Tag: Madhyom

Madhyom

  • Kartik Maharaj: রাজনীতিতে আসছেন ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজ!  

    Kartik Maharaj: রাজনীতিতে আসছেন ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজ!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য নাম বিবেচিত হয়েছে তাঁর। তার পরেই রাজনীতিতে (Politics) আসার ইঙ্গিত দিলেন মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম মঠের অধ্যক্ষ প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ওরফে কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)। রবিবার বেলডাঙার আশ্রমে তিনি বলেন, “ভারতের রাজনীতির যা অবস্থা, তাতে সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে।” কার্তিক কোনও দলের নাম না করলেও, বলেন, “যে দল ভারতের গণতন্ত্র রক্ষা করবে, সনাতনীদের পাশে থাকবে, তাদের পাশেই থাকব।”

    কী বললেন কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj)

    কার্তিক মহারাজ বলেন, “সন্ন্যাসীদের অনেকে পিছন থেকে রাজনীতি করছেন। রাজনীতি হল সব চেয়ে বড় নীতি। কিন্তু এখন রাজনীতি নোংরা হয়ে গিয়েছে। একজন বলছেন ৭০ শতাংশ। কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। একজন বলছেন সংখ্যা বাড়াও। সনাতনীদের রক্ষা করার জন্য সন্ন্যাসীদের রাজনীতিতে আসার সময় হয়েছে। তবে যে দল দেশের সংবিধান রক্ষা করবে, সনাতনীদের পাশে দাঁড়াবে, আমি তাদের পাশে থাকব।”

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী

    গত বছর লোকসভা নির্বাচনের সময় উত্তপ্ত হয়েছিল মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর এলাকা। পরে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই গন্ডগোলের জন্য আঙুল তুলেছিলেন বহরমপুরের ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজের দিকে। প্রসঙ্গত, এবার (Kartik Maharaj) পদ্মশ্রী দেওয়া হচ্ছে মোট ১১৩জনকে। তাঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রয়েছেন কার্তিক মহারাজ-সহ ৯ জন। পদ্ম পুরস্কার পাওয়ার খবরে কার্তিক মহারাজ বলেন, “আমি সন্ন্যাসী মানুষ। মানুষের সেবাই আমার বড় পুরস্কার। এই স্বীকৃতি দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল।”

    এই কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে সরাসরি নাম করে বিজেপির হয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই বলেই অভিযোগ করেন কার্তিক মহারাজ। নির্বাচনী প্রচারে এ রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে ভোট পেতে সাধুদের ও মহান সংগঠনগুলিকে গালিগালাজ করছেন। সাধুসন্ত সমাজকে অপমান করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে কার্তিক মহারাজ কলকাতায় বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সাধু-সন্ন্যাসীদের নিয়ে খালি পায়ে মিছিল (Politics) করেছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের পরে কার্তিক মহারাজের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় (Kartik Maharaj)।

     

  • Arvind Kejriwal: “দিল্লি বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”, যমুনার স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে কেজরিকে নিশানা শাহের

    Arvind Kejriwal: “দিল্লি বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”, যমুনার স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে কেজরিকে নিশানা শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দিল্লি (Delhi) বিশ্ব বিখ্যাত ডুবের জন্য অপেক্ষা করছে”। যমুনা নদীর দূষণকে কেন্দ্র করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) সরকারকে এই ভাষায়ই আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তিনি আপ সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। খুব স্পষ্টভাবে এই প্রবীণ বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, গত ১০ বছরে ক্ষমতায় আসার পরে দিল্লির সরকার যমুনা দূষণ নিয়ে কোনও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিজেপির দাবি, ভারতে নদীকে মাতৃসম বলে মনে করা হয়। অথচ যমুনার জলকে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে আপ সরকার।

    আপের শাসনে দিল্লির যমুনা নদী এখন ‘নোংরা ড্রেন’ (Delhi)

    বিজেপি নেতা অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) নিশানা করে বলেন, “প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে কথা দিয়েছিলেন যে ৭ বছরে যমুনা নদীকে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার করবেন। এই যমুনা (Delhi) নদী হবে লন্ডনের টেমস্ নদীর মতো।” একই ভাবে দিল্লিবাসীকে তিনি বলেন, “এই যমুনায়ও ডুব দেবেন। তাই মানুষ অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন কবে সেই বিশ্ব বিখ্যাত ডুব দেবেন। তবে যমুনায় যদি যেতে না পারেন তাহলে মহাকুম্ভে যেতে পারেন, তাঁর এই পাপ থেকে মুক্তি পেতে ডুব দিতে পারেন ওখানে।”
    উল্লেখ্য, আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সংবাদ মাধ্যম এবং একাধিক প্রচার সভায় বলেছিলেন, “আপের শাসনে দিল্লির যমুনা নদী এখন ‘নোংরা ড্রেনে’ পরিণত হয়েছে। এই নদী কার্যত কেজরিওয়ালের পাপ স্বরূপ। আমি আমার রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়েছি। দিল্লির যমুনা নদীতে কেজরিওয়ালজিকে তাঁর রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে স্নান করার সাহস দেখাতে বলব।”

     

    “আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমায় ভোট দেবেন না”

    এদিন দিল্লি বিধানসভার (Delhi) বিজেপি প্রার্থী পারভেশ শর্মাও আপকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) আক্রমণ করে তাঁর নামাঙ্কিত কাটআউট নদীতে ভাসিয়ে দেন। তাতে লেখা, আমি ব্যর্থ হয়েছি, আমায় ভোট দেবেন না। শর্মা বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে যমুনা নদীর জল সম্পূর্ণ স্বচ্ছ করা হবে। এই কাজে কোনও রকেট সায়েন্স লাগবে না। মেশিনের মাধ্যমে সমস্ত পলি অপসারণ করা উচিত। স্যুয়ারেজ ট্রিটমেণ্ট প্ল্যান্ট তৈরি করা উচিত। ঠিক যেমনটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী সবরমতী নদীর ওপর কাজ করেছিলেন। একই ভাবে যমুনা রিভারেণ্ট তৈরি করা যেতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন বিশ্বের ৭৩ কূটনীতিক

    Maha Kumbh 2025: ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন বিশ্বের ৭৩ কূটনীতিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা (Maha Kumbh 2025)। মহাকুম্ভ যোগ আসে প্রতি ১৪৪ বছর অন্তর। এবার এসেছে সেই যোগ। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ কোটি মানুষ স্নান (Holy Dip) সেরেছেন গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর সঙ্গমে। মেলা ও পুণ্যস্নান চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তাই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের আশা, মাস দেড়েকের এই মেলায় সব মিলিয়ে স্নান করবেন ৪০ কোটি পুণ্যার্থী। হিন্দুদের বিশ্বাস, কুম্ভস্নান করলে মোক্ষ লাভ হয়। সেই বিশ্বাসেই আমজনতার সঙ্গে সঙ্গে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেবেন বিশ্বের ৭৩টি দেশের কূটনীতিকরা। আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি কুম্ভস্নান করবেন তাঁরা। মহামিলনের এই মেলায় সঙ্গমে ডুব দেবেন যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়া এবং ইউক্রেনের কূটনীতিকরাও। জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ থেকেও কূটনীতিকরা আসছেন পুণ্যস্নানে।

    ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান

    ১ ফেব্রুয়ারি যে ওই ৭৩টি দেশের কূটনীতিকরা ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান সারবেন, সে ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রকের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে। বিদেশমন্ত্রকের তরফে চিঠিতে জানানো হয়েছে, পবিত্র সঙ্গমে ডুব দেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা দর্শন করবেন বড়ে হনুমান মন্দির ও অক্ষয়াবত। নৌকোয় চড়ে তাঁরা দর্শন করবেন সঙ্গমস্থল (Maha Kumbh 2025)। সঙ্গমে স্নান সেরে ওই কূটনীতিকরা যাবেন ডিজিটাল মহাকুম্ভ এক্সপিরিয়েন্স সেন্টারে। সেখানে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁরা জানবেন মহাকুম্ভের মাহাত্ম্য সম্পর্কে। মহাকুম্ভ-পর্ব সেরে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাবেন তাঁরা। কুম্ভমেলায় আখড়া পরিদর্শনও করবেন তাঁরা। একাধিক প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক ট্যুরও করানো হবে তাঁদের। ওই কূটনীতিকরা ঘুরে দেখবেন যমুনা কমপ্লেক্স, অশোক স্তম্ভ-সহ অন্যান্য দ্রষ্টব্য স্থান।

    কুম্ভমেলা

    প্রতি ১২ বছর অন্তর উত্তরপ্রদেশের এই ত্রিবেণী সঙ্গমে হয় কুম্ভমেলা। এগুলিকে বলা হয় পূর্ণকুম্ভ। ১২টি পূর্ণকুম্ভ শেষে হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই যোগ। এই যোগ আবার আসবে ১৪৪ বছর পরে। এবার প্রয়াগরাজের এই কুম্ভমেলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি পবিত্র স্নান করবেন ৫ ফেব্রুয়ারি। ১০ ফেব্রুয়ারি কুম্ভস্নান করবেন (Holy Dip) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Maha Kumbh 2025)।

  • Attorney Karan Joshi: নতুন দিল্লি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী অ্যাটর্নি করণ জোশী, সাফল্যের চাবিকাঠি কী জানেন?

    Attorney Karan Joshi: নতুন দিল্লি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী অ্যাটর্নি করণ জোশী, সাফল্যের চাবিকাঠি কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাটর্নি করণ জোশী (Attorney Karan joshi) হলেন ভারতের নতুন দিল্লির (New Delhi) একজন সফল অভিবাসী। জীবনের চরম সাফল্যের পথ কতটা মসৃণ ছিল জানেন? তাঁর সাফল্য এখন লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনের অনুপ্রেরণা। তাঁর অধ্যাবসায়, উচ্চাকাঙ্খা এবং কঠোর পরিশ্রম দারুণ ভাবে প্রভাবিত করছে ভারতীয়দের। নিজের দেশ থেকে মার্কিন মুলুকে গিয়ে সেখানকার নানা কঠিন প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে সংঘর্ষ করে আজ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই বর্তমানে সফলতার আর এক নাম অ্যাটর্নি করণ জোশী। বর্তমানে তিনি অরেঞ্জ ল-ইউএসএ-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। এনআরআই ভারতীয় নাগরিক এবং মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থার মধ্যে ব্যবধান দূর করার কাজকে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এই যুবক এখন ভারতীয় সমাজের কাছে আইডিয়াল। দেশের গণ্ডি পার করে কীভাবে বিদেশের মাটিতে গিয়ে ভারতীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হয়, সেই পথ দেখালেন তিনি। তিনি এখন সংবাদ মাধ্যমে বহুল চর্চিত এক ব্যক্তিত্ব।

    প্রথম জীবন (Attorney Karan joshi)

    করণ জোশী শৈশবে পড়াশোনা করেছেন নতুন দিল্লির (New Delhi) বারাখাম্বা রোডের মর্ডান স্কুলে। তাঁর পরিবার ছিল উচ্চ-মধ্যবিত্ত। তাঁর আশপাশের লোকজনের গতানুগতিক কেরিয়ার গঠনের বাইরে খুব একটা নজর ছিল না। তাই স্কুল জীবন শেষ করে অভিবাসী জীবনের দিকে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। একদিকে ভিন্ন দেশে ভাষার প্রতিবন্ধকতা, সাংস্কৃতিক পার্থক্য এবং সম্পূর্ণ একটি নতুন দেশে সবদিক থেকে মানিয়ে নেওয়া খুব কষ্টসাধ্য ছিল। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইমে চাকরিও করতে শুরু করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে পরিবর্তনশীল পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেন। একদিকে নতুন সংস্কৃতিকে গ্রহণ এবং নিজের পুরাতন সংস্কৃতিকে নিজের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখা তাও খুব কঠিন কাজ ছিল। তবুও নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি।

    আইনি জগতে বিশেষ স্বীকৃতি

    করণ জোশী (Attorney Karan joshi) তাঁর আইনি শিক্ষা শেষ করে চাকিরি জীবনে প্রবেশ করেন। প্রথমে ছোট একটি আইনি সহযোগিতার সংস্থায় কাজ করতেন। এরপর সমস্যা এবং সমস্যা সমাধানের জন্য নানা অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পরে কারিগরি এবং স্টার্টআপ জগতে কাজের দক্ষতা অর্জন করেন। ধীরে ধীরে ওই দেশের একাধিক শীর্ষ কোম্পানিতে নিজের দক্ষতায় আইন বিশেষজ্ঞরূপে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে করণ হিউস্টন, টেক্সাস, অরেঞ্জ ল-এর বাইরে ক্রমবর্ধমান আইন সংস্থার মালিক এবং পরিচালনার কাজও করেছেন। আইন জাগতে একজন সফল ব্যক্তি হয়েও সব সময় নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা শোনাতেন নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের। উৎসাহও দিতেন। নানা রকমের ইভেন্ট এবং সেমিনারে অংশগ্রহণ করে কীভাবে ভালো কেরিয়ার গড়া যায় সেই দিকে পথনির্দেশিকা দিয়ে থাকেন তিনি। সব সময় ঝুঁকি নেওয়া এবং আত্মবিশ্বাসের কথা বলে অনুপ্রেরণা দেওয়ার কাজও করেন তিনি।

    বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শ

    করণ জোশী (Attorney Karan joshi) মনে প্রাণে বিশ্বাস রাখতেন যে ভারতীয়রা (New Delhi) পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে গিয়ে নিজের প্রতিভা, শ্রম, নিষ্ঠা এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ করতে পিছপা হয় না। তাঁরা সব রকমের স্বপ্ন পূরণ করতে সব কাজ করতে জান লড়িয়ে দেন। করণ নিজেও একজন অভিবাসী হয়ে সবরকম ভাবে নিজেকে আজ প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদর্শ। দেশের বাইরে আজ ভারতীয়রা নানা ভাবে নেতৃত্ব দানের কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন করণ। শুধু আমেরিকায়ই নয়, আজ ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, কানাডা, জাপান এবং মধ্য প্রাচ্যেও ভারতীয়দের ব্যবসা, শিল্প, কারিগরি, প্রযুক্তি, বিনিয়োগে ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূতরাই নেতৃত্ব দিতে শুরু করেছেন। ফলে অভিজ্ঞমহলের মত ২০৩০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “১০ বছরে দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লিকে ধ্বংস করেছেন কেজরিওয়াল”, তোপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

    Amit Shah: “১০ বছরে দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লিকে ধ্বংস করেছেন কেজরিওয়াল”, তোপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রচার অভিযান ব্যাপকভাবে জমে উঠছে। এদিন প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “কেজরিওয়াল (Arvind kejriwal) ১০ বছরে দিল্লিকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছেন, তিনি একজন মিথ্যাবাদী।”

    প্রতারণা করেছেন কেজরিওয়াল (Amit Shah)

    দিল্লি বিধানসভার মোট আসন ৭০। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন, ফল ঘোষণা ৮ ফেব্রুয়ারি। শনিবার বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজৌরি গার্ডেনে বিজেপি প্রার্থী মনজিন্দর সিং সিরসার সমর্থনে বিশেষ সমাবেশও করেন। গত ১০ বছরে আপ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন শাহ। বলেন, “গত ১০ বছর ধরে কেজরিওয়ালজির (Arvind kejriwal) আপ সরকার দিল্লিতে অপশাসন করেছে শুধু। একইভাবে, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের নামে আর্থিক দুর্নীতি এবং মিথ্যাচার করে গিয়েছে। দেশের জাতীয় রাজধানীকে ধ্বংস করেছে। আপ সরকার শহরকে সম্পূর্ণ ভাবে জগাখিচুড়িতে পরিণত করেছে। জনগণকে দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন অরবিন্দজি।”

    ৫৪০০ কোটি টাকার রেশন কার্ড, ৪৫০০ টাকার বাস কেলেঙ্কারি

    বিজেপির প্রবীণ নেতা অমিত শাহ দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিশানা করে বলেন, “আপ (Arvind kejriwal) সরকার সংযোগের নামে মানুষকে ভাঙা রাস্তা দিয়েছে কেবলমাত্র। মহ্ললা ক্লিনিকের নামে তারা মেডিক্যাল টেস্টে প্রতারণা করেছে। বর্ষার জমা জলে দিল্লি বার বার প্লাবিত হয়। নিকাশি ব্যবস্থার জন্য কোনও কাজ করেনি। সরকারি স্কুলের পরিকাঠামোর জন্য কোনও উন্নয়নের কাজ করেনি। এই এলাকার গুরুদ্বার, মন্দির এবং স্কুল ময়দানের কাছে মদের দোকান খোলা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে অবৈধ আবগারি নীতিকে বাস্তবায়ন করেছে। নিজের পরিচিত মদ ব্যবসায়ীদের বেছে বেছে মোটা টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স দিয়েছে। আপ দল এবং দলের নেতা-কর্মীরা ৫৪০০ কোটি টাকার রেশন কার্ড, ৪৫০০ টাকার বাস কেলেঙ্কারি, ৫৭১ কোটি টাকার সিসিটিভি কেলেঙ্কারি, ৫২ কোটির শিশমহল নির্মাণের কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু আমরা দিল্লির জনতাকে আশ্বাস দিচ্ছি বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই কুশাসনের জায়গায় সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। জনকল্যাণমূলক কোনও প্রকল্পের কাজ বন্ধ হবে না। প্রধানমন্ত্রী মোদিজির উন্নয়নের ধারায় দিল্লিবাসীর জন্য কাজ করব আমরা।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “গণতন্ত্র, মর্যাদা এবং ঐক্য আমাদের শিকড়”, সাধারণতন্ত্র দিবসে বললেন মোদি

    PM Modi: “গণতন্ত্র, মর্যাদা এবং ঐক্য আমাদের শিকড়”, সাধারণতন্ত্র দিবসে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সংবিধান প্রণেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার সকালে দেশবাসীকে সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানান তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “গণতন্ত্র, মর্যাদা এবং ঐক্য আমাদের শিকড়। সংবিধান তা নিশ্চিত করেছে। এই সংবিধান তৈরিতে অবদান রেখেছেন বহু পুরুষ ও মহিলা। সেই সংবিধান প্রণেতাদের আমার বিনম্র প্রণাম।”

    অনুষ্ঠানের সূচনা

    এদিন সকালে কর্তব্যপথে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক (Republic Day) অর্পণ করেন। তার পরেই সূচনা হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কর্তব্য পথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরেই শুরু হয় প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। কর্তব্য পথ থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত কুচকাওয়াজে সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী এবং সহায়ক বেসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি এনসিসি এবং এনএসএসের ইউনিটগুলি অংশ নেয়। বিজয় চক থেকে এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কুচকাওয়াজ শুরু হয়। বিজয় চক কর্তব্য পথ হয়ে শেষ হয় লালকেল্লায় গিয়ে।

    বার্তা শাহেরও

    এদিন দেশবাসীর উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “সমস্ত দেশবাসীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা। প্রজাতন্ত্র দিবস ভারতের সাংবিধানিক মূল্যবোধ, সামাজিক সাম্যের প্রতি দৃঢ়তা এবং গণতন্ত্রের প্রতি আস্থার প্রতীক। এই শুভ উপলক্ষে আমি সকল মুক্তিযোদ্ধা ও সংবিধান প্রণেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই যাঁরা একটি শক্তিশালী প্রজাতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।” দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

    এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে পুষ্পবৃষ্টি করে বায়ুসেনার এমআই-১৭ কপ্টার। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ান্তো। এদিনের জমকালো উৎসব দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার বিশেষ অতিথিকে। বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোও প্রদর্শিত হয়। সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে ‘ব্রহ্মোস’, ‘পিনাক’ মিসাইল। ডিআরডিও-র তৈরি ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র ‘প্রলয়’ও এদিন প্রদর্শিত হয়েছে।

    এদিন (PM Modi) ট্যাবলো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি লেখেন, “২০২১ এও দিল্লিতে (Republic Day) প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে রাজ্য সরকারের ট্যাবলোয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। ২০২৫-এও তাই (PM Modi)।”

  • Mohan Bhagwat: ভারতের বৈচিত্র্যকে সম্মান করা উচিত, প্রজাতন্ত্র দিবসে বললেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ভারতের বৈচিত্র্যকে সম্মান করা উচিত, প্রজাতন্ত্র দিবসে বললেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর সংঘচালক (RSS) মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, ‘‘ভারতের বৈচিত্র্যকে সম্মান করা উচিত এবং ঐক্যের ভিত্তিতে সম্প্রতির সঙ্গে বাস করতে হবে আমাদের।’’ প্রসঙ্গত, রবিবার মহারাষ্ট্রের থানে জেলার ভিওয়ান্তি আন্টি শহরের একটি কলেজে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন আরএসএস প্রধান। সেখানেই এই মন্তব্যগুলি করেন তিনি।

    একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবান হতে হবে (Mohan Bhagwat)

    এদিন তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ওই কলেজে। তারপরে এই মন্তব্য করতে শোনা যায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধানকে (Mohan Bhagwat)। এদিন তিনি আরও বলেন,‘‘প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে এই দিনটিতে আমাদের মনে রাখতে হবে যে দেশের প্রতি আমাদের কর্তব্য ঠিক কী কী রয়েছে।’’ এদিন তিনি বলেন, ‘‘ভারতবর্ষের বাইরে যদি আমরা তাকিয়ে দেখি তাহলে সেখানে শুধুমাত্র বৈচিত্র্যের কারণেই সংঘর্ষ ঘটছে। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে বৈচিত্রকে আমরা স্বাভাবিক বলেই মনে করি। আমাদের নিজস্ব বিশেষত্ব থাকতে পারে, কিন্তু একে অপরের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবান হতে হবে। যদি আমরা নিজেরা বাঁচতে চাই, তাহলে নিজেদের মধ্যে একটি সুসংহত জীবন যাপন করতে হবে। কারও পরিবার যদি অসুখী হয় তাহলে কোনও ব্যক্তি সুখী হয়ে বাঁচতে পারেনা। একইভাবে কোনও শহর যদি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তাহলে একটি পরিবারও সুখী হতে পারবে না।’’

    আমাদের প্রত্যেকের উদ্যোগী হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ

    এদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, ‘‘আপনি যদি ভাত রান্না করতে জানেন, তাহলে আপনার কাছে তিনটে জিনিসের প্রয়োজন তাহলে জল, তাপ এবং চাল। কিন্তু আপনি যদি রান্না করতে না জানেন এবং শুকনো চাল খেয়ে নেন, তার সঙ্গে জল খেয়ে নেন এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা সূর্যের আলোতে দাঁড়িয়ে থাকেন, তাহলে তা কখনও খাবারের পরিণত হবে না।’’ তাই তিনি এ ক্ষেত্রে বলেন, ‘‘আমাদের প্রত্যেকের উদ্যোগী হওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সর্বদা আমাদেরকে জ্ঞান দিয়ে কাজ করতে হবে। কিন্তু সঠিক চিন্তাভাবনা ছাড়া যে কোনও কাজ কখনও ফল দেবে না। উপরন্ত সমস্যাকে ডেকে নিয়ে আসবে।’’

  • Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির মুখে মোদির ভূয়সী প্রশংসা

    Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির মুখে মোদির ভূয়সী প্রশংসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) প্রধান অতিথি তিনি। সেই ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ানতোর মুখেই শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্তুতি। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেন দারিদ্র দূরীকরণে তাঁর ব্যাপক অবদানের জন্য। প্রসঙ্গত, ৭৫ বছরে পরে কোনও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি এদেশে সফরে এলেন। জানা যায়, ১৯৫০ সালেও প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ। ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘আমি খুবই গর্বিত এখানে আসতে পেরে। আমি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নই। আমি ভালো কূটনীতিও জানি না। আমার হৃদয়ে যা আসে আমি সেটাই বলি। আমি এখানে কয়েকদিনের জন্য এসেছি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।’’

    অংশগ্রহণ করে ইন্দোনেশিয়ার মিলিটারি ব্যান্ড (Republic Day)

    প্রসঙ্গত, এর আগে কখনও ইন্দোনেশিয়ার (Republic Day) কোনও মিলিটারি ব্যান্ড বিদেশের কোনও অনুষ্ঠানে এভাবে যোগ দেয়নি। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দোনেশিয়ারের রাষ্ট্রপতি। আর সেখানেই ইন্দোনেশিয়ার এই ব্যান্ড যোগ দেয়, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন দিল্লিতে কুচকাওয়াজ দেখার জন্যে আমন্ত্রিত সমাজের বিভিন্নস্তরের ১০ হাজার অতিথি হাজির ছিলেন। ইন্দোনেশিয়া সেনার ১৫২ জন সদস্য আজকের কুচকাওয়াজে অংশ নেন। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার মিলিটারি অ্যাকাডেমির ১৯০ জন ব্যান্ডও ছিল কুচকাওয়াজে।

    গুরুত্বপূর্ণ সফর

    প্রসঙ্গত প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) আগের দিনই ভারত সফরে আসেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ানতো। তাঁকে স্বাগত জানাতে সেসময়ই বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ানতোকে স্বাগত জানাই।’  তাঁর এই সফর ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Republic Day 2025: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে চলেছে দেশ, জানেন এই দিনের গুরুত্ব

    Republic Day 2025: ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করতে চলেছে দেশ, জানেন এই দিনের গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি (Republic Day 2025) মানেই রাজধানীর রাজপথে কুচকাওয়াজ, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। দিল্লির পাশাপাশি কলকাতার রেড রোডেও সেই আড়ম্বর চোখে পড়ে। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন দেশের রাষ্ট্রপতি। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান গৃহীত হওয়ার দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হয়। আর বেশিদিন নেই ভারত অধীর আগ্রহে সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের জন্য অপেক্ষা করছে। উৎসবের মূল আকর্ষণ হবে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেটের কাছে কর্তব্য পথে দর্শনীয় কুচকাওয়াজ। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত এই কুচকাওয়াজে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেবেন। এতে বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে।

    প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস 

    প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০ সালে। এ বছর সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে, যা ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। অর্থাৎ ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস (76th Republic Day) উদযাপন করবে। অনেকেই ১৯৪৯ সাল থেকে গণনা শুরু করেন এবং ভাবেন যে সংবিধান সেই দিনেই কার্যকর হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তা নয়। ১৯৫০ সালে দেশে সংবিধান কার্যকর করা হয় এবং ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে, এ বছর ৭৭তম নয়, ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবস (Republic Day 2025) পালিত হচ্ছে।

    প্রজাতন্ত্র দিবসের গুরুত্ব

    ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট বিদায় নেয় ব্রিটিশরা। ২০০ বছরের কালিমা মুছে স্বাধীনতার সূর্যোদয় হয় ভারতের আকাশে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন জওহরলাল নেহরু। যদিও তখনও ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়নি। ১৯৪৭-এর ২৯ আগস্ট একটি খসড়া কমিটি তৈরি করে প্রথম সরকার। উদ্দেশ্য সংবিধান রচনা ও কার্যকর। সেই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন বাবাসাহেব বিআর আম্বেদকর। ১৯৪৭ সালের ৪ নভেম্বর ওই কমিটি সংবিধানের একটি আনুষ্ঠানিক খসড়া পেশ করে গণপরিষদে। এর তিন বছর পর ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় প্রস্তাবিত সংবিধান। যা আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় ২৬ জানুয়ারি।

    RepublicDayParade preparations are in full swing! The 76th Republic Day Parade will showcase the strength, diversity and resilience of India with six elite contingents from the Indian Army, stunning displays of advanced tech & weaponry and the spirit of indigenisation. pic.twitter.com/sYs0seNxpT

    — Republic Day 2025 (@republicday2025) January 18, 2025

    সংবিধানের শাসন কার্যকর

    স্বাধীনতা দিবসের সমান গুরুত্বপূর্ণ এই দিন। সেই কারণেই বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্রের পোশাকি নাম ‘ভারতীয় সাধারণতন্ত্র’ (Republic Day 2025) । যে সাধারণতন্ত্রের গণতান্ত্রিক, সমতাবাদী এবং ন্যায়পরায়ণ সমাজের কাঠামো হল সংবিধান। সাধারণতন্ত্র দিবস স্মরণ করে স্বাধীন ভারতের চেতনাকে। ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি (76th Republic Day) থেকেই সদ্য স্বাধীন দেশটির রাষ্ট্র পরিচয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সংবিধানের শাসন কার্যকর হয় আসমুদ্রহিমাচলে। ২৬ জানুয়ারি সকালে বর্ণাঢ্য সামরিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। এদিন দেশের বাছাই করা নাগরিকদের পদ্ম পুরস্কারে ভূষিত করেন তিনি। এছাড়াও সেনাকর্মীদের পরমবীর চক্র, অশোক চক্র ও বীর চক্রে ভূষিত করেন রাষ্ট্রপতি।

    আরও পড়ুন: বাড়াবাড়ি নয়! চিনকে কড়া বার্তা কোয়াডের, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই বৈঠকে জয়শঙ্কররা

    প্রজাতন্ত্র দিবসের থিম

    এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2025) থিম হল ‘স্বর্ণিম ভারত’  যা ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যতের প্রতি নিবেদিত। ২০২৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে, ১৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল- অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, চণ্ডীগড়, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ – দিল্লির কর্তব্যপথে তাদের ট্যাবলো প্রদর্শন করবে। এ বছর প্রথম বার দেশের তিন বাহিনী সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনা একসঙ্গে কর্তব্য পথে সামরিক কৌশল দেখাবে।

  • Padma Shri 2025: গোয়ার ১০০ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামী, বাংলার অরিজিৎ সিং পাচ্ছেন পদ্মশ্রী

    Padma Shri 2025: গোয়ার ১০০ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামী, বাংলার অরিজিৎ সিং পাচ্ছেন পদ্মশ্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোয়ার ১০০ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামী (Republic Day) লিবিয়া লোবো সরদেশাই। গোয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল তাঁর। তিনি একটি রেডিও স্টেশন তৈরি করেছিলেন। নাম ছিল স্বাধীনতার বাণী। পর্তুগিজ শাসনের অবসানের জন্য তিনি গোয়ার জনগণকে একত্রিত করেছিলেন। তাঁর এই অবদানের জন্যই চলতি বছরে তাঁকে দেওয়া হচ্ছে পদ্মশ্রী (Padma Shri 2025) পুরস্কার। দেশের অন্যতম অসামরিক এই সম্মানের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন, চিকিৎসক, কৃষক, যোগ প্রশিক্ষক, ক্রীড়াবিদ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা ব্যক্তিত্বরা।

    বাংলা থেকে কারা (Padma Shri 2025)

    পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং, ধর্মগুরু স্বামী প্রদীপ্তানন্দ (কার্তিক মহারাজ) পাচ্ছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। ৫৭ বছরে ঢাকি গোকুলচন্দ্র দাসও পাচ্ছেন পদ্ম পুরস্কার। বাংলা থেকে পদ্মশ্রী পেলেন অভিনেত্রী মমতাশঙ্কর, ঢাকি গোকুলচন্দ্র দাস, শিক্ষাবিদ নগেন্দ্রনাথ রায়, শিল্পপতি পবন গোয়েঙ্কা, শিল্পপতি সজ্জন ভজাঙ্কার, শিল্পী তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার এবং সমাজসেবী বিনায়ক লোহানি।

    প্যারা অলিম্পিকে সোনাজয়ী পাচ্ছেন পদ্মশ্রী (Padma Shri 2025)

    দিল্লির স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.নীরজা ভাটলাও পাচ্ছেন পদ্মশ্রী। হরিয়ানার ‘কাঠিয়ালের একলব্য’ নামে পরিচিত দিব্যাঙ্গ তীরন্দাজ হরবিন্দর সিং। ২০২৪ প্যারা অলিম্পিকে দেশকে সোনা এনে দিয়েছেন তিনি। তিনি পাচ্ছেন পদ্মশ্রী। তালিকায় নাম রয়েছে ভোজপুরের সমাজকর্মী ভীম সিং ভাবেশের। সমাজের অন্যতম প্রান্তিক গোষ্ঠী মুসাহার সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতে ব্যবহৃত থাভিল নামে এক বাদ্যযন্ত্র বিশেষজ্ঞ পি দাতচানামূর্তিও এবার পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন।

    নাগাল্যান্ডের নকলাকের চাষি এল হ্যাঙ্গথিং পাচ্ছেন পদ্মশ্রী

    পদ্মশ্রী (Padma Shri 2025) সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন নাগাল্যান্ডের নকলাকের চাষি এল হ্যাঙ্গথিং। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে বিদেশি ফলের চাষ করছেন তিনি। এবারের পদ্মশ্রী তালিকায় নাম রয়েছে কুয়েতের বাসিন্দা যোগ প্রশিক্ষক শাইখা এ জে আল সাবা-র। কুয়েতের প্রথম লাইসেন্স প্রাপ্ত যোগ প্রশিক্ষক তিনি। হিমাচল প্রদেশের হরিমন শর্মা, অরুণাচলের জুমদে ইয়মগাম গামলিন, অসমের জয়নাচরণ পাথারি, উত্তরাখণ্ডের হিউজ গ্যান্টজার, গুজরাটের সুরেশ সোনিও এবার পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন।

LinkedIn
Share