Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Suvendu Adhikari: “প্রাক্তন না করতে পারলে আমরা ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই”, শুভেন্দুর তোপ মমতাকে

    Suvendu Adhikari: “প্রাক্তন না করতে পারলে আমরা ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই”, শুভেন্দুর তোপ মমতাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে পিংবনিতে সভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শাসক শিবিরকে কড়া ভাষায় নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। ওবিসিতে বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে কেবল মাত্র ভোটের অঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) তোপ মমতাকে

    পিংবনির সভা থেকে শুভেন্দু রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র তোপ দাগলেন। এই আক্রমণের প্রধান তির ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তিনি বলেন, ‘‘রানিমা হেলিকপ্টারে করে জঙ্গলমহলে কুম্ভকার-দলিতরা কেমন আছেন, তা দেখতে এসেছেন। সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকা খরচ করে ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী সভা করছেন। আপনারা না চিনলেও আমি পিসিকে হারে হারে চিনি। ২১ বছর সঙ্গে ছিলাম। জঙ্গলমহলে ঢোকার রাস্তা খুঁজে পাননি। কীভাবে লালগড় যেতে হয়, সেই রাস্তাটাও জানতেন না। ২০০৯ সালে আমি রাস্তা চিনিয়েছিলাম।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘হারিয়েছি নন্দীগ্রামে, আদালতে ফাইনও জমা করেছিলেন তিনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী আপনাকে যদি প্রাক্তন না করতে পারি, ক্ষুদিরামের দেশের লোক নই আমরা। আপনার আদরের দুলালটি জেলে যাবে। বালি, পাথর, গরুর পর এখন ব্যালট খায় তৃণমূল।’’

    ওবিসিদের নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    পিংবনি সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘এই রাজ্যে তোষণ ও দুর্নীতির জন্য সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ওবিসিরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ওবিসিতে বিশেষ ধর্মের মানুষকে অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। সংরক্ষণ নীতিকে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছেন। এই ওবিসিদের মধ্যে আছেন কুড়মি, কুম্ভকার, স্বর্ণকার। কিন্তু তাঁরা বঞ্চিত।‘‘ চাকরি দুর্নীতি কাণ্ড নিয়েও সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার বারোটা বাজিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অষ্টম তফসিলে সাঁওতালি ভাষার মর্যাদা দিয়েছেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। মুখ্যমন্ত্রীর মারাং প্রকল্পের সমালোচনা করেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর কথিত অলচিকি ভাষা আদতে লিপি। তাই শুভেন্দু বলেছেন, ওসব ভুলভাল, মারাং কী জিনিস মমতা জানেন না, আদতে মুখ্যমন্ত্রী অশিক্ষিত। রাজেশ মাহাতো বিক্রি হতে পারেন, তবে মাহাতো সমাজ বিক্রি হওয়ার লোক নয়। কুড়মিরা বিক্রি হওয়ার লোক নয়।‘‘

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘লোকসভায় ৩৬ আসন জেতার শপথ নিন’, বিজেপি কর্মীদের বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভায় ৩৬ আসন জেতার শপথ নিন’, বিজেপি কর্মীদের বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিরোধী জোটের ইন্ডিয়া নামকরণ নিয়েও কটাক্ষ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘‘ইন্ডিয়া লিখলেই ভারতীয় হওয়া যায় না। রাষ্ট্রবাদী হওয়া যায় না। বৃটিশরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নামে আমাদের দেশে ব্যবসা করেছে। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন কাশ্মীরে জঙ্গিহানা করেছে। তাই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরাতে নরেন্দ্র মোদির হাত শক্তিশালী করতে আগলি বার ৪০০ পার। আর লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৬ আসন তুলে দেওয়ার শপথ নিন।’’

    তৃণমূল-সিপিএমকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসার আগুন এখনও ধিক ধিক করে জ্বলছে। এখনও দুর্গাপুর সহ বেশ কিছু পুরসভায় মেয়াদ শেষের পরও নির্বাচন হয়নি। তার ওপর ভোট লুট ও কারচুপির অভিযোগে সরব বিজেপি। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। আর ওই নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৩৫ টি আসনের টার্গেট নিয়ে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় সংগঠন শক্তিশালী করতে ও জনসম্পর্ক দৃঢ় করতে আসরে নেমেছে গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার বিকালে দুর্গাপুরের কল্পতরু ময়দানে ছিল বিজেপির জনসভা। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সভায় বক্তব্যের শুরু থেকে রাজ্যের তৃণমূল ও সিপিএমকে একই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সিপিএমকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘২০১১ সালে সিপিএমের বিরোধী দলনেতা ছিল। বেঙ্গালুরুতে সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে ভাব, ভালবাসা, প্রীতি তৈরি হয়ে গেছে তৃণমূলের। দিল্লিতে দোস্তি আর রাজ্যে কুস্তি করা যায় না। আপনারা কিছু বললে মানুষ বিশ্বাস করে না। বিজেপি লাগাতার সংগ্রাম করছে। তাই মানুষ বিশ্বাস করে। আর তাই নিচু তলার সিপিএম কর্মীদের বলছি, চোর পিসি-ভাইপোকে তাড়াতে বিজেপিতে আসুন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিধানসভায় হাসপাতাল খুলতে বললে, বলে টাকা নেই। রাস্তা করতে টাকা নেই। আর সারাদিন চুরি করে বেড়ায়।’’

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও সংযোজন, ‘‘কয়লা চুরি করে ফাঁক করে দিয়েছে তোলামূল। বীরভুম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলার এসপি ৪৩ কোটি টাকা করে তুলে নিয়ে চলে গেছে। আইপিএস-রা যদি ৪৩ কোটি তোলে, তাহলে ভাইপো কত কোটি তুলেছে ভাবুন। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে কাশিকর্ন শাখায় রুজিরার অ্যাকাউন্টে লালার কত কোটি টাকা গেছে হদিশ উঠে এসেছে।’’ বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেকারত্ব নিয়েও সরব হন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্যে ২ কোটি বেকার। নতুন কর্মসংস্থান নেই। ৫০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। রাজ্যে ৩০ লক্ষ রাজ্য সরকারের স্থায়ী চাকরি ফাঁকা। ১৭ সালে পিএসসির শেষবার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। পুলিশ নিয়োগ বোর্ড উঠে গেছে। পিএসসি, স্টাফ সিলেকশন বোর্ড তুলে দিয়েছে। এসএসসিকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তুলেছে। ১২ বছরে কোনও নিয়োগ নেই। ৭০টার বেশি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি। রাজ্যে দুর্নীতি আর তৃণমূল সমার্থক হয়ে গেছে। তাই তোলামূলের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে মানুষকে জোট বাঁধতে হবে।’’

    প্রসঙ্গ পরিবারবাদ

    ছাপ্পা, রিগিং, সন্ত্রাস নিয়েও তৃণমূলকে একহাত নেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘কর্পোরেশন, পুরসভায় ভিভি প্যাড ছাড়া ভোট করে জেতে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটে ডাকাতি করেছে। কয়লা চোর, বালি চোর, চাকরি চোর, ব্যালট চোর মমতা ব্যানার্জির তৃণমূলকে তাড়াতে হবে।’’ দেশজুড়ে আঞ্চলিক দলগুলির পরিবাররাজের বিরুদ্ধেও সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘মুলায়ম সিংয়ের মত পরিবারকে ফুলে ফেঁপে তুলতে চাইলে সাইকেল চিহ্নে ভোট দেবেন। চারা ঘোটালা চাইলে লালু প্রসাদের হ্যারিক্যানে ভোট দেবেন। কয়লা, বালি চোর, ব্যালট চোর গরু চোর চাইলে তোলামূলকে ভোট দেবেন। আর নিজের পরিবার, নিজের সমাজের, দেশের ভালো চিন্তা করলে বিজেপিকে ভোট দেবেন। তৃতীয় বারের জন্য নরেন্দ্র মোদির হাত শক্তিশালী করবেন।’’

    মমতার ইভিএম হ্যাক তত্ত্বের উত্তর

    পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আফগানিস্তানে যেরকম হয়েছিল ধর্ম ছাড়ো, না হয় দেশ ছাড়ো, পশ্চিমবঙ্গে সেরকম আশঙ্কা করছি। তাই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফিরে পেতে পারি, তার লড়াই চলছে। তাই নরেন্দ্র মোদির হাত শক্তিশালী করতে আগামী লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৬ আসন তুলে দেবো। এটাই আমাদের শপথ।’’ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী লোকসভায় এনএডিএ ইভিএম হ্যাক করার পরিকল্পনা করেছে। তার পাল্টা জবাবে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) চাঁছাছোলা আক্রমণ করে বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত ভোটে বিডিও, এসডিও, পুলিশকে দিয়ে কারচুপি করেছে, ভোট লুট করেছে। তাই এসব বলার আগে ইভিএমের সঙ্গে ভিভি প্যাড লাগিয়ে সততা প্রমাণ করুন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “দিদি আমাদের ন্যায় চাই, টাকা ফেরত চাই” দাবিতে তৃণমূল কর্মীর অবস্থান-বিক্ষোভ

    Bankura: “দিদি আমাদের ন্যায় চাই, টাকা ফেরত চাই” দাবিতে তৃণমূল কর্মীর অবস্থান-বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৭০ জনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে ওন্দা (Bankura) তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে ধর্নাতে বসলেন বহুল চর্চিত তৃণমূল সমর্থক প্রতিবাদী মহিলা প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের হাতে ছিল তৃণমূলের দলীয় পতাকা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। মূল অভিযোগ হল ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে’র বিরুদ্ধে।

    মূল দাবি কী (Bankura)?

    প্রতিবাদী তৃণমূল সমর্থকদের দাবি, দিদি আমাদের ন্যায় চাই, টাকা ফেরত চাই! আশিষ দে তৃণমূলের কলঙ্ক। ওন্দা (Bankura) ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম কুমার বিটের সহযোগিতায় প্রতারিত প্রিয়ঙ্কা গোস্বামী, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আশিষ দে’র কাছ থেকে অর্ধেক টাকা ফেরত পেলেও বাকিরা এখনও পর্যন্ত ফেরত পাননি। তাই আজ তাঁরা ওন্দা তৃণমূল ব্লক পার্টি অফিসের সামনে টাকা ফেরত পেতে ধর্নাতে বসেছেন।

    পুলিশের কাছে আগেও অভিযোগ করেছিলেন

    প্রসঙ্গত রামসাগরের (Bankura) বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা গোস্বামীর অভিযোগ ছিল, বর্তমানে ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে করোনা কালে ‘বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেন’। এ বিষয়ে তিনি পুলিশেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে গত ১২ জুলাই রামসাগরে বাজারে তাঁর স্বামী সুব্রত গোস্বামী এবং তাঁর বন্ধুদের নিয়ে পিকনিক করছিলেন। আর সেই সময় আশিষ দে ও তাঁর সঙ্গী দোলন পরামানিক সহ অন্যান্যরা তাঁদের উপর হামলা চালান। পরে তিনি নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে, তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন। ওই ঘটনার পর গত ১৫ জুলাই ওন্দা ব্লকের সাধারণ সম্পাদক আশিষ দে ও তাঁর সঙ্গী দলীয় কর্মী দোলন পরামানিককে ওন্দা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক আশীষ দে ও দোলন পরামানিকের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    উল্লেখ্য গত ১২ এপ্রিল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওন্দায় এলে আর্থিক প্রতারণার বিষয়টি তাঁর নজরেও এনেছিলেন এই প্রিয়াঙ্কা গোস্বামী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Violence Against Women: মমতা জমানায় নগ্ন করে নারী নির্যাতন! রইল অমানবিক ১০টি ঘটনা

    Violence Against Women: মমতা জমানায় নগ্ন করে নারী নির্যাতন! রইল অমানবিক ১০টি ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  নারী নির্যাতনে (Violence Against Women) পশ্চিমবঙ্গ দেশের প্রথম সারিতে রয়েছে, বিরোধীদের এই দাবিকে ইতিমধ্যে সিলমোহর দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। অন্যদিকে নারীদের ওপর ঘটে চলা অত্যাচারও বলছে, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে ভাল নেই বাংলার মেয়েরা। মণিপুরের জন্য কেঁদে ভাসাচ্ছেন যে তৃণমূল নেত্রী, তাঁর শাসনে কেমন রয়েছেন বাংলার নারীরা? রাজনৈতিক অরাজনৈতিক মিলিয়ে মহিলা নির্যাতন যেন রুটিন কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম উঠে আসছে শাসকদলের মদতপুষ্ট সমাজ বিরোধীদের। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নারী নির্যাতনের গুরুতর অপরাধগুলিকে নিয়ে বঙ্গ বিজেপির ট্য়ুইট সামনে এসেছে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, কন্যাশ্রী ও রূপশ্রীর মুখোশের আড়ালে এ কোন বাংলা? যা নারীদের বধ্যভূমি হয়ে গিয়েছে।

    বিগত ৭ বছরে মহিলাদের ওপর হওয়া অপরাধ

    ২১ জুলাই ২০২৩, মালদা

    মালদার মানিকচকে প্রকাশ্যে নগ্ন (Violence Against Women) করে দুই মহিলাকে মারধরের মধ্যযুগীয় বর্বরতা সামনে আসে। সব থেকে আর্শ্চয্যজনক তথ্য হল, মমতার পুলিশের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

    ৮ জুলাই ২০২৩, হাওড়া

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে নগ্ন করে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ২৬ অক্টোবর ২০২২, মুর্শিদাবাদ

    মধ্যযুগীয় বর্বরতার আরও চিত্র দেখা যায় মুর্শিদাবাদে। দুইজন সমকামী মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে।

    ২৪ জুলাই ২০২২, দক্ষিণ দিনাজপুর

    একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ভিড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি স্কুলে চড়াও হয় এবং মহিলা শিক্ষিকাকে প্রায় নগ্ন করে। ওই শিক্ষিকার অপরাধ, তিনি শৃঙ্খলা শিখিয়েছিলেন ছাত্রীদের।

    ১৫ মে ২০২২, মালদা

    বাড়িতে একা পেয়ে তিন যুবক এক মহিলাকে ধর্ষণের (Violence Against Women) চেষ্টা করে। ওই মহিলা বাধা দিলে তাঁকে বিবস্ত্র করা হয় এবং নানা ভাবে মানসিক নির্যাতনও চলে সঙ্গে। এই ঘটনার পরেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীরব থাকেন।

    ১৫ জুন ২০২১, আলিপুরদুয়ার

    ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে নগ্ন করে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়। রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী চুপ থাকেন এই ঘটনার পরেও।

    ১৯ অক্টোবর ২০১৯, বীরভূম

    বীরভূমে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। যারা ওই মহিলাকে উদ্ধার করতে যায়, তাদের ওপরেও চড়াও হয় সমাজবিরোধীরা। এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে নারীর সম্মান।

    ১৭ মে ২০১৮, কলকাতা

    কলকাতার সেন্ট পল ক্য়াথিড্রাল কলেজে এক ছাত্রীকে জোর পূর্বক বিবস্ত্র করানো হয়। এবং পুরো ঘটনা ক্য়ামেরাবন্দী করে সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করা হয়।

    ১৮ মার্চ ২০১৭, কলকাতা

    কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং বিবস্ত্রের অভিযোগ ওঠে। এক রাজনৈতিক কর্মীকে চেক করার নামে এই কাজ করে পুলিশ। যদিও কোনও বিবৃতি শোনা যায়নি পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তরফ থেকে।

    ২৫ জুলাই ২০১৬, মালদা
     
    মালদায় এক বয়স্কা মহিলাকে বিবস্ত্র করে বাঁ হাতের দুটো আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়লেও চুপ ছিলেন রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত! লজ্জা ও ঘৃণায় তৃণমূলের প্রথম নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপিতে

    BJP: সিপিএমের সঙ্গে আঁতাত! লজ্জা ও ঘৃণায় তৃণমূলের প্রথম নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে সিপিএম, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের আঁতাত দেখে লজ্জায় এবং ঘৃণায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন রাজ্যের প্রথম তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান স্বপন সান্যাল। এদিন জেলা সভাপতি ও বিজেপি নেতা জয় ব্যানার্জির উপস্থিতিতে পতাকা হাতে তুলে নেন তিনি। ১৯৯৮ সালে শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রথম তৃণমূলের নির্বাচিত প্রধান ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২১ শে জুলাই নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে কলকাতার ধর্মতলায় ঐতিহাসিক জন সমাবেশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই দিন যাদের অত্যাচারে তাঁরা শহিদ হয়েছিলেন, রাজ্যের বাইরে গিয়ে তাদের সঙ্গেই জোটবদ্ধ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লজ্জা আর ঘৃণাতেই এবার তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

    কোথায় যোগদান করলেন বিজেপিতে (BJP)?

    এদিন একুশে জুলাই উপলক্ষে তৃণমূল  একদিকে যখন জনসভা করছে, ঠিক তার উল্টোদিকে গোটা রাজ্য জুড়ে ব্লক অফিসে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে বিজেপি (BJP)। সেই মতো নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বিডিও অফিসের কিছুটা দূরে মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেখা যায় বিজেপিকে। সেখানেই নীল-সাদা পতাকা ছেড়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন পোড় খাওয়া তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতা।

    কী বললেন প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান?

    এ বিষয়ে প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান স্বপন সান্যাল বলেন, যাদের অত্যাচারে আজ এই শহিদ দিবস পালন হচ্ছে, তাদের সঙ্গেই তৃণমূল জোটবদ্ধ হচ্ছে। আমি এই রাজ্যের প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ছিলাম। আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম আমার পঞ্চায়েতটিকে মডেল হিসাবে তৈরি করব। কিন্তু দুর্ভাগ্য বিজেপিকে হারানোর জন্য সব নীতিবোধ বিসর্জন দিয়ে চিরশত্রুদের সঙ্গেই তিনি জোটবদ্ধ হয়েছেন। সেই কারণেই আমি আজ বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলাম। 

    উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই সিপিএমের এক পরিবার তৃণমূলের হামলা নিয়ে একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। তাঁরাও মমতার পদক্ষেপের ব্যাপারে ক্ষোভ এবং ঘৃণাই উগরে দিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

    TMC: মমতার ভাষণে ২১ জুলাইয়ের কোনও কথাই নেই, শুধুই মণিপুর আর ১০০ দিনের বকেয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই একুশে জুলাই নিয়ে যে আন্দোলন তৈরি হয়েছিল, তা কি সম্পূর্ণ ভুলে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মঞ্চে ওঠার পর থেকে এক বারের জন্যও তাঁর মুখে এল না একুশে জুলাই যাঁরা শহিদ হয়েছিলেন এবং একুশে জুলাইয়ের ঘটনা সম্পর্কে একটা কথাও। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর (TMC) বক্তব্যে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা, প্ররোচনা এবং বিরুদ্ধাচারণ ছাড়া আর কিছুই শোনা গেল না।

    শুধুই কেন্দ্রের বিরুদ্ধাচারণ

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৮ সালে আজকের দিনে মানুষের সচিত্র ভোটার কার্ডের মাধ্যমে নির্বাচনের দাবিতে মহাকরণ ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন। আর সেখানেই এই আন্দোলনের মাঝে পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়েছিলেন ১৩ জন। আজ ২৫ বছর পর ২১ শে জুলাই-এর মঞ্চে একবারের জন্যও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গেল না সেদিনের কোনও কথা। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিজের ঢাক পেটাতে, মিথ্যাচার করতে এবং একদিকে বিজেপি ও অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসার কথা ছাড়া কিছুই বলতে বাকি রাখলেন না। গোটা দেশের মানুষ করোনার সময় থেকে আজও বিনা পয়সায় রেশন পান। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী (TMC) নিজেই দাবি করলেন, এই রেশন নাকি বিনা মূল্যে তিনি রাজ্যের মানুষের কাছে আজও পৌঁছে দিচ্ছেন। পাশাপাশি বাজারদরের প্রতি তাঁর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, সে কথা স্বীকার না করে উল্টে কেন্দ্রীয় সরকারকেই এসব কিছুর জন্য দায়ী করলেন।

    এড়িয়ে গেলেন রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি

    রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা না বলে সম্প্রতি মণিপুরের ঘটনার কথা তুলে ফের আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে রাজ্যের পাওনা আদায়ের জন্য দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সঠিক হিসাব দিতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC)। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে রাজ্যের দশম পঞ্চায়েত নির্বাচন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্য যেভাবে অশান্ত হয়ে রয়েছে, সে কথাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তিনি বলেন, মাত্র তিনটে ঘটনা ঘটেছে আর তাকে নিয়েই যত রঙ্গতামাশা করছে বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলো। কার্যত একুশে জুলাই যে শহিদ দিবস, সে কথাকে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের কাছে দরবার করলেন রাজ্যের প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে। চেয়ারকে কেয়ার করেন না তিনি। তাই মমতার স্পষ্ট দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদে দাবিদার নেই তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ইয়েচুরি-মমতা বৈঠককে ঘৃণা করি, জানিয়ে দিল নিহত সিপিএম কর্মীর পরিবার

    Uttar Dinajpur: ইয়েচুরি-মমতা বৈঠককে ঘৃণা করি, জানিয়ে দিল নিহত সিপিএম কর্মীর পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল চোপড়ার (Uttar Dinajpur) সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলমের। মনসুরের পরিবারের সেই ক্ষত আজও দগদগে। এরই মধ্যে বেঙ্গালুরুতে এক টেবিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিআইএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে দেখে মর্মাহত মনসুরের পরিবার।

    কেন মর্মাহত (Uttar Dinajpur)?

    সাধারণ নিচু তলার রাজনৈতিক কর্মীরা বোঝেন না জাতীয় রাজনীতি। তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতেই খুন হয়েছেন সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলম। তাই এই মৃত্যুতে নিহত মনসুরের (Uttar Dinajpur) দাদু মহঃ গিয়াসুদ্দিন বলেন, সিপিআইএম-তৃণমূলের জোটকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সর্বভারতীয় স্তরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনও মুখকে তুলে না ধরে, মানুষকে ভাঁওতা দেবার জন্য বৈঠক করছেন। তিনি আরও বলেন, এই বৈঠককে নিচু তলার সিপিআইএম কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না। তৃণমূলের সঙ্গে সিপিআইএমের এই বৈঠক আমাদের কাছে লজ্জার। যেভাবে তৃণমূল ভোট দিতে দিল না, রাজ্যে সন্ত্রাস চালাল, ভোট লুট করল, গুলি করল, বোমা মারল, মানুষ খুন করে মায়ের কোল খালি করল, তা আমরা কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। সিপিআইএম-তৃণমূলের এক টেবিলে বৈঠক! একসঙ্গে চা পান! এটাকে অত্যন্ত ঘৃণা করি।

    প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন পরিবারের

    অপর দিকে বেঙ্গালুরুতে বিরোধী ২৭টি দলের জোটের বৈঠককে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হামলায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের কর্মীরা মারা যাচ্ছেন। আর এই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের নেতারা বৈঠক করছেন। মোদির এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন নিহত মনসুরের (Uttar Dinajpur) দাদু মহঃ গিয়াসুদ্দিন।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল ভোটে

    উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় চোপড়া (Uttar Dinajpur) ব্লকের কাঠালবাড়ি গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিল মনসুর আলম নামে এক সিপিআইএম কর্মী। এরপর আহত মনসুরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত ২২ জুন শিলিগুড়িতে মৃত্যু হয়। শাসক দলের নেতারা এই ঘটনায় যুক্ত থাকায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে অনিহা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করে পরিবার। পরিবার ছেলেকে হত্যার ঘটনায় বিচার থেকে বঞ্চিত। ঘটনার একমাস কাটতে না কাটতে সর্বভারতীয় নেতারা ঘাতক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠককে ভাল ভাবে নিতে পারছে না এই মৃতের পরিবার। সিপিএমের নিহত কর্মীর পরিবার জাতীয় নেতৃত্বের জোটের বিরুদ্ধে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারাতে পারলে আপনারাও পারবেন, বললেন শুভেন্দু

    South 24 Parganas: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি হারাতে পারলে আপনারাও পারবেন, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় মগরাহাট (South 24 Parganas) উড়াল চাঁদপুর এলাকায় দলীয় কর্মীদের সাথে দেখা করতে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মগরাহাটের একাধিক জায়গায় বিজেপির দলীয় কর্মীদেরকে মারধর করা হয়েছে, বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এলাকায় আক্রান্ত সমস্ত দলীয় কর্মীদের সাথেই আজ দেখা করার পাশাপাশি তাঁদের আশ্বস্ত করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

    মগরাহাটে কী বললেন শুভেন্দু (South 24 Parganas)?

    রাজ্যে শাসক দল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট যেমন লুট করেছে, তেমনি লুটের পর গণনায় চুরি করে হুমকি দিয়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে সমগ্র রাজ্যে। বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মীদের বাড়িতে রাজনৈতিক হিংসাত্মক আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী আজ সকালে মগরাহাটে (South 24 Parganas) গিয়ে, এই এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সেলিম লস্কর, মগরাহাট থানার ওসি আব্দুল সামাদ আনসারী এবং বিডিও শেখ আব্দুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি আরও বলেন, গোটা মগরাহাট জুড়ে ভোটের সন্ত্রাস চলেছে, ভোট লুট করা হয়েছে। এই লুণ্ঠনে সরকারি আমলারা তৃণমূলের এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন।

    শুভেন্দু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি যখন হারাতে পেরেছি আপনারাও পারবেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে লড়াই করতে হবে। অত্যাচারীদের ভয় সারা জীবন থাকবে না! এই হিংস্র সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। ওরা বাইক বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করবে, মাথায় বন্দুক, পিস্তল ঠেকাবে। কিন্তু আমাদের সাহস রাখতে হবে। সাহস আর বিশ্বাস রাখুন, বিজেপি আপনাদের পাশে আছে। কেন্দ্র কোনও টাকা আটকায়নি, কেন্দ্র তৃণমূলের চুরি আটকেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সিপিএম এখানে শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, আর অপর দিকে এই সিপিএমের পলিটব্যুরো নেতৃত্ব সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মিটিং করছেন। সিপিএম এবং তৃণমূল পয়সার এপিঠ আর ওপিঠ। আর তাই রাজ্যে এই সন্ত্রাসকে মুক্ত করতে গেলে একমাত্র দল বিজেপিকেই ক্ষমতায় আসতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: বেঙ্গালুরুর বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য চোরদের বাঁচানো, তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ

    Paschim Medinipur: বেঙ্গালুরুর বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য চোরদের বাঁচানো, তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) সদর ব্লকের মালিদা গ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হওয়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের শাসক শিবিরকে একাধিক ইস্যুতে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। এছাড়াও খড়্গপুরে চায়ে পে চর্চায় যোগদান করে বিভিন্ন বিষয়ে বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

    কৌস্তুভ রায়ের গ্রেফতার সম্পর্কে কী বললেন?

    দিলীপ ঘোষ মালিদা গ্রামে (Paschim Medinipur) তৃণমূলের সন্ত্রাসে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হিংসার কথা সবিস্তারে শোনেন। সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের সবরকম সাহয্যের আশ্বাস দেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কৌস্তুভ রায়ের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলেন, আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে বলে শুনেছি। পিনকন চিটফান্ড কাণ্ডে নাম জড়ায় এই তৃণমূল নেতার। তার মোবাইল থেকে একাধিক প্রভাবশালীর নাম মিলেছে। এই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনেকবার বিদেশে যাত্রা করছে। এমনকি বিদেশে যাতায়াত করার সময় কয়েকবার আর্থিক লেনদেনে ধরাও পড়েছে। তৃণমূলের অন্যতম রাখব বোয়াল এই ব্যক্তি। অনেক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সে। ধরা যখন পড়েছে আরও অনেক তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসবে।

    চায়ে পে চর্চাতে কী বললেন?  

    মঙ্গলবার সকালে খড়্গপুরে (Paschim Medinipur) দিলীপ ঘোষ চায়ে পে চর্চার মধ্যে সাংবাদিকদের বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠ, ছাপ্পা ভোট, গণনার দিন ব্যালট ছিনতাই সব রকম অপকর্ম রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল করছে। শুধু এই করেই ক্ষান্ত হয়নি। গণনার পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে আক্রমণ করছে তৃণমূল। এমনকি বিজেপির জয়ী প্রার্থীরাও ঘরছাড়া হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে সবদিক থেকে হরণ করছে তৃণমূল।

    বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, গত ১৯ এর লোকসভার আগেও বিরোধীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছেন, মাছ ভাত খাইয়েছেন, কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি বরং একডজন সিট কমে গেছে। মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সিপিএম আজ অপ্রাসঙ্গিক। সবটাই অস্তিত্বের জন্য লড়াই করছেন। কে কার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন কেউ কিছুই জানেন না। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এতো তৃণমূল বিরোধী মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুন হলেন। কিন্তু কোনও জাতীয় দলের নেতারা কিছু বলছেন না এই বৈঠকে! নিজের দলের মানুষরাই মারা যাচ্ছেন। অথচ দলের নেতারা নির্বাক! অত্যন্ত লজ্জার ঘটনা। এই বেঙ্গালুরুর বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হল চোরদের বাঁচানো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভাইপোকে বাঁচাতে বৈঠক করছেন আর বাকিরা নিজেদের পরিবারকে বাঁচাতে বৈঠক করছেন মোদির বিরুদ্ধে। তিনি আরও বলেন, বিচারপতিদের নামে যেভাবে তৃণমূলের নেতারা প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখছেন, তাতে সাধারণ মানুষের মনে বিচার ব্যবস্থার প্রতি সন্দেহ তৈরি করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর বউমাকে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে বাজিমাত বিজেপির

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর বউমাকে হারিয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে পঞ্চায়েতে ধরাশায়ী হয়েছিল তৃণমূল। এবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনও তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিল বিজেপি। আর তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জয়ী হন। অথচ এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বরাবরই তৃণমূলের দাপট ছিল।

    ভোটে হেরে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী?

    রামপুরহাট-১ ব্লকের কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুম্বা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি। এই পঞ্চায়েতে মোট ২১টি আসন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেই তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে তিনটি আসন রয়েছে। গতবার সবকটি তৃণমূলের দখলে ছিল। এবার এই গ্রামের তিনটি বুথের মধ্যে দুটি আসনেই বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়। মঙ্গলবার রাতে গণনার পর বিজেপি প্রার্থী জয়ী হন। জানা গিয়েছে, ৬ ভোটে জয়ের খবর পেয়ে আনন্দে মেতেছিলেন পম্পাদেবী। কিছুক্ষণ পর খবর পান, তিনি ৩৬ ভোট পরাজিত হয়েছেন। এরপর ফের তিনি রামপুরহাট কলেজের গণনা কেন্দ্রে পৌঁছন। এনিয়ে গণনা কেন্দ্রে চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিজেপির কাছে ৩৬ ভোট পরাজিত হন মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী পম্পা মুখোপাধায়। ওই আসনে বিজেপির সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জয়লাভ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় পম্পা মুখোপাধ্যায় বলেন, আমি জিতেছিলাম। তারপর শুনছি, আমি হেরে গিয়েছি। আমি ফের গণনার দাবি জানাচ্ছি। এই ঘটনা নন্দীগ্রামের মতো হয়ে গেল।

    কী বললেন জয়ী বিজেপি প্রার্থী?

    কুসুম্বা গ্রামে ৩১ নম্বর এবং ৩২ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৩১ নম্বর আসনে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামা ভোটার। সেই বুথেও বিজেপি জয়ী হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয় পরাজিত হলেন। বিজেপির জয়ী প্রার্থী সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, ভোটের সম্পূর্ণ ফল না জেনেই তৃণমূল জিতে গিয়েছে বলে নাচতে নাচতে ওরা বাড়ি চলে যায়। কিন্তু, বাস্তবে গণনার পর দেখা যায়, আমরা ৩৬ ভোটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হয়েছি। গত ১৫ বছর ধরে মানুষ ওদের দেখেছে। মানুষ আর ওদের মেনে নিতে পারছে না। তৃণমূলকে হারানোর জন্য মানুষ তৈরি ছিল। মানুষের ভালোবাসায় আমি জয়লাভ করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share