Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Dilip Ghosh: বিদেশে তো উনি সদলবলে বেড়াতে গিয়েছিলেন, মমতা ফিরতেই সরাসরি আক্রমণ দিলীপের

    Dilip Ghosh: বিদেশে তো উনি সদলবলে বেড়াতে গিয়েছিলেন, মমতা ফিরতেই সরাসরি আক্রমণ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সদলবলে ঘুরতে গিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর সম্পর্কে এভাবেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর আগেও বিদেশ সফর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু বাংলাতে তার ফলাফল হয়েছে অশ্বডিম্ব তাই দিলীপ ঘোষের দাবি যে ভুল নয় তা স্বীকার করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। মেদিনীপুরের সাংসদের আরও প্রশ্ন, এই সফর থেকে বাংলার সার্বিক কোনও লাভ হল কি?

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ

    শনিবার দিল্লি থেকে কলকাতা ফেরেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বিমানবন্দরের গেটে সাংবাদিকরা তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘‘আমি জানিনা অনেকেরই ছবি দেখলাম। ওনার সঙ্গে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরা কিসের বিশেষজ্ঞ! কি তাঁদের বিশেষত্ব! কেন সাধারন মানুষের লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া হল ওদেরকে।’’ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির (Dilip Ghosh) আরও দাবি, স্পেন থেকে ফুটবল আনতে ওনার সঙ্গে যারা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে তো কোনও ফুটবলার ছিলেন না। যদি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া যেত, তাহলেও বোঝা যেত। কিন্তু যারা কখনও ফুটবল খেলেননি সেই সমস্ত মহামানবরা গিয়েছিলেন ওদের সঙ্গে। 

    রাজ্যে ফিরে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    অন্যদিকে, ১২ দিনের সফর শেষে কলকাতায় ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবারই কলকাতায় ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্প এবং কর্মসংস্থানের দিক থেকে পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে রাজ্য। সিন্ডিকেট এবং তোলাবাজির কারণে কোনও ছোটখাটো শিল্প-এর সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর সফর সফল হয়েছে এবং বিনিয়োগও আসছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, দুবাইতে আমরা বাণিজ্য সম্মেলন করেছি। এত সফল কর্মসূচি আমি খুব কম দেখেছি।’’ প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরে ইংল্যান্ড থেকে মাদ্রিদে হাজির হয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে স্পেনের মাদ্রিদে গিয়ে ঘোষণা করতে হল যে শালবনিতে তিনি ইস্পাত কারখানা করবেন। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী এমন বিদেশ সফর করেছেন কিন্তু তার ফলাফল কিছু হয়নি কোনও বিনিয়োগও আসেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Homestays in Darjeeling: পুজোয় গন্তব্য পাহাড়? মমতার সাধের হোমস্টে নিয়ে কিন্তু অভিযোগের অন্ত নেই

    Homestays in Darjeeling: পুজোয় গন্তব্য পাহাড়? মমতার সাধের হোমস্টে নিয়ে কিন্তু অভিযোগের অন্ত নেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাবছেন পাহাড়ের কোলে হোমস্টে’তে (Homestays in Darjeeling) পরিবার নিয়ে পুজোর কটা দিন সুন্দরভাবে কাটাবেন। অনেকে বুকিং সেরেও ফেলেছেন। আবার অনেকে খোঁজখবর করছেন। কিন্তু হোমস্টে’তে আসার পর ধাক্কা খেতে হতে পারে। কারণ পর্যটকরা বারবার অভিযোগ করছেন, অধিকাংশেরই থাকার ব্যবস্থা অস্বাস্থ্যকর, খাবার খুবই সাধারণ। যা দেখে ঘোরার আনন্দটাই মাটি হয়ে গেছে তাঁদের। একবার যাঁরা থেকেছেন, আর হোমস্টে’তে আসছেন না-একথা বলছেন খোদ ট্যুর অপারেটররাও।

    কেন এই অবস্থা?

    ভুক্তভোগীরা বলছেন, পরিকাঠামো উন্নয়নে যথেষ্ট খামতি রয়েছে। রাস্তা ভালো নেই।  হাতের কাছে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবাও মেলে না। পাহাড়ের গ্রামীণ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের নতুন দিশা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হোমস্টে’কে বড় করে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উদাসীনতা ও নীতি নির্ধারণের দুর্বলতার কারণেই পাহাড়ের হোমস্টে থেকে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। কেননা পর্যটকরা প্রত্যাশামতো পরিষেবাও পাচ্ছেন না। থাকার ব্যবস্থা আহামরি নয়। খাবারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ জানিয়ে গিয়েছেন পর্যটকরা।
    ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সন্দীপন ঘোষ বলেন, ভিন রাজ্য ও দেশের পর্যটকরা এখানকার হোম স্টে (Homestays in Darjeeling) থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন। প্রত্যেকেই পয়সা খরচ করে ঘুরতে আসেন পরিবারকে নিয়ে কয়েকটি দিন রিল্যাক্স করার জন্য। এখানকার হোম স্টেগুলি সেভাবে গড়ে ওঠনি। পরিষেবা সহ সামগ্রিক ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বাইরের পর্যটকরা আসতে চান না।

    অসুখ আরও গভীরে

    একাধিক হোমস্টে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, কমিউনিটি ট্যুরিজমের অন্যতম কর্তা দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, ঠিকমতো পরিকাঠামে গড়ে না ওঠায় এখানে হোমস্টে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। তার মধ্যে কলকাতার একদল হোটেলিয়ার্স লিজ নেওয়ার পর থেকে এখানকার হোমস্টের আরও পতন শুরু হয়েছে। সস্তার বুকিংয়ে (Homestays in Darjeeling) মুনাফা করার জন্য হোটিলিয়ার্সরা যে পর্যকদের এখানে পাঠাচ্ছেন, তাঁরা ইচ্ছেমতো আমোদ-প্রমোদ করে ঘুরে যাচ্ছেন। এতে পাহাড়ের গ্রামীণ এলাকার নিজস্ব সংস্কৃতি, পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শান্ত নিরীহ গ্রামীণ এলাকার আগামী প্রজন্মের কাছে বিপথগামীতার পথ খুলে দিচ্ছে। এতে হোমস্টে পাহাড়ের গ্রামবাসীদের কাছে আতঙ্কের হয়ে উঠেছে। এব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনও খেয়াল নেই।

    হোমস্টে নিয়ে বিজেপি সাংসদ উদ্বেগে

    দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বারবার বলে আসছেন,  হোমস্টে (Homestays in Darjeeling) থেকে পাহাড়ের মানুষের কোনও লাভ হয়নি। সম্প্রতি পাহাড়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নিজস্ব সম্পত্তিতে গ্রামের নিরীহ মানুষ কর্মচারী হয়ে কাজ করছেন। কেউ স্বনির্ভর হয়ে ওঠেননি।

    তাহলে বাঁচার পথ?

    সন্দীপন ঘোষ ও দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, সম্প্রতি সিকিম সরকার বাইরের কাউকে হোমস্টে (Homestays in Darjeeling) লিজ দেওয়া বন্ধ করেছে। এখানেও রাজ্য সরকারকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেই সঙ্গে হোমস্টের ঘর ও অন্যান্য ব্যবস্থা আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। খাবারের মানের দিকেও নজর দেওয়া দরকার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শোচনীয় পরিস্থিতি! হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এখনও চালুই হল না

    Nadia: শোচনীয় পরিস্থিতি! হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এখনও চালুই হল না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৩ অগাস্ট নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে এক ছাদের নিচেই সমস্ত রকম পরিষেবা পাওয়ার কথা ছিল রোগীদের। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও তা চালুই হয়নি। ভোট এলে মানুষকে বোকা বানানোর পদ্ধতি মুখ্যমন্ত্রীর! এভাবেই একে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

    কেন এই উদ্যোগ?

    বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অচল পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। রোগীর আত্মীয়রা কখনও কখনও অভিযোগ তোলেন, বিনা পরিষেবায় তাঁদের রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। আবার বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা যায় বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ছবি। এবার মূলত সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতে যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরানো যায় এবং সাধারণ মানুষ আরও উন্নত পরিষেবা পেতে পারেন, সেই উদ্যোগ নিয়েই গত অগাস্ট মাসের ৩ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী নিজে নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে একটি সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেন। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল কোন রোগী যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। শুধু তাই নয়, যে কোনও পরিষেবা পেতে অন্য হাসপাতালে যেন ছুটতে না হয়। সেদিনে তাঁর উদ্বোধনকে সাধুবাদ জানিয়েছিল বিরোধীরাও। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও উদ্বোধন হলেও চালু হল না পরিষেবা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন করতে শুরু করেছে।

    এসব কাটমানিরই খেলা, বলছে বিজেপি

    এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মিডিয়া কনভেনর সন্দীপ মজুমদার বলেন, ভোট বৈতরণী পার হবার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন একই ছাদের তলায় বিভিন্ন চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা মানুষ পাবেন। সেরকম একটি উদ্যোগ ধুমধাম করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেটা উদ্বোধন হওয়ার পর এখনও বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এটা শুধু মানুষকে দেখানো আমরা কাজ করছি এবং রাজ্য সরকার কাজ করছে। মমতা ব্যানার্জি বিভিন্ন প্রকাশ্য সভায় বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পৃথিবীর সব থেকে উন্নত। আমরা সেই উন্নতর নমুনা পাচ্ছি, কোথাও বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাচ্ছে আবার কোথাও নার্স এবং ডাক্তাররা নিগৃহীত হচ্ছেন। একটা অরাজকতার পরিস্থিতি গোটা পশ্চিমবাংলা জুড়ে চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর তার অপদার্থতা দিন দিন প্রকাশ পাচ্ছে। এটা আর কিছুই নয়, উদ্বোধন করা মানে জনগণের ট্যাক্সের লক্ষ লক্ষ টাকার একটা অংশ কাটমানিতে চলে যাওয়া। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমরাও চাই এই ধরনের উদ্যোগ যাতে বাস্তবায়িত হয় এবং সাধারণ মানুষ ঠিকঠাক পরিষেবা পায়।

    কবে চালু হবে, উত্তর মিলল না

    এ বিষয়ে নদীয়া জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, ওই প্রকল্পটির পরিকাঠামো গত কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই চালু হবে পরিষেবা। তবে বিস্তারিত বিষয়টি হাসপাতালে সুপার জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বাংলার মুকুটে নতুন পালক, কিরীটীশ্বরী পেল ভারত সেরা গ্রাম পর্যটনের স্বীকৃতি

    Murshidabad: বাংলার মুকুটে নতুন পালক, কিরীটীশ্বরী পেল ভারত সেরা গ্রাম পর্যটনের স্বীকৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাঢ় বাংলায় প্রাচীন তীর্থস্থান গুলির মধ্যে কিরীটীশ্বরী অন্যতম। ভারতের পর্যটক মন্ত্রকের তরফ থেকে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এই গ্রামকে পর্যটনের সেরার সেরা হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তান্ত্রিক মতে দেবী দাক্ষায়ণী সতীর মুকুটের কণা অর্থাৎ কিরীট পতিত হয়েছিল মন্দির সংলগ্ন গ্রামের স্থানে। তাই  স্থানের নাম কিরীটীশ্বরী। তান্ত্রিক এই কিরীটেশ্বরীকে পূর্ণ পীঠস্থান বলা হয়ে থাকে। পাঠান, মোগল শাসনকালেও এই স্থানের খ্যাতি ছিল ভীষণ ভাবে। এবার কিরীটীশ্বরী পর্যটনের সেরার সেরা হওয়ায় বাঙালি এখন আনন্দিত।

    পর্যটনে সেরার সেরা কিরীটীশ্বরী (Murshidabad) 

    ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক, ভারতের সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এই তথ্য ট্যুইট করে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, “এই নির্বাচনে ৩১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে প্রায় ৭৯৫ টি আবেদন এসেছিল, তার মধ্যে কিরীটেশ্বরীকে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।” সেই সঙ্গে তিনি রাজ্য বাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। সূত্রের মাধ্যমে আরও জানা গেছে, আগামী ২৭ শে সেপ্টেম্বর নিউ দিল্লি থেকে সরকারের পর্যটন মন্ত্রক, ভারতের সেরা পর্যটন গ্রামের পুরস্কার তুলে দেবেন। মুর্শিদাবাদের মানুষের কাছে এই সম্মান অত্যন্ত গৌরবের বলে মনে করা হচ্ছে।

    সতীপীঠ কিরীটীশ্বরী

    সতীর একান্ন পীঠের মধ্যে অত্যন্ত জাগ্রত পীঠ হল কিরীটীশ্বরী পীঠ (Murshidabad)। পৌষ মাসের প্রতি মঙ্গলবারে এই পীঠস্থানে মেলা বসে। সমাগম হয় প্রচুর ভক্ত। রাজ্যের তো বটেই সেই সঙ্গে অন্য রাজ্য থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী আসেন । এই পীঠস্থানকে ঘিরে লৌকিক বিশ্বাস এমনটাই যে এখানে দেবী সতী দাক্ষায়ণী, দুর্গা, পার্বতী, ভৈরব, নামে পরিচিত। প্রত্যেকেই ভগবান শিবের পত্নী এবং সতীর শরীরের বিভিন্ন অংশ মাত্র। ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের দ্বারা সতীর দেহকে ছেদনের পর, যেখানে যেখানে শরীরীরের অংশ পতিত হয়, সেখানে সেখানে দেবীর সতীর পীঠস্থান নির্মিত হয়। এখনে দেবীর কিরীটী পতিত হয়, তাই কিরীটীশ্বরীপীঠ নামে পরিচিত।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • BGBS: শুরু হয়েছে ‘কুমিরছানা’ বিজনেস সামিট! এবারও কি কোটি কোটি টাকা কার্যত জলেই যাবে?

    BGBS: শুরু হয়েছে ‘কুমিরছানা’ বিজনেস সামিট! এবারও কি কোটি কোটি টাকা কার্যত জলেই যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার মসনদে রয়েছেন নয় নয় করে ১২ বছর হয়ে গেল। সময়টা নেহাত কম নয়। শিল্প আনার নাম করে এই ক’বছরে তিনি ছ-ছটি বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট করে এলাহি আয়োজনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছেন। বিজিবিএসের (BGBS) সপ্তম এডিশন শুরু হয়েছে কলকাতায়, চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। উল্লেখ্য, শেষ শিল্প সম্মেলনের প্রাপ্তি হিসেবে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, মউ, লেটার অফ ইনটেন্টস (এলওআই) এবং এক্সপ্রেশনস অফ ইন্টারেস্ট (ইওআই) যা এসেছে, তার সংখ্যা ১৩৭, বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। এই পরিমাণ বিনিয়োগ থেকে চাকরি হতে পারে ৪০ লক্ষের। যদিও এই সময়ের মধ্যে কী হয়েছে, তা জানার সৌভাগ্য বাংলার মানুষের হয়নি। বড় কোনও শিল্প হয়েছে, তা দেখারও ভাগ্য কারও হয়নি।

    রোজগারের আশায় ভিন রাজ্যে

    বাস্তব ঘটনা হল, কী হতে চলেছে, তা ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে বাংলার মানুষ জানেনই না, এরপর রাজ্যে সত্যিকারের কত শিল্প এসেছে, বাস্তবে কত শত কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে, আর প্রকৃতপক্ষে কতজন চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু এটা জানেন, অনাহারে থাকতে থাকতে হতাশার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে লক্ষ লক্ষ মানুষ কীভাবে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে একটু রোজগারের আশায় ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। ২ জুন ওড়িশার সেই ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনার কথা কারোরই মন থেকে মুছে যায়নি। যে সব প্রাণ অকালে ঝরে গিয়েছিল, তাঁর মধ্যে এই রাজ্যেরই ছিলেন ১০৩ জন, যাঁরা একটু কাজের আশায় দক্ষিণের রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছিলেন। মিজোরামের আইজলের সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা নিশ্চই কেউ ভুলে যাননি। নির্মীয়মাণ রেল ব্রিজের কাজ করতে গিয়ে অকালে ঝরে গিয়েছিল ২৩টি প্রাণ, যারা সকলেই এই রাজ্যেরই মালদার বাসিন্দা। এইসব ঘটনাই বলে দিচ্ছে, রাজ্যে চাকরির পরিস্থিতি কতখানি সঙ্গিন।

    বিজনেস সামিটেও (BGBS) মিথ্যাচার?

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্যে মিথ্যাচারেরও অভিযোগ উঠেছে আগেই। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের প্রশ্নের উত্তরে সেই সময় রাজ্যের অর্থ এবং শিল্পমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৫টি বিজিবিএসে (BGBS) মোট বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল ১২.৩২ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে কার্যকর হয়েছে অর্ধেক, ৬.২ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু ভারত সরকারের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিপার্টমেন্ট অফ প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারন্যাল ট্রেড (ডিপিআইআইটি) থেকে পাওয়া তথ্যে ব্যাপক গরমিল ধরা পড়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওই ৫ বছরে রাজ্য বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে ৩৭ হাজার ৫১ কোটি টাকার, যার মধ্যে ১৫ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার প্রকল্প কার্যকর হয়েছে, যা রাজ্য সরকার যা দাবি করেছে, সেই বিনিযোগ প্রস্তাবের মাত্র ২.৫ শতাংশ।

    উৎপাদন, আয় সবই কমছে

    এবার দেখা যাক, অমিত শাহ ২০২০ সালে কী বলেছিলেন, যা শুনে মমতা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন। অমিত শাহ তথ্য দিয়ে বলেছিলেন, স্বাধীনতার সময় দেশের মোট শিল্প উৎপাদনে বাংলার অংশ ছিল ৩০ শতাংশ। কিন্তু তা নেমে এসেছে মাত্র ৩.৫ শতাংশে। অমিত শাহ আরও জানিয়েছিলেন, ১৯৬০ সালে বাংলার জনপ্রতি আয় ছিল মহারাষ্ট্রের ১০৫ শতাংশ। কিন্তু সেটাও কমে হয়ে গেছে অর্ধেক।

    সিঙ্গুরের ক্ষত মোছার নয়

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক তাই সাফ বলেছেন, এইসব করে কোটি কোটি টাকা খরচই হবে, কোনও নতুন শিল্প আসবে না। বরং বড় বড় শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দার্জিলিং যেমন সুইৎজারল্যান্ড হয়নি, তেমনই মমতার স্পেন সফরে শিল্পের বন্ধ্যা দশা আদৌ কাটবে না। কাজে আসবে না এইসব বিজনেস সামিট। তার জন্য দরকার পরিকাঠামো, সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ। সে সব কোথায় পশ্চিমবঙ্গে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৭ সালে যে সিঙ্গুর আন্দোলনের ওপর ভর করে ক্ষমতায় এসেছিলেন, সেটাই এখন হয়ে গেছে ব্যুমেরাং। এখন তিনি সেই খতে প্রলেপ দিতে যতই বিদেশ ঘুরুন, যতই বিজিবিএস (BGBS) করুন, যে ব্ল্যাক স্পট তাঁর সরকারের গায়ে লেগে গিয়েছে, তা আর মোছার নয়। ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতার স্পেন সফর ছিল নেহাতই প্রমোদ-ভ্রমণ এবং পুরোপুরি রাজনৈতিক সফর, এর সঙ্গে শিল্পের কোনও সম্পর্ক নেই। কতদিন তিনি এইভাবে কুমিরছানা দেখিয়ে রাজ্যবাসীকে বোকা বানিয়ে রাখবেন, সেটাই সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: বেহালার সৌরভকে স্পেনে গিয়ে শালবনীতে শিল্প ঘোষণা করতে হচ্ছে! কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    West Bengal: বেহালার সৌরভকে স্পেনে গিয়ে শালবনীতে শিল্প ঘোষণা করতে হচ্ছে! কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিল্প আনতে স্পেন সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে বিদেশি বিনিয়োগ তো দূরের কথা, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন শালবনিতে (West Bengal) তিনি ইস্পাত কারখানা গড়বেন। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, শালবনিতে ইস্পাত কারখানা করার কথা সৌরভকে স্পেন থেকে কেন ঘোষণা করতে হল? তা তো কলকাতাতে বসেও করা যেত। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে একজন ক্রিকেট জগতের মানুষ। তিনি তো শিল্পপতি নন। তাই তাঁকে শিল্পপতি ভেবেই কি রাজ্যে শিল্প স্থাপন করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী! এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    রবিবারই বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা বাড়িতে বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘স্পেনে গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে শিল্পের ঘোষণা করতে হল! কী কারণে আমি তো বুঝতে পারছি না। তিনি কলকাতা, দিল্লি কিংবা মুম্বইতে গিয়েও শিল্পের কথা ঘোষণা করতে পারতেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন। আমরা আশা করছিলাম স্পেনের কোনও শিল্পপতি বলবেন তিনি শিল্প কারখানা কিংবা অ্যাকাডেমি করবেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী এভাবেই রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন (West Bengal)। সৌরভ তো আর শিল্পপতি নন। তিনি একজন ক্রিকেটার। হয়তো এখন শিল্পপতি হয়েছেন।’’ এদিকে রাজ্যের বেহাল কর্মসংস্থান নিয়ে সরব হতে দেখা যায় বালুরঘাটের সাংসদকে। তিনি বলেন, ‘‘এটা তো সবাই জানে এই রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। সেই কারণে মানুষকে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে অন্য রাজ্যে যেতে হয়। বাংলার মানুষের কাছে ভুল বার্তা আছে যে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছেন। আসলে এমন প্রকল্প অনেক আগে থেকেই মধ্যপ্রদেশ সরকার চালু করেছে। সেখানে লাডলি বেহেনা প্রকল্পে প্রতিমাসে মহিলাদের ১,২৫০ টাকা করে দেওয়া হয়।’’

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী

    অন্যদিকে এদিন নন্দীগ্রামে জানকিনাথ মন্দিরে দলীয় কর্মসূচিতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর নিয়ে কটাক্ষ শোনা যায় নন্দীগ্রামের বিধায়কের মুখেও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শালবনিতে সৌরভের বিনিয়োগ (West Bengal) প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আপনি শালবনিতে ইনভেস্ট করবেন, তাহলে স্পেনে গিয়ে সেই কথা ঘোষণা করতে হচ্ছে কেন! উন্মাদদের সরকার চলছে এই রাজ্যে।’’ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘এর আগেও সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন সৌরভ। সে সময়ে জমি নিয়েছিলেন অ্যাকাডেমি গড়বেন বলে। পরে মামলা হয় এবং জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মোদির জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিষেক-রাহুলের, কেন চুপ মমতা-সোনিয়া?

    Narendra Modi: মোদির জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিষেক-রাহুলের, কেন চুপ মমতা-সোনিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) ৭৪তম জন্মদিনে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলের শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মোদির জন্মদিনের চুপ থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া-মমতার এহেন আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশিন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে দেশের প্রধানমন্ত্রী তো সাংবাধিনাকি পদ, তাই বিজেপি নেতা নয় বরং প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে তো শুভেচ্ছা জানানোই যেত! বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতবর্ষের সাংবিধানিক পদ হল প্রধানমন্ত্রী, তাঁর জন্মদিনে ন্যূনতম রাজনৈতিক সৌজন্যতাটুকুও দেখালেন না তৃণমূল সুপ্রিমো কিংবা কংগ্রেসের অন্তরআত্মা। বিভিন্ন মহলে এনিয়ে নিন্দাও শোনা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘দেশের বিশ্বকর্মাদের খুঁজে বের করে, সাহায্য করতে হবে,’’ বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এক্স হ্যান্ডেলে কী লিখলেন রাহুল- অভিষেক?

     অন্যদিকে রাহুল গান্ধী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এক লাইনে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে (Narendra Modi) জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।

    অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর এক্স হ্যান্ডেলে ওই একই কথা লেখা রয়েছে।

    শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেজরিওয়াল এবং শরদ পাওয়ার

    বিরোধী নেতাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।

    অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারও নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “গোটা বাংলাকে বাজান তিনি, এখন বিদেশে গিয়ে বাজাচ্ছেন”, মমতাকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “গোটা বাংলাকে বাজান তিনি, এখন বিদেশে গিয়ে বাজাচ্ছেন”, মমতাকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী অপদার্থ, চটি-চাটা!” কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জির পিয়ানো বাজানো নিয়ে তিনি বলেন, “সারা বছর গোটা বাংলাকে বাজান তিনি, এখন বিদেশে গিয়ে বাজাচ্ছেন।” মূলত ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গোটা দেশ জুড়ে মাটি সংগ্রহ করছে বিজেপি। এদিন নদিয়ার কৃষ্ণনগর সমরপল্লি এলাকায় বিভিন্ন বাড়ি ঘুরে ঘুরে মাটি সংগ্রহ করেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর সঙ্গে জেলার প্রথম সারির নেতৃত্ব এবং প্রচুর কর্মী-সমর্থকরা ছিলেন। তাঁদেরকে নিয়েই বাড়ি বাড়ি যান এবং সকলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে চলে যান দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে বিভিন্ন পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধি নিয়ে একটি বৈঠক করেন।

    নিম্নবিত্ত পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন (Sukanta Majumdar)

    এরপর ওই এলাকার একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেন। ভোজনের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, দুই রকমের মাছ, শাক-সবজি পাঁপড়, মিষ্টি, দই এবং চাটনি। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, “করিমপুর থেকে বনগাঁ পর্যন্ত একটি জাতীয় সড়ক হওয়ার প্রকল্প দীর্ঘদিন আগেই অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনীহার ফলে জমি অধিগ্রহণ করা যাচ্ছে না। সেই কারণেই কেন্দ্র সরকারের ওই প্রকল্পের টাকা পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে তিনি বলেন, পলাশিতে যে ঐতিহ্যবাহী সুগার মিল রয়েছে, সেটাও কয়েক দশক ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এখানেও কেন্দ্র সরকার একাধিক উদ্যোগ নেওয়া সত্বেও রাজ্য সরকার কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তিনি বলেন, কৃষ্ণনগরের বেলেডাঙা মোড়ে রেল দফতরের পক্ষ থেকে একটি ব্রিজ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ সাধারণ মানুষ রেল গেটে আটকে থাকে। কিন্তু সেখানেও রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণের কোনও সদিচ্ছা না দেখানোয় সেই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।”

    শিক্ষামন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ (Sukanta Majumdar)

    অন্যদিকে তিনি উপাচার্য প্রসঙ্গে বলেন, “উপাচার্যরা যদি কেন্দ্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করেন, তাহলে সমস্যা কোথায়। আসলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী একটা অপদার্থ এবং চটি-চাটা।” গত পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, “একাধিক পঞ্চায়েতে ভোট গণনার দিন প্রশাসনের অত্যাচারে যেভাবে লুট-সন্ত্রাস চলেছে, তা সত্ত্বেও আমরা একাধিক পঞ্চায়েত দখল করেছি। আগামী লোকসভা ভোটে তার প্রমাণ সাধারণ মানুষ দিয়ে দেবে। প্রশাসন যদি নিয়ম অনুযায়ী না কাজ করে, তাহলে কেন্দ্র নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে কীভাবে তাদের সঠিক ভাবে কাজ করতে হয়, সেটা দেখিয়ে দেবে।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশে গিয়ে পিয়ানো বাজানো নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: মগের মুলুক! পঞ্চায়েত অফিসে রাখতে হবে মমতার ছবি, বিজেপিকে হুমকি তৃণমূলের

    Purba Medinipur: মগের মুলুক! পঞ্চায়েত অফিসে রাখতে হবে মমতার ছবি, বিজেপিকে হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে কাঁথির মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিরঙ্কুশ ভাবে দখল করে বিজেপি। বিজেপি পরিচালিত এই পঞ্চায়েতে রয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। বিগত দিনে তৃণমূল এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় থাকলেও স্থান পায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। কিন্তু এবার বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করতেই মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেন নেই পঞ্চায়েত অফিসে, তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, হঠাৎ করে বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করতেই কেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের (Purba Medinipur) মনে হল মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙানোর কথা।

    তৃণমূলের হুমকি (Purba Medinipur)

    রাজ্যের কোনও অফিসেই স্থান পায় না সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। এ নিয়ে অবশ্য হেলদোল নেই শাসকদলের। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি জিতেছে, সেখানে ভারতমাতা, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি টাঙানোর কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী (Purba Medinipur)। সেই মতো পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে তিনি প্রতিকৃতিও তুলে দেন। এদিনের বিক্ষোভে তৃণমূল কংগ্রেসকে অবশ্য তাদের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে, যে ১৬ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে পঞ্চায়েত অফিসে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি না টাঙানো হলে জোর করে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি পঞ্চায়েত অফিসে লাগাবেন তাঁরা।

    পাল্টা কী বলছে বিজেপি (Purba Medinipur)?

    বিজেপির অবশ্য দাবি, যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে, সেখানে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে (Purba Medinipur) রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানো হয়েছে কি? এ নিয়ে মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি নেতা প্রদীপ কুমার কুণ্ডুর বক্তব্য, ‘‘বিগত দিনে ওদের দখলে পঞ্চায়েত ছিল তখন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগানোর কথা মনে ছিল না! কিন্তু এখন ওদের বোধোদয় হয়েছে, এটা দেখে আমার খুব ভাল লাগছে! দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি সমস্ত অফিসে থাকা উচিত। কাঁথি-১ ব্লকের কথা বলব আমি বিশেষভাবে, সেখানে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানোর ব্যবস্থা করুক ওরা, তাহলে আমিও এখানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে দেব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Pathashree: মমতার পথশ্রী প্রকল্পের বোর্ড আছে, তৈরিই হয়নি রাস্তা! কোথায় গেল লাখ লাখ টাকা?

    Pathashree: মমতার পথশ্রী প্রকল্পের বোর্ড আছে, তৈরিই হয়নি রাস্তা! কোথায় গেল লাখ লাখ টাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় বড় অক্ষরে জ্বলজ্বল করছে পথশ্রী (Pathashree) প্রকল্পের সিডিউল বোর্ড। ১.১ কিলোমিটার রাস্তার জন্য বরাদ্দ অর্থ ৪৭ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৬২ টাকা। নির্মাণকাজ শুরু ও সমাপ্তির তারিখও জ্বলজ্বল করছে বোর্ডে। সবই আছে, শুধু নেই রাস্তা। রাস্তাটি আগের সেই পুরনো অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। সিডিউল বোর্ড অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণের শেষ তারিখ চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল। সেই হিসাবে নির্মাণকাজ শেষের তারিখ পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও কাজের কোনও লক্ষণ নেই। আর এই নিয়ে মানিকচকের বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানালেন গ্রামবাসীরা।

    ঘটা করে হয়েছিল উদ্বোধন (Pathashree)

    গত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামবাংলা এলাকায় পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে বহু সংখ্যক রাস্তা নির্মাণের ঘোষণা করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী পথশ্রী (Pathashree) প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তা নির্মাণ হয় মানিকচকেও। পাল্লু রোড থেকে ইজাজুল হকের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১.১ কিলোমিটার রাস্তার টেন্ডার করে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতি। নিয়ম মেনে টেন্ডারও পায় এক ঠিকাদারি সংস্থা। গত ২৪ মার্চ ঘটা করে রাস্তা নির্মাণের উদ্বোধন হয়। ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন খোদ মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানিকচকের বিডিও শ্যামল মণ্ডল সহ ব্লক প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। কিন্তু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানই সার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর নির্মাণ সংস্থার টিকিরও দেখা মেলেনি কখনও। এমনকী ব্লক প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।

    কী বলছেন গ্রামবাসীরা?

    গ্রামবাসী মোহাম্মদ ইয়াহিয়া অভিযোগ করেন, আমাদের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র এই রাস্তার (Pathashree) উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমরাও এসেছিলাম। মানিকচক হাইস্কুলের পার্শ্ববর্তী পাল্লু রোড থেকে মানিকচক ঘাট রোড সংযোগকারী এই রাস্তা নির্মাণ হবে বলে আমরা গ্রামবাসীরা খুব আনন্দিত ছিলাম। কিন্তু উদ্বোধনের এতদিন পেরিয়ে গেলেও রাস্তা নির্মাণ হয়নি, শুধুমাত্র কয়েক জায়গায় বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বাঁশের খুঁটি দেওয়া ছাড়া কোনও কাজই হয়নি। এই বিষয়ে বারবার ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করেনি।

    জানা নেই, জবাব পঞ্চায়েত সমিতির নবনিযুক্ত সভাপতির

    এই বিষয়ে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির নবনিযুক্ত সভাপতি পিংকি মণ্ডল বলেন, এই বিষয়ে (Pathashree) আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share