Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Santipur: ‘১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা!’ অবস্থান-বিক্ষোভে সরব বিজেপি

    Santipur: ‘১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা!’ অবস্থান-বিক্ষোভে সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নদিয়া জেলার শান্তিপুরে (Santipur) প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তৃণমূলের বিধায়ক, এমপি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পঞ্চায়েত সদস্যরা আমন্ত্রিত রয়েছেন। কিন্তু, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিজেপির বিধায়ক, এমপি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের কাউকেই। সোমবার দুপুরে এই অভিযোগ তুলে নদিয়ার ফুলিয়ার বিডিও অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

    ১৯০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি, বন্ধ বার্ধক্যভাতা! (Santipur)

    বিজেপির এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নদিয়ার রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও সামিল ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখে শান্তিপুরে (Santipur) আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেখানে বিজেপির কোনও প্রশাসনিক কর্তা থেকে এমপি বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী এখানে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন না দলীয় কর্মসূচি করতে আসছেন। বিজেপি-র শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন,  ২০১৬ সালে শান্তিপুর-কালনার গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্রিজের জন্য বরাদ্দ হয় ১৯০০ কোটি টাকা। চাষিদের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও সেই ব্রিজ এখনও তৈরি হয়নি। ব্রিজের টাকা গেল কোথায়? আসলে ১৯০০ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি করেছে তৃণমূল। সব টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে ঢুকেছে। যাদের আগে পাটকাটির বাড়ি ছিল, তাঁদের এখন তিনতলা বাড়ি। এই ব্লকে ১৪ হাজার বার্ধক্য ভাতা বন্ধ রয়েছে, এই টাকা অবিলম্বে বরাদ্দ করতে হবে। আমাদেরকে প্রশাসনিক সভায় না ডাকার কারণ আমরা যদি এই সমস্ত অভিযোগ তুলে ধরি সেই ভয়ে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    নদিয়া জেলার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তপন সরকার কটাক্ষ করে বলেন, একটি ব্যস্ততম দফতরের সামনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে নাটক করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভাতে কাকে ডাকা হবে আর কাকে ডাকা হবে না তার সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। এখানে রাজনীতি টানা ঠিক নয়। ওরা এসব করে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছে। তাতে লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: সরকারি অতিথি নিবাসে রাহুলের মধ্যাহ্নভোজে মমতার পুলিশের না

    Rahul Gandhi: সরকারি অতিথি নিবাসে রাহুলের মধ্যাহ্নভোজে মমতার পুলিশের না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে চাইলেও জোটের বিপক্ষে কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মীরা। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মমতার পুলিশ ও প্রশাসনের বার বার হেনস্থা হয়ে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ। সেই ক্ষোভের প্রকাশ ঘটল জলপাইগুড়ি জেলায় কংগ্রেসের এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের কর্মসূচিতে। বাংলায় ইন্ডি জোট ঘেঁটে ঘ হয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের মনে করছে।

    তৃণমূলের সঙ্গে জোটে আপত্তির কথা জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস কর্মীরা

    রবিবার সকালে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ কর্মসূচির আগে জলপাইগুড়ির কংগ্রেস অফিসে জয়রাম রমেশ সাংবাদিক বৈঠক করেন। এর কিছু আগে নীতীশ কুমার ‘ইন্ডি’ জোট ছেড়েছেন। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে চলতি টানাপড়েন নিয়ে বলেন, “কখনও তৃণমূলের কেউ কোনও কথা বলে দেন, কখনও আমাদের দলের কেউ উত্তর দেন। কখনও আমাদের দলের কেউ বলেন, কখনও তৃণমূলের কেউ উত্তর দেন। গণতন্ত্রে এমনই চলে। ইন্ডি জোটে গণতন্ত্র আছে, এখানে একনায়কতন্ত্র নেই।” একই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবারও বলেননি তিনি ইন্ডি জোটে নেই। আবার বলছি, মমতা ইন্ডি জোটের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।”কিন্তু জলপাইগুড়িতে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মনোভাব ছিল এর উল্টো। সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই জয়রামের পাশ থেকে উঠে যান জেলা কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত। পরে জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, “এটা (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয় জোটের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মতামত হতে পারে। তবে নীচুতলার কংগ্রেস কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও দিন ক্ষমা করবে না।”

    স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা কী বললেন?  

    কংগ্রেস কর্মীরা বলেন, একাধিক জায়গায় দলের ফ্লেক্স ছিড়ে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় জয়রামের সঙ্গে একমত হতে পারছি আমরা। কারণ, গত ২৫ জানুয়ারি কোচবিহারে যখন রাহুলের (Rahul Gandhi) ‘ন্যায় যাত্রা’ ঢোকে, তখন থেকেই তৃণমূল নানাভাবে কংগ্রেসের বিরোধিতা করে আসছে। ‘বাংলায় বিজেপিকে আটকাতে দিদিই একাই যথেষ্ট’- এমন লেখা পোস্টার নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ব্যানার ছেড়া, কালো পতাকা দেখানো।

     সরকারি অতিথি নিবাসে মধাহ্নভোজে অনুমতি পেল না রাহুল (Rahul Gandhi)

    কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদায় ৩১ জানুয়ারি রাহুলের (Rahul Gandhi) কর্মসূচি রয়েছে। সেই মতো ওইদিন রাহুলের রতুয়া সেচ দফতরের অতিথি নিবাসে মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করেছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা। কিন্তু, মমতার পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। মুর্শিদাবাদে ১ ফেব্রুয়ারি  কর্মসূচি রয়েছে রাহুলের। সেখানেও কংগ্রেস কর্মীদের রাতে থাকার জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। মমতার প্রশাসন তাতেও আপত্তি জানিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে তৃণমূলের সঙ্গে ইন্ডি জোট নিয়ে কংগ্রেস কর্মীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মেডিক্যাল কলেজের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মেডিক্যাল কলেজের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ জানুয়ারি জেলা সফরে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালুরঘাটে হবে প্রশাসনিক সভা। মমতার সফরের আগে বালুরঘাটে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দাবিদাওয়ার বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে মেল করেছেন বলে জানা গিয়েছে।  

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রায় সব জেলায় মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। শুধুমাত্র প্রত্যন্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নেই মেডিক্যাল কলেজ। জেলা সদর বালুরঘাট হাসপাতাল চত্বরে বিশাল জায়গা থাকলেও সেখানে করা হয়নি কোনও মেডিক্যাল কলেজ। এদিকে বিগত কিছু দিন ধরে বালুরঘাটের বিশিষ্টজনরা প্রতিদিন দশটি করে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে দিচ্ছেন। মূলত বালুরঘাটের মেডিক্যাল কলেজের দাবিতে এই আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে বালুরঘাটে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির জন্য চিঠি দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। এই বিষয়ে এক জেলাবাসী গোপাল দাস বলেন, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় মেডিক্যাল কলেজ আছে। কিন্তু আমাদের এই জেলায় কোনও মেডিক্যাল কলেজ নেই। ভাল চিকিৎসার জন্য জেলাবাসীকে অন্যত্র যেতে হয়। এই জেলায়  মেডিক্যাল কলেজ হলে সবার ভালো হয়।

    জেলায় মেডিক্যাল কলেজ তৈরির দাবি (Sukanta Majumdar)

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমাদের জেলা সবদিক থেকে বঞ্চিত। রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় মেডিক্যাল কলেজ আছে। শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নেই মেডিক্যাল কলেজ। জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী আসছেন শুনলাম, জেলাবাসীর জন্য মেডিক্যাল কলেজ তৈরির কথা বলুন আমরা চাই।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    এনিয়ে পাল্টা জেলা তৃণমূল সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর আসার কথা রয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনাও রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আসার কথা শুনেই সুকান্তবাবু তড়িঘড়ি চিঠি দিচ্ছে। আগে এ নিয়ে একবারও তো মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেননি। তিনি চাইলেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে উন্নয়নের কথা ভাবতে পারতেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: রাহুলের ন্যায় যাত্রার দিনেই মমতার সভা, ইন্ডি জোট ফের প্রশ্নের মুখে

    Malda: রাহুলের ন্যায় যাত্রার দিনেই মমতার সভা, ইন্ডি জোট ফের প্রশ্নের মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাস্তবের মাটিতে দেশে মোদি বিরোধী জোট কতটা সম্ভব, তা এই রাজ্যের রাজনীতির প্রবাহকে দেখলেই স্পষ্ট হয়। পাটনা, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং দিল্লিতে একাধিকবার বৈঠক হলেও আসন নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে কোনও সমঝোতা হয়নি বললেই চলে। এদিকে রাম নামের ঢেউয়ে নীতীশ ফের এনডিএ জোটে বিজেপির হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিয়েছেন। সামনেই লোকসভার ভোট, জমি ছাড়তে নারাজ সব রাজনৈতিক দল। আগামী ৩১ তারিখ মালদায় রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রা প্রবেশ করবে। অন্যদিকে ওই দিনেই মালদার (Malda) ডিএসএ ময়দানে পাল্টা সভা করছেন মমতা। ইন্ডি জোট প্রশ্নের মুখে আরও একবার। ফলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায় ইন্ডি জোটের পিণ্ডি যে চটকে গিয়েছে, একথা আরও একবার প্রমাণ হল।

    কংগ্রেসের বক্তব্য (Malda)

    কংগ্রসের স্পষ্ট বক্তব্য, “আমাদের রাহুল গান্ধীর প্রোগ্রাম পূর্ব ঘোষিত। এই যাত্রাকে ভঙ্গ করতে মালদায় ওই দিনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা সভা করছেন। ৩১ জানুয়ারি বিহারের কাঠিয়ার থেকে মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর, রতুয়া হয়ে ইংরেজবাজারে আসবেন রাহুল গান্ধী। তাঁর যাত্রা মালদার সুজাপুর থেকে ১ লা ফেব্রুয়ারিতে মুর্শিদাবাদে পৌঁছাবে। কিন্তু এই সময় ইংরেজবাজারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সভা করবেন।” জেলা কংগ্রেসের কার্যকারী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, “তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাদের কর্মসূচিকে বানচাল করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পালটা জেলা (Malda) তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “বাংলায় কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই। মুখ্যমন্ত্রী নিজের প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। রাহুল গান্ধী তাঁর যাত্রা নিজের মতো করে করবেন। দুজনের সভা পাশপাশি চলবে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান আগেই ঠিক হয়েছে, তাঁর নিরাপত্তার জন্য এতোদিন সূচি প্রকাশ করা হয়নি। রাহুলের অনুষ্ঠানকে বানচাল করার কোনও ইচ্ছে নেই।”

    বিজেপির বক্তব্য

    মালদা (Malda) দক্ষিণের সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক আম্লান ভাদুবির সমালোচনা করে বলেন, “সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক থেকে তৃণমূল সরে যাচ্ছে। তাই কংগ্রেস এই কর্মসূচিকে ধরে সেই ভোট ব্যাঙ্ককে আবার পেতে চাইছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই কেলেঙ্কারি! রাস্তায় হাত দিতেই উঠে যাচ্ছে সিমেন্ট-বালি!

    Dakshin Dinajpur: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই কেলেঙ্কারি! রাস্তায় হাত দিতেই উঠে যাচ্ছে সিমেন্ট-বালি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১২ বছর পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) যাচ্ছেন। আগামী মঙ্গলবার তাঁর সভা। বালুরঘাট পুরসভার পক্ষ থেকে ব্যস্ততার সঙ্গে রাস্তা সারাই করার কাজ চলছে। কিন্তু নির্মাণকাজের জন্য ব্যবহার করা সামগ্রী অত্যন্ত নিম্নমানের বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে উঠেছে পুরসভার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য খারাপ সামগ্রী ব্যবহারের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন কাউন্সিলর শিপ্রা খাঁ।

    ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তা (Dakshin Dinajpur)

    বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নেপালীপাড়া এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। এলাকার মানুষের মূল অভিযোগ, ‘নতুন রাস্তা থেকে পুরাতন রাস্তা অনেক ভালো ছিল। রাস্তাটি আবার তৈরি করে দিতে হবে। রাস্তার উপরের দেওয়া মশলা এমনি এমনি উঠে যাচ্ছে। রাস্তার মধ্যে হাত দিলে সিমেন্ট, বালি, পাথর, উঠে যাচ্ছে।” অভিযোগ শুনে পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়, অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    রাস্তার জন্য ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে

    বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পুরসভার পক্ষে এই রাস্তার জন্য ৮ লক্ষ টাকা বারদ্দ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এই রাস্তার সিমেন্ট-পাথর-বালি এখনও পর্যন্ত জামাট বাঁধেনি। মোট ৪ ইঞ্চি ঢালাই রাস্তা হওয়ার কথা ছিল কিন্তু তা করা হয়নি। ঠিক কত টাকার রাস্তা, সেই বিষয়ে কোনও রকম পোস্টার দিয়ে জনসাধারণকে জানানো হয়নি। ফলে এখানেই টাকা নয়ছয় করে কাটমানির অভিযোগ জোরালো হয়েছে। রাস্তায় চলাচল তো দূরের কথা, হাত দেওয়া মাত্রই সব উঠে যাচ্ছে।

    কী বললেন কাউন্সিলর?

    বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পুরসভার কাউন্সিলর শিপ্রা খাঁ বলেন, “রাস্তা নির্মাণে খারাপ মানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। বিষয়টি ইঞ্জিনিয়ারকে দেখালে রাস্তা কেন এমন হল সেই কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে।” আবার পুরসভার চেয়ারম্যান আশোককুমার মিত্র বলেন, “রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রীর বিষয়টি নজরে আসেনি। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। যদি তেমন কোনও ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ঠিক হয়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চাইলে মোদির কাছে আসতে হবে”, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চাইলে মোদির কাছে আসতে হবে”, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে কোনও সুস্থ মাথার মানুষ যাঁরা রাজনীতি এবং মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চান, তাঁদের নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এসে কাজ করতে হবে।” রবিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রসঙ্গ টেনে ইন্ডি জোটকে কড়া সমালোচনা করে মমতাকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের টেট এবং শিক্ষক দুর্নীতি প্রসঙ্গে একাধিক বিষয়ে সরকারকে নিশানা করলেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের বক্তব্য শোনার পর নন্দীগ্রামে আজ বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “ইন্ডি জোট হল ছন্নছাড়া দশা।” বিহাররের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “ দলের জাতীয় স্তরে দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাই এই বিষয়ে দেখছেন। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘোষণা না করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলাটা ঠিক হবে না। সুস্থ রাজনীতি করতে গেলে মোদিজির সঙ্গে কাজ করতে পারেন। দেশকে যাঁরা ভালোবাসেন, পরিবারবাদ, দুর্নীতি এবং তোষণনীতিকে যাঁরা মান্যতা দেন না, তাঁদের নরেন্দ্র মোদির কাছেই এসে কাজ করতে হবে। এটাই একমাত্র ভবিতব্য।”

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে কী বললেন?

    এদিন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, “নবান্নে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেজস্বী যাদব এবং নীতীশ কুমারের সাংবাদিক বৈঠকটা ছেড়ে দেবো। সব রেডি করা আছে। সুপ্রিম কোর্টে প্যানেল জমা পড়লেই তৎপরতা বাড়ে। ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় কত জন চাকরি পেয়েছে? ১৫০ টাকার ফর্ম হয়েছে ৫০০ টাকা। বেকারদের কাছ থেকে এই তৃণমূল সরকার ২৭ কোটি টাকা তুলেছে। ২ কোটি টাকা খরচ করেছে পরীক্ষার জন্য। আর বাকি ২৫ কোটি টাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের ফিস দিতে খরচ করা হচ্ছে। বেকারদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে তৃণমূল। ২০২২ সালের টেট আবেদনকারী ছিলেন ১০ লাখ আর ২০২৩ সালে সেই টেট আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ লাখ। চাকরি যে নেই সেটা বাংলার যুবক যুবতীরা ধরে ফেলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ইন্ডি জোটের ফের দফারফা! উত্তরবঙ্গে টিম রাহুলের বাস আটকে দিল মমতার পুলিশ

    Indi Alliance: ইন্ডি জোটের ফের দফারফা! উত্তরবঙ্গে টিম রাহুলের বাস আটকে দিল মমতার পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) পিন্ডি চটকে যাওয়ার মতো অবস্থা! এর আগে কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর জন্য সভামঞ্চ খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল মমতার পুলিশের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদে রাহুলের কর্মসূচিতে আসা কংগ্রেস কর্মীদের থাকার জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। মমতার প্রশাসন তা নাকচ করে দিয়েছে। এর সঙ্গে এবার জুড়ল জলপাইগুড়ির নাম। রাহুলের ন্যায় যাত্রাকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি। টিম রাহুলের বাস আটকে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এই অশান্তির মাঝেই শহরে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী। মমতার পুলিশের এহেন আচরণে চরম ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Indi Alliance)

    জলপাইগুড়িতে রাহুলের ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি রয়েছে। আর এদিন রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে পরীক্ষা রয়েছে। জলপাইগুড়িতে একাধিক পরীক্ষার সেন্টার করা হয়েছে। শহর জুড়ে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। সাড়ে এগারোটায় বাগডোগরায় নেমেছেন রাহুল। এদিন সকালে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর মোড়ে ন্যায় যাত্রার বাস ঢুকতেই বাধা দেয় পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। ফলে, কংগ্রেস কর্মীরা ন্যায় যাত্রায় যোগ দিতে বাধা পান বলে অভিযোগ। কংগ্রেস কর্মীদের বত্তব্য, পরিকল্পনামাফিক পুলিশ বাধা দিয়েছে। নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এর আগে শনিবার ধূপগুড়ির একাধিক এলাকায়  রাহুল গান্ধীর একাধিক পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। বার বার এই ঘটনায় ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাংলার মাটিতে কংগ্রেসকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে তৃণমূল রাজি নয়, তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ন্যায় যাত্রায় রাহুল

    এদিন বাগডোগরা বিমান বন্দরে নেমে রাহুল সোজা যান জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুরে। সেখানে জাতীয় সড়কের ধারে এক ধাবায় মধ্যাহ্নভোজন করেন কংগ্রেস সাংসদ। সেখান থেকে চলে যান জলপাইগুড়ি শহরের পিডব্লুডি মোড়ে। পিডব্লুডি মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন রাহুল। পোস্ট অফিস, থানা মোড় হয়ে কদমতলা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। এই কর্মসূচি শেষ করে সেখান থেকে অসম মোড়, ফাটাপুকুর, ফুলবাড়ি হয়ে রাহুল গান্ধী পৌঁছে যাবেন শিলিগুড়ি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসার আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। দলের সুপ্রিমোর জেলা সফরের আগেই বহু কর্মীর দলবদলের ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     বিজেপিতে যোগ দিয়ে কী বললেন? (Alipurduar)

    শনিবার বিকালে আলিপুরদুয়ার-১ (Alipurduar) ব্লকের বিবেকানন্দ-২ অঞ্চলের বাদলনগর স্কুলের মাঠে বিজেপি-র যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানেই বিজেপির চার নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দত্তর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন ১২/১৪৫ পার্টের নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য উমা দাস। তিনি এক সময় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ও উপপ্রধান ছিলেন। যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শম্পা কর, বিশু রায়-সহ ৫০ জন তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রাক্তন প্রধান উমা দাস বলেন, “তৃণমূল আমাকে টিকিট দেয়নি এবার। দল আমার ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। তাই, আমি নির্দলে দাঁড়িয়েছিলাম। গ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। কারমষ মানুষের সঙ্গে আমি প্রতারণা করিনি। মানুষের পাশে আমি সবসময় ছিলাম। মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখেছে। তাই, তৃণমূল দল করার কথা আর কোনওদিন ভাবিনি। আমি ঠিক করেছিলাম,তৃণমূলে আর ফিরব না, ফিরিওনি। এবার বিজেপিতে যোগ দিলাম। প্রধানমন্ত্রীর নানা কর্মকাণ্ড দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, মানবকল্যাণকর কর্মসূচি নিচ্ছেন তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই আমার এই যোগদান।  

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ ব্যাপারে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “তৃণমূলের কোনও পদে আছেন এমন কেউ বিজেপিতে যাননি। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়া হয়নি। কয়েকজন নির্দল হয়ে জিতেছিলেন। তাঁরাই ওই দলে গিয়েছেন। আর কিছু কর্মী ভোট এলেই এদিক ওদিক করেন। তাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ভোটের মুখে কোনও সমস্যা হবে না। বিজেপি এবার হারবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অভিষেকের গড়ে ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘অভিষেকের গড়ে ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ডায়মন্ড হারবার নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার হরিপালের সভা থেকে তিনি মমতার প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেন। এমনকী অভিষেককে তাঁর খাসতালুকে তৃতীয় করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

    ২০ হাজার বিজেপি কর্মীর নাম বাদ! (Suvendu Adhikari)

    শনিবার হরিপালের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ডায়মন্ড হারবারে ১৮ থেকে কুড়ি হাজার বিজেপি কর্মীর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি থেকে শুরু করে যারা সক্রিয় কর্মী তাঁদের নাম বেছে বেছে বাদ দেওয়া হয়েছে। ব্যাপকভাবে গরমিল করা হয়েছে।” তিনি  হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমরা এটা ছাড়ব না। এসব চলবে না। ফলতার বিডিওকে বলে রাখলাম, দরজা পরিষ্কার করে রাখুন আপনার কাছে যাচ্ছি, যে কোনও দিন। ভাইপো কে ওখানে হারাবো। বিজেপি জিতবে, ভাইপো থার্ড হবে।” প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই ভোটার তালিকা সম্পন্ন হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সারা রাজ্যের পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রেও ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। সেই ভোটার তালিকায় মমতার প্রশাসন কতটা গরমিল করেছে তা দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা।

    মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ শুভেন্দুর

    রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনেই কলকাতায় সংহতি মিছিল করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মমতা বলেছিলেন, “বিজেপি রাম নিয়ে এত উচ্ছ্বাস দেখালেও সীতা দেবীকে নিয়ে কোনও কথা বলে না। বিজেপি নারী বিরোধী বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।” সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এসব চপবাজি কেউ খাবে না। পশ্চিমবঙ্গের সীতাদের খোঁজ নিতে বলুন, হাঁসখালি, কালিয়াগঞ্জ, রামপুরহাটের সীতারা কি অপরাধ করেছে? শিখল তুলে পুড়িয়ে মেরেছেন লজ্জা লাগেনা?” প্রসঙ্গত, ডায়মন্ড হারবারে এবারেও বড় অঘটন না ঘটলে প্রার্থী হচ্ছেন অভিষেক। তাঁর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। বিজেপিও প্রভাবশালী কাউকে দাঁড় করাবেন বলেই জানা গিয়েছে। তৃণমূলের যুবরাজের আসনেই তাঁকে হারানার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Smriti Irani: “রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন ঝামেলা হয়েছে মমতার জন্যই”, হাওড়ায় তোপ স্মৃতি ইরানির

    Smriti Irani: “রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন ঝামেলা হয়েছে মমতার জন্যই”, হাওড়ায় তোপ স্মৃতি ইরানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান রামের বিজয় হল অধর্ম ও অসত্যের বিনাশের সংকেত। যিনি রামচন্দ্রের অপমান করছেন, অধর্মের সাথ দিচ্ছেন, অসত্যের পথে হাঁটছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশাসন কতদিন চলে দেখব। বৃহস্পতিবার হাওড়ায় সাংগঠনিক  বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানি। মধ্য হাওড়ার সতেরো নম্বর ওয়ার্ডের অশান্তির ঘটনার জন্য কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani)। তিনি বলেন, অযোধ্যায় রামলালার মূর্তি স্থাপন নিয়ে যখন আনন্দ-সমারোহ হচ্ছিল, তখন হাওড়ায় এই ওয়ার্ডে শিব মন্দিরে পাথর ছোড়া হয়। রাম ভক্তদের ওপর হামলা হয়। রামের ছবি ছেঁড়া হয়। যে গুন্ডারা এই কাজ করেছে, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্রয় পায়।

    এটা কি মুখ্যমন্ত্রীর লোকতন্ত্র? প্রশ্ন স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani)

    সনাতন ধর্মে ইন্ডি জোট ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থা নেই, রয়েছে বিদ্বেষ। হামলার সময় পুলিশ ছিল না। কিন্তু জাতীয় ভোটার দিবসে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবার সময় পুলিশ টিভি বন্ধ করতে হাজির হয়। এটা কি মুখ্যমন্ত্রীর লোকতন্ত্র? প্রশ্ন তোলেন স্মৃতি ইরানি। তিনি আরও বলেন, যেখানে যেখানে ইন্ডি জোটের নেতারা আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে, সেখানে রামচন্দ্রের প্রতি অপমান আছে, এটা পরিষ্কার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দিন ঝামেলা হয়েছে মমতার জন্যই। পুলিশ চুপচাপ তামাশা দেখেছে। কেন নরেন্দ্র মোদির প্রতি রাগ, কেন ভগবান রামের প্রতি অপমান-এর জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে। এদিন ডুমুরজলার সাংগঠনিক বৈঠকে এসে টিকিয়াপাড়ার ঝামেলায় আক্রান্তদের সাথে কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাদের পাশে থাকার ভরসা দেন। তাঁর (Smriti Irani) আশ্বাসে খুশি আক্রান্তরা।

    অযোধ্যা বিশ্বাসস্থল (Smriti Irani)

    স্মৃতি ইরানি বলেন, মন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী শিখদের উৎসব উদযাপন করছিলেন। আমিও মদিনায় গিয়েছিলাম। অনেক অহিন্দু প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসবে শামিল হয়েছিলেন। পার্সিদের প্রধান পুরোহিতও অযোধ্যায় ছিলেন। কিন্তু সনিয়া গান্ধী গেলেন না। স্মৃতি (Smriti Irani) বলেন, অযোধ্যা বিশ্বাসস্থল। ভারতীয় হিন্দুরা ১৮৮০র দশক থেকে এই নিয়ে লড়াই করেছেন। ঈশ্বরের ইচ্ছায় এই ভাবে রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল। রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে সব হিন্দুই সুযোগ পেলে অযোধ্যা যেতেন। আস্থার এই জায়গাটিই কেউ কেউ বোঝেন না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share