Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূলে মুষল পর্ব শুরু হয়েছে, এবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে”, উল্টোরথে হাওড়ায় তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূলে মুষল পর্ব শুরু হয়েছে, এবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে”, উল্টোরথে হাওড়ায় তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার উল্টোরথের অনুষ্ঠানে যোগদান করে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। হাওড়ার সাঁকরাইলের নবঘরায় তিনি বলেছেন, “তৃণমূলে মুষল পর্ব শুরু হয়েছে, এবারেই ধ্বংস হয়ে যাবে।” তবে তাঁর এই ভাষণের সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    রথযাত্রার দিনেই রাজ্যে তৃণমূলের (TMC) চলা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এরপর একাধিক বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, “যদু বংশ ধ্বংসের সময় মুষল পর্ব শুরু হয়েছিল। তৃণমূলেও তাই শুরু হয়েছে। এই ভাবেই তাঁদের দল শেষ হয়ে যাবে।” শুধু তাই নয় এই বর্ষায় সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে মমতার সরকারে সমালোচনা করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, “দেশের বিভিন্ন রাজ্য পেট্রোপণ্যের দাম কমিয়েছে। আর বাংলায় তৃণমূল সরকার অতিরিক্ত কর বসিয়েছে। গ্রাম থেকে সবজি, আনাজ, ফল গাড়িতে করে শহরে আসে। ফলে জ্বালানির দাম না কমালে সবজির দাম কমবে না, লোক দেখানো টাস্ক ফোর্স দিয়েও কমবে না।”

    আরও পড়ুনঃ রথে চড়ে তারাপীঠ ঘুরলেন মা-তারা, কেন মন্দিরের বাইরে বের হন দেবী?

    উপনির্বাচনে ব্যাপক রিগিং করেছে তৃণমূল!

    এদিন এই সভা থেকে রাজ্যে চার আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেছেন, “তৃণমূল (TMC) উপনির্বাচনে ব্যাপক ভাবে রিগিং করেছে। মাত্র এক মাস আগেই লোকসভার ভোটে যে কেন্দ্রগুলিকে বিজেপি এগিয়ে ছিল, সেখানে তৃণমূল কোন কাজ করল যে মানুষ এতো পরিমাণে ভোট দিল! এটা সম্পূর্ণ ভাবে রিগিং এবং ছাপ্পার ফলাফল। আগে হুগলির আরামবাগে সিপিএম নেতা অনিল বসু তিন-চার লাখ ভোটে জিতে মমতাকে পশ্চাৎদেশ দেখিয়ে ছিলেন। আজ সেই অনিল বসু এবং সিপিএমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তৃণমূলের অবস্থা আরও খারাপ হবে। না হলে এক একটি বুথে বিজেপি মাত্র ২-৩টি করে ভোট পায়? আগে সিপিএম যা করেছে, তৃণমূল এখন তাই করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা রাজ্যপালের মানহানি মামলার শুনানি শেষ, কী বলল হাইকোর্ট?

    CV Ananda Bose: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা রাজ্যপালের মানহানি মামলার শুনানি শেষ, কী বলল হাইকোর্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) সেই মামলার শুনানি শেষ হয়েছে সোমবার।  শুনানিতে দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে অন্তর্বর্তী নির্দেশ আপাতত মুলতুবি রেখেছে উচ্চ আদালত। সপ্তাহের প্রথম দিন এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের বেঞ্চে।

    কী বলল আদালত

    সোমবারের শুনানিতে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) আইনজীবী বলেন, ‘‘রাজ্যপাল সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য করা হয়েছে। দুই নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজ্যপাল চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে কোনও ভয়ের কথা ছিল না। তার পরেও মহিলারা রাজভবনে যেতে ভয় পান— এই ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে। এটা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা হয়েছে , এটা তো সঠিক।’’ মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, ‘‘দু’টি অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। রাজভবনের এক মহিলা কর্মী এবং এক জন নৃত্যশিল্পী অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ওই মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর ওই মন্তব্য মানহানিকর নয়। তার পরই রাজ্যপালের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘দুই বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা শপথ নেবেন। এটা প্রশাসনিক কাজকর্মের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সেখানে অন্য বিষয় কেন জুড়ে দেওয়া হল?’’ দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর শুনানি মুলতুবি করে দেন বিচারপতি। 

    আরও পড়ুন: মন্দির ভেঙে মসজিদ? ভোজশালার ওপর সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে

    কোন প্রেক্ষিতে মামলা

    দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণের ইস্যুতে দীর্ঘ টানাপোড়ন চলেছে। শপথ না হওয়ার বিষয় নিয়ে রাজ্যপালকে সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠেছিল সেই প্রসঙ্গ টেনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূল নেতারা সম্মানহানিকর মন্তব্য থেকে বিরত থাকুক, আদালতের কাছে এই আর্জি জানিয়ে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সি ভি আনন্দ বোস। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Medinipur: একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ছেঁড়া হল মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার!

    Medinipur: একুশে জুলাইয়ের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ছেঁড়া হল মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমানেই একুশে জুলাইয়ের শহিদ সভা, তৃণমূলের (TMC) বড় অনুষ্ঠান, কিন্তু এই সভার প্রচারকে ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। ছেঁড়া হয়েছে মমতার ছবি দেওয়া পোস্টার! ইতি মধ্যে একপক্ষ, ওপর আরেক পক্ষের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনা ঘটেছে মেদিনীপুর (Medinipur) পুরসভা এলাকায়।

    স্পিনিং মিলের রাশ কার হাতে (Medinipur)?

    সরকার পরিচালিত রাজ্যে যে ছয়টি স্পিনিং মিল রয়েছে তার মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটির তাম্রলিপ্ত কো-অপারেটিভ স্পিনিং মিল। এই মিলের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব। একপক্ষ হল আইএনটিটিইউসি এবং অপর পক্ষ হল ফেডারেশন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে করা ব্যানার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

    আইএনটিটিইউসি গোষ্ঠীর বক্তব্য

    এই ঘটনার মূল অভিযোগ ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর (Medinipur) সত্য পড়িয়ার বিরুদ্ধে। স্পিনিং মিলের আইএনটিটিইউসি-র পক্ষ থেকে নেতারা অভিযোগ করে বলেছেন, “এই কাউন্সিলেরর নেতৃত্বে ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে টাঙানো ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। শুধু তাই নয় এই ওঁর অনুগামীরা কয়েকদিন আগে মিলের মধ্যে থাকা আমাদের সংগঠনের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।”

    ফেডারেশনের গোষ্ঠীর বক্তব্য

    আইএনটিটিইউসি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে পার্থ ঘনা অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, “কাউন্সিলর (Medinipur) সত্যবাবু অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তি। তবে কেন এমন রাজনীতির অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখা হবে। এই বিষয়ে জেলা সভাপতি এবং রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানাবো। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।” আবার সরকারি কর্মী সংগঠন ফেডারেশনের মুখ্য উপদেষ্টা সুনীল কর বলেছেন, “সত্য পড়িয়া ফেডারেশনের কেউ নন। বিষয় কী ঘটেছে আমার জানা নেই, আমি খোঁজ নিয়ে জানাব। যদি কোনও সমস্যা থাকে, তবে আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুনঃ বাড়িতে তৃণমূলের ঝান্ডা পুঁতে বিজেপি কর্মীদের সামাজিক বয়কটের ডাক! শোরগোল

    তৃণমূল কাউন্সিলরের বক্তব্য

    মেদিনীপুর (Medinipur) পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্য পড়িয়া বলেছেন, “আগামী ২১ জুলাই ধর্মতলায় সভা হবে তাই প্রচারের জন্য মিটিং ডাকা হয়েছিল, আমিও সেখানে গিয়ে ছিলাম। তৃণমূলের (TMC) কর্মীরা যখন যেখানে আমাকে ডাকবেন আমি সেখানে যাব। দলের হয়ে যা নির্দেশ থাকবে পালন করব। তবে ওই ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Gangopadhyay: “মমতা না পারলে আমি দেখে নেব”, অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Gangopadhyay: “মমতা না পারলে আমি দেখে নেব”, অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তমলুকের রাধামণি মিনি মার্কেটের স্টল বিলি নিয়ে অস্বচ্ছতা হয়েছে বলে এলাকার মানুষ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় স্টল পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গিয়ে বলব, সরকারি জায়গার উপর ঘর-বাড়ি ভাঙার কথা। আর মমতা না পারলে আমি দেখে নেব।”

    কী বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)?

    রাধামণি মিনি মার্কেট পরিদর্শন করে প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, “বেশ কিছু দুর্নীতি হয়েছে। যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরা সবাধান হয়ে যান। না হলে সব স্টল ভাঙা পড়বে। মুখ্যমন্ত্রী তো ঘোষণা করেছিলেন যে সরকারি জায়গায় কোনও অবৈধ নির্মাণ হলে তা ভাঙা হবে। আমি নিজে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বলব, আপনি যা ঘোষণা করেছেন তা করুন। যদি না করেন তার পরের ব্যবস্থা আমি দেখবো।” এদিন এলাকার বঞ্চিত মানুষদের পাশে থেকে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন এই বিজেপির সাংসদ।

    আরও পড়ুনঃ ‘গদ্দারদের জন্য হেরেছি, এটা দলের পরাজয়, আমার নয়”, বিস্ফোরক বিপ্লব মিত্র

    এক একজন ছয় থেকে দশটি স্টলের মালিক!

    একই ভাবে এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, “পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক একটি স্টল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এক একজন ছয় থেকে দশটি স্টলের মালিক বলেই অভিযোগ। অথচ যাঁরা ওই জায়গায় স্টল হওয়ার আগে ব্যবসা করতেন, তাঁদের আশ্বাস দিলেও কাউকেই স্টল দেওয়া হয়নি। মানুষের অধিকার থেকে বঞ্চনা করে টাকার বিনিময়ে সব বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের একাংশ এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।”

    উল্লেখ্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay), রাজ্যে তৃণমূল শাসকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, পুর দুর্নীতি সহ একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন। তাঁর রায়ে রাজ্যের দুর্নীতির নানান বিস্ফোরক তথ্য সাধারণ মানুষের সমানে উঠে এসেছে। এই মুহূর্তে একাধিক দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক জেলে রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না”, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Birbhum: “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না”, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমানেই ২১ জুলাই, তৃণমূলের বড় কার্যক্রম। আর তাকে কেন্দ্র করে বিশেষ বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল বীরভূম (Birbhum) জেলার মাঠপালশা গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান শেখ ইউনিস মুসলমান ভোট এবং অধিকার নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “সংখ্যালঘুরা বোমা তৈরি করবে, সংখ্যাগুরুরা বড় দায়িত্বে থাকবে, হতে পারে না।”  

    তৃণমূল নেতা ঠিক কী বললেন (Birbhum)?

    তৃণমূল নেতা শেখ ইউনিস (Birbhum) বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যা লঘুদের একমাত্র পথ হল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা দিদি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। কাজল শেখ নানুরে এবং সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকে নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। ৬৭ হাজার ভোটারদের মধ্যে তৃণমূল ২৭ হাজার ভোটে লিড দিয়েছে। মুসলমানেরা ঢেলে ভোট দিয়েছে তৃণমূলকে। তাই আমাদের সংগঠিত হতে হবে। সংখ্যাগুরু হয়ে যাঁরা বড় বড় পদ নিয়ে বসে আছেন, তাঁদের নিয়েও ভাবতে হবে। সংখ্যালঘু মুসলমানেরা কোথায় যাবেন? এই সব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। কোর কমিটি মেম্বারদের আঙুল তুলে বুঝিয়ে দিতে হবে, বুথেই জিততে পারছেন না, জেলায় আবার কীসের দায়িত্ব নেবেন। বোমা বাঁধা থেকে লাঠি সব আমরা করব, আর পদের বেলায় শুধু সংখ্যাগুরু! এই সবকিছু ভাবতে হবে। এই সিস্টেম মানা যাবে না।”

    আর কী বললেন?

    তৃণমূল নেতা শেখ ইউনিস (Birbhum) আরও বলেছেন, “যদি বিজেপি ৪০০ আসন পেতো তাহলে কি আমরা ঠিক মতো নামাজ পড়তে পারতাম? ইসলামি ধর্মীয় আচার ঠিক করে পালন করতে পারতাম তো? উত্তর প্রদেশের যোগী দাবি করেছেন এখনে মসজিদে মাইক বাজে না, রাস্তায় কেউ নামাজ পড়েন না। কিন্তু বিজেপি ২৪০ আসনে আটকে গিয়েছে। অযোধ্যা থেকে শুরু করে রামের যাত্রা পথে যেখানে যেখানে বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে, সেখানে সেখেনে হেরেছে। তাই সংখ্যাগুরুদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে। মোদি ৭৩ শতাংশ হিন্দু সমাজকে একত্রিত করতে চেয়েছিলেন। আমরা কত? কোথাও ২৭ বা ২৫ শতাংশ মুসলমান, বাকি তো সব সংখ্যাগুরু। তাই ভাবতে হবে, ওরা জিতে গেলে আমাদের কী অবস্থা হতো? তৃণমূল একমাত্র আমাদের পথ।”

    আরও পড়ুনঃ যুবক-যুবতীকে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গুজব! পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা গ্রামবাসীর, উত্তেজনা আসানসোলে

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা সভাপতি (Birbhum) ধ্রুবকুমার সাহা বলেছেন, “তার মানে নির্বাচনে তৃণমূলের অস্ত্র সংখ্যালঘু। তারাই বোমা বাঁধে, লাঠি ধরে। আসল সত্য ফাঁস হয়েছে। সংখ্যালঘুদের বোধোদয় হয়েছে। ২০২৬ সালে তাদের মনে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: তোলাবাজির অভিযোগ উঠতেই আঁতে ঘা, তৃণমূল নেতাদেরও চক্ষুশূল হয়ে গেল পুলিশ! 

    Paschim Bardhaman: তোলাবাজির অভিযোগ উঠতেই আঁতে ঘা, তৃণমূল নেতাদেরও চক্ষুশূল হয়ে গেল পুলিশ! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসিএলের খনি ভরাট করার জন্য প্রয়োজন বালি। বরাত পাওয়া প্রাইভেট সংস্থার বালির গাড়ি অবৈধ, এই অভিযোগ তুলে তা আটকে দিয়ে বিপাকে পড়েছেন জামুরিয়ার তৃণমূল নেতা তথা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন দুই তৃণমূল নেতা। সংস্থার তরফে কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে তোলাবাজির। ঘটনার প্রেক্ষিতে সংঘাত লেগেছে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে জামুরিয়া থানার। জামুরিয়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলে দলীয় পদ এবং সরকারি পদ থেকে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জামুড়িয়ার পরাশিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, সমিতির সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, অবৈধ এবং দূষিত বালিমাটি পরিবহণ তাঁরা আটকে দিয়েছেন মানুষের স্বার্থে। কিন্তু পুলিশ কাজ করছে ওই প্রাইভেট সংস্থার হয়ে, মানুষের হয়ে নয়। এই নিয়ে সরগরম জামুরিয়ার (Paschim Bardhaman) রাজনীতি।

    কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ?

    ইসিএলের কাজে বাধা দেওয়া ও তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে জামুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা উদীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, বেআইনি ও অবৈধ কাজ বরদাস্ত নয়। তারপরেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন জামুরিয়া পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতারা (Trinamool Congress)। মাটি, বালি, ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই গাড়ি দেখলেই অভিযান শুরু নেতাদের। এই নিয়েই তৃণমূল নেতাদের একাংশের সঙ্গে লাগল সংঘাত। প্রাইভেট সংস্থার অভিযোগ, অভিযানের নামে তোলাবাজিতে নেমেছেন ওই তৃণমূল নেতারা।

    পাল্টা কী হুমকি দিলেন তৃণমূল নেতা? (Paschim Bardhaman)

    ইসিএলের কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার পরাশিয়া গ্রুপ অফ মাইনসের এজেন্ট মধুসূদন সিং ও ইসিএলের টেন্ডার পাওয়া একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে পিওবি (প্রসেস ওভার বার্ডেন) প্ল্যান্টের ইনচার্জ অসীম চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে জামুড়িয়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত উদীপ সিং ও তার ৬ সঙ্গী সহ ২০-২৫ জনের নামে একটি এফআইআর করেছে। শনিবার রাতে তাঁদের মধ্যে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁরা হলেন রঘুপদ মণ্ডল ও মলয় মণ্ডল। পুলিশ অ্যাকশন নিতেই  জামুড়িয়া ব্লকের পরাশিয়া গ্রামে সাংবাদিক সম্মেলনে করে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেন তৃণমূল নেতা, তথা কর্মাধ্যক্ষ উদীপ সিং। পাল্টা তিনি জামুরিয়া থানার (Paschim Bardhaman) ওসি রাজশেখর মুখোপাধ্যায়, ইসিএল এবং ওই বেসরকারি সংস্থার আধিকারিককে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, আমি জামুরিয়া এলাকায় মাটি ও বালির বেআইনি কারবার বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে এফআইআর করা হয়েছে। এদিন তাঁর সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে পরাশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নির্বাচিত গ্রামসদস্য ছিলেন। উদীপ সিং এদিন হুমকি দিয়ে বলেন, দল পাশে না দাঁড়ালে এই ঘটনার বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে অবস্থানে বসব। দলের নেতৃত্বকে সব জানিয়েছি। দল যদি পাশে না দাঁড়ায় তাহলে পদত্যাগ করব, এমন হুমকিও তিনি দেন। তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি সংস্থার আধিকারিকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছি। আর কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে পরামর্শ করছি।

    কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের, কী বলছে বিজেপি?

    অন্যদিকে, দায় এড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জামুরিয়ার (Paschim Bardhaman) বিধায়ক হরেরাম সিং বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখব। বিষয়টি জানা নেই। পাণ্ডবেশ্বর প্রাক্তন বিধায়ক, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, তৃণমূলে যাঁরা থাকেন, তাঁরা স্বাধীনভাবে থাকতে পারেন না বা তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকারও নেই। কারণ জামুরিয়ার সমস্ত কিছুই আসানসোলের তৃণমূল নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত হয়। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও দল ও পুলিশ-প্রশাসন থেকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তোলা হবে উদীপকেই। সম্মান নিয়ে যদি উনি বাঁচতে চান, ওঁকে তৃণমূল ছাড়তে হবে। আর যদি উনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চান, আত্মসমর্পণ না করতে চান, তাহলে দল ছাড়ুন। আমরা তাঁর (Trinamool Congress) পাশে থাকব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: একদিকে হকার উচ্ছেদ, অন্যদিকে নয়নজুলি দখল করে চলছে অবৈধ নির্মাণ!

    South 24 Parganas: একদিকে হকার উচ্ছেদ, অন্যদিকে নয়নজুলি দখল করে চলছে অবৈধ নির্মাণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকটি দফতর থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোনও ভাবেই সরকারি জায়গা দখল করা যাবে না। যারা যারা দখল করেছে, তাদের উচ্ছেদ করতে হবে। আর সেই নির্দেশের পরেও উল্টো ছবি দেখা গেল কুলপি বিধানসভার (South 24 Parganas) বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে নয়নজুলি দখল করে চলছে একের পর এক অবৈধ নির্মাণ। হেলদোল নেই প্রশাসনের।

    কোথায় চলছে এই বেপরোয়া কার্যকলাপ? (South 24 Parganas)

    কুলপি বিধানসভার নিশ্চিন্তপুর স্টেশন রোড সংলগ্ন এলাকায় একের পর এক নয়নজুলি ও পিডব্লিউডি’র জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ নির্মাণ। নিশ্চিন্তপুর এলাকায় রাস্তার পাশেই দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের পার্টি অফিস ছিল। তার পাশে পিডব্লিউডি’র ফাঁকা জায়গা দীর্ঘদিন ধরেই সিপিএমের দখলে ছিল। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছিল জায়গাটি, যাতে নয়নজুলি থেকে জল ব্যবহার করতে পারেন তাঁরা। কিন্তু সেই জায়গাটিও রাতারাতি এলাকারই শাসকদল ঘনিষ্ঠ উমাপদ দাস নামে এক ব্যক্তি জোরপূর্বক দখল করে নেয় বলে অভিযোগ। এমনকী নয়নজুলি দখল করে চলে নির্মাণকাজও (Eviction)। এই বিষয় নিয়ে সিপিএমের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগও করা হয়।

    কে শুনছে কার কথা?

    শুধুমাত্র এই নিশ্চিন্তপুর এলাকাতেই নয়, কুলপি বিধানসভার বাগারিয়া এলাকাতেও (South 24 Parganas) নয়নজুলি দখল করে দিনে-দুপুরে চলছে এই অবৈধ নির্মাণের কাজ। তবে এই বিষয় নিয়ে বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বর্ণালী মণ্ডলের দাবি, তাঁরা এই অবৈধ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও কার অনুমতিতে এই অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে, তা তাঁদের কিছুই জানা নেই।অন্যদিকে কুলপি বিধানসভার বাগারিয়া এলাকা নিয়ে বিডিও, এসডিও, পুলিশ-প্রশাসন থেকে প্রত্যেকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে। কিন্তু তারপরেও কোনও ফল লাভ হয়নি। এলাকার সাধারণ মানুষের দাবি, এইভাবে একের পর এক নয়নজুলি দখল করে অবৈধ নির্মাণের ফলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জল নিকাশি ব্যবস্থা। আগামী দিনে চাষের কাজ একদিকে যেমন বন্ধ হয়ে যাবে, ঠিক তেমনি ভোগান্তির শিকার হতে হবে সাধারণ মানুষকে। তবে এই অবৈধ দখলদারি নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কেউ কিছুই বলতে চাননি। কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রিয় হালদার জানান, ইতিমধ্যেই যে যে জায়গায় অবৈধ নির্মাণ হচ্ছিল, প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বন্ধ করে দিয়েছে সেই নির্মাণ কাজ। 

    কটাক্ষ বিজেপি’র (South 24 Parganas)

    তবে এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কুলপি বিধানসভার শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক স্বপন হালদার জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশ শুধুমাত্রই ভাঁওতা ছাড়া অন্য কিছুই নয়। শাসকদলের মদত ছাড়া এবং প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এইভাবে নয়নজুলি দখল করে নির্মাণ কোনও দিনই করা যায় না। এই বিষয় নিয়ে বারে বারে তাঁদের পক্ষ থেকেও প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও ফল লাভ হয়নি। তাই প্রশ্ন উঠছে, এক দিকে যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিচ্ছেন অবৈধ নির্মাণ বন্ধের জন্য, তখন কীভাবে গোটা কুলপি বিধানসভা জুড়ে দিনে-দুপুরে চলছে অবৈধ নির্মাণ (Eviction)? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    CV Anand Bose: বোসের গায়ে ‘কালির ছিটে’! দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালকে (CV Anand Bose) নানা সময় অসম্মান প্রদর্শন করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের ছোট-বড় নেতাকেও। কটু কথা বলতে শোনা গিয়েছে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকেও। এবার রাজ্যপালের অফিসকে কলঙ্কিত করার অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (MHA Action)। কলকাতার ডিসি এবং ডিসিপি সেন্ট্রালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়ে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার প্রেক্ষিতেই পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    রাজ্যপালের চিঠি (CV Anand Bose)

    জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের পাঠানো চিঠিতে নাম গিয়েছিল ডিসি বিনীত গোয়েল এবং ডিসিপি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের। গোয়েল ও মুখোপাধ্যায়কে অপসারণের আর্জি জানিয়ে নবান্ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের আইএএস, আইপিএস ক্যাডার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ তথা ডিপার্টমেন্ট অফ পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিংকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল। তার জেরেই পদক্ষেপ হতে চলেছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। যদিও দুই পুলিশ কর্তাই জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না। রাজ্যের তরফেও এখনও কিছু জানানো হয়নি তাঁদের। বিষয়টি নিয়ে রা কাড়েনি রাজভবনও।

    বাংলা থেকে সরানোর চক্রান্ত!

    এদিকে, রাজ্যের মুখ্যসচিব গোপালিকার বিরুদ্ধেও আইএসএস কার্যবিধি লঙ্ঘন ও দুর্নীতিতে সাহায্য করা ও উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগও এনেছেন রাজ্যপাল (CV Anand Bose)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠানো রিপোর্টে রাজ্যপাল এও লিখেছেন, বাংলা থেকে তাঁকে সরাতে চক্রান্ত করা হচ্ছে। সেই চক্রান্তে শামিল রয়েছেন এই আধিকারিকরাও। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন রাজভবনের এক কর্মী। ওই মহিলা প্রথমে অভিযোগ জানান রাজভবনের অফিসার ইনচার্জের কাছে। তাঁর অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যপাল তাঁকে কু-ইঙ্গিত করছিলেন। সেদিন সন্ধেয় চেম্বারে ডেকে পাঠিয়ে অশালীন আচরণ করেন বলেও অভিযোগ। রাজভবনের অফিসার ইনচার্জের কাছে অভিযোগ জানানোর পর তিনি সটান চলে যান হেয়ারস্ট্রিট থানায়।

    আর পড়ুন: হিন্দু বিরোধিতা কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন! জেনে নিন বহমান সেই ধারা

    সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা না গেলেও, অভিযোগকারিণীর বয়ানের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করতে (MHA Action) শুরু করে কলকাতা পুলিশ। এর পরেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট ডিসির বিরুদ্ধে ‘অল ইন্ডিয়া সার্ভিসেসে’র অফিসারদের আচরণবিধি সংক্রান্ত শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন রাজ্যপাল (CV Anand Bose)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Firhad Hakim: “যাঁরা ইসলাম ধর্মে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা”, ‘হাকিমি’ মন্তব্যে তোপ বিজেপির

    Firhad Hakim: “যাঁরা ইসলাম ধর্মে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা”, ‘হাকিমি’ মন্তব্যে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা।” কথাগুলি যিনি বললেন তিনি সাধারণ কোনও মানুষ নন, তিনি কলকাতার মেয়র (Firhad Hakim)। রাজ্যের মন্ত্রীও বটে। আজ্ঞে হ্যাঁ, তৃণমূল পরিচালিত মন্ত্রিসভার সদস্য ফিরহাদ হাকিমই দিন তিনেক আগে ‘অল ইন্ডিয়া কোরান কম্পিটিশনে’ কথাগুলি বলেছিলেন বলে অভিযোগ। রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন ‘অপমানজনক’ ও ‘বিভাজনমূলক’ কথাবার্তায় হইচই রাজ্যজুড়ে। এই অনুষ্ঠানেই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই নেতা বলেন, “যাঁরা ইসলাম ধর্ম নিয়ে জন্মাননি, তাঁরা দুর্ভাগা। তাঁরা দুর্ভাগ্য নিয়েই জন্মেছেন। তাঁদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করতে হবে আমাদের।”

    ফিরহাদকে তোপ সুকান্তের (Firhad Hakim)

    ফিরহাদের এহেন মন্তব্যে হাতে অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “ফিরহাদ হাকিম যে মন্তব্য করেছেন, সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। (উনি) ইঙ্গিত দিয়েছেন যে যাঁরা মুসলিম হয়ে জন্মগ্রহণ করেননি, তাঁরা দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। (আর ইঙ্গিত করেছেন যে) আল্লাহকে খুশি করার উপায় হল ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়া। এই মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর এবং বিভাজনকারী। এই ধরনের মন্তব্যে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্যের নীতি ক্ষুণ্ণ হয়।”

    বিস্ফোরক মালব্যও

    ফিরহাদের (Firhad Hakim) মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকে এক হাত নিয়েছেন বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “তৃণমূল যে বাংলায় চূড়ান্তভাবে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে, তা ওপেন-সিক্রেট। পার্টির (পড়ুন, তৃণমূলের) এই নিরন্তর তু্ষ্টিকরণের রাজনীতির উদাহরণ এটি। নির্বাচনে জয় এবং নির্বাচনোত্তর হিংসাই তৃণমূলকে সাহসী করে তুলেছে। তাই এরা আগের চেয়েও বিস্ফোরক সব মন্তব্য করছে।

    আর পড়ুন: ইরানের নয়া প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মাসুদ, কেমন হবে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক?

    তৃণমূলের জেসিবির সেই তরুণকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে মারের ঘটনা শারিয়া আইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই ঘটনাকে আবার সমর্থন করেছেন চোপড়ার বিধায়ক তৃণমূলের হামিদুর রহমান। এই কাজ একটি মুসলিম রাষ্ট্রে পরিচিত ঘটনা। এই ঘটনা তৃণমূলের লুকোনো অ্যাজেন্ডার বহিঃপ্রকাশ। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও প্রকাশ করে ফেললেন দলের লুকোনো অ্যাজেন্ডা (Firhad Hakim)।…”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC leader arrested: বেআইনি জমি দখলের অভিযোগে দিল্লি থেকে গ্রেফতার শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা!

    TMC leader arrested: বেআইনি জমি দখলের অভিযোগে দিল্লি থেকে গ্রেফতার শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি দখল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শিলিগুড়ির তৃণমূলনেতাকে গ্রেফতার (TMC leader arrested) করেছে পুলিশ। তৃণমূল নেতার নাম গৌতম গোস্বামী, তাঁকে দিল্লি থেকে আটক করেছে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লকের তৃণমূল সহ-সভাপতি ছিলেন। বিজেপি জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করে আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি তুলেছে। ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে।  

    পুলিশ কমিশনারেটের বক্তব্য (TMC leader arrested)

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারেট সি সুধাকর বলেছেন, “দিল্লিতে আমাদের দল গিয়ে গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে, এই মুহূর্তে সব কিছু বলা সম্ভবপর নয়।” তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “মেয়র গৌতম দেবের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন দেবাশিষ প্রামাণিক, তাঁকে গ্রেফতার করার পরেই শহর ছেড়ে ছিলেন গৌতম গোস্বামী। তখন থেকে তাঁর খোঁজ চলছিল। শিলিগুড়ি থেকে তিনি প্রথমে যান কলকাতায়, এরপর হায়দরাবাদ হয়ে বেঙ্গালুরু হয়ে দিল্লিতে যান। ঠিক তারপর খবর পেয়ে স্পেশাল অপারেশন চালিয়ে গ্রেফতার (TMC leader arrested) করা হয়।”

    বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য

    তৃণমূল নেতা গ্রেফতারের পর ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির (Siliguri) বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “দেবাশিষ প্রামাণিক এবং গৌতম গোস্বামীকে গ্রেফতার (TMC leader arrested) করে চোখে ধুলো দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে বড় নেতারা পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। একের পর এক সরকারি-বেসরকারি জমি দখল করছেন তাঁরা। উত্তরকন্যার পাশে বিঘের পর বিঘে সরকারি জমি দখল করে রেখেছে। কাদের নির্দেশে এই অবৈধ দখল চলছে, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। জমিকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়া লোকসভায় হারের চর্চায় তৃণমূলের অন্দরে দলীয় সংঘাতের চিত্র প্রকাশ্যে!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেছেন, “আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা নির্দেশ দিয়েছেন তা অক্ষরে অক্ষরে পালন হবে। এই ধরনের কাজে যাঁরা যুক্ত তাঁদের শাস্তি (TMC leader arrested) হওয়া উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share