Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বায় তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে জয়ী বিজেপি

    Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বায় তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে জয়ী বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে ধরাশায়ী হল তৃণমূল। অথচ এতদিন এই গ্রামে তৃণমূলের একচেটিয়া আধিপত্য ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নিজেরও নজরে রয়েছে তাঁর মামার বাড়ি। সেখানেই ঘাসফুলকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন এলাকার মানুষ। এই গ্রামে এবার পদ্মফুলের জয় জয়কার।

    মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ির গ্রামে কটি আসন দখল করল বিজেপি?

    রামপুরহাট-১ ব্লকের কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসুম্বা গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামার বাড়ি। এখনও এই গ্রামে তাঁর মামার বাড়ির লোকজন সপরিবারের রয়েছেন। এই পঞ্চায়েতে মোট ২১টি আসন রয়েছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেই তৃণমূল জয়ী হয়েছিল। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি কুসুম্বা গ্রামে তিনটি আসন রয়েছে। গতবার সবকটি তৃণমূলের দখলে ছিল। এবার এই গ্রামের তিনটি বুথের মধ্যে দুটি আসনেই বিজেপি প্রার্থী জয়ী হল। মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়়ির গ্রামে এভাবে পদ্মফুল ফোটায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা?

    কুসুম্বা গ্রামে ৩১ নম্বর এবং ৩২ নম্বর আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ৩১ নম্বর আসনে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মামা ভোটার। সেই বুথেও বিজেপি জয়ী হয়েছে। জয়ী বিজেপি প্রার্থী গঙ্গাধর হাজরা বলেন, লোকসভা ভোটে আমাদের বিনা কারণে তৃণমূল জেল খাটিয়েছিল। এলাকার মানুষ তার সাক্ষী। এই ঘটনা তারা মেনে নিতে পারেনি। আর রাজ্যজুড়ে তৃণমূল যা দুর্নীতি করেছে তার বিরুদ্ধে মানুষ এই রায় দিয়েছে। আমার স্ত্রী পাশের বুথে দাঁড়িয়েছিল। সেই বুথেই মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়়ি। সেই বুথেও আমার স্ত্রী তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে। আর এভাবে তৃণমূলকে হারাতে পেরে খুব ভাল লাগছে। মানুষের জন্য কাজ করব। মানুষের রায়ে জয়ী হয়েছি। কোনও অবস্থাতেই আমরা তৃণমূলে যাব না। ৩১ নম্বর আসনের বিজেপি জয়ী প্রার্থী অর্চনা হাজরা বলেন, এই জয়, মানুষের জয়। মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর গ্রামে তৃণমূলকে হারাতে পেরে আমাদের খুব ভাল লাগছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে বলে দিলে দিদিও গারদে যাবে! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Nadia: অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে বলে দিলে দিদিও গারদে যাবে! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া জনরঞ্জন কেন্দ্রের মাঠে বিজেপির নির্বাচনী জনসভায় মঙ্গলবার উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করার প্রার্থনা জানান তিনি। অন্যদিকে রাজের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিভিন্ন বিষয়ে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি।

    অনুব্রত প্রসঙ্গে কী বললেন (Nadia)?

    শান্তিপুরে (Nadia) নির্বাচনী সভায় দলীয় প্রার্থীদের জয়লাভের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানান শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই আধ ঘণ্টা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। প্রথমেই দিনহাটায় বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন। শুভেন্দু বলেন, গোটা রাজ্য এখন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। এদিন ধুপগুড়িতে একজনকে গুলি করে মারা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

    বীরভূমের সভায় ফোনে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? কী জবাব দিলেন শুভেন্দু?

    উল্লেখ্য বীরভূমের একটি জনসভায় নিজে হাজির না থাকলেও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ফোনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বলেন, প্রায় এগারো মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলকে আটকে রেখেছে সিবিআই ও ইডি। এমনকী তার মেয়েকেও আটকে রাখা হয়েছে! ওর বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে আদালতে প্রমাণ করুন। এটা পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি শান্তিপুরে (Nadia) বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একা টাকা খায়নি, সেই টাকা পৌঁছে যেত কালীঘাটে। ২৫-৭৫ এর ভাগাভাগি ছিল তাদের মধ্যে। এখন যদি অনুব্রত মণ্ডল মুখ ফস্কে সব বলে দেয়, তাহলে দিদিও গারদে যাবে। সেই কারণেই তার গুনগান গাইছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর অনুব্রতকে ক্লিনচিট দেওয়ার প্রসঙ্গে ঠিক এই ভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে তোপ!

    অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ করেন, যে সব রাজ্যে বিজেপি শাসন করছে, সেখানে দুই হাজার টাকা কেন! অন্তত এক হাজার টাকা করে যদি দিতে পারে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো! আর সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি শান্তিপুরে (Nadia) বলেন, ভাইপো এর আগেও একাধিকবার রাজনীতি ছেড়েছেন। উনি বলেছিলেন অর্জুন সিং জিততে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন! নন্দীগ্রামে আমি যদি জিতে যাই, তাহলেও রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু উনি রাজনীতি ছাড়েননি।

    সিপিএম সম্পর্কে বিস্ফোরক

    অন্যদিকে এই সভা (Nadia) থেকে সিপিএমকেও আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা। মহঃ সেলিম অভিযোগ তোলেন ১৪ বছর আগে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মাওবাদীদের সঙ্গে নিয়ে সিপিএম নেতাদের খুন করা হত। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সেলিম হচ্ছে তৃণমূলের দালাল।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: কোটি টাকার যন্ত্র কিনেও বন্ধ বিভাগ, চিকিৎসার জন্য ভরসা তাই ভিন রাজ্য! 

    West Bengal Health: কোটি টাকার যন্ত্র কিনেও বন্ধ বিভাগ, চিকিৎসার জন্য ভরসা তাই ভিন রাজ্য! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জেলা কিংবা কলকাতা, একাধিক সরকারি হাসপাতালের করিডরে পড়ে আছে কয়েক হাজার কোটি টাকার চিকিৎসার যন্ত্র। কিন্তু তারপরেও বন্ধ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগ! তার জেরেই চিকিৎসা পরিষেবা পান না সাধারণ মানুষ। ছুটতে হয় ভিন রাজ্যে! রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) আটকে রয়েছে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়েই, এমনই অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

    সমস্যা ঠিক কোথায়? 

    জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে কলকাতার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম, ছবিটা সর্বত্র এক! স্বাস্থ্য ভবন থেকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। চিকিৎসার জন্য যন্ত্রও কেনা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সেই যন্ত্র একবারও ব্যবহার হয়নি। বরং পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে। যেমন, স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে কয়েক বছর ধরে পড়ে আছে গামা রে মেশিন। এই মেশিন কিনতে একশো কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। দীর্ঘদিন অব্যবহারের ফলে তা খারাপ হয়ে যায়। ফের কয়েক কোটি টাকা খরচ করে তা মেরামত করা হয়। কিন্তু রোগী পরিষেবায় সেই মেশিন ব্যবহার করা যায়নি। থাইরয়েড ক্যানসার সহ একাধিক চিকিৎসার গামা রে মেশিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এসএসকেএম হাসপাতালে (West Bengal Health) এই মেশিন থাকা সত্ত্বেও তা রোগী পরিষেবায় কাজে লাগে না। কারণ, এই মেশিন চালানোর জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান। যার নিয়োগ স্বাস্থ্য দফতর করে না। ফলে রোগীকে বাধ্য হয়ে যেতে হয় ভিন রাজ্যে। 

    একই পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জেলার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের (West Bengal Health)। স্বাস্থ্য ভবনের খবর, কয়েক’শো কোটি টাকা খরচ হয়ে ওই সব হাসপাতালে স্নায়ু চিকিৎসার একাধিক যন্ত্র বসানো হয়। কিন্তু ওই সব হাসপাতালে নেই স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ! তাই রোগীরা পরিষেবা পান না। অসুস্থ অবস্থায় তাঁদের জেলা থেকে শহর ঘুরে বেড়াতে হয়। স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য তাঁরা ভিন রাজ্যে পাড়ি দেন।
    এমনকী স্বাস্থ্য ভবনের বারান্দাতেও পড়ে আছে একাধিক যন্ত্র, যা কোটি কোটি টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। কিন্তু কোন হাসপাতালে তার প্রয়োজন, কোথায় সেগুলো বসানো হবে, তা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা হয়নি। ফলে, নষ্ট হচ্ছে সেসব যন্ত্র!

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, যন্ত্র চালানোর জন্য উপযুক্ত কর্মী পর্যাপ্ত নেই। বিশেষত রেডিয়েশন যন্ত্র যেগুলো থাইরয়েড, বিভিন্ন গ্ল্যান্ডের রোগ নির্মূল করতে প্রয়োজন হয়, সেই যন্ত্র পরিচালনা করার জন্য দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। তবে, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরিকাঠামো গড়ে তুলে রোগী পরিষেবা (West Bengal Health) দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত কী? 

    পরিকল্পনা ও সদিচ্ছার অভাবকেই দায়ী করছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহল। রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, একের পর এক মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হলেও পরিকাঠামো নিয়ে পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। রাজ্যে স্নায়ু-শল্য, প্লাস্টিক সার্জারির মতো বিভাগে রোগীদের পরিষেবা (West Bengal Health) দেওয়ার জন্য যে পরিকাঠামো ও কর্মী প্রয়োজন, তা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছে, এই ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন দক্ষ কর্মী। কিন্তু রাজ্য সরকার স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে না। চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী স্বল্প বেতনে এই কাজ অধিকাংশ প্রশিক্ষিত ব্যক্তি করতে নারাজ। কারণ, দেশের অন্যান্য রাজ্যে এই ধরনের কাজের জন্য অনেক বেশি বেতন ও সুবিধা এই প্রশিক্ষিত কর্মীরা পান। তাই কর্মীর অভাবে পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। পাশপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পর্যাপ্ত নেই। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে।

    কী বলছেন ভুক্তভোগীরা? 

    পেটের সমস্যা, স্নায়ু কিংবা ক্যানসার-যে কোনও রোগের চিকিৎসার (West Bengal Health) জন্য এ রাজ্যের মানুষকে কখনও মুম্বই আবার কখনও দক্ষিণ ভারতে ছুটতে হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বারবার বিজ্ঞাপন দেয়, স্বাস্থ্য পরিষেবা বিনামূল্যে! সব মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। কিন্তু রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল খুব খারাপ। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, বিজ্ঞাপনের চেয়ে কবে পরিষেবা বেশি গুরুত্ব পাবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অভিষেকের জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! জনসম্পর্ক অভিযানে তোপ সুকান্তর

    BJP: অভিষেকের জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! জনসম্পর্ক অভিযানে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির জনজোয়ার সভার তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি। এই জেলার আরামবাগ, পোলবা এবং বলাগড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনজোয়ার কর্মসূচি পালন করছেন। ইতিমধ্যেই এই জেলার তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেছে। আর তাই, এই সুযোগে বিজেপির মহা জনসম্পর্ক যাত্রা চলাকালীন তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    কেন্দ্র সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংসদ সুকান্ত মুজমদার (BJP) জনসম্পর্ক অভিযানে চুঁচুড়ার কবি অরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, আরামবাগে জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! যারা টাকা কালেকশন করে পৌঁছে দেবে, তারা এখন জেলে। অভিষেকের ট্রাক্টরে করে রোড শো করাকে কটক্ষ করেন তিনি। বলেন, তৃণমূলের জেলা জুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এখনও হয়নি। কিন্তু যদি রাজ্য সরকার নির্বাচন সঠিক সময়ে না করে, তাহলে যতজন লোক অভিষেকের পিছনে ঘুরছে, তাও আর ঘুরবে না। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রেল দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন। সুকান্তবাবু বলেন, আহতদের আর্থিক সাহায্যের জন্য স্থানীয় নেতারা প্রথমে চেক দিলেও, তারপর আবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে, সেই চেক ঘটা করেপুনরায় প্রদান করেছেন। এটা রীতিমতো আহত ব্যক্তিদের হেনস্থা ছাড়া আর কিছু নয়। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী যখন চেক বিলি করছিলেন, সেই সময় মন্তব্য করেন, ‘সিবিআই এখন বাথরুমেও ঢুকছে’। আর তাঁর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্তবাবু বলেন, টাকা-সোনা যদি তৃণমূল নেতাদের বাথরুমেও রাখা থাকে, তাহলে বাথরুমেও সিবিআই-ইডি ঢুকবে। কেন্দ্র সরকারের ৯ বছর পূরণের উপলক্ষে বিজেপি সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষের বাড়িতে গিয়ে জনসম্পর্ক অভিযান করছে। কবি অরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে এই সুবাদেই যাওয়া সুকান্ত মজুমদারের। অরুণবাবু অবশ্য বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Paschim Medinipur: তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতেই জেলায় শুরু বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান

    Paschim Medinipur: তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতেই জেলায় শুরু বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ হতেই ময়দানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং দলের কার্যকর্তারা। রবিবার থেকেই একাধিক জায়গায় কর্মসূচি করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সামনেই পঞ্চায়েত এবং লোকসভার ভোট। আর তাকে লক্ষ্য করেই ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বিজেপি এবার শুরু করে দিল জনসম্পর্ক অভিযান।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) কোথায় গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    রবিবার কেশিয়াড়িতে জনসম্পর্ক সভা করেন সুকান্ত মজুমদার। তারপরই সোমবার সকালে ডেবরার (Paschim Medinipur) পিংলা ব্লক এলাকায় বিশেষ জনসম্পর্ক অভিযান করেন তিনি। গত ন-বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের নানাবিধ প্রকল্প এবং সুবিধার কথা তিনি সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বলার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।

    কী বলেন সুকান্ত মজুমদার?

    রাজ্য সরকারের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে পিংলায় (Paschim Medinipur) সুকান্ত মজুমদার বলেন, কাকু হোন বা ডাকু হোন, বাঁচবে না কেউ। মুখে কুলুপ দেন আর কুলপি নিন, যাই করে থাকুন না কেন, কীভাবে কথা বের করতে হয়, সিবিআই-ইডি সব জানে। সব কথা প্রকাশ পাবে, গোপনে কিছুই থাকবে না। সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন গোটা দেশে ৫৪০ টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই সঙ্গে ১৪০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৮০০ টির বেশি ঘটনায় লাইনচ্যুত হয় রেল। মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করছেন! কিন্তু তার আগে তো ডবল ডবল পদত্যাগ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ রাজ্যে ডবল ডবল চাকরি হয়নি। এই প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু আরও বলেন, এই মুখ্যমন্ত্রীর সময়েই জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এই দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসতে দেননি তিনিই। এর কারণ, মূলচক্রী মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতো এখন তাঁরই দলের লোক। ঠিক এই ভাবেই জনসম্পর্ক অভিযানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: মমতার তত্ত্বকে খারিজ করলেন রেলমন্ত্রী! জানালেন দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ

    Train Accident: মমতার তত্ত্বকে খারিজ করলেন রেলমন্ত্রী! জানালেন দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) নিয়ে মমতার তত্ত্বকে খারিজ করলেন রেলমন্ত্রী। তাঁর মতে, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সীমিত জ্ঞান থেকে এধরনের কথাবার্তা বলছেন।’’ রবিবার দুপুরে দুর্ঘটনার কারণও জানালেন রেলমন্ত্রী । আগামী বুধবারের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদী অশ্বিনী বৈষ্ণব। প্রসঙ্গত শনিবার সকালে দুর্ঘটনার কারণ হিসেব ‘কবচ তত্ত্ব’-এর কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রেলের অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস ‘কবচ’ না থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ রুখতে এবং রেলযাত্রীদের সুরক্ষায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে চালু করা হয় অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম বা কবচ। এই সিস্টেমের মাধ্যমে এক লাইনে কিংবা পাশাপাশি ট্র্যাকে দু’টি ট্রেন চলে এলে অ্যালার্ট করবে আধুনিক ব্যবস্থা। রবিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবিকেই খারিজ করলেন রেলমন্ত্রী। পাশাপাশি দুর্ঘটনার (Train Accident) জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।

    কী বললেন রেলমন্ত্রী? 

    দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সমস্ত কামরাই ছিল আধুনিক এবং নিরাপদ এইচএলবি কোচ, এমন কথা রেলমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন। এদিন তিনি বলেন, ‘‘ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের পরিবর্তনের কারণেই বালাসোরে ঘটে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনা।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘কবচের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই…’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি বিষয়টি তদন্ত করেছেন। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং পরিবর্তনের কারণে দুর্ঘটনাটি (Train Accident) ঘটেছে। তদন্ত রিপোর্ট আসুক তারপর এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেশ করা হবে।’’ রেলমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বুধবার সকালের মধ্যে এই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সমস্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আমাদের লক্ষ্য এই ট্র্যাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেন চালু করা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দ্রুত কাজ চলছে।’’ 

    দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে

    দুর্ঘটনার দিন থেকেই সমান তালে সবকিছু খতিয়ে দেখছেন রেলমন্ত্রী। রবিবার দুপুরেও অশ্বিনী বৈষ্ণব রেলওয়ে ট্র্যাক মেরামতের কাজ পরিদর্শন করেন। বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর, ট্র্যাক পরিষ্কার এবং পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। এদিন তিনি বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে অভিষেকের নবজোয়ারের পাল্টা মহামিছিলের ডাক শুভেন্দুর!

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে অভিষেকের নবজোয়ারের পাল্টা মহামিছিলের ডাক শুভেন্দুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে বুধবার নন্দীগ্রামে জনসভা করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তারই পাল্টা হিসেবে নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীকে হারানো বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তাঁর গড়ে পাল্টা মহামিছিলের ডাক দিলেন। জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০ জুন নন্দীগ্রামে মহামিছিল করতে দেখা যাবে বিরোধী দলনেতাকে। দলের অন্যতম নেতা নন্দীগ্রামের প্রলয় পাল তেমনটাই জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই শহরে ইডি প্রধান! বড় কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি?

    অভিষেকের সভায় ছিল বহিরাগতদের ভিড়, অভিযোগ বিজেপির

    ১ জুন অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে বাইরে থেকে প্রচুর লোক আমদানি করা হয়েছিল বলে বিজেপির দাবি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত কুড়ি কিলোমিটার পদযাত্রা করা হয়। যার ফলে সেখানে নন্দীগ্রাম বিধানসভার বাইরেও অনেকে জড়ো হন। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, ২০ জুন কোনও বহিরাগত নয়, নন্দীগ্রামের মানুষকে নিয়েই মিছিল করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    রাজ্য রাজনীতির অন্যতম ভরকেন্দ্র নন্দীগ্রাম

    নন্দীগ্রামের নাম প্রথম খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল ১৬ বছর আগে, ২০০৭ সালের ১৪ জুন। সেখানে গুলি করে কৃষক হত্যার অভিযোগ উঠে তৎকালীন বামপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে। তারপরই রাজ্য জুড়ে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে বামফ্রন্টের বিপক্ষে। সেই আঁচ এতটাই প্রবল ছিল যে পরবর্তীকালে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ধুয়ে মুছে যায় বামফ্রন্ট সরকার। পরে আবার ২০২১ সালে খবরের শিরোনামে আসে নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামের দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই হাই ভোল্টেজ লড়াই শুরু হয় বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। সেখানে প্রার্থী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলাফল সামনে আসতে দেখা যায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পরাস্ত হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: দিনহাটায় বাড়িতে ঢুকে মায়ের সামনেই বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: সরকারি স্কুলে তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে ‘পান্তা ভাত উৎসব’! সরব বিরোধীরা  

    Durgapur: সরকারি স্কুলে তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে ‘পান্তা ভাত উৎসব’! সরব বিরোধীরা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের (Durgapur) বেনাচিতি হাই স্কুল হল একটি সরকারি বিদ্যালয়। অথচ সেই স্কুলের ভিতরেই উড়ছে তৃণমূলের পতাকা, চারদিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং মহিলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তীর ছবিতে ছয়লাপ। এই ঘটনা দেখে বিরোধীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাসক দলের রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন।

    দুর্গাপুরে (Durgapur) কী ঘটেছে স্কুলে?

    দুর্গাপুর (Durgapur) শহরের ১৫ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ওই ‘বিশাল পান্তা ভাত উৎসব’-এর আয়োজন করা হয়। সরকারি স্কুল ভরে যায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আনাগোনাতে। বেনাচিতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিতর পান্তা ভাত উৎসব করে বিতর্কের শিরোনামে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল নেতৃত্ব। আর একেই হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিকায় পরিষ্কার বলা ছিল, কোনও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক রং লাগানো যাবে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে এই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই। অথচ ‘বিশাল পান্তা উৎসব’-এর আয়োজন বিদ্যালয়ের ভিতরেই। মেনুতে ছিল পান্তা ভাত, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, গন্ধরাজ লেবু, আলুভাজা, পেঁয়াজি, পোস্তর বড়া, মাছের কালিয়া, চাটনি, পাঁপর, সব শেষে মিষ্টি। স্কুলে কয়েকশো অতিথি আমন্ত্রিত ছিল এদিন। পান্তা উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা সভানেত্রী অসিমা চক্রবর্তী এবং ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    বেসরকারি হোটেল বা লজে না করে সরকারি বিদ্যালয়ে (Durgapur) এই উৎসব করে বিদ্যালয়কে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনায় এভাবেই সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। সিপিআইএম-এর তরফ থেকে বলা হয়, এই তৃণমূল সরকারের আমলে শিক্ষাঙ্গনগুলি রাজনীতির আঙিনায় পরিণত হয়েছে।

    জেলার (Durgapur) তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য

    বিরোধীদের সমালোচনাকে পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী বলেন, গ্রীষ্মের ছুটি চলছে। বিদ্যালয়  (Durgapur) কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তাঁরা এই অনুষ্ঠান করছেন। তিনি আরও জানান, বেসরকারি হোটেল বা লজে অনুষ্ঠান করার মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই। আর সেজন্যই তাঁরা বিদ্যালয়ের ভিতর এই অনুষ্ঠান করেছেন। সরকারি স্কুল প্রাঙ্গণকে এভাবে রাজনৈতিক দলের কর্মক্ষেত্র কীভাবে বানানো যায়? সেই বিষয়ে শিক্ষাবিদরাও প্রশ্ন তুলছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh in Egra: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দিলীপ

    Dilip Ghosh in Egra: “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড”! এগরায় গিয়ে রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাধীকে সঠিক সাজা দেওয়া হচ্ছে না। “গুরু পাপে, লঘু দণ্ড” দেওয়া হচ্ছে। তাই এগরায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এআইএ তদন্ত প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh in Egra)। এদিন তিনি কার্যত বিনা বাধাতেই এলাকা ঘুরে দেখেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। এরপরই গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি।

    এগরায় দিলীপ যা বললেন

    এদিন বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh in Egra) বলেন, “যে ধরনের ধারা দেওয়া হয়েছে, আমরা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখলাম, সাধারণ পাড়ায় মারপিট করলেও এর চেয়ে কঠিন ধারা দেওয়া হয়। আমরা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করলে এর থেকে কঠিন ধারা আমাদের দেওয়া হয়। পুরো সমাজবিরোধী কাজ হয়েছে।” স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তিনি বলেন, “স্থানীয়রা বলছে ২২ জন মারা গিয়েছেন। এর আগেও ওরা অপরাধ করেছে। এত বড় বিস্ফোরণ হল আর কোথাও বিস্ফোরণের ধারা নেই। দুমাস বাদে জামিন পেয়ে চলে আসবে। আবার বিজনেস শুরু হয়ে যাবে। আমার মনে হয় রাজ্য সরকার ও পুলিশ চাইছে এই ধরনের কাজ বন্ধ না হোক। পরোক্ষে ওরা সাপোর্ট করছে।”

    বিনা বাধায় ঘটনাস্থলে যান দিলীপ

    এদিন সংসদ দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh in Egra) সঙ্গে ছিলেন রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপ কুমার চক্রবর্তী ও জেলা কমিটির সভাপতি সুদাম পন্ডিত। বোমা বিস্ফোরণে মৃত মাধবী বাগ ও অন্যান্য পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। বুধবারই এগরায় গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল নেতা মানস ভুঁইয়া। শুনেছিলেন চোর চোর স্লোগান। কার্যত তাড়া খেয়ে এলাকা ছেড়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। তবে বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতাদের তেমন কোনও পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি। তাঁরা এলাকায় গিয়ে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন।

    আরও পড়ুন: অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেক

    এগরায় বিস্ফোরণ স্থল ঘুরে দেখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। জেলা পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছিলেন তিনিও।  এমনকি আগামী দিনে এগরা থেকে মহা মিছিলের ডাক দেন তিনি। উল্লেখ্য, গত বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ব্লকে খাদিকূল গ্রামে একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা এই ঘটনায় হতাহত হন। বাজি তৈরির নাম ওই কারখানায় বোমা তৈরি হতো বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিনা নথিতে কিভাবে দিনের পর দিন এভাবে বাজি তৈরি হতো তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Health: তিন বছরের প্রশিক্ষিত ‘চিকিৎসক’ রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়াবে, মত বিশেষজ্ঞদের!

    West Bengal Health: তিন বছরের প্রশিক্ষিত ‘চিকিৎসক’ রাজ্যবাসীর বিপদ বাড়াবে, মত বিশেষজ্ঞদের!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (West Bengal Health) চিকিৎসকের ঘাটতি কমাতে এবার তিন বছরের প্রশিক্ষিত চিকিৎসক তৈরি করা হবে। যার পোশাকি নাম দেওয়া হবে ‘হেলথ প্রফেশনাল’! আর এতেই রাজ্যবাসীর জন্য আরও ভোগান্তির দিন অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্যক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ মহলের।

    কী বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? 

    দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে (West Bengal Health) চিকিৎসকের চাহিদা মেটাতে তৈরি করা হবে ‘হেলথ প্রফেশনাল’! তিন বছরের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতেই তাঁরা সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করবেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, হেলথ প্রফেশনালরা মূলত গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা করবেন। ইতিমধ্যেই একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, চিকিৎসক মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য সহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে ওই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।

    কী ভোগান্তির আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে আরও ভোগান্তি বাড়বে সাধারণ মানুষের! কারণ, তিন বছরে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পর্যাপ্ত পাঠ পাবেন না এই হেলথ প্রফেশনালরা। কিন্তু তাঁদের কাছে রোগমুক্তির জন্য আসবেন সাধারণ মানুষ। অথচ সম্পূর্ণ প্রশিক্ষণের অভাবে তাঁরা ঠিকমতো রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করতে পারবেন না। ফলে, ভোগান্তি বাড়বে সাধারণ মানুষের। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, এই ধরনের হেলথ প্রফেশনালরা মূলত গ্রামে পরিষেবা দেবেন। এর ফলে গ্রাম ও শহরের মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা (West Bengal Health) পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও বৈষম্য তৈরি হবে, যা একেবারেই কাম্য নয়। এই ধরনের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া কতখানি নৈতিক ও আইনসঙ্গত, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    কী বলছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসক শারদ্বৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্বাস্থ্যক্ষেত্র (West Bengal Health) কার্যত ভেঙে পড়বে। এমন সিদ্ধান্ত রাজ্যবাসীর জন্য একেবারেই ইতিবাচক নয়। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো এমনিতেই তলানিতে। তার উপর এমনভাবে চিকিৎসক ঘাটতি কমাতে গেলে বিপদ আরও বাড়বে। কারণ, শরীরের জটিল রোগ নির্ণয় ও প্রতিকারের উপায় নির্ধারণ করতে হলে সম্পূর্ণ জ্ঞান প্রয়োজন। অনেকক্ষেত্রে চিকিৎসায় দেরিও হয়ে যেতে পারে!” চিকিৎসক পূর্ণব্রত গুণ বলছেন, গ্রাম ও শহরের বৈষম্য বাড়বে। স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়ার মতো মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রেও বঞ্চনা তৈরি হচ্ছে এমন সিদ্ধান্তে! শহরের মানুষ সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের থেকে পরিষেবা পাবেন। কিন্তু গ্রামের মানুষের জন্য সরকার বরাদ্দ করছে হাতুড়ে ডাক্তার! এ তো মৌলিক অধিকার খর্ব করা! শুধু রাজ্যবাসীর ভোগান্তিতেই এই সমস্যা শেষ নয়। রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্কেও এই সিদ্ধান্তের সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক অর্জুন দাশগুপ্ত! তিনি বলেন, “রোগী ও চিকিৎসকের সম্পর্ক নানা ঘটনার জেরে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময় এরকম সিদ্ধান্ত সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটাতে পারে। কারণ, অনেক সময়ই এই হেলথ প্রফেশনালরা ঠিকমতো রোগ নির্ণয় করতে পারবেন না। প্রশিক্ষণ ঠিকমতো না থাকায় নানা জটিলতা তৈরি হবে। কিন্তু সাধারণ মানুষ চিকিৎসক ও হেলথ প্রফেশনালদের মধ্যে ফারাক হয়তো ঠিকমতো মনে রাখতে পারবেন না। ফলে, অবিশ্বাস তৈরির সুযোগ আরও বাড়বে।” 

    সবমিলিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনাই করছেন অধিকাংশ চিকিৎসক!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share