Tag: Madhyom

Madhyom

  • ISRO Data Centre: এবার মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের ভাবনা ইসরোর! কীভাবে হবে অসাধ্যসাধন?

    ISRO Data Centre: এবার মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের ভাবনা ইসরোর! কীভাবে হবে অসাধ্যসাধন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এ নিয়ে সম্ভাব্য পরীক্ষাও করছে। এ বিষয়ে একটি অভ্যন্তরীণ প্রাথমিক সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যসভায় এই তথ্য জানাল ডিপার্টমেন্ট অফ স্পেস বা মহাকাশ-বিষয়ক দফতর। বিজেপি সাংসদ কার্তিকেয় শর্মার প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনস্থ মহাকাশ-বিষয়ক দফতর জানায়, ইসরো বিভিন্ন নেক্সট-জেনারেশন স্যাটেলাইট প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে, যার মধ্যে অন-বোর্ড ডেটা প্রসেসিং ও ডেটা স্টোরেজ অন্যতম।

    মহাকাশে প্রকৃত ডেটা সেন্টার স্থাপন

    সংসদীয় সূত্রে খবর, শর্মা জানতে চেয়েছিলেন, স্যাটেলাইট ও যোগাযোগ-সংক্রান্ত ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণের জন্য ইসরো কি মহাকাশে প্রকৃত ডেটা সেন্টার স্থাপনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। জবাবে মহাকাশ-বিষয়ক দফতরের তরফে জানানো হয়, অন-বোর্ড ডেটা প্রসেসিং ও স্টোরেজ বিষয়ে ইসরো প্রাথমিক মূল্যায়ন করেছে এবং এতে দেখা গিয়েছে যে স্পেস-এজ কম্পিউটিং অবকাঠামোর একটি প্রুফ অব কনসেপ্ট তৈরি করা সম্ভব। ডিপার্টমেন্ট অফ স্পেস, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনস্থ, আরও জানিয়েছে যে এই ধরনের একটি ব্যবস্থা ভাবনা-চিন্তার পর্যায়ে রয়েছে। তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ের সমীক্ষা মাত্র। পূর্ণাঙ্গ স্পেস-এজ কম্পিউটিং ব্যবস্থার জন্য বেশ কয়েকটি নতুন প্রযুক্তির উন্নতি প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে— কক্ষপথে শক্তি উৎপাদন, রেডিয়েশন-প্রতিরোধী জিপিইউ/সিপিইউ, স্যাটেলাইটের সুরক্ষা শিল্ড, ইত্যাদি। ইসরোর মহাকাশে কোনও ডেটা সেন্টার নেই। ইসরো পৃথিবীতেই ডেটা সেন্টার পরিচালনা করে, যেমন বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান স্পেস সায়েন্স ডেটা সেন্টার (ISSDC), যা মহাকাশ থেকে আসা ডেটা সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের প্রধান কেন্দ্র। মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের ধারণাটি নতুন এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলো বর্তমানে এই বিষয়ে কাজ করছে, কিন্তু ইসরোর প্রধান ডেটা সেন্টারগুলো পৃথিবীতেই অবস্থিত। তবে, এবার ইসরোও মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের জন্য ভাবনা চিন্তা করছে।

    কীভাবে কাজ করবে এই ডেটা সেন্টার

    প্রসঙ্গত, পৃথিবীর ডেটা সেন্টারগুলো বিপুল পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করে। ফলে মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনে অত্যন্ত শক্তি-দক্ষ যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে, যা সৌরশক্তি ও ব্যাটারিতে চলতে সক্ষম। পাশাপাশি মহাকাশের তীব্র রেডিয়েশন থেকে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থাও জরুরি—যা পৃথিবীতে বায়ুমণ্ডল স্বাভাবিকভাবেই করে থাকে। মন্ত্রকের মতে, অন-বোর্ড ডেটা প্রসেসিং সক্ষম স্যাটেলাইট কেবল প্রয়োজনীয় তথ্যই গ্রাউন্ড স্টেশনগুলোতে পাঠাবে, ফলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও কৌশলগত প্রয়োজনে ডেটা পৌঁছতে দেরি হবে না। অর্থাৎ তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি স্যাটেলাইট নিজেই সেই তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে দ্রুত ফল দিতে পারবে। এছাড়া, অন-বোর্ড প্রসেসিং ব্যবস্থায় যোগাযোগ স্যাটেলাইটকে কক্ষপথেই পুনর্গঠনের (reconfiguration) সুবিধা দেয়, ফলে ব্যবহারে আরও বেশি নমনীয়তা আসে। এজ কম্পিউটিং বলতে বোঝায় এমন এক বিতরণ-ভিত্তিক কম্পিউটিং পদ্ধতি যেখানে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণ ডেটার উৎসের কাছাকাছি করা হয়, কেন্দ্রীয় ক্লাউড বা ডেটা সেন্টারে পাঠানো হয় না। ইসরো যা পরীক্ষা করছে তা হলো স্যাটেলাইট এজ কম্পিউটিং বা স্পেস এজ কম্পিউটিং, যেখানে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ সরাসরি মহাকাশেই করা হবে।

  • Daily Horoscope 14 December 2025: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 14 December 2025: ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) উচ্চপদ লাভ করতে পারেন।

    ২) কিছু কাজ সম্পন্ন না-হওয়ায় মেজাজ খিটখিটে হবে, সতর্ক থাকুন।

    ৩) মায়ের তরফে ধন লাভ হতে পারে।

    বৃষ

    ১) পরিবারে সুখ-শান্তির পরিবেশ থাকবে।

    ২) পরিবারে শুভ অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

    ৩) বয়স্ক ব্যক্তির কাছ থেকে ধন লাভ।

    মিথুন

    ১) নিজের সন্তানের কাজ দেখে আনন্দিত হবেন।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    ৩) চাকরি ও ব্যবসায়ে অংশীদার এবং সহকর্মীদের পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন।

    কর্কট

    ১) সন্তান সুখ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) আত্মীয়দের কাছ থেকে বস্ত্র উপহার পেতে পারেন।

    ৩) বন্ধুদের সাহায্যে মনের হতাশা সমাপ্ত হবে।

    সিংহ

    ১) স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

    ২) পেট খারাপ হতে পারে, বদহজমের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) খাওয়া-দাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ রাখুন।

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) আপনাদের সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে।

    ৩) আয় বৃদ্ধি হওয়ায় আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    তুলা

    ১) কঠিন পরিস্থিতির শিকার হবেন।

    ২) আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও কাজ হতে পারে, এর ফলে মন অশান্ত হবে।

    ৩) পরিবারে সমস্ত কিছু ভালো থাকবে, আপনাদের মনোবল বাড়বে।

    বৃশ্চিক

    ১) আপনজনদের সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ২) বড় কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

    ৩) কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্যে আটকে থাকা টাকা ফিরে পেতে পারেন।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে, তখনই সাফল্য লাভ সম্ভব।

    ২) বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

    ৩) সম্পত্তির কারণে বিবাদ হতে পারে।

    মকর

    ১) অর্থ ও যশ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কাজ বাড়বে।

    ৩) শত্রু ধ্বংস হবে।

    কুম্ভ

    ১) সতর্ক থাকলে কাজ সম্পন্ন হবে।

    ২) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতভেদ উৎপন্ন হতে পারে।

    ৩) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    মীন

    ১) বাড়িতে কোনও বন্ধু বা আত্মীয়ের আগমন হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির মাধ্যমে আয়ের নতুন উৎস আসবে।

    ৩) রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দিনটি ভালো।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Pakistan: এবার পাকিস্তানেও পড়ানো হবে সংস্কৃত, জানুন আসল কারণ

    Pakistan: এবার পাকিস্তানেও পড়ানো হবে সংস্কৃত, জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশভাগের পর থেকে পাকিস্তানে (Pakistan) ব্রাত্যই ছিল সংস্কৃত। তবে ভারতীয় এই ভাষাটির গুরুত্ব বুঝতে পাকিস্তানের সময় লাগল প্রায় ৭৭ বছর। যদিও শেষমেশ সংস্কৃতের (Sanskrit Education) গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটি। দেশভাগের পর এই প্রথম লাহোর ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসে পড়ানো হবে সংস্কৃত। শুধু তাই নয়, শীঘ্রই গীতা ও মহাভারত নিয়ে পড়াশোনার সুযোগও মিলতে পারে সেখানে। সূত্রের খবর, পড়ুয়া এবং শিক্ষাবিদদের সুপারিশেই সংস্কৃত, গীতা এবং মহাভারতকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও চলছে। লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমে তিন মাসের কোর্স হিসেবেই চালু করা হয়েছিল সংস্কৃত শিক্ষা। ক্লাস হত সপ্তাহান্তে। সংস্কৃত ব্যাকরণ থেকে পৌরাণিক রীতি-নীতি সম্পর্কে পড়ানো হত। এতে পড়ুয়া এবং শিক্ষকরা এতই উৎসাহিত হয়ে পড়েন যে, পুরোদমে ফোর ক্রেডিট কোর্স চালু করছে লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়।

    পরিস্থিতি পালটাতে পারে (Pakistan)

    এই কোর্সের মাধ্যমে পড়ুয়ারা ‘হ্যায় কথা সংগ্রাম কি’ গানের উর্দু সংস্করণও শিখতে পারবেন। এটি জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল মহাভারতের থিম সং হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। গুরমানি সেন্টারের ডিরেক্টর আলি উসমান কাসমি বলেন, “১৯৩০ সাল নাগাদ গবেষক জেসিআর উলনার তালপাতায় লেখা বেশ কিছু পাণ্ডুলিপি সংগ্রহে রেখেছিলেন। ১৯৪৭ সাল থেকে কোনও পাকিস্তানি শিক্ষাবিদ সেই সব বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেননি। শুধু বিদেশি গবেষকরাই সেগুলি নেড়েচেড়ে দেখেন (Sanskrit Education)। এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে।”

    মহাভারত ও গীতার কোর্স

    লাহোর বিশ্ববিদ্যালয় মহাভারত ও গীতার কোর্সও চালু করতে চলেছে। কাসমি বলেন, “আগামী ১০-১৫ বছরে পাকিস্তান থেকে গীতা ও মহাভারত বিষয়ক পণ্ডিত উঠে আসবেন (Pakistan)।” ফোরম্যান ক্রিশ্চিয়ান কলেজের সোশিওলজি বিভাগের অধ্যাপক শাহিদ রাশিদ বলেন, “ধ্রুপদী ভাষাগুলির মধ্যে মানবজাতির জন্য প্রচুর জ্ঞান নিহিত রয়েছে। আমি আরবি ও ফারসি ভাষা দিয়ে শুরু করেছিলাম, পরে সংস্কৃতও শিখেছি।” তিনি বলেন, “গোটা অঞ্চলকে বেঁধে রাখে সংস্কৃত ভাষা। সংস্কৃত ব্যাকরণের জনক পাণিনি এখানকার গ্রামের বাসিন্দা। সিন্ধু সভ্যতার যুগে অধিকাংশ লেখালেখি তিনি করেছেন এখানেই। সংস্কৃত পর্বতের মতো, সাংস্কৃতিক সৌধ। আমাদের নিজেদের অধিকার বুঝতে হবে। সংস্কৃত কোনও বিশেষ ধর্মের সঙ্গে যুক্ত নয়।”

    নতুন যুগের সূচনা

    তিনি বলেন, “ভেবে দেখুন (Sanskrit Education), ভারতের হিন্দু এবং শিখরা যদিও আরও বেশি করে আরবি শেখেন এবং পাকিস্তানের মুসলমানরা যদি সংস্কৃত শেখেন, তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য তা হতে পারে একটি নতুন যুগের সূচনা। ভাষা তখন প্রতিবন্ধক না হয়ে, হয়ে উঠতে পারে সেতু।” তিনি জানান, ২০২৭ সালের বসন্ত আসতে আসতে বছরভরের কোর্স চালু করতে তাঁরা সফল হবেন বলে আশাবাদী। লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই শেখানো হয় সিন্ধি, পাশতু, পঞ্জাবি, বালুচি, আরবি এবং ফারসি। কিন্তু আঞ্চলিক সাহিত্যই হোক বা কবিতা, শিল্পই হোক বা দর্শন, বৈদিক যুগের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে সব (Sanskrit Education) কিছুর। তাই জরুরি হয়ে উঠেছে সংস্কৃত শিক্ষা (Pakistan)।

  • Kerala Local Body Polls: ভেঙে পড়ল চার দশকের বামদূর্গ! তিরুঅনন্তপুরমে বিপুল জয় বিজেপির, ধন্যবাদ মোদির

    Kerala Local Body Polls: ভেঙে পড়ল চার দশকের বামদূর্গ! তিরুঅনন্তপুরমে বিপুল জয় বিজেপির, ধন্যবাদ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণে জয়-পতাকা উড়ল বিজেপির। কেরলের স্থানীয় নির্বাচনে (Kerala Local Body Polls) তিরুঅনন্তপুরমে ঐতিহাসিক জয় পেল এনডিএ। পাঁচ দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ওই পুরনিগমে ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। তিরুঅনন্তপুরম কর্পোরেশনের মোট ১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫১টি ওয়ার্ড গিয়েছে এনডিএ জোটের থলিতে। বামফ্রন্ট এগিয়ে রয়েছে ২৯টি ওয়ার্ডে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ-এর থলিতে গিয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দু’টি ওয়ার্ডে জিতেছে দু’জন নির্দলীয় প্রার্থী। বাকি একটি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়নি।

    দলের জয়ে শুভেচ্ছা মোদির

    কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের কেন্দ্র, কেরলের রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমের পুরসভায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এবং সিপিএম নিয়ন্ত্রিত এলডিএফ জোটকে পিছনে ফেলে জয় ছিনিয়ে নিল বিজেপি। এই জয়ের জন্য ইতিমধ্যে তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই আঞ্চলিক নির্বাচনে দিবারাত্রি পরিশ্রম করা কার্যকর্তাদেরও। আমি এটাও নিশ্চিত ওই রাজ্যের উন্নয়ন ও বিকাশ নিয়ে মানুষের মনে যে চাহিদা তৈরি হয়েছে, তা আমাদের দলই পূরণ করতে পারবে।’কার্যকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা এতদিন যে পরিশ্রম করলেন, আজ সেগুলির স্মৃতিচারণের দিন। আমি প্রতিটি বিজেপি কার্যকর্তাকে শুভেচ্ছা জানাই। এই সাফল্য সেই পরিশ্রমেরই ফলাফল।’

    বামেদের দুর্গে ফাটল ধরাল বিজেপি

    এর আগে কেরলের ত্রিশূরের লোকসভা নির্বাচনে জিতেছে বিজেপি। তিরুঅনন্তপুরমে লোকসভায় আগের বার দ্বিতীয় স্থানে উঠেছিল গেরুয়া শিবির। এবার পুরনিগম দখল। গেরুয়া শিবির স্বপ্ন দেখছে এবার হয়তো তাদের জন্য কেরল এবং দক্ষিণের রাস্তা খুলবে। তিরুঅনন্তপুরম পুরসভায় বামেদেরই ছিল একচ্ছত্র আধিপত্য। বিরোধী হিসাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। তবে এ বারের নির্বাচন ছিল ত্রিমুখী। ইউডিএফ, এলডিএফ আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। শনিবার সকালে ভোট গণনা শুরুর পরে প্রাথমিক ট্রেন্ডে এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি। বেলা গড়াতেই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট হয়ে যায়। ১০১ আসনের তিরুঅনন্তপুরম পুরসভার ৫১টিতে জয় হাসিল করে নেয় এনডিএ। একই সঙ্গে টানা ৪৫ বছর পরে লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট জমানার অবসান ঘটল। ক্ষমতাসীন এলডিএফ জিতেছে মাত্র ২৯টি আসনে। পাশাপাশি এলডিএফের হাত থেকে ত্রিপুনিথুরা পুরসভাও ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি জোট।

  • Messi in Kolkata: “জোঁকের মতো চিটে নেতা-মন্ত্রী!” মেসি-কাণ্ডে তৃণমূলকে তুলোধোনা শুভেন্দুর, গ্রেফতার মূল উদ্যোক্তা

    Messi in Kolkata: “জোঁকের মতো চিটে নেতা-মন্ত্রী!” মেসি-কাণ্ডে তৃণমূলকে তুলোধোনা শুভেন্দুর, গ্রেফতার মূল উদ্যোক্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্রে নষ্ট হল বাংলার ভাবমূর্তি। এই দাগ মুছে ফেলার নয়। ইঙ্গিতে যেন সেটা মেনেও নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এদিন তারকা ফুটবলার মেসি (Messi in Kolkata) এবং তাঁকে দেখতে মাঠে আগত ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালিমালিপ্ত হল কলকাতা ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। বিরোধীদের সমালোচনা ও ফুটবল পাগল দর্শকদের আবেগের চাপে অবশেষে গ্রেফতার হলেন মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্ত। লিওনেল মেসিকে কলকাতায় আনার মূল আয়োজকের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ এনেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। একই সঙ্গে ফুটবলের রাজপুত্রকে ঘিরে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের মনোভাবকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    মানুষের আবেগ নিয়ে ব্যবসা তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের

    সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বিশৃঙ্খলা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, “যুবভারতীতে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানে চরম বিশৃঙ্খলা, মেসির গায়ে জোঁকের মতো চিটে রইলেন নেতা-মন্ত্রী-তারকারা, আর যাদের পিঠে কাঁঠাল ভেঙে মেসিকে দেখতে পাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে হাজার হাজার টাকার টিকিট কাটানো হল, সেই ফুটবলপ্রেমীদের ভাগ্যে জুটলো ৫-৭ মিনিটের জায়ান্ট স্ক্রিনের দর্শন !!!” তিনি আরও লিখেছেন, “ফুটবলের রাজপুত্র লিয়োনেল মেসি যুবভারতীতে ঢোকা মাত্র অন্তত ১০০ জন নেতা মন্ত্রী ও তাদের আত্মীয় পরিজন সাগরেদদের ভিড় ঘিরে ধরে তাঁকে। ফলে গ্যালারি থেকে তাঁকে দেখার কোনো উপায় ছিল না।” তাঁর কথায়, “মোটা টাকায় টিকিট কেটে গিয়েও প্রিয় তারকাকে দেখতে পেলেন না দর্শকরা যাদের জলের বোতল পর্যন্ত নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি, আর বাধ্য করা হয় ২০ টাকার জল ২০০ টাকায় কিনতে। অথচ তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা ব্যবসা করে নিলেন এই সুযোগে। এদের থেকে শকুনও ভালো !” সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, “গ্যালারির সমস্ত দর্শকদের ১০০% টিকিটের দাম ফেরত দিতে হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী সুজিত বসু এবং প্রধান আয়োজক শতদ্রু দত্তকে এই বিশৃঙ্খলা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায়ে গ্রেফতার করতে হবে। গোটা বিশ্বের সামনে পশ্চিমবঙ্গের সম্মানহানির জন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। ভোটের আগে লিওনেল মেসির সঙ্গে ছবি তুলে ‘খেলা হবে’ করতে গেছিলেন ! উল্টে প্রতারিত দর্শক খেলা দেখিয়ে দিয়েছে…”

    জবাব তলব রাজ্যপালের

    গোটা ঘটনায় কার্যত অবাক হয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। এই পরিস্থিতিতে নবান্নের কাছে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, যারা অনেক দাম দিয়ে টিকিট কিনেছেন, সেই খুব কম সংখ্যক মানুষই তারকা ফুটবলার মেসিকে দেখতে পাবেন। পাশাপাশি মেসির এই সফরের মাধ্যমে যে বেসরকারি ব্যক্তি টাকা রোজগার করছেন, তাঁর বিষয়ে পুরো রিপোর্ট দেওয়া হোক। সাধারণ মানুষ কেন মেসিকে দেখতে পারছেন না?’ এরই সঙ্গে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যপাল আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষের আবেগের সুযোগ নিয়ে কেন একজন বেসরকারি ব্যক্তিকে অর্থ উপার্জনের অনুমতি দেওয়া হল। ফুটবল ভক্তদের কাছ থেকে ফোন এবং ইমেল আসছে, যেখানে তাঁরা অভিযোগ করছেন যে টিকিটের দাম তাঁদের নাগালের বাইরে। এমনটা কেন হল? কেন সাধারণ মানুষ বঞ্চিত রইলেন মেসিকে দেখার থেকে? জবাব দিতে হবে রাজ্যকে।’

    গ্রেফতারির নির্দেশ রাজ্যপালের

    এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলে আয়োজকদের দ্রুত গ্রেফতার করার পক্ষে সওয়াল করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন তিনি বলেন, ‘আয়োজককে এখনই গ্রেফতার করতে হবে। যারা কষ্টের উপার্জন দিয়ে হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটেছিলেন তাঁদের টাকাও ফেরত দিতে হবে। পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনের যে ক্ষতি হল, সেটির ক্ষতিপূরণও দিতে হবে আয়োজক সংস্থাকে।’মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে তৈরি উত্তেজনা, বিশৃঙ্খলার নেপথ্যে ‘অব্য়বস্থাকেই’ দায়ী করেছেন রাজ্যপাল বোস। তাঁর কথায়, ‘কোনও রকম পূর্বপরিকল্পনা, সঠিক ব্যবস্থাপনা ছিল না। আয়োজকরা গোটা অনুষ্ঠানের উপর নজরদারি চালায়নি। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছতে পারলেন না। এই ঘটনা পুলিশের দায়বদ্ধতাও রয়েছে।’

    তৃণমূল মানেই অসভ্যতা

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনার জন্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন। সুকান্ত বলেন, “আরও একবার প্রমাণিত হল তৃণমূল মানেই অসভ্যতা। মেসির মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফুটবলার পশ্চিমবঙ্গে আসা গর্বের বিষয় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুরু থেকেই এই কর্মসূচি তৃণমূল হাইজ্যাক করেছে। স্টেডিয়ামে যারা ঢিল, বোতল ছুড়েছে, তারাও তৃণমূলের লোক। টিকিট বিক্রি হয়েছে পাঁচ থেকে আট হাজার টাকায়, চূড়ান্ত কালোবাজারি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ভিড় সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে। এই বিশৃঙ্খলার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারই দায়ী।”

    ক্ষমা চাইলেন মমতা

    যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে তৈরি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য কাদের দায়? জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার মেসির সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনে গিয়ে দেখা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় সেখানে পৌঁছতে পারেননি তিনি। ঘুরিয়ে নেন নিজের কনভয়ের অভিমুখ। তারপরেই এল তদন্তের নির্দেশ। নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘এই অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য লিওনেল মেসি-সহ সকল ক্রীড়াপ্রেমী ও তাঁর অনুরাগীদের কাছে আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

    ‘কুম্ভীরাশ্রু’-র সঙ্গে তুলনা

    ইতিমধ্যেই মমতার ক্ষমা চাওয়ার এই বিষয়টিকে ‘কুম্ভীরাশ্রু’-র সঙ্গে তুলনা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমা চাইলেও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও সুজিত বসুর বিরুদ্ধে এফআইআর-এর দাবি তুলেছে বিরোধীরা। বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “কুমিরের কান্না বন্ধ করুন। এই অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি আপনার সরকারের প্রতিটি কাজের সঙ্গেই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আবেগের উপর সরাসরি আঘাত হেনেছে এবং প্রতিটি ফুটবলপ্রেমীকে অপমান করেছে। দায়ীদের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে।” পাশাপাশি তিনি অরূপ বিশ্বাস ও সুজিত বসুর বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর দায়ের করার কথা বলেন।

  • Donald Trump: ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ থেকে ভিসা ফি বৃদ্ধি, নিজের দেশেই ঘোর বিপাকে ট্রাম্প

    Donald Trump: ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ থেকে ভিসা ফি বৃদ্ধি, নিজের দেশেই ঘোর বিপাকে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ‘সবক’ শেখাতে গিয়ে গাড্ডায় পড়ে গিয়েছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)! ভারতীয় পণ্যের ওপর তিনি যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে রেখেছেন, তা বেআইনি। অবিলম্বে ওই শুল্ক বাতিল করা উচিত। আমেরিকার সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে শুক্রবার এমনই এক প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, চড়া শুল্কের (India) কারণে আখেরে ক্ষতিই হচ্ছে আমেরিকার। সংসদে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

    শুল্ক আরোপ ট্রাম্প প্রশাসনের (Donald Trump)

    ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা না মেনে মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কিনে চলেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। ভারতের এই অনড় মনোভাবে বেজায় খেপে যান ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার পর শাস্তিস্বরূপ ভারতীয় পণ্যের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেন তিনি। ২৭ অগাস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রযোজ্য হয়েছে ৫০ শতাংশ শুল্ক। এর ফলে জোর ধাক্কা খেয়েছে ভারত ও আমেরিকার বাণিজ্য। এক বিশেষ জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন। ট্রাম্পের এই ক্ষমতাকেই সাধারণ মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর বলে দাবি করেছেন মার্কিন সাংসদদের একটা বড় অংশ।

    মার্কিন সংসদে প্রস্তাব পেশ

    জানা গিয়েছে, ভারতের ওপর চাপানো শুল্ক বাতিল করতে চেয়ে মার্কিন সংসদে যে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, তার নেপথ্যে রয়েছে (India) তিন সাংসদ। এঁরা হলেন, ডেবোরা রস, মার্ক ভিসে এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজা কৃষ্ণমূর্তি। কেবল ভারত নয়, ব্রাজিলের পণ্যের ওপরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। ভারতের পাশাপাশি (Donald Trump) ব্রাজিলের শুল্ক বাতিলও চেয়েছেন মার্কিন সাংসদরা।

    প্রস্তাবের বক্তব্য

    সংসদে পেশ করা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারতের ওপর চড়া শুল্কের কারণে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উত্তর ক্যারোলাইনা প্রদেশ। এখানকার অর্থনীতি অনেকাংশেই ভারতের ওপর নির্ভরশীল। বাণিজ্য তো বটেই, সেই সঙ্গে প্রচুর ভারতীয় ব্যবসায়ীর বিনিয়োগ রয়েছে উত্তর ক্যারোলাইনায় (India)। তাছাড়া, এই প্রদেশে তুলনামূলকভাবে বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক বসবাস করেন। শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা। মার খাচ্ছে বাণিজ্য (Donald Trump)। রস, কৃষ্ণমূর্তিরা বলেন, “ভারত খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সঙ্গী। বেআইনি এই শুল্ক আসলে সেই সব মার্কিন নাগরিকদের ওপর বাড়তি শুল্কের বোঝা, যাঁরা দৈনন্দিন খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।” কৃষ্ণমূর্তি বলেন, “ট্রাম্প আরোপিত শুল্ক আসলে বাণিজ্যের সরবরাহ শৃঙ্খলকে ব্যাহত করে। এতে মার্কিন কর্মচারীদের ক্ষতি হচ্ছে, ব্যয় বৃদ্ধি হচ্ছে। শুল্কের ফলে হিতে বিপরীত হচ্ছে।” তাঁর মতে, শুল্ক প্রত্যাহার করে নিলে তা ভারত-মার্কিন অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে।

    একাধিক নীতির সমালোচনা 

    ভারতীয়-আমেরিকান কংগ্রেসম্যান অ্যামি বেরা মার্কিন কংগ্রেসে ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কয়েকটি নীতির সমালোচনা করেন। বিশেষত, এইচ ১বি ভিসার ওপর এক লাখ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত ফি অত্যধিক ও অবাস্তব বলে সমালোচনা করা হয়েছে। অ্যামির যুক্তি, এই অত্যধিক ফি আমেরিকান কোম্পানিগুলির তাদের শিল্পে বিদেশি প্রতিভা নিয়োগের ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করছে (Donald Trump)। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “ট্রাম্পের এই ধরনের পদক্ষেপ কঠোর ভারতকে অন্যান্য বিরোধী শক্তির দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করতে পারে।”

    প্রমীলা জয়পালের বক্তব্য

    ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান প্রমীলা জয়পাল ট্রাম্পের শুল্কনীতির কড়া সমালোচনা করে বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চ আমদানি শুল্ক নীতি অবশ্যই ভারতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। এটি আমেরিকান ব্যবসা ও উপভোক্তাদের ওপরও সমানভাবে প্রভাব ফেলেছে।” তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন এই বলে যে, এই পরিস্থিতি আমেরিকার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বাজারের স্বাস্থ্যের জন্য বিপদ বাড়াতে পারে। এর প্রভাব পড়ছে ভারত-মার্কিন সম্পর্কেও (India)।

    এইচ-১বি ভিসার ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আদালতে

    এদিকে, ট্রাম্পের এইচ-১বি ভিসার ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন আমেরিকার ২০টি প্রদেশের কর্তারা। মূলত ডেমোক্র্যাটশাসিত প্রদেশগুলিই এইচ-১বি ভিসা নিয়ে জোট বাঁধছে ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে। এই ২০টি প্রদেশের মধ্যে রয়েছে ক্যালিফর্নিয়াও। এই প্রদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একটি পোস্টে জানিয়েছেন, এইচ-১বি ভিসার ফি বৃদ্ধির কারণে বহু সংস্থা বিদেশের দক্ষ কর্মীদের নিয়োগ করতে পারছে না। ফলে ক্যালিফর্নিয়া-সহ বিভিন্ন প্রদেশে স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কর্মিসঙ্কট তৈরি হচ্ছে (Donald Trump)।

  • Lionel Messi in Kolkata: কর্তা-মন্ত্রীদের ঘেরাটোপে মেসি! চড়া দামে টিকিট কেটেও বঞ্চিত দর্শকেরা, রণক্ষেত্র যুবভারতী

    Lionel Messi in Kolkata: কর্তা-মন্ত্রীদের ঘেরাটোপে মেসি! চড়া দামে টিকিট কেটেও বঞ্চিত দর্শকেরা, রণক্ষেত্র যুবভারতী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু একবার স্বপ্নের নায়ক মেসিকে সামনে থেকে এক ঝলক দেখবেন। হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটে এমনকী হুইল চেয়ারে করেও শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ভিড় জমিয়েছিল মেসি-ভক্তরা (Lionel Messi in Kolkata)। কিন্তু মাঠে নয় মেসিকে দেখতে হল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে থাকা ৩টি জায়ান্ট স্ক্রিনে। সাধারণ অনুরাগী নয় মাঠে ভিড় করে রইলেন রাজ্য সরকারের অনুরাগীরা। মেসি মাঠে প্রবেশের আগাগোড়া সময়ে তাঁকে ঘিরে রাখেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্তারা। এর ফলে গ্যালারিতে বসে থাকা দর্শকরা সরাসরি মাঠে মেসিকে দেখতে পাননি। মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও মেসিকে না দেখতে পাওয়ার আক্ষেপ রাগে পরিণত হল কয়েক মিনিটেই। কিন্তু মেসি যতক্ষণ মাঠে ছিলেন, একটুকুও অরাজকতা দেখায়নি গ্যালারি। মেসির বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছে তাঁকে ঘিরে মাঠে অহেতুক ভিড় দেখে। মেসি মাঠ ছাড়তেই উত্তাল হল গ্যালারি। শুরু হল ভাঙচুর।

    রণক্ষেত্র যুবভারতী

    শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ ফুটবলের রাজপুত্র লিওনেল মেসির গাড়ি স্টেডিয়ামে পৌঁছনোর পর থেকেই পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মেসির সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন ফুটবল তারকা লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো ডি পল। তাঁদের এক ঝলক দেখার আশায় হাজার হাজার দর্শক স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছিলেন। তবে অভিযোগ, তাঁদের মেসিকে দেখতে হয়েছে শুধুমাত্র স্টেডিয়ামে বসানো তিনটি জায়ান্ট স্ক্রিনে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন একাংশ দর্শক। গ্যালারিতে শুরু হয় ভাঙচুর। কিছুক্ষণের মধ্যেই বহু দর্শক গ্যালারি থেকে নেমে এসে মাঠের ফেন্সিং ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত নাজেহাল হতে হয় পুলিশ কর্মীদের। মুহূর্তের মধ্যেই গোটা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অনুমান করা হচ্ছে, কয়েক হাজার দর্শক মাঠে নেমে পড়েছিলেন। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে না পেরে শেষ পর্যন্ত দ্রুত মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও রদ্রিগো ডি পলকে স্টেডিয়াম থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

    প্রশাসনিক গাফিলতি, বিরক্ত মেসি

    এদিন মেসি যখন মাঠে প্রবেশ করেন তখন দেখা মেলেনি পুলিশের। ভিড় সামলাতে দেখা যায়নি নিরাপত্তারক্ষীদেরও। তাঁরা ব্যাস্ত ছিলেন মন্ত্রী-আমলাদের গাইড করতে। হোটেল থেকে মাঠে পৌঁছনোর পথে ফুটবলপ্রেমীদের উন্মাদনা দেখে উচ্ছ্বসিত দেখায় মেসিকে। তবে মাঠে গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু মানুষ ঘিরে ধরেন তাঁকে। ফলে গ্যালারি থেকে শুধু মেসিকে নয়, লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডি’পলকেও দেখা যায়নি। এক সময় ক্ষুব্ধ ফুটবলপ্রেমীরা ‘উই ওয়ান্ট মেসি’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। মেসি যুবভারতীতে পৌঁছোতেই অন্তত ৭০-৮০ জন মানুষের ভিড় ঘিরে ধরে তাঁকে। মূলত মন্ত্রী, কর্তারাই ঘিরে ধরেন মেসিকে। অনেকে প্রায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের মতো এলএম টেনের শরীরে ঘেঁষে ছিলেন। মেসিকে ভালো করে হাঁটার জায়গাটুকুও দিচ্ছিলেন না কেউ কেউ! ক্যামেরা এবং মোবাইল হাতে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মেসিকে ঘিরে রাখেন নিরাপত্তারক্ষীরা। অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতি তৈরি না হলেও তাঁরা আয়োজকদের ভিড় সরানোর অনুরোধ করেন। গ্যালারি থেকে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। তাঁকে ঘিরে সেলিব্রিটি ও প্রাক্তন ফুটবলারদের ভিড়ে বিরক্ত হন মেসিও। কষ্ট করে মুখে হাসি ধরে রেখে এর পর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান মেসি। ক্ষোভে ফেটে পড়ে মেসি অনুরাগীরা।

    শুধুই অরূপ-শুভশ্রী

    এদিন মেসিকে স্বাগত জানাতে মাঠে থাকার কথা ছিল বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের। কিন্তু মাঠ জুড়ে শুধু মেসির সঙ্গে ছবি তুললেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ টলিউড অভিনেত্রী শুভশ্রী। অনুষ্ঠানে গিয়ে মেসির সঙ্গে টলিপাড়ার নায়িকা শুভশ্রী ছবি তোলেন আর সেই ছবি পোস্ট করতেই ট্রোলের মুখে পড়েন রাজ-ঘরণী। ক্ষুব্ধ দর্শকদের অভিযোগ, মেসিকে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা ঘিরে ধরার জন্য তাঁরা তাঁকে দেখতে পারেননি। প্রসঙ্গত, মেসির গোটা মাঠ প্রদক্ষিণ করার কথা থাকলেও, সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়। পেনাল্টি শট মারার কথা থাকলেও একবারও বলে পা দিতে দেখা যায়নি ফুটবলের রাজপুত্রকে। মোহনবাগান এবং ডায়মন্ড হারবারের প্রাক্তন ফুটবলারদের সঙ্গে মেসি পরিচিত হওয়ার সময়ও ভিড় ঘিরে ছিল তাঁকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং প্রধান আয়োজক শতদ্রু দত্তকে মাইক্রোফোনে ঘোষণা করতে হয়। তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

    লজ্জিত কলকাতা, দায় কার?

    মেসি যে ১৬-১৭ মিনিট মাঠে ছিলেন, সেই সময় গ্যালারি থেকে এক বারও দেখা যায়নি তাঁকে। ১১.৫২ মিনিটে মেসিকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়। আর্জেন্টিনার তারকা মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় গ্যালারিতে লাগানো হোর্ডিং ভাঙচুর। পরে গ্যালারির চেয়ার ভেঙে মাঠে ছুড়তে শুরু করেন ক্ষুব্ধ ফুটবলপ্রেমীরা। মাঠে পড়তে শুরু করে বোতল। এই সময় গ্যালারিতে কোনও পুলিশকর্মীকে দেখা যায়নি। মেসিকে দেখতে না পাওয়ার হতাশায় ক্রমশ বাড়তে থাকে উত্তেজনা। এক সময় মাঠের ধারে ফেন্সিংয়ের গেট ভেঙে হু-হু করে মাঠে লোক ঢুকতে শুরু করে। প্রথমে পুলিশ ছিল দিশাহারা। কিছুটা পর সম্বিত ফেরে পুলিশকর্মীদের। লাঠি উঁচিয়ে ক্ষুব্ধ জনতাকে তাড়া করে গ্যালারিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ফুটবলপ্রেমীরা আবার মাঠে ফিরে আসেন। সব মিলিয়ে যুবভারতী রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। মাঠের দখল নিয়ে নেয় অন্তত হাজার দুয়েক লোক। মাঠে ঢুকে কেউ ডিগবাজি খেয়েছেন, কেউ নিজস্বী তুলেছেন, কেউ আবার লাফিয়েছেন। বলা ভাল, যুবভারতীর মাঠে যে যা খুশি করেছেন। শেষ পর্যন্ত র‌্যাফ নামাতে হয় গ্যালারিতে। ব্যবহার করতে হয় কাঁদানে গ্যাস। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। মেসি বিমানবন্দরের পথে রওনা হয়ে যাওয়ার পরও যুবভারতীয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি পুলিশ-প্রশাসন।

  • Veer Savarkar: “সাভারকর ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন, বিভাজনের নয়”, আন্দামানে বললেন ভাগবত

    Veer Savarkar: “সাভারকর ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন, বিভাজনের নয়”, আন্দামানে বললেন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাভারকরের গান ‘সাগর প্রাণ তলমলে’র ১১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে শ্রী বিজয়া পূরমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে (Veer Savarkar) এক মহীরুহ ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তাঁর মতে, সাভারকরের অসাধারণ প্রতিভা, স্পষ্ট চিন্তাধারা ও দেশের প্রতি গভীর নিষ্ঠার প্রতিফলনই এই কথাগুলি। সাভারকরের স্মৃতিচারণ উপলক্ষে আন্দামানে আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে আরএসএস প্রধান বলেন, “সাভারকরের ব্যক্তিত্ব ছিল সব অর্থেই পরিপূর্ণ। সঙ্গীত, কবিতা, নাটক, সাহিত্য রচনা ও জনসমক্ষে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা তাঁকে সমৃদ্ধ করেছিল। আর এই সব প্রতিভাই তিনি উৎসর্গ করেছিলেন ভারত মায়ের সেবায়।”

    ‘সাগরা প্রাণ তলমলালা’ (Mohan Bhagwat)

    ‘সাগরা প্রাণ তলমলালা’ সাভারকরের (Veer Savarkar) এক ঐতিহাসিক দেশাত্মবোধক কবিতা। এরই ১১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভাগবত বলেন, “সাভারকরের সাহিত্যকর্ম, বিশেষ করে তাঁর কবিতাগুলি, তাঁর ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিক এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতি তাঁর অটল অঙ্গীকার সম্পর্কে গভীর অন্তর্দৃষ্টি দান করে।” তিনি বলেন, “ভাষা, বিকাশ ও সাংস্কৃতিক চিন্তায় সাভারকরের অবদান তাঁকে এক বিশাল ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে, যাঁর ভাবনা আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।” সাভারকরের জীবনকে প্রভাবের দিক থেকে আকাশছোঁয়া বলে বর্ণনা করে ভাগবত জানান, তাঁর উত্তরাধিকার আজকের দিনে কখনও কখনও শোনা বিভাজনমূলক ভাষার সঙ্গে তীব্র বৈপরীত্য সৃষ্টি করে। তিনি বলেন, “দেশকে খণ্ডিত করে এমন ভাষার কোনও স্থান নেই। সংকীর্ণ মানসিকতার (RSS) পরিচয় বা সংঘাতের আশ্রয় না নিয়ে ভারতকে একটি জাতি হিসেবে দেখতে হবে, এটিই ছিল সাভারকরের দর্শনের কেন্দ্রবিন্দু (Mohan Bhagwat)।”

    ভাগবতের বক্তব্য  

    ভাগবত বলেন, “সাভারকর জাতির একটি সুস্পষ্ট ধারণা উপস্থাপন করেছিলেন, যাকে তিনি অভিন্ন বংশপরম্পরা ও পবিত্র ভৌগোলিক ধারণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা একটি সভ্যতামূলক ভাবনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন।” তিনি এও বলেন, “ঔপনিবেশিক শাসনকালেও এবং স্বাধীন ভারতের সময়েও সাভারকর বহু কষ্টের সম্মুখীন হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কখনওই সেই তিক্ততাকে দেশের প্রতি তাঁর অঙ্গীকারের ওপর প্রাধান্য দিতে দেননি।”

    ‘বীরগ্যালাক্সি’ 

    ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতীকদের মধ্যে সাভারকরকে (Veer Savarkar) স্থান দিয়ে সরসংঘচালক বলেন, “১৮৫৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামী এক বিশাল ‘বীরগ্যালাক্সি’ গড়ে তুলেছিলেন, যার মধ্যে সাভারকর ছিলেন উজ্জ্বলতম নক্ষত্র।” তিনি বলেন, “আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে দুই মহীরুহ ব্যক্তিত্বের ছাপ আজও স্পষ্ট। এঁরা হলেন বীর সাভারকর এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এঁরা দুজনেই ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে এক গভীর ছাপ রেখে গিয়েছেন, যা কোনওদিন মুছে ফেলা যাবে না (Mohan Bhagwat)।”

    ‘সাগর প্রাণ তলমলে’র ১১৫তম বার্ষিকী

    এদিকে, ওই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “হিন্দু সমাজের ভেতরে প্রচলিত নানা কুসংস্কার ও অনাচারের বিরুদ্ধে সাভারকর (Veer Savarkar) সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন এবং সমাজের বিরোধিতার মুখেও তিনি (RSS) নিজের কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।” তিনি বলেন, “অস্পৃশ্যতা দূর করতে সাভারকর এক ঐতিহাসিক সংগ্রাম করেছিলেন। হিন্দু সমাজের সমস্ত অনাচারের বিরুদ্ধে তিনি সচেতনতা গড়ে তুলতে কাজ করেছেন। স্বাধীনতার আগে যাঁদের এখানে সেলুলার জেলে আনা হত, তাঁদের পরিবার কার্যত ভুলেই যেত।” তিনি বলেন, “এই কারাগার থেকে কেউ কখনও ফিরে আসবে, এমনটা কেউ ভাবতেন না। আজ এই স্থানটি ভারতবাসীর কাছে এক পবিত্র তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে, কারণ বীর সাভারকর তাঁর জীবনের কঠিন সময়টি এখানেই কাটিয়েছিলেন।” তিনি জানান, দেশের প্রায় প্রতিটি রাজ্য থেকেই এখানে এনে কাউকে না কাউকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।

    শাহি মন্তব্য

    শাহ বলেন, “এই জায়গাটি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতির সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে। কারণ আজাদ হিন্দ ফৌজ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে মুক্ত করেছিল। বসুই এখানে দু’টি দ্বীপের নামকরণ করেছিলেন ‘শহিদ’ ও ‘স্বরাজ’। পরে একে সরকারি স্বীকৃতি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।” সাভারকর সম্পর্কে শাহ বলেন, “তিনি জন্মগত দেশপ্রেমিক ও দূরদর্শী ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসংস্কারক, কবি ও লেখক। খুব কম লেখকই গদ্য ও পদ্য—উভয় ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। আমি তাঁর সাহিত্য পড়েছি, এবং আজও বলতে পারি না তিনি বেশি বড় কবি না লেখক, কারণ দু’টিতেই (RSS) তিনি ছিলেন অসাধারণ। পরবর্তী সময়ে তিনি একজন মহান ভাষাবিদ হয়ে ওঠেন। বহু নতুন শব্দ সৃষ্টি করে তিনি আমাদের ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন। আমাদের ভাষাকে সমৃদ্ধ করতে বীর সাভারকর (Veer Savarkar) ৬০০-রও বেশি শব্দ উপহার দিয়েছেন।”

  • Shehbaz Sharif: ৪০ মিনিট ঠায় অপেক্ষা করালেন পুতিন, ধৈর্য হারিয়ে গেটক্র্যাশ, শেহবাজের কাণ্ডে নিন্দার ঝড়

    Shehbaz Sharif: ৪০ মিনিট ঠায় অপেক্ষা করালেন পুতিন, ধৈর্য হারিয়ে গেটক্র্যাশ, শেহবাজের কাণ্ডে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মিনিট-দু’মিনিট নয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পাক্কা ৪০ মিনিট অপেক্ষা করতে হল পাকিস্তানের (Shehbaz Sharif) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে। শুক্রবার তুর্কিমেনিস্তানে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর পিস অ্যান্ড ট্রাস্টের বৈঠকের ফাঁকে পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক হওয়ার কথা ছিল শরিফের। যদিও প্রায় ৪০ মিনিট ধরে অপেক্ষা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তার পরেও হাজির হননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। অপেক্ষা করে করে দৃশ্যতই অধৈর্য শরিফ সিদ্ধান্ত নেন পাশের বৈঠককক্ষে ঢোকার। ঢুকতে গিয়ে দেখেন, সেখানে তখনও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিক্যাপ তাইয়াপ এর্ডোগানের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। শরিফকে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় দুই রাষ্ট্রনেতার সামনে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন শরিফ। মিনিট কয়েক দাঁড়িয়ে থেকে সেখান থেকে বেরিয়ে যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

    পাক প্রধানমন্ত্রীর ‘গেটক্র্যাশিং’ (Shehbaz Sharif)

    শরিফের এই অপেক্ষা ও তার পরে ‘গেটক্র্যাশিং’ পাকিস্তানের মর্যাদা ও তার আন্তর্জাতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কূটনৈতিক মহলে। বর্তমানে অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও তেমন কোনও গুরুত্বই নেই দেশটির। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ‘কোর ফাইভ’ গঠন করবেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে, সেখানে ঠাঁই হয়নি পাকিস্তানের (Shehbaz Sharif)। যদিও পাঁচটি দেশের তালিকায় নাম রয়েছে নরেন্দ্র মোদির ভারতের। তুর্কিমেনিস্তানের স্থায়ী নিরপেক্ষতার ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে মিলিত হয়েছেন রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের শীর্ষ নেতারা। শুক্রবার ওই বৈঠকের ফাঁকেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের।

    নিরপেক্ষ দেশে পরিণত হয় তুর্কিমেনিস্তান

    প্রসঙ্গত, ৩০ বছর আগে স্থায়ীভাবে নিরপেক্ষ দেশে পরিণত হয় তুর্কিমেনিস্তান। ১৯৯৫ সালের ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা সর্বসম্মতিক্রমে এর স্বীকৃতি দেয়। নিরপেক্ষ দেশ হয়ে সামরিক জোটে যোগ না দেওয়া, আত্মরক্ষা ছাড়া অন্য কোনও দেশের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িত না হওয়া এবং তুর্কিমেনিস্তানের মাটিতে অন্য দেশের ঘাঁটি স্থাপন করতে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তুর্কিমেনিস্তান।

    মোদি-পুতিন সখ্যতা

    দিন কয়েক আগেই ভারত সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন (Shehbaz Sharif) পুতিন, একই গাড়িতে বসেছেন, হাসিমুখে আলিঙ্গন করেছেন, সেখানে শাহবাজের কপালে অপমান জোটায় পাক প্রধানমন্ত্রীর দিকে ধেয়ে এসেছে কাটাক্ষ-বাণ। এক নেটিজেন বলেন, “পুতিন (Putin) এরকম লোকেদের জন্য তাঁর সময় নষ্ট করতে চান না।” আর একজন বলেন, “এটা আন্তর্জাতিক অপমানে পরিণত হয়েছে।” আর এক নেটিজেন বলেন, “৪০ মিনিট ধরে পুতিনের দরজায় কড়া নাড়তে নাড়তে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন শাহবাজ শরিফরা। তাও প্রবেশ করার সুযোগ পাননি, পরে অবশ্য প্রবেশ করেছিলেন, যেমন কোনও আত্মীয় আমন্ত্রণ ছাড়াই বিয়েতে প্রবেশ করেছিলেন।” অন্য এক ইউজার লিখেছেন, “৪০ মিনিট অপেক্ষার পর জোম্যাটোর ডেলিভারি বয়টাও হাল ছেড়ে দেয়। কিন্তু শরিফ ছাড়েননি।” আর (Putin) একজন লিখেছেন, “ওঁকে ট্রাফিক সিগনালের ভিখারির মতোই উপেক্ষা করেছি।” আর এক নেটিজেন আবার লিখেছেন, ‘‘ভিখিরির (Shehbaz Sharif) আবার পছন্দ-অপছন্দ কীসের?’’

  • SIR In Bengal: রাজ্যে ৮৫ লক্ষের বাবার নামে গলদ! দেড় কোটিরও বেশি ভোটারের তথ্য যাচাইয়ে নামছে কমিশন

    SIR In Bengal: রাজ্যে ৮৫ লক্ষের বাবার নামে গলদ! দেড় কোটিরও বেশি ভোটারের তথ্য যাচাইয়ে নামছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শেষ হয়েছে এনুমারেশন প্রক্রিয়া। এনুমারেশন ফর্মের তথ্য দেখে চোখ কপালে উঠেছে কমিশনের। কোথাও ভোটারের চেয়ে তাঁর বাবা বা মা মাত্র ১৫ বছরের বড়। কোথাও আবার ঠাকুরদা বা ঠাকুরমার চেয়ে ভোটার ৪০ বছরেরও ছোট নয়। মাঝে এক প্রজন্ম ব্যবধানের পরেও বয়সের ফারাক ৪০ বছরের কম। কোথাও ভোটারের সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের বয়সের ফারাক ৫০ বছরেরও বেশি। আবার অনেক জায়গায় বদলে গিয়েছে বাবার নামই। দেখা গিয়েছে রাজ্যে ৮৫ লক্ষ ভোটারের বাবার নামে গলদ। সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের বাবা-মায়ের নাম এক।

    বাবার নামে গলদ

    কমিশন সূত্রে খবর, মোট ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ ভোটারের তথ্যে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। ওই তথ্যগুলি যাচাই করে দেখা হবে। যেমন, বহু ক্ষেত্রে ৬ জনেরও বেশি ভোটার এনুমারেশন ফর্মে বাবার নাম একই উল্লেখ করেছেন। এমন ২৪ লক্ষ ২১ হাজারেরও বেশি ভোটারকে চিহ্নিত করেছে কমিশন। বর্তমান সমাজব্যবস্থার প্রেক্ষিতে এনুমারেশন ফর্মের তথ্যগুলি সন্দেহজনক ঠেকছে কমিশনের। ১৫ বছরের কম বয়সে বাবা হয়েছেন, এরকম সংখ্যা ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার। ৪০ বছরেরও কম বয়সে ঠাকুরদা হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার। বিস্তারিত যদি তথ্যগুলো যাচাই করা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যে সাড়ে ১৩ লক্ষ ভোটারের ক্ষেত্রে একই ব্যক্তির নাম বাবা – মা হিসেবে এসেছে। অর্থাৎ পরিবারে একজনের ক্ষেত্রে বাবার নাম যা ওই পরিবারে, আরেকজনের ক্ষেত্রে বাবার নাম মায়ের জায়গায় এসেছে। এরা প্রত্যেকেই বৈধ ভোটার কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর।

    ২০০২ সালের তালিকায় নাম নেই কেন

    কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যে এমন বহু ভোটার রয়েছেন যাঁদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি, অথচ ২০০২ সালের তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। এমনও ২০ লক্ষ ৭৪ হাজার ভোটারকে চিহ্নিত করেছে কমিশন। এই ভোটারদের বয়স এখন যদি ৪৫ বছরও হয়, তা-ও ২০০২ সালে তাঁদের বয়স হওয়ার কথা অন্তত ২২ বছর। সে ক্ষেত্রে তাঁদের নাম কেন ওই সময়ের ভোটার তালিকায় ছিল না, তা খতিয়ে দেখতে চায় কমিশন। যদিও কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, নামের বানান ভুল থাকলে সেগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে যে সব ফর্মে উল্লেখ্যযোগ্য বদল দেখা যাচ্ছে, সেগুলিকেই মূলত যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের এক বুথে কোনও এক ভোটারের বাবার নাম ২০০২ সালের তালিকায় ছিল নিরঞ্জন। এখন তা বদলে হয়ে গিয়েছে নিরাপদ। এই ধরনের বদলগুলিকেই বেশি করে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    লিঙ্গের তথ্যেও অমিল

    ১৩ লক্ষেরও বেশি ভোটারের লিঙ্গের তথ্যেও অমিল ধরা পড়েছে এনুমারেশন ফর্মে। সব মিলিয়ে মোট ১ কোটি ৬৭ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯১১ ভোটারের তথ্য যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কমিশন নিযুক্ত বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও)-এরা এই তথ্য যাচাই করার জন্য পুনরায় সন্দেহের তালিকায় থাকা এই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাবেন। সূত্রের খবর, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাইয়ের পরেও কোনও সন্দেহের অবকাশ থাকলে ওই ভোটারদের কমিশনের শুনানির জন্য ডেকে পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে রোল অবজারভারদের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    সরব বিরোধীরা

    এই তথ্য সামনে আসার পরই স্বাভাবিকভাবে সরব বিরোধীরা। বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার বলেন, “পুরোটাই আসলে ভেজাল। ভোটে জেতার জন্য বিভিন্ন সময়ে বামেরা, তারপর তৃণমূল সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন। আসল ভোটারদের ভোট দিতে দেননি। ১৫ বছরে যারা বাবা হয়েছে, তারাই আসলে ভূতুড়ে ভোটার হয়ে এইসব লোকদের জিতিয়ে এসেছে।” কমিশনের সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যে ৯৯.৯৬ শতাংশ ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। এসআইআর প্রক্রিয়ায় দেখা গেছে, রাজ্যে অনুপস্থিত, মৃত, স্থানান্তরিত বা একাধিক স্থানে তালিকাভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৫৮ লক্ষের বেশি। আপাতত এসব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটার তথ্য যাচাই শেষ হওয়ার পর ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করেছে, ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নির্ভুল রাখার জন্য যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ নিবিড় সংশোধন ও এসআইআর প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত সকল তথ্য খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

LinkedIn
Share