Tag: Madhyom

Madhyom

  • Mahakumbh: ৫৩ কোটি মানুষ স্নান সেরেছেন মহাকুম্ভে, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    Mahakumbh: ৫৩ কোটি মানুষ স্নান সেরেছেন মহাকুম্ভে, জানালেন যোগী আদিত্যনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মহাকুম্ভে (Mahakumbh) ভক্ত সংখ্যা ৫৩ কোটি ছাড়িয়েছে, সোমবারই একথা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। প্রসঙ্গত ১৩ জানুয়ারি যে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে তা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য প্রতিদিনই কোটি কোটি মানুষ পবিত্র স্নান সারছেন গঙ্গা-যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে। পরিসংখ্যান বলছে, গত রবিবারই মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সেরেছেন ১.৩৬ কোটি ভক্ত। শুধুমাত্র ভারত নয়, বিদেশ থেকেও বিপুলসংখ্যক ভক্তরা (Mahakumbh) আসছেন।

    কী বললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী?

    এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়ার সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ (Mahakumbh) আমাদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখনও পর্যন্ত এটি পৃথিবীর বৃহত্তম আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে (Mahakumbh) পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৩ কোটি ভক্ত ত্রিবেণীর পবিত্র সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেছেন এবং এই প্রক্রিয়া আগামী নয় দিন ধরে চলবে।’’ যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন, ‘‘প্রথমবারের জন্য শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এদেশে ধর্ম সম্মান পেয়েছে। ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। ভগবান রামচন্দ্র অযোধ্যায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন।’’

    মহাকুম্ভে স্নান সারছেন শিখরাও

    ১৪৪ বছর পরে মহাকুম্ভ (Mahakumbh) অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্টে পরিণত হয়েছে মহাকুম্ভ। সেখানে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। ধনী, দরিদ্র, রাজনৈতিক নেতা থেকে বিদেশি কূটনীতিক সবার মেলবন্ধন দেখা যাচ্ছে প্রয়াগরাজে। সম্প্রতি, দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি থেকে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান থেকে বড় ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি সেরেছেন পবিত্র স্নান। মহাকুম্ভে শিখ সম্প্রদায় মানুষদেরও ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং তাঁরাও সেখানে হাজির হয়েছেন পুণ্য অর্জনের আশায়। প্রচুর শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ তাঁরা পবিত্র স্নান সারছেন। গত ২৯ জানুয়ারি সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়েছিল মহাকুম্ভে। সেই সময় মৌনী অমাবস্যায় কোটি কোটি ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন প্রয়াগ্ররাজে। সেদিনই পবিত্র স্নান সারে দমদামি তাকশাল নামের একটি শিখ সংগঠনের প্রধান হরনাম সিং ধুমমা। এরপরেই তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, শিখ সম্প্রদায়ের রীতি হল মহাকুম্ভে অংশগ্রহণ করা এবং উদাসীন ও নির্মল আখড়া কুম্ভে অংশগ্রহণ করেছে।

  • ICC Champions Trophy: বোলিং নিয়ে গম্ভীর-চিন্তা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নজির গড়ার পথে ভারত

    ICC Champions Trophy: বোলিং নিয়ে গম্ভীর-চিন্তা! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নজির গড়ার পথে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy)। দীর্ঘ ৮ বছর পর ক্রিকেট বিশ্বের সেরা আটটি দেশকে নিয়ে আইসিসি-র চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হচ্ছে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরবআমিরশাহি-তে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম ম্যাচ অবশ্য বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের বিপক্ষে। রাজনৈতিক কারণে ভারত এবার পাকিস্তানে খেলতে রাজি না হওয়ায়, টুর্নামেন্টে টিম ইন্ডিয়ার সব কটি ম্যাচই হচ্ছে দুবাইয়ে। এমনকি, রোহিতরা সেমিফাইনাল ও ফাইনালে উঠলেও দুবাইয়ে খেলবেন। আর ভারত ছাড়া টুর্নামেন্টের বাকি সব কটি খেলাই হবে পাকিস্তানের তিনটি কেন্দ্রে-লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে। ভারত না উঠলে ফাইনাল হবে লাহোরে, আর টিম ইন্ডিয়া খেললে সেটি হবে দুবাইয়ে।

    বিরল নজির গড়ার সামনে ভারত

    এই টুর্নামেন্টে (ICC Champions Trophy) এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে ভারত। আর দুটো ম্যাচ জিতলে ২০টি ম্যাচ জয়ের নজির গড়বে মেন ইন ব্লু। যা অন্য কোন দলের নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের তালিকায় শীর্ষে ভারত। তাদের পিছনে রয়েছে ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা, যারা ১৪টি ম্যাচ জিতেছে। এই দুই দলই ভারতের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। অপরদিকে, ক্যারিবিয়ানরা, যারা একসময় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল, তারা ১৩টি জয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে, তবে তারা এই সংস্করণের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া, যারা বর্তমানে ওডিআই বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, অবাক করা হলেও, ১২টি জয়ে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে। পাকিস্তান, ২৩ ম্যাচে মাত্র ১১টি জয় নিয়ে আট নম্বরে রয়েছে।

    সমস্যায় ভারতের বোলিং বিভাগ

    বাবা মারা যাওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে দুবাই ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরেছেন ভারতীয় দলের বোলিং কোচ মর্নি মর্কেল। বিসিসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাবা অ্যালবার্টের মৃত্যুর খবর পান মর্কেল। এরপরেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। তিনি বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ফের ভারতীয় দলে যোগ দিতে পারেন। তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভারতীয় দলের বোলিং কোচ দুবাইয়ে ফিরবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। চোটের জন্য আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারছেন না ভারতীয় দলের সেরা পেসার জসপ্রীত বুমরা। ফলে ভারতের পেস বোলিং আক্রমণের শক্তি কমে গিয়েছে। এরই মধ্যে বোলিং কোচ দেশে ফিরে যাওয়ায় ভারতের বোলিং বিভাগে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

    গ্রুপে ভারতের প্রতিপক্ষ কারা

    ২০ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (ICC Champions Trophy) নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে ভারত। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। ২৩ ফেব্রুয়ারি, রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। ২ মার্চ গ্রুপের শেষ খেলায় নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। আপাতত প্রথম দুই ম্যাচই পাখির চোখ রোহিতদের। বাংলাদেশ ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের যাত্রা শুরু করতে চান রোহিতরা। এই দুই ম্যাচ ভারতের কাছে মর্যাদার লড়াই।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী’’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী’’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিধায়করা নাকি সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন। এই অভিযোগে গত সোমবারই বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ ৪ জন বিধায়ককে। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার অধিবেশন বয়কট করে বিধানসভার বাইরে ধর্না করবেন তাঁরা। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) অতীত মনে করালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ২০০৬ সালে মমতার নেতৃত্বে বিধানসভা ভাঙচুরের ঘটনাও মনে করান শুভেন্দু।

    বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই বিধানসভাকে একসময়ে কলুষিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইনিই ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে বিধানসভার সদস্য না হয়েও এখানে ঢুকে সব আসবাব ভেঙেছিলেন। এই মুখ্যমন্ত্রী ২০০৫ সালের অগাস্ট মাসে লোকসভায় ডেপুটি স্পিকারকে কাগজ আর চাদর ছুড়ে মেরেছিলেন। আর আজ এই মুখ্যমন্ত্রীই বিধানসভা থেকে লাইভ করছেন। এদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতাই নেই।’’ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) খোঁচা, ‘‘সরকার যেমন চালান, দল যেমন চালান, পরিবারের সম্পত্তি হিসেবে এই বিধানসভাকেও নিজের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন।’’ সাসপেনশন নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এটা হচ্ছে তৃণমূলের এক ধরনের নিত্যকর্ম। আসলে ওরা ভয় পেয়েছে এবং ইচ্ছে করে তাঁকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করেছে।’’

    গোটা রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চালাতে চান মমতা

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, গোটা রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চালাতে চান মমতা। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘পাঠাগার কমিটি থেকে শুরু করে পুজো কমিটি, শ্মশান কমিটি সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাই।’’ বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যকে এমনিতেই শেষ করে দিয়েছেন মমতা। এখন শুধু নিজের রাজত্ব কায়েম করার ইচ্ছে রয়েছে মমতার।’’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের মদতেই বাংলায় জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত।

    স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ নিয়ে কী বললেন?

    স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই নিয়ে পাঁচবার আমাকে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস পাঠানো হলো। ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা। ওরা হিন্দু দেবদেবীর সম্মান, হিন্দুদের আওয়াজে ভয় পেয়েছে। তৃণমূল রাজনৈতিক দল নয়, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। আতঙ্ক থেকে সম্প্রীতির কথা বলেছে। সরস্বতী পুজোর জন্য কেন হাইকোর্টে যেতে হবে? কেন মূর্তি ভাঙা হবে?’’

  • Tesla: মোদি-মাস্ক বৈঠকের পরই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা টেসলার

    Tesla: মোদি-মাস্ক বৈঠকের পরই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা টেসলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পরেই ভারতে কর্মী নিয়োগের ঘোষণা করল টেসলা (Tesla)। আপাতত দিল্লি এবং মুম্বই জুড়ে ১৩টি পদের জন্য কর্মী চাইছে তারা। ভারতে কারখানা তৈরিতে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার ভাবনা রয়েছে টেসলার। ভারতীয় মার্কেট নিয়ে টেসলা আগেও আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু চড়া আমদানি শুল্কের জেরে ধীরে চলো নীতি নেয় এই সংস্থা। সম্প্রতি ভারত সরকার ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের হাইএন্ড গাড়িতে কাস্টমস ডিউটি কমানোর পরই এ দেশের বাজার নিয়ে ফের ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে টেসলা।

    কোথায় কত কর্মী নিয়োগ

    প্রাথমিক পর্যায়েই (Tesla Recruitment) টেসলা ভারতের জন্য ২ হাজার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, সেলস বা অপারেশনে অভিজ্ঞতা (Tesla Plan) থেকে থাকলে আপনিও বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থার অংশ হতে পারবেন বলেই জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। ভারতে বড় মাপের উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলবে ব্যাটারি উৎপাদনকারী (Elon Musk) সংস্থা টেসলা পাওয়ার। এই সংস্থা ভারতে তার ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা ভাবছে। সোমবার টেসলার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। টেসলা পাওয়ার ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাবিন্দর খুরানা জানিয়েছেন যে, ‘আমরা ভারতে আমাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি এবং তা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছি। নানারকম উদ্ভাবনের মাধ্যমে টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে প্রতিভাবান ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিই। আমরা আমাদের টিমে সবসময় নতুন প্রতিভাকে স্বাগত জানাতে চাই। আমাদের লক্ষ্যকে আরও এগিয়ে নিতে তাদের অবদানগুলিকে কাজে লাগাতে পেরে আমরা যারপরনাই খুশি।’

    ১৩টি বিভিন্ন পদে নিয়োগ

    মোট ১৩টি বিভিন্ন পদে হবে এই নিয়োগ। সার্ভিস টেকনিশিয়ান, অ্যাডভাইজরি পদের জন্য মুম্বই ও দিল্লিতে নিয়োগ হবে এবং কাস্টমার এনগেজমেন্ট ম্যানেজার এবং ডেলিভারি অপারেশনস স্পেশালিস্ট পদের জন্য নিয়োগ করা হবে মুম্বইতে। ২০১৯ সালেই প্রথম ভারতে ব্যবসা শুরু করার অনুমতি চায় টেসলা (Tesla)। সেই থেকে মাস্ক ও মোদি প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে। এবার হয়তো দুপক্ষ সহমত হয়েছে, লিঙ্কডইন পোস্ট থেকেই সেই ইঙ্গিত মিলেছে।

    টেসলা ভারতে যে সব পোস্টে কর্মী নিয়োগ করবে সেগুলি হলঃ

    সার্ভিস টেকনিশিয়ান

    সার্ভিস ম্যানেজার

    ইনসাইড সেলস অ্যাডভাইজার

    কাস্টমার সার্পোট সুপারভাইজার

    কাস্টমার সার্পোট স্পেশালিস্ট

    অর্ডার অপারেশন স্পেশালিস্ট

    সার্ভিস অ্যাডভাইজার

    টেসলা অ্যাডভাইজার

    পার্টস অ্যাডভাইজার

    ডেলিভারি অপারেশন স্পেশালিস্ট

    বিজ়নেস অপারেশন অ্যানালিস্ট

    স্টোর ম্যানেজার

    ভারতীয় বাজারে টেসলার আগ্রহ

    টেসলা (Tesla) ভারতীয় বাজারে প্রবেশের জন্য আগে দুবার চেষ্টা করেছে, কিন্তু উভয় প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। প্রথমত, ভারতে উচ্চ আমদানি শুল্ক—যা পূর্বে ১১০% পর্যন্ত ছিল। এই আমদানি শুল্কের ফলে টেসলা গাড়িগুলি অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়। দ্বিতীয় সমস্যা ছিল সরকারের পক্ষ থেকে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন প্রতিষ্ঠার অনুরোধ। সরকার চাইছিল যে টেসলা আমদানি না করে, বরং ভারতে একটি উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করুক, কিন্তু কোম্পানিটি একটি উন্নয়নশীল বাজারে এমন বড় পরিমাণে বিনিয়োগ করতে দ্বিধা করে। এছাড়া, ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা এখনও বড় বাজারগুলির তুলনায় অনেক কম, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    ভারত কি টেসলার জন্য প্রস্তুত?

    ভারতের বাজারে ধীরে ধীরে বৈদ্যুতিন গাড়ির চাহিদা বেড়ে চলেছে। টেসলার (Tesla) সম্প্রসারণের ফলে এই বাজার আরও দ্রুত ত্বরান্বিত হবে। টেসলার এই তৃতীয় প্রচেষ্টা এমন সময়ে আসছে যখন ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়ছে। মোদি সরকারের পক্ষ থেকে সহায়ক নীতিও গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে, বিলাসবহুল বৈদ্যুতিক গাড়ির উপর ১১০% আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৭০% করা হয়েছে, যার ফলে টেসলার গাড়িগুলি এখন আরও যুক্তিসঙ্গত দামে পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি, ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারটি সম্প্রতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফেডারেশন অফ অটোমোবাইল ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (FADA) তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে ৮২,৬৮৮ ইউনিট থেকে ২০২৪ সালে ৯৯,১৬৫ ইউনিট বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা ১৯.৯৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বাড়তি চাহিদা, চার্জিং অবকাঠামোর উন্নতি এবং আরও বেশি উৎপাদকদের সাশ্রয়ী মূল্যে মডেল বাজারে আনার মাধ্যমে, ২০২৫ সালে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি দ্বিগুণ হতে পারে।

    পরিবর্তনের আশা

    চিনের বাজার ক্রমশ হ্রাস পাওয়ায় টেসলা ভারতের দিকে ঝুঁকেছে। তবে, দাম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, কারণ টাটা মোটরস, মহিন্দ্রা & মহিন্দ্রা, হুন্ডাই এবং মারুতি সুজুকির মতো কোম্পানিগুলি ভারতের ভোক্তাদের জন্য সস্তা ইভি বিক্রি করছে। ২০১৯ সালেই প্রথম ভারতে ব্যবসা শুরু করার অনুমতি চায় টেসলা। সেই থেকে মাস্ক ও মোদি প্রশাসনের মধ্যে আলোচনা চলছে। এবার দুপক্ষ সহমত হয়েছে। যদি টেসলা সফল হয়, তবে এর আগমন ভারতীয় গাড়ির বাজারে আমূল পরিবর্তন আনবে।

  • Rahul Gandhi: নিষিদ্ধ চিনা ড্রোন নিয়ে রাহুল গান্ধীর কেরামতি! শিল্পমহলে ছিছিক্কার

    Rahul Gandhi: নিষিদ্ধ চিনা ড্রোন নিয়ে রাহুল গান্ধীর কেরামতি! শিল্পমহলে ছিছিক্কার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দলকে ফাঁসালেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)! ভারতের ড্রোন শিল্পের সমালোচনা করতে গিয়ে একটি পোস্টে তিনি ব্যবহার করলেন নিষিদ্ধ চিনা ড্রোন (Banned Chinese Drone)। তার পর আর যায় কোথায়! দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন গান্ধী পরিবারের এই উত্তরসূরি।

    রাহুলের সমালোচনা (Rahul Gandhi)

    রাহুলের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন ড্রোন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (DFI) প্রেসিডেন্ট স্মিত শাহ। তিনি বলেন, “দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন ড্রোন শিল্পকে অস্বীকার করে চিনা ডিজেআই ড্রোন প্রদর্শন করা কেবল অন্যায় নয়, বিভ্রান্তিকরও।” ডিজেআই ড্রোন তৈরি করে একটি চিনা কোম্পানি। ডিজেআই টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড নামের ওই সংস্থাটি রয়েছে শেনঝেন, গুয়াংডং-এ। এক্স হ্যান্ডেলে শাহ লেখেন, “ডিজেআই ড্রোন ২০২২ সাল থেকে ভারতে নিষিদ্ধ। তবুও রাহুল গান্ধীকে এরই একটি নিয়ে কাজ করতে দেখা গিয়েছে।” তাঁর প্রশ্ন, “এই ড্রোনটা কীভাবে এল? এটি ব্যবহারের আগে বৈধ অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কিনা।”

    ভারতের ড্রোন

    শাহ (Rahul Gandhi) বলেন, “ভারতের ড্রোন শিল্প এখনও বিকাশমান। এখানে এখনও অনেক কাজ বাকি। তবে বাস্তব সমাধান না দিয়ে বিস্তৃত বক্তব্য দিলে আদতে কোনও কাজ হয় না। শিল্প নেতৃবৃন্দ, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই বাস্তব অগ্রগতি তৈরি করছে।” তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী ড্রোন চালানোর বিষয়ে আইনগত উদ্বেগ উত্থাপন করেছেন। জানতে চেয়েছেন তার কি বৈধ রিমোট পাইলট সনদ আছে এবং ড্রোন কি ডিজিটালস্কাইতে রেজিস্টার্ড ছিল, যেমনটা ভারতের ড্রোন নিয়ম ২০২১ অনুসারে প্রয়োজন”। ড্রোন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার  প্রেসিডেন্টের আরও প্রশ্ন, “তাঁর বাসস্থান এবং অফিস সম্ভবত একটি সীমাবদ্ধ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। ড্রোন ওড়ানোর আগে তিনি কি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেয়েছিলেন? এই নিয়মগুলি কি তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, নাকি তিনি সহজেই উপেক্ষা করেছেন?”

    মোহনদাস পাই পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত। তিনি ইনফোসিসের প্রাক্তন সিএফও এবং বোর্ড সদস্য। তিনি বলেন, “ভারত আজ বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম শিল্প উৎপাদনকারী দেশ, ২য় বৃহত্তম স্টিল উৎপাদক, ২য় বৃহত্তম সিমেন্ট, ৩য় বৃহত্তম অটোমোবাইল উৎপাদক, বৃহত্তম ২ডাব্লু উৎপাদক, ২য় বৃহত্তম মোবাইল ফোন উৎপাদক, ৩য় বৃহত্তম শক্তি উৎপাদক (Banned Chinese Drone)। এর মধ্যে অধিকাংশই হয়েছে গত ১০ বছরে (Rahul Gandhi)।”

  • RSS: দিল্লি বিজয় সম্পন্ন, এবার বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উদ্যোগী আরএসএস

    RSS: দিল্লি বিজয় সম্পন্ন, এবার বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে উদ্যোগী আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) নিবিড় প্রচারের সুফল কুড়িয়েছে বিজেপি। দিল্লি, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র হয়েছে পদ্মময়। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের পাখির চোখ বিহার। চলতি বছর হওয়ার কথা বিহার বিধানসভার নির্বাচন (Bihar Assembly Polls)। সেখানে বিজেপিকে সাহায্য করতে তাই কোমর বেঁধে নামছেন সংঘের নেতারা।

    দিল্লি জয়ে আরএসএসের ভূমিকা (Bihar Assembly Polls)

    উল্লেখ্য যে, আরএসএসকে জেতাতে দিল্লির প্রতিটি প্রান্তে ৫০ হাজারেরও বেশি সভা করেছে আরএসএস। বিজেপিকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছে ভোটারদের। বিহারের পাশাপাশি আরএসএসের নজর পশ্চিমবঙ্গের দিকেও। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য নিশ্চিত করতে মিশন ত্রিশূল হাতে নিয়েছে আরএসএস। এই মিশনে একটি কৌশল গঠিত হয়েছে তিনটি মূল বিষয়কে কেন্দ্র করে।

    বিহার বিধানসভা নির্বাচন

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র আট মাস বাকি। এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে আরএসএস (RSS)। শুরু করে দিয়েছে বিজেপিকে জেতাতে যাবতীয় প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, আরএসএস তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছে। এগুলি হল, গোপান সমীক্ষার মাধ্যমে অসন্তুষ্ট ভোটার ও প্রধান সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা, নির্বাচনী প্রচারের মূল বিষয় ঠিক করতে সব চেয়ে প্রভাবশালী ইস্যুগুলি নির্ধারণ করা এবং এই ইস্যুগুলির ভিত্তিতে বিজেপির জন্য নির্বাচনী সুবিধা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা। আরএসএসের এই সমীক্ষা কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য আরএসএসের বিস্তৃত শাখা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে বিহারজুড়ে শাখার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে, যাতে তৃণমূল পর্যায়ে সংযোগ আরও দৃঢ় করা যায়।

    বিহারে পদ্ম ফোটাতে চেষ্টার কসুর করছে না আরএসএস। ভালো ফলের জন্য বিহারকে উত্তর ও দক্ষিণ দুই অংশে ভাগ করা হয়েছে। মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে আরএসএসের সভা। সেখানে দুর্বল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিকে শক্তিশালী করতে একটি ব্যাপক বুথ-স্তরের সমীক্ষা পর্যালোচনা করা হবে। বিহার এমন একটি রাজ্য যেখানে বিজেপি কখনও এককভাবে সরকার গঠন করেনি। সেই কারণেই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে আরএসএস। আরএসএস সক্রিয়ভাবে কৌশলও তৈরি করছে। সেই কৌশল কাজে লাগিয়েই বিহারে (Bihar Assembly Polls) এবার বাজিমাত করতে চাইছে আরএসএস (RSS)।

  • Piyush Goyal: আগামী ৫ বছরে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়ে হবে দ্বিগুণ! কী বলছেন পীযূষ গোয়েল?

    Piyush Goyal: আগামী ৫ বছরে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়ে হবে দ্বিগুণ! কী বলছেন পীযূষ গোয়েল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (India US Relation) দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে ও আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে মোদি (Piyush Goyal)

    সম্প্রতি দু’দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় ভারত ও আমেরিকা ঘোষণা করেছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ পারস্পরিক সুবিধাজনক, বহু-ক্ষেত্রভিত্তিক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির প্রথম পর্ব নিয়েও আলোচনা হবে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী (Piyush Goyal) বলেন, “আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য চুক্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, আমরা বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

    তিনি বলেন, “এই চুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বসিত দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।” চুক্তিতে পণ্য, পরিষেবা এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত অধ্যায় থাকবে কিনা তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “ওই দেশের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী এখনও এ ব্যাপারে কোনও কিছু নিশ্চিত করেননি। ওঁরা নিশ্চিত করার পর আমরা আলোচনা করব এবং তারপরই আমরা পরবর্তী পন্থা নির্ধারণ করতে পারব।” তিনি জানান, একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে দুটি বাণিজ্যিক অংশীদার তাদের মধ্যে বাণিজ্য হওয়া সর্বাধিক সংখ্যক পণ্যের ওপর শুল্ক সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে বা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। এছাড়াও, তারা পরিষেবার বাণিজ্য প্রচার ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করে।

    প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে দুই দেশ একটি ক্ষুদ্র বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছিল। তবে জো বাইডেন প্রশাসন এ ধরনের চুক্তির পক্ষে না থাকায় এটি স্থগিত করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পণ্য ও পরিষেবা বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৯০.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওই বছরে আমেরিকায় ভারতের পণ্য রফতানির পরিমাণ ছিল ৮৩.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর আমদানি ছিল ৪০.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাই সেবার ভারতের অনুকূলে ৪৩.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন (India US Relation) ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত হয়। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি, যার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে (Piyush Goyal)।

  • Kesari Veer and Chhavaa: ‘কেশরী বীর’ থেকে ‘ছভা’, ভুলে যাওয়া হিন্দু যোদ্ধাদের পর্দায় ফেরাচ্ছে বলিউড

    Kesari Veer and Chhavaa: ‘কেশরী বীর’ থেকে ‘ছভা’, ভুলে যাওয়া হিন্দু যোদ্ধাদের পর্দায় ফেরাচ্ছে বলিউড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মারাঠি ভাষায় প্রকাশিত উপন্যাস থেকে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে মারাঠি রাজা শিবাজি মহারাজের ছেলে সম্ভাজি মহারাজের বীরত্ব, তাঁর যুদ্ধের কাহিনি ও আত্মত্যাগ নিয়ে তৈরি “ছভা” বলিউডে পরিবর্তনের ধারা নিয়ে আসছে। এর পথ ধরে শীঘ্রই পর্দায় আসতে চলেছে আর একটি ছবি, “কেশরী বীর: লেজেন্ড অফ সোমনাথ” (Kesari Veer and Chhavaa)। এই দুই ছবিই বলিউডের ঐতিহ্যগত ইসলামিক প্রভাব থেকে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। এই সিনেমাগুলোর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া হিন্দু বীরদের কাহিনি নতুন করে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

    বলিউডে নতুন গল্প বলার ধরন

    দীর্ঘদিন ধরে বলিউড, “দাউদউড” হিসেবে সমালোচিত হয়েছে তার হিন্দু-বিরোধী (Hindutva in Bollywood) মনোভাবের জন্য। সেই বলিউডই এখন বীর হিন্দু যোদ্ধাদের গল্প বলতে শুরু করেছে। “ছভা” এবং “কেশরী বীর” সিনেমাগুলোর মাধ্যমে, একেবারে নতুন ধরনের গল্প বলার এক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলি-দুনিয়ায়। যদিও এই সিনেমাগুলি হিন্দুত্বের মূল আদর্শ অনুসরণ করে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে এগুলোর মাধ্যমে হিন্দু ইতিহাসের ভুলে যাওয়া বীরদের কাহিনি নতুন করে উন্মোচিত হওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই সিনেমাগুলি হিন্দু বীরত্বের কাহিনি তুলে ধরে, বলিউডের ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের গল্প বলছে। এই সিনেমাগুলোর মাধ্যমে বলিউডের সেই পুরনো ধারা ভাঙছে, যেখানে হিন্দু ইতিহাস প্রায়শই উপেক্ষিত বা বিকৃত করা হয়েছে।

    ইতিহাসে উপেক্ষিত চরিত্র

    সপ্তদশ শতকে বাবা শিবাজির পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তরুণ সম্ভাজি মোঘলদের দাসত্ব স্বীকার না করে, মারাঠা স্বরাজের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। দিল্লিতে তখন ঔরঙ্গজেবের রাজত্ব। সম্ভাজি সিংহাসনে বসেই বুরহানপুরে মোঘলদের সেনা ছাউনিতে আক্রমণ করে ধ্বংস করলে তৎকালীন মোঘল সম্রাট প্রতিশোধ নিতে শুরু করেন পালটা আক্রমণ করে। ওদের প্রতিটি আক্রমণ রুখে দেন সম্ভাজি তাঁর অনুগত সৈনিক এবং সেনাপতি হাম্বিররাওয়ের লড়াই কৌশলে। একেবারে যাকে বলে গেরিলা যুদ্ধ, প্রায় সেইরকম। জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে সম্ভাজির সেনারা (লক্ষ্মণ উতরেকরের নির্দেশে অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার) আরও কতই না ভেলকি দেখিয়েছেন। তাঁরা মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছে। আখের ক্ষেতে ছদ্মবেশে আখ গাছ হয়েছে। চিত্রনাট্যে মহারাষ্ট্র ও সমগ্র মারাঠি জাতির প্রাণপুরুষ শিবাজি মহারাজ, উপস্থিত না থেকেও যেভাবে রয়েছেন, তা এক কথায় অনবদ্য। সংলাপে অনর্গলভাবে ওঁর নাম উচ্চারিত হয়েছে।

    মারাঠি মহানুভবতার পরিচয়

    সম্ভাজি ও ঔরঙ্গজেবের মধ্যে ফাইনাল যুদ্ধটি হয় পুণের কাছে ভীম নদীর পাড়ে তুলাপুর নামের একটি জায়গায়। যেখানে ঔরঙ্গজেব সম্ভাজি ও তাঁর অন্যতম অমাত্য কবি কালাশকে বন্দি করে নিয়ে যান। বন্দিদশায় কবির জিভ কেটে দেওয়া হয়। আর চোখ উপড়ে নেওয়া হয় সম্ভাজির। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত মারাঠিরাজ একা লড়ে যান শতাধিক মোঘল সৈন্যের সঙ্গে। সে লড়াই সত্যি অসম্ভব এবং অমানসিক। হিন্দুত্বের জয়গান, মারাঠি মহানুভবতার পরিচয়, এই ছবি। এক সংলাপে সম্ভাজি বলেই ফেলেন “তুমি আমার সঙ্গে যোগ দিয়ে মারাঠি হয়ে যাও, তোমাকে সেজন্য ধর্ম ত্যাগ করতে হবে না। সুখে থাকবে!” বলিউড অতীতে সাধারণত ইসলামি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামী হিন্দু বীরদের গল্প বলতে পিছপা থেকেছে, বরং ওই সময়ের আক্রমণকারীদের মঙ্গলময় রূপে উপস্থাপন করত। সম্ভাজি মহারাজের এই কাহিনী বহুদিন ধরেই ইতিহাস থেকে উপেক্ষিত ছিল, যদিও তিনি ছিলেন এক মহান যোদ্ধা।

    সোমনাথ মন্দির রক্ষার লড়াই

    সুনীল শেঠি, সুরজ পাঞ্চোলি এবং বিবেক ওবেরয় অভিনীত ঐতিহাসিক বায়োপিক, কেশরী বীর: লেজেন্ড অফ সোমনাথের বহুল প্রতীক্ষিত টিজারও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। এই ছবিটি হামিরজি গোহিলের বীরত্বপূর্ণ কাহিনী বর্ণনা করে, যিনি একজন নির্ভীক যোদ্ধা ছিলেন। পবিত্র সোমনাথ মন্দিরে পাহারা দিতেন তিনি। শক্তিশালী তুঘলক সাম্রাজ্যের হাত থেকে হিন্দু মন্দিরকে রক্ষা করেছিলেন হামিরজি। ছবিটি গোহিলের সাহস, ত্যাগ এবং দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করে। ১৪০০ শতাব্দীতে আক্রমণকারীদের হাত থেকে সোমনাথ মন্দিরকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করা এবং জীবন উৎসর্গ করা অজ্ঞাত পরিচয় যোদ্ধাদের এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবি। হামিরজি গোহিলের মতো হিন্দু বীরের গল্পও এখন আলোচনায় আসছে। গোহিল রাজপুত বংশের এক বীর যোদ্ধা। তিনি সোমনাথ মন্দির রক্ষার জন্য আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়েছিলেন, তাঁর কাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই উপেক্ষিত ছিল।

    বলিউডে পরিবর্তন

    বহুদিন ধরে বলিউডকে তার হিন্দু-বিরোধী এবং প্রো-ইসলামিস্ট অবস্থানের জন্য সমালোচিত করা হয়েছে। তবে “ছভা” এবং “কেশরী বীর” (Kesari Veer and Chhavaa) সিনেমাগুলি সম্ভবত এই পরিবর্তনের শুরু, যা ভবিষ্যতে আরও নতুন গল্প নিয়ে আসবে। সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার এক বিশেষ প্রবণতা শুরু হয়েছে, যা কেবল আড়ালে রাখা বীরদের কাহিনী সামনে আনছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, কি বলিউড একটি বাস্তবিক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সাধন করছে, নাকি এটি কেবল হিন্দু অনুভূতির প্রতি বাজারের প্রতিক্রিয়া? যাই হোক, যে কথাগুলো এতদিন চাপা ছিল, সেগুলো এখন সিনেমার পর্দায় উঠে আসছে—এটা নিজেই একটি বড় পরিবর্তন।

  • Jharkhand: রাজ্যে ঢুকছে বাংলাদেশের জঙ্গিরা, সতর্কতা জারি ঝাড়খণ্ডের এটিএসের

    Jharkhand: রাজ্যে ঢুকছে বাংলাদেশের জঙ্গিরা, সতর্কতা জারি ঝাড়খণ্ডের এটিএসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বাংলাদেশের জঙ্গিরা ঢুকছে। তারা পাকুড়ে (Jharkhand) নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে। পরে ফের সীমান্ত পার হয়ে ফিরে গিয়েছে (JMB)। এই মর্মে উচ্চস্তরের সতর্কতা জারি করেছে ঝাড়খণ্ড অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড বা এটিএস। হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে বাড়বাড়ন্ত হয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলির। সেগুলিই ভারতে ঢুকে অশান্তি জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে।

    গোয়েন্দা তথ্য (Jharkhand)

    এটিএসের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর জঙ্গি আবদুল মামুন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান হয়ে ভারতে প্রবেশ করে। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সে পাকুড়ে পৌঁছেছে। সেখানে থাকার সময় সে ডুবরাজপুরের ইসলামি দাওয়া সেন্টারে জেএইচএ ইন্ডিয়ার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে। ১৫ জন স্থানীয় নিয়োগপ্রাপ্তকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেয়। গোয়েন্দা রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর মামুন ৭ জানুয়ারি ধুলিয়ান রুট দিয়েই আবার বাংলাদেশে ফিরে যায়।

    এটিএসের সতর্কবার্তা

    জানা গিয়েছে, এটিএস (JMB) সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেলদের নির্দেশ দিয়েছে, যাতে তারা কার্যকর গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে এবং সম্ভাব্য হুমকির মোকাবিলায় কঠোর প্রতিরোধমূলক ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে (Jharkhand)। এটিএসের সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলি আঞ্চলিক রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ভারতে তাদের কার্যকলাপ প্রসারিত করার চেষ্টা করছে।গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জেএমবি সহ চরমপন্থী সংগঠনগুলি ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের মতো ভারতীয় রাজ্যগুলিতে অনুপ্রবেশ করে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসী ষড়যন্ত্র করছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, পাকুড়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটিএসের নজরদারিতে পাকুড়ের নিয়োগপ্রাপ্তদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির কিছু ব্যক্তির যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। এরা জঙ্গি প্রশিক্ষণ কার্যকলাপে জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের। সাহেবগঞ্জ ও পাকুড়ে, সাঁওতাল পরগনা অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেখানে আগে জেএমবি সক্রিয় ছিল, সেখানে কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত গোপন কর্মী ও সমর্থকদের সন্ধান করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারির ব্যবস্থাও (JMB) করা হয়েছে এটিএসের তরফে (Jharkhand)।

  • Bangladesh: মৌলবাদীদের বাধায় বন্ধ হচ্ছে একের পর এক উৎসব, উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ

    Bangladesh: মৌলবাদীদের বাধায় বন্ধ হচ্ছে একের পর এক উৎসব, উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূসের বাংলাদেশে (Bangladesh) বন্ধ হচ্ছে একের পর এক উৎসব। সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় একটি উৎসব বন্ধ করা হয়েছে। এরপরেই বন্ধ করা হয় ‘ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব’। জানা গিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানটি ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মৌলবাদীদের বাধার মুখে শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন আয়োজকরা। প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তরায় বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সবরকম প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে মৌলবাদীদের বাধার মুখে আয়োজকরা এই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    মৌলবাদীদের বাধার মুখে উৎসব (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে (Bangladesh) পহেলা ফাগুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একসঙ্গেই পালিত হয়। তবে ইউনূস জমানায় এই দুই উৎসবকে ঘিরে সারাদেশে ওই এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এসব অনুষ্ঠান আয়োজনে মৌলবাদীরা বাধা দিলেও মোকাবিলার ক্ষেত্রে ইউনূস সরকারের উল্লেখযোগ্য কোনও ভূমিকাই দেখা যায়নি। গত ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে এরকম ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ, তৌহিদী জনতা নামে একটি মৌলবাদী সংগঠন এগুলো করছে। এর পাশাপাশি, অভিযোগ উঠেছে হেফাজতে ইসলাম নামের অন্য একটি সংগঠনের বিরুদ্ধেও।

    মহিলা সমিতির নাট্য উৎসব বাতিল

    গত শনিবারই ঠিক বিকাল ৫টা নাগাদ ঢাকার (Dhaka) মহিলা সমিতির উদ্যোগে ‘ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব’-এর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। জানা গিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নাট্য উৎসব চলার কথা ছিল। কিন্তু ঠিক এক দিন আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিলা সমিতিতে কিছু মৌলবাদী লোক এসে হামলা করার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। তাই সবরকমের প্রস্তুতি থাকার পরও তা কার্যকর করা যায়নি। আন্তজার্তিক সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানিয়েছেন আয়োজকরা।

    কী বললেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক (Bangladesh)

    অনুষ্ঠানের অন্যতম আহ্বায়ক ঠান্ডু রায়হান জানিয়েছেন, গত দুই মাস ধরে ৮৫টি নাট্যদলের কর্মীরা এই উৎসবের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন যখন প্রায় সম্পন্ন, তখনই ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির কর্মীদের কাছে রমনা থানা থেকে ফোন আসে এবং এই উৎসব বন্ধ করতে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নাট্যোৎসব আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপরে মহিলা সমিতির সদস্যরা থানার ওসির সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা চেয়ে থানায় একটি আবেদনপত্র জমা দেন। তবে এর কোনও সুরাহা হয়নি।

    মৌলবাদীদের নির্দেশে চলছে পুলিশ

    থানার পুলিশ কর্তার সঙ্গে দেখা করার পরে উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কামাল আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘ওসি সাহেব সব শুনে আশ্বস্ত করেন। বলেন, আমরা চাই উৎসবগুলো হোক। কিন্তু একটু অসুবিধা আছে, একটা নাটক বাদ দিতে হবে।’’ এরপরেই কামাল আহমেদ বলেন, ‘‘থানার ওই কর্মকর্তা ‘পায়ের আওয়াজ পায়’ নামের নাটকটি বন্ধের কথা বলেছিলেন। উনি কেন এখানে ওই নাটক বাদ দিয়ে বাকিগুলো করতে বললেন, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার না। কিন্তু মনে হল, উনি কোথাও থেকে কোনও নির্দেশনা পেয়ে এরকম একটি মন্তব্য করছেন।’’

    নিরাপত্তার কথা ভেবে বাতিল উৎসব

    কামাল আহমেদ আরও বলেন, ‘‘সবগুলো দল মিলে প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু একটি দলকে বাদ দিয়ে বাকিরা অংশগ্রহণ করবে এটা হতে পারে না।’’ উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কামাল আহমেদ বলেন, ‘‘তাঁদের টিম রমনা থানা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেশ কয়েকজনের একটি ‘মব’ থানায় ঢুকে এবং ধমক-টমক দিয়ে গালাগালসহ মহিলা সমিতির কর্মকর্তাকে উৎসব বন্ধ করার জন্য চাপ দেয়। এমন পরিস্থিতিতে মহিলা সমিতি ভয় পেয়ে যায়। তাই তাঁরা তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতেই অনুষ্ঠান বাতিল করেন।’’

    পুলিশের বিবৃতি

    গত শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি বিবৃতি দেয়। সেখানে তারা আবার ওই নাটক বন্ধ নিয়ে পুলিশের ভূমিকার কথা অস্বীকার করে। বিবৃতিতে তারা বলে, ‘‘ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের পক্ষ থেকে উক্ত নাট্যোৎসব বন্ধ করা বা স্থগিত করা সম্পর্কে কোনও নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি। যেকোনও ধরনের সৃজনশীল ও শৈল্পিক কর্মকাণ্ডকে আমরা সবসময় উৎসাহিত করে থাকি। কী কারনে আলোচ্য নাট্যোৎসব স্থগিত হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। উক্ত নাট্যোৎসব ঘিরে যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।’’

    চট্টগ্রামের সিআরবি মাঠে বাতিল আবৃত্তি সংগঠনের অনুষ্ঠান

    অন্যদিকে, শনিবার চট্টগ্রামের সিআরবি মাঠে একটি আবৃত্তি সংগঠন প্রমার উদ্যোগে বসন্ত উৎসব হওয়ার কথা ছিল। এই মাঠের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব ছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। প্রথমে অনুমতি দিলেও পরে তা বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সিআরবিতে সারাদিনের অনুমতি ছিল তাদের। শনিবার সকাল দশটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত সকালের অধিবেশন হয়। দুপুরের বিরতির পর পরবর্তী অধিবেশন তিনটায় শুরু করার কথা ছিল। এমন সময় দুপুর দেড়টা নাগাদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে কল করে আয়োজকদের বলেন, আমরা এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দিতে পারব না।’’ অনুমতি বন্ধের কোনও কারণ অবশ্য জানাতে পারেননি বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষ।

    উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ

    একের পর এক এভাবে অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন সেদেশের নাগরিকরাও। সমাজ মাধ্যমে অনেকেই উৎসব বন্ধের খবরগুলি শেয়ার করে সরকারের সমালোচনাও করেছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক (Bangladesh) জোবাইদা নাসরীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এগুলো কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। ধারাবাহিক ঘটনা।’’ নাগরিক সমাজের একাংশের মতে, ‘‘যা ঘটছে, তা অপরিকল্পিত বা অরাজনৈতিক না। একটি বিশেষ ধর্মান্ধ গোষ্ঠী এগুলো করছে। অথচ কারা করছে, কী প্রক্রিয়ায় করছে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনও বক্তব্য এবং পদক্ষেপ নেই।’’ বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের মতে, ‘‘ইউনূস সরকারের কোনওরকম বক্তব্য যে নেই, এটিও রাজনীতির-ই অংশ। সরকার কোনও জায়গায় কথা বলছে, কোন জায়গায় কথা বলছে না। সরকার কাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, কাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে না। এগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। মৌলবাদীদের প্রতি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও আস্কারা রয়েছে। এমন ধরনের হুমকি, অনুষ্ঠান বন্ধ, এগুলো অন্তত তিন মাস ধরে চলছে।’’ নাগিক সমাজের একাংশের মতে, এইসব অনুষ্ঠান বন্ধ করা মানে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত।

LinkedIn
Share