Tag: Madhyom

Madhyom

  • Nabanna: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    Nabanna: বাজেট বরাদ্দের টাকা খরচে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল নবান্ন, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডের (COVID) সময় ব্যয় সংকোচ ঘটাতে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্যের অর্থ দফতর। অর্থনীতির ভাষায় একে বলা হয় এমবার্গো।
    করোনা দেশের বিভিন্ন জায়গায় চোখ রাঙালেও পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত তার কোনও প্রভাব নেই। জনজীবনও কার্যত স্বাভাবিক। সরকারের তরফে খেলা, মেলা, দান, খয়রাতি সবকিছুই চলছে অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই।  

    কিন্তু করোনার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি অর্থ দফতর। তার প্রমাণ মিলল একটি নির্দেশিকায়, যা জারি করা হয়েছে ৩০ মার্চ এবং কার্যকর নতুন বছরের শুরু, ১ এপ্রিল থেকেই। নতুন অর্থবর্ষের শুরু থেকেই অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন (Nabanna)। যা থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, সরকার বাইরে সবকিছু স্বাভাবিক দেখাতে চাইলেও ভিতরে ভিতরে আসলে কঙ্কালসার হয়ে গিয়েছে।

    কী বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে? 

    ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতর বাজেট (Budget) বরাদ্দের কত শতাংশ টাকা খরচ করতে পারবে। এতেই দেখা যাচ্ছে, বেতন, অনুদান, হাসপাতালের ওষুধ এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা ছাড়া যাবে, তার বেশি কোনওভাবেই নয়। বহু ক্ষেত্রেই কোনও দফতর ২৫ শতাংশের বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কী কী শর্ত পূরণ করে ওই টাকা খরচ করা যাবে, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

    কী বলল বিজেপি? 

    এই নির্দেশিকার কথা প্রকাশে আসতেই রাজ্য বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব কড়া সমালোচনা করেছে। তাদের বক্তব্য, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নানা কথা বলা হলেও বাস্তবে সরকারের ভাঁড়ারে কোনও টাকাই নেই। রাস্তাশ্রী হোক বা কন্যাশ্রী, কোনও প্রকল্পই আর বেশিদিন চলবে না। ঠিকাদাররা পেমেন্ট পাবেন না। সরকারকে যারা পণ্য সরবরাহ করে, তারা টাকা পাবে না। হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহ হবে না, রাস্তা সারাই হবে না, রাস্তার আলো জ্বলবে না, সেচের জল পাওয়া যাবে না, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন পর্যন্ত অনিয়মিত হয়ে পড়বে। মাথার উপর সাড়ে ছয় লক্ষ কোটি টাকার ঋণ। বোঝাই যায়, এই সরকারের আয়ু আর কতদিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sagar Dutta Medical College: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বাড়ছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের আসন সংখ্যা! কত জানেন?

    Sagar Dutta Medical College: কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে বাড়ছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের আসন সংখ্যা! কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক কামারহাটির (Kamarhati) সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে (Sagar Dutta Medical College) আন্ডার গ্র্যাজুয়েটে আগেই আসন সংখ্যা বেড়েছিল। এবার এই মেডিক্যাল কলেজে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে আসন সংখ্যা বাড়তে চলেছে। আর সেই জন্যই হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই এই কলেজে আন্ডার গ্র্যাজুয়েটে আগে ১০০টি আসন ছিল। এখন তা বেড়ে ১২৫টি হয়েছে। আর পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে ৪০টি আসন রয়েছে। এবার সেখানে আরও ৫০টি আসন বাড়তে চলেছে। নতুন করে ৫০টি আসন সংখ্যা বাড়লে পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে মোট ৯০টি আসন হবে।

    সাগর দত্তে (Sagar Dutta Medical College) পরিকাঠামো উন্নয়নে কী করা হচ্ছে?

    আসন সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি পড়ুয়াদের হস্টেল থেকে শুরু করে সমস্ত রকম পরিকাঠামো থাকার প্রয়োজন। তাই, এখন থেকে সেই কাজ শুরু হয়েছে। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যই ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে ১৫ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। সাগর দত্ত হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College) চত্বরের মধ্যেই নতুন করে বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম প্রধান বলেন, এবার পোস্ট গ্র্যাজুয়েটে আরও ৫০টি আসন বাড়তে চলেছে। তবে, শুধু আসন বাড়ালে তো হবে না, উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। এবার সেই কাজও আমরা শুরু করেছি।

    হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College) সূত্রে কী জানা যাচ্ছে? 

    হাসপাতাল ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) এখন মোট বেড রয়েছে প্রায় ৬০০টি। সিসিইউ ইউনিট রয়েছে। তবে, কার্ডিওলজি বিভাগ নেই। যদিও হার্টের সাধারণ চিকিৎসা এই হাসপাতালে হয়। কিন্তু, কোনও রোগীর স্টেন্ট বসানোর প্রয়োজন হলে তাঁকে রেফার করা ছাড়া উপায় থাকে না। জানা গিয়েছে, হাসপাতালটি (Kamarhati) এখন ছয় তলার। এবার সেখানেই আরও নতুন করে তিনটি তলা তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই সাততলা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই এই হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় জায়গা কম। তাই, আলাদা ক্যাম্পাস তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

    স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই খড়দহের বলরাম হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) সেকেন্ড ক্যাম্পাসের জন্যই পরিদর্শনও করা হয়েছে। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের কর্মকর্তারা বলরাম হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন। এই হাসপাতালে আদৌ মেডিক্যাল কলেজের সেকেন্ড ক্যাম্পাস করা যাবে কি না তার সার্বিক রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে জমা করা হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Toilet: পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির হওয়ায় গ্রামে কারও বাড়িতে নেই শৌচালয়! কোথায় জানেন?

    Toilet: পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির হওয়ায় গ্রামে কারও বাড়িতে নেই শৌচালয়! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত সদস্যা বিজেপির। তাই, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাইবাড়ি গ্রামে “নির্মল বাংলা মিশন” এর প্রভাব এখনও পড়েনি। এই অঞ্চলের আদিবাসী পাড়ার সমস্ত মানুষকে মাঠে ঘাটে খোলা আকাশের নীচেই শৌচকর্ম করতে হয়। বছর তিনেক আগে এই জেলাকে নির্মল ঘোষণা করা হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা প্রশাসন যাতে মানুষকে মাঠে ঘাটে শৌচকর্ম করতে না যেতে হয় তারজন্য প্রচারও করেছিল। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করার জন্য জরিমানাও করতে দেখা যায় প্রশাসনকে। প্রতিটি পঞ্চায়েতে এই সচেতনতা মূলক অভিযান চালানো হয়। কিন্তু, এই এলাকায় বাড়ি বাড়ি শৌচালয় (Toilet) করে দেওয়ার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা? Toilet

    স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় মার্ডি বলেন, যা রোজগার করি তা দিয়ে কোনওরকমে সংসার চালাই। বাড়িতে শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার মতো আর্থিক অবস্থা আমাদের নেই। এক গৃহবধূ বলেন, “খোলা আকাশের নীচে শৌচকর্ম করা ঠিক নয় তা জানি, কিন্তু, নিজের পয়সা দিয়ে শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার মত সামর্থ্য আমাদের নেই। শুধু বাড়িতে নয়, স্থানীয় বিদ্যালয়েও নেই শৌচাগার। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা কল্পনা মণ্ডল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শৌচাগারটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে। পড়ুয়াদের চরম সমস্যা হয়।

    কী বললেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা? Toilet

    বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্যা মীরা মণ্ডল বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। আর আমি বিজেপির সদস্য বলে এলাকায় কোনও উন্নয়ন ওরা করছে না। আমরা শৌচালয় (Toilet) তৈরি করার জন্য বহুবার বলেছি। কিন্তু, ওরা কোনও কর্ণপাত করেনি। ফলে, আমার বুথে সেভাবে কোনও উন্নয়ন নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Toilet

     বিজেপির তোলা এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি। তিনি বলেন, বিজেপি সদস্য রয়েছে বলে ওই এলাকায় শৌচালয় (Toilet)  তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি তা ঠিক নয়। এটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা। ইতিমধ্যে প্রশাসনকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রিষড়াকাণ্ডে পুলিশি বাধার মুখে সুকান্ত-লকেট, ধর্নায় বসতে দেওয়া হল না বিজেপি কর্মীদের

    Sukanta Majumdar: রিষড়াকাণ্ডে পুলিশি বাধার মুখে সুকান্ত-লকেট, ধর্নায় বসতে দেওয়া হল না বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সোমবার রিষড়াকাণ্ডে জখম বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষকে হাসপাতালে দেখে ফেরার পথে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) কোন্নগর বিশালাক্ষীতলায় আটকায় পুলিশ। রিষড়া যেতে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। সেখানেই তিনি প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবস্থানে বসেন। পরে, মঙ্গলবার শ্রীরামপুর বটতলায় ধর্নায় বসবেন বলে তিনি ঘোষণা করেছিলেন। এদিন সেখানে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারটের এক আধিকারিক বলেন, এই ধর্নার কোনও অনুমতি নেই। সাধারণ মানুষের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই এখানে এখন কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মোহন আদক বলেন, তাঁরা ইমেল করে অনুমতি নিয়েছেন। মানুষের কোনও অসুবিধা না করে ধর্না দিতে চান। তবে, ধর্না মঞ্চ খুলে নেওয়ার পরেই থানায় যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন সকালে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) শ্রীরামপুর যাওয়ার জন্য রওনা দেন। কিন্তু, ডানকুনির জগন্নাথপুর মোড়ে দিল্লি রোডে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। পরে, বিজেপি কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?  Sukanta Majumdar

    এদিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বাংলা থেকে অশান্ত মুক্ত করার জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছি। দক্ষিণেশ্বর থেকে বেরিয়ে শ্রীরামপুর যাওয়ার পথে ডানকুনিতে তাঁকে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে দাঁড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, রিষড়ায় আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই পরিবারের পাশে থাকার জন্যই আমরা সেখানে যেতাম। কিন্তু, আমাদের ডানকুনি এলাকায় আটকে দেওয়া হয়। এই এলাকায় ১৪৪ ধারা নেই। অথচ সেখানে আমাকে বাধা দেওয়া হল। রিষড়ায় শান্তি ফেরাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা প্রয়োজন। ডিজি, পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।

    ট্রেনে করে কেন রিষড়ায় গেলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়?

    শ্রীরামপুর ও রিষড়া এলাকায় মঙ্গলবারও ১৪৪ ধারা জারি ছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সহ সাংসদদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ বাধা এড়াতে এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বালি স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সোজা রিষড়া স্টেশনে যান। ট্রেন থেকে নামতেই পুলিশ কর্মীরা তাঁকে আটকে দেন। এনিয়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ব্যাপক বচসা হয়। পরে, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের না আটকে রামনবমীর মিছিলের দিন রিষড়ায় পুলিশ যদি হামলাকারীদের আটকাতে পারত, তাহলে হিন্দুরা নিরাপদে থাকত। আসলে এই সরকার আগুন নিয়ে খেলছে। এই আগুনে ওদেরও হাত পুড়বে।

    মঙ্গলবার রিষড়া এবং শ্রীরামপুরের সার্বিক অবস্থা কেমন ছিল?

    রিষড়া, শ্রীরামপুর এলাকা জুড়ে সোমবার রাত থেকে পুলিশি টহলদারি শুরু হয়েছে। দুজায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। চন্দননগর ও হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঠানো হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। দোকানপাটও প্রায় বন্ধ। রিষড়ায় ৪ নম্বর রেল গেট এলাকায় অশান্তির জেরে সোমবার রাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মঙ্গলবারও সকাল থেকে আতঙ্কে ও আশঙ্কায় বিস্তীর্ণ এলাকা একেবারে থমথমে। এতটাই যে ব্যান্ডেল-হাওড়া লাইনে মঙ্গলবার লোকাল ট্রেনও খাঁ খাঁ করেছে। সোমবার রাতে রিষড়া ৪ নম্বর রেলগেটে গন্ডগোলের ঘটনায় ৩৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • High Court: পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যু, ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    High Court: পুলিশি হেফাজতে নাবালকের মৃত্যু, ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের ঘটনা। স্থান বীরভূমের মল্লারপুর। চোর সন্দেহে আটক করা এক নাবালককে থানার মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে পথে নেমেছিল বিজেপি। চাপে পড়ে থানার দুই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও ছাড় দেওয়া হয়েছিল ওসিকে। বিষয়টি যায় হাইকোর্ট (High Court) পর্যন্ত। অবশেষে সেই মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

    কত দিনের মধ্যে পরিবারের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট?

    মঙ্গলবার এই মামলায় মৃত নাবালকের পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের (High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ, ১৫ দিনের মধ্যে ওই টাকা পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে। পুলিশ যে ওই ঘটনায় আইন মেনে কাজ করেনি, এদিন হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, পুলিশ ভবিষ্যতে যদি কোনও ব্যবস্থা নেয়, তা যেন জুভেনাইল জাস্টিস আইন মেনেই করা হয়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর। রেলপাড়ের খালাসিপাড়ার বাসিন্দা এক নাবালককে চোর সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পরে থানার মধ্যেই একটি ঘরে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনা জানাজানি হতেই বিক্ষোভ শুরু করে দেন। তাদের অভিযোগ, ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হাইকোর্ট প্রথমে ওই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছিল। ইতিমধ্যে ওই ঘটনাকে ঘিরে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।  বিজেপি এই ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করে। আসরে নামে শাসকদল। তাদের বক্তব্য ছিল, বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে আন্দোলন করছে। কিন্তু মঙ্গলবারের রায়ে বিজেপির অভিযোগই কার্যত মান্যতা পেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Worker: বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল! কাজ হারালেন তিন হাজার শ্রমিক, কোথায় জানেন?

    Worker: বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল! কাজ হারালেন তিন হাজার শ্রমিক, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অন্যদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা (Worker) কাজে যোগ দিতে যান। গেটের বাইরে দেখেন, মিলে টেম্পোরারি সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ দেওয়া রয়েছে। আর সাসপেনশনের পিছনে শ্রমিক অসন্তোষকে দায়ী করা হয়েছে। ফলে, এদিন সকাল থেকে বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দলের অ্যাংলো ইন্ডিয়া জুটমিল। আর কাজ হারালেন মিলের স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক (Worker)। এদিন সকালে মিলে যোগ দিতে এসে কর্তৃপক্ষের নোটিশ দেখে কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, কোনও কিছু আলোচনা না করেই কর্তৃপক্ষ নিজের মতো করে মিল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবিলম্বে মিল চালু করার তাঁরা দাবি জানান।

    কেন মিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ? Worker

    মিল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মিলে তাঁত বিভাগে পুরানো মেশিন তুলে ফেলার অভিযোগ ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। তাঁত ঘর থেকে মিল কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি মেশিন উঠিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মিলের চারজন শ্রমিক (Worker) কাজ বন্ধ রেখে ধর্মঘটে সামিল হন। তাঁদের বক্তব্য, এতদিন ধরে ওই মেশিনে শ্রমিকরা কাজ করে এসেছেন। আচমকা কাউকে কোনও কিছু না জানিয়ে মেশিন উঠিয়ে নেওয়া হল কেন? পরিকল্পিতভাবে কর্তৃপক্ষ মেশিন উঠিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, সোমবার বেলা দুটো নাগাদ কাজে যোগ দিতে আসা শ্রমিকদের (Worker) তাঁরা কাজ করতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। ফলে, মিলে উৎপাদন কার্যত ব্যাহত হয়। সোমবার রাতে কর্তৃপক্ষের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাঁত ঘরের মধ্যে ওই চারজন ফের গন্ডগোল করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতির সামাল দিতে রাতেই জুটমিলে পুলিশ আসে। পুলিশ আসার পর মিলে নতুন করে আর কোনও গন্ডগোল হয়নি। তবে, দিনভর অশান্তির জেরে মিলে উত্পাদন ব্যাহত হওয়ায় মিলের গেটে সাসপেনশনের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় মিল কর্তৃপক্ষ। নোটিশে, ব্যাচিং থেকে তাঁত বিভাগে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। আর মিলে ঝামেলা পাকানোর অভিযোগে অভিযুক্ত চারজনকে মিলে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal People: ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে আদিবাসীরা, কেন জানেন?

    Tribal People: ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে আদিবাসীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দাবি এখনও পূরণ হয়নি। রাজ্যকে বিঁধে কুড়মিদের (Tribal People) নতুন করে আন্দোলন শুরু হল। মঙ্গলবার বেলা ১০টা নাগাদ অনির্দিষ্টকালের জন্য খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। যার জেরে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। তবে, মঙ্গলবার তাদের আন্দোলন জাতীয় সড়কের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। গত বছর দাবি আদায়ে কুড়মিরা (Tribal People) লাগাতার রেল অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। যার জেরে হাজার হাজার যাত্রীদের চরম নাকাল হতে হয়েছিল। গতবারের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ৫ এপ্রিল দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুম্বই এবং আদ্রা শাখার বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তাই, দাবি আদায়ে বুধবার থেকে জাতীয় সড়ক এবং রেল যোগাযোগ বন্ধ হ‌লে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

    কী কারণে আন্দোলনে কুড়মি সমাজ? Tribal People

    আদিবাসী (Tribal People) কুড়মি জাতিকে তফশিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করা, সারনা ধর্মের স্বীকৃতি, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ রাজ্য সরকারের সিআরআই (কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট) রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানোর দাবিতে ১ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে শুরু হয়েছে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে অবরোধ কর্মসূচি। ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ’ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি-তে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া সহ বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের জঙ্গলমহল এলাকা জুড়ে ‘ঘাঘর ঘেরা’ নামে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এতদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ চলেছে। ৪ঠা এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য খড়গপুর গ্রামীণের খেমাশুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। পূর্ব ঘোষণা মত এদিন সংগঠনের সদস্যরা (Tribal People) জাতীয় সড়কে জমায়েত হয়। পরে, লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mother-in-law: পাত্রী দেখতে এসে হবু শাশুড়িকে নিয়ে পালাল  যুবক! কোথায় জানেন?

    Mother-in-law: পাত্রী দেখতে এসে হবু শাশুড়িকে নিয়ে পালাল যুবক! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পাত্রী দেখতে এসে পাত্রীর মা’‌কে পছন্দ হয়ে যায় পাত্রের। এক দেখাতেই তাঁকে বিয়ে করার মনস্থ করেন হবু পাত্র। বাড়ির সকলের মধ্যেই হবু শাশুড়ির (Mother-in-law) সঙ্গে মন দেওয়া নেওয়া হয়ে যায় তাঁর। আর সুযোগ বুঝে পাত্রীর মাকে নিয়ে চম্পট দেয় হবু পাত্র। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানার করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিপ্লবী পাড়ায়। ইতিমধ্যেই স্ত্রীর খোঁজে তাঁর ছবি হাতে নিয়ে গাজোল থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর স্বামী অমল সাউরিয়া। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? Mother-in-law

    গত ২৫ মার্চ অতুল বর্মন নামে এক যুবক গাজোল থেকে করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিপ্লবী পাড়ায় পাত্রী দেখতে আসেন। দেখাশোনার সময় মেয়ের পাশে বসেছিলেন মা। হবু শাশুড়িকে (Mother-in-law) দেখেই মন মজে যায় অতুলের। হবু পাত্রের চোখের ইশারাও বুঝতে অসুবিধা হয়নি পাত্রীর মা সরলা সাউরিয়ার। এক ঘর লোকজনের মাঝে হবু শাশুড়ির (Mother-in-law) সঙ্গে অতুল বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন। পাত্রীর মায়ের সঙ্গে হবু বর কথা বলাতে দুই বাড়ির কেউ তেমন সন্দেহ করেনি। দেখাশোনা শেষ হওয়ার পর পাত্রের বাড়ির লোকজন ফিরে যান। কিছুক্ষণ পর বাজারে যাচ্ছি বলে সরলাদেবী বাড়ি থেকে বের হন। আর তিনি বাড়ি ফিরে আসেননি। প্রথমে বাড়ির লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু, কোথাও তাঁর হদিশ পাননি। পরে, হবু পাত্র তাঁকে নিয়ে গিয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন।

    কী বললেন নিখোঁজ হওয়া স্ত্রীর স্বামী? Mother-in-law

    ইতিমধ্যেই পুলিশ প্রশাসনের কাছে স্ত্রীর ছবি দেখিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁর স্বামী অমল সাউরিয়া। অমলবাবু বলেন, আমাদের তিন সন্তান রয়েছে। মেয়ে বিবাহযোগ্য। মেয়ের বিয়ের জন্যই আমরা চারিদিকে পাত্রের খোঁজ করছিলাম। মেয়ের দেখাশোনা পর্ব অনেকটাই এগিয়েছিল। পাত্রপক্ষ বাড়ি ফিরে যায়। পরে, স্ত্রী বাজারে যাওয়ার পর আর না ফেরায় চারিদিকে খোঁজ করি। কয়েকদিন পর জানতে পারি, হবু পাত্র আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁরা ভিন রাজ্যে রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishra: বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি, স্তব্ধ ট্রেন চলাচল! সোমবার রাতে ফের অগ্নিগর্ভ রিষড়া, থমথমে মঙ্গলবার সকালেও

    Rishra: বোমাবাজি, ইটবৃষ্টি, স্তব্ধ ট্রেন চলাচল! সোমবার রাতে ফের অগ্নিগর্ভ রিষড়া, থমথমে মঙ্গলবার সকালেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার রাতের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর মঙ্গলবার সকালে থমথমে রিষড়া। সকাল থেকে এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখার ট্রেনগুলি কার্যত খালি ছিল সকালে। ট্রেন চলাচল যাতে স্বাভাবিক থাকে তার জন্য লাইনের ধারে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল আরপিএফ বাহিনী। এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। যদিও, মানুষের মধ্যে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।

    দু’দিন আগেই রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল রিষড়ায় (Rishra)। সোমবার রাত নামতেই ফের অশান্তি ছড়াল রিষড়া স্টেশনের আশপাশের এলাকায়। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। আর তার জেরেই সোমবার রাত থেকে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় প্রায় তিন ঘণ্টা আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ঘটনার সময় আপ ব্যান্ডেল লোকাল রিষড়া (Rishra) স্টেশনে এসে দাঁড়িয়েছিল। ৪ নম্বর রেল গেটের কাছে অশান্তির জেরে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ট্রেনের ভিতরে তখন অফিস ফেরত নিত্যযাত্রীতে ঠাসা।

    বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে রেল লাইন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। যার জেরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে ট্রেনের অধিকাংশ দরজা, জানলা বন্ধ করে দেন। ট্রেনের ভিতরেই তিন ঘণ্টা চরম আতঙ্কের মধ্যে তাঁরা কাটান। যাত্রীদের বক্তব্য, স্টেশনে প্রথম দিকে হাতে গোনা কয়েকজন পুলিশ কর্মী ছিলেন। ফলে, চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম। আর বাইরে ব্যাপক বোমবাজি, চিৎকার, আগুন দেখে কেউ ট্রেন থেকে নামার সাহস পাইনি।

    রিষড়ায় (Rishra) কেন ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়

    এমনিতেই দুদিন আগে রামনবমীর শোভাযাত্রায় গন্ডগোলের জেরে উত্তেজনা রয়েছে রিষড়া (Rishra) এলাকায়। সম্ভবত সেই ঘটনার জের আছড়ে পড়ে সোমবার রাতে। রিষড়া (Rishra) স্টেশনের আশেপাশে নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। জানা গিয়েছে, স্টেশনের আশপাশে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। নতুন করে গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। এলাকায় তখন বিশাল জমায়েত ছিল। পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইট, পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।

    পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয় যে তা সামাল দিয়ে এডিজি (সাউথ বেঙ্গল) সিদ্ধিনাথ গুপ্তা, ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) শ্যাম সিং, চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগির নেতৃত্বে প্রচুর পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। একইসঙ্গে আরপিএফের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ এবং আরপিএফ এক যোগে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে।

    জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা পুলিশের একটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। রেল লাইন লাগোয়া একটি গুমটির দোকান জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে একাধিক কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়। পরে, পুলিশের উপস্থিতিতে রাত ১টা ৮ মিনিট নাগাদ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, বিক্ষোভকারীরা রিষড়ার (Rishra) ৪ নম্বর রেল গেট বন্ধ করতে দিচ্ছিল না। ফলে, ট্রেন চালানো সম্ভব ছিল না। আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। রেল বর্হিভূত কোনও অশান্তির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar Card: কাবাড়ির দোকানে মিলল বস্তা বস্তা আধারকার্ড, একাধিক ব্যাঙ্কের এটিএম, কোথায় জানেন?

    Aadhaar Card: কাবাড়ির দোকানে মিলল বস্তা বস্তা আধারকার্ড, একাধিক ব্যাঙ্কের এটিএম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বস্তার মধ্যে থরে থরে সাজানো রয়েছে আধার কার্ড (Aadhaar Card)। একটি বা দুটি নয়, এক সঙ্গে ১৪টি বস্তা রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে ব্যাঙ্কের একাধিক এটিএম। এই চিত্র কোনও সরকারি অফিসে বা ব্যাঙ্কের মধ্যে নয়, পুরুলিয়া শহরের ১৫নম্বর ওয়ার্ডের ভগতসিং মোড়ে একটি কাবাড়ি দোকানের। সেখানে ডাক বিভাগের ছাপ দেওয়া প্রায় ১৪টি বস্তায় আধার কার্ড (Aadhaar Card), ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড ও ব্যাঙ্কের কাগজ সহ সরকারি চিঠি উদ্ধার হয়েছে। সোমবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কী ভাবে এই আধার কার্ড (Aadhaar Card) আবেদনকারীর কাছে না পৌঁছে কাবাড়ির দোকানে পৌঁছে গেল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    কী বললেন ডাক বিভাগের আধিকারিক? Aadhaar Card

    সরকারি নিয়ম অনুসারে আধার কার্ড (Aadhaar Card) আবেদন করার পর, সেই কার্ড তৈরি হয়ে গেলে কার্ডগুলি ডাক বিভাগের কর্মীরা গ্রাহকদের ঠিকানায় পৌঁছে দেন। ‌কিন্তু, এই ক্ষেত্রে আবেদনকারীর ঠিকানার পরিবর্তে কাবাড়ির দোকানে পৌঁছে যাওয়ায় ডাক বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই বিষয়ে ডাক বিভাগের সুপারিনটেনডেন্ট নিমাইচন্দ্র সরেন বলেন, এটিএম তো স্পিড পোস্টে আসে। সেটা যার নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার কাছে যাবে, না হলে ফিরে যাবে। কাবাড়ির দোকানে যাওয়ার কথা নয়। আর অত আধার কার্ড (Aadhaar Card) ওই দোকানে কী করে গেল তা তদন্ত করে দেখা হবে।

    কী বললেন কাবা়ড়ি দোকানের মালিক? Aadhaar Card

    দোকানে বস্তার মধ্যে ডাঁই হয়ে আধার কার্ড (Aadhaar Card) পড়ে রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই দোকানের মালিক চাপে পড়ে যান। কাবাড়ি দোকানের মালিক মূকাররাম আলি বলেন, আমার পুরানো জিনিস কেনার লাইসেন্স রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বই, খাতা কেনা হয়। বস্তার মধ্যেই আধার কার্ডগুলি (Aadhaar Card) রাখা ছিল। আমরা তা দেখিনি। দোকানের একপাশে ডাঁই করে বস্তাগুলি রাখা ছিল। বস্তার মুখ খোলার পরই বিষয়টি সামনে আসে। আমরা বিষয়টি জানতাম না।

    কী পদক্ষেপ নিল ডাক বিভাগ? Aadhaar Card

    জানা গিয়েছে, ডাক বিভাগের আধিকারিকরা বিষয়টি জানার পরই ডাক বিভাগের দুই আধিকারিক ওই কাবাড়ি দোকানে হানা দেন। উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ বস্তা আধার কার্ড (Aadhaar Card) সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে বস্তাসহ দোকানের দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় নিয়ে আসে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share