মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে (Cloudburst) ভয়াবহ হড়পা বানের ছবি দেখা গিয়েছিল। এবার সেই একই ধারা দেখা গেল জম্মু ও কাশ্মীরেও। কিস্তওয়ার জেলায় প্রবল বৃষ্টির ফলে হড়পা বান নেমে এসেছে, যার ফলে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দুই সিআইএসএফ জওয়ানও। আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা, পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কিস্তওয়ারের (Kishtwar) পুলিশ কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৪৬টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।
শোক প্রকাশ মোদির (Cloudburst)
প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডলে তিনি জানিয়েছেন, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা ইতিমধ্যেই আগামীকাল স্বাধীনতা দিবসের নির্ধারিত সমস্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে, পতাকা উত্তোলন, মার্চ পাস্ট ও ভাষণের মতো কর্মসূচি নির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই হবে বলে জানিয়েছেন তিনি (Cloudburst)।
হড়পা বানের সময় চলছিল উৎসব
লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা উদ্ধার কাজে গতি আনার নির্দেশ দিয়েছেন এবং দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি। কিস্তওয়ারের ডেপুটি কমিশনার পঙ্কজ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, চাসোতি গ্রামে হড়পা বান নেমে আসে। এই গ্রাম থেকেই ‘মচৈল মাতা যাত্রা’ শুরু হয়। হড়পা বানের সময় বহু পুণ্যার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে যাত্রাটি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে (Cloudburst) ।
কী বলছেন স্থানীয় বিধায়ক সুনীল কুমার শর্মা
স্থানীয় বিধায়ক সুনীল কুমার শর্মা জানিয়েছেন, একাধিক প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা সেনা, পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে (Kishtwar) দ্রুত ও সমন্বিতভাবে উদ্ধার কার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে, ৫ অগাস্ট উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধরালী ও হর্ষিল গ্রামেও ভয়াবহ হড়পা বান নেমেছিল। সেই দুর্যোগে ধরালীর অধিকাংশ অংশ পাথর ও কাদার নিচে চাপা পড়ে যায়। উত্তরাখণ্ডের ওই ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে (Cloudburst) ।