Tag: Madhyom

Madhyom

  • India Pakistan Relation: হাতে মার, ভাতে মার! বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানকে জোড়া ফলায় বিদ্ধ করতে উদ্যোগী ভারত

    India Pakistan Relation: হাতে মার, ভাতে মার! বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তানকে জোড়া ফলায় বিদ্ধ করতে উদ্যোগী ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওকাণ্ডের (Pahalgam Attack) জেরে আস্তিন গুটোচ্ছে ভারত (India Pakistan Relation)। একদিকে যেমন যুদ্ধ যুদ্ধ ‘সাজ’ চলছে, তেমনি অন্যদিকে, পাকিস্তানকে ভাতে মারতে চাইছে নয়াদিল্লি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জোড়া ফলায় বিদ্ধ হলে ঘুরে দাঁড়ানোর মতো শক্তিই পাবে না পাকিস্তান। ভারত যে যুদ্ধে বিশ্বাসী নয়, তা নানা সময় বিভিন্নভাবে বলতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তবে পহেলগাঁওকাণ্ডের পরে সেনাকে তিনি ফ্রিহ্যান্ড খেলতে দিয়ে দিয়েছেন বলেও খবর। তার পরেই সীমান্তে শুরু হয়েছে সেনা তৎপরতা। যার জেরে যুদ্ধের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান।

    গ্রে লিস্টেড করার চেষ্টা (India Pakistan Relation)

    এর পাশাপাশি, আরও একটি কাজ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেটি হল পাকিস্তানকে ফের ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর গ্রে লিস্টেড করার চেষ্টা। বিশ্বব্যাপী অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হল এফএটিএফ। পাকিস্তানকে ওই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে ইতিমধ্যেই এফএটিএফের সদস্য দেশগুলির সমর্থন জোগাড় করছে ভারত। ২০১৮ সালের জুন মাসে ওই তালিকার গ্রে লিস্টে বা ধূসর তালিকায় ঠাঁই হয় পাকিস্তানের। অনেক কাকুতি-মিনতি এবং টালবাহানার পর সেই তালিকা থেকে পাকিস্তানের নাম বাদ যায় ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। গ্রে লিস্টেড হওয়ায় ওই পর্বে পাকিস্তানে বিদেশি বিনিয়োগ এবং অর্থ সংগ্রহে বড় রকমের প্রভাব পড়েছিল। কারণ কোনও দেশ যদি গ্রে লিস্টেড হয়, তাহলে সেই দেশের বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রভাবিত হয়।

    গ্রে লিস্টেড করার প্রক্রিয়া

    কোনও দেশকে এফএটিএফের গ্রে লিস্টেড করতে হলে প্রথমে প্রয়োজন হয় একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবের। এই প্রস্তাব আবার সদস্য দেশগুলির দ্বারা অনুমোদিত হতে হয়। এফএটিএফের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল মঞ্চ প্লেনারি বসে বছরে তিনবার – ফেব্রুয়ারি, জুন এবং অক্টোবর মাসে। তাই আসন্ন প্লেনারিতে ভারতকে এই প্রস্তাব (Pahalgam Attack) উত্থাপিত করতে হলে জোগাড় করতে হবে সদস্য দেশগুলির সিংহভাগের সমর্থন (India Pakistan Relation)। পাকিস্তানকে গ্রে লিস্টেড করতে গিয়ে ভারতকে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। কারণ পহেলগাঁওকাণ্ডের পর আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপিয়ান কমিশন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি-সহ ২৩টি দেশ ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে। তারা সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে সহমত পোষণ করেছে ভারতের সঙ্গে।

    এফএটিএফের সদস্য ভারত

    ভারত এফএটিএফ এবং এশিয়া পেসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি)-র সদস্য। আর পাকিস্তান শুধুই এপিজির সদস্য। তাই পাকিস্তানকে এফএটিএফের তালিকাভুক্ত করা ভারতের পক্ষে খুব একটা কঠিন কাজ হবে না। এফএটিএফের ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের রিপোর্টে কাশ্মীরে ইসলামিক স্টেট ও আল কায়েদা ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলির সক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ভারতের সন্ত্রাস সংক্রান্ত ঝুঁকিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল (India Pakistan Relation)। এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে অর্থ পাচার, সন্ত্রাসে অর্থায়ন, আইনি কাঠামো, পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংক্রান্ত নির্দেশিকাও। এফএটিএফের এই রিপোর্টগুলি সদস্য রাষ্ট্রগুলির পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং এতে প্রতিটি দেশের আর্থিক ব্যবস্থার শক্তি ও দুর্বলতা চিহ্নিত করা হয়। ২৬/১১-য় মুম্বই হামলার সময়ও সক্রিয় হয়েছিল (Pahalgam Attack) আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF)। তার জেরে এফএটিএফের চাপে পাকিস্তান মুম্বইয়ের ওই হামলায় কয়েকজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছিল। ভারতের সাফ কথা, পাকিস্তানকে এফএটিএফের নজরদারি থেকে মুক্ত থাকতে হলে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসের অর্থ জোগান বন্ধে বিশ্বাসযোগ্য, যাচাইযোগ্য, অপরিবর্তনীয় এবং স্থায়ী পদক্ষেপ করতে হবে।

    আইএমএফেরও দ্বারস্থ হচ্ছে ভারত

    এফএটিএফের গ্রে লিস্টেড করতে চেষ্টা করার পাশাপাশি আরও একটি পদক্ষেপ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। পাকিস্তানকে ভাতে মারতে আইএমএফেরও দ্বারস্থ হচ্ছে ভারত। ভারত ২০২৪ সালের (India Pakistan Relation) জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রকল্পে আপত্তি জানাতে চলেছে। এই প্রকল্প চলবে ৩৭ মাস ধরে। মোট ছ’টি রিভিউ মিটিং হয়, যার ভিত্তিতে পরবর্তী কিস্তি মঞ্জুর করা হয়। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান এই টাকা সন্ত্রাসবাদ ও অবৈধ কাজে ব্যবহার করছে। তাই মে মাসে আইএমএফের বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি তুলতে চলেছে ভারত।

    প্রসঙ্গত, আগামী ৯ মে আইএমএফ বোর্ড জলবায়ু সহনশীলতা ঋণ কর্মসূচির অধীনে পাকিস্তানের জন্য ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নয়া ঋণ পরিকল্পনা মূল্যায়ন করবে। এছাড়াও, বর্তমানে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক সাহায্য প্যাকেজ এবং নীতি সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির (Pahalgam Attack) অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। সূত্রের খবর, এই ঋণ অনুমোদনের সময় বোর্ড সভায় প্রতিবেশী দেশটির সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনের বিষয়টি তুলে ধরবে ভারত। সেটা হলে পাকিস্তানের পক্ষে ঋণ পাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের (India Pakistan Relation)।

  • North Frontier Railway: কাশ্মীর পরবর্তী অধ্যায়ে জোর! বাংলাদেশ সীমান্তে রেলের সম্পত্তি রক্ষায় যৌথ টহল শুরু

    North Frontier Railway: কাশ্মীর পরবর্তী অধ্যায়ে জোর! বাংলাদেশ সীমান্তে রেলের সম্পত্তি রক্ষায় যৌথ টহল শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সরকার বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করেছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) যৌথভাবে সীমান্ত এলাকায় টহল শুরু করেছে। সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার এবং রেলওয়ে সম্পদ ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে (North Frontier Railway)। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেল সুরক্ষা বাহিনী (RPF), রেল পুলিশ (GRP) এবং বিএসএফ-এর (BSF) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমান্তের নিকটবর্তী সংবেদনশীল অঞ্চলগুলিতে যৌথ টহল কর্মসূচি চলছে। এই অভিযানের লক্ষ্য হল নজরদারি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক সীমানার কাছাকাছি রেললাইনের সামনে যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করা।

    কেন এই পদক্ষেপ

    পহেলগাঁওয়ে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যার পর সতর্ক বিএসএফ। এরপরই উত্তর-পূর্ব ভারত ও পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা এলাকায় রেল সম্পত্তির সুরক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী নজরদারি জোরদার করেছে। জাতীয় স্বার্থ এবং যাত্রী নিরাপত্তা রক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের (North Frontier Railway) রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) সরকারি রেল পুলিশ (জিআরপি) এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে যৌথ টহল কার্যক্রম চালায়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অধীনস্থ বিভিন্ন ডিভিশনে এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন সেক্টর গুলিতে এক বিশেষ যৌথ টহল পরিচালন করা হয়। এই যৌথ অভিযানগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল সীমান্তবর্তী রেলপথে নজরদারি বৃদ্ধি ও কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা প্রতিরোধ। এনএফআরের বিভিন্ন বিভাগে এই যৌথ টহল পরিচালিত হয়, বিশেষভাবে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলিতে জোর দেওয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলো আন্তঃবাহিনী সমন্বয় এবং সতর্কতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।

    রেল সুরক্ষায় জোর

    এনএফআর এর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, রেলপথের অবকাঠামো তদারকি করা হচ্ছে, যাতে কোনো ধরনের চুরি, ভাঙচুর, অবৈধ অনুপ্রবেশ বা অন্য কোনো ঝুঁকি এড়ানো যায়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে রেল সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রস্তুতিরও মূল্যায়ন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, সীমান্তবর্তী এই এলাকা দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের অবৈধ যাতায়াতের রুট হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে বলে দাবি সরকারের। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে বাংলাদেশি নাগরিকদের বেআইনি প্রবেশের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। এমনকি বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে কিছু ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন ধরেই এই সীমান্ত এলাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনুপ্রবেশের একাধিক পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত ঘেঁষা রেলপথে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে নজরদারি বাড়ানো জরুরি হয়ে ওঠে।

    কোথায় কোথায় টহল

    এনএফআরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (সিপিআরও) কপিঞ্জল কিশোর শর্মা বলেন যে এই উদ্যোগের একটি প্রধান অংশ ছিল লামডিং বিভাগের বদরপুর (দক্ষিণ অসম) রেল স্টেশনে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরীক্ষা করা। নিরাপত্তা কর্মীরা স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং আশেপাশের এলাকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিদর্শন করেছেন যাতে কোনও অননুমোদিত কার্যকলাপ শনাক্ত করা যায় এবং প্রতিরোধ করা যায়, যার ফলে ভ্রমণকারী জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মহড়ায়, লামডিং ডিভিশনের শিলচর এবং কাটাখাল বিভাগের মধ্যে একটি যৌথ মোটর ট্রলি পরিদর্শন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আলিপুরদুয়ার ডিভিশন নিউ ময়নাগুড়ি থেকে নিউ দোমোহনী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যৌথ পায়ে হেঁটে টহল দিচ্ছে যৌথবাহিনী। একইভাবে, কাটিহার ডিভিশনে, হলদিবাড়ি জিরো পয়েন্ট থেকে হলদিবাড়ি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত যৌথ পায়ে আগেই টহল দেওয়া হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সীমান্তের খুব কাছাকাছি অবস্থিত এই অঞ্চল। এর ফলে এখানে নিরাপত্তার উপর জোর দিতে হয়।

    জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় অগ্রণী রেল

    সিপিআরও-এর মতে, এই সক্রিয় যৌথ উদ্যোগগুলি জাতীয় স্বার্থ রক্ষার প্রতি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অটল প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। যৌথ টহল কেবল রেল কর্মী এবং যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতিই বৃদ্ধি করেনি, বরং বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবেও কাজ করেছে। শর্মা বলেন, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে রেল নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিতে অটল এবং এই অঞ্চল জুড়ে যাত্রী, সম্পদ এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার জন্য আরপিএফ, জিআরপি এবং বিএসএফের সাথে একযোগে কাজ চালিয়ে যাবে। এনএফআর উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের সাতটি জেলা এবং উত্তর বিহারের পাঁচটি জেলায় কাজ করে।

  • Vizhinjam Seaport: “নতুন যুগের উন্নয়নের প্রতীক”, কেরলের ভিজিনজাম সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন করলেন মোদি

    Vizhinjam Seaport: “নতুন যুগের উন্নয়নের প্রতীক”, কেরলের ভিজিনজাম সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহেই শুক্রবার কেরলের ভিজিনজাম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর (Vizhinjam International Seaport) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার কেরলের তিরুবনন্তপুরমে ভারতের প্রথম ট্রান্সশিপমেন্ট হাব ‘ভিজিনজাম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর’-এর আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মোদি। প্রকল্পটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ৮৮৬৭ কোটি টাকা। এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি এবং তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। এই বন্দর উদ্বোধনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিপিং ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

    বিকশিত ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ

    পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় ভারতের বৃহত্তম বন্দর (Vizhinjam Seaport) উন্নয়ন সংস্থা আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড (APSEZ), এই প্রকল্পটি গড়ে তুলেছে। যার দুই-তৃতীয়াংশ খরচ বহন করেছে কেরল সরকার। এই প্রকল্পকে রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লগ্নি বলে বর্ণনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। বন্দরটি ২০২৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বাণিজ্যিক কমিশনিং সার্টিফিকেট পায়। সমুদ্রবন্দরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেরলে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বন্দরটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুক্রবার সকাল ১০.৩০ টায় শুরু হয়। আদানি গ্রুপের অধীনস্থ আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড (APSEZ) এই প্রকল্পটি নির্মাণ করেছে, যা দেশের বন্দর পরিকাঠামোয় এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই বন্দর উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভিজিনজাম কেবল একটি বন্দর নয়, এটি ভারতের বিকশিত ভারত লক্ষ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।” কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন এই দিনকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করে, প্রধানমন্ত্রী ও আদানি গ্রুপকে অভিনন্দন জানান।

    বিশেষত্ব ও কৌশলগত গুরুত্ব

    ভিজিনজাম বন্দরটি (Vizhinjam Seaport) আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট থেকে মাত্র ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত। এই কৌশলগত অবস্থান বড় বড় কার্গো জাহাজগুলোর জন্য একে আদর্শ গন্তব্যে পরিণত করেছে। এতদিন ভারতের প্রায় ৭৫ শতাংশ ট্রান্সশিপমেন্ট কন্টেইনার শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে হ্যান্ডেল হতো। এখন এই নির্ভরতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বন্দরের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এটি দেশের সবচেয়ে গভীর এবং শক্তিশালী ব্রেকওয়াটার, যা প্রায় ৩ কিলোমিটার লম্বা এবং ২৮ মিটার গভীর। এটি খারাপ আবহাওয়াতেও ধারাবাহিক অপারেশন নিশ্চিত করবে।

    প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

    ভিজিনজাম হবে দেশের প্রথম আধা-স্বয়ংক্রিয় বন্দর, যেখানে থাকবে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ইয়ার্ড ক্রেন এবং রিমোট-অপারেটেড শিপ-টু-শোর ক্রেন। এর পাশাপাশি, এটি ভারতের প্রথম ঘরোয়া প্রযুক্তিতে তৈরি এআই-চালিত ভেসেল ট্র্যাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (VTMS) ব্যবহার করবে, যা আইআইটি মাদ্রাজের সহায়তায় তৈরি হয়েছে। এই বন্দর ইতিমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম শিপিং কোম্পানি এমএসসি-এর ‘জেড সার্ভিসের’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যা ইউরোপ ও এশিয়াকে আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপ-এর মাধ্যমে সংযুক্ত করে। ২০২৮ সালের মধ্যে বন্দরের বার্ষিক ক্ষমতা ৩০ লক্ষ টিইইউ-তে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর জন্য প্রায় ১০,০০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে আদানি পোর্টস দেবে।

    প্রাচীনকাল থেকেই এই বন্দরের গুরুত্ব

    তথ্য বলছে, প্রাচীন আমল থেকেই কেরলের ভিজিনজাম বন্দর (Vizhinjam Seaport) সমুদ্রপথে বাণিজ্যের একটি বড় কেন্দ্র ছিল। একটা সময় ত্রিবঙ্কুরের রাজ্যের বাণিজ্য হত এই সমুদ্রবন্দর ধরে। বিশ্বের সঙ্গে কেরলকে সংযুক্ত করেছিল এই বন্দর। জানা যায়, এই জায়গার ভৌগলিক অবস্থান গ্রিক, রোম, আরব, চিনের সঙ্গে প্রাচীন যুগে কেরলকে সংযুক্ত করত। তার দ্বারা খাদ্যাভ্যাসগত, আর্কিটেকচার-গত, সংস্কৃতিগত আদানপ্রদানও চলত। ইতিহাস বলছে, এই সমুদ্র বন্দর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগেও ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। কেরলের মশলার বাণিজ্যে থাবা বসাতে এই বন্দরেই আসত বহু ডাচ, পর্তুগিজ, ব্রিটিশ বাণিজ্য জাহাজ। এই বন্দেরর ভৌগলিক অবস্থান ভারতকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব দিচ্ছে। গভীর জলের বন্দর হিসাবে এই বন্দর অত্যন্ত সহায়তা করবে দেশকে, বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    ভারতের সুবিধা

    এতদিন পর্যন্ত ভারতের ৭৫ শতাংশ ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’র কন্টেনার শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দর দ্বারা পরিচালিত হত। যার ফলে একটা মোটা অঙ্কের ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ’ ও রাজস্বের ক্ষতি হত। মনে করা হচ্ছে, দেশের সেই অসুবিধার জায়গাটি কাটিয়ে দেবে ভিজিনজাম। এটি গভীর জলের বন্দর হওয়ায় বড় কার্গো জাহাজ নোঙর করার ক্ষেত্রে এটি লাভদায়ক ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বন্দরটি এখন কিংডাও, সাংহাই, বুসান এবং সিঙ্গাপুরের মতো বিশ্বব্যাপী তাবড় বাণিজ্য কেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবে। মনে করা হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার জলপথ বাণিজ্যের রুটে ভিজিনজাম একটি তাবড় হাব হতে চলেছে। এই বন্দরকে মাল্টি মডেল হাব হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। ফলত, এরসঙ্গে ন্যাশনাল হাইওয়ে ৬৬-র যোগ রয়েছে। যা দেশের বাণিজ্যকে শক্তিশালী করতে সক্ষম। খুব শীঘ্রই এই বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগেরও নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে খবর।

  • Post Poll Violence: আজ ২ মে, ভোট পরবর্তী হিংসার ৪ বছর, নিহতদের শ্রদ্ধা জানাল বিজেপি

    Post Poll Violence: আজ ২ মে, ভোট পরবর্তী হিংসার ৪ বছর, নিহতদের শ্রদ্ধা জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২ মে। ২০২১ সালে এই দিনেই পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল (Post Poll Violence)। নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসতে দেখা যায় রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দল হয় বিজেপি। এর পরেই শুরু হয় হিংসা। রাজ্যজুড়ে আক্রান্ত হতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। খুন অনেক অনেক বিজেপি কর্মী। চলতে থাকে বাড়ি লুট ও ভাঙচুর। নিজেদের জীবন বাঁচাতে অজস্র বিজেপি কর্মীকে আশ্রয় নিতে হয় ভিনরাজ্যে। এদিন ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহতদের উদ্দেশে সমাজমাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বেলেঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী।

    ১ লক্ষের বেশি কর্মী ঘর ছাড়া হয়েছিলেন (Post Poll Violence)

    বিজেপির দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় ২৫ হাজার কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। ১ লক্ষের বেশি কর্মী ঘর ছাড়া হয়েছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মীরা ১২ হাজার অভিযোগ পুলিশে জানালেও তদন্ত করেনি পুলিশ। কোনও ক্ষতিপূরণ দেয়নি রাজ্য। এরপরেই এনিয়ে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই তদন্তের (Post Poll Violence) নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। খুন-ধর্ষণের মামলাগুলি যায় সিবিআইয়েরের কাছে। এরফলে গ্রেফতার করা হয় ৪০০ তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাকে।

    ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহতদের তালিকা

    বিজেপির তরফ থেকে একটি তালিকা সামনে এসেছে। যার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘‘২০২১ সালের নির্বাচন, যাঁদেরকে কেড়ে নিল আমাদের থেকে।’’

    ওই তালিকায় অনুযায়ী—

    ২০২১ সালে ২ মে বেলেঘাটাতে খুন হন বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার

    কোচবিহারে সিতাইতে ২০২১ সালে ৩০ মে খুন হন অনিল বর্মন

    ফলতাতে ২০১৬ সালের ১৬ মে হত্যা করা হয় বিজেপি কর্মী অরিন্দম মিদ্দে

    ইন্দাসের বিজেপি কর্মী অরূপ রুইদাসকে ২০২১ সালের ৪ মে হত্যা করা হয়

    সন্দেশখালির বিজেপি কর্মী আস্তিক দাসকে হত্যা করা হয় ১০ মে ২০২১

    কাটোয়ার কেতুগ্রামের বিজেপি কর্মী বলরাম মাঝিকে হত্যা করা হয় ৫ মে ২০২১

    রায়নার ভাদুদাসকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৫ মে

    ভগবানপুরের ভাস্কর বেরা কে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর

    চন্ডিপুরের চন্দন মাইতিকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর

    বিজেপির মহিলা কর্মীর চন্দনা হালদারকে সাতগাছিয়াতে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২ জুলাই

    নন্দীগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয় ২০২১ সালের ১৩ মে

    মেদিনীপুর পুরের বিজেপি কর্মী দেবাশীষ শীলকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর

    উত্তর দিনাজপুর জেলার কোচবিহার রায়গঞ্জের বিজেপি কর্মী দেবেশ বর্মনকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২০ জুলাই

    চাপড়ার বিজেপি কর্মী ধর্ম মন্ডলকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ১৬ মে

    শীতলকুচির বিজেপি কর্মীর ধীরেন বর্মনকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৪ মে

    রায়নায় মহিলা বিজেপি কর্মী দুর্গাবালা বাঘকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৩ মে।

    বোলপুরের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালে ২ মে

    কোচবিহারের দিনহাটার বিজেপি কর্মী হারাধন রায়কে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৪ মে

    সোনারপুরের বিজেপি কর্মী হারান অধিকারীকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালে ২ মেয়ে

    ভাটপাড়ার বিজেপি কর্মী জয়প্রকাশ যাদবকে খুন করা হয় ২০২১ সালের ৬ জুন

    বারাসাতের মহিলা বিজেপি কর্মী জোৎস্না মল্লিককে খুন করা হয় ২০২১ সালের ১২ মে

    ঝাড়গ্রামের বিজেপি কর্মী কিশোর মান্ডিকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৫ মে

    কোতুলপুরের বিজেপি কর্মী কুশ ক্ষেত্রপালকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৬ মে

    মগরাহাটের বিজেপি কর্মী মানস সাহাকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর

    বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপি কর্মী মিঠুন বাগকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ১২ জুন

    ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর ইটাহারে খুন হন বিজেপি কর্মী মিঠুন ঘোষ

    ২০২১ সালের ৬ অগাস্ট বারাসাতে খুন হন বিজেপি কর্মী মহম্মদ আলী

    নলহাটির বিজেপি কর্মী মনোজ জয়সওয়াল খুন হন ২০২১ সালের ৭ মে

    সোনারপুর উত্তরের বিজেপি কর্মী নির্মল মন্ডল খুন হন ২০২১ সালের ২০ মে

    রাজারহাটের বিজেপি কর্মী প্রসেনজিৎ দাস খুন হন ২০২১ সালের ২৩ মে

    হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপি কর্মী প্রতাপ মন্ডলকে খুন করা হয় ২০২১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর

    ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি কর্মী রাজু সামন্তকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৯ মে

    আমডাঙার বিজেপি কর্মী রঞ্জিত দাসকে হত্যা করা হয় ১১ মে ২০২১

    কাকদ্বীপের বিজেপি কর্মী সমরেশ পালকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৫ জুলাই

    নৈহাটির বিজেপি কর্মী সন্তু মন্ডলকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৫ মে

    ভাতারের বিজেপি বিজেপি কর্মী শ্রম হাঁসদাকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২১ মে

    সিতাইয়ের বিজেপি কর্মী শ্রীধর দাসকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২৩ জুন

    মগরাহাটের বিজেপি কর্মীর সৌরভ বরকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ৩ মে

    জগদ্দল এর বিজেপি কর্মী শোভারানী মন্ডল মারা যান ২০২১ সালের ৩ মে

    চাকদহের বিজেপি কর্মী উত্তম ঘোষকে হত্যা করা হয় ২০২১ সালের ২ মে

  • ECI: নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতে বিরাট উদ্যোগ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের, তিন সংস্কারের ঘোষণা

    ECI: নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতে বিরাট উদ্যোগ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের, তিন সংস্কারের ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতে চেষ্টার কসুর করছে না ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। নির্বাচনী ত্রুটি রুখতে এবার তারা তিনটি সাহসী সংস্কারের পদক্ষেপ (Fake Voters) করল। এর মধ্যে রয়েছে অপ্রচলিত ভোটার তালিকা, বিএলও-র বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব এবং বুথ পর্যায়ে ভোটারদের বিভ্রান্তি দূর করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তিন সংস্কার বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে নির্বাচন পরিচালনার পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটাবে।

    নির্বাচন কমিশনের বৈঠক (ECI)

    চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের নির্দেশনায় এবং নির্বাচন কমিশনার ড. সুখবীর সিং সান্ধু ও ড. বিবেক জোশীর উপস্থিতিতে প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকদের উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনার পর এই তিন সাহসী উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে একটি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কমিশনের এই উদ্যোগ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    সংস্কার-১: মৃতদের নাম বাদ

    ভারতের ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হল রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছ থেকে মৃত্যু নথিভুক্তকরণের ডেটা ইলেকট্রনিকভাবে সংগ্রহ করা। দশকের পর দশক ধরে ভারতের ভোটার তালিকায় “ভুতুড়ে ভোটার” নামে পরিচিত মৃত ব্যক্তির নাম থাকায় তালিকাগুলি দীর্ঘায়িত হত। এতে সৃষ্টি হত প্রতারণা ও জালিয়াতির সুযোগ। ১৯৬০ সালের নির্বাচকদের (ECI) নিবন্ধন বিধির রুল ৯ এবং ১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের সংশোধিত ধারা ৩(৫)(বি)-র আইনি ভিত্তিতে এই সংস্কার বাস্তবায়িত হচ্ছে। এখন থেকে আরজিআই সরাসরি মৃত্যুর ডেটা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে শেয়ার করবে। এই স্বয়ংক্রিয় ডেটা প্রবাহের মাধ্যমে (Fake Voters) ইলেকট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা তৃতীয় পক্ষের তথ্য বা জটিল ফর্ম ৭ প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা না করেই সক্রিয়ভাবে মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কাজ শুরু করতে পারবেন। তবে, যে কোনও ভুল অপসারণ এড়াতে বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও) ফিল্ডে গিয়ে যাচাই করবেন, যা স্বয়ংক্রিয়তা ও ফিল্ড-পর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে বৈধতা নিশ্চিত করবে। এই উদ্যোগটি আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলেই আশা করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনকে মসৃণভাবে গতি ও নির্ভুলভাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করতে সাহায্য করবে।

    সংস্কার-২: ফটো পরিচয়পত্র দেওয়ার নির্দেশ

    স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যাতে ভোটারদের আস্থার ভিত মজবুত হয়, তাই একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে নির্বাচন কমিশন সব বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-কে একটি অভিন্ন, জাল-প্রতিরোধী ফটো পরিচয়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই আইডি কার্ডটি দরজায় দরজায় ভোটার সংযোগ কার্যক্রমের সময় অনায়াসেই শনাক্তকরণের জন্য (Fake Voters) ডিজাইন করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্ব (ECI) আইন, ১৯৫০-এর ধারা ১৩বি(২) অনুযায়ী, নিয়োগপ্রাপ্ত বিএলওরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মেরুদণ্ড এবং স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে। তবে, যথার্থ পরিচয়পত্রের অভাবে অনেক ভোটারই বাড়ি বাড়ি যাচাইয়ের সময় প্রকৃত তথ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। কখনও কখনও সন্দেহও প্রকাশ করেন। তাই অনেক সময় এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা যায় না। নয়া এই নির্দেশিকার মাধ্যমে বিএলওরা এখন সহজে শনাক্তযোগ্য, পেশাদার ও দায়িত্বশীল হবেন। এতে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে এবং নাগরিকদেরকে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগে সক্ষম করে তুলবে। এই সংস্কার বিশেষত গ্রামীণ ও আধা-শহরাঞ্চলে প্রাসঙ্গিক, যেখানে অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল কর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক প্রায়ই অস্পষ্ট থেকে যায়।

    সংস্কার-৩: ভোটারবান্ধব ভোটার স্লিপ

    ভোটারদের জন্য ভোটের দিনের অভিজ্ঞতাকে আরও ভালো করতে কমিশন ভোটার তথ্য স্লিপকে ভোটারবান্ধব করে পুনর্বিন্যাস করেছে। এই স্লিপগুলি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা ভোটারদের সঠিক ভোটকেন্দ্রের নির্দেশনা দেয় এবং নির্বাচনী তালিকায় তাঁদের নাম আছে (Fake Voters) কিনা, তা নিশ্চিত করে। নয়া বিন্যাসে ভোটকেন্দ্রে (ECI) ব্যবহৃত মূল শনাক্তকারী তথ্য যেমন সিরিয়াল নম্বর ও পার্ট নম্বর বড় ও পরিষ্কার ফন্টে প্রদর্শিত হবে। এতে প্রবীণ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এবং প্রথমবারের ভোটারদের জন্য তথ্য পড়া সহজ হবে। এই ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ডিজাইন আপডেটের জন্য ভোটকেন্দ্রে ভিড় ও বিভ্রান্তি কমবে। কারণ ভোটার ও কর্মকর্তারা দ্রুত নাম খুঁজে পেয়ে তথ্য যাচাই করতে পারবেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ প্রতিটি ভোটারের বয়স বা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করে ব্যাপক অংশগ্রহণের লক্ষ্যকেও সমর্থন করে।

    প্রসঙ্গত, এই তিনটি উদ্যোগ বিচ্ছিন্ন প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্ত নয়। এগুলি ভোটারের আস্থা বৃদ্ধি, নির্বাচনী জালিয়াতি রোধ এবং ভারতের নির্বাচনী পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের একটি সুসংহত জাতীয় কৌশলের অংশ (Fake Voters)। জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “সংস্কার কোনও এককালীন ঘটনা নয়। এটি একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। প্রতিটি ভোটারই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি ভোটই অবশ্যই প্রকৃত হতে হবে (ECI)।”

  • Pakistani National: কোন কুমতলবে বাংলায় আসে পাক নাগরিক আজাদ? স্লিপার সেল হিসেবেই কি?

    Pakistani National: কোন কুমতলবে বাংলায় আসে পাক নাগরিক আজাদ? স্লিপার সেল হিসেবেই কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি, এনআইএ-র পরে এবার কেন্দ্রীয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর (IB) আতস কাচের তলায় পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে ধৃত পাকিস্তানি নাগরিক আজাদ মল্লিক (Pakistani National)। ইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, এই পাক নাগরিক সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমবঙ্গে আজাদের ২টি ভোটার কার্ড রয়েছে। একটি রয়েছে নৈহাটি, অপরটি রয়েছে মধ্যমগ্রামের ঠিকানায়। প্রসঙ্গত, পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডের তদন্তে গত ১৫ এপ্রিল কলকাতা (West Bengal) থেকে জেলায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। রাজ্যে একসঙ্গে ৮ জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডির অফিসাররা। বেকবাগান, বিরাটি, গেদেতে অভিযান চালানো হয়। সেদিনই উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটি থেকে গ্রেফতার করা হয় আজাদ মল্লিককে। আজাদ কোনও কুমতলবেই এতদিন ধরে বাংলায় ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল কিনা , সে সন্দেহও দানা বাঁধছে।

    করাচির ঠিকানায় রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স (Pakistani National)

    আজাদের কাছে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স। আরও চাঞ্চল্য তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে। ধৃতের মোবাইল ঘেঁটে তাতে বহু পাকিস্তানি নাম পেয়েছে ইডি। সেখানেই পাকিস্তানের করাচির একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সও পাওয়া গিয়েছে। সেখানে নাম রয়েছে আজাদ হুসেন। ১৯৯৭ সালের করাচির ঠিকানায় রয়েছে লাইসেন্স। এই সমস্ত প্রাপ্ত তথ্য থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল আজাদ পাকিস্তানের নাগরিক। এতে কোনও সন্দেহ রইল না।

    স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল পাক নাগরিক আজাদ?

    তদন্তকারীরা মনে করছেন (Pakistani National), নিজের নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়েই আজাদ মল্লিক ওরফে আজাদ হুসেন পশ্চিমবঙ্গে থাকছিল। আজাদের বিরুদ্ধে মূল যে অভিযোগ, তা হল অনুপ্রবেশকারীদের জাল নথি দিয়ে ভারতীয় পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়া! তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্য নেই তো? তাহলে কি স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করছিল পাক নাগরিক আজাদ মল্লিক? এটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। দীর্ঘদিন এভাবেই বাংলায় ঘাঁটি গেড়ে থাকত আজাদ। কোনও বিশেষ কুমতলব ছিল ওই পাকিস্তানি নাগরিকের। এমনটাই অনুমান তদন্তকারীদের।

    কী বলছেন ইডির আইনজীবী?

    প্রথমে তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী (Pakistani National) হিসেবে সন্দেহ করা হলেও, পরে জানা যায় সে আদতে পাকিস্তানি। গত মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘তদন্তে জানা গিয়েছে, আজাদ মল্লিক বাংলাদেশি নয়, আসলে পাকিস্তানি নাগরিক। পরিচয় বদল করে এখানে ভিসার আবেদন করেছিল। এদেশে ঢুকে ২টি ভোটার কার্ড, ৪টি বার্থ সার্টিফিকেট ও একাধিক ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেলেছিল সে। প্রায় ১৩ বছর আগে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে।

    একেক দেশে একেক নামে পরিচিত আজাদ মল্লিক

    একেক দেশে একেক নামে পরিচিত আজাদ মল্লিক।’’ ইডির তরফ থেকে তখন আরও জানানো হয়, আজাদের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। বর্তমানে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই টাকা দেশবিরোধী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা! প্রসঙ্গত, ওইদিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার আদালতে ইডির আইনজীবী আরও বলেন, ‘‘এটা শুধু পাসপোর্ট জালিয়াতি নয়। জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন। এটা দেশের সুরক্ষার জন্য উদ্বেগজনক। শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়।’’ নতুন তথ‍্যের ভিত্তিতে ইডি ফের একটি মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই মামলাতে আবার আজাদ মল্লিককে হেফাজতে (Pakistani National) নেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

    ১২ বছর ধরে এরাজ্যে রয়েছে, প্রথমেই বানায় রেশন কার্ড

    প্রথমে বাংলাদেশি নাগরিক সন্দেহে গ্রেফতার করা হলেও পরে ইডির আধিকারিকরা জানতে পারেন, সে আসলে পাকিস্তানের নাগরিক। তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করেছিল আজাদ মল্লিক। অন্তত ১২ বছর ধরে এরাজ্যে রয়েছে সে। তদন্তে উঠে এসেছে, বাংলায় ঢুকে প্রথমেই রেশন কার্ড বানায় সে। এরপরে তার ভিত্তিতে পায় ভোটার কার্ড। এর পাশাপাশি আধার কার্ডও বানিয়ে ফেলে আজাদ। সেখান থেকে তৈরি করে ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্সও।

    হাওয়ালা যোগে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে

    কিন্তু একজন পাকিস্তানের নাগরিক বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে এত সহজে এত নথি বানিয়ে ফেলল কীভাবে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তৃণমূল জমানায় প্রশাসনের চোখে ধূলো দিয়ে একজন পাক নাগরিক এভাবে থাকছিল বছরের পর বছর। অথচ কেউ জানতেই পারেনি। আজাদের বিরুদ্ধে একইসঙ্গে হাওয়ালা যোগে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে  ইডি। গত রবিবারই আজাদকে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়ে আরও জেরা করেন তদন্তকারীরা। ইডির আইনজীবীরা জানান, পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে দেশের জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

  • Tahawwur Rana: রানার কণ্ঠস্বর ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে এনআইএ, অনুমতি আদালতের

    Tahawwur Rana: রানার কণ্ঠস্বর ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে এনআইএ, অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার অন্যতম মূল চক্রী তাহাউর রানার (Tahawwur Rana) কণ্ঠস্বরের নমুনা ও হাতের লেখার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ (NIA)। ইতিমধ্যেই দিল্লির আদালতে এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে এনআইএ। শুধু তাই নয়, এই ষড়যন্ত্রীর এনআইএ হেফাজতের মেয়াদও বাড়িয়ে দিয়েছেন দিল্লির বিশেষ এনআইএ আদালতের বিচারক চান্দেরজিৎ সিং। ২৮ এপ্রিল রানাকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক আরও ১২ দিনের জন্য তাঁকে এনআইএ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে শুনানির সময় এনআইএ আদালতে জানিয়েছিল মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত রানার বিরুদ্ধে প্রচুর প্রামাণ্য নথি তাদের হাতে রয়েছে। যদিও কোন নথি রয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনেনি জাতীয় তদন্তকারী এই সংস্থা।

    হেডলির সঙ্গে রানার নিরন্তর যোগাযোগ (Tahawwur Rana)

    জানা গিয়েছে, মুম্বই হামলার আগে পাক বংশোদ্ভূত জঙ্গি ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে রানার নিরন্তর যোগাযোগ ছিল। এনআইএ সূত্রে খবর, মুম্বই হামলার আগে ভারতে আটবার রেকি করতে এসেছিলেন হেডলি। সেই সময় তিনি মোট ২৩১ বার ফোন করেছিলেন রানাকে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রথম ভারতে এসেছিলেন হেডলি। সেই সময় রানাকে মোট ৩২ বার ফোন করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার ভারতে এসে তিনি রানাকে (Tahawwur Rana) ফোন করেন ২৩ বার, তৃতীয় বারের বেলায় এসে ফোন করেন ৪০ বার, পঞ্চমবার ভারতে এসে তিনি ফোন করেন ৩৭ বার এবং ষষ্ঠবার তিনি ফোন করেছিলেন ৩৩ বার। অষ্টমবারের বেলায় হেডলি রানাকে সবচেয়ে বেশিবার ফোন করেন। এই যাত্রায় তিনি রানাকে ফোন করেন মোট ৬৬ বার।

    কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ

    এসব তথ্য নিশ্চিত করতেই রানার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে এনআইএ। তদন্তকারীদের অনুমান, নমুনা সংগ্রহের পর ২৬/১১ জঙ্গি হানায় রানার যোগসূত্র আরও স্পষ্ট হবে। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে হামলা চালায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। হামলা চলেছিল তিন দিন ধরে। ওই হামলায় নাম জড়ায় রানার। তাই হামলার (NIA) সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র প্রমাণ করা এনআইএর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের (Tahawwur Rana)।

  • Madhyamik Result 2025: মাধ্যমিকে প্রথম রায়গঞ্জের আদৃত, ৬৬ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ

    Madhyamik Result 2025: মাধ্যমিকে প্রথম রায়গঞ্জের আদৃত, ৬৬ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল (Madhyamik Result 2025)। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭০ দিন পর ফল প্রকাশ হল। সকাল ৯টায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত করা হয় মাধ্যমিকের ফলাফল। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের সংখ্যা ছিল বেশি। ৬৬ জনের সম্পূর্ণ মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে শুক্রবার। প্রথম হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের আদৃত সরকার। সে পেয়েছে ৬৯৬। দ্বিতীয় স্থানে আছে দু’জন। মালদার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের অনুভব বিশ্বাস (৬৯৪) এবং বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর হাইস্কুলেরসৌম্য পাল (৬৯৪)। মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানে বাঁকুড়ার ঈশানী চক্রবর্তী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩।

    প্রথম দশে কলকাতার এক

    প্রথম দশে কলকাতার মাত্র এক জন রয়েছে। বাগবাজারের রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলের ছাত্রী অবন্তিকা রায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। সে পেয়েছে ৬৮৮। মাধ্যমিকে এ বছর চতুর্থ স্থানে রয়েছে দু’জন। পূর্ব বর্ধমানের মহম্মদ সেলিম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সুপ্রতিক মান্নার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। এ বছর মাধ্যমিকে পঞ্চম হয়েছে চার জন। তাদের মধ্যে হুগলি থেকেই রয়েছে তিন জন— সিঞ্চন নন্দী, মহম্মদ আসিফ এবং দীপ্তজিৎ ঘোষ। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোমতীর্থ করণও পঞ্চম হয়েছে। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। মাধ্যমিকের ষষ্ঠ স্থানে এ বছর রয়েছে পাঁচ জন, সপ্তম স্থানে রয়েছে পাঁচ জন, অষ্টম স্থানে কলকাতার ওই ছাত্রী-সহ রয়েছে মোট ১৬ জন। এ ছাড়া, নবম স্থানে ১৪ জন এবং দশম স্থানে ১৬ জন পরীক্ষার্থীর নাম রয়েছে।

    পাশের হার সর্বকালের সেরা

    পর্ষদ জানিয়েছে, এ বছর মাধ্যমিকের (Madhyamik Result 2025) পাশের হার সর্বকালের সেরা— ৮৬.৫৬ শতাংশ। গত বার ছিল ৮৬.৩১ শতাংশ। মাধ্যমিকে পাশের হারে শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর। তার পর যথাক্রমে কালিম্পং, কলকাতা এবং পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে। এ বছরও মাধ্যমিকে রয়েছে গ্রেড ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ ‘এএ’ গ্রেড পেয়েছে ১০,৬৫৯ জন। ‘এ+’ গ্রেড পেয়েছে ২৫,৮২০ জন এবং ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে ৯১,২৩৭ জন। পর্ষদের পরিসংখ্যান বলছে, ১ লক্ষ ২২ হাজার ৭৯৫ জন মাধ্যমিকে এ বছর পাশ করতে পারেনি। পরের বছরের পরীক্ষায় তাদের সাফল্য কামনা করেছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

  • India Pakistan Relation: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে উত্তর-পূর্ব ভারত দখলের ছক কষছে বাংলাদেশ?

    India Pakistan Relation: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে উত্তর-পূর্ব ভারত দখলের ছক কষছে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) মধ্যে সংঘাতের আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) উচিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখলের পরিকল্পনা করা। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে চরমে উঠেছে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা। এই আবহে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রবীণ এক আধিকারিকের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ভারতজুড়ে। ২২ এপ্রিল ভরদুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসীরা। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলিম যুবককেও। নিহত হন এক খ্রিস্টান পর্যটকও। সব মিলিয়ে ওই দিন জঙ্গি হামলার বলি হন ২৮ জন নিরীহ মানুষ।

    বাংলাদেশের বিতর্কিত পোস্ট (India Pakistan Relation)   

    বাংলাদেশের ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের চেয়ারপারসন মেজর জেনারেল (অব.) এএলএম ফজলুর রহমান গত সপ্তাহে ফেসবুকে একটি বিতর্কিত পোস্ট করেন। বাংলায় লেখা ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, “ভারত যদি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে, তাহলে বাংলাদেশের উচিত ভারতের সাতটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দখল করা। চিনের সঙ্গে যৌথ সামরিক কাঠামো গঠনের বিষয়টি বিবেচনার সময় এসেছে।” প্ররোচনামূলক ভাষা ও সময়ের কারণে এই পোস্ট ভারতে তো বটেই, আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে (Bangladesh)।

    ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ!

    ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ফজলুর রহমানের এই বক্তব্যকে। তাঁর এই মন্তব্যটি সমর্থন করেছেন কমিশনের আর এক সদস্য ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের পূর্ততন নেতা শাহনাওয়াজ খান চন্দন। বর্তমানে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক চন্দনকে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বর্ণনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২৪ সালের অগাস্টে অপসারণের পর এই সরকার ক্ষমতায় আসে (India Pakistan Relation)।

    উদ্বেগজনক মন্তব্য

    স্ট্র্যাটেজিক এক্সপার্টরা এই বিবৃতিকে কেবল দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেই মনে করছেন না, তাঁদের মতে বাংলাদেশের এহেন মন্তব্য গভীরভাবে উদ্বেগজনকও, বিশেষত এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার প্রেক্ষিতে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, যা বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ সীমানা শেয়ার করে, তা প্রায়ই আন্তঃসীমান্ত নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে আসছে। তবে কোনও উচ্চপদস্থ বাংলাদেশি আধিকারিকের ভারতের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক আগ্রাসন প্রকাশ্যে সমর্থন করা এই প্রথম। এই ঘটনা ঘটেছে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, যিনি শেখ হাসিনার সরকারের কুর্সি দখল করেন। পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের কঠোর অবস্থান ও বৈদেশিক নীতির পুনর্বিন্যাসের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। পাকিস্তানের এই হামলায় জড়িত থাকার প্রতিক্রিয়ায় ভারত সম্প্রতি ১৯৬০-এর সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে, আটারি চেকপোস্ট সিল করে দিয়েছে এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের স্তর হ্রাস করেছে (Bangladesh)। প্ররোচনামূলক এই বিবৃতির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, বিশেষত অসম, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে নজরদারি বাড়িয়েছে বলে সূত্রের খবর (India Pakistan Relation)।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    বাংলাদেশের এক প্রবীণ আধিকারিকের এহেন জ্বালাময়ী বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক এখনও সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে কূটনৈতিক সূত্রে খবর, ভারতের ঢাকায় অবস্থিত হাই কমিশন এই বিষয়টি তুলে ধরেছে এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে জবাব চাইতে পারে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন নেতৃত্বের এমন বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমেই তলানিতে ঠেকছে। শেখ হাসিনার শাসন কালে রক্ষিত ঐতিহ্যগতভাবে আন্তরিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে সরে আসারও ইঙ্গিত দেয় ইউনূসের সরকার। রহমানের পোস্টে চিনের উল্লেখ থাকায় বিশ্লেষকরা দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতার সমীকরণে সম্ভাব্য পুনর্বিন্যাসের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন, যা আগামী মাসগুলিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভারতের।

    সাবধানী পদক্ষেপ ভারতের

    জাতীয় নিরাপত্তা শক্তিশালীকরণ ও অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারতের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকায়, পূর্ব প্রতিবেশী থেকে উদ্ভূত এই নতুন হুমকি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার দৃঢ় তবে সাবধানী পদক্ষেপ নিতে পারে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের (India Pakistan Relation)। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে তীব্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরেই বাংলাদেশের রাশ যায় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। এর পর থেকেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে ইউনূস সরকারের। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে থাকেন ইউনূসরা। পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে ভারত পাক সীমান্তে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই সুযোগ (Bangladesh) কাজে লাগিয়ে চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল দখল করতে চাইছে ইউনূসের বাংলাদেশ (India Pakistan Relation)।

  • Ram Mandir: অযোধ্যায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রাম দরবারের নির্মাণ কাজ, বসল প্রথম সোনার দরজা

    Ram Mandir: অযোধ্যায় দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে রাম দরবারের নির্মাণ কাজ, বসল প্রথম সোনার দরজা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় সম্পূর্ণ রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের দ্রুত অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রথম তলায় গড়ে উঠছে রাম দরবার (Ram Darbar)। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাম দরবারে সোনার দরজা স্থাপন করা হয়েছে। মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় মাইলফলক বলেই জানিয়েছে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। রাম দরবারের নির্মাণের মাধ্যমেই নতুন অধ্যায়ের সূচনা  হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। জানা গিয়েছে, রাম দরবারে ভগবান রাম, সীতা, লক্ষণ এবং হনুমানের মূর্তি স্থাপন করা হবে। রাম দরবারের কাজ এখন পুরোদমে চলছে।

    ব্যস্ত নির্মাণ কর্মীরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন (Ram Mandir)

    নির্মাণ কর্মীরা খুবই ব্যস্ত। নিজেদের নাওয়া-খাওয়া ভুলে সদা ব্যস্ত তাঁরা। প্রতিনিয়ত তাঁরা রাম দরবারকে কীভাবে আরও সুন্দর করা যায়, সেই ভাবনাই ভাবছেন। রাম দরবারে (Ram Darbar) প্রতিষ্ঠিত সোনার দরজা কেবলমাত্র একটি দরজাই নয়, তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানাচ্ছে যে, এটি একটি আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজের বিষয়ে দেশের কোটি কোটি ভক্তের আগ্রহ তুঙ্গে। রাম নগরীর মন্দিরের প্রতিটি আপডেট পেতে তাঁরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। এই আবহে রাম দরবার নিয়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে।

    রাম দরবারের (Ram Mandir) কাজ শেষ হলে আরও বেশি ভক্ত সমাগম হবে

    রাম মন্দির আজ আর কেবল হিন্দু ধর্মের আস্থা বা বিশ্বাসের প্রতীক হয়েই নেই। উপরন্তু এদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পরম্পরা এবং জাতীয় অস্মিতার প্রতীক হয়ে উঠেছে রাম মন্দির। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, রাম দরবারের (Ram Darbar) নির্মাণ কাজ শেষ হলে আরও বেশি সংখ্যক লক্ষ লক্ষ তীর্থ যাত্রা এখানে হাজির হবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০২০ সালের অগাস্টে ভূমি-পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের (Ram Mandir)।

LinkedIn
Share