Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই অমিত শাহের হাইভোল্টেজ জনসভার সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। সভায় উপচে পড়া ভিড় ভেঙে দিয়েছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। অমিত শাহের কলকাতা আসার দিনেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল পরিষদীয় দল। সেই মতো বিধানসভাতে গতকাল কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান শাসক দলের বিধায়করা। তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে চলতে থাকে বিক্ষোভ। যানিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবারই সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল তো বিধানসভার বাইরে বের হতেই পারছে না। বিজেপি এবং মানুষের ভয়ে তাদেরকে বিধানসভায় ঢুকে যেতে হয়েছে। দিদিমণি এখন ওখান থেকেই ভাষণ দিচ্ছেন। বাইরে বেরিয়ে সভা করুক না একটা। তৃণমূল সারা বছর ধরে অর্থ এবং প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে একটা সভা করে (২১ জুলাই)। দুমাস আগে থেকে জেলায় জেলায় গেট করে, ফ্রি বাস, ট্রেনে করে লোক আনে। তারা ব্রিগেডে কেন করে না সভা? কত বছর আগে শেষবারের মতো ব্রিগেডে সভা করেছে! একটা করে দেখাক। আমরা তো বাৎসরিক ব্রিগেড করি।’’

    ওয়ার্ম আপ ম্যাচ

    অন্যদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গতকালের বিজেপির সমাবেশকে কটাক্ষ করেন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ধর্মতলার এদিনের সভা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছিল।’’ তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে চলে আসছে। এ নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় মেদিনীপুরের সাংসদকে। তাঁর (Dilip Ghosh) কথায়, ‘‘আমি জানি না কে কি করেছে? কে চোর? সেটা পাবলিক ঠিক করবে। চোরের মায়ের বড় গলা! নেতাদের মধ্যে হিম্মত নেই জনসভা করার। মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার হিম্মত নেই। খোকাবাবু তো হারিয়ে গিয়েছেন। ছন্নছাড়া অবস্থা আজকে। তারাই আবার পার্টির মধ্যে আওয়াজ তুলছে বুড়োদের সরিয়ে যুবকদের আনো। আগে নিজেদের পার্টির ভিতরের ব্যাপারটা তারা ঠিক করে নিক। পার্টি থাকবে কিনা সেটাও আগামী দিনে বোঝা যাবে।’’

    প্রসঙ্গ নাগরিকত্ব আইন

    গতকালই অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে আসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে গোপাল মুখোপাধ্যায়ের (যিনি গোপাল পাঁঠা নামেই প্রসিদ্ধ) কথা। প্রসঙ্গত, জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫১ সালে দেশের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা আসনটি থেকে জয়লাভও করেন তিনি। অন্যদিকে, ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময় কলকাতার রক্ষাকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। এই দুজনকে সম্মান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বাঙালি জাত্যাভিমান কি তুলে ধরবেন! শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কে ছিলেন? বাঙালি ছিলেন। বাঙালির হাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে, জনসঙ্ঘের। এটা ঠিক যে মানুষকে মনে করাতে হয়। বাঙালি খুব ভুলে যায়। দেশ ভাগ হয়েছে, বাঙালি নির্যাতিত হয়েছে। মা বোনেদের সম্মান গেছে। কোটি কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। আজকের যুব সমাজ যদি এগুলো ভুলে যায় তাহলে আবার উদ্বাস্তু হতে হবে। তাই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। সেটাই উনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমরাই সিএএ ইম্প্লিমেন্ট করব। সবই সময়ে হয়।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand Tunnel Rescue: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    Uttarakhand Tunnel Rescue: শ্রমিক হয়ে উত্তরকাশীতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সৌভিক! বেআব্রু বাংলার হা-শিল্প দশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য শেষ হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ফি বার ঘটা করে জনগণের টাকায় হচ্ছে মোচ্ছব। রাজ্যবাসীর আইওয়াশ করতে সই হয় মউ-ও। সেসবই যে আসলে ধোঁকা, তা বেআব্রু করে দিলেন উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে (Uttarakhand Tunnel Rescue) আটকে পড়া বাংলার এক শ্রমিকের পরিবার। বিষয়টি তাহলে খোলসা করেই বলা যাক।

    ‘বাংলায়ই কাজ করুক ছেলে’

    স্কুলের পাঠ চুকিয়ে ইলেকট্রিকেলে ডিপ্লোমা করেছিলেন সৌভিক পাখিরা। হুগলির পুরশুড়ার এই তরুণ তার পরেও চাকরি পাননি। চাষবাস করতেন। শেষমেশ কাজ পান উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে, সুড়ঙ্গ শ্রমিক হিসেবে। সেখানেই আরও ৪০ জন শ্রমিকের সঙ্গে টানা সতের দিন সুড়ঙ্গ-বাস করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়েছেন সৌভিক। তবে বাড়িতে ফেরেননি। সৌভিকের মায়ের অভিযোগ, বাংলায় কাজ নেই বলেই বাধ্য হয়ে বাইরে যেতে হয়েছে তাঁর ছেলেকে। তবে আর পাঁচজন বাঙালি মায়ের মতোই তিনিও চান, বাংলায়ই কাজ করুক লেখাপড়া জানা ছেলে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদারও টানা সতের দিন আঁধার-বাস (Uttarakhand Tunnel Rescue) করেছেন সুড়ঙ্গে। তাঁর পরিবারেরও আক্ষেপ, রাজ্যে কাজ থাকলে বাইরে যেতে হত না মানিককে।

    রাজ্যের শিল্প-চিত্রকে আক্রমণ তথাগতর

    রাজ্যের দু’ প্রান্তের এই দুই তরুণের করুণ কাহিনিটাই বস্তুত এ রাজ্যের শিল্প-চিত্র। ২০১১ সালে বাম-শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের কুর্সি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। তার পর থেকে শিল্প-শিল্প করে ধুয়ো তোলা হয়েছে বারংবার। তার পরেও শিল্প হয়নি বলে অভিযোগ। শিল্প হবে বলে জনগণের করের টাকায় ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর নিয়ম করে হয়েছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। লক্ষ্মী ধরতে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্ষদদের (বিরোধীদের ভাষায় স্তাবক) নিয়ে ১২ দিন কাটিয়ে এসেছেন বিদেশে। তার পরেও লক্ষ্মীলাভ হয়নি রাজ্যের। অগত্যা রাজ্যের হা-শিল্প দশা ঘোঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী চপকেও (নিন্দুকরা বলছেন ঢপের চপ) শিল্পের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি একবারও ভেবে দেখলেন না, প্রতি ঘরেই যদি তরুণরা তেলেভাজার দোকান দেন, তাহলে কিনবে কে?

    নিতান্তই নিরুপায় হয়ে তাই বাংলার তরুণদের খাটতে যেতে হচ্ছে তামাম ভারতে। পেটভর্তি বিদ্যে নিয়ে কেউ খাটছেন জন, কেউ বা সুড়ঙ্গ শ্রমিক। বিপদে পড়ে সেখান থেকে যাঁরা রাজ্যে ফিরছেন, তাঁরা কী করবেন? অতি কঠোর বাস্তব এই প্রশ্নটাই তুলে দিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “সুড়ঙ্গ শ্রমিকরা তো অক্লান্ত চেষ্টার ফলে মুক্তি পেলেন। প্রশ্ন, এখন তাঁরা কী করবেন? তাঁদের পরিবারবর্গ বলছেন, তাঁদের আর রাজ্যের বাইরে যেতে দেবেন না। তাহলে কি তাঁরা মাননীয়ার ‘ডবল ডবল চাকরি’র ভরসায় বসে থাকবেন? নিউটাউনে বিনিয়োগ টেনে আনার যে কু-নাট্য অভিনীত হল, তার ওপর (Uttarakhand Tunnel Rescue) ভরসা করবেন?

    প্রাক্তন রাজ্যপালের এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন কে?

    আরও পড়ুুন: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Mamata Banerjee: ডি এ-র বদলে ছুটি! রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ভাতা নিয়ে এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Mamata Banerjee: ডি এ-র বদলে ছুটি! রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ভাতা নিয়ে এ কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ যে মিলবে না, ডিএ (DA Hike) দিতে রাজ্য যে অপারগ তা এক প্রকার স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায় স্পষ্ট, দান-খয়রাতি করেই সরকারি কোষাগার ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। ডিএ না দেওয়ার সমর্থনে তাঁর অদ্ভুত যুক্তি,  এত ছুটি দেওয়া হচ্ছে। ডিএ দেওয়াটা তাঁর ঐচ্ছিক বিষয়। শুধু তাই নয় তিনি বলেন যে, কর্মীদের আপত্তি রয়েছে তাঁরা কেন্দ্রের চাকরি করতে চলে যেতে পারেন।  

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (DA Hike) দাবিতে রাজ‍্যজুড়ে বিক্ষোভ করছে সরকারী কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা প্রতিবছর ডিএ পাচ্ছে কিন্তু তাঁরা বঞ্চিত। কিন্তু কর্মীদের এই দাবি মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যে মুখ্যমন্ত্রী সারাক্ষণ মুখে বঞ্চনার বুলি আওড়ান, সেই তিনি কর্মীদের হকের ডিএ না দিয়ে নিজের রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চিত করছেন। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা না দিয়ে তাঁর উল্টো যুক্তি,  ‘মনে রাখুন কেন্দ্রীয় সরকার ৩-৪ দিন ছুটি দেয়। আর আমরা ৪০-৪৫ দিন ছুটি দিই। এই গুলো মাথায় রাখবেন।’

    আরও পড়ুন: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    ডিএ বাধ্যতামূলক নয়

    দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার (DA Hike) দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। চলতি অর্থবর্ষে তাঁদের ডিএ তিন শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু, তাতেও ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি, আরও জোরাল হয় আন্দোলন। সেই প্রসঙ্গে বুধবার মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের দাবি,’ডিএ বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক বিষয়।’  তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের কর্মীরা তাদের কাঠামো অনুযায়ী চলে। সেই অনুযায়ী বেতন বা ডিএ পায়। রাজ্য সরকারি কর্মীদের কারও যদি কোনও আপত্তি থাকে সেক্ষেত্রে গিয়ে কেন্দ্র সরকারি চাকরিতে যোগদান করুক। কাউকে বাধা দেওয়া হয়নি। আমরা কাউকে আটকায়নি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Amit Shah: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

    Amit Shah: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলার জন্য কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছেন মোদিজি। কিন্তু তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজের জন্য সেই টাকা পৌঁছচ্ছে না বাংলার গরিব মানুষের ঘরে।” বুধ-দুপুরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির সভায় কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মোদি সরকার দেশকে কী কী দিয়েছে, এদিন তারও ফিরিস্তি দেন শাহ। বলেন, “গোটা দেশে মোদিজি কীভাবে বিকাশ করছেন! গরিবদের জীবনে কত পরিবর্তন এসেছে। ওঁদের ঘর দিয়েছেন, শৌচালয় দিয়েছেন, জল দিয়েছেন। শৌচালয়ের সঙ্গে ৫ লক্ষের স্বাস্থ্যবীমাও দিয়েছেন। করোনা অতিমারি রুখতে গোটা দেশে টিকাকরণও করেছেন মোদিজি। গোটা দেশে সন্ত্রাসবাদও দমন করেছেন তিনি।”

    তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজ!

    বাংলার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও, তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজের জন্য তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ শাহের। বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায গরু চুরি হোক বা কয়লা চুরি কিংবা নিয়োগ দুর্নীতি, বাংলার মানুষের টাকা এঁরা খেয়েছেন। মমতাজিকে বলছি, হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করে দেখান।”

    ‘শাহি’ পরিসংখ্যান 

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছ তৃণমূল। এদিন ওয়াই চ্যানেলের সভায় তারই জবাব দেন শাহ (Amit Shah)। রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি দেখিয়ে দেন, ১০ বছরের ইউপিএ জমানার চেয়ে ৯ বছরের বিজেপি আমলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ঢের বেশি টাকা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস জমানার সরকার দিয়েছে ২ লাখ কোটি টাকা। আর ন’ বছরে মোদি সরকার পাঠিয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।” তিনি বলেন, “আমরা মমতাদির কাছে অনেকবার হিসেব চেয়েছি। উনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, মোদিজি বাংলার জন্য কী করেছেন? আমি হিসেব নিয়ে এসেছি। কান খুলে শুনন। যে ইউপিএ সরকারে আপনি মন্ত্রী ছিলেন, সমর্থন করেছেন, তারা বাংলাকে মাত্র ২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছিল। আর মোদিজি দিয়েছেন ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।”

    আরও পড়ুুন: “সিএএ দেশের আইন, বাংলায় লাগু করবই”, ধর্মতলার সভা থেকে শাহি-বার্তা

    শাহ বলেন, “এছাড়াও আমরা এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। ইউপিএ সরকার ১৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল। মোদিজি দিয়েছেন ৫৪ হাজার কোটি টাকা। একশো দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় সড়কের জন্য দেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকা। রেলে এবং বন্দরে দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ১৬ হাজার ও এক হাজার কোটি টাকা। সেচ খাতে দেওয়া হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আপনার ২ লক্ষ কোটি টাকার জায়গায় ভারতীয় জনতা পার্টি (Amit Shah) দিয়েছে ৮ লক্ষ কোটি টাকা।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

     

  • Suvendu Adhikari: চব্বিশের লোকসভা ভোটে মমতাকে ‘সাসপেন্ড’ করতে জনগণকে আহ্বান শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: চব্বিশের লোকসভা ভোটে মমতাকে ‘সাসপেন্ড’ করতে জনগণকে আহ্বান শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলার হাইভোল্টের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভা ভোটে সাসপেন্ড করার ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, বিধানসভা থেকে শাসক দল চলতি অধিবেশনে সাসপেন্ড করেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শাসকদলের দুর্নীতি এবং লাগামছাড়া সন্ত্রাসের ইস্যু নিয়ে বিধানসভা থেকে আরম্ভ করে রাজ্যের বিভিন্ন জনসভাতে সরব হতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। সেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবার অমিত শাহের জনসভায়, আগামী লোকসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করার ডাক দিলেন।

    বিধানসভায় সাসপেন্ড শুভেন্দু, বিরোধী দলনেতার পাশে অমিত শাহ

    নিজের বক্তব্যে অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বিধানসভা থেকে সাসপেন্ডের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘দিদি আপনি শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করেছেন কিন্তু বাংলার জনগণের আওয়াজকে আটকাতে পারবেন না।’’ শুভেন্দু অধিকারী এও দাবি করেছেন  যে তৃণমূলের লোকজনেরাই তাঁকে জানিয়েছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে এই সাসপেন্ড।

    ভাঙা গলাতেই তৃণমূলকে নিশানা শুভেন্দুর

    বিজেপির এই হাইভোল্টেজ জনসভাকে সফল করতে গত কয়েক দিনে রাজ্য চষে বেরিয়েছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। বিভিন্ন জনসভায় ভাষণ ও স্লোগান দিতে দিতে তাঁর গলাও ভেঙে গিয়েছে। এদিন সেই ভাঙা গলাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপস্থিত কর্মীদের স্লোগানও দিতে বলেন শুভেন্দু। সভার অনুমতি প্রথমে দেয়নি পুলিশ। এরপর গেরুয়া শিবিরকে যেতে হয় উচ্চ আদালতে। এদিন সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে শুভেন্দুর ভাষণে। তিনি বলেন, ‘‘২ বার হাইকোর্টে যেতে হয়েছে। তারপর এখানে সভা হয়েছে। বিজেপ পরিবর্তন আনবে বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেতে হবে যেতে হবে যেতে হবে।’’ শুভেন্দু এদিন আরও বলেন, ‘‘বাংলা থেকে চোরের রানিকে উৎখাত করবেন অমিত শাহ। পুলিশ বাধা দিয়েছে, তারপরও লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর ‘বেফাঁস’ মন্তব্য, গ্রেফতারির দাবিতে থানায় অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর ‘বেফাঁস’ মন্তব্য, গ্রেফতারির দাবিতে থানায় অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের চারজনকে জেলে ঢোকালে, বিজেপির আটজনকে জেলে ঢোকানার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এহেন হুঁশিয়ারির জেরে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি যে আদালতের দ্বারস্থ হবেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তার আগে তিনি ই-মেইল করলেন হেয়ার স্ট্রিট থানায়।

    কী লিখেছেন শুভেন্দু? 

    এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, “নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে ইমেলে অভিযোগ জানিয়েছি। বিজেপির আটজনকে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। দলের হয়ে প্রতিজ্ঞা করেছেন। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার মধ্যে পড়ে, সেখানেই ই-মেইলে অভিযোগ জানিয়েছি। আশা করি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও হুমকি নিয়ে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করব। পুলিশ যদি এফআইআর না করে, এসিজেএমের দ্বারস্থ হব।”

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, “আমাদের চারজনকে জেলে ঢুকিয়েছে, আমি আটজনকে ঢোকাব। যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের প্রত্যেককে জেলে ঢোকাব।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরে পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতে এফআইআর করব। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম যে থানার আওতায়, সেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করব। উনি রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন, এর বিরুদ্ধে ইউএপিএ হওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান তৃণমূলের জেলা নেত্রীর, বিতর্ক

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, “দম থাকলে সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে শুরু করুন। সুকান্ত মজুমদারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, আমার বাবা-মা, স্ত্রীর সম্পত্তির হিসেব নিন। আপনার পরিবারের সম্পত্তির হিসেবও বের করুন।” বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে হুমকি দেন, কার বিরুদ্ধে, আদালত-আইনের বিরুদ্ধে…কে গ্রেফতার হয়েছে, কেন গ্রেফতার হয়েছে, তাতে বিজেপির কী হাত রয়েছে প্রত্যেক নেতা-মন্ত্রী দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে। বাড়িতে হানা দিলেই সম্পত্তি, টাকা-পয়সা পাওয়া যাচ্ছে। তার পরেও উনি প্রতিহিংসার কথা বলছেন! আর কত নীচে নামবেন উনি। একজন শাসকের এমন (Suvendu Adhikari) আচরণ শোভা পায় না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: “রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন মমতা, ইউএপিএ হওয়া উচিত”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন মমতা, ইউএপিএ হওয়া উচিত”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন, তার প্রেক্ষিতে এফআইআর করব। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম যে থানার আওতায়, সেই হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর করব। উনি রাষ্ট্রবিরোধী কথা বলেছেন, এর বিরুদ্ধে ইউএপিএ হওয়া উচিত।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দুর ইউএপিএ- হুঁশিয়ারি 

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন মমতা। সেখানেই তিনি বলেন, “আমাদের চারজনকে জেলে ঢুকিয়েছে, আমি আটজনকে ঢোকাব। যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে, তাদের প্রত্যেককে জেলে ঢোকাব।” মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই ইউএপিএ- হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়ে গারদে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    ‘পার্থ-মানিক-বালু জেলে’

    গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় দিল্লির জেলে বন্দি রয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এদিনের বৈঠকে তাঁদের পাশেও দাঁড়ান তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেন, “আমি শুনেছি যারা সব চেয়ে বেশি গরু আর কয়লার টাকা খায়, বিএসএফ যারা সীমান্ত পাহারা দেয়, তারা। কয়লা কাদের নিয়ন্ত্রণে? সিআইএসএফ থাকে ওখানে। গরু আসে ইউপি, এমপি, রাজস্থান থেকে। তখন টাকা খায় না। তখন কি লজেন্স খাও? যা বলছি শুনে রাখুন, এলাকায় গিয়ে প্রচার করবেন। আজ আমাদের অনেকে জেলে। তাই নিয়ে খুব হাসছেন? পার্থ-মানিক-বালু জেলে। যখন আপনারা থাকবেন না, তখন কোথায় থাকবেন? সেলে না কোলে?  

    আরও পড়ুুন: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর 

    এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংগঠনিক বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে ছিল একশো দিনের কাজের বকেয়া আদায়ে ফের আন্দোলনের কর্মসূচিও। এজন্য আবারও ‘দিল্লি চলো’ ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এই প্রসঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, “দিল্লি যান না। রাজঘাটে আবার যান। দৌড় করাব।” রাজ্যের বিরোধী দলনেতার তোপ, “যারা বিরোধী, তাঁদের বাড়ি পোড়ানো হয়েছে। বেছে বেছে তৃণমূলকে যারা ভোট দেয় না, তাদের বাড়ি-ই পোড়ানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ৩৫টি মামলা। যন্ত্রণার নাম শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।” বিরোধী দলনেতা জানান, ওঁর বক্তব্যের কপি নেব। দু’ এক দিনের মধ্যেই এফআইআর করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “দলকে হাইজ্যাক করেছেন ভাইপো, ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলকে হাইজ্যাক করেছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।” বৃহস্পতিবার এই ভাষায়ই তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দলের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে মমতা ও তাঁর ভাইপো অভিষেকের দড়ি টানাটানি চলছে বলেও দাবি করেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    ‘ভাইপো হাফপোস্ট’

    বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক। এই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো উপস্থিত থাকলেও, ছিলেন না দলের সাধারণ সম্পাদক। যদিও ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “এখন দুজনের মধ্যে একটু টানাটানি চলছে। নতুনরা সামলাবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো সৈনিকরা সামলাবেন, তা নিয়ে দল ও পরিবারের মধ্যে টানাটানি চলছে। মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন দলটাকে ফিরে পাওয়ার, কিন্তু ভাইপো তো দলটাকে হাইজ্যাক করে নিয়েছেন! এখন দল দুই ভাগে আড়াআড়িভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে। আগামিদিনে কে প্রার্থী হবেন, সেটা আইপ্যাক ঠিক করে দেবে।” তিনি বলেন, “এখানে আবার বৈঠক কীসের! ওই দলে তো একটাই পোস্ট, আর ভাইপো হাফপোস্ট। বাকি সব তো ল্যাম্প পোস্ট।”

    ‘পুলিশের বর্বরোচিত আচরণ’

    এদিকে, ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর বিজেপির যুব মোর্চা আয়োজিত নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে যাঁরা জখম হয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সুকান্ত জানান, কমিশনের পক্ষ থেকে তদন্তের পর জানানো হয়েছে, ওই দিন একাধিক কর্মীর ওপর পুলিশ বর্বরোচিত আচরণ করেছিল।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীকে করা ‘পনৌতি’ মন্তব্যে পদক্ষেপ, রাহুলকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “শিল্পপতিদের গলা টিপে ধরা হচ্ছে।” এদিন তারও জবাব দিয়েছেন সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “তিনি যদি তাঁর ভাইপোকে শিল্পপতি বলে মনে করেন, তাহলে তো চোর শিল্পপতির গলা টিপে ধরবেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজ তারা করছে। ভারতের অন্য কোনও অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো এ রকম কোনও কথা বলছেন না। কোথাও তো বিনিয়োগের অভাব নেই। কিন্তু এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমনটা মনে হচ্ছে, কারণ তাঁর পরিবারের গলা টিপে ধরা হচ্ছে। তাঁর পরিবার যদি চুরি না করে, তাহলে তো তাঁর কোনও ভয় নেই (Sukanta Majumdar)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘মমতা যতদিন রয়েছেন রাজ্যে শিল্প হবে না,’’ সাফ জানালেন দিলীপ ঘোষ

    Dilip Ghosh: ‘‘মমতা যতদিন রয়েছেন রাজ্যে শিল্প হবে না,’’ সাফ জানালেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর করা শিল্প সম্মেলন নিয়ে এবার কটাক্ষ শোনা গেল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মুখে। সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এর আগে যে ৭ বার সম্মেলন হয়েছে, তার নিট ফল তো কিছু দেখতে পাচ্ছি না। উনি দুটি কুমির ছানা বারবার দেখান। তাজপুর বন্দর এবং দেউচা পাঁচামি। এখনও টেন্ডার পাল্টানো হচ্ছে। আদানি হাত তুলে নিয়েছে। আর কি কেউ করবে?’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের আরও সংযোজন, ‘‘যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন ততদিন রাজ্যে শিল্পের সম্ভাবনা একেবারেই নেই।’’

    শিক্ষা থেকে শিল্প, কোনও পরিবেশই নেই রাজ্যে

    প্রসঙ্গত, বুধবারই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে দু’দিনের বাণিজ্য সম্মেলন শেষ হয়েছে। দিলীপ ঘোষ এখানেও প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপির (Dilip Ghosh) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির মতে, ‘‘বাণিজ্য সম্মেলনে কোন শিল্পপতি কত টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন, তা অবিলম্বে প্রকাশ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর।’’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘‘তৃণমূলের জমানায় রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে, শিক্ষা থেকে শিল্প কোনও পরিবেশই নেই এই রাজ্যে।’’ রাজ্যের শিল্পের পরিবেশ নিয়ে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘এ রাজ্যে জীবন ও সম্পত্তির কোনও নিশ্চয়তা নেই। সেখানে শিল্প সম্মলেন করে কী হবে? কে আসবে রাজ্যে? আগে ইমেজ ঠিক করুক সরকার।’’

    ২৯ নভেম্বরের সভা নিয়ে কী বললেন দিলীপ?

    অন্যদিকে আগামী ২৯ নভেম্বর কলকাতাতে মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিজেপি। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধা থেকে রাজ্যের সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করেছে রাজ্যের শাসক দল। সেই বঞ্চিত উপভোক্তাদের নিয়েই ২৯ নভেম্বর সমাবেশ বিজেপির। এতে থাকার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। ইতিমধ্যে সভার অনুমতি নিয়ে শুরু হয়েছে জলঘোলা। কলকাতা পুলিশকে অনুমতি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সভার অনুমতি বাতিল করতে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য সরকার। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ভাবছে সভা আটকে, বিজেপিকে আটকে দেবে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে রোখা যাবে না। এভাবে গণতান্ত্রিক দেশে কাউকে আটকানো যায় না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BGBS 2023: তাজপুর নয়, আদানিরা তো বন্দর গড়তে চায় মন্দারমণিতে, দাবি বঙ্গ বিজেপির

    BGBS 2023: তাজপুর নয়, আদানিরা তো বন্দর গড়তে চায় মন্দারমণিতে, দাবি বঙ্গ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2023) মঞ্চে তাজপুর বন্দরের দরপত্র নিয়ে ইচ্ছুকদের আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহুয়াকাণ্ডের জেরে এই বন্দর থেকে আদানি গোষ্ঠী হাত তুলে নিয়েছে বলে জল্পনা ছড়ায়। এর পরেই মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি।

    বিজেপির দাবি

    পদ্মশিবিরের দাবি, তাজপুরে বন্দর গড়ার প্রস্তাব আগেই নাকচ করে দিয়েছে আদানিরা। আদানি গোষ্ঠীর প্রধান গৌতম আদানির নজর রয়েছে মন্দারমণিতে। সেখানে স্থলবন্দর গড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে আদানিরা। সেই কাজও বেশ খানিকটা এগিয়েছে। বিজেপির প্রশ্ন, তাজপুরের বন্দর তৈরির কথা নতুন করে ঘোষণা করে মন্দারমণির প্রকল্পকে কি আড়াল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণ নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলে গেরুয়া শিবির।

    ‘মন্দারমণিতে জমি চিহ্নিত হয়েছে’

    বিজেপির (BGBS 2023) সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মন্দারমণিতে আদানিদের বন্দর গড়ার বিষয়ে আলোচনা বেশ খানিকটা এগিয়েছে। জুন-জুলাই মাসের দিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন, আদানি গোষ্ঠী ও রাজ্য সরকারের তরফে জমি পরিদর্শনও করে আসা হয়েছে। অধিগ্রহণের জন্য জমি চিহ্নিতও করেছে সরকার। মন্দারমণির বন্দর প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।” এ সংক্রান্ত নথিও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন জগন্নাথ। স্থলবন্দর গড়তে মন্দারমণিতে বিপুল পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। তবে এ ব্যাপারে এখনও রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। জগন্নাথের প্রশ্ন, “তবে কি সরকার এবার জমি অধিগ্রহণ নীতি বদলে ফেলেছে? আদানিদের সঙ্গে মন্দারমণি প্রকল্প নিয়ে এত রাখঢাক কেন?”

    আরও পড়ুুন: “ডিপফেকের বিপদ সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে”, জি২০-র বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, “তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর লাভজনক হবে না বলে আদানিদের উপদেষ্টা সংস্থা ডিএইচআই আগেই জানিয়েছে। আদানিরাও তা রাজ্য সরকারকে জানিওয়েছে। জগন্নাথের প্রশ্ন, এসব জানা সত্ত্বেও কেন মমতা বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে তাজপুরের কথা ঘোষণা করলেন? মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে অসত্য বলেও দাবি করেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। বিজেপির দাবি, মুখে না বললেও, আদানিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে রাজ্য সরকার। গোপনে চলছে জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা (BGBS 2023)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share