের স্বাধীনতার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতেন সেই সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। বিশেষ করে সংবাদপত্রের ভূমিকাও আলোচিত হয় এই আলোচনা চক্রে। ইংরেজ আমলে বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী সংবাদপত্রে তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে দেশমাতৃকার প্রতি অবদান রেখেছিলেন। আজকের যুগে সাহিত্য সেনার চেয়ে শক্তিশালী বলে মনে করেন অনেকেই। সেটা আজ যেমন বুঝতে পেরেছেন দেশের নেতৃত্ব, একথা বুঝেছিলেন স্বাধীনতার সময়কালীন লেখকরাও। এমনই বক্তব্য উঠে আসে বিভিন্ন বক্তার বক্তব্যে।

    বই বছরের পর বছর থেকে যায়, কিন্তু বৈদ্যুতিন মাধ্যম ক্ষণস্থায়ী

    ‘‘বর্তমান সময়ে সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে সাহিত্যের অবদান অনস্বীকার্য। ডিজিটাল প্রগতিকে অস্বীকার করার উপায় নেই। বই বছরের পর বছর থেকে যায়, কিন্তু বৈদ্যুতিন মাধ্যম ক্ষণস্থায়ী’’ সেকথাও মনে করিয়ে দেন উপস্থিত সাহিত্যিকরা (Purvodaya Lit Fest)। দুদিনের অনুষ্ঠানে হিন্দি, বাংলা, ওড়িয়া, ভোজপুরি এবং মৈথিলি সাহিত্যের স্বাধীনতার সময় অবদান নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি, ওড়িয়া সাহিত্যে বর্তমানে কী ট্রেন্ড চলছে, এই প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়। আলোচনা চক্রে উপস্থিত ছিলেন ডক্টর সুব্রত কুমার প্রুস্তি, শ্রীমতি নম্রতা চাড্ডা প্রমুখ। প্রথম দিনের দ্বিতীয় ভাগে সাহিত্যের মাধ্যমে পূর্ব ভারতের প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ, এর চ্যালেঞ্জ এবং পূর্বানুমান নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও এই সাহিত্য উৎসবে বেশ কিছু পুস্তক উন্মোচন হয়।

  • NASM-SR Missile: ডিআরডিও-র মুকুটে নয়া পালক, প্রথম নেভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের পরীক্ষা সফল

    NASM-SR Missile: ডিআরডিও-র মুকুটে নয়া পালক, প্রথম নেভাল অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের পরীক্ষা সফল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা DRDO) দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি স্বল্পপাল্লার জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের (NASM-SR Missile) সফল পরীক্ষা করল। বুধবার ভারতীয় নৌসেনার হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া এনএএসএম-এসআর নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যভেদে সফল হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। ওড়িশার উপকূলে ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ (ITR) চাঁদিপুর থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই সফল পরীক্ষার জন্য ডিআরডিও, নৌসেনা এবং শিল্প জগতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    এই প্রকল্পেরশুরু

    বছর দেড়েক আগে নৌসেনার ‘সি কিং ৪২বি’ হেলিকপ্টার থেকে প্রথম এনএএসএম-এসআর (NASM-SR Missile) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল। এবার নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত নিশ্চিত করতে ‘টার্মিনাল গাইডেন্স’-এর জন্য একটি দেশীয় ইমেজিং ইনফ্রা-রেড (আইআইআর) চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এনএএসএম-এসআর ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে বিদেশি নির্ভরতা কমাতে নরেন্দ্র মোদি সরকার যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি নিয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র সেই ‘লক্ষ্য’ অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

    ক্ষেপণাস্ত্রটির বিশেষত্ব কী?

    এনএএসএম-এসআর ক্ষেপণাস্ত্রটিতে (NASM-SR Missile) রয়েছে ম্যান-ইন-লুপ বৈশিষ্ট্য। এর ফলে, নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে একেবারে শেষ মুহূর্তে দিশা পরিবর্তন করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। যার জেরে এটি আরও মারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। ডিআরডিও (DRDO) সূত্রে জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় ক্ষেপণাস্ত্রটি বিয়ারিং-অনলি লক-অন আফটার লঞ্চ মোডে উৎক্ষেপণ করা হয়। যে কোনও একটি লক্ষ্যকে বেছে নেওয়ার জন্য কাছাকাছি বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তু ছিল। পরীক্ষার সময়ে প্রথমে নির্দিষ্ট অনুসন্ধান পরে একটি বড় লক্ষ্যবস্তুকে নিশ্চিত করা হয়। পরে টার্মিনাল পর্যায়ে, পাইলট একটি ছোট লুকনো লক্ষ্যবস্তুকে ফাইনাল লক্ষ্য হিসাবে বেছে নেয়। মিসাইল তবু নির্ভুলভাবে সেই ছোট লক্ষ্যে আঘাত হেনে ধ্বংস করে দেয়।

    এই ক্ষেপণাস্ত্রে কী কী সিস্টেম রয়েছে?

    মিড-কোর্স গাইডেন্সের জন্য দেশীয় ফাইবার অপটিক জাইরোস্কোপ ভিত্তিক ইনর্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম (INS) এবং রেডিও অল্টিমিটার ব্যবহার করা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্র (NASM-SR Missile) তৈরিতে। এছাড়াও, এটি সমন্বিত অ্যাভিওনিক্স মডিউল, ইলেক্ট্রো-মেকানিক্যাল অ্যাকুয়েটর এবং অ্যারোডাইনামিক এবং জেট ভ্যান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এতে থার্মাল ব্যাটারি, পিসিবি ওয়ারহেড এবং সলিড প্রপালশন সিস্টেম রয়েছে, যার মধ্যে ইন-লাইন ইজেক্টেবল বুস্টার এবং লং-বার্ন সাসটেইনার রয়েছে। এই মিসাইলটি ডিআরডিও (DRDO), রিসার্চ সেন্টার ইমারত (Research Centre Imarat, RCI), ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরি (DRDL), হাই এনার্জি মেটেরিয়ালস রিসার্চ ল্যাবরেটরি (HEMRL) এবং টার্মিনাল ব্যালিস্টিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি (TBRL) দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে।

  • Chandra Shekhar Azad: আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের আত্মবলিদান দিবস, চেনেন এই দেশপ্রেমিককে?

    Chandra Shekhar Azad: আজ স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের আত্মবলিদান দিবস, চেনেন এই দেশপ্রেমিককে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন চন্দ্রশেখর আজাদ (Chandra Shekhar Azad)। তিনি হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রতিষ্ঠাতা রাম প্রসাদ বিসমিলের ফাঁসির সঙ্গে সঙ্গে ফাঁসি হয় রোশন সিং, রাজেন্দ্র নাথ লাহিড়ী এবং আশফাকুল্লা খানের। এরপর আজাদ হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশনকে বদলে করেন হিন্দুস্তান সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন (HSRA)। তাঁর নির্ভীক নেতৃত্ব (Death Anniversary) এবং স্বাধীনতার লক্ষ্যে অবিচল প্রতিশ্রুতি তাঁকে ভারতের ইতিহাসের অন্যতম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে।

    বিশ্বাসঘাতকতার শিকার (Death Anniversary)

    ১৯৩১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এলাহাবাদের আলফ্রেড পার্কে (বর্তমানে আজাদ পার্ক) এক স্বাধীনতা সংগ্রামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলেন ঠিক করেছিলেন তিনি। যদিও বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হন আজাদ। পার্কে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ পুলিশ ঘিরে ফেলে তাঁকে। তীব্র গুলির লড়াই হয়। দুজন ব্রিটিশ অফিসার জখম হন। গুলিবিদ্ধ হন আজাদও। সঙ্গে সঙ্গেই শহিদ হন তিনি। আজাদ অঙ্গীকার করেছিলেন, কখনওই ব্রিটিশদের হাতে জীবিত অবস্থায় ধরা দেবেন না। সেই ইচ্ছে পূরণ হয় তাঁর। এভাবে শহিদ হয়ে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অমর হয়ে রয়ে গেলেন আজাদ।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

    চন্দ্রশেখর আজাদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘মাতৃভূমির অপরাজেয় সন্তান চন্দ্রশেখর আজাদ তাঁর জীবনের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে মাতৃভূমির প্রতি দায়িত্বের কোনও সীমা নেই।’’ তিনি লেখেন, “আজাদজির আত্মত্যাগ, যিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে তরুণদের সক্রিয়ভাবে যুক্ত করে ব্রিটিশ সরকারের নিদ্রা ভঙ্গ করেছিলেন, স্বাধীনতার স্ফুলিঙ্গকে এক মহান শিখায় পরিণত করেছিলেন (Chandra Shekhar Azad)। অমর শহিদ ও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদকে তাঁর শহিদ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।”

    আজাদকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি শ্রদ্ধা জানান আজাদকে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে আজাদের অবদানের কথাও তুলে ধরেন তিনি। লেখেন, “ভারত মায়ের অমর সন্তান, মহান বিপ্লবী এবং সাহসী শহিদ চন্দ্রশেখর আজাদের ত্যাগ স্বাধীনতা আন্দোলনকে নতুন শক্তি দিয়েছিল। তাঁর সাহসিকতার কাহিনি ভারতীয় স্বাধীনতার ইতিহাসে এক স্বর্ণালী অধ্যায়, যা প্রতিটি ভারতীয়র মধ্যে দেশপ্রেমের আগুন জাগিয়ে রাখবে। আজ তাঁর শহিদ দিবসে তাঁকে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি!”

    বিজেপি জাতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডা বলেন, “অমর শহিদ চন্দ্রশেখর আজাদের শহিদ দিবসে, যিনি মাতৃভূমির জন্য নিজের সব কিছু উৎসর্গ (Death Anniversary) করেছিলেন, সেই অতুলনীয় সাহস ও ত্যাগের নায়কের প্রতি আমি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই (Chandra Shekhar Azad)।”

  • PM Modi: ‘‘ঐক্যের মহাকুম্ভে শোনা গেল যুগ পরিবর্তনের ধ্বনি’’, নিজের ব্লগে লিখলেন মোদি

    PM Modi: ‘‘ঐক্যের মহাকুম্ভে শোনা গেল যুগ পরিবর্তনের ধ্বনি’’, নিজের ব্লগে লিখলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, সম্পন্ন হয়েছে মহাকুম্ভ। শিবরাত্রির অমৃত স্নানের মাধ্যমে সমাপন হয় দেড় মাস ধরে চলা মহাকুম্ভের। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) মহাকুম্ভকে নিয়ে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করলেন। নিজের ব্লগ পোস্টে প্রধানমন্ত্রী এই বিশ্বের বৃহত্তম ইভেন্টকে ঐক্যের মহাকুম্ভ ও যুগ পরিবর্তনের ধ্বনি বলে অভিহিত করেন। তিনি (PM Modi) লেখেন, ‘‘ঐক্যের মহাকুম্ভে শোনা গেল যুগ পরিবর্তনের ধ্বনি!’’

    একভারত-শ্রেষ্ঠ ভারতের প্রতিবিম্ব গড়ে উঠেছে মহাকুম্ভে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) মহাকুম্ভ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়াতে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, ‘‘এই মহাকুম্ভে দিব্যতা ও ভব্যতার মেলবন্ধন যেমন দেখা গিয়েছে, তেমনি একভারত-শ্রেষ্ঠ ভারতের প্রতিবিম্বও গড়ে উঠেছে।’’ প্রধানমন্ত্রী মোদি লেখেন, ‘‘আমি সেই মুখগুলো কখনও ভুলব না, যেগুলো পূর্ণ সন্তুষ্টি এবং আনন্দে পরিপূর্ণ ছিল। নারী, বৃদ্ধ বা শারীরিকভাবে অক্ষম সবাই তাঁদের সাধ্য অনুযায়ী সঙ্গমে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।’’

    তরুণ প্রজন্ম বড় সংখ্যায় প্রয়াগরাজে উপস্থিত হয়েছেন

    প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) কেন্দ্র করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিপুল উৎসাহ দেখা গিয়েছে। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) লেখেন, ‘‘আজকের তরুণ প্রজন্ম বড় সংখ্যায় প্রয়াগরাজে উপস্থিত হয়েছেন। এটা খুবই আনন্দজনক। এটি একটি বড় বার্তা দেয় যে, ভারতীয় যুব সমাজ আমাদের মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির উত্তরাধিকার বহন করে, তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব উপলব্ধি করে। তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’’ উত্তরপ্রদেশ সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সেরেছেন ৬৬ কোটি ভক্ত। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘আমেরিকার জনসংখ্যার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি লোক পবিত্র স্নান করতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রয়াগরাজের সঙ্গমে। যা এক নয়া অধ্যায় রচনা করতে পেরেছে। এখানেই লেখা থাকবে, ভারতীয়রা তাঁদের শিকড়কে আজও ধরে রয়েছেন।’’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতে, মহাকুম্ভের (Mahakumbh) ব্যবস্থাপনা, রাজনৈতিক এবং আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে থাকা মানুষদের কাছে গবেষণার বিষয় হয়ে উঠতে পারে। ৪৫ দিন ধরে ‘একতার মহাযজ্ঞ’ পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে।

  • PM Modi: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে অনুমোদন মোদি মন্ত্রিসভার, সংসদে পেশ কবে?

    PM Modi: ওয়াকফ সংশোধনী বিলে অনুমোদন মোদি মন্ত্রিসভার, সংসদে পেশ কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪’-এ অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (PM Modi)। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে সিলমোহর দেওয়া হল সংশোধিত ওয়াকফ বিলে (Waqf Amendment Bill)। যৌথ সংসদীয় কমিটির প্রস্তাবিত একাধিক সংশোধনের পর বিলটি আসে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য। সেই বিলই অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে পাসের জন্য সংসদে সংশোধিত বিলটি পেশ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ শুরু হবে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব।

    যৌথ সংসদীয় কমিটির সুপারিশ (PM Modi)

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিজেপি নেতা জগদম্বিকা পালের নেতৃত্বাধীন যৌথ সংসদীয় কমিটির (JPC) সুপারিশ করা বেশিরভাগ পরিবর্তনই অন্তর্ভুক্ত করেছে সংশোধনী বিলে। গত সপ্তাহে ভারতীয় বন্দর বিলের সঙ্গে এই বিলটিও অনুমোদিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাজেট অধিবেশনের বাকি অংশে সরকারের আইনপ্রণয়ন সংক্রান্ত কার্যসূচির অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে এই বিলটিকে। ইসলামিক রীতি অনুযায়ী, ওয়াকফ হল মুসলমানদের উন্নয়নের স্বার্থে তৈরি সম্পত্তি। এই সম্পত্তি বিক্রি বা অন্য কোনও উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার নিয়ম নেই। ওয়াকফ সম্পত্তির সিংহভাগই মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও অনাথ আশ্রম তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।

    প্যানেল অনুমোদন

    জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি প্যানেল অনুমোদন করে এই বিলটি (PM Modi)। বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের সদস্যদের প্রস্তাবিত ১৪টি পরিবর্তন গ্রহণ করে। যৌথ সংসদীয় কমিটির ৬৫৫ পাতার রিপোর্টটি সংসদের উভয় কক্ষে জমা দেওয়া হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি। প্যানেলের বিরোধী দলের সাংসদদের অভিযোগ, তাদের ভিন্নমত নোটের কিছু অংশ জমা দেওয়া নথি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। বিরোধীদের এমনতর অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সনের অধিকার ছিল কমিটির ওপর অপবাদ দেওয়ার অংশগুলি সরিয়ে ফেলার। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যে নোটগুলি নিয়ে মতদ্বৈততা রয়েছে, সেগুলি তাদের আসল রূপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সব মিলিয়ে মোট ৬৬টি সংশোধনীর প্রস্তাব জমা পড়েছিল।

    এনডিএর সাংসদরা

    এর মধ্যে শাসক জোট এনডিএর সাংসদরা দিয়েছিলেন ২৩টি। আর বিরোধী দলের সাংসদরা দিয়েছিলেন ৪৪টি। কমিটির চেয়ারপার্সন বলেন, “৪৪টি সংশোধনী নিয়ে আলোচনা করা হয়। ছ’মাস ব্যাপী বিশদ আলোচনার সময় আমরা সব সদস্যের (Waqf Amendment Bill) কাছ থেকে সংশোধনী চেয়েছিলাম। এটি ছিল আমাদের চূড়ান্ত বৈঠক। ১৪টি সংশোধনী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে গ্রহণ করেছে কমিটি (PM Modi)।” বিলটি ওয়াকফ আইনগুলিতে ৪৪টি পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলি দেশে মুসলিম ধর্মীয় দাতব্য সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার নিয়ম নির্ধারণ করে। জানা গিয়েছে, বিরোধী দলের সংশোধনীগুলি প্রত্যাখ্যান করা হয়। এর কারণ হল কমিটির সদস্যরা দলীয় লাইনে ভোট দিয়েছেন। এই কমিটিতে বিজেপি ও তাদের সহযোগী দলের মোট ১৬ জন সাংসদ রয়েছেন। আর বিরোধী দলের সাংসদ রয়েছেন মাত্র ১০ জন।

    ওয়াকফ সংশোধনী বিল

    গত বছরের অগাস্ট মাসে কেন্দ্রীয় সরকার ওয়াকফ সংশোধনী বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পর্যালোচনার জন্য পাঠায়। কারণ এই বিলের বিরুদ্ধে বিরোধী পক্ষ আপত্তি তোলে। এই বিলটি কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল এবং রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির একটি প্রস্তাব তৈরি করে। ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪ ওয়াকফ আইনের বেশ কয়েকটি ধারা বাতিল করার প্রস্তাব দেয়। এগুলি ওয়াকফ বোর্ডগুলির কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে। এটি বর্তমান আইনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনকে সমর্থন করে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য ওয়াকফ সংস্থাগুলিতে মুসলিম নারীদের এবং অ-মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার বিষয়টিও (PM Modi)।

    জেলার কালেক্টরের ক্ষমতা

    সংশোধিত বিলটি জেলার কালেক্টরকে এই ক্ষমতা দেয় যে কোনও সম্পত্তি ওয়াকফ নাকি সরকারি, সে বিষয়ে কোথাও কোনও বিরোধ দেখা দিলে, তা নিষ্পত্তি করবেন। বিলটি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ আইনে সংশোধন আনার প্রস্তাব দেয়। এবং অ-মুসলিম প্রধান এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তাকে নিয়োগের অনুমতি দেয়। বিরোধীদের মতে, এই সংশোধনীগুলি ওয়াকফ বোর্ডগুলির ইচ্ছে মতো কর্তৃত্ব হ্রাস করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। বর্তমানে যে ওয়াকফ আইন চালু রয়েছে, সেই আইন বোর্ডগুলিকে বাধ্যতামূলক যাচাই ছাড়াই যে কোনও সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসেবে দাবি করার সুযোগ দেয়।

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী বিল ২০২৪-কে ইউনিফায়েড ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট, এমপাওয়ারমেন্ট, এফিসিয়েন্সি, ডেভেলপমেন্ট তথা উমিদ বিলে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। সংশোধনী প্রস্তাবে যৌথ সংসদীয় কমিটি জানায়, ওয়াকফ সংশোধনী বিলের (Waqf Amendment Bill) উদ্দেশ্য ওয়াকফ বোর্ডের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি ও সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ (PM Modi)।

  • PM Modi: ইজরায়েলের মুখে মোদি-প্রশস্তি, কী বললেন তেল আভিভের রাষ্ট্রদূত?

    PM Modi: ইজরায়েলের মুখে মোদি-প্রশস্তি, কী বললেন তেল আভিভের রাষ্ট্রদূত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েলের মুখে মোদি-প্রশস্তি। ভারতে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত (Israel Ambassador) রেউভেন আজার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “গত বছরের ৭ অক্টোবর জঙ্গি সংগঠন হামাসের দ্বারা ইজরায়েলে জঙ্গি হামলার পরে তিনিই প্রথম ফোন করেছিলেন।” আইএএনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আজার বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি গত দেড় বছর ধরে ইজরায়েলের পাশে ছিলেন। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মোদির বন্ধুত্বকে অত্যন্ত মূল্য দেন। ভবিষ্যতে ভারত ও ইজরায়েল অনেক বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করবে।”

    মোদির বন্ধুত্ব আমাদের কাছে মূল্যবান (PM Modi)

    তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের সাফল্যের প্রতি ইজরায়েল গভীর প্রশংসার দৃষ্টিতে তাকায়। তাঁর বন্ধুত্ব আমাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। আমরা দেখেছি, ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর তিনিই প্রথম আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আমরা দেখেছি, কীভাবে তিনি গত দেড় বছর ধরে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা জানি যে, অনেক বিষয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা একরকম। আমরা একইভাবে বিভিন্ন বিষয়কে দেখি। আমাদের চ্যালেঞ্জও অনেকটা একরকম। তাই আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আসন্ন বছরগুলিতে আমরা একসঙ্গে আরও অনেক কিছু করতে সক্ষম হব।” তিনি ভারত ও ভারতের বাইরের নেতাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “তাঁরা যেন ইজরায়েলকে সাহায্য করেন। একটি শান্তিপূর্ণ ও হিংসামুক্ত বিশ্ব গঠনের প্রচেষ্টায় এই সাহায্যের প্রয়োজন।” তিনি বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা (Israel Ambassador) যে, যে কোনও শান্তিপ্রিয় নেতা বা দল, তারা যেখানেই থাকুন না কেন — ভারতে হোক বা ভারতের বাইরে — তাঁরা আমাদের সঙ্গে এই হিংসামুক্ত, উন্নত বিশ্ব গড়ার এই প্রচেষ্টায় যোগ দেবেন।”

    ট্রাম্প ও বাইডেনের তুলনা

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নবগঠিত ট্রাম্প সরকারের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “ইজরায়েলের পূর্ববর্তী ট্রাম্প শাসনের সঙ্গে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এ কথা বলা যায় ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যে আব্রাহাম চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল (PM Modi) আমেরিকা।” ট্রাম্প ও বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য করতে গিয়ে আজার বলেন, “ইজরায়েলের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের কিছু মতবিরোধ ছিল। কারণ তারা রাফাহ অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু অস্ত্র ইজরায়েলকে দিতে অস্বীকার করেছিল।” তিনি বলেন, “আমাদের সব সময়ই যে কোনও আমেরিকান প্রশাসনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গেও ছিল। তবে হামাসের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার সংগ্রামের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কিছু মতবিরোধ ছিল। বাইডেন প্রশাসন আমাদের রাফাহ অভিযান থেকে বিরত থাকতে বলেছিল এবং যুদ্ধের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় কিছু অস্ত্রও আটকে রেখেছিল (PM Modi)।”

    ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর আস্থা

    বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে আজার বলেন, “ইজরায়েল এই প্রশাসনের অধীনে কোনও সীমাবদ্ধতার মুখে পড়বে না। কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইজরায়েলকে (Israel Ambassador) আত্মরক্ষার প্রচেষ্টায় প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি ভারতের জন্য এফ-৩৫ ফাইটার জেট সরবরাহে ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রশংসাও করেন। বলেন, “উন্নত সামরিক প্রযুক্তি প্রতিপক্ষের ওপর কৌশলগত সুবিধা সৃষ্টি করতে গুরুত্বপূর্ণ।”

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামাসের বৈঠকে উদ্বেগ

    কিছুদিন আগে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বৈঠকে বসেছিলেন প্যালেস্তাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের শীর্ষ নেতারা। সেখানে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কয়েকজনও হাজির ছিল বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত আজার। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত জঙ্গি সংগঠনগুলো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে এবং অনেক সময় তারা একে অপরকে সমর্থন করার উপায় খুঁজে পায়। এটি শুধু আমাদের অঞ্চল নয়, অনেক দেশের জন্যই ক্ষতিকারক।” এর পরেই তিনি বলেন, “উদাহরণস্বরূপ, মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরের এলাকায় হামাস নেতাদের একটি বৈঠক হয়েছিল। এটি দেখায়, এই জঙ্গি সংগঠনগুলো কীভাবে একে অপরকে অনুপ্রাণিত করছে এবং তারা স্পষ্টতই তাদের সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সহযোগিতা করছে, যা আমাদের এবং আপনাদের আতঙ্কিত করে।”

    ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত আল জাজিরা এবং বিবিসির মতো গণমাধ্যমকে চরমপন্থী ইসলামিদের হয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের গণমাধ্যম অমুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ন্যায়সঙ্গত করার মূল্যবোধ প্রচার করে সভ্য বিশ্বের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।”

    প্রসঙ্গত, ইজরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ চলেছে প্রায় ১৫ মাস। মুসলিম জঙ্গি সংগঠন হামাস প্রথমে হামলা চালায় ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলে। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে তেল আভিভ(ইজরায়েলের রাজধানী)। সম্প্রতি স্বাক্ষরিত হয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি (Israel Ambassador)। এমন আবহে ইজরায়েলি রাষ্ট্রদূতের এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বই কি (PM Modi)!

  • Suvendu Adhikari: ‘‘পাকিস্তানে সবে বরাতে ১ দিন ছুটি, আপনি কেন ২ দিন দেন?’’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘পাকিস্তানে সবে বরাতে ১ দিন ছুটি, আপনি কেন ২ দিন দেন?’’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা পুরসভার হিন্দি মাধ্যম স্কুলে বিশ্বকর্মা পুজোর (Biswakarma Puja) ছুটি বাতিল করে ইদের ছুটি বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল বুধবারই। এনিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার প্রবল ঝড় ওঠে। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতি করার অভিযোগ করে বিজেপি। অন্যদিকে এই নির্দেশিকা সামনে আসতেই তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামিক দেশ পাকিস্তানে সবে বরাতে ১ দিন ছুটি দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে ২ দিন ছুটি দেন কেন?’’

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘আমি বলেছিলাম এই সরকারটা ‘মুসলিম লিগ টু’ এর সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন। কলকাতা পুরসভার নোটিশ সেটা প্রমাণ করল। ইদে ২ দিন কেন, ৪ দিন ছুটি দিন না। বিশ্বকর্মার ছুটিটাকে বন্ধ করে কেন? হিন্দুদের ওপর আঘাত করে কেন? এতে কী মজা পান আপনারা? ইসলামিক দেশ পাকিস্তান সবে বরাতে ১ দিন ছুটি দেয়। আপনি ২ দিন ছুটি দেন। কেন করেন এগুলো? আপনি হিন্দুদের আক্রমণ করছেন কেন?’’

    আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও

    এ প্রসঙ্গে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় নিজের এক্স মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিন্দু বিরোধী মানসিকতাকে প্রকাশ করে এহেন নোটিশ।’’ মুসলিম তোষণের এমন রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক কাঠামোকে ধ্বংস করছে বলেও অভিযোগ লকেটের। এমন চললে মানুষ রামকৃষ্ণ, চৈতন্যদেবকে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভুলে যাবে বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেত্রী।

    প্রবল চাপে নোটিশ প্রত্যাহার করে পুরসভা

    যদিও প্রবল চাপে গতকাল বুধবার এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পুরসভার তরফে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে চারিদিকে বিক্ষোভের মুখে ক্ষমাও চেয়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। এই বিষয়ে পুরসভা অবশ্য সাফাই দিয়ে বলছে, উচ্চ আধিকারিকদের অনুমোদন ছাড়াই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। আধিকারিকদের অনুমতি ছাড়া এত বড় নির্দেশিকা জারি হল কীভাবে।

LinkedIn
Share