Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় বিজেপির মেগা ইভেন্ট। আসবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই সভা সফল করে তোলার উদ্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন কোণে কোণে ছুটছেন বিজেপি নেতারা। সোমবার রাতে ঠিক একই কারণে সিঙ্গুরে (Hooghly) যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপচে পড়া জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু সিঙ্গুরের বর্তমান অবস্থার জন্য শাসক দলকে দায়ী করে বলেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বোকামি এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Hooghly)?

    হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরে বুড়াশান্তির মাঠে শুভেন্দুর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন চাকরি চুরি, রেশন চুরির ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্য, বিধবা ভাতা, আবাস যোজনা দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি নেতারা। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “২০০৬ সালে সিঙ্গুরের যাঁরা জমির মালিক হিসাবে চেক নিয়ে নিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে থেকে সামান্য কজন বর্গাদারকে নিয়ে সিঙ্গুরে শিল্প-কারখানার বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের দুটো লড়াই এক লড়াই নয়। সিঙ্গুরের লড়াইতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের এই সিঙ্গুরকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো মহান ব্যক্তির ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে। সিঙ্গুরকে ধ্বংস করেছেন তিনি।”

    তীব্র আক্রমণ বেচারাম মান্নাকে

    রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে এদিন আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, “সিঙ্গুর টাটার কারখানায় (Hooghly) চুনসুড়কি সাপ্লাই করতেন বেচারাম মান্না। আমি জানি তিনি একটা বিড়িকে নিভিয়ে নিভিয়ে কীভাবে খেতেন। আগে ফাটা পায়জামা পড়তেন। একটা পাঞ্জাবি পাঁচদিন পড়তেন, তারপর ধুতে দিতেন। তিনি এখন সারাদিনে তিনটে সিল্কের পাঞ্জাবি পরেন। পিছনে তুলো লাগানো লম্বা সিগারেট খান। অনেক কিছু করেছেন, কোথা থেকে হয়েছে জানি না। তবে আমাদের ভারতবর্ষে ইডি আছে। মাটির ভিতরে জিনিস থাকলেও খুঁজে বের করতে পারে ইডি। কেউ ভাবতে পেরেছিল দেড়শো কেজি ওজনের, পঁচাত্তর বছরের একটা বুড়োর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি মমতার একজন প্রিয় পার্থদা ছিলেন। অপার ঘরে ঢুকেই ৫১ কোটি মাল দুদিনে বেরিয়েছে। এই দুর্নীতির হিসাব নেবো আমারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: লোকসভার আগে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বিজেপির, সুকান্তর হাত ধরে যোগদান

    Sukanta Majumdar: লোকসভার আগে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বিজেপির, সুকান্তর হাত ধরে যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল বিজেপি। প্রায় শতাধিক কর্মী, সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। বামফ্রন্ট থেকে বহু কর্মী, সমর্থকও বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের ভেটাহার এবং বেরোইল এলাকায় এই যোগদান কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিনের যোগদান কর্মসূচিতে সুকান্ত মজুমদার ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী  সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

    এলাকায় উন্নয়ন করেনি তৃণমূল, সরব দলত্যাগী কর্মীরা

    এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, আমাদের ভেটাহার এবং বেরোইল এলাকার রাস্তা খুবই খারাপ। কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে আমরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনা। আমরা আজ তৃণমূল ও বামফ্রন্ট ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। আমরা জানি বিজেপি আমাদের গ্রামে উন্নয়ন করবে। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,সবাই এখন বিজেপিতে যোগদান করবে। কারণ সবাই এখন বুঝতে পেরেছে বিজেপি এখন দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেই কারণে এখন বিজেপিতে সবাই যোগাদান করছে।

    বীরভূমে তৃণমূলের বৈঠককে কটাক্ষ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠীদন্দ্ব বিবাদ মেটাতে ময়দানে মমতা। নেত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা তৃণমূল এবং ভাইপো তৃণমূলের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই আছে। বীরভূম ব্যতিক্রম নয়, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এই দ্বন্দ্ব আরও বেশি প্রকট হবে। ওরা খেলা করবে আমরা খেলা দেখব।

    ভর্তুকি গ্যাসে এবার বায়োমেট্রিক নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষকে তোপ সুকান্তর

    ভর্তুকি গ্যাসে এবার বায়োমেট্রিক, লক্ষ্য আধার যাচাই, বিরোধীদের কটাক্ষ, আবার সাধারণ মানুষের হয়রানি বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বিরোধীদের লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদির দেওয়া সাধারণ মানুষের জন্য গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে সেখান থেকে টাকা রোজগার করা। বিরোধীরা জানে যে নরেন্দ্র মোদি কাজ করছেন, দেশের স্বার্থে গ্যাস সিলিন্ডারের ভর্তুকি যত সাধারণ মানুষের কাছে যায় সেটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এটা দেখা গেছে সাধারণ গ্যাস ব্যবহৃত হয় কমার্শিয়াল ক্ষেত্রে। এটা বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ।

     রাজ্যের হাসপাতালের বেহাল অবস্থা নিয়ে সরব সুকান্ত

    মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাস করা হাসপাতালে ঝুলছে তালা এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এটাতো নতুন কিছু নয়, রাজ্যের প্রত্যেকটা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের হাল বেহাল। মেডিকেল কলেজের নামে নীল সাদা বিল্ডিং করে দিয়েছে। কোনও ডাক্তার নেই। কোনও যন্ত্রপাতি নেই। গোটা রাজ্য জুড়েই একই চিত্র, শুধু নীল সাদা বিল্ডিং হয়েছে স্বাস্থ্য বলে কিছু নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “ইংরেজি বছরের শুরুতে মমতাকে ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে” বিস্ফোরক দিলীপ

    Durgapur: “ইংরেজি বছরের শুরুতে মমতাকে ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে” বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে।” দুর্গাপুরের গোপালমাঠে চায়ে পে চর্চার অনুষ্ঠানে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে দুর্গাপুরের কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যে যত কেলেঙ্কারি হচ্ছে, তার মাথায় মাননীয়া। যদি সবার শাস্তি হয় তাহলে কেন নয় মুখ্যমন্ত্রীর? তাই অপেক্ষা করুন, সব কেলেঙ্কারির তথ্য এবার সামনে আসবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশির ভোট না পেলে তৃণমূল জিতবে না। বাংলাদেশের ওপর ভর করে তৃণমূল বেঁচে আছে।” সেই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “মহুয়া সংসদে ইংরেজিতে গালিগালাজ করেন, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করেন। লিপস্টিক, পাউডার, স্নো নিয়েছেন।”

    পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত (Durgapur)

    দুর্গাপুরের জনসভায় বনগাঁর তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যকে ঘিরে দিলীপ ঘোষ কড়া সমালোচনা করেন। শুক্রবার বারাসতের জনসভায় বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড করে দেওয়ার প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস মন্তব্য করেছিলেন। শনিবার দুর্গাপুরের মায়াবাজার এলাকায় বিজেপির একটি কার্যালয়ে বিজায় সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে এদিন বিকেলে ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ দিলীপ ঘোষ যোগদান করেন। সেই সঙ্গে একটি জনসভাও করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ই। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশিদের ভোট না পেলে তৃণমূল জিতবে না। ওখান থেকে ভোটের প্রচার করতে খালি ভোটার নয়, নায়ক-নায়িকাদেরও নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ থেকে টাকা আসছে, সোনা আসছে অনেক কিছু চলছে তৃণমূলের রাজত্বে। তার মধ্যে ভাগও আছে তৃণমূলের নেতাদের। সেই জন্য বাংলাদেশের ওপর ভর করে তৃণমূল জিততে চাইছে। আমরা বারবার বলছি, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। রত্না বিশ্বাস তারই উজ্জ্বল প্রমাণ।”

    মহুয়ার পাপের ঘড়া পূর্ণ!

    দুর্গাপুরে (Durgapur) সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড করার সমালোচনার পর, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বলেন, “ছবি দেখুন আপনারা। তাঁর কালো চশমার দাম জানেন? দুই লাখ টাকার গগলস! ভ্যানিটি ব্যাগের দাম এক লাখ টাকা! ঘড়ির দাম তিন লাখ টাকা! শুনেছেন কোনও দিন। সবই উপহার নিয়েছেন। তাঁর দিল্লির কোয়ার্টারে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সংস্করণ করেছেন। বিনিময়ে দেশের সুরক্ষাকে বিক্রি করছেন মহুয়া। ওঁর পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এবার সিবিআই তদন্ত শুরু করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন জিনিস তৈরি করে দিল্লিতে পাঠিয়ে বাংলার নাক-কান কেটেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতা” তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Bankura: “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতা” তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুরে এসে পুলিশ সুপারকে গ্রেপ্তারের হুঁশিয়ারি দিলেন নন্দী গ্রামের বিধায়ক। উল্লেখ্য, এই সভা নিয়ে প্রথমে রাজ্য সরকার অনুমতি দেয়নি এরপর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কোতুলপুরে হাঁটলেন। হাঁটার পথেই করলেন জনসংযোগ। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মুখ্যমন্ত্রীকে দুর্নীতি নিয়ে করলেন কড়া আক্রমণ। তিনি বললেন, “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতা”।

    নম্বর দিয়ে বালি চুরির ফটো পাঠাতে বললেন শুভেন্দু

    আজকে প্রশাসনের ব্যাপক নজর শুভেন্দুর সভা এবং মিছিলে ছিল। মিছিল শেষে কোতুলপুরের (Bankura) নেতাজি মোড়ে চাচা ছোলা বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। কোতুলপুরে বিধায়ক থেকে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কাউকে রেয়াত দিলেন না। তিনি ঘোষণা করে বললেন, “বাঁকুড়ার আগামী কর্মসূচি ১১ ডিসেম্বর, পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা হবে।” জনসভার খোলা মঞ্চে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে বালিচুরির ছবি পাঠাতে বললেন তিনি। কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহারের বিরুদ্ধে ছয় লাখ টাকা খেপে খেপে ধার নেওয়ার অভিযোগও তুললেন তিনি। এরপর জনসভা শেষে শুভেন্দু অধিকারী কামারপুকুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।

    সারের কালোবাজারি নিয়ে কী বলেন (Bankura)?

    রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু কোতুলপুরে (Bankura) বলেন, “মোদিজী সারের ভর্তুকি নামিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বাংলার কৃষকদের ১২০০ টাকার সারকে ২৫০০ টাকা দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সারের কালোবাজারি করা চোরেদের নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলুর বস্তা কম দামে শাসক দলের চোরেরা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা গরিব চাষিদের পাশে রয়েছি। ভাইপো বলেছেন এখানে নাকি বিজেপি শেষ হয়ে গিয়েছে। সব বিজেপি নাকি তৃণমূলে চলে গেছে। তাই বিজয়া সম্মেলনের দিনে লেজ দেখিয়ে ছিলাম, আজ দেহ দেখালাম এবং এরপর ১১ তারিখে পুরো সিনেমা দেখাবো। এখানে এলাকার মানুষ ডবল ইঞ্জিনের স্বপ্নে মোদিজীর হাত শক্ত করার কথা ভেবে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন কিন্তু ভাইপোর দলে ঢুকে মানুষের স্বপ্নকে ভঙ্গ করছেন বিধায়ক।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু আরও বলেন, “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোরের মমতা। চাকরি চোর, বালি চোর, আবাস চোর, রেশন চোর, কয়লা চোর, মিড ডে মিলের টাকার চোরদের ধরতে কলকাতা যাবেন তো। এই রাজ্যে রাজনৈতিক ভাবে মমতাকে সারবো আমরা। সব হিসাব হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “মিড ডে মিলের টাকা নিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Nadia: “মিড ডে মিলের টাকা নিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মিড ডে মিলের টাকা নিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন। ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নিয়ে কম্বল বিতরণ এবং বিভিন্ন জনসভায় খরচ করেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে।” শুক্রবার নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ২৯ নভেম্বর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক (Nadia)

    উল্লেখ্য, চাকরির দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ২৯ নভেম্বর বিজেপির পক্ষ থেকে কলকাতা চলো ডাক দেওয়া হয়েছে। এই জনসভাকে সামনে রেখে এদিন একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয় নদিয়ার কৃষ্ণনগরের (Nadia) পোস্ট অফিস মোড়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, “এরাজ্যে এনআরসি খুব শীঘ্র চালু হচ্ছে। রাজ্যে যখন করোনার সময় চলছিল, তখন পিএম কেয়ারের টাকা লুট করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এবং রাজিব সিন্‌হাকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করেছেন। মিড ডে মিলের টাকা নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জে কম্বল বিতরণ করেছেন। আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরে এবিষয়ে একটি চিঠি লিখব। তদন্ত শুরু হলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো দুজনেই জেলে যাবেন।”

    হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর (Nadia)

    ২৯ নভেম্বরের সভা নিয়ে কৃষ্ণনগরে (Nadia) শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করলেও জয় আমাদেরই। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত সঠিক কথা বলেছেন। যে যুক্তি রাজ্য সরকার দেখিয়েছে, ঠিক একই যুক্তিতে ২১ শে জুলাইতে তৃণমূলের সভাও বাতিল হতে পারে। আমি এই নির্দেশকে স্বাগত জানাই।” এছাড়া শুভেন্দু আরও বলেন, “উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়াতে জাল পাসপোর্টের রমরমা চলছে। জেলার জনবিন্যাস পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীরা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাবড়ার তৃণমূল নেত্রী প্রকাশ্যে বলছেন জাকির নামক দুষ্কৃতীর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নাম সরকারি তালিকায় তোলার কাজ হচ্ছে। খুব ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। মানব পাচারের বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে এনআইএ তল্লাশি চালিয়েছে। প্রয়োজনে আরও সক্রিয় হয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “দলের নেতাদের শালা-ভাইপোরাই কেবল চাকরি পাচ্ছেন” বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    Durgapur: “দলের নেতাদের শালা-ভাইপোরাই কেবল চাকরি পাচ্ছেন” বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসংগঠিত শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে কেবলমাত্র শাসক দল তৃণমূল নেতার ‘শালা-ভাইপোদের’ চাকরি দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীরা অবশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে এইরকম স্বজনপোষণের অভিযোগ আগেও তুলেছিল। এবার দুর্গাপুরের (Durgapur) পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর গলায় শাসক দলের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগের কথা শোনা গেল। 

    কী বলেলন তৃণমূল বিধায়ক (Durgapur)?

    দুর্গাপুরের (Durgapur) সরকারি-বেসরকারি কারখানাগুলিতে শ্রমিক নেওয়া নিয়ে বিরোধীদল হিসাবে বিজেপি আগেও অভিযোগ তুলেছিল। এবার একই অভিযোগের কথা শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কের মুখে। তিনি এদিন দুর্গাপুরের এক সভায় বলেন, “দলের পুরনো কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সুযোগ নেই। দুর্গাপুরের কোনও মানুষ সুযোগ পাচ্ছেন না কাজে। জিজ্ঞেস করলেই শুনতে পাচ্ছি তৃণমূলের নেতাদের অমুকের শালা এবং অমুকের ভাইপো, ভায়রাভাইয়েরাই চাকরি পাচ্ছেন। স্থানীয় কোনও ভূমিপুত্ররা কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না। অথচ কথা ছিল ডিএসপি-তে যাঁরা চাকরি পাবেন তাঁরা দুর্গাপুরের লোক হবেন।” উল্লেখ্য তাঁর এই বক্তব্য ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। শ্রমিক নিয়োগে শাসক দলের স্বজনপোষণের কথা বলে তিনি যে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন সে কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এতদিন শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ করলেও এবার তা শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কের মুখেই।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    এই ডিএসপিতে (Durgapur) শ্রমিক নিয়োগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, “শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা শুধু মুখে প্রকাশ করলেই হবে না প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে। নিয়োগের অস্বচ্ছতা নিয়ে আরও পরিষ্কার করে তৃণমূল নেতাদের নামের উল্লেখ করতে হবে।”

    উল্লেখ্য রাজ্যে এসএসসি দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে, রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে, কয়লাকাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ভাইয়ের মেয়ের চাকরি বাতিলের ঘটনা নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা’, তথ্যপ্রমাণ দিয়ে বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা’, তথ্যপ্রমাণ দিয়ে বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রীতিমতো তথ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে মিথ্যা বলছেন, তা প্রমাণ করলেন। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন?

    সপ্তম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘রাজ্যে কর্মসংস্থানের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। গোটা দেশে কমেছে কর্মসংস্থান, তবে বাংলায় কর্মসংস্থানের হার বেড়েছে। বাংলায় মোট ৪২ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে। মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্যেই রাজ্যে কর্মসংস্থান অনেকটাই বেড়েছে। যা গোটা দেশের সামনে নজির তৈরি করছে। দেশে সার্বিকভাবে গত কয়েক বছরে বেকারত্বের পরিমাণ বাড়লেও রাজ্য কর্মসংস্থানের দিক থেকে উল্টো রাস্তায় হাঁটছে বলেই শিল্পপতিদের সামনে তিনি ব্যাখ্যা করেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বড় বড় শিল্পপতিদের পিছনে এজেন্সি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শিল্পপতিরা ভয়াবহ বাতাবরণের মধ্যে রয়েছেন।’

    মুখ্যমন্ত্রীর দাবি যে মিথ্যা তার তথ্য প্রমাণ দিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘রাজ্য একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কর্মদিবস তৈরির দিক থেকে এক নম্বরে ছিল। অর্থাৎ, কতদিনের কাজ আছে সেই দিক থেকে এক নম্বরে ছিল। তার মানে পশ্চিমবঙ্গে কাজ নেই। সেই কারণেই মানুষ একশো দিনের কাজ করে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী আগেও মিথ্যা কথা বলেছিলেন, এখনও মিথ্যা কথা বলছেন। গোটা ভারতবর্ষে ইপিএফের ডেটা বলছে দেশে মানুষের কাজের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে।’ আর শিল্পপতিদের পিছনে এজেন্সি লাগানো প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, অনেক বড় বড় কোম্পানি রয়েছে যারা সৎভাবে কাজ করছে। টাটা, আম্বানি, আদানি, উইপ্রোদের কাছে তো এজেন্সি যায় না। যদি কেউ টালির চালের বাড়িতে থেকে শিল্পপতি হয়ে যান তাহলে ইনকাম ট্যাক্স তো ধরবে। জিজ্ঞেস করবে যে এত টাকা কোথায় থেকে এসেছে?’

    পুলিশ-প্রশাসনকে তোপ বিজেপির রাজ্য সভাপতির

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘পুলিশ তো নিজের মেরুদন্ড বিক্রি করে রেখেছে।’ পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শওকত মোল্লা। সেই প্রসঙ্গ টেনে তাঁর কটাক্ষ, ‘ যা অবস্থা তাতে তিনি চাইলে পুলিশকে ডেকে বাথরুম পরিষ্কার করাতে পারেন। ‘

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical College: ডাক্তার বলেছিলেন পায়ের এমআরআই, করা হল মাথার! ব্যাপক শোরগোল

    North Bengal Medical College: ডাক্তার বলেছিলেন পায়ের এমআরআই, করা হল মাথার! ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তার পরীক্ষা করতে দিয়েছিলেন। আর এই পরীক্ষা করতে গিয়েই বিরাট গোলমালের ঘটনা ঘটল। ডাক্তার দিয়েছেন পায়ের এমআরআই করতে, আর মেডিক্যাল করেছে মাথার এমআরআই। এমন ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (North Bengal Medical College)। ঘটনায় রোগীর পরিবার ইতিমধ্যেই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? রীতিমতো ঘটনায় তোলপাড় হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    রোগীর বক্তব্য (North Bengal Medical College)?

    রোগী আবুবক্কর সিদ্দিকি বলেন, “হাসপাতালে (North Bengal Medical College) গেলে চিকিৎসক আমাকে দেখে ভর্তির কথা বলেন। এরপর আমাকে এমআরআই করতে বলেন। কিন্তু প্রথমে আমি তারিখ পাইনি। এরপর আমি বেশ কিছুদিন ধরে ঘুরলেও পরীক্ষার জন্য তারিখ মিলছিলনা। এরপর আমি বাইরের এক দালালকে কিছু টাকা দিলে অবশেষে তারিখ পাই। গত ১৫ তারিখে ডাক্তারের কাছে রিপোর্ট নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন, এটা পায়ের নয় মাথার প্লেট।” সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দাসপাড়ায় রোগীর বাড়ি। তিনি একটি মাদ্রাসার মৌলবি।

    রোগীর আত্মীয়র বক্তব্য

    রোগীর ভুল পরীক্ষার কারণে, হাসপাতালের (North Bengal Medical College) বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের আবুবক্করের আত্মীয় হাকিমুল ইসলাম বলেন, “আমরা দোষীর শাস্তি চাই। টাকা ছাড়া এখানে কোনও কাজ হয় না। ভুল রিপোর্ট দিয়ে রোগীকে বাঁচানোর থেকে আরও অসুবিধার মধ্যে ফেলা হচ্ছে। হাসপাতালে যদি এমন হয়, আমরা তাহলে কোথায় যাবো?”

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    ভুল রিপোর্টের কথা স্বীকার করে হাসপাতাল (North Bengal Medical College) কর্তৃপক্ষের আসিস্ট্যান্ট সুপার গৌতম দাস বলেন, “নাম নথিভুক্ত করার সময় ভুল করা হয়েছে। দালাল চক্রের বিষয়ে আমরা খোঁজ নেবো। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। হয় তো তিনি কোনও প্রকার খপ্পরে পড়ে ছিলেন।”

    উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার সময় হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সরকারি হাসপাতালে সুরক্ষিত নন, সেখান সাধারণ মানুষের কী অবস্থা বোঝাই যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “এত অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের ডেথ সার্টিফিকেট দেননি” তোপ শুভেন্দুর

    Asansol: “এত অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের ডেথ সার্টিফিকেট দেননি” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়িতে খোলামুখ খনিতে অবৈদ্ধ কয়লা কাটতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সাথে দেখা করলেন রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার বিকালে নারায়ণকুড়ি এলাকায় এসে তিনি বলেন, “অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী, সেদিনের ঘটনায় ৭ জনের মধ্যে তিনজনকে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে, বাকি ৪ জনকে কোন ডেথ সার্টিফিকেট দেননি।” এক মাসের কিছু বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পরিবারগুলির সাথে সরকারি কোনও আধিকারিক দেখা করতে আসেননি। তাই রাজ্য সরকারের মৃত্যু নিয়ে এই আচরণ বৈমাত্রেয় সুলভ বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় সরব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Asansol)

    এই দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রানিগঞ্জে (Asansol) বলেন, “এই এলাকা একটা সময় শিল্পাঞ্চলের জন্য বিখ্যাত ছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকারের নীতি না থাকায় বর্তমানে অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এখানে কেবলমাত্র কয়লা চুরির ঘটনায় কুখ্যাতি অর্জন করেছে। এই চুরির জন্য অনেকে জেলে গিয়েছেন আবার অনেকে জেলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু উল্লেখ্য এলাকায় সিবিআই এতো বড় দুর্নীতির তদন্ত করলেও এলাকার প্রশাসনের মদতে চলছে নতুন গেলাসে পুরাতন মদ। এলাকায় পুলিশের মদতে নতুন সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। স্থানীয় শাসক দলের নেতার পুলিশের সহযোগিতায় এই চুরির কারবারি চালাচ্ছেন। এলাকায় যাঁরা খনি অঞ্চলের কাজ করেন তাঁদেরকে কাজ দেওয়া হয়নি। বাইরে থেকে টাকার বিনিময়ে এলাকায় লোক ভাড়া করে কাজে লাগানো হচ্ছে। ফলে এলাকার মানুষের কর্ম সংস্থান নেই।”

    মৃতের সংখ্যা নিয়ে কারচুপি

    খোলামুখ খনি এলাকায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে কারচুপি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু আরও বলেন, “খনি অঞ্চলে (Asansol) ইএসএল কর্তৃপক্ষ এলাকার শাসক দলের চাপে সম্মিলিত ভাবে তৃণমূলের কাজকে সমর্থন করছেন। বিজেপি জেলা সভাপতির বাপ্পা এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ আন্দোলন করা হয়। ধসের কারণে যাঁদেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়। আজ যদি এলাকার মানুষেরা কাজের সুযোগ পেতেন তাহলে এই রকম বিপত্তি ঘটতো না। পশ্চিমবঙ্গে করোনা হোক, ডেঙ্গি হোক মৃতের সংখ্যা কম দেখানো এই মুখ্যমন্ত্রীর একটা রোগ। এতো মৃত্যু দেখালে সারা দেশে প্রচার হবে তাই মৃতের সংখ্যা নিয়ে রাজনীতি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মারা গেছেন ৭ জন আর নাম পাঠানো হয়েছে ৩ জনের। তিনটে চেক এসেছে কিন্তু বাকি চারটে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়নি পরিবারকে। আমরা আগামী ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রের কয়লা মন্ত্রীকে এই এলাকায় আসার জন্য অনুরোধ করব। এলাকার সমস্যা সমাধানে আমরা সকালের পাশে আছি।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী এখন গেরুয়া খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ভোগীদের চোখে গেরুয়া আগুন লাগবেই। কারণ, গেরুয়া হচ্ছে ত্যাগের প্রতীক। আর তিনি এখন ভোগী হয়ে গেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোগী বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার এক বর্ধিত সাধারণ সভার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরিতে এই কথা বলেন তিনি।  

    ভোট পরবর্তী হিংসায় চাকরি দেওয়া নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসায় চাকরি দেওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari) বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের তালিকা আগে প্রকাশ করুক সরকার। তৃণমূলের হয়ে বোম মারতে গিয়ে যারা মারা গেছেন তাদেরকে সুবিধা দিতে সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা, যারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের আত্ম বলিদান দিয়েছেন তাদের নাম হয়তো এই তালিকায় থাকবে না। এমনই আশঙ্কা করেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, আদালতে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের যে তালিকা আছে তার ভিত্তিতেই সরকারি সুবিধা বা চাকরি দেওয়া হোক। এছাড়াও তিনি বলেন, এই সামান্য বেতনের অস্থায়ী হোম গার্ডের চাকরি না দিয়ে রাজ্য সরকার ভোট পরবর্তী হিংসায় শুধু পঞ্চায়েত ভোট নয় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরেও যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের একজনকে স্থায়ী সরকারি চাকরি দিক। লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন। এমনই অভিযোগ করেন তিনি।

    আইনমন্ত্রী প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু?

    মলয় ঘটককে ইডি-র তলব নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কয়লাকাণ্ডের ডায়েরিতে এমজি বলে একটি নাম লেখা ছিল। তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা মাসে দিতে হত। এই এম জি কে তা সবাই জানেন। মলয় ঘটকের পিএ-র স্ত্রী নিউ টাউন, আসানসোলে কত সম্পত্তি রয়েছে তা সকলেই জানেন। আমরা রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে খুব শীঘ্রই আমরা অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দেখতে চাই। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share