Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Land Encroachment: চন্দ্রকোনায় সরকারি খাসজমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

    Land Encroachment: চন্দ্রকোনায় সরকারি খাসজমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখল (Land Encroachment) করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক করে দিয়েছিলেন উচ্ছেদের নির্দেশ। অথচ শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করার ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। এই আবহের মধ্যে মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় সরকারি খাস জমি-সহ একটি কবরস্থান দখলের অভিযোগ উঠেছে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ (Land Encroachment)

    গত শুক্রবার কবরস্থান দখলের অভিযোগে এলাকায় ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। এরপর এলাকার মানুষ জমিতে বেড়া দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তাঁদের অভিযোগ, ওই জমি সরকারি খাতায় করবস্থান বলে পরিচিত। কিন্তু এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার মদতে এই জমি রায়তি বলে রেকর্ড করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। জমি কেলেঙ্কারির (Land Encroachment) অভিযোগে অভিযুক্ত এই নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জমির শ্রেণী পরিবর্তন করায় ভূমি দফতরের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক বলেছেন, “কবরস্থানটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” আবার চন্দ্রকোনা (Chandrakona) পুরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্রের বক্তব্য, “অভিযোগ পেয়েছি। পুরসভা কড়া পদক্ষেপ করবে। দখল করা সরকারি জমি (Land Encroachment) পুনরুদ্ধার করা হবে।”

    কবর স্থানের মোট জমি ৩৬ শতক (Land Encroachment)

    চন্দ্রকোনা (Chandrakona) পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের নরহরিহরি মৌজায় নির্দিষ্ট একটি দাগের ৩৬ শতক জমি কবরস্থান বলে উল্লেখ করা ছিল। সেটি বহু আগে থেকেই এলাকায় কবরস্থান নামে পরিচিত। কিন্তু মাত্র একবছর আগে এই জমি দখল (Land Encroachment) হয়ে যায়। একই ভাবে চন্দ্রকোনা শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া নির্দিষ্ট একটি দাগের মোট ২৮৪ শতক জমি ঘেরা হয়েছিল। এর মধ্যে একটা বড় অংশ রায়ত জমি এবং তার সঙ্গে সরকারি জমিও রয়েছে। রাতারাতি রায়তের ৩৬ শতক কবরস্থান, ডাঙা বাঁশ বাগান হিসাবে দখল করে নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ জঙ্গি-যোগে চেন্নাইয়ে এসটিএফের জালে মঙ্গলকোটের আনোয়ার!

    জেলা ভূমি দফতরের বক্তব্য

    জেলা ভূমি দফতরের একপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, “অভিযোগ ইতিমধ্যেই আমরা পেয়েছি। তদন্ত শেষ হলে তবেই বলা যাবে কতটা জমি দখল (Land Encroachment) হয়েছে। সবটা উদ্ধার করা হবে। জমি পরিবর্তনের বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখব।” আবার তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষ বলেছেন, “এই জমি দখলের খবর রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় ভাবে তদন্ত করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “আর্থিক ভাঙনের মুখে বাংলা”, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন সিভি আনন্দ বোস

    CV Ananda Bose: “আর্থিক ভাঙনের মুখে বাংলা”, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন সিভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বলেছেন, “আর্থিক ভাঙনের মুখে বাংলা।” শনিবার দিল্লিতে নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক করছেন বোস। এরপর নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “রাজ্য মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকে অবিলম্বে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক রাজ্য সরকার।” এরপর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে (Financial Collapse) ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। অপর দিকে বরানগর ও ভগবানগোলার দুই তৃণমূল বিধায়কের শপথ বাক্য পাঠ করানো নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

    রাজভবন সূত্রে খবর (CV Ananda Bose)

    রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মাল সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের মধ্যে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এবার সেই কাজ সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা অথবা আর্থিক (Financial Collapse) হিসেব কতটা স্বচ্ছ রাখা হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর তার উপর নজরদারি রাখার প্রস্তাব দিয়ে এসেছেন রাজ্যপাল।

    প্রসঙ্গত বলা যায়, আগেই একধিকবার রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে রাজ্য সরকার নয়ছয় করেছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছিল। কেন্দ্র থেকে বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে, তা খতিয়ে দেখতে একাধিকবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে রাজ্যে। বেশ কিছু প্রকল্পের টাকা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে মিড-ডে-মিলে ব্যাপক ভাবে দুর্নীতি হওয়ায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, রেশন বণ্টন, জবকার্ডে ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যপালের বক্তব্য রাজনীতির আঙিনায় ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। দুর্নীতি নিয়ে শাসকদল তৃণমূল অত্যন্ত চাপের মুখে ফের একবার।

    আরও পড়ুন: স্কুল থেকেই পাচার মিড ডে মিলের চাল! গ্রেফতার ১, কাঠগড়ায় তৃণমূল বুথসভাপতি

    বৈঠকে কী বিষয় উঠে এসেছে?

    জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose), কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। একই সঙ্গে সংবিধানের ১৬৭ নম্বর ধারা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আবার রাজ্যসরকারের প্রশাসনের আর্থিক দিক এবং রাজ্যপালের নজরদারির বিষয় বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছেন রাজ্যপাল সিবি আনন্দ বোস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “দম থাকলে আগে নিজেদের পার্টি অফিসগুলিকে ভাঙুন”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “দম থাকলে আগে নিজেদের পার্টি অফিসগুলিকে ভাঙুন”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখল করে দোকান বানানোর অভিযোগে কড়া অবস্থান নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাস্তা দখল করে গড়ে ওঠা দোকানগুলিকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই পুরকর্মী এবং পুলিশ-প্রশাসন অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে। কলকাতা শহর সহ একাধিক জেলা সদরে চলছে এই উচ্ছেদ। তবে হকার ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেছেন। ঠিক এর মাঝেই মমতাকে নিশানা করে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছেন, “দম থাকলে আগে নিজেদের পার্টি অফিসগুলিকে ভাঙুন।”

    ঠিক কী বললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)?

    রাণাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী মনোজকুমার বিশ্বাসের সমর্থনে প্রচারে যান প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, “যেসব সরকারি জায়গায় রয়েছে, সেখানে অনেক জায়গায় অবৈধভাবে তৃণমূলের পার্টি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। নিজের দম থাকলে পার্টি অফিসগুলিকে আগে ভাঙুন। যদি আপনার কাছে বুলডোজার থাকে, তাহলে আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভেঙে দেখান। তিলজলার অফিসটা আগে ভাঙুন। রাস্তার ফুটপাত, পিডাব্লুডির জায়গা, ইরিগেশনের জায়গা, রেলের জায়গা, যেখানে যত জায়গা আছে সেখানে একটা করে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে। ঝাণ্ডা লাগিয়ে জায়গা দখল করা হয়েছে। পার্টির নেতারা ওখানে বসে কেবল তোলাবাজি করে মাত্র। এই জায়গাগুলি একটা ব্যবসা করার জায়গায় পরিণত হয়েছে।” এদিন এই ভোটের প্রচারে উপস্থিত ছিলেন নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, চাকদার বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ, রানাঘাট উত্তর পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান বা আদালত বিশ্বাস করেন না”, কটাক্ষ সুকান্তর

    হকার উচ্ছেদে বিক্ষোভ

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কলকাতা সহ একাধিক জেলায় হকার উচ্ছেদের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। ধর্মতলা চত্বরে কার্যত হকার এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে শনিবার দুপুরে। একই ভাবে সিউড়ি, রামপুরহাট, সল্টলেক, নিউটাউন সহ একাধিক জায়গায় হকার উচ্ছেদের ঘটনায় ব্যাপক অসন্তোষ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় হকারদের মধ্যে। পাশাপাশি বিজেপির বক্তব্য, আগাম নোটিশ এবং বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করে কেন এই পদক্ষেপ সরকারের? তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের গলায়ও। এই পরিস্থিতিতে দিলীপ (Dilip Ghosh) ঘোষও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান বা আদালতকে বিশ্বাস করেন না”, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান বা আদালতকে বিশ্বাস করেন না”, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান বা আদালতকে বিশ্বাস করেন না”, ঠিক এই মন্তব্য করে তৃণমূল নেত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শনিবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠান থেকে বিচারকদের উদ্দেশে মমতা (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, “বিচারকদের রাজনৈতিক পক্ষপাত থেকে মুক্ত থাকতে হবে”। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তীব্র তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে রাজ্যে নারী নির্যাতন এবং হকার উচ্ছেদ নিয়ে মন্তব্য করেন এই বিজেপি নেতা।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখে না, আদালতের রায় মানে না। কয়েকদিন আগে যখন কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে ওবিসিদের নামে মুসলমান সংরক্ষণ প্রথা আমাদের সংবিধান পরিপন্থী, তখন মমতা বিচার মানেন না বলে প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাজ্যের সংবিধান প্রধান রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তা কার্যত রাজভবন এবং সংবিধানকে অপমান করেছেন। কোচবিহারে এক মহিলাকে নগ্ন করে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এই ঘটনা থেকে চোখ সরাতে মমতা কলকাতায় হকার উচ্ছেদের নামে প্রহসন করছেন। কোচবিহারের ঘটনাকে আড়াল করার অপচেষ্টা করছেন মমতা।”

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা, জারি সতর্কতা

    আর কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন মমতার (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “কোচবিহারের ঘটনা সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও এই রাজ্যের কোনও মহিলারা সুরক্ষিত নন! রাজ্যে মা-বোনদের সম্মান রক্ষায় ব্যর্থ এই সরকার। বাংলার মহিলাকে অসম্মান মানে সংবিধানকে অসম্মান করা। সংবিধানকেই নগ্ন করেছে তৃণমূল সরকার। যদি হকার উচ্ছেদ সত্যই সত্যই করতে চাইতেন, তাহলে আগে থেকে নোটিশ দেওয়া উচিত ছিল। এই বিষয়ে বিজেপির অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট যে বিকল্প ব্যবস্থা না করে, এই অস্থিরতা তৈরি করা সরকারের ভাবনা ঠিক নয়। রাজ্যে চাকরি নেই, কাজ নেই তাই মানুষ বাধ্য হয়ে হকারি করছেন। রাজ্যে শিল্প কারখানা নেই, পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে। তাই এই দায় নিতে হবে মমতা সরকারকেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • High Court: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

    High Court: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনকে কেন্দ্র করে একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্লীলতাহানির অভিযোগ পর্ব থেকে সেই যে বিতর্ক শুরু, তারপর মুখ্যমন্ত্রী টানা আক্রমণ করে গিয়েছে সি ভি আনন্দ বোসকে। যদিও এই পর্বে অনেকটাই রক্ষণাত্মক রাজ্যপাল। কিন্তু এবার বিচার চাইতে হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হলেন সি ভি আনন্দ বোস। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।

    শপথ ঘিরে জটিলতা (Governer)

    শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, রাজ্যের আরও কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে রাজ্যপাল ওই মামলা (High Court) করেছেন বলে জানা গিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী জানিয়েছেন, এখন অবধি মামলা লিস্টেড হয়নি। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেয়েরা ওখানে (রাজভবন) যেতে ভয় পাচ্ছে। এই মন্তব্য উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন রাজ্যপাল (Governer)। প্রসঙ্গত রাজভবন নাকি বিধানসভায়, শপথ কোথায় হবে এ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। সদ্য জয়ী তৃণমূলের দুই বিধায়ক চাইছেন বিধানসভায় শপথ করানো হোক। অন্যদিকে রাজভবনে এসে শপথ নেওয়ার সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিধায়করা সেখানে না যাওয়ার ফলে দুই বিধায়কের শপথ ঘিরে জটিলতা অব্যাহত। এরই মাঝে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে শপথ জটিলতার সমাধান না হলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তিনি আবার বোমা পাঠাবেন। অন্যদিকে বিধানসভার সামনে বরানগর কেন্দ্র থেকে জয়ী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলে দিয়েছেন তখন আর কিছু বলার নেই। ভয় তো লাগতেই পারে।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের মদতেই সরকারি জমি বিক্রি! শিলিগুড়িতে মিলল বড় চক্রের হদিশ

    অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলে দিয়েছেন, তাই বিধায়কদের ভয় লাগছে। কিন্তু বাকি একজন পুরুষ বিধায়কের কেন শ্লীলতাহানির ভয় নাকি দলের হুইপের ভয় তা জানা যায়নি।  

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া (High Court)

    সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, শুক্রবার মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) দায়ের করা হয়। মামলার কপির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য উল্লেখ করা আছে। রাজ্যপালের এই মামলা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “রাজ্যপাল (Governer) সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত অনেক আগে নেওয়া উচিত ছিল। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের মর্যাদা জড়িত আছে। এ বিষয়ে রাজ্যপালের প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hawker Eviction: বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুর! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার

    Hawker Eviction: বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুর! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার জেরে বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারেও ফুটপাত ‘জবরদখলমুক্ত’ (Hawker Eviction) করতে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন। বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুরের (sonarpur-Garia) ফুটপাতের দোকানগুলিও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার। কর্মসংস্থান হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ল হকারেরা। 

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই শুরু অ্যাকশন 

    সোমবার রাজ্যের সমস্ত জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে যেমন বেআইনি দখল নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তেমনি ফুটপাত দখলমুক্ত (Hawker Eviction) করে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেই রাজপুর সোনারপুর (sonarpur-Garia) পুরসভা ও বারুইপুর পুলিশ-প্রশাসন একটি জরুরি বৈঠক করে। তারপরেই প্রশাসন বুধবার সারাদিন মাইকিং করে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার সমস্ত ফুটপাত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ফুটপাত পরিষ্কার করার জন্য।  

    ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযান (Hawker Eviction)

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত সেদিন প্রশাসনিক আধিকারিকরা মাইকিং করে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে ফুটপাত দখল মুক্ত করার অভিযান শুরু হবে। এলাকায় প্রতিনিয়ত হকার্স বন্ধুদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে উঠছে এবং এর পাশাপাশি রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ও বেড়েছে,যার ফলে প্রতিদিন অ্যাক্সিডেন্টও ক্রমে বেড়েই চলেছে। স্টেশনগুলো এরিয়া দখল করে রেখেছে রিক্সা, টোটো কিছু কিছু প্রাইভেট গাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রশাসনিক জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সোনারপুর পুলিশ আধিকারিকরা মিলে এই ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযান শুরু করবে।” 

    আরও পড়ুন: হকার উচ্ছেদে এবার সরব গেরুয়া শিবির, সিউরিতে বিক্ষোভ বিজেপির!

    এরপর বৃহস্পতিবার সকালেও পুলিশ ও স্থানীয় পুর-কর্মীরা এসে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দোকান তুলে নিতে বলেছেন। দোকানদারদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে হবে তাঁদের । অন্যদিকে গলি রাস্তার উপর লোহার রডের সঙ্গে ত্রিপল দিয়ে দোকানের কাঠামোর অংশ খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকরা হকারদের নির্দেশ দেন, রাতের মধ্যে এগুলি না খুললে ফের অভিযান হবে ৷ তখন কলকাতা পুরনিগমের তরফে লোক এসে সব ভেঙে খুলে (Hawker Eviction) নিয়ে চলে যাবে। এরপর হকারদের আর কিছু করার থাকবে না। সেই নির্দেশ মতোই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন বাজার বেশ ফাঁকা। কারণ সব দোকানদাররা নিজেদের দোকান গুটিয়ে ফেলতে ব্যস্ত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেচাকেনা বন্ধ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Speaker: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    Lok Sabha Speaker: ইন্ডি জোটে ফাটল, স্পিকার নির্বাচনে একতরফা প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস, ক্ষুব্ধ তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্পিকার নির্বাচনে (Lok Sabha Speaker) একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস, ঠিক এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকারের মনোনয়ন নিয়ে ইন্ডিজোটের মধ্যে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। স্পিকার নির্বাচন নিয়ে এনডিএ বিরোধীদের সমর্থন চাইলে, কংগ্রেস শর্ত দেয় ডেপুটি স্পিকার পদ দিতে হবে তাদের। কিন্তু শাসক শিবিরের উত্তর না মেলায় কংগ্রেস একক ভাবে স্পিকারের পদে নির্বাচনের জন্য প্রার্থী দেয়। আর এই নিয়ে তৃণমূলের হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ফলে বিরোধী শিবির ইন্ডি জোটে ফাটল স্পষ্ট।

    কী বললেন অভিষেক (Lok Sabha Speaker)?

    মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার (Lok Sabha Speaker) পদে মনোনয়ন নিয়ে, ইন্ডিজোটের শরীকদের মধ্যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংসদ কে. সুরেশকে স্পিকার পদের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। অত্যন্ত দুর্ভাগ্য জনক। বলতে বাধ্য হয়েছি এই সিদ্ধান্ত এক তরফা ভাবে নেওয়া হয়েছে।” এই কথা বলার পর অভিষেককে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু রাহুল কোনও পাল্টা উত্তর দেননি। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয় নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। তৃণমূল বৈঠকে বসেছে এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা হবে।

    কংগ্রেসের প্রার্থী পদের আপত্তি

    লোকসভার ডেপুটি স্পিকার (Lok Sabha Speaker) চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এনডিএ মানতে নারাজ ছিল। আর এই জন্য এনডিএ-র মনোনীত স্পিকারকে স্বীকার করেনি ইন্ডিজোট। তখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের মতান্তর হয়নি। কিন্তু আচমকা কংগ্রেস স্পিকারে পদের জন্য আলাদা করে প্রার্থী দেওয়ায় বিরোধ বাধে। এরপর শুরু হয় তৃণমূলের ক্ষোভ প্রকাশ।

    আরও পড়ুনঃ উত্তরপাড়ায় দীর্ঘ দিন দেখা নেই তৃণমূল বিধায়কের, চর্চায় কাঞ্চন মল্লিক

    স্পিকার নিয়ে রাহুলের বক্তব্য

    কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, “আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকাজির সঙ্গে রাজনাথ সিং কথা বলতে এসেছিলেন। বিরোধীদের শর্ত শোনার পর এই বিষয়ে কোনও সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। এই বিষয়ে আর কোনও ফোন বিজেপির পক্ষ থেকে আসেনি।” পাল্টা রাজনাথ সিং অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এনডিএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্পিকার (Lok Sabha Speaker) নির্বাচনের পর ডেপুটি স্পিকার নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কংগ্রেস তাতে রাজি হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “ভাইপো দুবার, মুখ্যমন্ত্রী চারবার এসেও বালুরঘাটে তৃণমূল হেরেছে”, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “ভাইপো দুবার, মুখ্যমন্ত্রী চারবার এসেও বালুরঘাটে তৃণমূল হেরেছে”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি জিতে বসে আছি, আর কলকাতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) হেরে গিয়েছে।” প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর বালুরঘাটে ফিরেই সুকান্ত মজুমদার আক্রমণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা বিপ্লব মিত্রকে হারায়নি, হারিয়েছি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। শুধু একবার হারাইনি। বালুরঘাট লোকসভা নির্বাচনের পুনরায় গণনাতেও হারিয়েছি তৃণমূলকে। তাই আমরা দু’দুবার হারিয়েছি বিপ্লব মিত্র এবং মুখ্যমন্ত্রীকে।” সুকান্তবাবু আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে হারানোর জন্য এই জেলায় চারবার এসেছিলেন, তারপরেও তিনি হেরে গিয়েছেন। ভাইপো দুবার এসেছিল। তারপরও এই আসনে মোদিজি জয়যুক্ত হয়েছেন। বালুরঘাটে তৃণমূল হেরেছে।”

    বালুরঘাট স্টেশন পরিদর্শন করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হবার পর রবিবার বালুরঘাট রেল স্টেশনের কাজ খতিয়ে দেখতে যান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মূলত, বালুরঘাট স্টেশন ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। ভোটের কারণে এতদিন তিনি সেখানে যেতে পারেননি। পরে, মন্ত্রী হওয়ার পর বালুরঘাট ফিরে স্টেশনের সার্বিক অবস্থা কেমন রয়েছে তা খতিয়ে দেখেন তিনি। পাশাপাশি এদিন বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আত্মবলিদান দিবস উদযাপন করা হয়। বালুরঘাটে শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি স্থাপনের নির্দেশ দেন সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: কাঁকসায় তৃণমূল সমর্থকের ছেলে জঙ্গি! গ্রেফতার করল এসটিএফ

    একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন সুকান্ত

    অন্যদিকে, এদিন একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন সুকান্ত মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এবার বিদ্যুতের বিল কমাতে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত  বলেন, “রাজ্য সরকারের অবস্থা খারাপ। বিদ্যুতের বিল দিতে পারছে না। বহু জায়গায় এই রকম অবস্থা। পুরসভাগুলি বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারার জন্য আলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যে কোনও দিন এই রাজ্য সরকার উল্টে পড়বে।” সবজি বাজার আকাশ ছোঁয়া, জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, দাম বৃদ্ধির পিছনে হয়তো তৃণমূলের তোলাবাজির রহস্য আছে। আমরা খুঁজছি। নিশ্চই পাওয়া যাবে। তৃণমূলের কে তোলাবাজি করছে। বেহাত হতে চলেছে রবীন্দ্র সরোবর। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, রবীন্দ্র সরোবর দখল করে তৃণমূল পারলে সেখানে ফ্লাট তুলে দেবে। এখন সেটা তুলতে পারেনি এইটা আমাদের সৌভাগ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন বোস, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন বোস, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে জেলায় জেলায় বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্তী এই হিংসার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) । অবিলম্বে বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবার মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল।

    চিঠিতে কী রয়েছে? (CV Ananda Bose)

    রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) লিখেছেন, ‘পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে বলুন। ভোট মিটলেও জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে।’  পাশাপাশি চিঠিতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। ভোট পরবর্তী হিংসার যে সমস্ত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, সে বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে চিঠিতে। ইতিমধ্যে ঘরছাড়া ইস্যুতে মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আপাতত আরও পাঁচদিন রাজ্যে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের ভোটের ফল ঘোষাণার পর রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠির প্রসঙ্গটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    ডিজির দফতরের বাইরে ধর্নায় বসতে চান শুভেন্দু!

    ভোট পরবর্তী হিংসা আক্রান্তদের নিয়ে কয়েকদিন আগে রাজভবন অভিযান করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশি বাধায় তিনি যেতে পারেননি। পরে, আদালতের অনুমতি নিয়ে ফের আক্রান্তদের সঙ্গে করে রাজভবনে যান বিরোধী দলনেতা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) জানিয়েছিলেন, মোট ১,০২৫টি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। এই হিংসার শেষ দেখে ছাড়বেন। জানা গিয়েছে, রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চান শুভেন্দু। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ অনুমতি দেয়নি। কারণ, রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। এরপর ধর্নার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছেন শুভেন্দু। আদালত যদিও এ ক্ষেত্রে শুভেন্দুদের কর্মসূচির জন্য বিকল্প জায়গার নাম জানাতে বলেছিল। শুক্রবার রাজভবনের বিকল্প হিসাবে রাজ্য পুলিশের ডিজির দফতরের বাইরে ধর্নায় বসতে চান বলে আদালতে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    রাজ্যপালের চিঠি প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তে এ ব্যাপারে রাজ্যপালের উচিত রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে বাংলার মানুষের জন্য নিরাপত্তা চাওয়া।” বিজেপি নেতা সজল ঘোষের কথায়, “বাংলায় সরকার বদল না হলে এই ধরনের সন্ত্রাসের পরিবেশ কখনও বন্ধ হবে না। অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির গুডবুকে থাকার জন্য রাজ্যপাল এগুলো করছেন। আসলে কুৎসা করেও ভোটে জিততে না পেরে বিরোধীরা সন্ত্রাসের মিথ্যে কান্না কাঁদছে। আর তাতে পূর্ণ মদত জোগাচ্ছেন রাজ্যপাল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Government Land: সরকারি জমি বেদখল হচ্ছে, কার্যত মেনে নিল রাজ্য! প্রশাসনকে পরামর্শ শুভেন্দুর

    Government Land: সরকারি জমি বেদখল হচ্ছে, কার্যত মেনে নিল রাজ্য! প্রশাসনকে পরামর্শ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে জমি মাফিয়াদের দাদাগিরি। জমি মাফিয়াদের আটকাতে পারছে না সরকার ও প্রশাসন। সরকারি জমি (Government Land) বেদখল হচ্ছে, সেটা কার্যত মেনেও নিল রাজ্য প্রশাসন। সাম্প্রতিককালে, আদালতে এই নিয়ে মামলায় জোর সমালোচনা ও ধাক্কার সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যকে। বৃহস্পতিবারই এ নিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের সচিব মনোজ পন্থ (Department of Land Reforms) রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসক ও কালেক্টরদের চিঠি দিয়েছেন। 

    বিরোধী দলনেতার দাবি

    এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, সরকারি জমি (Government Land) জবরদখল করে গড়ে উঠছে তৃণমূলের পার্টি অফিস, কোথাও রোহিঙ্গারা উড়ে এসে জুড়ে বসে দখল করছে জমি। কিন্তু সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না। বিরোধী ও নানান মামলায় আদালতের চাপে অবশেষে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক। সম্প্রতি কোথায় রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরের জমি জবর দখল হয়ে রয়েছে তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। সব দফতরের প্রধান এবং জেলাশাসকদের নিজের এলাকার সরকারি জমির তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দেন তিনি। নবান্ন থেকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ১১ তারিখে যে প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছিল সেখানে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন সব সরকারি জমির তালিকা করতে হবে। সেই তালিকা ২১ জুনের মধ্যে আন্ডার সেক্রেটারিকে মেল করে জানাতে হবে।

    দুর্নীতির স্বীকারোক্তি মুখ্যমন্ত্রীর

    উল্লেখ্য,পুলিশ কর্তা ও সরকারি আধিকারিকদের বৈঠকে কলকাতা ও বিধাননগরে সরকারি জমি (Government Land)  দখল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিতে নবান্নে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এমন দাবিও করেন যে, সরকারি কর্মীদের মধ্যে দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা রয়েছে। তা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা। এর আগে সন্দেশখালি থেকে শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের ঘটনায় বঙ্গ রাজনীতিতে জোর ঝড় উঠেছিল। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতির বৈঠকে নির্দেশ দেন, কলকাতায় জমি মাফিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একই সঙ্গে বিধাননগরেও জমি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহর কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশি উদাসীনতা রয়েছে । জানা গিয়েছে, এদিন এই জমি দখল নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ৷ এই জমি দখল নিয়ে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা কী, তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “বিশ্বে গুরুত্ব বাড়ছে নয়া যোগ-অর্থনীতির”, যোগ দিবসে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    আদালতে ধাক্কা

    সম্প্রতি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জমিতে বেআইনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল দলীয় কার্যালয়। সেই কার্যালয় ভাঙার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বেদখল হওয়া জমি (Department of Land Reforms) নিয়ে মুখ্যসচিবের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষে বিদ্ধ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু নিজের সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় লেখেন, তৃণমূল ও তার শাখা সংগঠন কোথায় কত সরকারি জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে তা উল্লেখ করা হোক। আবার, রোহিঙ্গারা বাংলায় কতখানি জমি জবরদখল করে রেখেছে তাও খতিয়ে দেখা উচিত, বলে মনে করেন শুভেন্দু। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share