Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘ক্ষমা চান’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সাধু-সমাজ

    Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘ক্ষমা চান’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতার ‘মৃত্যুকুম্ভ’ মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সাধু-সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকুম্ভকে ‘‘মৃত্যুকুম্ভে’’র সঙ্গে তুলনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে বিজেপির পাশাপাশি সাধু সম্প্রদায়ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জোরালো হচ্ছে। বিধানসভায় মহাকুম্ভ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সাধু সম্প্রদায় বলেছে যে মমতার বক্তব্য সনাতন ধর্মের অপমান। তাঁর মন্তব্য সনাতন ধর্মের এবং মহাকুম্ভের পবিত্রতার প্রতি অবমাননা। সাধু-সন্তদের মতে, মহাকুম্ভ শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং সনাতন সংস্কৃতির আত্মা, যা কোটি কোটি ভক্তের কাছে গভীর আধ্যাত্মিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বহন করে।

    মহাকুম্ভের মহিমা দেখেছে বিশ্ব

    শ্রী পঞ্চায়েতি আখড়া মহাননির্বাণীর জাতীয় সম্পাদক মহন্ত যমুনা পুরী বলেছেন যে, দায়িত্বশীল পদে থেকেও এই ধরনের বক্তব্য দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোভা পায় না। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ হল অমৃত পর্ব, যার দেবত্ব এবং মহিমা সমগ্র বিশ্ব দেখেছে। মহাকুম্ভের নামের সাথে এই ধরনের অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করা উচিত নয়।’’ এবং এই মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। পঞ্চ দশনাম আবাহন আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী অরুণ গিরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু সনাতনীদের জন্য ‘মৃত্যুর রাজ্য’ হয়ে উঠছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তাঁর উচিত উত্তরপ্রদেশের নয়, নিজের রাজ্যের কথা চিন্তা করা।’ যোগী আদিত্যনাথ মহাকুম্ভের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছেন এবং তিনি এই মহৎ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন।’’

    সনাতন ধর্মের ওপর আক্রমণ

    নির্মোহী আনি আখাড়ার মহান্ত রাজেন্দ্র দাস মমতার মন্তব্যকে সনাতন ধর্মের ওপর আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ সনাতন ধর্মকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। মমতা এর গুরুত্ব বুঝতে পারেন না কারণ তিনি সবসময় সনাতন মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যকে অবমাননা করেছেন।’’ তিনি মন্তব্য করেন। মহামণ্ডলেশ্বর ঈশ্বর দাস মহারাজ মমতার মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘এটা তাঁর সনাতন বিরোধী মনোভাবের প্রতিফলন। তিনি সনাতন ধর্মের বিরুদ্ধে ছিলেন এবং তিনি পশ্চিমবঙ্গকে আরেকটি বাংলাদেশে পরিণত করতে চান।’’

    প্রয়াগরাজে আসুন মমতা

    অযোধ্যা হনুমান গড়ী মন্দিরের মহান্ত রাজু দাস মমতার মন্তব্যকে ‘‘অলভনীয়’’ বলে অভিহিত করেছেন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়ার আবেদন জানান। একইভাবে, স্বামী জিতেন্দ্রনন্দ সরস্বতী এই মন্তব্যের নিন্দা করে বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ সনাতন সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের প্রতীক। সন্ন্যাসী সম্প্রদায় মমতার কথার নিন্দা করেছে।’’ গোবর্ধন মঠ পুরী’র স্বামী অঢোকশজনন্দ দেব তীর্থ মমতাকে প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে আসার পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে তিনি এর আধ্যাত্মিক মহিমা উপলব্ধি করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘‘৫০ কোটিরও বেশি সনাতনিরা এই ‘অমৃত কুম্ভ’ থেকে দৈবিক অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। একে ‘মৃত্যু কুম্ভ’ বলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজনীতিকদের ধর্মীয় বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত।’’

  • Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছেন’’! ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’: ‘‘মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলছেন’’! ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী, মমতাকে তোপ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় মহাকুম্ভকে মৃত্যকুম্ভ বলে বিপাকে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’)। বিজেপি বিধায়কেরা সে সময়ে অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের খবর ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই আক্রমণ তুঙ্গে তুলেছে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদার বা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্যও। একযোগে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাধু-সন্তরাও।

    ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী

    শুভেন্দু তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘লজ্জাজনক, নিন্দনীয় এবং অসম্মানজনক! পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এটা মহাকুম্ভ নয়, মৃত্যুকুম্ভ! যে পবিত্র মহাকুম্ভ ১৪৪ বছর পর হচ্ছে, তার সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ধারণাই নেই।’ শুভেন্দুর দাবি, ‘‘ মুখ্যমন্ত্রী (Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’) এই মন্তব্য প্রত্যাহার করুন, ক্ষমা চান। মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলতে পারেন না। ৪০ কোটি হিন্দু পুণ্যার্থী এখানে স্নান করেছেন। হিন্দু সমাজ, সন্ত সমাজকে বলছি প্রতিবাদ করুন। এটা হিন্দুদের উপর আঘাত, মহাকুম্ভের উপর আঘাত।’’

    বাংলা থেকে অমৃত-কুম্ভের সন্ধানে

    মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহাকুম্ভের প্রসঙ্গ টেনে মৃত্যুকুম্ভ (Mamata’s ‘Mrityu-Kumbh’) বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অধিবেশনে মহাকুম্ভ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মহাকুম্ভের পুণ্যস্নান, এক হয়েছে হিন্দুস্থান। মহাকুম্ভকে কেন্দ্রকে গোটা পৃথিবীর হিন্দুরা অনেকদিন পর ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। দলদাস আইপিএসরা ওনাকে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কয়েক লক্ষ হিন্দু, সেটা ১ কোটির বেশি ২ কোটিও হতে পারে, স্রোতের মতো গিয়েছেন। তৃণমূলের অনেক পরিচিত সাংসদ, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তাঁরাও নিজেদের মহাকুম্ভে ডুব দেওয়ার ছবি দিয়েছেন। বাধ্য হয়েছেন ছাড়তে। তাই মুখ্যমন্ত্রী আজকে ভয় পাচ্ছেন কুম্ভকে দেখে।”

    কুম্ভের অপমান সহ্য করবে না হিন্দুস্থান

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “এখনও পর্যন্ত মহাকুম্ভে ৪০ কোটি মানুষ গিয়েছেন। সবাই আশা করছেন, আরও ১০ কোটি মানুষ যাবে। সেখানে আপনি মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলেছেন। আপনি বলেছেন কুম্ভমেলা টাকা রোজগারের জন্য করা হয়েছে। এতবড় অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। এই মন্তব্যের খেসারত আপনাকে দিতে হবে। মহাকুম্ভের অপমান হিন্দুস্থান সহ্য করবে না। হিন্দুস্থান আপনাকে গণতান্ত্রিকভাবে সবক শেখাবে। মহাকুম্ভকে অপমান করার জন্য যেখানেই সুযোগ পাবেন, মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ান। প্রয়াগরাজের সব আখড়াকে অনুরোধ করব, এই অপমানের উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।”

    প্রতিবাদ মিছিল বিজেপির

    শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, ‘তাঁর (মমতার) জানা উচিত যে, এ বার পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থী মহাকুম্ভে গিয়েছেন এবং এখনও যাচ্ছেন।’ মমতার শব্দবন্ধ কেন্দ্র করে কর্মসূচিও ঘোষণা করে দিয়েছেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর ‘মৃত্যুকুম্ভ’ শব্দবন্ধ এবং বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশনের প্রতিবাদে বিজেপি পরিষদীয় দল বৃহস্পতিবার গোটা বিধানসভা জুড়ে মিছিল করবে বলে শুভেন্দু ঘোষণা করেছেন। বিধানসভা চত্বর থেকে বেরিয়ে সেই মিছিল যাবে রাজভবনে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে অভিযোগ জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সে জন্য মঙ্গলবারই রাজ্যপালের কাছ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে।

    মহাকুম্ভ পৃথিবীর ঐতিহ্য

    রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) আপাতত সরকারি সফরে আন্দামানে। সেখান থেকেই তিনি বলেছেন, ‘‘মহাকুম্ভ শুধু হিন্দুদের উৎসব নয়, এটা গোটা পৃথিবীর কাছে একটা ঐতিহ্য। কিন্তু শুধু নিজের ভোটব্যাঙ্ককে তোষণ করবেন বলে তিনি মহাকুম্ভ সম্পর্কে এই কথা বললেন।’’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে সুকান্ত বলেন, ‘‘মহাকুম্ভ ঘুরে আসুন। যেখানে ইতিমধ্যেই ৫০ কোটি ভক্ত ডুব দিয়েছেন, সেখানকার জন্য কী বিশাল ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে দেখে আসুন।’’ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা বাংলার সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য লিখেছেন, ‘‘মহাকুম্ভকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযাচিত আক্রমণ হল ২০২৬ সালে তাঁর আশু পরাজয়ের প্রথম লক্ষণ। দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেতে দেখে তিনি ঘাবড়ে গিয়েছেন। তিনি চূড়ান্ত পরাজয়ের ভয় পাচ্ছেন।’’

    ভয় পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

    মহাকুম্ভ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণও। তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় সমস্যা হল সনাতন ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করা খুবই সহজ। একই স্তরে অন্য কোনও ধর্মের সমালোচনা করতে পারে না। বুঝতে পারে না যে তাঁরা কোটি কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করছে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতি জাতীয় সাধারণ সম্পাদক স্বামী জিতেন্দ্রানন্দ সরস্বতী। তিনি বলেন, ‘‘মহাকুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করছি। মমতাদিদি এটা সত্যি যে মহাকুম্ভ নয় আপনার জন্য এটা মৃত্যুকুম্ভের বরাবর। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, পূর্ব ভারত থেকে যেভাবে আসছেন কুম্ভস্নানের জন্য আসছেন। আপনার অস্থির হওয়ার জন্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আপনার রাজনৈতিক কেরিয়ারের জন্য মৃত্যুকুম্ভই হতে চলেছে।’’

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী’’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী’’, মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিধায়করা নাকি সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছেন। এই অভিযোগে গত সোমবারই বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সহ ৪ জন বিধায়ককে। তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার অধিবেশন বয়কট করে বিধানসভার বাইরে ধর্না করবেন তাঁরা। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) অতীত মনে করালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ২০০৬ সালে মমতার নেতৃত্বে বিধানসভা ভাঙচুরের ঘটনাও মনে করান শুভেন্দু।

    বিধানসভাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই বিধানসভাকে একসময়ে কলুষিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইনিই ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে বিধানসভার সদস্য না হয়েও এখানে ঢুকে সব আসবাব ভেঙেছিলেন। এই মুখ্যমন্ত্রী ২০০৫ সালের অগাস্ট মাসে লোকসভায় ডেপুটি স্পিকারকে কাগজ আর চাদর ছুড়ে মেরেছিলেন। আর আজ এই মুখ্যমন্ত্রীই বিধানসভা থেকে লাইভ করছেন। এদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতাই নেই।’’ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) খোঁচা, ‘‘সরকার যেমন চালান, দল যেমন চালান, পরিবারের সম্পত্তি হিসেবে এই বিধানসভাকেও নিজের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করেন।’’ সাসপেনশন নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এটা হচ্ছে তৃণমূলের এক ধরনের নিত্যকর্ম। আসলে ওরা ভয় পেয়েছে এবং ইচ্ছে করে তাঁকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করেছে।’’

    গোটা রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চালাতে চান মমতা

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, গোটা রাজ্যে একনায়কতন্ত্র চালাতে চান মমতা। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘পাঠাগার কমিটি থেকে শুরু করে পুজো কমিটি, শ্মশান কমিটি সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাই।’’ বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যকে এমনিতেই শেষ করে দিয়েছেন মমতা। এখন শুধু নিজের রাজত্ব কায়েম করার ইচ্ছে রয়েছে মমতার।’’ শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের মদতেই বাংলায় জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত।

    স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ নিয়ে কী বললেন?

    স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই নিয়ে পাঁচবার আমাকে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস পাঠানো হলো। ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা। ওরা হিন্দু দেবদেবীর সম্মান, হিন্দুদের আওয়াজে ভয় পেয়েছে। তৃণমূল রাজনৈতিক দল নয়, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। আতঙ্ক থেকে সম্প্রীতির কথা বলেছে। সরস্বতী পুজোর জন্য কেন হাইকোর্টে যেতে হবে? কেন মূর্তি ভাঙা হবে?’’

  • Suvendu Adhikari: “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার,” মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত শুভেন্দুদের

    Suvendu Adhikari: “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার,” মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত শুভেন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যে গণতান্ত্রিক সরকার চলছে। অথচ সরকার সংবিধান, সংসদীয় ব্যবস্থা মানে না। সরস্বতী পুজোয় বাধা নজিরবিহীন। সশস্ত্র পুলিশ, আইপিএসদের দিয়ে পুজো করাতে হয়েছে। বিধানসভায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুদের হয়ে সওয়াল করায় আমায় এক মাস বাইরে রেখেছে। আমি গর্বিত। আমি হিন্দুর ছেলে।” সোমবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হাউসে আসবেন। তবে বিজেপি থাকবে না। বিধানসভার গেটে আগামিকাল বেলা ১২টা থেকে বিধানসভার আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্না দেব।” তিনি বলেন, “কাল বিধানসভার বাইরে থেকে বক্তৃতা দেব। আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করবে বিজেপি। আগামী এক মাস আমি ভাতা নেব না।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে মোক্ষম বাণটি ছোঁড়েন শুভেন্দু। বলেন, “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার। এই সরকার মুসলমানের সরকার। এই সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছি, কার্যবিবরণীর কাগজ ছিঁড়ে দিয়েছি।”

    শুভেন্দুদের সাসপেন্ড

    প্রসঙ্গত, সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার (Suvendu Adhikari) অভিযোগে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন পদ্ম বিধায়করা। এর পরেই এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ এবং বিশ্বনাথ কারককে।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমায় যাতে বলতে না দেওয়া হয় এবং উনি (মুখ্যমন্ত্রী) যাতে ফাঁকা মাঠে বক্তৃতা দিতে পারেন, সেই জন্যই পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে আমাদের সাসপেন্ড করা হল।” তিনি বলেন, “এখন থেকে বিজেপি বিধায়করাও মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করবেন। উনি যেদিন বিধানসভায় আসবেন, ওঁকে গেটে দাঁড়িয়ে আমাদের বিধায়করা ধিক্কার জানাবেন এবং ওঁর উপস্থিতি আমরা বয়কট করব।” শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যে অগণতান্ত্রিক সরকার চলছে। বাংলাদেশে ইউনূস যা করছে, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল একই কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বিধানসভায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না (Suvendu Adhikari)। হিন্দুদের জন্য বলতে গিয়ে আমাকে ১ মাস বাইরে রেখেছে। আমি গর্বিত। আমি হিন্দুর ছেলে।”

  • Saraswati Puja: মমতার এলাকায় কলেজে সরস্বতী পুজো বন্ধের হুমকি! তৃণমূলকে তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Saraswati Puja: মমতার এলাকায় কলেজে সরস্বতী পুজো বন্ধের হুমকি! তৃণমূলকে তুলোধনা সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে সরস্বতী পুজোয় (Saraswati Puja) বাধা দেওয়ার অভিযোগ। এতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সাব্বির আলি। অভিযোগ, তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকি দিয়েছেন সরস্বতী পুজো করলে খুন করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে এক আইন পড়ুয়াকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনা দক্ষিণ কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে। এই নিয়েই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। মমতা সরকারকে এই ইস্যুতে একহাত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই ঘটনায় ইমেল মারফত কলেজের পড়ুয়ারা অভিযোগ জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। একইসঙ্গে অভিযোগ জানানো হয়েছে কলেজের পরিচালনা সমিতিতে থাকা মালা রায় এবং দেবাশিস কুমারকে। এঁদের দুজনই আবার তৃণমূলের নেতা-নেত্রী। মালা রায় দক্ষিণ কলকাতার সাংসদও বটে। পড়ুয়াদের (Saraswati Puja) করা সেই ইমেলেরই স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমের পাতায় তুলে ধরেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে দিল্লি থেকে ফিরে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    সমাজমাধ্যমে (Saraswati Puja) কী লিখলেন সুকান্ত মজুমদার?

    নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) লেখেন, ‘‘বাংলাদেশে এতদিন ধরে উগ্র ইসলামপন্থী মৌলবাদীদের কাছ থেকে যে ধরনের হুমকি শোনা যাচ্ছিল, তা এখন আমাদের বাড়ির চারপাশেই শোনা যাচ্ছে। রাস্তার নাম ‘আনোয়ার শাহ’ হওয়ায় এলাকায় সরস্বতী পুজোর কোনও আয়োজন করা যাচ্ছে না! একটি ইসলামি মৌলবাদী দল দক্ষিণ কলকাতার একটি নামী কলেজে প্রবেশ করে ফতোয়া জারি করে চলে গিয়েছে। একটু ভেবে দেখুন- তুষ্টিকরণ চালানো অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে তারা কতটা সাহসী হলে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটাতে পারে? এক মুহূর্ত ভেবে দেখুন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে এই ঘটনাগুলি প্রকাশ্যে ঘটছে। তবুও তিনি কিছুই জানেন না!’’

    শুভেন্দু অধিকারীর বিবৃতি

    গতকাল বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে সমাজমাধ্যমে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে সরস্বতী পুজো বন্ধ ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরস্বতী পুজোয় কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে মন দিন।’’ এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘এটা রাজনীতি করার সময় নয়। সনাতনীরদের একটা কর্মসূচি দেখে ওদের হিংসা হয়। তাই এই কথা বলছেন! বিরোধীরা তুষ্টিকরণের কাজ করছে। হরিণঘাটায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি সরস্বতী পুজো রুখছে, সেদিকটা দেখা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।’’

    ‘‘সাব্বির আলির দাপটে কলেজ যেতে পারি না’’, দাবি অধ্যক্ষের

    এই বিষয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। তাঁর দাবি, ‘‘আমি সাব্বির আলির দাপটে কলেজে যেতে পারি না। বাড়ি থেকে কাজ করতে হয়। কলেজে গেলেই ওর ছেলেরা আমায় হেনস্থা করে। যে ঘটনা ঘটেছে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত বছর কলেজে ঢুকতে গিয়ে আমায় হেনস্থা করা হয়েছে। আমার ৪০ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এমন দেখিনি। এর মধ্যে রাজনীতি নেই। আছে অর্থনীতি। অর্থাৎ পয়সা খোলামকুচির মতো দাও। নয়ত ঝামেলা করবে।’’

    জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য

    এই ইস্যুতে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাংলার সংস্কৃতিতে কোনও কালেই সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে দেখা হত না। যদি কলকাতার বুকে মুখ্যমন্ত্রীর কলেজে সরস্বতী পুজো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, তাহলে বুঝতে হবে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু যেমন চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি হয়ে গিয়েছেন, তেমন হিন্দু উদ্বাস্তু বাঙালি তৃণমূলের কারাগারের বন্দি হয়ে যাচ্ছে। এর থেকে বাঁচাতে হবে। বাংলাকে তৃণমূলের শাসন থেকে মুক্তি করতে হবে।’’

    এবিভিপির প্রতিবাদ কর্মসূচি

    এই ইস্যুতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে আরএসএস-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। সংঠনের রাজ্য নেতাদের সাফ কথা, আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি ও পুজো বন্ধ করার নিদান দিয়ে ফের একবার নিজেদের ছাত্রবিরোধী প্রমাণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। এবিভিপি জানিয়েছে, দীর্ঘদিন রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এমন অবস্থায় হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। শুক্রবার এই ঘটনার প্রতিবাদে টালিগঞ্জে নবীনা সিনেমা হলের বিপরীতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে এবিভিপি।

    গুন্ডাগিরির অভিযোগ আগেও উঠেছে সাব্বিরের বিরুদ্ধে

    উল্লেখ্য, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজে সরস্বতী পুজো করলে ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে সাব্বির আলি। এমনটাই অভিযোগ পড়ুয়াদের। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চারু মার্কেট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ল কলেজের পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে তাঁরা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন অধ‍্যক্ষের কাছেও। পড়ুয়াদের বিস্ফোরক অভিযোগ, কলেজে ঢুকে সরস্বতী পুজো না করতে হুমকি দেন তৃণমূলের নেতা সাব্বির আলি। একইসঙ্গে ওই পুজোর আয়োজন হলে ছাত্রদের খুনের হুমকি দেন তিনি। হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় বেরোলে দেখে নেব। মেয়েদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব।’’ প্রসঙ্গত, এই সাব্বির আলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এর আগেও উঠেছে। এর আগেই সাব্বিরের বিরুদ্ধে কলেজে গুন্ডাগিরির অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। এর পর সাব্বিরের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে উচ্চ আদালত। কিন্তু তার পরও সাব্বির ও তাঁর শাগরেদরা ক্যাম্পাসে গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি নদিয়ার হরিণঘাটা থানা এলাকার নগরউখড়ার একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার হুমকি দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন। পুজো করলে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ১ দিনের মধ্যে বদলি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এই আলিমুদ্দিন। এরপরে ফের সামনে এল দক্ষিণ কলকাতার ঘটনা।

  • RG Kar Incident: ‘ভোট গেম করছেন মমতা’! আগ বাড়িয়ে রাজ্য মামলা করায় ক্ষুব্ধ অভয়ার বাবা-মা

    RG Kar Incident: ‘ভোট গেম করছেন মমতা’! আগ বাড়িয়ে রাজ্য মামলা করায় ক্ষুব্ধ অভয়ার বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) আদালতের রায় বের হওয়ার পর রাজ্যের ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ অভয়ার বাবা-মা। বিশেষ করে মমতার সরকার আগবাড়়িয়ে এই ঘটনায় মামলা করার ঘটনা একেবারেই তাঁরা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। বরং, তৃণমূল সরকারের এই অতিসক্রিয়তার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন। আরজি করকাণ্ডে মামলা করে অভয়ার পরিবারের কাছে আসার বার্তা দিতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উল্টে তার বিপরীত হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন। মমতার (Mamata Banerjee) অতিসক্রিয়তাকে একেবারেই নাপসন্দ অভয়ার বাবা-মায়ের। এদিকে, অভয়ার পরিবারের সঙ্গে আজ, শুক্রবার কলকাতায় মিছিল করার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। যাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    ভোট গেম করছেন মমতা (RG Kar Incident)

    পাঁচ মাস পর আরজি কর মামলার রায় (RG Kar Incident) বেরলেও তাতে তুষ্ট নন মৃত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। রায় বের হওয়ার আগেই তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডে অপরাধী সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। সেই মামলাকে ‘ভোট গেম’ বলেই উল্লেখ করলেন অভয়ার বাবা। হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে রাজ্যের তরফে একটি মামলা করা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, পরিবারের তরফে সম্মতি ছাড়া রাজ্যের এই মামলা করার অনুমতি আছে কি না। তাঁরা সম্মতি দেবেন কি না, এই প্রশ্ন করায় অভয়ার বাবা বলেন, “আমরা কী করব, সেটা আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।” রায় বের হওয়ার পর মামলা করার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলা প্রসঙ্গে অভয়ার বাবা বলেন, “এত সক্রিয়তাই বা কেন! রায়ের কপি পড়ে উঠতে পারলাম না, ওঁরা মামলা করে দিলেন! এক মাস তো সময় ছিল। উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তো বলেন খেলা হবে, সবসময় খেলা করছেন। এটাও খেলা। মুখ্যমন্ত্রী অতি সক্রিয়তা দেখিয়েছেন। এটা একটা ভোট গেম তো বটেই।” তাঁর দাবি, সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা না হওয়ায় জনগণের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে চাইছেন মমতা।

    সুপ্রিম কোর্টে মামলা

    সঞ্জয়ের কী হল, তা নিয়ে আপাতত চিন্তিত নন অভয়ার (RG Kar Incident) বাবা-মা। তাঁদের দাবি, আর কেউ যুক্ত থাকলে, তাদের নাম যাতে সামনে আসে। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের মামলা মেনশন করা হয়েছে। বুধবার শুনানির আর্জি জানানো হয়েছিল। তবে, আগামী ২৯ জানুয়ারি শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, সোমবার আরজি করের রায় ঘোষণার পর সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “আমাদের হাতে থাকলে ফাঁসি দিয়ে দিতাম।” এবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন অভয়ার বাবা। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে অত ব্যস্ত হতে হবে না। উনি করেছেন… আর ওঁকে ব্যস্ত হতে হবে না।” সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পাল্টা তিনি বলেন, “মুখে ওই সব কথা উনি বলতে পারেন। ওঁর সিপি-এসিপি উপস্থিত থেকে সব তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছে। উনি সেগুলো দেখতে পাচ্ছেন না প্রথম থেকে?” এরপর তিনি জানান, রায়ের কপি হাতে আসার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন উচ্চ আদালতে আদৌ তাঁরা যাবেন কিনা।

    অভয়ার পরিবারের সঙ্গে পথে শুভেন্দুও

    প্রসঙ্গত, তথ্য প্রমাণ লোপাট ও কর্তব্যের (RG Kar Incident) গাফিলতির অভিযোগে আগেই তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তারপর পদত্যাগের দাবিতেও সরব হন। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিয়ে বিনীত গোয়েলকে পদ থেকে সরানো হয়। অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই সরব ছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এই পরিস্থিতিতে, শুক্রবার অভয়ার পরিবারকে সঙ্গী করে উত্তর কলকাতায় মিছিল করার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। কলেজ স্ট্রিট থেকে মহম্মদ আলি পার্ক পর্যন্ত এই মিছিল হওয়ার কথা। পরিবারকে সঙ্গী করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পথে নামা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত বিশ্লেষকদের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, মমতার অতিসক্রিয়তা নিয়ে কী বললেন অভয়ার বাবা-মা?

    RG Kar Incident: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, মমতার অতিসক্রিয়তা নিয়ে কী বললেন অভয়ার বাবা-মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Incident) সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ের পর পরই মুখ্যমন্ত্রী ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছিলেন। আদালত তথ্য প্রমাণের ওপর নির্ভর করে রায় দিয়েছে। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন। তাঁর এই অতি উৎসাহ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে অভয়ার বাবা-মা এই ঘটনায় হতবাক। বিরোধীরাও এই অতি উৎসাহের পিছনে প্রকৃত দোষীদের যে মুখ্যমন্ত্রী আড়াল করার চেষ্টা  করছেন তার অভিযোগ তুলেছে। কারণ, সঞ্জয়ের ফাঁসি হয়ে গেলে সমস্ত কিছুই ধামাচাপা পড়ে যাবে। তাই, মমতা এতটা সক্রিয় বলে বিরোধীদের অভিযোগ। খোদ অভয়ার বাবা- মাও মুখ্যমন্ত্রীর অতি সক্রিয়তা ভালোভাবে নেননি। 

    বিচারকের রায়কেও মুখ্যমন্ত্রী মানছেন না! (RG Kar Incident)

    আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) রায় বের হওয়ার পর পরই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, “আরজি কর মামলার রায়ে রাজ্য উচ্চ আদালতে যাবে। সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা চাইছে রাজ্য। ফাঁসি হলে সান্ত্বনা পেতাম। আমাদের হাতে থাকলে ফাঁসির সাজা দেওয়া হত।” সাধারণত, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর অভয়ার বাবা-মায়ের খুশি হওয়ার কথা ছিল। কারণ, তিনি তাঁদের মেয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িতর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছেন। কিন্তু, বাস্তবে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর অভয়ার বাবা বলেছেন, “তাহলে কি উনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) শিয়ালদা আদালতের বিচারককেও মানছেন না? বিচারক যে রায় দিলেন সেটা তিনি মানছেন না? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতে চাই। তাহলে তিনি বিচারকের বিরুদ্ধেই তদন্ত করুন। সঞ্জয়কে ফাঁসির সাজা দিতেই হবে এই মনোভাব প্রথম দিন থেকেই কেন? এটা মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি জিজ্ঞেস করতে চাই। পিছনে যারা জড়িত রয়েছে সেটাকে বের না করে সঞ্জয়কে ফাঁসি দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়েছেন, কারণটা কী? ডিএনএ রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে অন্য লোকও উপস্থিত ছিল। সিএসএফএল (ফরেন্সিক রিপোর্ট)- ও বলেছে ওইরকম জনবহুল জায়গায় একজনের পক্ষে ঢুকে গিয়ে একটা মেয়েকে ওভাবে মেরে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। উনি কি ফাঁসি দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চান যে আমরা বিচার দিয়ে দিলাম। আমরা চাইছি আরও তদন্ত হোক, যারা যারা জড়িত তাদের সামনে এনে কঠোরতম শাস্তি হোক।” 

    আরও পড়ুন: ‘ঘটনা বিরলতমই’! আরজি করে নির্যাতিতার বাড়িতে শুভেন্দু, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

    সঞ্জয়ের সঙ্গে অনেকেই আছে, ঠিক করে তদন্ত হোক

    অভয়ার মা (RG Kar Incident) বলেন, “সঞ্জয়ের সঙ্গে অনেকেই আছে। যে চারজনের সঙ্গে আমার মেয়ে ডিউটিতে ছিল তাদের সিবিআই বা পুলিশ (যে চারদিন ছিল) হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদই করেনি। পাঁচজন একসঙ্গে ডিউটি করছে, হঠাৎ হাসপাতালে ডিপার্টমেন্টের মধ্যে একজন ধর্ষণ, খুন হয়ে গেল, আর কেউ কিছু জানল না, এটা তো কেউই বিশ্বাস করবে না। আমিও করি না, প্রথম দিন থেকেই। আমাদের তাড়াতাড়ি আসতে বলে সাড়ে তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল। এদিকে ভিতরে সিপি, এসিপি সবাই উপস্থিত। পরে ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়,অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, দেবাশিস সোম সবাইকে ডেকে ডেকে দেখাচ্ছিলেন। আমার মেয়ের দেহ যেখানে ছিল সেখানে সবাই উপস্থিত। কোনও কর্ডন নেই। মাছের বাজার হয়ে গিয়েছিল। এগুলো তথ্যপ্রমাণ লোপাটেরই অংশ। তদন্তটা ঠিক করে হোক। কারা কারা যুক্ত সেটা সামনে আসুক।”

    ময়না তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন

    অভয়ার মা আরও বলেছেন, “আমরা মেয়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত চেয়েছিলাম। আমাকে দিয়ে জোর করে সই করিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে গ্রিন করিডর করে মেয়ের দেহ (RG Kar Incident) বাড়ি নিয়ে গেল। আমরা তখন টালা থানায় বসে। পুলিশ আমাদের গাড়ি থেকে নামতেও দেয়নি। এফআইআর লিখতেও দেয়নি। প্রথমে ৭ জন পুলিশ ছিল। পরে প্রায় ২০০ পুলিশ হয়ে গিয়েছিল। পাশের বাড়ি থেকে ফোন করে বলে তাড়াতাড়ি চলে এসো। নাহলে ওকে শ্মশানেই নিয়ে চলে যাব। বাড়ি গিয়েও কিছু করতে পারিনি। ২ কিলোমিটার অবধি পুলিশ। আমাদের টাকা দিতে চাওয়া হয়েছিল। দ্রুত দেহ শ্মশানে নিয়ে লোকাল এমএলএ, লোকাল কমিশনার তাঁরা দেহ চুল্লিতে ঢুকিয়ে দেন। লোকাল এমএলএ লোকাল কমিশনারের পিঠ চাপড়ে বলছিলেন ‘ওয়েল ডান বয়’। এটা কি কারও নির্দেশ ছিল? কারও নির্দেশ ভালোভাবে পালন করা হচ্ছিল বলেই কি ‘ওয়েল ডান বয়’ বলা হচ্ছিল? এরকম অনেক প্রশ্ন আমাদের রয়ে গিয়েছে। কোথাও একটা অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। এই অদৃশ্য শক্তিটা আমরা বের করতে চাই। তারপর তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”

    কাদের আড়াল করতে সঞ্জয়ের ফাঁসি চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মমতার ফাঁসির দাবি প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সঞ্জয়ের চরম শাস্তি আমরাও চাই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এত তাড়া কেন? কারণটা, খুবই পরিষ্কার। সঞ্জয় যেন মুখ খুলতে না পারে। সঞ্জয় বারবার এক আইপিএসের কথা বলছে। যদি সঞ্জয় বিবেক কুমারের নাম বলে, সন্দীপ ঘোষের নাম বলে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপদে পড়ে যাবেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না সঞ্জয় মুখ খুলুক। সে কারণেই সঞ্জয়কে তড়িঘড়ি ফাঁসিতে ঝোলাতে চান মুখ্যমন্ত্রী।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পথে প্রধান কাঁটা হতে পারে বেকারত্ব। রাজ্যে শিল্প নেই। জটিলতার কারণে বন্ধ শিক্ষক নিয়োগও। সরকারি চাকরির (Govt Employee) দশাও তথৈবচ। এমতাবস্থায় এবার বেকার ছেলেমেয়েদের চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার মালদহের সভামঞ্চ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের এমন পরামর্শই দেন তিনি।

    সরকারি টাকায় মোচ্ছব! (Mamata Banerjee)

    ফি বছর শিল্প সম্মেলনের নামে সরকারি টাকায় মোচ্ছব হয় বলে অভিযোগ। দু’দিন-তিনদিন ধরে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন হয়। ব্যস, সম্মেলন শেষে হাতে থাকে শুধুই পেন্সিল, শিল্প আর হয় না! রাজ্যের হা-শিল্প দশা দেখে এর আগে কর্মপ্রার্থীদের ‘চপ শিল্প’ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। তাতে কতজন বেকারের আর্থিক অবস্থার হাল ফিরেছিল, তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। তবে চপ শিল্পের কল্যাণে যে রাজ্যের হাল ফেরেনি, তা মালুম হল মঙ্গলবারের বারবেলায় মুখ্যমন্ত্রী ফের চা শিল্পের পরামর্শ দেওয়ায়।

    চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ

    এদিন মালদার ডিএসের মাঠে তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, পলিটেকনিক, আইটিআই বাংলায় ৫০০টা আছে। সেখান থেকে ট্রেনিং নেবেন স্কিলড ট্রেনিং। পড়াশোনার সুযোগ, ট্রেনিংয়ের সুযোগ, সব সুযোগ আছে। আমি তো বলব, দু’তিন লাখ অ্যাপয়েন্টমেন্ট হতেই পারে ইমিডিয়েট। যদি ওবিসি রিজার্ভেশনটা ক্লিয়ার হয়ে যায়। সরকারি চাকরি করতে গেলে কতকগুলো সিস্টেম আছে। ইন্টারভিউ কল করে। আপনাদের পরীক্ষা দিতে হয়। ইন্টারভিউ দিতে হয়।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভাইয়েরা আমার, চিন্তা করার বা হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। একটা চায়ের দোকানে চা বিক্রি করলেও, চা-বিস্কুট-ঘুগনি, ইনকাম খারাপ হয় না। সরকারি চাকরির থেকে বেশি রোজগার হয়।”

    ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা!

    তাঁর এই কথা হাসির খোরাক হতে পারে ভেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন, আমরা ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করে দিয়েছি। আরও কয়েক লাখ চাকরি হবে খুব শিগগিরই।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিক ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন। ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিক ট্রেনিং দিয়ে আমরা তাদের চাকরি করে দিয়েছি।”

    প্রচারের ঢক্কানিনাদ

    কর্মপ্রার্থীদের চায়ের দোকান (Mamata Banerjee) খোলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কৌশলে ভোট প্রচারের কাজটিও সেরে রাখলেন। তাঁর জমানায় রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, “নারায়ণপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, কালিয়াচকে সিল্ক পার্ক, ইংরেজবাজারে ফুড পার্ক, মালদা আইআইটি পার্ক গড়ে উঠেছে। ৫৭ হাজারের বেশি ক্ষুদ্রশিল্পে এক লাখ মানুষ কাজ করছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট যাঁরা আছেন, অনেক কিছু হতে পারে আপনাদের এখানে। একটু মাথা খাটান। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বাংলাদেশের বর্ডার মালদা।”

    আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চকাণ্ডে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র যোগ, জানেন কীভাবে?

    শিল্পনগরী তৈরি করেছি

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা এখানে বিজনেস করলে সারা উত্তরবঙ্গ তার সুফল পাবে। আপনাদের কথা শুনে ইন্ডাস্ট্রির কথা শুনে আমরা শিল্পনগরী তৈরি করেছি। আরও ঢেলে সাজান।” তিনি বলেন, “যখন বিজনেস করবেন, মনে রাখবেন, একটা প্রজেক্ট নেবেন, আমার বিজনেস দিয়ে আমি ১০টা পরিবারকে সাহায্য করব। ১০টা গবির মানুষের ঘর করে দিন না। বেশি টাকা লাগে না। ১০টা গরিব মানুষের ঘর করতে বড়জোর ১৫ লাখ টাকা লাগবে (Mamata Banerjee)।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি সিএসআরের মাধ্যমে আপনারা ডিএমকে জিজ্ঞেস করুন। ডিএম আপনাদের তালিকা দিয়ে দেবেন, যাঁরা সত্যিকারের গরিব, তাঁদের। এটা আমাদের তালিকার মধ্যে নয়। এটা আমি এক্সট্রা করতে বলছি।”

    খয়রাতির রাজনীতির বিষময় ফল!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে রাজ্যের কোষাগার। বিভিন্ন ‘শ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো আদতে ভোট কেনার রাজনীতি করেছেন। তার জেরে শূন্য হয়েছে রাজকোষাগার। বেকারত্ব এবং রাজ্যের অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে মেলা-খেলার আয়োজনও করা হয়। তার পরেও মাঝেমধ্যে চাগাড় দিয়ে ওঠে বেকারত্বের ভূত। সেই ভূত তাড়াতেই কখনও (ঢপের?) চপ শিল্প, কখনও আবার চা শিল্পের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

    জনতা (Govt Employee) জনার্দন এতে ভোলে কিনা, এখন তাই দেখার (Mamata Banerjee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পথে প্রধান কাঁটা হতে পারে বেকারত্ব। রাজ্যে শিল্প নেই। জটিলতার কারণে বন্ধ শিক্ষক নিয়োগও। সরকারি চাকরির (Govt Employee) দশাও তথৈবচ। এমতাবস্থায় এবার বেকার ছেলেমেয়েদের চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার মালদহের সভামঞ্চ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের এমন পরামর্শই দেন তিনি।

    সরকারি টাকায় মোচ্ছব! (Mamata Banerjee)

    ফি বছর শিল্প সম্মেলনের নামে সরকারি টাকায় মোচ্ছব হয় বলে অভিযোগ। দু’দিন-তিনদিন ধরে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন হয়। ব্যস, সম্মেলন শেষে হাতে থাকে শুধুই পেন্সিল, শিল্প আর হয় না! রাজ্যের হা-শিল্প দশা দেখে এর আগে কর্মপ্রার্থীদের ‘চপ শিল্প’ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। তাতে কতজন বেকারের আর্থিক অবস্থার হাল ফিরেছিল, তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। তবে চপ শিল্পের কল্যাণে যে রাজ্যের হাল ফেরেনি, তা মালুম হল মঙ্গলবারের বারবেলায় মুখ্যমন্ত্রী ফের চা শিল্পের পরামর্শ দেওয়ায়।

    চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ

    এদিন মালদার ডিএসের মাঠে তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, পলিটেকনিক, আইটিআই বাংলায় ৫০০টা আছে। সেখান থেকে ট্রেনিং নেবেন স্কিলড ট্রেনিং। পড়াশোনার সুযোগ, ট্রেনিংয়ের সুযোগ, সব সুযোগ আছে। আমি তো বলব, দু’তিন লাখ অ্যাপয়েন্টমেন্ট হতেই পারে ইমিডিয়েট। যদি ওবিসি রিজার্ভেশনটা ক্লিয়ার হয়ে যায়। সরকারি চাকরি করতে গেলে কতকগুলো সিস্টেম আছে। ইন্টারভিউ কল করে। আপনাদের পরীক্ষা দিতে হয়। ইন্টারভিউ দিতে হয়।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভাইয়েরা আমার, চিন্তা করার বা হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। একটা চায়ের দোকানে চা বিক্রি করলেও, চা-বিস্কুট-ঘুগনি, ইনকাম খারাপ হয় না। সরকারি চাকরির থেকে বেশি রোজগার হয়।”

    ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা!

    তাঁর এই কথা হাসির খোরাক হতে পারে ভেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন, আমরা ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করে দিয়েছি। আরও কয়েক লাখ চাকরি হবে খুব শিগগিরই।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিক ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন। ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিক ট্রেনিং দিয়ে আমরা তাদের চাকরি করে দিয়েছি।”

    প্রচারের ঢক্কানিনাদ

    কর্মপ্রার্থীদের চায়ের দোকান (Mamata Banerjee) খোলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কৌশলে ভোট প্রচারের কাজটিও সেরে রাখলেন। তাঁর জমানায় রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, “নারায়ণপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, কালিয়াচকে সিল্ক পার্ক, ইংরেজবাজারে ফুড পার্ক, মালদা আইআইটি পার্ক গড়ে উঠেছে। ৫৭ হাজারের বেশি ক্ষুদ্রশিল্পে এক লাখ মানুষ কাজ করছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট যাঁরা আছেন, অনেক কিছু হতে পারে আপনাদের এখানে। একটু মাথা খাটান। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বাংলাদেশের বর্ডার মালদা।”

    আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চকাণ্ডে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র যোগ, জানেন কীভাবে?

    শিল্পনগরী তৈরি করেছি

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা এখানে বিজনেস করলে সারা উত্তরবঙ্গ তার সুফল পাবে। আপনাদের কথা শুনে ইন্ডাস্ট্রির কথা শুনে আমরা শিল্পনগরী তৈরি করেছি। আরও ঢেলে সাজান।” তিনি বলেন, “যখন বিজনেস করবেন, মনে রাখবেন, একটা প্রজেক্ট নেবেন, আমার বিজনেস দিয়ে আমি ১০টা পরিবারকে সাহায্য করব। ১০টা গবির মানুষের ঘর করে দিন না। বেশি টাকা লাগে না। ১০টা গরিব মানুষের ঘর করতে বড়জোর ১৫ লাখ টাকা লাগবে (Mamata Banerjee)।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি সিএসআরের মাধ্যমে আপনারা ডিএমকে জিজ্ঞেস করুন। ডিএম আপনাদের তালিকা দিয়ে দেবেন, যাঁরা সত্যিকারের গরিব, তাঁদের। এটা আমাদের তালিকার মধ্যে নয়। এটা আমি এক্সট্রা করতে বলছি।”

    খয়রাতির রাজনীতির বিষময় ফল!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে রাজ্যের কোষাগার। বিভিন্ন ‘শ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো আদতে ভোট কেনার রাজনীতি করেছেন। তার জেরে শূন্য হয়েছে রাজকোষাগার। বেকারত্ব এবং রাজ্যের অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে মেলা-খেলার আয়োজনও করা হয়। তার পরেও মাঝেমধ্যে চাগাড় দিয়ে ওঠে বেকারত্বের ভূত। সেই ভূত তাড়াতেই কখনও (ঢপের?) চপ শিল্প, কখনও আবার চা শিল্পের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

    জনতা (Govt Employee) জনার্দন এতে ভোলে কিনা, এখন তাই দেখার (Mamata Banerjee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    Mamata Banerjee: “চায়ের দোকান খুলুন, চাকরির চেয়ে বেশি রোজগার হবে”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পথে প্রধান কাঁটা হতে পারে বেকারত্ব। রাজ্যে শিল্প নেই। জটিলতার কারণে বন্ধ শিক্ষক নিয়োগও। সরকারি চাকরির (Govt Employee) দশাও তথৈবচ। এমতাবস্থায় এবার বেকার ছেলেমেয়েদের চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার মালদহের সভামঞ্চ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের এমন পরামর্শই দেন তিনি।

    সরকারি টাকায় মোচ্ছব! (Mamata Banerjee)

    ফি বছর শিল্প সম্মেলনের নামে সরকারি টাকায় মোচ্ছব হয় বলে অভিযোগ। দু’দিন-তিনদিন ধরে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন হয়। ব্যস, সম্মেলন শেষে হাতে থাকে শুধুই পেন্সিল, শিল্প আর হয় না! রাজ্যের হা-শিল্প দশা দেখে এর আগে কর্মপ্রার্থীদের ‘চপ শিল্প’ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা। তাতে কতজন বেকারের আর্থিক অবস্থার হাল ফিরেছিল, তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। তবে চপ শিল্পের কল্যাণে যে রাজ্যের হাল ফেরেনি, তা মালুম হল মঙ্গলবারের বারবেলায় মুখ্যমন্ত্রী ফের চা শিল্পের পরামর্শ দেওয়ায়।

    চায়ের দোকান খোলার পরামর্শ

    এদিন মালদার ডিএসের মাঠে তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, পলিটেকনিক, আইটিআই বাংলায় ৫০০টা আছে। সেখান থেকে ট্রেনিং নেবেন স্কিলড ট্রেনিং। পড়াশোনার সুযোগ, ট্রেনিংয়ের সুযোগ, সব সুযোগ আছে। আমি তো বলব, দু’তিন লাখ অ্যাপয়েন্টমেন্ট হতেই পারে ইমিডিয়েট। যদি ওবিসি রিজার্ভেশনটা ক্লিয়ার হয়ে যায়। সরকারি চাকরি করতে গেলে কতকগুলো সিস্টেম আছে। ইন্টারভিউ কল করে। আপনাদের পরীক্ষা দিতে হয়। ইন্টারভিউ দিতে হয়।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভাইয়েরা আমার, চিন্তা করার বা হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কারণ নেই। একটা চায়ের দোকানে চা বিক্রি করলেও, চা-বিস্কুট-ঘুগনি, ইনকাম খারাপ হয় না। সরকারি চাকরির থেকে বেশি রোজগার হয়।”

    ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা!

    তাঁর এই কথা হাসির খোরাক হতে পারে ভেবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন, আমরা ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিকের ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করে দিয়েছি। আরও কয়েক লাখ চাকরি হবে খুব শিগগিরই।” তিনি বলেন, “মনে রাখবেন, বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী। কেউ চাকরির সুযোগ পেলে চাকরি করবেন। পলিটেকনিক ট্রেনিং নিয়ে চাকরি করবেন। ১০ লাখ ছেলেমেয়েকে পলিটেকনিক ট্রেনিং দিয়ে আমরা তাদের চাকরি করে দিয়েছি।”

    প্রচারের ঢক্কানিনাদ

    কর্মপ্রার্থীদের চায়ের দোকান (Mamata Banerjee) খোলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কৌশলে ভোট প্রচারের কাজটিও সেরে রাখলেন। তাঁর জমানায় রাজ্যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, “নারায়ণপুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, কালিয়াচকে সিল্ক পার্ক, ইংরেজবাজারে ফুড পার্ক, মালদা আইআইটি পার্ক গড়ে উঠেছে। ৫৭ হাজারের বেশি ক্ষুদ্রশিল্পে এক লাখ মানুষ কাজ করছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট যাঁরা আছেন, অনেক কিছু হতে পারে আপনাদের এখানে। একটু মাথা খাটান। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও বাংলাদেশের বর্ডার মালদা।”

    আরও পড়ুন: হিন্ডেনবার্গ রিসার্চকাণ্ডে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র যোগ, জানেন কীভাবে?

    শিল্পনগরী তৈরি করেছি

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা এখানে বিজনেস করলে সারা উত্তরবঙ্গ তার সুফল পাবে। আপনাদের কথা শুনে ইন্ডাস্ট্রির কথা শুনে আমরা শিল্পনগরী তৈরি করেছি। আরও ঢেলে সাজান।” তিনি বলেন, “যখন বিজনেস করবেন, মনে রাখবেন, একটা প্রজেক্ট নেবেন, আমার বিজনেস দিয়ে আমি ১০টা পরিবারকে সাহায্য করব। ১০টা গবির মানুষের ঘর করে দিন না। বেশি টাকা লাগে না। ১০টা গরিব মানুষের ঘর করতে বড়জোর ১৫ লাখ টাকা লাগবে (Mamata Banerjee)।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটি সিএসআরের মাধ্যমে আপনারা ডিএমকে জিজ্ঞেস করুন। ডিএম আপনাদের তালিকা দিয়ে দেবেন, যাঁরা সত্যিকারের গরিব, তাঁদের। এটা আমাদের তালিকার মধ্যে নয়। এটা আমি এক্সট্রা করতে বলছি।”

    খয়রাতির রাজনীতির বিষময় ফল!

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, খয়রাতির রাজনীতি করতে গিয়ে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে রাজ্যের কোষাগার। বিভিন্ন ‘শ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো আদতে ভোট কেনার রাজনীতি করেছেন। তার জেরে শূন্য হয়েছে রাজকোষাগার। বেকারত্ব এবং রাজ্যের অন্যান্য জ্বলন্ত সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে মেলা-খেলার আয়োজনও করা হয়। তার পরেও মাঝেমধ্যে চাগাড় দিয়ে ওঠে বেকারত্বের ভূত। সেই ভূত তাড়াতেই কখনও (ঢপের?) চপ শিল্প, কখনও আবার চা শিল্পের পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

    জনতা (Govt Employee) জনার্দন এতে ভোলে কিনা, এখন তাই দেখার (Mamata Banerjee)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share