Tag: Madhyom

Madhyom

  • New Coronavirus: বাড়ল উদ্বেগ! বাদুড়ের দেহে নয়া করোনা ভাইরাসের সন্ধান পেলেন চিনা বিজ্ঞানীরা

    New Coronavirus: বাড়ল উদ্বেগ! বাদুড়ের দেহে নয়া করোনা ভাইরাসের সন্ধান পেলেন চিনা বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও কি ফিরবে করোনা (New Coronavirus) আতঙ্কের দিন? শুরু হবে লক ডাউন? চিনে বাদুড়ের দেহে মিলেছে নয়া নয় করোনা ভাইরাসের সন্ধান, অন্তত এমনটাই দাবি চিনা বিজ্ঞানীদের। এতেই বেড়েছে উদ্বেগ। বাদুড়ের শরীর থেকে নয়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন তাঁরা। ২০২০ সালের ভয়াবহ সময় কি আবার ফিরছে? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    নয়া ভাইরাসের নাম HKU5-CoV-2

    চিনা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই নয়া ভাইরাসের (New Coronavirus) নাম HKU5-CoV-2. এই HKU5-CoV-2 মানুষের দেহে কোষে প্রবেশের জন্য একই ACE2 রিসেপ্টর প্রোটিন ব্যবহার করে, ঠিক SARS-CoV-2 ভাইরাসের মতো ৷ যা COVID-19 অতিমারি সৃষ্টি করেছিল বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাদুড়ের করোনা ভাইরাস নিয়ে এই গবেষণাটি করেছেন একজন শীর্ষস্থানীয় চিনা ভাইরোলজিস্ট শি ঝেংলি। তিনি ‘ব্যাটওম্যান’ নামে পরিচিত। এই গবেষণাটি ইতিমধ্যে বৈজ্ঞানিক জার্নাল সেলে প্রকাশিত হয়েছে ।

    HKU5-CoV-2 ভাইরাস আসলে কী?

    চিনে বাদুড়ের দেহে HKU5-CoV-2 নামের এই নতুন ভাইরাসটি (New Coronavirus) আবিষ্কৃত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি মেরবেকোভাইরাস সাবজেনাসের অন্তর্গত। এই ভাইরাসটিতে রয়েছে একটি ফুরিন ক্লিভেজ সাইট। যা এটিকে মানুষের কোষে প্রবেশ করতে দেয় SARS-CoV-2-এর মতোই। গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি রয়েছে এই ভাইরাসের। তা সত্ত্বেও প্রাণী থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণ সম্পর্কে এখনও গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে অবশ্য ভালো খবরই উঠে এসেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, HKU5-CoV-2 নামের এই ভাইরাস SARS-CoV-2 এর মতো খুব সহজেই মানুষের কোষগুলিকে সংক্রামিত করতে পারে না। গবেষকরা তাঁদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন যে SARS-CoV-2 এর তুলনায় HKU5-CoV-2 এর মানুষের ACE2 রিসেপ্টরের সঙ্গে বন্ধন ক্ষমতা কম। এর অর্থ হল ভাইরাসটি বর্তমানে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কম।

    কী বলছেন মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ?

    বিজ্ঞানীরা মনোক্লোনাল অ্যান্টি-বডি এবং অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধও শনাক্ত করেছেন ইতিমধ্যে। এই ওষুধ ভাইরাসকে লক্ষ্য করতে সাহায্য করতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মাইকেল অস্টারহোম এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গবেষণা অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের তুলনায় জনগণের মধ্যে এখন SARS-এর মতো ভাইরাসের ক্ষেত্রে বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে, যা অতিমারির ঝুঁকি কমায়। সিয়াটেলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় এবং উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি গবেষণায় উঠে এসেছে, HKU5-CoV-2 বাদুড় এবং কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণীর ACE2 রিসেপ্টরের সঙ্গে আবদ্ধ হতে পারে। তবে এই গবেষণায় মানুষের শরীরের সঙ্গে শক্তিশালী আবদ্ধতা দেখায়নি।

    উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে কাজ করতেন শি ঝেংলি

    চিন দেশে এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছিলেন শি ঝেংলি যিনি গুয়াংজু একাডেমি অফ সায়েন্সেসের একজন সুপরিচিত চিনা ভাইরোলজিস্ট। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শি ঝেংলি বাদুড়ের ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাব নিয়েই গবেষণা করেন। তিনি এবিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ। জানা যায়, শি ঝেংলি পূর্বে উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (WIV) তে কাজ করেছিলেন। প্রসঙ্গত, উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। অনেকেই দাবি করেছিলিনে, উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল COVID-19. তবে এই বিষয় শি অস্বীকার করেছেন। করোনা ভাইরাসের পর থেকেই বিজ্ঞানীরা প্রাণীদের মধ্যে নতুন ভাইরাসগুলি অত্য়ন্ত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। যদিও HKU5-CoV-2 নিয়ে বর্তমানে এখনও পর্যন্ত কোনও ঝুঁকি দেখা যায়নি।

    ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে করোনা

    COVID-19 অতিমারি (New Coronavirus) শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। সেসময় চিনে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসকে শনাক্ত করা হয়েছিল। ২০২০ সালের গোড়ার দিকে, এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এরপরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এটিকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে।সেই সময়ের মৃত্যুমিছিল, লকডাউন, চিকিৎসাক্ষেত্রে হাহাকার, ঘরবন্দি অবস্থা, চাকরি হারানো – এসব কিছুই মানুষ ভোলেনি। করোনা মহামারী সারা বিশ্বের অর্থনীতির ওপর ব্যাপক আঘাত হেনেছিল, সেই ক্ষত সেরেছে বটে তবে দাগ এখনও স্পষ্ট। তাই করোনার ধরনের আরেকটি ভাইরাসের খোঁজ আবার ভয় ধরাচ্ছে মানুষের মনে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত, COVID-19 অতিমারি বিশ্বব্যাপী ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়েছে। HKU5-CoV-2 আবিষ্কার বৈজ্ঞানিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এনিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। এই আবহে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যতের যেকোনও প্রাদুর্ভাবের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।

  • Indias Reaction: কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য তুরস্কের প্রেসিডেন্টের, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Indias Reaction: কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য তুরস্কের প্রেসিডেন্টের, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান সফরে এসে কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করে বসলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট (Turkish President) রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুসারে সমস্যা সমাধনের আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের কাছে এই আপত্তিকর মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত (Indias Reaction)। তুর্কি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারতের চিরস্থায়ী বিষয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করি। আমরা তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছি। ভারতের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে এমন অযাচিত মন্তব্য কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”

    তুর্কি প্রেসিডেন্টের বক্তব্য (Indias Reaction)

    সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে এসেছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ১৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে তিনি বলেছিলেন, কাশ্মীর সমস্যার সমস্যার সমাধান করা উচিত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা উচিত রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে এবং কাশ্মীরের জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে। অতীতের মতো আজও আমাদের রাষ্ট্র এবং আমাদের জাতি আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে (Indias Reaction )।”

    ভারতের মোক্ষম জবাব

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার পরিবর্তে, জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি, ভারতের বিরুদ্ধে সীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ব্যবহারের পাকিস্তানের নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা হলে ভালো হত।” পাকিস্তানের সংসদ ভারতের প্রতি কাশ্মীরে গণভোট পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করানোর বিষয়ে আর একটি প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন যে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং সর্বদা তাই থাকবে। তিনি বলেন, এনিয়ে কোনও সন্দেহ বা বিভ্রান্তির অবকাশ নেই। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ এবং কোন কার্যকলাপ সার্ককে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী (Turkish President)। জয়শঙ্কর জানিয়ে দিয়েছেন যে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক করা উচিত নয় (Indias Reaction)।

  • Mahakumbh: ভক্তদের ৪০ শতাংশই মহিলা! অনন্য নজির মহাকুম্ভে, বলছে রিপোর্ট

    Mahakumbh: ভক্তদের ৪০ শতাংশই মহিলা! অনন্য নজির মহাকুম্ভে, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর বৃহত্তম ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ (Mahakumbh)। মনে করা হচ্ছে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়ে যাবে ৬০ কোটি। এই আবহে আরও এক চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। মহাকুম্ভে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছেন এদেশের মহিলারা। যাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। একটি সমীক্ষা বলছে ,মহাকুম্ভে অংশগ্রহণকারী ভক্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশই হলেন মহিলা। সমীক্ষাটি চালিয়েছে গোবিন্দ বল্লভ সোশ্যাল সায়েন্স ইন্সটিটিউট।

    মহিলারা নিজেরাই দল করে স্নান করতে আসছেন (Mahakumbh)

    এই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন টিম প্রয়াগের (Women Devotees) স্নানের ঘাটগুলিতে প্রথম দিন থেকেই দাঁড়িয়েছিল। প্রত্যেক জায়গাতে তাঁরা বোঝার চেষ্টা করেছেন কত সংখ্যক মানুষ এসেছেন। তখনই তাঁরা জানতে পেরেছেন যে যাঁরা এসেছেন তাদের ৪০ শতাংশ হলেন মহিলা এবং এঁদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এটি একটি বড় সামাজিক পরিবর্তন (Mahakumbh) বলে মনে করা হচ্ছে। আরও উল্লেখযোগ্য তথ্য সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে এমন অনেক মহিলাদের দল কুম্ভে হাজির হয়েছেন। তাঁরা নিজেরাই আত্মনির্ভর হয়ে পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করেছেন। কোনও রকমের পরিবারের পুরষ সদস্য তাঁদের সঙ্গে আসেননি।

    কী জানালেন গবেষক দলের সদস্য

    রিসার্চ যাঁরা করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অর্চনা সিং। তিনি এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে সারাদেশে উল্লেখযোগ্য ভাবে শিক্ষার হার বেড়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যাপকভাবে বেড়েছে মহিলাদের। তাই স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের সামাজিক নিয়মগুলিতে (Mahakumbh) পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অতীতে মহিলারা সাধারণত ঘরের যে কোনও আচার অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু তাঁরা এখন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন মহাকুম্ভের মতো বড় এই অনুষ্ঠানগুলিতে।

    মহাকুম্ভকে কেন্দ্র করে বেড়েছে অর্থনীতি

    ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হচ্ছে মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025)। এই মহাকুম্ভে ডুব দিয়েছেন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে কূটনীতিক। বলিউড থেকে শিল্পপতি। দেশের রাজনৈতিক নেতা থেকে ক্রীড়া জগতের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। প্রতিদিনই সারা ভারত যেন প্রয়াগরাজের অভিমুখে এগিয়ে চলেছে। এই আবহে মহাকুম্ভের অর্থনৈতিক দিকটি সামনে এসেছে। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (CAIT) একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এবং সেখানে জানানো হয়েছে যে পৃথিবীর বৃহত্তম এই যে ধর্মীয় সমাবেশ অর্থাৎ মহাকুম্ভ এখানেই বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে ও পরিষেবা দিয়ে আনুমানিক তিন লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা হতে যাচ্ছে।

  • Ayodhya: ভোর থেকে রাত, লম্বা লাইন অযোধ্যায়, প্রয়াগে অমৃতস্নান সেরে রামলালা দর্শনে ভক্তদের ঢল

    Ayodhya: ভোর থেকে রাত, লম্বা লাইন অযোধ্যায়, প্রয়াগে অমৃতস্নান সেরে রামলালা দর্শনে ভক্তদের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪৪ বছর পর প্রয়াগরাজে সম্পন্ন হচ্ছে মহাকুম্ভ। সারা দেশ এখন প্রয়াগরাজমুখী। মনে করা হচ্ছে ৬০ কোটি ভক্ত ছুঁয়ে যাবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই আবহে অযোধ্যায় (Ayodhya) রাম মন্দির দর্শনে দেখা যাচ্ছে ভক্তদের ঢল। ভোর থেকে রাত লম্বা লাইন। সারা দেশ থেকেই ভক্তরা হাজির হচ্ছেন রামলালার (Ramlala) দর্শনে। লাইন শুরু হচ্ছে সকাল পাঁচটা থেকে এবং তা চলছে রাত্রি দশটা পর্যন্ত। প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সেরেই প্রচুর ভক্ত আসছেন রামলালার দর্শনে। প্রতিদিন লাখেরও বেশি ভক্তের পা পড়ছে অযোধ্যার (Ayodhya) মাটিতে। এমনটাই জানিয়েছে সেখানকার প্রশাসন।

    ভক্তদের ভিড়ে উন্নত হয়েছে অর্থনীতিও

    এই আবহে ভক্তদের ভিড়কে (Ayodhya) নিয়ন্ত্রণ করতে এবং যাতে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে রাম মন্দির চত্বরজুড়ে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ২০১৬-১৭ সালে যেখানে অযোধ্যাতে ভক্ত সংখ্যা ছিল ২.৩৫ লক্ষ সেখানে ২০২৪ সালে অযোধ্যায় ভক্ত সংখ্যা হয়েছে ১৪ থেকে ১৫ কোটি এবং এর ফলে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ হয়েছে ব্যাপকভাবে।

    কী বললেন অযোধ্যার (Ayodhya) পুলিশ সুপার?

    চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে অযোধ্যার (Ayodhya) পুলিশ সুপার রাজ করণ নায়ার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রচুর ভক্ত অযোধ্যায় আসছেন। ২৪ ঘণ্টাই আমাদেরকে ডিউটি করতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টও করতে হচ্ছে। প্রত্যেক ভক্ত একই উদ্দেশ্যে আসছেন। তাঁরা রামলালাকে দর্শন করতে চান। এখানে যে গাড়িগুলি ঢুকছে সেজন্য পার্কিংয়েরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ট্রাফিকের জন্য অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়ন করা হয়েছে। অযোধ্যার ছটি জায়গাতে আমরা কেন্দ্র তৈরি করেছি। যেখানে নিখোঁজ দর্শনার্থীদের সন্ধানের জন্য সাহায্য করা হবে।’’ অযোধ্যার (Ayodhya) আরেক পুলিশ কর্তা, মধুবন কুমার সিং জানিয়েছেন, প্রতিনিয়তই ভক্ত সংখ্যা বেড়ে চলেছে মহাকুম্ভে। ভক্তরা কুম্ভমেলায় পুণ্যস্নান সেরে রামলালা (Ramlala) দর্শন করতে আসছেন। একই সঙ্গে তাঁরা হনুমানজীর মন্দিরও দর্শন করছেন ।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাইন চলছে।

  • ICC Champions Trophy: ফেবারিট ভারত, মরণ-বাঁচন ম্যাচ পাকিস্তানের! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এগিয়ে কোন দল?

    ICC Champions Trophy: ফেবারিট ভারত, মরণ-বাঁচন ম্যাচ পাকিস্তানের! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এগিয়ে কোন দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপার সানডে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) আাগমী কাল ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত খেলতে নামবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতে এগিয়ে রয়েছে ভারত। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারায় রবিবার মরণ-বাঁচন‌ ম্যাচ পাকিস্তানের। তবে, বাংলাদেশ ম্যাচে জয় পেলেও ভারতীয় দল কিন্তু পয়েন্ট তালিকায় ২ নম্বরে। তাই পাকিস্তানকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ স্থানে ওঠাই লক্ষ্য ভারতের।

    কে কোন ম্যাচে এগিয়ে

    সাম্প্রতিক সময় আইসিসি (ICC Champions Trophy) ইভেন্টে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাপট দেখিয়েছে ভারত। ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে যখনই খেলতে নেমেছে তখনই হারের মুখ দেখেছে পাকিস্তান। কিন্তু আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবার এগিয়ে পাকিস্তানই। মিনি বিশ্বকাপে এই দুই দল ৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। এরমধ্যে তিনবার জয় পেয়েছে পাকিস্তান, দুবার জিতেছে ভারত। ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। সেই ম্যাচে পাকিস্তান সহজেই জিতে যায়। ২০০৯ সালে সেঞ্চুরিয়ানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হয় ভারত পাক। শোয়েব মালিকের শতরানে ভর করে সেই ম্যাচেও জয় পায় পাকিস্তান। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখে ভারত। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানকে হেলায় হারায় ভারত। কিন্তু ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেই ট্রফি জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় ভারতের।

    চালকের আসনে ভারতই

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) ফলাফল যাই-হোক না কেন গত দেড় দু’দশক ধরে ভারতই পাকিস্তানের উপর কর্তৃত্ব করছে ৷ এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের দল পাকিস্তানের থেকেও শক্তিশালী ৷ রবিবার দুবাইয়ে রোহতরাই ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবেন। এই ম্যাচকে ঘিরে গোটা বিশ্ব অপেক্ষা করে রয়েছে। ২২ গজে আরও একবার মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। মেগা ম্যাচ ঘিরে চড়তে শুরু করেছে পারদ। দুই দলের সমর্থকরা ভিড় জমাচ্ছেন। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ইতিমধ্যেই বলেছেন, ‘‘ব্যাটিং অর্ডারে আমাদের প্রথম চার জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। সেখানে কোনও বদল হবে না। তার মধ্যে অন্তত একজনকে সেঞ্চুরি করতে হবে। বিশ্বকাপে আমরা খুব বেশি সেঞ্চুরি না করেও বড় স্কোর করেছি। প্রত্যেকেই ব্যক্তিগত সাফল্যের দিকে না তাকিয়ে দলগত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। এখানেও যদি আমাদের ৭-৮ জন সেই ভাবে চেষ্টাটা চালাতে পারে, তবে আমরা ভালো কিছু করতে পারব।’’

    ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল, ঋষভ পন্ত, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা, মহম্মদ শামি, আর্শদীপ সিং, রবীন্দ্র জাদেজা, বরুণ চক্রবর্তী।

    পাকিস্তান দল: মহম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), বাবর আজম, ইমাম-উল-হক, কামরান গুলাম, সউদ শাকিল, তায়েব তাহির, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, সলমন আলি আঘা, উসমান খান, আবরার আহমেদ, হ্যারিস রউফ, মহম্মদ হাসনাইন, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।

  • RSS: “আরএসএস বটবৃক্ষের মতো, আমার মতো লাখো মানুষকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    RSS: “আরএসএস বটবৃক্ষের মতো, আমার মতো লাখো মানুষকে দেশেপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছে”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আরএসএস (RSS) বটগাছের মতো। আমার মতো লাখ লাখ মানুষকে দেশপ্রেমের মন্ত্রে উদ্ধুব্ধ করেছে।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(PM Modi)। শুক্রবার দিল্লিতে তিন দিন ব্যাপী ৯৮তম অখিল ভারতীয় মারাঠি সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি আরএসএসকে তুলনা করেন বটবৃক্ষের সঙ্গে। তিনি বলেন, “এই সংগঠন (আরএসএস) ভারতের মহান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নয়া প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এক পবিত্র সাংস্কৃতিক অনুশীলন করে আসছে।” প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং এনসিপি (এসপি) সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (RSS)

    প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, আরএসএসের জন্যই তিনি মারাঠি সংস্কৃতি ও ভাষার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছেন। তিনি বলেন, “মহারাষ্ট্রের মাটিতেই মারাঠিভাষী এক মহাপুরুষ একশো বছর আগে আরএসএসের বীজ বপন করেছিলেন। আজ তা বটবৃক্ষের মতো শতবর্ষ পালন করছে। বেদ থেকে বিবেকানন্দ পর্যন্ত ভারতের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নয়া প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সংস্কার যজ্ঞ চালাচ্ছে। এ নিয়ে গর্ব বোধ করতে হবে।”

    আরএসএস-স্তুতি

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার মতো লাখো মানুষকে (RSS) দেশের জন্য বাঁচার প্রেরণা জুগিয়েছে আরএসএস।” তিনি বলেন, “এই সম্মেলন এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের অভিষেকের ৩৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে, যখন পুণ্যশ্লোক অহল্যাবাই হোলকারের ৩০০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে, এবং বাবাসাহেব অম্বেডকরের প্রচেষ্টায় গঠিত সংবিধান তার ৭৫তম বছরে পদার্পণ করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা এই গর্বও অনুভব করব যে মহারাষ্ট্রের মাটিতেই এক মহান মারাঠি ভাষাভাষী ব্যক্তি ১০০ বছর আগে আরএসএসের বীজ বপন করেছিলেন।” তিনি বলেন, “আমার সৌভাগ্য যে আমার মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ আরএসএসের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করার শিক্ষা পেয়েছে।” মারাঠি ভাষার ক্লাসিক্যাল ভাষার মর্যাদা পাওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা (PM Modi) করছিলেন। আমি একে আমার জীবনের একটি মহান মাইলফলক বলে মনে করি (RSS)।”

  • Kash Patel: ‘‘কাশকে সবাই পছন্দ করে’’, বললেন ট্রাম্প, গীতা ছুঁয়ে শপথ নিলেন নয়া এফবিআই প্রধান

    Kash Patel: ‘‘কাশকে সবাই পছন্দ করে’’, বললেন ট্রাম্প, গীতা ছুঁয়ে শপথ নিলেন নয়া এফবিআই প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গীতা ছুঁয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের প্রধান হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ্যপ ওরফে কাশ প্যাটেল (Kash Patel)। তিনি জানান, এফবিআই-এ “সততা এবং ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধার” করার সময় এসেছে। এফবিআই-র প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডিরেক্টর প্যাটেল। এ দিন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি তাঁকে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন-এর নবম পরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ বাক্য পাঠ করান।

    কাশকে কেন পছন্দ ট্রাম্পের

    আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ ঘনিষ্ঠ কাশ (Kash Patel)। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন। কেন তিনি কাশকে পছন্দ করেন, কেন তাঁকেই এই পদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে মনে হয়, জানিয়েছেন ট্রাম্প। শনিবার হোয়াইট হাউসের ইইওবি ভবনে ভারতীয় চুক্তি কক্ষে কাশের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এফবিআইয়ের ডিরেক্টর হিসাবে শপথগ্রহণের সময়ে গীতার উপরে হাত রেখেছিলেন কাশ। ট্রাম্প বলেন, ‘‘কাশকে আমি পছন্দ করি। এই কাজের দায়িত্ব উনি পান, আমি চেয়েছিলাম। তার অন্যতম কারণ হল, এফবিআইয়ের সমস্ত এজেন্ট ওঁকে ভীষণ সম্মান করেন। এই পদের জন্য উনিই সবচেয়ে উপযুক্ত।’’ শপথের অনুষ্ঠানে কাশকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

    গীতা হাতে শপথ

    ৪৪ বছরের কাশের (Kash Patel) শিকড় রয়েছে ভারতে। গুজরাটের আনন্দ জেলার ভদ্রন গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। তাই হিন্দু সংস্কৃতির মতোই গীতা হাতে শপথ নেন কাশ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যাটেলের বান্ধবী এবং পরিবারের সদস্যরা। পথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শেষে মার্কিন জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্যাটেল। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমেরিকানদের স্বপ্নের মধ্যেই বেঁচে আছি। যারা মনে করেন আমেরিকানদের স্বপ্নের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সামনের দিকে তাকিয়ে দেখুন। আমি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্ব দিতে চলেছি। এটি অন্য কোথাও ঘটতে পারত না।’’

  • Narendra Modi: মরিশাসের জাতীয় দিবসে প্রধান অতিথি নরেন্দ্র মোদি, ঘোষণা দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: মরিশাসের জাতীয় দিবসে প্রধান অতিথি নরেন্দ্র মোদি, ঘোষণা দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী (Mauritius Prime Minister) নবীন রামগুলাম গতকাল শুক্রবার নিজের দেশের জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে এক বিশেষ ঘোষণা করেন। সেখানেই তিনি জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সে দেশের ৫৭তম জাতীয় দিবসে (Mauritius National Day) প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির থাকবেন। নিজের দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে রামগুলাম (Mauritius Prime Minister) আরও জানান যে এটা তাঁর দেশের পক্ষে অত্যন্ত সম্মানজনক যে মোদির মতো একজন নেতা তাঁর ব্যস্ততম কর্মসূচি ছেড়েও মরিশাসের জাতীয় দিবসে উপস্থিত থাকবেন। মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নিজের ভাষায়, ‘‘আমার এটা ভাবতেও খুব ভালো লাগছে এবং আমি আমার হাউসকে জানাতে চাই যে আমার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রাজি হয়েছেন জাতীয় দিবসে আসতে।’’ প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ মরিশাসের জাতীয় দিবস।

    কী বললেন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী

    মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী (Mauritius Prime Minister) আরও বলেন, ‘‘প্রকৃতপক্ষে এটা আমাদের দেশের পক্ষে অত্যন্ত সম্মানজনক। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মত একজন বিশ্ব বরেণ্য নেতা আমাদের দেশে উপস্থিত হচ্ছেন। তাঁর সমস্ত রকমের ব্যস্ত কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও। আমরা দেখেছি সম্প্রতি তিনি প্যারিস এবং আমেরিকার সফরে ছিলেন এবং তারপরেও তিনি আমাদের দেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে আসতে রাজি হয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও উন্নত করবে।’’

    গত বছরের নভেম্বরেই ক্ষমতায় ফেরেন রামগুলাম

    প্রসঙ্গত গত বছর মরিশাসের ৫৬তম জাতীয় দিবসে (Mauritius National Day) প্রধান অতিথি হিসেবে সে দেশে হাজির ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ফের একবার মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন রামগুলাম। সে সময় তাঁর জয়ের জন্য রামগুলামকে ব্যাপক অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। নিজের এক্স মাধ্যমের পোস্টে সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘আমি উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছি। আমার বন্ধু রামগুলামের ঐতিহাসিক জয়ের জন্য। আমি তাঁর আগামী দিনের সফলতা কামনা করি। তাঁর নেতৃত্বে মরিশাস এগিয়ে যাবে এবং নতুন উচ্চতা লাভ করবে। এই আশা রাখি। ভারত এবং মরিশাস একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’’ প্রসঙ্গত, মরিশাস ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৬৮ সালে এবং প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯২ সালে।

  • USAID Fund Controversy: ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ উদ্বেগের’, ১৮২ কোটি মার্কিন অনুদান নিয়ে মত মোদি সরকারের

    USAID Fund Controversy: ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ উদ্বেগের’, ১৮২ কোটি মার্কিন অনুদান নিয়ে মত মোদি সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ (USAID Fund Controversy) করেছিল জো বাইডেন প্রশাসন। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। শুক্রবার সেই বিষয় নিয়ে মত প্রকাশ করল নয়াদিল্লি (Modi Govt)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) জানিয়েছে, বিষয়টি উদ্বেগজনক। গোটা বিষয় সংশ্লিষ্ট দফতর খতিয়ে দেখছে বলেও জানান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

    বিদেশমন্ত্রকের অভিমত

    সম্প্রতি, আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর ভারত-সহ একাধিক দেশে বরাদ্দ (USAID Fund Controversy) বাতিলের কথা জানায়। ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন এই দফতর জানায়, ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করতে আমেরিকা যে ১৮২ কোটি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) দিয়েছিল, তা দেওয়া বন্ধ করা হচ্ছে। শুক্রবার এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের (Modi Govt) মুখপাত্র রণধীর বলেন, ‘‘সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসনের তরফে তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে, যা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।’’ তার পরই রণধীর জানান, ভারত সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পুরো বিষয়টি যাচাই না করে জনসমক্ষে মন্তব্য করা অনুচিত বলে মনে করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার কয়েকটি কাজ এবং অর্থ জোগান নিয়ে মার্কিন প্রশাসন যে তথ্য সামনে এনেছে, সেটা আমরা দেখেছি। বিষয়টির গভীরে গিয়ে পরবর্তীকালে আমরা ওই নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারব বলে আশা করছি।”

    কী বলেছিলেন ট্রাম্প

    উল্লেখ্য, ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘ভারতে ভোটাদানের (USAID Fund Controversy) হার বৃদ্ধি করার জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার (খরচ করা হয়েছে)! ভারতের ভোটদানের হার নিয়ে আমাদের এত মাথাব্যথা কীসের? আমাদের যথেষ্ট সমস্যা আছে। আমরা আমাদের ভোটাদানের হার বাড়াতে চাই।’ এরপরই ভারতে ভোটারদের ভোটমুখী করতে যে অনুদান দেওয়া হয়েছিল, তা বন্ধের কথা জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাঁর দাবি, “আমার মনে হয়, কাউকে জেতানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা বিষয়টি ভারত সরকারকে জানিয়েছি।” ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী কেন বৈদেশিক সহায়তা চাইছিলেন।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘ওটা অমৃতকুম্ভ, মমতা যা বলেছেন তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে’’, পুণ্যস্নান সেরেই তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘ওটা অমৃতকুম্ভ, মমতা যা বলেছেন তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে’’, পুণ্যস্নান সেরেই তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শুক্রবারই মহাকুম্ভে স্নান করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরপরে ফের একবার তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। তিনি বলেন, ‘‘ওটা অমৃতকুম্ভ, মমতা (Mamata Banerjee) যা বলেছেন তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে।’’ নিজের সমাজমাধ্যমে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘১৪৪ বছর পরে মাহেন্দ্রক্ষণে আসা এই পূর্ণ মহাকুম্ভের মাহাত্ম্য সুবিশাল। মহাকুম্ভ শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার এক মহামিলন হল এই মহাকুম্ভ, যা জ্ঞান ও আধ্যাত্মিক চেতনার দ্বারকে উন্মুক্ত করে দেয়।’’ শুক্রবার পুণ্যস্নান করে শুভেন্দু এক্স মাধ্যমে লেখেন, ‘‘মা গঙ্গাকে ধন্যবাদ জানাব কারণ তাঁর আশীর্বাদেই আমি মহাকুম্ভে আসতে পারলাম। এরপর নিজের জীবদ্দশায় আর কোনও দিন মহাকুম্ভ চোখে দেখতে পারব না। এটা একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা।’’

    প্রধানমন্ত্রী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান শুভেন্দু

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও লেখেন, ‘‘আমি যশস্বী প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিজি, উত্তর প্রদেশের যশস্বী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ জি ও উত্তর প্রদেশের প্রশাসনকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সুন্দর, সু’ব্যবস্থার জন্য। মানবতা ও আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন এই পবিত্র মহাকুম্ভের সাক্ষী থাকতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।’’ সম্প্রতি ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, কুম্ভের জল অতিরিক্ত দূষিত। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছিলেন, সেই জল শুধু স্নান নয়, খাওয়ারও যোগ্য। শুভেন্দুকেও সেই জল পান করতে দেখা যায়।

    রাজ্যপালের মন্তব্যও উল্লেখ করেন শুভেন্দু

    রাজ্যপালের মন্তব্যের রেশ টেনে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মন্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল নিজে বলেছেন মৃত্যুঞ্জয় মহাকুম্ভ। মানে মৃত্যুকে জয় করা যেতে পারে এই কুম্ভ থেকে। এটা আমাদের মতো সনাতনীদের আস্থা। আর উনি বলছেন মৃত্যুকম্ভ। তাই আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। সনাতন সমাজ যতদিন থাকবে ততদিন প্রতিবাদ চলবে।’’

    ১০০ কোটির বেশি হিন্দুরা আঘাত পেয়েছেন মমতার মন্তব্যে

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মহাকুম্ভকে ‘অমৃতকুম্ভ’ বলে অভিহিত করেন। বলেন, ‘‘এটা অমৃতকুম্ভ। মুখ্যমন্ত্রীর দলের কতজন গিয়েছেন। কিছুজন ছবি ছেড়েছেন, কিছুজন ছাড়েননি। মুখ্যমন্ত্রী জানেন না, তাঁরা পাড়া-প্রতিবেশী সকলে গিয়ে কুম্ভতে স্নান করে এসেছেন।’’ এই প্রেক্ষিতেই শুভেন্দুর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে মন্তব্য করেছেন তাতে ১০০ কোটির বেশি হিন্দুরা আঘাত পেয়েছেন। ভারতের ইতিহাস, শাস্ত্র, সংস্কৃতিকে আঘাত করেছেন তিনি।’’

    মমতার মন্তব্য ক্ষমাহীন (Mamata Banerjee)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) কথায়, ‘‘মমতা যে মন্তব্য করেছেন তা ক্ষমাহীন অপরাধ। এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যে নানা আলোচনা হচ্ছে, তাও পাত্তা দেননি শুভেন্দু। বরং তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ৬০ কোটি হিন্দু স্নান করেছেন, আরও ৫ কোটি ওখানে রয়েছে। অভূতপূর্ব ব্যবস্থাপনা রয়েছে প্রয়াগরাজে।’’ শুক্রবার কুম্ভে পুণ্যস্নান সেরে সেদিনই কলকাতায় ফিরেছেন শুভেন্দু।

LinkedIn
Share