Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Recruitment Scam: যন্ত্রণার হাজার দিন! ধর্মতলায় ন্যাড়া হয়ে প্রতিবাদ মহিলা চাকরিপ্রার্থীর

    Recruitment Scam: যন্ত্রণার হাজার দিন! ধর্মতলায় ন্যাড়া হয়ে প্রতিবাদ মহিলা চাকরিপ্রার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাজার দিন হয়ে গেল চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা তাঁরা রাস্তায় বসে রয়েছেন। পুজো, দীপাবলি, ইদ বা বড়দিন তাঁদের কাটছে আন্দোলন করেই। হকের চাকরির জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। আজ, শনিবার, আন্দোলনের ১০০০ দিনের মাথায় ধর্মতলার ধর্না মঞ্চে এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের পাওনা চাকরির জন্য ন্যাড়া হলেন। এদিন হকের চাকরির দাবিতে রাস্তাতেই মাথা ন্যাড়া করতে দেখা গেল এক মহিলা আন্দোলনকারীকে। লজ্জার এই ছবি দেখল বহু লড়াইয়ের সাক্ষী থাকা এই শহর।

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ 

    এদিন মাথা মুড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই মহিলা চাকরিপ্রার্থী। কান্নাভেজা গলায় মহিলা চাকরিপ্রার্থী জানান, তিনি এমএ পাশ করেছেন। বিএডও পাশ করেছেন। চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছেন। তারপরও চাকরি মেলেনি। তাঁর কথায়, “বাড়িতে বৃদ্ধ মা, বাবা, অসুস্থ ছেলে। চাকরির আশায় টানা ১ হাজার দিন ধরে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত অবস্থান মঞ্চে আসছি। কিন্তু আর পারছি না। বাধ্য হয়ে মাথা ন্যাড়া করলাম। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। জানতে চাই, কী করলে হকের চাকরি পাব?” নিয়োগের দাবিতে গত এক হাজার দিন ধরে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন এসএলএসটি-র নবম-দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা৷ ২০১৬ সালে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়৷ কিন্তু প্যানেলের তালিকাভুক্ত হয়েও এই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ৷

    আরও পড়ুন: রানিমার পারিবারিক বিয়েতে ব্যস্ত রাজ্য, তাই চাষিদের দুঃখে নজর নেই, তোপ শুভেন্দুর

    মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের

    চাকরির দাবিতে কখনও প্রেস ক্লাবের সামনে, কখনও সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে গিয়েছেন এই চাকরিপ্রার্থীরা৷ বর্তমানে তাঁরা ধর্মতলার কাছে গান্ধিমূর্তির নিচে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন৷ এর আগেও আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নানা কর্মসূচি নিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা৷ কিন্তু কাজের কাজ হয়নি৷ মেলেনি কাঙ্খিত নিয়োগ পত্র। এক চাকরিপ্রার্থীর কাতর আবেদন, “মুখ্যমন্ত্রী আপনি উত্তরবঙ্গে রয়েছেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। আপনার পারিবারিক বিবাহ অনুষ্ঠানে। আমাদের এই আন্দোলন যদি দেখে থাকেন তাহলে আগামিকালই আমাদের ধর্না মঞ্চে আসুন। আপনাকে আমাদের নিয়োগ দিতেই হবে।” 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • INDI Alliance: হিন্দি-বলয়ে গোহারা হওয়ার পর ইন্ডি-জোটে ফাটল, লোকসভা পর্যন্ত টিকবে তো?

    INDI Alliance: হিন্দি-বলয়ে গোহারা হওয়ার পর ইন্ডি-জোটে ফাটল, লোকসভা পর্যন্ত টিকবে তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার প্রত্যক্ষ করেছেন দেশবাসী। মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে ছত্তিসগড় ও রাজস্থান— সর্বত্র আজ রাজ করছে গেরুয়া ঝান্ডা। এর মধ্যে ছত্তিসগড় ও রাজস্থান বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য। কারণ, এই দুই রাজ্যে শাসক কংগ্রেসকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে তিন রাজ্যে বিপুল জয়লাভ করেছে গেরুয়া শিবির। আর এই জয়ের নেপথ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগ্য নেতৃত্ব ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের সংগঠিত লড়াই। বিজেপি একদিকে যখন এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন যেন ‘মোদি-ঝড়ের’ গ্রাসে বিরোধী শিবির।

    একা মোদির মোকাবিলায় ২৬টি দল!

    কংগ্রেস হোক বা তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি হোক বা আম আদমি পার্টি— সকলেই একমত ছিল যে, একা একা নরেন্দ্র মোদির মোকাবিলা করা অসম্ভব, অবাস্তব। তাই, মোদির মোকাবিলা করতে ২৬টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দল নিয়ে গঠিত হয়েছিল ‘ইন্ডি অ্যালায়েন্স’ (INDI Alliance)। এই জোটের মূল হোতা অবশ্যই শতাব্দী প্রাচীন পার্টি, মায় কংগ্রেস। এই জোট তৈরি হওয়া ইস্তক গত এক বছরে বেশ ক’বার জোটের সদস্য দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকও করেন। তৈরি হয় একাধিক নীল-নকশা। লক্ষ্য মোদিকে হারানো। কিন্তু, এত কিছু করে বাস্তবে কী হল?

    আরও পড়ুন: ১২ রাজ্যে ক্ষমতায় বিজেপি, কংগ্রেস মাত্র তিনে! প্রধানমন্ত্রী মোদির ‘হ্যাটট্রিক’ কি সময়ের অপেক্ষা?

    সেমিফাইনালে গো-হারা কংগ্রেস

    সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের (2024 LS Polls) আগে সেমি-ফাইনাল হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বলা বাহুল্য, এই পাঁচ (বিশেষ করে চারটি) রাজ্যের বিধানসভার ফলাফলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলেই। যা দেখা গেল, তা হল— বিজেপি-৩, কংগ্রেস-১। ফলাফলেই পরিষ্কার, খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছে বিরোধী শিবির (INDI Alliance)। কংগ্রেস তথা ইন্ডি-জোটের মাথার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। যার জেরে একেবারে লন্ডভন্ড অবস্থা বিরোধী জোটে। 

    পিঠ বাঁচাতে ‘ইভিএম’ কারচুপি তত্ত্ব

    বিভ্রান্ত কংগ্রেস নেতারা হারের দায় ঝেড়ে ফেলতে এবং নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ‘ইভিএম’ কারচুপির তত্ত্ব খাড়া করেছে। যদিও, তাতে কেউ আমল দিচ্ছে না। শুধু তাই নয়। ফলাফল বের হওয়া ইস্তক, জোটের মধ্যেই দোষারোপের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের ব্যর্থতার দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছে জোট-শরিকরা। ইন্ডি-জোটের অন্যতম সদস্য তৃণমূল। মমতা জানিয়েছেন, এটা কংগ্রেসের পরাজয়। তাদের কৌশল ভুল ছিল। একই কথা প্রকাশ্যে এসেছে জেডিইউ-র থেকেও।

    ইন্ডির বৈঠকে গরহাজির কারা

    বুধবার, ভোটের পর্যালোচনা ও আগামী দিনের পরিকল্পনা ও নীতি স্থির করতে দিল্লিতে ১০ রাজাজি মার্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে বৈঠক (INDI Alliance) ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে যাননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, পাঠাননি কোনও প্রতিনিধিকে। উত্তরবঙ্গ সফরের আগে মমতা জানান, বৈঠকে সম্পর্কে তিনি নাকি কিছুই জানেন না। তাঁকে কেউ ফোন করেননি। বৈঠকে গরহাজির ছিলেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। যাননি জেডিইউ-র নীতীশ কুমার ও জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। বৈঠকে ছিলেন না শিবসেনার উদ্ধব-গোষ্ঠী সহ আরও একাধিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

    লোকসভা ভোট পর্যন্ত ইন্ডি-জোট টিকবে তো?

    এই ঘটনাগুলোই প্রমাণ করে যে, ইন্ডি-জোটের ভিতরে ঘোঁট পাকিয়ে গিয়েছে। ঘটা করে শুরু হয়েছিল ইন্ডি-জোট। ‘হানিমুন’ পর্ব শেষ। বছর পার হতে না হতেই এবার রুক্ষ বাস্তব প্রকাশ পেতেই একে একে সরে যাচ্ছে জোটের শরিকরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এটা হওয়ারই ছিল। কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, ইন্ডি জোটের শরিক দলগুলির নিজ নিজ স্বার্থ ঢেকে দিচ্ছে বিজেপিকে মোকাবিলা করার অভিন্ন স্বার্থকে। যে কারণে, নিজেদের মধ্যেই একে অপরকে কটাক্ষ করার এই প্রবণতা থেকে গিয়েছে। কারণ জোটের সবকটি দল স্বার্থপর। লোকসভা ভোট (2024 LS Polls) পর্যন্ত বিরোধীদের সাধের ইন্ডি-জোট (INDI Alliance) টিকবে তো? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ওখানে গিয়ে আমরা মুখোশ খুলব”, মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ওখানে গিয়ে আমরা মুখোশ খুলব”, মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারিবারিক বিবাহ  অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ছ’ দিন থাকবেন তিনি। অনুষ্ঠান ছাড়াও একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে থাকাকালীনই সেখানে কর্মসূচি ঘোষণা করে দিল বিজেপি। ১২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিজেপি।

    উত্তর উত্তরণের খোঁজে

    বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওখানে গিয়ে আমরা মুখোশ খুলব। আমাদের কোনও ওপেন মাঠ দেওয়া হয়নি। তাই ইন্ডোর কনভেনশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আলোচনা সভার নাম দেওয়া হয়েছে উত্তর উত্তরণের খোঁজে।” তিনি বলেন, “এই কনভেনশনের জন্য আগে থেকে ফেসবুক লাইভের লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। উত্তরবঙ্গের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ যাতে আমাদের বক্তব্য শুনতে পান, সেই ব্যবস্থা করব। আমরা সেদিন তুলে ধরব উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা। এই সরকারের মুখোশ খুলব আমরা।”

    কোন রানিমাকে ভোট দিয়েছেন আপনারা?

    শুভেন্দু বলেন, “এই ১২ বছরে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে মমতা ব্যানার্জি ১৫টা গেস্ট হাউস করেছেন। এগুলোর চাবি থাকে ওঁর বাড়িতে, না হয় নবান্নের ১৪ তলায় গৌতম সান্যালের কাছে। কেউ থাকতে পারবেন না।” তিনি বলেন, “শুধুমাত্র উত্তরকন্যায় যে গেস্ট হাউস বানিয়েছেন থাকার জন্য, হাঁটার জন্য, ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য তার জন্য খরচ হয়েছে ৩০ কোটি টাকা। সেবক রোডে প্রাসাদের মতো গেস্ট হাউস তৈরি হয়েছে। এ কোন রানিমাকে ভোট দিয়েছেন আপনারা? সততার মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ান? কোন চিটিংবাজ, ফোর টোয়েন্টি, ফেরেপবাজকে ভোট দিয়েছেন?”

    পাট্টা দেওয়ার নামে প্রতারণা! 

    আলিপুরদুয়ারে পাট্টা দেওয়ার নামে চা শ্রমিকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী প্রতারণা করেছেন বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “ভোটের আগে উনি ৬০ হাজার জনকে পাট্টা দেবেন বলেছিলেন। আগেরটা তো হয়নি, চা সুন্দরী। ওটা ভুয়ো সুন্দরী হয়ে গিয়েছে। জীবনে একটা সত্যি কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী!”    

    “আইসিডিএস কর্মীদের ফোনের টাকা চুরি”

    এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১৫০ কোটি টাকা চুরির অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, “আইসিডিএস কর্মীদের মোবাইল ফোন কিনে অ্যাপ চালু করতে চার বছর আগে কেন্দ্র ১৫০ কোটি টাকা দিয়েছিল। এই অ্যাপের নাম আয়ুষ্মান ভারত হেল্থ অ্যাকাউন্ট। রাজ্য সরকার ওই টাকা চুরি করেছে বা অন্য খাতে খরচ করেছে। তাই অ্যাপ চালু হয়নি।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন, আইসিডিএস কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: “স্টেট স্পনসর্ড ওয়েডিং”! মমতার ভাইপোর বিয়ে নিয়ে ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: সলমন-মুখ্যমন্ত্রী ‘ডুয়েট’, মমতাকে ‘দ্বিতীয় নিরো’র তকমা শুভেন্দুর, আক্রমণ গিরিরাজেরও

    Suvendu Adhikari: সলমন-মুখ্যমন্ত্রী ‘ডুয়েট’, মমতাকে ‘দ্বিতীয় নিরো’র তকমা শুভেন্দুর, আক্রমণ গিরিরাজেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘দ্বিতীয় নিরো’র তকমা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহও। ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট। মঞ্চে ছিলেন তারকা সলমন খান, সোনাক্ষী সিনহা, অনিল কাপুর, মহেশ ভাটরা। এক সময় গানের তালে নাচতে শুরু করেন সলমন, সোনাক্ষী। তাঁদের সঙ্গে পা মেলাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।

    গিরিরাজের নিশানায় মমতা

    এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন গিরিরাজ। বুধবার কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী বলেন, “গোটা বাংলা দুর্নীতিতে জড়িত। গরিব মানুষ তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অথচ মুখ্যমন্ত্রী সলমনের সঙ্গে নাচে মেতে রয়েছেন।” তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকাল (Suvendu Adhikari) অন্য কোনও গ্রহে বাস করছেন। গোটা বাংলা দুর্নীতিতে ডুবে। গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। আর উনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সলমন খানের সঙ্গে কোমর দোলাচ্ছেন। এটা দুর্ভাগ্যজনক। যে রাজ্যে গরিবকে লুণ্ঠন করা হচ্ছে, দুর্নীতি হচ্ছে, আর তার মুখ্যমন্ত্রী মোচ্ছব করছেন, কোমর দোলাচ্ছেন, এটা উচিত নয়।” গিরিরাজ বলেন, “উনি সেখানে গিয়ে বসে থাকতে পারতেন। ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল বলে কোমর দোলানোটা কি খুব জরুরি? আমার আপত্তি উনি মোচ্ছব করছেন বলে। আর লোক খিদেয় মরছে, বেকারত্বের জ্বালায় মরছে, দুর্নীতিতে মরছে।”

    আরও পড়ুুন: সাংসদ পদে ইস্তফা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বিজেপির ১০ জনের, তালিকায় কারা?

    কী বললেন শুভেন্দু 

    মুখ্যমন্ত্রীকে তাক করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “রোম পুড়ো যাওয়ার সময় নিরো বেহালা বাজাচ্ছিলেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হলেন নিরো ২.০। তিনি যখন নাচছেন তখন পশ্চিমবঙ্গ বিপুল আর্থিক বোঝা ও সীমাহীন দুর্নীতির মধ্যে ডুবে রয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, এবার ছিল ২৯তম আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনায় অনুষ্ঠানে থিম সং-টি গেয়েছেন অরিজিৎ সিংহ। সেই গানেই সলমনের সঙ্গে নাচতে দেখা যায় সোনাক্ষীদের। পরে হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে নিয়ে আসেন সলমন। এর পরেই তাঁদের সঙ্গে (Suvendu Adhikari) পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: চিকিৎসক-নার্সদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন! মমতার পাহাড় সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: চিকিৎসক-নার্সদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন! মমতার পাহাড় সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার কার্শিয়ংয়ের কন্যার সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিবাহের আসরে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিয়ের পর কলকাতায় নিউটাউনের একটি হোটেলে ভোজের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর বিয়ের এলাহি আয়োজন নিয়ে এবার সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    শুভেন্দুর কথায়, ‘আগামী পরশু পিসির ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রীমানের বিবাহবাসর বসতে চলেছে শৈলশহরে। প্রীতিভোজ দিন কয়েক পরে, নিউটাউনের বিলাসবহুল ব্যাঙ্কুয়েট হলে, যেখানে বিশিষ্ট শিল্পপতিদের সন্তানদের বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।’ শুভেন্দু দাবি করছেন, আগামী রবিবার পর্যন্ত অনুষ্ঠানের এই কয়টা দিন কার্শিয়াং হাসপাতালের আঠাশজন চিকিৎসককে, সঙ্গে প্রায় সমসংখ্যক নার্স, ফার্মাসিস্ট ও অ্যাটেন্ড্যান্টদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে দুই শিফটে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশক কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘রাজবৈদ্যদের নিশিযাপনের জন্য যে শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে তা নাকি নিম্নমানের লজের বিছানারও অধম, এবং মধ্যাহ্নভোজনে যে ‘মিড-ডে মিল’ পরিবেশন করা হয়েছে, তা দেখে লজ্জা হয়।’ 

    এদিন একটি সাংবাদিক বৈঠক থেকেও শুভেন্দু বলেন, ‘উনি নাকি গরীবের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আত্মীয়ের বিয়েবাড়িতে এই রকমের আয়োজন। মানুষ তো সব দেখছে।’ তাঁর কথায়, ‘পিসির পরিবার, জ্ঞাতি, আত্মীয় ও কুটুম্বদের বেশ কয়েকদিনের অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছে চা-বাগিচা এলাকার পাঁচতারা হোটেল’ তবে অন্যদিকে, চিকিৎসকদের মোতায়েন করার বিষয়টি নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘এলাহি আয়োজনের ছিটেফোঁটা ভাগ কি এই ব্যাক্তিদের দেওয়া যেত না, যাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাধ্য করা হয়েছে ওখানে যেতে।’ এরই সাথে খাবারের একটি ছবিও দিয়েছেন শুভেন্দু।

    আরও পড়ুন: আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! তাণ্ডব অন্ধ্রপ্রদেশে, বাংলায় বুধবার থেকে বৃষ্টি

    উল্লেখ্য, বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন মমতার ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক্তার পুত্র আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় (Abesh Banerjee)। পারিবারিক সূত্রে খবর, নিজের সহপাঠী প্রেমিকার সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তিনি। বরকর্তা হচ্ছেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের এই রাজ-বিয়ে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা চলছে। এর মধ্যেই বিয়েতে সাহায্য করা সাধারণ কর্মীদের হাল নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assembly Elections 2023: কংগ্রেস হারতেই বেসুরো মমতা, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন

    Assembly Elections 2023: কংগ্রেস হারতেই বেসুরো মমতা, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2023) ফল ঘোষণা হতেই ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’ জোট! হারের কারণ অনুসন্ধান করতে ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে বসছেন ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারা। সেই জোটের বৈঠক সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলেই জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজস্থান সহ চার রাজ্যে বিজেপির কাছে কংগ্রেস পরাস্ত হতেই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    কী বললেন মমতা?

    নভেম্বর মাসেই নির্বাচন হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার। এর মধ্যে রবিবার ঘোষণা হয়েছে চার রাজ্যের ফল। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে জয় পেয়েছে বিজেপি। গোহারা হেরেছে কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধীর দল পেয়েছে তেলঙ্গানার রাশ। এর পরেই কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা কংগ্রেসের (Assembly Elections 2023) হার, মানুষের পরাজয় নয়।” বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। দেশের সেই সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে কুর্সি-ছাড়া করতে জোট বেঁধেছে ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডি’।

    ইন্ডির ভবিষ্য

    কংগ্রেসের পাশাপাশি সেই ‘ইন্ডি’তে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলও। তিন রাজ্যে কংগ্রেস ধরাশায়ী হতেই মমতা দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কংগ্রেসের ডাকা ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠকে যে তৃণমূল সুপ্রিমো যাচ্ছেন না, তা জানিয়েছেন নিজেই। বলেন, “৬ তারিখের বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। আমি কিছুই জানি না। অভিষেকও উত্তরবঙ্গে চলে গিয়েছে। আমিও যাব। আমার সঙ্গে কারও কোনও কথা হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: মিছিলে মেজাজ হারালেন শোভনদেব! ধাক্কা দিলেন দলীয় নেতাকে, কেন জানেন?

    ইন্ডি জোট প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা কেউ না কেউ ভোট কেটেছে। তাই বলছি, আসন সমঝোতা করতে। আসন সমঝোতা করলে এটা হত না।” এদিন বিধানসভায়ও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এখনও মনে করি আসন সমঝোতা করলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি আসবে না। ইন্ডি জোট এক সঙ্গে কাজ করবে। কিছু ভুল থাকলে শুধরে নেবে।” তৃণমূল নেত্রী বলেন, “বাবুরা একটা বেশি পেয়েছে। আর কংগ্রেস একটায় হেরেছে, একটা পেয়েছে। কংগ্রেসের থেকে ছত্তিসগড় আর রাজস্থান নিয়ে নিয়েছে। আবার কংগ্রেস তেলঙ্গানায় জিতেছে (Assembly Elections 2023)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘গেরুয়াময়’ বিধানসভায় লাড্ডু বিলি, মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ‘চোর’ স্লোগান, ওয়াকআউট বিজেপির

    BJP: ‘গেরুয়াময়’ বিধানসভায় লাড্ডু বিলি, মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ‘চোর’ স্লোগান, ওয়াকআউট বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য রাজ্যের বিধানসভা হয়ে গেল গেরুয়াময় (BJP)। কারও মাথায় গেরুয়া টুপি, তো কারও মাথায় একই রংয়ের পাগড়ি। এক মহিলার হাতে আবার গেরুয়া লাড্ডুও। সোমবার দেশের তিন রাজ্যের জয় এভাবেই বিধানসভায় পালন করলেন বিজেপি বিধায়করা।

    পুলিশকে কটাক্ষ-বাণ শুভেন্দুর 

    স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করায় এক পুলিশ কর্মীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা পদ্ম-বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় পুলিশ কর্মীকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “ডিএ পান না। তিরিশ হাজার টাকা করে মাসে কম পান। লজ্জা করে না আপনাদের!” বিধানসভায় জয়োৎসব পালন করার সময় পদ্ম বিধায়কদের বাধা দেন বিধানসভার এক কর্মী। তাঁকে লক্ষ্য করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “আপনি কার দয়ায় এক্সটেনশনে কাজ করছেন, সব জানি।”

    বিজেপির জয়ে লাড্ডু বিলি

    নভেম্বর মাসে নির্বাচন হয় পাঁচটি অঙ্গরাজ্যের বিধানসভার। তার মধ্যে রবিবার গণনা হয়েছে চারটি রাজ্যের বিধানসভার ভোট। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে জয়ী হয়েছে বিজেপি (BJP)। এদিন বিধানসভায় সেই জয়ই উদযাপন করেন বিজেপির বিধায়করা। বিতরণ করা হয় লাড্ডুও। এদিকে, এদিন অধিবেশনের শুরুতেই তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তার জেরে যে মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করা হবে, সেই ইঙ্গিত বিজেপির তরফে মিলেছিল আগেই। সেই মতো সোমবার প্রশ্নোত্তর-পর্বে মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ‘চোর’, ‘চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। পরে ওয়াকআউট করেন বিধানসভা থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সনাতন ধর্মকে সম্মান না জানানোর পরিণতি’’! কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ভেঙ্কটেশ প্রসাদের

    এর আগে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে পদ্ম-বিধায়করা গিয়ে বসতেন বিধানসভার সিঁড়িতে। এদিন তা না করে তাঁরা চলে যান বিজেপি বিধায়কদের নিজেদের পরিষদীয় দলের ঘরে। সেখানেই স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে যে কোনও ধরনের বিক্ষোভ ও কর্মসূচির ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে বিধানসভা। তাই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হলে তাতে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বিধায়করা। সেই কারণেই এদিন পরিষদীয় দলের ঘরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান পদ্ম বিধায়করা। তাঁরা জানিয়ে দেন, তাঁরা আর বিধানসভায় ঢুকবেন না। কারণ আজ মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করেছেন তাঁরা (BJP)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: অম্বেডকর মূর্তির তলায় মমতার বিক্ষোভ, গঙ্গাজল দিয়ে সেই স্থান ধুলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অম্বেডকর মূর্তির তলায় মমতার বিক্ষোভ, গঙ্গাজল দিয়ে সেই স্থান ধুলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় শাহি সমাবেশ ছিল ২৯ নভেম্বর। সেদিনই বিধানসভায় অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল বিধায়করা। কালো পোশাক পরে তৃণমূলের এই বিক্ষোভে সমাবেশে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ হলেও ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকেই রীতিমত পরিসংখ্যান পেশ করে তৃণমূলের এই মিথ্যা দাবিকে নস্যাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার শুক্রবার অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশ গঙ্গা জল দিয়ে ধুতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, ‘‘চোরেরা বসে ওই স্থান অপবিত্র করেছে। তাই গঙ্গাজল দিয়ে তা ধুতে হবে।’’ এদিন মাথায় কলসি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) গঙ্গা জল আনতেও দেখা যায়। তারপরে তিনি সেই জল ঢালেন এবং পরে নিজে গামছা দিয়ে মোছেন।

    ২৯ নভেম্বর তৃণমূলের পাল্টা ধরনা বিজেপির 

    প্রসঙ্গত, ২৯ নভেম্বর তৃণমূলের এই ধর্না কর্মসূচির মধ্যেই বিধানসভায় পাল্টা অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে স্লোগান উঠতে থাকে ‘পিসি চোর ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর’। বিরোধী বিধায়কদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরও করে শাসক দল। শুক্রবার পলিথিনের জারে করে প্রথমে গঙ্গা জল নিয়ে আসা হয়, তারপর তা পিতলের কলসিতে ভরা হয়। সেই জল দিয়েই অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশ পরিষ্কার করা হয়।

    রাস্তা থেকে বিধানসভা প্রতিবাদে সামিল বিজেপি বিধায়করা

    শুভেন্দুর এই অম্বেডকর-এর মূর্তি শুদ্ধিকরণ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে বিধানসভার অন্দরে। বিধানসভায় এদিন স্পিকার আবার ডেকে পাঠান মার্শালকে। কিভাবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই কর্মসূচি পালন করলেন, তা জানতে চান তিনি। বিধানসভা চত্বরে যাবতীয় ধর্না বিক্ষোভ তথা প্রতিবাদ কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার জানিয়ে দেন, এ বার থেকে বিধানসভা চত্বরে কোনও রকম প্রতিবাদ কর্মসূচি, বিক্ষোভ বা মিটিং, মিছিল করা যাবে না। যদিও, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ থামাতেই স্পিকার এমন ঘোষণা করেছেন। নির্দেশের কপি হাতে পেলে তিনি এ বিষয়ে যা করণীয়, তাই করবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই অমিত শাহের হাইভোল্টেজ জনসভার সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। সভায় উপচে পড়া ভিড় ভেঙে দিয়েছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। অমিত শাহের কলকাতা আসার দিনেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল পরিষদীয় দল। সেই মতো বিধানসভাতে গতকাল কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান শাসক দলের বিধায়করা। তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে চলতে থাকে বিক্ষোভ। যানিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবারই সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল তো বিধানসভার বাইরে বের হতেই পারছে না। বিজেপি এবং মানুষের ভয়ে তাদেরকে বিধানসভায় ঢুকে যেতে হয়েছে। দিদিমণি এখন ওখান থেকেই ভাষণ দিচ্ছেন। বাইরে বেরিয়ে সভা করুক না একটা। তৃণমূল সারা বছর ধরে অর্থ এবং প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে একটা সভা করে (২১ জুলাই)। দুমাস আগে থেকে জেলায় জেলায় গেট করে, ফ্রি বাস, ট্রেনে করে লোক আনে। তারা ব্রিগেডে কেন করে না সভা? কত বছর আগে শেষবারের মতো ব্রিগেডে সভা করেছে! একটা করে দেখাক। আমরা তো বাৎসরিক ব্রিগেড করি।’’

    ওয়ার্ম আপ ম্যাচ

    অন্যদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গতকালের বিজেপির সমাবেশকে কটাক্ষ করেন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ধর্মতলার এদিনের সভা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছিল।’’ তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে চলে আসছে। এ নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় মেদিনীপুরের সাংসদকে। তাঁর (Dilip Ghosh) কথায়, ‘‘আমি জানি না কে কি করেছে? কে চোর? সেটা পাবলিক ঠিক করবে। চোরের মায়ের বড় গলা! নেতাদের মধ্যে হিম্মত নেই জনসভা করার। মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার হিম্মত নেই। খোকাবাবু তো হারিয়ে গিয়েছেন। ছন্নছাড়া অবস্থা আজকে। তারাই আবার পার্টির মধ্যে আওয়াজ তুলছে বুড়োদের সরিয়ে যুবকদের আনো। আগে নিজেদের পার্টির ভিতরের ব্যাপারটা তারা ঠিক করে নিক। পার্টি থাকবে কিনা সেটাও আগামী দিনে বোঝা যাবে।’’

    প্রসঙ্গ নাগরিকত্ব আইন

    গতকালই অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে আসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে গোপাল মুখোপাধ্যায়ের (যিনি গোপাল পাঁঠা নামেই প্রসিদ্ধ) কথা। প্রসঙ্গত, জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫১ সালে দেশের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা আসনটি থেকে জয়লাভও করেন তিনি। অন্যদিকে, ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময় কলকাতার রক্ষাকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। এই দুজনকে সম্মান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বাঙালি জাত্যাভিমান কি তুলে ধরবেন! শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কে ছিলেন? বাঙালি ছিলেন। বাঙালির হাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে, জনসঙ্ঘের। এটা ঠিক যে মানুষকে মনে করাতে হয়। বাঙালি খুব ভুলে যায়। দেশ ভাগ হয়েছে, বাঙালি নির্যাতিত হয়েছে। মা বোনেদের সম্মান গেছে। কোটি কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। আজকের যুব সমাজ যদি এগুলো ভুলে যায় তাহলে আবার উদ্বাস্তু হতে হবে। তাই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। সেটাই উনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমরাই সিএএ ইম্প্লিমেন্ট করব। সবই সময়ে হয়।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand Tunnel Rescue: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    Uttarakhand Tunnel Rescue: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য শেষ হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ফি বার ঘটা করে জনগণের টাকায় হচ্ছে মোচ্ছব। রাজ্যবাসীর আইওয়াশ করতে সই হয় মউ-ও। সেসবই যে আসলে ধোঁকা, তা বেআব্রু করে দিলেন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarakhand Tunnel Rescue) আটকে পড়া বাংলার এক শ্রমিকের পরিবার। বিষয়টি তাহলে খোলসা করেই বলা যাক।

    ‘বাংলায়ই কাজ করুক ছেলে’

    স্কুলের পাঠ চুকিয়ে ইলেকট্রিকেলে ডিপ্লোমা করেছিলেন সৌভিক পাখিরা। হুগলির পুরশুড়ার এই তরুণ তার পরেও চাকরি পাননি। চাষবাস করতেন। শেষমেশ কাজ পান উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে, সুড়ঙ্গ শ্রমিক হিসেবে। সেখানেই আরও ৪০ জন শ্রমিকের সঙ্গে টানা সতের দিন সুড়ঙ্গ-বাস করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়েছেন সৌভিক। তবে বাড়িতে ফেরেননি। সৌভিকের মায়ের অভিযোগ, বাংলায় কাজ নেই বলেই বাধ্য হয়ে বাইরে যেতে হয়েছে তাঁর ছেলেকে। তবে আর পাঁচজন বাঙালি মায়ের মতোই তিনিও চান, বাংলায়ই কাজ করুক লেখাপড়া জানা ছেলে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদারও টানা সতের দিন আঁধার-বাস (Uttarakhand Tunnel Rescue) করেছেন সুড়ঙ্গে। তাঁর পরিবারেরও আক্ষেপ, রাজ্যে কাজ থাকলে বাইরে যেতে হত না মানিককে।

    রাজ্যের শিল্প-চিত্রকে আক্রমণ তথাগতর

    রাজ্যের দু’ প্রান্তের এই দুই তরুণের করুণ কাহিনিটাই বস্তুত এ রাজ্যের শিল্প-চিত্র। ২০১১ সালে বাম-শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের কুর্সি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। তার পর থেকে শিল্প-শিল্প করে ধুয়ো তোলা হয়েছে বারংবার। তার পরেও শিল্প হয়নি বলে অভিযোগ। শিল্প হবে বলে জনগণের করের টাকায় ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর নিয়ম করে হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। লক্ষ্মী ধরতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্ষদদের (বিরোধীদের ভাষায় স্তাবক) নিয়ে ১২ দিন কাটিয়ে এসেছেন বিদেশে। তার পরেও লক্ষ্মীলাভ হয়নি রাজ্যের। অগত্যা রাজ্যের হা-শিল্প দশা ঘোঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী চপকেও (নিন্দুকরা বলছেন ঢপের চপ) শিল্পের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি একবারও ভেবে দেখলেন না, প্রতি ঘরেই যদি তরুণরা তেলেভাজার দোকান দেন, তাহলে কিনবে কে?

    নিতান্তই নিরুপায় হয়ে তাই বাংলার তরুণদের খাটতে যেতে হচ্ছে তামাম ভারতে। পেটভর্তি বিদ্যে নিয়ে কেউ খাটছেন জন, কেউ বা সুড়ঙ্গ শ্রমিক। বিপদে পড়ে সেখান থেকে যাঁরা রাজ্যে ফিরছেন, তাঁরা কী করবেন? অতি কঠোর বাস্তব এই প্রশ্নটাই তুলে দিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “সুড়ঙ্গ শ্রমিকরা তো অক্লান্ত চেষ্টার ফলে মুক্তি পেলেন। প্রশ্ন, এখন তাঁরা কী করবেন? তাঁদের পরিবারবর্গ বলছেন, তাঁদের আর রাজ্যের বাইরে যেতে দেবেন না। তাহলে কি তাঁরা মাননীয়ার ‘ডবল ডবল চাকরি’র ভরসায় বসে থাকবেন? নিউটাউনে বিনিয়োগ টেনে আনার যে কু-নাট্য অভিনীত হল, তার ওপর (Uttarakhand Tunnel Rescue) ভরসা করবেন?

    প্রাক্তন রাজ্যপালের এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?

    আরও পড়ুুন: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share