Tag: Malda

Malda

  • Malda: মালদায় স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির গড়ল পড়ুয়ারা

    Malda: মালদায় স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির গড়ল পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করে সেই ফল খাচ্ছে স্কুলের খুদেরাই। নিজেদের হাতে চাষ করে ফসল ফলানোর অনুভূতি পেয়ে খুশি প্রত্যেকে। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি ফাঁকা সময়ে নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করে যাচ্ছে তারা। পড়ুয়াদের সাহায্য করছেন স্কুলের শিক্ষকঁরশিক্ষিকারা। ড্রাগন চাষের পদ্ধতি থেকে পরিচর্যার সমস্ত কিছু শিক্ষ-শিক্ষিকারাই পড়ুয়াদের শেখাচ্ছেন। এতে একদিকে খুদে স্কুল পড়ুয়ারা ড্রাগন ফ্রুটের চাষের পদ্ধতি শিখতে পারছে, পাশাপাশি তারা বাড়িতে গিয়েও এই চাষ করতে পারবে। মালদার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর হাইস্কুলের পড়ুয়ারা স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির তৈরি করেছে।

    ড্রাগন ফ্রুটের বাগান নিয়ে পড়ুয়াদের কী বক্তব্য? (Malda)

    মালদার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর গ্রামে রয়েছে এই হাই স্কুল। এই স্কুলের পরিবেশ আর পাঁচটা স্কুলের থেকে একটু অন্যরকম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য পার্শ্ব শিক্ষকদের সহযোগিতায় স্কুল ক্যাম্পাস এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। এবার স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের ফল চাষের প্রশিক্ষণ দিয়ে নজির সৃষ্টি করা হয়েছে। পড়ুয়াদের হাতে বেশ কিছু ড্রাগন ফলের গাছ লাগানো হয়েছিল স্কুল ভবনের ছাদে। নিয়মিত সেই ড্রাগন চারাগুলির পরিচর্যা করে এসেছে পড়ুয়ারা। প্রায় দেড় বছর ধরে গাছের পরিচর্যা করার পর এই মরশুমে ফল এসেছে গাছে। ফল আসতেই ব্যাপক উদ্দীপনা পড়ুয়াদের মধ্যে। পড়ুয়াদের বক্তব্য, নিজের হাতে আমরা ড্রাগন ফলের বাগান তৈরি করেছি। আর সেই ফল খেতে পেয়ে প্রত্যেকেই আমরা খুশি। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রাগন ফ্রুট চাষ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। তাই, স্কুল কর্তৃপক্ষ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়াতে এমন পরিকল্পনা নিয়েছিল। স্কুলের পড়ুয়ারা এই ড্রাগন বাগান তৈরি করলে আশেপাশের বাসিন্দারাও তা জানতে পারবেন। এমনকী পড়ুয়ারা গাছের চারা লাগানো থেকে শুরু করে পরিচর্যা সমস্ত কিছু শিখে পরিবারের লোকেদেরও শেখাতে পারবে। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই স্কুলের এমন উদ্যোগ। তা ইতিমধ্যে সাফল্য লাভ করেছে। দেড় বছরের মধ্যে ড্রাগন ফ্রুট পাওয়ার কারণে একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীরা খুশি, পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও উৎসাহ তৈরি হয়েছে, এই ফলের চাষ নিয়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মিজোরামে রেল সেতু ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যুর তালিকায় মালদার কতজন?

    Malda: মিজোরামে রেল সেতু ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যুর তালিকায় মালদার কতজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিজোরামে নির্মীয়মাণ রেল সেতু ভেঙে মৃত্যু হল মালদার (Malda) ২৩ জন শ্রমিকের। মালদা জেলা প্রশাসন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই দুর্ঘটনায় মালদার পুকুরিয়া থানার বিভিন্ন এলাকার ১৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মৃত শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন ইংরেজবাজার থানার পাঁচজন, মোথাবাড়ি ও গাজোল থানার একজন করে শ্রমিক। ঘটনার পরপরই মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মালদা জেলা প্রশাসন।

    কী বললেন জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, মিজোরাম সরকারের তরফে মালদা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে করা হয়েছে মিজোরাম সরকারের তরফে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদা (Malda) জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত শ্রমিকদের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু করেছে মালদা জেলা প্রশাসন। বুধবার মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মালদার অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী। তিনি বলেন, যে সব দেহ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলি নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মৃত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মিজোরামের কুরুং নদীর ওপর একটি রেল সেতু তৈরির কাজ করছিল ভারতীয় রেল। সেখানে নিযুক্ত বহু শ্রমিকই মালদা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। বুধবার ওই সেতু ভেঙে পড়ায় বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনায় রেলের তরফে যেরকম বিভাগীয় তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তেমনই মিজোরাম সরকারের তরফেও তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতের পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানিয়েছেন মিজোরাম সরকার। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসন ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফেও মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত শ্রমিকদের পরিবারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: তৃণমূলকে হারিয়ে মালদার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    Malda: তৃণমূলকে হারিয়ে মালদার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে অবশেষে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিল বিজেপি। পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স নেই, এই কারণ দেখিয়ে এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে আদালতের নির্দেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভোটাভুটিতে বিজেপি এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করে।

    বোর্ড গঠন নিয়ে কী বললেন সদ্য নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি? (Malda)

    মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ১৭ টি আসনে। তৃণমূল কংগ্রেস ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সিপিএম দুটি এবং কংগ্রেস একটি আসনে জয়লাভ করে। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, তৃণমূলের এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যের পদ খারিজ করে দেয় জেলা প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ৩২। বিজেপি আগে থেকে অভিযোগ করছিল তৃণমূল কংগ্রেস মোটা টাকার বিনিময়ে ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাদের সদস্যদের কেনার চেষ্টা করছে ও অবৈধভাবে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করার চেষ্টা করছে। বোর্ড গঠনে উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে বিজেপি র ১৬ জন সদস্য ও একজন কংগ্রেস সদস্য পঞ্চায়েত সমিতিতে আসেন। অন্যদিকে, জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির নেতৃত্বে তৃণমূলের ১৩ জন সদস্য পঞ্চায়েত সমিতিতে যান। সিপিএমের দুই সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। ভোটাভুটিতে বিজেপি জয়ী হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়ার পরই সকলের সামনে কেঁদে ফেলেন সুখীরানি সাহা। তিনি বলেন, তৃণমূল ও পুলিশের অত্যাচারে একমাস অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম। বাড়িতে থাকতে পারছিলাম না। এই জয় সাধারণ মানুষের জয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    উত্তর মালদার (Malda) বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, যেভাবে তৃণমূল নোংরামি করেছে তার যোগ্য জবাব তারা পেয়েছে। হবিবপুর ব্লকের বিডিও ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তর মালদার বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। তিনি বলেন, আদালত থেকে নির্দেশ দিয়েছে। সেই কারণেই আজ প্রশাসন বাধ্য হল বোর্ড গঠন করতে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আবদুর রহিম বলেন, এই হার হবে তা জানা ছিল। কারণ, এখানে বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। তাই, তারা বোর্ড গঠন করবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় বিবস্ত্র করে মহিলা নিগ্রহ, মুখ্যসচিব সহ ৪ আধিকারিককে শো-কজ মানবাধিকার কমিশনের

    Malda: মালদায় বিবস্ত্র করে মহিলা নিগ্রহ, মুখ্যসচিব সহ ৪ আধিকারিককে শো-কজ মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) বামনগোলা থানার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনা সামনে আসে গত জুলাই মাসে। এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি ও মালদা জেলার পুলিশ সুপারকে শো-কজ করল মানবাধিকার কমিশন। ছয় সপ্তাহের মধ্যে জবাব চেয়ে পাঠালো কমিশন। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করার এই ঘটনায় তোলপাড় হয় সারা রাজ্য এবং নানা মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, যেখানে তৃণমূলের সাংসদরা মণিপুরের ঘটনা নিয়ে সরব হচ্ছেন, সেখানে তাঁদের শাসিত রাজ্যে এভাবে বিবস্ত্র করে মহিলাদের মারধর (Malda) করা হচ্ছে।

    কী জানতে চাইল কমিশন

    এই ঘটনায় কমিশনের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, ওই দুই মহিলাকে কেন তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না? আবার চার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় তদন্ত হবে না, তাও জানতে চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন। প্রসঙ্গত ওই দুই মহিলাকে ভরা বাজারে বিবস্ত্র (Malda) করে মারধর করার পরে উল্টে তাঁদেরকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। গত জুলাই মাসে বামনগোলার (Malda) এলাকায় এই দুই মহিলা লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন বলে দাবি। হঠাৎই বাজার এলাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলে কিছু স্থানীয় মানুষজন (Malda)। এরপরই চোর অপবাদ দিয়ে তাঁদেরকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। অভিযোগ, সামনে পুলিশ থাকলেও কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় মানবাধিকার কমিশন

    পরবর্তীকালে স্থানীয় থানা (Malda) এই দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে। এই গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নয় মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার কমিশন জানতে চেয়েছে, বিবস্ত্র করে মারার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ঘটনা ১৮ জুলাই ঘটলেও, ১৭ জুলাই পুলিশ তাঁদের (দুই মহিলা) বিরুদ্ধে আবার ফাঁড়ি ভাঙচুরের জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে। ২৩ জুলাই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির মালদা (Malda) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত।

    বিজেপির জেলা সভাপতি কী বলছেন? 

    মানবাধিকার কমিশনের জবাব চাওয়ার চিঠি প্রসঙ্গ সামনে আসতেই বিজেপি জেলা (Malda) সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, ‘‘একদম সঠিক ভাবেই তারা জানতে চেয়েছে যে, বামনগোলা থানার আইসি, পাকুয়াহাট ফাঁড়ির যে সমস্ত পুলিশকর্মী দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত, তাঁদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল। ঘটনার বেশ কয়েক দিন পর অভিযোগ দায়ের হরেছে। পুলিশ এমন ভাব করছে যেন, মহিলা দু’জনই দোষী।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু মালদায়, আতঙ্ক

    Malda: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু মালদায়, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার পর এবার ডেঙ্গির বলি মালদায়। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হল এক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের। মৃত ওই স্কুল ছাত্রের নাম বিট্টু ঘোষ। বয়স ৯ বছর। বাড়ি মালদা জেলার ইংরেজবাজার থানার গোপালপুর এলাকায়। তবে, ডেঙ্গি নিয়ে এই হাসপাতালে বহু রোগী ভর্তি রয়েছেন। যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে সবই অজানা জ্বরে আক্রান্ত বলে দায় এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    পরিবারের সদস্যরা কী বললেন? (Malda)

    মৃত স্কুল ছাত্রের পরিবারে বাবা, মা ও তার এক ভাই, এক বোন রয়েছে। বিট্টু স্থানীয় গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশুনা করত। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত চার দিন ধরে ওই স্কুল ছাত্রের প্রচণ্ড জ্বর ও সঙ্গে বমি হয়। অবশেষে জ্বরের মাত্রা অধিক হওয়ায় সোমবার দুপুর দুটো নাগাদ ওই স্কুল ছাত্রকে মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে চিকিৎসা চলাকালীন সন্ধ্যা নাগাদ মৃত্যু হয় ওই স্কুল ছাত্রের। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুল ছাত্রের রক্তের প্লেটলেট একেবারে কমে গিয়েছিল, পাশাপাশি ডেঙ্গির সব লক্ষণ সমস্ত শরীরে ছিল। মৃতের বাবা রামা ঘোষ বলেন, ‘হাসপাতালের পক্ষ থেকে আমাদের রক্তের জোগান দিতে বলা হয়েছিল। আমরা সেই মতো মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম। কিন্তু, প্রায় দু ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরেও রক্ত পাইনি। সঠিক সময়ে রক্তের জোগান দিতে পারলে আমার ছেলে বেঁচে যেতে পারত। আমার ছেলে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে।’ অবশেষে মৃত্যুর খবর পেতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। যদিও মেডিক্যাল কলেজের পক্ষ থেকে মৃতদেহ পরিবারের হাতে দেওয়ার সময় ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি উল্লেখ করা হয়নি। অজানা জ্বরেই মৃত্যু হয়েছে ওই স্কুল ছাত্রের, এমনটাই লেখা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ১০০ দিনের কাজ সহ সরকারি প্রকল্পের ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মালদায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    Malda: ১০০ দিনের কাজ সহ সরকারি প্রকল্পের ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, মালদায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজ সহ অন্যান্য প্রকল্পের  কোটি টাকার উপর আত্মসাৎ এর অভিযোগ। আর এই অভিযোগে  জড়িত থাকার ঘটনায় মালদার (Malda) গাজল ব্লকের বৈরাগাছি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সুবোধ সরকার সহ তিনজনকে গ্রেফতার করল দুর্নীতি দমন শাখা। প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে গ্রেফতার এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্টান্ট ও নির্মাণ সহায়ক।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সরকারি প্রকল্পের টাকা চুরি করেন বলে বার বার অভিযোগ করেন বিরোধীরা। বিরোধীদের সেই অভিযোগই এবার সত্য প্রমাণিত হল। এবার সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানকে গ্রেফতার করল রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা। মালদার (Malda) বৈরাগাছি-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন সুবোধ। মালদা থেকে ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেন দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক সরকারি প্রকল্প থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। প্রায় ২ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন শাখা। তদন্তে দেখা যায়, ওই তৃণমূল নেতার সঙ্গে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট শোভেন রায় ও নির্মাণ সহায়ক অপূর্ব বড়াই। কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপে পঞ্চায়েত থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাঁরা, এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। এরপরই সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তিনজনকেই।

    এই ঘটনা নিয়ে মামলাকারী কী বললেন?

    অন্যতম মামলাকারী হেমন্ত সরকার জানান,পঞ্চায়েত প্রধান ও তার দলবলের এই দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য ২০২২ সালের ১৩ই জুন জেলাশাসক সমেত সমস্ত আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় আমরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করি। তারপর থেকেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন প্রাক্তন প্রধান সুবোধ সরকার। এমনকি একজন মামলাকারীর উপর হামলাও করা হয় এবং একজন মামলাকারীর দাদা খুন হয়ে যান। অবশেষে আমাদের মামলার প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন শাখা অভিযুক্তদের গ্রেফতার করায় খানিকটা আশ্বস্ত হয়েছি। আমরা চাই দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক।

     কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে সরকারি প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ে তৃণমূলের একশ্রেণির নেতাকর্মীরা জড়িত থাকার অভিযোগ বার বার করা হয়। সেই অভিযোগের যে যথেষ্ট সারবত্তা আছে, এই গ্রেফতারের ঘটনাতেই তা ফের প্রমাণিত হল। দুর্নীতি দমন শাখা পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদের ধন্যবাদ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদার হবিবপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি, বোর্ড গঠন বাতিল করল প্রশাসন

    Malda: মালদার হবিবপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি, বোর্ড গঠন বাতিল করল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী না থাকার কথা জানিয়ে সোমবার বাতিল হয়ে গেল পূর্ব নির্ধারিত মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন। পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা না থাকা তৃণমূলকে সন্তুষ্ট করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে বিজেপির অভিযোগ। এদিন পূর্ব নির্ধারিত সময়ে বোর্ড গঠনের জন্য বিজেপির লোকজন হবিবপুর ব্লক প্রশাসনের কার্যালয়ে এসে বোর্ড গঠন স্থগিতের নোটিশ টাঙানো দেখে ক্ষুব্ধ হন। হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার অর্ডার জারি করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ বিজেপি সমর্থকরা মালদার (Malda) হবিবপুর বিডিও অফিসে গিয়ে জানতে পারে, আজ বোর্ড গঠন হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন স্থগিত করা হয়েছে জানতে পেরে ব্লক জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে, ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। প্রশাসনের তরফ থেকে তাদেরকে বোঝানো হয়। অবশেষে নোটিশ হাতে করে তারা ফিরে যায়। জানা গিয়েছে, হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৩৩ টি। বোর্ড গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৭ জন সদস্যের। নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে বিজেপি- ১৭, তৃণমূল- ১৩, সিপিআইএম- ২ এবং কংগ্রেস- ১ টি আসনে জয়ী হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মহিলা তফশিলি জাতি সংরক্ষিত একটি আসনে বিজেপি’র এক বিজয়ী প্রার্থী সুলেখা সিংহের জাতিগত শংসাপত্র ভুয়ো বলে বাতিল করা হয়েছে তৃণমূলকে সন্তুষ্ট করতে। এদিন বিজেপির বিধায়ক জয়েল মুর্মু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির বিজয়ী প্রার্থী সুলেখা সিংহের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করে তাঁর জাতিগত শংসাপত্র বাতিল করেছে প্রশাসন। তৃণমূলকে খুশি করতেই এই ব্যবস্থা। সোমবার বোর্ড গঠনের ভোট ছিল। এদিন আমরা এসে দেখি, বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকার কথা উল্লেখ করে বোর্ড গঠন স্থগিত রাখার নোটিশ টাঙাচ্ছে। এদিন বোর্ড গঠনের দিন ধার্য করেছিল প্রশাসন। তাহলে কেন পুলিশি ব্যবস্থা আগে নেওয়া হয়নি। আসলে বিজেপি যাতে বোর্ড গঠন করতে না পারে এটা সেই চক্রান্ত। এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্বের?

     স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিষয়টি পুরোপুরি প্রশাসনিক। তাই, এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: গাজোলে জয়েন্ট বিডিও ঘেরাও, বিক্ষোভের মুখে বেধড়ক মার খেল পুলিশ

    Malda: গাজোলে জয়েন্ট বিডিও ঘেরাও, বিক্ষোভের মুখে বেধড়ক মার খেল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও উত্তেজনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল মালদার (Malda) গাজোলের বাবুপুর অঞ্চল। ঘেরাওয়ের মুখে পড়লেন গাজল ব্লকের জয়েন্ট বিডিও। বিক্ষোভের মুখে পড়ে বেধড়ক মার খেল পুলিশও। জানা গেছে, মালদার গাজোলের বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠনের কথা ছিল। ১২ আসন বিশিষ্ট বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পেয়েছে পাঁচটি আসন, সিপিএম তিনটি, কংগ্রেস দুটি এবং বিজেপি ও নির্দল একটি করে আসনে জয়লাভ করে। এরপর জোট বেঁধে বোর্ড গঠনের চেষ্টা শুরু করে বিরোধীরা। কিন্তু অভিযোগ, দিন কয়েক আগে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান সিপিএমের একজন জয়ী প্রার্থী। আদিবাসী অধ্যুষিত ওই পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রার্থীকে সমর্থন করেছিল ঝাড়খণ্ড দিসম পার্টি। প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে গাজোল থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এমনকি থানা ঘেরাও করা হয়েছিল।যদিও প্রার্থীর দেখা মেলেনি।

    পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই গন্ডগোল (Malda) 

    বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। বোর্ড গঠনের আগেই উপস্থিত পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় বিরোধী জোটের। আক্রমণ করা হয় পুলিশকে। বিক্ষুব্ধদের তাড়া খেয়ে এলাকা (Malda) ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। মারধর করা হয় বেশ কিছু পুলিশ কর্মীকেও। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছান গাজল ব্লকের জয়েন্ট বিডিও। তাঁকেও ঘেরাও করে রাখেন বিরোধী জোটের কর্মী-সমর্থকরা।

    হল না বোর্ড গঠন (Malda) 

    অন্যদিকে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া আজ হওয়ার কথা থাকলেও পঞ্চায়েতে হাজির হননি বোর্ড গঠনের জন্য নিযুক্ত সরকারি কর্মীরা। এমনকি অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বিজয়ী প্রার্থীরাও। স্বভাবতই গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন ও পঞ্চায়েত কর্মীদের বিরুদ্ধে শাসক দলকে মদত করার অভিযোগ উঠেছে। এখনও পর্যন্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড (Malda) গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের উপ প্রধান বদল’, সরব দলের একাংশ, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: ‘টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের উপ প্রধান বদল’, সরব দলের একাংশ, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনের দিনই তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরব হলেন দলেরই একাংশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বোর্ড গঠনের আগেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    খেলেনপুর বুথ থেকে তৃণমূলের (TMC) জয়ী প্রার্থী হেলি খাতুনকে উপ প্রধান করা হয়েছে। তাঁর অনুগামীদের দাবি, উপপ্রধান হিসেবে রাজ্য নেতৃত্ব হেলি খাতুনের নাম পাঠিয়েছে। কিন্তু, সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্লক নেতৃত্ব বিরস্থল বুথ থেকে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মুক্তার হোসেনকে উপপ্রধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রতিবাদে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে ধর্ণা দিয়ে বিক্ষোভ দেখান হেলি খাতুনের অনুগামীরা। পঞ্চায়েতের সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের নেতারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে চাঁচল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) কর্মীদের বক্তব্য, রাজ্য নেতৃত্বের পাঠানো তালিকায় এদিন সকাল পর্যন্ত উপ প্রধান হিসেবে হেলি খাতুনের নাম ছিল। এক ঘণ্টার মধ্যে ব্লক নেতৃত্ব খাম পরিবর্তন করে দেন। টাকার বিনিময়ে ব্লক নেতৃত্ব সব করেছে। আমরা এই  উপ প্রধানকে মানব না।

    বোর্ড গঠন নিয়ে কালিয়াচকে উত্তেজনা

    পঞ্চায়েত ভোট গঠন নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মালদার কালিয়াচকের আলিপুর- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এদিন ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) পক্ষের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়। জানা গিয়েছে, আলিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২৪টি। এর মধ্যে কংগ্রেস পায় দশটি আসন, নির্দল একটি, সিপিআইএম একটি আসন এবং তৃণমূল কংগ্রেস পায় ১২টি আসন। বুধবার বোর্ড গঠনের সময় কংগ্রেস পক্ষ দাবি করে তাদের সমর্থন করছে সিপিএম ও নির্দল ছাড়াও একজন তৃণমূল জয়ী সদস্য। স্বভাবতই তাদের দল থেকেই প্রধান পদের দাবী জানানো হয়। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি তাদের পক্ষেই রয়েছে সংখ্যা গরিষ্ঠ সমর্থন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে বিরোধীদের সঙ্গে ও পরে নিজেদের দলেরই অপর গোষ্ঠীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। নেতাকর্মীরা ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থগিত করে দেওয়া হয় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়ন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ‘আপনারা কি পুতুল’? মালদাকাণ্ডে পুলিশ আধিকারিককে ধমক জাতীয় মহিলা কমিশনের

    Malda: ‘আপনারা কি পুতুল’? মালদাকাণ্ডে পুলিশ আধিকারিককে ধমক জাতীয় মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দুই মহিলা নির্যাতনের ঘটনায় দিল্লি থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা মালদায় (Malda) আসেন। সোমবার হাওড়ার পাঁচলায় ‘নির্যাতিতা’ বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। এদিন মালদার মানিকচকে দুই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। আর ওই দুই মহিলার মুখ থেকে গত ১৮ জুলাইয়ের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনে পুলিশের উপর বেজায় চটেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন।

    পুলিশ আধিকারিককে কী বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    মালদার (Malda) বামনগোলার পাকুয়াহাটের ঘটনায় ‘নির্যাতিতা মহিলাদেরই গ্রেফতার করা হল কেন? আপনারা কি পুতুল? মালদা পুলিশের ডিএসপি (ডিএনটি) আজহারউদ্দিন খানকে এমন প্রশ্নই করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। ওই পুলিশ আধিকারিকেরা জাতীয় মহিলা কমিশনের ওই প্রতিনিধিদের জবাব দেন, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে, গত ২৬ এপ্রিল মালদহেরই মুচিয়া চন্দ্ৰমোহন হাই স্কুলের ভরা ক্লাসঘরে ঢুকে পড়ে এক বন্দুকবাজ। পড়ুয়াদের উদ্দেশে বন্দুক উঁচিয়ে শাসানি দিতে থাকে সে। সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে নিজের জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ডিএসপি আজহারউদ্দিন। পিস্তল উঁচিয়ে থাকা ওই যুবককে পাকড়াও করেন তিনিই।

    মালদাকাণ্ড (Malda) নিয়ে কী বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন  সাংবাদিকদের সামনে বলেন, চুরির ঘটনা প্রমাণিত হল না, অথচ ওই দুই মহিলা ছয়দিন জেল খাটলো। আর যদি ঘটনাটি ঘটেই থাকতো, তাহলে এভাবে ওদের মারার অধিকার দিয়েছে কে? অর্ধনগ্ন এবং আহত অবস্থায় ওই দুই মহিলাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে থানায় বসিয়ে রাখে পুলিশ। এমনকী ওদের মিথ্যা মামলা দিয়ে  জেলে পুড়েছে। এব্যাপারে জাতীয় মহিলা কমিশন চুপ করে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এই ঘটনার অভিযোগ জানানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share