Tag: Madhyom

Madhyom

  • Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান

    Kaliaganj: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল গোটা রাজ্য তথা দেশ। গত শুক্রবার কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) সাহেবঘাটা সংলগ্ন পালোইবাড়ি এলাকায় একটি পুকুরের পাশে উদ্ধার হয় দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর দেহ। মৃতার বয়স ১৭ বছর। নৃশংস এই ঘটনার খবর চাউর হতে আলোড়ন পড়ে যায়। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে কালিয়াগঞ্জে (Kaliaganj) দ্রুত পৌঁছন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো। তার পরপরই আসেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কী বললেন জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান?

    সোমবার দিল্লি যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর মৃতার পরিবারের সঙ্গেই দেখা করেছি। সকলের সঙ্গে কথা বলে এবং সবকিছু দেখে মনে হয়েছে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। কেননা নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে না। ঘটনার পর থেকে পুলিশের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়। আমরা দিল্লি থেকে ছুটে এসেছি। লিখিতভাবে জানানোর পরও প্রোটোকল অনুযায়ী আইজি, জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় এই ঘটনার যে তদন্তকারী অফিসার তাঁকেও পাওয়া যায়নি। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তা আড়াল করার চেষ্টা চলছে।

    সিবিআই তদন্তের কেন দাবি জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান?

    জাতীয় তফশিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, দিল্লিতে ফিরে গিয়ে গোটা বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেই রিপোর্ট জমা দেব। তবে আমরা ইতিমধ্যেই নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অবিলম্বে কালিয়াগঞ্জ (Kaliaganj) থানার আইসি এবং উত্তর দিনাজপুর জেলার এসপিকে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছি। এঁদের রেখে তদন্ত করলে সেই তদন্ত নিরপেক্ষ হবে না। এরপরেও যদি দেখা যায় যে তদন্তের নামে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে, তাহলে আমরা সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করব।

    রাজ্য সরকারের কাছে কী আবেদন জানালেন কমিশনের চেয়ারম্যান?

    কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পিছনে রয়েছে এরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা সত্য বা প্রকৃত ঘটনা ও অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা। একথা জানিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার আরও বলেন, এরপরেও যদি এই ঘটনাকে আড়াল করা হয় তাহলে তার খারাপ পরিণতি হবে। কেননা এধরনের ঘটনায় বারবার অপরাধীদের আড়াল করার জন্যই অপরাধীরা সাহসী হয়ে উঠছে। ফলে একের পর এক এধরনের ঘটনা ঘটছে। তাই রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, এ ধরনের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে উপযুক্ত শাস্তি দিন। অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা করবেন না। এতে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। নিজেদের পরিবারেও এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) কতজন এএসআই-কে সাসপেন্ড করা হল?

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে (Kaliaganj) চারজন এএসআই-কে সাসপেন্ড করা হল। সোমবার একথা জানান রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আখতার। তিনি বলেন, ঘটনার পরই আমরা বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছিলাম। প্রাথমিক সেই রিপোর্ট আসার পরই আমরা চারজনকে সাসপেন্ড করেছি। জানা গিয়েছে, ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের পর তার মৃতদেহটি অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে বিজেপি-র আইটি সেলের মুখপাত্র অমিত মালব্য টুইটও করেছিলেন। রাজ্য জুড়ে ওই ঘটনার কড়া সমালোচনা হয়েছিল। এরপরই চারজনের সাসপেন্ডের ঘটনা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। পুলিশ সুপার আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী বিষক্রিয়ার জেরে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না দেওয়ার যে অভিযোগ মৃতার পরিবার ও জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের তরফ থেকে করা হয়েছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপারের বক্তব্য, পুলিশের কাছে লিখিত আবেদন করলে আইন অনুযায়ী যে নিয়মে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হয় সেভাবে রিপোর্ট তুলে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water Crisis: বুদবুদের আদিবাসী গ্রামে জলসঙ্কট চরমে, কলসি, হাঁড়ি নিয়ে বিক্ষোভ মহিলাদের

    Drinking Water Crisis: বুদবুদের আদিবাসী গ্রামে জলসঙ্কট চরমে, কলসি, হাঁড়ি নিয়ে বিক্ষোভ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধ করে সাবমার্শিবল বসিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু তা খারাপ হতেই মেশিন উধাও। বছর ঘুরলেও সেটি সারানো হয়নি। প্রশাসনের দরজায় ঘুরে জুতোর শুকতলা খুইয়েছেন বাসিন্দারা। নানাভাবে আবেদন-নিবেদন জানিয়েও সুরাহা হয়নি। বিকল্প পানীয় জলের সংস্থান বিশ বাঁও জলে। তাই জলকষ্টে (Drinking Water Crisis) নাকাল গ্রামবাসীরা। এমনই চিত্র বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েতের লবণধারা আদিবাসী গ্রামে। চরম বঞ্চনায় ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল। পানীয় জলের দাবিতে কলসি, বালতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুব্ধ মহিলারা। ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়াল বুদবুদের দেবশালা পঞ্চায়েতে। 

    বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা করুক পঞ্চায়েত, দাবি গ্রামবাসীদের

    জঙ্গলমহল অধ্যুষিত গ্রামটিতে প্রায় ৫০ টি পরিবারের বসবাস। সকলে দিনমজুর। গ্রামে পানীয় জলের কষ্ট (Drinking Water Crisis) দীর্ঘদিনের। জলসঙ্কট মেটাতে বছরখানেক আগে ঘটা করে সাবমার্শিবল বসিয়েছিল স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। মাস কয়েক ভালই চলেছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর আচমকাই সাবমার্শিবলটি খারাপ হয়ে যায়। আর তাতেই আবার জলকষ্ট শুরু হয় গ্রামে। এককথায় পানীয় জলের হাহাকার দেখা দেয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে আশপাশের পুকুরের জল ব্যবহার করলেও, গরমের শুরুতে সেসব শুকিয়ে পড়েছে। ফলে চরম জলসঙ্কট নেমে আসে। পার্শ্ববর্তী এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নিয়ম করে সারাদিনে দুবার পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। গ্রামের বুধিন টুডু, মুনিষ হাঁসদা প্রমুখ মহিলারা জানান, “ভোটের সময় নেতারা আসে। ভোট মিটলেই আর দেখে না। আমাদের সমস্যা কেউ শোনে না। বহুবার পঞ্চায়েতে দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের নতুন করে কোনও ব্যবস্থা হয়নি। গরমে দূর থেকে জল আনতে হয়।” সোমবার গ্রামের মহিলাদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলারা। এদিন কলসি, হাঁড়ি, বালতি নিয়ে গ্রাম থেকে মিছিল বের করেন তাঁরা। তারপর স্থানীয় পঞ্চায়েতে পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ক্ষুব্ধ মহিলারা জানান, “গরমে জলকষ্টে নাজেহাল। বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা করুক পঞ্চায়েত।”

    ধিক্কার জানাই, বললেন বিজেপি নেতা

    প্রশ্ন, জলসঙ্কট মেটাতে রাজ্য সরকার জলস্বপ্ন ও কেন্দ্র জলজীবন প্রকল্পের ওপর জোর দিয়েছে। নলবাহিত পানীয় জল পরিষেবা সময় সাপেক্ষ। তবে বছর ঘুরলেও, গ্রামে বিকল্প পানীয় জলের ব্যবস্থা হল না কেন? প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিক স্থানীয় বোলপুর লোকসভার বিজেপি কর্মী সৌমেন পাত্র বলেন, “তৃণমূল সরকার আদিবাসীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ঘটা করে পানীয় জলের সাবমার্শিবল বসিয়ে বাহবা কুড়িয়েছিল। আবার খারাপ হতে আস্ত মেশিনটা সারানোর নামে তুলে নিয়ে চলে এসেছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৃণমূলের ভাইপো নবজাগরণ যাত্রায় নেমেছে। আর এদিকে রাজ্যের মানুষ কষ্টে (Drinking Water Crisis) ভুগছে। কেন্দ্রের দেওয়া জলজীবন প্রকল্পের রাশি রাশি টাকা পানীয় জলের সমস্যা সমাধানে সঠিক ব্যবহার করেনি। তাই এরকম একটা অকর্মণ্য রাজ্য সরকারকে ধিক্কার জানাই। তীব্র প্রতিবাদ জানাই। তৃণমূল পরিচালিত দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সি জানান, “ওই এলাকায় সৌর বিদ্যুতের পাম্প বসানোর চিন্তাভাবনা নেওয়া হয়েছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water: চেয়েছিলেন জল, মিলল তৃণমূল নেতার অকথ্য ভাষায় হুমকি? ভাইরাল অডিও ক্লিপ

    Drinking Water: চেয়েছিলেন জল, মিলল তৃণমূল নেতার অকথ্য ভাষায় হুমকি? ভাইরাল অডিও ক্লিপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর দোষ, পানীয় জলের (Drinking Water) পরিষেবা না পেয়ে অভিযোগ করেছিলেন। আর তার জেরেই অভিযোগকারী ওই উপভোক্তাকে অকথ্য ভাষায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু নানুরের বাসাপাড়া। সেখানে একটি ওয়াটার এটিএম পরিষেবা চালু করা হয়েছে। যেখানে টাকার বিনিময়ে জল মেলে৷ কিন্তু টাকা দিয়েও পর্যাপ্ত জল মিলছে না বলে অভিযোগ করেন এক বাসিন্দা। এরপরেই বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান অভিযোগকারীকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় হুমকি দেন এবং গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বলে অভিযোগ।

    পানীয় জল নিয়ে মূল সমস্যা কী?

    নানুর ব্লকের বাসাপাড়ায় বছর দুই আগে সরকারি টাকায় তৈরি হয়েছে ওই ওয়াটার এটিএম। এটি আধুনিক মানের, যা সাধারণত থাকে এয়ারপোর্ট, মডেল রেল স্টেশন বা মেট্রো স্টেশনগুলিতে। এই ওয়াটার এটিএম থেকে ২ টাকার বিনিময়ে মেলে ২ লিটার পরিশ্রুত পানীয় জল (Drinking Water)৷ কিন্তু অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে এই পরিষেবা ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছিল না৷ ২ টাকা দিলে এই ওয়াটার এটিএম থেকে অল্প জল বের হচ্ছিল৷ যিনি এই ওয়াটার এটিএমের দায়িত্বে ছিলেন, সেই ব্যক্তিকে ফোন করে অভিযোগ করেন সুশান ভৌমিক নামে এক ব্যক্তি৷ তাঁর বাড়ি নানুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে৷ কিন্তু ওই ব্যক্তি জানিয়ে দেন, তিনি সেটির দায়িত্বে নেই।  

    কার ফোন থেকে কী হুমকি দেওয়া হলো?

    সুশান ভৌমিকের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, জল (Drinking Water) পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এক ব্যক্তির ফোন থেকে ফোন আসে৷ ফোনে কথা বলেন বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা নানুরের তৃণমূল নেতা আব্দুল কেরিম খান। এই কথোপকথনের একটি অডিও প্রকাশ্যে এসেছে (যার সত্যতা ‘মাধ্যম’ যাচাই করেনি)। এই অডিও ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, অভিযোগকারী ব্যক্তিকে অকথ্য ভাষায় হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা আব্দুল কেরিম খান। শুধু হুমকি নয়, পুলিশকে দিয়ে তুলে এনে মারধর করার হুমকিও দিতে শোনা যাচ্ছে৷ 

    কে এই তৃণমূল নেতা?

    প্রসঙ্গত, পানীয় জল (Drinking Water) নিয়ে হুমকি দেওয়া ওই নেতা বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ। এই নেতা গরু পাচার মামলায় ইডি ও সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁর নানুরের বাড়িতে হানা দিয়ে দীর্ঘ তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এমনকী, তাঁকে কলকাতার নিজাম প্যালেস ও দিল্লিতে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Women Health: মাল্টিভিটামিনের অভাবে ভুগছেন প্রতি ১০ জন মহিলার ৭ জনই! কীভাবে রুখবেন? 

    Women Health: মাল্টিভিটামিনের অভাবে ভুগছেন প্রতি ১০ জন মহিলার ৭ জনই! কীভাবে রুখবেন? 

     

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারতে প্রতি দশজন মহিলার মধ্যে সাতজন মাল্টিভিটামিনের অভাবে ভুগছেন। সম্প্রতি চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থা দেশজুড়ে সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য পেয়েছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি দশজন মহিলার মধ্যে সাতজন মাল্টিভিটামিনের অভাবে ভুগছেন (Women Health)। বিশেষত ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি ৯ (ফলিক অ্যাসিড)-এর অভাব বেশি দেখা যাচ্ছে। আর ভিটামিনের অভাবের জেরেই ত্বকের সমস্যা, চুল পড়া, হাড়ের রোগ এমনকী ক্যানসার বা অ্যালঝাইমারের মতো সমস্যাও হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে নজর না দিলে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। 

    কী বলছে সমীক্ষা রিপোর্ট? 

    ওই বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট বলেছে, গোটা দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ ভিটামিন স্বল্পতায় ভুগছেন (Women Health)। মহিলাদের মধ্যে ভিটামিনের অভাব আরও বেশি। বিশেষত ২০-৪৫ বছর মহিলাদের মধ্যে ভিটামিন ডি ও ফলিক অ্যাসিডের অভাব অত্যন্ত বেশি। কম বয়স থেকেই ভিটামিনের অভাব সমস্যা তৈরি করছে। অনেকেই তিরিশের চৌকাঠ পেরিয়ে হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন। পেশিতে টান, ঠিকমতো বসতে না পারা, কিছুক্ষণ হাঁটলেই পায়ে যন্ত্রণার মতো নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। 

    চিকিৎসকদের আশঙ্কা কোথায়? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, মাল্টিভিটামিনের অভাব দেহে নানা জটিল রোগ তৈরি করতে পারে। অস্ট্রিয় পোরেসিসের মতো হাড়ক্ষয়ের রোগ হতে পারে। যার জেরে হাঁটাচলার শক্তি হারাতে পারেন। এমনকী ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় ভিটামিনের ঘাটতি (Women Health)। তবে, প্রৌঢ়কালে অ্যালঝাইমারের মতো স্মৃতিশক্তি হারানোর ঝুঁকি বাড়ে অনেকখানি! তাই প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 

    কীভাবে রাখবেন নিজের খেয়াল? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন বদলে দিতে পারে পরিস্থিতি (Women Health)। নিজের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনে বাড়তি নজর অনেক বিপদ আটকে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাবারে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। সকালের জলখাবারে ব্রকোলি, গাজরের মতো সব্জি থাকুক। পাউরুটি কিংবা রুটির সঙ্গে ব্রকোলি, গাজর, বিনসের মতো সব্জির তরকারি খাওয়া দরকার। এসব সব্জি ভিটামিনে সমৃদ্ধ। বিশেষত ব্রকোলিতে আছে ভিটামিন বি। নিয়মিত কলা, পেয়ারা, আপেল, লেবু খাওয়া দরকার। লেবু, আপেল ও কলা যেমন ভিটামিন সমৃদ্ধ, তেমনি ক্যালসিয়াম ও আয়রনও প্রচুর। দিনে এগুলির মধ্যে যে কোনও একটি ফল অবশ্যই খেতে হবে। তাছাড়া, মটরশুঁটি, রাজমা, ডালের মতো দানাশস্য নিয়মিত খাওয়া জরুরি। দানাশস্য ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে। নিয়মিত দুধ খেতে হবে। দুধে থাকে ক্যালসিয়াম, যা হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমায়। ডিম কিংবা পনিরের মতো খাবারকেও নিয়মিত মেনুতে রাখতে হবে। তবে খাবারের পাশপাশি নজর দিতে হবে যোগাভ্যাসে। নিয়ম করে দিনে তিরিশ মিনিট হাঁটতে হবে। কিছুটা সময় যোগাভ্যাসে বরাদ্দ করতে হবে। তবেই সুস্থ জীবন সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NCPCR: কেন্দ্রীয় কর্তার হুমকির পরই সুর নরম, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য

    NCPCR: কেন্দ্রীয় কর্তার হুমকির পরই সুর নরম, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক হুমকিতেই সুর নরম হয়ে গেল জেলা প্রশাসনের। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ (Rape) করে খুনের ঘটনায় রবিবারই অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের (NCPCR) চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। কেন্দ্রীয় আধিকারিক ক্ষোভ দেখানোর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর অবশেষে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের সঙ্গে বৈঠক করলেন জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকেরা। সোমবার সকালে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় সার্কিট হাউসে যান মহকুমাশাসক কিংশুক মাইতি, অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) মানস মণ্ডল, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ভাস্করজ্যোতি দেবনাথ। পরবর্তীতে এসে পৌঁছান এই মামলার তদন্তকারী অফিসার রিগদেন সেরিং লেপচা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের (NCPCR)  চেয়ারপার্সন।

    জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর কী বললেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের (NCPCR)  চেয়ারপার্সন?

    রবিবার দিনভর একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়ান জাতীয় সুরক্ষা কমিশন (NCPCR) এবং রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের কর্তারা। যার জেরে রবিবার কোনও বৈঠকও হয়নি। যদিও রবিবার রাতে পুনরায় বৈঠক স্থির করার প্রস্তাব দেয় জেলা প্রশাসন। সেই মতো সোমবার সকালে এই বৈঠক বসে। বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের (NCPCR) চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। তিনি বলেন, ছাত্রীর ধর্ষণের (Rape) ঘটনার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আমাদের দেওয়া হয়নি। তিনজন চিকিত্সক ময়না তদন্ত করেছিলেন। কিন্তু, আমার সঙ্গে একজন চিকিত্সক দেখা করেছেন। বাকিদের ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিকের রবিবার সার্কিট হাউসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, একজন এডিএম তাঁকে যেতে দেননি। এই তদন্তে আমাদের কোনওরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না। যারজন্য একটি বৈঠক করার জন্য আমাদের ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।

    কী বললেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের আধিকারিকেরা?

    কালিয়াগঞ্জকাণ্ড নিয়ে জাতীয় ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের মধ্যে সংঘাত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। শনিবার থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ ও পাল্টা ক্ষোভ উগরে দিয়েছে উভয় পক্ষই। সোমবারও একই ঘটনা সামনে এসেছে। এদিন সকালে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সনের সাংবাদিক বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় এবং অপর প্রতিনিধি অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। তাঁরা বলেন, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে (NCPCR) পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। সোমবারের বৈঠকে পুরো ঘটনা সবিস্তারে বলা হয়েছে। কিন্তু, জাতীয় কমিশন তা মানতে নারাজ বলে অভিযোগ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর কথা উল্লেখ থাকলেও জাতীয় কমিশন (NCPCR) তা না মেনে মনগড়া কথা বলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: আজ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা! বুধবার থেকে ফের চড়বে পারদ

    Weather Report: আজ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা! বুধবার থেকে ফের চড়বে পারদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি (Weather Report)। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামিকাল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে আগামিকাল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিরও সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর সঙ্গে, ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বুধবার থেকে ফের বাড়বে তাপমাত্রা (Weather Report)। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে। সোমবার দমকা ঝোড়ো হাওয়া ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে এবং মঙ্গলবারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে বইতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। দক্ষিণবঙ্গে আজ অর্থাৎ আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝড়, বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। দু’ এক জায়গায় কালবৈশাখীর মতো পরিস্থিতি হতে পারে। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে বলে অনুমান আবহবিদদের। বুধবারও হালকা বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলাতে। গত কয়েকদিনে তাপপ্রবাহের জেরে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল রাজ্যবাসীর। বেলা দশটার পরে রাস্তায় বেরোনো দায় হয়ে পড়েছিল। রাজ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বেশ কয়েকজন। তীব্র দাবদাহে রাজ্য সরকার স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করে সাতদিন। এরপর পরই নামে স্বস্তির বৃষ্টি। তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটাই কমে যায়।

    রাজ্য জুড়ে তাপমাত্রা কেমন থাকবে (Weather Report) !

    এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। শনিবার যা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিন দিনে দিনের তাপমাত্রা সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরের দুদিন তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির সম্ভাবনা। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আজ রাজ্য জুড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলের যুব কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ার! প্রশ্ন তুলতেই বিজেপি নেতাকে হুমকি থানার আইসি-র

    BJP: তৃণমূলের যুব কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ার! প্রশ্ন তুলতেই বিজেপি নেতাকে হুমকি থানার আইসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ আসলে শাসকের দলদাস! বিরোধীদের এই অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিল খোদ তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব! এগরায় যুব তৃণমূলের ব্লক কমিটিতে উঠে এল সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে যুব তৃণমূলের ওই তালিকা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলায়। এগরা-২ এর বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি দেবকুমার পণ্ডাকে এগরা থানার পুলিশ আধিকারিক ফোনে ধমক ও গ্রেফতার করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর সেই ফোনালাপের অডিও ( ফোনালাপের অডিও যাচাই করেনি মাধ্যম) ভাইরাল হতেই বিতর্ক আরও জোরালো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-২ ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যুব তৃণমূলের সভাপতি স্বপন পাত্র ১৭ জনের কমিটির নাম প্রকাশ করেন। তাতেই ১৬ নম্বরে রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন গিরির নাম। তারপরেই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যদিও বিষয়টি জানতে বিজেপি-র (BJP) মণ্ডল সভাপতি দেবকুমার পণ্ডা এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলেন। ফোনে আইসি বলেন,আপনি কি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন? ভবিষ্যতে আপনি সতর্ক থাকবেন। বক্তব্য থাকলে থানায় এসে বলবেন। আপনি আপনার মতো রাজনীতি করুন, এইভাবে প্রশ্ন করতে পারেন না। পরবর্তী দিনে কোনও ফল্ট পেলে আপনাকে গ্রেফতার করে নেব তিনি হুমকি দেন।

    যুব তৃণমূল কমিটিতে নাম নিয়ে কী বললেন সিভিক ভলান্টিয়ার?

    যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কমিটিতে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন গিরির দাবি, ‘‘বিষয়টি আমারও জানা ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই দেখলাম, আমার নাম ও মোবাইল নম্বর রয়েছে। আমার নাম দলীয় কমিটিতে রাখার কোনও প্রশ্নই নেই। সেই নাম বাতিল করা হয়েছে বলে শুনেছি।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে এগরা-২ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি স্বপন পাত্রের সাফাই, ‘‘যুব তৃণমূল কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। আসলে বুথ কমিটি থেকে নাম এসেছিল, সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পরে ভুল বুঝতে পেরে আমরা শুধরে নিচ্ছি৷ ’’পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, প্রশাসনের কাজ নিরপেক্ষভাবে হওয়া দরকার। পুলিশকে নিরপেক্ষ হতে হবে। কর্মরত অবস্থায় সক্রিয় রাজনীতি করা উচিত নয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এমন পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের বড় প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বিজেপি-র (BJP) কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তন্ময় হাজরা বলেন, “রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে। সিভিক ভলান্টিয়ার আসলে যে তৃণমূলেরই ক্যাডার, সেটা এঘটনা থেকে স্পষ্ট। এদেরকে দিয়েই পঞ্চায়েতে ভোটের নামে প্রহসনের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। বিজেপির রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “নিন্দনীয় কাজ। আমরা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এগরা থানার আইসি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বাংলায় নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে, নাম না করে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বাংলায় নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে, নাম না করে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের পর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হয়েছে। তাপস সাহাকে সিবিআই জেরা করেছে। যদিও সিবিআই ফিরে যাওয়ার পর তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে ভুরি ভোজের আয়োজন করা হয়। এই প্রসঙ্গে রবিবার শ্রীরামপুর দলীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কাজে যোগ দিতে এসে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দুর্নীতিতে শুধু তাপস সাহাই নয় তৃণমূলের এমন কোনও বিধায়ক নেই যে নিজের প্যাডে লিখে চাকরির জন্য সুপারিশ করেননি। আজ না হয় কাল সেই চিঠি সিবিআইয়ের হাতে পৌঁছাবে। সমস্ত চিঠি নিয়ে ১৪ তলায় একটি কম্পিউটারে কমপাইলেশন করা হয়েছিল। আমরা সেই নামটাও জানি। রাজনীতির যারা খবর রাখেন, তাঁরাও সেই নামটা জানেন। এই মাথারাও ধরা পড়বে। আর সিবিআই চলে যাওয়ার পর তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার মাংস ভাত খাওয়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাগল বলি হওয়ার আগে প্রচুর শাকপাতা খায়। এ যাত্রায় বেঁচে গেলেও পরের যাত্রায় বাঁচবেন কিনা গ্যারান্টি নেই। সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে, এই বুঝি সিবিআই খপাৎ করে ধরল। এই ভয়ে ভয়ে থাকুন কিছুদিন।

     অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রাকে কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রবিবার শ্রীরামপুর দলীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে, উত্তরপাড়া পার্টি অফিসেও তিনি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অভিষেকের আগামী জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, নজর ঘোরানো তো বটেই, তার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হয়, বাংলার জনগণকে তিনি চেনেনও না, জানেনও না। প্যারাসুট নিয়ে নেমেছেন। বাংলার মাটি কি, কোনওদিন দেখেননি। গ্রামেও যাননি, এখন যাচ্ছেন। এই জনসংযোগ যাত্রায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাস ভাড়া হবে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্যান্ডেল হবে, তাঁবু হবে। ফাইভ স্টার তাঁবু হবে। তাঁর এইসব কর্মকান্ড দেখে লিবিয়ার বেদুইন নেতা মহম্মদ গদ্দাফির কথা মনে পড়ছে। গদ্দাফি একসময় এরকম তাঁবু করে গ্রামে গঞ্জে থাকতেন। কারণ, তিনি হোটেলে থাকতে পারতেন না, যেহেতু বেদুইন ছিলেন। যাক নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে বাংলায়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Child Abduction: নিঃসন্তান মেয়ের সংসার বাঁচাতেই হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি! কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    Child Abduction: নিঃসন্তান মেয়ের সংসার বাঁচাতেই হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি! কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপত্য স্নেহের মর্মান্তিক পরিণতি! ঘটনার গভীরে ঢুকলে মনে হবে, সত্যি, এও সম্ভব? গত বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক সদ্যোজাত শিশু চুরি (Child Abduction) হয়ে যায়। শনিবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার বিহার লাগোয়া বলরামপুর গ্রাম থেকে সেই শিশুকে উদ্ধার করে আনে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। শিশুচুরিতে মূল অভিযুক্ত সীতা দাস ও তার মেয়ে অঞ্জু দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ধরার পরই বেরিয়ে আসে সেই ঘটনা, যা একাধারে মর্মন্তুদও।

    কেন এবং কীভাবে এই চুরি? 

    পুলিশ জানতে পেরেছে, অঞ্জু দাসের প্রায় ১০ বছর বিয়ে হলেও কোনও সন্তান হয়নি। ফলে সংসার ভেঙে গেছে। সন্তান হলেই সংসার জোড়া লাগবে, এই ভাবনায় সীতাদেবী মেয়ের কোলে একটি সন্তান দেওয়ার জন্য অনেকদিন ধরে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। ডাক্তার, ওঝা, মন্দির, মাজার কোনও কিছুই বাকি রাখেননি। একে একে সব চেষ্টা ব্যর্থ হতেই তিনি ঠিক করেন, এবার কোনও হাসপাতাল থেকে শিশু তুলে (Child Abduction) আনা ছাড়া কোনও পথ নেই। সেইমতো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে তিনি কয়েকদিন ঘোরাঘুরি করে সবকিছু খতিয়ে দেখেন। কোথায় নিরাপত্তার গাফিলতি রয়েছে, কোন সময় কিভাবে শিশু তুলে নিয়ে পালিয়ে গেলে ধরা পড়তে হবে না, সবকিছু যাচাই করে তিনি গত বৃহস্পতিবার অপারেশনে নামেন। গ্রামে বলে এসেছিলেন, ইঞ্জেকশন (পড়ুন আইভিএফ) দিয়ে তার মেয়ের বাচ্চা হবে।  

    বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মেয়েকে নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে যান। বেলা বারোটা নাগাদ প্রসূতি ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন। শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি ব্লকের বাতাসির গৃহবধূ রঞ্জিতা সিংহের বেডের কাছে গিয়ে গল্প জমান। সেই সময় রঞ্জিতাকে তার মা খাইয়ে দিচ্ছিলেন। হঠাৎই কেঁদে ওঠে রঞ্জিতার সদ্যোজাত পুত্রসন্তান। এটাই সুযোগ। সীতাদেবী রঞ্জিতাকে বলেন, বাচ্চাকে দাও, বাইরে থেকে ঘুরিয়ে শান্ত করে আনি। এই বলেই শিশু নিয়ে বাইরে বেরিয়ে যান সীতাদেবী। তারপর তার কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। 

    কীভাবে উদ্ধার হল শিশু?

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডের সিসিটিভিগুলি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে না। ফলে ফুটেজ দেখে অপরাধীকে শনাক্ত করার সুযোগ ছিল না। অন্ধকারে হাতড়ে ২৪ ঘণ্টা কেটে যায়। হঠাৎই শুক্রবার হাসপাতালের সিক নিওন্যাটাল কেয়ার ইউনিটের (এসএনসিইউ) এক নার্স তাঁদের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ঘাঁটতে গিয়ে দেখেন, এক মহিলা শিশু কোলে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে (Child Abduction)। তার সামনে সামনে নাইটি পরা কমবয়সী এক মহিলা যাচ্ছে। সীতাদেবী তাঁর মেয়েকে সদ্যোজাত সন্তানের মা সাজানোর জন্য নাইটি পরিয়ে হাতে ব্যাগ ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যাগটি ছোট ও হালকা হওয়ায় নার্সের সন্দেহ হয়। সন্তান জন্মের পর হাসপাতাল থেকে যাওয়ার সময় সাধারণত এত ছোট এবং হালকা ব্যাগ থাকে না। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান। 
     
    সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শুরু তদন্ত

    শুক্রবার রাত তিনটে নাগাদ মেডিক্যাল কলেজ ফাঁড়ির ওসি সুদীপ দত্ত এবং মাটিগাড়া থানার আইসি সমীর দেওসা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সেই অংশটি (Child Abduction) রেকর্ড করেন। শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসিপি শুভেন্দ্র কুমার রবিবার বলেন, দুই মহিলাকে খুঁজতে এরপর শহরের বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, একাধিকবার গাড়ি পালটে ওই দুই মহিলা চোপড়ার বাসে উঠেছে। সেইমতো শিলিগুড়ি থেকে পুলিসের একটি তদন্তকারী দল চোপড়া পৌঁছে যায়।  

    আশার আলো জ্বাললেন আশাকর্মীরা

    কিন্তু চোপড়ার কোথায় রয়েছে সেই শিশু, কীভাবে তা জানা যাবে? চোপড়া থানায় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর সেখানকার আশাকর্মীদের সাহায্য নেওয়া হয়। কেননা তাঁরাই প্রতিটি এলাকার খোঁজ রাখেন, কোন বাড়িতে বাচ্চা হয়েছে। সেইমতো আশাকর্মীদের কাছ থেকে খবর আসে, বলরামপুর গ্রামের একটি বাড়িতে দু’দিন হল সদ্যোজাত শিশু এসেছে। সেই বাড়িতে দুই মহিলা থাকেন। শনিবার দুপুরের আগেই পুলিশ পৌঁছে যায় চোপড়ার বলরামপুর গ্রামে। শিশুসহ ধরা পড়েন অঞ্জু দাস। তাঁর মা বাড়িতে ছিলেন না। অঞ্জু দাস ও তাঁর দুই ভাই সহ চুরি (Child Abduction) যাওয়া শিশু নিয়ে শিলিগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁরা পৌঁছন। স্বস্তি ফেরে সব মহলে। মূল অভিযুক্ত সীতাদেবীকে শনিবার শেষ রাতে ওই গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে রবিবার সকালে শিলিগুড়িতে আনা হয়।

    সন্তান ফিরে পেয়ে খুশি রঞ্জিতা ও তাঁর পরিবার

    শনিবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এসএনসিইউ-তে  নিজের পূত্রসন্তানকে কোলে তুলে নিয়ে আনন্দের কান্নায় ভাসেন রঞ্জিতা ও তাঁর স্বামী নিত্যানন্দ সিংহ। কিন্তু এই শিশুই যে রঞ্জিতার চুরি (Child Abduction) যাওয়া সেই শিশু, তার প্রমাণ কী?  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক এবং পুলিশ বলেন, যে কাপড় দিয়ে শিশুকে জড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই কাপড় সহ আমরা শিশুকে উদ্ধার করে এনেছি। যাদের ধরা হয়েছে, তারাও স্বীকার করেছে এই শিশুকে তারা এখান থেকে চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল। উপযুক্ত প্রমাণ থাকার কারণেই ডিএনএ পরীক্ষা করার কোনও প্রয়োজন নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: তন্ত্রসাধনায় নিজের ভাইঝিকে নরবলি দেওয়ার চেষ্টা! তারাপীঠে গ্রেফতার মহিলা সন্ন্যাসী

    Tarapith: তন্ত্রসাধনায় নিজের ভাইঝিকে নরবলি দেওয়ার চেষ্টা! তারাপীঠে গ্রেফতার মহিলা সন্ন্যাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোমহর্ষক ঘটনা। এ যেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। তন্ত্রসাধনার জন্য কাউকে ধরে নিয়ে এসে বলিকাঠে চড়ানো হচ্ছে, এমন হাড়হিম করা দৃশ্য বহু সিনেমাতেই দেখা যায়। কিন্তু তা বলে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য নিজেরই ভাইঝিকে কেউ ধরে নিয়ে যেতে পারে, এ যেন কল্পনার অতীত। কিন্তু বাস্তবে তেমনটাই ঘটেছে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। তন্ত্রসাধনায় নরবলি দেওয়ার আগেই তারাপীঠ (Tarapith) থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্ন্যাসী মহিলাকে। আর তারপরই পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ওই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বোলপুর থানা এবং বীরভূম জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের জালে সন্ন্যাসী মহিলা রেখা সরকার। ঘটনার গভীরে ঢুকতে বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত। 

    কীভাবে পুলিশ পৌঁছে গেল মহিলা সন্ন্যাসীর ডেরায়?

    দিন চারেক আগে বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত তাতারপুর কলোনি থেকে এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়। তার পরিবারের তরফ থেকে বোলপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। বিশেষ টিমে ছিলেন বীরভূম জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের আধিকারিক সহ বোলপুর থানার পুলিশ অফিসাররা। নিখোঁজ নাবালিকার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনে নেওয়া হয়, তাদের কোথায় কোথায় আত্মীয়স্বজন রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে তারই দিদি রেখা সরকার তারাপীঠে থাকে বলে খোঁজ মেলে। শনিবার বীরভূম জেলা পুলিশের এই স্পেশাল টিম হানা দেয় তারাপীঠে (Tarapith)। প্রথমে রেখা সরকার নামে ওই মহিলা জানিয়ে দেয়, তার ভাইঝি তার কাছে আসেনি। সমগ্র ঘটনা এড়িয়ে যায়। পরে পুলিশ চাপ দিলে ওই নাবালিকাকে বের করে দেয়। 

    বলি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, বলছেন পুলিসের আধিকারিকই

    এই পুরো ঘটনায় বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার সুরজিৎকুমার দে সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, রেখা সরকার দীর্ঘদিন ধরে তন্ত্র সাধনার সঙ্গে যুক্ত। প্রথমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সম্পূর্ণ বিষয় অস্বীকার করে। পরবর্তী সময়ে তাকে চাপ দেওয়া হলে ওই নাবালিকাকে বের করে দেয়। তারপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, তন্ত্রসাধনার কাজে তারাপীঠে (Tarapith) ওই নাবালিকাকে বলি দেওয়ার প্রয়াস চালিয়েছিল ধৃত রেখা। এই ঘটনার আরও গভীরে ঢুকতে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে বোলপুর থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share