Tag: Malda

Malda

  • Malda: র‍্যাগিংয়ের বলি! আত্মঘাতী মালদার আদিবাসী ছাত্র, চাঞ্চল্য

    Malda: র‍্যাগিংয়ের বলি! আত্মঘাতী মালদার আদিবাসী ছাত্র, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র র‍্যাগিংয়ের বলি হয়েছেন। যে-ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার হয়। এবার ফের র‍্যাগিংয়ের জেরে ছাত্রমৃত্যুর অভিযোগ উঠল।  মৃত ছাত্রের নাম উত্তম মারডি (২২)। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন মালদার (Malda) বাসিন্দা ওই আদিবাসী ছাত্র। এমনটাই অভিযোগ মৃতের পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের দাবি, র‍্যাগিংয়ের জেরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ায় বাড়ির বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পিএইচডি পাঠরত ওই ছাত্র।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    গত ৩ অক্টোবর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে পিএইচডি করতে ভর্তি হন উত্তম। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই থাকতেন তিনি। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নাকি ওই ছাত্রের সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন সিনিয়র আন্তর্জাতি ছাত্রদের একাংশ, এমনই অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন। দু’দিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পড়তে যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন বাড়ির লোকদের। এরপরই মালদার (Malda) গাজোল থানার শিসাডাঙা এলাকায় বাড়ির বাথরুম থেকে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাতে চলেছেন মৃত ছাত্রের বাবা কমলা মারডি ও মা মিনতি হাঁসদা।

    মৃতের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য?

    মৃত ছাত্রের জ্যাঠা জোনাস মারডি পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, ভালো নম্বর নিয়ে ভাইপো উত্তম মারডি মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু, তার আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পিএইচডি করার সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় সেখানে গিয়ে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা শুরু করে। তারপরই বাড়ি ফিরে আর সেখানে পড়তে না যাওয়ার কথা বলেছিল সে। ফলে, চরম আতঙ্কে ছিল তা বোঝা যাচ্ছে। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ধর্ষণ করে মুখে অ্যাসিড মেরে মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন! চাঞ্চল্য

    Malda: ধর্ষণ করে মুখে অ্যাসিড মেরে মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা অঞ্চলের নসরপুর এলাকায় এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার সকালেই গ্রামের মাঠে ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ওই মহিলার নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। তবে, প্রাথমিক তদন্তে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে মুখে অ্যাসিড দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা অঞ্চলের নসরপুর গ্রামের রাস্তার ধারে এক চাষের জমিতে মৃতদেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।  মুখে  অ্যাসিড দিয়ে মহিলার মুখ বিকৃত করা হয়েছে। ফলে, পরিচয় এখনও জানা যায় নি। শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহের আশেপাশে পাওয়া গেছে নিরোধের প্যাকেট। ধারালো অস্ত্র, গ্লাভস। বিহার রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া রয়েছে এই নসরপুর গ্রাম। বিহার থেকে কোনও গ্যাং এসে এসব করেছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই মহিলার সঙ্গে একাধিক জন ছিল। মশা মারার কয়েল পাওয়া গিয়েছে। ফলে, তারা এই এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ ছিল। এখানেই ওই মহিলার উপর শারীরীকভাবে অত্যাচার করে প্রমাণ লোপাট করতে মুখে অ্যাসিড দিয়ে মুখ পুড়িয়ে দিয়েছে।

    স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কী বললেন?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন,নসরপুর গ্রামের রাস্তার ধারে এক চাষের জমিতে মৃতদেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যাই। দেখে মনে হচ্ছে, ওই মহিলাকে গণ ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তবে, ওই মহিলা এই এলাকার নন। পাশের বিহারের হতে পারেন। সেখান থেকে এসে এসব অপকর্ম করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: পঞ্চায়েত টেন্ডারেও কাটমানি নিলেন তৃণমূল প্রধান! আন্দোলনে বিজেপি

    Malda: পঞ্চায়েত টেন্ডারেও কাটমানি নিলেন তৃণমূল প্রধান! আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) মানিকচকের চৌকি মিরদাদপুর পঞ্চায়েতে টেন্ডারে কারচুপির অভিযোগ তুলে, বৃহস্পতিবার ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করলেন পঞ্চায়েতের বিজেপি দলের নেতারা। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। রাজ্যে পুরসভা হোক বা পঞ্চায়েত, তৃণমূলের প্রশাসনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাটমানি, আর্থিক কারচুপির বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির মামলায় শাসক দলের অনেক নেতা কর্মীরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন। চলছে ধরপাকড় এবং তল্লাশি। কোনও কোনও তৃণমূল নেতা আবার গ্রেফতার হয়ে জেলে বন্দি রয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের নেতারা টাকা চুরি করছে।

    মূলত অভিযোগ কী (Malda)?

    মূল অভিযোগ হল, প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকার টেন্ডার, বিরোধীদের অন্ধকারে রেখেই পাশ করেছে শাসকদল তৃণমূল। ফলে এর মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অনুমান করছে বিজেপি। আর এই দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন মানিকচকের চৌকি মিরদাদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মোঃ আনোয়ার আলী এবং আরও বেশ কিছু সহ পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মী। এদিন, এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের বিরোধী দলকর্মী বিপ্লব সাহা সহ বিরোধী সদস্যরা একত্রিত হয়ে, মানিকচকের বিডিও শ্যামল মন্ডলকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান।

    বিজেপির বক্তব্য

    মালদহের (Malda) বিজেপি কর্মী বিপ্লব সাহা, এবিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান কাটমানির জন্য লুকিয়ে টেন্ডারটি পাশ করেছেন। প্রায় ছত্রিশ লক্ষ টাকার এই টেন্ডার সম্পর্কে বিরোধীদলের কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জানেনই না। যে সমস্ত এলাকায় কাজ করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে, তা কেবল তৃণমূলের জয়ী সদস্যদেরই এলাকাগুলিই। বিজেপির নির্বাচিত এলাকাগুলিকে বঞ্চিত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করছেন প্রধান।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তবে বিরোধীদের তোলা এই সমস্ত অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান (Malda) মোঃ আনোয়ার আলী। তিনি বলেন, “সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা কাজের মধ্যে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার কাজ রয়েছে বিরোধী সদস্যদের এলাকাতেই। এমনকি অনলাইনে মাধ্যমে সমস্ত টেন্ডার করা হয়েছে, যার ফলে কোনও ধরনের কারচুপি করা সম্ভব নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sikkim Flash Flood: সিকিম বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সহ তিন বন্ধুর, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    Sikkim Flash Flood: সিকিম বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সহ তিন বন্ধুর, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেহাতই শখের বসে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া সিকিমে (Sikkim Flash Flood)। তবে সেটাই যে মহা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠবে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি মালদার রতুয়ার বাসিন্দা পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সুশান্ত সাহার পরিবারের লোকজন। প্রায় চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও যোগাযোগ না হওয়ায় রাতের ঘুম উড়েছে ওই পরিবারের। শুধু সুশান্তবাবু নয় সিকিমে ঘুরতে গিয়ে বহু পর্যটকের এখনও খোঁজ নেই।

    সিকিমের লেক থেকে শেষ ছবি! (Sikkim Flash Flood)

    প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত সিকিমে (Sikkim Flash Flood) গত চারদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন সুশান্ত সহ আরও তিন বন্ধু। এদিকে ছেলের খোঁজে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তার পরিবারের লোকেরা। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই যুবকের কোনও খোঁজ মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। সুশান্তর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ অক্টোবর শিলিগুড়িতে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন সুশান্ত। সেখানেই আরও তিন বন্ধুর সঙ্গে মিলে পরিকল্পনা করেন সিকিম ঘুরতে যাওয়ার। তবে রবিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় সোমবার দিন বাইক ভাড়া করে সিকিমে রওনা দেন চার বন্ধু। সোমবার বিকেলে সিকিম পৌঁছে যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে কথা হয় তার। এমনকি পরদিন মঙ্গলবার সিকিমের গুরুদংমার লেকে গিয়ে বাড়িতে ছবিও পাঠান তিনি। তবে তারপর থেকে সুশান্তর  সঙ্গে আর কোনও রকম যোগাযোগ সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এদিকে সংবাদমাধ্যমে পরিবারের লোকজন খবর পান প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা সিকিম। একাধিক জায়গায় যেমন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তেমনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ পরিষেবা। এমন অবস্থায় সন্তানের জন্য আরও বেশি করে চিন্তিত হয়ে পড়েছে রতুয়ার থানাপাড়ার সাহা পরিবার।

    পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    সুশান্তর মা দিপালী সাহা বলেন, “গত সোমবার দিন ছোট ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার গুরুদংমার (Sikkim Flash Flood) থেকে বেশ কয়েকটি ছবিও পাঠায় সুশান্ত। যদিও তারপর থেকে বহু চেষ্টা করেও ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। ছেলের চিন্তায় রাতে ঠিকমতো ঘুমোতেও পারছি না।” সুশান্তর বাবা ধীরেন্দ্রনাথ সাহা জানান, “প্রায় চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ছেলের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পুলিশকে জানিয়েছি যাতে আমার ছেলেকে সুস্থ ভাবে ঘরে ফেরত নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়।” ছোট ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তার দাদা শুভঙ্করও। তিনি জানিয়েছেন, সুশান্তর সঙ্গে সিকিমে ঘুরতে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির দুজন ও বিহারের একজন বন্ধু। তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: মালদায় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশ প্রশাসন কী করছে?

    Bomb Blast: মালদায় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশ প্রশাসন কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কর্মীর পরিত্যক্ত বাড়িতে আচমকা বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে (Bomb Blast) ওঠে গোটা এলাকা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে মালদার কালিয়াচক এলাকায়। সার্জেন সেখ নামে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর অনুমান, বোমা বা বিস্ফোরক মজুত করা ছিল ওই বাড়িতে। সেটা থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    কালিয়াচক থানার নওদা যদুপুর গ্রামপঞ্চায়েতের শালিপুর সাতঘরিয়া গ্রামে তৃণমূল কর্মী সার্জেন সেখের বাড়ি। এলাকাবাসীর দাবি, এই সার্জেন শেখ এক সময় কংগ্রেস করতেন। পরে, তৃণমূলে যোগ দেন। বৃহস্পতিবার সাত সকালে বিকট আওয়াছে কেঁপে ওঠে এলাকা । পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িতে কেউ থাকত না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সার্জেন শেখ বা তাঁর পরিবারের কেউ এখানে থাকেন না। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা এখানে বোমা মজুত করছিল। তা থেকেই বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হতে পারে। যাঁর বাড়িতে বিস্ফোরণ, সেই সার্জেন সেখের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও বক্তব্য, গ্রামের জনবহুল এলাকায় ওই বাড়িটি রয়েছে। ফলে, কে বা কারা রাতের অন্ধকারে ওই বাড়়িতে বোমা মজুত করল তা পুলিশের দেখা দরকার। কারণ, অবিলম্বে পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়়বে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    দলীয় কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হওয়ায় সার্জেনকে দলের কর্মী হিসেবে মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, এক সময় কংগ্রেস করত শুনেছি। পরে, দলবদল করেছিল বলে আমার জানা নেই। আসলে  এরা সমাজবিরোধী। মূলত নানা অপরাধ করে রাজনীতির ছত্রছায়ায় আসার চেষ্টা করত। তৃণমূল কর্মী বলে আমাদের জানা নেই।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটি পরিত্যক্ত। কীভাবে এখানে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আগে থেকেই এখানে বিস্ফোরক রাখা ছিল। কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, সার্জেন শেখের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে কালিয়াচক থানায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ! অভিযুক্তকে বোর্ডের খুঁটিতে বেঁধে বিক্ষোভ

    Malda: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ! অভিযুক্তকে বোর্ডের খুঁটিতে বেঁধে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল বেলা মালদায় (Malda) চাকরি দেওয়ার নামে এবং ব্যবসার অছিলায় টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগের পাশাপাশি ৩৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে একটি বোর্ডের খুঁটিতে বেঁধে রাখলেন অভিযোগকারীর আত্মীয়রা। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে মালাদায়। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই জেলার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    ঘটনা কিভাবে ঘটল (Malda)?

    ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) হবিবপুর থানার বক্সিনগর এলাকায়। একটি বোর্ডের পোস্টে বেঁধে রাখা হয় হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডী মধ্যম কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহর সরকারকে। জানা গেছে, মোহর সরকার সঞ্জীব সরকারের কাছ থেকে ব্যবসা এবং চাকরির নাম করে ৩৬ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। এমনকি তাঁকে দেখাও যাচ্ছিল না এলাকায়। শনিবার সকালে এলাকায় দেখতে পায় তাঁকে এলাকার মানুষ। এরপর ধরে একটি বোর্ডের পোস্টে তাঁকে বেঁধে রাখেন সঞ্জীব সরকারের আত্মীয় পরিজনেরা। ঘটনাস্থলে শনিবার বারোটা নাগাদ পৌঁছায় হবিবপুর থানার পুলিশ। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও চাকরির প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মোহর সরকার।

    অভিযুক্তের বক্তব্য

    অভিযুক্ত মোহর সরকার বলেন, “একটা লিখিত হয়েছিল ব্যবসার জন্য টাকা নিয়েছি। কিন্তু চাকরির জন্য টাকা নেইনি। বাড়িতে (Malda) একবার বসা হয়েছিল, সেখানে আমি বলেছি আগামী দুই মাসের মধ্যে ২৪ লক্ষ টাকা ফেরত দেবো।” তবে টাকার অঙ্কের বিষয়ে ৩৬ লক্ষ টাকার কথা অস্বীকার করে ২৪ লক্ষ টাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। সবটাই লিখিত ভাবে চুক্তিপত্র হয়েছে বলে জানান তিনি।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় (Malda) প্রতারণার শিকার জ্যোৎস্না বিশ্বাস বলেন, “আইসিডিএস দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে মোহর। আমি আমার টাকা ফেরত চাই। এলাকায়, টাকা লুট করে বহুদিন ধরে বেপাত্তা ছিল। ধরা পড়তেই তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে।” এলাকার আরও এক অভিযোগকারী সঞ্জীব সরকার বলেন, “গত এপ্রিল মাসের ২ তারিখে মোহরের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করা হয়। কথা হয় টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু বেপাত্তা হয়ে যান। মোহরের বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। এর আগেও থানায় বিষয় জানিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সমাধানের জন্য মোহর থানায় যাননি। বহুদিন পালতক ছিলেন। আজ ধরতে পেয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে আপাতত।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদা জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, চিহ্নিত হটস্পট জোন, নামানো হল ড্রোন

    Malda: মালদা জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, চিহ্নিত হটস্পট জোন, নামানো হল ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। চলতি বছরের জেলায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১২১৩ জন। গত সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১০ জন। চলতি সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত চল্লিশ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ইংরেজবাজারের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড, রতুয়া-১ নম্বর ব্লক এবং কালিয়াচক -৩ নম্বর ব্লকে।

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন

    ডেঙ্গি (Malda) পরিস্থিতি মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করল মালদা জেলা প্রশাসন। সমস্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এমনকী  ড্রোন উড়িয়ে জমা জল খোঁজার কাজ শুরু করল মালদা জেলা প্রশাসন ও পুরসভা। স্কুল এবং নার্সিংহোমগুলি পরিদর্শন করবে টাক্স ফোর্স। কোনও বেসরকারি নার্সিংহোম বা হাসপাতাল ডেঙ্গি প্রটোকল না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কোন কোন এলাকা হটস্পট জোন করা হয়েছে?

    জানা গিয়েছে, মালদা (Malda) জেলায় হুহু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে মালদা জেলাকে ডেঙ্গি প্রবন এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ইংরেজবাজারের চারটি ওয়ার্ড ৭,১২,১৩ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ও ১২ গ্রাম পঞ্চায়েতকে হটস্পট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই জরুরি ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন বৈঠক ডাকে। সেখানে জেলার দুই পুরসভা সমস্ত কাউন্সিলার, গ্রামপঞ্চায়তের জন প্রতিনিধি সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ডাকা হয়। সেখানে জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া বলেন, হটস্পট এলাকাগুলিতে ড্রোন সার্ভে করা হবে। যাতে কোথাও জল জমা না থাকে। এক সপ্তাহ অন্তর রিপোর্ট নেওয়া হবে। গ্রামের ক্ষেত্রে বৈঠক করতে হবে। স্কুলগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। জেলার ৩২০০ স্কুলের শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। স্কুল পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সমস্ত চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হটস্পট জোনে নজর দারি করা হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! টাকা আদায়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মার

    Malda: প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! টাকা আদায়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে এখন তোলপাড়। অনেকে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলের ঘাঁনি টানছেন। অনেক তৃণমূল নেতা চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলে দিব্বি জেলের বাইরে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছেন। এবার সেই সব নেতাদের চিহ্নিত করে বেধড়ক পিটিয়ে পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মালদা (Malda) জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য স্বপন মিশ্রকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনা সেকথায় প্রমাণ করেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে জনরোষ তৈরি হচ্ছে। আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে বলে বিরোধীদের দাবি।

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে স্বপন মিশ্র মালদা (Malda) জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল।  বহু মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা পাবেন। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার চার থেকে পাঁচটি অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন তিনি। বহু মানুষ চাকরি পাননি। কিন্তু, তাদের টাকার ফেরতও দেননি। টাকা ফেরতের জন্য বহুবার  দরবার করেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি। অবশেষে তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হয়ে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেন এক ব্যক্তি।

    ভাইরাল ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?

    ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাড়িতে ঘরের ভিতর চেয়ারে বসে রয়েছেন মালদা (Malda) প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্র। তাঁর কলার ধরে প্রশ্ন করছেন এক যুবক। একটাই প্রশ্ন, ‘সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকাটা কই? বল কবে টাকা ফেরত দিবি?’ মার খেয়ে কাতরাতে কাতরাতে তৃণমূল নেতা শুধু বলছেন, ‘এখন টাকা দিতে পারব না, সময় দিতে হবে।’ আর এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে।

    কী বললেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ওই ব্যক্তি দলের এখন কোনও পদে নেই। আর দলের নাম ভাঙিয়ে যে দুর্নীতি করেছে তার দায় দল নেবে না। যারা প্রতরিত হয়েছে তাদের আইনের দ্বারস্থ হয়ে দোষী ব্যক্তির শাস্তির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেব।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলার নিদান তৃণমূল নেতার

    Malda: বিজেপির সাংসদ, বিধায়কদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলার নিদান তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গা ভাঙ্গনে কেন্দ্ৰীয় অর্থ বরাদ্দের দাবিতে ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজারের দফতর ঘেরাও করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তার আগেই প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। মালদা (Malda) শহরের রথবাড়ি মোড়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের প্রসঙ্গে ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? (Malda)

    দলের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মালদা (Malda) জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, আগামী ২৫ তারিখের পর, গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে যদি কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে খগেন বাবুদের মত বিজেপির এমপি, এমএলএদের গঙ্গায় ছুড়ে ফেলা হবে। লড়াই আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ৩৪ বছরের একটা সরকারকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের বুক থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। সিপিএমরা আজকে নিশ্চিহ্ন পশ্চিমবাংলার বুকে, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে লড়াই করব, যারা গঙ্গা ভাঙ্গনের অবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না, ডিএম অফিস ঘেরাও করে সস্তার রাজনীতি করতে চান, ২৫ তারিখের পরে কোনও সুরাহা না বেরোয় তাহলে সেই সাংসদ, বিধায়কদের প্রথমে গঙ্গায় ছোঁড়া হবে, যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে সাধারণ মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে। এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, যারা গঙ্গার পাড়ে যেতে পারে না, এদিকে ডিএম অফিসের সামনে এসে আন্দোলন করে, তাদের হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়া গঙ্গার পাড়ে যদি আপনারা যান, গঙ্গা পারের মানুষ বাড়িঘরের সঙ্গে আপনাদের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবে। বিজেপির বন্ধুরা এই সতর্কবার্তা আপনাদের জানিয়ে রাখছি। আমরা পেটে ভাত চাই, গরিব মানুষ খেতে পারছে না। ১০০ দিনের টাকা বাকি রয়েছে আর তোমরা ঝান্ডা লাগিয়ে ডিএম অফিসে মাতামাতি করবে নাচানাচি করবে, সেটা গ্রামের মানুষ সহ্য করবে না। যাদের পেটে খিদে থাকবে, সেই ক্ষুধার্ত মানুষ তোমাদের আর ছেড়ে কথা বলবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কলুষিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। হয় দেশের সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলুন, না হলে তাদের কাছ থেকে টাকা এনে গরিব মানুষের কাছে দিন। না হলে মানুষ আপনাদেরকে চলতে- ফিরতে দেবে না।

    কী বললেন বিজেপি  সাংসদ খগেন মুর্মু?

    যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতির বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, আমরা যা করার করেছি। কেন্দ্রে যা বলার বলেছি। তৃণমূলের বিধায়করা নাটক করে মানুষকে বিপথগামী করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: খুদের বুদ্ধিতে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, কী হয়েছিল জানেন?

    Malda: খুদের বুদ্ধিতে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, কী হয়েছিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হলান্ডের ছোট্ট হান্সের কথা মনে আছে। বাড়ি ফেরার পথে নিজের চেষ্টায় একটি বাঁধ রক্ষা করে আস্ত শহরকে রক্ষা করেছিল সে। সেই ছোট্ট হান্সের মতো মালদার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মুরসালিমের শুধুমাত্র উপস্থিত বুদ্ধির জোরে বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল শিয়ালদহ-শিলচরগামী আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদা (Malda) জেলার ভালুকা রোড স্টেশনের অদূরে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    মালদার (Malda) ভালুকা রোড স্টেশনের আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটি যে লাইনের উপর দিয়ে আসছে, সেই লাইনের পাশে মাটি সরে গিয়েছে। ট্রেনটি যে অবিলম্বে থামানো জরুরি, না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে,কড়িয়ালি বারিনওয়ার মিশন বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মুরসালিম সেটা বুঝেছিলেন। জানা গিয়েছে, টিউশন পড়়ে সে বাড়ি ফেরার সময় রেললাইনে মাটি সরে যাওয়ার বিষয়টি তার নজরে পড়ে। লাল রং যে বিপদ সংকেত এবং সেটা দেখলে ট্রেন দাঁড়িয়ে, সেকথা আগেই জানত মুরসালিম। তাই সে পরনের লাল গেঞ্জি খুলে সেটি নাড়াতে নাড়াতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দুরন্ত গতিতে আসা ওই এক্সপ্রেস ট্রেনের দিকে সে এগিয়ে যায়। দূর থেকে লাল সংকেত দেখে আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালক এমার্জেন্সি ব্রেক কষে ট্রেনটি মাঝপথে থামিয়ে দেন। তারপর ট্রেন থেকে নেমে ওই স্কুল পড়ুয়ার কথামতো লাইনের দিকে তাকাতেই তিনি দেখতে পান লাইনের পাশে মাটি সরে গিয়েছে।

    কী বললেন রেলের এক আধিকারিক?

    বিষয়টি জানার পরই রেলকর্মীরা ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি ছুটে যান এবং আপ লাইনটি মেরামতি করেন। তারপর আবার ট্রেনটি সুষ্ঠুভাবে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়। রেলের এক আধিকারিক বলেন, ওই স্কুল ছাত্র ট্রেন লাইনের পাশে মাটি সরে যাওয়ার বিষয়টি না দেখতে পেলে যে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তার ওই সাহসের জন্যই অভিভূত তার পরিবার থেকে প্রতিবেশীরাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share