Tag: Madhyom

Madhyom

  • Raw mangoes: বৈশাখের শুরুতেই চড়া রোদের মোকাবিলা করবে কাঁচা আম! কতখানি উপকারী জানেন?

    Raw mangoes: বৈশাখের শুরুতেই চড়া রোদের মোকাবিলা করবে কাঁচা আম! কতখানি উপকারী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈশাখের শুরুতেই তাপপ্রবাহের জেরে নাজেহাল বাঙালি! চড়া রোদে দুপুরে বাইরে থাকা যথেষ্ট কঠিন! তাপমাত্রার পারদ চড়ছে। তাই নানান শারীরিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে! হঠাৎ অস্বস্তি, মাথা ঘোরা কিংবা বমি ভাব দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ার জেরেই এই ধরনের নানান শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। তবে গরমের একাধিক সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে কাঁচা আম। বাঙালির রান্নাঘরে আম পোড়া সরবৎ কিংবা কাঁচা (Raw mangoes) আম দিয়ে ডাল খুবই পরিচিত পদ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধুই স্বাদে নয়, বাঙালির এই চিরাচরিত রান্নার পুষ্টিগুণ প্রচুর। একাধিক রোগের মোকাবিলা সহজেই হয়ে যায়। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন রোগের মোকাবিলা করবে কাঁচা আম?

    হজমে সাহায্য করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আম হজমের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে (Raw mangoes) থাকে প্রাকৃতিক হজমকারক উপাদান। তাই নিয়মিত ভারী খাবারের পরে শেষ পাতে কাঁচা আমের তৈরি খাবার খেলে সহজেই হজম হয়ে যায়। গরমে শিশু থেকে বয়স্ক অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন‌। তাই নিয়মিত কাঁচা আম খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।

    হার্টের জন্য বিশেষ উপকারী

    গরমে অনেকের রক্তচাপ ওঠানামা করে। পাশপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাও নানান কারণে বেড়ে যায়। এই দুই কারণে হার্টের উপরে চাপ পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আম (Raw mangoes) হার্টের জন্য বিশেষ উপকারী। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে রয়েছে ফাইবার এবং ভিটামিন বি। এই দুই উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

    লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী

    কাঁচা আম লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে রয়েছে ফাইবার, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান। এগুলো লিভার সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আবার লিভারের ফ্যাট জমতেও দেয় না। তাই নিয়মিত কাঁচা আম খেলে লিভার সুস্থ থাকে।

    ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে

    কাঁচা আমে (Raw mangoes) বিশেষ ক্যালরি নেই। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পাকা আম অতিরিক্ত খেলে ক্যালরি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে স্থূলতার সমস্যার ভুগলে অতিরিক্ত পাকা আম খাওয়া বিপজ্জনক। কিন্তু কাঁচা আমে সে সমস্যা নেই। কাঁচা আম খেলে দেহে অতিরিক্ত ক্যালরি প্রবেশ করে না। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্থূলতা রুখতে বিশেষ সাহায্য করে।

    যে কোনও রক্তের অসুখ রুখতে সাহায্য করে!

    রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা, রক্তাল্পতা কিংবা রক্ত সঞ্চালনের মতো যে কোনও সমস্যা সমাধানে কাঁচা আম খুব উপকারী। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আমের নানান পুষ্টিগুণের জেরে কোলাজেন সংশ্লেষে বিশেষ সাহায্য করে। তাই রক্তের নানান অসুখের ঝুঁকি কমায় কাঁচা আম।

    চুল, ত্বকের জন‌্য বিশেষ উপকারী

    গরমের শুষ্ক আবহাওয়ায় অনেকেই চুল ও ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কাঁচা আম এই সমস্যা সহজেই মোকাবিলা করবে। ত্বক শুকিয়ে যাওয়া এবং ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা কমাতে নিয়মিত কাঁচা আম (Raw mangoes) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কাঁচা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত কাঁচা আম খেলে ত্বক ও চুলের নানান সমস্যা সহজেই কমবে। শুষ্কতাও কমবে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

    PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছরের মোদি (PM Modi) রাজত্বে ভারতের জিডিপি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় দশম স্থানে থাকা ভারত চলে এসেছে পঞ্চম স্থানে। অর্থনীতিবিদদের মতে, অচিরেই ভারত চলে আসবে ওই তালিকার তিন নম্বরে।

    নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)

    ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্শিতে বসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তারপর থেকে অর্থনীতির পারা উঠতে থাকে চড়চড়িয়ে। এই সময়কালে ভারত বিশ্বের সব চেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার চমকপ্রদ, শতাংশের বিচারে ১০৫। আইএমএফের মতে, ভারতের বর্তমান জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে এই পরিমাণ ছিল ২.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন নরেন্দ্র মোদির প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ এক বছরও হয়নি। তারপর থেকে জিডিপির হিসেবে ভারত তার অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি করে ফেলেছে (PM Modi)।

    অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত

    তথ্য বলছে, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত। বর্তমানে জাপানের জিডিপি ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত এই সীমা অতিক্রম করতে পারে বলে অনুমান। বর্তমান গড় প্রবৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৭ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত জার্মানিকেও (বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি) পিছনে ফেলে দেবে। জার্মানির বর্তমান জিডিপি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    পীযুষ গোয়েলের বক্তব্য

    বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল ভারতের ১০ বছরের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে অসাধারণ আখ্যা দিয়ে এই সময়ে দেশের জিডিপি দ্বিগুণ হওয়ার প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, গত ১০ বছরে ১০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখে ভারত। পেছেনে ফেলে দিয়েছে চিন (৭৬ শতাংশ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৬৬ শতাংশ), জার্মানি (৪৪ শতাংশ), ফ্রান্স (৩৮ শতাংশ) এবং যুক্তরাজ্য (২৮ শতাংশ)-এর মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলিকে। ভারতের অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় এটি জি-৭, জি-২০ ও ব্রিকসের সব সদস্য দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন বাস্তব! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি গত দশকে ভারতকে তাঁর জিডিপি দ্বিগুণ করার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা দেশকে শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করবে (PM Modi)।”

    ভারত শীর্ষে

    প্রবৃদ্ধির গতির দিক থেকে ভারত শীর্ষে থাকলেও, অর্থনীতির আকারের দিক থেকে শীর্ষ দুটি স্থান দখল করে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩০.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং চিন (১৯.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার)। জার্মানি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে তৃতীয়, জাপান ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে চতুর্থ এবং ভারত ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারে ভারতকে শীর্ষ দুটি স্থানে উঠতে গেলে দু’দশকেরও বেশি সময় লাগবে। যদিও এটি উল্লেখ্য যে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৬.২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২.৫২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুলনামূলকভাবে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ ৭১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (PM Modi)।

    ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল!

    প্রসঙ্গত, ভারতের জিডিপি প্রথম ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল। ২০০৭ সালে ওই হার হয়। ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছতে ৭ বছর সময় লেগেছে। ২০১৪ সালের ছবি। আর কোভিড-১৯ অতিমারি সত্ত্বেও, ভারত ২০২১ সালে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছে গিয়েছে। ৩ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ বছর। এই গতিতে যদি অগ্রগতি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে ভারত প্রতি দেড় বছরে তার জিডিপিতে এক ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করার জন্য প্রস্তুত, এবং সম্ভবত ২০৩২ সালের শেষ নাগাদ ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে (PM Modi)।

    প্রবৃদ্ধির পিছনের প্রধান কারণ

    দেশের এই প্রবৃদ্ধির পিছনে প্রধান যেসব কারণ লুকিয়ে রয়েছে, সেগুলি হল উচ্চতর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর এবং অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল কৃষিখাত পরিচালিত হয়েছিল, যা অনিয়মিত জলবায়ু সত্ত্বেও, গ্রামীণ অর্থনীতির গতিশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভারতের কর্পোরেট সেক্টরের পারফর্মেন্সও অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। তার জেরে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। মোদি সরকার মেক ইন ইন্ডিয়া, পিএলআই, এমএসএমই ঋণ ইত্যাদি নীতির মাধ্যমে ব্যবসার জন্য একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক পরিকাঠামো তৈরি ও তাকে বাস্তবায়িত করেছে (PM Modi)।

  • Smartphone’s Export: ২০১৪-এ ১৬৭তম স্থানে, ২০২৫ ভারতের শীর্ষ রফতানি পণ্য স্মার্টফোন! মোদি জমানার ১০ বছরে বিপুল সাফল্য

    Smartphone’s Export: ২০১৪-এ ১৬৭তম স্থানে, ২০২৫ ভারতের শীর্ষ রফতানি পণ্য স্মার্টফোন! মোদি জমানার ১০ বছরে বিপুল সাফল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের বাজারে তৈরি হওয়া মোবাইল (India’s Smartphone) এখন বিশ্ব বাজারে দাপট দেখাচ্ছে। তৈরি হল নতুন মাইলস্টোন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে ভারতে তৈরি মোবাইল বিশ্বের বাজারে ২ লক্ষ কোটি রফতানি (Smartphone’s Export) করা হয়েছে। এর ফলে ভারতের স্মার্টফোন রফতানি এক নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছেছে । এই সময়কালে, মোবাইল ফোন রফতানির মূল্য দাঁড়িয়েছে $১৮.৩১ বিলিয়ন (প্রায় ₹২ লক্ষ কোটি), যা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশের সর্ববৃহৎ একক রফতানি পণ্যে পরিণত হয়েছে। আইসিইএ-র পক্ষ থেকে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ফলে ভারতে তৈরি মোবাইল শিল্প যে আগামীদিনে বিশ্বের বাজারে দাপট দেখাবে সেটা বলাই যায়।

    মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের সাফল্য

    ভারতের বাণিজ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, হরমোনাইজড সিস্টেম কোড (HS code)-এর ভিত্তিতে স্মার্টফোন এখন দেশের সর্বাধিক রফতানি হওয়া পণ্য, যা অটোমোটিভ ডিজেল ফুয়েলকে (মূল্য $১৬.০৪ বিলিয়ন) পেছনে ফেলেছে। ২০২৪-এ একই সময়ে (এপ্রিল-জানুয়ারি) স্মার্টফোন ছিল চতুর্থ স্থানে। এই অভাবনীয় উত্থানকে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প ও উৎপাদন-ভিত্তিক প্রেরণা (PLI) প্রকল্পের সাফল্য হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৪ সালে যেখানে স্মার্টফোন রফতানি ছিল ১৬৭তম স্থানে, আজ তা উঠে এসেছে শীর্ষে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপরই এই পরিবর্তন। ১০ বছরের মধ্যেই সাফল্যের শীর্ষে ভারতের স্মার্টফেন।

    যুক্তরাষ্ট্রে ২০৮% বেশি রফতানি

    আইসিইএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই শিল্পে যে হারে ভারত উন্নতি করছে তাতে এই শিল্প আগামীদিনে আরও উন্নতি করবে। চলতি বছরে এই শিল্পে ৫,১০,০০০ কোটি টাকার টার্গেট রাখা হয়েছে। এরফলে বিশ্বের বাজারে মোবাইল শিল্পে ভারত যে শুধু আত্মনির্ভর হয়েছে তাই নয়, ভারতে তৈরি মোবাইল (India’s Smartphone) বিশ্বের বাজারে যে কতটা স্থান নিয়েছে সেটাও সামনে এসে গিয়েছে। ২০২৫ অর্থবর্ষের এপ্রিল-জানুয়ারি সময়কালে স্মার্টফোন রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৪.৭ শতাংশ, যেখানে গত অর্থবছরে একই সময়ে তা ছিল $১১.৮৩ বিলিয়ন। বিশেষ করে অ্যাপল-এর আইফোন-এর নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০৮%। ভারতের স্মার্টফোন রফতানির $৬.৬ বিলিয়ন গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।

    মহিলা কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত

    ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ২০২৫ অর্থবর্ষে ২ লক্ষ কোটি মূল্যের রফতানি (Smartphone’s Export) হয়েছে স্মার্টফোন খাতে, যার মধ্যে আইফোন-এর অংশ ১.৫ লক্ষ কোটি। তিনি বলেন, “এই সাফল্য ১০ বছরের সরকার ও শিল্পক্ষেত্রের যৌথ প্রচেষ্টার ফল।” এই খাতে লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে নারীদের জন্য, এবং ভারতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগী সংস্থাগুলির জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, গত দশ বছরে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন পাঁচ গুণ এবং রফতানি ছয় গুণ বেড়েছে। বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধির হার ১৭% রফতানির ক্ষেত্রে তা ২০%। দেশের ৪০০-রও বেশি উৎপাদন ইউনিট এখন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট তৈরি করছে। সেই সঙ্গে, সরকার নতুন ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং স্কিম-এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চলেছে। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ২২,৯১৯ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে এই প্রকল্পে। এর আওতায় কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, মেডিকেল ইলেকট্রনিক্স, পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল ও অন্যান্য সেক্টরে ব্যবহৃত অ্যাকটিভ ও প্যাসিভ কম্পোনেন্ট তৈরির ওপর জোর দেওয়া হবে।

    আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ

    বিগত বছর থেকে এই রফতানির পরিমান অনেকটাই বেশি তা এবারের এই হার থেকেই স্পষ্ট। ভারতের তৈরি মোবাইল ফোন যে গোটা বিশ্ব মেনে নিয়েছে তা এখান থেকেই স্পষ্ট। তবে এই সফর এখানেই থেমে থাকবে না। এই শিল্পে আরও সুযোগ রয়েছে। যেভাবে ভারতের (India’s Smartphone) বাজারে মোবাইলের যন্ত্রাংশ তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে আগামীদিনে এই পরিস্থিতি আরও উন্নতি ঘটবে। কেন্দ্রীয় সরকার এবিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভারতে তৈরি মোবাইল যাতে বিশ্বের দরবারে আরও ব্যবসা করবে সেটাই এখন প্রধান টার্গেট। মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারত মোবাইল ফোন তৈরিতে অনেক বেশি আত্মনির্ভর হয়ে যাবে। সেখান থেকে ভারতে এই শিল্প অনেক বেশি কর্মসংস্থানও তৈরি করবে। বিশ্বখ্যাত সংস্থা মার্ক ও লিন্ডে ইতিমধ্যেই ভারতে তাদের উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করছে। সরকার জানিয়েছে, দেশে ক্যাপিটাল ইকুইপমেন্ট তৈরিতে পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে। এই অসাধারণ সাফল্য ভারতের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন ক্ষমতা ও রফতানি সক্ষমতার এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত—এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    চিন নির্ভরতা অতীত

    এতদিন পর্যন্ত ভারত মোবাইলের বিষয়ে প্রধানত চিনের উপর নির্ভর করে থাকত। সেখান থেকে আসা মোবাইল ফোন নিয়ে নানা ধরনের সমস্যা এবং বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে সেখান থেকে ধীরে ধীরে সরে এসেছে ভারত। এখন সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোবাইল ফোন বানিয়ে ভারত নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছে। এই রফতানির (Smartphone’s Export) হিসেব তার বিরাট প্রমাণ।

     

     

  • RSS: ‘এক কূপ-এক মন্দির-এক শ্মশান’ নীতিতে জোর, জাতিগত বৈষম্য ভুলে হিন্দু ঐক্য গড়ার ডাক ভাগবতের

    RSS: ‘এক কূপ-এক মন্দির-এক শ্মশান’ নীতিতে জোর, জাতিগত বৈষম্য ভুলে হিন্দু ঐক্য গড়ার ডাক ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতিভেদ প্রথার বিরুদ্ধে বরাবরই সরব আরএসএস। এনিয়ে দেশজুড়ে চলছে সংঘের (RSS) অজস্র কর্মসূচি। এই আবহে জাতিগত বৈষম্য দূর করতে এবং হিন্দু ঐক্য গড়ে তুলতে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত ‘‘এক কূপ, এক মন্দির এবং এক শ্মশান’’ নীতির কথা উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, ‘‘ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ হল সংস্কৃতি। এটি সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।’’

    আলিগড়েই এই কথাগুলি বলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস প্রধান (RSS) মোহন ভাগবতের মতে, ‘‘সামাজিক সদ্ভাবনা তখনই বাস্তবে পরিণত হবে, যদি আমরা এক কূপ, এক মন্দির এবং এক শ্মশানের নীতিকে অনুসরণ করে চলি। এটি হিন্দুদের মধ্যে জাতিগত পার্থক্য, বৈষম্য দূর করবে। একইসঙ্গে সমাজের সকল শ্রেণির মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।’’ প্রসঙ্গত, গত ১৯ এপ্রিল শনিবার আলিগড়ে আরএসএস স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মোহন ভাগবত একথাগুলি বলেন।

    ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর কথাও বলেন ভাগবত (Mohan Bhagwat)

    আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত পাঁচ দিনের সফরে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশে। শনিবারই তিনি হাজির ছিলেন আলিগড়ের এইচবি ইন্টার কলেজে। সেখানেই তিনি বক্তব্য রাখেন। হিন্দু সমাজ, হিন্দু জীবন দর্শনের নানা দিকে তিনি আলোকপাত করেন। হিন্দু সমাজে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বানও জানান তিনি। এর পাশাপাশি, ভাগবত আরএসএস-র নীতি ‘পঞ্চ পরিবর্তনের কথা বলেন। এরই মাধ্যমে ভারতীয় সমাজে পরিবর্তন আসবে বলেও জানা তিনি। ‘পঞ্চ পরিবর্তন’-এর পাঁচটি নীতি হল কুটুম্ব প্রবোধন (পারিবারিক সচেতনতা), সামাজিক সদ্ভাবনা (সামাজিক সম্প্রীতি), স্বদেশী (আত্মনির্ভরশীলতা), পরিবেশ (পরিবেশ) এবং নাগরিক অনুশাসন (নাগরিক শৃঙ্খলা)। নিজের ভাষণে ভাগবত বলেন, ‘‘শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে গোটা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে আছে। সমাজ নিজে নিজেই পরিবর্তিত হবে না। আমাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে সমাজকে জাগিয়ে তুলতে হবে।’’ একই সঙ্গে হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি প্রত্যেক স্বয়ংসেবককে (RSS) সক্রিয় হতে বলেন। হিন্দু সমাজের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলার কথাও বলেন তিনি।

  • Khalistani Attack on Canada: কানাডায় ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে ভারত-বিরোধিতা! গুরুদ্বার, মন্দিরে হামলা খালিস্তানিদের

    Khalistani Attack on Canada: কানাডায় ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে ভারত-বিরোধিতা! গুরুদ্বার, মন্দিরে হামলা খালিস্তানিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে জাস্টিন ট্রুডো সরে গেলেও খালিস্তানিরা (Khalistani Attack on Canada) সক্রিয় কানাডায়। এখনও খালিস্তান সমর্থকরা কানাডার বিভিন্ন স্থানে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছে এবং মন্দির ও গুরুদ্বারকে লক্ষ্য করে ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করছে। সম্প্রতি ভ্যাঙ্কুভারের একটি ঐতিহাসিক গুরুদ্বারে খালিস্তানি কট্টরপন্থীরা তাদের স্লোগান লিখে দিয়ে যায়। সারের লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও হামলা হয়। এই ঘটনার পরই ফের কানাডার হিন্দু ও শিখদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানান অটোয়া-নেপিয়ান থেকে নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য।

    গুরুদ্বারে ভারত-বিরোধী স্লোগান খালিস্তানিদের

    রিপোর্ট অনুযায়ী, খালসা দিওয়ান সোসাইটির গুরুদ্বারে শনিবার ভারত-বিরোধী স্লোগান লিখে হামলা চালানো হয়। এটি রস স্ট্রিট গুরুদ্বার নামেও পরিচিত। গুরুদ্বারের এক মুখপাত্র একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘একদল বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখরা আমাদের পবিত্র গুরুদ্বারের দেওয়াল বিকৃত করেছে এবং দেওয়ালে খলিস্তানি স্লোগান লিখেছে। খালসা সাজনা দিবস উপলক্ষে আমরা ঐক্যের বার্তা দিতে চাই। সেখানে একটি গোষ্ঠীর এই কাজ নিন্দনীয়। চরমপন্থী শক্তি শিখদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে চায় এবং এটা ভয় সৃষ্টির চেষ্টা। কট্টরপন্থীরা আমাদের গুরুজনদের আত্মত্যাগ বুঝতে পারছে না। আমাদের প্রবীণরা বৈচিত্র্য ও স্বাধীনতার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমাদের বিভক্ত করার প্রচেষ্টা আমরা সফল হতে দেব না।’উল্লেখ্য, এই গুরুদ্বারটি ১৯০৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। রবিবার গুরুদ্বারে নগরকীর্তন ও বৈশাখী কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। খালিস্তান সমর্থকদের এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে নিষেধ করা হয়েছিল।

    লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও হামলা

    গুরুদ্বার ছাড়াও সারে ও ব্রিটিশ কলম্বিয়ার মন্দিরেও হামলা চালিয়েছে খালিস্তানিরা (Khalistani Attack on Canada)। সেখানেও দেওয়ালে খালিস্তানি স্লোগান লেখা হয়েছে। মন্দিরের মুখপাত্র পুরুষোত্তম গোয়েল বলেছেন যে লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরটি কানাডায় হিন্দু ও শিখদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। সেই কারণেই সেই মন্দিরকেও টার্গেট করা হয়েছে। এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে এসব স্লোগান লেখা হয়েছে। এর আগেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে কানাডার বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলা হয়েছিল। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। সেই সময় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরেও গোলমাল ছড়িয়েছিল খলিস্তানিরা।

    হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ

    কানাডায় খালিস্তান (Khalistani Attack on Canada) সমর্থকদের দ্বারা গুরুদ্বার এবং হিন্দু মন্দিরগুলি লক্ষ্য করে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতে দেখা গিয়েছে, তারা গুরুদ্বার এবং লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরের বাইরে ভারত-বিরোধী পোস্টার লাগিয়েছে, স্লোগান দিয়েছে এবং মন্দিরেও ভাঙচুর চালিয়েছে। ভ্যাঙ্কুভার পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র সার্জেন্ট স্টিভ অ্যাডিসন জানিয়েছেন, তারা তদন্ত শুরু করেছে, তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

    খালিস্তানি চরমপন্থার ভয়ানক নিদর্শন

    অটোয়া-নেপিয়ান থেকে নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সাংসদ চন্দ্র আর্য সম্প্রতি ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে খালিস্তানি চরমপন্থীদের গ্রাফিতি হামলার পর হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সরকারের কাছে এই ধরনের চরমপন্থার বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ করার দাবিও জানান। চন্দ্র আর্য এক্স-এ বলেন, “কিছু লোক আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।” চন্দ্র কানাডিয়ান হিন্দু চেম্বার অফ কমার্সের একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “হিন্দু মন্দিরে বারবার হামলার ঘটনা আজও অব্যাহত। এই সাম্প্রতিক গ্রাফিতি হলো খালিস্তানি চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান প্রভাবের একটি ভয়ানক নিদর্শন। এই খালিস্তানি গোষ্ঠীগুলো সংগঠিত, অর্থবলে বলীয়ান এবং রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী। তারা কানাডায় হিন্দুদের কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।”

    নীরবতা আর কোনো বিকল্প নয়

    এছাড়াও, তিনি ভ্যাঙ্কুভারের খালসা দেওয়ান সোসাইটি (রস স্ট্রিট গুরুদ্বার) এ ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানসহ গ্রাফিতি দেয়ার ঘটনাও তুলে ধরেন। তিনি (MP Chandra Arya) জানান, এই ধরনের হামলা শুধুমাত্র হিন্দুদের নয়, শিখ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও টার্গেট করছে। চন্দ্রর মতে, “খালিস্তানি চরমপন্থীরা আমাদের শিখ ভাইদের পবিত্র স্থানেও হামলা চালাচ্ছে। এটি একটি স্পষ্ট বার্তা যে, এখন আর চুপ করে থাকার সময় নেই। কানাডার হিন্দু-কানাডিয়ানরা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ শিখ-কানাডিয়ান ভাই-বোনেরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে সরকারের সকল স্তরের কাছ থেকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা দাবি করুন। নীরবতা আর কোনো বিকল্প নয়।” এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কানাডায় (Khalistani Attack on Canada) বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ও নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কী করবে, এখন সেদিকেই নজর সকলের।

  • Sukanta Majumdar: ‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ শুভেন্দুর, ‘ক্ষমা করবে না ইতিহাস’, আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ভোটব্যাঙ্কের জন্য ঘৃণা ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ শুভেন্দুর, ‘ক্ষমা করবে না ইতিহাস’, আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের বিরেধিতায় মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ হিংসা ছড়ায় (Murshidabad Violence)। হাড়হিম করা ঘটনা সামনে আসতে থাকে। সামশেরগঞ্জে ঘরছাড়া হতে হয় হিন্দুদের। মৃত্যু হয় তিনজনের। এই আবহে মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক বিবৃতিতে ছড়ায় বিতর্ক। কখনও তিনি বলেন টাকার বিনিময়ে ইট ছুড়িয়েছে বিএএসএফ। কখনও আবার তাঁর মতে, হিংসায় ইন্ধন দিয়েছে বিজেপি-আরএসএস। গত ১৯ এপ্রিল তিনি খোলা চিঠিতে লেখেন, ‘‘বিজেপি ও তাদের সঙ্গীরা পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ খুব আক্রমণাত্মক হয়েছে। এই সঙ্গীদের মধ্যে আরএসএসও আছে। আমি আগে আরএসএসের নাম নিইনি। কিন্তু এবার বলতে বাধ্য হচ্ছে যে রাজ্যে যে কুশ্রী মিথ্য়ার প্রচার চলছে তার মূলে তারাও আছে।’’

    কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতাকে নিশানা করেছেন তাঁর এমন মন্তব্যের জন্য। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কথায়, মমতার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের জন্য ইতিহাস তাঁকে কখনও ক্ষমা করবে না। এই ইস্যুতে মমতার বিরুদ্ধে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতে, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মমতা। মুর্শিদাবাদ কাণ্ডে বিজেপি, আরএসএস-কে নিশানার জবাবে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তি বার্তার নামে ঘৃণার বিষ ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’ একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদ হিংসা নিয়ে এনআইএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    এক্স মাধ্যমে মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)

    মমতাকে কড়া আক্রমণ করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এ নিয়ে এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছেন। তিনি লেখেন, ‘‘ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি নীরবতা এবং প্রতিটি পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত আজ বাংলার মানুষের সামনে আপনার আসল চেহারাটি উন্মোচিত করেছে। আপনি যেভাবে অতীতে বারবার আবেগ দিয়ে খেলা করেছেন, আপনার সুচতুর অভিনয় সত্ত্বা দিয়ে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন, এবারও আপনি সেই পুরনো কৌশলেই ফিরে গিয়েছেন। তবে এবার বাংলার মানুষ প্রস্তুত। তারা দেখছে, শুনছে, এবং বুঝে নিচ্ছে—কে তাদের পাশে, আর কে দাঁড়িয়ে আছে এক বিপজ্জনক মৌলবাদী রাজনীতির মঞ্চে।’’

    আক্রান্ত নির্যাতিত হিন্দুদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে

    সুকান্তর অভিযোগ, ‘‘মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence) জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর ভয়াবহ আক্রমণ ও দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে। স্থানীয় হিন্দুপ্রধান গ্রাম গুলি থেকে সিংহভাগ হিন্দু পরবার ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার হয়ে তাঁদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। যেখানে পুলিশ প্রশাসন মৌলবাদীদের দমন করতে পারত, সেখানে তারা নির্বিকার। স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী, বহু এলাকায় অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয়েছে, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে আক্রান্ত নির্যাতিত হিন্দুদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের হয়েছে! আপনার নির্দেশে পুলিশ পঙ্গু হয়ে থেকেছে। পরিস্থিতি আরও সংবেদনশীল এবং ভয়াবহ হওয়ার পরেও আপনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন করেননি। বরং আমরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা তৈরি করতে চেয়েছেন। কারণ হিন্দুদের ন্যূনতম সুরক্ষার চেয়ে আপনার কাছে আপনার সংকীর্ণ ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি প্রিয়!’’

    হরগোবিন্দ-চন্দনের বাড়িতে আপনি একবারও যাননি

    মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘সম্প্রতি মালদার অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু উদ্বাস্তুদের এখন বলা হচ্ছে, তারা ‘অবৈধভাবে জড়ো হয়েছেন’! এই অমানবিক আচরণ কি শুধুই প্রশাসনিক ব্যর্থতা, না কি অত্যন্ত সচেতনভাবে এক তোষণনীতির অংশ? আপনি মুর্শিদাবাদে নিরীহ হিন্দু পিতা-পুত্রের (হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস) নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে যাননি। কিন্তু একই সময়, আপনি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে সমাবেশে ডেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমনাত্মক বক্তৃতা করলেন। পুনরায় সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালনা করার চক্রান্ত করলেন। এতেই প্রমাণ হয়ে যায়— আপনার কাছে প্রাধান্য পায় কোন রাজনীতি! বাংলার হিন্দুরা আজ উপলব্ধি করছে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের প্রতিনিধি নন—তিনি একজন নির্বাচিত পক্ষপাতদুষ্ট রক্ষক।’’

    ভোটব্যাঙ্কের জন্য তুষ্টিকরণের রাজনীতির অভিযোগ

    মমতার বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ এনে সুকান্তর (Sukanta Majumdar) মন্তব্য, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টির একাধিক প্রতিনিধি মুর্শিদাবাদ পরিদর্শনে গেলে পুলিশ প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হন। আজ প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ হয়ে গেছে এই সরকার আক্রান্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায় না, বরং প্রকৃত সত্যকে আড়াল করাই তাদের উদ্দেশ্য। ভারতের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের সমানাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার গ্যারান্টি দেয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। এই সরকার একটি নির্দিষ্ট ভোটব্যাংকের তুষ্টি নীতিকে শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রস্থলে নিয়ে এসেছে।’’

    ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, ‘‘হিন্দুদের ধর্মীয় অধিকার, নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতি—সবকিছুকেই আজ রাজনৈতিক স্বার্থের বলি করা হচ্ছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, আপনি যতই সুর পাল্টান, যতই ‘শান্তির বার্তা’ প্রচার করুন—আপনার কার্যকলাপ এবং প্রশাসনিক আচরণ আজ সম্পূর্ণ উল্টো ছবি এঁকে প্রমাণ করে দিয়েছে আপনার মুখোশ উন্মোচিত। আজ বাংলার হিন্দুরা জানে, তারা এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘তারা জানে, এই তোষণের অন্ধকার রাজনীতি (Murshidabad Violence) থেকে মুক্তির একমাত্র পথ—সত্য প্রকাশ এবং প্রতিরোধের রাজনীতি। সম্পূর্ণ বাংলা আজ জেগে উঠেছে। ইতিহাস আপনার তোষণ ও ব্যর্থতার মূল্যায়ন করবে, এবং হিন্দুরা এই অত্যাচারের ইতিহাস কখনও ভুলবে না। সুতরাং, আপনার এই বার্তা কেবলমাত্র মুখ লুকোনোর একটি দুর্বল প্রচেষ্টা মাত্র। ইতিহাস আপনাকে ক্ষমা করবে না।’’

  • Digestive problems: গরমে বাড়ছে হজমের গোলমাল! নিয়মিত কোন খাবার খেলে সমস্যা কমবে?

    Digestive problems: গরমে বাড়ছে হজমের গোলমাল! নিয়মিত কোন খাবার খেলে সমস্যা কমবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের শুরু থেকেই বাড়ছে অস্বস্তি! গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ার জেরেই সমস্যা বাড়ছে। নানান শারীরিক সমস্যাও বাড়ছে। অনেকেই এই আবহাওয়ায় হজমের সমস্যায় (Digestive problems) ভুগছেন। বিশেষত শিশুদের খাবারে অনীহা দেখা দিচ্ছে। আবার অনেক সময় সামান্য পরিমাণ খাবার খেলেই বমি হচ্ছে। শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও হজমের গোলমাল দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় নিয়মিত কয়েকটি খাবার খেলেই হজমের সমস্যা সহজেই মোকাবিলা করা যাবে। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেরই এই আবহাওয়ায় হজম নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় পেটের সমস্যা এবং হজমের গোলমাল ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। তাই তাঁদের পরামর্শ, নিয়মিত পাতে থাকুক কিছু নির্দিষ্ট খাবার। আবার কয়েকটি খাবার এই সময় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। আসুন, দেখে নিই, হজমের সমস্যা মেটাতে কোন খাবার বাড়তি সাহায্য করবে?

    আদার রস মেশানো এক গ্লাস জল (Digestive problems) 

    গরমে হজমের গোলমাল কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়ার পরামর্শ বারবার দেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে জলে কয়েক ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে খেলে আরও বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দিনের যে কোনও সময় এক গ্লাস জলে তিন থেকে চার ফোঁটা আদার রস মিশিয়ে খেলে হজমের সমস্যা কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আদা হজমশক্তি বাড়াতে বাড়তি সাহায্য করে। আদায় থাকে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদান। যা হজমের সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই আদার রস মেশানো জল নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যার সহজেই সমাধান করা যায়।

    নিয়মিত একটি আপেল

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারের সঙ্গে থাকুক একটি আপেল। শিশু থেকে বয়স্ক, সকলের জন্য এই ফল বাড়তি উপকার দেবে। আপেলের নানান স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তবে আপেল হজম শক্তি বাড়াতেও খুব সাহায্য করে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান হজম শক্তি (Digestive problems) বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই এই আবহাওয়ায় নিয়মিত একটি আপেল খেলে হজমের সমস্যা কমবে।

    শেষ পাতে টক দই (Digestive problems) 

    দুপুরে তাপমাত্রার পারদ মারাত্মক বেড়ে যায়। দিন কয়েক ধরেই দুপুরে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অফিসের লাঞ্চ ব্রেক হোক কিংবা বাড়ির মধ্যাহ্ন ভোজ, শেষ পাতে এই সময় টক দই থাকা জরুরি। শিশুদেরও নিয়মিত টক দই খাওয়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, টক দইয়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক। তাই টক দই অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। নিয়মিত টক দই খেলে হজম শক্তি বাড়ে। পেটের গোলমালের ঝুঁকিও কমে। তবে তাঁরা জানাচ্ছেন, চিনি বা মিষ্টি মিশিয়ে টক দই খেলে চলবে না। এতে পুষ্টিগুণ কমে যায়।

    শিশুদের হজমের সমস্যা কমাতে বাড়তি কোন দিকে নজর দেওয়া জরুরি?

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম বাড়তেই হজমের সমস্যা (Digestive problems) ও পেটের গোলমালের জেরে অনেক শিশুর ভোগান্তি বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে বাড়তি খেয়াল রাখা দরকার। শিশুদের সুস্থ রাখতে চটজলদি খাবার একেবারেই দেওয়া যাবে না‌ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাজারের চটজলদি খাবারে পুষ্টিগুণ একেবারেই থাকে না। এর ফলে হজমের সমস্যা আরও বাড়ে। বিশেষ করে পিৎজা, বার্গারের মতো প্রসেস খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক দেওয়া থাকে। যা অন্ত্রের বিশেষ ক্ষতি করে।
    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় (Summer) শিশুদের প্রাণীজ প্রোটিন দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিমাণের দিকে নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাণীজ প্রোটিন হজম করতে সময় লাগে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ মাংস কিংবা ডিম খেলে অনেক সময় সমস্যা হতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, হজমের সমস্যা কমাতে প্রাণীজ প্রোটিনের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ‌ সবজি নিয়মিত দিতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, পটল, ঝিঙে, উচ্ছের মতো সবজি নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এই সবজিগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। তাই এগুলি হজম শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 21 April 2025: আটকে থাকা কাজ পূর্ণ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 21 April 2025: আটকে থাকা কাজ পূর্ণ হতে পারে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজ পরোপকারের কাজে সময় কাটাবেন।

    ২) নিজের কাজের চেয়ে বেশি অন্যের কাজে মনোনিবেশ করবেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে সময়ের মধ্যে কিছু কাজ পূর্ণ করতে হবে।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে অতিথি আগমন হতে পারে।

    ২) কোনও শুভ অনুষ্ঠানের কারণে পরিবারে সদস্যদের আনাগোনা লেগে থাকবে।

    ৩) সকলে আপনার প্রতি ক্ষুব্ধ থাকবে।

    মিথুন

    ১) আজ উন্নতি হবে।

    ২) নতুন সম্পত্তি লাভ করতে পারেন।

    ৩) স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে নেবেন।

    কর্কট

    ১) মান-সম্মান ও প্রতিষ্ঠা বাড়বে।

    ২)  অতীত ভুলের কারণে অনুতপ্ত হবেন।

    ৩) কোনও কারণে কারও কাছে ক্ষমা চাইতে হতে পারে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি মিশ্র পরিণাম প্রদান করবে।

    ২) খাওয়া-দাওয়ার বিশেষ যত্ন নিতে হবে, তা না-হলে সমস্যা সম্ভব।

    ৩) আটকে থাকা কাজ পূর্ণ হতে পারে।

    কন্যা

    ১) পারিবারিক সমস্যা দেখা দেবে আজ।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিয়ে থাকলে তা ফিরে পেতে পারেন।

    ৩) কর্মক্ষেত্রে কোনও সমস্যা এলে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

    তুলা

    ১) আজ নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।

    ২) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্যে আনন্দিত থাকবেন।

    ৩) আবহাওয়ার প্রতিকূলতা আপনার স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১)  আজকের দিনটি ভালো কাটবে।

    ২) আয় বৃদ্ধির ফলে পুরনো ঋণ শোধ করতে পারবেন।

    ৩) প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হবে, তাঁদের কাছ থেকে নতুন তথ্য পাবেন।

    ধনু

    ১) সাংসারিক সুখ-সাধনে বৃদ্ধি হবে।

    ২) কোনও মামলার কারণে আদালতের চক্কর লাগাতে হতে পারে।

    ৩) কোনও কারণে সঙ্গীর সঙ্গে তর্ক হতে পারে।

    মকর

    ১) গাড়ি খারাপ হতে পারে।

    ২) আর্থিক ব্যয় বাড়বে।

    ৩) বন্ধুর বাড়িতে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি ব্যস্ততায় কাটবে।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্যের স্বাস্থ্য দুর্বল হলে অধিক দৌড়ঝাপ করতে হবে।

    ৩) ব্যয় বাড়বে অনেকটাই।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি সুখপূর্ণ।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা চুক্তি সম্পন্ন হবে।

    ৩) সন্ধ্যাবেলা গুরুত্বপূর্ণ খবর পাবেন।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Jammu and Kashmir: বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর! হড়পা বানে মৃত এক শিশু সহ তিন, নজর রাখছে কেন্দ্র

    Jammu and Kashmir: বিপর্যস্ত জম্মু-কাশ্মীর! হড়পা বানে মৃত এক শিশু সহ তিন, নজর রাখছে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ব্যাপক প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, সে রাজ্যের রামবান জেলার ধর্মকুন্ড গ্রামে রাতভর বৃষ্টির জেরে হড়পা বান (Heavy Rain) নামে। এর জেরেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছে এক শিশুও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এক জন। হড়পা বানের জেরে ভেসে গিয়েছে বহু বাড়ি। একইসঙ্গে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে গোটা এলাকা।

    নজর রাখছে কেন্দ্র

    পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্রও, একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘‘রাতভর প্রবল শিলাবৃষ্টি, একাধিক ভূমিধসের কারণে রামবান অঞ্চলের (Heavy Rain) আশেপাশের এলাকাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত কয়েকটি পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছে। আর্থিক এবং অন্যান্য সকল ধরণের ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আমরা সকলে মিলে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠব।’’

    বৃষ্টির জেরে বহু জায়গায় ধসও নেমেছে

    একটানা ভারী বৃষ্টির (Jammu and Kashmir) জেরে বহু জায়গায় ধসও নেমেছে। ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘর-বাড়ি। প্রশাসনের তরফ থেকে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ধসপ্রবণ এলাকা থেকে একাধিক পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি জাতীয় সড়কে পণ্যবাহী গাড়িগুলির যাতায়াতও আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ভূমিধসের কারণে শত শত গাড়ি ইতিমধ্যে আটকে পড়েছে রাস্তায়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

    পুলিশের বিবৃতি (Jammu and Kashmir)

    অন্যদিকে ভয়ঙ্করভাবে বাড়তে দেখা যাচ্ছে চন্দ্রভাগা নদীর জলস্তর। এর ফলে নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যার কারণে দশটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং ২৫-৩০ টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ধর্মকুন্ডের পুলিশের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমের সামনে। তারা জানিয়েছে, রবিবার সকাল থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ে। এরপরেই দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ৯০-১০০ জনকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদেরকে বর্তমানে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকেই জানানো হয়েছে, দুর্যোগের কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে (Jammu and Kashmir)। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একজন নিখোঁজও রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ব্যক্তির সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

  • Bishnoi Gang: ‘এ বার তোর পালা’! সলমনের পরে লরেন্স গ্যাংয়ের নিশানায় ছোটপর্দার অভিনব

    Bishnoi Gang: ‘এ বার তোর পালা’! সলমনের পরে লরেন্স গ্যাংয়ের নিশানায় ছোটপর্দার অভিনব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউড অভিনেতা সলমন খান একের পর এক হুমকি পেয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের (Bishnoi Gang) থেকে। শুধু তাই নয় বলিউডের এই তারকার বাড়ি ‘গ্যালাক্সি’ লক্ষ্য করে গুলিও ছুড়েছিল বিষ্ণোইয়ের দুষ্কৃতীরা। একইসঙ্গে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে হুমকি পেতে হয়েছিল সলমনের বাবা সেলিম খানকেও। তার পর থেকেই এঁদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়। সলমনের বাড়ি ‘গ্যালাক্সি’র জানলায় বসানো হয় বুলেটপ্রুফ কাচও। এ বার সলমনের মতোই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কাছ থেকে একই রকমের হুমকি পেলেন অভিনেতা অভিনব শুক্লা (Abhinav Shukla)। অভিনেতার দাবি, হুমকিদাতা নিজেই জানিয়েছে সে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দলের লোক।

    তোর বাড়িতেও একে ৪৭ দিয়ে তেমনই গুলি চালাব (Bishnoi Gang)

    ওই হুমকিদাতা জানিয়েছে, সলমন খানের বাড়িতে যেমন গুলি চালানো হয়েছিল, সেই একই কায়দায় অভিনবের বাড়িতেও গুলি চালানো হবে। এমনটাই দাবি করেছেন অভিনব (Abhinav Shukla)। ছোট পর্দার অভিনেতা অভিনব তাঁর সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে পুরো ঘটনাটি জানিয়েছেন। অঙ্কুশ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি অভিনবকে ইনস্টাগ্রামে ব্যক্তিগত ভাবে সেই হুমকিবার্তা পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই হুমকি বার্তায় লেখা ছিল, “আমি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের লোক। তোর বাড়ির ঠিকানা আমার জানা আছে। আসব নাকি? সলমন খানের বাড়িতে যেমন গুলি করেছিলাম। তোর বাড়িতেও একে ৪৭ দিয়ে তেমনই গুলি চালাব।” শুধু তাই নয়, এই হুমকি বার্তার মধ্যে একাধিক অশালীন শব্দও জুড়ে দিয়েছিল অঙ্কুশ। এমনটাই অভিযোগ অভিনবের।

    অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি করে হত্যা করারও হুমকি দিয়েছে ওই ব্যক্তি

    প্রসঙ্গত, সেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি (Bishnoi Gang) অভিনবের প্রতি দিনের চলাফেরার বিষয়ে ওয়াকিবহাল বলেও জানিয়েছে। অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষীদের গুলি করে হত্যা করারও হুমকি দিয়েছে ওই ব্যক্তি । হুমকিবার্তা সমাজমাধ্যমে শেয়ার করে অভিনব লেখেন, “আমার পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে, এই ব্যক্তি চণ্ডীগড় বা মোহালির বাসিন্দা (Bishnoi Gang)। যাঁরা এই ব্যক্তিকে চিনতে পারছেন, তাঁরা পদক্ষেপ করুন।” তবে এখানেই শেষ নয়। অভিনবের স্ত্রী রুবিনা দিলাইকও এমন হুমকিবার্তা পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে সেই হুমকিদাতা আবার নিজেকে ‘বিগ বস্‌’ খ্যাত আসিম রিয়াজের অনুরাগী বলে দাবি করেছে নিজেকে।

LinkedIn
Share