Tag: Madhyom

Madhyom

  • Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাবাদিঘি। গোঘাটের এই এলাকার মানুষের কাছে এটা শুধু দিঘি নয়, একটি সেন্টিমেন্ট। কারণ, এই ভাবাদিঘিতে মাছ চাষ করে বহু পরিবারের মুখে দুবেলা অন্ন ওঠে। এলাকার বহু পরিবার এখনও দিঘির জল ব্যবহার করেন। তাই, এই দিঘি এলাকাবাসীর কাছে অন্নদাতা মায়ের মতো। প্রস্তাবিত রেলের প্রকল্প অনুযায়ী, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল (Railline) যোগাযোগের জন্য ভাবাদিঘি দিয়ে রেলপথ নিয়ে যাওয়ার কথা। বিষয়টি জানতে পেরেই এক জোট বাসিন্দারা। দিঘি বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা পথে নামেন। দিঘি রক্ষা করার বার্তা পৌঁছে দেন রেল কর্তাদের কাছে।

    ভাবাদিঘি রক্ষা করতে কী উদ্যোগ নিলেন এলাকাবাসী? Railline

    পথে নেমে লোক দেখানো আন্দোলন নয়। রীতিমতো ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটি গড়ে গঠনমূলক আন্দোলন গড়ে তোলেন এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, রেল (Railline) প্রকল্প হোক। তবে, ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে এই প্রকল্প করতে হবে। এটাই গ্রামের একমাত্র দিঘি, এর জল‌ই ভরসা সকলের। সেইসঙ্গে এলাকার পরিবেশ ঠিক রাখতে দিঘির বিন্দুমাত্র ক্ষতি হতে দিতে রাজি নয় আমরা। ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সভাপতি সুকুমার রায় বলেন,   কমিটি গঠনের আগে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা এই এলাকায় রেল পথ তৈরির জন্য মাপজোক করা শুরু করেন। সেই সময় আমরা গুগল এ একটি ম্যাপ দেখতে পেয়েছিলাম। ভাবাদিঘি থেকে ৫০০ মিটার দূর দিয়ে রেল লাইন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে অবস্থাপন্ন পরিবার এবং রাজ্যের শাসকদলের বেশ কিছু নেতার জমি ছিল। আচমকাই রাতারাতি সেই লাইনের এলাইমেন্ট চেঞ্জ হয়ে যায়। সেই প্রস্তাবিত পথ বদলে গিয়ে একেবারে দিঘির মাঝখান দিয়ে নতুন ম্যাপ তৈরি হয়। আমাদের প্রাণ থাকতে এই দিঘির উপর দিয়ে রেললাইন (Railline) যেতে দেব না। সরকার যেখানে আইন তৈরি করেছে, সংবিধান সবাইকেই মানতে হবে। পরিবেশ রক্ষার্থে জলাশয়ের অবশ্যই দরকার। আর এই দিঘির জল আমরা গোটা গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবার ব্যবহার করি। আমরা কোনওভাবে দিঘির উপর দিয়ে রেলপথ (Railline) নিয়ে যেতে দেব না। এর শেষ দেখে ছাড়ব। বহু মানুষকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তবু, আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। আমরা রেলের বিরুদ্ধে নয়। রেলপথ হোক। তবে, এই ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে দূর দিয়ে রেল পথ তৈরি হোক। কারণ, দিঘির পাড়ে অনেক জায়গা আছে।

     ভাবাদিঘি আন্দোলনের এক সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, দিদি তো সব জায়গায় হেলিকপ্টার চড়ে যান। ভাবাদিঘিতে সব হয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি অনেক কথা বলেছেন। এখানে কী হয়েছে তিনি নিজে এসে চাক্ষুস করে যান। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার ঠিক  আগে ভাবাদিঘির বাসিন্দারা নিজেদের দাবি বজায় রাখতে আন্দোলনের পারদ চড়াচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Erosion: মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম, হুঁশ নেই প্রশাসনের, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    Erosion: মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম, হুঁশ নেই প্রশাসনের, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিজ ভূমে পরবাস। চোখের সামনে বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গার ভাঙনে (Erosion) তলিয়ে গিয়েছে। এবার গ্রাস করতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর, ধানঘরা, শিবপুর সহ একাধিক গ্রামের বাড়ি। একটি বা দুটি নয়। গত আড়াই বছরের মধ্যে এই সব গ্রাম থেকে হাজারের বেশি বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। এটা গ্রামবাসীদের মন গড়া কোনও তথ্য নয়। খোদ ব্লক প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। ফলে, জমি, বাড়ি হারিয়ে নিজের ভিটে ছেড়ে কেউ খোলা আকাশের নীচে রয়েছেন। কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছেন। কেউ আবার স্কুলের পাশে জমিতে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়়া গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে বহু পরিবার। গত তিন দিনের মধ্যে নতুন করে এই সব গ্রামে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। চার-পাঁচটি বাড়ি ফের গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। ভাঙন (Erosion) কবলিত গ্রামের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক এবং অনিশ্চতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

    ভাঙন প্রতিরোধে আসা ঠিকাদারকে কেন বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা? Erosion

    এই জেলায় গঙ্গা ভাঙন (Erosion) নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু, ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধে গঠনমূলক কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আগের বাম শাসনের আমলেও এই বিষয়ে কেউ কোনও উদ্যোগ নেয়নি। আর ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। এই জেলায় জেলা পরিষদের ত্রিস্তরে বহু বছর ধরে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু, ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করার বিষয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই। এমনটাই অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় বাসিন্দা ছবি খাতুন বলেন, চোখের সামনে একের পর এক বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। গ্রামের সকলে মিলে প্রশাসনের কাছে দরবার করেছে। কিন্তু, পাথর দিয়ে গঙ্গা বাঁধানোর কারও উদ্যোগ নেই। তাই, গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের বক্তব্য, লোক দেখানো করে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন (Erosion) মোকাবিলা করা হয়। তাতে ঠিকাদারদের পকেট ভরে। কিন্তু, গঙ্গার ভাঙন (Erosion) রোধে কোনও কাজ হয় না। বহুবার প্রশাসনের কর্তাদের কাছে সে কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু, টনক নড়েনি প্রশাসনের। ফলে, নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনের কর্তারা। এলাকায় ঠিকাদার পাঠিয়ে বালি বোঝাই বস্তা দিয়ে ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, গ্রামবাসীরা তা মানতে রাজি হননি। লোক দেখানো কাজ নয়। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করতে হবে। যদিও  পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। বিক্ষোভকারীদের একটাই অভিযোগ, এভাবে বালির বস্তা দিয়ে গঙ্গা বাধা হয় না। পাথর দিয়ে ভালো করে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে  ব্যবস্থা না নেওয়া হলে  আমরা কাজ করতে  দেব না। এই বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র মুন্ডা বলেন, আমার পক্ষ থেকে যেটুকু সাহায্য করা সম্ভব তা আমি করেছি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের চাল- ত্রিপল সহ কিছু আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় এবিভিপি নেতার বাড়িতে তৃণমূলীদের হামলা, জখম প্রাক্তন সেনাকর্মী সহ ৩

    ABVP: মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় এবিভিপি নেতার বাড়িতে তৃণমূলীদের হামলা, জখম প্রাক্তন সেনাকর্মী সহ ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হোলির দিনে পাড়ার মধ্যে মদ্যপ যুবকরা অভব্য আচরণ করছিল। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন  বারাকপুরে শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কলেজ পল্লির এলাকার মানুষ। কিন্তু, সাহস করে কেউ মদ্যপদের প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেনি। প্রাক্তন সেনা কর্মী জন্মেঞ্জয় মাহাতোর দুই ছেলে জগদীশ ও সমীরণ বেরিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন। জগদীশবাবু বারাকপুরের অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক (Abvp)। আর জন্মেঞ্জয়বাবু কার্গিল যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেনা অফিসার ছিলেন। তাদের বাধায় দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। পরে, মদ্যপরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, দলবল নিয়ে এসে মদ্যপরা প্রাক্তন সেনা কর্মীর বাড়ির ভিতরে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা সকলেই তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচত। বাড়ির ভিতরে দুই ছেলের উপর হামলা হতে দেখে প্রাক্তন সেনা কর্মী বাধা দিয়ে এগিয়ে আসেন। তাঁর উপরও হামলাকারীরা চড়াও হন। হামলার জেরে প্রাক্তন সেনা কর্মীসহ তিনজন জখম হন। স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে তাঁরা চিকিত্সা করেন। পরে, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    এলাকায় তৃণমূলের দাপট দেখাতেই কী দলবল নিয়ে হামলা? Abvp

    শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তৃণমূলের খাস তালুক। এই এলাকায় প্রাক্তন সেনা কর্মীর ছেলে প্রকাশ্যেই এবিভিপি-র (Abvp) নেতৃত্ব দেন। ফলে, স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আগে থেকে প্রাক্তন সেনা কর্মীর বাড়ির দিকে নজর ছিল। মদ্যপদের পাড়া থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতারা সুযোগ পেয়ে যায়। দলবল নিয়ে তারা এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রাক্তন সেনা কর্মী জন্মেঞ্জয় মাহাত বলেন, পাড়ার মধ্যে ওরা চরম অভব্য আচরম করছিল। গালিগালাজ দিচ্ছিল। তাই, প্রতিবাদ করা হয়েছিল। সকলেই তৃণমূল কর্মী (Tmc) হিসেবে পরিচিত। নিজেদের দাপট দেখাতেই এভাবে বাড়ির ভিতরে ঢুকে ওরা হামলা চালায়। হামলার জেরে বড় ছেলের কলার বোন ভেঙে যায়। ছোট ছেলের পা ভাঙে। আমার মাথা ফেটে যায়। ওরা হামলা চালানোর সময় তৃণমূলের স্থানীয় প়ঞ্চায়েতের প্রধানের  নাম নিয়েছিল। হামলার বিষয় নিয়ে শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান অরুণ ঘোষ বলেন, এটা নিজেদের ব্যক্তিগত বিষয়। এরসঙ্গে দলের কোনও বিষয় নেই। আর আমি কাউকে এই ধরনের কাজে মদত দিই না।

    অন্যদিকে, বিজেপির নোয়াপাড়া যুব মোর্চার কনভেনার সুপ্রিয় দে-র উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সুপ্রিয়বাবু বলেন, দোল খেলে বাড়ি ফেরার পথে ওরা আমার পথ আটকায়। এরপর আমার উপর হামলা চালায়। ওরা দুষ্কৃতীকারী। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

     

     

     

  • Poster: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট! কারা দিল পোস্টার?

    Poster: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট! কারা দিল পোস্টার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। রাতারাতি রাজ্যবাসীর কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন কৌস্তভবাবু। জামিনে বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে বিজেপি, সিপিএম নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষদের শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ব্যারাকপুর শহরে বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তার ধারে একটি পোস্টার (Poster) ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হওয়া এই কংগ্রেস নেতাকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    কৌস্তভ বাগচিকে কারা সামাজিক বয়কটের ডাক দিল? Poster

    গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে নিজের মস্তক মুণ্ডন করে তৃণমূল সরকারকে উত্খাত করার তিনি শপথ নেন। তাঁর এই জেদ দেখে স্বাভাবিকভাবে কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মীরা চাঙা হয়ে ওঠেন। সঙ্গে বিরোধীরাও তাঁর বাড়়ি বয়ে এসে প্রশংসা করে যান। একদিকে তাঁর নামে সর্বত্র জয়জয়কার করছে বিরোধীরা, সেই অবস্থা রবিবার তাঁর ব্যারাকপুরে বাড়়ির আশপাশের এলাকায় রাস্তার ধারে তাঁকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়ার পোস্টার (Poster) দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে আমাদের এলাকার সাংস্কৃতিকে সারা বাংলার কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছে কৌস্তভ বাগচি, তাকে সামাজিক বয়কট করা হোক। পোস্টারের (Poster) নীচে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম নেই। শুধু লেখা রয়েছে বারাকপুরবাসীর পক্ষ থেকে। তবে, কে বা কারা এই পোস্টার (Poster)   দিয়েছে তা পরিষ্কার নয়। তবে, কংগ্রেস নেতা মাথা ন্যাড়া নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। কামারহাটির পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রায় কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ওই নেতার মাথায় উকুন ছিল। তাই, তিনি মাথা ন্যাড়া হয়েছেন। আর দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করছেন। এরপর নিজের ওয়ার্ডে এক মাথা ন্যাড়া যুবকের মাথায় গোল ঢেলে কৌস্তভ বাগচিকে ওই কাউন্সিলর কটাক্ষ করেন।

    বারাকপুর শহরে সামাজিক বয়কটের পোস্টার নিয়ে কৌস্তভবাবু বলেন, এই ধরনের পোস্টার দেওয়ার কাজ তৃণমূলের। নিজেরা সামনে নাম দিতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু, পোস্টার (Poster) দিয়ে সামাজিক বয়কটের ডাক দিলেই তো হল না। আমাকে এলাকার মানুষ ভালোবাসেন। বাড়ির বাইরে বের হলেই প্রচুর মানুষ এসে কথা বলে যাচ্ছে। বারাকপুর পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, বাংলার একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। তিনি একজন আইনজীবী হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যে অশালীন মন্তব্য করেছেন তা নিন্দার ভাষা নেই। তবে, সামাজিক বয়কটের পোস্টার (Poster) দেওয়ারও আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এসব তৃণমূলের কাজ নয়। ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এরকম দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    Scam: আইসিডিএসে চাকরি দেওয়ার নাম করে এরকম দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ টেট, গ্রুপ ডি এবং এসএসসির পর এবার দুর্নীতির(Scam) ছায়া আইসিডিএসে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসাবে চাকরি দেওয়ার নামে বেশ বড় রকমের প্রতারণার অভিযোগ উঠল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আইসিডিএসের হেল্পার মোসলেমা বেওয়া ও তাঁর মেয়ে পুতুল নশা পারভিন ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক এবং তৃণমূল নেতাদের নাম ভাঙিয়ে মহেন্দ্রপুর গ্রামের জাহেদুল ইসলামের মেয়েকে আইসিডিএস-এ চাকরির টোপ দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, দুবছর হতে চলল এখনও চাকরি পাওয়া তো দূরের কথা, টাকা ফেরত দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেই। সামনেই জাহেদুল ইসলামের মেয়ের বিয়ে। তাই, পাওনা টাকা চাইতে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক বচসা হয়। হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ।

    চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে কত টাকা লেনদেন হয়েছিল?

    শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে ওঠাবসা আছে জেনে জাহেদুল চাকরি পাওয়ার আশা ছিল। ১৫ দিনের মধ্যে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। বিনিময়ে চার লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই মতো জাহেদুল ইসলাম স্ত্রীর গয়না বন্ধক ও জমি বিক্রি করে নগদ চার লক্ষ টাকা তুলে দেন। জাহেদুল ইসলামের অভিযোগ, টাকা নেওয়ার সময় ব্লকের সিডিপিও ও জেলার ঊর্ধ্বতন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাদের ভালো পরিচয় রয়েছে বলে ছিল। ১৫ দিনের মধ্যেই চাকরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এই রাজ্যে তৃণমূল নেতাদের টাকা দিলেই চাকরি হয়। তাই, চাকরি পাওয়ার আশায় টাকা দিয়েছিলাম কিন্তু, দুবছর হতে চলল চাকরি পাওয়ার কোনও আশা নেই। সামনেই আমার মেয়ের বিয়ে। তাই, ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাদের কাছে গিয়েছিলাম। আমাকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।

     

    যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত আইসিডিএস-এর হেল্পার মোসলিমা বেওয়ার মেয়ে পুতুল নেশা পারভিন। তিনি বলেন, ওরা ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছে।চাকরি দেওয়ার নাম করে আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। আমার কাছে ওরা মেয়ের বিয়ের জন্য টাকা ধার চাইতে এসেছিল।এর আগেও ওদের টাকা ধার দিয়েছি। এদিন টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমার বিরুদ্ধে এই সব মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। কোনও ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই প্রতারিত জাহেদুলসাহেব থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Farmers Protest: সিঙ্গুরের মতো আবারও কি জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    Farmers Protest: সিঙ্গুরের মতো আবারও কি জমি আন্দোলন দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ তিন বা চার ফসলা জমির উপর ঝাঁ চকচকে রাস্তা তৈরি করা হবে। তাই, সরকার জমি অধিগ্রহণ করার জন্য নোটিশ জারি করেছে। ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করা হবে। উন্নয়নের জন্য জমি দিতে রাজি গোঘাট-২ ব্লকের চাষিরা। তাঁরা শুধু চান, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ। কিন্তু, সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকায় চার ফসলা জমি ছাড়তে নিমরাজি গোঘাট -২ ব্লকের হাজার হাজার চাষি। সিঙ্গুরের চাষিদের মতো নিজেদের দাবি আদায়ে জোটবদ্ধ হচ্ছেন এই ব্লকের চাষিরা (Farmers protest)।

    বিঘা প্রতি জমির কত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে? Farmers protest

    কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ এবং হাইওয়ে মন্ত্রক এই রাস্তা তৈরির জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জমির মূল্য দেওয়ার জন্য রাজ্যকে টাকাও দিয়ে দিয়েছে। বর্তমান রেজিস্ট্রি অফিসে যে মূল্যে ওই এলাকার জমি রেজিস্ট্রি হচ্ছে, তার দ্বিগুণ এর একটু বেশি দাম পাবেন চাষিরা। যেদিন থেকে নোটিফিকেশন জারি হয়েছে সেদিন থেকে টাকা নেওয়ার দিন পর্যন্ত আরও ১০ শতাংশ সুদ পাবেন চাষিরা। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে, এই এলাকার জমির বর্তমান সরকারি মূল্য যদি ৫ লক্ষ টাকা বিঘা হয়, তাহলে চাষিরা এক বিঘা জমি দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা পাবেন। চাষিদের (Farmers protest) বক্তব্য,সিঙ্গুরের জমির যদি ক্ষমতা একগুণ হয়ে থাকে, তাহলে এই এলাকার জমির ক্ষমতা তার থেকে অনেক গুণ বেশি। সিঙ্গুরের জমি যদি দু- তিন ফসলি হয়ে থাকে,গোঘাট-২ ব্লকের চাষিদের জমি চার ফসলি। বছরে চারটি ফসল এখানে খুবই ভালভাবে হয়। ওই এক বিঘা জমি থাকলে একটি পরিবারের ৩-৪ জন হেসে খেলে সারা জীবন  ভাত ,কাপড় পরে বাঁচতে পারবেন। তাই, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

    পশ্চিমবঙ্গে তিনটি আর্থিক করিডর তৈরি হচ্ছে। খড়গপুর-মোড়গ্রাম, হলদিয়া-রক্সৌল-কলকাতা ও বারাণসী করিডরের জন্য রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ইতিমধ্যেই ল্যান্ডম্যাপ সুনিশ্চিত করছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। সেই মতো এবার হতে চলেছে জমি অধিগ্রহণ। খড়গপুর-মোড়গ্রাম করিডরের জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। পোঁতা হয়েছে পিলারও। তবে, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে হুগলি ঢুকতেই বিপত্তি। নিজেদের জমি ছাড়তে নারাজ হুগলির গোঘাট ২ ব্লকের পশ্চিমপাড়া, গুরুলিয়া- ভাতশালা, লস্করপুকুর, মুল্লুক, মেহেরবানপুর, সাতবেড়িয়ার চাষিরা (Farmers protest)। চাষিদের বক্তব্য,“যে জমির উপর দিয়ে এই হাইওয়ে যাচ্ছে সেই জমি আমাদের কাছে অন্নদাতা মায়ের মত। এই জমি সোনা জমি। উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আমরা জমি দিতে রাজি আছি। কিন্তু, যেভাবে জমির মূল্য দেওয়া হবে শুনছি, এত কম দামে আমরা জমি দেব না। তারজন্য যদি আমাদেরকে আন্দোলন করতে হয় আমরা করব। যদি আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় আমরা হব। আমাদের জীবন জীবিকার একমাত্র সম্বল ওই জমি,আধা মূল্যে তা দেব না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Bomb Blast:  বোমা বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূল নেতার বাড়ি, কোথায় দেখে নিন?

    Bomb Blast: বোমা বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূল নেতার বাড়ি, কোথায় দেখে নিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) উড়ে গেল তৃণমূল নেতার বাড়ি। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের পাঁড়ুই থানার ভেড়ামারি গ্রামে। তৃণমূল নেতার নাম হাফিজুল শেখ। তিনি তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলের নেতার বাড়িতে এরকম বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ শেখ রিন্টু এবং শেখ গোলাম নামে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। গত চারদিন ধরে এই জেলায় এত পরিমাণ বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় জেলা জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    তৃণমূল নেতার বাড়িতে কী করে বোমা বিস্ফোরণ হল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতার বাড়ির গোয়াল ঘরে চারটি  ড্রামের মধ্যে বোমা (Bomb Blast) রাখা ছিল। শুক্রবার রাতে সেই বোমা ভরতি ড্রাম কোনওভাবে নীচে পড়ে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণের (Bomb Blast) ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। গোয়াল ঘরে থাকা বেশ কয়েকটি ছাগলও মারা যায়। বিস্ফোরণে (Bomb Blast) তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে তৃণমূল নেতার কংক্রিটের বাড়ি একেবারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাতে আচমকাই বিকট শব্দে গোটা গ্রাম কেঁপে ওঠে। প্রথমে কী হয়েছে তা বুঝতে পারিনি। ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি, হাফিজুলের বাড়়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগে থেকে বোমা মজুত ছিল, না বিরোধীরা বোমা রেখে ছিল তা তদন্তসাপেক্ষ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তবে, পুলিশি তদন্তে ওই তৃণমূল কর্মী দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে দলগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূম জেলায় পাল্লা দিয়ে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১ মার্চ নানুর থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। ২ মার্চও নানুর থানা এলাকা থেকে ৩ ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে ৩ মার্চ সাঁইথিয়ার বাতাসপুর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। আর ৩ মার্চ রাতে সাঁইথিয়ার পর পাঁড়ুই থানা এলাকায় তৃণমূল নেতার আস্ত একটি বাড়িই কার্যত উড়ে গেল। বিরোধীদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, বোমা বারুদের ভর কেন্দ্র হয়ে উঠছে এই জেলা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Water Demand: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    Water Demand: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গ্রামের নাম হাসনহাটি। গ্রামের বাসিন্দাদের অধিকাংশ আদিবাসী। দালান বাড়ি কারও নেই। এক চিলতে ঘরে পরিবার নিয়ে তাঁরা দিন গুজরান করেন মাত্র। দিন মজুরি করে কোনওরকমে সংসার চালান তাঁরা। বাড়িতে টিউবওয়েল বসানো তাঁদের কাছে বিলাসিতা। অগত্যা সরকারি সাহায্য তাঁদের অন্যতম ভরসা। নিয়ম মেনে ঘটা করে প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামে পানীয় জলের ট্যাপ, টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। টিউবওয়েল থেকে বহুদিন ধরেই জল (Water demand) পড়ে না। আর পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য যে ট্যাপ বসানো হয়েছিল, গত তিনমাস ধরে সেখান দিয়ে জল পড়ছে না। গরম পড়তেই হাঁসফাঁস অবস্থা। ক্ষোভে ফুঁসছেন কালনা-২ ব্লকের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের আদিবাসী এই গ্রাম।

    দাবি (Water demand) আদায়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা?

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)  একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করে আদিবাসীদের মন জয়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু, বাস্তব চিত্রটা যে একেবারেই আলাদা তা হাসনহাটি আদিবাসী গ্রামে আসলেই টের পাওয়া যাবে। এই গ্রামের তিন মাস ধরে পানীয় জলের (Water demand) ট্যাপ, টিউবওয়েল থেকে জল বের হচ্ছে না। প্রশাসনের কাছে আদিবাসী মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে দরবার করেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা সুনীতা মুর্মু, মিতা মুর্মু, শেফালি মান্ডিদের বক্তব্য, এতদিন শীতকাল ছিল। দূর থেকে জল আনতে কষ্ট হত না। জলের (Water demand) চাহিদা কম ছিল। এখন গরম পড়েছে। দিন দিন গরম বাড়বে। এই অবস্থায় গ্রামে পানীয় জলের (Water demand) ব্যবস্থা না থাকলে আমরা কোথায় যাব। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু করেন বলে বিভিন্ন মঞ্চে দাবি করেন। অথচ গত তিনমাস ধরে আমরা পানীয় জল (Water demand) খেতে পাচ্ছি না, এটা রাজ্য সরকারের কারও দেখার সময় নেই। অবিলম্বে পানীয় জলের ব্যবস্থা না করে দিলে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ভোট বয়কট করব। কারণ, বহুদিন ধরে আমরা আবেদন নিবেদন করেছি। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার আমরা জোটবদ্ধ হয়ে সকলেই কেউ আর ভোট দিতে যাব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    হাসনহাটি গ্রামে আদিবাসী পরিবারেরা পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন  কালনা-২ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অমিত কুমার চৌরাসিয়া। তিনি বলেন, কীভাবে তাদের পানীয় জল দেওয়া যায় সেটা ভাবা হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিমের (Egg) কুসুম কেমন হয়? সকলেই এক কথায় জবাব দেবেন, লালচে কিংবা হলুদ। প্লাস্টিকের ডিমের (Plastic egg) নামও কারও অজানা নয়। কারণ, কিছুদিন আগেই রাজ্য জুড়ে এই ডিম নিয়ে জোর চর্চা ছিল। কিন্তু, সাদা ডিমের মধ্যেই কালো কুসুম কখনও শুনেছেন কিংবা দেখেছেন? অবিশ্বাস হলেও এটা সত্যি। মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরের এক শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার সেদ্ধ ডিম খেতে গিয়ে তাঁর নজরে আসে বিষয়টি।

    ঠিক কী হয়েছিল? সন্দেহ Plastic Egg

    শুক্রবার সকালে বাড়িতে টিফিন করবেন বলে শিক্ষক সুনন্দবাবু বাজারে গিয়ে একটি মুদির দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ডিম নিয়ে আসেন। শিক্ষকের অনুরোধে বাড়িতে ডিম সেদ্ধ করা হয়। ডিম খেতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে শিক্ষকের। কারণ, ডিমের মধ্যে যে কুসুম থাকে তা দেখতে একেবারে পিচের মতো কালো। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এটি নকল ডিম (Plastic egg)। ভালো করে না দেখে, সেদ্ধ ডিমটি আমি যদি ভুলবশত খেয়ে নিতাম, তাহলে কি হতো? ডিমের ভিতরে কালো ওই অংশ দেখেই আর ভয়ে ডিম আমি স্পর্শ করিনি। প্রশাসনের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হয়। তাদের এই ডিম দেওয়া হলে কী হত? কারণ, স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ডিম না দেখে খেয়ে ফেলত। বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি শিক্ষিকা সুপর্ণা মানিক বলেন, ডিম পুষ্টিকর খাবার। আর তাতেই যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে তা সমস্যার। ডিম ভেঙে দেখা যাচ্ছে তার ভিতরে কালো রঙের কিছু আছে। এমন ডিম বাজারে আর বিক্রি না হয় তা দেখার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।পাশাপাশি যে মুদি দোকান থেকে ডিম কেনা হয়েছিল, তাঁর সাফাই, আমি তো মিল্কি থেকে ডিম কিনে নিয়ে আসি। কোনো দিন এরকম হয়নি। কি ভাবে এরকম হল হল তা বুঝতে পারছি না। যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে, পরীক্ষা করে রিপোর্ট আসার পরই এই বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

     

  • Bridge: গ্রামের নাম শুনলেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না, কেন জানেন?

    Bridge: গ্রামের নাম শুনলেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  গ্রামের নাম শুনলেই কেউ সেই গ্রামে ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না। ভালো সম্বন্ধ এলে তা পিছিয়ে যায়। মাথায় হাত দিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটান গ্রামের বাসিন্দারা। এ আবার কেমন গ্রাম? আমাদের রাজ্যেই রয়েছে এমন গ্রাম। জানতে ইচ্ছে করছে কোথায়? দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট দেউড়া গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের দুর্দশা দেখলে আপনারও সেখানে দুবার যেতে ইচ্ছে করবে না। বিয়ের কথা তো অনেক দূরের বিষয়।

    কেন এই গ্রামে ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে দিতে চান না?

    ছোট দেউড়া আসতে গেলে কাশিয়া খাড়ি পার হতে হয়। সেই কাশিয়া খাড়িতে সেতু (Bridge) তৈরির দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। এখনও তা তৈরি হয়নি। নেই গ্রামে রাস্তা। ফলে, উন্নয়নের আলোর কোনও ছোঁয়া লাগেনি এই গ্রামে। প্রাথমিক স্কুল যেতেও কচিকাঁচাদের খাড়ি পার হতে হয়। গরমকালে খাড়িতে জল কম থাকায় বাঁশের নড়বড়ে সেতুই গ্রামবাসীদের পারাপারের ভরসা। কিন্তু, বর্ষার সময় খাড়িতের জল টল টল করে। তখন খাড়ি পার হওয়া মস্তবড় ঝুঁকি হয়ে পড়ে। জলঘর পঞ্চায়েত থেকে ছোট দেউড়া কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্বাধীনতার এত বছর পরেও এই গ্রামে এই পরিষেবার হাল দেখেই কেউ ছেলে বা মেয়েদের এই গ্রামে বিয়ে দিতে চান না বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় সরকার। তিনি বলেন, আমরা কোনও ভাল পরিবারে ছেলে বা মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে আমাদের গ্রামের নাম শুনে কেউ আর সম্পর্ক তৈরিতে এগিয়ে আসেন না। সেতু (Bridge) না থাকার কারণে প্রসূতি কিংবা কোনও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চরম নাকাল হতে হয়। ফলে, আমরা চরম মনকষ্টে রয়েছি।

    দাবি আদায়ে গ্রামবাসীরা জোটবদ্ধ হয়ে পথে নেমেছেন। তবে, সামনে পঞ্চায়েত ভোট বলে নয়, এর আগে গত বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। রাজনীতির কারবারিরা এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ভোট মিটতেই তাঁদের আর দেখা নেই। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবার তাঁরা ফেস্টুন তৈরি করে ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিষয়ে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান গোপাল মুর্মু বলেন, বর্তমানে রাস্তা ও সেতুর জন্য টাকা ঢোকার কথা রয়েছে, টাকা এলেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বুধন মার্ডিও দাবি আদায়ের গ্রামবাসীদের এই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তকে নৈতিকভাবে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে ভোট বয়কট সমর্থন করি না। কিন্তু, গ্রামবাসীদের রাস্তা ও সেতুর দাবি ন্যায্য। বিজেপির পক্ষ থেকেও জানাই যে, প্রশাসন যেন গ্রামবাসীদের দাবি মেনে এলাকার রাস্তা ও সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

LinkedIn
Share