Tag: Madhyom

Madhyom

  • Police Officer: সরিয়ে দেওয়া হল ইসলামপুরের পুলিশ সুপারকে! হাওড়ার দুটি থানার আইসি-কে বদল, কেন?

    Police Officer: সরিয়ে দেওয়া হল ইসলামপুরের পুলিশ সুপারকে! হাওড়ার দুটি থানার আইসি-কে বদল, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর মহকুমা। আইন শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের কালঘাম ছুটছে। তারই জেরে কি ইসলামপুর জেলার পুলিশ সুপার (Police Officer) বিশপ সরকারকে বদল করে বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার যশপ্রীত সিং- কে আনা হয়েছে, নাকি এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কোনও কারণ? তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। পাশাপাশি রামনবমীর মিছিল এবং হামলার ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজ্য–রাজনীতি। আর তা নিয়ে হাওড়ার একাধিক এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছিল। তার পরই এবার হাওড়া ও শিবপুর থানার আইসি-কে সরিয়ে দেওয়া হল। সোমবার রাতে হাওড়ার এই দুই থানা এলাকাতেই পুলিশে রদবদল করল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, হাওড়া থানার আইসি (Police Officer) দীপঙ্কর দাসকে পাঠানো হয়েছে ঝাড়গ্রামের কোর্ট ইনসপেক্টর করে। আর চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আইবি থেকে সন্দীপ পাখিরাকে এনে হাওড়া থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রাম থেকে শিবপুর থানার দায়িত্বে আনা হয়েছে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। শিবপুরের দায়িত্বে ছিলেন অনুপ কুমার রায়। তাঁকে রাজ্য পুলিশের আইবিতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

    আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্যই কী ইসলামপুরের এসপি (Police Officer) বদল?

    সোমবার বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে জখম হন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুর থানার আগডিমটি খুন্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের বানিয়াভিটা গ্রামে। ঘটনাস্থল থেকে ১২ টি তাজা বোমা ও বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ। গত ৩০শে মার্চ দলের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুইজনের। ঘটনাটি ঘটে চোপড়া থানার চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের দীঘাবানা এলাকায়। ১০ ই মার্চ চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হন চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের যুগ্ম অঞ্চল সভাপতি। ৮ই মার্চ বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ইসলামপুরের দক্ষিন মাটিকুন্ডা গ্রামে। মৃতের নাম সাকিব আখতার। অভিযোগ ওঠে ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনায় প্রধান সহ ১২ জন গ্রেফতার হয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী প্রকাশ্যে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এমনকী তাঁর দল বদল নিয়ে জেলা জুড়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে কথাও বলেছিলেন। আর তারপরই পুলিশ সুপার (Police Officer) বদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    হাওড়া–শিবপুরে আইসি (Police Officer) বদলের কারণ কী?‌

    এই দুই জায়গায় রামনবমীর মিছিলে যে অশান্তি হয়েছিল তার জন্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘‌যখন প্রচুর লোক ঢুকে গিয়েছে, তখন পুলিশ গুলি চালালে যে কারও মাথায় লাগতে পারত। ফলে কিল খেয়ে কিল হজম করতে হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমরা আটকাতে পেরেছি। এখানে হল না। এই জায়গায় অবশ্যই পুলিশের ব্যর্থতা আছে, স্বীকার করছি। যা পদক্ষেপ করার করব।’‌ এবার পদক্ষেপ করা হল হাওড়া–শিবপুরের ক্ষেত্রে। তবে রিষড়ার ক্ষেত্রে পৃথক সার্কেল তৈরি করা হয়েছে। রিষড়া থানাকে কেন্দ্র করে ওই সার্কেলের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রবীর দত্তকে। আগে তিনি রিষড়া থানার ওসি ছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal Movement: দণ্ডি-কাটা ইস্যুতে আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিক্ষোভ-মিছিল

    Tribal Movement: দণ্ডি-কাটা ইস্যুতে আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিক্ষোভ-মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কেটে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় মঙ্গলবার আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ-মিছিল (Tribal Movement) করা হল। আদিবাসী যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে এদিন বিকেলে বালুরঘাট হাইস্কুল ময়দান থেকে ওই মিছিল বের করা হয়। এই মিছিল পরিক্রমা করে সারা শহর। পরে জেলাশাসকের দফতরের সামনে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। 

    ন্যক্কারজনক ঘটনা আদিবাসী সমাজ মেনে নেবে না, ঘোষণা সংগঠনের

    সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা আদিবাসী সমাজ মেনে নেবে না। তারই প্রতিবাদে এদিন জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ (Tribal Movement) দেখানো হচ্ছে। তাদের দাবি, পুলিশের খাতায় যেভাবে অজ্ঞাত দুষ্কৃতী লেখা হয়েছে, তা অন্যায়। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে প্রধান সংবাদমাধ্যম, সব জায়গাতেই এটা পরিষ্কার দেখানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কে। এমনকী তৃণমূল দল মেনে নিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে প্রদীপ্তা চক্রবর্তী যুক্ত আছেন এবং সেই কারণেই তাকে দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও পুলিশ কেন বিষয়টি বুঝতে পারছে না, তা অজানা।

    বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    আগামী দিনে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের (Tribal Movement) হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বলে জানান জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীরা বালুরঘাট থানার সামনে এসে প্রায় এক ঘন্টা পথ অবরোধ করেন। এরপর আদিবাসী যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এদিন পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাতশংকর এলাকার পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, দণ্ডি কাটিয়ে সংগঠনে যোগদানের ঘটনাকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল সমর্থন করেনি। এমনকী সংগঠনের সমস্ত পদ থেকে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরানো হয়েছে। রাজ্য পার্টির নির্দেশে জেলা মহিলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি হিসাবে একজন আদিবাসী মহিলাকে তুলে এনেছে দল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার আদিবাসী সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাতে না যায়, সেজন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    Kolkata Police: লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বারের জাল লাইসেন্স দিয়েছিলেন ধৃত কলকাতা পুলিশের এসিপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার হওয়ায় ধৃত সোমনাথ ভট্টাচার্যের কথা অনেকেই বিশ্বাস করতেন। নিজের পদকে ব্যবহার করেই বারের লাইসেন্স বা চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। জানা গিয়েছে, সঞ্জয় বসু নামে উত্তরপাড়ার বাসিন্দা বারের লাইসেন্সের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। অন্য একজনের কাছে ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। সঞ্জয়বাবুকে বারের লাইসেন্সও পাইয়ে দিয়েছিলেন সোমনাথবাবু। আবগারি দফতরের স্ট্যাম্পসহ সব কিছুই ওই লাইসেন্সে ছিল। সঞ্জয়বাবু দোকান খোলার জন্য উদ্যোগও নিয়েছিলেন। পরে, আবগারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেই জানতে পারে, সমস্ত কাগজপত্র জাল। এরপরই তিনি বরাহনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অন্য একজনও প্রতারিত হয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু লোকজনের কাছে তিনি চার-পাঁচ লক্ষ টাকা করে তুলেছেন। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি তুলেছিলেন বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে, জাল নথি তিনি কী করে তৈরি করলেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে।

    পুলিশ অফিসারের (kolkata Policeলক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়ারও নিয়ম ছিল, কী সেটা জানেন?

    পুলিশের চোখে ধূলো দিতেই কারও কাছ থেকে চেক বা অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা নিতেন না। সমস্ত টাকা নগদে নিতেন কলকাতার (Kolkata Police) এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্য। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা এই তথ্য জানতে পেরেছেন। মূলত বরাহনগরে বনহুগলির বাড়িতে বসেই সে এই কারবার চালাত। অফিসে কারও সামনে এসব বিষয়ে কথা পর্যন্ত বলত না। বাড়িতে বসেই এই সব বিষয়ে কথাবার্তা এবং লেনদেনও হত সেখানে। ইতিমধ্যেই তার বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু কাগজপত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে, বাকি টাকার খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। আর ওই পুলিশ অফিসারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একসঙ্গে নগদ এত টাকা নিয়ে তিনি কোথায় রাখতেন তা পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : এবার চাকরি দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল তৃণমূলের তারকা বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে বাঁকা পথে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে। অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি বিক্রির নামে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর পরিবারকে। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতে। যদিও সমস্ত অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী অস্বীকার করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০১৪-১৫ সালে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের জন্য বারাসত পুরসভায় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। নিয়ম মেনে তাতে আবেদন করেছিলেন বারাসতের উত্তর কাজিপাড়ার বাসিন্দা কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। পুরসভা সূত্রে খবর, এই চাকরির জন্য সাতশো-র বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার দিনক্ষণও ধার্য করা হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষার পর ইন্টারভিউও হয়। ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। তাঁর দাবি, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ওই প্রার্থীর কপালে জোটেনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী পদের চাকরি। অভিযোগ, তাঁর পরিবর্তে চাকরি পেয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর নিরপত্তারক্ষীর মেয়ে পায়েল ইন্দু (মণ্ডল)। আর এই নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে বলে বঞ্চিত প্রার্থীর দাবি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কীভাবে একজন যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে সেই চাকরি পাইয়ে দেওয়া হল তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে! তাহলে কি কোথাও বিধায়কের প্রভাব কাজ করেছে এক্ষেত্রে? যোগ‍্যতার মাপকাঠি বিচার না করেই পুরসভার চেয়ারম্যান ঘুরপথে চাকরি দিয়েছেন।

    কী বললেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী?

    বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী কাজী আজিজ হোসেন হায়দার বলেন, “ওই নিয়োগ পরীক্ষায় মেরিট লিস্টে আমার নাম ছিল তিন নম্বরে। এরপর ইন্টারভিউয়ে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই উত্তর দিয়েছিলাম। কিন্তু, পরে শুনলাম সেই চাকরি পেয়েছেন বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়ে। আমার বিষয়টি দেখার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে বার বার অনুরোধ করেছিলাম। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি ।”

    কী বললেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কাউন্সিলর?

    বিতর্কিত এই নিয়োগের সময় বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সুনীল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়। সমস্ত নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছিল। আসলে যে অভিযোগ করছে তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, আমি কোনও দুর্নীতি (Scam) করিনি। আর কারও জন্য সুপারিশ করেছি বলে মনে নেই। আর এই ধরনের অভিযোগ করা হলে প্রমাণ দিতে হবে। আমার বিরুদ্ধে আঙুল তুললে হবে না। কারণ, আমি জানি এই ধরনের কোনও কাজ আমি করিনি। এই বিষয়ে আমি স্বচ্ছ রয়েছি।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান?

    পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, আমার কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ হয়নি। এটুকু বলতে পারি, আগে বোর্ডে যা নিয়োগ হয়েছে কোথাও কোনও দুর্নীতি (Scam) হয়নি। স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। আর নিয়োগ নিয়ে কোনও দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ আসলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva-Bharati: দুর্গাপুজো নিয়ে ‘বিরূপ’ মন্তব্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের জবাবদিহি চাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    Visva-Bharati: দুর্গাপুজো নিয়ে ‘বিরূপ’ মন্তব্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের জবাবদিহি চাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্যের ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছিলেন, “দুর্গাপুজো ইংরেজদের পদলেহন করার জন্য শুরু হয়েছিল।” এমনকী, তিনি আরও বলেছিলেন, “দুর্গামঞ্চে অনেক ধরনের পানীয় পান করার সুযোগ ছিল।” নিরাকার ব্রহ্ম মন্দিরে বসে উপাচার্যের এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।

    মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ। যদিও, উপাসনা গৃহের সম্পূর্ণ নির্মাণ তিনি দেখে যেতে পারেননি। নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা ও সর্বধর্মকে সম্মান, আলোচনার জন্য দ্বার খোলা ছিল৷ এই উপাসনা গৃহ মহর্ষির তৈরি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অন্তর্গত। প্রতি বুধবার সকালে এখানে উপাসনার রেওয়াজ রয়েছে৷ এছাড়া, বিশেষ উপাসনাও হয়।

    কী বলেছিলেন উপাচার্য?

    গত ২২ ফেব্রুয়ারি এই উপাসনা মন্দিরে বসে কেন বিশ্বভারতী (Visva-Bharati) কর্তৃপক্ষ বসন্তোৎসব বন্ধ করেছে, তার ব্যাখ্যা দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন আজ দুর্গাপুজো বিশ্বের একটা অন্যতম পুজো হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। কিন্তু, দুর্গাপুজোর ইতিহাস যদি দেখেন, এই দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল বৃটিশদের পদলেহন করার জন্য। তৎকালীন রাজাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হত, কে ইংরেজ সাহেবদের দুর্গাপুজোর মঞ্চে নিয়ে আসবেন। সেই দুর্গামঞ্চে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান হত ও অনেক ধরনের পানীয় পান করারও সুযোগ থাকত। পরবর্তীতে দুর্গাপুজো একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু, শুরু হয়েছিল ইংরেজদের পদলেহন করার জন্য।”

    কী অভিযোগ জানাল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট?

    দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে নিরাকার ব্রহ্মমন্দির তথা সর্বধর্ম সম্মানের পীঠস্থান ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্যের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। ১০ মার্চ ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন ও প্রতিকার চান৷ পাশাপাশি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উপাসনা মন্দিরে বসে বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আশ্রমিক, পড়ুয়া, প্রাক্তনীদের বারংবার অপমান করছেন৷ উপাসনা গৃহের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যক্তি আক্রমণ ও দুর্গাপুজো ঐতিহ্য নিয়ে মন্তব্য ঠিক নয়। সংবেদনশীল।

    মন্তব্য করতে চায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

    মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতর কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। অর্থাৎ, উপাচার্যের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাবদিহি চাইলেন আচার্য প্রধানমন্ত্রী। যদিও, এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Attack: শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে আক্রান্ত, উত্তেজনা কাঁথিতে, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    TMC Attack: শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে আক্রান্ত, উত্তেজনা কাঁথিতে, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলির রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলে হামলা চালানোর ঘটনা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। রামনবমীর শোভাযাত্রায় গিয়ে বহু ভক্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে আক্রান্ত (TMC Attack) হলেন বেশ কয়েকজন। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রে। ঘটনাস্থল কাঁথি-১ নম্বর ব্লকের দুলালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হামির মহল গ্রাম। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই নির্মম অত্যাচারের ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এলেও ভবিষ্যতে যে ফের হামলা হবে না, এমন আশ্বস্ত হতে পারছেন না অনেকেই।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    সোমবার রাতে এই গ্রামের শিবভক্তরা চন্দনেশ্বর থেকে জল নিয়ে যখন পাকা রাস্তা ছেড়ে গ্রামে প্রবেশ করেন, তখন বাবার মাথায় ঢালতে গেলেই শুরু হয় গণ্ডগোল। সেই সময় ভক্তদের উপর চড়াও হয় (TMC Attack) তৃণমূলের বেশ কিছু দুষ্কৃতী, অভিযোগ এমনটাই। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশি তৎপরতায় রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপর ভক্তরা শিবের মাথায় জল ঢালেন। আহতরা বেশিরভাগ মাজনা ও কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, রাজনৈতিক হানাহানি তো আছেই। কিন্তু এর মধ্যে ধর্মাচরণে এভাবে কেন আঘাত হানা হচ্ছে, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি তাঁরা জানিয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে।

    পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার আবেদন বিজেপির

    শিবভক্তদের এভাবে আক্রান্ত (TMC Attack) হওয়ার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অসীম মিশ্র পুলিশকে দ্রুত সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

    প্রতিক্রিয়া দিলেন না তৃণমূল নেতা

    একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এ বিষয়ে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। বললেন কাঁথি এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা প্রদীপ গায়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Corruption: মমতার ‘উন্নয়নের পথ’ থমকে গেছে গোঘাটে, দুর্নীতির অভিযোগে কাজ বন্ধ

    Panchayat Corruption: মমতার ‘উন্নয়নের পথ’ থমকে গেছে গোঘাটে, দুর্নীতির অভিযোগে কাজ বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তা সত্ত্বেও হুঁশ নেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের! ঢালাই রাস্তা তৈরি নিয়ে দুর্নীতির (Panchayet Corruption) অভিযোগ তুলে এমনই দাবি গ্রামবাসীদের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাট এক নম্বর ব্লকের বালি গ্রাম পঞ্চায়েতের জগৎপুরে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের মূল রাস্তায় ঢালাইয়ের কাজে খুবই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হচ্ছিল। পাশাপাশি এস্টিমেট অনুযায়ী রাস্তা তৈরি হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন ওই গ্রামের মানুষ। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তা তৈরি শুরু হতেই গ্রামের মানুষ একজোট হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। বেশ কয়েক ঘন্টা কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে। এলাকায় উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। জানা গিয়েছে, পথশ্রী প্রকল্পের শিলান্যাস হতেই এই কাজ শুরু হয়েছে। তাও আবার কোনও নিয়ম না মেনেই। তাতেই ক্ষোভ বাসিন্দাদের।
    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বালির জগৎপুর গ্রামের দ্বারকেশ্বর নদীবাঁধ থেকে মূল ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হয়। এর জন্য প্রায় ৪৫ লাখ টাকার বরাত পান ঠিকাদার। কিন্তু অভিযোগ, ৬ ইঞ্চি উচ্চতার জায়গায় রাস্তা আড়াই ইঞ্চি উঁচু করা হচ্ছে। অভিযোগ, নিয়ম না মেনেই এই কাজ হচ্ছে। মাঝখানে বালি দিয়ে ভরাট করে দু সাইডে মেজারমেন্ট ঠিক রেখে অনিয়ম করা হচ্ছে। সিমেন্ট ও স্টোনচিপস কম দিয়ে কোনও রকমে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    কী বলছেন গ্রামের মানুষজন?

    এই নিয়ে স্থানীয় যুবক সৌমেন সামন্ত বলেন, “রাস্তার কাজ গত রবিবার থেকে শুরু হয়। কিন্তু পরেরদিন থেকেই রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা যাচ্ছে। সিমেন্টের ভাগ খুব কম। এতটাই নিম্নমানের মশলা দিয়ে কাজ হচ্ছে, যা সহজেই খুলে যাচ্ছে। ৬ ইঞ্চি ঢালাইয়ের জায়গায় ৩ ইঞ্চি ঢালাই দিচ্ছে। তাই গ্রামের সব মানুষ এই দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। এইভাবে রাস্তা করলে হবে না। আজ এই জায়গায় হচ্ছে, পরে অন্য জায়গাতেও তো হবে। তাই এই প্রতিবাদ”। অপরদিকে দিলীপ সামন্ত নামে আরও একজন ব্যক্তি বলেন, “রাস্তা তৈরি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি (Panchayet Corruption) হচ্ছে। বালির ভাগ বেশি দিয়ে কেবল ভরাট করে চলে যাচ্ছে। দুদিনে যদি ফাটল হয়, তাহলে আগামিদিনে তো রাস্তা ধসে যাবে। রাস্তা যদি ভাল না হয়, তাহলে কাজ বন্ধ থাকবে”।

    কী বলছেন ঠিকাদার এবং পঞ্চায়েত প্রধান?

    অন্যদিকে ঠিকাদার সুজিৎ মণ্ডল জানান, “এস্টিমেট অনুযায়ীই কাজ হচ্ছে। গ্রামের মানুষের জন্য বাঁধের রাস্তাটা করে দিয়েছি। সামান্য ফাটল দেখা দিয়েছে। ওটা সিমেন্ট দিয়ে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে”। তবে এই বিষয়ে বালি অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধান মৃত্যুঞ্জয় পালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “রাস্তা তৈরির কাজ (Panchayet Corruption) বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।
    ঠিকঠাক কাজ যাতে হয় তার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে”। সব মিলিয়ে মানুষের প্রাথমিক দাবি, মজবুত ঢালাই রাস্তার। কিন্তু তা না হওয়ায় বালির জগৎপুর গ্রামের মানুষ ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Complain: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ! প্রতারিত চাকরি প্রার্থীর পাশে বিজেপি

    Complain: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ! প্রতারিত চাকরি প্রার্থীর পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের বিরুদ্ধে এবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ (Complain) দায়ের করলেন প্রতারিত এক চাকরি প্রার্থী। তাঁর নাম চয়নিকা আঢ্য। বাড়ি চুঁচুড়ার ষন্ডেশ্বর তলায়। দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-র (ED) হাতে অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর চয়নিকা তাঁর প্রতারণার কথা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছিলেন। যোগ্যতা থাকার পরও টাকা না দেওয়ায় অয়ন চাকরি দেয়নি বলে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে, পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই প্রথম অয়নের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ (Complain) দায়ের করেন। পাশাপাশি টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (Complain) দায়ের করা হয়েছে।

    অয়ন শীলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ (Complain)?

    চয়নিকা আঢ্য নামে ওই চাকরি প্রার্থী ২০১৯ সালে টিটাগড় পুরসভার গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই চাকরিতে যোগ দিতে গেলে অয়ন শীল ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিতে পারায় নিজের যোগ্যতায় পাওয়া চাকরি করতে পারেননি চয়নিকা। টিটাগড় পুরসভায় প্রায় এক সপ্তাহ তিনি কাজও করেছিলেন। জিরো ব্যালেন্সে ব্যাংকের স্যালারি অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। এটিএম কার্ডও দেওয়া হয়। তারপরও চাকরি হয়নি তাঁর। পুরসভায় জানতে গেলে টাকা না দিলে চাকরি হবে না বলে জানানো হয়।

    এতদিন পর অয়নের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ (Complain) নিয়ে কী বললেন চয়নিকা?

    ১ লা এপ্রিল বিজেপি আইনজীবী সেলের এক প্রতিনিধি দল চয়নিকার বাড়িতে গিয়ে আইনি সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপরই সোমবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ (Complain) দায়ের করেন চয়নিকা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি আইনজীবী সেলের সদস্যরা। অয়ন শীল ছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Complain) করা হয়। জানা গিয়েছে, যে পুলিশ কর্মী অয়ন শীলের বার্তা নিয়ে চয়নিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন সেই মানস সেন, টিটাগড় পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং টিটাগড় পুরসভার বড়বাবু শঙ্কর কুমার সিং-এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ (Complain) করা হয়েছে। চয়নিকা বলেন, পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলাম। অয়ন শীলের এই চক্রের জন্য সেই চাকরি করতে পারিনি। আমার হকের চাকরি ফেরত চাই। অভিযুক্তের শাস্তি চাই। আর অয়ন শীলের লোকজন হুমকি দিত বলে এতদিন থানায় অভিযোগ (Complain) করতে পারিনি। এখন পাশে অনেকে রয়েছে, তাই সাহস করে থানায় অভিযোগ (Complain) জানালাম।

    কী বললেন বিজেপি-র আইনজীবী সেলের সদস্য?

    চয়নিকার আইনজীবী তথা বিজেপি-র আইনজীবী সেলের সদস্য শিবাজি দাস বলেন, চয়নিকার কাছে যে তথ্য প্রমাণ রয়েছে, তার ভিত্তিতে চাকরি ফিরে পেতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা না। তাই, এদিন এফ আই আর করা হয়েছে। পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয় তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Taekwondo Championship: তাইকোন্ডো ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জয় আসানসোলের তিন যমজ বোনের

    Taekwondo Championship: তাইকোন্ডো ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জয় আসানসোলের তিন যমজ বোনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইকোন্ডো ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে (Taekwondo Championship) ব্রোঞ্জ ছিনিয়ে আনল একসঙ্গে তিন যমজ বোন। সুচেতা চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিতা চট্টোপাধ্যায় ও সুপ্রীতা চট্টোপাধ্যায়। এরা ট্রিপলেট বা তিন যমজ বোন। আসানসোল ডিসেরগড় এসডি হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে তারা এই পুরস্কার ছিনিয়ে এনেছে রাজস্থানের কোটা থেকে। কুলটির ডিসেরগরের বাসিন্দা পেশায় গৃহশিক্ষক বামাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী সুনেত্রা চট্টোপাধ্যায় উদ্যোগ নিয়ে এই তিনজনকে আড়াই বছর আগে তাইকোন্ডো প্রশিক্ষণে দেন। প্রশিক্ষক শুভ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় এই তিন বোন স্বর্ণপদক জয়লাভ করেছিল হাওড়াতে। তারপরে তাদের ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে পাঠানো হয়। গত ২৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজস্থানের কোটাতে ছিল ৩৬ তম ন্যাশনাল সাব জুনিয়ার ইউরোজি এবং ১০ তম ন্যাশনাল সাব জুনিয়ার পুমাসে তাইকোন্ডো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২-২৩। প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল রাজস্থান তাইকোন্ডো অ্যাসোসিয়েশন ও তাইকোন্ডো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া।

    পুরস্কার জেতার পর লক্ষ্য কী ?

    তিন বোনেরই একজন সুচেতা বলল, পুরস্কার জেতার আশা তো ছিলই। কিন্তু সঙ্গে দোলাচলও ছিল যে, পারবো কি পারবো না। যদিও লড়াইয়ে (Taekwondo Championship) নামার আগে তার ছিল ফুল কনফিডেন্স। তখন না ছিল মনে ভয়, না ছিল কোনও টেনশন। এখন রোজ সকালে দু’ঘণ্টা, বিকালে দু’ঘণ্টা প্র্যাকটিস চলছে। পুরস্কার জেতার পর বেজায় খুশি তারা। তবে এখানেই তারা থেমে থাকতে চায় না। তাদের পরবর্তী লক্ষ্য হল ইন্টারন্যাশনাল অর্থাৎ বিদেশে যাওয়া, বিশেষত অলিম্পিকে যোগ দিয়ে পুরস্কার ছিনিয়ে আনা। এই কাজে বাবা-মা যে তাদের মারাত্মকভাবে সাহায্য করছে, সে কথা তারা অকপটে স্বীকার করেছে।  

    কী বলছেন গর্বিত বাবা-মা ? 

    তিন যমজ মেয়ে একসঙ্গে পুরস্কার ছিনিয়ে আনায় স্বাভাবিকভাবেই খুশিতে ডগমগ বাবা-মা দুজনেই। বামাপ্রসাদবাবু বললেন, এদের বাবা হিসেবে আমি তো গর্বিত বটেই। ওরা আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। বিশ্বাস, ভবিষ্যতে এরা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করবেই। কারণ এখন যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়, তাতে মেয়েরা আমাদের কথা মনপ্রাণ দিয়ে শুনে চলে। আমি নিজে যতটা পারি ওদের সাহায্য করি। চেষ্টা করি। তবে ওদের মায়ের সাপোর্ট ছাড়া এটা (Taekwondo Championship) সম্ভব হত না। 

    মা মনে করেন, আত্মরক্ষার্থে এটা আজকালকার দিনে খুবই জরুরি। তিনি নিজেও চেয়েছিলেন এটি শিখতে। যে কোনও কারণেই হোক তা হয়ে ওঠেনি। তাই মেয়েদেরকে প্রথম থেকেই এটি শেখাচ্ছেন। মেয়েরা আরও ভালো ফল করবে, এটা তাঁর আশা ছিল। তবে আপাতত তিনি খুশি। ভবিষ্যতে ওরা আরও বড় হোক, নিজেদের পায়ে দাঁড়াক, এটাই তাঁর একমাত্র কামনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hanuman Death: ‘রামভক্ত’ হনুমানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দুটি গ্রাম, তিনদিন ধরে চলল অশৌচ পালন

    Hanuman Death: ‘রামভক্ত’ হনুমানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দুটি গ্রাম, তিনদিন ধরে চলল অশৌচ পালন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমানের মৃত্যুতে (Hanuman Death) তিনদিন অশৌচ পালন করল দুটি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার। রীতিমতো হিন্দু শাস্ত্রমতে ক্রিয়াকর্ম সেরে, পিন্ডদান করে সন্ধ্যায় ভোজনেরও ব্যবস্থা করেন গ্রামবাসীরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল ? 

    ৬ এপ্রিল ছিল হনুমান জয়ন্তী। ওইদিন সকালে বীরভূম মুরারই ২ নম্বর ব্লকের লতাগ্রাম-পালিতপুর গ্রামে একটি হনুমানকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের যুবক শেষেন মাল তড়িঘড়ি হনুমানটিকে কোলে তুলে স্থানীয় পাইকরের পশু চিকিৎসালয়ে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক না থাকায় তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নগেন মালের সহযোগিতায় হনুমানটিকে গাড়িতে চাপিয়ে নলহাটি নিয়ে যান। নলহাটি পশু হাসপাতালে ততক্ষণে দুই চিকিৎসককে নিয়ে হাজির ছিলেন বিধায়ক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিং। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হনুমানটির মৃত্যু হয় (Hanuman Death)। এরপর বিধায়কের সহযোগিতায় পঞ্চায়েত সদস্য নগেন মাল ও গ্রামবাসী নকল মোল্লার প্রচেষ্টায় হনুমানটির মৃতদেহ পুনরায় গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রামবাসীরা আলোচনা করে হনুমানের মৃতদেহ মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। 

    শোকাচ্ছন্ন গ্রামের বাসিন্দারা

    হনুমান জয়ন্তীর দিন রামভক্তের মৃত্যুতে (Hanuman Death) শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে দুটি গ্রাম। নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনদিন ঘরে ঘরে অশৌচ পালন শুরু করেন গ্রামবাসীরা। তিনদিন পর অর্থাৎ রবিবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান সেরে সন্ধ্যায় ভোজনের ব্যবস্থা করা হয়। রাতে শাস্ত্র মেনে লতাগ্রাম, পালিতপুর গ্রামে হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়। গ্রামের বাসিন্দা নিত্যানন্দ কর, প্রণব পাল, সুবোধ পাল, দীপক মালরা বলেন, “হনুমান জয়ন্তীর দিন রামভক্তের মৃত্যুতে গোটা গ্রাম শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। তাই মৃত হনুমানের আত্মার শান্তিতে শেষকৃত্য থেকে পিন্ডদান, ভোজন সব কিছুই ব্যবস্থা করা হয়। দুই গ্রামের হাজার দেড়েক মানুষ শ্রাদ্ধ ভোজনে অংশগ্রহণ করেন। গ্রামবাসীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করে গিয়েছেন বিধায়ক রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিং”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share