Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Mamata Banerjee: কেন্দ্রের অনুমোদিত সব ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করেনি রাজ্য! মন্ত্রীর চিঠিতে বিপাকে রাজ্য

    Mamata Banerjee: কেন্দ্রের অনুমোদিত সব ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করেনি রাজ্য! মন্ত্রীর চিঠিতে বিপাকে রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ৪৮ হাজার ৬০০ ধর্ষণ ও পকসো মামলা ঝুলে রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের অনুমোদন থাকলেও ১১টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন নিয়ে এখনও পর্যন্ত  উদ্যোগ নেয়নি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সম্প্রতি চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী। আরজি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণ ও মহিলাদের উপর নির্যাতন নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই চিঠির জবাব দেয় কেন্দ্র। সেই চিঠিতে অন্নপূর্ণা জানালেন, ধর্ষণ ও শিশুদের উপর নির্যাতনের মামলার দ্রুত শুনানির জন্য পশ্চিমবঙ্গকে ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তার মধ্যে বেশিরভাগের কাজ শুরু হয়নি। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী আরও বলেন, মহিলা ও শিশুদের সমস্যা দূরীকরণে কেন্দ্র একটি ন্যাশনাল হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা চালু করেনি।

    কেন্দ্রের চিঠিতে কী বলা হল

    আরজি কর-কাণ্ডের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গত ২২ অগাস্ট চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্ষকদের শাস্তি দিতে কঠোর কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের আবেদন জানান। এইসব ঘটনার দ্রুত বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের কথাও বলেন তিনি। তাঁর চিঠির জবাবে কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী চিঠি লিখে জানান, ১ জুলাই থেকে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা লাগু হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার বন্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠন নিয়ে অন্নপূর্ণা দেবী লিখেছেন, এই ধরনের আদালত গঠনের জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে কেন্দ্র একটি প্রকল্প শুরু করে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, “চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৭৫২টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত কাজ করছে। তার মধ্যে ৪০৯টি পকসো আদালত। প্রকল্প শুরু হওয়ার পর থেকে এইসব আদালতে ২ লক্ষ ৫৩ হাজার মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে পশ্চিমবঙ্গকে ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ২০টি শুধু পকসো আদালত। কিন্তু, ২০২৩ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই আদালতগুলির কাজ শুরু হয়নি।”

    আরও পড়ুন: নিহত তরুণীর দেহের কাছে ৩ সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ! ভাইরাল ভিডিও তুলল একাধিক প্রশ্ন

    বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের মহিলারা

    কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। এই আবহে কেন্দ্রের চিঠিতে বেশ অস্বস্তিতে রাজ্য। কেন্দ্রের চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, তারা বার বার অনুরোধ করে মনে করালেও রাজ্যে মহিলা (১৮১) এবং শিশু (১০৯৮)-দের সাহায্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়নি। চালু করা হয়নি ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স সাপোর্ট সিস্টেম’ও। এর ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের মহিলা এবং শিশুরা। চিঠির শেষে অন্নপূর্ণা আশাপ্রকাশ করেছেন, রাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নির্যাতনের পথ বন্ধ করে সুরক্ষা দেওয়া হোক। লিঙ্গবৈষম্য দূর করার অনুরোধও করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়, তত্ত্বাবধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়, তত্ত্বাবধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অতি দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। সম্পূর্ণ তত্ত্ববাধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক।” ঠিক এই অভিযোগ করে আরজি কর হত্যাকাণ্ডের ধামাচাপা দেওয়ার প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় গোটা দেশ এখন ক্ষোভে ফুঁসছে। পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। মৃতার বাবা-মাও পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে ছাত্রসমাজ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মাঠে ময়দানে, রাস্তায় নেমে ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন করছেন।

    ঠিক কী বলেলন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সামজিক মাধ্যমে মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “শ্মশানে গোটা অপারেশন হয়েছে পুলিশের নির্দেশনায়। অতি দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। মমতার নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। মহিলা চিকিৎসকের দেহ দাহ করা হয় ব্যরাকপুর কমিশনারেট এলাকায় অথচ আশ্চর্য জনক ভাবে দেখা যায় বিষয়টির পরিচালনা করেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দুই আইসি। সম্পূর্ণ ঘটনায় নজর রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। আর তাহলেই ধামাচাপা দেওয়ার বিষয় প্রকাশ্যে সামনে আসবে।” ঠিক এই ভাবেই তৃণমূল সরকার এবং পুলিশকে নিশানা করে সিবিআইকে দ্রুত তদন্তের জন্য আবেদন করেছেন তিনি।

    পুলিশ একটা চাপ তৈরি করেছিল!

    একইভাবে তড়িঘড়ি দাহ করা নিয়ে মুখ খুলেছেন নির্যাতিতা মহিলার বাবা-মা। মৃত ডাক্তারের বাবা-মা বলেন, মেয়ের সৎকারের সময় পুলিশ একটা চাপ তৈরি করেছিল। রাস্তায় জ্যাম ছিল, ধীরে ধীরে গাড়ি চলছিল। কিন্তু পুলিশ গাড়ির চালককে তাড়া দিচ্ছিলেন। প্রায় ৫০ কিমি বেগে শববাহী গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “কীভাবে শ্মাশানঘাটে আগে থেকে লাইন দেওয়া দুটি মৃতদেহ পেরিয়ে দাহ করে দেওয়া হল নির্যাতিতার দেহ, কেন এতো তাড়াহুড়ো?” উল্লেখ্য একইভাবে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘোলা থানা পর্যন্ত বিশাল পদযাত্রা করে প্রতিবাদ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অর্জুন সিং, কৌস্তভ বাগচি। এই পদযাত্রা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি আরও জারালো করেন। এরপর ধর্নামঞ্চে যান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • OBC List in Bengal: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক মুসলিম শ্রেণিকে ‘ওবিসি’ তকমা! সুপ্রিম কোর্টে ‘স্বীকার’ রাজ্যের

    OBC List in Bengal: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই একাধিক মুসলিম শ্রেণিকে ‘ওবিসি’ তকমা! সুপ্রিম কোর্টে ‘স্বীকার’ রাজ্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পর থেকে পাওয়া রাজ্যের সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC List in Bengal) বাতিল করে দিয়েছে। ঘটনাচক্রে, ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। ফলে আদালতের নির্দেশ মূলত কার্যকর হতে চলেছে তৃণমূল আমলে ইস্যু করা ওবিসি শংসাপত্রের উপরেই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে রাজ্য। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) রাজ্য সরকার এ নিয়ে হলফনামা জমা দেয়। সেই হলফনামায় উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি মুসলিম জাতিকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে! এমনকী, অনেককে তো আবেদনের আগেই অন্তর্ভুক্ত করেছে রাজ্য সরকার! অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসন যে ৭৭টি জাতিকে ওবিসি শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এদের মধ্যে ৭৫টি মুসলিম সম্প্রদায়।

    জটিল তিন-স্তরের অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া 

    সরকার দাবি করেছে যে, ওবিসি তালিকা (OBC List in Bengal) সম্প্রসারণ একটি জটিল তিন-স্তরের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়েছে, যার মধ্যে দুটি জরিপ এবং অনগ্রসর শ্রেণির কমিশনের একটি শুনানি অন্তর্ভুক্ত ছিল। সাধারণত, ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রথম ধাপে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আবেদন করতে হয়।শ্রেণি, জনসংখ্যা, বসবাসের স্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আর্থিক অবস্থার মতো বিভিন্ন তথ্য দিতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। সেই আবেদনপত্র পাওয়ার পরে সমীক্ষা চালায় কমিশন। 

    জানা গিয়েছে, কিছু মুসলিম গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে সম্পন্ন হয়েছে, যা সরকারের জটিল কাজের প্রকৃতি বিবেচনায় কার্যত অসম্ভব। হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ২০১০ সালের পরে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে, তা যথাযথ আইন মেনে বানানো হয়নি। এর ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে পাঁচ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট, যার অধিকাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের।

    কবে থেকে শুরু

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে মুসলিমদের ওবিসি সংরক্ষণের (OBC List in Bengal) আওতায় আনা হয়েছিল বামফ্রন্ট জমানায়। এরপর পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল সরকার। আদালত জানিয়েছে, মূলত ‘নির্বাচনি মুনাফার’ জন্য ওই ৭৭টি শ্রেণিকে ওবিসি তালিকায় যোগ করা হয়েছিল। যা শুধুমাত্র সংবিধানের লঙ্ঘনই নয়, মুসলিমদের অবমাননাও। ২০০৯ সালের ১৩ নভেম্বর খোট্টা মুসলিম সম্প্রদায় আবেদন করে এবং সেদিনই তারা ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। একইভাবে, ২০২০ সালের ২১ এপ্রিল জমাদার মুসলিম গোষ্ঠী আবেদন করে এবং সেদিনই তাদের ওবিসি শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া, গায়েন এবং ভাটিয়া মুসলিম গোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও একইভাবে দ্রুত অন্তর্ভুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে, সাব-ক্যাটাগোরাইজেশন জরিপ এমন গোষ্ঠীগুলোর জন্যও সম্পন্ন হয়েছে, যারা এখনও কমিশনের কাছে আবেদনই করেনি। যেমন, কাজি, কোটাল, হাজারি, লায়েক, খাস এবং কিছু অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর জন্য জরিপ ২০১৫ সালের জুনে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু তাদের আবেদন অনেক পরে জমা দেওয়া হয়।

    কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ

    এই বছরের মে মাসে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ বাম ও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের দ্বারা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ওবিসি শংসাপত্র (OBC List in Bengal) জারি করা ৭৭টি গোষ্ঠীর শংসাপত্র বাতিল করে। বিচারকরা লক্ষ্য করেন যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০০৬ সালের সাচার কমিটির রিপোর্ট “বিস্তৃতভাবে” ব্যবহার করেছে, যা মুসলিমদের পিছিয়ে থাকার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু আদালত এই রিপোর্টের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অনগ্রসর জাতির তালিকায় নতুন ভাবে কয়েকটি সম্প্রদায়কে অন্তুর্ভুক্ত করা এবং ওবিসি শংসাপত্র জারি করার ক্ষেত্রে অনগ্রসর জাতি সংরক্ষণ আইন মানা হয়নি। নিয়মমাফিক জাতিগত সমীক্ষা হয়নি, খসড়া তালিকা সামনে আসেনি, কোন রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সংরক্ষণ তাও জানানো হয়নি। কেন কয়েকটি শ্রেণিকে ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হল, সে বিষয়েও সঠিক তথ্য পেশ করতে পারেনি রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুন: ‘শান্তির সেতুবন্ধনই লক্ষ্য ভারতের’, কিয়েভে বার্তা মোদির, আজই জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক

    বিতর্কের পটভূমি

    ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে ২০১০ সালের বাম জমানায় সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। ওই বছর মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর জন্য তখন ক্ষমতায় থাকা বামপন্থীরা ‘ওবিসি-এ’ ক্যাটেগরি তৈরি করেছিল। সে সময় অনগ্রসর জাতি (OBC List in Bengal) কমিশনের তরফে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির তালিকায় ৪২টি শ্রেণিকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ জানানো হয়। এর মধ্যে ৪১টি ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরর সরকার ক্ষমতায় এলে ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি ক্যাটেগরি মিলিয়ে আরও ৩৭টি শ্রেণিকে ওই তালিকায় যোগ করে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় ২০১২ সালে। যার মধ্যে ৩৫টি মুসলিম জাতি-গোষ্ঠী। এরাই পরবর্তী সময়ে ভোট রাজনীতির কেন্দ্রে দাঁড়িয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Civic Volunteer: অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    Civic Volunteer: অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করে মন জয়ের চেষ্টা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর জি করকাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়েছে। নিহত চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer)। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনা ছাড়াও রাজ্যে একাধিক জেলায় সিভিকদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, শ্লীলতাহানিসহ নানা কুকর্ম করার অভিযোগ ওঠে। ফলে, সিভিকদের ভাবমূর্তি নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই আবহে সিভিকদের বোনাস (Bonus) বৃদ্ধির ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। মূলত, অন্যায় করলেও সাত খুন মাফ! সঙ্গে সিভিকদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

    ক্ষতে প্রলেপ দিতেই বোনাস বৃদ্ধি! (Civic Volunteer)

    প্রসঙ্গত, আরজি করকাণ্ডে জড়িত থাকার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতারের উদ্যোগ না নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে ‘প্রাইজ পোস্টিং’ দিল সরকার। বিরোধীদের বক্তব্য, সন্দীপকে নিয়ে গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। আর তাঁকে আড়াল করতেই মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল! ঠিক একইভাবে বোনাস বৃদ্ধি করে সিভিকদের (Civic Volunteer) মন জয় করার মরিয়া চেষ্টা তৃণমূল সরকারের। জানা গিয়েছে, গত বার প্রথম যে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল, তাতে কলকাতার সিভিক ভলান্টিয়ারদের বোনাস ৫ হাজার ৩০০ টাকা থাকলেও জেলার সিভিক ভলান্টিয়ারদের ক্ষেত্রে ছিল ২ হাজার টাকা। এ বার কলকাতার সঙ্গে জেলার সিভিক ভলান্টিয়ার কিংবা গ্রামীণ এলাকার ভিলেজ পুলিশের বোনাসের অঙ্কের কোনও ফারাক রইল না। নবান্নের নির্দেশিকা অনুযায়ী ৫ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বোনাস করা হচ্ছে ৬ হাজার টাকা।

    আরও পড়ুন: ব্র্যান্ড ভ্যালু হারানোর ভয়! মিছিলে নেই, মেয়ের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সৌরভের

    শুভেন্দুর চাপও আছে

    সিভিকদের বোনাস বৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য ছিল, “কলকাতার সিভিক ভলান্টিয়ারেরা ৫ হাজার ৩০০ টাকা পান তাতে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু, জেলার সিভিক ভলান্টিয়ারেরা (Civic Volunteer) কেন বঞ্চিত হবেন? কেন তাঁদের কম অর্থ দেওয়া হবে। জেলার প্রতি বিমাতৃসুলভ মনোভাব দেখাচ্ছে রাজ্য।” সিভিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছিল। যদিও তার পরে ক্ষতি প্রলেপ দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন, কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ারদের মতোই রাজ্যের অন্য জেলায় কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়াররাও সমান অঙ্কের পুজোর বোনাস পাবেন। অবশেষে সিভিকদের বোনাস বৃদ্ধি করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: টিএমসিপি-র জঙ্গি আন্দোলনে পদত্যাগ করলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য!

    Asansol: টিএমসিপি-র জঙ্গি আন্দোলনে পদত্যাগ করলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের জঙ্গি আন্দোলনের জের। কার্যত বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করলেন আসানসোলের (Asansol) কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ইমেল মারফত আচার্য তথা রাজ্যপালকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, পদত্যাগপত্র গ্রহণও করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তৃণমূল সরকার পরিচালিত এই রাজ্যে আর চাকরি করতে চান না তিনি। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, রাজ্য ছেড়েই তিনি চলে যাচ্ছেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Asansol)

    বেশ কিছু দিন ধরেই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে (Asansol) কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ-এর অভিযোগ, ছাত্র ভর্তির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের খাতে খরচ করা হয়েছে। ব্যয় হওয়া প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা কখন, কোথায়, কী কারণে খরচ করা হয়েছে, তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে উপাচার্যকে জানাতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়। টিএমসিপির জঙ্গি আন্দোলন এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে বসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করছিলেন উপাচার্য দেবাশিসবাবু। এ নিয়ে তিনি চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপালকে। গত ১৬ অগাস্ট প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক বার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন উপাচার্য। কিন্তু, ফের আন্দোলনের মুখে পড়েন। দেবাশিসবাবুর অভিযোগ, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেই সেদিন কয়েক জন বহিরাগত ঢুকে শাসিয়েছিল, আরজি কর বানিয়ে দেব!” ওই বিষয়ে নিয়ে থানায় অভিযোগও করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পদত্যাগ প্রসঙ্গে টিএমসিপি-র পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় বলেন, “উনি ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। ইস্তফাপত্র গৃহীতও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি, লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপ হয়েছে তাঁর আমলে। সেই হিসেব না দিয়ে আন্দোলন এড়াতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে গেলেন!”

    আরও পড়ুন: ব্র্যান্ড ভ্যালু হারানোর ভয়! মিছিলে নেই, মেয়ের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সৌরভের

    কী বললেন পদত্যাগী উপাচার্য?

    দেবাশিসবাবু বলেন, “আন্দোলনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কাজ করতে পারছিলাম না। ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করতে হচ্ছিল। তাই ইস্তফাই দিলাম। রাজ্যপাল পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।” এই রাজ্যে আর থাকতে চান না বলে জানান পদত্যাগী উপাচার্য। তিনি বলেন, “ভিনরাজ্যে একটি ‘ভালো অফার’ পেয়েছি। সেখানে চলে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘আরজি করে সব তথ্য সাফ করে দিয়েছেন মমতা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘আরজি করে সব তথ্য সাফ করে দিয়েছেন মমতা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের ট্রেনি মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শ্যামবাজারে ধর্নায় বসেছে বিজেপি। ধর্নামঞ্চ থেকে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রকাশ্যে আনলেন বিস্ফোরক তথ্য। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে পাঁচ দিন ধরে বিজেপি-র ধর্না চলবে বলেও জানান তিনি। আগামিকাল স্বাস্থ্যভবন অভিযান রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। দোষীদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে সরব হওয়ার দাবিও জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    ওষুধ পাচার চক্র জেনে যাওয়াতেই খুন! (Suvendu Adhikari)

    ধর্নামঞ্চ (RG Kar Protests) থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনায় শুধুমাত্র উপাচার্য বদল করা হয়নি, ভিসেরা, রক্তের নমুনাও পাল্টে দেওয়া হয়েছে। আরজি করের ঘটনা একজনের কাজ নয়, একাধিক ব্যক্তি জড়িত। ওষুধ পাচার চক্রের কথা জেনে যাওয়াতেই নির্যাতিতাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার পর মুছে দেওয়া হয়েছে সিসিটিভির ফুটেজ। ঘটনার রাতের রোস্টারও খাতা থেকে ছিঁড়ে ফেলে হয়েছে। চার-পাঁচ দিনে মমতা এবং তাঁর গুন্ডারা সব তথ্য সাফ করে দিয়েছে। মমতা অপকর্ম লুকোতে চাইছেন।’’

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কল রেকর্ড পরীক্ষার দাবি

    সাধারণ মানুষের উদ্দেশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যাঁকে সততার প্রতীক বলতেন, হাওয়াই চটির উল্লেখ হত, মা-মাটি-মানুষের পূজারিণী বলা হত, চরিত্রের উদাহরণ দেওয়া হত, কত শত বিশেষণ জুড়ত, আসলে প্রদীপের নীচের অন্ধকারটা প্রকাশিত হতে চলেছে। তদন্তকারী সংস্থা, সর্বোচ্চ আদালতের কাছে দাবি, অবিলম্বে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, শ্যামাপদ দাস এবং সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নেওয়া হোক। চেক করা হোক ওঁদের কল রেকর্ড।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ঘটনার পর নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দিতে গিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু, নির্যাতিতার মা-বাবা টাকা নেননি। জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতা পুলিশের আচরণ ঠিক নয়। এক নয়, অনেকে যুক্ত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’

    বামেদের আক্রমণ

    এদিন বামেদেরও আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বামপন্থীরা সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে চায়। সারা বছর ‘বিচার চাই’, ‘চোর ধরো’, ‘জেল ভরো’ বলবে, আর ভোটের সময় বলবে, ‘নো ভোট টু মোদি’, ‘নো ভোট টু বিজেপি’। এদের কাজ হচ্ছে, হিন্দু ভোট কাটো। চোর মমতা, ধর্ষকদের নেত্রী মমতা, খুনিদের নেত্রী মমতা, রাজ্যকে রসাতলে পাঠিয়ে দেওয়া মমতাকে ক্ষমতায় রাখার কাজটাই করে বামেরা। এই মাকু-সেকুদের থেকেও সাবধান থাকতে হবে। লোকসভা ভোটেও ১২টি আসন তৃণমূলকে উপহার দিয়েছে ওরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    RG Kar Incident: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে তরুণী শিক্ষানবিশ ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়াচ্ছে বঙ্গ বিজেপি (BJP Protest)। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ, বুধবার থেকে ৫ দিনের জন্য শ্যামবাজারে ধর্না কর্মসূচি করবে বিজেপি। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধর্না চলবে। গতকাল ধর্না মঞ্চ প্রস্তুত করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ধর্না মঞ্চ থেকেই রাজ্যে প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হতে পারে গেরুয়া শিবির। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পদত্যাগের দাবিও জানাতে পারে বঙ্গ বিজেপি।

    ধর্না মঞ্চ পরিদর্শন

    আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে ধারাবাহিক ভাবে পথে নামার কথা রবিবার ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য বিজেপির (BJP Protest) সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আরজি কর হাসপাতালের অদূরে শ্যামবাজারে পাঁচ মাথার মোড়ে ধর্না কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করা হয় বিজেপির পক্ষে। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। মঙ্গলবার শ্যামবাজারে বিজেপিকে ধর্না কর্মসূচির অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপরই ধর্না স্থল পরিদর্শন করেন সুকান্ত মজুমদার। সুকান্তর কথায়, স্বাস্থ্য ভবন হল ঘুঘুর বাসা। তাই এই প্রতিবাদ। অবিলম্বে আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছে বিজেপি। পুলিশ এবং আরজিকর প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে টেলিফোনিক কথাবার্তায় নজর দিক সিবিআই, তাহলেই সত্যি সামনে আসবে।

    আরও পড়ুন: দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, এবিভিপির স্বাস্থ্যভবন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র সল্টলেক

    বিজেপির দাবি 

    আজ, বুধবার আরজি কর ইস্যুকে (RG Kar Incident) হাতিয়ার করে এক মঞ্চে পাশাপাশি বসতে চলেছেন সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপরা (BJP Protest)। একযোগে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানাবেন। মঙ্গলবার সুকান্ত জানান, দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ থেকে স্পষ্ট রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের উপর সুপ্রিম কোর্টের আস্থা নেই। আরজি কর-এর নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নারী নিরাপত্তার ইস্যুতে উত্তাল রাজ্য। ধর্না কর্মসূচির পাশাপাশি বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাকও দিয়েছে বিজেপি। শুক্রবার শ্যামবাজারের বিজেপির ধর্না কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছিল পুলিশ। মঞ্চ খুলে দেওয়া হয়। তাই এবার আদালতের অনুমতি নিয়ে ধর্নায় বসতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি।  কর্মসূচিগুলোতে বিভিন্ন সময়ে থাকবেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ‘‘মমতাকে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে’’, কোথায়? তাও জানালেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ

    Nadia: ‘‘মমতাকে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে’’, কোথায়? তাও জানালেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছেন। আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই আবহের মধ্যে এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানালেন নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। আরজি করের ঘটনা নিয়ে বাংলার মানুষ যেভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন, তাতে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ।

    ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? (Nadia)

    শান্তিপুর (Nadia) ডাকঘর মোড়ে আয়োজিত এক প্রতিবাদী সভায় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘এতদিন বিরোধীরা বিরোধিতা করলেও বর্তমানে সমাজের সকল অংশের সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। আরজি করকাণ্ড সহ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদলের দুই-একজন ভালো মানুষ, যারা মুখ খুলেছেন তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তড়িঘড়ি নিহত তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত করিয়ে প্রমাণ লোপাটের জন্য ভাঙা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজের একটি অংশ। আন্দোলনকারীদের মধ্যে দলীয় কর্মীদের হাতে বিরোধীদের পতাকা ধরিয়ে আক্রমণ করানো হয়েছে। আর এ সমস্ত নাটক বুঝে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। তাই তো সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন সাধারণ মানুষ।’’

    ‘‘মমতার যাওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হল…’’

    এর সঙ্গেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘আগামীদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য ছেড়ে পালাতে হবে। সেক্ষেত্রে ওনার যাওয়ার একটাই জায়গা, সেটা হল বাংলাদেশ। তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে চেয়েছিলেন, এবার হয়তো সেই শখ পূরণ হতে চলেছে। তবে এ বাংলায় নয়, বর্তমানে অরাজকতার বাংলাদেশ। বাংলাদেশে গিয়ে জামাত, মৌলবীদের সঙ্গে মিলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তিনি। তবে, আমরাও কথা দিচ্ছি ভারতবর্ষ তথা বাংলা থেকে বিতাড়িত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য না হয় স্লোগান দেব ‘জয় বাংলা’। সঙ্গে গান করব এক্কেবারে মানাইছে না রে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: “মমতার ওপর থেকে বিশ্বাসটাই হারিয়ে গিয়েছে”, বলছেন নির্যাতিতার বাবা

    RG Kar Case: “মমতার ওপর থেকে বিশ্বাসটাই হারিয়ে গিয়েছে”, বলছেন নির্যাতিতার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ওপর থেকে বিশ্বাসটাই হারিয়ে গিয়েছে।” আরজি করকাণ্ডে (RG Kar Case) এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন খুন হওয়া ট্রেনি চিকিৎসকের পরিবার। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “সিবিআই অন্তত চেষ্টাটা তো করছে। পুলিশ তো তাও করেনি।” সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের হাতে তিনি তাঁর মেয়ের লেখা ডায়েরির একটি পাতাও তুলে দিয়েছেন। তবে তাতে কী লেখা রয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেননি শোকগ্রস্ত বাবা।

    ‘হারিয়েছে বিশ্বাস’ (RG Kar Case)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারের তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগে ওঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) পুরোপুরি বিশ্বাস করতাম। কিন্তু এখন আর নয়। ওঁর ওপর ভরসা নেই। উনি বিচার চাইছেন। সেটা চাইতে গিয়ে তিনি কী বলছেন? তিনি চার্জ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি কিছুই করছেন না।” নির্যাতিতা ওই চিকিৎসকের বাবা বলেন, “ওঁরা বলছেন, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। একই কথা তো বলছেন সাধারণ মানুষও। তাঁরা ওঁদের লকআপে ভরার চেষ্টা করছেন।” ইঙ্গিত স্পষ্ট। তবে তিনি অবশ্য ফুটবলপ্রেমীদের অবরোধে পুলিশের লাঠিচার্জের বিষয়টির উল্লেখ করেননি (রবিবার যুবভারতীতে ক্রীড়াপ্রেমীদের অবরোধে লাঠিচার্জ করে পুলিশ)।

    ‘সব প্রকল্প ভুয়ো’

    খুন হওয়া চিকিৎসকের (RG Kar Case) বাবা যখন মমতার ওপর আস্থা হারিয়েছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পকে ভুয়ো বলে আক্রমণ শানালেন ওই চিকিৎসকের মা। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত প্রকল্প – কন্যাশ্রী প্রকল্প, লক্ষ্মী প্রকল্প – সব, সব ভুয়ো। যাঁরা এই সব প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন, তাঁরা দয়া করে ভেবে দেখুন আপনাদের ঘরের লক্ষ্মী নিরাপদে আছে তো?” তিনি বলেন, “উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলেছিলেন দোষীরা দ্রুত ধরা পড়বে। কিন্তু আমরা কী দেখলাম? এখনও পর্যন্ত মাত্র একজন ধরা পড়েছে। আমি নিশ্চিত, হাসপাতালের আরও অনেকেই এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমার মনে হয়, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদীদের থামিয়ে দিতে চাইছেন। সেই কারণেই পুলিশ প্রতিবাদ আন্দোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।”

    আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু-সুখেন্দুর পর ‘বিদ্রোহী’ সাবিনাও, পায়ের তলার মাটি সরছে তৃণমূলের!

    কলকাতা পুলিশকেও একহাত নিয়েছেন খুন হওয়া চিকিৎসকের মা। তিনি বলেন, “কলকাতা পুলিশ যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত বন্ধ করে দিতে চাইছে।” তাঁর অভিযোগ, পুলিশ ঠিকঠাক তদন্ত করছে না। প্রসঙ্গত, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) স্বয়ং। ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন করা হয় বছর একত্রিশের এক ট্রেনি চিকিৎসককে। তার জেরে তোলপাড় দেশ (RG Kar Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar: ৭ দিনেও কোনও পদক্ষেপ নেই! আরজি কর-কাণ্ডের দ্রুত বিচার চেয়ে মমতাকে চিঠি হরভজনের

    RG Kar: ৭ দিনেও কোনও পদক্ষেপ নেই! আরজি কর-কাণ্ডের দ্রুত বিচার চেয়ে মমতাকে চিঠি হরভজনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar) তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে তোলপাড় গোটা দেশ। ঘটনার বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে আমজনতা। এবার এই জঘন্য ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হলেন হরভজন সিং (Harbhajan Singh)। আরজি কর কাণ্ডে সুবিচারে দেরি হওয়া নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন তিনি।   

    খোলা চিঠি হরভজনের (Harbhajan Singh)

    আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও দেশের নাগরিকদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছেন হরভজন সিং। আরজি করের ঘটনা ঘটেছে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন এখনও পর্যন্ত দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি সেই প্রশ্ন তুলে তিনি  লিখেছেন, “অবর্ণনীয় অত্যাচার, যা আমাদের সকলের অন্তরাত্মাকে নাড়িয়ে দিয়েছে, এটা শুধু কোনও একজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনই নয়, বরং আমাদের সমাজের প্রত্যেক নারীর সম্মান ও সুরক্ষায় আঘাত। এটা সমাজের গভীরে লুকিয়ে থাকা সমস্যারই প্রতিফলন। মেডিক্যাল প্রতিষ্ঠান, যেখানে চিকিৎসা ও জীবন রক্ষা করা হয়, তার ভিতরেই যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তবে তা একইসঙ্গে ভয়ঙ্কর এবং অগ্রহণযোগ্য। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা এমনিই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে কাজ করেন। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে, কীভাবে তারা নিষ্ঠার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পূরণ করবেন? যেখানে তাদেরই নিরাপত্তার গ্যারান্টি নেই। এই ঘটনার সুবিচারের জন্য চিকিৎসকরা প্রতিবাদে পথে নেমেছেন।  চিকিৎসকদের এই লড়াইকে আমি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।” 

    সিবিআই-কে দ্রুত পদক্ষেপ করার অনুরোধ 

    নিজের খোলা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছেও আর্জি জানিয়েছেন হরভজন (Harbhajan Singh)। গোটা দেশকে নারীদের জন্য সুরক্ষিত করা হোক, প্রার্থনা তাঁর। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের ঘটনা (RG Kar Incident) সংবাদপত্র ও টেলিভশন চ্যানেলে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সব রাজ্যের সরকারকেই কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা না ঘটে। পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। এখন না নিলে আর কবে?” 

    আরও পড়ুন: হিন্দু পরিচয় দিয়ে, তিলক পরে তরুণীকে ধর্ষণ উত্তরপ্রদেশে

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে আগেই সরব হয়েছিলেন জশপ্রীত বুমরাহ, ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ সিরাজের মতো ব্যক্তিত্বরা। আর এবার ইনস্টাগ্রামে সরব হলেন জোড়া বিশ্বকাপজয়ী হরভজন।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share