Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Kartik Maharaj: কার্তিক মহারাজ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি! নৈহাটিতে মিছিল করলেন সাধু-সন্তরা

    Kartik Maharaj: কার্তিক মহারাজ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি! নৈহাটিতে মিছিল করলেন সাধু-সন্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট আবহের মধ্যে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজকে (Kartik Maharaj) উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবমাননাকর মন্তব্য করার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন। এই মন্তব্যের জন্য কার্তিক মহারাজের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রবিবার তীব্র আক্রমণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুদিন আগেই কলকাতার রাজপথে খালি পায়ে সাধুসন্তরা মিছিল করেন। রবিবার নৈহাটি শহরে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে সাধু-সন্তরা মিছিল করেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।

    ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? (Kartik Maharaj)

    শনিবার এক নির্বাচনী সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’ সব সাধু সমান নয়। বহরমপুরের একজন মহারাজ (Kartik Maharaj) আছেন। কার্তিক মহারাজ। আমি শুনেছি উনি বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না। তাঁকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তিনি সরাসরি রাজনীতিকরছেন। দেশের সর্বনাশ করছেন। আমি চিহ্নিত করেছি কে কে করছেন।’

    আরও পড়ুন: সকালেও ঝোড়ো হাওয়ার দাপট, সঙ্গে ভারী বৃষ্টি, রেমালের রেশ সোমেও

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি

    কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) ইস্যুতে নৈহাটি শহরে মিছিলে হেঁটে সাধু সন্তরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানালেন। সেই সঙ্গে শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের ওপর দুষ্কৃতী হামলার প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে নৈহাটির গৌরীপুর চৌমাথা থেকে মিছিল করেন সাধু-সন্তরা। এই মিছিল থেকে স্বামী আত্মপ্রকাশানন্দ সরস্বতী বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠাতে চাই সাধু-সন্ন্যাসীদের অপমান ও হিন্দুদের ওপর অপমান সহ্য করব না। মুখ্যমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি ক্ষমা না চাইলে বাংলার মানুষ এবং সমস্ত সাধু সন্তরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে। কেননা মুখ্যমন্ত্রী অল্প সংখ্যক ভোট ব্যাংকের দিকে তাকিয়ে বিশাল হিন্দুসমাজের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করছেন। সাধু সন্তদের টার্গেট করে নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের আমরা দাবি জানাচ্ছি। হিন্দু জাগরন মঞ্চ বারাকপুর জেলার পক্ষ থেকে এই মিছিল নৈহাটির বড়মা মন্দিরের কাছে গিয়ে শেষ হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kartik Maharaj: “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে”, মমতাকে তোপ কার্তিক মহারাজের

    Kartik Maharaj: “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে”, মমতাকে তোপ কার্তিক মহারাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সন্ন্যাসীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করায় বাংলার সন্ত-সাধু সমাজ মোটেই ভালো চোখে নেননি। মমতা গোঘাটের জনসভা থেকে ইসকন, রামকৃষ্ণ এবং ভারতসেবা আশ্রমের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) নাম করে বলেন, “বুথে তৃণমূল এজেন্ট”-দের বসতে না দেওয়ার হুমকি দিয়ে রাজনীতি করছেন তিনি। প্রতিবাদে বঙ্গীয় সন্ত সমাজের উদ্যোগে খালি পায়ে ২৪ মে বাগবাজার থেকে বিবেকানন্দ রোড পর্যন্ত প্রতিবাদ সভা করেন। সভার একদিন পর একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়ে কার্তিক মহারাজ মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন এবং একাধিক বিষয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “আমার সমাজ-সংস্কৃতির জন্য লড়ব, তাতে মৃত্যু হলে হবে।”

    হুমায়ুকে শো-কজ কেন করেনি মমতা (Kartik Maharaj)?

    রাজ্যের মমতার সরকারের বিরুদ্ধে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ সুর চড়িয়েছেন। মমতার বিরুদ্ধে মুসলমান তোষণ এবং ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) মমতাকে নিশানা করে বলেন, “বাংলার মানুষ আমায় চেনে, গোটা বাংলার মানুষ আমার পিছনে রয়েছে। বহরমপুরের মানুষ জানেন কার্তিক মহারাজ কেমন। মমতা রাজ্যের প্রধান। পুলিশ, আইন সবই ওঁর পক্ষে। ওঁর আঁতে ঘা লেগেছে। আমি নিজে ১২টা স্কুল চালাই, যেখানে ৮০ শতাংশ মুসলিম ভাইরা পড়াশুনা করে। আমাদের সেবা প্রতিষ্ঠান সব সময় সেবা কাজ করে থাকে। সাহায্যের সময় ধর্ম, রাজনীতি কিছু দেখি না আমরা। আমাদের কাছে আমাদের সংস্কৃতি-ধর্ম আগে। তাই আমাকে কথা বলতেই হয়। আমাকে নিয়ে এত কথা বলেছেন মমতা, অথচ হুমায়ুন অত বড় কথা বললেন, কিন্তু পার্টি থেকে কোনও রকম শোকজ করা হয়নি। কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেছিলেন ‘আমরা ৭০ শতাংশ, ওরা ৩০ শতাংশ, ভাসিয়ে দেব’। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেন না কেন মমতা? তবে আমি ডন নই যে আমার ৫০০ ছেলে রয়েছে। একা আমাকে নয়, রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন সবাইকেই আক্রমণ করেছেন মমতা।”

    আরও পড়ুনঃ বসিরহাটে তৃণমূলে ফাটল! “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”, ঊষারানীকে হুমকি মমতার

    চক্রান্ত দেশভাগের আগে থেকে চলছে

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে কার্তিক মহারাজ (Kartik Maharaj) বলেন, “দেশ বিভাজনের আগে থেকেই বাংলায় চক্রান্ত চলছে। শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের ওপর আক্রমণ হল, সেটা কেন হল? ইসকনের ওপরও আক্রমণ করা হয়েছে। আমি কার্তিক মহারাজ, আমি আমার ধর্ম, আমার সমাজ, সংস্কৃতির জন্য লড়ব। তাতে আমার মৃত্যু হলে হবে। রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক আজ নতুন নয়। দীর্ঘ দশকের পর দশক ধরেই দেখা গেছে ধর্ম, বর্ণের ওপর নির্ভর করে প্রার্থী দেওয়া হয়। এমনকী বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় ভোটের আবহে। কিন্তু এবারের লোকসভা ভোটের শুরুতেই কংগ্রেসের ইস্তেহারকে মুসলিম লীগের ইস্তেহার বলে প্রধানমন্ত্রী যেমন আক্রমণ করেছিলেন, তেমন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গেছে রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘের মতো প্রতিষ্ঠানের রাজনীতির অভিযোগ। ভারতে নুন ছাড়া তরকারির মতো ধর্ম ছাড়া রাজনীতি হয় কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: বসিরহাটে তৃণমূলে ফাটল! “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”, ঊষারানীকে হুমকি মমতার

    Mamata Banerjee: বসিরহাটে তৃণমূলে ফাটল! “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”, ঊষারানীকে হুমকি মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার সপ্তম দফায় ভোট বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের। এই কেন্দ্রে মধ্যে রয়েছে সন্দেশখালি। নারী নির্যাতন, হিন্দু মহিলাদের বেছে বেছে ধর্ষণ, জোর করে জমি দখল সহ একাধিক ইস্যুতে সাধারণ মহিলাদের ক্ষোভের আগুনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি। বিজেপির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী নির্যাতিতা মহিলাদের পাশে না দাঁড়িয়ে পক্ষাবলম্বন করেছিলেন শেখ শাহজাহানের। ইতিমধ্যে প্রতিবাদী মুখ বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের প্রচার ব্যাপক জমজমাট হয়ে উঠেছে এলাকায়। কিন্তু এই কেন্দ্রে ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরাসরি তাঁর দলের বিধায়ক ঊষারানী মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন। তিনি হাড়োয়ায় নির্বাচনী সভা থেকে দলের বিধায়ককে হুমকি দিয়ে বলেন, “ক্ষমা না চাইলে দলে ঠাঁই নেই”।

    ঠিক কি বললেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    এদিন নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতা (Mamata Banerjee) দলের কর্মী-নেতা-বিধায়কদের কোন্দলকে আরও স্পষ্ট করে দেন। তিনি নিজের দলের মিনাখাঁর বিধায়ক উষারানী এবং তাঁর স্বামী মৃত্যঞ্জয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। কার্যত সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “পায়ে ধরে ক্ষমা না চাইলে কোনও জায়গা নেই দলে। তৃণমূলের এমএলএ থাকবেন আর মিটিংয়ে আসবেন না তা করা চলবে না। যতক্ষুণ ক্ষমা না চেয়ে পা ধরবে, ততক্ষুণ মুক্তি নেই। আপনি স্বামীকে নিয়ে দল বিক্রি করে দেবেন এমনটা দলে চলবে না। এটা মানবো না। তৃণমূল নেতা তৈরি করে, একটা যাবে তো লক্ষ নেতা তৈরি হবে। ব্লকে যারা আছে, জেলার যারা আছে তাদের তুলে ধরব।”

    আরও পড়ুনঃ ভোট আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    বিধায়ককে বাদ রেখে টিম গঠন

    এদিন দলের মধ্যে প্রকাশ্যে এই বিস্ফোরক মন্তব্যে ভোটের আগে একটা বড় ফাটল নজরে এসেছে। একই ভাবে এই বিধায়কে বাদ দিয়ে বিশেষ টিম গঠন করে দেন মমতা (Mamata Banerjee)। উল্লেখ্য ঊষারানী বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছেন বলে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করে ছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এসএসসিতে গ্রুপ সিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। কিন্তু নিয়োগ বেআইনি হওয়ায় চাকরি বাতিল হয়েছে। মেয়ে ডি-র দাবিতে মিছলে যোগ দিয়েছিলেন। তাতেও শাসক দলের রোষানলে পড়তে হয়েছিল। অপর দিকে সন্দেশখালির বিজেপির প্রার্থী হিসাবে প্রধানমন্ত্রী রেখা পাত্রকে চয়ন করেছিলেন। ফলে বসিরহাটে শাসক দলের কোন্দলে বিজেপি কতটা বাজিমাত করবে সেই দিকেই নজর এখন ওয়াকিবহল মহলের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।   

  • Ei Samay: টাইমস গ্রুপের ‘এই সময়’ পত্রিকা অধিগ্রহণ মমতা ঘনিষ্ঠ আইনজীবী সঞ্জয় বসুর

    Ei Samay: টাইমস গ্রুপের ‘এই সময়’ পত্রিকা অধিগ্রহণ মমতা ঘনিষ্ঠ আইনজীবী সঞ্জয় বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১২ সালে টাইমস গ্রুপ পশ্চিমবঙ্গে চালু করে ‘এই সময়’ দৈনিক সংবাদপত্র (Ei Samay)। যার প্রাত্যহিক সার্কুলেশন ছিল প্রায় ১.৭ লাখ কপি। সম্প্রতি টাইমস গ্রুপের এই সংবাদপত্রকে কিনে নিয়েছে একটি কোম্পানি, যার বয়স মাত্র এক মাস। এই কোম্পানির মাথা হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি আইনজীবী সঞ্জয় বসু।

    সঞ্জয় বসুর বিবৃতি

    ‘এইসময়’ পত্রিকাকে (Ei Samay) কিনে নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই লিঙ্কডিনে বিবৃতি আসে সঞ্জয় বসুর। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, হিমাদ্রি স্পেশালিটি কেমিক্যাল লিমিটেডের অনুরাগ চৌধুরীর সঙ্গে এই দৈনিকটি তাঁরা কিনে নিয়েছেন। আশ্চর্যজনকভাবে ওই বিবৃতিতে সঞ্জয় বসু দাবি করেন, “আজ আমরা খুব অল্প লোক একত্রিত হয়েছি এবং ‘এইসময়’ সংবাদপত্রটি অধিগ্রহণ করেছি।” এই অল্প কয়েকজন লোক বলতে তিনি কাদেরকে বুঝিয়েছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। কারণ যে কোম্পানি ‘এইসময়’ সংবাদপত্রকে অধিগ্রহণ করেছে তার বয়স এক মাসও নয়। এর পাশাপাশি ‘এই সময়’ এর কোন অ্যাসেট নেই।

    রাতারাতি ১৮ কোটি বিনিয়োগ

    পরবর্তীকালে দেখা যায় এক সপ্তাহ পরেই এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। দেখা যাচ্ছে ওই ১৮ কোটি টাকার মধ্যে সঞ্জয় বসু বিনিয়োগ করেছেন ৯.৯২ কোটি টাকা। রকেট মার্কেটিং নামে একটি সংস্থা বিনিয়োগ করেছে ৫.৪১ কোটি টাকা এবং গৌতম আগরওয়াল নামে একজন বিনিয়োগ করেছেন ২.৭ কোটি টাকা।

    কে এই সঞ্জয় বসু

    সঞ্জয় বসু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। দুজনের আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে তিনি কাজ করেন। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সঞ্জয় বসু খবরের শিরোনামে আসেন, কারণ ইডি তখন পঞ্জি কেলেঙ্কারিতে তল্লাশি চালায় তাঁর বাড়িতে। সেই সময় ইডি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় যে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে টাকা তোলার জন্য এই তল্লাশি করা হয়েছিল। ইডি তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানায় যে ‘পিনকন গ্রুপ’ নামের একটি চিট ফান্ড এইভাবে ১৫৬ কোটি টাকা তুলেছে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে এবং ‘টাওয়ার ইনফোটেক লিমিটেড’ নামের অপর একটি কোম্পানি ৬৩৮ কোটি টাকা তুলেছে একইভাবে। সেই সময় সঞ্জয় বসুর হয়ে ব্যাট ধরেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ইডির এই তল্লাশি অভিযানকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেন।

    অনেক দিন ধরেই বিক্রির চেষ্টা করছিল টাইমস গ্রুপ

    প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, টাইমস গ্রুপ ‘এইসময়’ সংবাদপত্রটিকে বিক্রি করার জন্য অনেক দিন ধরেই পরিকল্পনা করছিল। এমনটাই জানিয়েছেন পত্রিকার এক পুরনো কর্মচারী। আগেই ‘এইসময়’ সংবাদপত্রকে (Ei Samay) অপর একটি সংস্থার হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল টাইমস গ্রুপ। কিন্তু সেই সংস্থা এটিকে কিনতে চাইনি। সূত্রের খবর, লকডাউনের পর থেকেই কাগজটি ক্রমশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল এবং বর্তমানে অর্ধেক কর্মী নিয়ে কাজ চালান হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গ্রহণের দিনেও অশান্ত তমলুক লোকসভা (Lok Sabha Election 2024)। খুন আরও এক ব্যক্তি। ষষ্ঠ দফা লোকসভা নির্বাচনের মাত্র একদিন আগেই নন্দীগ্রামে খুন হয়েছিলেন বিজেপি মহিলা কর্মী। ক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। ভোটের দিন মহিষাদলের বেতকুণ্ডুতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের দাবি মৃত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। লোকসভার ভোটে রক্তাক্ত হয়েছে তমলুক লোকসভা। গণতান্ত্রিক উৎসবে শাসক দলের বিরুদ্ধে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

    ভোটে কেন খুন (Lok Sabha Election 2024)?

    জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম শেখ মইবুল। তাঁকে গতকাল শুক্রবার কুপিয়ে খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে তৃণমূলের তির বিজেপির দিকে। প্রথমে বচসা হয় এরপর দুই পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি হন। এরপর বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। অপরে ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে তৃণমূল। এই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে পরিকল্পনা করে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষের মনে ভয় তৈরি করে নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পরিবেশকে ভয়ভীতিপূর্ণ পরিবেশ করা হচ্ছে। গত বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক খুনের ঘটনা রাজ্যে ব্যাপক ভাবে হয়েছে। সব ক্ষেত্রে আঙ্গুল ছিল তৃণমূলের দিকেই। 

    আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অভিজিৎ

    এই ষষ্ঠ দফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে রাজনৈতিক হিংসার কথা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন এই মৃত মহিলার ছেলে। ভোটের আগে থেকে রাতভর সন্ত্রাস চালায় দুষ্কৃতীরা। এই বিজেপি প্রার্থী বলেন, “পুলিশ সন্ত্রাস করছে। পুলিশের গায়ে উর্দি আছে তাই সন্ত্রাস করার অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। মমতা-অভিষেক পরিকল্পনা করে এই সব করাচ্ছেন। ভোট শান্তিপূর্ণ না করার চক্রান্ত চলেছে রাজ্যে।”

    আরও পড়ুনঃ অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করা হল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    এই তমলুক কেন্দ্র প্রথম থেকেই সকলের নজরে রয়েছে। এক দিকে বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি এসএসসি সহ একাধিক দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন। একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক জেলে গিয়েছেন। আবার এই লোকসভা কেন্দ্রের একটি বিধানসভা নন্দীগ্রাম বিধানসভা। এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে শুভেন্দুর কাছে ভোটে হেরেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে লোকসভার ভোটের জয়-পরাজয়ের একটি বিশেষ কেন্দ্র হিসেবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই লোকসভা কেন্দ্র।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “চার তারিখের পর চোর মমতার ঝাঁপ বন্ধ করে দেব”, নির্বাচনী প্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Sandeshkhali: “চার তারিখের পর চোর মমতার ঝাঁপ বন্ধ করে দেব”, নির্বাচনী প্রচারে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে এক বিশাল জনসভায় যোগদান করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন নিয়ে আক্রমণ করেন। পাশাপাশি রাজ্যের শাসক দলের একাধিক দুর্নীতির বিষয় নিয়ে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, “চার তারিখের পর চোর মমতার ঝাঁপ বন্ধ করে দেবো”

    কী বললেন শুভেন্দু (Sandeshkhali)?

    এদিন সভায় শুভেন্দু বলেন, “সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আন্দোলনকে এবার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জয়যুক্ত করার সময় এসে গিয়েছে। এখানে তৃণমূল কোথাও নেই, লড়াইটা বিজেপি বনাম মমতা-পুলিশের। তৃণমূল কথাও কিছুই নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে চাই। ভাইপোকে কে কে জেলে পাঠাতে চান? ওঁকে জেলে পাঠাতে গেলে তিন নম্বর বোতাম টিপে রেখা পাত্রকে জয় করতে হবে। তা করলেই বসিরহাটে পদ্ম ফুটবে। সিরাজ, আলমগির সকলের অবস্থা শাহজাহানের মতো হবে।  তাই সকলে একসঙ্গে ভোট দেবেন।”

    আর কি বললেন শুভেন্দু?

    আজ লোকসভার প্রচারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমরা এলাকার (Sandeshkhali) অভিযোগকে যথাস্থানে জানিয়ে হাইকোর্ট থেকে সিবিআই তদন্তের রায় পেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। ভোটের পর মামলা শুনবেন জানিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদলাত। রেখাকে দিল্লিতে পাঠাতে পারলে আমাদের আন্দোলনে সিলমোহর পড়বে। অস্ত্রশক্তি, বাহুবল আমাদের ভারতের গণতন্ত্রে জায়গা নেই। তাই সকলকে একজোট হতে হবে। নির্বাচনের আগে মমতার পুলিশ গ্রেফতার করার ষড়যন্ত্র করছে। তাই আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। ভোটদানের মধ্যে দিয়ে সকল অন্যায়ের বদলা নিতে হবে।”

    এই জনসভায় ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু সহ ছিলেন বসিরহাট লোকসভার বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র, বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা ট্রিব্রেওয়াল, অর্চনা মজুমদার সহ একাধিক নেতৃত্ব। এই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ পয়লা জুন। শেষ দফা নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী জনসভা এদিন বেশ জমাট ছিল। এই জনসভায় সন্দেশখালির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি দলের নেতা কর্মীরা এসে যোগদান করেন।

    আরও পড়ুনঃ পুলিশকে একগুচ্ছ নির্দেশ, কলকাতার ভোটে বাড়তি সতর্ক কমিশন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Monks Protest Rally: “ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী”, কলকাতার রাজপথে সাধু-সন্তদের অভিনব মিছিল থেকে উঠল দাবি

    Monks Protest Rally: “ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী”, কলকাতার রাজপথে সাধু-সন্তদের অভিনব মিছিল থেকে উঠল দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কয়েক জন সাধুর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্যের অভিনব প্রতিবাদ সাধুদের। কলকাতার রাজপথে শুক্রবার এই মিছিলে হাঁটালেন কয়েক হাজার সাধু-সন্ত (Monks Protest Rally)। এদিন দুপুরে বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের (Vishva Hindu Parishad) উদ্যোগে সন্ত অভিযান যাত্রার আয়োজন করা হল মহানগরে। বাগবাজারে অবস্থিত মা সারদার বাড়ি থেকে মিছিল শুরু হয়ে তা শেষ হয় বিবেকানন্দের জন্মভিটে সিমলা স্ট্রিটে।

    অভিনব প্রতিবাদ

    বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিছিলের সাক্ষী হলেও  সাধু-সন্তদের এই ধরনের প্রতিবাদ মিছিল (Monks Protest Rally) আগে কোনওদিন দেখেনি মহানগর। মিছিলে যোগ দেওয়া প্রচুর সাধুকে এদিন খালি গায়ে ও খালি পায়ে হাতে খঞ্জনি এবং শঙ্খ বাজাতে বাজাতে কলকাতায় রাস্তায় হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সনাতন ধর্মের অপমান করেছেন বলেই তাঁদের দাবি। এদিন বিকেল ৩টেয় বাগবাজারের নিবেদিতা পার্কে সমাবেশ হয়। এরপর মায়ের বাড়ি থেকে গিরিশ অ্যাভিনিউ, বাগবাজার স্ট্রিট, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় হয়ে বিধান সরণী দিয়ে বিবেকানন্দ রোডে স্বামীজির জন্মভিটেয় শেষ হয় সন্তদের পদযাত্রা। কলকাতায় বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত সন্ত অভিযান যাত্রার অংশ নেওয়া সাধুরা তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে এই বিষয়ে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন সাধু অভিযোগ করেন, যেভাবে নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্তিক মহারাজের মতো মহান একজন সাধুর নামে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাঙ্ক সুরক্ষিত রাখার জন্য তিনি যে মন্তব্য সাধুদের নামে করেছেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এরপরে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার কথাও জানান সাধু-সমাজ।

    আরও পড়ুন: এক মাস ধরে পরিকল্পনা শহরে, বাংলাদেশ সাংসদকে খুনের ঘটনা স্বীকার অভিযুক্তের

    কেন এই প্রতিবাদ

    এই সন্ন্যাসী সংক্রান্ত ঘটনাপ্রবাহের শুরু গত শনিবার, আরামবাগে। সেখানে মমতা রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কয়েক জন সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তৃতা করেছিলেন। বিশেষত, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজের নাম করে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ‘ডাইরেক্ট পলিটিক্স’ করে দেশটার সর্বনাশ করছে।’’ তার পাল্টা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন কার্তিক। দাবি জানিয়েছেন মমতার ক্ষমা চাওয়ার। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishva Hindu Parishad) বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় নেতা শচীন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই, ভোটেরও নয়। তবে, নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট পাওয়ার জন্য যে ভাবে হিন্দু সাধু-সন্তদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাতে বাংলার হিন্দু সমাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিষদ উদ্বিগ্ন। সমস্ত প্রতিষ্ঠান এবং মঠের সন্ন্যাসীরাও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এবং তার পরেই জলপাইগুড়িতে মিশনের উপর হামলার নিন্দা করেছেন। এর পরেই এই যাত্রার (Monks Protest Rally) সিদ্ধান্ত হয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Allowance of Imam: চুপিসারে বেড়েছে ইমাম ভাতা! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ বিজেপির

    Allowance of Imam: চুপিসারে বেড়েছে ইমাম ভাতা! রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে কোনওরকম ঘোষণা ছাড়া কাউকে না জানিয়ে চুপিসারে বেড়েছে ইমাম ভাতা (Allowance of Imam)। রাজ্যে এখন দু দফার ভোট বাকি। আর এই আবহেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একেবারে সরকারি তথ্য সহ বড় অভিযোগ আনল বিজেপি (BJP on Imam Bhata)। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, তৃণমূল সরকারের ১২ বছরের শাসনে রাজ্যে মসজিদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। একই সঙ্গে করদাতাদের টাকায় কেন ইমাম – মোয়াজ্জেমদের ভাতা দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনকী, এই ভাতা দিয়ে কী লাভ হচ্ছে তা সমীক্ষা করে দেখার দাবিও জানান তিনি।

    জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি

    এদিন বিজেপি নেতা বলেন, “রাজ্য সরকার চুপিসারে গত ২ মাস আগে থেকে রাজ্যের প্রায় ৭০ হাজার ইমাম মোয়াজ্জমের ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এর জন্য রাজ্য সরকারের এ বছর খরচ হতে চলেছে ২০০ কোটি টাকা। এই ভাতা (Allowance of Imam) বাড়ানোর জন্য বাজেটে কোনও প্রভিশন ছিল না। কোনওরকম ঘোষণা ছাড়া কাউকে না জানিয়ে ভোটের ঠিক আগে আগে এই ভাতা বাড়িয়েছে। ভোটের আগে তিনি ঘুষ দিচ্ছেন। ইমাম, মোয়াজ্জেমদের পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে তাদের রাজনীতির ময়দানে নামাচ্ছেন।” একইসঙ্গে তিনি জানান, প্রায় ৪০ হাজার ইমাম মাসে ৩ হাজার টাকা ও ২৭ হাজার মোয়াজ্জেম ১,৫০০ টাকা ভাতা (Allowance of Imam) পাচ্ছেন। ইমাম-মোয়াজ্জেমদের ভাতা দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন।  
    যখন ইমাম ভাতা চালু হয়, তখন ১৬ হাজার ইমাম ভাতা পেতেন। একটি মসজিদে একজনই ইমাম ইমামতি করতেন। আর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মসজিদের সংখ্যা সরকারি হিসাবে ৪০ হাজার। অর্থাৎ ১২ বছরে পশ্চিমবঙ্গে মোট ২৪ হাজার মসজিদ তৈরি হয়েছে। যে রাজ্যে পুলিশ রামনবমীর মিছিলকে অনুমতি দেয় না, নতুন দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয় না সেখানে রাজ্য সরকারের মসজিদ তৈরির অনুমতি দেওয়ার নীতি কী? এই প্রশ্নও এদিন তিনি তুলেছেন। 

    আরও পড়ুন: সিজোফ্রেনিয়া আসলে কী? জেনে নিন এই রোগের অজানা কিছু তথ্য

    ধর্ম নিয়ে রাজনীতি 

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জগন্নাথবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওবিসি এ শ্রেণিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছিলেন। আর ওবিসি বি শ্রেণিতে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল সনাতনী ওবিসিদের জন্য। তবে মুসলিমরাও তার সুযোগ পেতেন। কালকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টের আদেশকে বিজেপির আদেশ বলে দাবি করে বলেন, এই আদেশ তিনি মানেন না। তিনি মুসলিমদের সংরক্ষণ দেবেন। অবাক করার বিষয়, ওবিসি বি শ্রেণিতে সনাতনী ওবিসিদের জন্য যে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল তা নিয়ে তিনি একটি কথাও বললেন না। হাইকোর্টের রায়ে মুসলিমদের সংরক্ষণ বাতিল হয়ে যাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ব্যথিত। একই সঙ্গে নির্দ্বিধায় তিনি হিন্দু সন্ন্যাসীদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছেন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ করলেও আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Viswa Hindu Parishad: মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাধু’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    Viswa Hindu Parishad: মুখ্যমন্ত্রীর ‘সাধু’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঠ-মিশন-সংঘের সাধু-সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে বেঁফাস মন্তব্য করে বিপাকে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! মুখ্যমন্ত্রীর বেলাগাম মন্তব্যে সন্ন্যাসী ও আশ্রমের ওপর হামলার ঘটনা বাড়বে বলেই মনে করেন বিভিন্ন মঠ-মিশন কর্তৃপক্ষ। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)। মামালার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসে।

    কী বলেছিলেন মমতা? (Viswa Hindu Parishad)

    সন্ন্যাসী বিতর্কের জল এতদূর গড়ানোর কারণ শনিবার আরামবাগের এক জনসভায় করা তৃণমূল নেত্রীর একটি মন্তব্য। ওই সভায় মমতা রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কয়েকজন সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার কার্তিক মহারাজের নাম করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “সব সাধু সামান হয় না। সব স্বজন সমান হয় না। আমাদের মধ্যেও কি আমরা সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ রয়েছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। আমার শ্রদ্ধার্ঘের তালিকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। কিন্তু যে লোকটা বলে, তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না, সেই লোকটাকে আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ, সে ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশটার সর্বনাশ করছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই (Viswa Hindu Parishad) মন্তব্যের পরে পরেই শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা।

    আর পড়ুন: “ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই”, বললেন পিকে

    মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে তোলপাড় হয় রাজ্যও। সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি চিঠি পাঠিয়েছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজ। চিঠিতে চার দিনের মধ্যে তাঁর বক্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। চার দিনের মধ্যে জবাব না মিললে মহারাজ আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় ওই চিঠিতে। মহারাজের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। তাঁর সম্মানহানির চেষ্টায় মুখ্যমন্ত্রী অসত্য ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করেছেন বলেও অভিযোগ ওই সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর। সাধুদের নিশানা করায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন মঠ-মিশন-আশ্রমের সাধু-সন্তরা। এহেন আবহে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকে দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Viswa Hindu Parishad)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “মমতার সরকারের অত্যাচারের শিকার”, পুলিশি হানা নিয়ে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতার সরকারের অত্যাচারের শিকার”, পুলিশি হানা নিয়ে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে আচমকাই পুলিশি অভিযান। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘিরে ফের রাজ্য-রাজনীতির উত্তেজনার পারদ চড়ল। ভোট আবহের মধ্যে পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে রাজ্য জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, আমাকে না জানিয়ে আচমকাই আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কোলাঘাট থানার পুলিশ আমার ওই ভাড়াবাড়ি ও অফিসে চড়াও হয়। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোলাঘাট থানার সামনে ধর্নায় বসেন বিরোধী দলনেতা।

    মমতার সরকারের অত্যাচারের শিকার (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের তৃণমূল সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘কেন আমার কোলাঘাটের ভাড়াবাড়ি ও অফিসে পুলিশ হানা দিল, তা পরিষ্কার নয়।’ তাঁর অভিযোগ, ‘ভাইপোর নির্দেশে আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকেও হেনস্থা করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকারের অত্যাচারের শিকার আমি।’ পুলিশ জানিয়েছে, এক দুষ্কৃতীর সন্ধানেই তল্লাশি চালানো হয়। যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ শুভেন্দু। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। আইনি পদক্ষেপ করবেন বলেও জানিয়েছেন। শুভেন্দু জানান, ‘পুলিশ ও আইপ্যাক আমার বেডরুমে ঢুকে গেছে, ফোন করে বলল আমাকে। আমি অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। কিন্তু কেউ ছিল না। ওসির সঙ্গে কথা হয়। প্রথমে ফোন ধরতে চাননি।’ আশঙ্কা প্রকাশ করে শুভেন্দুর প্রশ্ন, ‘আমার অনুপস্থিতে যদি বাড়িতে ভাঙা দু’টো বন্দুক ফেলে আসে, নগদ টাকা বা হেরোইন রেখে আসে, তার দায়িত্ব কে নেবে?’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ রয়েছে। পুলিশ আমার বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করতে পারবে না। তাহলে এই অভিযান কেন? এর বিরুদ্ধে আমি আদালতের দ্বারস্থ হব।’

    আরও পড়ুন: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    শাসকদলের ষড়যন্ত্র!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘পুলিশের কাছে যদি সার্চ ওয়ারেন্ট থেকে থাকে, তাহলে তো আমার উপস্থিতিতেই তল্লাশি চালাতে পারত। কিন্তু সেটা করা হয়নি। এসব আসলে আমার বিরুদ্ধে শাসকদলের ষড়যন্ত্র।’ মঙ্গলবার বিকেলে শুভেন্দুর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে যায় পুলিশ। অভিযোগ, প্রায় ৮০জন পুলিশকর্মী ওই বাড়ি ঘিরে ফেলে তল্লাশি করেন। পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপির স্থানীয় নেতা- কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। খবর পেয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে সোজা কোলাঘাট থানায় পৌঁছন শুভেন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share