Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Locket Chatterjee: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে, আরামবাগে লকেট

    Locket Chatterjee: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে, আরামবাগে লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। বাংলায় যেখানে যেখানে ছোট ছোট সন্দেশখালি হয়ে আছে আগামীদিনে তা বেরিয়ে আসবে। ১লা মার্চ প্রধানমন্ত্রীর আরামবাগে জনসভার আগে মঙ্গলবার আরামবাগে দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) । বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আরও একবার পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন তিনি।  তিনি বলেন,  হুগলি থেকেই আমি দাঁড়াচ্ছি। হুগলি ছেড়ে কোথাও যাব না। হুগলি থেকে জিতেই আবার সংসদে যাব।

    সন্দেশখালিতে নিয়ে সরব বিজেপি সাংসদ (Locket Chatterjee)

    সন্দেশখালিতে ইডি-র ওপর হামলার পর থেকে শাহজাহান ফেরার। শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ থাকা মানুষ একে একে মুখ খুলছেন। জনরোষ আছড়ে পড়েছে সন্দেশখালি জুড়ে। পার্টি অফিসে ডেকে সুন্দরী মহিলাদের পর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। সন্দেশখালির এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ (Locket Chatterjee) বলেন, সন্দেশখালির  ঘটনা খুব দুঃখজনক।‌ সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে থেকে জোর করে জমি দখল করেছিল শাহজাহান বাহিনী। সেই জমি প্রশাসনের মাধ্যমে ফেরানো শুরু হয়েছে। এটা থেকে প্রমাণিত যে সন্দেশখালির ঘটনা সত্য। যা হয়েছে তা উস্কানি নয় এবং সত্য ঘটনাই  মহিলাদের মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে।‌

    মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগলেন লকেট

    লকেট (Locket Chatterjee) বলেন, বিগত ১২বছর ধরে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার বদলে মহিলাদের অত্যাচারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এখান থেকে মহিলা পাচার পর্যন্ত হচ্ছে। খানাকুলে একজন মহিলাকে পুলিশ মেরেছে। এটা মেনে যাও সন্দেশখালির ঘটনার পর রাজ্যের মহিলা শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। এই মহিলা শক্তিই পারবে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে চেয়ার থেকে নামিয়ে আনতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নামেই পথশ্রী, আঙুল দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ! এলাকাবাসী বন্ধ করল কাজ

    Murshidabad: নামেই পথশ্রী, আঙুল দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ! এলাকাবাসী বন্ধ করল কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পথশ্রী প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রী ঢাকঢোল পিটিয়ে উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবের পরিস্থিতি একদম আলাদা। আজ মঙ্গলবার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় এলাকার মানুষ ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছেন। বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) হরিহরপাড়া এবং নবগ্রামের বাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হোক। পাশাপাশি শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি।

    হরিহরপাড়ায় নিম্নমানের সামগ্রীর অভিযোগ (Murshidbad)

    নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করার অভিযোগে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে গেল রাস্তা নির্মাণের কাজ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) হরিহরপাড়া থানার স্বরূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নুড়িতলা মাঠ এলাকায়। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ৪.২ কিলোমিটার রাস্তা, এক কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কাজ চলছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানে লোচনমাটি মাঠ থেকে স্বরুপপুর ঘোষপাড়া পর্যন্ত রাস্তার কাজ একেবারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছিল। এদিন গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পাথর যেখানে ৯ ইঞ্চি মোটা রাস্তার কথা, সেখানে করা হচ্ছে মাত্র সাড়ে ৬ থেকে ৭ ইঞ্চি। আবার যেখানে ৩ ইঞ্চি হওয়ার কথা সেখানে দেড় ইঞ্চি হচ্ছে। এমনকী কাজের বোর্ড না টাঙিয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসীরা।

    নবগ্রামে রাস্তার পিচ আঙুল দিয়ে তোলা যাচ্ছে

    এই জেলায় (Murshidbad) পথশ্রী প্রকল্পে নবগ্রাম ব্লকের ঘুরা-পাশ্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১.৪০ মিটার রাস্তার নির্মাণের কাজ পেয়েছে এসএস এন্টারপ্রাইজ। ৩৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৫১ টাকার এই কাজ মিনারেলের বাড়ি থেকে দুর্গা মন্দির পর্যন্ত পিচ রাস্তা নির্মাণ হওয়ার কথা। কিন্তু এই কাজ শেষ হওয়ার পরেই এলাকার মানুষজন বিক্ষোভ দেখান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে আর তাই নতুন রাস্তার প্রলেপকে সামান্য আঙুল দিয়ে স্পর্শ করলে উঠে যাচ্ছে পিচ। ঠিকাদার সংস্থা যেভাবে পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরি করছে তা দু একদিনের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসীরা। অপরে ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার নবগ্রামের বুড়া পাঁচলাই তার কোনও খোঁজ মেলেনি। যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায়নি।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাস্তার প্রসঙ্গ নিয়ে বিজেপির জেলা (Murshidbad) সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “রাজ্যের শাসকদল প্রশাসনকে ব্যবহার করে টাকা লুট করছে। রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নওদার বিডিও অফিসে ইডি-সিবিআই তাল্লশি করতে গিয়েছিল। আগামী দিনে তৃণমূলের সব চোরদের জেলে ভরা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’, দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

    Mamata Banerjee: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’, দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’ কার্যত লোকসভার ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইভাবেই আসানসোলে বিধানসভা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। জেলা তৃণমূলের কর্মীদের উপর এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। উল্লেখ্য গত ২০২১ সালের বিধানসভায় তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। অপর দিকে তাঁকে পরাজিত করেছিলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে তৃণমূলের মধ্যেই অস্বস্থির ছায়া।

    কী বললেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    গতকাল সোমবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে। বিধানসভা কেন্দ্রিক দলকে জয়ী করার লক্ষ্য মাত্রা ঠিক করা হচ্ছিল। এরপর আসানসোল দক্ষিণের কথা উঠলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতবারের বিধানসভায় এই কেন্দ্রের হারকে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার কাছে সব খবর রয়েছে। জেলার তৃণমূলের নেতারা বিশ্বাস ঘাতকতা করলে কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবেনা।” সেই সঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে নির্বাচনের সময় পিছনের সারিতে থাকার কথা বলেছেন তিনি। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে আমার কানে। দলের কর্মীদের বাদ দিয়ে বিরোধী দলের কর্মীদের কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি জায়গায় কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এমন কাজ করেছেন তাঁরা ঠিক কাজ করেননি।”

    দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন সায়নী

    আসানসোলে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজয়ের পর সায়নী সেই সময় বলেছিলেন, “কিছু ভাল খেলা হয়েছে। কিছু খারাপ খেলাও হোয়েছে। তুমিও জানো আমিও জানি, কে ঠিক করে খেলেছে আবার কে ভুল খেলেছে। কে দলের হয়ে খেলেছে আবার কে দলের বিরুদ্ধে খেলেছে। সব থেকে বেশি কর্মীরাই জানেন।” তাই মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল স্পষ্ট বলে মনে করছে বিজেপি। মমতার স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “প্রত্যেকে বিধানসভার যে সব আসনে তৃণমূলের বিধায়কেরা রয়েছেন, সেই সব আসনে লোকসভা ভোটে তাঁদেরকে দায়িত্ব নিয়ে জয়ী করতে হবে দলের প্রার্থীদের। বাকি আসনের দায়িত্ব থাকবে জেলা নেতৃত্বের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: “শাহজাহানকে পুলিশ ধরতে না পারলে কেন্দ্রের সাহায্য নিন মমতা”, তোপ নিশীথের

    Nisith Pramanik: “শাহজাহানকে পুলিশ ধরতে না পারলে কেন্দ্রের সাহায্য নিন মমতা”, তোপ নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও অধরা মূল চক্রী তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি তাঁকে ধরতে ব্যর্থ হন, তবে  তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চান।” কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি বলেন, “তৃণমূলের এই পলাতক নেতাকে গ্রেফতার করতে এক ঘণ্টা সময় লাগবে কেন্দ্রের।”

    অধরা শাহজাহান

    সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি শাহজাহানকে। অথচ এলাকায় তাঁর এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। তার পরেও গ্রেফতার করা হয়নি শাহজাহানকে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল নেতা হওয়ায় এলাকায় শাহজাহানের বেশ দাপট রয়েছে। এলাকা ছেড়ে পালালেও, রাশ আলগা হয়ে যায়নি তার। অদূরে লোকসভা নির্বাচন। সেখানে জিততে তৃণমূলের প্রয়োজন হবে শাহজাহান বাহিনীর। মুসলিম ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে ফেলতেও ভরসা সেই শাহাজাহান। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।

    কী বললেন নিশীথ?

    মূলচক্রী শাহজাহান গ্রেফতার না (Nisith Pramanik) হওয়ায় স্থানীয়দের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ বিরোধীরাও। নিশীথ বলেন, “আমি আগেও বলেছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যদি শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য নেওয়া। কেন্দ্র তো রাজ্য সরকারকে সাহায্য করতে সর্বদাই প্রস্তুত। ফোর্সও প্রস্তুত রয়েছে। এক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে খুঁজে বের করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্যকে সাহায্য করতেও আমরা প্রস্তুত।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আজও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে এলাকায় (সন্দেশখালিতে) ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। কিন্তু যখনই কোনও তৃণমূল নেতা এলাকায় যেতে চাইছেন, তাঁদের যেতে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের কাছে আইন-শৃঙ্খলার কোনও মানে নেই। যা কিছু রয়েছে, সবই বিরোধী দলের নেতাদের জন্য।”

    আরও পড়ুুন: ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি, ঝাঁটা হাতে মহিলারা, জ্বলল খড়ের গাদা, ভাঙচুর তৃণমূল নেতার বাড়ি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও তুলনাই হয় না, এদিন তাও জানিয়ে দিয়েছেন নিশীথ। বলেন, “এক দিকে রয়েছেন মোদিজি, যিনি নিরন্তর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। আর অন্যদিকে রয়েছেন পিসি-ভাইপো। মোদির সঙ্গে মমতার তুলনা টানা হলে বিশ্ব ভাববে মোদির কথাই।” তিনি (Nisith Pramanik) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এই এলাকায় আসবেন। তামাম বঙ্গবাসী তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা স্বাগত জানাবেন উৎসাহের সঙ্গেই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোম যখন পুড়ছিল, তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন শাসক নিরো। প্রায় একই ঘটনা ঘটছে পশ্চিমবাংলায়ও। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বাহিনীর অত্যাচারে যখন অশান্তির আগুন জ্বলছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে, তখন শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় একটি রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নেবেন তিনি। সেই শোয়েরই শ্যুটিং চলছে হাওড়ায়।

    শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত!

    জানা গিয়েছে, এই শোয় নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাটিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন না সেখানকার নির্যাতিতাদের কথা শুনতে। তিনি দিদি নং ১ এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত।” ‘দিদি নম্বর ১’ শীর্ষক রিয়েলিটি শোয়ে যোগ দিয়ে জীবন সংগ্রাম কিংবা সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরেন মহিলারা। দিন কয়েক আগে রচনাকে নবান্নে দেখা যায়। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি দিদি নম্বর ওয়ানে অংশ নিতে তিনি গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে? এ ব্যাপারে অবশ্য রচনা কিছু বলেননি (Sukanta Majumdar)। মুখ খোলেননি তৃণমূল নেত্রীও।

    নেপথ্য কথন

    রেশন বিলিকাণ্ডে কেলেঙ্কারির জেরে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে থেকেও ইডির আধিকারিকদের ঘরে ঢুকতে দেননি শাহজাহান। পরে শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন। চারজনকেই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এর পরে পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    শাহজাহান এলাকা ছাড়তেই তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে সোচ্চার হন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, মিটিংয়ের কথা বলে রাতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত তাঁদের। পরে বাছাই করা কয়েকজনকে রেখে বাকিদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হত। যাঁদের রেখে দেওয়া হত, তাঁদের হয় পার্টি অফিসে, নয় বাগান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হত। যাঁরা তাঁদের ডাকে সাড়া দিতেন না, তাঁদের বাড়িতে সাদা থান কাপড় পাঠিয়ে দেওয়া হত। নির্যাতিতাদের আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সেখানে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলার বদলে শ্যুটিং করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা (Sukanta Majumdar) তৃণমূল সুপ্রিমো।

    সত্যিই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ (পড়ুন রাজ্য)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Dev at ED Office: গরুপাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির তৃণমূল সাংসদ দেব

    Dev at ED Office: গরুপাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির তৃণমূল সাংসদ দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ ফেব্রুয়ারি গরুপাচার মামলায় অভিনেতা-সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে (Dev at Ed Office) তলব করেছিল ইডি। সেই মতো দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে হাজির হলেন তৃণমূল সাংসদ। সূত্রের খবর, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ ইডির সদর দফতরে হাজির হন দেব। দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব জানান, যত বার ইডি (Dev at ED Office) তাঁকে ডাকবে, ততবারই তিনি হাজির হবেন।

    ২০২২ সালে দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই 

    এটাই তবে প্রথম নয়, ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নিজাম প্যালেসে দেবকে তলব করে সিবিআই। সেদিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল অভিনেতা-সাংসদকে। সিবিআই-এর তরফে তখন জানানো হয়েছিল, গরু পাচারকাণ্ডে বিভিন্ন সাক্ষীকে জেরা করার সময় দেবের নাম উঠে এসেছিল। সেই কারণে তাঁকে ডাকা (Dev at ED Office) হয়েছিল।

    দেবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ

    দেবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে এরপরেই। ২০২৩ সালে দেবের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Dev at ED Office) জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি নেতার অভিযোগ, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল হকের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়েছেন ঘাটালের সাংসদ। দেব অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।

    সম্প্রতি দেব রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন

    সম্প্রতি দেব রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। লোকসভার বাজেট অধিবেশনের ছবি পোস্ট করে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টও করেছিলেন অভিনেতা। তাতে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, দেব (Dev at ED Office) আসন্ন লোকসভায় আর তৃণমূল প্রার্থী হতে চাইছেন না।  কিন্তু এরপরেই দেব একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে রাজনীতিতে থাকার কথা জানান। বৈঠক করেন অভিষেক-মমতার সঙ্গে। এরই মাঝে ইডির তলব এসে পৌঁছয় দেবের দুয়ারে। তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি অভিনেতা-সাংসদ। এদিন গেলেন হাজিরা দিতে।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় বীরভূমের “বেতাজ বাদশা” অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে রয়েছেন। সোমবার বিকেলে তাঁর খাসতালুক বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় ইডি (ED) আধিকারিকরা হানা দেন। অনুব্রত মণ্ডল যে দলীয় কার্যালয়ে বসতেন, সেখানে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। রবিবার বীরভূমের সিউড়ি থেকে অনুব্রতের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরদিনই কেষ্ট গড়ে হানা দিল ইডি। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    তৃণমূল কার্যালয়ের আগে ভূমি দফতরে ইডি (ED)

    তৃণমূল কার্যালয়ে যাওয়ার তার আগে ইডির (ED) তিন আধিকারিক বোলপুর মহকুমা ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা বিএলআরও-র সঙ্গে কথা বলেন। একটি সূত্রে খবর, অফিসে বসে কেষ্ট মণ্ডলের তৃণমূল কার্যালয় যে জমির উপর তৈরি তার কাগজপত্র দেখেন। আশপাশের জায়গার হিসাব নেন। কার্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন তাঁরা। বস্তুত, অনুব্রত গরুপাচার মামলায় গ্রেফতারের আগে তাঁর বাড়ির কাছে ঝাঁ চকচকে দলীয় কার্যালয় তৈরিতে খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি বছর ওই কার্যালয়ে জাঁকজমকভাবে কালী পুজো করতেন কেষ্ট। ওই কার্যালয়ে কালীপুজোর সময় মূর্তিতে যে সোনার গয়না পরানো হয়, সে নিয়েও চর্চা ছিল জেলা জুড়ে। এত গয়নার টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন ইডি আধিকারিকরা সেই কার্যালয়ে হানা দিতেই নতুন করে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এদিন বিকেলে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ইডির (ED) একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। আধিকারিকেরা গাড়ি থেকে নেমেই কার্যালয়ের মাপজোক শুরু করে দেন। ওই কার্যালয়ের বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। আশপাশের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কার্যালয় যে বিল্ডিংয়ে সেখানে দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় কার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছিলেন, কে ভাড়া দিয়েছিলেন এবং ভাড়ার টাকা কাকে দিতে হয়, সব বিষয় নিয়ে ইডি আধিকারিকরা কথা বলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির নির্যাতিতার নাম কেন প্রকাশ্যে? জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি সুকান্তর

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালির নির্যাতিতার নাম কেন প্রকাশ্যে? জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছে পুলিশ, এই অভিযোগে জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি পাঠালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। জাতীয় মহিলা কমিশনকে দেওয়া চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার উল্লেখ করেছেন, রাজ্য পুলিশ সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে সন্দেশখালির নির্যাতিতার পরিচয় গোপন না-রেখে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডিজি রাজীব কুমারের গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন সুকান্ত।

    জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি

    সন্দেশখালিতে এক নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ শাহজাহান অনুগামী শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা যুক্ত করেছে। এ বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি (DG) রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, ওই মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন, তার ভিত্তিতেই ওই ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পুলিশ নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করেছে, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বেআইনি। রাজ্য পুলিশের এই কাজের তীব্র নিন্দা করে সোমবার জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মাকে চিঠি দেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, মহিলা কমিশন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক।

    আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের দাবি 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা এক মহিলার নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, মহিলার একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ার আপলোড করা হয়েছে ৷ জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়েছিল ওই নির্যাতিতা। তার আগে পুলিশ তার একটি ছোট্ট ভিডিও বানায়। গোপন জবানবন্দির জন্য পুলিশ তাকে নিয়ে গিয়েছে। এই কথা পুলিশ তাকে বলতে বাধ্য করেছে। শুধু তাই নয়, এরপর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছে। এই কাজ সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। পুলিশ নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ করে গুরুতর অপরাধ করেছে। নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ কখনও করা যায় না। কিন্তু সেই কাজ করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে সুকান্তর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের ডিজি রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Issue: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের 

    Sandeshkhali Issue: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরাক, ইরান, পাকিস্তানের সঙ্গে এবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali Issue) তুলনা করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারের তুলোধোনা করেন লকেট  (Locket Chatterjee)। বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর অত্যাচার চলছে এবং তা নিরসন না করে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কুরুচিকর মন্তব্য করে চলেছেন। 

    সন্দেশখালির অবস্থা

    দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) বলেন, ‘আপনারা ভাবতেই পারবেন না এখন সন্দেশখালির অবস্থা কি! আমরা আইসিএস জঙ্গিগোষ্ঠীর কথা শুনেছি। আমরা ইরাক, ইরানের কথা শুনছি, আমরা পাকিস্তানের কথা শুনেছি। সেখানে কী ভাবে মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হয়। আজ সেটাই পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে।’ তাঁর কথায়, ওই এলাকায় হিন্দু মহিলাদের বেছে বেছে তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। তাঁরা সেই কারণে কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে তাঁদের অত্যাচারের কথা বলে যাচ্ছে। তাঁদের পরিচয় মানুষের সামনে আনতে পারছে না ভয়ের কারণে। এমনকি, পুলিশ ইচ্ছে করেই শেখ শাহজাহানকে খুঁজে বের করছে না বলে দাবি লকেটের। 

    কোথায় শেখ শাহজাহান

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali Issue) প্রসঙ্গ তুলে লকেটের (Locket Chatterjee) অভিযোগ, সেখানে শাসকের ছত্রছায়ায় শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক সুনিশ্চিত করতেই কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লকেটের কটাক্ষ, ‘ওখানে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, শেখ শাহজাহানকে কেন পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না? কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁচলের তলায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাঁকে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন আছে? ওঁর তো ৩০ শতাংশ মহিলা ভোট দরকার। তাতে, হিন্দু মহিলাদের যা কিছু হয়ে যাক। তাঁদের তো ওঁরা পাঁচশো টাকা দিচ্ছে। ৫০০ টাকা দিয়ে হিন্দু মহিলাদের কিনে নেওয়া হচ্ছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: ‘‘নির্ভয়ে কথা বলুক নির্যাতিতারা’’, সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশন

    Sandeshkhali Incident: ‘‘নির্ভয়ে কথা বলুক নির্যাতিতারা’’, সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা চাই ওঁদের পুরো বিচার মিলুক।” সোমবার কথাগুলি বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে না দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন রেখা। তিনি বলেন, “সন্দেশখালিতে গিয়েও পুলিশের বাধায় নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। তাই আমাকে সন্দেশখালি যেতে হচ্ছে।”

    ‘অশান্তির খবর আসছে’

    এদিনই দিল্লি থেকে কলকাতায় নেমে সন্দেশখালির উদ্দেশে যাত্রা করেন রেখা। তিনি বলেন, “সন্দেশখালি থেকে অশান্তির খবর আসছে। আমাদের একজন সদস্য অনুসন্ধান করে এসেছেন। পুলিশের কারণে তিনি অনেক নির্যাতিতার কাছে পৌঁছতে পারেননি। এবার আমি যাচ্ছি। আমার কথা হয়ে গিয়েছে। আমি চাই ওঁরা পুরো বিচার পান। যিনিই নির্যাতিতা হোন না কেন, তিনি সামনে এসে আমার সঙ্গে কথা বলুন। কেউ যেন ভয় না পান। কারণ নির্যাতিতাদের কথা শোনার জন্য আমরা তিনজন মহিলা রয়েছি। আমরা ওঁদের পাশে রয়েছি।” জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে চান রেখা। পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন। সন্দেশখালির পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকেও অবহিত করবেন বলে জানান রেখা।

    ‘পুলিশ সব কিছু চাপা দিয়ে রাখে’

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা বলেন, “অভিযোগ এলেও, পুলিশ সব কিছু চাপা দিয়ে রাখে। প্রশাসন কানে নেয় না। আজ জানতে পারলাম ডিএম বাইরে রয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে গেলে কোনওদিনই ডিএম-এসপিদের দেখা পাই না। প্রত্যেকবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে দেন না তাঁদের প্রশাসনিক স্তরের অফিসারদের। সত্য যাতে বেরিয়ে না আসে, এই এমন ব্যবস্থা। কিন্তু প্রকৃত সত্য সব সময় বাইরে বেরিয়ে আসবেই।”

    আরও পড়ুুন: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    জানা গিয়েছে, এদিন সন্দেশখালি যাওয়ার সময় রেখার সঙ্গে রয়েছেন গত সপ্তাহে জাতীয় মহিলা কমিশনের যেসব প্রতিনিধি গিয়েছিলেন, তাঁরাও। সন্দেশখালি পৌঁছে রেখা সটান ঢুকে পড়েন এক নির্যাতিতার বাড়িতে। কথা বলেন ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তার আগে রেখা বলেন, “সকলের মধ্যে থেকে ভয় দূর করতে হবে। অভিযুক্ত গ্রেফতার হলে বাকিদেরও ভয় কাটবে। আরও অনেক মহিলা সামনে আসবেন (Sandeshkhali Incident)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share