Tag: Malda

Malda

  • Burdwan: বর্ধমান স্টেশনের বিপর্যয়কাণ্ড! পূর্ব রেলের কতগুলি জলের ট্যাঙ্ক ভাঙা পড়ছে জানেন?

    Burdwan: বর্ধমান স্টেশনের বিপর্যয়কাণ্ড! পূর্ব রেলের কতগুলি জলের ট্যাঙ্ক ভাঙা পড়ছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে চারজনের মৃত্যু হয়। ৩৪ জন যাত্রী জখম হন। সেই ঘটনার পরই এবার নড়েচড়ে বসল রেল কর্তৃপক্ষ। নতুন করে এই ধরনের বিপর্যয় যাতে না হয়, তার জন্য রেলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    রেলের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল?

    পূর্ব রেলের অধীনে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে একটি করে জলাধার আছে। এর মধ্যে একাধিক জলের ট্যাঙ্ক ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে হাওড়া ডিভিশনের তিনটি, আসানসোল ডিভিশনের আটটি এবং মালদা ডিভিশনের একটি জলের ট্যাঙ্ক। বিপদ এড়াতে এই সব ক’টি ট্যাঙ্ককেই ভেঙে ফেলা হবে। পূর্ব রেলের অধীনে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি জলাধার আছে। সেগুলির সব ক’টিকেই নষ্ট করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই তালিকায় আছে শিয়ালদা ডিভিশনের সাতটি, আসানসোল ডিভিশনের ২৩টি, হাওড়া ডিভিশনের ১৪টি এবং মালদা ডিভিশনে চারটি ট্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, হেরিটেজ তকমা পাওয়া বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনে গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা নাগাদ বিপর্যয় ঘটে। স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে থাকা ১৮৯০ সালে তৈরি ট্যাঙ্ক আচমকা ভেঙে পড়ে। ভিড়ে ঠাসা প্ল্যাটফর্মের শেডের উপর আছড়ে পড়ে বিপুল পরিমাণ জল ও ভাঙা ট্যাঙ্কের ধাতব অংশ। ওই দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম ক্রান্তি বাহাদুর (১৪), সোনারাম টুডু (৩৫), মফিজা বেগম (৩৫) এবং সুধীর সূত্রধর। ক্রান্তি এবং সোনারাম দু’জনেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বর্ধমান শহরের লাকুড্ডির বাসিন্দা ছিলেন মফিজা। এই ঘটনার পরই রেল কর্তৃপক্ষ বহু পুরানো জলাধার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

    পূর্ব রেলের আধিকারিক কী বললেন?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনের বিপর্যয়ের পর বিভিন্ন স্টেশনে আরও কিছু জলাধার চিহ্নিত করা হয়েছে। বিপজ্জনক হিসেবে সেগুলিকেও পরে নষ্ট করে ফেলা হবে। আপাতত নষ্ট করার আগে সব চিহ্নিত জলাধারগুলিতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক জল ভরা হবে। যদি মনে হয় কোনওটির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন, সেগুলির সংস্কার করা হবে। সে কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলা হবে বলে আশা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: দাদাগিরিতে ‘মাস্টার’ তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলেও! বাড়িতে ঢুকে হামলা, প্রসূতিকে মারধর!

    Malda: দাদাগিরিতে ‘মাস্টার’ তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলেও! বাড়িতে ঢুকে হামলা, প্রসূতিকে মারধর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের দাদাগিরি! আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল মালদা (Malda) জেলা জুড়ে। যদিও ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ মাধ্যম। প্রতিবেশী আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে সদ্য প্রসূতিকে মারধর ও ভাঙচুর করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ওই ‘গুণধরের’ বিরুদ্ধে। বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় দলবল নিয়ে হামলা করার অভিযোগে নাম জড়িয়েছে পুরাতন মালদা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বশিষ্ঠ ত্রিবেদীর ছেলে সুমিত ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। যদিও সাফাই দিয়েছে তৃণমূল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

    ফেলে দেওয়া হয় খাবার

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৯ ই ডিসেম্বর রাত বারোটা নাগাদ পুরাতন মালদা (Malda) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী অমরেশ দত্তের ছোট ছেলে অভিষেক দত্তের জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে বড় ছেলে অর্কপ্রভ দত্ত, তাঁর স্ত্রী এবং অন্যান্য আত্মীয়রা আসেন। হঠাৎ তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে সুমিত ত্রিবেদী দলবল নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। আর এই নিয়ে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা। বাড়িতে থাকা সমস্ত খাবার তারা ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে অর্কপ্রভ দত্ত তার স্ত্রী মৌসুমী মণ্ডলকে বাবার বাড়িতে রেখে এলে, সেখানে গিয়ে রাত ১ টা নাগাদ প্রথমে পেটে লাথি ও চুলের মুঠি ধরে তাঁর স্ত্রীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা নিয়ে মালদা থানার দ্বারস্থ হন আইনজীবীর পরিবার। তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে মালদা থানার পুলিশ।

    সাফাই তৃণমূল কাউন্সিলরের

    এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর বশিষ্ঠ ত্রিবেদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কিছুই বলতে চাননি। মৌখিকভাবে সাফাই দিয়েছেন। তিনি বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে আমার ছেলের বিরুদ্ধে। এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ওইদিন রাতে সেখানে একজন পুরসভার (Malda) অস্থায়ী কর্মী মারা গিয়েছিল। সে কারণে গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ ছিল। যারা অভিযোগ করছে, তারাই মাইক বাজিয়ে সেখানে পার্টি করছিল। আর তাতে স্থানীয়রা বাধা দিতে যায় এবং গন্ডগোল হয়। এখন আমার ছেলের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করছে, তা যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আইন আইনের পথে চলবে।”

    নিন্দা বিজেপির

    এই ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন মালদা (Malda) বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, “ঘটনাটা শুনেছি। অনুষ্ঠানে কে কাকে ডাকবে, সে তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।সেখানে গিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলরের ছেলের এই সমস্ত করাটা ঠিক হয়নি। তৃণমূলের এটাই কালচার, সারা রাজ্য জুড়ে এসব চলছে। অভিযোগ হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করবে এবং যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে।” যদিও পাল্টা সাফাই দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু। তিনি বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে দলগতভাবে কোনও খবর আসেনি। তবে প্রশাসনিক স্তরে যদি অভিযোগ হয়ে থাকে, তাহলে দলের যে কোনও স্তরের নেতাকর্মীই হোক না কেন, প্রশাসন ঘটনার সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Scam Case: কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই ফের সক্রিয়, লালা ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা

    Coal Scam Case: কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই ফের সক্রিয়, লালা ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় রাজ্য জুড়ে ফের সিবিআই হানা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজ্যের নানা জায়গায় কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত লালা ওরফে অনুপ মাজি ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে-অফিসে অভিযান শুরু করেছে। এদিন সকাল থেকেই সক্রিয় সিবিআই। তদন্তকারী দলের অফিসাররা একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে ভবানীপুর, আসানসোল, মালদা এবং পুরুলিয়ায় তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

    রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী কয়লা পাচার (Coal Scam Case) কাণ্ডে অভিযুক্ত বলে সিবিআই-ইডি জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে বন্দি। উল্লেখ্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কয়লাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান ফের একবার রাজ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

    সিবিআই সূত্রে খবর (Coal Scam Case)

    রাজ্যের জেলা জুড়ে ১২ টি জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের স্নেহাশিস তালুকদার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মালদার রতুয়ার শ্যামল সিং নামে আরও এক ব্যক্তির বাড়িতেও তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়েছে। উল্লেখ্য দু’জনই কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam Case) অভিযুক্ত লালার খুব ঘনিষ্ঠ। এই স্নেহাশিস লালার আর্থিক হিসেবের কাজ দেখাতেন। পাশপাশি বৃহস্পতিবার সকালে ভবানীপুরের এক আবাসনে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।

    কয়লা পাচার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত লালা

    ২০২০ সালে কয়লা পাচারের (Coal Scam Case) তদন্ত শুরু করে সিবিআই। লালা ওরফে অনুপ মাজি হলেন এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। এই লালা আবার তৃণমূলের খুব ঘনিষ্ঠ। লালার সঙ্গে গুরুপদ মাজি নামক আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। লালা জামিন পেলেও বাকিরা তিহার জেলে বন্দি। উল্লেখ্য এই কয়লা পাচার মামলায় তৃণমূলের তৎকালীন যুব সহ সভাপতি বিনয় মিশ্রও প্রধান অভিযুক্ত। তদন্তকারী অফিসারেরা তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছেন। বর্তমানে তিনি পলাতক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বার বার এই অভিযোগ করা হয়। তাই, বিরোধীদের আক্রমণের নিশানায় থাকে পুলিশ। এবার শাসক দলের দুই নেতা পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করলেন। এর আগে পুলিশকে মেরে তার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন একসময়ের বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় তিনি এখন জেলে রয়েছেন। এবার পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অশালীন ইঙ্গিত করে প্রকাশ্য মঞ্চে বেলাগাম করলেন মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি।

    পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দুই তৃণমূল নেতার (Malda)

    মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর সদরের শহিদ মোড়ে আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সভা চলছিল। সেই সভাতেই মঞ্চ থেকে অন্যান্য জেলা ও ব্লক নেতৃত্বদের সামনেই পুলিশকে বেলাগাম আক্রমণ করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলি এবং জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতা বিকাশবাবু বলেন, যে সব পুলিশ অফিসার মানুষের জন্য কাজ করছে না তাঁদের বিছুটি পাতা ঘষে দিতে হবে। পুলিশের একাংশ বিরোধীদের হয়ে দালালি করছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে স্বপন আলিও পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দেন। আর এই দুই শাসক নেতার মন্তব্য নিয়েই শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়। এতদিন বিরোধীরা একরাশ অভিযোগ করতেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার শাসকেরই রোশের মুখে পুলিশ। পরবর্তীতেও এই দুই নেতা সংবাদমাধ্যমের সামনে তাদের বক্তব্য অনড় থেকেছেন। তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাঁদের বক্তব্যকে তাদের ব্যক্তিগত বক্তব্য বলে দায় এড়িয়ে গিয়েছেন।

    তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে, সরব বিজেপি

    তৃণমূলের এই বক্তব্য নিয়ে মালদার (Malda) বিজেপি নেতা কিষাণ কেডিয়ার কটাক্ষ, তৃণমূল এই সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত। আসলে রাজ্যজুড়ে ইডির হানা চলছে। হয়ত এরপর হরিশ্চন্দ্রপুরেও আসতে পারে। তাই, তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: রেল লাইনে উঠে এল লরি! দুর্ঘটনার কবলে আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস

    Train Accident: রেল লাইনে উঠে এল লরি! দুর্ঘটনার কবলে আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেক আগেই মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা সেতুর কাছে জাতীয় সড়়ক ধরে প্রচণ্ড গতিতে আসা ট্রাক রেল লাইনে উঠে গিয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনা পর পর দুবার হয়েছিল। একবার একটি মালগাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই আবারও রেল দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটল ফরাক্কায়। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতা থেকে রাধিকাপুরগামী এক্সপ্রেস।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Train Accident)

    স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের অনেকটাই গতি ছিল। ফরাক্কার কাছে রেল লাইনের উপর একটি লরি আটকে যায়। লরির কাছে ট্রেনটি আসতেই চালক ব্রেক কষেন। কিন্তু, গতি থাকায় ট্রেনটি লরিটিকে ধাক্কা মারে। ট্রেনের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার (Train Accident) জেরে আপ-ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে, যাত্রীদের জখম হওয়ার কোনও খবর নেই। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন ছুটে যান। রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। এই দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রেল। লরিটির বিস্তারিত রেলের আধিকারিকদের হাতে এসে গিয়েছে। তদন্তের জন্য রাজ্য পুলিশকে সেই সব তথ্য ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন মালদার ডিআরএম। এই ঘটনা নিয়ে রেলের তরফেও তদন্ত করা হবে। রেলকর্তারা মনে করছেন, রেললাইনে এসে যাওয়ার পরও যদি লরিচালক কোনও আলো দেখাতেন, তাহলে ট্রেনের চালক সতর্ক হতে পারতেন। কিন্তু সে রকম কিছু না করায় জরুরি ব্রেক ব্যবহার করেও দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি। যদিও চালকের তৎপরতায় বড় ক্ষয়ক্ষতি আটকানো গিয়েছে, দাবি রেলের আধিকারিকদের।

    ডিআরএম কী বললেন?

    পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনের ডিআরএম বিকাশ চৌবে জানিয়েছেন, লরির ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটেছে তার নিকটবর্তী লেভেল ক্রসিং ঠিক সময়েই বন্ধ হয়েছিল এবং লরিটি লেভেল ক্রসিং দিয়ে আসেনি। দুর্ঘটনাস্থলের উপরে যে ফ্লাইওভার রয়েছে, সেখান থেকে ভুল পথে নেমে এসেছিল লরিটি।  ডাউন লাইনকে ট্রেন চলাচলের জন্য তৈরি করে ফেলা হয়েছে। আপ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি! প্রথম হুমকি, তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নৃশংস খুন টোটো চালককে

    Malda: আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি! প্রথম হুমকি, তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নৃশংস খুন টোটো চালককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শাসনে রাজ্যে হাতে হাতে ঘুরছে অস্ত্র, এ অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায়। শুধু অভিযোগই বা কেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বোমাবাজি, গুলি চালানোর মতো ঘটনাও তো কম ঘটছে না। বিরোধীদের অভিযোগ, বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজ্য। পথেঘাটে বের হওয়া মানুষের নিরাপত্তাও মাঝে মধ্যে প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়াচ্ছে। এবার নৃশংস এবং মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল মালদায় (Malda)। সামান্য চুরির ঘটনার শোচনীয় পরিণতিতে হয়ে গেল খুন। তাও যা ঘটল, তা অন্য দিক থেকেও উদ্বেগজনক। কারণ, প্রথমে ছিল খুন করার হুমকি। আর তারপর দু’দিনও কাটল না।

    কী ঘটনা? (Malda)

    হুমকির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক টোটো চালকের মৃতদেহ। মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা মালদা জেলার পুরাতন মালদা থানার রসিলাদহ বাগানপাড়া এলাকায়। জানা গেছে, মৃত টোটো চালকের নাম নেপাল মণ্ডল। গত এক সপ্তাহ আগে তাঁর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এলাকারই কয়েকজন যুবককে সন্দেহ করেন নেপাল। এই নিয়ে গ্রামে সালিসি সভাও বসে। কিন্তু কোন মীমাংসা না হওয়ায় নেপাল মণ্ডল পুরাতন মালদা (Malda) থানার দ্বারস্থ হওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করেন। এর পরই গত পরশুদিন রাতে নেপাল মণ্ডলকে ফোন করে কে বা কারা খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। সেই হুমকির ৪৮ ঘণ্টা না কাটতেই আজ সকালে নিজের ঘর থেকে ওই টোটো চালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

    গলায় মশারি এবং মুখে বালিশ (Malda)

    মৃত নেপাল মণ্ডলের স্ত্রী মৌসুমী মণ্ডলের অভিযোগ, তাঁর স্বামী নেশা করত। এই কারণে আলাদা বাড়িতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকতেন তিনি। তবে প্রতিদিন যাতায়াত ছিল। তাঁর স্বামী জানিয়েছিল তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে (Malda)। এর পরই আজ সকালে ঘরের ভিতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত নেপাল মণ্ডলের গলায় মশারি এবং মুখে বালিশ দেওয়া অবস্থায় পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: অনুব্রত ঠিকই বলেছিলেন, ঢেউ খেলানো রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে মালদার উন্নয়ন!

    Malda: অনুব্রত ঠিকই বলেছিলেন, ঢেউ খেলানো রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে মালদার উন্নয়ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত ভুল কিছু বলেননি, উন্নয়ন এখানে সত্যিই রাস্তায় দাঁড়িয়ে। কারণ, রাস্তা তো নয়, যেন দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে আছে। রীতিমতো ঢেউ খেলানো। জায়গায় জায়গায় চাকলা উঠে পরিস্থিতি দিনকে দিন যেন আরও সঙ্গীন হয়ে উঠছে। অথচ রাস্তাও (Malda) কম নয়, মালদার গাজোল ব্লকের দেওতলা থেকে চাকনগর-প্রায় ১৭ কিলোমিটার। বাসিন্দারা বলছেন, স্কুল-কলেজ, বাজার, সরকারি অফিস সে সব না হয় কোনও রকমে করা গেল। কিন্তু কেউ অসুস্থ হলে? সে এক দুঃসহ যন্ত্রণা। কীভাবে রোগীকে নিয়ে যাওয়া যাবে? অ্যাম্বুল্যান্স তো ওই রাস্তা দিয়ে গ্রামে ঢুকবেই না। ভ্যান কিংবা ছোট গাড়িই ভরসা। ফলে স্বাভাবিক কারণেই রোগীর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা বেড়ে যায়। অনেকেই বলছেন, প্রসব যন্ত্রণা উঠলে দুশ্চিন্তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনও হয়েছে, উঁচু-নিচু রাস্তায় যেতে যেতে মাঝপথেই প্রসব হয়ে গিয়েছে। ফলে রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে।

    বিজেপি পঞ্চায়েতে বলেই বঞ্চনা? (Malda)

    দীর্ঘদিন ধরে এই অবহেলা কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এল রাজনীতির এক নোংরা চিত্র। উল্লেখ্য, এখানকার পঞ্চায়েতে গত ১০ বছর ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। সেই পঞ্চায়েতেরই প্রধান বলছেন, রাজ্যের শাসন ক্ষমতা এবং অর্থ-সবই তো তৃণমূলের করায়ত্ত। শুধু রাস্তা (Malda) কেন, কোনও কাজেই টাকা মিলছে না। ওপর মহলে যেখানে যা জানানোর, বহুবার বলা হয়েছে। চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দীপু ওঁরাও সরাসরি অসহযোগিতারই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে হলে কী হবে, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ তো তৃণমূলের। এমনকী সরকারি অফিসাররাও শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনেই চলেন। ফলে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় থেকেও চরম বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে।

    কী জবাব তৃণমূলের? (Malda)

    গাজল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন অবশ্য এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। রাস্তার যে সমস্যা রয়েছে, এবং মানুষের যে তাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করে তিনি বলেন, গোটা বিষয়টিই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। রাস্তার (Malda) কাজ তাড়াতাড়ি শুরু হবে, এমন আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ নিদান দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি

    Malda: বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ নিদান দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বেশি আক্রমণাত্মক হচ্ছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। দুদিন আগেই কোচবিহারের দলীয় সভায় বিজেপি কর্মীদের বাড়ি থেকে বের করে মারার নিদান দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ হুমকি দিলেন মালদা (Malda) জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? (Malda)

    মালদার (Malda) বামনগোলায় পথসভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন আব্দুর রহিম বক্সি। তিনি বলেন, ‘বিজেপি সাংসদ খগেনবাবুরা ৩৫ কোটি টাকা পান, কত টাকা কমিশনে কাজ বিক্রি করেছেন ঠিকাদরদের কাছে। সেই ৩৫ কোটি টাকা কোথায় তার হিসেব দিতে হবে। এরপরেই তিনি বলেন, ‘বহু কথা বলেছেন,বড় বড় আওয়াজ তুলছেন, মানুষ কিন্তু এবার ছেড়ে কথা বলবে না। যে মুখ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন, যে মুখ দিয়ে মিথ্যা কথা বলে মানুষদের বিভ্রান্ত করছেন, সেই মুখ থেকে জিভটা টেনে ছিঁড়ে বের করে মানুষ প্রমাণ করবে যে মানুষ আপনাদের সঙ্গে নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই কলোনির হাটে যে রাস্তাগুলো হয়নি এখানে কেন্দ্রীয় সরকার যত বঞ্চনা করুক, খগেন মুর্মু যত বঞ্চনা করুক, জুয়েল মুর্মু যত বিরোধিতা করুক আর বিজেপি যত বিরোধিতা করুক, সমস্ত রাস্তা তৃণমূল কংগ্রেস করবে।’ মূলত বেহাল রাস্তার কারণে খাটিয়া নিয়ে রোগী নিয়ে যেতে রাস্তাতেই রোগীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা থেকে বাঁচতে রাস্তা তৈরির সাফাই দিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপি বিধায়ক কী বললেন?

    বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু বলেন, ‘আমরা কারও জিভ ছিঁড়তে রাজি নই। এই মন্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। মালদায় (Malda) অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ার জন্য এক মহিলার মৃত্যু দুঃখজনক। তবে এমজিএনআরজিএ-র কাজ হলে রাজ্য সরকার সেই কাজ করবে। সেটা বিধায়কের দেখার কথা নয়। স্থানীয় গ্রামের প্রশাসনের দেখা উচিত।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: মালদার পর বর্ধমান, এখানেও রোগীদের খাটিয়ায় নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে!

    Purba Bardhaman: মালদার পর বর্ধমান, এখানেও রোগীদের খাটিয়ায় নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ নিদান দিয়েছিলেন, “রাস্তা খারাপ হলে কেউ মারা যান না। মারা যান ভাগ্য খারাপ হলে।” তৃণমূলের উন্নয়ন এবং পথশ্রী যে ব্যর্থ, তা আরও একবার প্রমাণিত হল বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। মালদার পর বর্ধমান, এখানেও রোগীদের খাটিয়ায় নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। সমস্যাটা জানেন বিডিও, চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে জেলা আধিকারিক সকলেই। তবুও দুর্ভোগ চলছেই। বর্ষাকালে এই রাস্তার হাল কহতব্য নয়, ঠিক এমনটাই জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান সদরের বন্ডুল গ্রামের আদিবাসীপাড়ায় রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল। প্রশাসনের কাছে রাস্তা নির্মাণের দাবি জানানো হলেও মিলছে না সমাধানসূত্র। উল্লেখ্য মালদায় খারাপ রাস্তার কারণে খাটিয়া করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয়। এরপরই প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

    নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষোভ

    আদিবাসী পাড়ার এক ব্যক্তি দুলন সর্দার বলেন, “গ্রামের (Purba Bardhaman) ভিতরে আসা যাওয়া করতে প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হলে খাটিয়া করেই জীবিত মানুষকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। এলাকা থেকে হাসপাতাল প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে। খারাপ রাস্তার কারণে রোজ স্কুল যেতে ব্যাঘাত ঘটছে পড়ুয়াদের। আর বর্ষাকালে রাস্তায় হাঁটাচলা করাই সমস্যা।” আরেক বাসিন্দা রবিলাল বাস্কে বলেন, “নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দেন। ভোট নিয়ে যান। গ্রামের ভিতরে এই রাস্তাটুকু চলার অযোগ্যই থেকে যায়।”

    বেহাল রাস্তায় ক্ষুব্ধ গ্রামের মানুষ

    গ্রামের (Purba Bardhaman) বাসিন্দা বাবু বেসরা বলেন, “এলাকায় দীর্ঘদিনের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। দশ বছর ধরে আবেদন নিবেদন করলেও পঞ্চায়েত থেকে বি.ডি.ও এবং বিধায়ক থেকে জেলা পরিষদ, বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদকে অভিযোগের কথা জানালেও কোনও সমাধান হচ্ছে না। প্রশাসনের বিন্দুমাত্র সমস্যা নিয়ে হুঁশ নেই।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    তবে বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের (Purba Bardhaman) চেয়ারম্যান কাকলি তা বলেন “হঠাৎ করে ওই পাড়াটি গ্রামের ভিতরে গড়ে তুলেছেন আদিবাসীরা। নিজেদের আত্মীয় এনে বসতি গড়েছেন। পাড়ার ভিতরে কিছুটা রাস্তা হলেও মূল রাস্তার সাথে এখনও সংযোগ করা যায়নি।” তিনি স্বীকার করেন অসুবিধা আছে। তবে এও জানান, একটি পরিবার বারো কাঠা জায়গা দিলে তবেই রাস্তাটি হতে পারে। এই যুগে কে এই রাস্তার জন্য জমি দেবে? এনিয়ে জটিলতা রয়েছে। জমি অধিগ্রহণও হয়নি বলে তিনি জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: অভাবে দেড় লক্ষ টাকায় সন্তান বিক্রি! অভিযুক্ত মায়ের থেকে কাটমানি নিলেন তৃণমূল নেতা

    Malda: অভাবে দেড় লক্ষ টাকায় সন্তান বিক্রি! অভিযুক্ত মায়ের থেকে কাটমানি নিলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভাবের তাড়নায় ১৮ দিনের সদ্যোজাতকে স্থানীয় ব্যবসায়ী দম্পতির কাছে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠল পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা সেই সদ্যোজাতকে আবার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেন। তবে, তাঁর কাছে থেকেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ওই নেতার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় অভিযুক্ত গৃহবধূর সংসারে অর্থাভাব। ঠিকভাবে জোটে না খাবার। রয়েছে এক বছরের শিশু সন্তান। চলতি মাসের ১ নভেম্বর আবার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মা। কিন্তু, দ্বিতীয় সন্তানের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার মতো অবস্থা নেই। তাই, ১৮ দিনের শিশুকে বিনোদ আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ী দম্পতির কাছে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন মা। যদিও এই বিক্রি করার খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা শিশুটিকে ওই ব্যবসায়ী  দম্পতির কাছ থেকে এনে মায়ের কোলে তুলে দেন বলে জানা গেছে। কিন্তু, ওই দেড় লক্ষ টাকা স্থানীয় সেই তৃণমূল নেতা অভাবী মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে গ্রামের সালিশিতে এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা ফেরত দিলেও ত্রিশ হাজার টাকা এখনও ফেরত দেননি।

    কী বললেন অভিযুক্ত মা?

    অভিযুক্ত মা বলেন, স্বামী আমাকে দেখেন না। সংসার চালানোর টাকা নেই। দ্বিতীয় সন্তান হওয়ায় খাওয়াব কী করে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। পরে, সন্তানকে দেড় লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিলাম। আমার কাছে থেকে টাকা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে, টাকা ফেরত পেলেও ৩০ হাজার টাকা এখনও পাইনি।

    তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষক দ্রোণাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি শুধু শিশু বিক্রি আটকেছি। কোনওরকম টাকার বিষয় আমি জানি না। শিশু বিক্রি করা অপরাধ। সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি। সেটা যদি অপরাধ হয় তা আমি করেছি।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা কিষাণ কেডিয়া বলেন, রাজ্যের কর্মসংস্থানের বেহাল দশা এই ঘটনায় প্রমাণ হচ্ছে। এতটাই অভাব মানুষের যে মানুষ শিশুকে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। আর সেখান থেকেও কাটমানি নিয়ে নিচ্ছে তৃণমূল। এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share