Tag: Madhyom

Madhyom

  • NRI: আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য সুখবর, রেমিট্যান্স ট্যাক্স কমে হল ১ শতাংশ, কতটা লাভ হল ভারতের?

    NRI: আমেরিকার প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য সুখবর, রেমিট্যান্স ট্যাক্স কমে হল ১ শতাংশ, কতটা লাভ হল ভারতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবাসী ভারতীয়দের (NRI) জন্য সুখবর শোনাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। সে দেশের সেনেট ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। এই সংশোধনের ফলে রেমিট্যান্স (প্রবাসীরা যে অর্থ নিজের দেশে পাঠান)-এর (Remittance Tax) ওপর কর ৩.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ। এই সুখবর শোনা গেল এমন একটা সময়, যখন বিশ্বজুড়ে প্রবাসী ভারতীয়রা ব্যাপক উদ্বেগে ছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, আন্তর্জাতিক অর্থ পাঠানোয় ভারী আর্থিক বোঝা চাপবে।

    ব্যাপক উদ্বেগ (NRI)

    জানা গিয়েছে, প্রথমে বিলটিতে ৫ শতাংশ কর প্রস্তাব করা হয়েছিল। হাউস সংস্করণে এটাই কমিয়ে করা হয়েছিল ৩.৫ শতাংশ। এই হারও ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করে। কারণ প্রবাসী ভারতীয়রা ফি বছর ভারতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠান। রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ভারতের মোট রেমিট্যান্সের ২৭.৭ শতাংশ এসেছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সংশোধিত সংস্করণ অনুযায়ী, এখন থেকে আমেরিকাভিত্তিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে স্থানান্তর এবং সে দেশে ইস্যু করা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে করা লেনদেনগুলি রেমিট্যান্স কর থেকে ছাড় পাবে। এই পরিবর্তন প্রবাসী ভারতীয়দের পক্ষ থেকে স্বাভাবিক পারিবারিক ও ব্যক্তিগত রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুরক্ষা দেবে।

     যোগ্য রেমিট্যান্সের ওপর প্রযোজ্য

    এই কর কেবলমাত্র (NRI) ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর পরে করা যোগ্য রেমিট্যান্সের ওপর প্রযোজ্য হবে। ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলির প্রস্তুতির জন্য হাতে যথেষ্ট সময় থাকবে। এই এক্সসাইজ করটি কেবল যাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নন, তাঁদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী, ছাত্রছাত্রী এবং গ্রিন কার্ডধারীরাও। ট্রাম্প প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তের ফলে বহু ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বাসিন্দার আর্থিক সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়তে পারে (Remittance Tax)।যদিও ১ শতাংশ করের হারটি সাধারণ মনে হতে পারে, তবে এর প্রভাব যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এটি এখনও উচ্চমূল্যের লেনদেনগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে, যেমন এনআরই অ্যাকাউন্টে জমা, সম্পত্তি বিনিয়োগ এবং কর্পোরেট পুনর্বাসন কর্মসূচি ইত্যাদি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা-পরবর্তী আয়ও যদি করমুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে স্থানান্তর না করা হয়, তবে এটি এই করের আওতায় পড়তে পারে।

    স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি

    যদিও কমিয়ে দেওয়া করহার স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি এনে দেয়, তবে অনেক এনআরআই এখন আরও স্পষ্ট নির্দেশনা ও সম্ভাব্য বৃহত্তর কর-ছাড়ের দাবি জানাচ্ছেন, বিশেষ করে পরিবারের জন্য পাঠানো প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে। আইনটির কার্যকর রূপ চূড়ান্ত হলে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মতো দেশের মধ্যে ভবিষ্যতের আর্থিক লেনদেনের গতিপথ নির্ধারণ করবে। এদিকে, প্রবাসী ভারতীয়রা গত অর্থবর্ষে দেশে ১৩৫.৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। রিজার্ভ ব্যাংকের প্রকাশিত সাম্প্রতিক পেমেন্ট ব্যালেন্স ডেটা অনুযায়ী, প্রবাসী ভারতীয়দের পাঠানো ‘ব্যক্তিগত হস্তান্তর’ এর মাধ্যমে মোট প্রাপ্ত অর্থ আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি (NRI)।

    প্রবাসী রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় প্রাপক ভারত

    ভারত গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রবাসী রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় প্রাপক দেশ। ২০১৬-১৭ সালে যেখানে এই অঙ্ক ছিল ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখানে আট বছরের মধ্যে তা হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি (Remittance Tax)। রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মার্চ শেষ হওয়া অর্থবর্ষে মোট কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ইনফ্লোর ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মধ্যে রেমিটেন্সের অংশ ছিল ১০ শতাংশেরও বেশি। আইডিএফসি ফার্স্ট ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ গৌরী সেনগুপ্ত বলেন, “ক্রুড অয়েলের দাম কম থাকা সত্ত্বেও রেমিটেন্সের জোরালো প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।” তিনি বলেন, “এর কারণ হল দক্ষ শ্রমশক্তির একটি ক্রমবর্ধমান অংশ উন্নত দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং সিঙ্গাপুরে অভিবাসন করছে। আরবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই তিনটি দেশ থেকে মোট রেমিটেন্সের প্রায় ৪৫ শতাংশ আসে,” তিনি বলেন, “তবে জিসিসি (GCC) দেশগুলির অংশ ক্রমেই কমে আসছে (NRI)।”

    প্রবাসী আয়ের ওপর প্রভাব

    তেলের দাম প্রায়ই গাল্ফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (GCC) দেশগুলির কাছ থেকে প্রবাসী আয়ের ওপর প্রভাব ফেলে। ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্কের একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে. ভারত এখনও ২০০ মার্কিন ডলার পাঠানোর জন্য বিশ্বের অন্যতম স্বল্প-ব্যয়বহুল দেশ হিসেবে রয়ে গিয়েছে। কারেন্ট অ্যাকাউন্টের অন্যান্য প্রধান উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে সফটওয়্যার পরিষেবা আয় এবং ব্যবসায়িক পরিষেবা আয়। প্রতিটিই গত অর্থবর্ষে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সীমা অতিক্রম করেছে (Remittance Tax)। এই তিনটি উৎস (প্রবাসী আয়, সফটওয়্যার পরিষেবা ও ব্যবসায়িক পরিষেবা) মিলে মোট কারেন্ট অ্যাকাউন্টের আয়ের ৪০ শতাংশের বেশি অংশ জোগান দিয়েছে (NRI)।

  • India Secures Colombo Dockyard: শ্রীলঙ্কার বন্দর হস্তগত ভারতের, এবার ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে হাতি!

    India Secures Colombo Dockyard: শ্রীলঙ্কার বন্দর হস্তগত ভারতের, এবার ড্রাগনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে হাতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বাধীন চিনের আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্নে জল ঢেলে দিল নরেন্দ্র মোদির ভারত! শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম জাহাজ কারখানা কলম্বো ডকইয়ার্ড (India Secures Colombo Dockyard) পিএলসি-র ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনে নিতে চলেছে নয়াদিল্লি। এজন্য খরচ হবে ৪৫৫ কোটি টাকা। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা জাহাজ নির্মাতা সংস্থা মাঝগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড এটি অধিগ্রহণ করেছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটি ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত অগ্রগতির অংশ। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা (Hambantota) বন্দর লিজ নিয়েছিল চিন। এবার তার পাশেই কলম্বো ডকইয়ার্ড পিএলসি-র ৫১ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়ে ড্রাগনকে টক্কর দিল হাতি। এর ফলে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় বেজিং একটি বড় ধাক্কা খেল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    কলম্বো ডকইয়ার্ড (India Secures Colombo Dockyard)

    কলম্বো ডকইয়ার্ডটি কলম্বো বন্দরের পাশেই। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত আন্তর্জাতিক শিপিং রুট থেকে মাত্রই ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে। এই শেয়ারগুলি জাপানি সংস্থা অনোমিচি ডক ইয়ার্ড থেকে কেনা হচ্ছে। কারণ জাপান থেকে আর্থিক সাহায্য না পাওয়ায় ভারতের সাহায্য চায় শ্রীলঙ্কা। কলম্বোর এই ডক ইয়ার্ড অধিগ্রহণ মাঝগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডের প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ এবং এর মাধ্যমে কলম্বো ডক ইয়ার্ড এখন মুম্বইভিত্তিক এই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের একটি সহায়ক সংস্থায় রূপান্তরিত হচ্ছে। মাস ছয়েকের মধ্যে এই লেনদেন সম্পন্ন হওয়ার কথা। এটি ভারতকে এনে দেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ও বাণিজ্যিক সুবিধা। এটি এমন একটি অঞ্চল যেখান দিয়ে বিশ্ব বাণিজ্যের এক তৃতীয়াংশ ও চিনের তেল আমদানির ৮০ শতাংশ পরিবাহিত হয়।

    মিলবে একাধিক সুবিধা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তিটি শুধুমাত্র চিন-পরিচালিত হাম্বানটোটা বন্দরের কাছাকাছি ভারতের উপস্থিতি নিশ্চিত করে না, বরং মাঝগাঁও ডকের কার্যকলাপের পরিসরও বিস্তৃত করে (India Secures Colombo Dockyard)। এই অধিগ্রহণের অংশ হিসেবে মাঝগাঁও ডক হাম্বানটোটা আন্তর্জাতিক বন্দরে (যেটি চায়না মার্চেন্টস পোর্টস গ্রুপ পরিচালনা করে) কলম্বো ডকইয়ার্ড কর্তৃক নির্মিত একটি পূর্ণাঙ্গ টেকনোলজিক্যাল ওয়ার্কশপে প্রবেশাধিকার পাবে। এই ওয়ার্কশপটি সমুদ্রপথে থাকা জাহাজগুলোর জন্য দ্রুত ও দক্ষ মেরামত পরিষেবা সরবরাহ নিশ্চিত করবে, যার ফলে বৈশ্বিক সমুদ্র পথ ব্যবহারকারীদের দক্ষতা ও অর্থনৈতিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

    অর্ধ শতাব্দী পুরানো

    কলম্বো ডকইয়ার্ড ৫০ বছরেরও বেশি পুরানো। এই ডকইয়ার্ড ভারত, জাপান, নরওয়ে, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশের কাছে বিভিন্ন ধরণের ট্যাংকার ও টহলদারি নৌকা তৈরি ও রফতানি করেছে। চারটি ড্রাইডক এবং ২৫০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বর্তমান অর্ডার বুক-সহ এই শিপইয়ার্ডটি মাঝাগাঁও ডকের নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে (Hambantota)।

    ভারতের কৌশলগত পদক্ষেপ

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অধিগ্রহণ ভারত সরকারের বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক মহাসাগরীয় উদ্যোগের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ, যার লক্ষ্য হল আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব ও পরিকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে চিনা প্রভাবের পাল্টা ভারসাম্য গড়ে তোলা (India Secures Colombo Dockyard)। এটি এই অঞ্চলে ভারতের অন্যান্য বিনিয়োগের পরিপূরক, বিশেষ করে কলম্বো বন্দরের একটি টার্মিনালে আদানি পোর্টসের অংশীদারিত্ব, যা ভারত মহাসাগরে ভারতের উপস্থিতিকে শক্তিশালী করে তুলছে।

    ভারত মহাসাগরে ভারতের কর্তৃত্ব

    কৌশলগতভাবে কলম্বো ডকইয়ার্ডের অবস্থান ভারতীয় নৌবাহিনীর রসদ ও সরবরাহ চেইনের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। এটি জাহাজ এবং নৌবহর সহায়ক জাহাজের মতো উন্নত নৌযান নির্মাণে সক্ষম হওয়ায়, ভারতের সামুদ্রিক ক্ষমতা সমগ্র ভারত মহাসাগরে আরও প্রসারিত হচ্ছে। যখন কলম্বো ডকইয়ার্ড একটি ভারত-নিয়ন্ত্রিত সংস্থা হিসেবে শ্রীলঙ্কার স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে, তখন নয়াদিল্লি কেবলমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক সম্পদই সুরক্ষিত করবে না, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের আধিপত্যকেও চ্যালেঞ্জ করবে (India Secures Colombo Dockyard)।

    হাম্বানটোটা বন্দর

    প্রসঙ্গত, হাম্বানটোটা (Hambantota) আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর। কলম্বোর পরে এটিই ভারত মহাসাগর দিয়ে ঘেরা দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর। বন্দরটি চালু হয়েছিল ২০১০ সালে। এই বন্দরের আন্তর্জাতিক গুরুত্ব নিয়ে তখন জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। কারণ বন্দরটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চিন। মলাক্কা প্রণালী ও সুয়েজ খাল সংযোগকারী সমুদ্রপথের ওপর অবস্থিত শ্রীলঙ্কা। ফি বছর এই সাগরপথ ব্যবহার করে প্রায় ৩৬ হাজার জাহাজ এবং সাড়ে চার হাজার তেলের ট্যাঙ্কার। তাই এশিয়া এবং ইউরোপের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার গুরুত্ব অপরিসীম।

    তবে হাম্বানটোটা বন্দরটি লাভজনক না হওয়ায় শ্রীলঙ্কার রনিল বিক্রমসিংহের সরকার দেশের অর্থনৈতিক ভান্ডারে বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধি করার তাগিদে এই বন্দরটি বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। চিনের একটি সংস্থাকে ১১২ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয় (Hambantota)। কলম্বো ডক ইয়ার্ডের রাশ হাতে নিয়ে এবার চিনের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করল নরেন্দ্র মোদির ভারত (India Secures Colombo Dockyard)।

  • Weather Update: ভরা বর্ষায় ফের নিম্নচাপ সাগরে! সকাল থেকে বৃষ্টি শহরে, চলবে কত দিন?

    Weather Update: ভরা বর্ষায় ফের নিম্নচাপ সাগরে! সকাল থেকে বৃষ্টি শহরে, চলবে কত দিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা বর্ষায় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হল গভীর নিম্নচাপ। তারই জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় লাগাতার বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update) দিল হাওয়া অফিস। চলতি সপ্তাহে কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে। ভিজেছে শহরতলিও। সপ্তাহের প্রথম দিনে বৃষ্টিতে বেরিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাসে-ট্রেনে ভোগান্তি চরমে। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-সহ শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সকাল থেকে জলমগ্ন।

    কলকাতায় ধারাপাত

    সোমবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি (Rain in Kolkata) হচ্ছে কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে। এদিন, কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৬ ডিগ্রি বেশি। রবিবার সন্ধ্যায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৩ ডিগ্রি কম। এদিনও শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ডিগ্রির আশেপাশে।

    মৎস্যজীবীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। আর তারফলে আপাতত বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ বঙ্গের বহু জেলায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে থাকা উচ্চ ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে রবিবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের উপরে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। এর ফলে বাংলা, ওড়িশার সমুদ্র উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। সমুদ্রও এর প্রভাবে উত্তাল থাকতে পারে ১ জুলাই পর্যন্ত। মৎস্যজীবীদের সতর্ক থাকতে পরমার্শ দিয়েছে আলিপুর।

    ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা

    আগামী ৭ দিন দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই কম বা বেশি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে সোমবার অর্থাৎ আজ থেকে বুধবার পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ভারী বর্ষণ চলতে পারে বলে পূর্বাভাস। ইতিমধ্যেই বৃষ্টির জন্য উপকূলবর্তী এলাকায় কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। সপ্তাহের শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের মেজাজে থাকতে পারে বৃষ্টি। সোমবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতায়, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে অর্থাৎ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কেবল তিন জেলায়— দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান এবং পুরুলিয়ায়। এ ছাড়া, বৃহস্পতিবার থেকে আবার কিছু কিছু জেলায় বৃষ্টি বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। এই জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণ চলতে পারে রবিবার পর্যন্ত।

    উত্তরেও বৃষ্টির পূর্বাভাস

    উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, কোচবিহারে ভারী বর্ষণ চলতে পারে আগামী কয়েক দিন। জলপাইগুড়িতে শুক্রবার পর্যন্ত এবং আলিপুরদুয়ারে রবিবার পর্যন্ত সতর্কতা জারি রয়েছে। উত্তরের বাকি জেলাতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি চলবে। তবে আর কোথাও আবহাওয়া সংক্রান্ত সতর্কতা জারি নেই আপাতত।

  • S-400 in South India: চিন-পাক সীমান্তের পর এবার সাগর-সুরক্ষাতেও এস-৪০০ মোতায়েনের পথে ভারত?

    S-400 in South India: চিন-পাক সীমান্তের পর এবার সাগর-সুরক্ষাতেও এস-৪০০ মোতায়েনের পথে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ কামাল দেখিয়েছে এস-৪০০ (S-400 in South India)। এই ‘সুদর্শন চক্রে’-ই ধ্বংস হয়েছে একের পর এক পাক ড্রোন। ভারতের মাটিতে পাক ড্রোনকে আঁচও কাটতে দেয়নি এই এস-৪০০। ভারতের ‘রক্ষাকবচ’ তথা ‘সুদর্শন চক্র’ হয়ে কাজ করেছে এটি। তাই উত্তরে ভারত-পাক সীমান্তের পর এবার দক্ষিণ ভারতের সুরক্ষাতেও এস-৪০০ বসাতে পারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। মোট পাঁচটি এস-৪০০ পুতিনের দেশের থেকে কিনেছে ভারত। এখনও পর্যন্ত তিনটি ডেলিভারি হয়েছে। বাকি আরও দু’টি। ওই দুটিও খুব শীঘ্রই দিল্লির হাতে তুলে দেবে মস্কো। এছাড়া, আরও ২ এস-৪০০ রেজিমেন্ট অতিরিক্ত কিনতে পারে ভারত, এমন খবরও ঘোরাফেরা করছে। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ ভারতের কেরলে একটি নতুন রেডার কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানেই একটি এস-৪০০ মোতায়েন করা হবে।

    এস-৪০০ এর গুরুত্ব

    রাশিয়ায় তৈরি এই ‘সুরক্ষাকবচ’ আধুনিক যুদ্ধে বিশ্বের প্রথম সারির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। অন্তত ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত করতে পারে ‘সুদর্শন চক্র’। ৩৮০ কিলোমিটার দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্ক্রিয় করতে পারে। আপাতত ভারতের চারটি জায়গায় এই সিস্টেম মোতায়েন রয়েছে। এস-৪০০ রাশিয়ার তৈরি দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। যা অত্যাধুনিক রেডার ব্যবহার করে আকাশে হুমকি শনাক্ত এবং ট্র্যাক করে, তারপর তা ধ্বংস করার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এটি একটি বহু-স্তরযুক্ত ব্যবস্থা যার বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা বিমান এবং ড্রোন থেকে শুরু করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত বিস্তৃত লক্ষ্যবস্তুকে কভার করে।

    কেন দক্ষিণ ভারতে প্রয়োজন এস-৪০০

    এদিকে, ভারতীয় বায়ুসেনা কেরলের কোঝিকোড় জেলার চালিয়ামে একটি উন্নত রেডার কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। ৪০ একর জমির এই কেন্দ্রটি বেয়পুর বন্দরের নিকটে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক প্রকল্পের অংশ। এখানে এমন রেডার স্থাপন করা হবে যা যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম হবে। এটি আইএএফ-এর সার্বভারতীয় নজরদারি ব্যবস্থার (IACCS) সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাম্বানটোটা বন্দরসহ ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের প্রভাব বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ ভারতের প্রতিরক্ষা জোরদার করার এই পরিকল্পনা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    ভারত মহাসাগরে চিনের তৎপরতা বৃদ্ধি

    ইরান-ইজরায়েল সংঘাতের আবহে যখন বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, ঠিক সেই সময় ভারত মহাসাগরে নতুন করে কারসাজি শুরু করেছে চিন। সাম্প্রতিক সময়ে চিনের সন্দেহজনক সামরিক গতিবিধি ভারতীয় গোয়েন্দা এবং প্রতিরক্ষা মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ভারতের কেরলে প্রথমবার বসানো হচ্ছে এক অত্যাধুনিক এবং উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন রেডার। যার মাধ্যমে নজর রাখা যাবে চিনা উপস্থিতির উপর। কেরলের কোঝিকোড় জেলার বেপোর সংলগ্ন চালিয়ামে ভারতীয় বায়ুসেনা এই শক্তিশালী রেডারটি স্থাপন করেছে। এর ফলে গ্বদর (পাকিস্তান) এবং হাম্বানোটাটা (শ্রীলঙ্কা) বন্দরের উপরে সরাসরি নজরদারি চালাতে পারবে ভারত। জানা গিয়েছে, চিন ইতিমধ্যেই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরকে ৯৯ বছরের জন্য লিজে নিয়ে সেখানে নৌবাহিনীর জাহাজ এবং গুপ্তচর জাহাজ পাঠিয়ে রেখেছে, যা ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন’-এর আড়ালে একটি সুপরিকল্পিত সামরিক তৎপরতা বলে মনে করছে ভারত।

    এস-৪০০-এ ভরসা ভারতের

    অপারেশন সিঁদুরের সময় এস-৪০০ মোতায়েনের ফলে ভারতের কোনও ক্ষতি না করেই কার্যকরভাবে পাক হুমকির সফল মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে সেনা। তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আশা, ভবিষ্যতের আকাশ হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে এস-৪০০ (S-400 in South India)। ভারতের প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এর সামরিক সম্পদ এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এস-৪০০-তে জ্যামিং প্রযুক্তিকে ঠেকানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। লক্ষ্যে আঘাত হানতে ছোট রেডার প্রযুক্তি রয়েছে। একটি কমান্ড এবং একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র রয়েছে। ভারত, রাশিয়া, চিন, তুরস্ক, বেলারুসের মতো দেশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে। চিন এবং পাকিস্তানকে ঠেকাতে রাশিয়ার থেকেই এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি কেনে ভারত। ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর সেই মতো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সবমিলিয়ে খরচ পড়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা।

    চিনকে মাত দিতে ভারতের চাল

    চিনের যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছে। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ভারতের রেডার নেটওয়ার্ককে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে—সত্যিই কি এস-৪০০ রেজিমেন্টগুলোর একটি কেরলে মোতায়েন করা হবে? যদি তাই হয়, তবে এটি চালিয়ামের প্রস্তাবিত রেডার কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে ভারতের আকাশ ও সামুদ্রিক নিরাপত্তাকে আরও সুদৃঢ় করতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।

  • Parag Jain: অপারেশন সিঁদুরে বড় ভূমিকা! পাকিস্তানের খুঁটিনাটি নখদর্পণে, আইপিএস পরাগ জৈন এবার ‘র’-এর প্রধান

    Parag Jain: অপারেশন সিঁদুরে বড় ভূমিকা! পাকিস্তানের খুঁটিনাটি নখদর্পণে, আইপিএস পরাগ জৈন এবার ‘র’-এর প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর ছিল তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত। পাকিস্তানের খুঁটিনাটি তাঁর নখদর্পণে। ভারতের ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ বা র (R&AW) -এর পরবর্তী প্রধান হলেন ১৯৮৯-র ব্যাচের আইপিএস অফিসার পরাগ জৈন (Parag Jain)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটি তাঁকে ‘র’ প্রধান হিসেবে মনোনীত করেছে। এতদিন পর্যন্ত ভারতীয় এই গুপ্তচর সংস্থার প্রধান ছিলেন রবি সিং। মঙ্গলবার, ১ জুলাই থেকে টানা দুবছর এই নতুন দায়িত্ব সামলাবেন পরাগ।

    অপারেশন সিঁদুরে বড় ভূমিকা

    অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন তিনি ছিলেন ‘অ্যাভিয়েশন রিসার্চ সেন্টার’-এর প্রধান পদে। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে নৃশংস জঙ্গি হামলার পর মোদি সরকার পাক জঙ্গি ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাতের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু একদেশ থেকে আরেক দেশে বেছে বেছে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে প্রাণঘাতী আক্রমণ শানানোর মতো কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। সেই কঠিন কাজটি সহজ করে দিয়েছিলেন এই দুঁদে আইপিএস অফিসার। তাঁর দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ভারতীয় বায়ুসেনা বিভাগ পাক পাঞ্জাব ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে লক্ষ্যভেদী হামলা চালায়। পাকিস্তানের মাটি থেকে শুরু করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তার দেখানো পথেই পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে ভারতীয় সেনা।

    পাকিস্তান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান

    জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত অভিজ্ঞতা রয়েছে পরাগ জৈনের (Parag Jain)। ‘র’-এর অন্দরে ‘পাকিস্তান বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে পরিচিতি পরাগ। পূর্বে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাস দমন অভিযানেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার অপারেশন বালাকোটের সময় কাশ্মীর উপত্যকাতেই ছিলেন পরাগ। দেশের গোয়েন্দা মহলে পরাগকে ‘সুপার স্লিউথ’ বলে ডাকা হয়। পাকিস্তান সম্পর্কে তাঁর তথ্যভাণ্ডার অনেক গুপ্তচরেরই ঈর্ষার কারণ। হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স-এর সঙ্গে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর সমন্বয়ের জন্য তাঁর খ্যাতি রয়েছে গোয়েন্দা মহলে। এর আগে তিনি পাঞ্জাব পুলিশের ডিজিপি-র দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    দক্ষ অফিসার হিসেবে প্রসিদ্ধ

    পাঞ্জাব ক্যাডারের আইপিএস পরাগ জৈন। ক্যারিয়রের শুরু দিকে পাঞ্জাবের ভাটিন্ডা, হোশিয়ারপুর, মানসা এলাকায় পোস্টিং ছিল এই আইপিএস অফিসারের। খালিস্তানপন্থী সন্ত্রাসের মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। পরবর্তীকালে লুধিয়ানার ডিআইজি থাকাকালীন পাঞ্জাবে মাদক পাচার চক্র দমনেও দক্ষতার পরিচয় দেন এই আইপিএস অফিসার। তবে এবার সেখান থেকে উঠে এসে তার ওপর আরও বড় দায়িত্ব দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ধরণের আপোষ করা হবে না। সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই পথেই করা হল পদক্ষেপ।

  • Daily Horoscope 30 June 2025: বিরোধীদের থেকে সাবধান থাকুন এই রাশির জাতকরা

    Daily Horoscope 30 June 2025: বিরোধীদের থেকে সাবধান থাকুন এই রাশির জাতকরা

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) পড়াশোনার জন্য বিদেশযাত্রা হতে পারে।

    ২) গৃহনির্মাণের সুযোগ হাতছাড়া না করাই ভালো হবে।

    ৩) দিনটি অনুকূল।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে অশান্তির জন্য প্রতিবেশীদের কাছে হাসির পাত্র হবেন।

    ২) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে চিন্তার খবর আসতে পারে।

    ২) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    ৩) বিরোধীদের থেকে সাবধান থাকুন।

    কর্কট

    ১) কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    সিংহ

    ১) মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।

    ২) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    ৩) ধর্মস্থানে যেতে পারেন।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত উদারতার জন্য কাজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    ৩) গুরুজনদের পরামর্শ মেনে চলুন।

    তুলা

    ১) শত্রুর কারণে সকালে মাথাগরম হতে পারে।

    ২) সাবধান থাকতে হবে, শরীরে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) সবাইকে বিশ্বাস করবেন না।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালবেলাতেই কিছু দান করার জন্য ইচ্ছা হতে পারে।

    ২) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ৩) দিনটি ভালোই কাটবে।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত চাপের জন্য কাজের প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার যে কোনও কাজ সফল হবে।

    ৩) ধৈর্য ধরুন।

    মকর

    ১) সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

    ২) প্রতিবেশীদের ঈর্ষার কারণে কাজে বাধা আসতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    মীন

    ১) কিছু কেনার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

    ২) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে।

    ৩)  ধৈর্য্য ধরতে হবে আরও বেশি।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • PM Modi: ‘মন কি বাত’-এর ১২৩তম পর্বে চিকিৎসক-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘মন কি বাত’-এর ১২৩তম পর্বে চিকিৎসক-চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ‘মন কি বাত’-এর ১২৩তম পর্বে চিকিৎসক ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের অমূল্য অবদানের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই দুই পেশাকে তিনি সমাজের দুটি ‘স্তম্ভ’ বলেও অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই দুই স্তম্ভ একদিকে (Mann Ki Baat) যেমন স্বাস্থ্যরক্ষায় নিয়োজিত, অন্যদিকে তেমনি অর্থনৈতিক জীবনের পথপ্রদর্শক।” তিনি বলেন, “১ জুলাই আমরা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পেশাকে সম্মান জানাই-চিকিৎসক এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। এই দুই পেশাই সমাজের এমন স্তম্ভ, যারা আমাদের জীবনকে আরও উন্নত করে তোলে। চিকিৎসকেরা আমাদের স্বাস্থ্যরক্ষক, আর সিএ-রা আমাদের অর্থনৈতিক জীবনের দিশারী। আমি সমস্ত চিকিৎসক এবং সিএ-দের জানাই আমার শুভকামনা।”

    পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব (PM Modi)

    এদিনের মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এসেছে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্বের দিকটিও। তিনি বলেন, “এই মাসে আমরা সবাই মিলে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ উদযাপন করেছি। আমি আপনাদের হাজার হাজার বার্তা পেয়েছি। অনেকেই আমাকে তাঁদের সেই বন্ধুদের কথা জানিয়েছেন, যাঁরা একাই পরিবেশ রক্ষার উদ্যোগ শুরু করেছিলেন এবং পরে গোটা সমাজই তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এই সম্মিলিত প্রচেষ্টাই আমাদের পৃথিবীর জন্য এক বিশাল শক্তিতে পরিণত হচ্ছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    দেশের নানা প্রান্তের মানুষের উদাহরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “পুনের রমেশ খারমালে, তাঁর কাজের কথা জানলে আপনি আকও বেশি করে অনুপ্রাণিত হবেন। যখন সবাই সপ্তাহ শেষে বিশ্রাম নেন, তখন রমেশজি এবং তাঁর পরিবার কোদাল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। জানেন কোথায় যান? জুন্নারের পাহাড়ের দিকে। রোদ হোক বা খাড়া চড়াই, তাঁদের যাত্রা থেমে থাকে না। তাঁরা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করেন, জল ধরে রাখার জন্য খাল খোঁড়েন এবং বীজ বপন করেন। মাত্র দু’মাসে তাঁরা ৭০টি খাল খুঁড়েছেন (Mann Ki Baat)।”

    গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ওখানে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ‘মিশন ফর মিলিয়ন ট্রিজ’ অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের লক্ষ্য লক্ষ লক্ষ গাছ রোপণ করা। এই অভিযানের একটি বিশেষ দিক হল ‘সিঁদুর বন’।” িতিন বেলন, “এই বনটি অপারেশন সিঁদুরের বীর সৈনিকদের উৎসর্গ করা হয়েছে। যাঁরা দেশের জন্য সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের স্মরণে এখানে সিঁদুর গাছের চারা লাগানো হচ্ছে। এখানেই আর একটি অভিযানকে নতুন গতি দেওয়া হয়েছে — ‘এক পেড মা কে নাম’। এই অভিযানের অধীনে দেশে কোটি কোটি গাছ লাগানো হয়েছে। আপনিও আপনার গ্রাম বা শহরে চলতে থাকা এমন অভিযানে অংশ নিন (Mann Ki Baat)।”

  • Weather Update: দুর্যোগের ঘনঘটার আশঙ্কা বাংলার আকাশে, দুর্যোগ চলবে কতদিন?

    Weather Update: দুর্যোগের ঘনঘটার আশঙ্কা বাংলার আকাশে, দুর্যোগ চলবে কতদিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দুর্যোগের ঘনঘটার আশঙ্কা বাংলার আকাশে (Weather Update)। বঙ্গোপসাগরের ওপর আবারও তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ অঞ্চল (Heavy Rain)। তার প্রভাবে টানা দুর্যোগের আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। কলকাতায়ও বৃষ্টি হতে পারে মুষলধারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয়। তার প্রভাবে সপ্তাহভর বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নিম্নচাপ অঞ্চলের কারণে বৃষ্টির দাপট চলবে কিছু দিন।

    গাঙ্গেয় বঙ্গে উচ্চ ঘূর্ণাবর্ত (Weather Update)

    হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন গাঙ্গেয় বঙ্গে উচ্চ ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। তার প্রভাবে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ফলে উপকূল সংলগ্ন সমুদ্রে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। ১ জুলাই পর্যন্ত উত্তাল থাকতে পারে সাগর। ওই সময় পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের জন্য জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

    ভারী বৃষ্টি

    রবিবার কলকাতায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। সোমবার পর্যন্ত অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায়। সোমবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই বর্ধমান, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতে। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং পুরুলিয়ায়। দুই ২৪ পরগনায় ফের ভারী বৃষ্টি হতে পারে শুক্র ও শনিবার।

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি (Weather Update) ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গেও। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টি হবে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত। সতর্কতা জারি করা হয়েছে কালিম্পঙে, বুধবার। সতর্কতা জারি করা হয়েছে কোচবিহারেও, সোমবার ও বুধবার। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও ঝড়বৃষ্টি চলবে সপ্তাহভর (Heavy Rain)। তবে এজন্য আপাতত আলাদা করে কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি (Weather Update)।

  • Bangladesh Crisis: ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ বধূকে, কাঠগড়ায় বিএনপি নেতা

    Bangladesh Crisis: ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ বধূকে, কাঠগড়ায় বিএনপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধর্ষিতা হিন্দু বধূ। ঘরে ঢুকে গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাঠগড়ায় বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) জাতীয়তাবাদী দল (বিএমপি)-এর প্রভাবশালী নেতা ফজর আলি। কুমিল্লা জেলার (Hindu Woman Raped) মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর পাঁচকিট্টা গ্রামের ঘটনা। বছর একুশের ওই বধূর দুটি সন্তানও রয়েছে। তাঁর স্বামী দুবাইয়ে কাজ করেন। সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই বধূ সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যান। তার পর থেকেই তাঁর ওপর নজর পড়েছিল ফজরের।

    কাঠগড়ায় বিএনপি নেতা (Bangladesh Crisis)

    সে তাঁকে অনুসরণ ও হয়রানি করছিল বলে অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি মেলায় গিয়েছিলেন ওই বধূর পরিবারের লোকজন। বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। অভিযোগ, সেই সুযোগে ওই বিএনপি নেতা তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। গলায় ছুরি ধরে রেখে ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। বধূর চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরা ফজরকে ধরেও ফেলেন। যদিও সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায় সে। ওই বধূকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরের দিনই ওই তরুণীর পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হয় মুরাদনগর থানায়।

    গ্রেফতার নেতা-সহ ৫

    ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুজু করা (Bangladesh Crisis) হয় মামলা। রবিবার পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই বধূর অশ্লীল ভিডিও শেয়ার করার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতার করা হয় ফজরকেও। ধৃত পাঁচজনের বিরুদ্ধেই আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ফজর মুরাদনগরের বাহেছাড় পূর্ব পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে বিএনপির নেতা।

    গত বছর ৫ অগাস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকারের। তার পর বাংলাদেশের রাশ তুলে দেওয়া হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের হাতে। এই ইউনূস জমানায় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চরমে ওঠে। হিন্দুদের মন্দির-বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করার পাশাপাশি নির্যাতন চালানো হয় হিন্দু মহিলাদের ওপর। পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও প্রতিকার মেলে না বলে অভিযোগ (Hindu Woman Raped)। এখন দেখার, এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Crisis)।

  • Waziristan Attack: আত্মঘাতী বিস্ফোরণে পাকিস্তানে হত ১৩ সেনা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    Waziristan Attack: আত্মঘাতী বিস্ফোরণে পাকিস্তানে হত ১৩ সেনা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের দিব্যিই মদত জুগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে সেই বিষবৃক্ষের ফল যে সে দেশেই বিষ উগরে দেবে, তা বোধহয় জানা ছিল না শাহবাজ শরিফের দেশের। তাই ওয়াজিরিস্তানে (Waziristan Attack) ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের দায় ভারতের ঘাড়ে চাপিয়ে দিল ইসলামাবাদ (Pakistan)।

    পাক অভিযোগ খারিজ ভারতের (Waziristan Attack)

    ফেরা যাক খবরে। ওয়াজিরিস্তানে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন পাক সেনার। এই হামলার পরে ইসলামাবাদ অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারতের দিকে। এনিয়ে বিবৃতিও জারি করেছে পাক সরকার। তার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। শনিবার রাতেই পাল্টা বিবৃতি জারি করে পাকিস্তানের অভিযোগ খারিজ করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমাদের নজরে এসেছে পাক সেনার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে ২৮ জুন ওয়াজিরিস্তানে হওয়া হামলার ঘটনায় ভারতকে দায়ী করা হয়েছে। এই বিবৃতির তীব্র নিন্দা করছে ভারত। একই সঙ্গে বিবৃতিতে ওঠা দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানানো হচ্ছে এরকম কোনও কিছুর সঙ্গে ভারত যুক্ত নয়।”

    আত্মঘাতী বোমা হামলা

    প্রসঙ্গত, শনিবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় আত্মঘাতী এক বোমা হামলায় নিহত হন ১৩ জন পাক সেনা। সে দেশের সেনা আধিকারিকের দাবি, এই বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জন সেনা-সহ মোট ১৯ জন সাধারণ মানুষও জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে ছয় শিশুও (Waziristan Attack)। জানা গিয়েছে, এদিন একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরক ভর্তি গাড়িটি নিয়ে ঢুকে পড়ে সামরিক কনভয়ে। তার পরেই ঘটে বিস্ফোরণ। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলা হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িও।

    আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে হাফিজ গুল বাহাদুর গোষ্ঠীর আত্মঘাতী ইউনিট। এটি তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত একটি দল। তার পরেও আন্তর্জাতিক মহলের নজর ঘোরাতে পাকিস্তান ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    উল্লেখ্য, চলতি বছর খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বালুচিস্তানে সরকার বিরোধী (Pakistan) বিভিন্ন গোষ্ঠীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২৯০ জন। এঁদের সিংহভাগই পাক সেনা (Waziristan Attack)।

LinkedIn
Share