Tag: Mamata Banerjee

Mamata Banerjee

  • Duttapukur Blast: “রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না?” প্রশ্ন শুভেন্দুর   

    Duttapukur Blast: “রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না?” প্রশ্ন শুভেন্দুর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উত্তরবঙ্গ থেকে এসে রাজ্যপাল দত্তপুকুরে যেতে পারেন আর মুখ্যমন্ত্রী পারেন না?”  সোমবার এ প্রশ্ন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পরেই এ বিষয়ে (Duttapukur Blast) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব চেয়ে শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিধানসভা ত্যাগ করেন বিজেপি বিধায়করা। দত্তপুকুরে বিস্ফোরণ হয় রবিবার সকালে। সোমবার বসে বিধানসভার অধিবেশন। এই অধিবেশনেই বিজেপি প্রশ্ন তোলে, “কলকাতা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। অথচ এখনও অকুস্থল পরিদর্শনে যাননি মুখ্যমন্ত্রী?” এর পরেই রাজ্যপালের প্রসঙ্গ টানেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব

    শুভেন্দু বলেন, “মানুষের জীবন রক্ষা করার যে প্রতিশ্রুতি, সে বিষয়ে আমরা সরকারের কাছ থেকে অবিলম্বে বিবৃতি দাবি করি। সেই কারণে আমরা বিধানসভার (Duttapukur Blast) ভেতরে মুলতুবি প্রস্তাব রেখে বাইরে শাউটিং স্লোগান করেছি। পশ্চিমবাংলার জনগণের নিরাপত্তার প্রশ্নে ভারতীয় জনতা পার্টি অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই লড়াইটা আমরা হাউসের ভেতরে দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি এনআইএ দিতে পারে না। এফআইআরে সেই ধারা থাকলে তবে তারা তদন্ত করতে পারে। এরা সেটা করবে না। তাই আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছি। আশা রাখি, হাইকোর্ট ব্যবস্থা নেবে এবং এই মামলার তদন্ত এনআইএর হাতে যাবে।” তিনি বলেন, “এই সরকার স্বচ্ছতা নিয়ে চলে না। মুখ্যমন্ত্রী অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট ১০ মিনিটে বিধানসভায় জানিয়ে তারপর বক্তৃতা করতে পারতেন না? তাঁর কাছে বক্তৃতা করাটা, কখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেটা তাঁর কাছে প্রথম প্রায়োরিটি।” 

    মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “গত কয়েক মাসে রাজ্যে (Duttapukur Blast) একশোরও বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যে বেআইনি বাজি কারখানা বন্ধ করা হবে। তারপরেও একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। ওখানে আরডিএক্স ব্যবহার করা হয়েছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই।” দত্তপুকুরকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগও দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু। এদিনও তিনি ফের দাবি করেন, প্রমাণ লোপাটের আগেই দত্তপুকুরকাণ্ডে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুুন: সিবিআই, এনআইএ দাবিতে দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের বিজেপির

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Covid 19 Guidelines: রাজ্যে কোভিড বিধি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হলো! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    Covid 19 Guidelines: রাজ্যে কোভিড বিধি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হলো! ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আর কোভিড বিধি (Covid 19 Guidelines) রইল না। বৃহস্পতিবার টেলি সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো শুক্রবার আর খাতায় কলমে কোনও কোভিড বিধি নেই রাজ্যে। যদিও, অনেক আগে থেকেই মাস্ক পরা বা সামাজিক দূরত্ব মানার বিষয়গুলি বাসে, ট্রেনে দেখা যাচ্ছিল না। তবুও সরকারি বিধিনিষেধ ছিল। এদিন সেই বিধি নিষেধ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    সরকারি ভাবে উঠল কোভিড-বিধি

    টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়েই কোভিড বিধি (Covid 19 Guidelines) প্রসঙ্গে বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই তিনি বলেন, ‘আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গে কোভিডবিধি প্রত্যাহার করা হল। আজ থেকে সমস্ত কোভিড গাইডলাইন তুলে দেওয়া হল।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিডের সময় থেকে মানুষ অনেক কষ্ট পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছিল তাঁদের। সেই সময় তাঁদের সামনে কোনও অনুপ্রেরণা ছিল না। তখন এই টিভি এই সিরিয়ালই দেখত মানুষ। এবার কোভিডবিধি তুলে নেওয়া হল।’  করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের সঙ্গেই ২০২০ সালের ২৩ মার্চ থেকেই লাগু হয় কোভিডবিধি। মাঝে কোভিড বিধি শিথিল করা হলেও করোনা বাড়তেই ফের কড়া হয় গাইডলাইন। করোনার ডবল ভ্যাকসিন ও বুস্টার ডোজের পর প্রকোপ কমতেই মাস্ক ভুলেছে মানুষ। কমেছে স্যানিটাইজারের ব্যবহারও। প্রতিদিনের জীবনে বাস-ট্রেনে দূরত্ববিধি অতীত। অবশেষে সরকারিভাবে এদিন কোভিডবিধি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।

    আরও পড়ুন: ৫০ কোটির ‘তছরুপ’! সমবায় সমিতির দুর্নীতির তদন্তেও ইডি-সিবিআই

    প্রসঙ্গত , চলতি মাসেই রাজ্যে একাধিকজনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট সামনে এসেছে। এমনকী কলকাতাতেই কোমর্বিডিতে এক মহিলার মৃত্যুর খবর সামনে আসে। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের মধ্যে অগাস্টের শুরুতেই ২ জন ষাটোর্ধ্ব করোনা রোগীর মৃত্যুর খবর মেলে। এদিনে দিন দুয়েক আগেই কেন্দ্র কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট EG.5 এবং BA.2.86 নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। আগাম সতর্কতা হিসেবে কোভিডের নয়া প্রজাতিকে রুখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকে কেন্দ্র। আপাতত রাজ্যগুলিকে জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্ট বাড়ানোর উপর জোর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এরই মাঝে বাংলা থেকে কোভিড বিধি প্রত্যাহারের সরকারি ঘোষণা হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “শীঘ্রই আপনার পরিবারের কোনও সদস্য যদি ভিতরে ঢুকে যায়?” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “শীঘ্রই আপনার পরিবারের কোনও সদস্য যদি ভিতরে ঢুকে যায়?” মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে আর মাত্র ৬ মাস সময় আছে বলে মন্তব্য করেছিলেন মমতা। তারই পাল্টা হিসেবে সুকান্ত বলেন,  “মুখ্যমন্ত্রীর হাতে কি ৬ সপ্তাহ সময় আছে? তার মধ্যেই যদি আপনার পরিবারের কোনও সদস্য ভিতরে ঢুকে যায়?” 

    সুকান্তর অভিমত

    ইন্ডিয়া জোট নিয়েও কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আইএনডিআইএ-র একজন সদস্য। কিন্তু ইন্ডিয়া আপনার সঙ্গে নেই। ভারতবাসী প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গেই রয়েছে আর থাকবেও।” লুঠপাট সত্বেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে যে ১১ হাজার আসন পেয়েছে সেটা বড় ব্যাপার, বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা! নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট

    রাজ্যে সিএএ লাগু করার ব্যাপারেও সরব হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালুর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন বিজেপি সাংসদ। সুকান্ত মজুমদার জানান, জনসাধারণকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। মূলত, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ করতে পারে বলে জানান তিনি।তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা প্রসঙ্গে সুকান্ত জানান, তৃণমূলের কাজই হচ্ছে বিজেপি যা পদক্ষেপ নেবে তার বিরোধিতা করা। তবে এই আইন চালু হলে জন সাধারনের কতোটা উপকার হবে সেটা সকলে বুঝতে পারবে, তখনই সবাই এই আইনকে স্বাগত জানাবে বলে মত বিজেপি রাজ্য সভাপতির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: কলকাতায় নৌসেনার নতুন যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হলো ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এক তারকাখচিত অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সে (GRSE) নৌসেনার নতুন স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেটের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri Launch) নামের এই রণতরী ভারতীয় নৌসেনার ‘প্রজেক্ট-১৭ আলফা’ বা সংক্ষেপে ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের ষষ্ঠ জাহাজ। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার সহ শীর্ষ পদাধিকারীরা। এছাড়া, উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন ভারত ক্রিকেট অধিনায়ক তথা প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ।

    বোতাম টিপে রণতরীর শুভ-সূচনা

    এদিন বোতাম টিপে ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’কে (INS Vindhyagiri Launch) জলে ভাসিয়ে দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এর আগে, স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে, নারকেল ফাটিয়ে ও মালা পরিয়ে জাহাজের পুজো করা হয়। সেই শুভ কাজ করেন রাষ্ট্রপতি। তার পর তিনি জাহাজটিকে জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন এবং বোতাম টিপে জাহাজের নাম ফলক প্রকাশ করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশের জলসীমার সুরক্ষিত রাখার জন্য ভারতীয় নৌসেনার প্রশংসা করেন। সময়মতো জাহাজের নির্মাণ শেষ করার জন্য জিআরএসই কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান নৌসেনা প্রধান আর হরি কুমার। 

    ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের ষষ্ঠ জাহাজ ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’

    নৌসেনার ‘পি-১৭এ’ প্রকল্পের অধীনে সাতটি নিলগিরি-শ্রেণির (এই প্রজেক্টের প্রথম জাহাজ ‘আইএনএস নিলগিরি’-র নামে শ্রেণিভুক্ত) ৭টি স্টেলথ গাইডেড-মিসাইল ফ্রিগেট তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে ৪টে নির্মিত হয়েছে মুম্বইয়ের মাজগাঁও ডকইয়ার্ডে। বাকি তিনটির নির্মাণ হয়েছে কলকাতায় গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (জিআরএসই)-তে। ‘আইএনএস বিন্ধ্যগিরি’ (INS Vindhyagiri Launch) হলো এই প্রকল্পের ষষ্ঠ তথা এখানে তৈরি হওয়া তৃতীয় তথা শেষ জাহাজ। সেই দিক থেকে কলকাতার জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা জিআরএসই-র মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক। এর আগে, এখান থেকেই উদ্বোধন হয়েছে যথাক্রমে ‘আইএনএস হিমগিরি’ ও ‘আইএনএস দুনাগিরি’। এই দুটিই এখন সমুদ্র-ট্রায়ালে রয়েছে। সম্ভবত, চলতি মাসেই নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ‘আইএনএস হিমগিরি’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    Partha Chatterjee: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ বোমাটা ফাটিয়েই দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)! সোমবার আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, “নিয়োগে মন্ত্রী হিসেবে আমার কোনও ভূমিকা নেই, নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।” পার্থ বলেন, “এক বছর ধরে সিবিআই কিছু প্রডিউস করতে পারেনি। আমার বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি সিবিআই। সামনে পুজো, আমারও পরিবার আছে, যে কোনও শর্তে জামিন দিন।” রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “একজন পলিসি তৈরি করে, একটা অংশ নিয়োগ করে। ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রিপোর্ট করেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রিপোর্ট করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এসএসসি আলাদা একটি বোর্ড। মন্ত্রী এসএসসিকে নিয়ন্ত্রণ করত না। আমি জানি না কারা চাকরি পেয়েছেন। আমি পাঁচটি দফতরের দায়িত্বে ছিলাম, বারবার দফতর বদল হয়েছে। নিয়োগে মন্ত্রী হিসেবে আমার কোনও ভূমিকা নেই।”

    পার্থর দাবি

    এদিনও ফের পার্থ (Partha Chatterjee) দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন, “যাঁরা ফাঁসিয়েছে, তাঁদের আমি সামনে নিয়ে আসতে চাই। আমি জামিনে মুক্ত হয়ে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। তাই আমার জামিন মঞ্জুর করা হোক।” এদিন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নিয়ে আসা হয় পার্থকে। সেই সময় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ‘আমার বস’ বলে সম্বোধন করেন পার্থ। বলেন, “আমার বস বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য উডল্যান্সসে ভর্তি। উনিও অসুস্থ। আমিও অসুস্থ।”

    হাত ধুয়ে ফেলে তৃণমূল

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরপরই পার্থকে (Partha Chatterjee) দল থেকে বহিষ্কার করে হাত ধুয়ে ফেলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তার পর এদিন তিনি বুদ্ধদেবকে ‘আমার বস’ সম্বোধন করায় ছড়িয়েছে জল্পনা। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হওয়ায় গত বছর জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকাও। পার্থ গ্রেফতার হতেই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে ছেঁটে ফেলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে বহিষ্কার করা হয় দল থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানির হাত ধরে অসমে গরু পাচার হচ্ছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের লোকেরা ব্যালট খেতে পারে, ইভিএম পারবে না’’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের লোকেরা ব্যালট খেতে পারে, ইভিএম পারবে না’’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম হ্যাক করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party), সম্প্রতি এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার এর পাল্টা দাবি করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যে মুখ্যমন্ত্রী পুরসভা-কর্পোরেশন ভোট ভিভিপ্যাট ছাড়াই ইভিএমে করেন তাঁর মুখে এসব মানায় না। তিনি নিজেই পুরসভা-কর্পোরেশনে ইভিএমে ভোট করেন। সেখানে ভিভিপ্যাট ছিল না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, তাঁর লোকেরা ব্যালট খেয়ে ফেলতে পারে, ইভিএম খেয়ে ফেলতে পারবেন না। এত বড়ো লিভার, এত বড়ো পেট কারও নেই।’’

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মমতা বলেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) এখন থেকে প্ল্যানিং করছে। ইভিএম হ্যাক করার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি। আমরাও কিছু প্রমাণ পেয়েছি। কিছু খুঁজছি। এটা নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আলোচনা হবে।’’ এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিমত। সম্প্রতি রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, ব্যালট পেপার চুরির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘ক্রমাগত বদলাতে থাকা রাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ভীত ও সন্ত্রস্ত। রাজ্যে তৃণমূলের সীমাহীন বেলাগাম দুর্নীতির আঁচ মানুষ করতে পেরেছে। মানুষ মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। তাই নানান কথা বলা হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্টে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের থেকে সংখ্যালঘুরাও মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে অপ্রত্যাশিত হারের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ লম্বা হতে থাকে। প্রায় ৬৭ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে যেখানে ২০২১ সালে শাসক দল ৫০,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল, সেইখানে উপনির্বাচনে ২৩,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজয় তৃণমূলের সব হিসেব উল্টে দিয়েছে। এর পরে বিগত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘু রাজনৈতিক কর্মীদের শাসক দল ত্যাগ করা, দলবদল করা এবং সর্বশেষে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত হিংসা, এত ছাপ্পা, রিগিং ও ভোট লুঠ সত্ত্বেও যেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন, সেখানেও বহু জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ এবার তৃণমূলকে বর্জন করেছেন।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata on EVM Hacking: চব্বিশে ফিরছেন মোদি-ই! আঁচ করেই কি মমতার মুখে ফের ‘ইভিএম হ্যাক’ তত্ত্ব?

    Mamata on EVM Hacking: চব্বিশে ফিরছেন মোদি-ই! আঁচ করেই কি মমতার মুখে ফের ‘ইভিএম হ্যাক’ তত্ত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন (2024 Loksabha Polls) হতে এখনও প্রায় ৮ মাস বাকি। তার আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের মোকাবিলা করতে ঘটা করে গতমাসে ‘ইন্ডিয়া’ জোট গড়েছে ২৬টি বিরোধী দল— যার অন্যতম সদস্য হলো তৃণমূল কংগ্রেস। সেই দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে বলেছিলেন যে, এই ‘ইন্ডিয়া’ নামটা নাকি তাঁরই দেওয়া, যা কি না সকলের মনে ধরেছে। গঠনের সময় বিরোধীরা ঠিক করেছিল, যে মোদিকে যেনতেন ভাবে নির্বাচনী ময়দানে রুখতে হবে। যার প্রথম ধাপ হবে সংসদ থেকে। অর্থাৎ, কিনা সংসদে মোদি সরকারের আনা কোনও বিল ও প্রস্তাব যাতে পাশ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য সকল বিরোধী ঐক্যবদ্ধ ভাবে ‘মোদি-বিরোধিতা’য় সামিল হবে। 

    বিরোধীদের দুই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

    কিন্তু, এক পক্ষকালও পার হয়নি, বিরোধীদের সেই রঙিন স্বপ্নের ফানুস ইতিমধ্যেই আছাড় খেয়ে মাটিতে লুটোপুটি খেতে শুরু করে দিয়েছে। সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে, বিরোধীরা দুটি ইস্যুকে হাতিয়ার করবে বলে বেছে রেখেছিল। এক, মণিপুর ইস্যুকে হাতিয়ার করে মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। দুই, দিল্লি পরিষেবা অধ্যাদেশ বিল রুখতেই হবে। বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে সংসদে। গৃহীতও হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক এবং ভোটাভুটি হওয়ার কথা। ঠিক একইভাবে, সংসদে সরকারের তরফে পেশ করা হয়েছে দিল্লি অধ্যাদেশ (সংশোধনী) বিল। 

    সংসদে কোনটা পাশ করবে, আর কোনটা আটকে যাবে— তা নির্ভর করে সংখ্যাতত্ত্বের ওপর। সংখ্যাতত্ত্ব অর্থাৎ, কক্ষে কোন পক্ষের সংখ্যা কত? বা বলা ভালো, কোন পক্ষ কতটা শক্তিশালী? যেদিন ‘ইন্ডিয়া’ জোট তাদের প্রথম বৈঠক করল, তার এক সপ্তাহ পরই, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট তাদের শক্তিপ্রদর্শন করে। বিরোধীদের যেখানে ২৬টি দলের সমর্থন ছিল, সেখানে নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন দিতে এগিয়ে আসে ৩৯টি দল। এর পরই বিরোধীদের ফানুস ফেটে যায়। যে কারণে, বিরোধীদের তরফে থেকে বলতে শুরু করে দেওয়া হয় যে, ‘‘অনাস্থা যে পাশ হবে না, তা জানা ছিলই। আমরা চাই, যাতে মোদি সংসদে বলুন।’’

    লোকসভায় এনডিএ-র ধারেকাছে নেই বিরোধীরা

    কেন বিরোধীদের এই মতবদল? এর উত্তর লুকিয়ে সেই সংখ্যাতত্ত্বে। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া বর্তমান সংখ্যাতত্ত্ব ঠিক কী বলছে। প্রথমে আসা যাক দুই কক্ষ-বিশিষ্ট সংসদের নিম্ন কক্ষ অর্থাৎ লোকসভার প্রসঙ্গে। যেখানে উঠতে চলেছে অনাস্থা ইস্যু। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতার জন্য দরকার ২৭২ আসনের। বর্তমানে লোকসভায় বিজেপির একারই সাংসদ সংখ্যা ৩০১। ফলে, বিজেপি একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে। পুরো এনডিএ জোট ধরলে সংখ্যাটা ৩৩২।

    এছাড়া, শাসক জোটের সঙ্গী না হওয়া সত্ত্বেও নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি ও জগন রেড্ডির ওয়াইএসআর মোদি সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছে। লোকসভায় বিজেডির ১২ ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ২২ জন সাংসদ রয়েছেন। এই সংখ্যাটা এনডিএ-র সঙ্গে যুক্ত হলে তা ৩৬৬-তে পৌঁছে যায়। এরপরেই চন্দবাবু নাইচুর সমর্থনের কথাও জানা যাচ্ছে। তার সদস্য রয়েছেন তিনজন। ফলে, ৩৭০-এর আশেপাশে। অন্যদিকে, বিরোধীদের কত সংখ্যা হলো, এটার পর সেই নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

    রাজ্যসভাতেও সংখ্যা নিয়ে নিশ্চিত এনডিএ

    এতো গেল লোকসভার কথা। কিন্তু, কোনও বিলকে আইনে রূপান্তর করাতে হলে, তাকে দুকক্ষেই পাশ হতে হবে। ফলে, এবার দেখে নেওয়া যাক সংসদের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ রাজ্যসভার দিকে। যেমন, দিল্লি অধ্যাদেশ বিল লোকসভায় তো বটেই, রাজ্যসভাতেও পাশ করানোর বিষয়ে আশাবাদী কেন্দ্র। রাজ্যসভায় বিজেপি ও তাদের সহযোদীদের ১০৫ জন সদস্য রয়েছেন। এর সঙ্গে, পাঁচ মনোনীত সদস্যের ভোট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি তথা এনডিএ। এছাড়া, এক্ষেত্রেও, বিজেডি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেসকে পাশে পাচ্ছে বিজেপি। তাদের রয়েছে ৯ সাংসদ। সমর্থন জানাচ্ছে অন্ধ্রের আরেক দল চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি। তাদের রয়েছে একটি আসন। এর পরে, যদি নির্দল সাংসদরা সমর্থন জানান এনডিএ-কে, তাহলে সংখ্যা ১৩০ ছাড়িয়ে যাবে। ২৪৫-আসনের রাজ্যসভায় সাতটিআসন ফাঁকা রয়েছে। ফলে, বর্তমান ২৩৮ আসনের বিচারে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৮-১২০।

    এখন থেকেই হারের ‘অজুহাত’ খোঁজা শুরু বিরোধীদের?

    এই দুই ইস্যু হাতছাড়া হয়ে গেছে বুঝতে পেরেই এখন থেকেই প্রমাদ গুণতে শুরু করে দিয়েছে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট। আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও (2024 Loksabha Polls) যে মোদির জয়ধ্বজ অব্যাহত থাকবে, তা টের পেয়ে গিয়েছেন জোটের ‘হুজ হু’-রা। সেই কারণেই এখন থেকে হারের বিভিন্ন ‘অজুহাত’ খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছেন ‘ইন্ডিয়া’-জোটের কাণ্ডারিরা। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ বৃহস্পতিবারই দেখিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata on EVM Hacking)। ফের একবার তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে ‘ইভিএম হ্যাক’-এর তত্ত্ব— যা বিরোধীদের অত্যন্ত পছন্দের অজুহাতের অন্যতম। এদিন নবান্ন থেকে মমতা বলেছেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) এখন থেকেই নানা পরিকল্পনা করছে। ইলেক্ট্রিক মেশিন (ইভিএম) হ্যাক করার নানারকম ব্যবস্থা করছে। আমাদের কাছে খবর এসেছে। কিছু প্রমাণ পেয়েছি। কিছু খুঁজছি। ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে আলোচনা হবে।’’ 

    লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha Polls) ৮ মাস আগেই কি তাহলে হার মেনে নিলো মমতার ‘ইন্ডিয়া’!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের পাশে নেই, তাই ইমাম ভাতা বাড়াতে পারেন মমতা”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের পাশে নেই, তাই ইমাম ভাতা বাড়াতে পারেন মমতা”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন, সংখ্যালঘুরা আর তৃণমূলকে ভোট দেবেন না। তাই নানারকম মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।” বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশন শেষে এই ভাষায়ই মমতাকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যেহেতু সংখ্যালঘু ভোট তাঁর সঙ্গে নেই, তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা ইমাম ভাতা বাড়াতে পারেন বলেও মনে করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন, সংখ্যালঘু ভোট তাঁর সঙ্গে নেই। প্রথমে বালিগঞ্জ কিছুটা বুঝিয়েছিল। সাগরদিঘিতে চওড়া ফাটল দেখা দিয়েছে। ভাঙড়ের মানুষ ভোট দিতে পারলে তাঁরাও বুঝিয়ে দিতেন। ওখানকার বীর আরাবুলকেও হারতে হয়েছে। তাই বিভিন্নভাবে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।”  

    শুভেন্দুর অভিযোগ 

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “২১ তারিখ শুনলাম নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম, মোয়াজ্জেমদের নিয়ে মিটিং ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মিটিংয়ের আগে টাউন হলে ববি হাকিম, জাভেদ খান, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীরা মিটিং করেছেন। সেখানে সিদ্দিকুল্লা বলেছেন, তাঁর সংগঠন জমিয়েত উলেমা হিন্দের লোক এনে নেতাজি ইন্ডোর ভরিয়ে দেবেন। আবার ববি নাকি বলেছেন, আমি গাড়ির ব্যবস্থা করে দেব। ওই মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হয়েছে কেউ যেন ইমাম ভাতা বা মোয়াজ্জেম ভাতা বাড়াতে না বলেন।”

    ‘আন প্রেডিক্টেবল’

    মুখ্যমন্ত্রীকে ‘আন প্রেডিক্টেবল’ বলে সম্বোধন করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওই অনুষ্ঠানেই হয়তো ইমাম, মোয়াজ্জেমদের ভাতা পাঁচশো কিংবা হাজার টাকা বাড়িয়ে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।” তিনি বলেন, “ভোট বড় বালাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন, সংখ্যালঘুরা আর তৃণমূলকে ভোট দেবেন না। তাই নানারকম মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: চার্জশিটে অভিষেকের নাম! দুর্নীতির টাকায় বিপুল সম্পত্তি কালীঘাটের কাকুর, দাবি ইডির

    এদিন বেকারত্ব নিয়েও তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চান না, বাংলার লোকের চাকরি হোক।” বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন শুভেন্দু। বলেন, “একজনকে চাকরি দিতে গেলে ন্যূনতম কাউকে ২৫ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে।

    মুখ্যমন্ত্রী এতেও ভোটের রাজনীতি করছেন। তাই রাজ্যের একাধিক বিভাগে শূন্যপদ থাকলেও, তিনি নিয়োগ করছেন না।” মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কটাক্ষ-বাণ হেনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমি কেন একজনকে ২৫ হাজার টাকা দেব? আমি ওই টাকা ব্যয় করে পাঁচশো টাকা একাধিক পরিবারকে দেব, তাহলে আমরা ২০০ ভোট পাব, এটাই উনি চান।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • C V Ananda Bose: ২৪ ঘণ্টাতেই ১০টা ফোন! রাজভবনে খোলা হল অ্যান্টি কোরাপশন সেল

    C V Ananda Bose: ২৪ ঘণ্টাতেই ১০টা ফোন! রাজভবনে খোলা হল অ্যান্টি কোরাপশন সেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কোনভাবেই বরদাস্ত নয় দুর্নীতি, এই বার্তা দিতেই এবার রাজভবনে খোলা হল ‘অ্যান্টি কোরাপশন সেল’। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি সবটা নিয়েই বারবার মুখ খুলেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। তিনি যে কোনওভাবেই রাজ্যে দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না, সেই বার্তা দিতেই রাজভবনের পিস রুমে চালু করলেন হেল্প লাইন নম্বর। ১ অগাস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই অ্যান্টি কোরাপশন সেল’। 

    রাজ্যপালের অভিমত

    ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১০ টি ফোন এসেছে বলে রাজভবন সুত্রে জানা গেছে। এই অ্যান্টি কোরাপশন সেল নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) বলেন, ”দুর্নীতি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, আমরা তাই করছি। কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কাউকে টাকা দেবেন না, আমরা চুরি বরদাস্ত করব না। আমরাও সেটাই করছি, কেউ দুর্নীতি করলে, অ্যান্টি কোরাপশন সেলে রিপোর্ট করুন। আমরা যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেব। ” বেশ কয়েকজন আধিকারিক ওই সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। রাজ্যের যে কোনও মানুষ, যে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে পারেন ওই সেলে। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। পুরো সমাজ, বিশেষত শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে এই পদক্ষেপ করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বলেন, ‘কোনও প্রকারের দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।’ তিনি জানিয়েছেন, কেউ টাকা নিচ্ছে দেখা গেলেই, তা ছবি তুলে জানানো যেতে পারে রাজভবনের ওই সেলে।

    আরও পড়ুন: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ

    পঞ্চায়েত ভোটের সময় রাজভবনে ‘পিস রুম’ খুলে চমকে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। এবার রাজভবনে রাজ্যপালের নেতৃত্বে খোলা হল ‘‌অ্যান্টি কোরাপশন সেল’‌। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে এখানে অভিযোগ জমা পড়বে। রাজ্যপাল সমান্তরাল প্রশান চালাতে চাইছেন বলে ইতিমধ্যেই সরব শাসক দল তৃণমূল। বুধবার বিকেলে নবান্নে এই ‘‌অ্যান্টি কোরাপশন সেল’‌ নিয়ে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জগদীপ ধনখড়ের আমলের সঙ্গে বর্তমান অবস্থার তুলনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যপাল নাকি স্পেশাল সেল করেছেন! এটা রাজ্যপালের কাজ নয়। ধনখড় যখন ছিলেন তখন‌ও অনেক বিষয়ে আমরা একমত হতাম না, কিন্তু তিনি এটা করেননি। ইনি তো দেখছি বিজেপি যা বলে দিচ্ছে তাই করছেন।’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূল (TMC) এখন জাতও চুরি করছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ-বাণ হানলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠক করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই তিনি নিশানা করেন রাজ্য সরকারকে। শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য অনেক বিরোধী প্রার্থীই তা পাননি। এর পরেই তিনি বলেন, “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে।”

    ‘জনজাতিদের অধিকারও খর্ব হচ্ছে’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, রাজ্য সরকার এখন জনজাতিদের অধিকারও খর্ব করছে। রায়গঞ্জে ভুয়ো তফশিলি উপজাতি শংসাপত্র দিয়ে চাকরি পাওয়া ৭৮ জনের চাকরি গিয়েছে। এই ধরনের দুর্নীতিতে যেসব সরকারি আধিকারিক মদত দিচ্ছেন, তাঁদের শাস্তি এবং গ্রেফতারিও দাবি করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বাংলায় দু’ কোটি বেকার কর্মসংস্থান পাচ্ছেন না। অমানবিক, বর্বর, অহংকারী, দুর্নীতিগ্রস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সমস্ত শূন্য পদে আগামী ছ’ মাসের মধ্যে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবি রাখছি। আমি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে আরটিআই করে জানতে চেয়েছিলাম, কাস্ট রিজার্ভ আসনে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, সেই তালিকা চেয়েছিলাম। ভুয়ো সার্টিফিকেট আমরা পেয়েছি। আমার ধারণা, ওবিসির ক্ষেত্রে যে তথ্য পেয়েছি, তার অধিকাংশই ভুয়ো।”

    দুর্নীতির খবর ফাঁস করার হুমকি

    রাজ্য সরকারের আরও দুর্নীতির খবর ফাঁস করবেন বলে হুমকিও দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বলেন, “১৫ অগাস্টের পর আরও তথ্য নিয়ে সামনে আসব। ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। জেনুইন এসসি, ওবিসিকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। ৭৮ জনের সার্টিফিকেট বাতিল করলে হবে না। অভিযুক্ত বিডিও-এসডিওদের সাসপেন্ড করলে হবে না। ওঁদের গ্রেফতারি দাবি করছি। অর্থনৈতিকভাবে যত টাকা বেতন আকারে তুলেছেন তাঁরা, সেটা ফেরত দিতে বলছি।”

    তিনি বলেন, “আপনার সরকারের আমলে বাজার দর বাড়ছে। আপনি প্রাণিসম্পদে কোনও চিকিৎসক নিয়োগ করেননি। হেল্থ সেক্টর চালাচ্ছেন আশা কর্মীরা।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আংশিক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা এখন খেতে পাচ্ছেন না। আমি বিধানসভায় বলেছি, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে। বাজার অগ্নিমূল্য, চাষিরা ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। পাবলিক সার্ভিস কমিশন কোনও নিয়োগ করছে না। যত রিক্রুটমেন্ট বোর্ড রয়েছে, সব বোর্ডকে অচল করে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ছ’ মাসের মধ্যে সমস্ত পদে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডিয়া’র বারণ উপেক্ষা করেই মোদির মঞ্চে শরদ, জোটের অন্দরেই চওড়া হচ্ছে ফাটল!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share