Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Dilip Ghosh: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না।” শনিবার সকালে দিল্লির উড়ান ধরার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে কথাগুলি বললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    প্রসঙ্গ: বালুর মন্ত্রীত্ব

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রায় তিন মাস আগে গ্রেফতার করা হলেও, মন্ত্রীত্ব কেড়ে নেওয়া হয় শুক্রবার। এ প্রসঙ্গেই দিলীপ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না। উনি ভাবছেন যদি বেল পেয়ে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এসে আবার মন্ত্রী হবেন। আবার কাকে করবেন, সে কি করবে, সে থাকবে না চলে যাবে এই চিন্তা-দুশ্চিন্তায় তিনি কাউকে দায়িত্ব দেন না।” বিজেপির এই সাংসদ (Dilip Ghosh) বলেন, “কেষ্ট জেলে থাকলেও পদে থাকেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে থাকলেও মন্ত্রী থাকেন। এটা তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ করার ধরন।”

    প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

    সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে জাতীয় এসসি কমিশন। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেখানে পৌঁছেছে এবং টিএমসির লোকজন যেভাবে অত্যাচার করছে এর থেকে বাঁচার কোন রাস্তা নেই। যে সরকার মানুষকে সুশাসন দেবে তারা যদি লুটপাট, খুনখারাপি করে তাহলে মানুষের যাওয়ার রাস্তা থাকে না। প্রত্যেকে এখান থেকে মুক্তির রাস্তা খুঁজছেন। কেউ রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন, কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছেন, কেউ কোর্টে যাচ্ছেন। দেখা যাক কোন রাস্তাটা ঠিক থাকে।”

    প্রসঙ্গ: আধার কার্ড বাতিল 

    পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে একাধিক ব্যক্তির আধার কার্ড বাতিল প্রসঙ্গে বিজেপির এই সাংসদ বলেন, “অনেক জায়গায় চিঠি এসেছে। আমরা জানি, পশ্চিমবঙ্গে বহু ধরনের কার্ড আছে যেগুলি ভুয়ো। রেশন কার্ড, আধার কার্ড, জবকার্ড লক্ষ লক্ষ, একটা-দুটো নয়, ৬২ লক্ষ রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। সাড়ে ১৪ লক্ষ জবকার্ড আছে যেটা ভুয়ো, আধার কার্ড ভুয়ো। যাদের কাছে নথি নেই তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে, বাতিলও করছে। এ ব্যাপারে অথরিটি সঙ্গে যোগাযোগ করুন যাঁরা সমস্যায় পড়ছেন।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির অশান্তির আবহে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী! মার্চের প্রথম সপ্তাহে বারাসতে সভা?

    আধার কার্ড বাতিলকে বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি তৃণমূলের। এদিন সে প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “শাসক দল যদি বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে এসে জোর করে আধার কার্ড বানিয়ে দেয়, নথি ছাড়া ভোটার লিস্টে নাম তুলে দেয়, তারা তো ভোটার হতে পারে না। সরকারের দায়িত্ব আছে বিদেশিদের আলাদা করা এবং দেশে ফেরত পাঠানো।”

    প্রসঙ্গ: কোথায় শাহজাহান

    শিবু হাজরা গ্রেফতার না হওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “শিবু হাজরা বলুন বা শেখ শাহজাহান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবাই জানে কে কোথায় রয়েছেন। মিডিয়াকে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন কিন্তু পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ পুলিশ ওঁদের বাঁচিয়ে রেখেছে, পুলিশই ওঁদের তৈরি করেছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু মানসিকতা নেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু মানসিকতা নেই”, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির মহিলাদের উপর তৃণমূল নেতাদের বর্বরোচিত অত্যাচারের প্রতিবাদে আন্দোলন চলাকালীন রাজ্য প্রশাসনের চূড়ান্ত অসহযোগিতায় অসুস্থ্ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার সরস্বতী পুজোর দিনে টাকিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁকে দ্রুত কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বৃদ্ধির জন্য হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বললেন, “চাইলেই বিধানসভায় ভাঙচুর করতে পারি, কিন্তু আমাদের সেই মানসিকতা নেই।”

    হুঁশিয়ারি দিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই সময় অর্থাৎ বিগত তিন বছর ধরে আমাদের সঙ্গে যা ঘটছে, চাইলেই আমরা বিধানসভায় মমতার দেখানো পথে ভাঙচুর করতে পারতাম। সেই ক্ষমতা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি অর্জন করেছে। কিন্তু সেই রকম কোনও মানসিকতা আমাদের নেই। আর বিজেপি এই ধরনের কাজকে অনুমোদনও করে না। বাস ভাঙো, গাড়ি জ্বালাও, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করো, এইসবে আমরা বিশ্বাস করি না। তাবে শাসক দল ক্ষমতায় থাকলেও করে, আবার ক্ষমতায় না থাকলেও সম্পত্তি নষ্ট করে।”

    আর কী বললেন শুভেন্দু?

    বিজেপি নেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মমতাকে আক্রমণ করে আরও বলেন, “টাকিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অসুস্থ হওয়ার জন্য একমাত্র পুলিশের উৎপীড়ন দায়ী। শুধু বিজেপি নয়, বহু সাধারণ মানুষ আমাদের বলেছেন বনধ ডাকুন। আমরা সাধারণ মানুষের এই দাবিকে অস্বীকার করছি না। কিন্তু বিজেপি একটি দায়িত্বশীল দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আমরা কথায় কথায় অবরোধ করি না। আমরাও বিক্ষোভ দেখাই, কালো ব্যাজ পরি, মিছিল করি, প্রতিবাদ করি, কোথাও কোথাও পথ অবরোধ করি। কিন্তু আমরা মানুষকে বিপর্যস্ত করার ইচ্ছে রাখি না।” রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আবহের মধ্যে বনধের পথে না হেঁটে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আরও তীব্র আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছেন মমতা”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে পা গলিয়েছেন মমতা”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ব্যরাকপুরে আইনজীবী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে গণেশ পুজো উপলক্ষে যান। তিনি বলেন, “মূলত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছি, কোনও রাজনৈতিকই কারণ নেই। তবে আমরা সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পক্ষে থেকে একসঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্থ পিসি-ভাইপোর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।”

    ঠিক কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    ব্যরাকপুরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই দিন সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে এসেছি কৌস্তভের বাড়িতে। তবে পিসি-ভাইপো যেখানে, কৌস্তভ নেই সেখানে। এখন কংগ্রেস, মমতা-অভিষেকের কাছে আত্ম সমর্পণ করেছে। তাই সেখানে কৌস্তভ নেই। বাকিটা তাঁকেই ঠিক করতে হবে। আগামী সময়ে বলবে কী হবে। চোরেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখের মধ্যে অন্যতম মুখ হলেন কৌস্তভ। বাংলাকে বাঁচাতে হলে একমাত্র বিকল্প হল বিজেপি। সিপিএম-কংগ্রেস, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করেছে। দেশে মোদির বিকল্প কিছুই নেই। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিজে কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। তিনিও বুঝতে পেড়েছেন বিকল্প একমাত্র বিজেপি। কৌস্তভকেও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজনৈতিক সৌজন্য এই রাজ্যে সিপিএম আগেই শেষ করে দিয়েছে, কিন্তু যে টুকু বাকি ছিল তৃণমূল এসে শেষ করে দিয়েছে। কৌস্তভ একজন রাষ্ট্রবাদী সৎ ছেলে এবং দেশপ্রেমী হিসাব পরিচিত।”

    আর কী বললেন?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “দুর্নীতি গ্রস্থ এই সরকার সকলের ফোন ট্যাপ করে। হোয়াটসঅ্যাপ কল করতে হয় সকলকে। কথা বলা যায় না ইচ্ছে থকালেও। ‘চোর মমতা’র শাসনে রাজনৈতিক সৌজন্য বলে কিছু নেই। অন্য রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটে না, কেবলমাত্র এই রাজ্যেই হয়ে থাকে। সিপিএমের ফেলে যাওয়া চটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা গলিয়েছেন। সিপিএম যা শুরু করেছিল মুখ্যমন্ত্রী সেই বৃত্ত পূর্ণ করেছেন। এই কালচারের বদল ঘটা দরকার। সরকারের দুর্নীতিগ্রস্থ পরিবার তন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলের সঙ্গে আমরা আছি। লক্ষ্য যেহেতু এক, তাই শুধু পুজোতে নয়, রাজনৈতিক মঞ্চেও একসঙ্গে কাজ করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কালীঘাটে রেড করলেই শাহজাহানকে পাওয়া যাবে”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “কালীঘাটে রেড করলেই শাহজাহানকে পাওয়া যাবে”, মমতাকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার দিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আমতলায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী কার্যালয় থেকে কিছুটা দূরে, দলের মন্ডল সভাপতিদের শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন ও কর্মীসভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্যরা। মূলত এদিনের এই জনসভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), মমতার ভাইপোকে ‘চোর’ বলে আখ্যায়িত করেন। আবার একই ভাবে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে শাহজাহান সম্পর্কে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাহজাহান একসাথে বসে খাওয়া-দাওয়া করছে তাই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছেনা”।

    সন্দেশখালি নিয়ে কী বলেন (Suvendu Adhikari)?

    সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “পুলিশকে আর গ্রেফতার করতে হবে না। সন্দেশখালির মা-বোনেরা জেগে গিয়েছেন। এবারে তাঁরাই ধরবে তৃণমূলের দুষ্কৃতী শিবুকে। শাহজাহান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই রয়েছে। কালীঘাটে রেড করুক তাঁকে পাওয়া যাবে। প্রতিদিন রাতের ডিনার এবং মধ্যাহ্ন ভোজন করছেন একসঙ্গে। ২০১১ আগে নন্দীগ্রাম ছিল এবার তৃণমূলের আমলে সন্দেশখালি হল।” অন্যদিকে তৃণমূল নেতা দেবাশীষ হাজরাকে সাসপেন্ড করার ঘটনায় তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস এইসব নাটক করছে, এছাড়া অন্য কোনও কিছুই নয়।” অপর দিকে এদিনের সভাস্থল থেকে তিনি আরও বলেন, “শীঘ্রই সিএএ লাগু হবে বাংলায়।”

    দেব প্রসঙ্গে কী বলেন?

    ঘাটালের প্রার্থী হওয়া নিয়ে দেব ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক প্রসঙ্গের বিষয় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আমতলার সভায় বলেন, “কোনও লাভ হবে না, ঘাটালে বিজেপি ২ লাখ ভোটে জয়লাভ করবে। কেউ পাগল নয় যে দেশটাকে আফগানিস্তান-ইউক্রেন করতে চাইবে। মোদি জিকে সকলে ভোট দেবে।” পাশাপাশি বিশিষ্ট অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন এবং আগামী লোকসভায় একসঙ্গে তাঁরা দুজনে প্রচার কর্মসূচি করবেন এমনটাও জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে সিএএ”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হবে সিএএ”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশজুড়ে কার্যকর হবে সিএএ আইন। খুব শীঘ্রই এ নিয়ে নোটিফিকেশন জারি করা হবে।” এক সংবাদ মাধ্যমের গ্লোবাল সামিট অনুষ্ঠানে একথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ২০১৯ সালের শেষের দিকে সংসদে পাশ হয়েছিল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তার পর কেটে গিয়েছে চার বছর। এখনও লাগু হয়নি ওই আইন।

    সিএএ জারির আশ্বাস

    এ সংক্রান্ত বিলটি আইনে পরিণত হাওয়ার পর অশান্তি শুরু হয় দেশজুড়ে। বাংলায় প্রতিবাদ আন্দোলনে নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। গত বছরের শেষের দিকে সিএএ জারি হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শাহ (Amit Shah) বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সিএএ নোটিফিকেশন অফিসিয়ালি জারি করা হবে। এ নিয়ে কারও কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই, এই আইন কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেবে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সিএএ এই দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন। এ নিয়ে কারও মনে কোনও বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়। সিএএ লাগু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস সরকারই। দেশভাগের সময় যখন লাখ লাখ উদ্বাস্তু এ দেশে এসে উঠেছিলেন, তাঁদের দেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই কংগ্রেসই। এখন তারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভুলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করছে।” প্রসঙ্গত, এর আগেও বিভিন্ন সময় শাহ সাফ জানিয়েছিলেন, দেশে সিএএ কার্যকর করা হবেই। পৃথিবীর কোনও শক্তি তাকে ঠেকাতে পারবে না।

    কী বললেন সরকারি কর্তা 

    নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে এক পদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অনলাইনেই আবেদন জানানো যেতে পারে। এজন্য অনলাইন পোর্টালও তৈরি হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াটা অনলাইনেই করা হবে। সেখানে আবেদনকারীদের কেবল জানাতে হবে যে, কোন সালে বিনা নথিতে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা। তাঁদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত কোনও নথি চাওয়া হবে না। এ নিয়ে পদক্ষেপও করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিতে শান্তি না ফিরলে ১৪৪ ধারা ভাঙার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ধর্মীয় কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্যই এই সিএএ (Amit Shah)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BJP West Bengal: সরগরম বিধানসভা, মুখ্যমন্ত্রী বেরোতেই ‘চোর-চোর’ স্লোগান বিজেপির

    BJP West Bengal: সরগরম বিধানসভা, মুখ্যমন্ত্রী বেরোতেই ‘চোর-চোর’ স্লোগান বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সামনে ফের উঠল চোর চোর স্লোগান। গত নভেম্বর মাসের পরে ফের ‘চোর-চোর’ স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। রাজ্যের একাধিক চুরি-দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের। গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী-বিধায়করা। শাসক দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা-মন্ত্রীদের দেখে এর আগে রাস্তায় সাধারণ জনগণের গলায় ‘চোর-চোর’ স্লোগান শোনা গিয়েছে। সেই আওয়াজ ফের একবার উঠে এল রাজ্যের বিধানসভায়। ‘চোর-চোর’ স্লোগানের পাশাপাশি বিজেপি বিধায়করা (BJP West Bengal) মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনিও দেন।

    কলকাতা পুলিশকে ধমক বিরোধী দলনেতার

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী যাবেন বলে পুলিশ বিধানসভার গেটে বিজেপি বিধায়কদের (BJP West Bengal) গাড়ি আটকে দেয়। অভিযোগ এরফলে বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল সমেত একাধিক বিজেপি বিধায়ক আটকে পড়েন। এই ঘটনার খবর কানে যেতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কলকাতা পুলিশের অফিসারদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘কে আপনারা গাড়ি আটকানোর। এটা কি কলকাতা পুলিশের জমিদারি? আপনারা আমাদের নির্বাচিত করেননি। মানুষ আমাদের বিধানসভায় পাঠিয়েছেন। কোন হরিদাসের গাড়ি পাস করানোর জন্য আপনারা আমাদের বিধায়কদের গাড়ি আটকেছেন? তিনি হুমকি দেন, ভবিষ্যতে এ কাজ করলে পরিণতি খারাপ হবে।’’

    বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি 

    এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিধানসভার গেটের কাছে বিজেপি বিধায়করা (BJP West Bengal) ‘চোর-চোর’ স্লোগান তোলেন। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের বচসাও শুরু হয়। এরই মধ্যে তৃণমূল বিধায়করা এগিয়ে আসেন। তখনই বিজেপি-তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশ্য সে পরিস্থিতি এড়ানো গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • State Budget 2024: ‘ভোটের গিমিক, দিশাহীন’! রাজ্য বাজেট নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    State Budget 2024: ‘ভোটের গিমিক, দিশাহীন’! রাজ্য বাজেট নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিশা দেখাতে পারেনি রাজ্য বাজেট। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট (West Bengal Budget 2024) পেশ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তা শেষ হতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বাজেটকে ভোটের গিমক, বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখন তাঁর পাশে ছিলেন অর্থনীতিবিদ তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি। 

    বাজেটে রাজ্যের অগ্রগতির দিশা নেই

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই বাজেট ভোটের প্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। এতে বেকারদের কর্মসংস্থান, বিভিন্ন শূন্যপদে নিয়োগ, শিল্প বাণিজ্যের পরিবেশ নিয়ে রাজ্যের অগ্রগতির কোনও দিশা নেই।’’ তাঁর মতে, ‘‘রাজ্য সরকার বাজেটের মাধ্যমে কিছু কিছু জায়গায় অর্থ বিলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু অসমে মহিলারা আড়াই হাজার টাকা করে পান। মধ্যপ্রদেশেও অনেক বেশি টাকা মহিলাদের দেওয়া হয়। এখানে মহিলাদের ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১০০০ করা হচ্ছে মাত্র।’’ উল্লেখ্য, বাজেটে রাজ্য সরকারের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাসে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা। সেই ঘোষণাকেই কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’-এ তফসিলি জাতি উপজাতির মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত। বাজেটে তাঁদের ১২০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শুভেন্দু বলেন, ‘‘এটা ওঁদের অপমান। সাধারণ ক্যাটাগরির মহিলাদের তুলনায় ওঁদের দ্বিগুণ টাকা পাওয়ার কথা। ২০০ টাকা বাড়িয়ে ওঁদের অপমান করা হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেই তীব্র প্রতিবাদ, রাজ্য বাজেটের আগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    বাজেটে উপেক্ষিত সব স্তরের মানুষ

    বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘‘এই বাজেটে সরকারের আয়ের উৎসের নির্দিষ্টভাবে কোনও উল্লেখ নেই। এই বাজেটে দার্জিলিংয়ের পাহাড়, জঙ্গলমহল, সুন্দরবন, কৃষক উপেক্ষিত। আমরা আশা করেছিলাম রাজ্য সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৫ হাজারের বদলে ১০ হাজার টাকা করবেন। আমরা আশা করেছিলাম উত্তরপ্রদেশের মতো পিএম কিষাণ সম্মান নিধি আরও ছ হাজার রাজ্য দিয়ে ১২ হাজার করবে রাজ্য। তাই কৃষকদের জন্য এই সরকার এই বাজেটে কিছু রাখেনি। শেষে ডিএ নামক বস্তুটিকে রেখে আবার রাজনীতি করার চেষ্টা হয়েছে। এই বাজেটে ৪ শতাংশ ডিএ দেওয়ার পরেও কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক ৪০ শতাংশ। তাছাড়া ডিএ পাওয়া যাবে মে মাস থেকে। মানে ভোট গণনার পর। বাজেটে ৫ লক্ষ চাকরির কথা ঘোষণা করা হলেও কবে কোন দফতরে কত নিয়োগ হবে তার কোনও উল্লেখ নেই। ’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বাঙালির মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “বাঙালির মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাঙালির মান-সম্মান-ইজ্জত সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।” সোমবার এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। লোকসভা অধিবেশনে যোগ দিতে এদিন দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন বালুরঘাটের সাংসদ। তার আগে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত বলেন, “যে ধরনের শব্দ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে বেরিয়েছে, এ ধরনের শব্দ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে বেরনো উচিত নয়, অন্তত পক্ষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে তো নয়ই।” এর পরেই তিনি বলেন, “বাঙালির মান-সম্মান-ইজ্জত সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।” নাম না করে এদিন তৃণমূলের মুখপাত্রকেও আক্রমণ শানিয়েছেন সুকান্ত। তৃণমূলের এই মুখপাত্র বলেছিলেন, “ভোটে জেতার পর চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে।” সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “আগে যে বাঘ চড়াম চড়াম বলত, সে এখন ছাগ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিহাড় জেলে। এখন এই নতুন অনুব্রত, কলকাতার অনুব্রত কবে ছাগ হবে সেটাই দেখার।”

    ‘সন্ত্রাসের এপিসেন্টার’

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বিজেপি সমর্থক এক পরিবারের সদস্যদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “সব জায়গায়ই এটা হচ্ছে, বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখনও সন্ত্রাসের বাতাবরণ রয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা হচ্ছে সন্ত্রাসের এপিসেন্টার। এই লোকসভায়ই সব চেয়ে বেশি সন্ত্রাস হয়।”

    প্রসঙ্গত, শনিবার কেন্দ্রকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “রোজ মোদিজি বলছে, পাকা বাড়ি করে দিচ্ছি। *** তুমি প্রাসাদ অট্টালিকায় থাকবে, আর এই গরিব লোকের মাথার ছাদটা কেড়ে নিয়েছো, তাঁকে দিচ্ছ না।”

    আরও পড়ুুন: “শুধু অ্যাকশন-রিঅ্যাকশনে নজর রাখতে হবে”, শাহি বৈঠক শেষে বললেন শুভেন্দু

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে রবিবার বর্ণ পরিচয় হাতে কলকাতায় মিছিল করে বিজেপির যুব মোর্চা। সেই ছবিতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে দেওয়া হয় মধু। বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ বলেন, “মোদিজি দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আমাদের দেশের ১৪০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাঁর উদ্দেশে যেভাবে কু-শব্দ প্রয়োগ করলেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। পশ্চিমবঙ্গবাসী হিসেবে, বাংলাভাষী হিসেবে আমরা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কাছে (Sukanta Majumdar) ক্ষমাপ্রার্থী।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের যে মাঠে সভা করলেন মমতা, ইডেন গার্ডেন্সে পারবেন? প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের যে মাঠে সভা করলেন মমতা, ইডেন গার্ডেন্সে পারবেন? প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট স্টেডিয়ামে করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। যা নিয়ে আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বালুরঘাটে। এত মাঠ থাকার পরও কেন রঞ্জি ক্রিকেট খেলার মাঠেই সভা? এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চ খোলার পর থেকে গোটা মাঠে বিশালাকৃতির বড় বড় গর্ত নজরে এসেছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন জেলার ক্রীড়াপ্রেমী থেকে বিরোধীরা। শহরের ক্রীড়াপ্রেমীদের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বা যুবভারতীতে এরকম ভাবে সভা করতে পারতেন? এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার।”

    সভার জন্য বাতিল হয়েছিল খেলা (Dakshin Dinajpur)?

    মুখ্যমন্ত্রী বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) প্রশাসনিক সভা প্রথমে হওয়ার কথা ছিল শহরের টাউন ক্লাব বা ফ্রেন্ডস উনিয়ন মাঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সভাস্থল নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাট স্টেডিয়ামে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক অ্যাথলেটিক মিট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। যা গত জানুয়েরির ২৯ ও ৩০ তারিখে ওই মাঠে এই খেলা ছিল। এমনকি চলতি সপ্তাহের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারিতে সিএবি-র অনূর্ধ্ব ১৬ দলের ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই মাঠে। তাও সাময়িক ভাবে বাতিল করা হয়েছে। কিছু খেলা অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

    সভার পরেও বড় বড় গর্ত!

    বছর কয়েক আগে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল রঞ্জি ক্রিকেট ম্যাচ। এই মাঠে রয়েছে চারটি ক্রিকেট পিচ। মুখ্যমন্ত্রী সভার জন্য ক্রিকেট পিচে গর্ত করা না হলেও তার চারপাশ দিয়ে বড় বড় গর্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারী ভারী লরি ওই পিচের উপর দিয়ে গেছে। যার ফলে বহু অংশে বসে গেছে পিচ। যেখানে খেলা একপ্রকার সম্ভবই নয়।

    ক্রীড়া প্রেমীদের বক্তব্য

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালুঘাটের (Dakshin Dinajpur) এক ক্রীড়াপ্রেমী বলেন, “আরও অনেক মাঠ বালুরঘাটে ছিল। সেগুলোতে এই সভা করা যেত। কী কারণে বালুরঘাট স্টেডিয়ামে করা হল তা বুঝতে পারলাম না। মাঠটি এই মরসুমে খেলার অনুপযোগী হয়ে গেল।” এবিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমিতাভ ঘোষ বলেন, “জেলা প্রশাসন সব রকম সহযোগিতা করছেন। মাঠটি পূর্বের অবস্থা যাতে করা হয় তার আবেদন প্রশাসনের কাছে করব।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এবিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “জেলার একমাত্র বালুরঘাট স্টেডিয়ামে রঞ্জি ম্যাচ খেলার মত পরিকাঠামো রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য এই মাঠে চলতি মরসুমে কোনও টুর্নামেন্ট করা যাবে না। জেলায় আসার পরও জেলাবাসী কিছু পেল না। অথচ যুব সমাজের চরম সর্বনাশ করে গেলেন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য?

    অন্যদিকে, এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, “সভা হবে এটাও যেমন ঠিক তেমনি মাঠটাকে পূর্বের মত করতে হবে এটাও ঠিক। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মাঠটি খেলার উপযোগী করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। সেই টাকা কোথায় গেল? ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে মোক্ষম প্রশ্নটি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের বকেয়া টাকার দাবিতে বুধবার থেকে রেড রোডে ধর্নায় বসছেন মুখমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়ই কার্যত বোমা ফাটালেন সুকান্ত।

    দুর্নীতির নয়া পন্থা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। তিনি বলেন, “দুর্নীতির এটি একটি নয়া পন্থা। সাধারণ মানুষের টাকা কোথায় গিয়েছে, তা কেউ জানে না।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। তা থেকেই বোঝা যায়, প্রকল্পের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা খরচ হয়েছে কোন খাতে, খরচই বা হয়েছে কত। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করা হয়নি। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) দাবি, কন্টিজেন্সি ফান্ড থেকেও প্রায় তিন হাজার চারশো কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তার মধ্যে এক হাজার ১৬৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে। তবে কোনও খরচেরই বিল জমা দেওয়া হয়নি।

    সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি

    সুকান্তর অভিযোগ, শিক্ষা থেকে গ্রামোন্নয়ন সব দফতরে দুর্নীতি হয়েছে। গ্রামীণ বিকাশ, নগর উন্নয়ন ও শিক্ষা দফতরে সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। তিনি বলেন, “বাংলায় যা হয়েছে, তা মাদার অব অল স্ক্যাম।” কংগ্রেসের মনমোহন সিং সরকারের আমলে যে টু জি স্ক্যামের অভিযোগ উঠেছিল, তার সঙ্গেও বাংলার তুলনা করেছেন গৌরব।

    আরও পড়ুুন: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share