Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • North 24 Parganas: বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে হবে! সিদ্ধান্ত তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে

    North 24 Parganas: বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে হবে! সিদ্ধান্ত তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকহীন জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে দেওয়া তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক হল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মধ্যমগ্রামের দলীয় কার্যালয়ে। সন্দেশখালি, বনগাঁর রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হলেও কোর কমিটির কেউই এদিন তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। পাশাপাশি লোকসভা  নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে দলের কর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ওপরেই এদিন জোর দিয়েছেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।

    প্রথম বৈঠকে গরহাজির জেলার একাধিক শীর্ষ নেতা (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) চাকলায় দলের কর্মীদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক বৈঠকের পর মধ্যমগ্রামের দলীয় কার্যালয়ে প্রথম কোর কমিটির বৈঠক হল সোমবার। আগের বৈঠকে সোমনাথ শ্যামের আসার পরেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অর্জুন সিং। ভাটপাড়ার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের পর সংঘাত শুরু হয়েছিল সাংসদ ও বিধায়কের মধ্যে। দু’জনের এই দ্বন্দ্ব অনেকদূর গড়িয়েছিল। দ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতিকেও আসতে হয়েছিল নৈহাটিতে। সেই বৈঠকও শেষ পর্যন্ত হয়নি। এদিনের বৈঠকে অবশ্য অর্জুন-সোমনাথ দু’জনেই সভা শেষ হওয়া পর্যন্ত ছিলেন। এদিনের বৈঠকে সৌগত রায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্মল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অর্জুন সিং, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বিশ্বজিৎ দাস, সুজিত বসু, তাপস রায়ের মতো জেলার শীর্ষ নেতারা গরহাজির ছিলেন।

    বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির নির্দেশ

    দু’ঘণ্টার বৈঠকে কীভাবে এই জেলার কোর কমিটি আরও সফলভাবে কাজ করতে পারে, দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় ১৬ জন সদস্য বক্তব্য রেখেছেন। এ-নিয়ে দু’টি প্রস্তাব উঠে এসেছে। একটা হল, চার সাংগঠনিক জেলার সকলকে নিয়ে কনফারেন্স করতে হবে। অন্যটি হল, লোকসভার আগে বিজেপি শাসিত রাজ্যে দুর্নীতি বেশি করে দলের কর্মীদের তুলে ধরতে হবে সাধারণ মানুষের কাছে। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে কোর কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের অনুপস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বনগাঁর শংকর আঢ্য, সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের মতো জেলায় বালু ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি করতে হবে বলেও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

    বৈঠক নিয়ে কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘গোটা ভারতে বিজেপি শাসিত রাজ্যের দুর্নীতি মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য কর্মীদের বলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকা থেকে বহু প্রকৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য বিজেপি প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করছে। এটা আমাদের কাছে চিন্তার। আমরা প্রশাসনকে বলেছি, পুরো বিচার না করে কোনও ভোটারের নাম তালিকা থেকে যেন বাদ না যায়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: দলকে দুদিনের সময় বেঁধে দিলেন মনোরঞ্জন, তারপর কী পদক্ষেপ নেবেন তৃণমূল বিধায়ক?

    Hooghly: দলকে দুদিনের সময় বেঁধে দিলেন মনোরঞ্জন, তারপর কী পদক্ষেপ নেবেন তৃণমূল বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফেসবুক লাইভ করে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বোমা ফাটানোর কথা বলেছিলেন হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। ৭ জানুয়ারি আর তিনি লাইভ হননি। তবে, ফেসবুক পোস্ট করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুদিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন। তাতে দাবিপূরণ না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিলেন বিধায়ক।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় কী লিখেছেন বিধায়ক? (Hooghly)

    রবিবার ফেসবুকে ফের হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের তৃণমূল নেত্রী রুনা খাতুনকে আক্রমণ করে তৃণমূল বিধায়ক লিখেছেন, যাঁর বিরুদ্ধে আমার মুখ খোলার কথা ছিল, সেই বালি মাফিয়া, মাটি মাফিয়া, জুয়ার বোর্ড চালানো, গাঁজা পাচারকারী, গরু ব্যবসায়ী ও হরেক রকমের দুর্নীতিকারীদের সহায়ক। তাঁরা আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন। আমার কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছিল। সঙ্গে এক পঞ্চায়েত সদস্যার ঘর বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। বেধড়ক মারধর করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। তৃণমূল নেত্রী বললে এক মুহূর্তেই আমি বিধায়ক পদ ‘বিসর্জন’ দিয়ে দেব। তবে, ভোটের লড়াইয়ের ময়দানে থাকব। পারলে আমাকে হারিয়ে দেখাক। আমি কথা দিচ্ছি- আগের চাইতেও বেশি ভোটে জিতে দেখাব।

    মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে কী লিখলেন বিধায়ক?

    বিধায়ক লেখেন, দিদির প্রতি অনুগত, যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অনুগত। যাঁরা আমার সঙ্গে আছেন, তাঁদের ওই ফুলন দেবী আর তাঁর স্বামী, কিছু পোষা গুন্ডার সামনে- সেই হিংস্র হায়নার সামনে ফেলে কিছুতেই পালাবো না। আমি লড়ছি। আর আগামীদিনেও অবশ্যই লড়াই করব। দলের দিকে তাকিয়ে দেখব আর একটা-দুটো দিন। সঠিক বিচার না পেলে তার পর দলমত নির্বিশেষে সমস্ত সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করব ‘বলাগড় বাঁচাও’, ‘দুষ্কৃতী হঠাও’, ‘জনজাগরণ আন্দোলন’। তৈরি থাকুন!

    আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করে দিয়েছেন বিধায়ক

    মনোরঞ্জন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মোট ১৭টি অঞ্চল জুড়ে পদযাত্রা করা হবে। থানার সামনে, বিডিও আফিসের সামনে বিক্ষোভ হবে। ‘চাক্কা জ্যাম’ হবে। আমি গ্রেফতার হতেও রাজি। দুদিন অপেক্ষা করার পরই বিধানসভা জুড়ে লাগাতার আন্দোলন চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siddiqullah Chowdhury: শাহজাহান দলের ক্যান্সার-জন্ডিস, শাস্তি হওয়া দরকার, তোপ সিদ্দিকুল্লার

    Siddiqullah Chowdhury: শাহজাহান দলের ক্যান্সার-জন্ডিস, শাস্তি হওয়া দরকার, তোপ সিদ্দিকুল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার পর সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ফের রাতারাতি খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি বেপাত্তা। তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    শাহজাহানের মতো অপরাধীর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন (Siddiqullah Chowdhury)

    শনিবার হুগলির জাঙ্গিপাড়া গ্রন্থমেলায় যোগ দিতে এসে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘ শেখ শাহজাহান দলের জন্ডিস- ক্যান্সার। তবে, ক্যান্সার(Siddiqullah Chowdhury)তো দুরারোগ্য, মরে যাবে, আর জন্ডিস সারবে না, জন্ডিস না সারলে সে মরবে আর দশজন মরবে, ওরা দলের জন্ডিস। পাশাপাশি মন্ত্রী বলেন, ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রায় লক্ষাধিক টাকার ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলাম, সেই সময় এই শাহজাহান আমাকে পুলিশের সামনে হেনস্থা করেছিলেন। শাহজাহান সিপিএম-এর জমানায় হার্মাদ বাহিনী থেকে এই দলে এসেছে। সেই বদ রক্তের কারণে ক্ষতিটা আরও বেশি হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি চাই এরকম অপরাধীদের শাস্তি হোক, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে ভালো মানুষেরা দল করতে পারেন।’

    ইডি-র আধিকারিকদের ওপর হামলা করা ঠিক হয়নি

    ইডি-র হামলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury) বলেন, আমি বিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি, এই হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল না। শাহজাহান নিজের শক্তির বড়াই দেখাতে গিয়ে ফেঁসেছে। দল দলের জায়গায় কাজ করুক, দল তাঁর সঙ্গে নেই। কেউ যদি মনে করে আমি আইনের ঊর্ধ্বে, তবে তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে। মারধর করে অন্যায় করেছে। আর এসবের জন্য তৃণমূল দল দায়ী নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক দায়ী নন, যে করেছেন তিনি দায়ী। ইডি আধিকারিকদের ঘেরাও পর্যন্ত চলতে পারতো। অফিসারদের এইভাবে মারধর করা বৈধ কাজ নয়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: গ্রেফতারির ভয়ে লুকিয়ে শাহজাহান, অথচ হুঙ্কার বার্তা ভেসে এল অডিও বার্তায়

    Shahjahan Sheikh: গ্রেফতারির ভয়ে লুকিয়ে শাহজাহান, অথচ হুঙ্কার বার্তা ভেসে এল অডিও বার্তায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতারের ভয়ে সে নিজেই লুকিয়ে রয়েছে। সন্দেশখালি অভয়ারণ্যের বাঘ যেন বিড়াল! লুকিয়ে থেকে এবার হুঙ্কার বার্তা জারি করল সেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। মাধ্যম অবশ্য এই অডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করেনি। অডিও বার্তায় সে বলছে, ‘‘ইডি-সিবিআইকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ বুঝতে পারছ পুরোটাই চক্রান্ত। আমি সেখ শাহজাহান বলছি। দোষ করলে মাথা কেটে ফেলুন।’’ এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূল নেতা যদি সত্যিই নিরপরাধ হয়, তবে ইডির তদন্ত মোকাবিলা করতে তার এত ভয় কিসের? কেনই বা বাড়িতে তল্লাশি করতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে?

    মমতাকে দরাজ সার্টিফিকেট দুর্নীতিগ্রস্ত নেতার

    সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দরাজ সার্টিফিকেটও দিচ্ছে। তার কথায়, ‘‘ওরা আমাকে দমাতে পারলে মনে করছে সন্দেশখালিতে তৃণমূলকে দুমড়ে দিতে পারবে। অতএব ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমার মতো হাজার হাজার সেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) আছে। আর তোমরা তৃণমূলের সৈনিক। যে ভাবে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার, আপনার পরিবারের জন্য করেছেন, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।’’ তার আরও সংযোজন, ‘‘আপনারা আস্থা হারাবেন না। আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পাশে থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কাজ করছেন, সেই মানুষটার মুখের দিকে তাকিয়ে আমার কী হবে, আমার কোথায় যাব, সে চিন্তা আপনাদের করার দরকার নেই।’’ সেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) রকেট গতিতে বেড়েছে সম্পত্তি। তা সন্দেশখালির কারও অজানা নয়। তার এই উত্থানের পুরো কৃতিত্ব যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সে কথাই অডিও বার্তা জারি করে দিচ্ছে সে। অর্থাৎ মমতার প্রশয়েই যে বিপুল দুর্নীতি এবং লাগামছাড়া সন্ত্রাস সংঘটিত হয়েছে সন্দেশখালিতে শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) এই অডিও বার্তাতেই তা স্পষ্ট।

    ৩ জন বিজেপি কর্মী খুনে অভিযুক্ত শাহজাহান

    সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিল এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে সে আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি (Enforcement Directorate) হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: “মমতার পুলিশই জানিয়ে দেয়, ইডি আসছে”, শাহজাহানকাণ্ডে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মমতার পুলিশই জানিয়ে দেয়, ইডি আসছে”, শাহজাহানকাণ্ডে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আজ শুক্রবার বেলডাঙায় সভা করে রাজ্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে। আর এই জঙ্গলরাজকে শেষ করতে গেলে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব চ্যানেলের পর্দায় সকাল থেকে একটাই খবর, শেখ শাহজাহান! শেখ শাহজাহান! তিনি কে? তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের আশ্রিত দুষ্কৃতী।” দুর্নীতির বিরুদ্ধে যাতে তদন্ত না করতে পারে, সেই জন্যই ইডির বিরুদ্ধে তৃণমূলের মাফিয়ারা দৌরাত্ম্য এবং তাণ্ডব চালায় আজ।

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি শাহজাহানের আশ্রিত তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি ব্যবস্থা, সাংবিধানিক ব্যবস্থার উপর আঘাত করা হয়েছে। রাজ্যে সাংবিধানিক কোনও বডি সুরক্ষিত নেই। রাজ্যে তৃণমূল দুর্নীতির পাহাড় নির্মাণ করে চাকরি চুরি, মাটি চুরি, বালি চুরি, কয়লা চুরি, রেশন চুরি করেছে। জেলে বন্দি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বালুবাবু গরিবের চাল, গম, আটা-রেশন খেয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এই রেশন দুর্নীতির তদন্তে বালুর সঙ্গে শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত পেয়ে সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিল। অবশ্য মমতা পুলিশ আগে থেকে জানিয়ে দিয়েছে যে আসছে ইডি, বাঁচাতে পারবে না দিদি, তাই পালা তাড়াতাড়ি। এরপর দরজায় তালা লাগিয়ে শাহজাহান পালিয়েছেন। এরপর তদন্তকারী অফিসারেরা তালা ভাঙতে গেলে আক্রমণ করে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। ইডির অফিসারদের মাথা ফেটেছে, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনজন আধিকারিক গুরুতর আহত এবং এখনও কয়েকজন নিখোঁজ। ফলে প্রমাণ হয়ে গেছে কেউ সুরক্ষিত নয়। সংবিধানের কোনও পদ এখানে সুরক্ষিত নয়।”

    কে শাহজাহান?

    তৃণমূলের প্রধান দুষ্কৃতী হলেন শাহজাহান (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু তাই বলেছেন, “২০১৯ সালে বিজেপির কর্মী তপন মণ্ডল সহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা। খুন করে সেই সময় বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জমিকে জোর করে দখল করে নিয়েছেন। তাঁর দখল করা জমির পরিমাণ ১৩৯.১৭ বিঘা। এছাড়া তিনটে ট্রাস্টে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ডক্টর স্বপ্নকুমার রায়চৌধুরির জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন। আগে সিপিএম করতেন, তাঁর গুরু ছিলেন হার্মাদদের নেতা মুসলেম। এরপর তৃণমূলে যোগদান করে মাফিয়া হয়েছেন। এলাকার আম্ফানের ত্রাণ, আবাস যোজনার ঘর, শৌচালয়, একশো দিনের টাকা, মাছের চাষের ভেড়ি সব কিছু খেয়ছেন তিনি।”

    রাজ্যালকে কী আবেদন কিরলেন?

    ইডির তদন্তে বাধাপ্রদান এবং আক্রমণের ঘটনায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari), মমতার সরকারকে নিশানা করে রাজ্যপালকে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই। তাই রাজ্যপালের উচিত কেন্দ্র সরকারের কাছে হস্তক্ষেপ করার সুপারিশ করা। রাজ্যের আইনের রক্ষকরা ভক্ষক হলে, সংবিধানকে অমান্য করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজভবনের খোলা সহায়ক কেন্দ্রে অনেক মানুষের অভিযোগ জমা পড়েছে। কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই সমস্যার সমাধান চেয়ে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের কথা বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আবেদন করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মুকুটমণিপুর মেলার সূচনা মমতার আমলে! যুবনেত্রীর পর তৃণমূল মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়

    Bankura: মুকুটমণিপুর মেলার সূচনা মমতার আমলে! যুবনেত্রীর পর তৃণমূল মন্ত্রীর মন্তব্যে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুবনেত্রীর পর এবার তৃণমূল সরকারের মন্ত্রীর মন্তব্যে ফের বিতর্কের সূত্রপাত। গতকাল বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার (Bankura) মুকুটমণিপুর মেলার সূচনার অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যের আদিবাসী দফতরের মন্ত্রী বুলু চিক বরাইক বলেন, “এই সরকারের আমলেই এই মেলা শুরু হয়।” পাল্টা বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, “মিথ্যে কথা বলাটা তৃণমূলের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অবস্থান করছে।” তৃণমূল মন্ত্রীর বক্তব্যে রাজ্যে এবার মেলা নিয়েও শোরগোল পড়ে গেল।

    কবে থেকে মুকুটমণিপুর মেলা?

    বাঁকুড়া (Bankura) জেলার বিষ্ণুপুর মেলার মতো ঐতিহ্যবাহী হল মুকুটমণিপুর মেলা। এই মেলার শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। প্রায় ২৫ বছর ধরে ঐতিহ্য মেনেই এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘এই মেলার সূচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে।’ আর এই মন্তব্যের কারণেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।

    মন্ত্রী কী বলেছিলেন?

    রাজ্য সরকারের অর্থানুকূল্যে মুকুটমণিপুরে (Bankura) মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “এই মেলা আগে হত না, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই এই মেলা প্রতি বছর হয়ে চলেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।” যে মেলা গত ২৫ বছর ধরে চলছে, সেই মেলাকে মাত্র ১২ বছর ধরে চলা একটি সরকারের দ্বারা চালু করা হয়েছে, এই কথা কীভাবে বলা যেতে পারে? এই প্রশ্নে বিরোধীরা কড়া সমালোচনা করেছে রাজ্যের মন্ত্রী বুলু চিক বরাইককে।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাঁকুড়ার (Bankura) বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, “মিথ্যে বলাটা ওঁদের একটি বড় বদ অভ্যাস। ২৪ বছর আগে কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ছিলেন? এই সব অবান্তর কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। শাসক দলের মন্ত্রী ভুলে গেছেন দল আর সরকার এক নয়। সরকারি কাজে দলের নেতানেত্রীর নামে শ্লোগান দেওয়া গণতন্ত্র এবং সংবিধান বিরোধী।”

    ‘কার্জন গেট’ নিয়ে যুবনেত্রীর বেফাঁস মন্তব্য

    যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী গতকাল বর্ধমানের এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, “ছিল কি গেট? এই আলো ধবধবে রাস্তা, সবটাই তৃণমূলের আমলে হয়েছে।” অথচ ইতিহাস বলছে ১৯০৩ সালে জিটি রোডের ধারে বিরাট তোরণ তৈরি করা হয়েছিল। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের নামে ‘কার্জন গেট’ নামকরণ হয়। এরপরে ১৯৪৭ সালের পর দেশ স্বাধীন হলে নাম বদল করে রাখা হয় ‘বিজয় তোরণ’। বিরোধীদের বক্তব্য, ‘তৃণমূলের মধ্যে ইতিহাসবোধ কম”। ফলে মুকুটমণিপুর মেলা (Bankura) নিয়ে মন্ত্রীর মন্তব্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North Dinajpur: “অভিষেক নাদান, কুণাল ননসেন্স!” মমতার পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

    North Dinajpur: “অভিষেক নাদান, কুণাল ননসেন্স!” মমতার পাশে দাঁড়িয়ে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: :”হি ইজ এ ননসেন্স”, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত কুণাল ঘোষকে ইমিডিয়েট স্যাক করে দেওয়া। তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ ইস্যুতে কুণাল ঘোষের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে এই মন্তব্য করলেন উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (North Dinajpur)

    বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ইসলামপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ খোলেন দাপুটে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রবীণদের ছাড়া বাংলা কেন, কোনও রাজ্য বা ভারতবর্ষ চলবে না। প্রবীণদের যে জ্ঞান-বুদ্ধি আছে, তাঁরা তা দেবেন। প্রবীণদের বাদ দিয়ে দেশ চলে নাকি? কোনও রাজ্য চলে? ভারত চলবে? এইজন্য এই লোকটা যে নিজের স্বার্থের জন্য কথা বলছেন, আমার মনে হয় মমতার উচিত এই লোকটাকে সরিয়ে দেওয়া। কারণ এদের বক্তব্যে প্রবীণ সম্মানীয় নেতারা কষ্ট পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, “নবীনদের হাতে দেওয়া মানে ‘বাঁদরের হাতে নারকেল দেওয়া।’ চালাতে পারবে নাকি তারা? দেশের জন্য অনেক ত্যাগ দরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক ত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করে বামেদের ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। অন্য দলে অথবা এই দলেও কোনও যোগ্য ব্যক্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন করিম চৌধুরী?

    এমনকী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে, এ বাচ্চা আছে, এ বালক আছে। একে আপনি সঙ্গে রাখেন। কিন্তু, তাঁকে সব ক্ষমতা দেবেন না। এ বাচ্চা আছে, নাদান আছে। ‘নাদান, বাচ্চা, নাবালক’কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাপতি করে দিয়েছেন। আস্তে আস্তে ট্রেনিং পাবে, তারপর উঠবে। এখন ট্রেনিং পাওয়ার আগেই যদি ও উঠে যেতে চায়, এটা অসম্ভব। অভিষেককে বলব, ধৈর্য ধরো। ধৈর্য রাখো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “রাজ্যে কোনও কর্মসংস্থান নেই”, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “রাজ্যে কোনও কর্মসংস্থান নেই”, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের গোপালপুর এলাকার এক কৃষি মেলাতে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে থাকা দরকার। বাংলাতে মমতা সরকার থাকা প্রায় ১২ বছরের বেশি হয়ে গেল এখনও পর্যন্ত কোনও শিল্প কলকারখানার লাল ফিতে কাটতে বাংলার মানুষ দেখেননি। মুখ্যমন্ত্রী শিল্পায়নের চেষ্টা করেননি। জমি না দেওয়ার জন্য ৪০ এর বেশি রেলওয়ে প্রজেক্ট আটকে আছে এই রাজ্যে, এই জেলার প্রজেক্ট আটকে আছে জমি না দেওয়ার জন্য। এই ভাবে চলতে পারে না রাজ্য। রাজ্য অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। কোনও কর্মসংস্থান নেই রাজ্যে। দুবাইয়ে চলে যাচ্ছে সবাই কাজের জন্য। তারা সেখানে গিয়ে অত্যাচারিত হচ্ছে, আমাদেরকে গিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হচ্ছে। এটাই হল আমাদের রাজ্যের অবস্থা।

    কালীঘাটের কাকু নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    রাজ্য পুলিশের কয়েকজন আধিকারিকের পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রের ফোনে নজরদারি চালানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূল আমাদের ফোন ট্র্যাপ করে সেটা আমরা জানি। স্বাভাবিকভাবে আমরা জানি কোন কথা বলতে হবে কোন কথা বলতে হবে না। রাজীব কুমার বিদেশে কোথায় গিয়েছিলেন। কী আনতে গিয়েছিলেন, তা আমরা জানি। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, কালীঘাটের কাকুর অবস্থা শেষ। কাকুর কণ্ঠস্বর আগামীদিনে বাইরে আসবে এবং প্রচুর খোলসা হবে। কাকু জেল থেকে বের হবে বলে আমাদের মনে হয় না।

    সিএএ নিয়ে কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    সিএএ নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা বার বার বলছি সিএএ হবে, কেউ আটকাতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দম নেই সিএএ আটকানোর। সিএএর মাধ্যমে যারা বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আমাদেরর রাজ্যে এসেছে, তাদেরকে আমরা নাগরিকত্ব দেব। পাশাপাশি এদিন বালুরঘাট ব্লকের গোপালপুর এলাকায় কৃষি মেলার উদ্বোধন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা হবে ধূপগুড়ি, কী হল অভিষেকের দেখানো স্বপ্নের?

    Dhupguri: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা হবে ধূপগুড়ি, কী হল অভিষেকের দেখানো স্বপ্নের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর ২ সেপ্টেম্বর বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার ডেডলাইন উল্লেখ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বলা ভালো স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। যে স্বপ্ন ফেরি করেই উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন, তা হল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়ি মহকুমা গঠন করা হবে। কিন্তু, কথা রাখেনি তৃণমূল। কারণ, নিয়ম মেনে ধূপগুড়িকে মহকুমা করতে সরকারি বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি। তাই, এবার মহকুমার দাবিতে বুধবার থেকে ধূপগুড়ির বিধায়কের বাড়ির সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ধর্নায় বসতে চলেছে ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ।

    নাগরিক মঞ্চের এক কর্মকর্তা কী বললেন? (Dhupguri)  

    ধূপগুড়ি (Dhupguri) মহকুমা নাগরিক মঞ্চের এক কর্তা অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, মহকুমা গঠনের জন্য অনেক তৎপরতা দেখলাম। আমাদের এসব দেখে খুব ভালো লেগেছিল। কিন্তু, বাস্তবে এই ঘোষণা যদি শুধুমাত্র ভোটের জন্য হয়ে থাকে, তাহলে এটা ধূপগুড়ির মানুষকে অপমান করা। আমরা তো বিশ্বাস করেছিলাম। সেটা রাখা হল না। আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হল। আমরা খুবই হতাশ। এভাবে তো মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হল। আমরা এর প্রতিবাদ করব। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    মহকুমা গঠনের কথা মুখ্যমন্ত্রীও বলেছিলেন

    ১১ সেপ্টেম্বর নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ভোটের ফল প্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই ধূপগুড়ি মহকুমা গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়ে যায় মমতার মন্ত্রিসভায়। একাধিক ক্ষেত্রে সংস্কারের আশা দেখে অকাল হোলিতে মেতেছিলেন ধূপগুড়িবাসী। নতুন বছর শুরু হয়ে যাওয়ার পরও গঠন হল না মহকুমা। সেই দাবিতেই এবার খোদ বিধায়কের বাড়ির সামনে ধর্নার ডাক দিল নাগরিক মঞ্চ।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    বিধায়ক নির্মল রায় বলেন, ‘মহকুমা যে হচ্ছে, এটা জোর দিয়ে বলাই যায়। আইনি প্রক্রিয়ায় জটিলতা রয়েছে, সেই কারণেই সময় লাগছে। তবে, চিন্তার কোনও কারণ নেই। ধূপগুড়ির (Dhupguri) মানুষকে আমি আশ্বস্ত করছি, খুব শীঘ্রই সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে।’ কিন্তু, তাঁর এই আশ্বাসে নাগরিক মঞ্চ খুশি নয়। তাই, তাঁরা মহকুমার দাবি আদায়ে আন্দোলনের পথকে বেছে নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: আরাবুলের এ কী হাল! নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ দাপুটে এই নেতা

    Arabul Islam: আরাবুলের এ কী হাল! নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ দাপুটে এই নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তাঁর দাপটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকায় কারও কথা বলার সাহস ছিল না। তৃণমূলের সেই দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam) এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পুলিশ-প্রশাসন ও জেলার দলীয় নেতৃত্বকে এ বিষয়ে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তার আবেদনও করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আরাবুল? (Arabul Islam)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আরাবুলের (Arabul Islam) দাপট কমছে। এর আগে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল। দুদিন আগে ফের নিজের খাসতালুকে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকে একটি সভা ছিল। সেখানে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল। তার জেরে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ বিডিও অফিসে আটকে রাখা হয়। এই ঘটনা ভাঙড়ে প্রথম নয়। পঞ্চায়েতে ভোটপর্বেও বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন আরাবুল। ফলে, নিজের খাসতালুকে জমি হারাতে শুরু করেছেন আরাবুল। তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। এবার আইএসএফের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পরার পর  থেকেই নিরাপত্তাহীনতা ভুগতে শুরু করেছেন তিনি।

    কী বললেন আরাবুল?

    আরাবুল বলেন, আমরা বারবার প্রশাসনকে জানাচ্ছি। প্রশাসন কতটা নিরাপত্তা আমাদের দিতে পারে সেটা প্রশাসন জানে। সেটা নিয়ে আর কিছু বলব না। আমি রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে আমাদের জেলা নেতৃত্বকে বারবার বলেছি। আমাদের যে কোনও সময় প্রাণহানির আশঙ্কা আছে। আচমকা আমার তিনজন সিকিউরিটিকে তুলে নেওয়া হল। কোনও কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখুন।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি কী বলেছেন?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদার বলেন, আরাবুলের (Arabul Islam) ভয়ে এলাকায় মানুষ কথা বলতে পারতেন না। তিনি এখন ভয় পাচ্ছেন। এটা ভাবতেও অবাক লাগছে। তৃণমূলের জমি যে আলগা হচ্ছে এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share