Tag: Madhyom

Madhyom

  • Israeli Hostages: মুক্ত তিন ইজরায়েলি নাগরিক, কঙ্কালসার চেহারা দেখে হামাসকে দানব আখ্যা নেতানিয়াহুর

    Israeli Hostages: মুক্ত তিন ইজরায়েলি নাগরিক, কঙ্কালসার চেহারা দেখে হামাসকে দানব আখ্যা নেতানিয়াহুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে তিন ইজরায়েলি বন্দিকে (Israeli Hostages) মুক্তি দিল হামাস। এঁরা হলেন- এলি শারাবি, ওহাদ বেন আমি এবং ওর লেভি। এঁরা প্রত্যেকেই ইজরায়েলের সাধারণ নাগরিক। হামাসের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার পরে এই তিন নাগরিকের কঙ্কালসার চেহারা দেখে সকলে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। নিজের দেশের নাগরিকদের এহেন দুর্দশা দেখে হামাস জঙ্গি সংগঠনকে তোপ দেগেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি হামাস জঙ্গি সংগঠনকে দানব আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর হুঙ্কার, ওই জঙ্গি সংগঠনকে ধ্বংস করেই তাঁরা শান্ত হবেন।

    তিন বন্দির মুক্তির গোটা প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়

    তিন বন্দির মুক্তির গোটা প্রক্রিয়াটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। তাতে দেখা যাচ্ছিল, ওই দিন ইজরায়েলি নাগরিককে (Israeli Hostages) ঘিরে ধরে রেখেছে মাস্ক পরা হামাস জঙ্গিরা (Hamas)। তাদের প্রত্যেকেরই হাতে ছিল স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। ওই তিন নাগরিককে দুর্বল, ফ্যাকাশে এবং রোগা দেখাচ্ছিল। প্রসঙ্গত, হামাসের সঙ্গে ১৫ মাস যুদ্ধের পর চলতি বছরের জানুয়ারিতেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পাদন করে ইজরায়েল (Israeli Hostages)। সরাসরি সম্প্রচার দেখার সময় মুক্ত হওয়া এক বন্দির আত্মীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেই ফেললেন, একেবারে কঙ্কালের মতো অবস্থা হয়েছে। কি ভয়ঙ্কর লাগছে! এরপরই বিবৃতি আসে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যাঁদের মুক্ত করা হল তাঁদের চেহারা দেখে অত্যন্ত মর্মান্তিক লাগছে। আমরা হামাসকে নির্মূল করবই। বাকি সব বন্দিদের আমরা ফিরিয়ে আনব।

    বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে তিনজনের ছবি প্রকাশ করা হয়

    ইজরায়েলের (Israeli Hostages) সরকারি বিভিন্ন সমাজ মাধ্যম থেকে ওই তিনজনের ছবি প্রকাশ করা হয়। হামাসের হাতে বন্দি হওয়ার আগে তাঁরা কেমন ছিলেন, বন্দি হওয়ার পরেই বা তাঁদের কি হাল হয়েছে, তা ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এরপরে ক্যাপশনে লেখা হয়, কোনও ভাষা নেই। ওই তিন বন্দি মুক্ত হওয়ার পরে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে মিলিত হন। তখনই তাঁরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ভেঙে পড়েন কান্নায়। তাঁদের তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলে হামাস হামলা করে। এরপরেই কিবুতজ বে’য়েরি থেকে ওহাদ বেন আমি এবং এলি শারাবিকে বন্দি করা হয়। পরবর্তীকালে অর লেভিকে নোভা থেকে অপহরণ করা হয়।

  • Donald Trump: ধর্মান্তকরণ, মাওবাদীদের ফান্ডিং করত মার্কিন সংস্থা, কড়া পদক্ষেপ ট্রাম্পের

    Donald Trump: ধর্মান্তকরণ, মাওবাদীদের ফান্ডিং করত মার্কিন সংস্থা, কড়া পদক্ষেপ ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতায় আসার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বিতর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিদেশ থেকে যে সাহায্য এরা পেত, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক ইতিমধ্যেই এই সংস্থাকে একটি অপরাধী সংস্থা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এ বিষয়ে এক্স মাধ্যমে তিনি পোস্টও করেছেন।

    ষাটের দশকে প্রতিষ্ঠা (Donald Trump)

    প্রসঙ্গত, ইউএসএআইডি ছয়ের দশকে গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি পালন করা। যদিও এরই আড়ালে চলছিল নানা রকমের অ্যাজেন্ডা। গোপনে তহবিল সংগ্রহ, যে কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব হরণ করা, সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল তারা। এই সংস্থা যেসব সার্বভৌম দেশগুলির ওপর নজর রাখত, তার মধ্যে ভারতও ছিল। এদেশে মাওবাদীদের ফান্ডিং করা থেকে, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণে ফান্ডিং এসবও করত তারা।

    মোদির জনসমর্থন কমাতে চক্রান্ত

    শুধু তাই নয়, এই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে বিভিন্ন সমাজ মাধ্যম ব্যবহার করে, তারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসমর্থন কমানোর চেষ্টাও করছে। এ বিষয়ে নাম উঠে আসে জর্জ সোরোসের, যিনি ফান্ডিং করতেন এই সংস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো নেতাদের প্রতিহত করতে। এজন্য তিনি এক বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিলও গঠন করেছিলেন বলে জানা যায়।

    কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি যোগ

    এই সংস্থার সঙ্গে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসেরও একটি যোগসূত্র রয়েছে। রাহুল গান্ধীর অন্যতম পরামর্শদাতা এবং কংগ্রেসের বিদেশ বিভাগের চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা- সরাসরি এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে। তাই এটা বলাই যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওই সংস্থা অর্থাৎ ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট সরাসরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করত। সবচেয়ে বড় কথা, মার্কিন করদাতাদের অর্থের একটি বড় অংশই এই সংস্থার কাজে ব্যয় করা হত বাইডেনের জমানায়। রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালেই ৪০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি তহবিল গঠন করা হয়েছিল এই সংস্থার জন্য। কিন্তু সেসব এখন অতীত। আপাতত এই সংস্থার লম্ফঝম্ফে রাশ টানছেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

  • Swati Maliwal: অতিশীর নাচ ভাইরাল সমাজমাধ্যমে! ‘নির্লজ্জ’ বলে কটাক্ষ দলীয় সাংসদ স্বাতীর

    Swati Maliwal: অতিশীর নাচ ভাইরাল সমাজমাধ্যমে! ‘নির্লজ্জ’ বলে কটাক্ষ দলীয় সাংসদ স্বাতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দল হেরেছে শোচনীয়ভাবে। নয়াদিল্লি আসনে হেরেছেন খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মণীশ সিসোদিয়া, সৌরভ ভরদ্বাজ, সত্যেন্দ্র জৈনদের মতো হেভিওয়েটরাও ধরাশায়ী হয়েছেন। কিন্তু তাতে কি? দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনা (Atishi Marlena) নিজে জিততেই আনন্দে আত্মহারা হলেন। সেই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হতেই কটাক্ষ করলেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল (Swati Maliwal)। দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে নির্লজ্জ বলে কটাক্ষ করলেন স্বাতী।

    নির্লজ্জের মতো নাচছেন কীভাবে, কটাক্ষ স্বাতীর (Swati Maliwal)

    ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিজের কেন্দ্র কালকাজিতে জয়ী হয়েই কর্মীদের সঙ্গে নাচতে শুরু করেন অতিশী। এরপরে অতিশীর এই ‘নাচ’ নিয়েই প্রশ্ন ওঠে দলের অন্দরে। আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল (Swati Maliwal) বলেন, “দল হেরেছে, সব বড় নেতা হেরেছেন। তারপরও অতিশী মারলেনা এভাবে নির্লজ্জের মতো নাচছেন কীভাবে?” প্রসঙ্গত, শনিবারই দিল্লিতে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। মুখ থুবড়ে পড়েছে কেজরিওয়ালের দল আম আদমি পার্টি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। পেয়েছে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। দলের জয়ের পরে এদিনই বিজেপির সদর দফতরে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    দলের পরাজয়কেই কি তিনি এভাবে সেলিব্রেশন করছেন?

    প্রসঙ্গত, ১০ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতাচ্যুত হল কেজরিওয়ালের দল। ২০২০ সালে তারা ৬২ আসনে জিতেছিল। এবার সেই আসনসংখ্যা নেমে এসেছে একেবারে ২২-এ। এই হারের দায় কেজরিওয়ালের পাশাপাশি বর্তায় অতিশী মারলেনার ওপরেও। কারণ শেষ কয়েক মাস ধরে তিনিই ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এমন শোচনীয় হারের পরে তিনি কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা না দিয়ে নিজেই নাচতে শুরু করলেন। এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, দলের হার নিয়ে কি কোনও মাথাব্যাথা দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর? নাকি দলের পরাজয়কেই তিনি এভাবে সেলিব্রেশন করছেন? দল হারলেও বিশেষ অখুশি নন তিনি, এই বার্তাই কি দিতে চাইলেন অতিশী?

  • Thai Captives: ঘুঁচল বন্দিদশা, হামাসের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরলেন ৫ থাই নাগরিক

    Thai Captives: ঘুঁচল বন্দিদশা, হামাসের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরলেন ৫ থাই নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাসের হাতে বন্দি (Thai Captives) ছিলেন এক বছরেরও বেশি সময়। শেষমেশ ঘুঁচল বন্দিদশা। রবিবার গাজা (Gaza) থেকে দেশে ফিরলেন পাঁচ থাই নাগরিক। এদিন সকালে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে অবতরণের পর ওয়াচারা শ্রীয়াউন, পংসাক থায়েন্না, সাথিয়ান সুওয়ান্নাখাম, সারুসাক রুমনাও এবং বান্নাওয়াত সায়েথাওকে তাঁদের স্বাগত জানান পরিবারের সদস্যরা।

    থাই নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন (Thai Captives)

    এক বছরেরও বেশি সময় পরে দেশে ফেরায় প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে আনন্দাশ্রু ফেলতেও দেখা গিয়েছে কয়েকজনকে। দেশের মাটিতে পা রাখার পর পংসাক বলেন, “জন্মস্থানে ফিরতে পেরে আমরা সকলেই গভীরভাবে মুগ্ধ। আমি আর কী বলব জানি না। আমরা সবাই সত্যিই কৃতজ্ঞ।” ছেলেকে আর বাড়ি থেকে দূরে রাখতে চান না সোমবুন। উত্তর থাইল্যান্ডের নান প্রদেশের এই প্রৌঢ় বলেন, “আমি আর আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে দূরে কোথাও পাঠাব না।”

    বন্দিদশা ঘুঁচল

    গত মাসে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে মুক্তি পান থাইল্যান্ডের এই পাঁচজন। টানা ১৫ মাস ধরে চলেছে ইহুদি রাষ্ট্র ইজারায়েলের সঙ্গে গাজার মুসলিম সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ। পরে স্বাক্ষরিত হয় যুদ্ধবিরতি চুক্তি। সেই চুক্তির কারণেই বন্দিদশা ঘুঁচল হামাসের হাতে বন্দি থাকা এই পাঁচ থাই নাগরিকেরও। থাইল্যান্ডের বিদেশমন্ত্রী মারিস সাংগিয়াম্পোংসা বন্দিদের ফিরিয়ে এনেছেন ইজরায়েল থেকে। নাগরিকরা দেশে ফিরে আসায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন তিনি। বলেন, “এটি একটি আবেগঘন মুহূর্ত … তাঁরা তাঁদের পরিবারে ফিরে এসেছেন। আমরা কখনও হাল ছাড়িনি। এটি (Thai Captives) তারই ফল।”

    প্রধানমন্ত্রী পায়োংটার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, “দেশের পাঁচ নাগরিক মুক্তি পাওয়ায় আমরা উল্লসিত। ধন্যবাদ ইজরায়েল, কাতার, মিশর, ইরান, তুরস্ক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। তাদের জন্যই আমাদের দেশের নাগরিকদের বন্দিদশা ঘুঁচল।” জানা গিয়েছে, থাইল্যান্ডে ফেরা পাঁচ নাগরিকই শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। সরকার আগামী কয়েক মাস ধরে তাঁদের ওপর নজর রাখবে। তাঁরা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন, তাই এই নজরদারি।

    ইজরায়েলে কাজের খোঁজে গিয়ে হামাসের হাতে বন্দি হন সব মিলিয়ে মোট ৩১জন থাই নাগরিক। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাঁদের বন্দি করা হয়। এঁদের মধ্যে ২৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২৩ সালেই। গত মে মাসে বন্দি দশায়ই মৃত্যু হয় দুজনের (Gaza)। পাঁচজন ফিরলেন দেশে। থাই প্রশাসনের আশা, বাকিদেরও দ্রুত দেশে ফেরানো হবে (Thai Captives)।

  • Maoists Death: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৩১ মাওবাদী, চলছে অভিযান

    Maoists Death: ছত্তিশগড়ে এনকাউন্টারে খতম ৩১ মাওবাদী, চলছে অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদী দমনে ফের বড়সড় সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। রবিবার সকালে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হন ৩১ জন মাওবাদী (Maoists Death)। শহিদ হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যও। জখমও হয়েছেন দুজন। সপ্তাহখানেক আগেই এই বিজাপুরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছিল অন্তত ১৮ জন মাওবাদী। এদিন দুপুর পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মাওবাদীদের খোঁজে চলছে অভিযান।

    পুলিশের বক্তব্য (Maoists Death)

    ছত্তিশগড় পুলিশের এক কর্তা বলেন, “শুক্রবার বিজাপুরের জঙ্গল এলাকায় মাওবাদীদের পশ্চিম বস্তার ডিভিশনের সদস্যদের উপস্থিতি সম্পর্ক খবর মেলে সূত্র মারফত। তার পরেই ওই এলাকায় অভিযান শুরু করে সিআরপিএফ, ছত্তিশগড় সশস্ত্র পুলিশ এবং কোবরা ইউনিটের সদস্যরা। শনিবার রাত থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই। রবিবার সকালে উদ্ধার হয় ৩১ জন মাওবাদীর দেহ।” চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে বস্তার ডিভিশনজুড়ে নতুন করে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। বিজাপুর ও সুকমার পাশাপাশি নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, জগদলপুর, কাঁকের এবং কোন্ডাগাঁও জেলার পাহাড় জঙ্গলেও চলছে তল্লাশি অভিযান। তার জেরেই হচ্ছে এনকাউন্টার। নিকেশ হচ্ছেন একের পর এক মাওবাদী। যাঁদের অনেকেরই মাথার দাম কোটি টাকা।

    মাও গেরিলাদের সমাজের মূল স্রোতে ফেরানোর চেষ্টা

    মাও-দমন অভিযান চালানোর পাশাপাশি চলছে মাও গেরিলাদের সমাজের মূল স্রোতে শামিল করানোর প্রয়াস (Maoists Death)। প্রশাসনের এই প্রচারে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছেন গান্ধী তাঁতি ওরফে কমলেশ এবং মাইনু ওরফে হেমলাল কোররাম, রঞ্জিত লেকামি ওরফে অর্জুন এবং তাঁর স্ত্রী কোসি ওরফে কাজলের মতো মাওবাদীরা।

    নতুন বছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে এনকাউন্টারে ছত্তিশগড়ে নিকেশ হয়েছে প্রায় ৬০ জন মাওবাদী। এর মধ্যে ৩৪ জনই বস্তারের। মাওবাদীদের আক্রমণে শহিদ হয়েছেন ১১জন জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক। এদিকে, নকশাল-মুক্ত ঘোষণা করা হল কর্ণাটককে। তার আগে আত্মসমর্পণ করেছেন শেষ মাওবাদী। চিক্কমাগালুরু জেলায় আত্মসমর্পণ করেছেন ওই মাওবাদী। পুলিশ সুপার বিক্রম আমাথে বলেন, “এই আত্মসমর্পণের সঙ্গে সঙ্গে এখন সম্পূর্ণ নকশাল-মুক্ত হল কর্ণাটক।”

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী (Maoists Death)।

  • Parvesh Verma: দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির পরবেশ ভার্মা! চেনেন তাঁকে?

    Parvesh Verma: দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির পরবেশ ভার্মা! চেনেন তাঁকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতি তাঁর রক্তে। উত্তরাধিকার সূত্রেই তিনি পেয়েছেন রাজনীতির রাজদণ্ড। নয়াদিল্লি আসনে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তিনি হারিয়েছেন ৪ হাজার ৪৯ ভোটে। এহেন জায়ান্ট কিলার পরবেশ ভার্মাই (Parvesh Verma) কি হতে চলেছেন দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী? দিল্লির রাজনৈতিক মহলে এবং বিজেপির (BJP) অন্দরে পরবেশের নাম নিয়ে চলছে জোর চর্চা। প্রশ্ন হল, কে এই পরবেশ?

    রাজনৈতিক উত্তরাধিকার (Parvesh Verma)

    দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন পরবেশের বাবা সাহিব সিং ভার্মা। তিনি বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতিও। ত্রয়োদশ লোকসভায় তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী। জাঠ সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় মুখ সাহিব। পরবেশের কাকা আজাদ সিংও বিজেপির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তিনি ছিলেন উত্তর দিল্লি পুরনিগমের মেয়র। ২০১৩ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মেহরাউলি আসন থেকে জিতে বিধায়ক হন পরবেশ। ২০১৪ সালে পশ্চিম দিল্লি লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হন তিনি। উনিশের লোকসভা নির্বাচনেও সাড়ে ৫ লাখেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন পরবেশ (Parvesh Verma)।

    জায়ান্ট কিলার

    দিল্লি বিজেপির প্রথম সারির নেতা পরবেশ। তিনি হারিয়েছেন কেজরিওয়ালকে। পরাস্ত করেছেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিতকে।  পরবেশ দিল্লি বিজেপির প্রথম সারির নেতা। বাবার মতোই জাঠদের মধ্যেও তাঁর বিরাট প্রভাব। দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হয়তো তাঁকেই বেছে নেবেন বিজেপি নেতৃত্ব। পরবেশ স্বয়ং বলছেন, এ ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় নেতৃত্ব। পরবেশ ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে রয়েছেন প্রয়াত বিজেপি নেত্রী তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মেয়ে বাঁশুরি স্বরাজ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও।

    ১৯৭৭ সালে জন্ম পরবেশের। পড়াশোনা দিল্লি পাবলিক স্কুলে। কিরোরি মাল কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর এমবিএ করেন ফোর স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে।

    ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পরবেশ ছিলেন দিল্লি বিজেপি নির্বাচন কমিটির সদস্য। সদ্য সমাপ্ত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে পরবেশ ঘুরেছেন বিভিন্ন বস্তিতে। বলেছেন, “বস্তির যাঁরা বিশুদ্ধ পানীয় জল এবং শূন্য বিদ্যুৎ বিল পাচ্ছেন, তাঁরা দয়া করে কেজরিওয়ালকে ভোট দিন। আর যাঁরা পাচ্ছেন না, তাঁরা দয়া করে বিজেপিকে (BJP) ভোট দিন।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ‘মন্ত্রে’ই বাজিমাত করেছেন পরবেশ (Parvesh Verma)।

  • Mohan Bhagwat: আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ আরজি করকাণ্ডে নিহত তরুণীর পরিবারের

    Mohan Bhagwat: আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ আরজি করকাণ্ডে নিহত তরুণীর পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আগেই চিঠি লিখেছিলেন আরজি করকাণ্ডে নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। এবার তাঁরা দেখা করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে (Mohan Bhagwat)। সাংগঠনিক নানা কাজের জন্য বাংলায় ১০ দিন ধরে থাকার কথা সরসংঘচালকের। শনিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাচক্রে এদিনই প্রকাশিত হয়েছে দিল্লি বিধানসভার নির্বাচন। দিল্লিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হতে চলেছে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের। ঠিক সেই সময়ই নির্যাতিতার পরিবার দেখা করলেন ভাগবতের সঙ্গে।

    আরএসএস কর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ (Mohan Bhagwat)

    শুক্রবার রাতেই নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার যোগাযোগ করেন সংঘের কার্যালয়ে। ইচ্ছে প্রকাশ করেন সংঘ কর্তার সঙ্গে দেখা করার। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিউটাউনের অতিথি নিবাসে মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন ওই তরুণীর পরিবার। সূত্রের খবর, সঠিক তদন্ত করে তাঁদের মৃত কন্যা যাতে ন্যায়বিচার পায়, সেই আশায় আরএসএস কর্তার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা (Mohan Bhagwat)। এই মামলায় যাতে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করে, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়। সরসংঘ চালক তাঁদের লড়াইয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

    কঠোরতম শাস্তির দাবি

    ভাগবত আগে এই নৃশংস অপরাধে জড়িতদের জন্য কঠোরতম শাস্তি দাবি করেছিলেন। কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের এই ঘটনা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। কলকাতার একটি আদালত চলতি বছরের শুরুতে মামলার একমাত্র দোষী সঞ্জয় রায়কে আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। শুনানির পর নিহত তরুণীর বাবা বলেছিলেন, “শুধুমাত্র একজন নয়, ডিএনএ রিপোর্টে চারজন ছেলে এবং একজন মেয়ের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তরা শাস্তি পেলে কিছুটা স্বস্তি পাব। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে থাকব, দেশের মানুষের (RSS) সমর্থনও চাইব।”

    প্রসঙ্গত, ভাগবতের সঙ্গে দেখা করার আগে নির্যাতিতার পরিবার সাক্ষাৎ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। তাঁরা দেখা করেছেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র সজল ঘোষের সঙ্গেও (Mohan Bhagwat)।

  • Mahakumbh: মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান ভুটানের রাজার, সম্মানে নৈশভোজ রাজভবনে

    Mahakumbh: মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান ভুটানের রাজার, সম্মানে নৈশভোজ রাজভবনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি মহাকুম্ভের (Mahakumbh) ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র স্নান করেন ভুটানের রাজা (Bhutan King) জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক। তাঁর সঙ্গে হাজির ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।পবিত্র স্নানের আগে প্রথা মেনে সূর্য নমস্কারও করতে দেখা যায় ভুটানের রাজাকে। মহাকুম্ভে পবিত্র স্নানের পর অক্ষয় বট এবং বড় হনুমান মন্দিরে প্রার্থনা সারেন রাজা। ভুটানের রাজা এরপরে বলেন, ‘‘এই অভিজ্ঞতা অবিস্মরণীয়।’’ ভুটানের রাজার সম্মানে নৈশ ভোজের আয়োজন করে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। সেখানে যোগ দেন ভুটানের রাজা। ভুটানের তরফ থেকে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ আমন্ত্রণেই ভারত সফর করছেন রাজা।

    ভুটানের রাজাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানায় যোগী সরকার

    ভুটানের রাজাকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানায় (Mahakumbh) যোগী সরকার। নামগেল ওয়াংচুক লখনউ এসে পৌঁছালে, বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে বিমানবন্দরে রাজাকে স্বাগত জানান। এরপরে, জিগমে ওয়াংচুক রাজভবনে পৌঁছন। সেখানে রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলও রাজার আথিতেয়তায় কোনও খামতি রাখেননি ৷

    ভারত-ভুটান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা (Mahakumbh)

    রাজভবনে ভুটানের রাজা মহাত্মা গান্ধির মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এর পাশাপাশি, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ওয়াংচুক ভারত-ভুটান সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তারপরই উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভুটানের রাজা মহাকুম্ভ মেলায় অংশ নেবেন এবং ত্রিবেণী সঙ্গমে (Mahakumbh) পুণ্য স্নান করবেন।

    ভুটানের রাজার সফর নিয়ে কী জানাল যোগী আদিত্যনাথ সরকার

    যোগী আদিত্যনাথ সরকারের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ভুটানের রাজার এই সফর ভারত-ভুটানের সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও অনেক সুদৃঢ় করবে। বিশ্বের বৃহত্তম আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম অনুষ্ঠান হল মহাকুম্ভ। এর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে রয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে কোটি কোটি ভক্ত এসেছেন প্রয়াগরাজে। সেই মহাকুম্ভের পবিত্র ত্রিবেণী সঙ্গমে ভুটানের রাজার অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মহাকুম্ভের গুরুত্ব আরও বাড়িয়েছে বলেই মনে করছে যোগী সরকার।

  • PM Modi: দিল্লি বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করবে বিজেপি সরকার, বললেন মোদি

    PM Modi: দিল্লি বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করবে বিজেপি সরকার, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার প্রথম অধিবেশনেই ক্যাগ (সিএজি) রিপোর্ট (CAG) পেশ করবে বিজেপি সরকার, দিল্লি জয়ের পর এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। একইসঙ্গে দিল্লিকে ‘দুর্নীতিমুক্ত’ করা এবং উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দেওয়ার ‘গ্যারান্টি’ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি তাঁর বিজয়ী ভাষণে উল্লেখ করেন সমাজকর্মী আন্না হাজারের প্রসঙ্গও। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এত দিনে দুঃখ ঘুচল আন্নার।’’ প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবারই দিল্লিতে বিপুল জয় পেয়েছে বিজেপি। মুখ থুবড়ে পড়েছে কেজরিওয়াল এবং আম আদমি পার্টি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনেই জয়লাভ করেছে বিজেপি, আম আদমি পার্টি জিতেছে মাত্র ২২ আসনে। এরপরে সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে বিজেপি দফতরে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই তিনি আম আদমি পার্টিকে ফের একবার তুলোধোনা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘‘এই আপ-দা পার্টির লোকেরা বিধানসভা নির্বাচনে জেতার জন্য প্রতিদিন নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি যে প্রথম বিধানসভা অধিবেশনেই ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করা হবে এবং যারা লুট করেছে তাদেরকে ফেরত দিতে হবে।’’

    দুর্নীতি করে যাঁরা লুটেছেন, তাঁদের সব ফেরত দিতেই হবে

    শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে বিজয়ী ভাষণ শুরু করেন মোদি (PM Modi)। ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন , ‘‘যমুনা দিল্লির পরিচয়। সেই যমুনার কী অবস্থা? দিল্লির মানুষ ভরসা রেখেছিল, কিন্তু আপ-দা আস্থা হারিয়েছে। উল্টে হরিয়ানার উপর দোষারোপ করেছে। আমরা যমুনা পরিষ্কার করব। কাজটা কঠিন। কিন্তু হবেই।’’ বক্তব্যে উঠে আসে মোদির গ্যারান্টির কথা। তিনি (PM Modi) বলেন, ‘‘দুর্নীতিমুক্ত করার কথা বলেছিল যে দল, সেই দলেরই মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীরা দুর্নীতির দায়ে জেল খেটেছেন। দুর্নীতি লুকোতে তাঁরা নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করেছেন। দুর্নীতি করে যাঁরা লুটেছেন, তাঁদের সব ফেরত দিতেই হবে। এটাও মোদির গ্যারান্টি।’’

    তোপ কংগ্রেসকেও (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এদিন তোপ দাগেন কংগ্রেসকেও। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস নিজেও ডোবে, সঙ্গে সহযোগীদেরও ডোবায়।’’ কংগ্রেস ‘পরজীবী’ বলেও কটাক্ষ করেন মোদি। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেস তার সহযোগীদের অ্যাজেন্ডা চুরি করে তাদের বিরুদ্ধেই প্রচার করে। কংগ্রেসের সহযোগীরা বুঝে গিয়েছে সেই কথা। কেউ যদি এক বার কংগ্রেসের হাত ধরে, তবে তার হার নিশ্চিত।’’

  • Delhi Poll Results: “একা একা লড়ে বিজেপি-আরএসএসকে হারানো যাবে না”, আপকে খোঁচা কংগ্রেসের

    Delhi Poll Results: “একা একা লড়ে বিজেপি-আরএসএসকে হারানো যাবে না”, আপকে খোঁচা কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূতের মুখে রাম নাম নয়, পড়ুন কংগ্রেসের মুখে বিজেপি-আরএসএসের নাম! আজ্ঞে হ্যাঁ, দিল্লি নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতার মুখে বিজেপি-আরএসএসের নাম! তাঁর সাফ কথা, “যাঁরা বিশ্বাস করেন একা একা লড়েই বিজেপি-আরএসএসকে হারানো যাবে, তাঁরা ভুল করছেন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের (Delhi Poll Results) ফলই তার প্রমাণ।”

    আপের হার (Delhi Poll Results)

    শনিবার প্রকাশিত হয়েছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল। টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর কুর্সি হারিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। আর ২৭ বছর পরে দিল্লির রাজনীতির রশি হাতে পেয়েছে পদ্ম-পার্টি। তার পরেই আপের হারের কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই প্রসঙ্গেই জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির মুখ্য মুখপাত্র রবীন্দর শর্মা নিশানা করেছেন ইন্ডি জোটের অন্যতম পার্টি আপকে।

    রবীন্দর শর্মার নিশানায় আপ

    তিনি বলেন, “দিল্লির রায় ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আপের বিরুদ্ধে, এবং প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হওয়ার কারণে। এই নির্বাচনে একা লড়ে বিজেপিকে পরাজিত করার যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং আত্মবিশ্বাস ছিল আপের, তার কারণেও।” তিনি বলেন (Delhi Poll Results), “আপের সুবিধাবাদের রাজনীতি, প্রতারণা এবং অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষার রাজনীতি তাদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ। আর এই সব কারণই প্রশস্ত করেছে বিজেপির জয়ের পথ।”

    এর পরেই কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, “দিল্লি নির্বাচনের ফল সকলের জন্য একটি শিক্ষা, বিশেষ করে যাঁরা বিশ্বাস করেন যে তাঁরা একা লড়াই করতে পারেন বিজেপি-আরএসএস জোটের বিরুদ্ধে। এই একা একা লড়াই করতে যাওয়ার দরুন দুর্বল হয়ে পড়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট।” তিনি বলেন, “দিল্লি নির্বাচনের ফল স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যে কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি-আরএসএস জোটের বিরুদ্ধে কোনও লড়াই সম্ভব নয়। বিশেষ করে যখন তারা ক্ষমতায় থাকে এবং ইডি, সিবিআই, আইটি এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখে।” দিল্লিতে কংগ্রেস একটি আসনও পায়নি। তাতে অবশ্য খেদ নেই রবীন্দরের। তিনি বলেন, “দিল্লিতে কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে। যদিও ফল আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। তবে রাজনীতি এবং নীতিতে ধারাবাহিকতার কারণে ভবিষ্যতে একটি শক্তিশালী শক্তি হিসেবে কংগ্রেসের পুনরুত্থান নিশ্চিত (Delhi Poll Results)।”

LinkedIn
Share