Tag: Malda

Malda

  • Malda: নির্যাতিতা দুই মহিলা জেল থেকে ছাড়া পেতেই সংবর্ধনা, ব্যাপক উচ্ছ্বাস

    Malda: নির্যাতিতা দুই মহিলা জেল থেকে ছাড়া পেতেই সংবর্ধনা, ব্যাপক উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মালদার (Malda) দুই নির্যাতিতা মহিলাকে সংবর্ধনা জানানো হল‌। মঙ্গলবার মালদা শহরের রথবাড়ি এলাকায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের সংবর্ধনা জানানো হয়। নতুন শাড়ি, ফুলের মালা এবং কিছু খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। 

    কী ঘটেছিল ঘটনা (Malda)?

    উল্লেখ্য, মালদার (Malda) পাকুয়াহাট এলাকায় চোর সন্দেহে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এই ঘটনার পর দোষীদের গ্রেফতার না করে, ওই দুই নির্যাতিতা মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি দুই মহিলাকে মারধরের ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে দিন কয়েক আগে পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ দিয়ে ওই দুই মহিলাকে জেলে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ মহিলাদের। ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠে গোটা রাজ্য জুড়ে। অবশেষে সোমবার মালদা জেলা আদালত তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে। মঙ্গলবার মালদা জেলা সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান তাঁরা। জানা যায় এরপর মালদা শহরের রথবাড়ি এলাকায় নির্যাতিতা দুই মহিলাকে সংবর্ধনা জানানো হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে।

    নির্যাতিতা মহিলদের বক্তব্য

    পাকুয়াহাটে (Malda) নির্যাতিতা মহিলা বলেন, বাজারে শুটকি মাছ বিক্রি করতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ কয়েকজন এসে বলে তোরা টাকা চুরি করেছিস! উত্তরে আমরা বলি, না, আমরা কোনও টাকা চুরি করিনি। এরপর বলতে বলতেই সবাই মারধর শুরু করে। মারতে মারতে কাপড়-জামা খুলে নেয়। একে একে শাড়ি, সায়া এবং ব্লাউজ খুলে নেয়। পায়ের চটি, লাঠি দিয়ে মারধর করে আমাদের। প্রচণ্ড মারে আমরা আহত হয়ে পড়ি। এভাবেই আমাদের নগ্ন করে অত্যাচার করে দুষ্কৃতীরা। শেষে পুলিশও আমাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে, গত সোমবার ১৭ জুন কি আপনারা নালাগোলা থানায় ভাঙচুর করেছিলেন? উত্তরের মহিলা বলেন, না, এমন কোনও কাজ আমরা করিনি। আমাদের চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: হরিশ্চন্দ্রপুরে গভীর রাতে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার তাজা বোমা, তীব্র চাঞ্চল্য

    Malda: হরিশ্চন্দ্রপুরে গভীর রাতে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার তাজা বোমা, তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) হাসপাতাল এলাকার পিছন দিকে একটি ইটভাটা সংলগ্ন ধানক্ষেত থেকে তিনটি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় গতকাল রাত থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলায় বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পক্ষ থেকে। আজ স্কোয়াডের পক্ষ থেকে বোমাগুলিকে এলাকায় নিষ্ক্রিয় করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকা কড়া পুলিশি নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে রাখা হয়েছে। অপর দিকে আজকেই বাঁশবাগান থেকে বোমা উদ্ধারে তীব্র চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে।

    কীভাবে উদ্ধার বোমা (Malda)?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) গ্রামীণ হাসপাতালের ঠিক পিছন দিকেই একটি ইটভাটা রয়েছে। সেই ইটভাটার পাশে একটি ধানের জমিতে গতকাল রাতে সুতলি বোমের মতো তিনটি বস্তু দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ তদন্ত করে দেখতে পায়, ধানের জমিতে তিনটি সুতলি বোমা রাখা আছে। পুলিশ তৎক্ষণাৎ ওই জমিতে গর্ত করে বোমাগুলিকে মাটির তলায় পুঁতে দেয়। এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।

    পুলিশের বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে তিনটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।। কে বা কারা ওই এলাকায় বোমা রেখেছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আপাতত বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে।

    সামশেরগঞ্জে বোমা উদ্ধার

    পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই মালদার (Malda) পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জেও ফের তাজা বোমা উদ্ধার। এবার সামশেরগঞ্জের কাকুরিয়া সংলগ্ন প্রতাপগঞ্জের গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার বাঁশবাগান থেকে বালতি ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করল সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। শনিবার রাতেই প্রতাপগঞ্জের গঙ্গা তীরবর্তী এলাকা থেকে বালতি ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। রবিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। রাত থেকেই বোমা রাখার জায়গা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বোম্ব স্কোয়াড টিমকে। কে বা কারা কাকুরিয়া গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় বোমগুলো মজুত রেখেছিল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এদিকে পঞ্চায়েত ভোট পর্ব শেষ হলেও তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: খুলে যাচ্ছে ব্লাউজ শাড়ি! নগ্ন করে দুই মহিলাকে মার মালদায়

    Malda: খুলে যাচ্ছে ব্লাউজ শাড়ি! নগ্ন করে দুই মহিলাকে মার মালদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্মত্ত জনতার মাঝে প্রায় বিবস্ত্র দুই মহিলা। এনিয়ো ভাইরাল হয়েছে ভিডিও (যদিও ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) দেখা যাচ্ছে বেধড়ক মার চলছে ওই ভিডিওতে। কারও হাতে উঠেছে জুতো, কেউ আবার চুলের মুঠি ধরে মারছে দুই মহিলাকে। খুলে গিয়েছে ব্লাউজ!

    বাংলার এহেন চিত্র দেখে লজ্জিত গোটা দেশ

    মণিপুরের ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড় হচ্ছে দেশ, তখন তৃণমূল শাসিত বাংলার এহেন চিত্র দেখে লজ্জিত গোটা দেশ। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দূর থেকে কয়েক জন বলে উঠলেন, আর মেরো না। এবার মরে যাবে তো! তবে সে সবে কারও গ্রাহ্য নেই, নেই কোনও মায়া। প্রতি মুহূর্তেই যেন বেড়ে চলেছে মারের তীব্রতা। এদিকে মারের চোটে পরনে থাকা শাড়ি, ব্লাউজ খুলে মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করছেন মহিলা। কিন্তু পারছেন না। নগ্ন অবস্থাতেই চলছে মার। হাউহাউ করে কেঁদেই চলেছেন দুই মহিলা। পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। কিন্তু, তাতেও কমছে না মারের দাপট। 

    কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    সূত্রের খবর, ঘটনাটি হল মালদার (Malda) বামোনগোলা থানার পাকুয়াহাটের। এখানে প্রতি মঙ্গলবার হাট বসে নিয়ম করে। এদিন হাটেই দুই মহিলাকে পকেটমার সন্দেহে আটক করা হয় বলে অভিযোগ। শুরু হয় মারধর। যদিও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সিভিক ভলান্টিয়াররা। কিন্তু, তারাও শান্ত করতে পারেনি উত্তেজিত জনতাকে। কিল, চড়ের পাশাপাশি জুতো খুলেও মারতে দেখা যায় বহু মহিলাকে। প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই যদি পকেটমার হবে এই দুই মহিলা তবে তাদের বিচারের জন্য আদালত রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এখন জোর শোরগোল রাজ্যজুড়ে। বিরোধী দল বিজেপি সরব হয়েছে প্রতিবাদে। সূত্রের খবর, নির্যাতিত দুই মহিলা মানিকচকের বাসিন্দা। যদিও এই ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি পুলিশে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এদিকে আরও প্রশ্ন উঠছে, দীর্ঘ সময় ধরে এই মারধরের পালা চললেও কেন এল না পুলিশ? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: মালদায় সিল করা ব্যালট বাক্স উদ্ধার! গণনা ছাড়া কীভাবে জয়ী তৃণমূল? প্রশ্ন বিজেপির

    Panchayat Vote: মালদায় সিল করা ব্যালট বাক্স উদ্ধার! গণনা ছাড়া কীভাবে জয়ী তৃণমূল? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট (Panchayat Vote) গণনা হয়েছে ১১ জুলাই। অথচ তার এক সপ্তাহ বাদে উদ্ধার হল সিল করা ব্যালট বাক্স। ভোটের পরে বাক্সগুলি খোলাই হয়নি। অথচ দেখা যাচ্ছে সেখানে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার গাজোলে। দুদিন আগেই মালদায় ৩ হাজার ব্যালট রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারপরে মঙ্গলবার সামনে এল এমন ঘটনা।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    জানা গিয়েছে, গাজোল ব্লকের স্ট্রং রুম ও গণনা কেন্দ্র করা হয়েছিল স্থানীয় এইচ এন এম হাইস্কুলে। এতদিন বন্ধ থাকার পর এদিন স্কুল খুলতে গেলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বিষয়টি। স্কুলের কর্মচারীরা দেখতে পান, একটি বন্ধ ঘরে প্লাস্টিক মোড়া অবস্থায় পড়ে রয়েছে তিনটি সিল করা ব্যালট বাক্স। ওই ব্যালট বাক্সগুলি গাজলের ২০৭ নম্বর বুথের বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ওই ঘটনা সামনে আসার পরই পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে উদ্ধার করে ব্যালট বাক্সগুলি (Panchayat Vote)।

    বিক্ষোভে বিজেপি

    এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন গাজোলের বিজেপি বিধায়ক সহ কর্মী-সমর্থকরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। গোটা ঘটনায় (Panchayat Vote) শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে গাজোলের বিডিও ও পুলিশের প্রত্যক্ষ আঁতাতের অভিযোগ তোলেন তিনি। অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে গাজোলের পথে নামেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। সরাসরি এই ঘটনায় বিডিও ও প্রশাসনকে দায়ী করে এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘এই ঘটনায় প্রমাণ হল বিডিও ও প্রশাসনের কতটা গাফিলতি রয়েছে। সব জেনে শুনেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমরা এই ঘটনায় হাইকোর্টে যাব।’’

    কী বলছে শাসক দল?

    বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গাজলের তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা বিজয়ী জেলা পরিষদ সদস্য (Panchayat Vote) দীনেশ টুডু জানান, পায়ের তলায় জমি না থাকাতেই তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এসব কাণ্ড ঘটাচ্ছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: খুনের প্রতিবাদে ফাঁড়িতে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, আইসি-কে ঝাঁটা দেখালেন মহিলারা

    Malda: খুনের প্রতিবাদে ফাঁড়িতে বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, আইসি-কে ঝাঁটা দেখালেন মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) দলীয় কর্মী বুরান মুর্মুকে খুনের প্রতিবাদে বিজেপির বামনগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বামনগোলা পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি আইসিকে ঝাঁটা দেখিয়ে প্রতিবাদ জানান মহিলা বিজেপি কর্মীরা। মারমুখী পুলিশকে কার্যত তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করেন আন্দোলনকারীরা। ঘটনায় উত্তপ্ত মালদা।

    থানা ঘেরাও কেন (Malda)?

    দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ হয় থানার (Malda) সামনে। পুলিশ বিক্ষোভে যোগদান করা আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। উল্লেখ্য, খুনের অভিযোগ উঠেছে মৃত বিজেপি কর্মীর ছেলের বিরুদ্ধে। ছেলে বিপ্লব মুর্মু এবং বৌমা শর্মিলা মুর্মুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আজ তাদের মালদা জেলা আদালতে তোলা হয়। এই খুনের ঘটনায় আর যেসব তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যুক্ত রয়েছে তাদেরকেও গ্রেপ্তার করতে হবে বলে পুলিশের কাছে দাবি জানানো হয়।

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    সাংসদ খগেন মুর্মু (Malda) বলেন, মৃত বুরন মুর্মু অনেক দিনের পুরাতন বিজেপি কর্মী। ছেলের বৌ তৃণমূলে দাঁড়ালেও নিজে দায়িত্ব নিয়ে আদিবাসী সমাজের মন জয় করে বিজেপি প্রার্থীকে জয়যুক্ত করেন। এই নির্বাচন এবং জয়ের পিছনে বুরন মুর্মুর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদিবাসী সমাজের কোনও ভোট তাঁর ছেলের বৌ তৃণমূলের জন্য পায়নি। তৃণমূল জয়ী হতে পারেনি বলে বুরনবাবুকে খুন করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।

    আইসিকে ঝাঁটা নিয়ে প্রতিবাদ

    বিজেপির কর্মী-সর্মথকরা পুলিশ (Malda) ফাঁড়িতে চড়াও হয়ে খুনিদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানায় আইসির কাছে। ঝাঁটা উঁচিয়ে মহিলা বিজেপি কর্মীরা তেড়ে যান আইসির দিকে। বিজেপির অভিযোগ, এই খুনের ঘটনায় শাসকদলের নেতাদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে বিজেপি কর্মীর বাবাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের ব্যবহারে মানুষ অধৈর্য হয়ে গেছে।আর সেই কারণেই এভাবে থানায় চড়াও হয়েছে তারা, দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    কেন খুন করা হয়েছিল?

    তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বৌমা। কিন্তু বাবা নিজে বিজেপি সমর্থক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন বৌমা হেরেছে! সেই জন্য যাবতীয় আক্রোশের শিকার হন বিজেপি সমর্থক বাবা। মূলত খুনের কারণ এটাই ছিল। বাবাকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিজের ছেলের বিরুদ্ধেই। মালদা জেলার বামনগোলা ব্লকের মদনাবতীর কয়নাদিঘি গ্রামে। মৃতের নাম বুরন মুর্মু, অভিযুক্ত ছেলে বিপ্লব মুর্মু। বিপ্লব মুর্মুর স্ত্রী এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিল। আক্রোশের বশেই নিজের বাবাকে খুন করে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয় ছেলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বামনগোলা থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটে হার তৃণমূল প্রার্থী স্ত্রীর, বিজেপি কর্মী বাবাকে খুন করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

    BJP: ভোটে হার তৃণমূল প্রার্থী স্ত্রীর, বিজেপি কর্মী বাবাকে খুন করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল ঘোষণার পর স্ত্রী হেরে যেতেই বাবাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার বামনগোলা ব্লকের মদনাবতীর কয়নাদিঘি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বুরন মুর্মু। তিনি বিজেপি (BJP) কর্মী হিসেবে পরিচিত। অভিযুক্ত ছেলের নাম বিপ্লব মুর্মু। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    বাবাকে কেন খুন করল ছেলে?

    অভিযুক্ত বিপ্লবের বউ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। পঞ্চায়েত ভোটে বউয়ের হারের পর যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে বাবার উপর। আর তার জেরেই বাবাকে গলায় দড়ি দিয়ে  ঝুলিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে।  এই ঘটনায় জানাজানি হতেই কয়নাদিঘি গ্রামে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপ্লব মুর্মুর স্ত্রী পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ নম্বর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। কিন্তু, বাবা বিজেপি (BJP) প্রার্থীর হয়েই খাটছিলেন। বউমাকে জেতানোর জন্য কোনও চেষ্টা করেননি বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে বিজেপি প্রার্থীকে জেতানোর জন্য় সবরকম চেষ্টা করেন। ফলে, ভোটের আগে থেকেই বাবার এই আচরণ ভালভাবে মেনে নেননি বিপ্লব। তবুও, ভোটের ফলাফলের জন্য তিনি অপেক্ষা করেছিলেন। আর ভোটের ফলাফল ঘোষণা হলে দেখা যায় ওই বুথে জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী। তারপর থেকেই বাবা বুরন মুর্মুর ওপর যাবতীয় আক্রোশ গিয়ে পড়ে ছেলে বিপ্লবের। অভিযোগ, সেই আক্রোশের বশেই নিজের বাবাকে খুন করে দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: মালদায় রাস্তার ধারে উদ্ধার প্রায় ৩ হাজার ব্যালট! বিক্ষোভে বিজেপি

    BJP: মালদায় রাস্তার ধারে উদ্ধার প্রায় ৩ হাজার ব্যালট! বিক্ষোভে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তি ছড়ায়। জেলায় জেলায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ৮ জুলাই ভোটের দিনও সকাল থেকেই ছাপ্পা, বোমাবাজি, রাজনৈতিক খুনের খবর আসতে থাকে। ১১ জুলাই গণনাতেও কারচুপির অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে থেকে উদ্ধার হতে থাকে ব্যালট। শুক্রবার সকালে মালদাতেও দেখা যায় একই চিত্র। মানিকচক ব্লকের মথরাপুর হাটখোলা গরু হাটে অসংখ্য ব্যালট পেপার ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ব্যালটগুলিতে দেখা যায়, বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে  ঘটনাস্থলে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা গৌর মন্ডল যান। প্রায় ৩০০০ ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। এরপরই বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় মানিকচক ব্লকে। দেওয়া হয় ডেপুটেশনও। বিডিও ও প্রশাসন শাসকদলকে জেতাতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ বিজেপির। অন্যদিকে একই চিত্র দেখা যায় গঙ্গাসাগরেও। সেখানেও গণনাকেন্দ্রের বাইরে উদ্ধার হয়েছে অজস্র ব্যালট।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ! কুন্তলের চিঠির অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি সিবিআই-এর

    বিজেপির (BJP) অভিযোগ পত্র

    শুক্রবার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে স্থানীয় মানিকচক ব্লকের বিডিওকে ডেপুটেশনও জমা দেয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ পত্রে, তাঁরা উল্লেখ করেন, নির্বাচনে অবাধ ছাপ্পা হয়েছে। শাসক দল ব্যালট বক্স বদল করেছে বলেও সরব হয় বিজেপি। এপ্রসঙ্গে, মানিকচক ব্লকের একটি বুথের উদাহরণও দেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা তথ্য দিয়ে বলেন, উত্তর চন্ডীপুর মানিকনগর বুথে মোট ভোটার ১১০৪ অথচ ভোট পড়েছে ১২৯৮।

    কী বলছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এসডিও এবং বিডিও-এর মদতে বদলে ফেলা হয়েছে ব্যালট বক্স। শুধু তাই নয়, বিজেপি নেতৃত্বের আরও অভিযোগ, এসডিও এবং বিডিওদের গাড়িতেই এসেছে তৃণমূলের বদলে ফেলা ব্যালট বক্সগুলি। নির্বাচনের নামে এই প্রহসনের শেষ দেখে ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। প্রয়োজনে তাঁরা হাইকোর্টেও যাবেন বলেছেন।

     

    গঙ্গাসাগরের গণনা কেন্দ্রের পিছনে উদ্ধার ব্যালট পেপার

    অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের গণনা কেন্দ্রের পিছন থেকে মিলল অসংখ্য ব্যালট পেপার। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। গঙ্গাসাগর চৌরঙ্গী জনকল্যাণ সঙ্ঘ বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে সম্পন্ন হয়েছিল ভোট গণনার কাজ। ঠিক স্কুলের পিছনে পড়ে রয়েছে অজস্র ব্যালট পেপার। বিজেপি এবং সিপিএমের প্রতীকে ছাপ রয়েছে ব্যালটগুলিতে। কীভাবে ব্যালটগুলি এখানে এল তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাস্থলে চলে আসেন সাগর বিধানসভার বিজেপি নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় ফের আক্রান্ত গ্রামবাংলা, এটাই কি গণতন্ত্র?’’ নিন্দা শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: কালিয়াচকে লিচু বাগানে বোমা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত ১, আহত ২

    Malda: কালিয়াচকে লিচু বাগানে বোমা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত ১, আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়ে মৃত এক এবং আহত দুই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচকের খাসচাঁদপুরের একটি লিচু বাগানে। জানা গেছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম মুকলেসুর রহমান। বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ঘেরা ভগবানপুরের বাসিন্দা এই ব্যক্তি। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। বাকিদের নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কয়েকজন নির্জন স্থানে বোমা বাঁধছিল। এমন সময় আচমকাই বোমা বিস্ফোরণে গোটা এলাকা কেঁপে উঠে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে আহতরা। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরেই মারা যায় মুকলেসুর রহমান। এরপর বাকি আহতরা তাকে ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়।

    পুলিশের ভূমিকা

    বিস্ফোরণের ঘটনার খবর পুলিশের কাছে গেলে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখনও পর্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও উপকরণ। পুলিশ ইতিমধ্যেই সেগুলোর নমুনা সংগ্রহ করেছে। এর পরেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়েছে এলাকায়।

    কংগ্রেসের বক্তব্য

    কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কালিয়াচক ব্লক কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বাড়ির কাছে এক লিচু বাগানে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হয় এক ব্যক্তি। এই বোমা এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্যই বানাচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার কাজই করছে রাজ্যের শাসক দল। তাই বলব প্রশাসন যেন এলাকায় টহলদারি নিয়মিত করে। তিনি আরও বলেন, বিস্ফোরণের এই ঘটনার পেছনে যারা আছে সেই দুষ্কৃতীদেরকে অবিলম্বে পুলিশ যেন গ্রেফতার করে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোন‌ও সম্পর্ক নেই, কংগ্রেসের সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা চাই পুরো ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: ভোটের হিংসায় ফের মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মৃত্যু হল ৩ জনের!

    Panchayat Poll: ভোটের হিংসায় ফের মুর্শিদাবাদ ও মালদায় মৃত্যু হল ৩ জনের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার জেরে আজ ফের ৩ জনের মৃত্যু হল। ফলে ভোটে (Panchayat Poll) মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৮। আজ যে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মালদার দুজন রয়েছেন। একজন রতুয়ায়, অন্যজন চাঁচলে। এছাড়া সাগরদিঘিতে রয়েছেন একজন কংগ্রেস কর্মী। রক্তস্নাত এই নির্বাচনের মৃত্যু মিছিল যেন থামছে না। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিজয় মিছিল থেকে তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ উঠল সামশেরগঞ্জে।

    রতুয়া ও চাঁচলে কারা খুন (Panchayat Poll) হলেন?

    ফের রাজনৈতিক (Panchayat Poll) প্রতিহিংসার বলি মালদায়। কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মালদা জেলার রতুয়া থানার ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর এলাকায়। মৃত কংগ্রেস কর্মীর নাম ফটিকুল হক, বয়স ২৪ বছর। অভিযোগের তীর ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী রোজিনা বিবি, তাঁর স্বামী তোফাজুল হক সহ তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী রোজিনা বিবি। আর জয়ের পরেই এলাকায় বেরিয়েছিল বিজয় মিছিল। সেই মিছিলেই ফটিকুল হকের বাড়ির সামনে বাজি ফাটাচ্ছিল রোজিনা বিবির স্বামী ও তাঁর দলের কর্মীরা। আর তারই প্রতিবাদ করেছিলেন ফটিকুল হক। সেই সময় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পাশাপাশি তাঁর মাথায় বাঁশের আঘাত করা হয়। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে রাতেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে ফটিকুল ও তাঁর মামা হবিবুরকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন বুধবার সকালে মৃত্যু হয় ফটিকুল হকের। অন্যদিকে, চাঁচল-২ ব্লকের পরাণপুর গ্রামে তৃণমূলের বিজয় মিছিল ছিল। মিছিলে মুফিজউদ্দিন নামে এক তৃণমূল কর্মী ছিলেন। গ্রামেই জালালউদ্দিনের পারিবারিক বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদ থামাতে যান মুফিজউদ্দিন। সেখানেই তাঁকে ইটের আঘাত করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়।

    সাগরদিঘিতে কে মারা (Panchayat Poll) গেলেন?

    মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে মৃত (Panchayat Poll) কংগ্রেস কর্মীর নাম রাজেশ শেখ। তিনি ১২০ নং বুথের কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন। মৃতের পরিবার ও কংগ্রেসের অভিযোগ, নির্বাচনের দিন সাগরদিঘির কিসমতগাদি এলাকার ১২০ নং বুথে জোর করে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কংগ্রেসের এজেন্টকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছিল। এছাড়াও কংগ্রেসের ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছিল না। এর ফলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এমনকী বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীও ছিল না। পুলিসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে মৃতের পরিবার। রাজেশকে রড, বাঁশ, লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। ঘটনার দিন আহত হলেও আজ দুপুরের পরে তিনি মারা যান বলে জানা যায়। 

    কংগ্রেসের বিজয় মিছিল থেকে বোমাবাজি

    জয়ী হয়ে বিজয় উল্লাসে বাজি ফাটাকে কেন্দ্র করে ফের বোমাবাজি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। বুধবার তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি (Panchayat Poll) করার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বোমাবাজির ঘটনায় হাতে বোমা লেগে জখম এক তৃণমূল কর্মী। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার তিনপাকুরিয়া পঞ্চায়েতের পূর্ব দেবীদাসপুর এলাকায়। আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম অসিকুল আলম (২৫)। বর্তমানে তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে  তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ করে বোমা চালানোর অভিযোগ উঠলেও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। বোমাবাজির পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের মৃত্যু! ছাপ্পা আটকাতে গিয়ে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী, জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য

    Malda: ফের মৃত্যু! ছাপ্পা আটকাতে গিয়ে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী, জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক দিনে ১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। অথচ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে অনেক কম। নির্বাচনে কোনও রকম নিরাপত্তা  এবং সুরক্ষার বিষয় ছিল না বলে বিরোধীরা বিস্ফোরক হয়েছে। শনিবার মালদায় (Malda) আরও এক প্রাণ গেল। সন্ত্রাস, হানাহানি এবং হিংসায় উত্তাল জেলা।

    কোথায় খুনের ঘটনা ঘটল (Malda)?   

    শনিবার রাতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মালদায়। ছাপ্পা ভোট আটকাতে গেলে তাঁকে খুন করা হয়। মৃতের নাম মতিউর রহমান (৪৫), ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তিনি বৈষ্ণবনগর ভগবানপুর (Malda) বড় কামাতের বাসিন্দা ছিলেন। ট্রাক চালাতেন। শনিবার কেবিএস প্রাথমিক স্কুল ১৫৬ বুথে ভোট দিতে যান তিনি। সে সময় সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁর উপরে হামলা হয়। এই ঘটনায় আরও চারজন বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।

    প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য

    হাজিকুর রহমান ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তিনি বলেন, আমি এবং মতিউর দুজনেই বুথে (Malda) ভোট দিতে গিয়েছিলাম। আমরা এখানে তৃণমূল কংগ্রেস করি। দুজন করে মহিলার পর একজন করে পুরুষ, পর পর গিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট দিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখি কংগ্রেসের এক স্কুল শিক্ষক ব্যালটে ছাপ্পা শুরু করে! প্রতিবাদে আমি এবং মতিউর সোচ্চার হই। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের এই শিক্ষক কর্মী হয়তো বুঝতে পারছিল যে শান্তিপূর্ণ ভোট হলে কংগ্রেস হারবে। তাই তৃণমূলকে হারাতে এই ছাপ্পা শুরু করে। আবার প্রতিবাদ করতে গেলে পিছন থেকে মতিউরকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। বাঁচাতে গেলে হাজিকুর রহমানের হাতেও চাকুর আঘাত লাগে। অধিক রক্তক্ষরণের কারণে মতিউরের মৃত্যু হয়।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত মতিউরের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী মাত্র কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছেন ভোট দেওয়ার জন্য। আর ভোট দিতে এসেই খুন হলেন! আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। মৃত মতিউরের স্ত্রী বলেন, আমদের প্রার্থী ছিলেন রফিকুল, তাঁকে মাথায় আঘাত করেছে দুষ্কৃতীরা। আমি এবং আমার স্বামী তৃণমূল করতাম। যারা হত্যা করেছে তারা কংগ্রেস কর্মী। বুথে ছাপ্পা দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে আমার স্বামীকে ধারলো চাকু দিয়ে পিছন থেকে আঘাত করে খুন করে ওরা। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি চাই বলে দাবি করেন মৃত মতিউরের স্ত্রী।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share