Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • BJP: “উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন বাঁচার জন্য!” মমতাকে কটাক্ষ লকেটের

    BJP: “উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন বাঁচার জন্য!” মমতাকে কটাক্ষ লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় চাওয়ার কথা শুনিয়েছেন। এবার এ নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির (BJP) সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে বর্ধমানের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নাটক করছেন। সব সময় উনাকে প্রধানমন্ত্রী সময় দেবেন কেন? উনি দিল্লি গিয়ে নাটক করেন। কয়েকদিন আগে তাঁর দলবল নাটক করতে দিল্লি গিয়েছিল। আসলে উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন সিবিআই, ইডির হাত থেকে বাঁচার জন্য। দিল্লি সফরের আগে বরাদ্দ বঞ্চনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপেক্ষিতেও সরব হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রকল্পের নাম বদল করা হচ্ছে। প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। মিড ডে মিলে বড় ঘাবলা হয়েছে। চালে পোকা, কাঁকড় পাওয়া যাচ্ছে। এসব এড়িয়ে বঞ্চনার নাটক করা হচ্ছে।

    ধর্নামঞ্চে কুণাল (BJP)

    গান্ধীমূর্তির সামনে SLST-র  ধর্নামঞ্চে কুণাল ঘোষের উপস্থিতি নিয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, এখন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে যাচ্ছেন। ১২ বছর ধরে চলছে। এক হাজার দিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছে। এখন মনে পড়েছে! সামনে ভোট আছে, তাই ধর্না মঞ্চে গেছেন। ভোট পার হলে সব ভুলে যাবে। আবার ২৬ সালে মনে পড়বে। ২৪ নির্বাচনে এর জবাব পাবে সরকার। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী অথচ মহিলারা ধর্নায় বসে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন? এটা অন্যায় নয়?

    মহুয়া মৈত্রের আইনি পরামর্শ (BJP)

    অন্যদিকে মহুয়া মৈত্রের আইনি পরামর্শ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় (BJP) বলেন, অনেকেই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কালীঘাটের কাকু। এঁরা সবাই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাবে। বড় বড় কংগ্রেসের আইনজীবীরা মোটা টাকার বিনিময়ে মামলা লড়বে। বাংলা থেকে দেশের সুরক্ষার জন্য যে সাংসদকে পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে, সেখানে তিনি গোপন পাসওয়ার্ড অন্য জনকে শেয়ার করেছেন। এটা দেশের সুরক্ষা ব্যাপার। মহুয়া মৈত্র দেশদ্রোহী। আইন আইনের পথে চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri News: খেলা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা! কর্মসূচির দিন মাঠের অদূরে ধর্নায় বসছেন বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri News: খেলা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা! কর্মসূচির দিন মাঠের অদূরে ধর্নায় বসছেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গের মাঠ! এই অভিযোগে ফের একবার সরব হলেন শিলিগুড়ির (Siliguri News) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এর প্রতিবাদে মাঠের অদূরে ধর্নায় বসার কর্মসূচিও ঘোষণা করলেন বিধায়ক। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির (Siliguri News) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রশাসন। আসলে নামেই প্রশাসনিক সভা, আদতে তা তৃণমূলের দলীয় সভাই হয়ে ওঠে শেষ পর্যন্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ির ‘সুপার ডিভিশন লিগ’ও। মাঠ তো খেলার জন্য। যে কোনও সরকারি বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের কারণে সেই খেলা বন্ধ হওয়া মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়, এমনটাই মত রয়েছে শিলিগুড়ির নাগরিক মহলের একাংশের।

    কী বলছেন শঙ্কর ঘোষ?

    শুক্রবার শিলিগুড়ির (Siliguri News) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন শঙ্করবাবু। এই সময়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘মাঠে তো ঢুকতেই পারলাম না। দুর্গ তৈরি করে তার ভিতর সাজসজ্জা চলছে। মাঠের অন্তর্জলি যাত্রা হচ্ছে, সেটাই দেখলাম। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আগামী ১১ তারিখ বিকেল ৪টে থেকে ১২ তারিখ সকাল পর্যন্ত খেলোয়াড় এবং ক্রীড়াপ্রেমীদের নিয়ে ধর্নায় বসব।’’ উত্তরবঙ্গের এই বিজেপি বিধায়কের আরও অভিযোগ, ‘‘খেলার জন্য স্টেডিয়াম। সেটা বন্ধ করে রাজনৈতিক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গা-জোয়ারি সিদ্ধান্ত। এটা হল, আমি যা ইচ্ছা তা করব ব্যাপার।’’

    দীর্ঘ এক দশক ধরে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে

    বিধায়কের আরও সংযোজন, ‘‘এই স্টেডিয়ামে (Siliguri News) সর্বশেষ যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিল, সেটা স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংহের। ব্যক্তিগত ভাবে সে দিন প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। ব্যক্তিগত ভাবে অরিজিৎ সিংহের ফ্যান হওয়ার সত্ত্বেও এবং আয়োজকদের আমন্ত্রণ পেয়েও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই সভায় যাইনি। এখন আবার মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে শিলিগুড়ির সুপার ডিভিশন লিগের টুর্নামেন্ট বন্ধ করা হল!’’ শঙ্করবাবুর মতে, দীর্ঘ এক দশক ধরে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে শ্মশান করার চেষ্টা চলছে। আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর সভার সময় ধর্নায় বসব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “আপনার দল কি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে?” ধীরজ সাহু ইস্যুতে মমতাকে প্রশ্নবাণ সুকান্তর

    BJP: “আপনার দল কি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে?” ধীরজ সাহু ইস্যুতে মমতাকে প্রশ্নবাণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার কংগ্রেসের ধীরজপ্রসাদ সাহু। ঝাড়খণ্ডের এই সাংসদের ডিস্টিলারি সংস্থায় হানা দিয়ে আয়কর দফতর এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করেছে নগদ ২৫০ কোটি টাকা। এই ইস্যুতে এবার শুধু কংগ্রেস নয়, নতুন ‘ইন্ডি’ জোটকেই নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে নয়া ওই জোটের মুখ বলে প্রচারিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন সুকান্ত? (BJP)

    তিনি বলেন, “কংগ্রেস বলতে মনে রাখবেন কংগ্রেস কিন্তু একা নয়। মোদি বিরোধী যে একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে, যারা নিজেদেরকে I.N.D.I.A বলছে, তাদের লিডার হচ্ছে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতানেত্রী। এরা বাংলায় বিজেপির (BJP) বিরোধিতা করে বড় বড় কথা বলে, দেশ নাকি আম্বানি-আদানিদের বিক্রি করে দিয়েছে। আর ৬ই ডিসেম্বর থেকে যে কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে আইটি রেড চলছে, তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাঁর বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি ক্যাশ উদ্ধার হয়েছে। আলমারির থাকে থাকে সাজানো টাকা। ৬ই ডিসেম্বর ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে রেড চলেছে। বিভিন্ন লোকেশনে তাঁর সম্পত্তি রাখা ছিল। ৪০ জনের আইটি অফিসারের টিম রেড করে এবং এই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এর আগে এই রকম রেড করে এত টাকা উদ্ধার খুব কম উদ্ধার হয়েছে। ২০০ কোটি টাকা পার হয়ে গেছে এখনও পর্যন্ত। আরও টাকা উদ্ধার হবে। তাহলে কি এই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই রাহুল গান্ধী-সোনিয়া গান্ধী মহুয়া মৈত্র মহুয়া মৈত্র করছেন?”

    নিশানায় মমতা

    সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, “এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজ তাঁর জোটের কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকারও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী ২০০ কোটি টাকাকে এক লক্ষ টাকার থেকে কম মনে করছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার সার্টিফিকেট দেবেন পার্থ চ্যাটার্জির মতো, উনি চুরি করেননি, সৎ মানুষ, ওনাকে ফাঁসানো হয়েছে। আজকে তাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বাংলা থেকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনি এক সময় বঙ্গারু লক্ষণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে (যদিও সেটা প্রমাণও হয়নি) NDA ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজকে এই ২০০ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার হওয়া ধীরাজ সাহু সম্পর্কে আপনার মত কী? আপনার দল কি পাশে দাঁড়াবে, নাকি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে? এই প্রশ্নের জবাব আপনারা দেবেন। এই প্রশ্ন জনগণের সামনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে রয়েছে। রাজনীতি মানেই কি টাকা নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়া? পরিবার-পরিজন-আত্মীয়-স্বজনকে দিনকে দিন বড়লোক করা? এই যদি রাজনীতি হয়, তবে কংগ্রেস সহ তার বিভিন্ন সহযোগী রাজনৈতিক দলকে গোটা দেশের মানুষ যেভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, আগামী দিনে বাংলার জনগণও তৃণমূলের চোর সরকারকে প্রত্যাখ্যান করবে।”

    চাকরিপ্রার্থীদের ধরনার ১০০০ তম দিন

    এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) জানান, এসএলএসটি’র এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা যোগ্য। এঁদের চাকরি পাওয়া উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত তাঁরা চাকরি পাননি। এঁরা চাকরি পাবেনও না, কারণ এই সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নিজেই জানেন না ভ্যাকান্সি কত রয়েছে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কখনও বলছেন লক্ষাধিক, কখনও বলছেন ৭০০। যখন কোনও শিক্ষামন্ত্রী তাঁর মত ও অবস্থান বারবার কিছুদিন পরপর পরিবর্তন করেন, আমার মনে হয়, তাঁদের কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। এসএসসির কথা মানুষকে ভুলে যেতে হবে। ৫০০ টাকা ও হাজার টাকার উপঢৌকন নিয়ে চুপ করে বসে থাকতে হবে।

    টেনে জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার ফরমান

    তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিজেপির নেতানেত্রী, সহকর্মীদের টেনে জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার ফরমান দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) জানান, তৃণমূল কংগ্রেস মানে ভাগাড়।তারা মুখ খুললে গন্ধ তো বেরোবে, এটাই স্বাভাবিক। এখানে তো চন্দনের গন্ধ আশা করা যায় না। জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছি, উনার বিরুদ্ধে এফআইআর করবার জন্য। কত মানুষকে স্তব্ধ করতে পারবেন, সেটাই দেখতে চাই। রহিম বক্সী সাহেবের দম দেখতে চাই, তিনি কত বিজেপি কর্মীদের লাঠিপেটা করতে পারেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতার ভাইপোর বিয়েতে কোটি কোটি টাকা খরচ কী করে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতার ভাইপোর বিয়েতে কোটি কোটি টাকা খরচ কী করে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়েতে কোটি কোটি টাকা খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন যে হোটেলে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে তার খরচ নিয়ে সরব শুভেন্দু। শুক্রবার নিজের ফেসবুক থেকে এক ভিডিও পোস্ট করে ফের মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিয়ে নিয়ে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলার মা মাটি মানুষ… এক ঝলক দেখে নিন, কেমন উড়ছে বিলাসিতার ফানুস।’

    কী বললেন শুভেন্দু

    শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, টালির চালায় থাকা পরিবার কোটি কোটি টাকা খরচ করে কী ভাবে সেটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বুঝতে হবে। এদিন তিনি বলেন, ‘টালির ঘরে থাকা পরিবার, অত টাকা আসে কোথা থেকে? আমি প্রত্যেকটা রুম ধরে ধরে ভাড়া এক্স হ্যান্ডেলে দিয়েছি। প্রেসিডেন্সিয়ার স্যুটের ভাড়া ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা। যারা বলেন, ছবি এঁকে আর বই লিখে আমার সংসার চলে। সেই লোকগুলো কী করে কোটি কোটি টাকা খরচ করে পশ্চিমবঙ্গের লোককে জানতে হবে, বলতে হবে, বুঝতে হবে’।

    গত ৬ ডিসেম্বর রাতে কার্শিয়ংয়ের বিলাসবহুল রিসর্টে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিকের ছেলে আবেশ। পেশায় তিনি চিকিৎসক। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়েতে মোতায়েন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের হাজির রাখা, তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা নিয়ে দু’দিন আগেই ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে দীর্ঘ পোস্ট করে সমালোচনা শুরু করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিবাহ অনুষ্ঠানে সরকারি পরিকাঠামো ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এদিন পাহাড়ে হোটেল-খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। এরপর তিনি আরও লেখেন, ‘এখানেই তো নয় শেষ, বধূবরণ বাকি কলকাতাতেই বসবে আসর, হ্যাঁ ওই সেখানেই যেখানে শিল্পপতিদের ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় আরকি।’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “স্টেট স্পনসর্ড ওয়েডিং”! মমতার ভাইপোর বিয়ে নিয়ে ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “স্টেট স্পনসর্ড ওয়েডিং”! মমতার ভাইপোর বিয়ে নিয়ে ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠান সূত্রে মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিংয়ে রয়েছেন। আর এই বিয়ে নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি টুইট করে এই বিয়ের অনুষ্ঠানকে স্টেট স্পনসরড বিয়ে বলে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।

    সিকিমের লেক বিপর্যয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা মেলেনি, তোপ রাজু বিস্তার

    ভাইপোর বিয়ে উপলক্ষে বুধবার বিকেলে কার্শিয়াং পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোট চারদিন তাঁর পাহাড়ে থাকার কথা। বৃহস্পতিবার সকালে  কার্শিয়াং ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই তিনি একটি চা বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ চা পাতা তোলার চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই পাতা তোলা নিয়েই সরব হয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ভুলে পর্যটকের মতো পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কার্শিয়াঙে একজন পর্যটকের মতো সময় কাটাচ্ছেন। গত ৪ অক্টোবর সিকিমের লেক বিপর্যয়ে তিস্তায় প্রবল জলোচ্ছাস দেখা দেয়। তাতে দার্জিলিং ও কালিম্পং এলাকায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ৫০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন সরকারিভাবেই মারা গিয়েছেন। ১১ জন এখনও নিখোঁজ। সেই বিপর্যয়ে মুখ্যমন্ত্রী। পদধূলি পাহাড়ে পড়েনি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য তিনি কোনও উদ্যোগও নেননি।  মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপর্যস্ত পাহাড়বাসীর পাশে এসে তাঁর দাঁড়ানো উচিত ছিল। সেখানে তিনি এখন পারিবারিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে পাহাড়ে এসে পর্যটকদের মত চা বাগানে গিয়ে পাতা তুলছেন। বিজেপি সাংসদের পাশাপাশি ভাইপোর বিয়ে নিয়ে বিরোধী দলনেতাও (Suvendu Adhikari) তীব্র কটাক্ষ করেছেন।

    [tw]


    [/tw]

     মুখ্যমন্ত্রীর চা পাতা তোলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    রাজু বিস্তা বলেন, এদিন চা শ্রমিকদের  আপনজন প্রমাণের তাগিদে তাদের সঙ্গে পাতা তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন চা পাতা তুলে মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন কত কষ্টকর কাজ করেন চা শ্রমিকরা। সেই কাজে তারা ন্যায্য বেতন, সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সামান্য বেতনে কষ্টের মধ্যেই সংসার চালাচ্ছে চা শ্রমিকরা। আশা করবো সেই কষ্ট লাঘবের জন্য তিনি উদ্যোগ নেবেন। যদি চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা তিনি করেন তাহলেই সার্থক হবে তাঁর এই কর্মকাণ্ড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: উদ্বোধন করেই দায় শেষ মুখ্যমন্ত্রীর ! কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল জানেন?

    Krishna Nagar: উদ্বোধন করেই দায় শেষ মুখ্যমন্ত্রীর ! কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘটা করে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে (Krishna Nagar) কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই জেলার ছাত্রীদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, গত তিন বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। ফলে, মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে।

    কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কী অবস্থা? (Krishna Nagar)

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু হয়। নিজস্ব ভবন না-থাকায় প্রথমে কৃষ্ণনগর (Krishna Nagar) উইমেন্স কলেজে এর ক্লাস হচ্ছিল। বছর খানেক পরে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের নতুন ভবনে ক্লাস শুরু হয়। কৃষ্ণনগর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপ্যালের আবাসনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। ফলে,  কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন নেই। কোনও স্থায়ী অধ্যাপক বা শিক্ষক নেই। স্থায়ী উপাচার্যও নেই। তিন বছর পেরিয়েও এমনই হাল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। ছাত্রী সংখ্যা কমছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। কর্মীদের অনেকেই মনে করছেন, পরিকাঠামোর অভাব দেখেও অনেক ছাত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার উৎসাহ হারাচ্ছেন। বরং তাঁরা চলে যাচ্ছেন নিকটবর্তী বর্ধমান বা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি বিষয়ে মোট আসন ৪৬০টি। এ বছর ভর্তি হয়েছেন ৩৪৩ জন। যেখানে গত বছর ভর্তি হয়েছিলেন ৪৩৭ জন।

    কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনও ভবন নেই?

    প্রশাসন সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগরে (Krishna Nagar) এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন তৈরির জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে সেই টাকা পূর্ত দফতরের হাতে আসেনি। ফলে ভবন তৈরির কাজ বিশ বাঁও জলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষাকর্মী। সকলেই অস্থায়ী। ১৪৪ জন অতিথি অধ্যাপক। কোনও স্থায়ী অধ্যাপক নেই। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হয়েছেন কাজল দে। তিনি বর্তমানে ডায়মন্ডহারবার উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাঁকে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনিও নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন না। এ ছাড়া ফিনান্স অফিসার, কন্ট্রোলার, রেজিস্ট্রার- সকলেই অবসরপ্রাপ্ত। তাঁদের নতুন করে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের সকলে আবার নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: “সিঙ্গুরের মাটিতে প্রথম সরষের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কে?” পরীক্ষার প্রশ্ন ভাইরাল

    Singur: “সিঙ্গুরের মাটিতে প্রথম সরষের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কে?” পরীক্ষার প্রশ্ন ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিঙ্গুরের মাটিতে প্রথম সরষের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কে?” সিঙ্গুর (Singur) গোপাল মোহিনী মল্লিক গার্লস হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় ইতিহাসের প্রশ্ন এটি। আর এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। বলা বাহুল্য, এ ধরনের প্রশ্নের সমালোচনায় মুখর নেট দুনিয়া। অনেকেই রাখঢাক না করে তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন। এমনকী ছাত্রীদের অভিভাবকরাও এ ধরনের প্রশ্নের যৌক্তিকতা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপি তো সরাসরিই বলছে, মাথারা যখন জেলে, তখন শিক্ষা ব্যবস্থার আর রইলটা কী?

    বিতর্ক কীভাবে দানা বাঁধল? (Singur)

    ‘অতীত ও ঐতিহ্য’। এটি হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক। তারই একটি অধ্যায় হল ‘কৃষিজমির অধিকার, সিঙ্গুর গণ আন্দোলন’। বোঝাই যায়, তৃণমূল ক্ষমতাবলে নিজেদের আন্দোলনকেই গণ আন্দোলন নাম দিয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রচারের এই অভিনব এবং ন্যক্কারজনক পরিকল্পনা নিয়েছিল। আর এটাই ছিল সেই সময় বিতর্কের মূল বিষয়। অনেকেই সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন, শিক্ষায় এভাবে রাজনীতিকে টেনে আনা কেন? কিন্তু সরকার কারও কথাতেই গুরুত্ব দেয়নি। সেই বইয়ের জেরেই এবার নতুন বিতর্ক। কারণ অনেকেই হয়তো জানেন, টাটাদের হটিয়ে সেই জমিতে চাষ শুরু করিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রতীক হিসেবে তিনি নিজে জমিতে (Singur) নেমে সরষের বীজ ছড়িয়েছিলেন। কিন্তু এরকম একটি বিতর্কিত এবং রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন? অনেকেই হতবাক, জমছে ক্ষোভও।

    কে কী বলছেন?(Singur)

    সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা মধুসূদন দাসের তোপ, তৃণমূল ক্ষমতার দম্ভে পাঠ্যপুস্তকে নিজেদের মতো করে ইতিহাস লিখেছে। ফলে এর মধ্যে সত্যতা নেই বললেই চলে। এভাবে ভুল জিনিস শিখিয়ে ছেলেমেয়েদের ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে। বইয়ে লেখা ইতিহাসের চরিত্রদের অনেকেই তো জেলের ঘানি টানছেন। এই ধরনের প্রশ্ন চাটুকারিতারই নির্লজ্জ উদাহরণ। রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসলে যে শাসক দলের দাস-দাসী, তা এসব দেখলেই বোঝা যায়।

    যদিও সিঙ্গুর (Singur) ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধাড়া এর মধ্যে খারাপ কিছু দেখছেন না। তাঁর যুক্তি, চাষিরা জমি ফিরে পাওয়ার পর ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতীকী সরষে ছড়িয়েছিলেন। এটা বাস্তব এবং সেই কারণে পাঠ্যপুস্তকেই রয়েছে। সুতরাং বই বা সিলেবাসে যা আছে, প্রশ্নও তো সেখান থেকেই এসেছে। বাইরে থেকে তো নয়।

    বিতর্ক পিছু ছাড়ার নয় (Singur)

    হুগলি জেলার সিঙ্গুর (Singur) বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে এবং নানা কারণে খবরের শিরোনামে। টাটার কারখানা, জমি অধিগ্রহণ, মমতার আন্দোলন-এসবই যখন রাজ্য সরকার পাঠ্যপুস্তকে স্থান দিল, তখন তা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। কিন্তু তারপরেও সিঙ্গুর নিয়ে বিতর্ক যে পিছু ছাড়ার নয়, এবারের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে দিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে একই দিনে মমতা-শুভেন্দু! বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভাঙার নিদান গৌতমের

    Siliguri: শিলিগুড়িতে একই দিনে মমতা-শুভেন্দু! বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভাঙার নিদান গৌতমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিতে একই দিনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই দুই হেভিওয়েট নেতার সভা ঘিরে শিলিগুড়ির রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের সভা ঘিরে গন্ডগোলের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। ১২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বিজেপি এবং তৃণমূলের সভা, পাল্টা সভা হতে চলেছে। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ফুটবল লিগের খেলা বন্ধ করে মমতার সভা, প্রতিবাদে বিজেপি (Siliguri)

    বুধবার শিলিগুড়ি (Siliguri) পৌঁছে কার্শিয়াং যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আগামী ৭ তারিখ অবধি পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এরপর আগামী ৮ তারিখ কার্শিয়াং, ১০ তারিখ আলিপুরদুয়ারে, ১১ তারিখ বানারহাটে এবং ১২ তারিখ শিলিগুড়িতে সভা করবেন। শিলিগুড়ির এই সভা নিয়েই যত প্রশ্ন। কারণ, এখন শিলিগুড়ি স্টেডিয়ামে লিগের খেলা চলছে। আর তা চলাকালীন খেলা বন্ধ করে স্টেডিয়ামে মমতার সভা করতে গিয়ে মাঠ খুঁড়ে নষ্ট করা হচ্ছে বলে বিরোধীদে অভিযোগ। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েই ওই দিন শিলিগুড়িতে পাল্টা সভার ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই সভায় হাজির থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী। যাত্রাপথে মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। ওই দিন বিজেপির সভায় আসবেন শুভেন্দু অধিকারী। আজই এ নিয়ে আবেদন করা হবে। অনুমতি মিলবে না ধরে নিয়েই আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।

    বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভাঙার নিদান গৌতমের

    মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সভার পর মাঠ ঠিক করে দেওয়া হবে বলেছিলাম। খেলাধূলো আমার হৃদয়ে রয়েছে। তবে এটাকে নিয়ে রাজনীতি করা নিন্দাজনক। বিজেপির অধিকার আছে বিক্ষোভ দেখানোর। তবে তা কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় জানি। আমরা হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। হাত-পা ভেঙে দেব।’

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, এটা মুখ্যমন্ত্রীর গা জোয়ারি মনোভাব প্রকাশ পায়। এর আগে এই স্টেডিয়ামে (Siliguri) গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের গানের অনুষ্ঠানের সময় প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন বলেছিলাম খেলা ছাড়া আর কোনও অনুষ্ঠান হবে না। এখন শুনছি তৃণমূলের প্রধান স্টেডিয়ামের মাঠে এসে কর্মসূচি করছেন। যদি সেটা হয় আমি নিজে এর প্রতিবাদ করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ভোটের ফল দেখে ‘ইন্ডি’ জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ভোটের ফল দেখে ‘ইন্ডি’ জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জাতীয়তা বিরোধী’ বলে মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার হাওড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে মমতা সরকারের ‘রাজ্য সংগীত’ চালু করার প্রসঙ্গে একথা বলেন তিনি। দলীয় সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৩৫ কোটি দেশবাসীর জন্য জাতীয় সংগীত লিখে গিয়েছেন, যা আমরা গেয়ে থাকি। আর তিনি পাকিস্তানে ভারত এয়ার স্ট্রাইক করলে তার প্রমাণ চান। রাজ্যে সেনাবাহিনী মহড়া করলে নবান্নে বসে বলেন আমার রাজ্য দখল করে নিচ্ছে। ওনার কাজে এটা প্রমাণিত উনি ‘জাতীয়তা বিরোধী’।

    ‘ইন্ডি’ জোট নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    ‘ইন্ডি’ জোট প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘তিন রাজ্যের ভোটের ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে। আমি ওই জোটের নেতাদের বলব গয়াতে গিয়ে পিন্ডি দেওয়ার কাজটা শেষ করে আসুন। আমরা বলছি মমতা চোর। রাজ্যে ও কেন্দ্রে মন্ত্রিসভার গঠন কাদের নিয়ে হবে সেটা সেই রাজ্যের বা কেন্দ্রের সাংবিধানিক প্রধান ঠিক করেন। এখানে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। রাজ্যে যে চুরি ও দুর্নীতি হয়েছে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকেও নিতে হবে। মমতার মন্ত্রিসভা বলে ক্ষীর খাব, আর তাঁর মন্ত্রীদের অধীনে থাকা দফতরে দুর্নীতি হলে তার দায় নেব না! এক যাত্রায় পথক ফল হয় না।’

    এনসিআরবি রিপোর্ট নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা

    সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ অপেক্ষাকৃত কম অপরাধপ্রবণ রাজ্য বলে দাবি করেন। এদিন সেই বক্তব্য কার্যত উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পালটা বলেন, ‘আমি থিয়োরিতে বিশ্বাসী নয়, বিশ্বাস করি বাস্তবকে। ২০২১-এর নির্বাচন হওয়ার পর এক লক্ষ হিন্দুকে কেন ঘর ছাড়া হতে হয়েছিল, কেন মানস সাহা-সহ ৫৭ জন বিজেপি কর্মীর হত্যা হয়েছিল? পঞ্চায়েত নির্বাচনে  ৫৫জনের মৃত্যু হয়েছে কেন? যেখানে দেশে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হলেও কারও মাথাও ফাটেনি, সেখানে এই রাজ্যে নির্বাচনে এত হিংসা কেন জানতে চাই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ‘বিজেপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে হাত-পা ভেঙে দেব’, নিদান দিলেন গৌতম দেব

    Siliguri: ‘বিজেপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে হাত-পা ভেঙে দেব’, নিদান দিলেন গৌতম দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে হাত-পা ভেঙে দেব। নিদান দিলেন শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেবের। শিলিগুড়ির (Siliguri) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করা নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি। সেইসঙ্গে শিলিগুড়িতে সিন্থেটিক ট্র্যাক সহ আধুনিক নতুন স্টেডিয়াম তৈরির দাবি জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। রবিবার বিজেপির এই প্রতিবাদ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, বিজেপি বিক্ষোভ দেখাতে পারে। আমরাও চুড়ি পড়ে বসে নেই। বেশি বাড়াবাড়ি করলে বিজেপির হাত পা ভেঙে দেব।

    ফুটবল লিগের খেলা বন্ধ করে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সভা!

    চলতি সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন। শিলিগুড়িতে (Siliguri) তাঁর একটি প্রশাসনিক সভা রাখা হয়েছে। সেই সভা করার জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ফুটবল লিগ বন্ধ করে তার প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। খেলা বন্ধ করে এ ধরনের অনুষ্ঠানকে মেনে নিতে পারছেন না বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এর আগেও কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে গর্ত করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার জন্য মঞ্চ তৈরি হয়েছিল। তাতে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। তারপর ফের খেলা বন্ধ করে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে এ ধরনের অনুষ্ঠান মেনে নিতে পারছে না শিলিগুড়ির ক্রীড়া মহল। বিজোপি বিধায়ক এনিয়ে এদিন প্রতিবাদ মিছিল করেন। তার প্রেক্ষিতেই ওই হুমকি দেন গৌতম দেব।

     মুখ্যমন্ত্রীর সভা করা নিয়ে মেয়র কী সাফাই দিলেন?

    গৌতম দেব বলেন, আমরাও খেলাধূলো ভালোবাসি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান তাই বিকল্প কোথাও খেলাধূলার আয়োজন করার প্রস্তাব যদি শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ দেয় আমরা সহযোগিতা করব। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী সভার জন্য তাদের ছেড়ে দিতেই হবে। আর স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ আমরা শুরু করেছি। কয়েকদিন পরে হলেও খেলোয়াড়দের মাঠ ছাড়তে হবে সেই কাজের জন্য।

    কী বললে বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামেকে এভাবে প্রশাসনিক বৈঠকের নামে রাজনৈতিক কর্মসূচির  জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করেন বিজেপি বিধায়ত শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, বারবার এটা হচ্ছে। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম খেলার জন্য। খেলা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠান কখনই কাম্য নয়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share