Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Illegal Bangladeshi: অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ীরা?

    Illegal Bangladeshi: অবৈধ বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমদানি হয়েছে বাংলার ভাষার উপর সন্ত্রাসের এক নতুন তত্ত্ব। এই তত্ত্বে আবার সিলমোহর দিয়ে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাকও দিয়েছেন মাননীয়া। আপনারা নিশ্চয় জানেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে দেশজুড়ে চলছে অভিযান। পদ্মা পার থেকে আসা বাংলাদেশিরা বাংলাতেই কথা বলেন। ঠিক আমি আপনি যেমন বলি। আবার তাদের শারীরিক গঠনও পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের সঙ্গেই মিলে যায়। দিনকয়েক আগেই গুরগাঁও পুলিশের হাতে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে, যাদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত রাখা হয় ১০ জনকে, বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কারণ, এই ১০ জন ছিল সবাই অনুপ্রবেশকারী। The Wire সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে (Illegal Bangladeshi)।

    অভিযানে সবচেয়ে বেশি খুশি বাঙালি পরিযায়ীরাই

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Bangladeshi) বিরুদ্ধে এই অভিযান শুধুমাত্র যে বিজেপি শাসিত রাজ্যে চলছে, এমনটা নয় — দেশজুড়েই চলছে। সিপিএম শাসিত কেরালা কিংবা ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ুতেও চলছে। আর সত্যি কথা বলতে, এই অভিযানে সবচেয়ে বেশি খুশি বাঙালি পরিযায়ীরাই। অনেকেই বলছেন, সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরিয়ে দিতে ভিনরাজ্যের প্রশাসনকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে আমাদের রাজ্যের পরিযায়ীরাই। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসন কখনোই সেই খবরদাতাদের পরিচয় প্রকাশ করছে না। কেন জানেন? একেবারে নিরাপত্তার স্বার্থে। আপনাদের কৌতূহল জাগছে, কেন বাঙালি পরিযায়ীরা ধরিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজব আজ। এক কথায়, এর উত্তর হচ্ছে — বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভিড়ে একের পর এক কাজ হারাচ্ছিলেন বাংলার হতভাগ্য পরিযায়ী শ্রমিকরা। স্বাভাবিক, এটাই। পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। তাই নিজেদের পেট বাঁচাতেই তারা ভিনদেশী অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে তাঁরা প্রশাসনকে খবর দিচ্ছেন।

    বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক এখন কত বলা মুশকিল

    জানেন কি এই মুহূর্তে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ঠিক কত — সঠিক তথ্য কারও কাছেই নেই। ২০১১ সালে হয়েছিল শেষ জনগণনা। তখন বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিক সংখ্যা কত ছিল তা জানা গিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই সংখ্যা নেই কারও কাছেই। সে সময় বাংলা ছিল সারা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থানে। তার আগে ছিল উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান। মানে, একদা যে রাজ্যগুলোকে বিমারু রাজ্য বলা হত (West Bengal)। তবে গত এক দশকে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান তড়তড়িয়ে এগিয়ে গেছে, আর পিছিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০২৬ সালের জনগণনা যতক্ষণ না হয়, বলা খুব মুশকিল যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক এখন কত (Illegal Bangladeshi)।

    নোংরা ঘেঁটে বিক্রয় যোগ্য জিনিস সংগ্রহ করেন বাঙালি পরিযায়ীরা

    ইতিমধ্যে ‘The Indian Journal of Labour Economics’-এ একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষার শিরোনাম ছিল Bengali Migrant Workers in South India। এখানে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তাতে চোখে জল আসবে আপনারও। কি বলা হয়েছে জানেন? বলা হয়েছে, বাঙালি পরিযায়ীদের একটা বড় অংশ “Rag Pickers” — মানে, আস্তাকুঁড় থেকে নোংরা ঘেঁটে যা কিছু বিক্রয়যোগ্য জিনিস, তা সংগ্রহ করেন এবং সেগুলো তাঁরা মহাজনের কাছে পৌঁছে দেন। এভাবেই চলে তাঁদের পেট। এই আস্তাকুঁড়ের নোংরা ঘেঁটে যারা বিক্রয়যোগ্য জিনিস সংগ্রহ করে, তাঁদের ৭৮.৬ শতাংশই একেবারে নিরক্ষর।

    বাঙালি রক্ষার জিগির তুলে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছেন মমতা

    কয়েকদিন আগে গুরগাঁওয়ের যে খাটোলা গ্রাম থেকে বাংলাভাষীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানকার পরিচিতিও “Bengali Rag Pickers’ Colony” হিসেবে দেওয়া হয়। ভিনদেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা এখানেই ভিড় জমাতে শুরু করেছিলেন। যার ফলে কাজ হারাচ্ছিলেন বাংলার হতভাগ্য পরিযায়ীরা। তাই স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের পেট বাঁচাতে ও স্বার্থ রক্ষায় তাঁরা যা করার, সেটাই করেছেন। আসলে মমতা ব্যানার্জী বাঙালি রক্ষার জিগির তুলে নিজের ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচাতে চাইছেন। তাঁর এই খেলা ধরে ফেলেছেন বাংলার গরিব পরিযায়ীরা। তাই নিজেদের কাজ বাঁচাতে তাঁরাই এখন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করছেন।

  • Suvendu Adhikari: সরকারেই বাঙালিরা উপেক্ষিত,  কার স্বার্থে আন্দোলন? মমতার রাজনীতি নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সরকারেই বাঙালিরা উপেক্ষিত,  কার স্বার্থে আন্দোলন? মমতার রাজনীতি নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে বাঙালি অস্মিতা নিয়ে নতুন রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে। বুধবার এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এতই যদি বাঙালিদের সম্মান নিয়ে চিন্তিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে কেন যোগ্য বাঙালি দক্ষ অফিসারদের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। ভিন রাজ্যে বাঙালি হেনস্থার অভিযোগে তৃণমূল পথে নেমেছে বুধবার। ঠিক তখনই মমতার বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা হাঁটছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাপোর্ট করে। কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানের নাম ভোটার লিস্টে থাকতে পারে না। বিহারে যদি ৩০ লাখ বাদ চলে যায়, এখানে ৯০ লক্ষ আছে।”

    প্রশাসনিক পদে বাঙালিদের অবহেলা কেন

    বছর ঘুরলে বিধানসভা ভোট। ভিন রাজ্যে বাংলাভাষী শ্রমিকদের হেনস্থা, এই অভিযোগে বুধবার শহরে মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঙালি অস্মিতা নিয়ে শাসকদলকে পাল্টা নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা। তৃণমূলের পথে নামার আগেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোশাল মিডিয়ায় একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “বাঙালি অস্মিতার রাজনৈতিক ভাষ্য তৈরি করতে উদ্যত তৃণমূল কংগ্রেস। কাদের স্বার্থে? বাংলাভাষী রোহিঙ্গাদের স্বার্থে? নাকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের স্বার্থে? দুর্নীতির জন্যে শিক্ষকতার চাকরি হারিয়ে রাজপথে বাংলা ভাষায় আর্তনাদ করছে, তাঁদের কথা কানে পৌঁছচ্ছে না কেন? আপনার সরকার ও প্রশাসন যোগ্য ও দক্ষ বাঙালি অফিসার থাকা সত্ত্বেও তাঁদের উপেক্ষা করে। বাইরের লোকেদের খোঁজে, যারা শুধুমাত্র আপনাদের কথায় উঠবে বসবে, তখন কোথায় যায় বাঙালি অস্মিতা? কেন অত্রি ভট্টাচার্য এবং সুব্রত গুপ্ত উপেক্ষিত হলেন এবং মনোজ পন্থকে মুখ্যসচিব করা হল? তিনি আবার এই দুই যোগ্য বাঙালি অফিসারের তুলনায় জুনিয়র। কেন পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে সিনিয়র আইপিএস অফিসার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে উপেক্ষা করা হয়েছে? কেন ভিনরাজ্য থেকে আসা তাঁর জুনিয়র রাজীব কুমারকে ডিজিপি পদে বসানো হয়েছে?”

    বাংলায় বাদ যাবে ৯০ লক্ষ ভোটার

    বিজেপি বিধায়ক সরাসরি দাবি করেছেন, “মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনে গেছেন। ভোট ছাড়া তাঁর কাছে আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাঙালি অস্মিতার মোড়কে আসলে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে।” শুভেন্দুর দাবি, শেষ জনগণনায় দেখা যাচ্ছে জাতীয় গড়ের থেকে পশ্চিমবঙ্গের গ্রোথ ১০ শতাংশ বাড়ানো। আর ভোটার তালিকায় ১৬ থেকে ২৫। সাংবাদিক বৈঠকে একেবারে পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন, “জাতীয় গ্রোথ যেখানে ৭ শতাংশ, সেখানে ৯টি বাংলাদেশ বর্ডার জেলায় গড় বৃদ্ধি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ মমতার আমলে মেখলিগঞ্জে ২৪.৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি। মাথাভাঙায় ২১.৭৯। কোচবিহার উত্তর ১৯.৫৯, কোচবিহার দক্ষিণ ১৯.৭৯, শীতলকুচি ২৪.৬২, দিনহাটা ২৫.৯৩, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জ. কুমারগ্রামে ২১.১০।” এরপরই আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে বলেন, “রোহিঙ্গা মুসলমানদের হাতে বাংলা যেতে দেওয়া হবে না। কোনও ভারতীয় হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান, জৈন, পারসি, বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। সব ধর্মের লোক থাকবে। কিন্তু কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না।”

    বিএসএফ-এর দায় নেই

    মমতা যখন অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএসএফ-এর দিকে দায় ঠেলছেন সেই সময় শুভেন্দু কিন্তু অন্য চাল দিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন অনুপ্রবেশ বিএসএফ-এর দায়িত্ব। আমি বলছি, আপনি কেন্দ্রকে ৫৪০ কিলোমিটার জায়গা দেননি কেন? ২০১৬ সাল থেকে বারংবার ভারত সরকার স্বরাষ্ট্র দফতর এবং অনুরোধ করা সত্ত্বেও। আপনি বিএসএফ-কে সম্পূর্ণ জমি দিয়ে, তাতে কাঁটাতার লাগানোর সময় দিয়ে, তারপর বিএসএফ-র দিকে আঙুল তুলুন। আমরাও না হয় তখন সমর্থন করব।’

     

     

  • Kasba Gangrape: “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, তবু নিরাপদ নন বাংলার মেয়েরা”! কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি বিজেপির

    Kasba Gangrape: “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, তবু নিরাপদ নন বাংলার মেয়েরা”! কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। তা সত্ত্বেও মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার। এক বছরের মধ্যে শহরের বুকে দুটি ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কসবার (Kasba Gangrape) সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করল বিজেপি (BJP Fact Finding Team)। গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে বিজেপির চার সদস্যের একটি দল কলকাতায় এসেছে। সেই দলে রয়েছেন সৎপাল সিং, মীনাক্ষী লেখি, বিপ্লব দেব এবং মনন মিশ্র। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    ঘটনাস্থলে যাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনা লজ্জার। কলকাতায় এসে এমনই মন্তব্য করল বিজেপির চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম৷ বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৎপাল সিং৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ তাঁদের তরফে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা খারিজ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি, ঘটনাস্থল কসবা ল’ কলেজে যাওয়ার অনুমতিও কলকাতা পুলিশের তরফে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন সৎপাল। তবে, তাঁরা মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন৷ সেই মতো চিঠিও পাঠানো হয়েছে৷ মুখ্যসচিব এবং কমিশনার কেউ দেখা না-করলে, সোজা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার কথা জানিয়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি৷

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে বিজেপির মুখপাত্র গৌরব বল্লভ বলেছেন, ‘মহিলা মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নারীদের উপর শোষণ ও অত্যাচারের নিরিখি পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে। প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। নারীদের উপর অত্যাচার আর তৃণমূল এখন সমার্থক হয়ে উঠেছে। দলটির নেতারা সবসময় অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করে। তারা নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ায় না। আমরা অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করছি।’ কসবার কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র সহ মোট চারজনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ২৫ জুন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। নির্যাতিতা অভিযোগপত্রে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছেন ‘জে’, ‘এম’, এবং ‘পি’ নামে।

    মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনা লজ্জার

    এ নিয়ে ত্রিপুরা পশ্চিমের সাংসদ বিপ্লব দেব বলেন, “বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা একেবারেই নেই ৷ বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে৷ তাও কি না, মেডিক্যাল কলেজ ও ল’ কলেজে৷ একজন ছাত্রী পরবর্তী সময়ে যিনি অন্য মেয়ের অধিকারের হয়ে আইনি লড়াই লড়বেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হচ্ছে ৷ এটা খুবই লজ্জাজনক৷ বিশেষ করে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা৷ সেখানে মহিলাদের নিরাপত্তার এই হাল ৷” প্রতিনিধি দলের সদস্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি বলেন, “এমন একটা প্রশাসন চলছে, যেখানে বারবার মহিলাদের সঙ্গে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে৷ আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা ৷ সেখানে এই ঘটনা খুবই লজ্জাজনক৷ আর এখানকার প্রশাসনিক আধিকারিকরা আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চান না৷ সেখানে রাজ্যের মানুষের কী অবস্থা, তা বোঝাই যাচ্ছে ৷ আমরা ঘটনাস্থলে যাব, খতিয়ে দেখব পুরো বিষয়টা৷”

    রাজ্যে অরাজকতা চলছে

    সাংসদ সত্যপাল সিং বলেন, “আমরা নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করব। এই ধরনের ঘটনার থেকে দুর্ভাগ্যের কিছু হয় না। পুলিশের কী ভূমিকা ছিল, সেটাও দেখা হবে। আমি বিশ্বাস করি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেবেন।” ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্য বলেন, “এই রাজ্যে অরাজকতা চলছে। রাজ্য পহেলগাঁওতে টিম পাঠাতে পারে, হাথরসে টিম যেতে পারে, কিন্তু অন্য দলের কোনও টিম আসবে, তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে না। মুখ্যসচিব দেখা করবেন না। ডিজিপি দেখা করবেন না। এটা অগণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা।” উল্লেখ্য, সোমবার কসবা কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। ঘটনায় বিচারপতি সৌমেন সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবীরা। তাঁরা আদালতের নজরদারিতে তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করারও দাবি জানান তাঁরা। আদালত সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টে তিনটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Suvendu Adhikari: মমতা জমানায় অসুরক্ষিত মা-বোনেরা! কন্যা সুরক্ষা যাত্রার ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতা জমানায় অসুরক্ষিত মা-বোনেরা! কন্যা সুরক্ষা যাত্রার ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘বাংলায় কোনও কন্যা, বোন, মেয়ে, মা কেউ নিরাপদ নন। হাঁসখালি থেকে শুরু করে কালিয়াগঞ্জ, আরজি কর, সমস্ত ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বলে এসেছেন, লাভ-অ্যাফায়ার, অন্তঃসত্ত্বা। টাকা দিয়ে দিলেই নাকি হয়ে যাবে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) যতক্ষণ না সরানো হবে ততক্ষণ কেউ নিরাপদ নয়।’’ কসবার ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এভাবেই মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি কন্যা সুরক্ষা যাত্রা করবেন বলেও জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দিঘার রথযাত্রা নিয়েও তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। বলেন, ‘‘দিঘা ফাঁকা দেখে পালিয়ে গিয়েছেন মমতা। রথের চাকাও গড়ায়নি, নারকেলও ফাটেনি।’’

    রাজ্যের কন্যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  আমলে সুরক্ষিত নয়, বললেন শুভেন্দু

    রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘কসবাতে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। সামগ্রিকভাবে আমাদের রাজ্যের কন্যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে সুরক্ষিত নয়। আগামী দিনে কয়েক সপ্তাহে যত আমার কর্মসূচি হবে, আমি কন্যা সুরক্ষা যাত্রা করব।’’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করছে। কসবার সাম্প্রতিক ঘটনার পর তিনি আরও এক ধাপ এগিয়ে দাবি করেন, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত সমাজ বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

    প্রতিকার একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সরাতে হবে

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় যে সারা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল, তার প্রভাব দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও পৌঁছেছিল। কিন্তু সেই ঘটনার মাত্র দশ মাসের মাথায় ফের এক কলেজ চত্বরে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় আবারও প্রশ্ন উঠছে—নারী নিরাপত্তা কোথায়? শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সাফ কথা, ‘‘এর প্রতিকার একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সরাতে হবে। না হলে যা চলছে তা চলতেই থাকবে, কোনও দিনই থামবে না। তিনদিনের মিছিল, পাঁচটা টক-শো করে কোনও লাভ হবে না।’’

  • Books Written by Mamata: বইয়ের রয়্যালটিতেই তাঁর চলে! তাই কি সরকারের টাকায় মমতার বই কিনছে সরকারি স্কুলগুলি?

    Books Written by Mamata: বইয়ের রয়্যালটিতেই তাঁর চলে! তাই কি সরকারের টাকায় মমতার বই কিনছে সরকারি স্কুলগুলি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা (Books Written by Mamata) গর্ব করে দাবি করেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি নাকি এক টাকাও বেতন নেন না। তাঁর যা আয়, সবটাই নাকি ছবি এঁকে, গল্প-কবিতার বই লিখে। সেগুলি বেচে যে রয়্যালটি হয়, তাতেই তাঁর চলে যায়। চিটফান্ড বিতর্কের পর এখন অবশ্য আঁকার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। এবার থেকে রাজ্যের স্কুলগুলির লাইব্রেরিতে থাকবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই। স্কুলে-স্কুলে পৌঁছল সেই তালিকাও। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ১৯টি বই এবার রাখতেই হবে রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুলের গ্রন্থাগারে। শিক্ষা দফতরের এমনই নির্দেশ। বইয়ের তালিকাও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকী, কোন প্রকাশনার বই, তাও উল্লেখ করা রয়েছে নির্দেশিকায়। (মমতার ১৯টি সহ) সবমিলিয়ে স্কুলের লাইব্রেবিতে মোট ৫১৫টি বই রাখতে হবে। এর জন্য স্কুলগুলিকে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে বই কেনার জন্য। রাজ্য পরিচালিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের সংখ্যা প্রায় ২০২৬। যদি ধরা যায় সকলে এক লক্ষ করে পাবে, তাহলে সরকারি কোষাগারে খরচ ২০ কোটি। এখন প্রশ্ন সরকারি টাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার লেখা বই কিনবে রাজ্য সরকারি ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি। সেই টাকা পাবে প্রকাশনা সংস্থাগুলি। সেই প্রকাশনা থেকে রয়্যালটি বাবদ টাকা পাবেন বইয়ের লেখিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে, কোথাকার টাকা কোথায় গেল? আর মমতা যদিই বা সেই টাকা আবার পার্টি ফান্ডে দান করেন, তাহলে কী দাঁড়াল, বুঝতেই পারছে সকলে। তাই ইতিমধ্যেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক।

    কী রয়েছে নির্দেশিকায়

    জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর (Books Written by Mamata) লেখা ‘মা’ থেকে ‘কথাঞ্জলী’, সব বই রাখতে হবে সরকারি স্কুলের গ্রন্থাগারে। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ৫১৫টি বই স্কুলকে কিনে রাখতে হবে গ্রন্থাগারে। এই ৫১৫টি বইয়ের মধ্যে ১৯টি বই মুখ্যমন্ত্রীর। ইতিমধ্যেই গ্রন্থাগারের জন্য স্কুলে-স্কুলে গিয়েছে ১ লক্ষ টাকা। তারপর পৌঁছে গেল বইয়ের তালিকাও। বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, প্রথমে মমতার লেখা বই পৌঁছবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। বইয়ের প্রথম সেট পৌঁছবে আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, মালদহ, শিলিগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরে। এরপর দ্বিতীয় সেট পৌঁছবে, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার স্কুলগুলিতে। তৃতীয় সেট পৌঁছবে, হুগলি, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে। এরপর চতুর্থ সেট পৌঁছবে, ব্যারাকপুর, হাওড়া, কলকাতা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। সব শেষে বই পৌঁছবে, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুরে। রাজ্যের ২,০২৬টি স্কুলের পাঠাগারে বই কিনতে ২০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে স্কুলশিক্ষা দফতর। সেই হিসেবে প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ ১ লক্ষ টাকা। স্কুলগুলিতে বইয়ের তালিকাও পাঠানো হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর লেখা কোন কোন বই তালিকায় আছে?

    ১) কন্যার চোখে কন্যাশ্রী।
    ২) বিকেলটা হারিয়ে গিয়েছে।
    ৩) আমার পাহাড়।
    ৪) আমার জঙ্গল।
    ৫) চোখের তারা।
    ৬) জীবন সংগ্রাম।
    ৭) কুৎসাপক্ষ।
    ৮) এক পলকে, এক ঝলকে।
    ৯) সোজাসাপটা।
    ১০) কথায় কথায়।
    ১১) পরিবর্তন।
    ১২) নন্দীমা।
    ১৩) অনশন কেন?
    ১৪) জাগো বাংলা।
    ১৫) একান্তে।
    ১৬) আন্দোলনের কথা।
    ১৭) অশুভ সংকেত।
    ১৮) অনুভূতি।
    ১৯) সেরা মমতা একত্র।

    কোন প্রকাশনা থেকে কিনবেন

    শুধু বইয়ের নাম নয়, রাজ্যের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, বইগুলি কোন কোন প্রকাশনা সংস্থা থেকে কিনতে হবে, তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকাশকদের মধ্যে রয়েছে কিছু নামকরা সংস্থা, যারা মুখ্যমন্ত্রীর বই প্রকাশ করে। এই নিয়মের ফলে ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় থাকবে বলে সরকারের দাবি। তবে, কিছু শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন, নির্দিষ্ট প্রকাশকদের থেকে বই কেনার বাধ্যবাধকতা স্কুলের স্বাধীনতাকে কিছুটা সীমাবদ্ধ করছে। শিক্ষাবিদ ও সমালোচকরা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আরও বলেছেন লাইব্রেরিতে বই নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র্য থাকা উচিত ছিল। শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির লেখা বইয়ের উপর এতটা জোর দেওয়া শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি সীমিত করতে পারে। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, বিশ্বসাহিত্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস বা অন্যান্য বিষয়ের বইয়ের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর বইয়ের উপর এতটা গুরুত্ব দেওয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত।

    শিক্ষক মহলের তীব্র বিরোধিতা

    শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেছেন, “আমরা নজিরবিহীন এই নির্দেশের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই শর্ত তুলে নিতে হবে। পরাধীন ভারতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর থাকাকালীন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে অর্থ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার স্বাধিকার হরণের শর্ত দিয়েছিল ইংরেজ শাসক। আশুতোষ মুখোপাধ্যায় তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। (অথচ) আজ আমরা স্বাধীন দেশে শাসকের একইরকম পদধ্বনি শুনছি। এ অত্যন্ত লজ্জার। লাইব্রেরির মতো পবিত্র জায়গায় সরকারি অনুদানের সঙ্গে কোনও শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে আমরা। পাশাপাশি এই শর্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।” বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “সরকারি পয়সায় আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই বিভিন্ন বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে পাঠানো হচ্ছে শুনে অবাক হলাম। এটা বিস্ময়কর ঘটনা। এটা মনে করতে পারছি না আমাদের রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী এর আগে কিংবা অন্য রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকাকালীন এই ধরনের ঘটনা পূর্বে ঘটিয়েছেন কি না। আমরা এটা ক্ষমতার অপব্যবহার বলে মনে করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন ছাড়াই যদি শিক্ষা দফতর এই সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে মুখ্য়মন্ত্রীর উচিত শিক্ষা-দফতরকে নির্দেশ দেওয়া যাতে তাঁর লেখা বই গ্রন্থাগারে না যায়।”

  • Rath Yatra: মালদায় ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো রথের মেলার অনুমতি দিল না মমতা-পুলিশ

    Rath Yatra: মালদায় ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো রথের মেলার অনুমতি দিল না মমতা-পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৬০০ বছরেরও বেশি পুরনো রথের মেলার অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ উঠল মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, মালদার কালিয়াচকের জালালপুরে মন মহাপ্রভু মন্দির সংলগ্ন এলাকায় প্রতিবছর আয়োজিত হয় এই ঐতিহ্যবাহী রথের মেলা (Rath Yatra)। চলতি বছর মেলার উদ্যোক্তাদের কালিয়াচক থানা থেকে জানানো হয়েছে, মেলা করা যাবে না। রথের মেলা বন্ধ হতেই মমতা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই বলছেন, মমতা জমানায় কেন বারবার কোপের মুখে পড়তে হচ্ছে হিন্দু উৎসবকে? এর কারণ কি তোষামোদের রাজনীতি? মুসলিম-তোষণ, মুসলিমদের কোনও পরবে কোনও বাধা নেই। হিন্দুদের উৎসব হলেই আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার আশঙ্কা কেন থাকে প্রশাসনের?

    প্রশাসনের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ উদ্যোক্তারা (Malda News)

    এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন উদ্যোক্তারা। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা দাবি করেছেন, আইন-শৃঙ্খলার অজুহাতে মেলার অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন। তবে এখানেই থেমে থাকবেন না বলেও জানান তাঁরা। উদ্যোক্তারা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। স্থানীয় গবেষকদের মতে, কালিয়াচকের জালালপুরে মন মহাপ্রভু মন্দিরের এই রথের মেলা চলতি বছরে ৬২৯ বছরে পা দিতে চলেছে। প্রতি বছর রথ যাত্রার (Rath Yatra) দিন থেকেই শুরু হয় এই মেলা। রথের দড়িতে টান পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জমে ওঠে মেলা। সেই সময় দোকানপাট, মিষ্টির দোকান, নাগরদোলা সহ নানা কিছুর সমাহারে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

    পুলিশের যুক্তি

    তবে এবারই প্রথম, যখন এই মেলার অনুমতি দিল না পুলিশ (Malda News)। উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁরা পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অনুমতির জন্য আবেদন করেন। পুলিশ রথযাত্রার (Rath Yatra) অনুমতি দিলেও মেলার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রথের মেলাকে ঘিরে অসামাজিক কার্যকলাপ হতে পারে। এমনকি, অতীতে মেলাকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনাও ঘটেছে বলে দাবি তাদের। তাই আইন-শৃঙ্খলার কারণ দেখিয়েই মেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

    অযৌক্তিক কথা বলছে পুলিশ! দাবি উদ্যোক্তাদের

    এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ উদ্যোক্তারা। তাঁদের অভিযোগ, কয়েক শতাব্দী পুরনো ঐতিহ্যবাহী মেলার (Rath Yatra) বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, তাঁরা আরও বলেন, পুলিশের কাজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা—সেই কাজে ব্যর্থ হলে মেলাকে দায়ী করা যায় না। তাঁদের প্রশ্ন, হাসপাতালেও তো প্রতারণা হয়, তবে কি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হবে? উদ্যোক্তারা আরও জানান, এই মেলা শুধুই ধর্মীয় উৎসব নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্থানীয় অর্থনীতি। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বহু মানুষ মেলায় অংশগ্রহণ করেন। এলাকার বহু মানুষের জীবিকা এই মেলার উপর নির্ভরশীল। তাই মেলার অনুমতি আদায়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

    ঐতিহ্যবাহী রথের মেলা

    প্রসঙ্গত, কালিয়াচকের এই রথযাত্রা (Rath Yatra) ও মেলা অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীন। গবেষকদের দাবি, বেণীমাধবের পঞ্জিকাতেও এই রথযাত্রার উল্লেখ রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এটি ‘জালালপুর রথযাত্রা’ নামেই পরিচিত। শুধু মালদা নয়, প্রতিবছর আশপাশের জেলা থেকেও বহু মানুষ এই রথ ও মেলা উপলক্ষে এখানে ভিড় জমান। মেলাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবের জন্য নিজস্ব জমিও রয়েছে এবং তা দেবোত্তর সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত। তবু এবছর সেই মেলার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

    রথযাত্রা উৎসব কমিটির সম্পাদক কী বলছেন?

    রথযাত্রা উৎসব কমিটির সম্পাদক গৌতম মণ্ডল জানান, প্রতি বছর ৯ দিন ধরে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয় এবং এতে বিপুল জনসমাগম হয়। তবে এবারে পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর। তাই বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এখনও পর্যন্ত অনুমতি মেলেনি। গৌতম মণ্ডলের আশঙ্কা, যদি উৎসব বন্ধ হয়ে যায়, তবে দেবোত্তর জমি দখল করে সেখানে জমি মাফিয়ারা প্লট তৈরি করে বিক্রি করতে পারে।

    কী বলছে বিজেপি?

    উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি পুলিশ অনুমতি না দেয়, তাহলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন এবং প্রয়োজনে আন্দোলনেও নামবেন। পুলিশের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে গেরুয়া শিবির। মালদা দক্ষিণ বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ শাসকদলের তাঁবেদারি করছে। তাঁর দাবি, দেবোত্তর জমির উপর এই রথযাত্রা উৎসব হয়, তা দখল করতে জমি মাফিয়াদের সাহায্য করছে পুলিশ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘উদ্বেগজনক আইনশৃঙ্খলা, মোতায়েন করুন আধাসেনা’’, শাহকে সুকান্তর চিঠি

    Sukanta Majumdar: ‘‘উদ্বেগজনক আইনশৃঙ্খলা, মোতায়েন করুন আধাসেনা’’, শাহকে সুকান্তর চিঠি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পশ্চিমবঙ্গে যে সমস্ত স্পর্শকাতর অঞ্চল রয়েছে, সেগুলিতে আধাসেনা মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বজবজে সুকান্ত মজুমদারের দিকে জুতো ছোড়া হয়। এরপর শুক্রবার কলকাতায় পুলিশ প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হতে হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি‌কে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুকান্ত মজুমদার এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

    কী লেখা হল চিঠিতে?

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবারে তাঁর (Sukanta Majumdar) সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা এবং শুক্রবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন সহ অন্যান্য কর্মসূচির সময় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তিনি চিঠিতে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুলিশের শীর্ষকর্তারা তাঁদের কর্তব্যে গাফিলতি করছেন। শুক্রবার নেতাজি ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে অন্যায়ভাবে আটকানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পরবর্তীকালে, চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার পথেও তাঁকে বেআইনিভাবে আটকানো হয় এবং পরে গ্রেফতার করা হয় সেটিও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, চিঠির একেবারে শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এর পাশাপাশি, জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধাসেনা মোতায়েনের কথা বলেছেন তিনি।

    জেলা প্রশাসন কর্তব্যে গাফিলতি করছে, অভিযোগ সুকান্তের

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, জেলা প্রশাসন কর্তব্যে গাফিলতি করছে এবং নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়াও, যে সমস্ত আধিকারিক কর্তব্যে গাফিলতি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) হেফাজতে নেওয়ার পরে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি‌কে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন ও মমতা সরকারকে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    লালবাজার থেকে ছাড় পেয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। গণতন্ত্র আরও একবার ভূলুণ্ঠিত হল রাস্তায়।’’ তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিবেশী চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করিয়েছেন। যে ব্যক্তি তাঁর নিজের প্রতিবেশি হতে পারে না, সে কি জনগণের হতে পারে? আমি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে এই প্রশ্নটা করতে চাই, একজন সাংসদ যিনি তাঁর প্রতিবেশীর খবর রাখেন না, প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করান। পুলিশ এখনও পর্যন্ত জানাননি আমাকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে? এরপরই কটাক্ষ করে বলেন, পিসির আঁচলের তলায় থেকে হাডুডু খেলতে বলুন। সকাল বেলায় জিমে গিয়ে ব্যায়াম করতে বলুন এবং সাপ্লিমেন্ট খেতে বলুন ওই দিয়ে ওনার চলবে।’’

    পুলিশকে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    পুলিশের ভূমিকায় চরম ক্ষুব্ধ বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য যেভাবে আমাকে এবং ওই চিকিৎসককে পুলিশ টেনে হিঁচড়ে গাড়ি তুলে থানায় নিয়ে গেল, গ্রেফতার করল তা তো হিটলারের শাসনকেও হার মানাবে। এর বিরুদ্ধে আমি আদালতে যাব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও (Amit Shah) চিঠি করব। স্পিকারকে চিঠি লিখব প্রিভিলেজ মোশন আনার জন্য।’’ সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে তিনি পুলিশকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল, তা সত্ত্বেও খোদ পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হল।’’

    প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন মমতা, অভিযোগ চিকিৎসক রজতশুভ্রের

    প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, সেই চিকিৎসক রজত শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্সফোর্ড সফরে কেলগ কলেজের অনুষ্ঠানে আরজি করের ঘটনায় প্রতিবাদ জানান। বিজেপির দাবি, তারপর থেকেই তাঁকে নজরে রাখছে রাজ্য প্রশাসন। নানাভাবে হেনস্থার চেষ্টাও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম উনি উত্তর দিতে পারেননি। তাই এখানে আসতেই পুলিশ জোর করে থানায় তুলে নিয়ে গেল। এটা প্রতিহিংসা।’’

    আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি চিকিৎসকের

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সুকান্ত মজুমদার চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ জানায়, তিনি বাড়িতে নেই। তবে চিকিৎসক জানান, তিনি সুকান্তের অপেক্ষাতেই ছিলেন। এতে শুরু হয় উত্তেজনা। পুলিশ মিথ্যে বলেছে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। এরপর রজতশুভ্র নিজে বাইরে এসে সুকান্তের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর দু’জনে একটু এগোতেই ভবানীপুর থানার পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। পরিস্থিতি জটিল হতেই দু’জনকেই প্রথমে আটক, পরে গ্রেফতার করা হয়। ক্ষুব্ধ চিকিৎসক এও বলেন, ‘‘আমার দাদু কানাইলাল চট্টোপাধ্যায় স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। উনি ফাঁসিকে ভয় পাননি। সেই রক্ত আমার শরীরেও বইছে। পুলিশ এভাবে ভয় দেখিয়ে থামাতে পারবে না। আমি এতজন ব্রিটিশ নাগরিক। আমার সঙ্গে পুলিশ যেটা করল, তা আইন বিরুদ্ধ কাজ। আদালতে ওদের জবাবদিহি করতে হবে।’’

  • Digha Jagannath Temple: সুতিতে মুসলিম মালিকাধীন দোকানে তৈরি হবে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ! তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    Digha Jagannath Temple: সুতিতে মুসলিম মালিকাধীন দোকানে তৈরি হবে জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ! তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম মালিকাধীন দোকানগুলি থেকে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ তৈরি করছে বলে অভিযোগ (Digha Jagannath Temple)। এ নিয়ে সামনে এসেছে রাজ্য সরকারের একটি নির্দেশিকা, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে মমতা সরকার রেশন ডিলারদেরকে এই নির্দেশ দিচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি ১ নম্বর ব্লকের একটি লিস্ট সামনে এসেছে, যেখানে চারটি দোকানদারকে গজা এবং প্যারা তৈরি করতে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভগবান জগন্নাথের চিরাচরিত প্রসাদ হল এই গজা এবং প্যারা। এই চারটি দোকানের মধ্যে তিনজনের মালিক মুসলমান। এভাবেই মমতা সরকারের এই সিদ্ধান্তে সরব হয়েছে অনেক মহল। অনেকেই সমালোচনার সুরে বলছেন—সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ধরা পড়ছে সংখ্যালঘু তোষণ এবং সরকার এই সংখ্যালঘু তোষণটাও করছে হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত দিয়ে।

    কী বললেন অমিত মালব্য (Digha Jagannath Temple)?

    ভারতীয় জনতা পার্টির আইটিসেলের প্রধান অমিত মালব্য এ নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) মাধ্যমে। সেখানে অমিত মালব্য লিখছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ভাবাবেগকে আঘাত দিয়ে মিষ্টির দোকান এবং রেশন ডিলারদেরকে গজা ও প্যারা প্রসাদ আকারে প্রস্তুত করে বিতরণ করতে বলছেন যাদের বেশিরভাগই মুসলিম সম্প্রদায়ের। এভাবেই তোষণের রাজনীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন বলে অভিযোগ আনেন অমিত মালব্য। তিনি পুরীর জগন্নাথ ধামের সঙ্গে দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের তুলনাও টানেন। বিজেপি নেতা বলেন, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ, যা একটি পুরনো প্রথা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে সেই প্রথা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখানে হিন্দু প্রথা মানা হচ্ছে না, হিন্দু রীতি মানা হচ্ছে না (Digha Jagannath Temple)। সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের শুধুমাত্র ধর্মনিরপেক্ষতার কারণে পর্দার আড়ালে রাখা হচ্ছে।

    কী বলছেন শুভেন্দু অধিকারী?

    অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ঘটনা আসলে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু তোষণ। বিরোধী দলনেতা বলেন, প্রথমত বেআইনিভাবে ওবিসি তালিকা তৈরি করে মুসলিম ভোট নিজের দিকে আনতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দেখা যাচ্ছে, হিন্দুদের পবিত্র রীতিতে আঘাত হানছেন তিনি। এটা কোনও বৈচিত্র্য নয় এটা হচ্ছে হিন্দুদের বিশ্বাসে আঘাত। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে স্থানীয় হিন্দু দোকানদার আছেন যাঁরা চিরাচরিতভাবে মন্দিরের প্রসাদ তৈরি করেন, তাঁদের বাদ দিয়ে মুসলিমদের দিয়ে কাজ করিয়ে নিজের ইমেজ তৈরির চেষ্টা করছেন মমতা। এটা হচ্ছে তোষণের দ্বিতীয় পর্যায়, যেখানে শতাব্দী প্রাচীন হিন্দু রীতিকে (Digha Jagannath Temple) ভেঙেছেন তিনি শুধুমাত্র ভোটের জন্য।

    প্রসাদ তৈরি হয় শ্রদ্ধা ও ভক্তির মাধ্যমে

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে মুর্শিদাবাদ থেকে দীঘা পর্যন্ত হিন্দু ধর্মের নেতারা এবং ভক্তরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীঘার এক স্থানীয় পণ্ডিত বলেন, এটা শুধুমাত্র খাদ্যের বিষয় নয়। নৈবেদ্য, যা ভগবানের উদ্দেশ্যে অর্পণ করা হয়, তা শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে তৈরি করা হয়। যাঁরা এটি তৈরি করেন ভক্তির সঙ্গে করেন। প্রসাদ একটি আধ্যাত্মিক বিষয়। কিন্তু যাঁরা তৈরি করছেন, তাঁরা যদি পবিত্র রীতিতে বিশ্বাস না রাখেন, তাহলে সেই প্রসাদের পবিত্রতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে (Digha Jagannath Temple)।

    কী বলছেন ভক্তরা (Digha Jagannath Temple)

    এই অঞ্চলের ভক্তরা মনে করছেন এইভাবেই পবিত্র ধর্মীয় রীতিনীতি এবং ধর্ম পালনকে রাজনৈতিক প্রভাবে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ জেলার রানি নগরের একজন স্থানীয় বাসিন্দা এই ঘটনায় অবাক হয়ে বলেন, যেখানে একটি মন্দির তৈরি হচ্ছে বৈষ্ণব প্রথা মেনে, সেখানকার প্রসাদ কিভাবে এভাবে তৈরি হতে পারে?
    আরেকজন বলেন, হিন্দুরা কি কোনও মসজিদের রীতিনীতি ঠিক করে? তাহলে কেন হিন্দুদের প্রসাদে সরকার হস্তক্ষেপ করছে এবং তার বাণিজ্যিকীকরণ করছে এভাবে? বিজেপি এই ঘটনার প্রতিবাদে মমতা সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে। গেরুয়া শিবিরের তরফে বলা হয়েছে— দুর্গা মূর্তি বিসর্জন বাধা পায় পশ্চিমবঙ্গে, রামনবমী শোভাযাত্রায় হামলা চালানো হয় অথচ ইফতার করা হয় সরকারি সহযোগিতায়, মাদ্রাসাগুলিকে ফান্ডিং করা হয়।

    গত এপ্রিলেই উদ্বোধন করেন মমতা

    জানা যাচ্ছে, শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই পশ্চিমবঙ্গে ৩০টি এমন ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে হিন্দু ধর্মের শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি, রুট বদল করা হয়েছে, অথবা তা করতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায়। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটেনি, বরং তারা রাজ্য সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসেই দীঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই সময় জগন্নাথ মন্দিরকে (Jagannath Temple) একটি ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেন। কিন্তু বর্তমানে সেই কেন্দ্রকেই ঘিরে দেখা যাচ্ছে সংখ্যালঘুতোষণের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

  • Calcutta High Court: বড় ধাক্কা মমতা সরকারের, চাকরিহারাদের দেওয়া যাবে না ভাতা, রায় হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বড় ধাক্কা মমতা সরকারের, চাকরিহারাদের দেওয়া যাবে না ভাতা, রায় হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসেই চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার (SSC) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মমতা সরকার। শুক্রবার এ নিয়ে হাইকোর্টের রায় সামনে এল। বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এদিনই হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অথবা আদালত যতদিন না পরবর্তী নির্দেশ দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দিতে পারবে না রাজ্য সরকার। উচ্চ আদালত এদিন আরও জানিয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে হবে এ বিষয়ে। রাজ্যের হলফনামা জমা দেওয়ার পনেরো দিনের মধ্যে পাল্টা হলফনামা জমা দেবেন মামলাকারীরা।

    গ্রুপ সি কর্মীদের ২৫ হাজার টাকা ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ২০ হাজার টাকার ভাতার ঘোষণা

    প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে থাকা প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। এই ২৬ হাজার জনের মধ্যেই রয়েছেন গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরাও। গত মাসেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের প্রতি মাসে ভাতা দেওয়া হবে। গ্রুপ সি কর্মীদের প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মমতা সরকার। তবে শুক্রবার তাতে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

    আগের শুনানিতেই এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা

    প্রসঙ্গত, ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় (Calcutta High Court)। যারা মামলা করেন, তারা হাইকোর্টে জানান যে, চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া হলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী হবে। প্রসঙ্গত, আগের শুনানিতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা ভাতার টাকার অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, টাকার পরিমাণ ২৫ হাজার এবং ২০ হাজার করা হল কেন? কিসের ভিত্তিতে এই অঙ্ক নির্ধারণ করা হল? বিচারপতি অমৃতা সিনহা আরও প্রশ্ন তুলেছিলেন, যাঁরা এই টাকা পাবেন তাঁদের থেকে রাজ্য প্রতিদানে কী পাবে? তিনি বলেছিলেন, তাঁরা ঘরে বসে থাকবেন আর টাকা পাবেন? সুপ্রিম কোর্টে একটার পর একটা রিভিউ পিটিশন হতে থাকবে আর এরা টাকা পেতে থাকবেন? প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই মামলার শুনানি শেষ হয়, কিন্তু সেদিন রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এই শুক্রবার তিনি রায় ঘোষণা করলেন এবং গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করলেন।

  • Reservations: ভোটের আগে তোষণের রাজনীতি! মমতার নয়া ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় প্রকট মুসলমান-প্রীতি

    Reservations: ভোটের আগে তোষণের রাজনীতি! মমতার নয়া ওবিসি সংরক্ষণ তালিকায় প্রকট মুসলমান-প্রীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ধর্মে হিন্দু। বর্ণে ব্রাহ্মণ। দেব-দ্বিজে তাঁর ভক্তির কথাও সুবিদিত (স্ব-উদ্যোগে বাড়িতে কালীপুজো, জগন্নাথের পুজো করেন ঘটা করে)। সেই তিনিই মুসলমানদের ইদের জমায়েতে গিয়ে নমাজ আদায় করেন। নিন্দকরা বলেন, তাঁর এহেন ‘ছলাকলা’র এক এবং একমাত্র কারণ পশ্চিমবঙ্গের ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট ঘাসফুল আঁকা (Reservations) ঝুলিতে পুরে যতদিন পারা যায়, ততদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদ আঁকড়ে বসে থাকা যায়। তিনি এ (Anti Hindu Conspiracy) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন ‘হিন্দু’রই মুখোশ খুলে গেল ওবিসি সংরক্ষণকে ঘিরে। তিনি যে আদতে হিন্দু-বিরোধী, তাঁর ধমনীতে যে বইছে ‘মুসলিম প্রীতি’র লাল রক্ত, তা প্রমাণ করে দিল রাজ্য সরকারেরই একটি তথ্য।

    তোষণের রাজনীতি (Reservations)

    আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। অতএব, ফের ক্ষমতায় ফিরতে হবে যেন-তেন প্রকারে। অস্ত্র? সেই মুসলিম ভোটে শান দেওয়া। লক্ষ্য? তোষণের রাজনীতি করে ভোট বৈতরণী পার হয়ে নবান্নের তথা রাজ্যের সব চেয়ে কর্তৃত্বপূর্ণ চেয়ারটি দখল করা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ওবিসি তালিকায় নয়া সংযোজনের ৮৬ শতাংশই মুসলমান সম্প্রদায়ের। মুখ্যমন্ত্রী এই পদক্ষেপকে বৈজ্ঞানিক ও আইনসম্মত বলে সাফাই গাইলেও, বিজেপির অভিযোগ, এটি আদতে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার ছক। পদ্ম শিবির একে ‘পেছনের দরজা দিয়ে’ সংরক্ষণ বলে অভিহিত করেছে। তাদের সাফ কথা, ছাব্বিশের নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতিভিত্তিক কোটাকে তৃণমূল ব্যবহার করছে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে। গেরুয়া শিবিরের মতে, মুসলমানদের ওবিসি শ্রেণিতে অগ্রাধিকার দিয়ে ভোটে ফায়দা লুটতে চাইছেন তৃণমূলের ‘দিদি’। তারা একে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলেও দাবি করেছে।

    কী বললেন মমতা

    বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেত্রী স্বয়ং। এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “একটি অংশ মানুষকে ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব নিয়ে (Reservations) মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। নতুন ওবিসি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে, যা পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন (WBCBC) পরিচালিত মাঠ পর্যায়ের সমীক্ষার ভিত্তিতে এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে তৈরি করা হয়েছে।” সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের পুনর্গঠিত ওবিসি তালিকায় ১৪০টি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ওবিসি-এ বিভাগে ৪৯টি এবং ওবিসি-বি বিভাগে ৯১টি সম্প্রদায় রয়েছে। আরও ৫০টি সম্প্রদায়ের ওপর সমীক্ষা চলছে (Anti Hindu Conspiracy)।

    বিজেপির অভিযোগ

    এতেই সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, সংবিধান অনুযায়ী কাজ না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সংরক্ষণ ব্যবস্থায় হিন্দু প্রতিনিধিত্ব কমিয়ে মুসলিমদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। বিজেপি নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের সংরক্ষণ ব্যবস্থায় হিন্দু সম্প্রদায়কে পরিকল্পিতভাবে কোণঠাসা করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “নতুন ওবিসি অন্তর্ভুক্তিগুলি মূলত মুসলিমদের পক্ষে গিয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০১০ সালের আগে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ক্ষমতায় আসে তখন পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬৬টি ওবিসি শ্রেণি ছিল, যার মধ্যে মাত্র ১১টি মুসলিম (২০ শতাংশ)। আর ২০২৫ সালে নতুন যে ৭৬টি শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তার মধ্যে ৬৭টি মুসলিম, যা মোট নতুন অন্তর্ভুক্তির প্রায় ৮৮ শতাংশ (Reservations)। নয়া যে ৭৬টি শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাতে রয়েছে দুটি ভাগ। একটি পার্ট এ। এতে রয়েছে ৫১টি সম্প্রদায়। এর মধ্যে ৪৬টি মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে। শতাংশের বিচারে প্রায় ৯০ শতাংশ। আর পার্ট বি-তে রয়েছে ২৫টি সম্প্রদায়। এর মধ্যে ২১টিই মুসলমান। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৮৪ (Anti Hindu Conspiracy)।

    ধর্মান্তরকে প্রকাশ্যে উৎসাহ!

    মালব্যর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নির্বাচনী স্বার্থে ধর্মান্তরকে প্রকাশ্যে উৎসাহ দিচ্ছে। তাঁর দাবি, ওবিসি তালিকায় এমন একটি বিধান রয়েছে যার ফলে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত ব্যক্তিরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওবিসি মর্যাদার যোগ্য হয়ে পড়েন। তিনি এই বিধানকে বিপজ্জনক নজির বলে বর্ণনা করেন এবং একে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিজার্ভেশন ব্যবস্থাকে ধর্মান্তরের পুরস্কার ও দীর্ঘমেয়াদি নির্বাচনী লাভের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের কৌশল বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্তগুলি স্পষ্টভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।” মালব্য তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগও তোলেন। তাঁর অভিযোগ, মুসলিম সম্প্রদায়কে বাড়তি সংরক্ষণের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে, অথচ প্রকৃতপক্ষে পিছিয়ে পড়া হিন্দু সম্প্রদায়, যাদের মধ্যে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতিরাও রয়েছেন, তাঁদের উপেক্ষা করা হচ্ছে (Reservations)।

    সুবিধা পাচ্ছে মুসলিমরা

    বিতর্ক আরও বাড়িয়ে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে ওবিসি সংরক্ষণ ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৭ শতাংশ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৃদ্ধির সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে নয়া সংযোজিত মুসলিম সম্প্রদায়গুলি। যার ফলে তারা রাজ্য সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রেও অনুপাতিক হারে বেশি সুযোগ পাচ্ছে। বিজেপির দাবি, এটি পরোক্ষভাবে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটি সংবিধানের সেই মূলনীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, যেখানে বলা হয়েছে সংরক্ষণ শুধুমাত্র সবচেয়ে বঞ্চিতদের জন্যই প্রযোজ্য, রাজনৈতিক ভোটব্যাঙ্কের জন্য নয় (Anti Hindu Conspiracy)। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এই সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য বিকৃত করছে এবং সাধারণ মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করছে। সংশোধিত ওবিসি সুপারিশগুলিতে কোনও বেআইনি কার্যকলাপ বা ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব নেই। বিজেপির মুখপাত্রদের দাবি, এটি পরোক্ষভাবে ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয় (Reservations)।

    একপাক্ষিক প্রতিনিধিত্ব

    যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দাবি করে এসেছেন যে ওবিসি তালিকাটি ধর্মনিরপেক্ষ, তখন সমালোচকরা পশ্চিমবঙ্গের ধর্মীয় জনসংখ্যার ভিত্তিতে তাদের সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২৭ শতাংশ মুসলিম হলেও, সম্প্রতি তৈরি হওয়া ওবিসি তালিকায় নতুনভাবে যুক্ত সম্প্রদায়গুলির মধ্যে ৮৬ শতাংশেরও বেশি মুসলিম। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, এমন একপাক্ষিক প্রতিনিধিত্বকে কেবলমাত্র কাকতালীয় ঘটনা বা পরিসংখ্যানগত বিচ্যুতি হিসেবে দেখানো যায় না। তাঁদের দাবি, এই পদক্ষেপটি ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুসলিম ভোটব্যাংককে শক্তিশালী করার একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। তাঁদের অভিযোগ, জাতিভিত্তিক সংরক্ষণের ছদ্মবেশে মুসলিম গোষ্ঠীগুলিকে পরিকল্পিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য হল হিন্দু অনগ্রসর শ্রেণির (Anti Hindu Conspiracy) প্রতিনিধিত্ব কমিয়ে তাদের জন্য বরাদ্দ সুযোগ-সুবিধা হ্রাস করা।

    রাজ্যের মৌরসিপাট্টা

    বিজেপির মতে, এই সব ঘটনা কেবল রাজনৈতিক তোষণ নয়, বরং পশ্চিমবঙ্গের সংরক্ষণ কাঠামোর মধ্যে হিন্দু অনগ্রসর শ্রেণির অবস্থান দুর্বল করার একটি সংগঠিত প্রচেষ্টা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে ভর করেই পর পর তিনবার বাংলার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। বস্তুত, রাজ্যের মৌরসিপাট্টা এখন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের হাতে। এই পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই ফের তৃণমূল নেত্রী হাতে তুলে নিলেন তোষণের রাজনীতি নামক অস্ত্র। বরাবর যে অস্ত্রে শান দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ শাসন করেছে তাঁর ‘মাদার’ দল কংগ্রেস। যে দল থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রসের জন্ম দিয়েছেন তিনি (Reservations)।

LinkedIn
Share