Tag: Madhyom

Madhyom

  • Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    Manipur Violence: শুরু ‘অপারেশন অল আউট’! মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কঠোর নিরাপত্তা বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় দু’বছর ধরে অশান্তি কবলিত মণিপুরে (Manipur Violence) অবশেষে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। কোনও রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ না থাকায় উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে এখন শান্তি ফিরিয়ে আনতে ‘অপারেশন অল আউট’ চালু করেছে সেনা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাধা সৃষ্টি করছে। তারা গোপনে সরকারের পদক্ষেপগুলি কাজে আসতে দেয়নি। এই সহিংসতায় প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০,০০০ মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

    অশান্ত মণিপুর

    গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে তপ্ত রয়েছে মণিপুর (Manipur Violence)। ২০২৩ সালের মে মাসে প্রথম মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্যের পরিস্থিতি। মাঝে কিছু দিন বিরতির পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বহু বাড়িঘর। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। পরিস্থিতি সামলাতে মণিপুরের বেশ কিছু জেলায় কার্ফু জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্র মতে, মণিপুরে এ পর্যন্ত কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন আরও অনেকে।

    রাষ্ট্রপতি শাসন

    রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংকটময় হওয়ায়, বীরেন সিং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির শাসন আরোপ করা হয়। এর ফলে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়। এনিয়ে মণিপুরে ১১ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল। শেষবার ২০০১ সালে ২ জুন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছিল। যা চলেছিল ২৭৭ দিন।

    অপারেশন অল আউট

    অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে মণিপুরে (Manipur Violence) নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যক্রম আরও কার্যকর হচ্ছে। বিশেষভাবে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না থাকার কারণে বাহিনীকে মুক্ত হাত দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে একীভূত সমন্বয় হয়েছে, যা পূর্ববর্তী সফল অপারেশনগুলো যেমন জম্মু-কাশ্মীরে দেখা গিয়েছিল, তার মতো মণিপুরেও শান্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। তদন্তে জানা যায় যে সহিংসতা বাড়ানোর জন্য মূলত এক্সটর্সন মাফিয়া জড়িত ছিল। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনা হচ্ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এক্সটর্সন কার্টেল চিহ্নিত করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ জন এক্সটর্সন চক্রের সদস্য এবং ২৫০ জন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে।

    উচ্চ-প্রোফাইল অভিযান

    গত এক সপ্তাহে মণিপুরে (Manipur Violence) কাধিক বড় নিরাপত্তা অভিযান চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করেছে এবং বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এক রুটিন চেকের সময় সাঙ্গাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এক অভিযানে ৩৪,২০,২০০ টাকা, ২৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার, তিনটি মোবাইল ফোন এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, মণিপুরের খুড়ে লেইফাম পাহাড় রেঞ্জে ১০ একর অবৈধ পপি চাষ ধ্বংস করা হয়েছে। সর্বোচ্চ অভিযান ছিল সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে, যেখানে নিষিদ্ধ বিপ্লবী পিপলস ফ্রন্ট (RPF) এবং পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA)-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালানো হয়েছে। ৩টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ তিনজন জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে।

    নিরাপত্তা জোরদার

    মণিপুরে (Manipur Violence) শান্তি ফেরানোর জন্য সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনী ১১৩টি চেকপয়েন্ট স্থাপন করেছে। এছাড়া ২৫২টি গাড়ির জন্য নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছে, যেগুলি জাতীয় মহাসড়ক ২ ও ৩৭ এ জরুরি সামগ্রী পরিবহন করছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে এবং অভিযান চলবে। সেনা সূত্রে খবর, মণিপুরে শান্তি না ফেরানো পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির শাসনের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

  • Assam: অসমে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ১.৬৬ লাখ! বহিষ্কারের সংখ্যা নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    Assam: অসমে অবৈধ বাংলাদেশির সংখ্যা ১.৬৬ লাখ! বহিষ্কারের সংখ্যা নিয়ে কী বললেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসম (Assam) চুক্তির বিধানের অধীনে রাজ্যের ১.৬৬ লাখ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Intruders) অবৈধ অভিবাসী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ হাজার ১০০ এরও বেশি বাংলাদেশিকে। বুধবার অসম বিধানসভায় এ কথা জানান অসম চুক্তি বাস্তবায়ন মন্ত্রী অতুল বরা।

    কী বললেন মন্ত্রী?(Assam)

    কংগ্রেস বিধায়ক আবদুর রহিম আহমেদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অসমে মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৩১ জন অভিবাসীকে অবৈধভাবে বসবাসকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৮৭০ জন অসমে প্রবেশ করেছে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে। আর ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের পর অসমে ঢুকেছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৬১ জন। এটি হচ্ছে নাগরিকত্ব নির্ধারণের জন্য অসম চুক্তির নির্ধারিত সময়সীমা। এর পরেই মন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত অসম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৩০ হাজার ১১৫ জনকে অনুপ্রবেশকারীকে।

    অবৈধ অভিবাসন

    ঐতিহাসিকভাবে, অসম প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসনের সম্মুখীন হয়েছে। এটি দশকের পর দশক ধরে রাজ্যের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে। বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক অবৈধ অভিবাসন রাজ্যের একাধিক জেলার জনসংখ্যার গঠনও পরিবর্তন করেছে। প্রসঙ্গত, অসম (Assam) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৮৫ সালে, ছ’বছরের অভিবাসনবিরোধী অসম আন্দোলনের পর। অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্তকরণ ও বহিষ্কারের মূল ভিত্তি হিসেবে রয়ে গিয়েছে এই চুক্তি।

    চুক্তি অনুযায়ী, ২৪ মার্চ ১৯৭১-এর পরে যারা অসমে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বিদেশি নাগরিক ঘোষণা করে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে আগতদের ভোটাধিকার দশ বছরের জন্য কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে ১৯৭১-এর পরে আসা অভিবাসীদের সরাসরি বহিষ্কারের বিধান রয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, “চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ১.৬৫ লাখেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করা হলেও, বহিষ্কারের সংখ্যা মোট চিহ্নিত অভিবাসীর তুলনায় নগণ্য।” অসমের বিভিন্ন আদি সংগঠন, বিশেষ করে অসম ছাত্র সংস্থা (AASU) মনে করে যে রাজ্যে কয়েক লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছে। এদিকে, রাজ্যের শাসক দল বিজেপি (BJP) অসম চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে (Bangladeshi Intruders)। একে তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও সাংস্কৃতিক সংরক্ষণের সঙ্গে যুক্ত করেছে (Assam)।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘পুরীর মতো দিঘার মন্দিরে অহিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেখান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘পুরীর মতো দিঘার মন্দিরে অহিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেখান’’, মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতোই নাকি তৈরি হচ্ছে দিঘার মন্দির! রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সমাজ মাধ্যমে দাবি করেন, বুকের পাটা থাকলে পুরীর মতো দিঘার মন্দিরেও (Digha Jagannath Temple) অহিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেখান মুখ্যমন্ত্রী।

    মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    নিজের এক্স মাধ্যমে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়া, গতকাল বিধানসভায় আপনি দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে আমাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন ও আমার বুকের পাটা সংক্রান্ত মন্তব্য করার ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন। যেহেতু আপনি দাবি করছেন যে, সনাতন ধর্মের অন্যতম পীঠস্থান পুরীর জগন্নাথ ধামের অনুকরণ করে মন্দির নির্মাণ করছেন, দিঘায় তীর্থক্ষেত্র স্থাপন করার উদ্দেশ্যে, তাই আমি আপনাকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, যদি আপনার বুকের পাটা রয়েছে, তাহলে আজই নির্দেশ দিন যে, সরকারি অর্থ ব্যয় করে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমস্ত সরকারি নথিতে জগন্নাথ ধাম সংস্কৃতি কেন্দ্র শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হয়েছে, তা বদলে শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির করে দেওয়া হোক।’’

    বন্ধ হোক অহিন্দুদের প্রবেশ

    একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন অহিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ করার বিষয়ে। তিনি লিখেছেন, ‘‘পুরীর শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দিরে হিন্দু ব্যতীত আর কোনও অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষজনের প্রবেশাধিকার নেই। মন্দিরের সিংহদ্বারের কাছে পাথরের ফলকে পাঁচটি ভাষায় (হিন্দি, ওড়িয়া, বাংলা, ইংরেজি এবং উর্দু) স্পষ্ট ভাবে প্রবেশ সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী লেখা রয়েছে। আপনিও নির্দেশ দিন উৎকলের শ্রীক্ষেত্র পুরীর জগন্নাথ ধামের মতোই দিঘাতেও মন্দিরের প্রধান দ্বারের পাশে ফলক লাগানো থাকবে যে হিন্দু ব্যতীত অন্য কোনও ধর্মাবলম্বী মানুষজনের প্রবেশাধিকার নিষেধ।’’

    মমতাকে হারের খোঁচা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    এর পাশপাশি, নন্দীগ্রামে ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর খোঁচা ফের একবার দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনি আমার বুকের পাটা নিয়ে মন্তব্য করেছেন, তাই আপনার জ্ঞাতার্থে আর একবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আপনি যখন ২০২১ সালে নন্দীগ্রামে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসেছিলেন, তখন বুকের পাটা ছিল বলেই ১৯৫৬ ভোটে আপনাকে হারিয়েছিলাম।’’

  • CBSE: দশম শ্রেণিতে বছরে দু’বার পরীক্ষা! নিয়মে বদল আনছে সিবিএসই, কেন জানেন?

    CBSE: দশম শ্রেণিতে বছরে দু’বার পরীক্ষা! নিয়মে বদল আনছে সিবিএসই, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষা পদ্ধতিতে বদল আনতে চলেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE)। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে সিবিএসইর দশম শ্রেণির পরীক্ষা বছরে দু’বার নেওয়ার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। শুধু ভারতে নয়, বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সিবিএসইর ২৬০টি স্কুলেও এই নিয়ম চালু হবে। সম্প্রতি এনিয়ে শিক্ষা মন্ত্রকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ছাড়াও এনসিইআরটি, কেভিএস ও এনভিএসের সদস্যরা ছিলেন। ওই বৈঠকে পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী সোমবার সেটি জনসমক্ষে আনা হবে।

    ছাত্র-মুখী নীতির কারণে এই বদল

    সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (CBSE) সম্প্রতি বছরে একাধিক বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। খসড়া অনুযায়ী, একটি পরীক্ষা হবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে। দ্বিতীয়টি ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে। দুটো পরীক্ষার সেরা নম্বর ধরে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করা হবে। আর এর মাধ্যমে পড়ুয়ারা আরও বেশি নম্বর তোলার সুযোগ পাবে। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০-এর অনুসারে এই বদল আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধীনতা এবং ছাত্র-মুখী নীতির কারণে এই বদল আনা হচ্ছে পরীক্ষা পদ্ধতিতে। আগামী সোমবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিক, শিক্ষামন্ত্রক, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, এনসিইআরটি-র নেতৃস্থানীয় আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংস্থান এবং নভোদয় বিদ্যালয় সমিতির আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক হবে যেখানে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষেই চালু নয়া নিয়ম

    এই বৈঠক সংক্রান্ত তথ্য এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ্যে এনেছে সিবিএসই (CBSE)। যেখানে বলা হয়েছে, ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি স্কুলে সিবিএসই নয়া পাঠক্রম শুরু করার পাশাপাশি একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিবিএসই-র (CBSE Board Exams) পাশাপাশি এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়ে বার্তা দেন শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি লেখেন, ‘সিবিএসই বোর্ডের পরীক্ষা বছরে দুবার করার জন্য নয়া রণনীতি তৈরি করছি আমরা। পড়ুয়াদের উপর যাতে বাড়তি চাপ না পড়ে সেদিকে নজর রেখেই এই পরিকল্পনা। আমাদের লক্ষ্য পড়ুয়ারা চাপ মুক্ত হয়ে শেখার দিকে বেশি মনযোগ করে।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘নয়া এই নীতি বোর্ডের পরীক্ষার ক্ষেত্রে এক বিরাট সংশোধন।’ এমনটা যে হতে পারে গত জানুয়ারি মাসেই সেই আভাস দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে সিবিএসই পরীক্ষা বছরে দুবার করা হবে। পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP)-এর প্রস্তাব অনুযায়ী একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা সেমিস্টারে করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ‘সিবিএসই মূলত ফর্মেটিভ লার্নিংয়ের দিকে জোর দিচ্ছে। শুধুমাত্র পরীক্ষার নম্বরের উপরে নির্ভরশীল না থেকে এখন যেখানে পড়ুয়ারা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে।

  • Delhi CM: ২৫০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা, শপথ নিয়েই বড় ঘোষণা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখার

    Delhi CM: ২৫০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা, শপথ নিয়েই বড় ঘোষণা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Delhi CM) পদে শপথ নিয়েই বড় ঘোষণা করলেন বিজেপির রেখা গুপ্ত (Rekha Gupta)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দিল্লির রামলীলা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। তার পরেই ঘোষণা করেন, তাঁর সরকার ৮ মার্চের মধ্যে মহিলাদের প্রতি মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবে।

    মহিলাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা (Delhi CM)

    পূর্বতন আপ সরকারকে তাদের কাজের জন্য জবাবদিহিও করতে হবে বলে জানান দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মধ্যেই যোগ্য মহিলাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা জমা করা হবে।” আপ সরকারকে নিশানা করে নয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তাদের (আপ সরকারকে) প্রতিটি পয়সার হিসেব দিতে হবে।” তাঁর সরকার যে বিজেপির প্রতিশ্রুতি পূরণে দায়বদ্ধ, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন রেখা।

    মোদির স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার

    এদিন জমকালো শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে তিনি কাশ্মীরি গেটের শ্রী মর্ঘট ওয়ালে হনুমান বাবা মন্দির পরিদর্শন করেন। পরে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়ন করাই দিল্লির ৪৮জন বিজেপি বিধায়কের প্রধান অগ্রাধিকার।” এদিন রেখাকে শপথবাক্য পাঠ করান দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা। উপস্থিত ছিলেন (Delhi CM) বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। ছিলেন এনডিএ জোটের নেতারাও।

    প্রসঙ্গত, রেখা হলেন দিল্লির চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আগে দিল্লি শাসন করেছেন বিজেপির সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত এবং আপের অতিশী মারলেনা। রেখার পাশাপাশি এদিন শপথ নেন পরবেশ বর্মা, আশিস সুদ, মনজিন্দর সিং সিরসা, কপিল মিশ্র, রবীন্দ্র ইন্দ্ররাজ সিং এবং পঙ্কজ সিং। শপথ গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা তাঁদের দায়িত্ব বুঝে নিতে দিল্লি সচিবালয়ে যান।

    অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, “আমরা দিল্লিতে একটি নতুন পরিবর্তন দেখতে চলেছি। এখন থেকে একটি ভিন্ন দিল্লি হবে। রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক দিল্লি নিয়ে গর্বিত হবেন। আমরা খুব খুশি, এখন দিল্লিতে নয়া যুগের সূচনা হতে চলেছে। চমৎকার উন্নয়নও হতে যাচ্ছে। গত ১০ বছর ধরে দিল্লিতে (Rekha Gupta) কোনও ভালো কাজ হয়নি। এখন একটি নতুন যুগের সূচনা হবে (Delhi CM)।”

  • Indian Army: বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের, কী বললেন সেনাপ্রধান?

    Indian Army: বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ভারতের, কী বললেন সেনাপ্রধান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় অশান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পরেই বেড়েছে অশান্তির বহর। এহেন আবহে (Indian Army) কখনও বাংলাদেশি সেনার উচ্চ পর্যায়ের দল পাকিস্তানে (Pakistan) গিয়ে দেখা করেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই কর্তাদের সঙ্গে। কখনও আবার আইএসআইয়ের পদস্থ কর্তারা ঢাকার বিলাসবহুল হোটেলে গিয়ে ইউনূস প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই প্রেক্ষিতে, পদ্মাপাড়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দহরম-মহরম বাড়ানোর চেষ্টা করা পাকিস্তানকে ঘুরিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারতীয় সেনা।

    ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’ পাকিস্তান

    সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, সদ্য সীমান্তের ‘চিকেনস নেক’ এলাকার কাছে বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকায় পা পড়েছে পাকিস্তানের সেনা কর্তা ও সেদেশের গুপ্তচর বিভাগের সদস্যদের। এলাকায় তাঁরা পরিদর্শন করতে যান বলে ছিল খবর।  পূর্ব ভারতে পাকিস্তানের গতিবিধি প্রসঙ্গে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “একটি দেশের (পাকিস্তান) জন্য আমি একটা শব্দ ব্যবহার করেছিলাম, ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’। সেনাপ্রধান যোগ করেন, এবার সে দেশের লোকজন অন্য দেশে যাচ্ছেন এবং সেই অন্য দেশটি যদি আমাদের প্রতিবেশী দেশ হয়, যতদূর আমার মনে হচ্ছে, আমার উদ্বেগে থাকারই কথা…যাতে তারা সে দেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসবাদী না পাঠায়, সেটা নিয়েই ভাবনা।”

    ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক প্রসঙ্গে ভারতের সেনা প্রধান (Indian Army) বলেন, “যে সেট আপ সেখানে রয়েছে, তা প্রশাসনিক, নির্বাচিত সরকার এলে সম্পর্কের বিষয়ে বলা যাবে।” তবে বাংলাদেশের সেনার (Pakistan) সঙ্গে ভারতীয় সেনার সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত বলে তিনি জানান। সেনাপ্রধান বলেন, “যখন দরকার পড়ে, আমরা নোট আদানপ্রদান করে নিই। এভাবেই চলে আসছে।”

    ভারতীয় সেনার কড়া জবাব (Indian Army)

    এরই মধ্যে আবার কাশ্মীরে পাকিস্তান সম্প্রতি সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তার যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এহেন আবহে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেন, “২০১৪ সাল থেকে উভয় পক্ষই জানে যে আমরা কাজে বিশ্বাসী। আমরা আমাদের বার্তা খুব স্পষ্টভাবে দিয়ে থাকি। প্রয়োজন পড়লে আমরা আগ্রাসীও হতে পারি। আমাদের যদি কেউ বাধ্য করে, তাহলে আমরা আমাদের বার্তা পৌঁছে দিতে আগ্রাসী হব।” ভূস্বর্গে সন্ত্রাস প্রশ্নে সেনাপ্রধান (Indian Army) বলেন, “স্থানীয় জঙ্গির সংখ্যা এখন অনেক কমে গিয়েছে। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে কাশ্মীরে আমাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা গিয়েছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এবং তা নিয়ে কোনওভাবে আমরা কোনও আপোস করব না। আর এখন কাশ্মীরে সব নিরাপত্তা বাহিনী সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে হাতে হাত মিলিয়েছে।”

  • Weather Update: ঝেঁপে বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রপাত! শহর থেকে জেলায় জারি কমলা-হলুদ সতর্কতা

    Weather Update: ঝেঁপে বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রপাত! শহর থেকে জেলায় জারি কমলা-হলুদ সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার (Weather Update)। বেলা ১০টা বাজতেই ঝেঁপে বৃষ্টি নামল উত্তর থেকে দক্ষিণ। অফিস টাইমেই ভিজল কলকাতা (Rainfall in Kolkata)। রাস্তায় বেরিয়ে বিপদে পড়ল শহরবাসী। শীত বিদায়ের পর থেকেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস। সেই পূর্বাভাস মেনে ইতিমধ্যেই জেলায়-জেলায় মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। একই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। এ দিকে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃহস্পতিবার সারা দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    শহরে ধারাপাত

    আলিপুর আবহাওয়া (Weather Update) দফতর বলেছে, রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গে। বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হবে। সেই আভাস মিলিয়ে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টি তো শুরু হয়েছেই, বেশ কয়েক জায়গায় পড়ছে শিলও। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে শনি ও রবিবার। কলকাতায় বেশিরভাগ সময়ে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে এই ক’দিন। কখনও পুরোপুরি মেঘলা আকাশও থাকতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে টানা চারদিন বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা ঝোড়ো বাতাস বইবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলি জেলায়। ওই জেলাগুলির জন্য কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। রবিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে সোমবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর।

    জারি কমলা-হলুদ সতর্কতা

    ইতিমধ্যেই রাজ্যে জারি হয়েছে কমলা-হলুদ সতর্কতা (Weather Update)। সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে বাঁকুড়া-বর্ধমান জেলায়। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়-বজ্রপাতের আশঙ্কা। উত্তরবঙ্গে দার্জিলিঙের উঁচু পার্বত্য এলাকায় হতে পারে হালকা তুষারপাত। তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকবে আগামী রবিবার পর্যন্ত। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে সোমবার পর্যন্ত। জলপাইগুড়ি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে। তবে এখনই তাপমাত্রার বড়সড় পরিবর্তন হবে না। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নতুন করে উল্লেখযোগ্যভাবে কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। আলিপুর জানিয়েছে, উত্তর ও পূর্ব ভারতে রাজস্থান এবং অসমে রয়েছে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে একটি বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব ভারতের দিকে এগোচ্ছে নতুন একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। এ সবের কারণেই বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বঙ্গে। তবে এই সময়ে রাজ্য জুড়ে বৃষ্টিতে রবি শস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হতে পারে আলু চাষে।

  • Donald Trump: ভারতের ভোটে টাকা ঢেলে মোদিকে হারাতে চেয়েছিলেন বাইডেন! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন ট্রাম্প

    Donald Trump: ভারতের ভোটে টাকা ঢেলে মোদিকে হারাতে চেয়েছিলেন বাইডেন! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের অছিলায় ভারতের বুকে ছুরি মারতে চেয়েছিল আমেরিকা? ভারতে (India) ২১ মিলিয়ন ডলার সাহায্য করে কি ভোটের ফল প্রভাবিত করতে চেয়েছিল বাইডেন প্রশাসন? এমনই প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি নেতারা। পদ্ম-পার্টির নেতাদের আশঙ্কা যে অমূলক নয়, প্রকারান্তরে তা স্বীকার করে নিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)।

    ইউএসএইডের মাধ্যমে আমেরিকার খরচ (Donald Trump)

    সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের নির্বাচনে ভোটদানের হার বাড়াতে ইউএসএইডের মাধ্যমে আমেরিকা খরচ করেছে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (সংক্ষেপে ডোগে) এমনতর দাবি করেছিল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। এই আবহে আমেরিকার করদাতাদের এই টাকা খরচ বন্ধ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মাস্ক। এমন পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের তরফে প্রকাশিত ট্রাম্পের এক ভাষণের ভিডিওতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলতে শোনা গিয়েছে, “ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করতে আমাদের কেন ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে? আমার মনে হয় ওরা (বাইডেন প্রশাসন— যারা অর্থায়ন করেছিল) অন্য কাউকে ভোটে জেতাতে চাইছিল। আমাদের এই বিষয়টি ভারত সরকারকে জানাতে হবে। এটা বিশাল বড় ব্রেকথ্রু। রাশিয়া আমাদের দেশের নির্বাচনের সময় ২ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করেছিল বিজ্ঞাপনে। সেটাই তো কত বড় ইস্যু হয়ে গিয়েছিল। আর এটা তো ২১ মিলিয়ন ডলার!”

    অমিত মালব্যর পোস্ট

    প্রসঙ্গত, বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এই ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লিখেছিলেন, “ভোটের হার বৃদ্ধি করতে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ? এটা নিশ্চিতভাবে ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ। এর থেকে কারা লাভবান হচ্ছে? নিশ্চিতভাবে শাসক দল তো নয়।” পদ্ম-সাংসদ মহেশ জেঠমালানির দাবি (India), প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেট্টির সঙ্গে এ নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতেন ইউএসএইডের প্রাক্তন ভারতীয় প্রধান বীণা রেড্ডি। এ নিয়ে নাকি যাবতীয় নির্দেশও দিতেন প্রাক্তন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ফরাসি সংবাদ মাধ্যম মিডিয়াপার্টের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বিজেপি আগেই অভিযোগ করেছিল, ওপেন সোস্যাইটি, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ওসিসিআরপির মতো প্রক্সির মাধ্যমে (Donald Trump) ভারত নিয়ে ভুয়ো প্রচার করছিলেন জর্জ সরোস। এনিয়ে বাইডেন জমানায় বিজেপি একটি দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টকে নিশানা করেছিল গেরুয়া শিবির।

    কী বললেন ট্রাম্প

    বুধবার রাতে সৌদি আরবের উদ্যোগে মায়ামিতে অনুষ্ঠিত এফআইআই প্রায়োরিটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, “কী প্রয়োজন ছিল ভারতীয় ভোটারদের উৎসাহ দিতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করার? আমার সন্দেহ বাইডেন প্রশাসন ভারতের লোকসভা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিল। তারা হয়তো চেয়েছিল অন্য কেউ ভোটে জিতুক। এই বিষয়টি আমরা ভারত সরকারকেও জানাব।” দ্বিতীয়বার আমেরিকার মসনদে বসে সরকারের অপব্যয় কমাতে উদ্যোগী হন ট্রাম্প। তিনি ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি নামে একটি নয়া দফতর খুলেছেন। এই দফতরেরই মাথায় বসানো হয়েছে টেসলা কর্তা ইলন মাস্ককে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়ে দেন, ভারতীয়দের নির্বাচনে উৎসাহিত করতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করত আমেরিকা। ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্কটা প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। কিন্তু এবার থেকে সেই টাকা আর দেওয়া হবে না।

    ‘ভারতের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা’

    ভারতের পাশাপাশি অনুদান বন্ধ করা হবে অন্যান্য দেশেরও। এর সমর্থনেই নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “ভারতের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের করদাতাদের ২১ মিলিয়ন ডলার কেন আমরা ভারতকে দেব?” সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী (India), বিশ্বের নানা প্রান্তে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল বাইডেন প্রশাসন। এর মধ্যে ভারতের জন্য বরাদ্দ ছিল ২১ মিলিয়ন ডলার। কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশকেও দেওয়া হত ২ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। সেই অর্থও বন্ধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাস্ক। কেবল ভারত বা বাংলাদেশই নয়, মোজাম্বিক, মালি, নেপাল, সার্বিয়া, কম্বোডিয়ার মতো নানা দেশকে নানা খাতে দেওয়া অনুদানের অর্থও বন্ধ করার কথাও জানিয়েছেন মাস্ক।

    ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও চড়া শুল্কের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন করদাতাদের টাকা ভারতের ভোট করানোর জন্য বরাদ্দ হওয়া উচিত নয়। কারণ, ভারতের প্রচুর টাকা আছে। আর বিশ্বের অন্যতম চড়া শুল্কের দেশ ভারত।” ট্রাম্প আরও বলেন, “ভারতের জন্য আমার প্রচুর শ্রদ্ধা আছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিও আমার শ্রদ্ধা আছে। দুদিন আগেই তিনি এদেশে সফর করে গিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও, ভারতে ভোট করাতে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান অযৌক্তিক বলেই মনে হয় (India)! তাই আর নয় (Donald Trump)।”

  • Mahakumbh: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, ‘‘সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসবের অপমান’’, তোপ যোগীর

    Mahakumbh: মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্য, ‘‘সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসবের অপমান’’, তোপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিধানসভায় মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবিকে নস্যাৎ করলেন যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। মমতার দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। যোগীর মতে, সনাতন ধর্মের সবথেকে বড় উৎসবের অপমান করেছে তৃণমূল একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ সম্প্রতি রাজ্যের বিধানসভায় মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলে অ্যাখ্যা দেন মমতা। এরপরই বিভিন্ন মহলে ওঠে সমালোচনার প্রবল ঝড়। রাস্তায় নামে বিজেপি। এরপরেই গতকাল বুধবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পাল্টা জবাব দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

    মহাকুম্ভকে (Mahakumbh) অপমান তৃণমূলের

    মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যখন আলোচনা করছি, তখন কুম্ভে (Mahakumbh) ৫৬ কোটি ২৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন। ভারতের আস্থা বা মহাকুম্ভের বিরুদ্ধে যারা মন্তব্য করছেন, মিথ্যা ভিডিও দেখাচ্ছেন, তারা ৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলছেন। ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। সনাতন ধর্মের সবথেকে বড় উৎসবের অপমান করেছে তৃণমূল।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘‘সনাতন ধর্ম রাষ্ট্রীয় ধর্ম। এই ধর্মের অনুষ্ঠান পালন করা যদি অপরাধ হয়, তবে সরকার এই অপরাধ করবে।’’

    মিথ্যা প্রচারে কান দেবেন না

    মহাকুম্ভে (Mahakumbh) পদপিষ্ট হয়ে নিহতদের, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘সরকার এঁদের পাশে রয়েছে। যথা সম্ভব সাহায্য করব আমরা। কিন্তু এটা নিয়ে কী রাজনীতি করা উচিত?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা বিজেপি সরকারের সৌভাগ্য যে মহাকুম্ভের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরেছে, আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। আমরা নিজেদের দায়িত্ব জানি। গোটা দেশ ও বিশ্ব মহাকুম্ভে অংশ নিয়েছে। এই সব মিথ্যা প্রচারে কান দেবেন না।’’

    ষড়যন্ত্র চলছে কুম্ভকে বদনাম করতে

    বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দিয়ে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেন, ‘‘এরা প্রথম দিন থেকেই কুম্ভের বিরোধিতা করছে। কুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছে। মহাকুম্ভের (Mahakumbh) বদনাম করার ষড়যন্ত্র চলছে। ওদের ভাষা সভ্য সমাজের ভাষা নয়। অনর্গল মিথ্যা প্রলাপ মানুষের আস্থার উপর আঘাত করছে। মানুষ ওদের অপপ্রচার মানছে না। কুম্ভের প্রচার করা অন্যায় নাকি!উত্তর প্রদেশ নিয়ে এখন মানুষের ধারণা বদলেছে। এরা আকবরের কেল্লার কথা জানে না। অক্ষয় বটের কথা জানত না। রেলের কাজ যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য।’’

    সনাতন ধর্মের অপমান মমতার স্বভাব তোপ শিবরাজের

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুকুম্ভ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মের অপমান করা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ভারতীয় সংস্কৃতি আজকের নয়। হাজারো বছর ধরে গঙ্গার জলের মতো ভারতীয় সংস্কৃতি প্রবাহিত হয়ে আসছে। যাঁরা সনাতন ধর্মের দিকে আঙুল তোলেন, তাঁরা নিজেরাই নিজেদের লোকসান করছেন। মানুষের আস্থা-ভরসা-ভাবনার উপর আঘাত করা অপরাধ সমান।’’

  • India vs Bangladesh: আজ ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা! কখন, কোথায় দেখবেন লড়াই?

    India vs Bangladesh: আজ ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা! কখন, কোথায় দেখবেন লড়াই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইব্রিড মডেলে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) সবকটি ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবে ভারত। বাংলাদেশের (India vs Bangladesh) বিরুদ্ধে এ বারের মিনি বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করবেন রোহিত-বিরাটরা। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতোই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচও সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ভারতীয় দল সদ্য ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। উল্টোদিকে বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে শেষ ম্যাচ খেলেছে গত বছরের শেষে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সদ্য দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে খেলে এসেছেন। তাই ভাল ম্যাচ দেখার আশায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।

    পাকিস্তানের পরাজয়

    ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বুধ-দুপুরে বোধন হয়েছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025)। আট টিমের এই টুর্নামেন্টকে ক্রিকেট মহলে মিনি বিশ্বকাপও বলা হয়। প্রতিটা দলের কাছেই সবকটি ম্যাচ ডু অর ডাই। জিতলে ট্রফির দৌড়ে থাকবে কোনও টিম। আর হারলেই খাদের কিনারায় পৌঁছে যাবে। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। প্রায় তিন দশক পর আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান। তবে, উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হার মেনেছে পাকিস্তান।

    প্রস্তুত ভারত

    চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য প্রস্তত ভারত (India vs Bangladesh)। সদ্য ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দাপটে একদিনের সিরিজ জিতেছে রোহিতরা। ওপেনিংয়ে শুভমন গিল ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। রোহিত সেঞ্চুরি করেছেন। বিরাট কোহলি এক ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তবে মিডল অর্ডারে ভারতের ভরসা হয়ে দেখিয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচেই দুর্দান্ত এবং কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। মিডল ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন শ্রেয়সই। ভারতীয় পেস বোলিং কম্বিনেশনে হর্ষিত রানার একটা সম্ভাবনা থাকলেও পরিস্থিতি বলছে মহম্মদ শামির সঙ্গে স্পেশালিস্ট পেসার হিসেবে দেখা যাবে অর্শদীপ সিংকে। বুমরাকে ছাড়া বড় টুর্নামেন্ট ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ। বোলিংয়ে নেতৃত্ব দেবেন শামিই।

    পিচ কেমন

    দুবাইয়ে দুটি নতুন পিচ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনটি ব্যবহার করা হবে এবং পিচ কেমন আচরণ করবে তা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা আছে। ম্যাচের আগের দিন সেন্টার উইকেটে দুটি পিচের ছবি উঠে এসেছে। তার মধ্যে ডানদিকের পিচটাকে বেশি রোলিং করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু কেমন হবে পিচ, ভারতীয় দল পাঁচ স্পিনার আছে, পাণ্ডিয়াকে নিয়ে চার পেসার আছে। ফলে স্পিনাররা পিচ থেকে সুবিধা না পেলে সমস্যা হতে পারে ভারতের।

    বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা

    ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে (India vs Bangladesh) বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা আছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুসারে, বৃহস্পতিবার ভারত বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের দিন ৩৫ শতাংশ বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা আছে। দুবাইয়ে তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪ ডিগ্রির আশে পাশে। আপেক্ষিক আদ্রর্তা ৪৮ শতাংশ থাকতে পারে। ফলে বৃষ্টি কিন্তু ভারত বমাম বাংলাদেশের মধ্যে মেগা ম্যাচে ছন্দ নষ্ট করতে পারে।

    ভারতের সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্য়াটেল, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাডেজা, কুলদীপ যাদব/বরুণ চক্রবর্তী, মহম্মদ সামি, অর্শদীপ সিং/হর্ষিত রানা।

    ম্যাচ শুরু: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম বাংলাদেশের ম্যাচটি ভারতীয় সময় অনুযায়ী শুরু হবে দুপুর ২.৩০ মিনিটে। ম্যাচের আগে ২টো নাগাদ টস হবে।

    ম্যাচের লাইভ স্ট্রিমিং: আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত বনাম বাংলাদেশের ম্যাচটির লাইভ স্ট্রিমিং (Live streaming) দেখা যাবে টিভিতে স্টার স্পোর্টস ২ ও স্পোর্টস ১৮-১ এবং স্পোর্টস ১৯-খেল চ্যানেলে। এ ছাড়া মোবাইলে দেখা যাবে জিওহটস্টার অ্যাপ্লিকেশনে।

LinkedIn
Share