Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Mamata Award Protest: মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার, প্রতিবাদে পদত্যাগ, পদক ফেরালেন ‘অপমানিত’ বিশিষ্টজনরা

    Mamata Award Protest: মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার, প্রতিবাদে পদত্যাগ, পদক ফেরালেন ‘অপমানিত’ বিশিষ্টজনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপমানিত’ বিশিষ্টরা। কেউ বললেন অশ্রদ্ধা কবিগুরুকে। কেউ ফেরালেন পুরস্কার। কেউ বা করলেন পদত্যাগ। ট্যুইটারে (Twitter) প্রতিবাদ অনেকের। ওখানেই থেমে থাকেনি। সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) মিম-  মশকরার ছড়াছড়ি। লক্ষ্য একজনই। মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের সরকারের হাত থেকে নিজেই নিজেকে পুরস্কৃত করেছেন রাজ্যের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী।

    সোমবার ‘নিরলস কবিতার সাধনা’র জন্য বাংলা আকাদেমি পুরস্কার (Bangla Academy Award) দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বেছে নেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindra Nath Tagore) জন্মদিবসের (Rabindra Jayanti) সরকারি কবিপ্রণাম অনুষ্ঠানকে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। মঞ্চে বসা মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা আকাদেমির পক্ষে পুরস্কার দেন তথ্য-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। পুরস্কার গ্রহণ করেছেন পুরস্কারের ঘোষক ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ৯৪৬টি কবিতার (Mamata poem) সংকলন ‘কবিতা বিতান’ (Kabita Bitan) কাব্যগ্রন্থের জন্য পুরস্কৃত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২০ সালের কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘কবিতা বিতান’।

    এরপরই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তীক্ষ্ণ সমালোচনায় ফেটে পড়েন সংস্কৃতির গবেষক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায় (Ratna Rashid Bandopadhyay)। ২০০৯ তিনি বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন ও ২০১৯ সালে বাংলা আকাদেমি তাঁকে দিয়েছিল ‘অন্নদাশঙ্কর স্মারক সম্মান’ পুরস্কার। গবেষক রত্না তাঁর ২০১৯ সালের পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কবিতার বইয়ের একটা মানদণ্ড থাকবে তো! যে ভাবে বাংলা আকাদেমি এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে তার একটা প্রতিবাদ দরকার। তিনি বলেন, ‘‘উনি (মমতা) একজন মান্যগণ্য মানুষ। উনি আমাদের সবার ভোটে জিতে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ওঁর কাছ থেকে পরিপক্ক সিদ্ধান্ত আশা করি। বইয়ের তো একটা স্ট্যান্ডার্ড (মান) থাকতে হবে। পুরস্কার দিলেই বা উনি নিয়ে নেবেন কেন!’’

    মঙ্গলবারই সাহিত্য আকাদেমির বাংলা উপদেষ্টা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন, লেখক ও সম্পাদক অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। বিবৃতি প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, কলকাতায় রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর দিন কবিকে যেভাবে অসম্মান করা হয়েছে, তাতে তিনি ‘বিরক্ত’। সেই কারণেই ইস্তফা।” প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন বিশিষ্ট কবি তসলিমা নাসরিনও। তিনি এখন দিল্লিতে থাকেন। ট্যুইটে কবি সাহিত্যিক তসলিমা জানিয়েছেন,”…বাংলার লেখক শিল্পী বুদ্ধিজীবিরা সবাই বিক্রি হয়ে গেছে। অর্থ আর ক্ষমতার কাছে তাঁরা নিজেদের সততা, ব্যক্তিত্ব আর মর্যাদাকে বিকিয়ে দিয়েছেন।”

    [tw]


    [/tw]

    ‘অবাধ্য’ সোশ্যাল মিডিয়া ও বিশিষ্টজনের প্রতিবাদে বেজায় চটেছেন রাজ্যের নাট্যকার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, যিনি আবার বাংলা আকাদেমির সভাপতিও বটে। ব্রাত্য বলেন, “একমাত্র বাঙালিদের একটা অংশই এমন পারে! বলতে ইচ্ছে করছে, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি। অ-বাঙালিরা এমন করতেন না!” বাংলা আকাদেমির আরেক অন্যতম সদস্য কবি সুবোধ সরকারের মতে, এই পুরস্কার আসলে ‘ম্যাগসেসের মত’। “এই ত্রিবার্ষিক সম্মাননা এমন একজন সাহিত্যিককে দেওয়া হল যিনি সমাজকল্যাণে পরিবর্তনের ভূমিকা পালন করেছেন। ১১৩ গ্রন্থের লেখক, জুরি বিচারকদের বিচারে প্রথমেই ছিল কবিতা বিতান।”

    ম্যাগসেসে পুরস্কারকে (Magsaysay award) এশিয়ান নোবেলও বলা হয়। ফিলিপাইনের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি র‌্যামন ম্যাগসেসে-এর নামে এই পুরস্কার দেওয়া হয় এশিয়াবাসীদের। ১৯৫৮ সালে এই পুরস্কারের সূচনা। শাসন ব্যবস্থায় সততা, জনগণের প্রতি সাহসী সেবা এবং একটি গণতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে বাস্তববাদী আদর্শবাদের উদাহরণ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পুরস্কৃত করা হয় প্রাপকদের। বিনোবা ভাবে ১৯৫৮ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ম্যাগসেসে পুরস্কার পান।

    tag: 

     

  • West Bengal: ১৮ দিনে ৬ তদন্তভার সিবিআইকে, কেন মমতার পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে আদালত? 

    West Bengal: ১৮ দিনে ৬ তদন্তভার সিবিআইকে, কেন মমতার পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে আদালত? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়সীমা মাত্র ১৮ দিন। তার মধ্যেই ছ’টি মামলায় সিবিআই তদন্তের (CBI investigation) নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High court)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ক্রমেই রাজ্য পুলিশে (West Bengal police) আস্থা হারাচ্ছে আদালতও। তাই সত্য উদ্ঘাটনে দ্বারস্থ হতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI)। 

    বামেরা বলছে, তাদের জমানার শেষের দিকে পাঁচ বছরে তিনটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আর তৃণমূল জমানায় ১৮ দিনেই ৬টি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নিখাদ রাজনীতি করতে গিয়েই পুলিশকে দলদাসে পরিণত করেছে রাজ্যের শাসক দল। যার জেরে ক্রমেই বাড়ছে সিবিআই তদন্তের দাবি।

    পুরসভা ভোটের ফল বেরনোর পরে পরেই খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। পুরুলিয়ার ঝালদার ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই শুরু। ওই ঘটনার পরে পরেই রহস্য মৃত্যু হয় তপন খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের। ওই ঘটনার তদন্তের রাশও যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। 
    এর পরেই ঘটে রাজ্য তোলপাড় করা ঘটনা। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন স্থানীয় উপপ্রধান তৃণমূলের ভাদু শেখ। ওই ঘটনার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ঘরে আগুন লাগিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় ন’ জনকে। এই দুটি মামলাও গড়ায় আদালত অবধি। জোড়া ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। 

    সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ যাবৎ কালের এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে বড় কেলেঙ্কারি এসএসসির মাধ্যমে শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে। ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আলাদা করে ডেকে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই কেলেঙ্কারির রহস্যভেদ করতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। 

    সিবিআই তদন্তের নির্দেশের হাতে গরম উদাহরণ আরও আছে। নদিয়ার হাঁসখালিতে বছর চোদ্দর এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ। অতিরিক্ত রক্তক্ষণের জেরে মৃত্যুও হয় তার। ওই ঘটনায়ও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

    আদালতের বারবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশে একটা জিনিস খুব স্পষ্ট। সেটি হল, সাধারণ মানুষের মতো রাজ্য পুলিশে আস্থা হারাচ্ছে আদালতও। হারানোরই কথা। কারণ পুলিশের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগে সরব হয়েছেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শাসক দলের কোনও কর্মীকে কোনও অভিযোগে গ্রেফতার করা হলে, পুলিশকে মারধর করে আসামী ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও এ রাজ্যে ঘটেছে ঘাসফুল জমানায়। 

    ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেওয়ার মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত মারমুখী তৃণমূল কর্মীদের ‘ঝান্ডাঘাত’ থেকে বাঁচতে খোদ কলকাতার বুকে নির্লজ্জভাবে পুলিশকে আশ্রয় নিতে দেখা গিয়েছিল টেবিলের তলায়। এসব ঘটনা থেকে আমজনতা বুঝে গিয়েছে বাম জমানার মতোই তৃণমূল জমানায়ও পুলিশ পরিণত হয়েছে দলদাসে। পার্থক্য কেবল একটাই। বামেরা (Left Front) রেজিমেন্টড পার্টি। সব কিছু গুছানো। আর তৃণমূল (TMC)? ওয়ান উওম্যান শো! সব কিছুই বড্ড অগোছালো! তাই বারেবারেই মুখ পুড়ছে রাজ্য সরকারের (Mamata Banerjee government)। 

  • Dilip Attacks Mamata: “কেন্দ্রের ওপরে করে খাচ্ছেন, আগে নিজের দায়িত্ব পালন করুন”, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Attacks Mamata: “কেন্দ্রের ওপরে করে খাচ্ছেন, আগে নিজের দায়িত্ব পালন করুন”, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কোভিড-বৈঠকে (State-Centre Covid-19 meet) পেট্রোপণ্য (petroleum price) নিয়ে রাজ্যগুলিকে দাম কমানোর অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। এরপরই নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কেন্দ্রের থেকে ৯৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে। তা দ্রুত মিটিয়ে দিক কেন্দ্র। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মুখ্যমন্ত্রী ও শাসকদল তৃণমূলের তুমুল সমালোচনা করেন তিনি।

    দিলীপবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী একতরফা কথা বলেছেন রাজ্যের পাওনা ৯৭ হাজার কোটি টাকা বাকি। এই গল্প দিয়ে কতদিন চলবে? দুর্নীতির কথা হলেই পাওনা নিয়ে কথা! এই পাওনা নিয়ে এসব গল্প দিয়ে বেশিদিন চলবে না। রোজ পাওনা বেড়ে যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের সব ব্যাপারে বেশি টাকা দেয়।”

    দিলীপবাবু আরও বলেন, “আগে আপনি আপনার কর্মচারীদের পেনশন দিন, ডিএ দিন। যাঁরা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন, ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তাঁদের চাকরি দিন। নিজের দায়িত্ব পালন করুন। নিজেদের কাজ নেই, কেন্দ্রের ওপরে করে খাচ্ছেন। রোজ খালি খাতা নিয়ে বসে থাকে, নিজে কোনও দায়িত্ব পালন করেন না। “

     

     

LinkedIn
Share