Tag: Madhyom

Madhyom

  • Assembly Election 2023: দুই রাজ্যে এগিয়ে বিজেপি, হাড্ডাহাড্ডি অন্যত্র, ত্রিশঙ্কু হচ্ছে মিজোরাম!

    Assembly Election 2023: দুই রাজ্যে এগিয়ে বিজেপি, হাড্ডাহাড্ডি অন্যত্র, ত্রিশঙ্কু হচ্ছে মিজোরাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে ‘ওয়ার্মআপ ম্যাচ’ হয়ে গেল চলতি মাসে। দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে এ মাসেই। আজ, বৃহস্পতিবার ছিল তেলঙ্গনা বিধানসভার নির্বাচন (Assembly Election 2023)। পাঁচ রাজ্যেরই ফল ঘোষণা হবে ৩ ডিসেম্বর। এই রাজ্যগুলির ফল থেকে কেন্দ্র কার দখলে যাবে, তার একটা আভাস মিলতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও পাঁচ রাজ্যের ফল কোনওভাবেই গোটা দেশের ছবি হতে পারে না। আসুন, দেখে নেওয়া যাক, পাঁচ রাজ্যের ফলের গতিপ্রকৃতি।

    প্রথমেই দেখা যাক ছত্তিশগড়ের সম্ভাব্য ফল। এ রাজ্যে কংগ্রেস ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। এ রাজ্যে বিধানসভার আসন ৯০। ম্যাজিক ফিগার ৪৬। এবিপি নিউজ-সি ভোটারের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিজেপি পেতে পারে ৩৬-৪৮টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৪১-৫৩টি আসন। ইন্ডিয়া টুডে-এক্সিস-মাই ইন্ডিয়ার এক্সিট পোলে বলা হয়েছে, বিজেপি পেতে পারে ৩৬-৪৬টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৪০-৫০টি আসন। দৈনিক ভাস্করের সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পাবে ৩৫-৪৫টি আসন। কংগ্রেসের দখলে যেতে পারে ৪৬-৫৫টি আসন।

    মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি। এ রাজ্যে আসন রয়েছে ২৩০টি। সরকার গড়তে হলে পেতে হবে ১১৬টি আসন। দৈনিক ভাস্করের সমীক্ষা (Assembly Election 2023) বলছে, বিজেপি পেতে পারে ৯৫-১১৫টি আসন। কংগ্রেস ১০৫-১২০টি আসন। রিপাবলিক টিভি-মাত্রিজের সমীক্ষা অনুযায়ী, গেরুয়া ঝুলিতে যেতে পারে ১১৮-১৩০টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ৯৭-১০৭টি আসন। পোল অফ পোলের সমীক্ষায়ও এ রাজ্যে পাল্লা ভারী বিজেপির দিকেই। জন-কী-বাতের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ১০০-১২৩টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ১০২-১২৫টি আসন।

    রাজস্থান বিধানসভার আসন সংখ্যা ২০০। কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুতে নির্বাচন হয়নি একটি কেন্দ্রে। ভোট হয়েছে ১৯৯টি আসনে। ম্যাজিক ফিগার ১০১। তবে আপাতত প্রয়োজন ১০০টি আসন। পোল অফ পোলের সমীক্ষা বলছে, বিজেপি পেতে পারে ১১১টি আসন। আর কংগ্রেস ৭৪টি। অন্যরা পেতে পারে ১৪টি। ইন্ডিয়া টুডে-অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া বিজেপি পেতে পারে ৮০-১০০টি আসন। বিজেপি পাবে ৮০-১০০টি আসন। অন্যরা পেতে পারে ৯-১৮টি আসন। দৈনিক ভাস্করের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিজেপি পাবে ৯৮-১০৫টি আসন। কংগ্রেস ৮৫-৯৫টি আসন। অন্যরা পেতে পারে ১০-১৫।

    পোল অফ পোলসের সমীক্ষা বলছে, তেলঙ্গনায় বিআরএস পেতে পারে ৪৮টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৫৬টি। ৫-১০টি আসন পেতে পারে বিজেপি। ৬-৮টি আসন পেতে পারে অন্যান্য রাজনৈতিক দল। জন কী বাত আবার এ রাজ্যে এগিয়ে রেখেছে কংগ্রেসকে। কংগ্রেস পেতে পারে ৪৮-৬৪টি আসন। বিআরএস পেতে পারে ৪০-৫৫টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ৭-১৩টি আসন এআইএমআইএম পেতে পারে ৪-৭টি আসন।

    ত্রিশঙ্কু হতে পারে মিজোরাম বিধানসভা। এবিপি নিউজ-সি ভোটার সমীক্ষা অনুযায়ী, উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটিতে এমএনএফ পেতে পারে ১৫-২১টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ২-৮টি আসন। জেডপিএম পেতে পারে ১২-১৮টি আসন। অন্যরা পেতে পারে ০-৫টি আসন (Assembly Election 2023)।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • T20 World Cup 2024: বাইশ গজে ইতিহাস! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে উগান্ডা 

    T20 World Cup 2024: বাইশ গজে ইতিহাস! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে উগান্ডা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চম আফ্রিকান দেশ হিসেবে কুড়ি ওভারের বিশ্বযুদ্ধে নাম লেখাল উগান্ডা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2024) শেষ দল হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করল তারা। জিম্বাবোয়ে এবং কেনিয়াকে টপকে প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলবে উগান্ডা। আফ্রিকা অঞ্চলের কোয়ালিফায়ার পর্বে উগান্ডা ছয় ম্যাচের মধ্য়ে পাঁচ ম্য়াচ জিতেছে। শেষ ম্য়াচে তারা রাওয়ান্ডাকে উড়িয়ে দিয়েছে নয় উইকেটে। 

    প্রথম বিশ্বকাপের আসরে

    আগামী বছরে জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকা যৌথভাবে টি২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) নবম সংস্করণ আয়োজন করবে। এর আগে আফ্রিকা থেকে যোগ্যতা অর্জন করেছিল নামিবিয়া। যোগ্যতা অর্জন পর্বে তানজানিয়াকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে দেয় উগান্ডা। কিন্তু পরের ম্যাচে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে হেরে যায় তারা। এর পর টানা চার ম্যাচ জিতে নেয় উগান্ডা। হারিয়ে দেয় টেস্ট খেলা জিম্বাবোয়েকে। উগান্ডার কাছে হার স্বীকার করে নাইজেরিয়া এবং কেনিয়া। 

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup 2024) এ বারে ২০টি দল খেলবে। এদের মধ্যে একাধিক দেশ আছে যারা প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে। ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপে খেলবে নেপাল এবং ওমানও। এশিয়া কোয়ালিফায়ার্সের ফাইনালে উঠেই এই দুই দেশের হাতে চলে এসেছিল বিশ্বকাপের ‘কনফার্মড টিকিট’। ২০০৭ সালে প্রথমবার হয়েছিল টি-২০ বিশ্বকাপ। কুড়ি ওভারের কাপযুদ্ধের নবম সংস্করণ হবে আগামী জুনে। এই প্রথমবার ২০টি দল অংশ নিচ্ছে টুর্নামেন্টে। চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে সেই দলগুলিকে। সেখান থেকে প্রথম ও দুয়ে শেষ করা দল সুপার এইটের জন্য় কোয়ালিফাই করবে।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলে গড়াপেটা! কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি কল্যাণ চৌবের

    টি২০ বিশ্বকাপের ২০ দল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ (আয়োজক), আমেরিকা (আয়োজক), ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্য়ান্ড, পাপুয়া ও নিউ গিনি, কানাডা, ওমান, নেপাল, নামিবিয়া ও উগান্ডা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Match Fixing in I-League: ভারতীয় ফুটবলে গড়াপেটা! কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি কল্যাণ চৌবের

    Match Fixing in I-League: ভারতীয় ফুটবলে গড়াপেটা! কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি কল্যাণ চৌবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ফুটবলে (Indian Football) ম্যাচ গড়াপেটার কালো ছায়া। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার তরফে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, আই লিগে খেলা বেশ কিছু ফুটবলারের কাছে জুয়াড়িরা ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব রেখেছিলেন। আদৌ কোনও ম্যাচ গড়াপেটা হয়েছে কি না এবং কারা সেই প্রস্তাব রেখেছিলেন তা নিয়ে তদন্ত করতে চলেছে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (এআইএফএফ)। এক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে, বলে জানান এআইএফএফ-এর সভাপতি কল্যাণ চৌবে। 

    প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার

    চলতি আই লিগে বেশ কিছু ম্যাচে গড়াপেটা-সহ একাধিক বিতর্কের বিষয় উঠে এসেছে। এই কলঙ্কিত ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হয়েছে আইলিগের একাধিক দল। মহামেডান স্পোর্টিং (Mohammedan Sporting) এবং আরও কয়েকটি দল গড়াপেটার অভিযোগ এনে ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (All India Football Federation) ব্যাপারটা জানিয়েছে।  

    এ প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, “আমরা সম্প্রতি একটি তথ্য পেয়েছি যে আমাদের বেশ কিছু ফুটবলারকে ম্যাচ গড়াপেটা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমরা বিস্তারিত ভাবে এই ঘটনাগুলি দেখে তার তদন্ত করব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। নিজেদের ফুটবলারদের রক্ষা করার ব্যাপারে আমরা দায়বদ্ধ। খেলোয়াড় এবং খেলাটার সম্মানহানি করতে পারে এ ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই আগামী দিনে বরদাস্ত করা হবে না।” 

    আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ব্যর্থতা! তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

    ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি

    ফেডারেশনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি আই লিগের কয়েকজন ফুটবলারকে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফুটবল, ফুটবলারদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে এআইএফএফ। ফলে কোনওভাবে ফুটবল বা ফুটবলাররা যাতে কালিমালিপ্ত না হন, তাই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে এগোচ্ছে ফুটবল হাউস। যদিও কোন ক্লাব বা কোন ফুটবলার গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত তা কিছুই প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কল্যাণ বলেছেন, “এ ধরনের ঘটনা যাতে আগামী দিনে দ্রুত সমাধান করা যায় তার জন্য আমরা নিজেদেরও উন্নত করব। কী ভাবে এ ধরনের ঘটনা বোঝা, উত্তর দেওয়া এবং অভিযোগ জানানো যায়, সে ব্যাপার আধিকারিক এবং ফুটবলারদের বোঝানো হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tata IPO: লক্ষ্মীবারে বিপুল লক্ষ্মীলাভ! ডেবিউ-র দিনই মাল্টিব্যাগার স্টকে পরিণত টাটা টেকের শেয়ার!

    Tata IPO: লক্ষ্মীবারে বিপুল লক্ষ্মীলাভ! ডেবিউ-র দিনই মাল্টিব্যাগার স্টকে পরিণত টাটা টেকের শেয়ার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা ছিলই। হলও তাই। বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীবারে দুর্দান্ত রিটার্ন দিয়ে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত হল টাটা গোষ্ঠীর শেয়ার (Tata IPO)। টাটা টেকনোলজিস শুরুই করল ১৪০ শতাংশ লাভ নিয়ে। স্বাভাবিকভাবই লক্ষ্মীবারে বেশ ভালই লক্ষ্মীলাভ হল বিনিয়োগকারীদের। 

    টাটার আইপিওতে সাবস্ক্রাইব ৫০০ টাকায়

    এদিন সকাল ১০টা নাগাদ টাটা গোষ্ঠীর এই শেয়ার এনএসইতে ১২০০ টাকা ও বিএসইতি ১১৯৯.৯৫ টাকায় লিস্টিং হয়। অর্থাৎ শুরুতেই শেয়ারের প্রতি স্ক্রিপ বা ইউনিটে ৭০০ টাকার মুনাফা। টাটা টেকনোলজিসের এই আইপিওতে লট সাইজের আকার ছিল ৩০। তাই এই ছ’ দিনেই বিনিয়োগকারীরা শুরুতেই মুনাফা লুটলেন ২১ হাজার টাকা। তার পর দিন যত এগিয়েছে উপরে উঠতে থেকেছে গ্রাফ। একটা সময় ১৪০০ টাকায় পৌঁছে যায় এই শেয়ারের দর। অর্থাৎ, প্রিমিয়াম বা মুনাফার পরিমাণ ১৮০ শতাংশ। সেখানে থেকে কিছুটা নেমে এদিন বাজার বন্ধের সময় এই শেয়ারের দর দাঁড়ায় ১৩১৩ টাকায়। অর্থাৎ ১৬২ শতাংশ প্রিমিয়ামে। 

    বিনিয়োগকারীরা টাটা গোষ্ঠীর এই আইপিওতে সাবস্ক্রাইব করেছিলেন ৫০০ টাকায়। আইপিও-র মাধ্যমে এই সংস্থা ২২০০ কোটি টাকার শেয়ার ছেড়েছিল। কিন্তু, বিড বা আগাম বুকিংয়ের পরিমাণ ছিল ১.৫৬ লক্ষ কোটি টাকার। অর্থাৎ, প্রায় ৭০ গুণ ওভার-বুকিং হয়েছিল। ফলত, যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের সকলে অ্যালটমেন্ট পাননি। কিন্তু, এই ওভার-বুকিং থেকেই আভাস মিলেছিল যে, এই স্টক বাজারে ধামাল করবে। আর ঠিক সেটাই হলো। 

    মাত্র ছ’দিনে এই আইপিও-র মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অর্থ দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের সময় এক-একটি স্ক্রিপে লাভের পরিমাণ ৮১৩ টাকা। টাটা টেকের এই শেয়ার যে ভালই লাভ দেবে, তা আশা করেছিলেন শেয়ারবাজারের কারবারিরা। টাটা গোষ্ঠী যে তাঁদের নিরাশ করেনি, এদিনের বাজারের ছবিই তা-ই বলে দিচ্ছে। এখনও সপ্তাহও পার হয়নি বাজারে এসেছে এই শেয়ার। তার মধ্যেই টাটা টেকের শেয়ার পরিণত হল মাল্টিব্যাগার স্টকে।

    টিসিএসের পর এবার টাটা টেক

    প্রায় দু’ দশক পরে শেয়ার বাজারে এল টাটা গোষ্ঠীর কোনও আইপিও (Tata IPO)। এর আগে এই গোষ্ঠীর স্টক এসেছিল ২০০৪ সালে। সেবার তালিকাভুক্ত হয়েছিল টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (টিসিএস) এর শেয়ার। সেবারও ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল টাটার ওই শেয়ার। ফুলেফেঁপে উঠেছিলেন বিনিয়োগকারীরা। এবারও বাজারে পা রেখেই টাটা টেকের রেকর্ড গড়ে ফেলল রেকর্ড। এলআইসির আইপিও-র রেকর্ড ভেঙে দেশের বৃহত্তম আইপিওতে পরিণত হয়েছে টাটা টেকের শেয়ার। আইপিও খোলার প্রথম দিনই মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ইস্যুটি সাবস্ক্রাইব হয়ে গিয়েছিল একশো শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: “জ্যোতিপ্রিয় জেলে, তাঁকে কেন বরখাস্ত করছেন না?” প্রশ্ন তুলে ওয়াক আউট বিজেপির

    বিডিংয়ের ক্ষেত্রেও চমক দিয়েছিল টাটা টেক। খুচরো বিনিয়োগকারীদের বিভাগে ১৬ বার এবং কোয়ালিফায়েড ইনস্টিটিউশনাল বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে ২০৩ বার ও নন ইনস্টিটিউশনাল ইনভেস্টরদের বিভাগে ৬২ গুণ সাবস্ক্রিপশন দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই কোম্পানির মোট আয়ের পরিমাণ প্রায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। কর বাদে সংস্থাটির মুনাফা ৩৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫২ কোটি টাকায় (Tata IPO)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET: ১৮ মাসের প্রশিক্ষিতরা বসতে পারবেন না প্রাথমিক টেটে, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    TET: ১৮ মাসের প্রশিক্ষিতরা বসতে পারবেন না প্রাথমিক টেটে, নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণভাবে ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ হয় দু’বছরের। তবে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল’ থেকে ‘ওপেন এন্ড ডিসট্যান্স লার্নিং মোড’-এ এই কোর্স ১৮ মাসের হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যে জানিয়েছে যে, ১৮ মাসের ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ যারা নিয়েছেন তাঁরা নতুনভাবে কোনও রকমের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (TET) অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র যাঁরা পূর্ণসময়ের এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরাই যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এবার সিদ্ধান্ত নিতে বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, ১৮ মাসের ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ নিয়ে পরীক্ষায় বসতে চান এমন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার।

    বিচারপতি কী নির্দেশ দিলেন এদিন?

    বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় এদিন নির্দেশ দেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা কোর্টে জানাতে হবে। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। সেটাই ছিল শেষ টেট পরীক্ষা যেখানে অপ্রশিক্ষিতরাও বসার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ ছাড়া নিয়োগ প্রসঙ্গে তখন রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল যে নিয়োগ হওয়ার পরে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ করিয়ে দেওয়া হবে। সেইমতো ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল’ থেকে প্রচুর চাকরিরত শিক্ষক ডিএলএড-এর  ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ নেন। সমস্যা দেখা দেয় যখন তাঁরাই আবার প্রাথমিক টেটে ১৮ মাসের ডিএলএড-কে যোগ্যতা দেখিয়ে আবেদন করতে থাকেন।

    মামলার জল গড়ায় কোর্টে

    এরপরেই ২ বছরের পূর্ণ সময়ের ডিএলএড প্রার্থীদের একাংশ দ্বারস্থ হয় আদালতে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম নির্দেশকে পালন করার কথা এদিন বলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে শিক্ষক (TET) নিয়োগ নিয়ে ভুরি ভুরি অনিয়মের অভিযোগ জমা পড়েই চলেছে কোর্টে, কখনও প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ, কখনও বা আবার অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ। এসবের মাঝে নতুন করে এবার প্রশিক্ষণ (TET) নিয়ে নয়া নির্দেশিকা দিল কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assembly Winter Session: “জ্যোতিপ্রিয় জেলে, তাঁকে কেন বরখাস্ত করছেন না?” প্রশ্ন তুলে ওয়াক আউট বিজেপির  

    Assembly Winter Session: “জ্যোতিপ্রিয় জেলে, তাঁকে কেন বরখাস্ত করছেন না?” প্রশ্ন তুলে ওয়াক আউট বিজেপির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারের বারবেলায়ও উত্তপ্ত হল বিধানসভা। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়ায় জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মাসখানেক ধরে তিনি জেলে রইলেও, মন্ত্রিত্ব খোয়া যায়নি তাঁর। বৃহস্পতিবার এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক বিজেপির (Assembly Winter Session) শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, “জেলে থাকা অবস্থায় কীভাবে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক?” এনিয়ে শাসক-বিরোধী ব্যাপক হট্টগোল হয় সভায়। জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার দাবি জানাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। এই দাবিতেই বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা।

    ‘সরকার পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত’

    শঙ্কর বলেন, “একজন অভিযুক্ত মন্ত্রী কতখানি প্রভাবশালী যে জেলের ভেতরে থেকেও মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। এ নিয়ে বিধানসভার অন্দরে প্রশ্ন করতে গেলে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এ থেকেই তো স্পষ্ট, এই সরকার পুরোটাই দুর্নীতিগ্রস্ত।” বিরোধীদের বক্তব্য ছিল, জ্যোতিপ্রিয় জেলবন্দি। এর পরেও তাঁকে মন্ত্রী বলা হবে? তিনি কীভাবে বিধানসভায় উপস্থিত থাকবেন? এসব প্রশ্ন তুলে এদিন পয়েন্ট অফ অর্ডার দাখিল করতে চান বিরোধীরা। এনিয়ে সভায় (Assembly Winter Session) শুরু হয় হট্টগোল। সেই সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পয়েন্ট অফ অর্ডার আনতে হলে, তা আনতে হবে নির্দিষ্ট বিধি মেনে। এর পরেই স্লোগান দিতে দিতে ওয়াক আউট করেন পদ্ম-বিধায়করা।

    জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

    বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য, জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এই বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার অন্দরে আলোচনার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। শঙ্কর বলেন, “যদি এমনটাই ধরে নেওয়া যায় যে তিনি এখনও পর্যন্ত আদালতে দোষী সাব্যস্ত হননি, কেবল অভিযুক্ত রয়েছেন, তাহলেও স্পিকার এই বক্তব্যের বিরুদ্ধাচরণ না করে বলতেই পারতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। তাই তাঁকে এখনই রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হবে না। তা না করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য বন্ধ করে দেন।” প্রসঙ্গত, এদিন পয়েন্ট অফ অর্ডারে জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন শঙ্করই।

    আরও পড়ুুন: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    প্রসঙ্গত, বুধবার ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির জনসভায় খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন তুলেছিলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস যদি দুর্নীতিমুক্ত হয়, তাহলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের সাসপেন্ড করে দেখাক।” তার ঠিক চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই জ্যোতিপ্রিয়কে বরখাস্ত করার দাবিতে ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা (Assembly Winter Session)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই অমিত শাহের হাইভোল্টেজ জনসভার সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। সভায় উপচে পড়া ভিড় ভেঙে দিয়েছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। অমিত শাহের কলকাতা আসার দিনেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল পরিষদীয় দল। সেই মতো বিধানসভাতে গতকাল কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান শাসক দলের বিধায়করা। তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে চলতে থাকে বিক্ষোভ। যানিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবারই সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল তো বিধানসভার বাইরে বের হতেই পারছে না। বিজেপি এবং মানুষের ভয়ে তাদেরকে বিধানসভায় ঢুকে যেতে হয়েছে। দিদিমণি এখন ওখান থেকেই ভাষণ দিচ্ছেন। বাইরে বেরিয়ে সভা করুক না একটা। তৃণমূল সারা বছর ধরে অর্থ এবং প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে একটা সভা করে (২১ জুলাই)। দুমাস আগে থেকে জেলায় জেলায় গেট করে, ফ্রি বাস, ট্রেনে করে লোক আনে। তারা ব্রিগেডে কেন করে না সভা? কত বছর আগে শেষবারের মতো ব্রিগেডে সভা করেছে! একটা করে দেখাক। আমরা তো বাৎসরিক ব্রিগেড করি।’’

    ওয়ার্ম আপ ম্যাচ

    অন্যদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গতকালের বিজেপির সমাবেশকে কটাক্ষ করেন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ধর্মতলার এদিনের সভা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছিল।’’ তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে চলে আসছে। এ নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় মেদিনীপুরের সাংসদকে। তাঁর (Dilip Ghosh) কথায়, ‘‘আমি জানি না কে কি করেছে? কে চোর? সেটা পাবলিক ঠিক করবে। চোরের মায়ের বড় গলা! নেতাদের মধ্যে হিম্মত নেই জনসভা করার। মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার হিম্মত নেই। খোকাবাবু তো হারিয়ে গিয়েছেন। ছন্নছাড়া অবস্থা আজকে। তারাই আবার পার্টির মধ্যে আওয়াজ তুলছে বুড়োদের সরিয়ে যুবকদের আনো। আগে নিজেদের পার্টির ভিতরের ব্যাপারটা তারা ঠিক করে নিক। পার্টি থাকবে কিনা সেটাও আগামী দিনে বোঝা যাবে।’’

    প্রসঙ্গ নাগরিকত্ব আইন

    গতকালই অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে আসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে গোপাল মুখোপাধ্যায়ের (যিনি গোপাল পাঁঠা নামেই প্রসিদ্ধ) কথা। প্রসঙ্গত, জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫১ সালে দেশের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা আসনটি থেকে জয়লাভও করেন তিনি। অন্যদিকে, ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময় কলকাতার রক্ষাকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। এই দুজনকে সম্মান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বাঙালি জাত্যাভিমান কি তুলে ধরবেন! শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কে ছিলেন? বাঙালি ছিলেন। বাঙালির হাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে, জনসঙ্ঘের। এটা ঠিক যে মানুষকে মনে করাতে হয়। বাঙালি খুব ভুলে যায়। দেশ ভাগ হয়েছে, বাঙালি নির্যাতিত হয়েছে। মা বোনেদের সম্মান গেছে। কোটি কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। আজকের যুব সমাজ যদি এগুলো ভুলে যায় তাহলে আবার উদ্বাস্তু হতে হবে। তাই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। সেটাই উনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমরাই সিএএ ইম্প্লিমেন্ট করব। সবই সময়ে হয়।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Henry Kissinger: শতবর্ষে প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচবি হেনরি কিসিঞ্জার

    Henry Kissinger: শতবর্ষে প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচবি হেনরি কিসিঞ্জার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শতবর্ষে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচবি হেনরি কিসিঞ্জার (Henry Kissinger)। কানেকটিকাটে নিজ বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে কিসিঞ্জার ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায়। ১৯৭৩ সালে বিশ্বশান্তিতে অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া মার্কিন কূটনৈতিক মহলে।

    মার্কিন নাগরিকত্ব পান কিসিঞ্জার

    কিসিঞ্জারের জন্ম ১৯২৩ সালে, জার্মানিতে। নাৎসি শাসনের ভয়ে তাঁর পরিবার চলে আসেন আমেরিকায়, ১৯৩৮ সালে। ১৯৪৩ সালে কিসিঞ্জার মার্কিন নাগরিকত্ব পান। এর তিন বছর পরে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। পরে যোগ দিয়েছিলেন গোয়েন্দা শাখায়ও। এই সময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর পিএইচডি করেন। পরে অধ্যাপনা করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৯ সালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন কিসিঞ্জার (Henry Kissinger Died)। সেই সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন নিক্সন।

    উগ্র ভারত-বিরোধী ছিলেন!

    ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় নিক্সনের দূত হয়ে ভারতে এসেছিলেন তিনি। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ইন্দিরা-কিসিঞ্জার বৈঠকও হয়। যদিও সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। কারণ তখন আমেরিকা ছিল পাকিস্তানের বন্ধু দেশ। কিসিঞ্জারের উগ্র ভারত-বিরোধিতা চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় সেই সময়। পরে অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর এই বিরোধিতা নানা মহলের চাপের পরিণতি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পর বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে শেষমেশ কিসিঞ্জার হন মার্কিন বিদেশ সচিব।

    আরও পড়ুুন: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের জমানায় বিদেশ সচিব হিসেবে কাজ করেছেন কিসিঞ্জার। বিদেশ সচিব হিসেবে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে হওয়া ইয়ম কিপ্পুরের যুদ্ধ থামাতে ১৯৭৩ সালে তাঁর ভূমিকার উল্লেখও করেন অনেকে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর প্যারিস শান্তি চুক্তিতেও তাঁর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। মানবাধিকার প্রশ্নে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পরিবেশ বজায় রাখা, চিলির মতো বেশ কিছু দেশে স্বৈরাচারী শাসকদের মদত দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ১৯৬৯ সালে কম্বোডিয়ায় সিক্রেট বম্বিং ও পরবর্তী বছর মার্কিন অভ্যুত্থানের নেপথ্যে ছিলেন তিনিই। ইজরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলি সম্পর্ক গঠনেও তাঁর অবদান স্বীকার করেন কেউ কেউ (Henry Kissinger Died)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Debraj Chakraborty: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    Debraj Chakraborty: জেল খাটা থেকে দলবদল! জানুন অদিতি মুন্সীর স্বামী, অভিষেক-ঘনিষ্ঠ দেবরাজের উত্থান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (recruitment scam) তদন্তে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সেই তালিকাতেই রয়েছেন বিধাননগর পুরসভার তৃণমূলের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীও (Debraj Chakraborty)। এদিন সকালেই দেবরাজের তেঘরিয়ার বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। ঘটনাচক্রে দেবরাজ চক্রবর্তী তৃণমূলের শিল্পী-বিধায়ক অদিতি মুন্সীর (Aditi Munshi) স্বামী। তল্লাশির মাঝেই বেলা ১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায় দেবরাজকে। সঙ্গেই ছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, দেবরাজের আর একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দিয়েছে সিবিআই।

    দেবরাজের উত্থান

    এক সময় কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর আপ্তসহায়ক ছিলেন দেবরাজ চক্রবর্তী (Debraj Chakraborty)। ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও। ২০১৩ সালে বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় একটি উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়ে পূর্ণেন্দুর কাছে দরবার করেছিলেন দেবরাজ। তৃণমূল তাঁকে তখন টিকিট দেয়নি। টিকিট না পেয়ে দল ছেড়ে দেন দেবরাজ। ২০১৫ সালে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরেন তিনি। বিধাননগর পুরনিগম এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এই যুবনেতা। ভোটের দিনই দেবরাজকে গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। বন্দি অবস্থায় তাঁকে ভোটে লড়তে হয়েছিল। ভোটে জিতে বিধাননগরের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন এই যুব নেতা। জামিনে মুক্ত হয়ে কাউন্সিলর হিসাবে শপথ নেন তিনি। 

    তৃণমূলে দ্বিতীয় ইনিংস

    ২০১৫ সালে ভোটে জেতার কয়েক মাসের মধ্যেই ফের তৃণমূলে যোগ দেন দেবরাজ। তৃণমূলে ভবনে এসে তৃণমূলের তৎকালীন যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেন। তখন থেকেই অভিষেকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত দেবরাজ, ধীরে ধীরে রাজনীতির ময়দানে নিজের জায়গা পাকা করেন।

    অদিতিকে বিয়ে

    কীর্তনশিল্পী অদিতি মুন্সীর সঙ্গে দেবরাজের বিয়ে হয় ২০১৮ সালে। ততদিনে সঙ্গীতের জগতে অদিতি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। তাঁর গলায় কীর্তন শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে বার বার। স্বামী দেবরাজের হাত ধরেই ধীরে ধীরে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন অদিতিও। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজারহাট-গোপালপুর কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। ভোটে জিতেও আসেন অদিতি। জল্পনা ছড়িয়েছিল, অদিতিকে টিকিট দেওয়ার জন্য দেবরাজই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করেছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিধাননগর পুরনিগমের ভোটে দ্বিতীয় বার নির্বাচিত হয়ে মেয়র পারিষদ হন অদিতির স্বামী দেবরাজ। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    কেন তল্লাশি

    সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ‘চেইন’ ধরেই দেবরাজের (Debraj Chakraborty) বাড়িতে তল্লাশি করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাঁরা আসলে জানতে চাইছেন, ‘ফাইনাল বেনিফিশিয়ারি’র নামটা। অর্থাৎ কার কাছে শেষ দুর্নীতির টাকাটা পৌঁছেছিল। সেই সূত্রেই চলছে তল্লাশি। গত বছর ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায়ও দেবরাজকে তলব করেছিল সিবিআই। বাগুইআটি থানা এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপে ব্যর্থতা! তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

    ODI World Cup 2023: বিশ্বকাপে ব্যর্থতা! তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে (ODI World Cup 2023) লিগ পর্বে সাতটি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স করতে পারেনি শাকিব আল হাসানের দল। হারতে হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের মতো দলের কাছেও। এই ব্যর্থতার কারণ জানতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (Bangladesh Cricket Board)। 

    কেন তদন্ত কমিটি

    ওডিআই বিশ্বকাপের (ODI World Cup 2023) দল গঠনের পর থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল বাংলাদেশ ব্রিগেড নিয়ে। বিশেষ করে তামিম ইকবালের মতো তারকা ক্রিকেটারকে দলে না নেওয়ার জন্যই শুরু হয়েছিল তুমুল সমালোচনা। প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও শেষরক্ষা করতে পরেনি তারা। একে পর এক ম্যাচ হেরে ক্রমশই বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের জায়গা হারিয়েছিল বাংলাদেশ। শাকিব আল হাসানের দল লিগ পর্বে ন’টি ম্যাচের মাত্র দু’টিতে জয় পেয়েছিল। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটারেরা প্রায় কেউ ফর্মে ছিলেন না। মাহমুদুল্লা ছাড়া কোনও ব্যাটারই রান পাননি। বোলারেরাও সাফল্য পাননি। ভাল হয়নি দলের সার্বিক ফিল্ডিংও।

    তিন সদস্যের কমিটি

    দলের বেহাল দশার কারণ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিসিবি। বুধবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, “ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশ ব্রিগেডের পারফরম্যান্স কেন এমন হয়েছে তা দেখার জন্যই তৈরি করা হয়েছে এই কমিটি। হারের কারণ খতিয়ে দেখার পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে।” কমিটিতে রাখা হয়েছে বিসিবির (Bangladesh Cricket Board) তিন জন ডিরেক্টরকে। তাঁরা হলেন এনায়েত হোসেন, মাহবুব আনাম এবং আক্রম খান। ক্রিকেটার এবং দলের কোচিং স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে ব্যর্থতার কারণ খুঁজবে তিন সদস্যের এই কমিটি। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    স্পনসরহীন বাংলাদেশ

    বিসিবি সূত্রে খবর, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স-এর জন্যই কোনও সংস্থা চুক্তি করতে রাজি হচ্ছে না। আপাতত স্পনসরহীন অবস্থাতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশ দল। অক্টোবর পর্যন্ত ‘দারাজ’-এর সঙ্গে চুক্তি ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট সংস্থার। ২০২১ থেকে ২০২৩-এ পর্যন্ত দারাজ-এর সঙ্গে সেই চুক্তি শেষ হওয়ার কথা নভেম্বরে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে চুক্তি নবীকরণ করতে আর আগ্রহী নয় সংস্থাটি। তাই পুরো টার্ম শেষ হওয়ার আগেই মাঝপথে সরে দাঁড়িয়েছে দারাজ। এতে অথৈ জলে পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share