Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মমতার কর্মসূচিতে নষ্ট হবে সম্প্রীতির পরিবেশ, হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি মমতার কর্মসূচিতে নষ্ট হবে সম্প্রীতির পরিবেশ, হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারির রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন, সেদিনই আবার কলকাতাতে সংহতি যাত্রার ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর এই বিতর্কিত কর্মসূচি নিয়ে এবার জল গড়াল হাইকোর্ট পর্যন্ত। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এই মর্মে যে সংহতি যাত্রা হলে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। বুধবারই জনস্বার্থ মামলার আবেদন জানান নন্দীগ্রামে বিধায়ক। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলায় অন্যতম পার্টি হিসেবে যুক্ত করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। বৃহস্পতিবারই শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি মমতার

    রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে রামভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সারা দেশ জুড়ে এই দিনটি উদযাপন হবে। ধর্মস্থানগুলিতে চলবে কীর্তন। এই দিনেই মমতার ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই দিন কলকাতা সমেত প্রত্যেকটি জেলায় এবং ব্লকগুলিতে মিছিল করবে তৃণমূল। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ওই দিনেই। এমন কর্মসূচি ২২ জানুয়ারির আগে বা পরে করা যেতেই পারতো। রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনের সঙ্গে সম্প্রীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিষয়টিতে রাজনৈতিক রং লাগানোর উদ্দেশ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আশঙ্কা যে ওইদিন রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান (Ram Mandir) হবে, সেখানে বিভিন্ন জায়গায় সম্প্রীতির পরিবেশ বিঘ্নিত করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচি।

    সমালোচনায় দিলীপ ঘোষ

    অন্যদিকে ২২ জানুয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচির নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘সব রামের (Ram Mandir) ইচ্ছা। যারা চিরদিন জাতীয় সংহতির বিরুদ্ধে কাজ করে এসেছে, তারাই সংহতি মিছিল করছে। এর থেকে বড় বিড়ম্বনা আর কী হতে পারে। দেশে বা কেন্দ্রে যা অনুষ্ঠান হয়, তার সবসময় উনি বিরোধিতা করে এসেছেন। এটাকেই উনি রাজনীতি মনে করেন। তাই আজ উনি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছেন, তার আলাদা জাতীয় সঙ্গীত চাই, আলাদা জাতীয় পতাকা চাই, আলাদা কোর্ট চাই, আলাদা পার্লামেন্ট চাইবেন। যার চিন্তাভাবনার মধ্যে সংহতি নেই, তিনি যতই সংহতি যাত্রা করুন, কিছু হবে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshineswar Skywalk: স্কাইওয়াক ভাঙার খবর গুজব, তার পরেও হাওয়া গরমের চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর?

    Dakshineswar Skywalk: স্কাইওয়াক ভাঙার খবর গুজব, তার পরেও হাওয়া গরমের চেষ্টা মুখ্যমন্ত্রীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্তের হোরিখেলায় তাঁর বিশ্বাস! তাই কখনও রাইটার্স বিল্ডিং অভিযানে তরুণ কংগ্রেস কর্মীদের এগিয়ে দিয়ে লাশ করে দেওয়া, কখনও আবার শব নিয়ে কলকাতার বুকে মিছিল করার সাক্ষী রয়েছেন রাজ্যবাসী। বিরোধীদের এহেন (Dakshineswar Skywalk) অভিযোগ যে মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ মিলল আরও একবার, মঙ্গলবার। এদিন ফের তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টেনে আনলেন রক্তের অনুষঙ্গ। বললেন, “আমার রক্ত থাকতে দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না।”

    পুরোটাই গুজব

    অথচ দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ভাঙার বিষয়টি রেলের ভাবনা-চিন্তার স্তরেও নেই বলেই খবর। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে রেলের কোনও বক্তব্য নেই। তবে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভাঙা হবে, সেকথা রেলের তরফে বলা হয়নি। পুরোটাই গুজব ছড়িয়েছে।” কৌশিকের বক্তব্য থেকে একটি কথা খুব স্পষ্ট, সেটা হল, স্রেফ একটা গুজবকে সত্য বলে ধরে নিয়ে আস্ত একটা সাংবাদিক সম্মেলন করে ফেললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী!

    রক্তের অনুষঙ্গ কেন?

    লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওয়া গরম করতেই টেনে আনলেন রক্তের অনুষঙ্গ! যিনি মুখ্যমন্ত্রী, গোটা রাজ্যের ভার যাঁর কাঁধে, সেই তিনিই কিনা খবরের সত্যতা যাচাই না করে, স্রেফ গুজবের ওপর ভিত্তি করে গরম করে ফেললেন হাওয়া। রাজনৈতিক মহলের সিংহভাগের মতে, এর নেপথ্যে রয়েছে (Dakshineswar Skywalk) নিখুঁত অঙ্ক। রেশন বণ্টনকাণ্ডে কার্যত ফেঁসে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সতীর্থ রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সন্দেশখালিতে তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা জমা পড়েছে বলে কেলেঙ্কারির বেলুন ফাটিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    সব মিলিয়ে ঘেঁটে ঘ তৃণমূল সুপ্রিমো। এসব থেকে রাজ্যবাসীর দৃষ্টি ঘোরাতেই কারা যেন ছড়িয়ে দিল গুজব। আর সেই গুজবে ভর করেই মুখ্যমন্ত্রী বলে ফেললেন, “আমার রক্ত থাকতে আমি দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না। এটা আমার হৃদয়ের একটি মণিমুক্তোর মতো।”

    মুখ্যমন্ত্রীর হৃদয়ের মণিমুক্তো ভাঙার কথা তো কেউ বলেননি! রেলের তরফেও তো জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটি স্রেফ (Dakshineswar Skywalk) গুজব। তার পরেও কেন এল রক্তের অনুষঙ্গ? কেনই বা সস্তা সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দেওয়া? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামছেন মুখ্যমন্ত্রী”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মুসলিম ভোট ধরে রাখতে ধ্বংসের খেলায় নামতে চাইছেন ভয়ঙ্করী মুখ্যমন্ত্রী।” মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় হবে রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হবেন রামলালা। উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের সাত হাজার অতিথি। এই দিনই বাংলায় সম্প্রীতি মিছিলের আয়োজন করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর এই কর্মসূচিকেই নিশানা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা

    তিনি বলেন, “এটা খুবই উদ্বেগের। সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট ওঁর কাছ থেকে সরে যাচ্ছে বলে উনি কার্যত রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। উনি উসকানি দিচ্ছেন। চাইছেন, গোটা রাজ্যে ব্লকে ব্লকে সম্প্রীতি মিছিলের নামে যাতে সেদিন রাম নবমীর মতো গোটা রাজ্যে কোথাও কোথাও অশান্তি ও মানুষের জীবন থেকে শুরু করে ধন-সম্পত্তির ক্ষতি হোক। পশ্চিম বাংলার মানুষের কাছে এটা খুবই উদ্বেগের। তিনি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী ও শাসকদলের মুখিয়া। তিনি এই ধরনের আগুন লাগানোর চেষ্টা করছেন। এই উসকানি ছাড়া উনি ওঁর হারিয়ে যাওয়া মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক কিছুতেই ফিরিয়ে আনতে পারবেন না, এটা উনি ভালো করে জানেন।”

    ‘ভয়ঙ্করী মুখ্যমন্ত্রী’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন মুসলিমরা। তাই মুসলিমদরদি ভাবমূর্তি দেখিয়ে ভোটব্যাঙ্ককে সুনিশ্চিত করতে রাজ্যের ভয়ঙ্করী মুখ্যমন্ত্রী ধ্বংসের খেলায় নামতে চাইছেন।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “মনরেগা আর আবাস যোজনার টাকার দাবিতে রেড রোডে যে ধর্না দিয়েছিলেন, সেখান থেকে রাম নবমীর উসকানিদাতার নাম যদি কিছু থাকে, তাহলে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উসকানিতেই রিষড়া, ডালখোলা ও শিবপুরের পিএম বস্তিতে দাঙ্গা হয়েছিল।” শুভেন্দু বলেন, “ওঁর কণ্ঠস্বর হায়দরাবাদের পাকিস্তানপ্রেমী নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।”

    আরও পড়ুুন: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা!

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি মহামান্য রাজ্যপালকে বলব, উনি অবিলম্বে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে আধাসেনা মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রকে জানান। রাম নবমী থেকে শুরু করে সিএএ-কে এনআরসির তকমা দিয়ে যেসব জায়গায় সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছিল, নূপুর শর্মা ইস্যুতেও যা হয়েছিল, সেই সব জায়গা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন। ওই সব জায়গায় আধাসেনা মোতায়েন করা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Suvendu Adhikari: তাঁর কাছে জমি চেয়েছিলেন অনুকূল ঠাকুর! মমতার মন্তব্যে বিতর্ক, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তাঁর কাছে জমি চেয়েছিলেন অনুকূল ঠাকুর! মমতার মন্তব্যে বিতর্ক, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেখানেই তিনি দাবি করেন, যুগাবতার অনুকুল ঠাকুর নাকি তাঁর কাছে জমি চেয়েছিলেন এবং তিনি তা দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর বয়ানের ওই ভিডিও ইতিমধ্যে নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কমেন্ট বক্সে ভেসে আসছে নানা মন্তব্য। মুখ্যমন্ত্রীর এধরনের মন্তব্য অবশ্য নতুন নয়। গতবছর দেশের চন্দ্রাভিযানের সময় তিনি বলেন, রাকেশ রোশন চাঁদে গিয়েছিলেন।

    কী লিখলেন শুভেন্দু?

    মুখ্যমন্ত্রীর বয়ানের ওই ভিডিওটি পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং তিনি সেখানে লেখেন, “যুগাবতার পুরুষোত্তম্ শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ১৯৬৯ সালে দেওঘরে দেহ ত্যাগ করেন। উনি কি আপনাকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন জমির ব্যাপারে? এই সব মিথ্যাচারের জন্য আপনি ক্ষমা চান এবং কোনও অভিজ্ঞ মানসিক চিকিৎসাবিদের তত্ত্বাবধানে নিজের মস্তিষ্কের চিকিৎসা করান। আপনার সুস্থতা কামনা করি।” 

    শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠক

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মঙ্গলবার বিকেলে এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন এবং সেখানে তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী এমনকাণ্ড নতুন করছেন না, এর আগে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরকেও তিনি অসম্মান করেছেন। এর আগে তিনি এও দাবি করেছেন ইসকনকেও নাকি তিনি জমি দিয়েছেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর মত হল যে তারা নাকি দাঙ্গা করে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, অনুকুল ঠাকুরের ভক্তদের কথা চিন্তা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দেওঘরে এইমস-এর মতো হাসপাতাল বানিয়ে দিয়েছেন এবং বিমানবন্দর তৈরি করে দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ায় উজ্জ্বলা যোজনা বন্ধের ফন্দি আঁটছেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ায় উজ্জ্বলা যোজনা বন্ধের ফন্দি আঁটছেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উজ্জ্বলা যোজনার জেরে ঊর্ধ্বগামী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার লেখচিত্র। তাই পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রের এই যোজনা বন্ধ করার ফন্দি আঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন তিনি। মঙ্গলবার এই ভাষায়ই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ট্যুইট-বাণ হানলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি (Suvendu Adhikari)। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    কী বলছেন শুভেন্দু?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আতঙ্কিত। আতঙ্কিত কারণ পশ্চিমবঙ্গের ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৭১ হাজার ২২টি বাড়ি থেকে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তিনি রাজ্যের মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার মতো প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছেন। এবার প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার জনপ্রিয়তা টের পেয়ে প্রকল্পটি রাজ্যে বন্ধ করতে তিনি প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন।”

    মুখ্যসচিবকে চিঠি

    রীতিমতো তথ্য দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) দাবি, উজ্জ্বলা যোজনার প্রথম পর্বে মোট উপভোক্তার ১১ শতাংশ ও দ্বিতীয় পর্বে মোট উপভোক্তার ১৭.২৬ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। আমি এ ব্যাপারে মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে চিঠি লিখেছি। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখার পর এই রাজ্যে প্রকল্পটি বন্ধ করতে প্রশাসনের অপব্যবহার করছেন মমতা। ট্যুইটে পশ্চিমবঙ্গে উজ্জ্বলা যোজনার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    আরও পড়ুুন: ‘পলাতক’ দুই ঋণখেলাপির খোঁজে লন্ডন যাচ্ছেন গোয়েন্দারা!

    চিঠিতে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “অনেক গরিব মানুষ এলপিজি সংযোগের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার জন্য তাঁদের নিকটতম পরিবেশকদের সঙ্গে দেখা করলে তৎক্ষণাৎ তাঁদের আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। একটি অযৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা বর্তমানে চালু নেই। এবং কোনও নতুন অ্যাপ্লিকেশনও গ্রহণ করা হচ্ছে না।

    কয়েকজন ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তাঁরা আমাকে গোপনে জানিয়েছেন যে, তাঁদের নিজ নিজ জেলার ম্যাজিস্ট্রেটরা নতুন সংযোগের জন্য আর কোনও আবেদন গ্রহণ না করার জন্য মৌখিক নির্দেশ জারি করেছেন। নির্দেশ না মানলে তার ফল ভালো হবে না বলেও তাঁদের শাসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “নির্লজ্জ পুলিশমন্ত্রী বলেই হয়তো টিকে আছেন”, মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “নির্লজ্জ পুলিশমন্ত্রী বলেই হয়তো টিকে আছেন”, মমতাকে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্ধারিত কর্মসূচির তৃতীয় দিনে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে হাজির হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মঙ্গলবার দুপুরে জিয়াগঞ্জের ফুলতলা মোড়ে উপস্থিত হয়ে সেখানে ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জির মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন জিয়াগঞ্জের বাগডহর মোড়ের উদ্দেশ্যে। এরপর বিকেলে দলীয় একটি জনসভায় যোগদান করেন। এদিন একাধিক বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন।

    ভর্ৎসনা পুলিশের নয়, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর (Sukanta Majumdar)?

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “পুলিশ কোর্টের সামনে হয়তো ভর্ৎসনার শিকার হচ্ছে কিন্তু এই ভর্ৎসনা পুলিশের নয়, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী কে? আজ কোর্ট মমতাকে থাপ্পড় দিলো, এতো নির্লজ্জ পুলিশমন্ত্রী বলেই হতো টিকে আছেন। অন্য রাজ্য হলে সেই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী ইস্তফা দিয়ে বাড়িতে চলে যেতেন। হাজার হাজার একরের আদিবাসীদের জমি দখল করে নিয়েছে শাহজাহান। ভেড়ির সমস্ত জমি জোর করে দখল করে কোটি কোটি টাকা লুট করেছে এই তৃণমূল নেতা। পুলিশ তাঁকে সংরক্ষণ দিয়েছে।”

    আর কী বললেন?

    এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি সুন্দর হাসি মার্কা ছবি দিয়ে লেখা সজল গ্রাম। টাকা দিচ্ছে মোদি অথচ ছবি মুখ্যমন্ত্রীর লাগানো। হিসাব না দিলে টাকা মিলবে না। রাজ্যের ৪১ টা প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। কারণ টাকার হিসেব দেওয়া হচ্ছে না।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ভাতা নিয়ে সুকান্ত বলেন, “পুলিশ না থাকলে তৃণমূল নামক কোনও বস্তুও থাকবে না। পুলিশ না থাকলে মুর্শিদাবাদেও কিছুই থাকবে না তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী যদি ভাতা না নেন তাহলে অ্যাপেলের আই ফোনটা কোথা থেকে এলো? নিজের পরনে সাদা শাড়িটা ডিজাইন করা, বাংলার কোন দোকানে পাওয়া যায় বলতে পারবেন? বাজার থেকে কেউ এক কপি কিনে এনে দিতে পারবেন? ডিজাইন করার টাকার উৎস কী? ভাতা নিচ্ছি না, মানে মুখ দিয়ে খাচ্ছি না স্ট্র দিয়ে খাচ্ছি। মুখ দিয়ে চুরি করলে মুখে লাগবে, তাই স্ট্র দিয়ে চুরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন, এখনও অধরা শাহজাহান

    North 24 Parganas: সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন, এখনও অধরা শাহজাহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও তিন জন। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির উপর আক্রমণের ঘটনায় মোট গ্রেফতারে সংখ্যা দাঁড়াল সাত। তবে যাঁকে কেন্দ্র করে ইডির রেশন দুর্নীতি তদন্তের তল্লাশি অভিযান হয়েছিল সেই তৃণমূল নেতা শাহজাহানকে এখনও পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এই নিয়ে পুলিশ প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধী দল বিজেপি।

    শাহজাহানের অনুগামীরা আক্রমণ করেছিল (North 24 Parganas)

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির (North 24 Parganas) সরবেড়িয়ায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি রেশন দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে যায়। উল্লেখ্য রাজ্যের রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে প্রথমে বাকিবুর রহমান এবং এরপর তৃণমূলের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আর্থিক লেনদেনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে ইডি। আর এই নিয়ে তদন্তে করতে গেলে সরবেড়িয়ায় আক্রান্ত হতে হয় তদন্তকারী অফিসারদের। তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মার খেতে হয়। ভাঙা হয় গাড়ি এবং সংবাদ মাধ্যমকেও করা হয় মারধর। এলাকায় ৮০০ থেকে ১০০০ লোক যারা শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত তারা হামলা চালায়। এরপর ঘটনায় প্রতিক্রিয়তা স্বরূপ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বলেন ‘রাজ্যে জঙ্গল রাজত্ব’ চলেছে। একই ভাবে রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার, শাহজাহানকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গে আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা দেখা যায়নি। ঘটনায় নেজাট থানায় ইডি প্রথম একটি এফআইআর দায়ের করে। এরপর পুলিশ নিজে থেকে অপর আরেকটি মামলা করে এবং ইডির তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে এলাকার মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ জানিয়ে অতিরিক্ত আরও একটি এফআইআর করা হয়। এই ঘটনায় মোট এখনও পর্যন্ত তিনটি মামলা করা হয়েছে।

    ইডি সূত্রে দাবি

    সন্দেশখালি (North 24 Parganas) ঘটনার পর থেকে শাহজাহানের কোনও রকম সন্ধান না পাওয়া গেলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছে, আক্রমণের দিনে তৃণমূল নেতা নিজের বাড়িতে ছিলেন। ইডির তদন্ত থেকে বাঁচতে বিক্ষোভ-হামলার ঘটনা ঘটিয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। যদিও আইনজীবীর মাধ্যেম এই তৃণমূল নেতা কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে সন্দেশখালি মামলায় যুক্ত হতে চান বলে আবেদন করেছেন তিনি। এই মামলায় তাঁর বক্তব্য কোর্ট যেন শোনে, একথাও আবেদনে উল্লেখ করেন। এই মামলায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপির বিধায়ক এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, “শাহজাহান পুলিশের সংরক্ষণেই রয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মহিলাকে ব্যাপক বাঁশপেটা করলেন  তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য! মারধরের ভিডিও ভাইরাল

    North 24 Parganas: মহিলাকে ব্যাপক বাঁশপেটা করলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য! মারধরের ভিডিও ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি। জমি সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসা করতে গিয়ে খোদ শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধেই উঠল মহিলাকে বাঁশপেটানোর অভিযোগ। চলল সেই সঙ্গে লাথি এবং ঘুষিও। মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর মেয়েও। তৃণমূল নেতার মারধরের সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দত্তপুকুরে।

    বাঁশ তুলে মার মহিলাকে (North 24 Parganas)

    দত্তপুকুর (North 24 Parganas) দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়পুল মেঠোপাড়া এলাকার ২৪২ নম্বর পার্টির তৃণমূল পঞ্চায়েত মেম্বারকে দেখা যায়, এই তৃণমূল নেতা কীভাবে তেড়ে গিয়ে মহিলাকে ধাক্কা মারতে মারতে নিয়ে যাচ্ছেন জমির মধ্যে। এরপর রেগেমেগে জমির মধ্যে পড়ে থাকা একটি বাঁশও তুলে নিয়ে কার্যত নিজের হাতেই মহিলাকে ব্যাপক মারধর শুরু করেন। আর সেই ভিডিয়ো সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    কে এই তৃণমূল নেতা?

    স্থানীয় (North 24 Parganas) সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিডিয়োয় মহিলাকে প্রকাশ্যে মারধর করছেন যে তৃণমূল নেতা, তিনি হলেন তাজউদ্দিন। তিনি দত্তপুকুরের জয়পুল মেঠোপাড়ার বাসিন্দা। তিনি শাসকদলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য। সূত্রের আরও খবর, মোসলেমা বিবির স্বামী নাসিরউদ্দিন মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর ভাইদের জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। পৈতৃক জমি নাসিরউদ্দিনকে না জানিয়ে সেই জমির বিক্রি বাবদ অগ্রিম টাকা নিয়ে নেয় তাঁর ভাইয়েরা। সেই কথা জানতে পেরে জমি ঘিরতে বাঁধা দেয় নাসিরউদ্দিনের পরিবার। এরপর বিবাদের উত্তাপ পৌঁছায় স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং থানাতেও।

    বিরোধী দলনেতার তীব্র আক্রমণ

    স্থানীয় (North 24 Parganas) তৃণমূল নেতার এই দাদাগিরির ভিডিয়ো নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করে শাসকদলকে রীতিমতো বিঁধেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইট করে লিখেছেন, “ওরাই তৃণমূলের রত্ন। দত্তপুকুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তাজউদ্দিন কীভাবে একজন মহিলাকে মারধর করছে দেখুন! এটা ভাবাই যায় না। ঘটনার পরেও আক্রান্ত মহিলা মোসলেমা বিবিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তারপরও দত্তপুকুর থানার পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এখনও পর্যন্ত। যার জেরে ভয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে এখন অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন মহিলার পরিবারের সদস্যরা।”

    আক্রান্তের বক্তব্য

    ঘটনায় অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত মোসলেমা বিবি ও তাঁর মেয়ে হাসিনা বেগম। তাঁরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ঘটনার সুবিচার চাই আমরা।” পালটা যদিও মারধরের ঘটনা স্বীকার করেও গোটা পরিস্থিতির জন্য ওই মহিলাকেই দায়ী করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাজউদ্দিন। ঘটনার পরেও এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ফলে মহিলাকে মারধরের পরেও সে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায় (North 24 Parganas)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি অফিসারদের ওপর হামলার অর্থ ভারতের সংবিধানের ওপর হামলা। বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। ইডি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, রাজ্য সরকারের ভুয়ো কোনও সংস্থা নয়। বুধবার গঙ্গাসাগরে গিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের মেলার খরচ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন তিনি।

    মেলার ২০০ কোটি কোথায় যায়, প্রশ্ন সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলা উদ্বোধনে এসে বলেছিলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় কেন্দ্রীয় কোনও সাহায্য মেলে না। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বুধবার বলেন, মেলার সাহায্য পেতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে হবে। উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগাতে হবে। এখানে মেলা দেখে মনে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, হেলিকপ্টার সার্ভিসটা কোথায়? ১৯ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। আর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গঙ্গাসাগর মেলা করতে ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়. সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, ২০০ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটা খোঁজ নিয়েছেন? মুখ্যমন্ত্রীর ছবির পিছনে সব টাকা কি খরচ হয়ে যায়?

    ইডি-র ওপর হামলা নিয়ে সরব সুকান্ত

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আগামীকাল ইডি-র ওপর হামলার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করার কর্মসূচি রয়েছে রাজ্য বিজেপির। ইডি ভারতীয় সংবিধানের দ্বারা পরিচালিত হয়। লোকসভায় ও রাজ্যসভায় আইন প্রণয়ন করে নিয়োগ করা হয়েছে। ইডি অফিসারদের ওপর হামলা মানে ভারতবর্ষের সংবিধানের উপর হামলা। এই হামলা ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের উপর হামলা। বিচ্ছিন্নবাদী মানসিকতা, পশ্চিমবঙ্গকে ভারতবর্ষ থেকে আলাদা করার মানসিকতা। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বিজেপি লড়ছে। যারা ইডি অফিসারদের ওপর হামলা করেছে, তাদেরকে তো গ্রেফতার করতে পারবে না, বরং তাদেরকে ‘বঙ্গরত্ন পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হার্মাদরা তো ভোটে জেতায়। মুখ্যমন্ত্রী কি জনতার ভোটে জেতে! তৃণমূল সরকার যে কাজ করছে সেটি ভারতবর্ষের সংবিধানের ওপর আক্রমণ, ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ। ইডি উপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, যেভাবে আইন ভাঙা হয়েছে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না। সময় আসছে বিজেপি সরকার তৈরি হবে। যে বাড়ির তালা ভাঙা যায়নি, সেই বাড়িতে বুলডোজার চলবে।

    গঙ্গাসাগরে সুকান্ত

    দলীয় একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে বুধবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গঙ্গাস্নান করেন তিনি। গঙ্গাস্নানের পর তিনি কপিলমুনির মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। এরপর গঙ্গাসাগর মেলা চত্বর ঘুরে দেখেন তিনি। শুধুমাত্র এ রাজ্যই নয়, ভিন রাজ্য থেকেও এই মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। গঙ্গাসাগরে বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলে পুলিশি বাধা! ব্যাপক ধস্তাধস্তি, প্রতিবাদে অবরোধ

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলে পুলিশি বাধা! ব্যাপক ধস্তাধস্তি, প্রতিবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাইক মিছিলে পুলিশের বাধা। কিন্তু নিজেদের কর্মসূচিতে অনড় থাকে বিজেপি। সড়কে বসে প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ জানায় বিজেপি। সেই সঙ্গে চলে ব্যারিকেডকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে তীব্র ধস্তাধস্তি। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে হিরণ বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু মমতার গুন্ডাদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে এখানে পাঠিয়ে অশান্তির চেষ্টা করেছে। সন্দেশখালিতে পুলিশ নেই আর এখানে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।” ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।

    ঠিক কোথায় মিছিল চলছিল (Sukanta Majumdar)?

    আজ রবিবার হুগলির ডানকুনি থেকে ১২ কিমি পর্যন্ত হাওড়ার ডোমজুড় থানা পর্যন্ত বিজপির বাইক মিছিলের মাধ্যমে সংকল্প যাত্রা চলছিল। এই যাত্রা আয়োজন করা হয়েছিল শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে। এই যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উল্লেখ্য এই বাইকের মিছিল পুলিশ আটকাবে আগেই জানিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের বাধাকে অতিক্রম করে যাত্রা করা হয়েছিল। আর তার ফলেই বাধে গোলমাল। প্রথমে এস এন মুখার্জি রোডে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকায়। এরপর বিজেপির কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায়। তারপর আবার ডানকুনি হাউজিং মোড়ে পুলিশ আটকালে রাস্তায় নেমে অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। এরপর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

    কী বললেন সুকান্ত?

    বিজেপি রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “পুলিশ কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়া আমাদের কয়েকজন কর্মীকে আটক করে ভ্যানে তুলে নেয়। তবে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। পুলিশের দুই কর্মী আমার মাথায় আঘাত করেছে। কার্যত পুলিশ এখন তৃণমূলের গুন্ডায় পরিণত হয়েছে। আমরা কখনও জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে চাইনি। কিন্তু পুলিশদের আজ অহেতুক অত্যাচারে আমরা বাধ্য হয়েছি। আমাদের যে কর্মীদের মারধর করা হয়েছে, পুলিশ সেই বিষয়ে তদন্ত করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন না করলে এরপর আমরা এবার থানা ঘেরাও করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share