Tag: Malda

Malda

  • Panchayat Election: টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করেছে মন্ত্রী, নির্দলে দাঁড়ালেন তৃণমূলের নেত্রী

    Panchayat Election: টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করেছে মন্ত্রী, নির্দলে দাঁড়ালেন তৃণমূলের নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের (Panchayat Election) প্রার্থী পদে টিকিট বিলি করেছেন তৃণমূলের মন্ত্রী তথা মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল হোসেন। এমনটাই অভিযোগ করলেন শাসক দলের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী জুবেদা বিবি এবং তাঁর স্বামী ব্লকের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক। শুক্রবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনই গুরুতর অভিযোগ করলেন তাঁরা। এমনকী মন্ত্রীর ভাই সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে টিকিট দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন এ বছর নির্দল হিসেবেই পঞ্চায়েতে তাঁরা লড়াই করবেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরফ থেকে এই অভিযোগ ওঠায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।

    কী বললেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতানেত্রীরা?

    সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী জুবেদা বিবি বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মন্ত্রী তাজমুল হোসেন এবং তাঁর ভাই জেলার সাধারণ সম্পাদক জম্বু রহমান সহ তাঁদের অনুগামীরা অযোগ্যদের প্রার্থী করেছে। আমি গত পাঁচ বছরের সভানেত্রী থাকাকালীন এলাকায় প্রচুর উন্নয়নের কাজ হয়েছে। তা সত্ত্বেও এবার আমাদের টিকিট দেওয়া হয়নি। তাই, আমাদের অঞ্চল থেকে  নির্দল হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্যদিকে, জুবেদার স্বামী তথা ব্লকের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক বলেন, মন্ত্রী তাজমুল হোসেন তাঁর ভাই জম্বু রহমান সহ একাধিক নেতা পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) প্রার্থী পদের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন প্রার্থীদের কাছ থেকে। ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকায় টিকিট বিক্রি হয়েছে। সমস্ত টাকা মন্ত্রীর পকেটে ঢুকেছে। আমরা টাকা দিতে পারিনি বলে আমাদেরকে প্রার্থী করা হয়নি। একটা সময় আমরা এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল বলেই পরিচিত ছিলাম। এখন অযোগ্যদেরকে টাকার বিনিময়ে টিকিট দিচ্ছেন মন্ত্রী ও তাঁর অনুগামীরা। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।  

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর দাবি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী তজমুল হোসেন। তিনি পাল্টা বলেন, আশরাফুল কে এবং তাঁর কী পরিচয়? ওদের কথার কোনও ভিত্তি নেই। ওরা নির্দল হলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) কোনও প্রভাব পড়বে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                                                                                                                                  

  • Malda: একই আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন স্বামী-স্ত্রীর! গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি এবার বাড়িতেও?

    Malda: একই আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন স্বামী-স্ত্রীর! গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি এবার বাড়িতেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) একই আসনে স্বামী ও স্ত্রী একসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা করলেন। দুজনই আবার নিজেদের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে দাবি করলেন। মালদার কালিয়াচক ৩ নং ব্লকের জেলা পরিষদের ৪৩ নং আসনে এই দম্পতি মনোনয়নপত্র জমা  করেছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

    কেন একই আসনে মনোনয়ন?

    দলীয়ভাবে মালদা (Malda) জেলা পরিষদের ৪৩ নং আসনটির জন্য বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিধায়ক চন্দনা সরকারের স্বামী পরিতোষ সরকারের নাম স্থির করা হয়েছে। কিন্তু চন্দনা সরকার বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিধায়ক এবং মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতিও। তাই দল কালিয়াচক আসনটির জন্য বিধায়িকার স্বামী পরিতোষ সরকারের নাম স্থির করে। এরপরই দম্পতির মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। ৪৩ নং আসনটিতে প্রার্থী হতে দাবি জানাতে থাকেন বিধায়ক চন্দনা সরকার। ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। দলের তরফ থেকে রাজ্য নেতৃত্ব চন্দনা সরকারের দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, চন্দনা সরকারের স্বামী তাঁদের গৃহযুদ্ধকে বন্ধ করতে নিজের প্রার্থীপদ থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন দলের কাছে। আর তাই রাজ্য থেকে জেলা নেতৃত্ব সকলকেই পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন তিনি, এমনটাই জানা গেছে। কিন্তু দলীয়ভাবে সেই আবেদনও নাকচ করে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত দল প্রার্থী হিসাবে পরিতোষ সরকারকেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর পরিতোষ সরকার এবং তাঁর পত্নী একসাথে এসে একই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই মনোনয়নকে ঘিরেই শুরু হয়েছে জেলায় উত্তেজনা।

    মনোনয়নের পর স্বামী-স্ত্রীর বক্তব্য

    স্বামী বলেলেন, আমার স্ত্রী গত তিনবার ধরে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আছেন এবং তিনি জেলার সহকারী সভাধিপতি। তাই দল তাঁকে টিকিট দিলেই ভালো হতো। অপর দিকে বিধায়িকা স্ত্রী বলেন, দলের সিদ্ধান্তই আমাদের কাছে শেষ সিদ্ধান্ত। আমার স্বামী অনেক দিন ধরেই হার্টের অসুখে অসুস্থ। আমাদের মধ্যে পারিবারিক কোনও বিবাদ নেই। তাই দুজনে এক সঙ্গেই মনোনয়নপত্র জমা করলাম বলে জানান বৈষ্ণবনগরের (Malda) বিধায়িকা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: মনোনয়ন জমা দেওয়ার মধ্যেই অস্ত্র উদ্ধার মালদায়, নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    Panchayat Election 2023: মনোনয়ন জমা দেওয়ার মধ্যেই অস্ত্র উদ্ধার মালদায়, নির্বাচন কতটা সুরক্ষিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মুখে আবার অস্ত্র উদ্ধার মালদায়। রতুয়ার নূরপুর ব্রিজ এলাকায় হানা দিয়ে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মালদারই ভুতনির বাসিন্দা রূপকুমার মাহাত নামে এক ব্যক্তিকে।

    কোথায় কী অস্ত্র উদ্ধার?

    পুলিশ সূত্রে খবর, রতুয়াতে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র সমেত আটক করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে একটি .৩০৩ এমএম পাইপগান, একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ঠিক কী উদ্দেশ্যে এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি আনা হয়েছিল এবং তা কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেই বিষয়কে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত চালাচ্ছেন রতুয়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) এই অস্ত্র ব্যবহার করা হত কি না,  তা নিয়ে এলাকাবাসীর মনে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

    রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কতটা সুরক্ষিত?

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দিন ঘোষণা হয়েছে। মনোনয়নের পঞ্চম দিন চলছে। এত অল্প সময়ে এতবড় রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন! কমিশন কতটা প্রস্তুত? এই নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা সরব হয়েছেন। মনোনয়নকে ঘিরে ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের ডোমকল, সালার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গড়, ক্যানিং সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতি। কোথাও গুলি চলছে আবার কোথাও মুড়ি-মুরকির মতো বোমাবাজি। শাসক বনাম বিরোধী মনোনয়নকে ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতি। ঠিক এর মধ্যে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা, মনোনয়ন জমা, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয় নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মনে বেশ আশঙ্কার মেঘ জমতে দেখা যাচ্ছে। এই রকম পরিস্থিতিতে যখন মালদায় বোমা, পিস্তল, বন্দুক উদ্ধার হয়, তখন গ্রাম বাংলার মানুষ কতটা সুরক্ষিত ভাবে ভোট প্রদান করবেন? তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নানান প্রশ্ন উঠছে। সেই সঙ্গে সাধারণ নাগরিকের জীবনের সুরক্ষার জায়গা থেকে রাজ্য প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক মহল।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: বোনের বিয়েতে আর আসা হল না মালদার কৃষ্ণের, বাড়ি পৌঁছাল নিথর দেহ

    Train Accident: বোনের বিয়েতে আর আসা হল না মালদার কৃষ্ণের, বাড়ি পৌঁছাল নিথর দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোনের বিয়েতে যোগ দিতে চেন্নাই থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পিপুলতলা গ্রামের কৃষ্ণ রবিদাস। বয়স ২৩ বছর। প্রায় পাঁচ মাস পর তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। বিয়েতে কত আনন্দ করবেন, তা নিয়ে ফোনে বোনের সঙ্গে অনেক পরিকল্পনাও করেছিলেন। যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে ফেরার কথা পরিবারের লোকজনকে ফোন করে তিনি জানিয়েছিলেন। ট্রেনে ওঠার পর শেষ ফোন করেছিলেন মাকে। তারপরই ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Train Accident)। সেই সময় থেকেই নিখোঁজ তিনি। সোমবারই পরিবারের লোকজন ভুবনেশ্বর মর্গে তাঁর মুণ্ডহীন দেহ শনাক্ত করেন।

    কীভাবে শনাক্ত করা হল তাঁকে?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ রবিদাসরা চার ভাই, দুই বোন। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা হেমন্ত রবিদাস ও মা যশোদা রবিদাস। ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই ঘন ঘন জ্ঞান হারাচ্ছেন মা যশোদাদেবী। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন পরিজনরা। যশোদাদেবী বলেন, “ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর তিন দিন ধরে ছেলের কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। সরকারি হেল্পলাইনে ফোন করেও কোনও খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে সোমবার সরকারি সূত্রে খবর পেয়ে আমার বড় ছেলে অশোক ওড়িশার ভুবনেশ্বর হাসপাতালের মর্গে ছেলের মুণ্ডহীন দেহ শনাক্ত করে। জামা, প্যান্ট, বেল্ট এবং পকেটে থাকা আধার কার্ড দেখে ভাইকে চিনতে পারে সে।”

    কী বললেন মৃত যুবকের বাবা?

    মৃত যুবকের বাবা হেমন্ত রবিদাস বলেন, “আগামী ১২ জুন আমার ছোট মেয়ের বিয়ে রয়েছে। বোনের বিয়েতে অংশগ্রহণ করতেই ছেলে বাড়ি ফিরছিল। এই ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) আমার ছেলের প্রাণ কেড়ে নিল। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ অ্যাম্বুল্যান্সে ছেলের দেহ গ্রামের বাড়িতে আসে।” গ্রামের ছেলের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় পৌঁছাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা জুড়ে। খবর পেয়ে এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তজমুল হোসেন কৃষ্ণের বাড়িতে গিয়ে সব রকম সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদার চাঁচল, আতঙ্কিত এলাকার মানুষ

    Malda: ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদার চাঁচল, আতঙ্কিত এলাকার মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শাসনে রাজ্য জুড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা যেন থামছেই না। কয়েক দিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, রাজ্যে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। তাই যত্রতত্র বিস্ফোরণ ঘটছে। এই মন্তব্যে রাজ্য জুড়ে বয়ে গেছে সমালোচনার ঝড়। এবার ফের বিস্ফোরণ হল মালদার (Malda) চাঁচলে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য জুড়ে এত বোমা বিস্ফোরণ হওয়ায় সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

    মালদায় (Malda) কীভাবে আবার বিস্ফোরণ?

    এবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মালদার (Malda) চাঁচল-২ নং ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জানিপুর এলাকা। সূত্রের খবর, একটি নলকূপের ধারে মজুত ছিল বোমা। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। চারদিক ধোঁয়ায় ভরে ওঠে এবং ছড়িয়ে পড়ে বারুদের গন্ধ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখনও বোমা রয়েছে ওই স্থানে। তাই রাত থেকে ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ। কিছুক্ষণ পরেই মালদা বোম্ব স্কোয়াড এসে উপস্থিত হয়। বিস্ফোরণের কারণে এলাকায় আপাতত আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

    এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়া

    স্থানীয় (Malda) এক মহিলা ইসমাতারা খাতুন বলেন, রাতে বিকট শব্দ শুনতে পাই, ঘুম ভেঙে যায়। চারদিক পোড়া গন্ধে ভরে গেছে। মনে হয় কেউ কেউ আহত হয়েছে। তবে কারা আহত হয়েছে, স্পষ্ট করে বলতে পারেননি ওই মহিলা।

    পুলিশ সুপারের বক্তব্য

    বিস্ফোরণের ঘটনায় মালদার (Malda) পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, তল্লাশি করে আপাতত ২২ টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে এলাকা থেকে। পুরো এলাকাকে নিরাপত্তার কারণে ঘিরে রাখা হয়েছে। তবে কীভাবে এত বোমা এখানে মজুত করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এই বিস্ফোরণ কি আকস্মিক, নাকি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছে, সেই বিষয়েও তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সাংগঠনিক জেলা দক্ষিণ মালাদার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, এই রাজ্য এখন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের নজরদারি ঠিকঠাক থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। সমস্ত বোমা বিস্ফোরণের পিছনে তৃণমূলের নেতারা রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। বিস্ফোরণের ঘটনা থেকে আতঙ্কমুক্ত পরিবেশ গড়তে প্রশাসন কী ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ছয় বছরের বাচ্চা মেয়েকে গলা টিপে হত্যা, কিন্তু কেন এই খুন?

    Malda: ছয় বছরের বাচ্চা মেয়েকে গলা টিপে হত্যা, কিন্তু কেন এই খুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ছয় এর এক বাচ্চা মেয়েকে শ্বাস রোধ করে খুনের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো। ঘটনা ঘটেছে মালদা (Malda) রতুয়া দুই ব্লকের সম্বলপুর এলাকায়। মৃত মেয়ের নাম আসিফা আক্তার জাহান। কীসের জন্য হল এই খুন? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।   

    মালদায় (Malda) কীভাবে খুন?

    মৃতা আসিফার বাবা আব্দুল খালেক বলেন, গতকাল আমি, মেয়ে এবং তার মা মিলে ওর দাদুর বাড়ি ঘুরতে যাই। আজকে ঠিক দুপুর ১১ টার পর থেকে আসিফাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা এদিক ওদিক অনেক খুঁজেও পাইনি তাঁকে। এরপর আশেপাশের বাড়ি (Malda) গুলিতে খোঁজাখুঁজি করি। তখনই রুমা নামের এক মহিলার বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করতে গেলে সেখানে আমার মেয়েকে বিছানায় লেপচাপা অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। আমার মেয়ের গলায় এবং কানে সোনার গয়না ছিল। কিন্তু সেগুলিও ছিনতাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খালেকবাবু। আসিফাকে বিছানায় লেপচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছেন আব্দুল খালেক। তবে আসিফার বাবা প্রাথমিকভাবে রুমাকেই সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন বলে জানিয়েছেন। এরপর আসিফার বাবা আরও বলেন, আমি চাই পুলিশ প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে ওই মহিলাকে উপযুক্ত শাস্তি দিক।

    মৃতা আসিফার দাদুর বক্তব্য

    আসিফার দাদু হলেন মোহাম্মদ আজিজুল হক। তিনি আসিফার হত্যা সম্পর্কে বলেন, আমার বাড়িতে (Malda) আজ দুপুর থেকে নাতনিকে আর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশেই রুমা খাতুন নামে এক মহিলার বাড়িতে আমার নাতনিকে মৃত অবস্থায় পাই। তিনি আরও বলেন, আমার নাতনির পরিধানরত সোনা আর রুপোর গয়নাকে আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যেই আমার নাতনিকে মেরেছে ওই মহিলা। আমি ওই মহিলার ফাঁসি চাই। এরপর পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশকে খবর দিই আমরা। বর্তমানে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুকুরিয়া থানার পুলিশ। কে বা কারা এই বাচ্চা মেয়েকে খুন করল, তাই নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: টোটোই তাঁর অ্যাম্বুলেন্স!  বিনামূল্যে রোগী পরিষেবা দিয়ে চলেছেন মালদার জিতেন

    Malda: টোটোই তাঁর অ্যাম্বুলেন্স! বিনামূল্যে রোগী পরিষেবা দিয়ে চলেছেন মালদার জিতেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টোটো-অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রোগীদের মেডিক্যাল কলেজ হোক অথবা নার্সিংহোম, অতি সহজেই পৌঁছে দিচ্ছেন মালদার (Malda) যুবক জিতেন চৌধুরী। তাই এখন অনেক মানুষের কাছে তিনি ‘অ্যাম্বুলেন্স জিতেন’ বলে পরিচিত হতে শুরু করেছেন। সেবামূলক কাজে এলাকায় তিনি বেশ চর্চার মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    মালদায় (Malda) কীভাবে পরিষেবা দেওয়া হয়?

    মালদা (Malda) শহরের বাগবাড়ি বাঁধ এলাকার বাসিন্দা জিতেন চৌধুরী, বয়স ২২ বছর। বাড়িতে বাবা, মা, ভাই, বোন নিয়ে সংসার। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাবা বাবলু চৌধুরী পেশায় একজন ট্রাক চালক। কোনও রকমে ধার-দেনা করে টোটো কিনেছেন জিতেন। আর সেই টোটোকে এখন অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে রোগী পরিষেবা দিয়ে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে ১৫ থেকে ১৭ জন রোগীকে অত্যন্ত জরুরি অবস্থার মধ্যে থেকে নিজের অ্যাম্বুলেন্স টোটোতে করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছেন। টোটোর সামনে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। টোটোতেই দেওয়া রয়েছে জিতেন চৌধুরীর মোবাইল নম্বর ৮৪৩৬৯১৯৩৬৬। জিতেনের এই পরিষেবা দেখে স্থানীয় অনেক মানুষ তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

    জিতেনের বক্তব্য

    মালদার (Malda) টোটো অ্যাম্বুলেন্স চালক জিতেন বলেন, কয়েক মাস আগে পরিবারের এক আত্মীয়কে নিয়ে শুধুমাত্র সময়ের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছাতে পারেননি। সঠিক সময়ের মধ্যে বাগবাড়ি থেকে টোটো করে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে পারেননি। আর এর ফলেই জিতেনের এক নিকট আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছিল। মনে মনে তখন থেকেই তাঁর ইচ্ছা ছিল একটা টোটো কিনে, সাধারণ রোগীদের বাড়ি থেকে হাসপাতালে পৌঁছানোর পরিষেবা দেবেন। জিতেন বলেন, এই টোটোটি অনেক কষ্ট করে কিনেছি। এখন এই টোটোকেই অ্যাম্বুলেন্স হিসাবে পরিষেবা দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমি এই পরিষেবা বিনা খরচেই দিচ্ছি। টোটো চালানোর পাশাপাশি এই পরিষেবা দিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আপাতত নিজের এলাকায় ৫ থেকে ৬ কিমির মধ্যে এই পরিষেবা চলবে বলে জানিয়েছেন। প্রায় দেড় মাস হল এই পরিষেবা শুরু করেছেন তিনি। রোগীদের পরিষেবা দিতে পেরে খুব খুশি জিতেন। জিতেনের এই রোগী পরিষেবা সমাজসেবীদের নজর কেড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফুলাহার নদীর মাটি পাচারে আটক ৭ টি ট্র্যাক্টর  এবং ২ ব্যাক্তি

    Malda: ফুলাহার নদীর মাটি পাচারে আটক ৭ টি ট্র্যাক্টর এবং ২ ব্যাক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য দিবালোকে ফুলাহার নদীর মাটি কেটে পাচার করছে মাটি মাফিয়ারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মহকুমা শাসকের নির্দেশে, শনিবার দিন হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) দু নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামায়ণপুর এলাকার ফুলাহার নদীতে অবৈধ মাটি কাটায়, ৭ টি ট্র্যাক্টর ও দুই জনকে আটক করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

    মালদার (Malda) ফুলাহার নদীতে কীভাবে চলছে মাটি পাচার?

    নদী ভাঙ্গন মালদায় (Malda) প্রতি বছরের সমস্যা। বর্ষাকালে ভাঙ্গনের তীব্রতা বাড়ায় নদীগর্ভে তলিয়ে যায় বিঘার পর বিঘা জমি, বাড়ি, ফলের বাগান সর্বস্ব। জেলার প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে গঙ্গা এবং ফুলাহার এই দুটি নদীর ভাঙন প্রতি বছর সর্বস্বান্ত করে বহু মানুষকে। আর সেই ফুলহার নদী থেকে বেআইনিভাবে মাটি কেটে পাচারের অভিযোগ উঠেছে, মাটি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। এলাকার স্থানীয়দের আশঙ্কা, এইভাবে মাটি কাটা হলে বর্ষাকালে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দেবে ফুলাহার নদীতে।   

    কারা মাটি মাফিয়া?

    শাসকের মদতেই চলছে মাটি পাচারের কাজ, অভিযোগ বিজেপির। বেআইনি কাজ হলে প্রশাসন (Malda) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের। আর প্রকাশ্য দিবালোকে এইভাবে মাটিকাটা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। বিজেপির উত্তর মালদার (Malda) সাংগঠনিক কমিটির সদস্য কৃষ্ণ কেডিয়া বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ মদতে প্রকাশ্য দিবালোকে এই ধরনের কাজ চলছে। অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য সামনে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোটের মাধ্যমে যোগ্য জবাব দেবেন বলে তিনি দাবি করেন।

    প্রশাসন এবং তৃণমূলের বক্তব্য

    অবৈধ ভাবে নদীর মাটি কাটার অভিযোগে চাঁচল (Malda) মহকুমার মহকুমা শাসক কল্লোল রায় বলেন, বিডিও এবং বিএলআরও-কে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের হরিশ্চন্দ্রপুর দু নম্বর ব্লকের সভাপতি তবারক হোসেন বলেন, অবৈধ মাটি কাটাকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্রয় দেয় না। আইন আইনের পথে চলবে, আইন অনুযায়ী প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। সামনেই রাজ্যে বর্ষা আসছে, ফুলাহার নদী থেকে মাটি কাটার ফলে এলাকায় ভাঙনরোধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: নির্মাণ সংস্থার কর্তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়ে হুমকি, কাঠগড়ায় কেএলও

    Malda: নির্মাণ সংস্থার কর্তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়ে হুমকি, কাঠগড়ায় কেএলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তার কাজের নির্মাণ সংস্থার ম্যানেজারকে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে চিঠি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কেএলও-র বিরুদ্ধে। এমনকী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই নির্মাণকারী সংস্থা টাকা দিতে না পারলে তাদের রাস্তা তৈরির সমস্ত সামগ্রী এবং ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে।

    কী ঘটেছে?

    হবিবপুর (Malda) থানার ধুমপুর এলাকায় শনিবার রাতে টাকা চেয়ে কেএলও-র হুমকির ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। সেই কাজের বরাত পেয়েছে এক নির্মাণকারী ঠিকাসংস্থা। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ১৩ মে মুখ ঢাকা অবস্থায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ম্যানেজারের কাছে আসে এবং ওই দুষ্কৃতীরা ম্যানেজারকে কেএলও সংগঠনের পরিচয় দেয়। দাবি করতে থাকে, প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকার কাজ হচ্ছে। ম্যানেজারকে কাজ করতে হলে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এমনকী নির্মাণ সংস্থার ম্যানেজারকে তারা একটি নম্বর দিয়ে যায়। টাকা কবে দেবে, কীভাবে দেবে, কথা বলার জন্য বলা হয়। আর যদি সেই টাকা না পায়, তাহলে নির্মাণ সংস্থার যে সমস্ত গাড়ি চলছে সেগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। প্রয়োজনে নির্মাণ সংস্থার কর্মীদের প্রাণনাশ হতে পারে বলেও হুমকি দিয়ে যায় কেএলও সংগঠন।

    পুলিশের কাছে অভিযোগ

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে মালদা (Malda) জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানার ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুই কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার ঘটনা প্রসঙ্গে হবিবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে কেএলও সংগঠনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত নেমে পুলিশ দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আসলেই ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে কিনা অথবা কেউ ওই সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে এই অপরাধমূলক কাজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সরকারি কাজে যদি তোলাবাজি ও খুনের হুমকি আসে, তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করাটা কতটা সুরক্ষিত, সেটাই এখন এলাকাবাসীর কাছে বড় প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ভুয়ো নথি দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি, শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: ভুয়ো নথি দিয়ে প্রাথমিকে চাকরি, শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার মালদহের (Malda) মানিকচকের এক প্রাথমিক স্কুল শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি ও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে আলোড়ন চলছে। তারই মধ্যে শনিবার এক ভুয়ো শিক্ষিকা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক  কী অভিযোগ ভুয়ো শিক্ষকের বিরুদ্ধে?

    তফশিলি জাতির জাল শংসাপত্র দেখিয়ে ইতিমধ্যে দেড় বছর প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন ওই শিক্ষিকা। অভিযুক্ত শিক্ষিকার নাম চাঁপা মণ্ডল। জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নিয়োগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। এরপর আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করেন মালদহ (Malda) সদরের মহকুমাশাসক। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে শনিবার ওই ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শিক্ষকের বাড়ি মানিকচক থানার হাড্ডাটোলা গ্রামে। ২০২১ সালের অক্টোবরে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বর্ণাহি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকা হিসাবে যোগদান করেন। তিনি তফশিলি কোটায় চাকরি পেয়েছিলেন। তাঁর সমস্ত নথিপত্র জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে পাঠিয়ে দেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে এক ব্যক্তি চাঁপাদেবীর নিয়োগের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা রুজু করেন। সেই মামলায় বিচারপতি ঘটনার তদন্ত করার জন্য জেলা সদর মহকুমাশাসককে নির্দেশ দেন। মহকুমাশাসক সব খতিয়ে দেখে মানিকচক থানায় চাঁপা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ চাঁপাদেবীকে গ্রেফতার করে। রবিবার তাঁকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁর ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আদালতে যাওয়ার পথে এনিয়ে চাঁপাদেবীকে একাধিক প্রশ্ন করা হলেও তিনি মুখ খোলেনি । কিছু বলতে চায়নি পুলিশও।

    কী বললেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি?

    এই প্রসঙ্গে মালদহ (Malda) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি বাসন্তী বর্মন বলেন,”ঘটনাটি আমার কানে এসেছে। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে সদর মহকুমাশাসক বিষয়টি তদন্ত করে দেখেছেন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তিনি পুলিশে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই মানিকচক থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে ।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share