Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Suvendu Adhikari: “স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন!”, সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন!”, সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্যকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিনে সিমলা স্ট্রিট থেকে রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা সরকারকে কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আজ রাজ্যে শিক্ষার যা অবস্থা তাতে, স্বামীজি বেঁচে থাকলে বাংলা থেকে প্রস্থান করতেন। অন্য কোনও দেশে আশ্রয় নিতেন।” এদিন বিরোধী দলনেতা বিজেপি যুব মোর্চার ইয়ং ইন্ডিয়া রান কর্মসূচিতেও অংশ নেন। 

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন, “রাজ্যে শিক্ষার যা অবস্থা তাতে পুরো শিক্ষা দফতরটাই জেলে।” স্বামীজি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, “জন্মভিটায় আসার রাস্তায় স্বামীজির ছবিগুলি ছোট ছোট। সেখানে কোনও একজন কার্বাইড দিয়ে পাকানো রাজনৈতিক নেতার বড় বড় কাট আউট। এই সংস্কৃতি ভাল নয়। ভয়ঙ্কর সংস্কৃতি। স্বামীজির সঙ্গে ছবি দেওয়া তো দূরের কথা, নাম দেওয়ার আগে ভাবতে হয়।” বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, এই প্রথম স্বামীজির বাড়িতে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যাঁদেরকে একটা কুকুরও চাঁটবে না, তাঁদের জন্য মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে, বলেন তিনি। 
     
    সাংবাদিকরা যাতে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) অভিষেকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তুলে না ধরেন, সেই কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “অভিষেক আসেন বিকেলে। গত ২৫-২৬ বছর ধরেই ১২ জানুয়ারির সকালে আমি স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসি। আমি ওঁর কাউন্টার পার্ট নই। অ্যান্টিকে হারিয়েছি।” বিবেকানন্দের বাণী উল্লেখ করে বলেন, “আমি-আমি করিও না। আমরা আমরা করিও।”        

    এদিন স্বামীজির সিমলা স্ট্রিটে বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “স্বামীজি ছিলেন, যুব সমাজের আইকন। আর আজ যাঁদের যুব সমাজের আইকন বলে প্রচার করা হচ্ছে, তাঁদের কখনও ইডি আর কখনও সিবিআই ডাকে।”

    গঙ্গা আরতি বিতর্ক 

    গঙ্গাঘাটে আরতি প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “আমরা যে ঘাটে গঙ্গা আরতি করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম সেখানে আমাদের গঙ্গা আরতি করার বিষয়ে বাধা দিলেও মুখ্যমন্ত্রী সেই জায়গাতেই আরতি ঘাট চূড়ান্ত করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছদ্মবেশ সবাই ধরে ফেলেছেন।” মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এদিন সুকান্ত আরও বলেন, “গেরুয়া বসন পরলেই হিন্দুত্ব প্রমাণ হয় না। ভোটের সময় গেরুয়া বসন পরলেই সবাই হিন্দু হয়ে যায় না। আমরা চাই রাজ্যের সব জায়গায় গঙ্গা আরতির ঘাট তৈরি করা হোক। তবে উনি সরকারি নোটিফিকেশন বের করুন যে, সবাই গঙ্গা আরতি করতে পারবে। শুধু বিজেপির কেউ করতে পারবে না। কারণ বিজেপির সব কিছুতেই তো উনি বাধা দেন।”

    প্রসঙ্গত, কলকাতার বাবুঘাট সংলগ্ন বাজাকদমতলা গঙ্গার ঘাটে গঙ্গা আরতি করার বিষয়ে জায়গা চূড়ান্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারাণসীর ধাঁচে এবার কলকাতাতেও গঙ্গা আরতি শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেতারা। 

    আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি, কারখানায় আয়কর হানায় উদ্ধার কোটি কোটি টাকা

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “নকল হিন্দুদের মানুষ বিশ্বাস করে না। মুখ্যমন্ত্রী সনাতনীদের কতটা ঘৃণা করেন তা বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনে হাওড়া স্টেশনে এসে জয় শ্রীরাম স্লোগান শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাই গঙ্গায় আরতি করুন আর গঙ্গায় ঝাঁপ দিন, কোনও কিছুতেই লাভ হবে না। বাংলার সনাতনীরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল, আজ তাদের জাগরণ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। আর কিছুটা বাকি আছে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রাক্তন হয়ে যাবেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Vande Bharat: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, মমতার ‘গোঁসা’য় তাল কাটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে

    Vande Bharat: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, মমতার ‘গোঁসা’য় তাল কাটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) স্টেশনে ফিরল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের স্মৃতি! ফের সরকারি অনুষ্ঠানে দেওয়া হল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। তার জেরে মঞ্চেই উঠলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসে’র যাত্রার সূচনা করলেন মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে সবুজ পতাকা নেড়ে। রাজ্যপালের অনুরোধে দিলেন বক্তৃতাও। তবে সেটাও করলেন মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়েই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই বিসদৃশ আচরণে তাল কাটল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের।

    বন্দে ভারত এক্সপ্রেস…

    শুক্রবার হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্লাটফর্মে আয়োজন করা হয়েছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তবে এদিন ভোরে মা হীরাবেন মোদি প্রয়াত হওয়ায় ভার্চুয়ালি ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন মোদি। এই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত হয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মন্ত্রী নিশীথ অধিকারী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। সেই সময় দর্শকদের একাংশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করেন। দর্শকদের থামানোর চেষ্টা করেন রেলমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: কোনও কথা বললেন না, কর্তব্যে অবিচল! সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    রেলের পদস্থ আধিকারিকরাও চেষ্টা করেন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার। পুরো সময়টাই গম্ভীর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। মঞ্চে ওঠেননি। হাতজোড় করে তাঁকে মঞ্চে ওঠার অনুরোধ জানান রেলমন্ত্রী স্বয়ং। তার পরেও পুরো অনুষ্ঠান পর্ব মমতা বসে রইলেন মঞ্চের পাশের একটি চেয়ারে। রাজ্যপালের অনুরোধে অবশ্য বক্তব্য রাখতে রাজি হন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়েই ভাষণ দেন তিনি। সেখান থেকেই সবুজ পতাকা নেড়ে সূচনা করেন বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসের যাত্রার। এদিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত মা হীরাবেন মোদির উদ্দেশে শোকজ্ঞাপন করেন মমতা। আলাদা করে উল্লেখ করেন জোকা-তারাতলা মেট্রোর কথাও। এদিন ভার্চুয়ালি এই মেট্রোর সূচনাও করেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও রেলমন্ত্রী থাকার সময় এই মেট্রো প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মমতা স্বয়ং। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমরিয়ালে নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানেও প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠতেই দর্শক আসনে থাকা দর্শকদের একাংশ জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করেন। ক্ষোভে সেদিন বক্তৃতা মাঝ পথে থামিয়ে দিয়েছিলেন মমতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sourav Ganguly: সৌরভ কেন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নন? মমতাকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Sourav Ganguly: সৌরভ কেন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নন? মমতাকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরভকে (Sourav Ganguly) বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করার দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । তাঁর প্রশ্ন বাংলাকে প্রতিনিধিত্ব করতে একজন অবাঙালিকে বেছে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সৌরভ যখন বাংলার গর্ব তাহলে কেন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নন? সৌরভের প্রতি এখন এত উদার কেন মুখ্যমন্ত্রী? অতীতে তো সৌরভকে যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি। এখন কুম্ভীরাশ্রু শুধুই রাজনীতির স্বার্থে নয় তো? সোমবার প্রেস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: আইসিসি-তে যান দাদা! সৌরভের হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি মমতার

    উল্লেখ্য, সোমবারই উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বিসিসিআই (BCCI) প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাদ যাওয়া নিয়ে সরব হন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে উনি অনুরোধ জানান সৌরভকে যেন ভারত থেকে আইসিসি-তে পাঠানো হয়। এ প্রসঙ্গে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আর্জি জানালে প্রধানমন্ত্রী কেন শুনবেন? উনি যে প্রধানমন্ত্রীকে কোমরে দড়ি পরে ঘোরানোর কথা বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলেন কিম্ভূত, কিমাকার, তার বেলা। আর প্রধানমন্ত্রী খেলার বিষয়ে নাক গলান না।  আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে কুম্ভীরাশ্রু ফেলার কোনও দরকার নেই। পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করেছেন শাহরুখ খানকে। আপনার যদি সত্যিই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে মর্যাদা দেওয়ার ইচ্ছে থাকত আপনি অনেক আগেই তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর করতেন।’

    আরও পড়ুন: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন রজার বিনি! জানেন তিনি কে?

    ২০১৯ সালে বিসিসিআই-র সভাপতি হন সৌরভ। তিন বছরের মেয়াদে ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। সৌরভের আমলেই দিন-রাতে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারতে। এমনকী, কোভিড আবহে সফল আইপিএলও। সূত্রের খবর, বোর্ডের প্রসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন সৌরভ, কিন্তু বোর্ডের বাকি সদস্যের সমর্থন পাননি। তাঁকে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সবিনয়ে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন মহারাজ। এরপর ইডেনে দাঁড়িয়ে সৌরভ নিজেই জানিয়ে দেন, সিএবি নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়বেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata-Modi-Sourav:  আইসিসি-তে যান দাদা! সৌরভের হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি মমতার

    Mamata-Modi-Sourav: আইসিসি-তে যান দাদা! সৌরভের হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরভের হয়ে ব্যাট ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) হয়ে অনুরোধ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে সোমবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন,  “আইসিসিতে যাওয়ার জন্য সৌরভ যোগ্য। তাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব সৌরভ যেন আইসিসি-র ভোটে লড়তে পারে তা দেখবেন। ও বঞ্চিত। সরকারের কাছে আর্জি এটা রাজনৈতিক বিষয় নয়, সৌরভ যোগ্য ওকে আইসিসিতে পাঠানো হোক।”

    আরও পড়ুন: নামিবিয়ার জয়ে ভারত কী গ্রুপ অফ ডেথ-এ! জানেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নয়া সমীকরণ?

     সম্প্রতি বিসিসিআই-এর সভাপতির পদ থেকে বাদ পড়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়৷ মমতা উত্তরবঙ্গ সফরের আগে সেই প্রসঙ্গ তুলেই বললেন, “আমি একটা কথা আপনাদের বলব৷ সারা বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমীদের পক্ষ থেকে বলব, সৌরভ আমাদের গর্ব৷ সৌরভ দক্ষতার সঙ্গে মাঠেও খেলেছে, প্রশাসনেও কাজ করেছে৷ ও বিসিসিআই-এর সভাপতি ছিল৷” উল্লেখ্য, সৌরভের সঙ্গেই বিসিসিআইয়ে সচিব ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে জয় শাহ। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দুই জনেই আরও একটি টার্ম পদে থাকতে পারতেন। কিন্তু জয় শাহ থাকলেও সৌরভকে বাদ দেওয়া হয়। এ নিয়ে ক্রমাগত জলঘোলা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: শেষ ওভারে শামি ম্যাজিক! অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ী ভারত 

    এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী সৌরভের হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন,”সৌরভকে যে ভাবে অন্যায় ভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেটা একমাত্র পূরণ হতে পারে,সৌরভ আইসিসির প্রেসিডেন্ট হল। বিসিসিআই তাঁকে আইসিসিতে মনোনীত করুক। জগমোহন ডালমিয়াও বিসিসিআই থেকে আইসিসি-তে গিয়েছিলেন, সে ভাবে দেখতে গেলে সৌরভও আইসিসির প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়তে পারেন৷” মমতার এই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “বিজেপির সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সখ্যতা ছিল, আছে এবং থাকবেও। এই বিতর্ক জুড়ে উনি সৌরভের প্রতিষ্ঠা, সম্মান ও মর্যাদাহানি করছেন।” তাঁর প্রশ্ন, সৌরভ যদি বাংলার গর্ব হন তাহলে শাখরুখ কেন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hooghly: “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি”, বলাগড়ের সভায় স্পষ্ট ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    Hooghly: “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি”, বলাগড়ের সভায় স্পষ্ট ইঙ্গিত শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ হুগলির (Hooghly) বলাগড়ে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের প্রচারের জন্য বিজয় সংকল্প সভা হয়। এই সভায় যোগদান করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি।” কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার হওয়ার কথা বলে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি এবং ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে, তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন।

    সভা থেকে কী বললেন (Hooghly)?

    বলাগড়ে (Hooghly) বিজেপির সভা থেকে শুভেন্দু তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “সবেমাত্র ভোর হয়েছে। অনেকে জেলে রয়েছেন। সন্ধ্যা এখনও বাকি। এসএসসি মামলায় গ্রেফতার অয়ন শীলের কাছ থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা ডাউনলোড করা হয়েছে। পুর নিয়োগ, ফায়ার ব্রিগেড সার্ভিস, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে কীভাবে দুর্নীতি করা হয়েছে, তার তথ্য উদ্ধার হয়েছে। আমরা সারা দেশে ৫৪৩ সিটে লড়াই করছি। তৃণমূল লড়াই করছে বাংলায় ৪২, অসমে ১, মেঘালয়ে ১ এবং উত্তরপ্রদেশে ১ টি আসনে। সরকার গঠনে লাগবে ২৭২। ফলে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা, এটা আপনারা জেনে রাখুন। তোলামূল আগে জাতীয় দল ছিল। কিন্তু ত্রিপুরা-নাগাল্যান্ডে হারের পর আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। বাংলার মেয়েকে প্রধানমন্ত্রী চাই, এই কথা প্রথমে বললেও এখন আর বলে না। গরুর গাড়িতে হেডলাইট এবং স্যান্ডো গেঞ্জিতে যেদিন বুক পকেট লাগবে, সেই দিন পিসি প্রধানমন্ত্রী হবেন।”

    আর কী বললেন?

    হুগলির (Hooghly) সভা থেকে মমতাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, “যতই করো কান্নাকাটি, ধরা পড়েছে মাফলার, এবার যাবে হাওয়াই চটি। হাওয়াই চটির অবস্থা কী হতে পারে সকলেই দেখতে পারবেন।” আবার সিপিএমকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “এদের কোথাও অস্তিত্ব নেই। কেবলমাত্র ভোট কাটার জন্য দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলকে সুবিধা দিতে সিপিএম কাজ করছে। ২০২১ সালের লোকসভা নির্বাচনে বলাগড়, তেলেনিপাড়া, চন্দননগর, আদি সপ্তগ্রামে আমাদের ভোট কেটে তৃণমূলকে জয়ী করে সুযোগ করে দিয়েছে। চোর ভাইপোর সঙ্গে মীনাক্ষী-শতরূপের জ্যাঠামশাই সীতারাম ইয়েচুরি পাটনা, দিল্লি, বেঙ্গালুরুতে কাটলেট খেয়েছেন। তাঁরা ইটিং মিটিং সেটিং করেন মাত্র। সিপিএমকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। দেশটা যাতে ইউক্রেন না হয়, তাই শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী দরকার। তাই মোদি সরকার আরও একবার দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন সংবিধান লেখার পরামর্শ সুকান্তর, কেন?

    Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন সংবিধান লেখার পরামর্শ সুকান্তর, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন সংবিধান লেখার পরামর্শ দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেই সঙ্গে গার্ডেনরিচ কাণ্ডে কলকাতার মেয়র রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দুঃখ প্রকাশ করা নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। সম্প্রতি, শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের মাতৃ বিয়োগ হয়েছে। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

     মুখ্যমন্ত্রীকে কেন নতুন সংবিধান লেখার পরামর্শ সুকান্তর? (Sukanta Majumdar)

    তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন তাঁর ট্যুইটে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে লোকসভা নির্বাচন করার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন বিজেপির নির্দেশেই আধিকারিক নিয়োগ করছে। নির্বাচন কমিশন বিজেপির ক্যাম্প অফিস হয়ে উঠেছে। এনিয়ে এদিন প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “ডেরেক ও’ব্রায়নের এত ঝামেলা করার কোনও দরকার নেই। আমি তাঁকে বলবো বাজার থেকে একটা মোটা গোব্দা খাতা কিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে। সেই খাতায় মুখ্যমন্ত্রী নতুন করে সংবিধান লিখুন। ডেরেক ও’ব্রায়েন সেটা সংশোধন করে ইংরেজিতে তর্জমা করবেন। তাহলে তাদের সব ঝামেলা মিটে যাবে।” নাগরিকত্ব সংশোধন আইন লাগু করার ক্ষেত্রেও তৃণমূল বিরোধিতায় নেমেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই  সংবিধান না জেনে তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের বিরোধিতা করছে। সে জন্যই তৃণমূলকে তাদের পছন্দ মতো সংবিধান রচনার পরামর্শ  দিয়েছেন বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

     গার্ডেনরিচ কাণ্ড নিয়ে ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ সুকান্তর

    গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙ্গে পড়ার ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতার দিকটি প্রমাণিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বীকার করেছেন, ওই বহুতল এই নির্মাণ অবৈধভাবে হচ্ছিল। তাতে সমালোচনার ঝড়ের মুখে কলকাতার মেয়র ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মেয়রের সাফাই,  যাদের ওপর ভরসা করেছিলেন তারা তাঁর কথা শোনেনি। এ প্রসঙ্গে এদিন প্রশ্ন করা হলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দুঃখ প্রকাশ করে লাভ নেই। এটাই তৃণমূল সরকারের কালচার। দুঃখ প্রকাশ করে এককালীন কিছু টাকা দিয়ে তৃণমূল মানুষের জীবনের মূল্যায়ন করে। ব্যর্থতা,অনিয়ম আড়াল করার জন্য  এই দুঃখ প্রকাশের কোনও মূল্য নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ১৭-য় থামবে তৃণমূল! বাংলায় বিজেপি পাবে ২৫ আসন, দাবি ‘নিউজ ১৮’-এর সমীক্ষায়

    Lok Sabha Election 2024: ১৭-য় থামবে তৃণমূল! বাংলায় বিজেপি পাবে ২৫ আসন, দাবি ‘নিউজ ১৮’-এর সমীক্ষায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। এখনও ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি। দফায় দফায় প্রার্থী ঘোষণা করছে দলগুলি। তার মধ্যেই চলছে জনমত সমীক্ষা। সম্প্রতি ‘নিউজ ১৮ মেগা ওপিনিয়ন পোল’ (News 18 Mega Opinion Poll) অনুযায়ী, দেখা গিয়েছে বাংলায় মাত্র ১৭টি আসন পাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি পাবে ২৫টি আসন।

    কী বলছে সমীক্ষা

    ইতিমধ্যেই বাংলার ২০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস ৪২ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় চমকে দেওয়ার মতো ফল চোখে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের (Lok Sabha Election 2024) মধ্যে ২৫টিতে জিততে পারে বিজেপি, আর শাসক দল তৃণমূল আটকে যেতে পারে মাত্র ১৭টি আসনে। অন্যদিকে কংগ্রেস এবং সিপিআই(এম) এর মতো অন্যান্য দলগুলি তাদের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে না। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নজরে এখন দক্ষিণ এবং পূর্ব ভারত৷

    সমীক্ষা বলছে, কেন্দ্রের শাসক দলকে পূর্ব ভারত খুব একটা হতাশ করবে না। সমীক্ষা বলছে, কেন্দ্রের শাসক দলকে পূর্ব ভারত খুব একটা হতাশ করবে না। জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী, এবার বাংলা থেকে গেরুয়া শিবির জিততে পারে দমদম, কৃষ্ণনগর, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বনগা, হুগলি, আরামবাগ, তমলুক, কাঁথি, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, আসানসোল-সহ আরও কয়েকটি আসনে। 

    আরও পড়ুন: ‘সরকারি চাকরির মূল্য শুনলে চমকে যাবেন’, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কী বললেন বিচারপতি সিনহা?

    আগের নির্বাচনের ফল

    ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২২টি আসনে জিতেছিল তৃণমূল এবং ১৮টি আসনে বিজেপি, বাকি ২টোয় কংগ্রেস। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে দেখা যায়, বিজেপি মাত্র ৯টি লোকসভা আসনে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে রয়েছে। তবে লোকসভা ভোটের আগে সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ছবিটা পালটে যেতে চলেছে। সম্প্রতি সমীক্ষা চিন্তায় রাখবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কারণ সমীক্ষা অনুযায়ী (News 18 Mega Opinion Poll), তৃণমূল যদি ১৭-তে আটকে যায় তাহলে তা হবে লজ্জার। টিএমসি পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলে থাকাকালীন ২০০৯ সালে ১৯টি আসন পেয়েছিল। এবার সংখ্যা তার চেয়েও কমে যাবে। সমীক্ষা অনুযায়ী রাজ্যে বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দলই ৪২ শতাংশ ভোট পাবে। কিন্তু আসন কমবে তৃণমূলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আমি ইস্তফা দেব, আপনি দেবেন তো?’’ সিএএ ইস্যুতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আমি ইস্তফা দেব, আপনি দেবেন তো?’’ সিএএ ইস্যুতে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘সিএএ চালু হওয়ার পর কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। না হলে আপনি দেবেন তো?’’ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এভাবেই নন্দীগ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সম্প্রতি, সিএএ কার্যকর হওয়ার পরেই হাবড়ার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, এই আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে ডিটেনশন ক্যাম্পের কথাও। যার সিএএ-র (CAA) সঙ্গে দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনও সম্পর্ক নেই। সিএএ নিয়ে মমতাকে রাজনীতি বন্ধ করার আর্জিও জানিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ফারাকটাই বোঝেন না।’’

    কী বললেন শুভেন্দু?

    এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন এ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন যে, আপনারা দরখাস্ত করলে সব নাগরিকত্ব বাতিল করে দেবে। অধিকার বাতিল করে দেবে। এটা এনআরসি-র সঙ্গে যুক্ত। আপনাদের ডিটেনশান ক্যাম্পে নিয়ে যাবে। এই দরখাস্ত করার আগে বারবার ভাববেন বলে ভয় দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ এর পরই মমতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি বিরোধী দলনেতা ও একজন বিধায়ক হিসাবে বলছি- সিএএ (CAA) চালু হওয়ার পর কারোর নাগরিকত্ব গেলে আমি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেব। না হলে আপনি দেবেন তো? সিএএ লাগু হলে কারোর নাগরিকত্ব যাবে না।’’

    মমতাকে তোপ শাহের

    এদিকে বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সিএএ (CAA) ইস্যুতে মমতাকে তোপ দেগে বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত এমন একটি ইস্যুতে আপনি রাজনীতি করছেন। আপনি যদি এভাবে তোষণের রাজনীতি করতে থাকেন আর শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে না চান, তাহলে মানুষ আপনার পাশে আর থাকবে না।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। সই করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং পরেই তা আইনে পরিণত হয়। সিএএ আইনের মূল বিষয় হল ২০১৪ সালের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ ও পারসিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    Amit Shah: “রাজ্যের ক্ষমতা নেই আটকানোর, রাজনীতি করবেন না”, সিএএ নিয়ে মমতাকে ‘শাহি’ তোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হাতজোড় করে বলছি, রাজনীতি করবেন না। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের সঙ্গে অবিচার করবেন না।” বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিএএ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এটাই মনে করিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ‘শরণার্থী’ ও ‘অনুপ্রবেশকারী’র মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না বলেও কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেনাপতি।

    ভোটের রাজনীতি! (Amit Shah)

    সোমবার রাতে দেশজুড়ে লাগু হয়েছ সিএএ। যথারীতি তার পরেই ভোটে ফসল কুড়োতে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি বিরোধী কয়েকটি দল। সিএএ নিয়ে রাজনীতি না করতে বুধবারই অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার ঠিক পরের দিনই একই অনুরোধ করলেন তাঁর সেনাপতি।দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই নির্বাচনে ভোট কুড়োতে সিএএ নিয়ে রাজনীতি করতে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যথারীতি খেলে দিয়েছেন চিরাচরিত হিন্দু-মুসলিম তাস। সিএএ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘সিএএ চালু করে ভোটের আগে বিজেপি হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে’।

    কী বললেন শাহ?

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন অভিযোগেরও মুখের মতো জবাব দিয়েছেন শাহ। বলেন, “যদি আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে এই ধরনের রাজনীতি করেন, তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে অনুপ্রবেশ চলতে দেন, তাহলে মানুষ আপনার সঙ্গে থাকবে না। মমতা জানেন না, কাকে শরণার্থী বলে, আর কাকেই বা বলে অনুপ্রবেশকারী।” বিরোধীদের একই বন্ধনীভুক্ত করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “রাহুল গান্ধী, মমতা কিংবা কেজরিওয়াল – সব বিরোধী দল মিথ্যার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।”

    ‘‘সিএএ কখনওই প্রত্যাহার করা হবে না’’

    তিনি (Amit Shah) বলেন, “আমাদের দেশে ভারতীয় নাগরিকত্ব সুরক্ষিত রাখা আমাদের সার্বভৌম অধিকার। আমরা তার সঙ্গে আপস করব না। সিএএ কখনওই প্রত্যাহার করা হবে না।” শাহ বলেন, “বিরোধীরা তোষণের রাজনীতি করছেন। বিজেপির কাছে সিএএ রাজনীতির বিষয় নয়।” শাহ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে খুব শীঘ্রই ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। সেদিন আর বেশি দূরে নেই। বিজেপি ক্ষমতায় এসে বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে।”

    বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছেন, এরাজ্যে সিএএ হতে দেবেন না। এদিন এই নিয়েও তৃণমূলনেত্রীকে একহাত নেন শাহ। মোদির ডেপুটি মনে করিয়ে দেন, কোনও রাজ্য সিএএ আটকাতে পারবে না। এটা তাদের ক্ষমতায় নেই। শাহ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কোনও ক্ষমতা নেই সিএএ-কে আটকানোর। নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয় সম্পূর্ণ কেন্দ্রর বিষয়, রাজ্যের কোনও ভূমিকা নেই।’’ একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, এখন ভোটের জন্য বিরোধিতা হচ্ছে, কিন্তু পরে সবাই সমর্থন করবেন।

    আরও পড়ুুন: শেখ শাহজাহানের ডেরায় ইডি, সকাল থেকেই সন্দেশখালির নানা প্রান্তে চলছে তল্লাশি

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পাশ হয় সিএএ। লাগু হয়েছে সোমবার। এই আইন অনুযায়ী, মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে কেউ (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কেউ) যদি ভারতে আশ্রয় চান, তাহলে তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে নয়া এই আইন বলে (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতার ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি নেবে না, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মমতার ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি নেবে না, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে তাঁর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুনের (Babun Banerjee) ‘ব্যক্তিগত কাজিয়া’য় বিজেপিকে যাতে না জড়ানো হয়, তা নিয়ে ‘সতর্ক’ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার বিকেলে নদিয়ার রানাঘাটে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে প্রচার সভা শেষে শুভেন্দু জানান, বাবুনের জন্য কখনওই বিজেপির দরজা খোলা ছিল না। বাবুন চাইলেও তাঁকে দলে নেবে না বিজেপি৷ 

    কী বললেন শুভেন্দু

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় গত দু’দিন ধরে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখে চলছিলেন। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে তিনি দাবি করলেন, বাবুনের বিজেপি যোগের সব প্রমাণ তাঁর মোবাইল ফোনে আছে। বিজেপির বিরুদ্ধে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করলেই তিনি সেই প্রমাণ ফাঁস করে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, ‘‘চোরেদের পরিবারের কাউকেই বিজেপি নেবে না! বাবুন বলছে, আমি বিজেপিতে যাব না। আমি বলছি, বিজেপি (BJP) আপনাকে নেবে না। বিজেপি ওই পরিবারকে চোর বলেছে, ওই পরিবারের কাউকে বিজেপি নেবে না। গত দু’দিন বিজেপির সঙ্গে আপনি যা করেছেন, তার সবই আমার মোবাইল ফোনে রয়েছে। আপনি যদি বিজেপিকে নিয়ে কোনও কথা বলেন, হাটে এমন হাঁড়ি ভাঙব, পরের দিন আর মুখ দেখাতে পারবেন না।’’

    বাবুন-মমতা বিরোধ

    হাওড়া কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে পছন্দ নয়, বলে প্রকাশ্যে মত দেন বাবুন। তিনি বলেন, সেখানে অনেক যোগ্য প্রার্থী ছিল। তাই হাওড়া কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়াবেন তিনি। বাবুনের এই মন্তব্যের পরই তাঁর দিদি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ভাইয়ের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করছেন তিনি৷ বাবুনের বিরুদ্ধে তাঁর কাছে অতীতেও অভিযোগ এসেছে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া অবস্থানের পর অবশ্য সুর বদলায় বাবুনের৷ এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাবুনকে বলেছিল, ভাই তোকে এমপি (সাংসদ) করব! ভাইয়ের সঙ্গে চুক্তি ছিল, ২০২১ সালে তাঁকে এমপি করবে। ২০২৪ সালে ভাইকে এমপি টিকিট দেয়নি। একটু ভাগ বাটোয়ারায় কম পড়েছে। তাই এ সব বলছে। আর বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা কথা বলে দিই— পিসিকে যা বলার বলুন। মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আর দিদি নেই। যখন দিদি ছিলেন তখন আমি ওঁর দলে ছিলাম, এখন উনি পিসি। ঠগি পিসিকে যা পারেন বলুন, বিজেপির কথা তুলবেন না।’’

    আরও পড়ুন: শেখ শাহজাহানের ডেরায় ইডি, সকাল থেকেই সন্দেশখালির নানা প্রান্তে চলছে তল্লাশি

    মমতার পরিবারতন্ত্র

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পরিবারতন্ত্রকে প্রশ্রয় দেন তার উদাহরণ দিয়ে এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘২০১১ সালের (Lok Sabha Election 2024) পরে কালীঘাট রোড ও হরিশ মুখার্জির স্ট্রিট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার দখল করেছে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ কোনও পদে ছিলেন না। একে একে কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা পেয়েছেন। তৃণমূলের স্পোর্টস সেলের সভাপতি দায়িত্ব পেয়েছেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাউন্সিলর করেছে, ভাইপোকে দিল্লি থেকে উড়িয়ে নিয়ে এসে প্রথমে সাংসদ, পরে মালিক করে দিয়েছে, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অফ কোম্পানি করে দিয়েছে। এর সঙ্গে যত স্পোর্টসের জায়গা আছে, মোহনবাগান ক্লাব বলুন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব বলুন, বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশন বলুন, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে প্রত্যেককে বসিয়েছে। খেলাধুলার মানুষদের সরিয়ে দিয়েছে। হকির মাঠ থেকে শুরু করে এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে দখল করেনি এই পরিবার এবং সম্পূর্ণ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয় এবং প্রশ্রয়ে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share