Tag: Madhyom

Madhyom

  • President Murmu: “সাহসী হও, নিজেদের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলো” নারীশক্তিকে দেশগঠনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    President Murmu: “সাহসী হও, নিজেদের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলো” নারীশক্তিকে দেশগঠনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে মহিলারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিখরে পৌঁছেছে। ‘মিসাইল থেকে মিউজিক’- সমস্ত ক্ষেত্রেই মহিলারা প্রতিবন্ধকতা জয় করেছে। দেশ গঠনে মহিলাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অফ দ্য আর্ট অফ লিভিং-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে এমনই মত প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের মেয়েদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান, “সাহসী হও, নিজেদের স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলো। স্বপ্ন দেখো, তবেই তা পূরণ করার শক্তি পাবে।”

    উন্নত পৃথিবীর লক্ষ্যে নারী শক্তি

    এদিনের অনুষ্ঠানে সমাজ ও দেশে ‘নারী শক্তি’-র অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, “আগে বলা হত, প্রত্যেক সফল ব্যক্তির পিছনে এক মহিলা রয়েছে। কিন্তু, আজ বলা উচিত, প্রত্যেক সফল ব্যক্তির পাশে এক মহিলা রয়েছে।” তাঁর কথায়, “ভারতের ‘নারী শক্তি’ আজ উজ্জীবিত, তারা উচ্চাকাঙ্ক্ষী, সফল। বিজ্ঞান, ক্রীড়া, রাজনীতি, শিল্প বা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে, আমাদের বোনেরা ও মেয়েরা মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা তাদের পরিবার, প্রতিষ্ঠান এবং দেশকে গর্বিত করছে।” তাঁর বার্তা, “সীমাবদ্ধতা ভাঙা এবং স্টেরিওটাইপের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানো সম্ভব হয় না মনোবল ছাড়া। আমি প্রতিটি মহিলাকে আহ্বান জানাই, সাহসী হন, বড় স্বপ্ন দেখুন এবং আপনার সমস্ত শক্তি ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে স্বপ্ন পূর্ণ করুন। প্রতিটি ছোট পদক্ষেপ আপনাকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেই প্রতিটি পদক্ষেপই উন্নত ভারত এবং উন্নত পৃথিবীর দিকে একু একটু করে এগিয়ে চলা।”

    নেতৃত্বে নারী শক্তি

    রাষ্ট্রপতি মুর্মু বলেন, “আমরা প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের যুগে আছি। প্রযুক্তির অগ্রগতি আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে। এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আমাদের মানবিক মূল্যবোধ অক্ষুণ্ণ রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, প্রতিটি মানুষকে করুণা, ভালোবাসা এবং ঐক্যের মানবিক মূল্যবোধ প্রচারের জন্য সচেতনভাবে অতিরিক্ত প্রচেষ্টা করা উচিত। এখানেই নারীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নারীদের করুণার মাধ্যমে নেতৃত্ব দেওয়ার একটি বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। তারা ব্যক্তিত্বের বাইরে গিয়ে পরিবার, সম্প্রদায় এমনকি বিশ্বব্যাপী সম্পর্কের কল্যাণের জন্য কাজ করার ক্ষমতা রাখে।”

  • Gamai: অন্য বন্ধন! উমেশ রাও এবং তার গাভী ‘গাইমাই’র অবিচ্ছেদ্য ২৩ বছরের বন্ধুত্ব

    Gamai: অন্য বন্ধন! উমেশ রাও এবং তার গাভী ‘গাইমাই’র অবিচ্ছেদ্য ২৩ বছরের বন্ধুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভালোবাসা এবং আনুগত্য সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় না। নিলেশ্বরমের ছোট্ট এক গ্রামের বাসিন্দা কৃষক উমেশ রাও এবং তাঁর গাভী ‘গাইমাই’ এর বন্ধন তার প্রমাণ। ৮৬ বছর বয়সী উমেশ ৩০ বছর আগে, গাভী কেনার জন্য চেরুভথুরে যান। সেখান থেকে গাইমাইয়ের মাকে নিয়ে আসেন উমেশ।

    মধুর সম্পর্কের সূচনা

    এই মুহূর্ত থেকেই এক আজীবন সম্পর্কের সূচনা হয়। বছরগুলি পেরিয়ে গাইমাই জন্ম নিলে, উমেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে ওঠে, এবং তিনি গাইমাইয়ের মাকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে গাইমাই তার খামারে থেকে যায়। আজ, গাইমাই শুধু এক গাভী নয়, উমেশের পরিবারে প্রিয় একজন সদস্য।

    গাইমাই-এর পরিবার

    বছরের পর বছর, গাইমাই এখন কয়েকটি বাচ্চা জন্ম দিয়েছে, এবং উমেশ তার মেয়েদের রাখতে প্রতিজ্ঞা করেছেন, যাতে গাইমাইয়ের বংশধারা তার খামারে অব্যাহত থাকে। বর্তমানে, গাইমাইয়ের বংশধারা পাঁচ প্রজন্মে বিস্তৃত হয়েছে, যার কেন্দ্রে রয়েছে গাইমাই। তার পরিবার উমেশের যত্ন এবং প্রতিশ্রুতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও গাইমাই আজকাল বুড়ো হয়ে গেছে এবং তার স্বাস্থ্যও বয়সের প্রভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবুও উমেশের ভালোবাসা ও যত্নের কোনো ঘাটতি নেই। তার শক্তিশালী গড়ন আর নেই, তার দাঁতও নেই, কিন্তু উমেশ তাকে তেমনি যত্নের সাথে সেবা করেন, যেমনটি তিনি তাকে বাচ্চা অবস্থায় পালন করেছিলেন।

    আনন্দময় মুহূর্ত

    উমেশ প্রায়ই মজা করে বলেন, “আমাদের আর দাঁত নেই,” যা তাদের মধ্যে এক আনন্দময় মুহূর্ত তৈরি করে। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও, তাদের সম্পর্ক অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।বছরের পর বছর, অনেকেই গাইমাইকে কিনতে এসে উমেশকে প্রস্তাব দিয়েছে, কিন্তু তিনি কখনোই রাজি হননি। উমেশের জন্য এটি কোনো লাভের বিষয় নয়, এটি তার গাইমাইয়ের সাথে গড়ে ওঠা এক গভীর আবেগময় সম্পর্ক। তিনি দেখেছেন গাইমাইয়ের পরিবারের পাঁচটি প্রজন্ম বেড়ে ওঠতে এবং তার জন্য, এটি এক অমূল্য অ ভিজ্ঞতা, যা তিনি কখনোই পরিবর্তন করবেন না।

  • Dowry: দাবি মতো পণ না পেয়ে তরুণীকে এইচআইভি ইনজেকশন, কাঠগড়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন

    Dowry: দাবি মতো পণ না পেয়ে তরুণীকে এইচআইভি ইনজেকশন, কাঠগড়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবি মতো পণের (Dowry) টাকা ও গাড়ি না পেয়ে এক মহিলাকে এইচআইভি (এডস রোগ) (HIV) ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সাহারানপুরে। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। মামলা দায়ের করা হয়েছে গাঙ্গোহ থানায়। জেলা পুলিশ সুপার সাগর জৈন জানান, আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    মোটা অঙ্কের পণের দাবি (Dowry)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হরিদ্বারের এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন গাঙ্গোহ এলাকার এক ব্যক্তি। পণ বাবদ দিয়েছিলেন একটি গাড়ি, নগদ ১৫ লাখ টাকা এবং বেশ কয়েক লাখ টাকার গয়না। এতে অবশ্য সন্তুষ্ট হয়নি ওই ব্যক্তির মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তারা একটি স্করপিও গাড়ি এবং নগদ ২৫ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন বলে অভিযোগ।

    তরুণীকে এইচআইভি ইনজেকশন

    পণ বাবদ এত দাবি আর মেটাতে পারবেন না বলে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন ওই তরুণীর বাবা। অভিযোগ, এর পরেই শুরু হয় ওই তরুণীর ওপর নিত্য অত্যাচার। প্রতিদিন মারধর করার পাশাপাশি একদিন ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে বেরও করে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামের লোকজন বসে সমস্যা মিটিয়ে দেন। বিষয়টি তখনকার মতো ধামাচাপা পড়ে যায়। অভিযোগ, এর পরেই ওই তরুণীকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এইচআইভি ইনজেকশন দিয়ে দেয়। নির্যাতিতাকে জোর করে কিছু ওষুধও খাওয়ানো হয়। ওষুধ এবং ইনজেকশনের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই বধূ।

    ঘটনাটি জানতে পেরে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন ওই তরুণীর পরিবার (Dowry)। সেখানেই ধরা পড়ে নির্যাতিতার এইচআইভি সংক্রমণ। পরীক্ষা করা হয় ওই তরুণীর স্বামীকেও। রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার পরিবার। আদালতের নির্দেশে, গাঙ্গোহ থানা (Uttar Pradesh) সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে শুরু করেছে তদন্ত (Dowry)।

  • NIA: সন্ত্রাসবাদী রানাকে দেশে ফেরাতে শীঘ্রই আমেরিকা পাড়ি দেবে এনআইএ-র বিশেষ দল

    NIA: সন্ত্রাসবাদী রানাকে দেশে ফেরাতে শীঘ্রই আমেরিকা পাড়ি দেবে এনআইএ-র বিশেষ দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদী রানাকে প্রত্যর্পণের করা হবে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরের পরে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। জানা গিয়েছে মার্কিন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের পরেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ (NIA) খুব শীঘ্রই রানাকে ফিরিয়ে আনতে আমেরিকা সফর করবে। এরপরেই ভারতবর্ষে তাঁর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    ৫ সদস্যের টিম তৈরি করেছে এনআইএ

    এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তদন্ত প্রক্রিয়া চালাতে ইতিমধ্যেই একটি ৫ সদস্যের টিম তৈরি করেছে তারা। এনআইয়ের (NIA) এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তদন্তকারী সংস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে এ বিষয়ে অনুমোদন পেয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের এক গোয়েন্দা আধিকারিক যশোবর্ধন ঝা আজাদ জানিয়েছেন, যে তাহাবুর রানাকে ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই গোয়েন্দা কর্তা সংবাদমাধ্যমকে আরও বলেন যে সন্ত্রাসবাদী হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন রানা, তাঁকে ফিরিয়ে আনা ভারতের জন্য অত্যন্ত বড় সাফল্য এবং কারণ এখানেই তাঁর বিচারপর্ব (NIA) সম্পন্ন হবে।

    ট্রাম্প-মোদি বৈঠকের পর ঘোষণা

    বর্তমানে আমেরিকার উচ্চ সুরক্ষা সম্পন্ন জেলে রয়েছেন রানা (Tahawwur Rana)। গত কয়েক বছর ধরে বারবার তাঁর প্রত্যর্পণের আর্জি জানিয়েছে ভারত। দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়েছেন রানাও। তাই মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প যে ঘোষণা করেছেন, তা ভারতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বৈঠক শেষে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত, এক দুষ্কৃতীকে আমরা ভারতে প্রত্যর্পণ করছি। আমরা এক ভয়ঙ্কর অপরাধীকে ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছি।” এদিন ট্রাম্প যে ঘোষণা করেছেন তার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মুম্বই হামলার অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের প্রশংসা করে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের নাগরিক তাহাউর রানা পেশায় ব্যবসায়ী বলেই জানা যায়। ২০০৮ সালে তাজ হোটেলে যে জঙ্গি হামলায় ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়, সেই ঘটনায় জড়িত হিসেবে রানার নাম উঠে আসে। এবার সেই রানাকে ভারতে এনে জেরা করতে পারবেন গোয়েন্দারা।

  • BSNL: ১৭ বছর বাদে লাভের মুখ দেখল বিএসএনএল

    BSNL: ১৭ বছর বাদে লাভের মুখ দেখল বিএসএনএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (BSNL) চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২৬২ কোটি টাকার মুনাফা করেছে, যা ২০০৭ সালের পর তাদের প্রথম মুনাফা। এই সাফল্যের পিছনে কোম্পানির উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা, নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি ব্যয় সাশ্রয়ের দিকেও ঝুঁকেছে বিএসঅনএল। পাশাপাশি গ্রাহক কেন্দ্রিক পরিষেবা উন্নতির দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে।

    বিএসএনএল-এর লাভ

    কোম্পানির ত্রৈমাসিক আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করে বিএসএনএলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, এ. রবার্ট জেরার্ড রবি বলেন, “আমরা আমাদের আর্থিক ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট, যা আমাদের উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা, গ্রাহক সন্তুষ্টি এবং আক্রমণাত্মক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের প্রতি মনোযোগের প্রতিফলন। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে, আমরা আশা করছি আগামী আর্থিক বছরে ২০% এরও বেশি রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব। গত বছরের তুলনায় মোবিলিটি, এফটিটিএইচ এবং লিজড লাইনের রাজস্ব যথাক্রমে ১৫%, ১৮% এবং ১৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, বিএসএনএল তাদের আর্থিক খরচ এবং মোট ব্যয় কমাতে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে গত বছরের তুলনায় তাদের ক্ষতি ১,৮০০ কোটি টাকারও বেশি কমেছে।” তিনি আরও বলেন, “গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করতে আমরা নতুন উদ্ভাবনগুলো চালু করেছি যেমন: ন্যাশনাল ওয়াইফাই রোমিং, বিআইটিভি, সকল মোবাইল গ্রাহকের জন্য বিনামূল্যে বিনোদন প্রভৃতি। আমাদের সেবা গুণমান এবং সেবা নিশ্চয়তার প্রতি অবিরত মনোযোগ বিএসএনএল-এর প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরও শক্তিশালী করেছে এবং এটি ভারতীয় টেলিকম সেবা প্রদানকারী হিসেবে আমাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে।”

    আত্মনির্ভর ভারত এর প্রতীক

    বিএসএনএল-এর প্রধান সেবাগুলির রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে মোবিলিটি সেবায় ১৫%, এফটিটিএইচ সেবায় ১৮%, এবং লিজড লাইনে ১৪% বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, আর্থিক খরচ এবং মোট ব্যয় কমানোর ফলে তাদের ক্ষতি প্রায় ১,৮০০ কোটি টাকারও বেশি কমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের কৌশলগত পুনরুজ্জীবন কর্মসূচি, স্পেকট্রাম বরাদ্দ এবং মূলধন বরাদ্দের সমর্থনের সঙ্গে, বিএসএনএল দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জনে সক্ষম হবে। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে কোম্পানির মুনাফায় ফিরে আসা ভারতের ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং আত্মনির্ভর ভারত মিশনের জন্য তাদের অবদানকে প্রতিফলিত করে।

  • PM Modi: ভারতেই মার্কিন মুলুকের মতো পড়াশোনা! কী ভাবছেন মোদি-ট্রাম্প?

    PM Modi: ভারতেই মার্কিন মুলুকের মতো পড়াশোনা! কী ভাবছেন মোদি-ট্রাম্প?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ভারতেও ক্যাম্পাস খুলতে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতাই উভয় দেশের মধ্যে প্রতিভার চলাচল এবং শিক্ষার্থী, গবেষক ও কর্মীদের গতিবিধি সম্পর্কে সন্তোষ জ্ঞাপন করেছেন। দুই দেশের মানুষের স্বার্থে শিক্ষাক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন আদান প্রদানের উপর জোড় দিয়েছেন মোদি ও ট্রাম্প।

    মার্কিন মুলুকে ভারতীয় শিক্ষার্থী

    ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ হতে চলেছে। যা ৫০০ বিলিয়ন ডলার হবে। আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে শুক্রবার এমনই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকের পর ট্রাম্প জানান, বিশ্বের সব থেকে পুরনো গণতন্ত্র আমেরিকা। বিশ্বের সব থেকে বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারত। তিনি বলেন, “আমি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করছি, যা একবিংশ শতাব্দীতে প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারিত্ব আমাদের অর্থনৈতিক চুক্তিগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে।” এই প্রেক্ষাপটে তারা উল্লেখ করেছেন যে, ৩০০,০০০-এর বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রতি বছর ৮ বিলিয়ন ডলার অবদান রাখে এবং বহু সরাসরি ও পরোক্ষ চাকরি করে।

    ভারতেই মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস

    উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩,৩১,৬০২। এই শিক্ষাবর্ষে ২০২২-২৩ সালের তুলনায় ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন সংখ্যা ছিল ২,৬৮,৯২৩। এদিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি দুই দেশের মধ্যে জনগণ-জনগণের সম্পর্ক উন্নত করার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষা জগতের ভূমিকা প্রচুর। প্রধানমন্ত্রী মোদি, আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির অফশোর ক্যাম্পাস ভারতেও প্রতিষ্ঠার দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেন, “আমেরিকায় ভারতীয় কমিউনিটি আমাদের সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জনগণ-জনগণের সম্পর্ক আরও গভীর করতে আমরা শীঘ্রই লস অ্যাঞ্জেলেস এবং বোস্টনে নতুন ভারতীয় কনস্যুলেট খুলবো।” তিনি আরও বলেন, “আমরা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে ভারতেই অফশোর ক্যাম্পাস খুলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।”

    ক্যাম্পাস খুলতে গেলে গাইডলাইন

    সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন জানিয়েছে, বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি (Foreign Universities) ভারতে তাদের ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে। শুধু তাই নয় এই ক্যাম্পাস পরিচালনার ব্যাপারে তারা স্বশাসিত সিদ্ধান্তও নিতে পারবে। ভর্তির প্রক্রিয়া, খরচের পরিকাঠামো – এইসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ অনুসারে এই নয়া নোটিফিকেশনের গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। এর সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।

    বিশ্বমানের পড়াশোনা

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ভারতীয়দের কিছু সংখ্যকের মধ্যে মার্কিন মুলুকে পড়াশোনা করতে যাওয়ার যে হিড়িক রয়েছে, ভারতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ক্যাম্পাস খুললে তা হয়তো কিছুটা কমতেও পারে। আমেরিকার যেসব প্রতিষ্ঠান ভারতের মাটিতে ক্যাম্পাস তৈরি করবে। সেখানে যেন বিদেশের ক্যাম্পাসের মতোই পড়ুয়াদের পঠনপাঠন চলে, সেদিকেও দৃষ্টি রাখবে মোদি সরকার। সমস্ত নিয়ম-কানুন মেনেই চালু থাকবে বিশ্বমানের পড়াশোনা। ভারতে যে সমস্ত আমেরিকার শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠান গড়তে ইচ্ছুক তাদের বিশ্বব্যাপী র‍্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে প্রথম ৫০০-র মধ্যে থাকতে হবে। অথবা বিষয় ভিত্তিক ক্যাটেগরির নিরিখে প্রথম ৫০০- র মধ্যে থাকতে হবে এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। যেসমস্ত মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় বা ক্যাম্পাস তৈরি করবে সেখানে তারা একাধিক কোর্স চালু করতে পারবে। এই তালিকায় থাকছে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডক্টরাল, পোস্ট-ডক্টরাল, ডিপ্লোম ডিগ্রি, রিসার্চ বা গবেষণা, বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স। সমস্ত প্রোগ্রামের ১০ শতাংশ লেকচার বা পঠনপাঠন অনলাইনে হতে পারে, তবে তার বেশি নয়।

    একাধিক ক্যাম্পাস 

    জানা গিয়েছে, একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে ভারতে। তবে প্রতিটির জন্য আলাদা করে আবেদন জানাতে হবে। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে ক্যাম্পাস গঠন করলেও ইউজিসিকে বার্ষিক কোনও ফি দিতে হবে না। কেবলমাত্র একটি এককালীন অ্যাপ্লিকেশন ফি দিতে হবে ইউজিসিকে। নিজেদের পরিকাঠামো, ফিজিক্যাল এবং হিউম্যান রিসোর্স, জমির উপর ভিত্তি করেই ক্যাম্পাস তৈরি করতে পারবে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এছাড়াও পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি অর্থাৎ স্কলারশিপ এবং কনসেশন অর্থাৎ ছাড়ের ব্যবস্থাও করতে পারবে তারা।

     

  • Daily Horoscope 15 February 2025: কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 15 February 2025: কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

     

    মেষ

    ১) ব্যবসার কাজে মাথাগরম করবেন না।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) ডাক্তারের কাছে যেতে হতে পারে।

    বৃষ

    ১) মনের মতো স্থানে বেড়াতে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) মিথ্যা বদনাম থেকে সাবধান।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    মিথুন

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) সকাল থেকে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকুন।

    কর্কট

    ১) ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) পারিবারিক ভ্রমণে বাধা পড়তে পারে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    সিংহ

    ১) কোনও নিকটাত্মীয়ের জন্য সংসারে বিবাদ।

    ২) কোনও দুঃস্থ ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হতে পারে।

    ৩) সুখ লাভ।

    কন্যা

    ১) দুর্বুদ্ধিকে প্রশ্রয় দেবেন না।

    ২) ব্যবসায় শত্রুর দ্বারা ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) অর্থ লাভ হবে।

    তুলা

    ১) ব্যবসার ক্ষেত্রে তর্ক-বিতর্ক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    ২) আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃশ্চিক

    ১) কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ।

    ২) সকালের দিকে কোনও দুশ্চিন্তা মাথা খারাপ করবে।

    ৩) বিবাদে জড়াবেন না।

    ধনু

    ১) বিষয়-সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে গুরুজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাড়িতে বিবাদের সম্ভাবনা।

    ২) কোনও মহিলার জন্য বাড়িতে আনন্দ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখতে হবে।

    মকর

    ১) সকালের দিকে পেটের ব্যথায় কষ্ট পেতে পারেন।

    ২) কেনাকাটার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ৩) সতর্ক থাকুন।

    কুম্ভ

    ১) কোনও কাজে সময় নষ্ট হতে পারে।

    ২) চাকরির শুভ যোগাযোগ লাভে আনন্দ।

    ৩) সবাই আপনার প্রশংসা করবে।

    মীন

    ১) মা-বাবার সঙ্গে বিশেষ আলোচনা।

    ২) ব্যবসায় লাভের যোগ।

    ৩) পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Pulwama Attack: পুলওয়ামা হামলার ৬ বছর, শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন মোদি

    Pulwama Attack: পুলওয়ামা হামলার ৬ বছর, শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে উদযাপিত হয়। তবে ভারতবাসীর ক্ষেত্রে এই দিনটি এক গভীর শোক ও শ্রদ্ধার প্রতীক। ছয় বছর আগে আজকের দিনেই, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় (Pulwama Attack) এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৪০ জন বীর সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। সেই কারণে, আমাদের দেশে এই দিনটি ‘কালো দিবস’ হিসেবেও পালন করা হয়ে থাকে। আজকের দিনে সেই পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের স্মরণ করে শহিদদের স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘‘২০১৯ সালে পুলওয়ামায় যে সাহসী বীরদের হারিয়েছি, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা। তাঁদের আত্মত্যাগ এবং জাতির প্রতি তাঁদের অটল নিবেদন আগামী প্রজন্ম কখনও ভুলবে না।’’

    ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি (Pulwama Attack)

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, জম্মু থেকে শ্রীনগরগামী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)-এর কনভয়ে হামলা চালায় পাকিস্তানের মদতে চলা জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ। ওই জঙ্গি সংগঠন আত্মঘাতী হামলা চালায়। কনভয়ে ৭৮টি গাড়ি ছিল এবং ২,৫০০-এর বেশি সিআরপিএফ সদস্য ছিলেন বলে জানা যায়। বিস্ফোরণে ৪০ জন জওয়ান শহিদ হন এবং আরও অনেকেই আহত হন। এই হামলা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেয়।

    প্রত্যেক নাগরিক প্রতিবছর শ্রদ্ধা জানান এই দিনটিতে

    প্রসঙ্গত, প্রতিবছর এই দিনেই প্রত্যেক দেশবাসী শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশবাসী তাঁদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে (Pulwama Attack)। ভালোবাসার এই দিনে, দেশের রক্ষাকর্তাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোই প্রকৃত দেশপ্রেমের প্রতিফলন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুলওয়ামার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায়। এই এয়ার স্ট্রাইকে বহু জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়। মারা যায় শয়ে শয়ে জঙ্গি। যদিও এই অভিযানে সাফল্যের পরও পুলওয়ামার (Pulwama Attack) ক্ষত আজও রয়ে গিয়েছে দেশবাসীর মনে।

  • Rajiv kumar: সরে যাচ্ছেন রাজীব কুমার, নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কে? বৈঠক সোমবার

    Rajiv kumar: সরে যাচ্ছেন রাজীব কুমার, নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কে? বৈঠক সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে সরে যাচ্ছেন রাজীব কুমার (Rajiv kumar)। যদিও নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (New Chief Election Commissioner) কে হবেন, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বিহারে। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, অসম ও কেরলে। সেই প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হবে খুব শীঘ্রই। গোটা নির্বাচন সামলাবেন কোন ব্যক্তি তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে।

    সোমবার বৈঠকে বসবে কমিটি, উপস্থিত থাকবেন মোদি

    এ দিনই খবর সামনে আসে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে সরে যাচ্ছেন রাজীব কুমার (Rajiv kumar)। আগামী মঙ্গলবার তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার কে হবেন, তা নিয়ে আগামী সোমবারই বৈঠক বসতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল, লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি পরবর্তী মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নাম বাছাইয়ের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    ২০২২ সালের মে মাসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজীব কুমার (Rajiv kumar)

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন রাজীব কুমার (Rajiv kumar)। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের তত্ত্বাবধানে (New Chief Election Commissioner) ছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০২৩ সালের শেষের দিকে কর্নাটক, তেলঙ্গানা, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের ব্যবস্থাপনাও তিনি করেছিলেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। সেই ভোট পর্ব মিটতেই নিজের দায়িত্ব শেষ করলেন নির্বাচন কমিশনার। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন রাজীব কুমার। সে সময়ই তিনি বলেছিলেন যে অবসর গ্রহণের পর ৪-৫ মাস হিমালয়ে কাটাবেন।

  • PM Modi: বিশ্বের বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে বুদ্ধের দর্শন, বললেন মোদি

    PM Modi: বিশ্বের বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে বুদ্ধের দর্শন, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বুদ্ধের মধ্যম পথ অনুসরণের শিক্ষা এবং চরমপন্থা পরিহার করার দর্শন বিশ্বব্যাপী বহু সমস্যার সমাধান করতে পারে।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “বিশ্বের অনেক সংঘাতের মূল কারণ হল চরমপন্থী অবস্থান গ্রহণ করা। এর পরিবর্তে উচিত একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা।”

    বুদ্ধের শরণ (Samvad Programme)

    বর্তমানে দুদিনের (Samvad Programme) সফরে আমেরিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকেই থাইল্যান্ডে আয়োজিত সংঘাত পরিহারের লক্ষ্যে বৈশ্বিক হিন্দু-বৌদ্ধ উদ্যোগ ‘সংবাদ’-এর চতুর্থ সংস্করণের ভিডিও ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি ফের শরণ নিলেন বুদ্ধের। তিনি বলেন, “এশিয়ার ধম্ম-ভিত্তিক ঐতিহ্য পরিবেশগত সংকটের সমাধান দিতে পারে যা বর্তমানে বিশ্বকে বিপর্যস্ত করছে। হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, শিন্তোবাদ এবং অন্যান্য এশীয় ঐতিহ্য মানুষকে প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বসবাস করতে শেখায়। এগুলি নিজেকে প্রকৃতি থেকে আলাদা কিছু মনে করে না, বরং প্রকৃতিরই অংশ হিসেবে দেখে।”

    থাইল্যান্ড প্রশস্তি

    থাইল্যান্ডের আতিথেয়তা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রশংসা করে মোদি (PM Modi) বলেন, “এটি এশিয়ার যৌথ দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের এক সুন্দর উদাহরণ।” ভারত ও থাইল্যান্ডের দুহাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যমান গভীর সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কথার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রামায়ণ ও রামাকিয়েন উভয় দেশকে সংযুক্ত করে এবং ভগবান বুদ্ধের প্রতি তাদের সম্মিলিত শ্রদ্ধা তাদের একত্রিত করে।”

    বুদ্ধের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংযমের নীতি আজও প্রাসঙ্গিক, যা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দিকনির্দেশনা দেয়।” তিনি দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী খাতে প্রাণবন্ত অংশীদারিত্বের কথার উল্লেখ করেন। বলেন, “ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি ও থাইল্যান্ডের ‘অ্যাক্ট ওয়েস্ট’ নীতি পরস্পরের পরিপূরক।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংঘাতের আর একটি কারণ হল অন্যদের মৌলিকভাবে ভিন্ন হিসেবে দেখা। এই পার্থক্য দূরত্ব সৃষ্টি করে। আর এই দূরত্ব বিভেদের রূপ নিতে পারে। এর প্রতিকারে, তিনি ধম্মপদ থেকে একটি শ্লোক উদ্ধৃত করেন, যেখানে বলা হয়েছে যে সবাই যন্ত্রণা ও মৃত্যুকে ভয় (Samvad Programme) পায়।” তিনি বলেন, “ভগবান বুদ্ধের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ভারত সরকারের নীতিগুলির প্রতিফলনে দেখা যায় (PM Modi)।”

LinkedIn
Share