Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Malda: মালদায় জোর করে জমি দখল করে ইটভাটা! দাপট দেখাচ্ছেন তৃণমূল নেতা

    Malda: মালদায় জোর করে জমি দখল করে ইটভাটা! দাপট দেখাচ্ছেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বসে জমি দখল করা যাবে না বলে বার্তা দিচ্ছেন। সেই নির্দেশকে অমান্য করেই তৃণমূলের লোকজনই জোর করে জমি দখল করছেন। ইটভাটা তৈরির নাম করেই গৃহস্থের জমি রীতিমতো দাদাগিরি করেই দখল করছে জমি মাফিয়ারা। আর তাতে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালদার (Malda) কালিয়াচকের ভবানীপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    কালিয়াচক (Malda) থানার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়াডাঙা এলাকায় বসবাস করেন প্রদীপ পোদ্দার,অমিত পোদ্দারের পরিবার। ২০২২ সালে ভবানীপুর এলাকায় ৩৫ কাটা জমি কেনেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের একটি কলকারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিছুদিন ধরেই পোদ্দার পরিবারের জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় তৃণমূল পরিচালিত রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বরজাহা শেখের মদত রয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতাসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি, জমির মালিক পোদ্দার পরিবারের সদস্যরা ভূমি রাজস্ব দফতর, কালিয়াচক থানা থেকে শুরু করে পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু, পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব দফতর কোনও সহযোগিতা না করায় অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানোর হুমকি দিয়েছেন কালিয়াচকের পোদ্দার পরিবারের সদস্যরা। প্রদীপ পোদ্দার নামে পরিবারের এক সদস্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলছেন যে জমি দখল করা যাবে না। সেখানে তৃণমূলের লোকজনই আমাদের জমি জোর করে দখল করছেন। আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু, লাভ হচ্ছে না।”

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এদিকে দলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে জেল তৃণমূল   (Trinamool Congress) নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল কোনও ভাবেই পাশে থাকবে না”। অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা বরজাহা শেখ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: মমতার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানি মামলা, শুনানির দিন ঠিক করল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: মমতার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের মানহানি মামলা, শুনানির দিন ঠিক করল হাইকোর্ট

    নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের দায়ের করা মানহানি মামলার শুনানি ১০ জুলাই হবে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) । মামলাটি শুনানির তালিকায় না থাকায় রাজ্যপালের আইনজীবী বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার পরেই বিচারপতি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করা হয়।

    হাইকোর্টে রাজ্যপালের মানহানির মামলার শুনানি (Calcutta Highcourt)

    মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস(C V Ananda Bose) । তৃণমূলের দুই হবু বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে রাজ্যপালের তরফে। বুধবারই সেই মামলা বিচারপতি রাওয়ের বেঞ্চে উঠেছিল। সম্প্রতি নবান্নের একটি সরকারি বৈঠক থেকে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছিলেন মমতা। তার জেরে ওই মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন রাজ্যপাল। মমতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন সায়ন্তিকা, রায়াত হোসেন সরকার এবং কুণাল ঘোষ। সেই কারণে তাদের ওই মামলাতে যুক্ত করা হয়েছে বলে রাজভবন সূত্রে খবর।

    অমিত শাহকে নালিশ রাজ্যপালের (C V Ananda Bose)

    বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়েও রাজভবন বনাম সরকার পক্ষের সংঘাত চলছে। দুই বিধায়ককে রাজভবনে ডেকে পাঠানো হলে তাঁরা যাননি। শাসক দলের তরফ থেকে রাজ্যপালকে বিধানসভায় এসে শপথ পাঠের কথা বলা হয়েছে। তবে সেই আবেদন মৌখিক নাকি লিখিতভাবে করা হয়েছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন উত্তর নেই শাসক শিবিরে। প্রসঙ্গত রাজ্যের দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, উনি (C V Ananda Bose) হয় স্পিকারকে নয়তো ডেপুটি স্পিকারকে (শপথ পাঠের) এই অধিকার দিন। আর তা না হলে নিজে বিধানসভায় যান। রাজভবনে কেন সকলে যাবে? রাজভবনে যা কীর্তি কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা ওখানে যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ করেছে। নির্দিষ্ট দিনে এবং সময়ে দুই বিধায়ক রাজভবনে না যাওয়ার ফলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: মন্ত্রীর নামে নালিশ করে গ্রেফতার, মুক্তির নির্দেশ বিচারপতির

    এরপর রাজ্যপাল দিল্লি চলে যান। ইতিমধ্যেই অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। রাজ্যের তিন শীর্ষ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। যে দুই পুলিশ আধিকারিক এবং এক আমলার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রাজ্যপাল নালিশ জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আগেই সাংবিধানিক কার্যপ্রণালী এবং আচরণবিধির লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন বোস।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CV Ananda Bose: “আত্মসম্মানে আঘাত নয়”, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “আত্মসম্মানে আঘাত নয়”, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরাসরি সংঘাতের পথে রাজ্য-রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মানহানির মামলা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার এই মামলার শুনানি হতে পারে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সরগরম হয়েছে রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শাসকদলের নেতারা ক্রমাগত নিশানা করে গিয়েছেন রাজ্যপালকে। সেই প্রেক্ষিতেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন সিভি আনন্দ বোস। বিচারপতি কৃষ্ণা রাও-এর এজলাসে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কেন মামলা (CV Ananda Bose)

    রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে এক নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণেরও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, “আমার আত্মসম্মানে আঘাত লাগে, এমন কোনও মন্তব্য যদি কেউ করে থাকেন, তাহলে তাঁকে তাঁর পরিণতি ভুগতে হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তিনি বলেন, “তিনি আমার প্রশাসনিক সহকর্মী। কিন্তু তিনি এক্ষেত্রে দোষী।”  রাজভবন সূত্রে খবর, হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মামলা করার আগে রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর পরামর্শ নেন। এই মামলার জন্য প্রায় ১০০ পাতার ফাইল তৈরি করা হয়। ফাইলে কোন নেতা কোন সময়ে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন এবং অপমানজনক কথা বলেছেন তার উল্লেখ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভাসছে অসম, ক্ষতিগ্রস্ত সাড়ে ৬ লক্ষ বাসিন্দা! প্রধানমন্ত্রীর ফোন, উদ্ধারে বায়ুসেনা

    রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব (CV Ananda Bose)

    মঙ্গলবার প্রথমে চোপড়ায় নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের (CV Ananda Bose)। জানা যায়, মাথাভাঙার নির্যাতিতাকেও সেখানে ডেকে নেওয়া হবে। কিন্তু পরে কর্মসূচিতে বদল হয়। শিলিগুড়ি সার্কিট হাউজেই মাথাভাঙার নির্যাতিতাকে ডেকে নেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল।  চোপড়ার নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর দেখা করা হয়নি। তাঁকে রাজভবনে ডেকে পাঠানো হয়েছে।  শিলিগুড়ি থেকে এদিন বিকেলে রাজ্যপাল দিল্লি রওনা দেন। দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি বলেন, “যে সমাজ মহিলাদের রক্ষা করতে পারে না, সেই সমাজ সভ্যসমাজ বলে গণ্য হয় না। ” রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “সরকার সমর্থিত হিংসা চলছে রাজ্যে। এই বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Municipal Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিপাকে তৃণমূল নেতা, নাম জড়াল সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    Municipal Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বিপাকে তৃণমূল নেতা, নাম জড়াল সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটেই বিপাকে পড়লেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পাঁচু রায় (Pachu Ray) । তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, করোনাকালে একই দিনে দক্ষিণ দমদম পৌরসভায় ২৯ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময় পুরপ্রধান ছিলেন পাঁচু রায়। তবে ওই নিয়োগের (Municipal Recruitment Scam) ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি এখনও তদন্তের আওতাধীন রয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তির দিনেই ২৯ জনকে চাকরি ও নিয়োগ  (Pachu Ray)

    জানা গিয়েছে, একই দিনে ২৯ জনকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়। একই দিনে চাকরির বিজ্ঞপ্তি বের হয়, সেদিনই দেওয়া হয় নিয়োগপত্র। আবার সেদিনই চাকরিতে যোগদান করেন সকলে। গোটা প্রক্রিয়াটাই বেআইনি বলে দাবি করেছে ইডি। ইডির প্রশ্ন, তাহলে চাকরিতে নিয়োগের আগে নিয়ম মেনে মূল্যায়ন হল কী করে। ওই চার্জশিটে পাঁচুর রায়ের পাশাপাশি অয়ন শীলের নামের উল্লেখ রয়েছে। তবে এই দুর্নীতিতে অয়ন শীলের অর্থনৈতিক যোগাযোগ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।

    নথির আড়ালে কোডওয়ার্ড (Municipal Recruitment Scam)

    প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে পুর নিয়োগ দুর্নীতির খোঁজ পায় ইডি। জানা যায়, করোনা কালে রাজ্যে অন্তত ৮০টি পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়। কোনও নিয়ম না মেনে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে টাকার পাশাপাশি স্বজন-পোষণের বিষয়টিও উঠে আসে। এবার সেই পুর নিয়োগ (Municipal Recruitment Scam) দুর্নীতিতে প্রথম নাম শাসক দলের এক তৎকালীন পুরপ্রধানের। প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের মার্চ মাসের ১৯ তারিখ সল্টলেকে অয়ন শীলের অফিস ও হুগলির বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে দিস্তা-দিস্তা ওএমআর শিট উদ্ধার হয় এবং একটি ২৮ পাতার নথির খোঁজ পান তদন্তকারীরা। আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মনে করা হলেও পরে দেখা যায় তাতে রয়েছে একাধিক পুরসভার নিয়োগপ্রার্থীদের তালিকা এবং সেই সংক্রান্ত সুপারিশ। নথির মধ্যে ছিল একাধিক কোডওয়ার্ড।

    ৮০ পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি

    উত্তর দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, দক্ষিণ দমদম, কামারহাটি, বরানগর সহ বেশ কয়েকটি পুরসভার প্যানেলের তথ্য ছিল ওই নথিতে। এছাড়াও পুরসভাগুলিতে মেডিক্যাল অফিসার, ওয়ার্ড মাস্টার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাশিয়ার, মজদুর, ক্লার্ক, হেল্পার, ড্রাইভার সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশের তালিকাও ছিল ওই নথিতে।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪৭টি এফআইআরে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    ঐ নথির ভিত্তিতেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান পাঁচু রায়ের (Pachu Ray) নাম উঠে আসে। সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন তিনি। এবার সেই পুর নিয়োগ (Municipal Recruitment Scam) দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে উঠে এল তাঁর নাম।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Land Encroachment: চন্দ্রকোনায় সরকারি খাসজমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

    Land Encroachment: চন্দ্রকোনায় সরকারি খাসজমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখল (Land Encroachment) করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক করে দিয়েছিলেন উচ্ছেদের নির্দেশ। অথচ শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করার ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। এই আবহের মধ্যে মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় সরকারি খাস জমি-সহ একটি কবরস্থান দখলের অভিযোগ উঠেছে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ (Land Encroachment)

    গত শুক্রবার কবরস্থান দখলের অভিযোগে এলাকায় ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। এরপর এলাকার মানুষ জমিতে বেড়া দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তাঁদের অভিযোগ, ওই জমি সরকারি খাতায় করবস্থান বলে পরিচিত। কিন্তু এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার মদতে এই জমি রায়তি বলে রেকর্ড করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। জমি কেলেঙ্কারির (Land Encroachment) অভিযোগে অভিযুক্ত এই নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জমির শ্রেণী পরিবর্তন করায় ভূমি দফতরের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক বলেছেন, “কবরস্থানটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” আবার চন্দ্রকোনা (Chandrakona) পুরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্রের বক্তব্য, “অভিযোগ পেয়েছি। পুরসভা কড়া পদক্ষেপ করবে। দখল করা সরকারি জমি (Land Encroachment) পুনরুদ্ধার করা হবে।”

    কবর স্থানের মোট জমি ৩৬ শতক (Land Encroachment)

    চন্দ্রকোনা (Chandrakona) পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের নরহরিহরি মৌজায় নির্দিষ্ট একটি দাগের ৩৬ শতক জমি কবরস্থান বলে উল্লেখ করা ছিল। সেটি বহু আগে থেকেই এলাকায় কবরস্থান নামে পরিচিত। কিন্তু মাত্র একবছর আগে এই জমি দখল (Land Encroachment) হয়ে যায়। একই ভাবে চন্দ্রকোনা শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া নির্দিষ্ট একটি দাগের মোট ২৮৪ শতক জমি ঘেরা হয়েছিল। এর মধ্যে একটা বড় অংশ রায়ত জমি এবং তার সঙ্গে সরকারি জমিও রয়েছে। রাতারাতি রায়তের ৩৬ শতক কবরস্থান, ডাঙা বাঁশ বাগান হিসাবে দখল করে নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ জঙ্গি-যোগে চেন্নাইয়ে এসটিএফের জালে মঙ্গলকোটের আনোয়ার!

    জেলা ভূমি দফতরের বক্তব্য

    জেলা ভূমি দফতরের একপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, “অভিযোগ ইতিমধ্যেই আমরা পেয়েছি। তদন্ত শেষ হলে তবেই বলা যাবে কতটা জমি দখল (Land Encroachment) হয়েছে। সবটা উদ্ধার করা হবে। জমি পরিবর্তনের বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখব।” আবার তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষ বলেছেন, “এই জমি দখলের খবর রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় ভাবে তদন্ত করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “আর্থিক ভাঙনের মুখে বাংলা”, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন সিভি আনন্দ বোস

    CV Ananda Bose: “আর্থিক ভাঙনের মুখে বাংলা”, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন সিভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) বলেছেন, “আর্থিক ভাঙনের মুখে বাংলা।” শনিবার দিল্লিতে নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক করছেন বোস। এরপর নিজের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “রাজ্য মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকে অবিলম্বে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক রাজ্য সরকার।” এরপর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে (Financial Collapse) ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। অপর দিকে বরানগর ও ভগবানগোলার দুই তৃণমূল বিধায়কের শপথ বাক্য পাঠ করানো নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

    রাজভবন সূত্রে খবর (CV Ananda Bose)

    রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মাল সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের মধ্যে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এবার সেই কাজ সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা অথবা আর্থিক (Financial Collapse) হিসেব কতটা স্বচ্ছ রাখা হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর তার উপর নজরদারি রাখার প্রস্তাব দিয়ে এসেছেন রাজ্যপাল।

    প্রসঙ্গত বলা যায়, আগেই একধিকবার রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে রাজ্য সরকার নয়ছয় করেছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছিল। কেন্দ্র থেকে বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে, তা খতিয়ে দেখতে একাধিকবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসেছে রাজ্যে। বেশ কিছু প্রকল্পের টাকা তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতিমধ্যে মিড-ডে-মিলে ব্যাপক ভাবে দুর্নীতি হওয়ায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, রেশন বণ্টন, জবকার্ডে ব্যাপক দুর্নীতির বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যপালের বক্তব্য রাজনীতির আঙিনায় ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। দুর্নীতি নিয়ে শাসকদল তৃণমূল অত্যন্ত চাপের মুখে ফের একবার।

    আরও পড়ুন: স্কুল থেকেই পাচার মিড ডে মিলের চাল! গ্রেফতার ১, কাঠগড়ায় তৃণমূল বুথসভাপতি

    বৈঠকে কী বিষয় উঠে এসেছে?

    জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose), কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। একই সঙ্গে সংবিধানের ১৬৭ নম্বর ধারা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আবার রাজ্যসরকারের প্রশাসনের আর্থিক দিক এবং রাজ্যপালের নজরদারির বিষয় বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছেন রাজ্যপাল সিবি আনন্দ বোস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “দম থাকলে আগে নিজেদের পার্টি অফিসগুলিকে ভাঙুন”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “দম থাকলে আগে নিজেদের পার্টি অফিসগুলিকে ভাঙুন”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখল করে দোকান বানানোর অভিযোগে কড়া অবস্থান নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাস্তা দখল করে গড়ে ওঠা দোকানগুলিকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এরপর থেকেই পুরকর্মী এবং পুলিশ-প্রশাসন অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে অবৈধ দোকান উচ্ছেদে। কলকাতা শহর সহ একাধিক জেলা সদরে চলছে এই উচ্ছেদ। তবে হকার ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেছেন। ঠিক এর মাঝেই মমতাকে নিশানা করে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছেন, “দম থাকলে আগে নিজেদের পার্টি অফিসগুলিকে ভাঙুন।”

    ঠিক কী বললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)?

    রাণাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী মনোজকুমার বিশ্বাসের সমর্থনে প্রচারে যান প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, “যেসব সরকারি জায়গায় রয়েছে, সেখানে অনেক জায়গায় অবৈধভাবে তৃণমূলের পার্টি অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। নিজের দম থাকলে পার্টি অফিসগুলিকে আগে ভাঙুন। যদি আপনার কাছে বুলডোজার থাকে, তাহলে আগে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভেঙে দেখান। তিলজলার অফিসটা আগে ভাঙুন। রাস্তার ফুটপাত, পিডাব্লুডির জায়গা, ইরিগেশনের জায়গা, রেলের জায়গা, যেখানে যত জায়গা আছে সেখানে একটা করে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে। ঝাণ্ডা লাগিয়ে জায়গা দখল করা হয়েছে। পার্টির নেতারা ওখানে বসে কেবল তোলাবাজি করে মাত্র। এই জায়গাগুলি একটা ব্যবসা করার জায়গায় পরিণত হয়েছে।” এদিন এই ভোটের প্রচারে উপস্থিত ছিলেন নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, চাকদার বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ, রানাঘাট উত্তর পূর্বের বিধায়ক অসীম বিশ্বাস।

    আরও পড়ুন: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান বা আদালত বিশ্বাস করেন না”, কটাক্ষ সুকান্তর

    হকার উচ্ছেদে বিক্ষোভ

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কলকাতা সহ একাধিক জেলায় হকার উচ্ছেদের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। ধর্মতলা চত্বরে কার্যত হকার এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে শনিবার দুপুরে। একই ভাবে সিউড়ি, রামপুরহাট, সল্টলেক, নিউটাউন সহ একাধিক জায়গায় হকার উচ্ছেদের ঘটনায় ব্যাপক অসন্তোষ এবং ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় হকারদের মধ্যে। পাশাপাশি বিজেপির বক্তব্য, আগাম নোটিশ এবং বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ না করে কেন এই পদক্ষেপ সরকারের? তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের গলায়ও। এই পরিস্থিতিতে দিলীপ (Dilip Ghosh) ঘোষও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান বা আদালতকে বিশ্বাস করেন না”, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান বা আদালতকে বিশ্বাস করেন না”, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান বা আদালতকে বিশ্বাস করেন না”, ঠিক এই মন্তব্য করে তৃণমূল নেত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শনিবার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠান থেকে বিচারকদের উদ্দেশে মমতা (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, “বিচারকদের রাজনৈতিক পক্ষপাত থেকে মুক্ত থাকতে হবে”। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তীব্র তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে রাজ্যে নারী নির্যাতন এবং হকার উচ্ছেদ নিয়ে মন্তব্য করেন এই বিজেপি নেতা।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখে না, আদালতের রায় মানে না। কয়েকদিন আগে যখন কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে ওবিসিদের নামে মুসলমান সংরক্ষণ প্রথা আমাদের সংবিধান পরিপন্থী, তখন মমতা বিচার মানেন না বলে প্রকাশ্যে দাবি করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাজ্যের সংবিধান প্রধান রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তা কার্যত রাজভবন এবং সংবিধানকে অপমান করেছেন। কোচবিহারে এক মহিলাকে নগ্ন করে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এই ঘটনা থেকে চোখ সরাতে মমতা কলকাতায় হকার উচ্ছেদের নামে প্রহসন করছেন। কোচবিহারের ঘটনাকে আড়াল করার অপচেষ্টা করছেন মমতা।”

    আরও পড়ুন: নিম্নচাপের জেরে রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা, জারি সতর্কতা

    আর কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন মমতার (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “কোচবিহারের ঘটনা সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও এই রাজ্যের কোনও মহিলারা সুরক্ষিত নন! রাজ্যে মা-বোনদের সম্মান রক্ষায় ব্যর্থ এই সরকার। বাংলার মহিলাকে অসম্মান মানে সংবিধানকে অসম্মান করা। সংবিধানকেই নগ্ন করেছে তৃণমূল সরকার। যদি হকার উচ্ছেদ সত্যই সত্যই করতে চাইতেন, তাহলে আগে থেকে নোটিশ দেওয়া উচিত ছিল। এই বিষয়ে বিজেপির অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট যে বিকল্প ব্যবস্থা না করে, এই অস্থিরতা তৈরি করা সরকারের ভাবনা ঠিক নয়। রাজ্যে চাকরি নেই, কাজ নেই তাই মানুষ বাধ্য হয়ে হকারি করছেন। রাজ্যে শিল্প কারখানা নেই, পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে। তাই এই দায় নিতে হবে মমতা সরকারকেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • High Court: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

    High Court: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনকে কেন্দ্র করে একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্লীলতাহানির অভিযোগ পর্ব থেকে সেই যে বিতর্ক শুরু, তারপর মুখ্যমন্ত্রী টানা আক্রমণ করে গিয়েছে সি ভি আনন্দ বোসকে। যদিও এই পর্বে অনেকটাই রক্ষণাত্মক রাজ্যপাল। কিন্তু এবার বিচার চাইতে হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হলেন সি ভি আনন্দ বোস। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।

    শপথ ঘিরে জটিলতা (Governer)

    শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়, রাজ্যের আরও কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে রাজ্যপাল ওই মামলা (High Court) করেছেন বলে জানা গিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী জানিয়েছেন, এখন অবধি মামলা লিস্টেড হয়নি। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেয়েরা ওখানে (রাজভবন) যেতে ভয় পাচ্ছে। এই মন্তব্য উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন রাজ্যপাল (Governer)। প্রসঙ্গত রাজভবন নাকি বিধানসভায়, শপথ কোথায় হবে এ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। সদ্য জয়ী তৃণমূলের দুই বিধায়ক চাইছেন বিধানসভায় শপথ করানো হোক। অন্যদিকে রাজভবনে এসে শপথ নেওয়ার সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বিধায়করা সেখানে না যাওয়ার ফলে দুই বিধায়কের শপথ ঘিরে জটিলতা অব্যাহত। এরই মাঝে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যে শপথ জটিলতার সমাধান না হলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তিনি আবার বোমা পাঠাবেন। অন্যদিকে বিধানসভার সামনে বরানগর কেন্দ্র থেকে জয়ী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলে দিয়েছেন তখন আর কিছু বলার নেই। ভয় তো লাগতেই পারে।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের মদতেই সরকারি জমি বিক্রি! শিলিগুড়িতে মিলল বড় চক্রের হদিশ

    অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বলে দিয়েছেন, তাই বিধায়কদের ভয় লাগছে। কিন্তু বাকি একজন পুরুষ বিধায়কের কেন শ্লীলতাহানির ভয় নাকি দলের হুইপের ভয় তা জানা যায়নি।  

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া (High Court)

    সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, শুক্রবার মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) দায়ের করা হয়। মামলার কপির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য উল্লেখ করা আছে। রাজ্যপালের এই মামলা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “রাজ্যপাল (Governer) সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত অনেক আগে নেওয়া উচিত ছিল। রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের মর্যাদা জড়িত আছে। এ বিষয়ে রাজ্যপালের প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Hawker Eviction: বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুর! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার

    Hawker Eviction: বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুর! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার জেরে বুধবারের পরে বৃহস্পতিবারেও ফুটপাত ‘জবরদখলমুক্ত’ (Hawker Eviction) করতে ময়দানে নেমেছে প্রশাসন। বাদ গেল না গড়িয়া-সোনারপুরের (sonarpur-Garia) ফুটপাতের দোকানগুলিও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলল বুলডোজার। কর্মসংস্থান হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ল হকারেরা। 

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই শুরু অ্যাকশন 

    সোমবার রাজ্যের সমস্ত জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে যেমন বেআইনি দখল নিয়ে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন তেমনি ফুটপাত দখলমুক্ত (Hawker Eviction) করে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেই রাজপুর সোনারপুর (sonarpur-Garia) পুরসভা ও বারুইপুর পুলিশ-প্রশাসন একটি জরুরি বৈঠক করে। তারপরেই প্রশাসন বুধবার সারাদিন মাইকিং করে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার সমস্ত ফুটপাত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ফুটপাত পরিষ্কার করার জন্য।  

    ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযান (Hawker Eviction)

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত সেদিন প্রশাসনিক আধিকারিকরা মাইকিং করে বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে ফুটপাত দখল মুক্ত করার অভিযান শুরু হবে। এলাকায় প্রতিনিয়ত হকার্স বন্ধুদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে উঠছে এবং এর পাশাপাশি রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা ও বেড়েছে,যার ফলে প্রতিদিন অ্যাক্সিডেন্টও ক্রমে বেড়েই চলেছে। স্টেশনগুলো এরিয়া দখল করে রেখেছে রিক্সা, টোটো কিছু কিছু প্রাইভেট গাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রশাসনিক জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সোনারপুর পুলিশ আধিকারিকরা মিলে এই ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযান শুরু করবে।” 

    আরও পড়ুন: হকার উচ্ছেদে এবার সরব গেরুয়া শিবির, সিউরিতে বিক্ষোভ বিজেপির!

    এরপর বৃহস্পতিবার সকালেও পুলিশ ও স্থানীয় পুর-কর্মীরা এসে ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দোকান তুলে নিতে বলেছেন। দোকানদারদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে হবে তাঁদের । অন্যদিকে গলি রাস্তার উপর লোহার রডের সঙ্গে ত্রিপল দিয়ে দোকানের কাঠামোর অংশ খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয় পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকরা হকারদের নির্দেশ দেন, রাতের মধ্যে এগুলি না খুললে ফের অভিযান হবে ৷ তখন কলকাতা পুরনিগমের তরফে লোক এসে সব ভেঙে খুলে (Hawker Eviction) নিয়ে চলে যাবে। এরপর হকারদের আর কিছু করার থাকবে না। সেই নির্দেশ মতোই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সোনারপুর স্টেশন সংলগ্ন বাজার বেশ ফাঁকা। কারণ সব দোকানদাররা নিজেদের দোকান গুটিয়ে ফেলতে ব্যস্ত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেচাকেনা বন্ধ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share