Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Bangladesh: মমতার মন্তব্যে ঢাকার অসন্তোষ, দিল্লি কড়া বার্তা দিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে

    Bangladesh: মমতার মন্তব্যে ঢাকার অসন্তোষ, দিল্লি কড়া বার্তা দিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই ধর্মতলার সভা মঞ্চ থেকে বাংলাদেশিদের (Bangladesh) আশ্রয় দান সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিতর্কিত মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে ঢাকা, এ নিয়ে ভারতকে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিল তারা। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওই আপত্তিবার্তার কথা স্বীকার করেছেন। এর পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সংবিধানের পাঠ দিয়ে জানানো হয়েছে, অন্য কোনও দেশ বা বৈদেশিক বিষয় নিয়ে পদক্ষেপ করার অধিকার কোনও রাজ্য সরকারের নেই। সংবিধান সেই অধিকার কখনও দেয়নি কোনও রাজ্যকে। বিষয়টি একান্তভাবে ভারত সরকারের অধীনে রয়েছে।

    কী বললেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র?

    বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে পারি যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের কাছ থেকে আমরা একটি কূটনৈতিক নোট পেয়েছি। আপনারা (সংবাদমাধ্যম) রিপোর্টে যেমনটা দেখেছেন, খানিকটা সে রকমই (নোট পাঠানো হয়েছে)।’’ এর পর তিনি বলেন, ‘‘ভারতের সংবিধানের সপ্তম তফসিলের প্রথম তালিকার ১০ নম্বর অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে বিদেশ সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় এবং অন্য কোনও দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত বিষয়ের এক্তিয়ার একমাত্র ভারত সরকারের।’’ ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের মন্তব্য, ‘‘এই বিষয়টি যৌথ তালিকায় নেই। আর অবশ্যই রাজ্যের তালিকায় নেই। আমাদের অবস্থানটা স্পষ্ট, সাংবিধানিক এক্তিয়ারের বাইরের কোনও বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’’

    প্রেক্ষাপট

    প্রসঙ্গত ২১ জুলাই মমতা বলেছিলেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষ দরজায় কড়া নাড়লে রাজ্যে তাঁদের আশ্রয় দেবেন। মমতার এই মন্তব্য ঘিরেই শোরগোল শুরু হয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘সংবিধান অনুযায়ী এই অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’’ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, এ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা উচিত। রাজ্য ওঁর একার নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রয়েছে দেশে।’’

    বাংলাদেশের (Bangladesh) চিঠি

    মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করি, ওঁর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক আমাদের। তবে ওঁর মন্তব্যে বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে যথেষ্ট। তাই ভারত সরকারকে এ নিয়ে নোট দিয়েছি আমরা।’’ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মমতা মন্তব্য করেছেন বলেও জানান হাসান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: এবার নবান্নেও ‘ভাইপোরাজ’? পিএমইউ নিয়ে নবান্নের নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন

    Nabanna: এবার নবান্নেও ‘ভাইপোরাজ’? পিএমইউ নিয়ে নবান্নের নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি মুখ্যমন্ত্রী। তবে নামেই! হয় তাঁর কোনও ক্ষমতা নেই, নয়তো ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের ফুটো বোজাতে গিয়ে সময় দিতে পারছেন না রাজ্য চালানোয়। এই (Project Management) দুই সম্ভাবনারই ছাপ স্পষ্ট নবান্নের তরফে জারি করা সরকারি এক (Nabanna) নির্দেশনামায়।

    নির্দেশিকায় গুচ্ছ প্রশ্ন (Nabanna)

    রাজ্য প্রশাসনের প্রধান হলেন মুখ্যসচিব এবং ডিজি। তাঁরা রিপোর্ট করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু সদ্য জারি করা সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব দফতরের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের নজরদারি ও পরিচালনা করবেন পঞ্চায়েত সচিব পি উলগানাথন। মুখ্যসচিবের কাজ কেন পঞ্চায়েত সচিব করবেন, ইতিমধ্যেই উঠেছে সে প্রশ্ন। আধিকারিকদের একাংশেরও প্রশ্ন, তবে কি পঞ্চায়েত সচিবের ওপর কিছুটা হলেও নির্ভর করে থাকতে হবে বাকি দফতরগুলির সচিব এবং জেলা প্রশাসনের কর্তাদের? কাজের গুণমান ঠিক না হলে দায় পড়বে কার ঘাড়ে?

    প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট

    সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন রাজ্যের (Nabanna) মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা। তাতে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট (PMU) গঠন করতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশিকার নির্যাস, কেবল দফতরগুলিই নয়, চাহিদা মতো পিএমইউ-কে তথ্য পাঠাতে ও সহযোগিতা করতে কার্যত বাধ্য থাকবে সব জেলা প্রশাসনও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত সচিব পি উলাগানাথনই পিএমইউ-কে নেতৃত্ব দেবেন। সেই শাখার বাকি আধিকারিকদের নিয়োগ করবে কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতর।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোতেও রাজনীতি শাসকের! সজলের পুজোকে চিঠি পুলিশের

    নবান্নের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জরুরি প্রকল্পগুলি সময়ের মধ্যে ঠিকঠাক রূপায়ণ করতে গেলে বিভিন্ন দফতর, জেলা প্রশাসন, প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি। তাই প্রত্যেক দফতর, জেলা প্রশাসন ও সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নির্বাচিত প্রকল্পগুলির গতি, সমস্যা ইত্যাদি সবই দেখভাল করবে পিএমইউ। দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করবে তারাই। প্রকল্পগুলির অবস্থা ও কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে সরকারকে রিপোর্টও দেবে পিএমইউ।

    রাজনীতির কারবারিদের একটা বড় অংশের মতে, মুখ্যমন্ত্রী চলছেন ভাইপো তথা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অঙ্গুলি হেলনে। তার জেরে রাজ্যে হয়ে গিয়েছে অতিমুখ্যসচিব। যাঁর মাধ্যমে নবান্নে আদতে কায়েম হচ্ছে ‘ভাইপোরাজ’। তাই দিন দিন (Project Management) মুখ্যসচিব এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়ে পড়ছেন ঠুঁটো। ব-কলমে রাজ্য চালাচ্ছেন ভাইপোই (Nabanna)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা! মমতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হাসিনা সরকার, কেন্দ্রকে চিঠি ঢাকার

    Bangladesh: বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা! মমতার মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হাসিনা সরকার, কেন্দ্রকে চিঠি ঢাকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নিয়ে অশান্ত প্রতিবেশী বাংলাদেশ (Bangladesh)। সম্প্রতি ২১ জুলাই-এর সভা থেকে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা নিয়ে নিজের মত ব্যক্ত করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপরই তাঁর মন্তব্যে বিরোধিতা করে ঢাকা। এ নিয়ে দিল্লিতে চিঠি পাঠিয়েছে হাসিনা সরকার। ঢাকার দাবি, প্রতিবেশী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অন্য দেশের আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে কথা বলতে পারেন না। তাঁর মন্তব্যে বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে।

    কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া

    সম্প্রতি মমতা বলেছিলেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষ দরজায় কড়া নাড়লে রাজ্যে তাঁদের আশ্রয় দেবেন। মমতার এই মন্তব্য ঘিরেই শোরগোল শুরু হয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ রবি শঙ্কর প্রসাদ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী এই অধিকার রাজ্য সরকারের নেই। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।” রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমার মনে হয়, এ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা উচিত। রাজ্য ওঁর একার নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রয়েছে দেশে।” এবার বাংলাদেশের তরফেও মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করা হল।

    বাংলাদেশের চিঠি

    মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করি, ওঁর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক আমাদের। তবে ওঁর মন্তব্যে বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে যথেষ্ট।  তাই ভারত সরকারকে এ নিয়ে নোট দিয়েছি আমরা।” বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মমতা মন্তব্য করেছেন বলেও জানান হাসান। বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও জানান তিনি। তবে ঢাকার চিঠি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতে বললেন রাহুলকে, নিট নিয়ে সুপ্রিম-নির্দেশের পরই বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

    রিপোর্ট তলব রাজভবনের

    বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও মুখ্যমন্ত্রীর বাংলাদেশ (Bangladesh) নিয়ে মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করেছেন। রাজ্যপাল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) প্রকাশ্যে অন্য দেশ থেকে আসা মানুষজনকে আশ্রয় দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন উনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: খাসতালুকে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে সরানো হল কেষ্টর ছবি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Anubrata Mondal: খাসতালুকে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে সরানো হল কেষ্টর ছবি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কি বীরভূমে ব্রাত্য হয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল? নানুরের পার্টি অফিস থেকে তাঁর ছবি সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এই বিষয় নিয়ে ফের চর্চা হতে শুরু করেছে। এমনিতেই কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর জেলায় কাজল শেখ গুরুত্ব পেতে শুরু করেন। লোকসভা ভোটের কয়েকমাস আগেই জেলাজুড়েই অনুব্রতের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। যদিও তৃণমূল নেত্রী কেষ্টর (Anubrata Mondal) প্রশংসা করায় লোকসভা নির্বাচনে কেষ্ট তিহার জেলে থাকলেও তাঁর ছবি নিয়ে দড়ি টানাটানি করেননি দলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন। বরং, জেলাজুড়ে (Birbhum) কেষ্টর ছবিতে ছয়লাপ করে দেওয়া হয়েছিল।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Anubrata Mondal)

    ২১ জুলাই পর ২৭ জুলাই নানুরে শহিদ দিবস পালন করা হয়। যেখান ২০১১ সালে আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ নিজে এসেছেন। এমনকী তিহার যাওয়ার আগে অনুব্রত মণ্ডলও (Anubrata Mondal) তৃণমূলের এই শহিদ স্মরণ সভার প্রধান বক্তা হিসেবে গণ্য হতেন। তবে, ২০২৪ সালে দেখা গেল অন্য চিত্র। নানুরের বাসাপাড়ার তৃণমূল কার্যলয় থেকে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই কার্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খানের। কেন সরে গেল অনুব্রত মণ্ডলের ছবি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুন: সুকান্ত লিড পাওয়ায় বালুরঘাটে বন্ধ নাগরিক পরিষেবা! মহকুমা শাসককে নালিশ পুরবাসীর

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূম সফরে মুখ্যমন্ত্রী এসে কেষ্টর প্রশংসা করেছিলেন। এতদিন তাঁকে নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা ছিল না। তবে, নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর আবারও তাঁর ছবি সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দলীয় কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূলের মুখপাত্র জামসেদ আলি খান বলেন,অনুব্রতর (Anubrata Mondal) ছবি বা পোস্টার সরিয়ে নিলে গোটা বীরভূমের (Birbhum) মানুষের মন থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া অসম্ভব। এখানে অনুব্রত মণ্ডলের বাইরে কিছু নেই। কিন্তু, পার্টি অফিস থেকে কেন সরিয়ে ফেলা হল তাঁর ছবি, তা দেখছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saumitra Khan: “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন মমতা”, তোপ দাগলেন সৌমিত্র

    Saumitra Khan: “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন মমতা”, তোপ দাগলেন সৌমিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। তৃণমূল নেত্রীকে তুলোধনা করলেন। একইসঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও কড়া করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করলেন।

    ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? (Saumitra Khan)

    বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ডাক দিয়েছেন মমতা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, অবিলম্বে বিএসএফকে সতর্ক করা হোক। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সতর্ক করা হোক। যাতে একটাও রোহিঙ্গাও ঢুকতে না পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরি করবেন, ২১ জুলাই তিনি এই বার্তা দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভারতের গণতন্ত্র প্রশ্নের মুখে পড়বে। ভারতবর্ষ কোনও পান্থশালা নয়, যে কেউ আসবে খাবে আর চলে যাবে। বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের কোনও মতে প্রবেশ করতেআমরা দেব না। সেজন্য আমরা প্রাণ দিতে রাজি আছি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখব যে অবিলম্বে সীমান্তে পাহারার কড়াকড়ি করা হোক। নইলে ভারতবর্ষের বড়ই বিপদ।”

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    ঠিক কী বলেছিলেন মমতা?

    রবিবার ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে মমতা বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলব না। ওটা আলাদা দেশ। যা বলবে ভারত সরকার বলবে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যদি অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়ে তাহলে আমরা নিশ্চিত ভাবে আশ্রয় দেব। রাষ্ট্রসংঘের একটা নির্দেশ আছে, কেউ যদি শরণার্থী হন, তাহলে তার পাশের এলাকাকে সেই বিষয়টা সম্মান জানাতে হবে। তবে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা যেন কোনও অশান্তি না করি। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও উত্তেজনায় না জড়াই। তবে তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করল বিজেপি (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Criticize Mamata: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’! মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    BJP Criticize Mamata: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’! মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না। সেই বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের (BJP Criticize Mamata)। পুরো বিষয়টির উপরে নজর রাখছে কেন্দ্র সরকার। বাংলাদেশিদের (Unrest Bangladesh) রাজ্যে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমালোচনা করল বিজেপি।

    মমতার মন্তব্যের সমালোচনা মালব্যের

    বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে ফেরাবেন না, রবিবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশে। গত কয়েক দিনে সেই আন্দোলনে (Unrest Bangladesh) হিংসা ছড়িয়েছে। মমতার এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপির (BJP Criticize Mamata) তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর প্রশ্ন, মমতাকে সেই অধিকারটা কে দিয়েছেন? কোনও রাজ্যের হাতে নাগরিকত্ব বা অভিবাসন সংক্রান্ত কোনও ক্ষমতা নেই। পুরো বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে আছে। সেইসঙ্গে মালব্য অভিযোগ করেন, ভোটে জেতার জন্য বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে প্রবেশ করা লোকজনদের নিজেদের রাজ্যে ঠাঁই দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তৃণমূল-সহ ইন্ডিয়া জোটের নেতা-নেত্রীরা। মালব্যের কথায়, ‘বাংলা থেকে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার যে ভয়ংকর পরিকল্পনা আছে, তার একটা অংশ হল এই বিষয়টি, যাতে ওরা নির্বাচনে জিততে পারে।’

    মমতার মন্তব্যে অসন্তুষ্ট কেন্দ্র

    মমতার এই মন্তব্যে বিরক্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (BJP Criticize Mamata)। সরাসরি কেন্দ্রের তরফে কোনও বিবৃতি জারি না করা হলেও মমতার কথায় মোদি, জয়শংকররা যে প্রসন্ন হননি, তা বুঝিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের এক সূত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ‘এগুলি এমন বিষয়, যেগুলি সামলায় কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের তো কোনও এক্তিয়ারই নেই। এসব মন্তব্য (মমতা যে কথা বলেছেন) সম্পূর্ণভাবে ভুল।’ আর মমতার কথায় যে কোনও পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না, সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলাদেশে (Unrest Bangladesh) পড়ুয়াদের যে বিক্ষোভ চলছে, তা নেহাতই সেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘দেশের মধ্যে আলাদা দেশ হতে পারে না পশ্চিমবঙ্গ’’, মমতাকে চিঠি দিয়ে রিপোর্ট তলব বোসের

    CV Ananda Bose: ‘‘দেশের মধ্যে আলাদা দেশ হতে পারে না পশ্চিমবঙ্গ’’, মমতাকে চিঠি দিয়ে রিপোর্ট তলব বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে কার্যকর হওয়া নতুন তিন আইনের পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করল নবান্ন। এরপরই রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্তের পরেই রাজ্যের কাছে নতুন কমিটি সম্পর্কে তথ্য তলব করেছেন রাজ্যপাল বোস। শুধু তা-ই নয়, কেন্দ্রের প্রস্তাবে রাজ্য সরকার সময়ে জবাব দিয়েছিল কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন তিনি। রাজ্যপালের কথায়, ‘‘দেশের মধ্যে আলাদা দেশ হয়ে উঠতে পারে না পশ্চিমবঙ্গ।’’

    রাজ্যের তৈরি কমিটি

    জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে দেশে কার্যকর হয়েছে তিন নতুন ফৌজদারি আইন। ‘ভারতীয় দণ্ডবিধি’, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’ বাতিল হয়ে লাগু হয়েছে ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। কার্যকর হওয়া ওই তিন আইন খতিয়ে দেখতে বুধবার সাত সদস্যের একটি কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। কমিটিতে থাকছেন অসীম রায়, মলয় ঘটক, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অ্যাডভোকেট জেনারেল সঞ্জয় বসু, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার। তাঁর এই তিন নতুন আইন নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই বলেছিলেন যে, এই আইন নিয়ে বাদল অধিবেশনে সরব হবে তাঁর দল। তার আগেই আইন খতিয়ে দেখতে এই কমিটি গঠন করা হল। নবান্নর তৈরি করা সেই কমিটি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)।

    আরও পড়ুন: গুজরাট থেকে বাংলা, রাজস্থান থেকে কর্নাটক! জানেন ভারতের পেশা-বৈচিত্র্য

    রাজ্যপালের বক্তব্য

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কাছে এই কমিটি তৈরির উদ্দেশ্য জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। তিনি এক্স মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলা ব্যানানা রিপাবলিক হতে পারে না।’’ তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে নয়া আইন প্রনয়ণের আগে মতামত চেয়েছিল, তখন কোনও প্রত্যুত্তর রাজ্য দিয়েছিল কি?’’ রাজভবন সূত্রে খবর, ঠিক কী কারণে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে, কমিটির কাজ কী হবে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর মত, ‘‘দেশের মধ্যে আলাদা দেশ হয়ে উঠতে পারে না পশ্চিমবঙ্গ। সারা দেশ যখন নতুন আইন অনুযায়ী চলছে, তখন বাংলা তার থেকে আলাদা হতে পারে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ধুঁকছে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতাল, মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রোগীরা

    Murshidabad: ধুঁকছে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতাল, মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রোগীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর পরই রাজ্যে হাসপাতালের শ্রী ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এরপরই রাজ্যজুড়ে হাসপাতালের ভিতরে-বাইরে বাহারি রং করা হয়েছে। কিন্তু, হাসপাতালে পরিষেবা সেই আগের মতো কঙ্কালসার। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে তিতি বিরক্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। আর বেহাল চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য স্বাস্থ্য দফতরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা।

    রোগীর পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য? (Murshidabad)

    এই হাসপাতালের ওপর বড়ঞাসহ (Murshidabad) আশপাশের লক্ষাধিক মানুষ নির্ভরশীল। মনোজ ঘোষ নামে এক রোগী বলেন, “শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু, হাসপাতালে রোগীদের অক্সিজেন দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে, আমাদের মতো বহু রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। পরিষেবা না পেয়ে রোগীরা কান্দি হাসপাতালে চলে যাচ্ছেন।” সুকুমার ভল্লা নামে রোগীর পরিবারের লোকজন বলেন, “আমার বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বাবার রক্তের প্রয়োজন। কিন্তু, এই হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা নেই। তাই, আমরা খুব দুশ্চিন্তাই রয়েছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সমস্ত বিষয়টি বলেছি। হাসপাতালে পরিষেবা নেই বলে তাঁরা জানিয়েছেন।” রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, “এই হাসপাতালে মেলেনা অক্সিজেন, মেলেনা রক্ত, হয় না কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা। হাসপাতালের ভর্তি হওয়ার পর অক্সিজেনের অভাবে হাঁসফাস অবস্থা হচ্ছে বয়স্ক রোগীদের। অথচ লোক দেখানো করে হাসপাতালের বিশাল বিল্ডিং রয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কোনও রোগী এই হাসপাতালে (Hospital) আসলে রক্ত, অক্সিজেনের অভাবেই মারা যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর কোনও নজরই নেই।” অবিলম্বে পরিষেবা উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

    হাসপাতালের বিএমওএইচ কী বললেন?

    হাসপাতালের (Hospital) বিএমওএইচ সৌমিক দাস বলেন, “আমাদের পরিকাঠামোর মধ্যে যতটা পারা যায়, চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবে, যে ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। আর অক্সিজেন অনেক সময় না থাকলে পরিষেবা দিতে একটু সমস্যা হতে পারে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) সম্পর্কে আর কোনও মর্যাদাহানিকর মন্তব্য নয়। রাজ্যপালের করা মামলায় মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের এজলাসে শুনানি হয় এই মামলার। সেই শুনানিতেই মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে রাজ্যপাল সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছে হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও রিয়াদ হোসেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না। মূলত অন্তর্বর্তী আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ। 

    আগে কী ঘটেছিল?  

    রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অবমাননাকর কথা বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর জেরে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেছিলেন খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তিনি। এবার সেই মামলায় হাইকোর্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথায় রাশ টানল। অর্থাৎ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যাতে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা না হয় তা নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্ট জানিয়েছে, রাজ্যপাল একজন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের সুযোগ নিয়ে এটা করা যায় না।  

    কেন এই মানহানির মামলা?

    তৃণমূলের দুই জয়ী প্র্রার্থীর শপথকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। রাষ্ট্রপতিকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাতেই অপমানিত হয়েছিলেন রাজ্যপাল। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: ওমানে মাঝ সমুদ্রে উল্টে গেল তেলের ট্যাঙ্কার, নিখোঁজ ১৩ জন ভারতীয়

    আদালত কী জানিয়েছে? (Calcutta High Court) 

    এ বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারীর দাবি অনুযায়ী, তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বেশ কিছু মন্তব্যে। ওই রকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। যদি এই পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ মঞ্জুর-না করা হয় তবে মামলাকারীর বিরুদ্ধে মানহানিকর বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টিতে উৎসাহ দেওয়া হবে। বিচারপতি রাও এর আগে নির্দেশ দিয়েছিলেন, রাজ্যপাল বোস সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতার মন্তব্য যে সব সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলিকেও এই মামলায় যুক্ত করতে হবে।

    রাজ্যপালের মন্তব্য (CV Ananda Bose)

    এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেছিলেন, কেউ যদি আমার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেন তবে তিনি যেই হোন তাকে ভুগতেই হবে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমার সাংবিধানিক কলিগ। আমি সেই হিসাবেই তাঁকে মর্যাদা দিয়েছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা নিয়ে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকিটা আদালত (Calcutta High Court) বিচার করবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Singur: সিঙ্গুরে যেন উলট পুরাণ! অনাবাদি জমিকে চাষের যোগ্য করে বাকি অংশে শিল্প চান তৃণমূল নেতা

    Singur: সিঙ্গুরে যেন উলট পুরাণ! অনাবাদি জমিকে চাষের যোগ্য করে বাকি অংশে শিল্প চান তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আরও একটি বর্ষার মরসুম চলছে, কিন্তু সিঙ্গুরের (Singur) জমির একাংশে এখনও চাষের কাজ শুরু হয়নি। জমির মালিকরা এখনও চাষ করতে পারেননি। উল্লেখ্য এই জমিতে সিপিএম টাটার কারখানা করতে চেয়েছিল, কিন্তু জমি আন্দোলনের চাপে তা হয়নি। ক্ষমতায় এসে তৃণমূল নেত্রী ওই জমিতে সর্ষে ফেলেছিলেন, দিয়েছিলেন জমি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি। এখন জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তৃণমূল নেতারাই চাষের যোগ্য জমি এবং শিল্প চেয়ে সরকারের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই বিস্ফোরক দাবিতে সিঙ্গুরে উলট পুরাণ!

    তৃণমূল নেতা ‘শিল্প’ চান (Singur)!

    সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত পরিচিত মুখ তথা তৃণমূল নেতা দুধকুমার ধাড়া বলেছেন, “জমিকে চাষযোগ্য করার জন্য কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজ থমকে গিয়েছে। এবার এই কাজ শুরু হোক। এই নিয়ে ঘরোয়া ভাবে আমরা ইতিমধ্যে পাঁচটি বৈঠক করেছি। বৈঠকে সকলে একমত হয়েছেন যে ওই জমির একাংশে আর চাষ করা সম্ভব নয়। তাই ওই অংশে কোনও শিল্পোদ্যোগী শিল্প করুক আর বাকি অংশে চাষ হোক। এই জমি চাষযোগ্য করে দিতে রাজ্য সরকারের কাছে আমরা আবেদন করব।” উল্লেখ্য এই তৃণমূল নেতারা কারখানা চাইছেন আবার চাষযোগ্য জমিও চাইছেন। অপরে সিঙ্গুরের মাটিতে কারখানা চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জমি বাঁচাও আন্দোলনের নামে কারখানার বিরোধিতা করেছিলেন তখন, ফলে চাষ বা শিল্প কোনটাই জোটেনি সিঙ্গুরবাসীর কপালে।

    ১২টি কালভাট ছাড়া কোনও কাজ এগোয়নি

    সিঙ্গুরের চাষিরা বলেছেন, “গোপাল নগর, খাসেরভেড়ি এবং সিংহেরভেড়ির ওই জমিতে মূল কারখানা (Industry) হয়েছিল। ওই অংশের জমি বেশি ক্ষতিগ্রস্থ। সরকার জমির চেহারা ফেরাতে ডিনামাইট ফাটিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। ফলে জমিতে কোঁদলে উঠে আসছে কংক্রিট। একই ভাবে সেচের জন্য নিকাশি ১২টি কালভাট তৈরি হলেও আর কোনও কাজ এগোয়নি। তাই এই বর্ষায় জমিতে চাষ করতে না পারায় সকলের মনে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।” আবার সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলছেন, ‘‘যাঁরা এই আবেদন করবেন, নিশ্চিত ভাবে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক কর্তা বলেছেন, “সিঙ্গুরের (Singur) ওই জমিতে যে সমস্যা আছে তা দূর করতে আগেই কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথমে বর্ষা ও পরে নির্বাচনের কারণে তা বিলম্বিত হয়েছে। সেই কাজের পরিকল্পনা এখনও রয়েছে। তবে কেউ পরামর্শ দিলে ভেবে দেখার সুযোগ রাখব।”

    আরও পড়ুনঃইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয়, ভারতীয় হিসেবে নজির গড়লেন হুগলির শুভম

    মমতার প্রতিশ্রুতি ছিল চাষযোগ্য করে দেবো

    বাম আমলে টাটার গাড়ি কারখানার (Industry) জন্য সিঙ্গুরে (Singur) প্রায় এক হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালে এই অধিগ্রহণকে অবৈধ জানিয়ে জমি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই জমিকে চাষযোগ্য করে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কাজ শুরু হলেও অর্ধেকের বেশি জমি এখনও চাষের অযোগ্য বলে চাষিদের একাংশের দাবি। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন এই দাবি ঠিক নয় বলে মানতে নারাজ। প্রশাসনের দাবি মাত্র অল্প পরিমাণ জমি চাষের আওতার বাইরে আছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share