Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Ration Distribution Scam: ‘রেশন কেলেঙ্কারিতে খতিয়ে দেখা হোক মমতার ভূমিকা’, ইডিকে আর্জি শুভেন্দুর

    Ration Distribution Scam: ‘রেশন কেলেঙ্কারিতে খতিয়ে দেখা হোক মমতার ভূমিকা’, ইডিকে আর্জি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Scam) মামলায় এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে ইডিকে আর্জি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর। এক্স হ্যান্ডেলে ইডির ডিরেক্টরকে ওই আর্জি জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দুর নিশানায় মমতা

    শুক্রবার শুভেন্দু লেখেন, “২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতির পাহাড়ের সঙ্গে যুক্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজর থেকে বাঁচাতে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালে খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী করেননি।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানান, খাদ্য দফতর থেকে সরানো হলেও, দুর্নীতির টাকা সুবিধাভোগীদের হাত পর্যন্ত পৌঁছনোর জন্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কমিশনের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত করা হয়। এই কমিশনের মাধ্যমেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্য দফতরের সঙ্গে যোগসাজশ রেখেছিলেন। শুভেন্দুর দাবি, ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কমিশনের এমডি পদে বসানো হয় অবসরপ্রাপ্ত এক আইএএস আধিকারিককে।

    মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হোক

    এ সুব্বিয়াহ নামে ১৯৯২ সালের আইএএস ব্যাচের এক অফিসারকে নিয়োগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই আমলার বিরুদ্ধে আগে থেকেই সিবিআই তদন্ত চলছে (Ration Distribution Scam)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাজ্যের পার্সোনেল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দফতরের মন্ত্রী। সুতরাং তাঁর অনুমতি ছাড়া ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কমিশনের এমডি পদে ওই আমলাকে বসানো সম্ভব নয়।

    তাই রাজ্যের রেশন বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে ইডি যে তদন্ত করছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হোক। শুভেন্দুর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বেআইনিভাবে টাকা তুলুন এবং তার অংশ নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠান। সেই জন্যই মুখ্যমন্ত্রী ওয়েস্ট বেঙ্গল এসেন্সিয়াল কমোডিটিজ সাপ্লাই কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান করেন জ্যোতিপ্রিয়কে।

    আরও পড়ুুন: ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ, রায় শুনেই আদালতে জ্ঞান হারালেন জ্যোতিপ্রিয়

    বৃহস্পতিবার টানা কুড়ি ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয়কে। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর এবং তাঁর আপ্ত সহায়কের বাড়িতে। জ্যোতিপ্রিয়র কথায় অসঙ্গতি খুঁজে পান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। তার জেরে শুক্রবার কাকভোরে (Ration Distribution Scam) গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Dilip Ghosh: ‘‘গায়ের জোরে টাকা দিয়ে দুর্গাপুজো কিনছেন’’! মমতাকে নিশানা দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘গায়ের জোরে টাকা দিয়ে দুর্গাপুজো কিনছেন’’! মমতাকে নিশানা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার মহম্মদ আলি পার্কের পুজো উদ্বোধনে এসে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ‘রাম মন্দির’ থিমকে নিয়ে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে এই ইস্যুতে একহাত নিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ?

    বুধবার সাংবাদিকদের বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকঠাক চণ্ডীপাঠও জানেন না, তাঁর কাছ থেকে লোকে পুজো শিখবে? গায়ের জোরে টাকা দিয়ে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে কেনার চেষ্টা করছেন তিনি। পিতৃপক্ষেই পুজোর উদ্বোধন করে দেওয়া হচ্ছে। ওর দলে রয়েছেন অধার্মিক এবং দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেরা। প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিধায়ক সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। যাঁরা নৈতিকতা জানে না, যে দলের মন্ত্রী নেতারা লাইন দিয়ে জেলে যায়, তাঁদের কাছ থেকে ধর্ম শেখার মত দুর্দশা আমাদের আসেনি।’’

    প্রসঙ্গ সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো 

    প্রসঙ্গত, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর চলতি বছরের থিম হল রাম মন্দির। দ্বিতীয়ায় এই পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পুজোর উদ্যোক্তা ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষ। বিজেপি নেতার উদ্যোগে দুর্গাপুজো হওয়াতেই কি মুখ্যমন্ত্রীর এমন আক্রমণ? এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো অনেক দিন ধরেই জনপ্রিয় এবং তা প্রদীপ ঘোষই করে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একবার পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন।’’

    নিশানা সুজিত বসুকে

    অন্যদিকে, এ দিন তৃণমূলের মন্ত্রী সুজিত বসুকেও নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত, মহালয়ার আগেই শ্রীভূমির এই পুজোর উদ্বোধন করে দেওয়া হয়। ফলে অনেক মানুষেরই অসুবিধা হচ্ছে রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করতে। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘পিতৃপক্ষে পুজো চালু করে দেওয়া তো তৃণমূলের আমলেই শুরু হল। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবকে কন্ট্রোল কে করবে? যে কন্ট্রোল করবে সেই তো কন্ট্রোলের বাইরে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MLAs Salary: সই করেননি রাজ্যপাল! মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি বিলের আলোচনায় অংশ নেবে বিজেপি?

    MLAs Salary: সই করেননি রাজ্যপাল! মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি বিলের আলোচনায় অংশ নেবে বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন (MLAs Salary) সংক্রান্ত দুটি বিল পাশ করাতে সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে রাজ্য সরকার। আজ, দ্বিতীয়ায় দুটি আইনে সংশোধনী আনার চেষ্টায় রাজ্য। বিজেপি এই বিলের বিরোধিতা করবে বলে আগেই জানিয়েছিল। তারা এই অধিবেশনে থাকবে না ভাবলেও শেষবেলায় সিদ্ধান্ত বদল করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁরা সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের হাজির থাকবেন। 

    পুজোর মধ্যেই তড়িঘড়ি অধিবেশন

    দুটি বিল সংক্রান্ত নথি রাজভবনে পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত অনুমোদন মেলেনি রাজ্যপালের। ফলে অধিবেশনে বিল উত্থাপন করা বা টেবিল করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রবিবার এই অধিবেশন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা কাল সকাল ১১টায় সবাইকে ডেকেছি। আমরা ভিতরে ঢুকব। জোরালো ভাবে বিলের বিরোধিতা করব।’ গত ৭ সেপ্টেম্বর বিধানসভার অধিবেশনে মন্ত্রী, বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৃদ্ধির প্রস্তাব ছাড়পত্রের জন্য দু’টি বিলে সংশোধনীর প্রয়োজন রয়েছে। তার জন্যই কার্যত পুজোর মধ্যেই তড়িঘড়ি একদিনের অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুন:কলকাতায় রামমন্দির! উদ্বোধনে অমিত শাহ, দুপুর ২টোয় বিমানবন্দরে নামবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    কেন বিলের বিরোধিতা

    আজই, পুজো উদ্বোধনের জন্য শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাই এই অধিবেশনে না থাকার কথা জানিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, দলের বিধায়কদের একাংশ চাইছেন, বিলগুলি নিয়ে নিজেদের বিরোধিতা লিপিবদ্ধ রাখতে। সে কারণে তাঁরা শেষ মুহূর্তে অধিবশেন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জনগণকে বার্তা দিতেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত। বিজেপির যুক্তি রাজ্য সরকার চাকরি দিতে ব্যার্থ। কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দিতে অসমর্থ। আর মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন বাড়াতে তৎপর। তাই এই বিল নিয়ে বিরক্ত বিজেপি। তাই, বিজেপি বিধায়কদের বিরোধিতায় বিল আলোচনার সময় উতপ্ত হতে পারে বিধানসভার অধিবেশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও দিল্লি গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ, আবার কখনও রাজভবনের সামনে ধর্না প্রদর্শন। কার্যত নিজেকে ইডির জেরার মুখ থেকে বাঁচতেই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছেন, নন্দীগ্রামে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘পুলিশি মদতে মঞ্চস্থ ধর্না জনস্বার্থে না পরিবারের স্বার্থে? এই প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় অক্টোবর মাসের ক্যালেন্ডার তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে কার্যত খোঁচা দিলেন বিরোধী দলনেতা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তাঁর স্ত্রী এবং বাবা-মাকেও তলব করার প্রেক্ষিতে অক্টোবর মাসের ক্যালেন্ডারের চারটি তারিখ ৬ অক্টোবর, ৭ অক্টোবর, ৯ অক্টোবর এবং ১১ অক্টোবর এই চারদিন ‘মা’ ‘বাবা’ ‘কয়লা’ ও ‘নারোলা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি চলো কর্মসূচি কিম্বা রাজভবনের সামনে অভিষেকের নেতৃত্বে ধর্না— এসবই শাসক দলের অবস্থানকে দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই বলেও আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি।

    রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেছে তৃণমূল। অভিষেকের নাম না করে তাঁকে ‘জমিদার’ বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। শাসক দল রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের নিরাপত্তার বিষয়টিকেও উপেক্ষা করছে মত শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, একের পর এক ইডির জেরার মুখে অভিষেক ও তার পরিবার। শুভেন্দুর বক্তব্য অভিষেক নিজেকে বাঁচাতে বাবা মা-সহ পরিবারকে চোর সাজাচ্ছে। কার্যত দিল্লি থেকে রাজভবন, বিগত কয়েকদিনে যে যে কর্মসূচি গুলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন শুভেন্দুর চোখে অভিষেকের নেওয়া সেই সমস্ত পদক্ষেপগুলো কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। তিনি নিজেকে ইডির জেরার মুখ থেকে বাঁচাতেই এই ধরনের একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে চলেছেন। এগুলোর সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লগ্নি ধরতে ১১ দিনের বিদেশ সফর মমতার, খরচ কত? জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর   

    Suvendu Adhikari: লগ্নি ধরতে ১১ দিনের বিদেশ সফর মমতার, খরচ কত? জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের কার্যকালে যা করেননি নরেন্দ্র মোদি, এক যুগের মুখ্যমন্ত্রিত্বে তাই করে দেখালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! টানা এগারো দিন ধরে করলেন বিদেশ সফর। মমতার এই বিদেশ সফরে লগ্নি কত আসবে, তা বলবে সময়। তবে তাঁর এই সফরে যে জনগণের টাকার আদ্যশ্রাদ্ধ হয়েছে, তা বলতে শুরু করেছেন নিন্দুকরা।

    আরটিআই শুভেন্দুর   

    মুখ্যমন্ত্রীর চলতি সফরে কত খরচ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে আরটিআই করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সফরসঙ্গী কারা, কোন মানদণ্ডে তাঁদের নির্বাচন করা হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু। সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়নের লক্ষ্যে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ দিনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও স্পেন সফরে গিয়েছেন। ওঁর এই সফর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনে যথেষ্ট বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ওঁর সফরসঙ্গী  কারা এবং কোন পদাধিকার বলে ওঁরা এই সফরে সঙ্গী হয়েছেন? কিছু বিশেষ ব্যক্তির একাধিক পরিচয় থাকায়, পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনের মধ্যে ধন্দ সৃষ্টি হয়েছে যে, এই সফরে ওঁরা ঠিক কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এবং কী বিশেষ যোগদান রাখলেন?”

    ‘রাজ্যের কী লাভ হল?’

    বিজেপি নেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রায় সব জায়গায়ই গত বেশ কয়েক বছর ধরে বলে আসছেন যে তাঁর সরকারের কাছে অর্থ নেই। যে কারণে তিনি সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য মহার্ঘ ভাতাটুকুও দিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এই ১১ দিনের বিদেশ সফরের খরচের পরিমাণ কত? মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের জন্য কত ব্যয় করা হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে ? কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে? ইত্যাদি…” তিনি লিখেছেন, “এই সফরে কত টাকা খরচ করা হল এবং তা থেকে রাজ্যের কী লাভ হল, তার মূল্যায়ন করার অধিকার নিশ্চয়ই পশ্চিমবঙ্গের জনগণের রয়েছে। তাই রাজ্যের দায়িত্বশীল বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি তথ্য জানার অধিকার আইন ২০০৫ এর ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির আধিকারিকদের কাছে এই তথ্যগুলি জানতে চেয়েছি, যার প্রতিলিপি এখানে দিলাম।”

    আরও পড়ুুন: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Football: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    Bengal Football: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশিচমবঙ্গে ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরি করবে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। মাদ্রিদে বসে সদর্পে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্বাক্ষরিত হল মউ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই অ্যাকাডেমি তৈরি করে কি আদৌ কোনও লাভ হবে বাংলার ফুটবলের? নাকি পুরোটাই গিমিক। 

    কীসের তাগিদ লা-লিগার

    বাংলার ফুটবল (Bengal Football) উন্নতিতে লা লিগার বিশেষ তাগিদ না থাকাই স্বাভাবিক। তারা আসলে মার্কেট ধরার চেষ্টা করছে। বাংলায় ফুটবলের বিপুল জনপ্রিয়তার কথা সকলরেই জানা। যা ধরা পড়েছে লা লিগার প্রসিডেন্ট জাভিয়ার তেভেজের ট্যুইটেও। আর এই সুযোগটাই তিনি কাজে লাগাতে চাইছেন স্পেনের ফুটবল বাজারকে সম্প্রসারিত করতে। একটা সময় ভীষণই জনপ্রিয় ছিল লা লিগা। বার্সেলোনার জার্সিতে মেসি কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে রোনাল্ডোর খেলা দেখার জন্য রাত জাগত বাংলার আপামর ফুটবলপ্রেমী। কিন্তু এখন কেউ ফিরেও তাকায় না স্প্যানিস ফুটবলের দিকে। তার একটাই কারণ—মেসি, রোনাল্ডাদের অনুপস্থিতি। তাঁরা স্পেন ছাড়ার পর লা লিগার জনপ্রিয়তা দ্রুত কমেছে। আগ্রহ হারাচ্ছে স্পনসর ও সম্প্রচারকারী সংস্থা। তাই লা লিগায় জোয়ার আনতে ভারতীয় ফুটবলের বাজার ধরতে মরিয়া জাভিয়ার। 

    রাজ্যের ফুটবল তলানিতে

    গত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় ফুটবলের বাজার ধরতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে লা লিগা। মাঝে মধ্যেই ভারতে ছুটে আসেন  লা লিগার প্রসিডেন্ট জাভিয়ার। দিল্লিতে খুলেছেন অফিসও। কিন্তু তেমন সাড়া না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাংলাকে বেছে নিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ, এমনটাই মত ফুটবল পণ্ডিতদের। বাংলার মাটিতে অ্যাকাডেমি তৈরির মউ স্বাক্ষর আসলে অশ্বডিম্ব প্রসবের প্রথম পদক্ষেপ। যে রাজ্যের ফুটবল তলানিতে, সেখানে লা লিগার মতো সংস্থার অ্যাকাডেমি তৈরি করে কোনও লাভ যে হবে না, তা ভালোই জানেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় ও লা লিগা কর্তৃপক্ষ। 

    প্রচারের আলোয় থাকার নেশা মমতার

    আসলে প্রচারের আলোয় থাকাটা নেশা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এক্ষেত্র সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো স্পোর্টস আইকনকে সঙ্গী করেছেন মাদ্রিদ সফরে। সৌরভের ইমেজকে কাজে লাগানোর প্রয়াস অতীতেও করেছেন তিনি। সৌরভ নিজেও জানেন, এসব করে কিছু হবে না। তিনি বহুদিন ধরে এটিকে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও পরে কলকাতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। 

    আরও পড়ুন: মউ স্বাক্ষরই সার, মমতার এবারের বিদেশ সফরের নিটফল সেই ‘অশ্বডিম্ব’!

    ময়দানে পিছিয়ে বাংলা

    আসলে, শুধু শিল্প, শিক্ষায় নয়, খেলাধুলাতেও দেশের অন্য রাজ্যের সঙ্গে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ। তার বহু উদাহরণ রয়েছে। একসময় সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার (Bengal Football) দাপট ছিল নিরঙ্কুশ। কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যের যে, ২০১৬-১৭ মরশুমের পর বাংলা আর সন্তাষ ট্রফি জিততে পারেনি। কয়েকদিন আগেই এশিয়া গেমসের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন বাংলার মাত্র একজন ফুটবলার। আসলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁরা জামানায় বাংলার খেলাধুলার বিপর্যয় স্পষ্ট দেখতে পারছেন। শুধু ফুটবল কেন, ক্রিকেটেও একই অবস্থা। বাংলার ছেলেরা সুযোগ পান না কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে। আর সেই দলের অন্যতম মালিক শাহরুখ খানকে জামাই আদর করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও করা হয়। আসলে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়াটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। তাঁর এই স্পেন সফর কিংবা লা লিগার সঙ্গে বাংলায় অ্যাকাডেমি তৈরি নিয়ে মউ স্বাক্ষর আসলে নিজের ব্যর্থতা ঢাকার একটা অজুহাত মাত্র। যা দিয়ে ব্যর্থতা ঢাকা পড়বে না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Mamata Banerjee: মউ স্বাক্ষরই সার, মমতার এবারের বিদেশ সফরের নিটফল সেই ‘অশ্বডিম্ব’!

    Mamata Banerjee: মউ স্বাক্ষরই সার, মমতার এবারের বিদেশ সফরের নিটফল সেই ‘অশ্বডিম্ব’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেও ভুরি ভুরি বৈঠক আর রাশি রাশি গালগপ্পো করেছে রাজ্যবাসী। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেই অর্থে কোনও লগ্নি আসেনি রাজ্যে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যে বাণিজ্যের প্রসারের জন্য স্পেন সফরে গিয়েছেন। বৈঠকও হচ্ছে নানা সংস্থার সঙ্গে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এত বৈঠক-আলোচনা, এত মউ স্বাক্ষরের নিট ফল কী হবে? লগ্নি আসবে তো? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে বিশষজ্ঞ মহলে।

    মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ঘিরে প্রশ্ন

    সূত্রের খবর, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) মাদ্রিদের ইন্ডিটেক্স গ্রুপের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। এটা মূলত একটি ফ্য়াশন গ্রুপ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বাংলায় এই বিপণী সংস্থা উৎপাদন ইউনিট খুলতে পারে। তাঁর দাবি, চলতি বছরের বড়দিনের আগেই নাকি বাংলায় উৎপাদন শুরু করবে এই সংস্থা। ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘টেম্পে গ্রুপো ইন্ডিটেক্স (জারা) বস্ত্র শিল্পে বড় উদ্যোগী। তারা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাটছঁড়া বেঁধে বাংলায় তাদের ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট তৈরি করতে পারে। ২০২৩ সালের বড়দিনের আগে তারা বাংলায় উৎপাদন শুরু করতে পারে।’’

    আরও পড়ুন: ‘জওয়ান’ কংগ্রেস সরকারের দূর্নীতিকে তুলে ধরেছে! শাহরুখকে ধন্যবাদ বিজেপির

    মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকই যায়। সবেমাত্র এই সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এখনও কোনও লিখিত কিছুই হয়নি, পুরোটাই আলোচনার টেবিলেই সীমাবদ্ধ। এদিকে বড়দিন বড়জোর ৩ মাস বাকি। এখানেই প্রশ্ন হল, এত দ্রুত রাজ্যের কোনও এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট সেট-আপ করে ৩ মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু করে দেওয়া আদৌ সম্ভব কি? 

    পিইউ কারখানাও কি অশ্বডিম্ব প্রসব করবে?

    ২০১৯ সালের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে ডাউন স্ট্রিম পলিমার অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি নামে একটা পর্ব ছিল। সেখানে প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অনেক সময় নষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নিট ফলাফল শূন্য ছিল। চার বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) স্পেন সফরে আচমকা ফিরে এল সেই প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ভর্তুকিতে ১০০ একর জমি পেলে, স্পেনের সংস্থা নাকি এরাজ্যে পিইউ কারখানা তৈরি করতে পারে। প্রশ্ন এখানেই— জমি দেবে রাজ্য! তারা তো জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে। আর যে জমি ল্যান্ড ব্যাঙ্কে রয়েছে, সেটা কতটা ব্যবহারযোগ্য, তা নিয়ে জোর সন্দেহ। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পটিও যে অশ্বডিম্ব প্রসব করতে, তা বলাই বাহুল্য। 

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: টানা ইডির প্রশ্নবাণের মুখে অভিষেক, অফিস থেকে বেরিয়ে এ কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    Abhishek Banerjee: টানা ইডির প্রশ্নবাণের মুখে অভিষেক, অফিস থেকে বেরিয়ে এ কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে ইডির প্রশ্নবাণের ধাক্কা সামলালেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার সকালে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছান তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো। শুরু হয় ম্যারাথন জেরা। যদিও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, “আমাকে ছিয়ানব্বই ঘণ্টা জেরা করেও কিছু হবে না।”

    এ কী বললেন তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো?

    বিজেপিকে রুখতে জোট বেঁধেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় দল। কিছু দিন আগেও তৃণমূলের গায়ে সর্বভারতীয় তকমা সেঁটে দিয়েছিলেন দলীয় নেত্রী। সেই তকমাও মুছে গিয়েছে। তবে এদিন ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো যা বললেন, তাতে ‘ইন্ডিয়া’র ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। ঘাসফুল শিবিরের এই নেতা বলেন, “সব দল ছেড়ে ইডি বেছে বেছে আমাকে নোটিশ দিয়েছে। দিয়েছে ভাল করেছে। কিন্তু হাজিরার জন্য ডাকল, যেদিন বৈঠক রয়েছে। ৪টের সময় দিল্লিতে বৈঠক ছিল।”

    তিনি বলেন, “বৈঠকে যদি আমি অংশগ্রহণ করতে চাই, তাহলে ২টোর মধ্যে আমাকে দিল্লিতে পৌঁছতে হবে। আর আমাকে একই দিনে কলকাতার ইডি অফিসে ডাকা হল সকাল সাড়ে ১১টায়। আজকের আগে-পরে ডাকলে আমি (Abhishek Banerjee) বৈঠকে থাকতে পারতাম। আজকে ডাকার ফলে এটা স্পষ্ট, ভারতীয় জনতা পার্টি বেছে বেছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিকে আটকেছে। তাই ইন্ডি বা বিরোধী জোট গঠনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা কী সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র তৃণমূলকেই যে এরা আটকাতে চায়, এটা আর একবার আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টায় রাজ্য খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মৌখিক রক্ষাকবচ পেয়েই ইডির দফতরে অভিষেক!

    প্রসঙ্গত, এর আগে রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার শুনানি হয়। অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, বুধবার তাঁর (অভিষেকের) বিশেষ একটি বৈঠক রয়েছে। তিনি এও বলেছিলেন, “এটা বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ। কাল তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। এই ধরনের হয়রানির মানে কি?” তার প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী বলেছিলেন, “সমন পাঠানো মানে কড়া পদক্ষেপ নয়। তিনি অভিযুক্ত নন। ইডির কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সমন পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনও বাধা নেই। গ্রেফতার করতে আমাদের কোনও সমনের দরকার নেই। আমরা যখন ইচ্ছা গিয়ে গ্রেফতার করতে পারি। গ্রেফতারির জন্য সমন পাঠানো হয়েছে এই আশঙ্কা অমূলক।”

    তিনি বলেন, “এই আদালতের অন্য এজলাসেও মামলা চলছে। সেখানে আমাদের রিপোর্ট দিতে হবে। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গ্রেফতার করা হবে না এই আশ্বাস পেয়েই এদিন ইডির মুখোমুখি হন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টায় রাজ্য খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টায় রাজ্য খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চন্দ্রযান চাঁদে পাঠাতে ভারত সরকারের খরচ হয়েছে ৬১৫ কোটি টাকা। আর আমাকে জেলে ঢোকানোর প্রচেষ্টার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার এ পর্যন্ত হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আমার জন্য ২৯৫ কোটি টাকা খরচ করেছে।” সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে পরাজিত করেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই দুই কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা করে তাঁকে জেলে ঢোকানোর প্রাণপণ চেষ্টা করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) জানান, ব্রিটিশ আমলেও তাঁর পরিবার জেল খেটেছেন। তাই তিনি যে সহজে মাথা নোয়াবেন না তা বারংবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু।

    পুলিশের খাতায় এফআইআরের পরিসংখ্যান

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথা যে নিছকই ফাঁপা নয়, তার প্রমাণ মেলে পুলিশের খাতার পরিসংখ্যানেই। জানা গিয়েছে, শুভেন্দু যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে মাত্র একটি। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই ক’ বছরে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে ২৭টি। দিন কয়েক আগে এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টও জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে এখনই আর কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না। এর প্রেক্ষিতে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে উঠেপড়ে লেগেছিল বাংলার শাসক দল তথা সরকার। এতে ফের ওদের মুখ পুড়ল।”

    আরও পড়ুুন: এই বছরেই হবে টেট! প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার তারিখ এবং নিয়ম জানাল পর্ষদ

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করার যৌক্তিকতা কোথায়, সে প্রশ্নও তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। তাদের প্রশ্ন, সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা আইনজীবীদের পিছনে খরচ করে কলকাতা হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় লড়াই করার যৌক্তিকতা কোথায়? এ নিয়ে এতদিন চুপ থাকলেও, এদিন মুখ খোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। জানান, মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে তাঁর পিছনে রাজ্য সরকার ঠিক কত টাকা ব্যয় করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’!  মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই’’! মমতার বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনগণের করের টাকায় মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফরে (Mamata Foreign Tour) যাচ্ছেন। আগেও বহুবার গিয়েছেন কিন্তু রাজ্যে শিল্পের প্রসার চোখে পড়েনি, অভিমত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, “টাকার সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট হল দুবাই। যা আগেই রেডি করেছেন ভাইপো ও তাঁর স্ত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রী সেখানে যাচ্ছেন।”  তিনি বলেন, ভোটের আগে ডাবল ডাবল চাকরি, ছয়মাসে শিল্প এনে দেখিয়ে দেবো, এইসব প্রতিশ্রুতির তিনি কিছুই করতে পারেননি। এবার সেই আবারও মিথ্যার আশ্রয়। 

    টাকা সরানোর ট্রানজিট পয়েন্ট দুবাই!

    স্পেন যাওয়ার আগে একদিন দুবাইতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Foreign Tour)। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, পাশ্চাত্যের দেশে যেতে দুবাইকেই কেন ট্রানজিট পয়েন্ট করছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘দুবাইয়ে টাকা সাইফন হচ্ছে। দুবাইতে কিছু আইন আছে যেখানে বেআইনি টাকা সাইফন হয়। এর আগে ভাইপো, ভাইপোর স্ত্রী ও ভাইপোর শ্যালিকা প্লট রেডি করেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্লটের সাক্ষী। তিনি দুবাইকে ট্রানজিট পয়েন্ট করেছেন স্পেনে যাওয়ার জন্য নয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে হাওলার মাধ্যমে হুন্ডির মাধ্যমে যে টাকা তার পরিবার সরাচ্ছে সেই টাকাকে ওখানে সুরক্ষিত করার জন্য’। উল্লেখ্য, গত মাসেই বিদেশ সফর থেকে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও দুবাই হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। 

    রাজ্যের দায়িত্বে স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকা

    নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের (Mamata Foreign Tour) সময় রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব গোপালিকাকে। এব্যাপারে তীব্র কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “তৃণমূল দলের একটাই পোস্ট আর বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। বিধান রায়, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু বিদেশ সফরে গেলে সিনিয়র মোস্ট সদস্যকে দায়িত্ব দিয়ে যেতেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকেই বিশ্বাস করেন না, তাই এক শীর্ষ আমলাকে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন।” শুভেন্দু আরও বলেন, “চন্দ্রযান চাঁদে পাঠাতে ভারত সরকারের ৬১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর আমাকে জেলে ঢোকাতে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এখনও পর্যন্ত ২৯৫ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছে। যা পুরোটাই জনসাধারণের। কিন্তু আমার বাড়ির লোক ব্রিটিশের জেলে ছিল, আমি সহজে মাথা নত করব না।” 

    আরও পড়ুুন: ‘কনভয়ের গতিবিধির ওপর নজরদারি করছে রাজ্য’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    কেন বিদেশ সফরে মমতা

    মঙ্গলবার সকালে ১২ দিনের বিদেশ সফরে দুবাই, স্পেনের মাদ্রিদ গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Foreign Tour)। মূলত বিনিয়োগ টানতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই বিদেশ সফর বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন দুবাইয়ে একটি বাণিজ্য সম্মেলন ও প্রবাসীদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। স্পেনেও একটি বিজনেস সামিটে যোগ দেবেন তিনি। জানা যাচ্ছে, স্পেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম বৈঠক ফুটবল নিয়ে। ১৪ সেপ্টেম্বর, মাদ্রিদে লা লিগার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দলের বৈঠক। বাংলা ফুটবলের উন্নতির স্বার্থে সরকারের সঙ্গে কোনও বিশেষ চুক্তি হতে পারে লা লিগার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share