Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গ্রহণের দিনেও অশান্ত তমলুক লোকসভা (Lok Sabha Election 2024)। খুন আরও এক ব্যক্তি। ষষ্ঠ দফা লোকসভা নির্বাচনের মাত্র একদিন আগেই নন্দীগ্রামে খুন হয়েছিলেন বিজেপি মহিলা কর্মী। ক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। ভোটের দিন মহিষাদলের বেতকুণ্ডুতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের দাবি মৃত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। লোকসভার ভোটে রক্তাক্ত হয়েছে তমলুক লোকসভা। গণতান্ত্রিক উৎসবে শাসক দলের বিরুদ্ধে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

    ভোটে কেন খুন (Lok Sabha Election 2024)?

    জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম শেখ মইবুল। তাঁকে গতকাল শুক্রবার কুপিয়ে খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে তৃণমূলের তির বিজেপির দিকে। প্রথমে বচসা হয় এরপর দুই পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি হন। এরপর বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। অপরে ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে তৃণমূল। এই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে পরিকল্পনা করে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষের মনে ভয় তৈরি করে নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পরিবেশকে ভয়ভীতিপূর্ণ পরিবেশ করা হচ্ছে। গত বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক খুনের ঘটনা রাজ্যে ব্যাপক ভাবে হয়েছে। সব ক্ষেত্রে আঙ্গুল ছিল তৃণমূলের দিকেই। 

    আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অভিজিৎ

    এই ষষ্ঠ দফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে রাজনৈতিক হিংসার কথা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন এই মৃত মহিলার ছেলে। ভোটের আগে থেকে রাতভর সন্ত্রাস চালায় দুষ্কৃতীরা। এই বিজেপি প্রার্থী বলেন, “পুলিশ সন্ত্রাস করছে। পুলিশের গায়ে উর্দি আছে তাই সন্ত্রাস করার অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। মমতা-অভিষেক পরিকল্পনা করে এই সব করাচ্ছেন। ভোট শান্তিপূর্ণ না করার চক্রান্ত চলেছে রাজ্যে।”

    আরও পড়ুনঃ অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করা হল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    এই তমলুক কেন্দ্র প্রথম থেকেই সকলের নজরে রয়েছে। এক দিকে বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি এসএসসি সহ একাধিক দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন। একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক জেলে গিয়েছেন। আবার এই লোকসভা কেন্দ্রের একটি বিধানসভা নন্দীগ্রাম বিধানসভা। এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে শুভেন্দুর কাছে ভোটে হেরেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে লোকসভার ভোটের জয়-পরাজয়ের একটি বিশেষ কেন্দ্র হিসেবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই লোকসভা কেন্দ্র।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “চার তারিখের পর চোর মমতার ঝাঁপ বন্ধ করে দেব”, নির্বাচনী প্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Sandeshkhali: “চার তারিখের পর চোর মমতার ঝাঁপ বন্ধ করে দেব”, নির্বাচনী প্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে এক বিশাল জনসভায় যোগদান করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন নিয়ে আক্রমণ করেন। পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলের একাধিক দুর্নীতির বিষয় নিয়ে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “চার তারিখের পর চোর মমতার ঝাঁপ বন্ধ করে দেবো”

    কী বললেন শুভেন্দু (Sandeshkhali)?

    এদিন সভায় শুভেন্দু বলেন, “সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আন্দোলনকে এবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জয়যুক্ত করার সময় এসে গিয়েছে। এখানে তৃণমূল কোথাও নেই, লড়াইটা বিজেপি বনাম মমতা-পুলিশের। তৃণমূল কথাও কিছুই নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে চাই। ভাইপোকে কে কে জেলে পাঠাতে চান? ওঁকে জেলে পাঠাতে গেলে তিন নম্বর বোতাম টিপে রেখা পাত্রকে জয় করতে হবে। তা করলেই বসিরহাটে পদ্ম ফুটবে। সিরাজ, আলমগির সকলের অবস্থা শাহজাহানের মতো হবে।  তাই সকলে একসঙ্গে ভোট দেবেন।”

    আর কি বললেন শুভেন্দু?

    আজ লোকসভার প্রচারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা এলাকার (Sandeshkhali) অভিযোগকে যথাস্থানে জানিয়ে হাইকোর্ট থেকে সিবিআই তদন্তের রায় পেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। ভোটের পর মামলা শুনবেন জানিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদলাত। রেখাকে দিল্লিতে পাঠাতে পারলে আমাদের আন্দোলনে সিলমোহর পড়বে। অস্ত্রশক্তি, বাহুবল আমাদের ভারতের গণতন্ত্রে জায়গা নেই। তাই সকলকে একজোট হতে হবে। নির্বাচনের আগে মমতার পুলিশ গ্রেফতার করার ষড়যন্ত্র করছে। তাই আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। ভোটদানের মধ্যে দিয়ে সকল অন্যায়ের বদলা নিতে হবে।”

    এই জনসভায় ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু সহ ছিলেন বসিরহাট লোকসভার বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র, বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা ট্রিব্রেওয়াল, অর্চনা মজুমদার সহ একাধিক নেতৃত্ব। এই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ পয়লা জুন। শেষ দফা নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী জনসভা এদিন বেশ জমাট ছিল। এই জনসভায় সন্দেশখালির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি দলের নেতা কর্মীরা এসে যোগদান করেন।

    আরও পড়ুনঃ পুলিশকে একগুচ্ছ নির্দেশ, কলকাতার ভোটে বাড়তি সতর্ক কমিশন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Monks Protest Rally: “ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী”, কলকাতার রাজপথে সাধু-সন্তদের অভিনব মিছিল থেকে উঠল দাবি

    Monks Protest Rally: “ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী”, কলকাতার রাজপথে সাধু-সন্তদের অভিনব মিছিল থেকে উঠল দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কয়েক জন সাধুর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্যের অভিনব প্রতিবাদ সাধুদের। কলকাতার রাজপথে শুক্রবার এই মিছিলে হাঁটালেন কয়েক হাজার সাধু-সন্ত (Monks Protest Rally)। এদিন দুপুরে বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের (Vishva Hindu Parishad) উদ্যোগে সন্ত অভিযান যাত্রার আয়োজন করা হল মহানগরে। বাগবাজারে অবস্থিত মা সারদার বাড়ি থেকে মিছিল শুরু হয়ে তা শেষ হয় বিবেকানন্দের জন্মভিটে সিমলা স্ট্রিটে।

    অভিনব প্রতিবাদ

    বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিছিলের সাক্ষী হলেও  সাধু-সন্তদের এই ধরনের প্রতিবাদ মিছিল (Monks Protest Rally) আগে কোনওদিন দেখেনি মহানগর। মিছিলে যোগ দেওয়া প্রচুর সাধুকে এদিন খালি গায়ে ও খালি পায়ে হাতে খঞ্জনি এবং শঙ্খ বাজাতে বাজাতে কলকাতায় রাস্তায় হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সনাতন ধর্মের অপমান করেছেন বলেই তাঁদের দাবি। এদিন বিকেল ৩টেয় বাগবাজারের নিবেদিতা পার্কে সমাবেশ হয়। এরপর মায়ের বাড়ি থেকে গিরিশ অ্যাভিনিউ, বাগবাজার স্ট্রিট, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় হয়ে বিধান সরণী দিয়ে বিবেকানন্দ রোডে স্বামীজির জন্মভিটেয় শেষ হয় সন্তদের পদযাত্রা। কলকাতায় বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত সন্ত অভিযান যাত্রার অংশ নেওয়া সাধুরা তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে এই বিষয়ে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন সাধু অভিযোগ করেন, যেভাবে নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্তিক মহারাজের মতো মহান একজন সাধুর নামে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখার জন্য তিনি যে মন্তব্য সাধুদের নামে করেছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এরপরে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার কথাও জানান সাধু-সমাজ।

    আরও পড়ুন: এক মাস ধরে পরিকল্পনা শহরে, বাংলাদেশ সাংসদকে খুনের ঘটনা স্বীকার অভিযুক্তের

    কেন এই প্রতিবাদ

    এই সন্ন্যাসী সংক্রান্ত ঘটনাপ্রবাহের শুরু গত শনিবার, আরামবাগে। সেখানে মমতা রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কয়েক জন সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তৃতা করেছিলেন। বিশেষত, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজের নাম করে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ‘ডাইরেক্ট পলিটিক্স’ করে দেশটার সর্বনাশ করছে।’’ তার পাল্টা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন কার্তিক। দাবি জানিয়েছেন মমতার ক্ষমা চাওয়ার। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishva Hindu Parishad) বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় নেতা শচীন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই, ভোটেরও নয়। তবে, নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট পাওয়ার জন্য যে ভাবে হিন্দু সাধু-সন্তদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাতে বাংলার হিন্দু সমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিষদ উদ্বিগ্ন। সমস্ত প্রতিষ্ঠান এবং মঠের সন্ন্যাসীরাও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এবং তার পরেই জলপাইগুড়িতে মিশনের উপর হামলার নিন্দা করেছেন। এর পরেই এই যাত্রার (Monks Protest Rally) সিদ্ধান্ত হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Allowance of Imam: চুপিসারে বেড়েছে ইমাম ভাতা! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ বিজেপির

    Allowance of Imam: চুপিসারে বেড়েছে ইমাম ভাতা! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে কোনওরকম ঘোষণা ছাড়া কাউকে না জানিয়ে চুপিসারে বেড়েছে ইমাম ভাতা (Allowance of Imam)। রাজ্যে এখন দু দফার ভোট বাকি। আর এই আবহেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একেবারে সরকারি তথ্য সহ বড় অভিযোগ আনল বিজেপি (BJP on Imam Bhata)। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, তৃণমূল সরকারের ১২ বছরের শাসনে রাজ্যে মসজিদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। একই সঙ্গে করদাতাদের টাকায় কেন ইমাম – মোয়াজ্জেমদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনকী, এই ভাতা দিয়ে কী লাভ হচ্ছে তা সমীক্ষা করে দেখার দাবিও জানান তিনি।

    জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি

    এদিন বিজেপি নেতা বলেন, “রাজ্য সরকার চুপিসারে গত ২ মাস আগে থেকে রাজ্যের প্রায় ৭০ হাজার ইমাম মোয়াজ্জমের ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এর জন্য রাজ্য সরকারের এ বছর খরচ হতে চলেছে ২০০ কোটি টাকা। এই ভাতা (Allowance of Imam) বাড়ানোর জন্য বাজেটে কোনও প্রভিশন ছিল না। কোনওরকম ঘোষণা ছাড়া কাউকে না জানিয়ে ভোটের ঠিক আগে আগে এই ভাতা বাড়িয়েছে। ভোটের আগে তিনি ঘুষ দিচ্ছেন। ইমাম, মোয়াজ্জেমদের পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে তাদের রাজনীতির ময়দানে নামাচ্ছেন।” একইসঙ্গে তিনি জানান, প্রায় ৪০ হাজার ইমাম মাসে ৩ হাজার টাকা ও ২৭ হাজার মোয়াজ্জেম ১,৫০০ টাকা ভাতা (Allowance of Imam) পাচ্ছেন। ইমাম-মোয়াজ্জেমদের ভাতা দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন।  
    যখন ইমাম ভাতা চালু হয়, তখন ১৬ হাজার ইমাম ভাতা পেতেন। একটি মসজিদে একজনই ইমাম ইমামতি করতেন। আর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মসজিদের সংখ্যা সরকারি হিসাবে ৪০ হাজার। অর্থাৎ ১২ বছরে পশ্চিমবঙ্গে মোট ২৪ হাজার মসজিদ তৈরি হয়েছে। যে রাজ্যে পুলিশ রামনবমীর মিছিলকে অনুমতি দেয় না, নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয় না সেখানে রাজ্য সরকারের মসজিদ তৈরির অনুমতি দেওয়ার নীতি কী? এই প্রশ্নও এদিন তিনি তুলেছেন। 

    আরও পড়ুন: সিজোফ্রেনিয়া আসলে কী? জেনে নিন এই রোগের অজানা কিছু তথ্য

    ধর্ম নিয়ে রাজনীতি 

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জগন্নাথবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওবিসি এ শ্রেণিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছিলেন। আর ওবিসি বি শ্রেণিতে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল সনাতনী ওবিসিদের জন্য। তবে মুসলিমরাও তার সুযোগ পেতেন। কালকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টের আদেশকে বিজেপির আদেশ বলে দাবি করে বলেন, এই আদেশ তিনি মানেন না। তিনি মুসলিমদের সংরক্ষণ দেবেন। অবাক করার বিষয়, ওবিসি বি শ্রেণিতে সনাতনী ওবিসিদের জন্য যে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল তা নিয়ে তিনি একটি কথাও বললেন না। হাইকোর্টের রায়ে মুসলিমদের সংরক্ষণ বাতিল হয়ে যাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ব্যথিত। একই সঙ্গে নির্দ্বিধায় তিনি হিন্দু সন্ন্যাসীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছেন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করলেও আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Viswa Hindu Parishad: মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাধু’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Viswa Hindu Parishad: মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাধু’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঠ-মিশন-সংঘের সাধু-সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে বেঁফাস মন্তব্য করে বিপাকে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! মুখ্যমন্ত্রীর বেলাগাম মন্তব্যে সন্ন্যাসী ও আশ্রমের ওপর হামলার ঘটনা বাড়বে বলেই মনে করেন বিভিন্ন মঠ-মিশন কর্তৃপক্ষ। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)। মামালার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে।

    কী বলেছিলেন মমতা? (Viswa Hindu Parishad)

    সন্ন্যাসী বিতর্কের জল এতদূর গড়ানোর কারণ শনিবার আরামবাগের এক জনসভায় করা তৃণমূল নেত্রীর একটি মন্তব্য। ওই সভায় মমতা রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কয়েকজন সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার কার্তিক মহারাজের নাম করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “সব সাধু সামান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ রয়েছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘের তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই (Viswa Hindu Parishad) মন্তব্যের পরে পরেই শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।

    আর পড়ুন: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে তোলপাড় হয় রাজ্যও। সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজ। চিঠিতে চার দিনের মধ্যে তাঁর বক্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। চার দিনের মধ্যে জবাব না মিললে মহারাজ আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় ওই চিঠিতে। মহারাজের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। তাঁর সম্মানহানির চেষ্টায় মুখ্যমন্ত্রী অসত্য ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ ওই সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর। সাধুদের নিশানা করায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন মঠ-মিশন-আশ্রমের সাধু-সন্তরা। এহেন আবহে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকে দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “মমতার সরকারের অত্যাচারের শিকার”, পুলিশি হানা নিয়ে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতার সরকারের অত্যাচারের শিকার”, পুলিশি হানা নিয়ে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে আচমকাই পুলিশি অভিযান। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘিরে ফের রাজ্য-রাজনীতির উত্তেজনার পারদ চড়ল। ভোট আবহের মধ্যে পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে রাজ্য জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, আমাকে না জানিয়ে আচমকাই আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কোলাঘাট থানার পুলিশ আমার ওই ভাড়াবাড়ি ও অফিসে চড়াও হয়। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোলাঘাট থানার সামনে ধর্নায় বসেন বিরোধী দলনেতা।

    মমতার সরকারের অত্যাচারের শিকার (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের তৃণমূল সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘কেন আমার কোলাঘাটের ভাড়াবাড়ি ও অফিসে পুলিশ হানা দিল, তা পরিষ্কার নয়।’ তাঁর অভিযোগ, ‘ভাইপোর নির্দেশে আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকেও হেনস্থা করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকারের অত্যাচারের শিকার আমি।’ পুলিশ জানিয়েছে, এক দুষ্কৃতীর সন্ধানেই তল্লাশি চালানো হয়। যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ শুভেন্দু। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়েছেন। শুভেন্দু জানান, ‘পুলিশ ও আইপ্যাক আমার বেডরুমে ঢুকে গেছে, ফোন করে বলল আমাকে। আমি অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। কিন্তু কেউ ছিল না। ওসির সঙ্গে কথা হয়। প্রথমে ফোন ধরতে চাননি।’ আশঙ্কা প্রকাশ করে শুভেন্দুর প্রশ্ন, ‘আমার অনুপস্থিতে যদি বাড়িতে ভাঙা দু’টো বন্দুক ফেলে আসে, নগদ টাকা বা হেরোইন রেখে আসে, তার দায়িত্ব কে নেবে?’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ রয়েছে। পুলিশ আমার বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করতে পারবে না। তাহলে এই অভিযান কেন? এর বিরুদ্ধে আমি আদালতের দ্বারস্থ হব।’

    আরও পড়ুন: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    শাসকদলের ষড়যন্ত্র!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘পুলিশের কাছে যদি সার্চ ওয়ারেন্ট থেকে থাকে, তাহলে তো আমার উপস্থিতিতেই তল্লাশি চালাতে পারত। কিন্তু সেটা করা হয়নি। এসব আসলে আমার বিরুদ্ধে শাসকদলের ষড়যন্ত্র।’ মঙ্গলবার বিকেলে শুভেন্দুর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে যায় পুলিশ। অভিযোগ, প্রায় ৮০জন পুলিশকর্মী ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে তল্লাশি করেন। পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপির স্থানীয় নেতা- কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। খবর পেয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে সোজা কোলাঘাট থানায় পৌঁছন শুভেন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: “অসম হলে এক ঘণ্টায় সাইজ করে দিতাম শেখ শাহজাহানকে”, কড়া বার্তা হিমন্তের

    Himanta Biswa Sarma: “অসম হলে এক ঘণ্টায় সাইজ করে দিতাম শেখ শাহজাহানকে”, কড়া বার্তা হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনা মথুরাপুর লোকসভার প্রার্থী অশোক কুমার পুরকাইতের সমর্থনে চুটিয়ে প্রচার করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে তিনি তৃণমূলকে তুলোধনা করেন। অসমের সঙ্গে রাজ্যের অবস্থার তিনি তুলনা করেন। পাশাপাশি দেশে আবারও মোদি সরকার ফিরে আসবেন বলে তিনি জানান।

    অসম হলে এক ঘণ্টায় সাইজ করে দিতাম শেখ শাহজাহানকে (Himanta Biswa Sarma)

    চলতি বছরের প্রথমেই সন্দেশখালিতে ইডির ওপর শেখ শাহজাহান বাহিনীর হামলার ঘটনা সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। মহিলাদের পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসে। মঙ্গলবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ রামগোপালপুর হরেন্দ্র নগরে মথুরাপুর লোকসভার প্রার্থী অশোক কুমার পুরকাইতের সমর্থনে এক প্রকাশ্য জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, আমি সন্দেশখালিতে গিয়েছিলাম। দেখলাম সন্দেশখালি মা বোনদের ওপর কীভাবে শেখ শাহজাহান অত্যাচার করেছেন। পশ্চিমবাংলা বলে দিদির প্রশ্রয়ে এই কাজ করতে পেরেছেন। এটা অসম হলে এক ঘণ্টায় সাইজ করে দিতাম শেখ শাহজাহানকে। একই সঙ্গে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি জানিয়েছেন, আপনাদের ভোট দিদির দরকার নেই, দিদির দরকার শাহজাহানের ভোট। তাই, শাহজাহানকে তিনি এতদিন ছেড়ে রেখেছিলেন। একইসঙ্গে অসমের সঙ্গে বাংলার পেট্রোল-ডিজেলের দামের তুলনা করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: অর্জুনের খাসতালুকে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা নিয়ে সরব

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sarma) এদিন বলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার যদি ৪০০ আসন নিয়ে লোকসভাতে আসতে পারেন তাহলে ভারতের যে দুটি অংশ পাকিস্তানে আছে, সেই দুটি তিনি ফিরিয়ে আনবেন। এছাড়া রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাজ্যের যে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে  হামলা, মহারাজদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে আক্রমণ করেছেন এটা মেনে নেওয়া যায় না। শাসক দলের পাপ পূর্ণ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Swabhiman Yatra: মমতার আক্রমণের প্রতিবাদ, খালি পায়ে রাজপথে হাঁটবেন সাধুরা

    Swabhiman Yatra: মমতার আক্রমণের প্রতিবাদ, খালি পায়ে রাজপথে হাঁটবেন সাধুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সন্ন্যাসীদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও সন্ন্যাসীদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেল ০৪:০০ টেয় বাগবাজার মায়ের বাড়ি থেকে শুরু হবে মিছিল। মিছিলে খালি পায়ে হাঁটবেন সাধু সন্তরা। গিরিশ অ্যাভেনিউ, বাগবাজার স্ট্রিট, শ্যামবাজার পাঁচ মাথা মোড়, বিধান সরণি হয়ে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে শেষ হবে এই মিছিল। সেখানে বক্তব্য রাখবেন সন্ত সমাজের প্রতিনিধিরা। 

    খালি পায়ে মিছিল করবেন সাধুরা

    লোকসভা ভোটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধু সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথের ওই মিছিলে খালি পায়ে হাঁটতে চলেছেন সাধু সন্তরা। এই মিছিলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্বাভিমান যাত্রা’। ‘বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজ’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। সূত্রের খবর বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের এই পদযাত্রাকে সমর্থন জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। 

    সাধুদের নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা

    সংগঠনের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সাধুদের নিয়ে রাজনীতিকরণ করছেন, যেভাবে তিনি তাঁর রাজনীতির স্বার্থে বিশেষ ধর্মকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তা অতি নিন্দনীয়। একদিকে তিনি মুসলিম সমাজের অনুগ্রহ পাওয়ার চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে হিন্দু সমাজের প্রতি টানা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সাধু সন্ন্যাসীদেরও নিশানা করছেন। হিন্দু সন্ন্যাসীদের কয়েকটি সংঘ ও কয়েকজন সন্ন্যাসীকে নাম ধরে মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি জলপাইগুড়িতে আশ্রমে হামলা চালিয়েছে শাসকদল আশ্রিত জমি মাফিয়ারা। রাজ্যে গঙ্গাসাগর মেলা চলাকালীন সাধুদের উপর হামলা হয়েছিল। এসব কিছু মাথায় রেখেই সন্ন্যাসী সমাজের একতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই এই মিছিল।

    মমতার মন্তব্যের নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর

    সাধু সন্তের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিন্দু সন্ন্যাসীদের উপর আক্রমণের ঘটনাকে নিন্দা জানিয়েছেন। ২৫শে এপ্রিল রাজ্যের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। তার কয়েকদিনের মধ্যেই উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় সমর্থনে রোড শো করার কথা আছে প্রধানমন্ত্রীর।

    আরও পড়ুন: কার্তিক মহারাজের পাশে সাধু-সন্তরা, মমতাকে ধিক্কার জানিয়ে হল প্রতিবাদ মিছিল

    সাধু-সন্তদের মিছিলের জেরে অনেকটাই কোণঠাসা হবে তৃণমূল কংগ্রেস। যেভাবে তৃণমূলের হিন্দু বিরোধী ইমেজ তৈরি হচ্ছে, তাতে বিজেপি বাড়তি সুবিধা পেতে পারে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।

    সাধুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত গত শনিবার থেকে ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ ও আসানসোলের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের প্রধান সন্ন্যাসীকে আক্রমণ করে তাঁদের বিরুদ্ধে বিজেপিকে সমর্থন করার অভিযোগ তোলেন মমতা। তবে কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে সব থেকে সুর চড়া ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সরাসরি সংঘ ও সন্ন্যাসীদের নাম করে নজিরবিহীন আক্রমণ করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তবে হাল ছাড়েননি কার্তিক মহারাজ। তিনি প্রতিবাদে মিছিল করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। এমনিতেই রাজ্যে হিন্দু সাধু সন্ন্যাসীদের উপরে বহু ক্ষেত্রে হামলা হওয়ার ঘটনা হয়েছে অতীতে। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে হিন্দু সাধু সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন তাতে সাধু সন্ন্যাসী সমাজের একটা বড় অংশ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কার্তিক মহারাজের পাশে সাধু-সন্তরা, মমতাকে ধিক্কার জানিয়ে  হল প্রতিবাদ মিছিল

    Murshidabad: কার্তিক মহারাজের পাশে সাধু-সন্তরা, মমতাকে ধিক্কার জানিয়ে হল প্রতিবাদ মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সারগাছির ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবমাননাকর মন্তব্য করার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। এই মন্তব্যের জন্য কার্তিক মহারাজের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদও মহারাজের পাশে দাঁড়ালেন। অন্য সাধু-সন্তরাও কার্তিক মহারাজকে সঙ্গে নিয়ে ধিক্কার সভা এবং প্রতিবাদ মিছিল করেছেন।

    ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? (Murshidabad)

    শনিবার এক নির্বাচনী সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’ সব সাধু সমান নয়। বহরমপুরের (Murshidabad) একজন মহারাজ আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি উনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতিকরছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।’

    বহরমপুরে ধিক্কার মিছিলে সাধু-সন্তরা

    সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতায় বহরমপুরে (Murshidabad) মিছিল করেন সাধু-সন্তরা। মিছিলে হাজির ছিলেন কার্তিক মহারাজ। রবিবার ধিক্কার জানিয়ে বেলডাঙায় মিছিল করেন কার্তিক মহারাজের ভক্তরা। ভারত সেবাশ্রম সংঘের উদ্যোগে একটি ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। কার্তিক মহারাজ বলেন, আমি কোনও নির্দিষ্ট দলের এজেন্ট বসতে দিইনি এমন কোনও প্রমাণ মুখ্যমন্ত্রী দেখাতে পারলে যে শাস্তি দেবেন মেনে নেব। সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার সখ্যতা রয়েছে। সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের তরফে যখন বিবৃতি জারি করে তৃণমূলকে ভোট দিতে বলা হয় তখন মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে থাকেন কেন?

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত, সপ্তাহভর বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায়, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কার্তিক মহারাজের পাশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মুখ্যমন্ত্রীর লাগাতার আক্রমণের মধ্যেই কার্তিক মহারাজের পাশে দাঁড়াল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সাংবাদিক বৈঠক করে কার্তিক মহারাজকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান পরিষদের দক্ষিণবঙ্গ শাখার সম্পাদক চন্দ্রনাথ দাস। ইসকনকে জমি দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তার বিরোধিতা করেছে ইসকন মায়াপুর। ইসকন মায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ‘সচেতন মানুষ যার যেখানে উচিত মনে হয় সেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এব্যাপারে কেউ হুইপ দিতে পারে না। এই ধর্মীয় সংগঠনের ব্যাপারে রাজনৈতিক উদ্দেশে কেউ কিছু না বলাই শ্রেয়।’ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা চন্দ্রনাথ দাস বলেন, ‘হিন্দু অরাজনৈতিক সংগঠনগুলিকে রাজনীতির প্রাঙ্গনে সংমিশ্রণ করে যে জঘন্য রাজনীতির আমদানি করেছেন তা অবাঞ্ছিত ও অশোভনীয় কার্যকলাপ হিসাবে গন্য হওয়া উচিত।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Attack On Ramakrishna Mission: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা, সাধুদের প্রাণে মারার হুমকি

    Attack On Ramakrishna Mission: মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা, সাধুদের প্রাণে মারার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল বিরোধিতার অভিযোগে বিভিন্ন মিশন-সংঘের সাধুদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক পরে পরেই হামলা হল শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে (Attack On Ramakrishna Mission)।

    রামকৃষ্ণ মিশনে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি (Attack On Ramakrishna Mission)

    আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হল জমি দখলের চেষ্টাও। প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হল আশ্রমের সন্ন্যাসীদের। কেড়ে নেওয়া হল মিশনের নিরাপত্তারক্ষীদের মোবাইল। ভেঙে ফেলা হল সিসিটিভি ক্যামেরা। ন্যক্কারজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির সেবক রোডের শালুগাড়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের সেবক হাউসে। এক ভক্তের দান করা জমিতেই গড়ে উঠেছে আশ্রম। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে থেকে সাধন-ভজন করেন সন্ন্যাসীরা। রবিবার গভীর রাতে জমি মাফিয়া প্রদীপ রায় তিরিশ-চল্লিশ জন দুষ্কৃতীর একটি দল নিয়ে গিয়ে আশ্রমে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মিশনের তরফে ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    সরব প্রধানমন্ত্রীও 

    রামকৃষ্ণ মিশনের (Attack On Ramakrishna Mission) মতো একটি প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় সরব হয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার রাজ্যে এসে এই পরিস্থিতির জন্য তিনি আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আক্রমণ করেছেন, তার জেরেই এই ঘটনা। রাজ্যের এখনও বেশ কয়েকটি আসনে নির্বাচন বাকি। তার আগে হাওয়া যাতে গেরুয়া পালে ঘুরে না যায়, তাই মুখ খুলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতার দাবি, তাঁর অভিযোগ কেবল নির্দিষ্ট কয়েকজন সাধুর বিরুদ্ধে।

    তৃণমূলের পিঠ বাঁচানোর এই দাবিতে অবশ্য ভবি ভুলছে না। রামকৃষ্ণ মিশনের মতো নিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানোর নিন্দা করেছে বিজেপি। পদ্ম-পার্টির দাবি, ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে এবং নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়কে খুশি করতেই তৃণমূল নেত্রীর এই বাক্যবাণ নিক্ষেপ। যার জেরে হামলা হয়েছে মিশনে। রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মেজাজ হারান শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব।

    আর পড়ুন: “তৃণমূলের কাছে রিপোর্ট কার্ড নেই, আছে রেটকার্ড”, চাকরি চুরি নিয়ে মমতাকে তোপ মোদির

    রামকৃষ্ণ মিশন কিংবা ভারত সেবাশ্রম সংঘের মতো প্রতিষ্ঠান নানা বিপদে আপদে পাশে থাকেন বিপন্নদের। সংসার-বন্ধন ছিন্ন করে মানবসেবাকেই যাঁরা জীবনের ব্রত করেছেন, ভোট কুড়োতে তাঁদেরই আক্রমণ করে বসলেন তৃণমূল সুপ্রিমো! বিশিষ্ট মহলের সিংহভাগেরও মতে, তৃণমূল নেত্রীর এহেন আক্রমণ স্রেফ ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্রয়েই রাজ্যে দুষ্কৃতীদের এত বাড়বাড়ন্ত। তাই যেই তিনি মঠ-মিশন-সংঘকে নিশানা করেছেন, তখনই জমি দখলে নেমে পড়েছে মাফিয়ারা (Attack On Ramakrishna Mission)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share