Tag: Madhyom

Madhyom

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করল আমেরিকা, ট্রাম্পের নির্দেশে বিপাকে ইউনূস

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করল আমেরিকা, ট্রাম্পের নির্দেশে বিপাকে ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরতেই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ইউনূসের বাংলাদেশ। গতকালই একটি তালিকা প্রকাশ করে বিশ্বের একাধিক দেশে যে ত্রাণ পাঠিয়ে থাকে আমেরিকা, তা বন্ধের ঘোষণা করে দিয়েছিলেন সদ্য় নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার সেই তালিকায় নাম বাংলাদেশেরও। আমেরিকার থেকে আগামী ৯০ দিনের জন্য আর কোনও রকম সাহায্য পাবে না ইউনূসের সরকার। ফলে আমেরিকার টাকায় যেসব কাজ বাংলাদেশে চলছিল তা বন্ধ হতে বসেছে।

     

    সাহায্য বন্ধ কোন কোন খাতে

    মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডির (USAID) অর্থায়নে বাংলাদেশে সব প্রকল্প ও কর্মসূচির ব্যয় অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউএসএআইডির বাংলাদেশ কার্যালয়ের পরিচালক রিচার্ড বিষয় অ্যারন গত শনিবার সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সব স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠনের জন্য এ নির্দেশনামা জারি করে চিঠি দেন। এতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির আওতাধীন সকল প্রকল্প ও কর্মসূচির মার্কিন অংশের ব্যয় বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে পরিবেশ, শিক্ষা, কৃষকদের জন্য রোজগারে বিপুল অর্থসাহায্য করে আমেরিকা। পাশাপাশি, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার জন্য টাকা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এবার থেকে সেই সুবিধা আর পাবেন না মহম্মদ ইউনূসের সরকার।

     

    টালমাটাল বাংলাদেশ

    ইতিমধ্যেই ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশে তাদের সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। যার হাত ধরে আপাতত আর্থিক অনুদান ও ত্রাণবিলি ছাড়াও বাংলাদেশে আমেরিকার উন্নয়নমূলক সকল কাজে বাধ পড়ে গেল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। জানা গিয়েছে, গত বছর পালাবদলের পর দেশের টালমাটাল পরিস্থিতিকে সামাল দিতে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলির কাছে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের আবেদন করেছিল ইউনূসের সরকার। যার মধ্যে ৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের থেকে নিয়েছিল তারা। যা বাংলাদেশকে চারটি কিস্তিতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আইএমএফ। কিন্তু, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট বলছে, এখনও পর্যন্ত আইএমএফ-এর চতুর্থ ও শেষ কিস্তির টাকা পায়নি ইউনূস সরকার। তার মধ্যে আবার হাত তুলে নিল আমেরিকা।

     

    আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্পর্কে টান

    গত বছর, বাংলাদেশ- আমেরিকার সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে মার্কিন দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিগত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, পরিবেশ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আরও অনেক কিছু মোকাবিলায় ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ‘ফরেইন অ্যাসিস্ট্যান্স ডট গভ’ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে ২০২১ সালে ৫০০ মিলিয়ন ডলার, ২০২২ সালে ৪৭০ মিলিয়ন ডলার, ২০২৩ সালের ৪৯০ মিলিয়ন ডলার এবং ২০২৪ সালে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে নানাভাবে সহায়তা দিয়েছে দেশটি। রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর থেকে ওয়াশিংটন বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে মার্কিন সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যেই ছিল বাংলাদেশ। প্রসঙ্গত, ওই সাহায্য বন্ধ হওয়ার পর এবার স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে পড়বে বাংলাদেশ।

     

    ট্রাম্প সরকার আসতেই চাপে ঢাকা

    অতীতে বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য কথা বলেছিল মহম্মদ ইউনূসের সরকার। মনে করা হচ্ছিল, মার্কিন নির্বাচনে জিতেই বাংলাদেশ সফরে আসবেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেডিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও নির্বাচনে উল্টে ফল হতেই আশঙ্কা বাড়ছিল বাংলাদেশে। কারণ, মার্কিন নির্বাচনের প্রচারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশে সব ধরনের আর্থিক সাহায্য় বন্ধ করলেন তিনি। এর আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই ইউক্রেন (Ukraine) ছাড়াও অনেক দেশে আর্থিক সাহায্য় বন্ধ করে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প জানিয়েছিলেন , আগামী ৯০ দিন কোনও দেশকে আর্থিক সাহায্য় দেবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা থেকে বিদেশে যে আর্থিক সাহায্য যাচ্ছে, তা তাঁর নীতি অনুসারে হচ্ছে কি না তা আগে দেখে নেবেন তিনি। একবার ছাড়পত্র পেলে তবেই ছাড়া হবে ফান্ড।

  • Maha Kumbh 2025: ‘অমৃত কুম্ভে’র সন্ধানে ‘বিলম্বিত’ স্নান অখিলেশের, কটাক্ষ বিজেপির

    Maha Kumbh 2025: ‘অমৃত কুম্ভে’র সন্ধানে ‘বিলম্বিত’ স্নান অখিলেশের, কটাক্ষ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুণে গুণে ১১টা ডুব দিলেন। প্রয়াগরাজে অখিলেশ যাদবের পুণ্যস্নানের সেই ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে সমাজবাদী পার্টি। রবিবার উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ। কুম্ভমেলা (Maha Kumbh 2025) শুরু হয়েছে ১৩ জানুয়ারি। এতদিন পরে কুম্ভস্নান করায় অখিলেশকে নিশানা করেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম পার্টির মতে, অখিলেশের মহাকুম্ভে পা রাখার ঘটনা ‘রাজনৈতিক মোক্ষ’। প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রয়াগরাজে হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই যোগ।

    মিডিয়ার নজর কাড়ার চেষ্টা!

    হিন্দুদের বিশ্বাস, প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলে মোক্ষ লাভ হয়। যেহেতু এবার মহাকুম্ভ, তাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে জড়ো হয়েছেন প্রয়াগরাজে। ১ ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান সারবেন বিশ্বের ৭৩টি দেশের কূটনীতিকরা। ৫ ফেব্রুয়ারি স্নান করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর কুম্ভস্নানের আগে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান সেরে মিডিয়ার ফোকাস হয়ে কৌশলে প্রচার সেরে ফেললেন অখিলেশ।

    বিলম্বিত বোধদয়

    কুম্ভস্নান শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই কুম্ভস্নান করেছেন ১০ কোটিরও বেশি মানুষ। এক এক করে স্নান করেছেন বিজেপির নেতামন্ত্রীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি স্নান করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। বিরোধীদের কাউকে এতদিন কুম্ভস্নান করতে দেখা যায়নি। সেই রীতি ভেঙে প্রথম অমৃতস্নান সারলেন ইন্ডি জোটের নেতা অখিলেশ। এদিন কুম্ভস্নান (Maha Kumbh 2025) শেষে বাবা মুলায়ম সিং যাদবের মূর্তিতে মাল্যদান করেন অখিলেশ। পরে সাক্ষাৎ করেন কুম্ভমেলায় আগত পুণ্যার্থী ও সাধু-সন্তদের সঙ্গে। কুম্ভ-ডুব শেষে অখিলেশ বলেন, “সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভ মুহূর্তে সঙ্গমে ১১ ডুব দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। আজকের বিশেষ দিনে ভেদাভেদ ভুলে, সৌভ্রাতৃত্ব ও সহনশীলতাকে সঙ্গী করে দেশ গঠনের প্রতিজ্ঞা করা উচিত আমাদের।”

    বিজেপির কটাক্ষ

    অখিলেশের ‘বিলম্বিত’ কুম্ভস্নানকে কটাক্ষ করেছে পদ্ম শিবির। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা ব্রজেশ পাঠক বলেন, “বেটার লেট দ্যান নেভার। আজ তিনি বিশ্বাসের ঢেউ প্রত্যক্ষ করলেন।” তিনি বলেন, “তাঁর অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। সনাতন সবার জন্য এবং এখানকার ব্যবস্থাপনাও চমৎকার (BJP)। তিনি নিজের চোখে দেখলেন, কীভাবে সারা বিশ্বের মানুষ এখানে জড়ো (Maha Kumbh 2025) হয়েছেন।”

    পদ্ম শিবিরের দাবি

    পদ্ম শিবিরের দাবি, মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) হল হিন্দু ঐক্যের এক বিরাট প্রদর্শন। হিন্দুদের এই একতা দেখে ভয় পেয়েছেন অখিলেশ যাবদ। যার জেরেই রাজনীতির মোক্ষলাভে কুম্ভে ডুব দিয়েছেন তিনি। উদ্দেশ্য, হিন্দু ভোট নিজের দিকে টানা। তবে সমাজবাদী পার্টির মাফিয়ারাজ ও তোষণের রাজনীতি আগেই দেখেছে উত্তরপ্রদেশ। তাই এই ডুবে বিশেষ কাজ হবে না।

    রাহুলের কুম্ভস্নান

    অখিলেশের কুম্ভস্নানের পরে কুম্ভ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। কংগ্রসের দাবি, প্রয়াগরাজে কুম্ভস্নান করেছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এবার (BJP) তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন রাহুলও। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কবে কুম্ভস্নানে যাবেন, তা এখনও জানা যায়নি। তবে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, অমৃস্নানের এখনও তিনটি তিথি রয়েছে। একটি ৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীর দিন, আর একটি ৪ ফেব্রুয়ারি মৌনী অমাবস্যা, এবং শেষ কুম্ভস্নান হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রির দিন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মোক্ষ লাভের আশায় বসন্ত পঞ্চমীর দিন পুণ্যস্নান সারতে পারেন রাহুল।

    কুম্ভে অমিত শাহ

    এদিকে, আজ, সোমবার প্রয়াগরাজে কুম্ভস্নান করার কথা (Maha Kumbh 2025) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। পাঠক বলেন, “আমরা অমিত শাহজিকে স্বাগত জানাতে উত্তেজিত, যিনি দেশের যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করেছেন এবং উত্তরপ্রদেশের মানুষের মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা দেখিয়েছেন। ২৫ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।”

    সরকারি, বিবৃতি অনুযায়ী, শাহ প্রয়াগরাজে পৌঁছে অমৃতস্নান করবেন ত্রিবেণী সঙ্গমে। তিনি বড়ে হনুমানজির মন্দির, অক্ষয়বট এবং জুনা আখড়া পরিদর্শন করবেন। সাধু-সন্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করবেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তাঁদের সঙ্গে। গুরু শরণানন্দজির আশ্রমেও যাওয়ার কথা তাঁর। শৃঙ্গেরি, পুরী এবং দ্বারকা থেকে (BJP) আগত শঙ্করাচার্য-সহ বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে (Maha Kumbh 2025) সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

  • POK: ভারতের মাথার মুকুটমণি! পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলমুক্ত করতে প্রস্তুতি শুরু, ইঙ্গিত রাজনাথের

    POK: ভারতের মাথার মুকুটমণি! পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে দখলমুক্ত করতে প্রস্তুতি শুরু, ইঙ্গিত রাজনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি শত্রুর দখলে যাওয়া নিজ জমি পুনর্দখল করতে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ভারত। তাহলে কি অধিকৃত কাশ্মীরকে পাকিস্তানের দখলমুক্ত করতে গোপনে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে মোদি সরকার? প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর ইঙ্গিত তেমনই, মনে করছে কূটনৈতিক মহল। পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর (POK) সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর আগেও এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও  (Rajnath Singh) পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য সওয়াল করলেন।

     

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) ইতিহাস

    ভারত ক্রমাগত স্পষ্ট করছে যে, জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ একীকরণ, যেটা দেশ ভাগের সময়কার মতো ছিল, তা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে হওয়া উচিত। একত্রীভূত জম্মু ও কাশ্মীর ছিল একটি বৃহৎ রাজ্য, যার আয়তন ছিল প্রায় ২,১৮,৭৭৯ বর্গকিলোমিটার। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের সময়, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিং ছিলেন হিন্দু, তবে কাশ্মীর উপত্যকা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। রাজ্যের সীমান্তে আরও নানা সংস্কৃতি ও ধর্মীয় গোষ্ঠী ছিল, যার মধ্যে ছিল লাদাখের বৌদ্ধরা, গিলগিট-বালতিস্তানের শিয়া ও ইসমাইলি মুসলিমরা।

     

    ভারতের সঙ্গে চুক্তি হরি সিংয়ের

    কাশ্মীরের ভারতের সঙ্গে যুক্তির ইতিহাসও অনেক পরিচিত। ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতার পর, জম্মু ও কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিং স্বাধীনতার জন্য চেষ্টা করেন, কিন্তু পাকিস্তান কাশ্মীরকে (POK) তাদের অংশ হিসেবে দাবি করে এবং এর পরপরই পাকিস্তানী সেনারা কাশ্মীরে আক্রমণ শুরু করে। ১৯৪৭ সালের ২৪ অক্টোবর পাকিস্তানি সেনা এবং ট্রিবাল বাহিনী কাশ্মীরের বন্দরমুল্লা পর্যন্ত পৌঁছায়। এই আক্রমণের ফলে পরিস্থিতি সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে, এবং ২৬ অক্টোবর মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে ‘ইনস্ট্রুমেন্ট অফ অ্যাকসেশন’ স্বাক্ষর করেন। এরপর ভারতীয় সেনা ২৭ অক্টোবর কাশ্মীরে এসে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও যুদ্ধ অব্যাহত ছিল, ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি প্রস্তাবের পর, কাশ্মীরের সীমান্তে একটি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়। এর ফলে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশ হারায়, বিশেষ করে পাকিস্তান-অধিকৃত উত্তরাঞ্চল, যাকে পাকিস্তান ‘আজাদ কাশ্মীর’ হিসেবে দাবি করে। পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (POK) আয়তন প্রায় ১৩,২৯৭ বর্গ কিলোমিটার, এবং সেখানে বসবাসকারী জনসংখ্যার প্রায় ৯৫% মুসলিম। এটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত।

     

    ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ

    গত ১২ জানুয়ারি সোনামার্গ টানেল উদ্বোধনের সময় জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের সবচেয়ে বড় সংযুক্ত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরের উভয় পাশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা একীভূত হওয়ার জন্য ইচ্ছুক, যদিও এই অনুভূতি এখনও প্রকাশ্যে স্পষ্ট নয়। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়, যেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছিল যে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ পুরোপুরি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ভারতের রাজনৈতিক অবস্থান দৃঢ় হয়, যদিও জনগণের মধ্যে পুনঃএকীকরণের ব্যাপারে বড় কোনও বিতর্কের সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে কাশ্মীর-ভূমে অস্থিরতা এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর ফলে কাশ্মীর ইস্যুতে শান্তি প্রতিষ্ঠা আরও জটিল হচ্ছে। ভারত এই সংকটের সমাধান করার ক্ষেত্রে শক্তি ও ঐক্যবদ্ধতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে, বলে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ।

     

    সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (POK)

    সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অধিবাসীদের ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বার্তা দেন রাজনাথ। তিনি বলেন, “পাকিস্তান আপনাদের সঙ্গে বিদেশির মতো আচরণ করে। আমরা তা করব না। আমরা আপনাদের আপন করে নেব।” রাজনাথ জানান, পিওকে ছাড়া জম্মু ও কাশ্মীর অসম্পূর্ণ। রাজনাথ সিং বলেন, “অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ। পাকিস্তান নিজেও জানে এই অংশ আসলে তাদের কাছে বিদেশের মাটি। তাই এই মাটিকে তারা সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে ব্যবহার করে। অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) ওরা জঙ্গি তৈরির কারখানা খুলেছে। সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প চলছে ওখানে।”

     

    ভারতের মাথার মুকুটমণি

    পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ, দেশ তো বটেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার এ কথা জানিয়ে এসেছে ভারত। এই ইস্যুতে মামলাও চলছে আন্তর্জাতিক আদালতে। সাম্প্রতিক সময়ে বারবার বিজেপি নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে অধিকৃত কাশ্মীরকে পাক দখলমুক্ত করার বার্তা। ভারতের দাবি, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (POK) জমি সন্ত্রাসবাদের ব্যবসা চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে সন্ত্রাসের ট্রেনিং ক্যাম্প, সীমার কাছে লঞ্চ প্যাড যে রয়েছে তার খবর ভারত সরকারের কাছে আছে। জম্মু ও কাশ্মীর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ছাড়া অসম্পূর্ণ। ভারতের মাথার মুকুটমণি এই অঞ্চল।

  • Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভেও সাধু-সন্তরা পালন করলেন প্রজাতন্ত্র দিবস, উড়ল জাতীয় পতাকা

    Mahakumbh 2025: মহাকুম্ভেও সাধু-সন্তরা পালন করলেন প্রজাতন্ত্র দিবস, উড়ল জাতীয় পতাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন হল মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025)। রবিবার ২৬ জানুয়ারি যে ছবি ধরা পরল তাতে দেখা গেল সাধু সন্তরা দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। মহকুম্ভের একাধিক জায়গাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায় এদিন। সাধু-সন্তদের আখড়াগুলি দেশপ্রেমের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়। এর পাশাপাশি, এদিন উপস্থিত সাধু-সন্তরা সমবেত কণ্ঠে গাইতে থাকেন জাতীয় সঙ্গীত। দেশের সাধু-সন্তদের এমনভাবে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সকলে। মহকুম্ভের যে সমস্ত স্থানে রয়েছে গৈরিক ধ্বজ, তার সঙ্গে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকাও উড়তে দেখা যায় এদিন।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন শুরু দণ্ডি স্বামীনগর থেকে (Mahakumbh 2025)

    প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপন শুরু হয় দণ্ডি স্বামীনগর থেকে। যেখানে হাজারেরও বেশি সন্তরা জড়ো হয়েছিলেন দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করতে। প্রসঙ্গত, দণ্ডি স্বামীনগরের সভাপতি রয়েছেন জগৎগুরু স্বামী মহেশ্বরম। তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁদের সংগঠনের নাম সর্বভারতীয় দণ্ডি স্বামী পরিষদ। প্রজাতন্ত্র দিবসের পতাকা উত্তোলনের পর স্বামী মহেশ্বরম অন্যান্য সন্ন্যাসীদের উদ্দেশ্যে দেশের প্রতি কী কী কর্তব্য তা বলেন। এর পাশাপাশি জাতীয় সংহতি, অখণ্ডতা এবং ঐক্যের জন্য আমাদের কী কী করতে হবে, সে কথাও তিনি বলেন। এর পাশাপাশি তিনি একটি পরিকল্পনারও কথা বলেন যে, দেশের প্রত্যেক গ্রামে একজন করে দণ্ডি স্বামী তিনি পাঠাতে চান। যেখানে তাঁরা দুর্বল হিন্দুদের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন। এর পাশাপাশি সনাতন ধর্মের (Mahakumbh 2025) প্রচারও করবেন তাঁরা।

    দিকে দিকে শোনা যায় জাতীয় সঙ্গীত (Republic Day)

    প্রজাতন্ত্র দিবসের মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) দিকে দিকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে থাকেন সাধুরা। একইসঙ্গে ধ্বনি শোনা যায় হর হর গঙ্গে, হর হর মহাদেব ধ্বনি। গঙ্গা-যমুনার তীর এই ধ্বনিতে মেতে ওঠে। অন্যদিকে শ্রী নিরঞ্জনি আখড়াতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সভাপতি মহন্ত রবীন্দ্র পুরী। সেখানেও অসংখ্য সন্ন্যাসী এবং ভক্ত হাজির ছিলেন। তাঁরা সমবেত কণ্ঠে গাইতে থাকেন জাতীয় সঙ্গীত। একই সঙ্গে নাগা সাধুদের মহিলা সংগঠন শ্রী পঞ্চদশ নাম সন্ন্যাসী আখড়াও প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করে এদিন।

  • Daily Horoscope 27 January 2025: কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 27 January 2025: কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

     

    মেষ

    ১) ভালো কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

     

    বৃষ

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ৩) সতর্ক থাকবেন সব বিষয়ে।

     

    মিথুন

    ১) সুবক্তা হিসেবে সুনাম পেতে পারেন।

    ২) শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম জরুরি।

     

    কর্কট

    ১) পড়াশোনার খুব ভালো সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    ৩) সবাইকে ভালোভাবে কথা বলুন।

     

    সিংহ

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য অনুতপ্ত হবেন।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভালো চললেও পরে জটিলতা দেখা দিতে পারে।

    ৩) প্রতিকূল কাটবে দিনটি।

     

    কন্যা

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) দিনটি ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

     

    তুলা

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভাল।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ৩) দিনটি মোটামুটি কাটবে।

     

    বৃশ্চিক

    ১) কাজের জায়গায় আঘাত লাগা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে।

    ৩) আশাপূরণ।

     

    ধনু

    ১) ব্যবসায় ভালো লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পাবেন।

    ৩) ধৈর্য ধরতে হবে।

     

    মকর

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভবান হবেন।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়।

    ৩) গুরুজনের পরামর্শ মেনে চলুন।

     

    কুম্ভ

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে।

    ৩) আশা পূরণ।

     

    মীন

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে দিনটি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Bangladesh: সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে, জানালেন ইউনূস সরকারের রাষ্ট্রদূত

    Bangladesh: সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের সঙ্গে, জানালেন ইউনূস সরকারের রাষ্ট্রদূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে ইউনূস জমানার বাংলাদেশের (Bangladesh)। দুই দেশের মধ্যে এবার সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হতে চলেছে, গতকাল শনিবার এরকমই ঘোষণা করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার (রাষ্ট্রদূত) মহম্মদ ইকবাল হোসেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে সরাসরি কোনও বিমান যোগাযোগ নেই। এমন সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের এক উচ্চ পদস্থ সেনা আধিকারিক পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। আলাদা করে সেখানে পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। ঠিক এই আবহে সরাসরি বিমান পরিষেবার কথা ঘোষণা করলেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

    কবে থেকে সরাসরি বিমান উড়বে, সে বিষয়ে কিছু খোলসা করেননি

    তবে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে পাকিস্তানের (Pakistan) উদ্দেশে সরাসরি বিমান কবে উড়বে, তা অবশ্য জানায়নি বাংলাদেশ দূতাবাস। এই ধরনের বিমান পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। ইকবাল জানিয়েছেন, সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হলে শুধু যোগাযোগ বা যাতায়াতের ক্ষেত্রে নয়, পর্যটন, শিক্ষা এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও লাভবান হবে ঢাকা এবং ইসলামাবাদ।

    বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা পাকিস্তান!

    একই সঙ্গে পাকিস্তানে (Pakistan) প্রচুর বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) রাষ্ট্রদূত। বিনিয়োগের স্থান হিসেবে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কথা আলাদা করে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, পাকিস্তানের ওই প্রদেশে স্বাস্থ্য এবং বৃহৎ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে উৎপন্ন পণ্যের চাহিদাও পাকিস্তানে অনেক বেশি বলে জানান তিনি। সবশেষে পাকিস্তানের বায়ুসেনার ভূয়সী প্রশংসা করতেও শোনা যায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে। গত বছরের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে বাংলাদেশে। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতেই রয়েছেন।হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ইউনূস সরকার ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

  • Mahakumbh Mela 2025: প্রাণনাশের হুমকি উপেক্ষা করে মহাকুম্ভে ডুব রেমো ডি’সুজার

    Mahakumbh Mela 2025: প্রাণনাশের হুমকি উপেক্ষা করে মহাকুম্ভে ডুব রেমো ডি’সুজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান থেকে দেওয়া হয়েছিল প্রাণনাশের হুমকি। এবার সেই হুমকিকে উপেক্ষা করে ঠিক দুই দিন পরেই প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিলেন বলিউড বিখ্যাত নৃত্য পরিচালক রেমো ডি’সুজা (Remo D’Souza)। জানা গিয়েছে, তাঁকে ইমেল দ্বারা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে হুমকির বিষয়ে কিছু মুখ না খুললেও স্ত্রী লিজেল ডি’সুজাকে নিয়ে অমৃত স্নান করেছেন এই পূর্ণ মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela 2025)।

    সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে প্রণাম করছেন (Mahakumbh Mela 2025)

    ১৪৪ বছরের পর হিন্দুদের মহামিলন মেলা পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলায় (Mahakumbh Mela 2025) ইশ্বরের কাছে আশীর্বাদ কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করলেন রেমো ডি’সুজা (Remo D’Souza)। নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে কালো পোশাকে সজ্জিত করে স্নান করেছেন তিনি। এই অমৃত স্নানের চিত্র নিজেই সামাজিক মাধ্যমে বিনিময় করেছেন। তবে মেলায় যাওয়ার আগে কালোকাপড় দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে রেখেছিলেন। নদীতে স্নানের পর গলায় ভেসে উঠল রুদ্রাক্ষের মালা। নিজের হাত জোর করে দেখা গেল সূর্য দেবতার উদ্দেশ্যে প্রণাম করছেন। একই ভাবে স্বামী কৈলাসনন্দ গিরি মহারাজের কাছ থেকেও আশির্বাদ কামনা করেছেন।

    “পরিণতি ভয়াবহ হবে!”

    জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রেমোর কাছে ওই হুমকির বার্তা এসেছিল। উল্লেখ্য বলিউডের চলচ্চিত্র অভিনেতা, অভিনেত্রী, নৃত্য পরিচালকদের টার্গেট করে বার বার হামলা বা হুমকির ঘটনা আগেও ঘটেছে। সম্প্রতি সইফ আলি খানের ওপর এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর হামালার ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। হুমকি দিয়ে রেমোকে (Remo D’Souza) উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, “নিজেদের প্রচারের জন্য এমন বার্তা দেওয়া হয়নি। তাই কেউ এই বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেবেন না। আমরা আপনাদের রোজকার জীবনযাপনের উপর নজর রাখছি। আট ঘণ্টার মধ্যে কোনও সদুত্তর না এলে পরিণতি ভয়াবহ হবে।”

  • Israeli: আরও চার ইজরায়েলি মহিলা সেনাকর্মীকে মুক্ত করল হামাস, উচ্ছ্বসিত আত্মীয়রা

    Israeli: আরও চার ইজরায়েলি মহিলা সেনাকর্মীকে মুক্ত করল হামাস, উচ্ছ্বসিত আত্মীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গাজায় ১৫ মাস হামাসের (Hamas) কাছে বন্দি থাকার পর দ্বিতীয় ধাপে আরও চারজন ইজরায়েলি (Israeli) মহিলা সেনাকর্মীকে মুক্ত করল। ইজরায়েল-হামাসের বন্দি বিনিময় চুক্তির ফলে বন্দি দশা থেকে মুক্তি পেয়েই পরিবারের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে আবেগঘন মুহূর্তে মিলনের ছবি ধরা পড়ল এদিন। মুক্তির পর মহিলাদের রাবিন মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁদের। বর্তমানে তাঁদের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মধ্যপ্রাচ্যে ইজরায়েল এবং জঙ্গিসংগঠন হামাসের যুদ্ধের অবসানকে বড় ঘটনা বলে মনে করছেন।

    বাবা-মাকে খুশিতে চিৎকার করে হাসতে দেখা গিয়েছে

    ইজরায়েল (Israeli) ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) দ্বারা প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে মহিলা সেনাকর্মীরা তাঁদের পরিবারগুলির সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন। ফিরে আসার আনন্দ, উল্লাস এবং করতালি দিয়ে সকলকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে মুক্তি পাওয়া সেনাকর্মীরা হলেন, লিরি আলবাগ, ড্যানিয়েলা গিলবোয়া, করিনা আরিয়েভ এবং নামা লেভি। তাঁদের খুব আবেগ প্রবণ হতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে লিরি এবং তাঁর বাবা-মাকে খুশিতে চিৎকার করে হাসতে দেখা গিয়েছে। এরপর তাঁদের হ্যালিকপ্টারে করে রাবিন মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ড্যানিয়েলা গিলবোয়ার ১৫ বছরের বোন বলেন, “আমরা আশাবাদী ছিলাম যে আমাদের পরিবারের সদস্যরা হামাসের (Hamas) হাত থেকে ঠিক ফিরে আসবেন।”

    পাল্টা ২০০ প্যালেস্তিনীয় মুক্ত

    এদিকে ইজরায়েলের পক্ষ থেকে ২০০ প্যালেস্তিনীয় নাগরিককে বন্দি দশা থেকে মুক্তি দিয়েছে। ইজরায়েল (Israeli) এবং হামাসের (Hamas) মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে এই বন্দি বিনিময়ের প্রথম ধাপে ৩ ইজরায়েল বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ৯৩ প্যালেস্তিনীয়কে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

  • Kartik Maharaj: রাজনীতিতে আসছেন ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজ!  

    Kartik Maharaj: রাজনীতিতে আসছেন ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজ!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য নাম বিবেচিত হয়েছে তাঁর। তার পরেই রাজনীতিতে (Politics) আসার ইঙ্গিত দিলেন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ওরফে কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)। রবিবার বেলডাঙার আশ্রমে তিনি বলেন, “ভারতের রাজনীতির যা অবস্থা, তাতে সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে।” কার্তিক কোনও দলের নাম না করলেও, বলেন, “যে দল ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা করবে, সনাতনীদের পাশে থাকবে, তাদের পাশেই থাকব।”

    কী বললেন কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)

    কার্তিক মহারাজ বলেন, “সন্ন্যাসীদের অনেকে পিছন থেকে রাজনীতি করছেন। রাজনীতি হল সব চেয়ে বড় নীতি। কিন্তু এখন রাজনীতি নোংরা হয়ে গিয়েছে। একজন বলছেন ৭০ শতাংশ। কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। একজন বলছেন সংখ্যা বাড়াও। সনাতনীদের রক্ষা করার জন্য সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে। তবে যে দল দেশের সংবিধান রক্ষা করবে, সনাতনীদের পাশে দাঁড়াবে, আমি তাদের পাশে থাকব।”

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী

    গত বছর লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তপ্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর এলাকা। পরে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই গন্ডগোলের জন্য আঙুল তুলেছিলেন বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজের দিকে। প্রসঙ্গত, এবার (Kartik Maharaj) পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে মোট ১১৩জনকে। তাঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রয়েছেন কার্তিক মহারাজ-সহ ৯ জন। পদ্ম পুরস্কার পাওয়ার খবরে কার্তিক মহারাজ বলেন, “আমি সন্ন্যাসী মানুষ। মানুষের সেবাই আমার বড় পুরস্কার। এই স্বীকৃতি দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল।”

    এই কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে সরাসরি নাম করে বিজেপির হয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই বলেই অভিযোগ করেন কার্তিক মহারাজ। নির্বাচনী প্রচারে এ রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে ভোট পেতে সাধুদের ও মহান সংগঠনগুলিকে গালিগালাজ করছেন। সাধুসন্ত সমাজকে অপমান করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে কার্তিক মহারাজ কলকাতায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সাধু-সন্ন্যাসীদের নিয়ে খালি পায়ে মিছিল (Politics) করেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের পরে কার্তিক মহারাজের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় (Kartik Maharaj)।

     

  • Arvind Kejriwal: “দিল্লি বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”, যমুনার স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে কেজরিকে নিশানা শাহের

    Arvind Kejriwal: “দিল্লি বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”, যমুনার স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে কেজরিকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দিল্লি (Delhi) বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”। যমুনা নদীর দূষণকে কেন্দ্র করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) সরকারকে এই ভাষায়ই আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তিনি আপ সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। খুব স্পষ্টভাবে এই প্রবীণ বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, গত ১০ বছরে ক্ষমতায় আসার পরে দিল্লির সরকার যমুনা দূষণ নিয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিজেপির দাবি, ভারতে নদীকে মাতৃসম বলে মনে করা হয়। অথচ যমুনার জলকে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে আপ সরকার।

    আপের শাসনে দিল্লির যমুনা নদী এখন ‘নোংরা ড্রেন’ (Delhi)

    বিজেপি নেতা অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) নিশানা করে বলেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে কথা দিয়েছিলেন যে ৭ বছরে যমুনা নদীকে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার করবেন। এই যমুনা (Delhi) নদী হবে লন্ডনের টেমস্ নদীর মতো।” একই ভাবে দিল্লিবাসীকে তিনি বলেন, “এই যমুনায়ও ডুব দেবেন। তাই মানুষ অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন কবে সেই বিশ্ব বিখ্যাত ডুব দেবেন। তবে যমুনায় যদি যেতে না পারেন তাহলে মহাকুম্ভে যেতে পারেন, তাঁর এই পাপ থেকে মুক্তি পেতে ডুব দিতে পারেন ওখানে।”
    উল্লেখ্য, আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সংবাদ মাধ্যম এবং একাধিক প্রচার সভায় বলেছিলেন, “আপের শাসনে দিল্লির যমুনা নদী এখন ‘নোংরা ড্রেনে’ পরিণত হয়েছে। এই নদী কার্যত কেজরিওয়ালের পাপ স্বরূপ। আমি আমার রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়েছি। দিল্লির যমুনা নদীতে কেজরিওয়ালজিকে তাঁর রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে স্নান করার সাহস দেখাতে বলব।”

     

    “আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমায় ভোট দেবেন না”

    এদিন দিল্লি বিধানসভার (Delhi) বিজেপি প্রার্থী পারভেশ শর্মাও আপকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) আক্রমণ করে তাঁর নামাঙ্কিত কাটআউট নদীতে ভাসিয়ে দেন। তাতে লেখা, আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমায় ভোট দেবেন না। শর্মা বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে যমুনা নদীর জল সম্পূর্ণ স্বচ্ছ করা হবে। এই কাজে কোনও রকেট সায়েন্স লাগবে না। মেশিনের মাধ্যমে সমস্ত পলি অপসারণ করা উচিত। স্যুয়ারেজ ট্রিটমেণ্ট প্ল্যান্ট তৈরি করা উচিত। ঠিক যেমনটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী সবরমতী নদীর ওপর কাজ করেছিলেন। একই ভাবে যমুনা রিভারেণ্ট তৈরি করা যেতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share