Tag: Madhyom

Madhyom

  • Panchayat Election 2023: ২৭৩ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জরুরি নির্দেশিকা কমিশনের

    Panchayat Election 2023: ২৭৩ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জরুরি নির্দেশিকা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দামামা বেজে গিয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কারা প্রার্থী হতে পারবেন, তা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে ভোট পরিচালনার জন্য মোট ২৭৩ জন পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত আধিকারিকদের এই পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

    পঞ্চায়েত ভোটে ৮ দফা নির্দেশিকা

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) প্রার্থী হওয়ার জন্য ৮ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কমিশনের তরফে বিভিন্ন জেলার ইলেকশন অফিসারদের ব্যাখ্যা দিয়ে জানানো হয়েছে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও মাপকাঠি। ১০০ দিনের গ্রামীণ প্রকল্পের অধীনে থাকা প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট, কম্পিউটার অ্যাসিস্ট্যান্ট, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টরা প্রার্থী হতে পারবেন না। মিড ডে মিল প্রকল্পের অধীনে যারা ডাটা এন্ট্রি অপারেটর , লাইব্রেরিয়ান এবং কল্যাণী স্পিনিং মিলের যাঁরা প্রাক্তন কর্মী, শ্রম দফতরের অধীনে যাঁরা চুক্তিভিত্তিক এটেন্ডেড হিসেবে কাজ করবেন, তাঁরাও প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অধীনে থাকা প্রকল্প সহায়করা প্রার্থী হতে পারবেন। 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের টিকিট ১ লক্ষ টাকায়, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে প্রধান-উপপ্রধান

    পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ

    এরই মধ্যে ভোট (Panchayat Election 2023) পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করল কমিশন। প্রত্যেক পর্যবেক্ষককে একটি করে ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গণনাপর্ব সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্ত আধিকারিক সংশ্লিষ্ট ব্লকের ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন লত এ বারের ভোটের দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে বিশেষ সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের। মঙ্গলবার থেকে পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হচ্ছে। ২৭৩ জন আধিকারিক প্রশিক্ষণ নিলেও ১৬ জন আধিকারিককে ‘রিজা়র্ভ’-এ রাখা হয়েছে। এই ১৬ জন আধিকারিককে ‘রিজা়র্ভ’-এ রাখার কারণ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলেই এই আধিকারিকদের ব্যবহার করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Online Games: ভারতে তিন ধরনের অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করার পথে কেন্দ্র

    Online Games: ভারতে তিন ধরনের অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করার পথে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইন গেম (Online Games) খেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেয় বড় থেকে ছোট। অনলাইন গেমের প্রতি বাচ্চাদের আসক্তি চরম সীমায়। এবার এই বিষয় নিয়ে সচেতন হল কেন্দ্র সরকার। এবার থেকে আর ভারতে সব ধরনের অনলাইন গেম খেলা যাবে না। কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানান, ভারতে তিন ধরনের অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। কেন্দ্র অনলাইন গেমিং সম্পর্কিত কাঠামো তৈরি করেছে। ব্যবহারকারীর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে বা আসক্তির কারণ তৈরি করতে পারে এমন গেমগুলির ক্ষেত্রে অনুমোদন দেবে না কেন্দ্র সরকার।

    অনলাইন গেম নিয়ে প্রাথমিক কাঠামো তৈরি

    রাজীব চন্দ্রশেখর আরও বলেছেন, সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা অন্য কোনও প্রযুক্তির ব্যবহারকারীদের উপর নজর রাখবে। তাঁরা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়ে সেটাও সরকার দেখবে। অনলাইন গেমের (Online Games) মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করার প্রবণতাও বাড়ছে। সেই দিকে নজর রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, অনলাইন গেম নিয়ে প্রাথমিক কাঠামো তৈরি হয়েছে। সেই কাঠামোর ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোন কোন গেম নিষিদ্ধ করা হবে। তবে কী কী ধরনের গেম নিষিদ্ধ হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ধারণা এখনই মেলেনি। 

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েতের টিকিট ১ লক্ষ টাকায়, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে প্রধান-উপপ্রধান

    প্রযুক্তির দৌলতে অনলাইন গেমের (Online Games) জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে। অনেকেই অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত হচ্ছেন। আবার এই ধরনের গেমে অংশ নিয়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে এ বার অনলাইন গেম নিয়ে পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে সরকার। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কোন ধরনের অনলাইন গেমকে ছাড় দেওয়া হবে, তা ঠিক করতে একটি স্ব-নিয়ন্ত্রক সংস্থা তৈরি করা হবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, কৃত্রিম মেধাকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে দেশের ডিজিটাল দুনিয়ার নাগরিকদের যাতে ক্ষতি না হয়, সে দিকেও সরকার নজর দেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: বিধায়কের নির্বাচনী কমিটি থেকে বাদ ব্লক সভাপতি, প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল

    Panchayat Election: বিধায়কের নির্বাচনী কমিটি থেকে বাদ ব্লক সভাপতি, প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election)  ভরতপুর- ২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতিকে কোণঠাসা করতে ফের আসরে নামলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তারসঙ্গে যোগদান করলেন ভরতপুর- ২ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি আজহারউদ্দিন সিজার। ৪১ জনের নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করলেন বিধায়ক। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী বললেন বিধায়ক?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) দিন ঘোষণা হওয়ার পরও মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে-২ ব্লকে কমতেই চাইছে না তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। জেলায় বিতর্কিত নেতা হিসেবে হুমায়ুনের নাম রয়েছে। ভোট ঘোষণা হওয়ার পরও সেই বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়তে চাইছে না। ব্লক সভাপতিকে ছাড়াই মুর্শিদাবাদ জেলার সালারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দলীয় কমিটি ঘোষণা করলেন বিধায়ক। নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করার পর কার্যত নিজের দলেরই ব্লক সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তিনি। তিনি বলেন, ৪৩ হাজার ভোটে আমি জয়ী হয়েছি। তারপরও ব্লক সভাপতি বলছেন আমার বুথে কোনও লোক নেই। এরকম ব্লক সভাপতিকে আমি মানি না। সালারের উন্নয়ন, সালারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার তা আমি করব। ব্লক সভাপতি হয়ে তাঁর দশটা হাত হয়ে গিয়েছে। নিজেকে তিনি বিশাল কিছু ভাবছেন। তাই, তাঁরসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, আমরা আমাদের মতো করে কমিটি গঠন করে নির্বাচনে লড়াই করব। হুমায়ুনের বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত ছিল সিজার। সেই সিজার এবার বিধায়কের সঙ্গে হাত মেলালেন। স্বাভাবিকভাবে বিধায়ক গোষ্ঠীর দিকে কিছুটা হলেও পাল্লা ভারী হল। তৃণমূল নেতা সিজার সাহেব বলেন, বিধায়কের সঙ্গে কিছু বিষয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে। তবে,  উন্নয়নের প্রশ্নে আমরা সকলেই এক। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা লড়াই করব।

    কী বললেন ব্লক সভাপতি?

    ভরতপুর-২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ আছে যারা ভোটের রাজনীতিটা করেন। সারাবছর মানুষের সঙ্গে থাকেন না। ভোট (Panchayat Election)  আসার জন্য তাঁরা অপেক্ষা করে থাকেন। স্বার্থপূরণ হলে তৃণমূল করে। আর তা নাহলে বিজেপি, কংগ্রেসে নাম লেখায়।” তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি বিরোধী বনাম শাসকের বদলে ঘাসফুল বনাম তৃণমূলের লড়াই দেখবে মুর্শিদাবাদবাসী সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Woman Kills Mother: রাগে মাকে খুন করে দেহ স্যুটকেসে ভরে থানায় মেয়ে, পুলিশ থ!

    Woman Kills Mother: রাগে মাকে খুন করে দেহ স্যুটকেসে ভরে থানায় মেয়ে, পুলিশ থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায়ই মায়ে-ঝিয়ে ঝগড়া হতো। তাই রাগের বশে, মাকে মেরেই ফেলল মেয়ে। শুধু তাই নয়। এরপর যা কাণ্ড ঘটাল মেয়ে, তা শুনেই পিলে চমকে উঠবে। মায়ের নিথর দেহ স্যুটকেসে ভরে, সেটা নিয়ে সটান থানায় হাজির হলেন মেয়ে। সেই সময় থানায় উপস্থিত পুলিশকর্মীদের চোখ কপালে ওঠে। ঘটনা বেঙ্গালুরুর।

    হত্যার আগে মাকে ঘুমের ওষুধ

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরুতে ফিজিওথেরাপিস্টের কাজ করতেন। বয়স প্রায় ৩৫ বছর। সাংসারিক বিষয় নিয়ে নিত্য সত্তরোর্ধ্ব মায়ের নিত্য ঝগড়া, ঝামেলা চলত। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবারও ঝগড়া শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। এরপর মা-কে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান পেশায় ফিজিওথেরাপিস্ট মেয়ে। ঘুমে আচ্ছন্ন অবস্থায় মা-কে গলায় দোপাট্টার ফাঁস দিয়ে খুন করেন ওই মহিলা। তার পর মায়ের দেহ স্যুটকেসে ভরেন, সঙ্গে রেখে দেন বাবার একটি ছবি। সেই অবস্থায় স্যুটকেস নিয়ে সোজা পৌঁছে যান বেঙ্গালুরুর একটি থানায়। পুলিশকে জানান, তিনিই মাকে খুন করেছেন। 

    আরও পড়ুন: ফের অসমে সক্রিয় আল কায়েদা! এনআইএ-এর জালে ৪

    মহিলার কাণ্ড দেখে পুলিশ থ বনে যায়। পরে, অবশ্য পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম বিভা পাল। অভিযুক্ত মেয়ের নাম সোনালি সেন। ফ্ল্যাটে স্বামী, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে, শাশুড়ি ও মাকে নিয়ে থাকতেন সোনালি। খুনের সময় ঘরে ছিলেন না মহিলার স্বামী বা অন্য কোনও ব্যক্তি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকার বাসিন্দার মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। 

    দোপাট্টার ফাঁস দিয়ে মাকে হত্যা!

    পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জেরায় সোনালি জানিয়েছেন, মৃতার সঙ্গে তাঁর এবং শাশুড়ির প্রায়ই ঝগড়া হতো। সোমবার, ঝগড়া চলাকালীন তাঁর মা ঘুমের ওষুধ খাওয়ার হুমকি দেন। রাগের বশে, মাকে জোর করে ১৫-২০টা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেন সোনালী। এরপর দোপাট্টার ফাঁস দিয়ে মাকে হত্যা করেন। এই হত্যার পিছনে নিছক ঝগড়া, নাকি রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা জানতে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

  • Weather Update: উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ! দক্ষিণে কত দেরি? কী বলছেন আবহবিদরা

    Weather Update: উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ! দক্ষিণে কত দেরি? কী বলছেন আবহবিদরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রবেশ করল মৌসুমী বায়ু। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) তরফে সোমবারই জানিয়ে দেওয়া হয়, পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে। রাজ্যের একাংশে দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ু ঢুকে পড়েছে গতকালই। বাংলায় এবার পাঁচ দিন দেরিতে বর্ষার আগমন ঘটল। তবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) কবে বর্ষা প্রবেশ করবে, তা এখনও জানায়নি আবহাওয়া দফতর। সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী অক্ষরেখা, মালদার ওপর দিয়ে অবস্থান করছে। মেই তা আরও এগিয়ে আসবে দক্ষিণবঙ্গের দিকে। সিকিম ও বিহারেও ঢুকে পড়েছে মৌসুমী বায়ু। 

    কলকাতার আবহাওয়া

    মঙ্গলবার, সকাল থেকে শহরের আকাশে ফের রোদের তেজ। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও ছিল। তবে আগের থেকে তা অনেকটাই কম। সোমবার কলকাতাতে বৃষ্টি হয়েছে ১৪.৬ মিলিমিটার। বিকেল হতেই ঘনিয়ে এসেছে মেঘ। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া আর ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিতে ভিজেছে শহরতলির বিভিন্ন অংশ। তবে মঙ্গলবার সকাল হতেই ফের ঘামে নাকানিচোবানি অবস্থা শহরবাসীর। সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন, কবে আসবে বর্ষা? আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার কোনও ইঙ্গিতই নেই। কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৪ থেকে ৯৭ শতাংশ। 

    আরও পড়ুন: বাবা হচ্ছেন সুনীল! অধিনায়কের জয়সূচক গোলে ফাইনালে ভারত

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু 

    উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার সেই বৃষ্টি আরও বাড়বে উত্তরবঙ্গে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোথাও ভারী বৃষ্টি কোথাও বা অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা (Weather Update) জারি করা হয়েছে। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির কিছু অংশে। অন্যদিকে, আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রেখেছে হাওয়া অফিস। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েতের টিকিট ১ লক্ষ টাকায়, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে প্রধান-উপপ্রধান

    TMC: পঞ্চায়েতের টিকিট ১ লক্ষ টাকায়, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে প্রধান-উপপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল তৃণমূল (TMC) নেতাদের বিরুদ্ধে। এবার প়ঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ে টাকার খেলা চলছে। এক লক্ষ টাকা দিলেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকায় নাম উঠছে। এমনই অভিযোগ মালদার মালতীপুর বিধানসভার গৌরহণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতে। আর এই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের প্রধান ডলি মণ্ডল ও উপপ্রধান পঞ্চানন দাস বিজেপিতে যোগদান করলেন। তাঁদের সঙ্গে প্রায় ৫০০ জন কর্মী, সমর্থক নাম লেখালেন গেরুয়া শিবিরে।

    কী বললেন দলত্যাগী নেতানেত্রীরা?

    গৌরহণ্ড পঞ্চায়েতের প্রধান ডলি মণ্ডল বলেন, গত ৫ বছরে আমি কতটা কাজ করেছি, তার উপর ভিত্তি করে আমায় প্রার্থী করা উচিত ছিল। কিন্তু, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূল (TMC) নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা চাইছে। অত টাকা দিয়ে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা নেই। উন্নয়নমূলক কাজ করতেও এই দল টাকা দাবি করে।  উপ প্রধান পঞ্চানন দাস বলেন, একসময় আমি বিজেপি করতাম। পরে, তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু, দলটা করতে পারছিলাম না। ভাল মানুষ কখনও তৃণমূল দল করতে পারবে না। যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, তোলাবাজ তারা এই পার্টির সম্পদ।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের চাঁচল-২ নম্বর ব্লক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই বলেন,তৃণমূলে স্বচ্ছভাবমূর্তির মানুষদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। টিকিট পাবে না বলেই দল ছেড়েছেন তাঁরা। বিজেপি টিকিটের প্রলোভন দেখিয়ে যোগদান করিয়ে ভোটের বাজার গরম করাচ্ছে। তাঁদের দলত্যাগে তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না।

    ফের তৃণমূলে (TMC) ভাঙন?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন মানিকচকে। মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূল (TMC) সদস্য, তৃণমূল পরিচালিত মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান, বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় ৪০০ জন তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের যোগদান করেন। সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে  মালদা জেলা কংগ্রেসের নেতা মোত্তাকিন আলমের নেতৃত্বে এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। যোগদান করেন মালদা জেলা পরিষদের সদস্যা সাবিনা ইয়াসমিন, মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ আশারুজ্জামানের‌ মতো নেতারা।

     কী বললেন দলত্যাগী নেতা?

    দলত্যাগী নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমাকে দল তাড়িয়ে দেয়নি বা লিখিতভাবে সাসপেন্ডও করেনি। তবে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। নাম না উল্লেখ করলেও তিনি যে বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের রোষের মুখে পড়েছেন তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    মানিকচক ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতি মহাফিজুর রহমান বলেন, যারা আজ তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন, তাঁরা আসলে লোভী। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, তৃণমূলে টিকিট পাওয়া যাবে না। তাই টিকিট পাওয়ার লোভে তাঁরা কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sunil Chhetri: বাবা হচ্ছেন সুনীল! অধিনায়কের জয়সূচক গোলে ফাইনালে ভারত 

    Sunil Chhetri: বাবা হচ্ছেন সুনীল! অধিনায়কের জয়সূচক গোলে ফাইনালে ভারত 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়স ৩৮ হলেও অপ্রতিরোধ্য। গোলমুখ খুলতে এখনও ভারতের ভরসা সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। অধিনায়কের বিশ্বমানের গোলে ইন্টার-কন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে দেশ। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে ভানুয়াটুর বিরুদ্ধে  ১-০ গোলে জয় পায় সুনীলরা। জয়সূচক গোলটি করেন সুনীল। গোল করেই বলটিকে জার্সির ভেতরে পুরে মুখে আঙুল দিয়ে দর্শকাসনের একটি বিশেষ অংশের দিকে ছুটে যান অধিনায়ক। দেখা যায়,সে দিকে বসে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী সোনম ভট্টাচার্য। স্ত্রীর উদ্দেশে উড়ন্ত চুম্বন ছুড়ে দেন সুনীল। পাল্টা সোনমও চুম্বন ছুড়ে দেন। বাবা হচ্ছেন সুনীল।

    সুসংবাদ দিলেন সুনীল

    ম্যাচের পর নিজেই সুসংবাদ দেন সুনীল (Sunil Chhetri)। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবার বাড়তে চলেছে। এ ভাবেই সেই ঘোষণাটা করতে চেয়েছিলাম। এই উচ্ছ্বাস অবশ্য খুবই পুরনো। অনেকেই আগে করেছে। তবু আমি এটাই করতে চেয়েছিলাম। সবার আশীর্বাদ এবং শুভেচ্ছা কামনা করছি।” কবে সন্তানের জন্ম, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে সুনীলের পরিবার বাড়তে চলেছে এটা শুনেই খুশি ফুটবলপ্রেমীরা। 

    ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে ভারত

    এদিন ১৩৫তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৮৬তম গোল করলেন সুনীল (Sunil Chhetri)। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের প্রথম ম্যাচে মঙ্গোলিয়াকে ২–০ ব্যবধানের হারিয়েছিল ভারত। সোমবার ভানুয়াটুর বিরুদ্ধে জিতলেই ফাইনাল নিশ্চিত ছিল। ম্যাচের প্রথমার্ধ গোলশূন্য ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে চাপ ক্রমশ বাড়ছিল। শেষ পর্যন্ত পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন সুনীল ছেত্রী। ৮১ মিনিটে বিশ্বমানের গোল করে ভারতকে ফাইনালে তোলেন এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে কি সরছে ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি?

    আরও এক বার এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য ভারতের। এর আগে ২০১৮ সালে এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। ফাইনালের আগে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারত খেলবে লেবাননের বিরুদ্ধে। ১৫ তারিখ সেই ম্যাচ ফাইনালের প্রস্তুতিও বলা যায়। হেড কোচ ইগর স্টিমাচ প্লেয়ারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নামাচ্ছেন। সেই ম্যাচেও প্লেয়ার রোটেশন হতে পারে। নতুনদের দেখে নেওয়ার সেরা সুযোগ থাকছে।

    ম্যাচে দাপট সুনীলদের

    এদিন প্রথমার্ধে সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri), লিস্টন কোলাসোরা বেশ কয়েকবার ভানুয়াটুর রক্ষণে হানা দেন। ১৮ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন নন্দকুমার। শুভাশিস বসুর মাইনাস বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় পেয়েও বাইরে মারেন। প্রথমার্ধে দাপট থাকলেও গোল তুলে নিতে পারেনি ভারত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও দাপট অব্যাহত থাকে ভারতের। মহেশ সিংয়ের সেন্টার ভাল জয়গায় পেয়েও জালে রাখতে পারেননি সুনীল ছেত্রী। অবশেষে ৮১ মিনিটে এল কাঙ্খিত গোল। বাঁদিক থেকে উঠে এসে বক্সের মধ্যে সেন্টার করেন শুভাশিস বসু। বল ধরে হাফ টার্নে ঘুরে বাঁ-পায়ের দুরন্ত শটে গোল করেন সুনীল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী! আচমকা বিদ্যুৎ ভবনে ‘হানা’ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী! আচমকা বিদ্যুৎ ভবনে ‘হানা’ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টিতে কিছু রেহাই মিললেও অস্বস্তিকর গরম এখনও যায়নি। তার দোসর আবার লোডশেডিং। শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই একই ছবি ধরা পড়ছে। সেই অভিযোগ নিয়েই এবার সোজা বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে হাজির হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে তাঁকে বিদ্যুৎ উৎপাদন দফতরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলে তিনি সেখানে যান। এদিন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের মুখে স্লোগানও শোনা যায়, ‘‘লোডশেডিং এর সরকার আর নেই দরকার।’’ তৃণমূল আমলে বিদ্যুতের ঘাটতি যে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে, দফতরে দাঁড়িয়ে সেই তথ্যও তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। সোমবার অগ্নিমিত্রা পাল সহ ৪ বিজেপি বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক শুভেন্দুর সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন বলে অভিযোগ। অন্য এক আধিকারিককে শুভেন্দু বলেন, “এসি কে বসাল, তা জেনে আপনাদের কী লাভ? লোড কী করে বাড়াবেন? ১২ বছরে পাওয়ার প্লান্টের কোনও কাজ হয়নি।”

    আরও পড়ুন: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দুর অভিযোগ মমতা জমানায় নতুন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হয়নি বরং বন্ধ হয়েছে কোলাঘাট ব্যান্ডেলের মতো ইউনিট। বিরোধী দলনেতা এদিন বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সারা দিনে ৩ থেকে ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা তথ্য দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটাও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে পারেননি। উল্টে কোলাঘাট, ব্যান্ডেলে বন্ধ করেছেন।’’ আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রীকেও। তাঁর সংযোজন, ‘‘এই ঘাটতি মেটাতে লোডশেডিং করে বাংলার মানুষকে গরমে কষ্টে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’

    আন্দোলনের পথে বিজেপি?

    এদিন আধিকারিক তাঁর সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেছে বলে জানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘লোডশেডিং বন্ধ করতে সমাধান চেয়ে কথা বলতে এসেছিলাম। কিন্তু কথা বলতে চাননি কেউ। সিএমডি বাথরুমে ঢুকে গিয়েছেন। এর থেকে লজ্জার কিছু হয় না।’’ একই সঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আগামী দিনে জনগণ এবং বিদ্যুৎ গ্রাহকরা রাস্তায় নামবেন।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ ইডি দফতরে হাজিরা অভিষেকের, না গেলে কী পদক্ষেপ?

    Abhishek Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ ইডি দফতরে হাজিরা অভিষেকের, না গেলে কী পদক্ষেপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Teacher Recruitment Scam) আজ, মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা সংক্ষেপে ইডি। গত সপ্তাহে হাজিরার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তৃণমূল সাংসদকে। সরাসরি, কালীঘাটের বাড়ির ঠিকানায় গিয়েছিল সেই চিঠি। কিন্তু, সংবাদমাধ্যমে অভিষেক জানিয়েছিলেন, তিনি পঞ্চায়েত ভোটের আগে ইডি দফতরে যেতে পারবেন না। আইনজীবী মারফত তা জানিয়ে দেবেন ইডিকে। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, হাজিরা না দেওয়ার বিষয়টি এখনও মেল করে বা চিঠি দিয়ে ইডি-কে জানাননি অভিষেক। ফলে, আজ অভিষেকের হাজিরা দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। 

    অভিষেক না এলে কী পদক্ষেপ করতে পারে ইডি?

    ইডি সূত্রের খবর, সোমবার বিকেল পর্যন্ত অভিষেকের (Abhishek Banerjee) তরফে তাদের কাছে সরকারিভাবে কোনও জবাব আসেনি। সেই কারণে ইডির আধিকারিকরা ধরে নিচ্ছেন, মঙ্গলবার তৃণমূল নেতা হাজিরা দেবেন। সেটা মাথায় রেখেই ইডির অফিসাররা প্রশ্নমালা তৈরি রাখছেন। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার নির্ধারিত সময় অবধি অপেক্ষা করেও যদি অভিষেকের বা তাঁর তরফে কোনও উত্তর না আসে, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় বার অভিষেককে নোটিস পাঠাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপাল নিযুক্ত অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা বন্ধের নির্দেশ রাজ্যের

    চেয়ে পাঠানো হয়েছে অভিষেকের মন্তব্যের ফুটেজ?

    ইডি সূত্রে আরও খবর, বৃহস্পতিবার অভিষেকের (Abhishek Banerjee) করা এমন মন্তব্যের অসম্পাদিত ভিডিও ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে ইডির দিল্লি সদর দফতরের তরফে। ফুটেজ চাওয়া হয়েছে ইডির পূর্বাঞ্চলীয় কলকাতা দফতরের কাছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, অভিষেকের মন্তব্য ভালো ভাবে নেয়নি তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা একটা পর্যন্ত ইডির অফিসাররা অপেক্ষা করবেন। তার মধ্যে তিনি না এলে দিল্লির কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে। ইডির পদস্থ কর্তারা আইনি পরামর্শও নিয়ে রাখছেন। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অভিষেকের জিজ্ঞাসাবাদ মুলতুবি রাখতে রাজি নন তদন্তকারীরা। সে ক্ষেত্রে অভিষেক হাজিরা না দিলে আদালতকে জানানো হবে কি না সেই ব্যাপারেই আইনজীবীদের পরামর্শ চাইবেন ইডি আধিকারিকরা।

    গত সপ্তাহেই কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ইডি। রুজিরা ইডি দফতর থেকে বেরনোর পরই তলব করা হয় অভিষেককে। এর আগে, গত ২০ মে প্রায় দশ ঘণ্টা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে জেলবন্দি বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের চিঠির সূত্রে অভিষেককে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ! আগামী বছরেই খুলছে রামন্দিরের দ্বার, কবে জানেন?

    Ram Mandir: নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ! আগামী বছরেই খুলছে রামন্দিরের দ্বার, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির সবথেকে বড় দুটো অ্যাজেন্ডা ছিল, রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ এবং ৩৭০ ধারার বিলোপ। মোদি জমানায় দুটোই সফল। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈদিক মন্ত্রের ধ্বনিতে সেদিন গমগম করছিল দশরথ নন্দনের জন্মভিটে। মন্দিরের একতলা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। অক্টোবর মাসেই সম্পূর্ণ হবে নির্মাণ প্রক্রিয়া। আগামী বছরেই উদ্বোধন হবে রামমন্দিরের। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ত্রিপুরা সফরে গিয়ে বলেছিলেন, ‘‘রামমন্দির নির্মাণের কাজ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে যাবে।’’

    রামলালার বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে 

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের। মন্দির নির্মাণের জন্য ২০২০-র ৬ ফেব্রুয়ারি ট্রাস্ট গড়েছিল মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালেই ভক্তদের জন্য খুলে যাবে মন্দিরের দ্বার। রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সদস্য নৃপেন্দ্র মিশ্র সোমবার নির্মাণ পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর জানান, ১ তলার কাজ প্রায় শেষ। মন্দির উদ্বোধনের জন্য তিনটি তারিখ নিয়ে আলোচনা চলছে। ১৭ থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনও দিন খুলে যাবে শ্রী রামের মন্দির। এই দিনগুলির মধ্যে পবিত্র তিথি বাছার কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে রামলালার (শিশু রাম)বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুরোধ জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছেন মহন্ত নিত্য গোপাল দাস। দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর অফিসে গিয়ে আমন্ত্রণ পত্র দিয়ে আসেন নৃপেন্দ্র মিশ্র।

    আরও পড়ুন: মোদির হাতে সেঙ্গল তুলে দেন অধিনমকর্তা! জানুন তাঁদের ইতিহাস

    রামমন্দিরের (Ram Mandir) অন্দরসজ্জা

    রামমন্দির ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্দিরের দেওয়ালে বসানো হচ্ছে রাজস্থানের গোলাপি রঙের বেলেপাথর। কর্নাটক থেকে এসেছে গ্রানাইট। উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর থেকে এসেছে বেলেপাথর। মন্দিরের গর্ভগৃহের কাজের জন্য রাজস্থান থেকে এসেছে সাদা মার্বেল পাথর। গর্ভগৃহের কোথাও ইট বা ইস্পাত ব্যবহার করা হচ্ছে না। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই নেপাল থেকে এসেছে শিলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share