Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Viswa Bharati: মেয়াদের শেষলগ্নে মমতাকে চিঠি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের, দিলেন দুর্নীতি ইস্যুতে খোঁচাও

    Viswa Bharati: মেয়াদের শেষলগ্নে মমতাকে চিঠি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের, দিলেন দুর্নীতি ইস্যুতে খোঁচাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়াদের শেষলগ্নে ফের একবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ওই চিঠিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য লেখেন, ‘‘আমার প্রতিটা মুহূর্ত আমি সুন্দরভাবে কাটিয়েছি বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে।’’ চিঠিতে বিশ্বভারতীর অন্দরকে দুর্নীতির আখড়া বলে উল্লেখও করেছেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এভাবেই দুর্নীতি ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন উপাচার্য। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মতে, ‘‘যারাই বিশ্বভারতীর দুর্নীতিকে সাফ করার কথা চিন্তাভাবনা করে, তাদের প্রত্যেককেই সহজ লক্ষ্য বানানো হয়।’’

    রবীন্দ্রনাথের অনুগামীর ভান করে অনেকে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করেন

    এক্ষেত্রে উপাচার্য উদাহরণ টেনেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও। যিনি ছিলেন প্রথম উপাচার্য বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati)। রবীন্দ্রনাথের পুত্রকেও বাধ্য হয়ে উপাচার্যের পদ ছাড়তে হয়েছিল বলে এমনটাই জানিয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিন উপাচার্যের আরও দাবি করেছেন, ‘‘যাঁরা নিজেদেরকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুগামী বলেন, তাঁরাই ব্যক্তি স্বার্থের জন্য সদা কাজ করেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনকে এখানে একটা ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করেন তাঁরা যা কিনা ব্যক্তি স্বার্থকে চরিতার্থ করতে কাজে লাগে।’’

    আজই শেষ হচ্ছে উপাচার্যের মেয়াদ 

    প্রসঙ্গত, ৮ নভেম্বর শেষ হচ্ছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ। তার আগে মঙ্গলবারই সামনে এল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা তাঁর পাঁচ পাতার চিঠি। এদিন যে চিঠিতে উপাচার্য লেখেন,  “সবশেষে বিশ্বভারতীতে (Viswa Bharati) পরিবর্তন হচ্ছে, তাই যারা এর থেকে ফায়দা নিতেন, তারা ভীত এবং প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে যেমন দপ করে জ্বলে ওঠে, তাই তারা এবার শেষ কামড় দিচ্ছেন।”  প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ২০১৮ সালের নভেম্বরে। পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় এটি। বিশ্বভারতীর আচার্য খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পায় বিশ্বভারতী। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এর পুরো কৃতিত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ঠিক এই কারণে বারবার উপাচার্যকে তৃণমূলের রোষানলে পড়তে হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘করোনাকালে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘করোনাকালে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনাকালে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে  নন্দকুমারে ” বিজয়া সম্মিলনী”র আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা আগেই জেলে গিয়েছে, এবার গিয়েছে খাদ্য। এদের মাথায় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বড় চোর। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। আসল চোরকে ধরতে হবে। এই চোরকে জেলে না পাঠানো পর্যন্ত আমাদের নিস্তার নেই। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন। সব তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। কোভিডের সময় কোটি কোটি টাকা মাস্ক সহ অন্যান্য জিনিসের টাকা লুট হয়েছে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মৌসুমী বলে একজন ভাইপোর শ্যালিকার শ্বশুর পবন অরোরা মিলে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। এই পবন অরোরা সবুজ সাথি সাইকেল রাজ্যে সরবরাহ করেন। প্রতিটি সাইকেলে ৪০০ টাকা করে কমিশন খান। তাই. শুধু শিক্ষা, খাদ্য নয় স্বাস্থ্যকে জেলে ঢোকাতে হবে।

    কুণাল ঘোষকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শিশিরের সম্পত্তি নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, কে মন্তব্য করেছে? আমি ওর কথার উত্তর দিইনা। ও একটা নেড়ি। রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। ভাইপো এই সব বলার জন্য মাসে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে থাকে। তাই এই সব বলছে। শিশির অধিকারী একজন লিজেন্ড। তাঁর বিরুদ্ধে যারা আঙ্গুল তুলবে তারা ধ্বংস হবে।

    বন দফতরে বালুর টাকা তোলা নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন  মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বন দফতরের আধিকারিকদের সাবধান করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বালু জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত বন দফতরের প্রতিটি রেঞ্জ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হত। গত মাসেও এই টাকা দেওয়া হয়েছে। সব বন দফতরের আধিকারিকদের বলছি, এখনও সময় আছে বন্ধ করুন। না হলে খাপ খুলব। ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির প্রার্থী দিয়ে ভাপোকে হারাবোই। পাশাপাশি  তমলুক ও কাঁথি লোকসভায় দেড় লক্ষের বেশি ভোটে জয়লাভ করবো কথা দিচ্ছি। আগামী ২৯ তারিখে কলকাতায় সমাবেশে জেলা থেকে বেশি সংখ্যক কর্মী সমর্থকদের যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া বিল ছাপিয়ে তোলাবাজি তৃণমূলের, জেলা জুড়ে শোরগোল

    Mamata Banerjee: মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া বিল ছাপিয়ে তোলাবাজি তৃণমূলের, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের এখন ল্যাজেগোবরে অবস্থা। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলের ঘাঁনি টানছেন। এরমধ্যেই তৃণমূলের কাটমানি খাওয়া আর তোলাবাজি করা নিয়ে সারা রাজ্যে চর্চা চলছে। এবার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য নিজের দোকান বিক্রি করতে গিয়ে তৃণমূলের তোলাবাজির শিকার হলেন উৎপল বারিক নামে এক গরিব মানুষ। রীতিমতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বিল ছাপিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩১ নম্বর বুথের রাধানগর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mamata Banerjee)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা উৎপল বারিকের স্ত্রীর কঠিন অসুখের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী কমিটি ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায়  নিজের দোকান বিক্রি করেছিলেন। আর সেখানেই থাবা বসায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়া ও পঞ্চায়েত সদস্যের ভাই পঞ্চানন পড়ুয়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিসহ পার্টির বিল ছাপিয়ে একরকম জোর করে ৭ হাজার টাকা তোলা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফলে, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী আশরাফিল খানসহ গ্রামের মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে একজন দোকান বিক্রি করার জন্য কারও কাছে এভাবে তোলা নেওয়া যায়। উৎপলবাবু বলেন, ইচ্ছে না থাকলেও আমাকে টাকা দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূলের বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়া  বলেন, আমরা কোনও তোলাবাজি করিনি। আমাদের দলের এক সমর্থক পার্টি ফান্ডের জন্য ৭ হাজার টাকা আমাকে দিয়েছেন। আমি সেই টাকা নেওয়ার  পার্টির রসিদ দিয়েছি। রসিদে মমতা (Mamata Banerjee) -অভিষেকের ছবি রয়েছে। ফলে, কোথাও কোনও কারচুপি করা হয়নি। এতে অন্যায় কিছু নেই। তোলাবাজি করলে তো পুরো টাকাটি রসিদ না দিয়ে পকেটে রেখে দিতে পারতাম। সেটা করিনি। ফলে, কেউ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার নেতা অরুনাভ দাস বলেন, পিসি-ভাইপোর ছবি দেওয়া চালান দিয়ে তোলা আদায়ের কৌশল অভিনব। তৃণমূল দলটাই তো কাটমানি, তোলাবাজিতে ভরে গিয়েছে। তাই, একজন অসহায় মানুষের কাছে থেকে তোলা আদায় করতে এদের হাত কাঁপে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মমতা সরকারের প্রচারের শেষ নেই। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রাজ্য যে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে, তা দেখাতে রীতিমতো নির্দেশিকাও বের করা হয়। রাজ্যের হুঁশিয়ারি, সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী রেফার করা যাবে না! এনিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজ্য সরকারকে স্বাস্থ্যসাথী ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে লেখেন, ‘ভোটের আগে বলেছিলেন স্বাস্থ্যসাথী হল বিশ্ব মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা (Swasthya Sathi)। বেসরকারি হাসপাতালে কার্ড গ্রহণ করতেই হবে, না হলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল। ভোট শেষ, দেখলেন ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’। অমনি নির্দেশিকা বদল, এবার বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi) নিলে সেই হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে!’

    শুভেন্দু অধিকারী আরও দাবি করেন, এই রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল এমন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীরও চিকিৎসা হয় না! সাধারণ মানুষের ভাগ্যে তো এই দুর্গতি সামান্য। প্রসঙ্গত, বেসরকারি হাসপাতালে রোগী রেফার করা যাবে না বা করলেও কোন পরিস্থিতিতে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক রেফার করলেন তার কারণ দর্শাতে হবে। এই নির্দেশিকা সামনে আসার পরেই স্বাস্থ্য মহলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে নয়া নির্দেশিকা

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করা যাবে না। তবে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে সেই সুযোগ মিলবে। অর্থাৎ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচার করা যাবে। শুধুমাত্র বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালে হাড়ের অস্ত্রোপচারের পরিকাঠামো না থাকলে তবেই বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা যাবে।

    রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তোপ খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রীরই!

    এদিকে, বুধবারই রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তোপ দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ তুলেছেন ভুল চিকিৎসারও। প্রসঙ্গত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন  মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর ভুল চিকিৎসার তত্ত্বকে টেনে এনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও জানাতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    প্রসঙ্গত নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করেন মমতা। সেই মন্তব্যের একটি ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘‘এসএসকেএম হাসপাতালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভুল চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। রাজ্যের সবথেকে উচ্চমানের সরকারি হাসপাতালকে চোর ডাকাতদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বানানোর অপচেষ্টার কারণে চিকিৎসার এই অবস্থা হয়েছে।’’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘এই অপদার্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আমলে এখানকার ডাক্তারবাবুরা চিকিৎসা কম করছেন। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাপের শিকার হয়ে ভুয়ো কাগজপত্র তৈরিতে বেশি মনোনিবেশ করতে বাধ্য হচ্ছেন।’ যদিও তৃণমূলের তরফে এখনও এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শাসকদল আগামী দিনে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয় কি না, সেটাই এখন দেখার (Swasthya Sathi)।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSKM: রাজ্যবাসীর হয়রানির আরেক নাম এসএসকেএম! রোগীদের অভিযোগেই সিলমোহর মুখ্যমন্ত্রীর

    SSKM: রাজ্যবাসীর হয়রানির আরেক নাম এসএসকেএম! রোগীদের অভিযোগেই সিলমোহর মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় গাফিলতির পর প্রশ্নের মুখে সাধারণ মানুষের পরিষেবা! যা নিয়ে এবার বিরোধীরা নয়, প্রশ্ন তুললেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই সরাসরি জানিয়ে দিলেন, এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে। যার জেরে তাঁর বাড়তি ভোগান্তি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের শ্রেষ্ঠ সরকারি হাসপাতালে (SSKM) মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় গাফিলতি হলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কতখানি হয়?

    কী ধরনের হয়রানি হয় ভুক্তভোগীদের? (SSKM) 

    ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, এসএসকেএমে বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। বিশেষত যাঁরা জেলা থেকে আসেন, তাঁদের রাত থেকেই বহির্বিভাগের টিকিট কাউন্টারে অপেক্ষা করতে হয়। তারপরেও চিকিৎসা পরিষেবা নিশ্চিত করা যায় না। 
    প্রয়োজনেও হাসপাতালে ভর্তি হতে একাধিক সমস্যা হয়। ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, এসএসকেএম হাসপাতালে জরুরি পরিস্থিতিতেও ভর্তির সমস্যা হয়। অনেক ক্ষেত্রে দালালদের সক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। হৃদ সমস্যা কিংবা স্নায়ুর জটিল রোগে আক্রান্ত হলেও দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। যা রোগীদের ভোগান্তি বাড়ায়। 
    এর পাশপাশি অস্ত্রোপচার নিয়ে একাধিক সময় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পরে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরোপুরি সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে। অনেক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক জীবন হয় না। পাশপাশি, একাধিক জটিলতা তৈরি হয়। অধিকাংশ চিকিৎসক রোগীর সমস্যা ঠিকমতো বোঝা কিংবা তার সমাধান বোঝানোর সময় বরাদ্দ করেন না, এমনই অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM) অধিকাংশ চিকিৎসক রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। তাই সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় একাধিক গাফিলতির ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি খোদ মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলায় কার্যত রোগীদের অভিযোগে সিলমোহর পড়ল বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। 
    এসএসকেএম হাসপাতালে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জেরে একাধিক মৃত্যুর ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠেছিল, কবে সাবলম্বী হবে এসএসকেএম হাসপাতালে? কেন অস্ত্রোপচার পরবর্তী চিকিৎসায় এখনও পিছিয়ে সরকারি হাসপাতাল?! ঠিকমতো সংক্রমণ রুখতে পারে না এসএসকেএম, এমন অভিযোগ তুলছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ। আর সেই কারণেই জটিল অস্ত্রোপচারের পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী নানা সংক্রমণ রোগে আক্রান্ত হন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাসপাতাল থেকেই এই সংক্রমণ ঘটে।

    কী বলছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ? (SSKM)

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি এসএসকেএম হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। তবে, সাধারণ মানুষের হয়রানি প্রসঙ্গে তাঁরা বলছেন, রোগীর ভরসা এসএসকেএম। হাসপাতালে কলকাতার পাশপাশি গোটা রাজ্যের মানুষ চিকিৎসা করান (SSKM)। তাই রোগীকে অপেক্ষা করতে হয়। রোগী অনুপাতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি গোটা দেশেই। তাঁদের দাবি, চিকিৎসা পরিষেবার মান যথেষ্ট উন্নত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: টাটার ভাঙা কারখানা থেকে লোহার রড, টিনের শেড, ক্যানাল পাইপ ইত্যাদি দেদার লুট! দায় কার?

    Singur: টাটার ভাঙা কারখানা থেকে লোহার রড, টিনের শেড, ক্যানাল পাইপ ইত্যাদি দেদার লুট! দায় কার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার ভাগ্যে আরও এক ‘টাটানগর’ গড়ে ওঠার স্বপ্ন দুরমুশ হয়ে গিয়েছিল ২০০৮ সালে। ন্যানো কারখানা, কার্যত জমি আন্দোলনের নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের আর কোনও সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যায়নি। ট্রাইবুনালের নির্দেশে সুদ সহ ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে মমতার সরকারকে। জমি বাঁচাও আন্দোলনের পর থেকেই নির্মীয়মাণ কারখানাকে মাঝ পথে ফেলে রেখে, নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছিল টাটা। সেই সময়ে সিঙ্গুরের (Singur) মাঠে পড়েছিল ভারী ভারী নির্মাণসামগ্রী। কোটি কোটি টাকার ছিল সরঞ্জাম। কিন্তু সব কেমন যেন স্রেফ উবে গেল! কিন্তু এই চুরি করল কারা?

    নির্মাণসামগ্রী লুটের অভিযোগ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিঙ্গুরের (Singur) এই জমিতে যে কারখানা নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে ছিল কোটি কোটি টাকার সামগ্রী। এই সামগ্রী ব্যাপক ভাবে চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লোহার রড, টিনের শেড, ক্যানাল পাইপ এবং ব্যবহার করার নানা যন্ত্রপাতি কার্যত লুট হয়েছে বলে দাবি এলাকার মানুষের।

    প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা

    স্থানীয় (Singur) সূত্রে জানা গিয়েছে যে এলাকায় চুরি ঠেকাতে পুলিশ তেমন ভাবে সক্রিয়তা দেখায়নি। এলাকার মানুষ প্রথম দিকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন পুলিশকে। পুলিশ সেই মতো হাতে গোনা কয়েকটা সিসিটিভি লাগালেও, পরে সেগুলিকে খুলে নিয়ে চলে যায় চোরেরা। কিন্তু পুলিশ কোনও দোষীদের চিহ্নিত করে উঠতে পারেনি।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    সিঙ্গুরে (Singur) এই নির্মাণ সামগ্রী চুরির ঘটনায় হুগলি জেলার বিজেপি যুবমোর্চার সদস্য সৌমিত্র পাখিরা শাসকদল তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “যখন রাজ্যে কারখানা নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল, সেই সময় থেকেই নির্মাণসামগ্রী চুরি হতে শুরু করে। শিল্প চলাকালীন শ্রম চুরি হয়। রড, বালি, পাথর, কাঠ সব চুরি করে নিয়েছে তৃণমূলের নেতারা।”

    তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া

    সিঙ্গুরে (Singur) তৃণমূল নেতা দুধকুমার ধারা বামেদের দিকে দোষ ঠেলে বলেন, “যত চুরি হয়েছে বাম আমলে। যে সময়ে চুরি হয়েছে সেই সময় রাজ্যের ক্ষমতায় সিপিএম ছিল। সব দায় তাঁদেরকেই নিতে হবে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: এখনও রাজনীতির ময়দান হিসেবেই সিঙ্গুরকে ব্যবহার করছে তৃণমূল, ক্ষোভ এলাকাবাসীর

    Singur: এখনও রাজনীতির ময়দান হিসেবেই সিঙ্গুরকে ব্যবহার করছে তৃণমূল, ক্ষোভ এলাকাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুর (Singur) নিয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। আর্বিট্রাল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুসারে, টাটাকে কারখানা করতে না দেওয়ার কারণে, রাজ্য সরকারকে সুদ-সহ ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর এই নির্দেশ আসার পর থেকেই এলাকার মানুষ বলছেন, ‘সিঙ্গুর এখন রাজনীতির ময়দান’। বিগত দিনের বাম সরকার যেমন রাজনীতি করেছে, ঠিক একইরকম ভাবে বর্তমান তৃণমূল শাসকও রাজনীতি করছে। কার্যত সিঙ্গুরের ইচ্ছুক এবং অনিচ্ছুক চাষিদের শিল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত করেছে তৃণমূল। 

    রাজনীতির ময়দান সিঙ্গুর (Singur)

    টাটা গোষ্ঠীকে সুদ-সমেত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ আসার পর থেকেই সিঙ্গুর (Singur) হল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সিঙ্গুর আন্দোলনের নামে, তৃণমূল কংগ্রেস শিল্প-কারখানার সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে। অপর দিকে বাম আমলে ছিল না শিল্প গড়ে তোলার উপযুক্ত পরিবেশ। এর ফল ভুগতে হয়েছে সিঙ্গুর সহ সারা রাজ্যের মানুষকে। শিল্পের বিরোধিতা, নাকি জমি বাঁচাও আন্দোলন? এই দুইয়ের জন্য এলাকার মানুষ বাম এবং তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে। ফলে বাস্তবে সিঙ্গুরের ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিয়েছে বলে মনে করছেন মানুষ। তাই আজ ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক সকল চাষিরা যে বিরাট চক্রান্তের শিকার হয়েছেন, তাও বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

    সিঙ্গুরের চাষিদের বক্তব্য

    সিঙ্গুরের (Singur) অনিচ্ছুক চাষি ভুবন গারাই বলেন, “আমি সেই সময় জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেছিলাম, কিন্তু শিল্প চেয়েছিলাম। বাম আমলের আগে এই রাজ্য শিল্পে এক নম্বরে ছিল। কিন্তু ইনকিলাব জিন্দাবাদ বলে সব কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। সব সরকার মিথ্যাবাদী।” আবার ইচ্ছুক চাষি শক্তিপদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম শিল্প হোক। কিন্তু রাজনীতির খেলায় না হল শিল্প, না হল চাষ। আমাদের যুব সামজের জন্য বড় সুযোগ ছিল। বর্তমান তৃণমূল সরকার চাষিদের ঠকিয়েছে।”

    সিঙ্গুরের মাস্টারমশাইয়ের বক্তব্য

    বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সিঙ্গুরের (Singur) মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “টাটার কোনও দোষ নেই, আদতে তাঁদের ক্ষতি হয়েছে অনেক। কারখানা করতে চেয়েও তাঁরা করতে পারেননি। বাম সরকারের ভুলের জন্যই টাটারা চলে যেতে বাধ্য হন।” আন্দোলনের অন্যতম মুখ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “তৎকালীন রাজ্যপাল-এর মধ্যস্থতায় চুক্তিও হয়, কিন্তু সেই চুক্তি তৎকালীন বাম সরকার মানেনি। কারণ পলিটব্যুরো নেতারা সায় দেয়নি। টাটা চলে যাওয়ার পিছনে আমাদের আন্দোলন আংশিক দায়ী হলেও, পুরোপুরি দোষ ছিল তৎকালীন বাম সরকারের।”

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    সিঙ্গুরের (Singur) বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাণ্ডে অবশ্য আশাবাদী, আবার সিঙ্গুরে শিল্প হবেই।ট্রাইব্যুনালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে শিল্প হবে। ওই জমিতেই হবে কারখানা, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আমাদের কথা দিয়ে গেছেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সোনাকে ছাইয়ে পরিণত করেছেন উনি’’, সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘সোনাকে ছাইয়ে পরিণত করেছেন উনি’’, সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই সিঙ্গুর থেকে টাটাকে উচ্ছেদ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ১,৩০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আরবিট্রাল ট্রাইবুনাল। তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ, ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাটাকে এই টাকা দেবে ‘পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম’। প্রসঙ্গত, রাজ্য থেকে ন্যানো বিদায়ের ১৫ বছর পরে সিঙ্গুর মামলায় ধাক্কা খেল মমতা সরকার। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত টাটা মোটরসকে সুদ দিতে হবে। ৭ বছরে ১১ শতাংশ সুদ ধরলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক দাঁড়ায় ১,৩০০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, মামলার খরচ চালানোর জন্য টাটাকে বাড়তি ১ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে সিঙ্গুরের। গতকাল ট্রাইব্যুনালের এই নির্দেশের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘সোনাকে ছাইয়ে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ 

    সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    সিঙ্গুর ইস্যুতে সমাজ মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শিল্পায়নের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছেন। যুবকরা বাড়ির কাছে কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছেন। যে জমি চাষিদের ফেরত দেওয়া হয়েছে তা আর চাষযোগ্য নয়। উনি সোনাকে ছাইয়ে পরিণত করেছেন।’’ বিগত বছরে সিঙ্গুর আন্দোলনকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করেছে মমতা সরকার। রাজ্যের স্কুল পাঠ্য ইতিহাস বইতে পড়ানো হচ্ছে সেই আন্দোলন। এনিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সংযোজন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর পর্বকে পশ্চিমবঙ্গে স্কুলপাঠ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন শুধুমাত্র নিজের মহিমাকীর্তন করার জন্য। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে আমরা এই ভাষ্যের পরিবর্তন করব, দেখাব আসলে এটা কী বিশাল ব্যর্থতা।’’

    রাজ্য বিজেপি কী বলছে?

    সোমবার ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পরেই সিঙ্গুর ইস্যুতে সিপিএম এবং তৃণমূলকে একযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, ‘‘যখন জমির চরিত্র বদলে গিয়েছিল, চাষের সম্ভাবনা ছিল না, তখন আমাদের প্রস্তাব ছিল বাজারমূল্যের তিনগুণ অর্থ জমির মালিকদের দিতে হবে, পরিবারের একজন সদস্যের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে, ভাগচাষি ও জমির মালিকদের স্বার্থবাহী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়াও আমাদের প্রস্তাব ছিল আরও ১০০ একর জমি কিনে সরকার অনিচ্ছুক ৪০০ জনকে কিছুটা পরিমাণ করে জমি ফিরিয়ে দিক। কিন্তু তৃণমূলের হঠকারী সিদ্ধান্ত ও সিপিএম সরকারের অদূরদর্শিতা সিঙ্গুরে শিল্প সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটিয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দেবীপক্ষের আগেই কেন মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন! গর্জে উঠল বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ

    Siliguri: দেবীপক্ষের আগেই কেন মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন! গর্জে উঠল বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করে বিতর্কে জড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দু শাস্ত্রকে অবমাননা করার অভিযোগ উঠল। এর প্রতিবাদে বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ, শুক্রবার বিকালে শিলিগুড়ির (Siliguri) ভেনাস মোড়ে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত করে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হিন্দু শাস্ত্রকে অবমাননা করার অভিযোগে সরব হন এই সংগঠনের সমর্থকরা।

    গর্জন বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চের (Siliguri)

    এই মহামঞ্চের সংগঠনের শিলিগুড়ি (Siliguri) শাখার সভাপতি বিক্রমাদিত্য মণ্ডল বলেন, “এখনও পিতৃপক্ষ চলছে, এই সময়কে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ও তর্পণের সময় ধরা হয়। মহালয়ায় পিতৃপক্ষের শেষ হয় আর দেবীপক্ষের সূচনা হয় এবং মঙ্গল কলস স্থাপন হয়। তারপর দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিতৃপক্ষের মধ্যেই, গত বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে একের পর এক পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছেন। আমরা মনে করি এভাবে হিন্দু শাস্ত্রকে অবমাননা করা হয়েছে।”

    হিন্দু আচারে অজ্ঞ মমতা

    বিক্রমাদিত্য মণ্ডল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একজন হিন্দু। তার থেকেও বড় কথা তিনি ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে। তাহলে তিনি কীভাবে হিন্দু শাস্ত্রকে উপেক্ষা করে এমন কাজ করলেন? তাহলে ধরে নিতেই হবে, উনি অজ্ঞ। যাঁদের পরামর্শে চলেন, তাঁদের কেউ সনাতনী হিন্দু শাস্ত্র সম্পর্কে কোনও অভিজ্ঞতা বা জ্ঞানের অধিকারী নন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক কারণে তড়িঘড়ি পুজোর মণ্ডপ উদ্বোধন করে, কৃত্রিম পুজোর আবহ তৈরি করতে চেয়েছেন। আর তাঁর এই কাজে হিন্দু শাস্ত্রকে অবমাননা করা হয়েছে।”

    হিন্দুরা কেন নীরব?

    এদিন মানব বন্ধনে দাঁড়িয়ে (Siliguri) বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চের সদস্যরা প্রশ্ন তোলেন, তথাকথিত হিন্দুরা নীরব কেন? বিক্রমাদিত্য মণ্ডল আরও বলেন, “সনাতনী হিন্দু শাস্ত্রের তোয়াক্কা না করে কেন মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন! এই অপমান নিয়ে সবাই কেন নীরব? যাঁরা হিন্দু ধর্মের ধারক ও বাহক, তাঁরা কেন চুপ করে আছেন? এখনও কেন পুরোহিতকুল ও বিভিন্ন আশ্রম এবং মঠের সাধু-সন্ন্যাসীরা নীরব রয়েছেন। তাঁরা কেন পিতৃপক্ষে দেবীপুজোর উদ্বোধন নিয়ে কোনও কথা বলছেন না? তবে কেউ, কোথাও সনাতন হিন্দু ধর্মের বিরোধিতা করলে বা তোয়াক্কা না করলে আমরা গর্জন করবই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “পুর নিগমে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি খুলে ফেলে মোদিজির ছবি লাগান” কেন বললেন সুকান্ত?

    Asansol: “পুর নিগমে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি খুলে ফেলে মোদিজির ছবি লাগান” কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বিজেপির পক্ষ থেকে আসানসোল (Asansol) পুর নিগমের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কড়া ভাষায় আসানসোল কর্পোরেশনের পুরবোর্ডের সমালোচনা করেন তিনি। পুর নিগম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি খুলে ফেলার কথা বললেন। আসানসোল পুর নিগমের উন্নয়ন খাতে কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে, তাই সেখানে মোদিজির ছবি লাগানোর কথা বলেন। সেই সঙ্গে বলেন, পুর নিগমে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি। 

    ইডি ও সিবিআইয়ের হানা নিয়ে কী বললেন (Asansol)?

    ইডি ও সিবিআই হানার প্রসঙ্গ তুলে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কলকাতায় নেতাদের বাড়িতে ইডি ও সিবিআইয়ের রেড হচ্ছে। এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আসানসোলেও (Asansol) অভিযান হবে।” কয়েকদিন আগে রানীগঞ্জের নারায়ণকুড়িতে ধসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, “সেখানে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন বলছে তিনজন মারা গেছে। কার্যত রাজ্য সরকার মৃত্যুর হিসাব নিয়ে মিথ্যাচার করছে।” তিনি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুরসভা দাবি না মানলে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারির দেন।

    আর কী বললেন?

    সুকান্ত এদিন বলেন, “রাজ্য সরকার গত আড়াই বছরে এক টাকাও খরচ করেনি আসানসোল পুর নিগমের জন্য। দিল্লি থেকে মোদিজি আসানসোলবাসীর ঘরে ঘরে জল পৌঁছনোর জন্য ৫০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। অথচ রাজ্য সরকার ঘরে ঘরে পানীয় জলের ব্যবস্থা করছে না। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে কোনও কর্মী নেই। কেবলমাত্র আসানসোল (Asansol) হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষা হচ্ছে। রাজ্যে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গি সংক্রমণের শিকার হয়েছে, তবুও রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙছে না। আমরা খাওয়া এবং চুরিতে বিশ্বাস করি না। তবে যে খাবে, তাকে ঠিক জায়গায় পাঠানোর কাজ বিজেপি করবে। মন্ত্রী মলয় ঘটক নিজে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বাহানা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করছেন না।”

    এদিনের এই বিক্ষোভ সমাবেশে সুকান্ত মজুমদার সহ জেলা সভাপতি বাপ্পা চ্যাটার্জি, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি ও আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোলের (Asansol) মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, “কোনও অনুদানে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের একটা ভাগ থাকে। পুরো টাকাটাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ট্যাক্স হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। তারপর সেই টাকার একটা অংশ ফেরত দিচ্ছে রাজ্যে। তাহলে এটা কার দেওয়া হল?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share