Tag: Madhyom

Madhyom

  • Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গিয়ে মৃত্যু কেরলের যুবকের, রাশিয়াকে কড়া বার্তা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ (Russia Ukraine War) করতে গিয়ে মৃত্যু হল কেরলের এক যুবকের। এর ফলে ক্ষুব্ধ ভারত সরকার। রাশিয়ায় পাঠানো হল কড়া বার্তা। অবিলম্বে ভারতীয়দের, যারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সামিল, তাদের ফেরত পাঠাতে বলা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে ভারতীয়রাও সামিল, এই খবর মিলেছিল আগেই। এর আগেও কমপক্ষে আটজন ভারতীয়ের যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুর খবর মিলেছিল। এবার কড়া ব্যবস্থা নিল ভারত সরকার।

    কড়া বার্তা দিল্লির

    দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে রুশ মিলিটারির (Russia Ukraine War) সাপোর্ট সার্ভিসে বহু ভারতীয়কে নিয়োগ করেছিল পুতিন সরকার। অধিকাংশকেই চাকরির টোপ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মস্কোয় পৌঁছে তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বন্দুক। বিনা প্রশিক্ষণেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে (Indian in Russian Force)। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “মস্কোয় রুশ প্রশাসন এবং নয়াদিল্লিতে রাশিয়ার দূতাবাসে বিষয়টি জানানো হয়েছে। যে ক’জন ভারতীয় বর্তমানে রুশ সেনায় রয়েছেন, তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছি আমরা।”

    কাজের আসায় গিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে

    মৃত যুবকের নাম বিনিল টিবি। কেরলের ত্রিশূরের বাসিন্দা। পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান বিনিল এক আত্মীয়ের সঙ্গে কাজের খোঁজে রাশিয়ায় (Russia Ukraine War) যান এজেন্ট মারফত। তারা ইলেকট্রিশিয়ান ও প্লাম্বিংয়ের কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। রাশিয়ায় পৌঁছনোর পর তাঁদের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয় এবং জোর করে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, বিনিলকে নিয়ে রাশিয়া যাওয়া তাঁরই এক আত্মীয় জৈন টিবি এই ঘটনার পর আহত হয়েছেন। বর্তমানে মস্কোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। তিনিও রাশিয়ার ফ্রন্টলাইন সার্ভিসে ছিলেন বলে খবর। জৈনের বস ২৭, আর বিনিলের বয়স ৩২। তাঁদের দুজনেরই শিক্ষাগত যোগ্যতার বিচারে আইটিআই মেকানিক্যালের ডিপ্লোমা ছিল। গত ৪ এপ্রিল তাঁরা রাশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে ইলেকট্রিশিয়ান ও কল সারাইয়ের কাজ পাবেন, এমন আশা নিয়ে তাঁরা যুদ্ধে লিপ্ত রাশিয়ায় পাড়ি দেন। এর কয়েক মাস পরই এল এই শোকের খবর।

    বিদেশ মন্ত্রকের দাবি

    বিদেশ মন্ত্রকের কাছে ভারতীয় যুবকের মৃত্যু ও আরেক যুবকের আহত হওয়ার খবর মিলতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করা হয়। মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাস মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। দ্রুত ওই যুবকের দেহ ভারতে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ভারত সরকারের তরফে বাকি ভারতীয়দেরও রুশ সেনা (Indian in Russian Force) থেকে মুক্তি দিয়ে দেশে ফেরানোর বার্তা পাঠানো হয়েছে। রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। মস্কোয় আমাদের দূতাবাস পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমরা রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছি যাতে মৃতদেহ দ্রুত ভারতে পাঠানো যায়। আমরা আহত ব্যক্তিরও দ্রুত মুক্তি এবং ভারতে প্রত্যর্পণ চেয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saline Controversy: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    Saline Controversy: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্যালাইন নিষিদ্ধ (Saline Controversy) করার পরও এরাজ্যে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইন? সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। দু’টি জনস্বার্থ মামলাই দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি। এই আবহের মাঝে এবার স্যালাইন বিভ্রাটে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায়, স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক? (Saline Controversy)

    মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ি থানায় পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের (Saline Controversy) বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন শঙ্কর ঘোষ। তিনি (Sankar Ghosh) বলেন, ‘‘এর আগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল-সহ কিছু মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার উৎপাদিত স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধ করল। মৃত্যুও হয়েছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল। তারপরেও এই সংস্থার স্যালাইন কীভাবে সব মেডিক্যাল সাপ্লাই দিল রাজ্য?’’ এ নিয়ে এদিন তিনি আরও  বলেন, ‘‘এই স্যালাইনের ব্যবহারেই অতীতের মৃত্যু হয়েছিল কিনা দেখা হোক। স্বতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিক সরকার। পাশাপাশি দোষীদের গ্রেফতারও করতে হবে।” তিনি বলেন, ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা।’’ এই সংস্থার একটি অফিস শিলিগুড়িতে, সংস্থার আরেক ডিরেক্টর মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধেই মূলত অভিযোগ করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আগেই অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ডিরেক্টর বহরমপুরের মুকুল ঘোষ। তাঁর সঙ্গে সরাসরি কালীঘাটের যোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ সাপ্লাই করে। ডিসিজিআই-কে দিয়েও তদন্তের অনুরোধ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে।”

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০২৪-এর মার্চ মাসেই কর্নাটক সরকার এই স্যালাইন (Saline Controversy) প্রস্তুতকারী সংস্থাকে নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করেছিলেন। ওই রাজ্যে চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। তারপরই নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। ডিসিজিআই-কে চিঠিও দিয়েছিলেন ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কর্নাটক যে স্যালাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল, সেই স্যালাইন কেন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে রমরমিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় এক প্রসূতির। এসএসকেএমে লড়াই চলছে আরও তিন প্রসূতির। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে গ্রিন করিডর করে ওই তিন প্রসূতিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের স্যালাইন (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট) নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বস্তুত ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইনের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় গত ১০ ডিসেম্বর ওই স্যালাইনের উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল। তারপরও কীকরে হাসপাতালে তা ব্যবহার করা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা

    Jammu Kashmir: পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, আহত ৬ সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ভারতীয় সেনার ছ’জন জওয়ান। তাঁদের রাজৌরি (Landmine Blast in Rajouri) জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক জনের আঘাত গুরুতর। মঙ্গলবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর লাগোয়া রাজৌরি জেলার নওশেরার ভবানী সেক্টরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতীয় সেনার উত্তরাঞ্চলীয় (নর্দার্ন) কম্যান্ড সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    কী ঘটেছিল?

    প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এদিন সকাল ১০.৪৫ নাগাদ নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গোর্খা রাইফেলসের জওয়ানরা টহল দিচ্ছিলেন। সেখানেই মাটিতে লুকনো ছিল ল্যান্ডমাইনটি। একজন সেনা জওয়ান ভুলবশত একটি ল্যান্ডমাইনের উপর পা দিয়ে দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। জখমদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক জনের আঘাত মারাত্মক হলেও বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন যে, অনুপ্রবেশ রোধে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় প্রায়শই ল্যান্ডমাইন পোঁতা থাকে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কখনও ওই ল্যান্ডমাইনগুলি সরানোর কাজ চলে। যার ফলেই এ দিনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

    নাশকতার ছক!

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ওই এলাকাতেই ‘অ্যান্টি পার্সোনেল’ ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে এক সেনা জওয়ানের পা উড়ে গিয়েছিল। এবার অবশ্য, প্রাথমিক চিকিৎসার পর জওয়ানরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে খবর।  তবে পাক জেহাদিরা ছক কষেই নাশকতার জন্য ল্যান্ডমাইন সরিয়ে এনেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে সেনা।  

     

    আরও পড়ুন: বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয় মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের মহাতীর্থে মিশল ইউরোপ থেকে আমেরিকা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    Amit Shah: ভোকাট্টা.. ঘুড়ি উড়িয়ে মকর সংক্রান্তি উদযাপন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) সকাল। ছাদে উঠে লাটাই হাতে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন একজন। সুতোয় টান দিয়েই যিনি ও..ওওওও.. বলে চিৎকার করে উঠলেন, তিনি আতিপাতি কেউ নন, হোমরাচোমরা ব্যক্তি, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার, মকর সংক্রান্তির সকালটা এভাবেই কাটালেন তিনি। কারও ঘুড়ি কেটে দেওয়ার পরেই যে তিনি শিশুর মতো উল্লাসে ফেটে পড়লেন, তা বলাই বাহুল্য। ভাইরাল হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য।

    ঘুড়ি ওড়ালেন শাহ (Amit Shah)

    মকর সংক্রান্তির দিন বাংলার অনেক জায়গায়ই ঘুড়ি ওড়ানো হয়। এদিন গুজরাটের আকাশেও পতপত করে উড়তে থাকে পেটকাটি, চাঁদিয়াল-সহ হরেক কিসিমের ঘুড়ি। তেমনই একটা ঘুড়ি উড়িয়ে, ‘শৈশবে’র দিনগুলিতে ফিরে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিন আমদাবাদের শান্তিনিকেতন সোস্যাইটির ছাদে ঘুড়ি ওড়ান শাহ। তিনি আমদাবাদের সাংসদও। সাংসদকে ছাদে উঠে ঘুড়ি ওড়াতে দেখে আশপাশের বাড়ির ছাদে থাকা লোকজন হাত নেড়ে মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা জানান তাঁকে। এদিন শাহের (Amit Shah) সঙ্গে ছাদে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলও। প্রসঙ্গত, ১৪ তারিখ থেকে তিনদিনের গুজরাট সফরে গিয়েছেন শাহ।

    স্মৃতির সাগরে ডুব মোদির

    এদিন স্মৃতির সাগরে ডুব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ‘উত্তরায়ণ’ (মকর সংক্রান্তিকে এই নামেই ডাকা হয় গুজরাটে) এর স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতিতে মকর সংক্রান্তির গুরুত্ব যে কতটা, সেটা সকলে জানেন।” তিনি বলেন, “আমি তো গুজরাটের লোক। আমার প্রিয় উৎসব মকর সংক্রান্তি ছিল। কারণ আজ গুজরাটের সব লোক ছাদেই থাকেন। দিনভর ঘুড়ি ওড়ান। আমি যখন ওখানে থাকতাম, তখন আমারও খুব শখ ছিল।”

    আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    গুজরাটে ঘুড়ি একটা বিরাট ব্যবসা। দেশের ৪০ শতাংশ ঘুড়ি তৈরি হয় এ রাজ্যে। ঘুড়ি ওড়ানোর জন্য মকর সংক্রান্তিতে (Makar Sankranti) ছাদ ভাড়া দেওয়া হয়। ঘুড়ি (Amit Shah) ওড়ানো চলে দুদিন ধরে। আকাশে ঘুড়ির এই মেলা দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

       

  • Balurghat: নদীতে ডুব দিয়ে পুণ্যার্থীরা হাজির হন বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর মেলায়

    Balurghat: নদীতে ডুব দিয়ে পুণ্যার্থীরা হাজির হন বালুরঘাটের গঙ্গাসাগর মেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কুম্ভ মেলায় ভিড়। ভিড় এ রাজ্যের গঙ্গাসাগরেও। পুণ্য স্নান করতে  বালুরঘাটের (Balurghat) অনেক মানুষই যেতে পারছেন না গঙ্গা সাগরে। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতেই বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরে (Ganga Sagar 2025) ভিড় বাড়ছে পুণ্যার্থীদের। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মেলা। এদিন সকালেই আত্রেয়ী নদীতে পুণ্যস্নান করতে দেখা গেল বহু পুণ্যার্থীদের।

    পুণ্য লাভের আশায় ভিড় হয় মেলায়! (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) শহর থেকে খানিক দূরে গঙ্গাসাগর গ্রাম। শুধুমাত্র নামের মাহাত্ম্যেই গঙ্গাসাগর গ্রামে মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কথায় আছে “সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার”  অর্থাৎ গঙ্গাসাগরে একবার পুণ্য স্নান করলে সমস্ত তীর্থের পুণ্য অর্জন হয়। ওই গ্রামে রয়েছে কপিল মুনির আশ্রম। যাকে কেন্দ্র করে বসেছে মেলা। মেলার পাশেই বয়ে গেছে বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদী। সেই নদীতে স্নানের জন্য ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। অনেকেই বলছেন, কুম্ভ মেলা ও গঙ্গাসাগরের মেলায় যেতে না পারলেও  বালুরঘাটের গঙ্গাসাগরেই স্নান করে পুণ্য অর্জন করছেন ভক্তরা। মকর সংক্রান্তির দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরেও পুণ্য স্নান করতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে প্রতিবছর।  কিন্তু আর্থিক কারণে অনেকেই সেই গঙ্গাসাগরে যেতে পারেন না। তাঁরা ভিড় করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের এই মেলায়।

    কপিল মুনির মন্দির কবে গড়ে উঠেছিল?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট (Balurghat) শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে আত্রেয়ী নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত গঙ্গাসাগর গ্রাম। নাম মাহাত্ম্যের কারণে আজ থেকে প্রায় বিয়াল্লিশ বছর আগে গ্রামের বয়স্করা এখানেও গঙ্গাসাগরের মতো কপিল মুনির মন্দির গড়ে তোলার পাশাপাশি চালু করেন মন্দিরের পাশে নদীতে স্নান করে মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতি। ধীরে ধীরে গঙ্গাসাগর গ্রামের এই পুণ্য স্নানের কথা ছড়িয়ে পড়ে জেলা এবং জেলার বাইরে। প্রতিবছর বালুরঘাট সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা এবং জেলা বাইরের বহু মানুষের সমাগম হয়ে থাকে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান করতে। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতিবছর তিনদিনের মেলা বসে গঙ্গাসাগর গ্রামে। তিন দিনব্যাপী চলে মন্দির ঘিরে নাম সংকীর্তন।

    পুণ্যার্থীর বক্তব্য

    মালদা থেকে এই মেলায় এসেছিলেন রতন দাস। তিনি বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে পুণ্য স্নান করতে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। যেহেতু এই জায়গার নাম গঙ্গাসাগর। তাই আমরা বালুরঘাটের (Balurghat) গঙ্গাসাগরে এসে পুণ্য স্নান  করলাম। এইখানে স্নান করলেও পুণ্য হয়। উৎসব কমিটির সদস্য প্রবীর প্রামাণিক জানান, ৪২ বছর ধরে এখানের মকর সংক্রান্তির স্নান হয়ে আসছে। মানুষ বিশ্বাস করে এই গঙ্গাসাগরে স্নান করলে পুণ্য হয়। তাই হাজার হাজার মানুষ  স্নান করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    Bangladeshi Illegal Immigrants: তামিলনাড়ুতে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে আটক করল এটিএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) থেকে ৩১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Illegal Immigrants) আটক করেছে এটিএস। জানা গিয়েছে, তারা পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তামিলনাড়ুর তিরুপুর এবং কোয়েম্বত্তুর জেলার গ্রামীণ এলাকা থেকে এই সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ৫ অগাস্ট থেকে হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তকে অনুপ্রবেশের মুক্তাঞ্চল করে নাশকতামূলক চক্রান্তের ছক কষে জঙ্গি কার্যকলাপকে সক্রিয় করা হচ্ছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞ মহল। 

    পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন অনুপ্রবেশকারীরা (Bangladeshi Illegal Immigrants)

    গোয়েন্দাদের তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, এটিএস-এর মোট ৫টি টিম বিশেষ অভিযান চালিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের (Bangladeshi Illegal Immigrants) গ্রেফতার করেছে। আরও জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েক মাস আগেই এই জঙ্গিরা এই এলাকায় বসবাস শুরু করেছিলেন। তিরুপুর জেলার পাল্লাদাম এলাকা থেকে ২৮ জন এবং বীরপান্ডি এবং নাল্লুর থানায় মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিরুপুরে পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন এই অনুপ্রবেশকারীরা। বাংলাদেশ থেকে এই অনুপ্রবেশকারীরা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত দিয়ে প্রথমে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে, এরপর জাল নথি তৈরি করে আধার কার্ড বানিয়ে তিরুপুরে (Tamil Nadu) চলে যায়। গোটা অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন আনন্দকুমার তিরুপতি এবং এরপর তিনি পাল্লাদম পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘জেলবন্দি পার্থর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন মমতা”, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

    নাশকতামূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা?

    বাংলাদেশের (Bangladeshi Illegal Immigrants) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মহম্মদ হিউনূস ক্ষমতায় বসার পর থেকেই লাগাতার হিন্দু এবং আওয়ামি লিগকে টার্গেট করছে কট্টর মৌলবাদীরা। দেশের একাধিক কারাগার ভেঙে জঙ্গিরা উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে, জামাত শিবির এবং জেএমবির জঙ্গিরাও অতি সক্রিয় উঠেছে। তাঁরা ভারতে ঢুকে নাশকতা মূলক চক্রান্তের পরিকল্পনা করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে এই ভাবে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। ইতিমধ্যে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IIT Baba: মনের শান্তির খোঁজে নিয়েছিলেন সন্ন্যাস! মহাকুম্ভে হাজির ‘আইআইটি বাবা’

    IIT Baba: মনের শান্তির খোঁজে নিয়েছিলেন সন্ন্যাস! মহাকুম্ভে হাজির ‘আইআইটি বাবা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারোটি পূর্ণ কুম্ভের পর প্রয়াগরাজে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা। এই মেলায় সাধারণ সাধুসন্ত থেকে শুরু করে কোটি কোটি পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন। এসেছেন বহু বিদেশি পর্যটকেরাও। মেলা শুরু হতেই দেখা গিয়েছে বহু বাবা। বাবাদের দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে। অনেকে নাগা বাবাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রোষের মুখে পড়ছেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে পড়ছে। এবার মহাকুম্ভে (Maha Kumbha 2025) এই সব বাবাদের মধ্যে নজর কেড়েছে আরও এক বাবা। ‘আইআইটি বাবা’ (IIT Baba)। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ‘আইআইটি বাবা’ জানিয়েছেন, তিনি আইআইটি পাশ করে ভালো চাকরি না করে সাধু বাবা হয়ে গিয়েছেন। আর এই সাক্ষাৎকার নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আইআইটি ইঞ্জিনিয়ারের লক্ষ টাকার চাকরি ছেড়ে সাধুবেশ ধারণ করেছেন তিনি।

    মহাকুম্ভ মেলায় ‘আইআইটি বাবা’ (IIT Baba)

    জানা গিয়েছে, ‘আইআইটি বাবা’-র (IIT Baba) প্রকৃত নাম অভয় সিং। সংসারের মায়া ত্যাগ করে সাধু হওয়ার পর তাঁর নাম হয় মাসানি গোরখ বাবা। প্রথম দিনেই তিনি মহাকুম্ভ মেলায় হাজির হয়েছেন। জানা যাচ্ছে, তিনি আইআইটি থেকে অ্যারোস্পেস এবং অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। তাঁর বাড়ি হরিয়ানা। ইঞ্জিনিয়ার থেকে সন্ন্যাসীতে পরিণত হওয়ার পিছনের গল্পটিও খুব আকর্ষণীয়। তাঁর ইচ্ছা ছিল ফটোগ্রাফি করার। ফটোগ্রাফিতে চাকরির জন্য ডিগ্রির প্রয়োজন ছিল। এমন পরিস্থিতিতে এক বছর কোচিংও পড়িয়েছেন তিনি। বাবার কথায়, তাঁর গল্পটা অনেকটা হিন্দি সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর মতো। সাক্ষাৎকারে বাবা তাঁর জীবনের অনেক গোপন কথা জানান। জীবনের অর্থ খোঁজার জন্য-আধুনিকতাবাদ এবং সক্রেটিস এবং প্লেটোর মতো দার্শনিক ধারণাগুলি নিয়েছিলেন।

    কী বললেন আইআইটি বাবা?

    তিনি বলেন, ‘‘আইআইটি (IIT Baba) মুম্বইয়ে ৪ বছর পড়ার পরে আমি কোচিতে পদার্থবিজ্ঞান পড়িয়েছি। আবেগের কারণে ফটোগ্রাফি শিখেছিলাম। আমি ডিজাইনিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি করেছি। এত কিছু করার পরও কোথাও মন বসছিল না। আমার ভিতরে দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে।” তাঁর কথায়,‘‘আর কী করব। এর পর আমার মনে হল ফটোগ্রাফি করা উচিত। ট্রাভেল ফটোগ্রাফি শুরু করলাম। মনে হচ্ছিল আমি এই স্বপ্নে জীবন যাপন করব। ঘোরাঘুরি করব, সব জায়গায় যাব এবং অনেক মজা করব এবং অর্থ উপার্জনও করব।” বাবাকে যখন প্রশ্ন করা হয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফটোগ্রাফি করে এই অবস্থায় পৌঁছেছেন কীভাবে? এই বিষয়ে বাবা খুব স্পষ্ট করে বললেন, ‘‘এটাই শ্রেষ্ঠ পথ। যা কিছু কর, এখানেই আসতে হবে। আমি এখন বুঝতে পেরেছি যে এটিই আসল জ্ঞান। যদি আপনি মনকে বুঝতে পারেন, তবে আপনি এটি করতে পারেন (আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে)।”

    মুখে হাসি লেগেই রয়েছে বাবার

    ইতিমধ্যেই এই ভিডিও (IIT Baba)  ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়, সেখানে দেখা যাচ্ছে ওই সাধু পরে রয়েছেন গেরুয়া রঙের বস্ত্র। মাথা ভর্তি চুল। গলায় রকমারি পাথরের মালা। এক মুখ দাড়ি। কপালে সাদা ছাই ভস্ম। সঙ্গে লাল তিলক কাটা রয়েছে কপালে। মুখে সদাহাসি লেগেই রয়েছে। নিজেই অকপটে তাঁর জীবন কাহিনী বলে চলেছেন। লক্ষ লক্ষ টাকার চাকরি করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে পারতেন তিনি। সব কিছু ছেড়ে তিনি এই সাধু বেশেই দিব্যি আছেন।

    এবারে ১৩ জানুয়ারি থেকে মহাকুম্ভ মেলা শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুম্ভমেলা চলবে। ১৩ তারিখ পূর্ণ স্নানে প্রায় ৬০ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়েছে। ১৪ তারিখও লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী শাহি স্নানে অংশগ্রহণ করেন। ১৪৪ বছর পর এই মহাকুম্ভ মেলা হচ্ছে। ৪০০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে হয়েছে আয়োজন। যোগী সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধুসন্ত-সহ বছর বছর এই মেলায় কমপক্ষে ৪৫ কোটি মানুষ অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এবারের কুম্ভমেলায় নানা বেশে হাজির হয়েছেন সাধু-সন্তরা।

     

    .দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • 5G Jammer in Jail: বন্দিদের মধ্যে মোবাইলের রমরমা! কেন্দ্রের পরামর্শে রাজ্যের জেলগুলিতে বসছে ৫জি জ্যামার

    5G Jammer in Jail: বন্দিদের মধ্যে মোবাইলের রমরমা! কেন্দ্রের পরামর্শে রাজ্যের জেলগুলিতে বসছে ৫জি জ্যামার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্দিদের মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ঠেকাতে নতুন প্রযুক্তির আধুনিক জ্যামার (5G Jammer in Jail) বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য কারা দফতর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের  (Home Ministry) পরামর্শে রাজ্যের জেলগুলিতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি, রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বাংলাদেশি জঙ্গিদের কার্যকলাপের সন্ধান পাওয়ার পর রাজ্যের কারা ও কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মধ্যে একাধিক বৈঠক হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জেলের ভেতরে মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ বন্ধ করার জন্য অত্যাধুনিক জ্যামার প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়।

    কেন জ্যামার লাগানোর চিন্তা

    রাজ্যের কারা দফতর সূত্রে খবর, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সেখানকার জঙ্গি সংগঠনগুলির কার্যকলাপ সম্পর্কে নির্দিষ্ট খোঁজখবর নেওয়ার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে কিছু বিশেষ পরামর্শ পাঠানো হয় রাজ্যের কাছে। সেই পরামর্শে বলা হয়, জেলের মোবাইল ফোনের ব্যবহার ঠেকাতে নতুন প্রযুক্তির জ্যামার (5G Jammer in Jail) বসাতে হবে। তার পরেই রাজ্যের প্রায় সব জেলে জ্যামার বসানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কারা দফতর। বর্তমানে জেলে যে সব জ্যামার রয়েছে, সেগুলির প্রযুক্তি টু-জি মোবাইল নেটওয়ার্ক আটকানোর জন্য। ফলে পুরোনো জ্যামারে টু-জি ফোনের নেটওয়ার্ক ‘ব্লক’ করা যায়। কিন্তু এখন ফোনে ব্যবহার করা হয় ফোর-জি এবং ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক। ফলে জেলের জ্যামারগুলি সে ভাবে কাজে লাগছে না। সেই পরিস্থিতি সাপেক্ষেই জেলে জ্যামারের ‘প্রযুক্তিগত চরিত্র’ বদলাচ্ছে রাজ্যের কারা দফতর। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয় মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের মহাতীর্থে মিশল ইউরোপ থেকে আমেরিকা

    কীভাবে লাগানো হবে জ্যামার

    প্রসঙ্গত, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের জেলগুলিতে অত্যাধুনিক জ্যামার না থাকায় বাংলাদেশি জঙ্গিরা জেলের ভিতর থেকে নানা নাশকতার ছক কষছে পশ্চিমবঙ্গে। যা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সচেতন হয় রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬০টি জেল রয়েছে। তবে একসঙ্গে সব জেলে জ্যামার বসানো সম্ভব নয়। তাই ধাপে ধাপে এই কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্সি জেল (Presidency Jail) এবং দমদম সেন্ট্রাল জেলে (Dum Dum Central Jail) ‘টাওয়ার হারমোনিয়াস কল ব্লকিং সিস্টেম’ নামের অত্যাধুনিক জ্যামার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রথমে এটি পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে চালু করা হবে। পরে রাজ্যের অন্যান্য জেলেও আধুনিক জ্যামার বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে নতুন প্রযুক্তি চালু হলে সংশ্লিষ্ট জেল এবং তার আশপাশের এলাকায় মোবাইল পরিষেবা ব‍্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট জেলের সরকারি আধিকারিক বা আশপাশের এলাকার কিছু নম্বর যাতে ‘ছাড়’ পায়, তার বন্দোবস্ত আগে থেকে রাখা হবে। তবে তা নির্দিষ্ট কিছু মোবাইল নম্বরের জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela 2025: কুম্ভ মেলার সাত-সতেরো, জানেন আখড়া কী, অমৃত স্নানই বা কী?

    Maha Kumbh Mela 2025: কুম্ভ মেলার সাত-সতেরো, জানেন আখড়া কী, অমৃত স্নানই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গল সংক্রান্তির দিন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অমৃত স্নান (Amrit Snan) সারলেন কয়েক কোটি পুণ্যার্থী (Maha Kumbh Mela 2025)। সোমবারই শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ ২০২৫। প্রথম শাহি স্নান হল মঙ্গলবার, মকর সংক্রান্তির পবিত্র দিনে। প্রতি ১২ বছর অন্তর হয় পূর্ণকুম্ভ। আর ১৪৪ বছর পর হয় মহাকুম্ভ। এবার সেই যোগ।

    সঙ্গমে স্নান

    প্রত্যাশিতভাবেই প্রয়াগরাজে গঙ্গা-যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতীর সঙ্গমে স্নান করবেন লাখ লাখ পুণ্যার্থী। কুম্ভস্নানে মোক্ষ লাভ হয় বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। তাই কুম্ভমেলায় সাধুদের পাশাপাশি ভিড় করেন সাধারণ মানুষও। এঁদের সিংহভাগই পুণ্যার্থী। দর্শনার্থীও ভিড় করেন অনেকে। কুম্ভে আখড়া বসে। মোট ১৩টি আখড়া রয়েছে। এই আখড়াগুলি আবার তিনটি দলে বিভক্ত। এগুলি হল, সন্ন্যাসী (শৈব), বৈরাগী (বৈষ্ণব) এবং উদাসীন। শৈব আখড়াগুলির মধ্যে রয়েছে মহানির্বাণী, আতাল, নিরঞ্জনী, আনন্দ, ভৈরব, আওহান এবং অগ্নিষ। বৈরাগী আখড়াগুলি হল, নির্মোহী, দিগম্বর আনি এবং নির্বাণী আনি। উদাসীন আখড়া দুটি – উদাসীন আখড়া ও নির্মলা আখড়া।

    আখড়ার ভূমিকা

    আসুন, আখড়াগুলির সংগঠন, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং কুম্ভমেলায় তাদের মূল ভূমিকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এই আখাড়াগুলি কুম্ভমেলার (Maha Kumbh Mela 2025) রক্ষক হিসেবে কাজ করে, যেখানে তারা গুরুত্বপূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান পালন করে এবং পবিত্র ঘটনায় অবদান রাখে, যেমন ‘অমৃত স্নান’। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, আখাড়াগুলি হিন্দু ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের মন্দির এবং পবিত্র স্থানগুলি রক্ষায় সহায়ক ছিল। অষ্টম শতাব্দী থেকে বিভিন্ন আখাড়ার সাধুরা প্রয়াগরাজে জমায়েত হচ্ছেন অমৃত স্নান করতে। নবম শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত আখাড়াগুলি একমাসব্যাপী কুম্ভ উৎসবের আয়োজন করত। অমৃত স্নানের ক্রম নির্ধারণ করত। বর্তমানে অমৃত স্নানের ক্রম প্রতিষ্ঠানভুক্ত হয়েছে। তা সত্ত্বেও আখাড়াগুলির এখনও একটি প্রাধান্য রয়েছে।

    আখড়ার গঠন

    আখড়াগুলির শীর্ষে থাকেন একজন মহন্ত বা আচার্য। এঁরা আধ্যাত্মিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বগুলি পালন করেন। আখড়ার মধ্যে বিভিন্ন পদমর্যাদা রয়েছে। এঁদের মধ্যে আখড়ায় উচ্চ পদমর্যাদার সন্ন্যাসী হলেন মহামণ্ডলেশ্বর। তাঁদের প্রভাব এবং কর্তৃত্ব সবচেয়ে বেশি। আখড়াগুলিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় নবাগতদের। যা অত্যন্ত কঠোর। প্রশিক্ষণ পর্বে আধ্যাত্মিক অনুশীলন, ধ্যান, ধর্মগ্রন্থ পাঠ, এবং শারীরিক অনুশীলন যেমন ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় কুস্তি এবং মার্শাল আর্টস অনুশীলন। এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনুসৃত শৃঙ্খলা শারীরিক এবং মানসিক দক্ষতা উভয়ই অর্জন করে, যার লক্ষ্য আধ্যাত্মিকতা অর্জন।

    হিন্দু ধর্মে আখড়ার গুরুত্ব

    হিন্দু ধর্মে আখড়ার বিশাল (Amrit Snan) গুরুত্ব রয়েছে বিভিন্ন কারণে। এগুলি হল—

    প্রথা সংরক্ষণ: আখড়া প্রাচীন আধ্যাত্মিক প্রথা, আচার-অনুষ্ঠান এবং শিক্ষা সংরক্ষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা পবিত্র গ্রন্থ, স্তোত্র এবং অভ্যাসের জ্ঞান এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে পৌঁছে দেয় এবং এভাবে তা সংরক্ষণ করে।

    আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ: এই প্রতিষ্ঠানগুলি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানীদের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিবেশ দেয়। এখানে তারা কঠোর প্রশিক্ষণ নেয়। এগুলি শৃঙ্খলা, ভক্তি এবং আত্ম-আবিষ্কারের বিকাশ ঘটায়। আধ্যাত্মিক আলোকোজ্জ্বলতা অর্জনের উদ্দেশ্যে সদস্যরা কঠোর জীবনযাপন করেন।

    সাংস্কৃতিক রক্ষক: প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান, উৎসব এবং তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আখড়াগুলি হিন্দু সমাজের সাংস্কৃতিক পরিসরে অবদান রাখে। কুম্ভ মেলার মতো অনুষ্ঠানগুলিতে তাদের উপস্থিতি তাদের সাংস্কৃতিক এবং আধ্যাত্মিক নেতৃস্থানীয় ভূমিকা তুলে ধরে।

    যুদ্ধকালীন ঐতিহ্য: ঐতিহাসিকভাবে, আখড়াগুলি যুদ্ধ প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আখড়ার সদস্যদের ধর্মরক্ষা এবং পবিত্র স্থানগুলির সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হত। এই যুদ্ধকালীন ঐতিহ্য এখনও কিছু আখড়ায় দেখা যায়, বিশেষ করে নাগা সাধুরা — যারা তাদের যোদ্ধা-ভাবমূর্তির জন্যই পরিচিত।

    সামাজিক প্রভাব: আখাড়াগুলি সামাজিক এবং দানশীল কর্মকাণ্ডে জড়িত, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং নানা প্রয়োজনে সাহায্য দিয়ে থাকে।

    ‘অমৃত স্নান’ ১৩টি আখড়ার (Maha Kumbh Mela 2025) অংশগ্রহণ দিয়ে শুরু হয়। প্রতিটি আখড়া তাদের ঐতিহ্যবাহী ক্রম এবং নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পবিত্র স্নান সারেন। এই অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে সংগঠিত হয়, যেখানে প্রশাসন সময়সূচি সমন্বয় করে নিশ্চিত করে যে প্রতিষ্ঠিত রীতিনীতি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে (Amrit Snan)।

    কুম্ভমেলায় গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আখড়া হল-

    জুনা আখড়া: এটি ১৩টি আখড়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। জুনা আখড়া শৈবধর্মের দশনামী সাম্প্রদায়ে বিশ্বাসী, যা আদি শংকরাচার্য প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এঁরা ভগবান দত্তাত্রেয়র পুজো করেন। কিন্নর আখড়া (তৃতীয় লিঙ্গ আখাড়া) জুনা আখড়ারই একটি অংশ। জুনা আখড়ার অনুসারীরা প্রধানত শৈব, যাঁরা ভগবান শিবের প্রতি নিবেদিত। এঁদের মধ্যে অনেক নাগাও আছেন। জুনা আখড়া কুম্ভ মেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই আখড়ার সাধুরা তপস্যা ও ত্যাগের জন্য পরিচিত। আখড়াটির একটি সমৃদ্ধশালী আধ্যাত্মিক ও মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণের ঐতিহ্য রয়েছে। এর প্রধান হলেন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অভদেশনন্দ।

    নিরঞ্জনী আখড়া: দ্বিতীয় বৃহত্তম আখড়া হল শ্রী পঞ্চায়েতি নিরঞ্জনী আখড়া। ৯০৪ খ্রিস্টাব্দে গুজরাটে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রতিষ্ঠানে ভক্তরা প্রধানত কার্তিকের পুজো করেন। এই আখড়ায় বহু উচ্চশিক্ষিত সদস্য রয়েছেন। পিএইচডি এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরাও রয়েছেন। এর প্রধান হলেন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর কৈলাশানন্দজি মহারাজ।

    মহানির্বাণী আখড়া (প্রয়াগরাজ): শ্রী পঞ্চায়েতি মহানির্বাণী আখড়ার প্রধান দেবতা হলেন ঋষি কপিলমুনি। ভক্তরা ভৈরব প্রকাশ ভল্লা এবং সূর্য প্রকাশ ভল্লার মতো পবিত্র চিহ্নগুলির পুজো করেন। এগুলি যথাক্রমে সুরক্ষা ও জ্ঞানদানের প্রতীক। এই আখড়ার প্রধান হলেন আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী বিশোকানন্দ।

    আরও পড়ুন: দেশে সত্যিকারের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন, বললেন ভাগবত

    কিন্নর আখড়া: তৃতীয় লিঙ্গ আখড়া একটি অনন্য এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আধ্যাত্মিক সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায় কুম্ভ মেলা এবং অন্যান্য পবিত্র আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। ঐতিহ্যবাহী আখড়াগুলি মূলত পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত হয়। আর কিন্নর আখড়া পরিচালিত হয় তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের দ্বারা। কিন্নর আখড়ার সদস্যরা বিভিন্ন আধ্যাত্মিক চর্চায় অংশগ্রহণ করেন, যেমন আচার, প্রার্থনা, এবং ধ্যান। কুম্ভ মেলা প্রক্রিয়ায় অন্যান্য আখড়ার সঙ্গে তাঁদের অংশগ্রহণ তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের গ্রহণযোগ্যতা এবং পরিচিতির বড় প্রমাণ। কিন্নর আখড়ার উপস্থিতি হিন্দুধর্মের অন্তর্ভুক্তি ও বৈচিত্র্যের একটি শক্তিশালী স্মারক। এটি আধ্যাত্মিক যাত্রায় সমস্ত শ্রেণীর মানুষকে আলিঙ্গন করে (Maha Kumbh Mela 2025)।

    অমৃত স্নান

    কুম্ভে গিয়ে পবিত্র দিনে স্নানকে বলা হত শাহি স্নান। বর্তমানে এই নাম বদলে হয়েছে অমৃত স্নান। শব্দটি চালু করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি নিজে নাথ সম্প্রদায়ের যোগী। হরিদ্বারের মাণসা দেবী মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি মহন্ত পুরী বলেন, ‘‘আমরা সবাই হিন্দি এবং উর্দু ভাষায় কথা বলি। এটা সম্ভব নয় যে আমরা কোনও উর্দু শব্দ বলি না। কিন্তু আমরা ভাবলাম যে যখন আমাদের দেবতাদের কথা আসে, তখন আমাদের চেষ্টা করা উচিত সংস্কৃত ভাষায় নাম রাখা বা ‘সনাতনী’ নাম দেওয়ার। সেই কারণেই শাহি স্নান হয়েছে অমৃত স্নান (Amrit Snan)। আমাদের উদ্দেশ্য, হিন্দু বনাম মুসলিম করা নয় (Maha Kumbh Mela 2025)।’’ প্রসঙ্গত, এবছর অমৃত স্নানের যোগ রয়েছে পাঁচটি। এগুলি হল, ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি, ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা, ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘি পূর্ণিমা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh Mela 2025: বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয় মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের মহাতীর্থে মিশল ইউরোপ থেকে আমেরিকা

    Maha Kumbh Mela 2025: বিশ্বের আধ্যাত্মিক হৃদয় মহাকুম্ভ, প্রয়াগরাজের মহাতীর্থে মিশল ইউরোপ থেকে আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলছে মহাকুম্ভে (Maha Kumbh Mela 2025) মহাযজ্ঞ। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে সোমবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মহাকুম্ভ। সেখানে একত্রিত হয়েছেন পুণ্যার্থীরা। কোটি কোটি ভক্তের আরাধনায় ত্রিবেণী তীর্থ এখন ভারত তীর্থ। যেখানে মিলে-মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে স্পেন, ব্রাজিল, ইটালি, পর্তুগাল, জাপান। সকলের কাছেই “মেরা ভারত মহান”। কুম্ভমেলার আয়োজন, আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া সর্বোপরি উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই মহান যজ্ঞের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনায় মুগ্ধ সকলে। শুধু ধর্মীয় ভাবাবেগের জন্য নয়, যাঁরা পর্যটনের টানে ভারতে এসেছেন, তাঁদের কাছেও মহাকুম্ভ এক অন্য আবেগ। তাঁদের কথায়, এখানেই ভারতের আসল রূপ দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা।

    বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সমাবেশ

    কুম্ভ মেলা (Maha Kumbh Mela 2025) হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সমাবেশ। যা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, বলে দাবি এক বিদেশিনীর। এক রাশিয়ান মহিলার কথায়, “‘মেরা ভারত মহান’… ভারত একটি মহান দেশ। আমরা এখানে কুম্ভ মেলায় প্রথমবার এসেছি। এখানে আমরা আসল ভারত দেখতে পাচ্ছি – ভারতীয় মানুষের মধ্যে সত্যিকারের শক্তি আছে। এই পবিত্র স্থানে মানুষের পরিবেশে আমি শিহরিত। আমি ভারতকে ভালোবাসি।”

    দক্ষিণ আফ্রিকার এক ভক্তও ভারতের সংস্কৃতি ও মানুষের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “এখানে রাস্তা পরিষ্কার, প্রত্যেকেই একে অপরের বন্ধু। হাজার হাজার তীর্থযাত্রী এখানে আছেন এবং আমরা তাদের সান্নিধ্য উপভোগ করছি। আমরা সনাতন ধর্ম পালন করি এবং এভাবেই মহাকুম্ভের এই শৃঙ্খলিত আয়োজনকে ভালোবাসি।”

    ভারতীয় সংস্কৃতির শক্তি

    অ্যারিজোনার সাধ্বী ভাগবতী সরস্বতী, ৩০ বছর ধরে ঋষিকেশের পারমার্থ নিকেতনে বসবাস করছেন। মহাকুম্ভে (Maha Kumbh Mela 2025) যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “এটি শুধু সঙ্গমে পুণ্যস্নান নয়। এটি মানুষের বিশ্বাস এবং ভক্তির মধ্যে এক পবিত্র স্নান। এটি ভারতীয় সংস্কৃতির শক্তি এবং মহানতার উদাহরণ… এটি কোনও রক কনসার্ট বা ক্রীড়া ইভেন্ট নয়। এত বড় সংখ্যায় মানুষ কেন একত্রিত হয়েছে? তাদের বিশ্বাসের জন্য, তাদের ভক্তির জন্য।”

    সুন্দর আয়োজন

    পোল্যান্ড থেকে এসেছেন ক্লদিয়া নামে এক পর্যটক। তিনি বলেন, “এটা খুবই স্পেশাল। এর আগে কখনও আমি এমন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারিনি।” দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন থেকে আগত এক পুণ্যার্থী বলেন, “এটা কী সুন্দর! রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এখানকার মানুষও কী সহজে আপন করে নেন। তাঁরা কত সুখী! আমরা সনাতন ধর্ম মেনে চলি।”

    আবার হোসে এক স্প্যানিশ পুণ্যার্থী বলেন যে, “এখানে আমাদের প্রচুর বন্ধু রয়েছেন। তাঁরা স্পেন, ব্রাজিল, পর্তুগাল থেকে এসেছেন। আমরা তীর্থযাত্রায় এসেছি। আমি পুণ্যস্নান করেছি। খুবই উপভোগ করেছি। আমি খুবই সৌভাগ্যবান।” 

    মহাকুম্ভে ব্যবস্থাপনা 

    সোমবার থেকে শুরু হওয়া মহাকুম্ভ (Maha Kumbh Mela 2025) চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। হবে ৬টি পুণ্যস্নান। ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর তকমা পাওয়া কুম্ভমেলাকে ঘিরে সাজসাজ রব। প্রয়াগে গঙ্গা, যমুনা আর পৌরাণিক সরস্বতীর সঙ্গমতটে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিকে ২৪টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার সিসি ক্যামেরা বসিয়ে চলছে নজরদারি। মহাকুম্ভে দেড় লক্ষ তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২ কিলোমিটার অস্থায়ী ঘাট তৈরি করা হয়েছে। যেখানে মানুষ স্নান করবেন। ৪০০ কিলোমিটার অস্থায়ী পায়ে চলার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। ২ লক্ষ ৬৯ হাজার বর্গমিটার এলাকা এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে মানুষের চলার ক্ষেত্রে কোনওরকম সমস্যা না হয়। এছাড়াও থাকছে আরও ব্যবস্থাপনা। ৩০টি অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হয়েছে। ২০১টি রাস্তা, অলি-গলি চওড়া করা হয়েছে। ১৮০০ হেক্টর জমির উপর পার্কিং তৈরি করা হয়েছে। মহাকুম্ভে আসা পুণ্যার্থীদের জন্য দেড় লক্ষ অস্থায়ী শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। মহিলাদের জন্য ১৪৪টি চেঞ্জিং রুম তৈরি করা হয়েছে। ২৫ হাজার ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৫ হাজার সাফাই কর্মী টানা ৪৫ দিন কাজ করবেন। ৬৯ হাজার এলইডি সোলার লাইট লাগানো হয়েছে। এ সব কিছুই মুগ্ধ করেছে বিদেশিদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share