Tag: Malda

Malda

  • Malda: “প্রশাসন চায় না এলাকায় রাস্তা হোক”, খাটিয়ায় রোগীমৃত্যুর ঘটনায় তোপ খগেন মুর্মুর

    Malda: “প্রশাসন চায় না এলাকায় রাস্তা হোক”, খাটিয়ায় রোগীমৃত্যুর ঘটনায় তোপ খগেন মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) বামনগোলা ব্লকে গোবিন্দপুর মহেশপুর অঞ্চলের, মালডাঙ্গা গ্রামে এলেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। রাস্তার জন্য ঘোষণা করলেন ১০ লাখ টাকা। জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “প্রশাসন চায় না এলাকায় রাস্তা হোক”। গতকাল খারাপ রাস্তা এবং অ্যাম্বুল্যান্স না আসার কারণে খাটিয়া করে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যেতে পথেই মৃত্যু হয়েছিল ২৪ বছরের মহিলা রোগীর। এই নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছিল। রাস্তা ঠিক করার বিষয় নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। খাটিয়া করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রশাসন এবং শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি সাংসদ।

    মৃত রোগীর পরিজনের পাশে সাংসদ (Malda)

    খাটিয়ায় রোগীর মৃত্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকেই দায়ী করে একরাশ বিক্ষোভ উগরে দিলেন উত্তর মালদা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। আজ ওই এলাকায় গিয়ে মৃত ওই যুবতী মামনি রায়ের পরিবারের সাথে দেখা করেন সাংসদ এবং স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু। গ্রামবাসীদের নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে এলাকা জুড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদ।

    কী বললেন খগেন মুর্মু

    উত্তর মালদার (Malda) বিজেপি সাংসদ অভিযোগ করে বলেন, “এই এলাকার সাংসদ, বিধায়ক থাকলেও আমাদের কিছু করণীয় নেই। আমরা প্রশাসনকে বারবার রাস্তার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। কিন্তু আমরা বিজেপির প্রতীকে জয়ী হয়েছি বলে রাজ্য সরকার এলাকার রাস্তা করছে না। প্রশাসন বৈঠক ডাকুক আমিও আজই যাবো। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়কের যোজনায় রাস্তার জন্য চিঠি করবো। রাস্তার জন্য ১০ লাখ টাকা অনুদান দেবো আমি। কিন্তু প্রশাসন চায় না রাস্তা হোক। পাশের জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং উত্তর দিনাজপুরের সাংসদ দেবশ্রী চৌধরিও তাঁদের জেলা শাসকদের চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন কাজ করতে চায় না। প্রশাসন রাস্তা নিয়ে যেমন রাজনীতি করছে ঠিক তেমনি রাজ্যের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখা যায়নি। আগেও অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে মৃতদেহ কাঁধে করে ঘাড়ে করে অথবা ব্যাগে করে নিয়ে যেতে হয়েছে। সরকার অত্যন্ত নির্মম।”

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    এলাকার (Malda) এক বাসিন্দা সুমন মণ্ডল বলেন, “এই পাঁচ কিলোমিটার রাস্তাটা বহুদিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। প্রশাসনকে বার বার জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। রাস্তা ভালো থাকলে হয়তো ওই রোগীর মৃত্যু হত না। আমরা অবলম্বে রাস্তা চাই।” খাটিয়ায় রোগীকে নিয়ে যাওয়ায়, তার ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই নিন্দার ঝড় উঠেছিল রাজ্য জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মামনির মৃত্যুতে টনক নড়ল প্রশাসনের, ২ কোটি টাকা খরচে হচ্ছে রাস্তা

    Malda: মামনির মৃত্যুতে টনক নড়ল প্রশাসনের, ২ কোটি টাকা খরচে হচ্ছে রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুবার গ্রামবাসীরা দরবার করেছিলেন। কাজ হয়নি। প্রশাসন রাস্তা তৈরির বিষয়ে কোনও গা করেনি। কিন্তু, হতশ্রী রাস্তার জন্য যেভাবে একজনের প্রাণ গেল, তার দায় রাজ্য সরকারের। এলাকার মানুষ সেই সরকারের গাফিলতিকে তুলে ধরে শনিবার রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। মালদার (Malda) বামানগোলায় মালডাঙিতে বেহাল রাস্তার জন্য মামনি রায় নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। অবশেষে বামানগোলায় মালডাঙিতে রাস্তা তৈরির আশ্বাস দিলেন বিডিও। সূত্রের খবর, বিডিও এবং বামোনগোলা থানার আইসি লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে রাস্তা।

    রাস্তা তৈরির আশ্বাস নিয়ে অবরোধকারীরা কী বললেন? (Malda)

    মালদার (Malda) মালডাঙা গ্রাম থেকে গঙ্গাপ্রাসাদ কলোনি পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। তার জন্য প্রায় ২ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। অবরোধকারীদের সামনে  লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই ওঠে অবরোধ। অবরোধকারীদের বক্তব্য, পথশ্রী প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ চাকা খরচ করে রাস্তা তৈরির কথা বলা হলেও এই রাস্তা তৈরিতে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। বার বার বলার পরও কোনও কাজ হয়নি। মর্মান্তিক মৃত্যুর পরই প্রশাসন নড়েচড়ে বসল। এলাকাবাসীর দাবি মেনে রাস্তা তৈরি হলে মামনির প্রাণ এভাবে যেত না।

    প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন মালডাঙা গ্রামের গৃহবধূ মামনি রায়। শুক্রবার তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোকজন। অভিযোগ, রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে ওই এলাকায় ঢুকতে চায়নি কোনও অ্যাম্বুল্যান্সই। অনেকে বেশি টাকা দাবি করেন। অগত্যা খাটিয়া করেই মামনি দেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামের লোকজন। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি ওই গৃহবধূকে। এই ছবি সামনে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদি মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আবার বলেছেন, রাস্তার জন্য নয়, ভাগ্যে ছিল তাই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। তাঁর মন্তব্যেও উঠেছে বিতর্কের ঝড়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: খারাপ রাস্তা, নেই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা, খাটিয়ায় করে হাসপাতালে যেতেই পথে মৃত্যু রোগীর!

    Malda: খারাপ রাস্তা, নেই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা, খাটিয়ায় করে হাসপাতালে যেতেই পথে মৃত্যু রোগীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) খাটিয়ায় দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ২৪ বছরের রোগীকে। হ্যাঁ রাস্তা খারাপ বলে অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি। হাসপাতালে নিয়ে যেতে পথেই মৃত্যু হয় ওই রোগীর। এই অমানবিক ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিল ওড়িশার কালাহান্ডি দানা মাজির কথা। মৃত স্ত্রীর দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া ছিলনা বলে, মাথায় করে মৃত স্ত্রীর দেহ নিয়ে আসতে হয়েছিল তাঁকে। আবার এই রাজ্যেই এবছরেই জলপাইগুড়িতে মৃত ছেলের দেহ বাড়িতে আনার জন্য গাড়ি মেলেনি। শুধু তাই নয় কালিয়াগঞ্জের মৃত সন্তানের দেহ ব্যাগে করে বাড়িতে ফিরতে হয়েছিল বাবাকে। তিনিও পাননি অ্যাম্বুল্যান্স। এবার খাটিয়ায় করে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। সভ্যসমাজের কাছে অত্যন্ত লজ্জার ঘটনা বলে মন্তব্য করছেন সমাজকর্মীরা।

    মালদার কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Malda)?

    মালদার বামনগোলা ব্লকের, গোবিন্দপুর মহেশপুর অঞ্চলের মালডাঙা গ্রামের এই মধ্যযুগীয় বর্বরতার ছবি উঠে আসলো। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই গ্রামেরই গৃহবধূ মামনী রায় (১৯)। বছর কয়েক আগে এলাকার বাসিন্দা কার্তিক রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। সম্প্রতি তিনি জ্বরে ভুগছিলেন বলে খবর। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করেন। অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে খারাপ রাস্তার কারণে টাকা বেশি চেয়ে যেতে রাজি হয়নি অ্যাম্বুল্যান্স। অবশেষে খাটিয়াতে শুইয়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি মামনীকে। পথেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।

    নির্মম ভিডিও ভাইরাল

    বাড়িতে (Malda) মৃত মামনীর ২ বছরের এক সন্তানও রয়েছে। রাস্তার খারাপে জন্য প্রাণ গেল। ঠিক সময়ে পৌঁছালে হয় তো প্রাণ বেঁচে যেতো। অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য হাসপাতালে ফোন করলে রাস্তা খারাপের জন্য আসতে চায়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে কোনও বুদ্ধি না পেয়ে পরিবারের লোকেরা খাটিয়াতে দড়ি বেঁধে ঘাড়ে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাপক ভাইরাল হয়। অত্যন্ত অমানবিক নির্মম ভিডিও।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় রাস্তার জন্য বামনগোলা (Malda) বিডিও অফিসে এলাকাবাসী বহুবার গিয়েছিলেন। বিডিও সাহেব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কিন্তু রাস্তা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে খাটিয়াতে করে নিয়ে যেতে হয় রোগীকে। রাজ্যের গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “মৃত্যুর জন্য খারাপ রাস্তা দায়ী নয়, দায়ী তাঁর ভাগ্য। ভাগ্যে ছিল বলেই তিনি মারা গেছেন।” আবার এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি বলেন, “এই ঘটনা আমার জানা নেই সঠিক ভাবে। তবে রাজ্য সরকার যেভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন এরকম কোনও ঘটনা ঘটার কথা নয়, যদি ঘটে থাকে তাহলে খতিয়ে দেখবো বিষয়টি।

    বিজেপির বক্তব্য

    অপরে প্রশাসনের এই অমানবিক আচরণে বিজেপি তীব্র সমালোচনা করেছে শাসক দল তৃণমূলকে। বিজেপির তরফে জেলার নেত্রী (Malda) বিনা কীর্তনীয়া বলেন, “এতো এতো রাস্তা হচ্ছে পথশ্রী কোথায়? সরকার অত্যন্ত অমানবিক। রাস্তা নেই, অ্যাম্বুল্যান্স নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: “আমাদের দলেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে রয়েছে”, দুর্নীতি ইস্যুতে বেপরোয়া তৃণমূলের মন্ত্রী

    Malda: “আমাদের দলেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে রয়েছে”, দুর্নীতি ইস্যুতে বেপরোয়া তৃণমূলের মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন সমার্থক। তৃণমূল আছে, অথচ অন্তর্কলহ নেই, কাদা ছোড়াছুড়ি নেই, এটাও যেন আজ আর ভাবাই যায় না। এই তো কদিন আগের কথা। প্রত্যন্ত জেলা নয়, খাস কলকাতায় বসে দীর্ঘদিনের সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন তোপ দাগেন তৃণমূল বিধায়ক তথা তৃণমূলের ‘কালারফুল’ নেতা মদন মিত্র। হুমায়ুন কবীর তো উঠতে বসতে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে যা নয় তাই বলেন। এবার সেই ভূমিকাতেই দেখা গেল তৃণমূলের এক মন্ত্রীকে। তিনি হলেন রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কয়েকদিন আগে মালদা (Malda) জেলার কালিয়াচকের আলিনগরে তৃণমূল এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। ১০০ দিনের কাজে টাকা না মেলাই ছিল মূল ইস্যু। সেখনে ভাষণ দিতে গিয়ে দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই খড়্গহস্ত হতে দেখা গেল তাঁকে।

    কী বললেন মন্ত্রী? (Malda)

    যে ইস্যুতে তৃণমূলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রী জেলের ঘানি টানছেন, যে ইস্যুতে জনতার দরবারে তৃণমূলকে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে, সাবিনা ইয়াসমিন এদিন তাকেই হাতিয়ার করেন। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদেরকে বলব, আমাদের ভুল বুঝবেন না। আমরা যা করি আপনাদের জন্যই করি। এবার কেউ যদি কোনও দোষ করে থাকে, ভুলের ভাগীদার সে একা হবে। তার শাস্তি হোক এটাই আমরা চাই। আমার বাড়িতে যদি কোনও কুলাঙ্গার ছেলে থাকে, পুলিশ যদি তাঁকে গ্রেফতার করে, তবে বাপ-মা কী করবে! শাসন করার পরও ছেলে শুধরচ্ছে না। ঠিক তেমনি আমাদের পার্টিতেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে রয়েছে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে পাপ করবে, প্রায়শ্চিত্তও তাকেই করতে হবে। কোনও ভুলের জন্য দল দায়ী নয়। দল কি কাউকে চুরি করার জন্য বলেছে? কেউ একজন দাঁড়িয়ে বলুন তো, কারও থেকে কখনও কোনও টাকা-পয়সা নিয়েছি আমি? হ্যাঁ কখনও চা খেয়েছি। টাকার বিনিময়ে কোনও কাজ আমি (Malda) আমার রাজনৈতিক জীবনে করিনি। দল কখনও টাকার বিনিময়ে কাজ করার কথা বলেনি। কেউ যদি টাকার বিনিময়ে কাজ করে, তবে সে দায়ী। আমি আপনাদের বলব, কোনও কাজের জন্য কাউকে টাকা দেবেন না। আমাদের সরকার মানুষের জন্য সব ধরনের সুবিধা করে দিয়েছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গেলেই সব কাজ হয়ে যায়।’

    জেলার রাজনীতিতে চাঞ্চল্য (Malda)

    মালদা জেলায় (Malda) তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কলহ নতুন কিছু নয়। এই নিয়ে জেলায় গন্ডগোল, ঝামেলা, খুনখারাবি লেগেই থাকে। এবার সেই বিতর্ককে আরও উস্কে দিলেন মন্ত্রী। ফলে ফের নতুন বিতর্ক শুরু হল। যদিও এই বিতর্কে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব আগের মতোই এখনও চুপই রয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: আজব কাণ্ড! দুয়ারে রেশনে মিলছে টাকা! কীভাবে জানেন?

    Malda: আজব কাণ্ড! দুয়ারে রেশনে মিলছে টাকা! কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী রেশন বন্টন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত রাইস মিমল মালিক, রেশন ডিলারের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে। এসব ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, তখন দুয়ারে রেশনে আজব ছবি দেখা গেল মালদার (Malda) পাকুয়ায়। খাদ্য সামগ্রীর বদলে গ্রাহকরা টাকা পাচ্ছেন। সেই টাকা গুনে গুনে দিচ্ছেন খোদ ডিলার নিজেই। দুয়ারে রেশনের এমনই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় জেলার প্রশাসনিক মহলে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    গ্রাহকদের সুবিধার্ধে দুয়ারে রেশন চালু করেছে রাজ্য সরকার। এক বছর ধরে মালদাতেও (Malda) সে প্রকল্প চলছে। তবে পাকুয়ায় কামাতিপাড়ায় দুয়ারে রেশনের কোনও চিহ্ন নেই। নেই ফ্লেক্স, ফেস্টুন কিংবা খাদ্য সামগ্রী। রেশন ডিলার বিভা রায়ের ছেলে ঝঙ্কারেশ রায় কর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে গ্রাহকদের হাতে হাতে দিচ্ছেন নগদ টাকা। এমনই অভিযোগ গ্রাহকদের। তাঁদের দাবি, রেশনের খাদ্য সামগ্রী আটা,চালের মান খুবই নিম্নমানের। তাই, চাল, আটা খোলা বাজারে বিক্রি করতে দিতে হয়। তবে রেশন ডিলার নিজেই রেশন দোকানে বসে আটা, চালের মূল্য ধরে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যেককে টোকেন দেওয়া রয়েছে। সেই টোকেন নিয়ে ডিলারের কাছে গেলেই মিলছে টাকা। গ্রাহকদের বক্তব্য, আসলে রেশনে যে সামগ্রী দেওয়া হয় তা অত্যন্ত নিম্নমানের। রেশন ডিলার নিজেই তা কিনে নিতে চান। তাই, নিজের সামগ্রী সেখানে বিক্রি করে মূল্য পেয়ে যায়। রেশনে গুণগত মান ভাল দিলে আর আমরা বিক্রি করব না। 

    কী বললেন রেশন ডিলার?

    রেশন ডিলার বিভা রায়ের ছেলে ঝঙ্কারেশ রায় বলেন, নিয়ম মেনেই গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে রেশন কেনা কিংবা তাদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। প্রশাসনর পক্ষ থেকে তদন্ত করা হোক। 

    কী বললেন খাদ্য দফতরের আধিকারিক?                                     

    মালদার (Malda) পাকুয়ার কামাতিপাড়ায় ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যান বামনগোলার ফুড ইন্সপেক্টর মহম্মদ আলমেবাশেরুল। রেশন ডিলারের দোকান এবং গোডাউনেও যান তিনি। তিনি বলেন, রেশনে খাদ্য সামগ্রীর বদলে টাকা দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  বলে জানিয়েছেন খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                     

  • Malda: মালদায় ‘গনি খান’ মিথ কি শেষ! লোকসভায় মৌসমকে চাইছে না তৃণমূলের বড় অংশ

    Malda: মালদায় ‘গনি খান’ মিথ কি শেষ! লোকসভায় মৌসমকে চাইছে না তৃণমূলের বড় অংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গনি খান’ মিত কি ভাঙছে মালদায়! গনিখান চৌধুরীর ছবির উপর ভর করে একসময় এই জেলায় বাজিমাত করত কংগ্রেস। বাম আমলে গনি খান চৌধুরীর নামটাই ছিল কংগ্রেসের তুরুপের তাস। তাই এই পরিবারের সদস্যদের আলাদা গুরুত্ব ছিল সব সময়। সব রাজনৈতিক দলই আলাদা নজরে দেখত এই পরিবারের সদস্যদের। কয়েক বছর আগেই মালদার (Malda) বুকে কংগ্রেসে ব্যাপক ভাঙন ধরিয়ে হাজার হাজার অনুগামী নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মৌসম বেনজির নূর। তিনি এখন রাজ্যসভার সদস্য। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পার্টির প্রার্থী হওয়া নিয়ে দলের অন্দরে জোট চর্চা শুরু হয়েছে। দলের একটা বড় অংশের কর্মীরা মৌসমকে আর লোকসভার প্রার্থী করতে চাইছেন না। তারা রীতিমতো গণস্বাক্ষর করে রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।

    কেন ক্ষোভ? (Malda)

    বেশ কয়েক বছর আগেই কংগ্রেস ছেড়ে মৌসম তৃণমূলে যোগ দেন। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি হেরে যান। তবে, তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে রাজ্যসভায় সাংসদ নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু, সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে মালদায় (Malda) দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, বাড়ি গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হত। অনেক সময় ঠিক মতো করে কথাও বলতেন না নেত্রী। আপদে বিপদেও নেত্রীকে পাশে পাওয়া যায়নি। ফলে দলের মধ্যেই বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। একসময় যারা মৌসুমের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তাঁরাও ধীরে ধীরে নেত্রীকে পাশে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। কয়েক মাস পরেই হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই মৌসমকে নিয়ে ফের জেলার রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু, নিচুতলার কর্মীদের একটা বড় অংশ তাঁর থেকে সরে গেছে। তাই এবার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে চাইছেন না। শুধুমাত্র গনি খান চৌধুরীর পরিবারের সদস্য বলে মৌসমকে যাতে প্রার্থী না করে রাজ্য নেতৃত্ব তাই একটা অংশ গণ স্বাক্ষর করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দরবার করতে চলেছেন। তাঁর পরিবর্তে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দলের জেলার সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সিকে অনেকে চাইছেন।

    তৃণমূল নেত্রী মৌসম নূর কী বললেন?

    তৃণমূল নেত্রী মৌসম নূর বলেন, দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকতেই পারে। এটা নিয়ে চর্চার দরকার নেই। কিছু মানুষের মনে মান-অভিমান থাকতে পারে, সেটা মিটে যাবে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের নেতৃত্বে এখানে তৃণমূল ফের শক্তিশালী হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের মালদার (Malda) জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, প্রার্থী ঠিক করার বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব করে।  এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আর এই নিয়ে কে কী দাবি করছে তা আমার জানা নেই। তাই, এই বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: থানায় গিয়ে আইসিকে ‘উপহার’ দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: থানায় গিয়ে আইসিকে ‘উপহার’ দিলেন তৃণমূলের মন্ত্রী, জেলাজুড়ে শোরগোল

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ দলদাস। শাসক দলের হয়ে কাজ করে পুলিশ। এমনই অভিযোগ করে বিরোধীরা। আর সেই শাসকদলের হয়ে সারা বছর ধরে কাজ করা পুলিশকে ‘ভেট’ দেওয়া হবে না, সেটা কি হয়! আর তাই এবার পুজোর সময় মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি দেবদূত গড়মের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন তৃণমূলের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। নবমীর রাতের সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর এতে তৃণমূল এবং পুলিশ দুপক্ষই চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (Malda)

    জলপাই পোশাকে হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর আইসি দেবদূতবাবু। তাঁর দিকে হাসি মুখে উপহার এগিয়ে দিচ্ছেন প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। বিধায়কের পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তির হাত থেকে নতুন জামাও নিলেন আইসি। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। জানা গিয়েছে, নবমীর রাতে  হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গিয়ে আইসি-কে ‘পুজোর উপহার ’দেন মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক তাজমুল। বিরোধীদের বক্তব্য, পুলিশ এবং শাসকদলের নেতাদের মধ্যে যে দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক, তা এই ভিডিওতেই পরিষ্কার। আমাদের প্রশ্ন, এর পরও বিরোধীরা কী ভাবে আশা করবেন যে কোনও রাজনৈতিক অশান্তিতে নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবে পুলিশ? গোটা বিতর্কে মুখ খুলতে নারাজ জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপ যাদব।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    এই বিষয় নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাজমুল-ঘনিষ্ঠরা। তাজমুল হোসেন বলেন, এটা সৌজন্য। পুজো উপলক্ষে সামান্য উপহার দিয়েছি আইসিকে। তবে এই ভাবে উপহার দেওয়া যায় কি না, সেটা আমার জানা নেই।

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি?

    হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি উপহার নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সামান্য পুষ্পস্তবক দিয়েছেন মন্ত্রী। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা মন্ত্রীর এলাকার মধ্যে পড়ে। তাই প্রায়ই তিনি এখানে আসেন। এর বেশি কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ নিয়ে বিজেপির দক্ষিণ মালদা (Malda) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, পুলিশ আর তৃণমূল নেতাদের মধ্যে কোনও দূরত্ব নেই। লুকোছাপা নেই। কোথাও পুলিশই তৃণমূল দল  চালাচ্ছে। কোথাও তৃণমূল নেতারা পুলিশকে চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের এটাই এখন পরিস্থিতি। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: ব্যাগে মিলল ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র, মহিলা পাচারকারীকে দেখে তাজ্জব পুলিশ

    Duttapukur: ব্যাগে মিলল ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র, মহিলা পাচারকারীকে দেখে তাজ্জব পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আগ্নেয়াস্ত্র সহ অস্ত্র পাচারকারী বা ক্যারিয়ারকে গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটছে। এতে নতুন কিছু নয়। তবে, সেই অস্ত্র পাচারকারী যদি মহিলা হয় তাহলে তো অবাক হওয়ার বিষয়। এমনই এক মহিলা অস্ত্র কারবারির হদিশ মিলল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর (Duttapukur) থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মহিলার নাম পূজা বিশ্বাস। বছর ৪৫-এর ওই মহিলা উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Duttapukur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ থেকে ১২টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কলকাতা যাচ্ছিল পূজা নামে ওই মহিলা পাচারকারী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা শনিবার সকাল থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দত্তপুকুর (Duttapukur) থানার আলগরিয়া এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালান। ওই সময় এক মহিলাকে তাঁদের সন্দেহ হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু প্রশ্নের সদুত্তর পাননি শুল্ক আধিকারিকেরা। তাঁরা খবর দেন দত্তপুকুর থানায়। এর পর পুলিশ এসে ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর কাছে তল্লাশি চালিয়ে একটি ব্যাগ থেকে মেলে ১২টি স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র। দেখে পুলিশ কর্মীরা তাজ্জব হয়ে যান। পরে, পুলিশ জানতে পারে, মালদহ থেকে ওই অস্ত্রগুলি আসে মহিলার কাছে । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় কলকাতায় পাচারের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। শনিবার তাঁকে বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁকে বারাসাত আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়। কিন্তু, বিচারপতি ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন,  কার কাছ থেকে ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পেয়েছে, কাকে বিক্রি করতে যাচ্চিল, এই সব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে,  মূলত অস্ত্র পাচারের কাজ করত সে। এমনকী, ভিনরাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারে হাত পাকিয়েছে অভিযুক্তা। ওই মহিলার সঙ্গে বড় কোনও অস্ত্র পাচারচক্র জড়িত থাকতে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদার হাটে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ছাপ দেওয়া ত্রিপল, বিক্রি করছেন তৃণমূল নেতার আত্মীয়, শোরগোল

    Malda: মালদার হাটে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ছাপ দেওয়া ত্রিপল, বিক্রি করছেন তৃণমূল নেতার আত্মীয়, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি ত্রিপল ব্লক প্রশাসন, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে অসহায় গৃহহীন মানুষকে দেওয়া হয়। কিন্তু, সেই সরকারি ছাপ দেওয়া ত্রিপল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এটা বিরোধীদের কোনও অভিযোগ নয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) মানিকচকের ভূতনি হাটে। আর এই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছে এলাকায়। রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    মালদার (Malda) মানিকচকে ভূতনির চম্পানগর হাটের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ত্রাণের ত্রিপল। বিক্রি করছে স্বয়ং তৃণমূল পরিচালিত উত্তর চন্ডিপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের পরিবারের এক সদস্য। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান নাসির শেখের জামাই রেফাল শেখ ভূতনির উত্তর চন্ডিপুর অঞ্চলের চম্পানগর হাটে সরকারি ত্রিপল ৮০০ টাকা জোড়া দামে সাইকেলে করে বিক্রি করছেন। এমনকী হাটের গ্রাহকরা তাঁর কাছে দামদর করে সেই ত্রিপল কিনেও নিচ্ছেন। শাজাহান শেখ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা হাটে গিয়ে দেখি, রাজ্য সরকারের সিলমোহর দেওয়া সরকারি ত্রাণের ত্রিপল খোলা হাটে বিক্রি করা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ছাপ দেওয়া রয়েছে। বিক্রেতাকে এই ত্রিপল কোথায় থেকে এল জিজ্ঞেস করতে তিনি বলেন, তাঁর কাছে আরও অনেক ত্রিপল রয়েছে,লাগলে বলবেন। কিন্তু, কোথায় থেকে ত্রিপল এসেছে তা তিনি বলতে চাননি। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সরকারি ত্রাণের ত্রিপল যেখানে দুঃস্থ ও ভাঙন কবলিতরা পাচ্ছেন না, সেই জায়গায় প্রশাসনের নজর এড়িয়ে খোলা বাজারে কীভাবে বিক্রি হচ্ছে এই ত্রিপল?

    তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান কী বললেন?

    এই ঘটনা সম্পর্কে উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নাসির শেখ বলেন, আমি নিজেও হাটের মধ্যে ওই ত্রিপল বিক্রির সেই ভিডিওটি দেখেছি, কিন্তু কোথা থেকে বা কীভাবে আমার ওই আত্মীয়ের কাছে এই ত্রিপল আসলো বা কোথায় সে বিক্রি করছে তা আমার জানা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: চতুর্থীর দিনেই শিশুদের হাতে ব্যাগ ভর্তি উদ্ধার বোমা! তীব্র আতঙ্কে গ্রামবাসী

    Malda: চতুর্থীর দিনেই শিশুদের হাতে ব্যাগ ভর্তি উদ্ধার বোমা! তীব্র আতঙ্কে গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক পুজোর আগে, চতুর্থীর দিনেই মালাদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুরের ঝিকোডাঙা গ্রামে, ব্যাগ খুলতেই উদ্ধার হল তাজা বোমা। আর এই বোমাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় একটি ব্যাগকে খেলার ছলে কয়েকটি শিশু টেনে নিয়ে আসে। এরপর ব্যাগের মধ্যে একটি ছুরি দেখতে পায় তারা। এই ঘটনায় শিশুরা ভয় পেয়ে আশে পাশের লোকজনকে ডাক দেয়। এরপর এলাকার মানুষ ব্যাগ খুলতেই তাজা বোমা দেখাতে পায়। এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বোমা উদ্ধারের ঘটনা, এই গ্রামে আগে কখনও ঘটেনি, তাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। সেই সঙ্গে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। 

    পুলিশের ভূমিকা (Malda)

    এলাকার (Malda) মানুষ ব্যাগে তাজা বোমা উদ্ধারের কথা জানিয়ে পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে অনেকটাই দেরি করে। এদিকে তাজা বোমা নিয়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে পড়লে, দ্রুত স্থানীয় ভিলেজ পুলিশ রাস্তার মধ্যে বোমা রেখে, জল ঢেলে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়া কীভাবে বোমা নিষ্ক্রয় করলেন ভিলেজ পুলিশ! জানা গেছে ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে জনবসতি। এতে বোমা বিস্ফোরণে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল।   

    রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণে নিষ্ক্রিয় ছিল প্রশাসন

    পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেও বোমা-বাজির বিস্ফোরণ এখনও রাজ্যে থামছে না। প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের রীতিমতো প্রশ্রয় দেয় বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করে সরব হয়েছেন। আগেও মালদার (Malda) কালিয়াচক, হবিপুর, চাঁচল, গোলাঘর, বৈষ্ণবনগর, রতুয়া, অঞ্চলে একাধিকবার বোমা বিস্ফোরণ এবং উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল।

    গত জুনমাসে মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। এছাড়াও দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। আবার কয়েকদিন আগেই বারাসতের দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণে তিনটি শিশু আহত হয়েছিল। তাঁদেরকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করতে হয়েছিল। উল্লেখ্য, তারা সুতলি বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই এগরা, পিংলা, সবং, ভাঙড়, ঘুটিয়ারীশরীফ, দুবরাজপুর, বজবজ, সামশেরগঞ্জ, কালিয়াচক, শীতলকুচি ইত্যাদি এলাকায় ব্যাপক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সব ক্ষেত্রেই বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা অভিযুক্ত বলে, বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার অবৈধ বোমা এবং বাজি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বললেও সেই কথা, কথামাত্রই সার। পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কথাই বারবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share