Tag: Malda

Malda

  • Malda: মালদায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! জেলা সভাপতির নামে দুর্নীতিবাজের পোস্টার

    Malda: মালদায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! জেলা সভাপতির নামে দুর্নীতিবাজের পোস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর মালদায় (Malda) ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজের পোস্টার পড়ল। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলাজুড়ে। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একক ভাবে পেয়েছে ২৯টি আসন। কিন্তু মালদা উত্তর এবং দক্ষিণ দুই কেন্দ্রেই হেরেছে তৃণমূল। জেলার উত্তরের আসনে জয়ী বিজেপি এবং দক্ষিণে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। এই হারের দায় নিয়ে শাসক দলের অন্দরে ফাটল আরও স্পষ্ট হয়েছে।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Malda)?

    ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল শুরু হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন ধরেই সামজিক মাধ্যমে মালদা (Malda) জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা সমালোচনার কথা প্রকাশ করছিলেন দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। একই সঙ্গে জেলার শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা একাধিকবার জেলার চেয়ারম্যান এবং সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এর মধ্যেই মালতিপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির বিরুদ্ধে দুর্নীতিবাজের পোস্টার পড়েছে। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত জেলা সভাপতি নিজে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    মালদা (Malda) জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিষ কুণ্ডু বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে আমাদের ফল খারাপ হয়েছে। এই নিয়ে কে কোথায় কে কী করেছে তা বলা সম্ভব নয়। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা আলোচনায় বসবো। নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে সব ঠিক করে নেব।”

    আরও পড়ুনঃ রায়গঞ্জে মহিলাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রি! পাচার চক্রের হদিশে চাঞ্চল্য

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির জেলা (Malda) সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল সর্বত্র। তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে কেউ মানতে চাইছেন না আর। গোটা মালদা জেলা জুড়েই এই ঘটনা ঘটছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: কুকুরে খুবলে খাচ্ছে মানবখুলি! হাড় হিম করা ঘটনা মালদায়

    Malda: কুকুরে খুবলে খাচ্ছে মানবখুলি! হাড় হিম করা ঘটনা মালদায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুকুরে খুবলে খাচ্ছে মানবখুলি! রবিবার রাতে এই হাড় হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন জাতীয় সড়কে। স্বাভাবিকভাবেই এ দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন রোগীর আত্মীয়েরা। ঘটনাটি নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে খুলিটি। ইতিমধ্যেই ময়না-তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে সেটি।  

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Dog carrying human skull) 

    মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজে এরআগে একাধিক বার সদ্যোজাতের দেহাংশ কুকুরকে খুবলে খেতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এ বার মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশের সদর দরজা লাগোয়া জাতীয় সড়কের নর্দমার উপরে কুকুরকে একটি খুলি খুবলে খেতে দেখা যায়। ঘটনাটি নজরে আসতেই রোগীর আত্মীয়দের একাংশ কুকুরটিকে তাড়া করে সরিয়ে দেন। রোগীর আত্মীয়দের দাবি, খুলিটি সদ্যোজাতের হতে পারে। তবে মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া এলাকায় কী ভাবে খুলিটি এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  

    আরও পড়ুন: পুরুলিয়া গণনা কেন্দ্রে ঘোরফেরা করছে আই প্যাকের টিম! বিস্ফোরক জ্যোতির্ময়

    তদন্তে নামল পুলিশ 

    অন্যদিকে খুলিটি আদেও সদ্যোজাতের কি না, তা ময়না-তদন্তে স্পষ্ট হবে দাবি পুলিশের। এছাড়াও পুলিশ জানিয়েছে, খুলির অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্পষ্ট করে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। মালদহের (Malda) পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেছেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পাশাপাশি খুলি উদ্ধারের সঙ্গে মেডিক্যালের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, মেডিক্যাল, সংলগ্ন এলাকায় একাধিক নার্সিংহোম রয়েছে। জাতীয় সড়কের পাশে রেল লাইনও রয়েছে। সেখানে প্রায়ই সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। কুকুরে খুলি (Dog carrying human skull) সেখান থেকেও নিয়ে আসতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। এ ঘটনায় মালদহ (Malda) মেডিক্যাল কলেজের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ বর বলেন, “মেডিক্যাল চত্বরে খুলি উদ্ধারের ঘটনা ঘটেনি। মেডিক্যালের বাইরে হয়েছে। তবু ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: লজ্জা! মহিলাদের বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় রাজ্যকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের

    Malda: লজ্জা! মহিলাদের বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় রাজ্যকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ভূমিকায় বরাবরই ক্ষুব্ধ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এবার একটি নির্মম ঘটনা সামনে এল। যেখানে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কমিশন। মালদা জেলার বামনগোলা থানার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ৬ সপ্তাহের মধ্যে দুই নির্যাতিতাকে তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অন্যদিকে পুলিশকে জমা দিতে বলা হয়েছে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট।

    রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের ২২ জুলাই সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়ে যায়। ওই ভিডিওর ক্লিপের সামনে এনেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলেন বিজেপির আইটি সেল এর প্রধান অমিত মালব্য ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় বহু মানুষের ভিড় দুই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করে ক্ষিপ্ত জনতা। তাদের ব্যাপক জুতোপেটা করা হয়। চোর অপবাদ দিয়ে ওই মহিলাদের কার্যত বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়েছিল। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছিলেন দুই মহিলা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে পুলিশ দুই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে যায়।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৮ জুনের মধ্যে দুই নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নির্দেশ কার্যকর না হলে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখা দরকার এর আগেও কমিশন ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সেই নির্দেশ মানে নি। তাই শেষ বারের মতো নিগৃহীতাদের তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র বলেন, “ক্ষতিপূরণ তো দূরের কথা রাজ্য সরকার সেই নির্দেশের কোন উত্তর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেনি। কমিশনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই কারণে আমরা পুনরায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মধ্যে কাছে দরবার করেছি। ১৮ জুনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। না হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে।

    ক্ষতিপূরণ ঘিরে শাসক বিরোধী তরজা

    এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে কমিশনের নির্দেশ যদি শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকার না মানে তাহলে কি পথ খোলা থাকছে নিগৃহীতা কিংবা কমিশনের কাছে। এক্ষেত্রে দুপক্ষই আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আরও মুখ পুড়বে করবে রাজ্য সরকারের। এ বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি কৃষ্ণ নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “সরকার মহিলাদের পাশে আছে। মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ পালন করবে পুলিশ। অন্যদিকে রাজ্য সরকারকে ক্ষতিপূরণের শেষ নির্দেশ দেওয়া প্রসঙ্গে শুরু হয়েছে শাসকবিরোধী রাজনৈতিক টানাপোড়েন।

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিই সার, রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারে আজও মেলেনি চাকরি

    প্রসঙ্গত এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা। তিনি মহিলাদের জন্য ভাবেন বলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বারংবার দাবি করেছেন। অথচ দেখা গিয়েছে অতীতে মহিলাদের হওয়া উপর হওয়া অপরাধের ক্ষেত্রে অনেক নিরিখেই এই রাজ্য দেশের আরো বহু রাজ্যকে পিছনে ঠেলে এগিয়ে গিয়েছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে এই রাজ্যের সবচেয়ে বেশি নির্যাতিতা হয়েছে মহিলারা। সন্দেশখালি তার জ্বলন্ত উদাহরণ। রাজ্য সরকার মহিলাদের জন্য সুরক্ষা – নিরাপত্তা দিতে পারছে না। লক্ষীর ভান্ডারের নামে ১০০০ টাকা ভাতা দিয়ে মহিলাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে এই সরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম দফায় দেশের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে শনিবার। আগামীকাল ৪ জুন গণনা পর্ব। ঠিক তার আগেই শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। দলের অন্তরেই তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে।” এই কথা অকপটে স্বীকার করেছেন মালদা (Malda) জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান। এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। যদিও লোকসভার টিকিট বণ্টন এবং ভোট প্রচার পর্বে এই জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে একাধিক বার কোন্দলের চিত্র প্রকাশ্যে এসেছিল।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতা (Malda)?

    মালদা (Malda) জেলার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান বলেন, “আমাদের পার্টির কাছে রিপোর্ট আছে, কারা দলের ভিতরে কাজ খারাপ করেছেন। যাঁরা এসব কাজ করেছেন, তাঁদের নজরে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমার কাছে খবর আছে, দলের হয়ে কিছু কিছু লোক কংগ্রেস ও বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন।” তাঁর এই মন্তব্যে শাসক দলের মধ্যে কোন্দলের চিত্র ফের একাবার প্রকাশ্যে এলো। যদিও গণনার আগে তৃণমূল নেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি, তৃণমূলের ঘর ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    দলের অন্দরে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যকে ঢাল করে বিজেপির মালদা (Malda) জেলা সম্পাদক রুপেশ আগরওয়াল বলেছেন, “৪ জুনের পর তৃণমূলের মধ্যে একটি বড় ভূমিকম্প হবে। এই ভূমিকম্পে তৃণমূলের দল ভেঙে ছাড়খার হয়ে যাবে। তৃণমূল দলের মধ্যে কে কাজ করছেন আর কে করছেন না, সেই তালিকা তাঁদের কাছ থেকে নেওয়াই ভাল। বিষয়টা তাঁদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু গণনার পর তৃণমূলকে ভূমিকম্পের কারণে খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

    আরও পড়ুনঃরাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    কংগ্রেসর বক্তব্য

    একই ভাবে উত্তর মালদার (Malda) কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “প্রকাশ্যে না করলেও গোপনে অনেকেই বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা বাম-কংগ্রেসের পতাকা ধরতে ভয়পান। অনেক মানুষ নীরবে ভোট দানের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়েছেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: ডাইনি সন্দেহে দুই কানে শিক ঢুকিয়ে অর্ধনগ্ন করে নির্যাতন মহিলাকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Malda: ডাইনি সন্দেহে দুই কানে শিক ঢুকিয়ে অর্ধনগ্ন করে নির্যাতন মহিলাকে, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যার দীর্ঘদিন ধরেই শরীর খারাপ। নানা প্রকার ওষুধ খেয়েও কোনও রকম ভালো হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। তাই সন্দেহ হয় গ্রামেরই এক মহিলার ওপর। সমস্ত রাগ গিয়ে পরে ওঁই মহিলার ওপর। গুজব রটে যায় এই মহিলা নাকি ডাইনি! এরপর শুরু হয় ব্যাপক অত্যাচার। মহিলার দুই কানে লোহার শিক ঢুকিয়ে অর্ধনগ্ন করে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। ঘটনায় কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে তৃণমূলের এই পঞ্চায়েত সদস্যা এবং তাঁর স্বামীকে। ঘটনা ঘটেছে মালদায় (Malda)।

    পুলিশ সূত্রে খবর (Malda)

    ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মালদার (Malda) এই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। কিন্তু এই অসুস্থতার সন্দেহে দায়ী করা হয় ওই নির্যাতিতা মহিলাকে। এরপর কিছু তৃণমূল কর্মীরা মহিলাকে পাশের গ্রামের এক তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিবেশী আরও এক মহিলাকে। এরপর তান্ত্রিক অনেক সময় ধরে তুকতাক করে নির্যাতিতা মহিলার দুই কানে শিক ঢুকিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে তাঁকে ডাইনি অপবাদ দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় তার ওপর ব্যাপক অত্যাচার, মারধর। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তান্ত্রিকসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় (Malda) পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি।

    নির্যাতিতার বক্তব্য

    নির্যাতনের শিকার ওই মহিলা (Malda) বলেছেন, “তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী এবং দলের লোকজন আমাকে ব্যাপক মারধর করেছে। আমার গলা টিপে ধরে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। পাশের প্রতিবেশী বাঁচাতে গেলে আমাদের দুইজনকেই অর্ধনগ্ন করে মারধর করা হয়। মারে আমরা ব্যাপক আহত হয়েছি। আমি ন্যায় বিচার চাই।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে আরও চাপে তৃণমূল, আরাবুল ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোল্লা গ্রেফতার

    বিজেপি-তৃণমূলের বক্তব্য

    এই বিষয়ে মালদার (Malda) বিজেপি বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, “ঘটনায় তৃণমূল নেতা জড়িত রয়েছেন বলেই পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করে আড়াল করতে চাইছেন।” অপর দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি দিলীপ হেমব্রম বলেছেন, “এ ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা কোনও ভাবে জড়িত নন, যদি জড়িত থাকেন তাহলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় বারোমাসি কাটিমন আম চাষ করে দিশা দেখাচ্ছেন রাজীব রাজবংশী

    Malda: মালদায় বারোমাসি কাটিমন আম চাষ করে দিশা দেখাচ্ছেন রাজীব রাজবংশী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারোমাসি নতুন প্রজাতির কাটিমন আম চাষ করে মালদায় দিশা দেখাচ্ছেন মালদার (Malda) রাজীব রাজবংশী। বারোমাসি আম বলতে যা বোঝায়, কাটিমন তার থেকে আলাদা। বারোমাসি আমে দেখা গেছে বছরে দু’‌বার আম পাওয়া যায়। কিন্তু কাটিমনের ক্ষেত্রে বছরের প্রায় সবদিনই গাছে আম পাওয়া যায়। একদিনও গাছ ফাঁকা থাকার ব্যাপার নেই। অর্থাৎ আম বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছের বাকি জায়গায় মুকুল আসতে শুরু করে। এই মকুল থেকে দানা হয়ে আম বড় হতে শুরু করলে আবার বের হয় মুকুল। বছরের সবসময় এভাবেই চলতে থাকে। আবার স্বাদে যেমন মিষ্টি তেমনই সুগন্ধিযুক্ত।

    এক বিঘা জমিতে ১০০ টির বেশি গাছ (Malda)

    অসময়ের এমন প্রজাতির আম চাষ করে নজির তৈরি করেছেন রাজীব রাজবংশী। নিজের ১ বিঘা জমিতে ১০০টির ওপর গাছ রোপন করেছেন। এখন ফল পেতে শুরু করেছেন তিনি। রাজীবের বাড়ি মালদার (Malda) গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলবাড়ি গ্রামে। ২০২০ সাল নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের এক চ্যানেলে তিনি কাটিমন আমের চাষ দেখে অনুপ্রাণিত হন। তখন মালদায় সেই অর্থে চাষাবাদ শুরুই হয়নি। অবশেষে তিনি নদিয়ার ট্র‌্যাডিশনাল নার্সারি থেকে ১০৫টি চারা কিনে নিয়ে আসেন। দু’‌বছরের মাথায় মুকুল আসতে শুরু করে। মুকুল ধরার পর প্রায় সাড়ে ৩ মাস সময় লাগে আম পরিণত হতে। আমের আকারও বেশ। খানিকটা বড় আকৃতির ৩টি আমেই ১ কেজির মতো হয়। আবার ছোট আকার হলে ৪-‌৫ টিতে প্রায় ১ কেজি। গাছের পরিচর্যা বলতে বছরে দু’‌বার গোবর সার ও পান্না পরিমাণ মতো দিতে হয়। বৃষ্টির সময় ছত্রাকনাশক এবং রোগ অনুযায়ী কীটনাশক স্প্রে করলেই চলে। তবে নতুন পাতা আসার সময় কীটনাশক বেশি দরকার হয়।

    আরও পড়ুনঃরেমাল বিপর্যয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু! কলাগাছ কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত বাবা-ছেলে!

    আম চাষির বক্তব্য

    মালদার (Malda) চাষি রাজীব রাজবংশী এই আম চাষ সম্পর্কে বলেন, “কাটিমন আম চাষ বেশ লাভজনক আম চাষ। লক্ষণভোগ আমের মতো সুগন্ধিযুক্ত এবং মিষ্টিতে আম্রপালির মতো। সারা বছর এই আম চাষ করা যায়। বারমাস হয়ে থাকে কিন্তু বারমাসি থেকে মিষ্টি বেশি হয়। আমের আকৃতি বেশ বড় হয়। আমের লাভ জনক ব্যবসায় এই আমের চাষ বেশ কার্যকরী। সকলে চাইলে চাষ করতে পারেন।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: ট্রলি পিছু ১০০ টাকা ভাগ তৃণমূল নেতার! মালদায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার

    Malda: ট্রলি পিছু ১০০ টাকা ভাগ তৃণমূল নেতার! মালদায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুলহর নদী থেকে বালি খনন করা হচ্ছে। প্রায় ৮-১০ ফিট গর্ত করে বালি খনন করা হচ্ছে। এর ফলে নদীর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পাশেই রয়েছে আর্সেনিক জলের প্লান্ট এবং নদী বাঁধ। দুটোই ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) রতুয়ার কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর ঘাটে। আর এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে রাজু সিংহ নামে এক তৃণমূল নেতার।

    বালির ট্রলি পিছু ১০০ টাকা ভাগ তৃণমূল নেতার (Malda)

    জানা যাচ্ছে, রাজু সিংহ নামে ওই তৃণমূল নেতা রতুয়া-১ ব্লক (Malda) তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। মূলত তাঁর মদতেই নদীর বুক থেকে খনন করা হচ্ছিল বালি। সেই বালি ট্র্যাক্টরে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অন্যত্র। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, “বিগত কয়েকদিন ধরে ফুলহর নদী থেকে বালি খনন করা হচ্ছে। এর ফলে নদীর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তৃণমূল নেতা রাজু সিংহ ট্রলি পিছু ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন। তৃণমূলের মদত থাকার কারণে প্রশাসন কিছু করে না।

    আরও পড়ুন: অর্জুনের খাসতালুকে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সাফাই

    অভিযোগ অস্বীকার করে রতুয়া-১ ব্লক (Malda) তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাজু সিংহ বলেন, “আমাদের কাহালা আসুটোলা থেকে বাহারাল পর্যন্ত তিন কিলোমিটার পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। ফুলহর নদী সংলগ্ন এলাকায় জমিতে প্রচুর পরিমাণে বালি জমে যায়। এর ফলে জমির মালিকরা চাষবাস করতে পারে না। সেই জমির ওপরের বালি অংশটা তাঁদেরকে কেটে ফেলতে হয়। এই পথশ্রী প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জমির মালিকের কাছে ন্যায্যমূল্য এবং সরকারি খাজনা কেটে বালি কিনে নিচ্ছেন। আর আমি কোনও টাকা নিইনি। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ।”

    বালি তোলার জন্য কেউ আবেদন করেনি

    রতুয়া-১ ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সৌমিত্র কুমার বলেন, “মাটি কাটার পূর্বে নির্ধারিত একদিন আগে ভূমি ও ভূমি দফতরে আবেদন করতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে জমির মালিকের সম্মতিপত্র এবং যেখান থেকে মাটি তোলা হবে এবং যেখানে মাটি ফেলা হবে উক্ত জমির কাগজপত্র। এখন অনলাইনের মাধ্যমে চালান কাটতে হয়। তবে আমাদের কাছে বালি কাটার জন্য কাহালা অঞ্চল থেকে কোনও আবেদন জম পড়েনি। নদী, ব্রিজ এবং বাঁধ সংলগ্ন এলাকা থেকে কোনওমতেই বালি এবং মাটি খনন করা যাবে না। এটা আইনত অপরাধ। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: রাজ্যে এক দিনে বাজ পড়ে মৃত ১৩! শোকের ছায়া পরিবারে

    Malda: রাজ্যে এক দিনে বাজ পড়ে মৃত ১৩! শোকের ছায়া পরিবারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যে আচমকা ঝড়বৃষ্টি এবং বজ্রপাতে রাজ্যে মৃত্যু হল ১৩ জনের। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। এর মধ্যে মালদায় (Malda) মৃত ১১ জন এবং মুর্শিদবাদ-জলপাইগুড়িতে ১ জন করে মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনায় পরিবারে ব্যাপক শোকের ছায়া। মালদা জেলা শাসক নিতিনি সিংহানিয়া জানিয়েছেন, “মৃতদের পরিবারকে দুই লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারি তরফ থেকে সবরকম সাহায্য করা হবে।”

    আচামকা বাজ পড়ে মৃত্যু (Malda)

    মালদায় (Malda) মৃতদের মধ্যে দুই জন স্কুলের ছাত্র। মালাদার মৃত ১১ জনের মধ্যে তিন জনের বাড়ি পুরাতন মালদা থানার সাহাপুরে। অপর আরও দুই জনের বাড়ি গাজোল থানার আদিনা এবং রতুয়া থানার বালুপুর এলাকায়। বাকিদের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর এবং ইংরেজ বাজার থানা এলাকায়। মৃত দেহগুলিকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য আনার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। মৃতদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর শোক প্রকাশ

    মালদায় (Malda) বজ্রপাতের ফলে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা ইতিমধ্যে নিজের এক্সহ্যান্ডেল শোক প্রকাশ করেছেন। পরিবারগুলিকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম, চন্দন সাহানি (৪০), রাজা মৃধা (১৬), মনোজিৎ মণ্ডল (২১), অসিত সাহা (১৯), সুমিত্রা মণ্ডল (৪৬), পঙ্কজ মণ্ডল (২৩), নয়ন রায় (২৩), প্রিয়াঙ্কা সিংহ রায় (২০), রানা শেখ (৮), আতুল মণ্ডল (৬৫) এবং সাবারুল শেখ (১১)।

    আরও পড়ুনঃ জেরক্সের দোকানে জাল আধার-ভোটার কার্ড সক্রিয়, সিমবক্স উদ্ধারে জঙ্গি যোগ!

    পরিবারের বক্তব্য

    পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকার মৃত মনোজিৎ মণ্ডলের দাদা সঞ্জীব মণ্ডল বলেছেন, “গতকাল আমার ভাই সহ আরও তিনজন ভাটরা এলাকায় ধানের জমিতে কাজ করছিল। বৃষ্টির জন্য একটি গাছের তলায় আশ্রয় নিয়েছিল তারা। কিন্তু বৃষ্টির মধ্যে আচমকা বাজ পড়তে শুরু করে। এরপর বাজের তীব্রতায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাদের।” আবার গাজলে মৃতদের সম্পর্কে জানা গিয়েছে আমবাগান দিয়ে ফেরার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় অসিত সাহার। রতুয়া থানার বালুপুরে গৃহবধূ সুমিত্রা জমিতে ধান কাটতে গেলে বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ালো তৃণমূল নেতার, শোরগোল

    Malda: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ালো তৃণমূল নেতার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় নাম জড়ালো তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেনের। টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে টাকা ফিরিয়ে না দিতে চাওয়ার অভিযোগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়েছে মালদার (Malda) গাজোল ব্লকে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Malda)

    অভিযোগকারীর নাম সুকুমার বালো। তাঁর বাড়ি গাজলের (Malda) শংকরপুর এলাকায়। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীকে ২০১৬ সালে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে গাজলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন আমার কাছ থেকে ১২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নেয়। প্রাথমিক চাকরি পদে নিয়োগের নিয়োগ পত্র দেওয়া হয় আমাকে। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে গাজোলের একটি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন আমার স্ত্রী। তারপর দুই সপ্তাহ পর এসআই অফিস থেকে নিয়োগ পত্রটি দেখতে চাওয়া হয় এবং সেখানেই এসআই অফিস জানিয়ে দেন নিয়োগপত্রটি নকল। তাই, সেটি বাতিল করা হয়েছে। তারপর টাকা ফেরতের জন্য গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেনের কাছে আমরা যাই। প্রথমে, টাকা দিতে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে তিনি একটি চেক দেন। কিন্তু, সেই চেক ব্যাংকে জমা দিলে সেই চেক বাউন্স হয়। আমরা সেই বিষয়ে তাকে জানিয়েছি। কিন্তু, তিনি আমাদের টাকা দেননি। অবশেষে মালদা জেলা আদালতে আমরা আদালত মামলা করি। মালদা জেলা আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয়। অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেনকে টাকা ফেরতের জন্য জেলা আদালত নির্দেশ দেন। তারপরেও আদালতের নির্দেশকে না মেনে টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আমরা আবারও জেলা আদালতের দ্বারস্থ হই। পাশাপাশি টাকা চাইতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন গাজল (Malda) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, সুকুমার বালো বলে আমি কাউকে চিনি না। এটা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। আমার নাম কে বদনাম করার জন্য এসব করা হচ্ছে। আইন সবার জন্য। যিনি অভিযোগ করেছেন সে ক্ষেত্রে তিনি যদি আমার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন তাহলে আমিও তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হব।

    বিজেপি বিধায়ক কী বললেন?

    গাজোল বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময়ী দেব বর্মন বলেন, আদালতের নির্দেশের পরও তৃণমূল নেতা টাকা ফেরত দিচ্ছে না। ফলে, অবিলম্বে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: ভোট বয়কট করা মালদার সেই গ্রামে পুলিশি অত্যাচার, পুরুষশূন্য গ্রাম, সরব বিজেপি

    Malda: ভোট বয়কট করা মালদার সেই গ্রামে পুলিশি অত্যাচার, পুরুষশূন্য গ্রাম, সরব বিজেপি

    মাধ্যম  নিউজ ডেস্ক: দাবি আদায়ের জন্য গ্রামের সকলে ভোট বয়কট করেছিলেন। আর তার জেরেই গ্রামবাসীদের ওপর পুলিশি অত্যাচার শুরু হয়েছে। আর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদার (Malda) হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর এলাকায়। পুলিশি অত্যাচারের কারণে গ্রামে পুরুষ থাকতে পারেন না। চরম আতঙ্কিত গ্রামের মহিলারা। অসহায় গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Malda)

    মালদার (Malda) হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাকান্তপুর এলাকায় সাড়ে তেরোশো ভোটার। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা এবং ব্রিজ তৈরির দাবি ছিল। ৭ মে ভোটের দিন সেই দাবি আদায়ের জন্য ভোটাররা ভোট না দিয়ে বুথের বাইরে জমায়েত হয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। রামকৃষ্ণপুর, রাধাকান্তপুর, জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কেউই ভোট দেননি। ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরই এলাকায় পুলিশি অত্যাচার শুরু হয়। গ্রামের মহিলাদের বক্তব্য,আন্দোলনকারী মহিলারা পুলিশের অত্যাচারে বাড়িতে থাকতে পারছেন না। গোটা গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।  রাতের বেলা মহিলারা পুলিশি অত্যাচারে মাঠে-ঘাটে অন্যত্রে লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ গ্রামে অকথ্য অত্যাচার করেছে। বাড়িতে কাউকে থাকতে দিচ্ছে না। মুখ খুললে কেস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে গোটা গ্রাম এখনও থমথমে হয়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা দুটি ভোটে বয়কট হয়ে যাওয়ায় এলাকার উন্নয়ন নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেজেন প্রশাসনের কর্তারা।

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    গ্রামবাসীদের পাশে বিজেপি

    সাহস জোগাতে এগিয়ে এলেন বিজেপির নেত্রী তথা গাজোল পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী গাঙ্গুলী সরকার। নির্যাতিতাদের গ্রামে গিয়ে তিনি পুলিশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাধাকান্তপুর কে পুলিশ প্রশাসন দ্বিতীয় সন্দেশখালি বানাতে চাইছে। মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। তাঁরা যেখানে সেখানে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। হকের আদায় চাওয়া কি অপরাধ? এভাবে পুলিশি অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে এ নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share